instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 53
24.4k
| output
stringlengths 8
818
|
---|---|---|
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | নাথু লা গিরিপথ "চীন বারে বারেই ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা শোনায়। কিন্তু ওরা ভুলে যায় যে ওই যুদ্ধের পরে আরো ৫৫ বছর পেরিয়ে গেছে। ১৯৬৭ সালে নাথুলা পাসে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে ভারত কী রকম জবাব দিয়েছিল তা বোধহয় চীন ভুলে গেছে। তারপরেও ১৯৮৭ সালে সুন্দরম চু এলাকা দিয়ে চীনা সেনারা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। তৎকালীন ভারতীয় সেনাধ্যক্ষ জেনারেল সুন্দরজী তাদেরকে এমন প্যাঁচে ফেলেছিলেন যে ওদের লুকিয়ে পালাতে হয়েছিল ভারত ছেড়ে। এছাড়াও চীনের মনে রাখা উচিত যে ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামকে 'উচিত শিক্ষা' দিতে গিয়ে ওদের নিজেদেরই কী শিক্ষা হয়েছিল! সেজন্যই ফালতু আর বাচ্চাদের মতো হুমকি যেন চীন না দেয়। আরো পড়ুন: গুলশান হামলার এক বছর: যেভাবে কেটেছিল ভয়াল সেই রাত হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার এক বছর: এখনো শঙ্কা কাটেনি ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময়ে সেনা অভিযানের সব নিয়ন্ত্রণ রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন। বেশ কিছু সেনা জেনারেল নিজের দায়িত্ব পূরণ করেন নি। এজন্যই চীনের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছিল ভারত। ৬২ সালের যুদ্ধ নিয়ে যত বই বেরিয়েছে, সেগুলো পড়লেই বোঝা যায় সেনাবাহিনী সব দায় দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নেহরু আর তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণ মেননের ওপরে ছেড়ে দিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ঠিকমতো যুদ্ধের প্রস্তুতিও নিতে পারে নি। সেই সময়ে বরফে ঢাকা এলাকায় যুদ্ধ করার মতো পোশাক অথবা অস্ত্র - কিছুই ঠিকমতো ছিল না। তাদের প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে টিঁকে থাকার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও ছিল না তখন। আর এসবের মধ্যে মি. নেহরু আর মি. মেনন ভরসা করেছিলেন যে তারা সমস্যাটার রাজনৈতিক সমাধান করে ফেলতে পারবেন। ভেবেছিলেন যে জাতিসংঘে ভাষণ শুনিয়ে চীনকে পিছু হঠতে বাধ্য করতে পারবেন তারা। তাদের কোনও প্রচেষ্টাই সফল হয় নি। আরো পড়ুন: ২৫ বছরের প্রেমের পর মেসির বিয়ে: 'শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিয়ে' বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় তিন 'নারী-জঙ্গি' গ্রেফতার ৫৫ বছর পরে এখন কিন্তু আর সেই অবস্থা নেই। সাড়ে পাঁচ দশক ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে - সঙ্গে রয়েছে বিমানবাহিনীর শক্তিও। ১৯৬২ সালে ভারত বিমানবাহিনীকে ব্যবহার করে নি। কিন্তু এখন ভারতের কাছে সেই শক্তি রয়েছে। শুধু চীনের মোকাবিলা করা যাবে তাই নয়, তাদের পথ রোধও করা যাবে। গোটা চীন হয়তো দখল করে নেওয়া যাবে না, কিন্তু মুখোমুখি লড়াই করতে এখন সক্ষম ভারতীয় বাহিনী। এটা ঠিকই, চীন অর্থনৈতিক আর সামরিকভাবে শক্তিশালী। ভারতের থেকে অনেক বেশীই শক্তি ধরে তারা। আণবিক শক্তিতেও তারা ভারতের থেকে বেশী ক্ষমতাবান। কিন্তু এখন যে অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে সমস্যাটা বেঁধেছে, সেখানে চীন খুব একটা শক্তিশালী অবস্থানে নেই। এর বেশ কয়েকটা কারণ রয়েছে। প্রথমত, ওই এলাকায় চীনা সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস লাইন আপ অনেকটা দূরে। বহুদূর থেকে তাদের রসদ আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, পাহাড়ি এলাকায় যে বাহিনী নিজেদের অবস্থা রক্ষা করছে, তাদের উৎখাত করতে গেলে আক্রমণকারীকে দশগুণ বেশী শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এখন সিকিমের ওই অঞ্চলে ভারত কিন্তু নিজেদের এলাকা ডিফেন্ড বা রক্ষা করছে। চীনের মতো আক্রমণাত্মক ভূমিকায় নেই ভারত। তাই ভারতীয় সেনাদের ওখান থেকে সরিয়ে দিতে গেলে চীনা বাহিনীকে অনেক বেশী শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। সেটা করার আগে চীন নিশ্চয়ই কয়েকবার ভাববে। আরেকটা বড় কারণ হল, চীনের চারদিকে ১৪টা দেশ রয়েছে। যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে চীনের বাকি শত্রু দেশগুলো চুপ করে বসে থাকবে না, এটা চীন ভাল করেই জানে। অন্তত জাপান আর ভিয়েতনাম চুপ করে বসে থাকবে না। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে এরকম আরও কিছু দেশও চীনের ওপরে চাপ তৈরি করবে। তাই স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেওয়া উচিত চীনের। ভারতের বিরুদ্ধে 'অনুপ্রবেশের' অভিযোগ করলো চীন ৬২ সালের থেকে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল আগের থেকে অনেক বেশী। সেনা নায়করাও সেই সময়ের থেকে অনেক উন্নত। অস্ত্র-সজ্জা, প্রশিক্ষণ, মিসাইল তো রয়েছেই, সঙ্গে আছে বিমানবাহিনীর শক্তি। চীন দখল করতে চায় না ভারত। কিন্তু যদি চীন ভারতের সীমানা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের হাল খারাপ হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে অরুণ জেটলি একটা দারুণ মন্তব্য করেছেন: সেনাধ্যক্ষের ওপরে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত কারণ তিনি এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।" | চীন, ভুটান আর ভারতের সিকিম প্রদেশের সংযোগস্থলে যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভারত আর চীনের মধ্যে, সেই প্রসঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক মারুফ রাজার বিশ্লেষণ। এটি বিবিসির হিন্দি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এখানে তার অনুবাদ তুলে ধরা হলো: |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ঢাকার বিমানবন্দরে বাংলাদেশের ফুটবল দল যান্ত্রিক বিভ্রাটের কারণে টেক-অফের পর কেবিনের ভেতর কয়েক দফা বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর ৪৫ মিনিট পর ফ্লাইটটি যাত্রা ভঙ্গ করে ঢাকায় ফিরে এসে জরুরি অবতরণ করে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা আহসান অমিত বিবিসিকে বলেন, মাঝ আকাশে পুরো দলের ভেতর ভীতি তৈরি হয়েছিল। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা পর টেক অফের পরপরই বিমানের কেবিনে বিদ্যুৎ চলে যায়। তারপর কয়েক দফা বাতি জ্বলে আবার নিভে যায়। তিনি বলেন, এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলের ফুটবলারসহ অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। । পরে পাইলট যাত্রা ভঙ্গ করে ৪৫ মিনিট পর ঢাকায় ফিরে এসে ভোর দেড়টার দিকে অবতরণ করেন। পরে সকাল দশটায় আবার ফুটবল দলটি মাসকটের উদ্দেশে রওনা হয়। বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে বিবিসি বাংলার কিছু খবর: আগামী ১৪ই নভেম্বর ওমানের আল সিব স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খেলায় অংশ নেবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। তবে টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন বড় কোনো প্যানিক তৈরি হয়নি, তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা শোনার পর ফুটবলারদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটা উৎকণ্ঠা ছিল। জাতীয় ফুটবল দল বহনকারী বিমানে যাত্রিক ত্রুটির খবরে উদ্বেগ দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওমানে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশ ফুটবল দলকে সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীরা অভ্যর্থনা দিয়েছে। বেঙ্গল টাইগার্স নামের একটি সংগঠন ওমানের মাসকটে বাংলাদেশ দলকে অভ্যর্থনা জানানোর সময় তাদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। সেলিম হায়দার, যিনি এই সমর্থক-গোষ্ঠীর একজন প্রতিনিধি, বিবিসিকে বলেন, "রাতে বিমানের খবর পেয়ে আমরা বেশ উৎকণ্ঠায় থাকি। আমাদের মধ্যে একটা অপেক্ষা ছিল। আমরা অনেক দিন যাবত ভাবছিলাম যে বাংলাদেশ দল এলে আমরা কী কী করবো, যখন আমরা জানতে পারি যে বিমানে সমস্যা হচ্ছে তখন আমরা বিচলিত হয়ে উঠি।" বর্তমানে দলের কোচ জেমি ডে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটিতে রয়েছেন। সেখান থেকে দলের সাথে যোগ দেবেন তিনি। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আছেন স্পেনে। লা লিগার ধারাভাষ্য দিতে সেখানে গিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। বাংলাদেশ বিমান কী বলছে বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৪৫ মিনিটের মাথায় বিমানটি ফিরিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, "সাধারণত যেটা হয়, বিমানে এই ধরনের সমস্যা দেখা গেলে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করে সেটা ফিরিয়ে আনা হয় এবং যাত্রীদের পরবর্তী ফ্লাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা সেটাই করেছি।" ফুটবলারদের যত বিমান দুর্ঘটনা চলতি বছরের শুরুতেই ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডের ফুটবল লীগে সদ্য ট্রান্সফার হওয়া একজন আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো সালা বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়ে যান। ২০১৬ সালের ২৯শে নভেম্বরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েন্সের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হয়। ২,৩০০ ফুট ওপরে থাকা অবস্থায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিমানের সাথে, এরপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি বিমানটির। ২০১৬ সালের ২৯শে নভেম্বরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েন্সের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হয়। ওই বিমান দুর্ঘটনায় ১৯ খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাসহ ৭১ জন মারা যায় ১৯৫৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি, ব্রিটিশ ইউরোপীয়ান এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল দল ছিল সেটি উড্ডয়নের সময় ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়। এই বিমানে থাকা ৪৪ জন যাত্রীর মধ্যে ২৩ জন মারা যান যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাতজন ফুটবলারও ছিল। | বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে সোমবার ভোর রাতে বিমানের ফ্লাইটে ওমানের মাসকটে রওয়ানা হয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলকে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | নিখোঁজদের কেউ কেউ ফিরে এলেও, দীর্ঘদিনেও অনেকের কোন সন্ধান মেলে না বাংলাদেশে গত দুই মাসে একজন সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা নিখোঁজ হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এছাড়া প্রায়শই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিখোঁজদের কেউ কেউ ফিরে এলেও, দীর্ঘদিনেও অনেকের কোন সন্ধান মেলে না। কিন্তু এরকম ক্ষেত্রে নিখোঁজের পরিবার কতটা আইনগত সহায়তা পাচ্ছে? আরো পড়ুন: সৌদি আরবের এতো ঘটনার নেপথ্যে কী? শেষ মোগল সম্রাটের কবর যেভাবে পাওয়া যায় ইয়াঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো অনেককে ধরে নিয়ে গোপন স্থানে আটকে রাখে মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন বলছেন, ''এই ধরণের ক্ষেত্রে আইন সবার আগে বলে নিকটতম থানাকে অবহিত করতে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, যখন পরিবার বা প্রত্যক্ষদর্শীর পক্ষ থেকে বর্ণনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার সামান্যতম সন্দেহ থাকে, তখন আর থানা বা পুলিশ জিডি বা মামলা গ্রহণ করতে চায় না।'' সেক্ষেত্রে নিখোঁজদের পরিবারের আর কি করার থাকে? মি. খান বলছেন, ''সেক্ষেত্রে ওই পরিবারের সদস্যরা আদালতে যেতে পারেন। কিন্তু আদালতে গেলেই যে সে বিষয়ে সুরাহা হবে, সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। কারণ দেখা যায়, আদালত বলে পুলিশকেই আবার তদন্ত করতে। সেক্ষেত্রে তদন্ত স্বাভাবিক গতিতে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌছায় না।'' বাংলাদেশে সম্প্রতি নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপলের জন্মদিনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সন্ধান দাবি কোন কোন সময় দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর অনেকে ফিরে আসেন। কিন্তু ফিরে আসার পরেও পরিবারগুলোর তরফ থেকে আইনগত কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও কোন তদন্ত করতে দেখা যায় না। নিখোঁজ বা গুম ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন বলছেন, ''তাদের সাথে কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, ওই মানুষগুলো এমন একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ওই সময় অতিক্রম করে, যেটির কারণে তাকে সবসময় আতংকিত অবস্থায় থাকতে হয়। আমার অনেক প্রতিষ্ঠিত, সমাজের প্রতিপত্তি সম্পন্ন মানুষগুলোকেও দেখেছি, যারা ফিরে আসার পর মামলা বা একটা শব্দও উচ্চারণ করেন না। আমার ধারণা তারা সাহস পান না।'' গত মঙ্গলবার থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বার হাসানের সন্ধান মিলছে না ''এ ধরণের ঘটনায় দৃশ্যত কার্যকর কোন পদক্ষেপ রাষ্ট্রের তরফ থেকে নেয়া হয় না। তখন মানুষের কোন আশ্রয়স্থল থাকে না, তাই মানুষ নিজ উদ্যোগে আইনের কাছেও যেতে চায় না।'' বলছেন এই মানবাধিকার কর্মী। নুর খান বলছেন, ''সংবিধানের নানা ধারা উপধারায় অধিকারের কথা বলা আছে, সে অনুযায়ী আইন আছে। কিন্তু সেটির প্রয়োগ নেই। কারণ সমাজ এমন একটি জায়গায় চলে গেছে, সেটা হচ্ছে বিচারহীনতা ও ভয়ের সংস্কৃতি। এই দুটো মিলেমিশে পুরো সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে। ফলে শুভ উদ্যোগ, প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ বা আইনের আশ্রয় লাভের যে অধিকার, তা গুমরে গুমরে কাঁদছে।'' আরো পড়তে পারেন: মহাশূন্যে একটি বছর কাটাতে কেমন লাগে? ভেড়া 'মানুষের মুখ চিনতে পারে' ভারতে ধর্ষণের ঘটনায় সব দোষ ধর্ষিতা নারীর? বন্দীদশা থেকে যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন জিয়া | বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বার হাসানকে মঙ্গলবার বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ফেসবুক বলছে এখনো পর্যন্ত তারা এমন কোন আলামত পায়নি যেটা তে বলা যায় অযাচিত ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ এবং শেয়ার করছিল তারা। ক্রিমসন হেক্সাগন নামে বোস্টনের ঐ প্রতিষ্ঠানটি নিজেদেরকে "গ্রাহকদের অন্তর্দৃষ্টি" অফার করে এবং তাদের বিশ্বের নানা দেশের সরকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ আছে বলে পরিচয় দিয়েছে। ফেসবুক বলছে তারা এখন খতিয়ে দেখছে ক্রিমসন হেক্সাগন যেভাবে কাজ করে সেটা কোনভাবে ফেসবুকের নজরদারী বিষয়ক যে নীতিমালা রয়েছে সেটা লঙ্ঘন করছে কিনা। ফেসবুক বলছে এখনো পর্যন্ত তারা এমন কোন আলামত পায়নি যেটা তে বলা যায় অযাচিত ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে ক্রিমসন হেক্সাগনের গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যাদের আবার সম্পর্ক রয়েছে ক্রেমলিন এবং মার্কিন সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির সাথে। ২০১৭ সালে মার্চে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের তথ্য যেকোন দেশের সরকার যাতে নজরদারী না করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাদের জন্য মানুষের ফেসবুক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেয় ক্রিমসন হেক্সাগন। ২০১৭ সালে মার্চে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের তথ্য যেকোন দেশের সরকার যাতে নজরদারি না করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেসময় বিভিন্ন রাইটস গ্রুপ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এবং ফেসবুকের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল এটা করতে, কারণ তারা মনে করেছিল এতে করে নানা ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করা হবে। ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন "আমরা ডেভেলপারদেরকে অনুমতি দেব না, যাতে করে তারা কোন ধরণের নজরদারী করে এমন যন্ত্র তৈরি করে ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম থেকে তথ্য ব্যবহার করে"। তিনি আরো বলেছেন "আমরা এই অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি, এবং তদন্ত করার সময় আমরা ঐ অ্যাপটি বাতিল করেছি"। এর আগে ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে না জানিয়েই লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। আরো পড়তে পারেন: মিরপুরের বাড়িতে গুপ্তধন রহস্য: পুলিশের খোঁড়াখুঁড়ি ইমরান খান কি জয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? তিন বছর ধরে বাংলাদেশী বিমান ভারতে মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন তাদের ভুল হয়েছিল তারা ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে—এমন তথ্য ফাঁস হলে আলোড়ন শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন তারা 'ভুল করেছেন'। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফেসবুক প্রধান। কিন্তু গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের তথ্য ব্যাবহার করার এই খবর রটে গেলে, ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ বিষয়ে তাদের ভুল হয়েছিল স্বীকার করেছেন এবং গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাবার এই ঘটনাটিকে 'গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ' করার সামিল বলে ফেসবুকে দেয়া বিবৃতিতে মন্তব্য করেছিলেন সেসময় । | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি বিশ্লেষক সংস্থাকে বরখাস্ত করেছে ফেসবুক। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ডেইলি ট্রেলিগ্রাফ, অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। শুধু স্মিথই নয়, সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ক্রিকেটে কেরিয়ারও চরম হুমকির সামনে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিভিন্ন মিডিয়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণবিধি উল্লেখ করে লিখছে - স্মিথ এবং ওয়ার্নার দুজনেই এমনকী আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণবিধিতে প্রতারণার শাস্তি হিসাবে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কথা রয়েছে। তাৎক্ষণিক তদন্তের ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের আচরণবিধির প্রধান ইয়ান রয়ের আজই (সোমবার) দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছুনর কথা। তার সাথে থাকছেন দলের পারফরমেন্স বিষয়ক কর্মকর্তা প্যাট হাওয়ার্ড। এরা দুজন দলের কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করবেন, বল ট্যাম্পারিংয়ের ব্যাপারে কে কি জানতো। স্মিথ ও ওয়ার্নারের কেরিয়ার হুমকির মুখে কোচ ড্যারেন লেম্যান এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি। তকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে বরা হয়েছে দলের সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটার মিলে হয়তো এই ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ দৈনিক সিডনি মর্নিং হেরাল্ড কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় - জোশ হেজেলউড, মিচেল স্টার্ক এবং নেথান লিওনকে উদ্ধৃত করে লিখেছে - তারা ঐ ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। দলের কী হবে - এ নিয়ে প্রচণ্ড হতাশায় ভুগছেন এই তিন বোলার। অস্ট্রেলিয়ার সরকার যেমন এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে, সেই সাথে সাবেক তারকারা সহ অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া দৃষ্টান্তমুলক শান্তির জন্য চাপ বাড়িয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওপর। অনেক ক্রিকেট ভাষ্যকার স্মিথ ও ওয়ার্নারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ আজীবন নিষেধাজ্ঞার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে লন্ডনের টেলিগ্রাফ পত্রিকার ক্রিকেট ভাষ্যকার নিক হোল্ট বলছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণ বিধিতে প্রতারণার শাস্তি হিসাবে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কথা থাকলেও এটির বাস্তব প্রয়োগ হয়তো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মত অপরাধের ক্ষেত্রেই হতে পারে। | বল ট্যাম্পারিং অর্থাৎ অবৈধভাবে বলের আকৃতি বদলের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | টিপু সুলতানকে নিয়ে পাঠ্যবইয়ের তথ্য সরিয়ে ফেলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক রাজ্যের সরকার। বর্তমানে কর্নাটকে বিজেপি-র সরকার ক্ষমতাসীন। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, "টিপু জন্ম-জয়ন্তী আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল পাঠ্য বইতে যা রয়েছে টিপু সুলতানের সম্বন্ধে, সেগুলোও সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা।" সিদ্ধান্ত নেওয়া যে সময়ের অপেক্ষা, সেটাও উল্লেখ করেছেন মি. ইয়েদুরাপ্পা। বিজেপির এক নেতা এর আগে দাবি করেছিলেন যে টিপু সুলতানকে যেভাবে গৌরবান্বিত করা হয় স্কুলের পাঠ্য বইগুলিতে, তা বন্ধ করা উচিত। টিপু সুলতান হিন্দুদের ওপরে সাংঘাতিক অত্যাচার করতেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন কোডাগু জেলা থেকে নির্বাচিত বিধানসভা সদস্য, বিজেপির এ. রঞ্জন। টিপু সুলতানের ওপরে বহুদিন ধরে গবেষণা করেছেন মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান যোসেফ। তিনি বলেন টিপু সুলতানকে ভারতীয় ইতিহাসের একজন 'খলনায়ক' হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। "টিপু সুলতানকে নিয়ে যা বলা হচ্ছে, সেগুলো রাজনৈতিক কথাবার্তা। টিপু সুলতানকে একজন খলনায়ক করে তোলার এই প্রচেষ্টাটা কয়েক বছর ধরেই শুরু হয়েছে, '' বলেন মি. যোসেফ, যিনি বর্তমানে 'নলওয়াঢি কৃষ্ণারাজা ওয়াদিয়ার চেয়ার'-এর ভিসিটিং প্রফেসর। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: টিপু সুলতানের জন্মদিনকে ঘিরে ভারতে নতুন বিতর্ক ভারতে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম অপসারিত সেরিঙ্গাপত্তমের যুদ্ধে ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াইয়ে মারা যান মহীশূরের রাজা টিপু সুলতান। এই প্রথম নয়, এর আগেও কর্নাটকে সরকারিভাবে যে টিপু জয়ন্তী পালিত হত, তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিজেপি-র আমলে। বিজেপি এবং হিন্দু পুনরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস মনে করে টিপু সুলতান কুর্গ, মালাবার সহ নানা এলাকায় কয়েক লক্ষ হিন্দুকে মেরে ফেলেছিলেন এবং বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করেছিলেন। আরএসএসের মতাদর্শে বিশ্বাস করে, এমন একটি সংগঠন, ইতিহাস সংকলন সমিতির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ইতিহাসের অধ্যাপক রবিরঞ্জন সেন বলছিলেন, তার মতে, বাস্তবে যা যা করেছেন টিপু সুলতান - সবটাই থাকা উচিত। ''তিনি যেমন ধর্মীয় নিপীড়ন চালিয়েছেন তেমনই বলপূর্বক ধর্মান্তকরণও করিয়েছেন। এগুলো ঐতিহাসিক সত্য,'' তিনি বলেন। ''আমাদের মতে তার যদি কিছু অবদান থেকে থাকে সেগুলোর সঙ্গেই নেতিবাচক দিকগুলোও থাকা দরকার,'' মি. সেন বলেন। তার মতে, অনেক সময়েই পাঠ্য পুস্তকে একপেশে, একধরণের ইতিহাস লেখা হয়ে এসেছে। কিন্তু তার জীবন আর শাসনামলের দুটি দিকই তুলে ধরা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। মহীশূরে ১৭৮৭ সালে টিপু সুলতান এই জামে মসজিদ তৈরি করেন। টিপু সুলতান যে হিন্দুদের ওপরে নিপীড়ন চালিয়েছিলেন বা লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে মেরে ফেলেছিলেন বলে আর এসএস যা দাবী করে, তা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন অধ্যাপক যোসেফ। "টিপু সুলতানকে নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তাতে এরকম তথ্য বিশেষ পাওয়া যায় না যে তিনি নির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের ওপরেই অত্যাচার করেছিলেন,'' তিনি বলেন। ''কুর্গ বা মালাবার উপকূলে যুদ্ধ নি:সন্দেহে হয়েছিল সেখানকার হিন্দু শাসকদের সঙ্গে। এবং সেই যুদ্ধে অনেক হিন্দুর যে প্রাণ গিয়েছিল, সেটা অস্বীকার করা যাবে না - কিন্তু সেটাকে একটা ধর্মীয় অত্যাচার বলা ভুল,'' অধ্যাপক যোসেফ বলেন। তিনি বলেন, মহাভারতের কাহিনিতে তো যারা নিহত হয়েছিলেন, তারাও হিন্দুই ছিলেন। আবার মারাঠারা যখন মহীশূর দখল করতে এসেছিল, তখন তারা অতি পবিত্র হিন্দু তীর্থ শৃঙ্গেরি মঠ ধ্বংস করে দিয়েছিল - এমনকী বিগ্রহটিও ধ্বংস করে দেয় তারা। ''শৃঙ্গেরি মঠ পুণর্নিমানে অর্থ দিয়েছিলেন টিপু সুলতান। এগুলোকে তো ধর্মীয় নিপীড়ন বলা যায় না," ব্যাখ্যা করছিলেন অধ্যাপক যোসেফ। টিপু সুলতান যখন ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধে যেতেন, রাজ্যের সর্বেসর্বা হয়ে শাসন চালাতেন একজন হিন্দু - পুন্নাইয়া। আবার মালাবার দখল করার সময়েও টিপুর সেনাপতি ছিলেন শ্রীনিবাস রাও - তিনিও হিন্দু। অধ্যাপক যোসেফের যুক্তি, "টিপুর পরেই যার হাতে সব ক্ষমতা, সেই পুন্নাইয়া, কুর্গে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার করতে দিয়েছেন, এটা কি যুক্তিগ্রাহ্য বা হিন্দু হয়েও শ্রীনিবাস রাও মালাবারে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ করানোতে মদত দিয়েছিলেন - সেটা কি মেনে নেওয়া যায়?" কলকাতায় টিপু সুলতান শাহী মসজিদ। টিপু সুলতানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র প্রিন্স গুলাম মোহাম্মদ কলকাতায় এই মসজিদ তৈরি করেন ১৮৩২ সালে। টিপু সুলতান ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হওয়ার পরে তার ১২জন পুত্র এবং পরিবার পরিজন সবাইকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয় ব্রিটিশ সরকার। সেই থেকে কলকাতাতেই টিপুর পরিবারের বসবাস। শহরের সবথেকে পরিচিত মসজিদ 'টিপু সুলতান মসজিদ' যেমন এই কলকাতাতেই, তেমনই তার পুত্র আনোয়ার শাহ এবং পরিবারের আরও কয়েকজনের নামে রয়েছে শহরের বড় বড় কয়েকটি রাস্তার নাম। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা: জীবনের দাম ৫০ হাজার টাকা আল-বাগদাদির ডেরায় হামলার প্রথম ছবি প্রকাশ সরকারের কাছে ধান বেচে কৃষকের কী লাভ | ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ হারানো দক্ষিণ ভারতের মহীশূরের রাজা টিপু সুলতান সম্বন্ধে যা যা লেখা আছে কর্নাটকের স্কুলে ইতিহাসের পাঠ্য বইগুলোতে, তা সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে সে রাজ্যের সরকার। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | রাশিয়া কয়েকদিন আগে তাদের নতুন পরমাণু অস্ত্রের কথা তুলে ধরেছে কিন্তু এসব অস্ত্র কি আসলেই বাস্তবে তৈরি হয়েছে বা তাদের হাতে আছে? নাকি এগুলো কল্পনা, বা নির্মাণাধীন প্রকল্প মাত্র? বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস লিখছেন, মি. পুতিন সম্ভবত এ আশা ছেড়েই দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার কোন ঘনিষ্ঠ সমঝোতা গড়ে উঠবে। যেভাবে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার আধুনিকায়নের কথা বলছে, তাতে অনেকেই স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের কথা মনে করে উদ্বিগ্ন বোধ করবেন। আরো উদ্বেগের বিষয় যে, নতুন নতুন সামরিক প্রযুক্তির কথা এমন এক সময় বলা হচ্ছে যখন বর্তমান অস্ত্র-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে। মনে রাখতে হবে অস্ত্র-নিয়ন্ত্রণের নানা চুক্তির পরও এখনো রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে - তা দিয়ে গোটা পৃথিবীকে কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। নতুন পরমাণু অস্ত্রের কথা জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশেষ করে ওয়াশিংটন ক্ষেপণাস্ত্র-রোধী যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা বলছে তা রাশিয়াকে চিন্তিত করে তুলেছে।যদিও অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞই বলছেন, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফলে রাশিয়ার সক্ষমতা কমে যাবে - এমনটা তারা মনে করেন না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিন তার যে নতুন পারমাণবিক অস্ত্রের বর্ণনা দিয়েছেন, এগুলো তৈরিই হয়েছে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র-রোধী ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেবার কথা মাথায় রেখে। এর মধ্যে এমন ক্ষেপণাস্ত্র আছে যা মহাকাশ দিয়ে যাবেনা, বরং যাবে সমুদ্রের পানির তলা দিয়ে। এটা হচ্ছে এক ধরণের টর্পেডো - যার মাথায় পারমাণবিক বোমা বসানো থাকবে। রাশিয়ার আরেকটি অস্ত্র হচ্ছে নতুন এক ধরণের আন্ত-মহাদেশীয় পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র -যা এত দ্রুত উড়বে, বা এমনভাবে উড়বে যাতে তাদের মাঝপথে ঠেকিয়ে দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। শুধু রাশিয়া নয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনও নাকি এরকম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য কাজ চালাচ্ছে। ট্রাম্প ও পুতিন কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো, ভিডিও ডেমনস্ট্রেশনে যাই দেখানো হোক - এসব মিসাইল কি আদৌ বাস্তব রূপ নিয়েছে, বা কখন নেবে? বিশেষজ্ঞদের কথা, মি, পুতিন যাই বলুন, আসলে রাশিয়া এখনো এগুলো তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হতে অনেক বছর লাগবে। জোনাথন মার্কাস বলছেন, এখন আমরা যা শুনছি এটা মূলত বাগাড়ম্বর। মি. ট্রাম্প এর আড়ে বড়াই করে বলেছেন, আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার সবার চেয়ে বড়। মি. পুতিনও এখন ঠিক তাই করছেন, বলছেন - রাশিয়ার যে অস্ত্র আছে তা আর কারো নেই। | রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকদিন আগে তার দেশের নতুন পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার তুলে ধরে যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে অনেকেই বলছেন, এতে আভাস পাওয়া যায় - রুশ-মার্কিন সম্পর্ক উষ্ণ হবার কোন আশু সম্ভাবনা এখন আর নেই। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ভারতীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, বেশ কিছু ইলিশ আর কখনওই সাগরে ফেরার টান অনুভব করছে না ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঠিক এই কারণেই এখন গঙ্গার মোহনা থেকে প্রায় দুশো কিলোমিটার উজানেও সারা বছর ধরে ইলিশ মিলছে - এবং স্বাদে-গন্ধেও সেগুলো দারুণ ভাল। মোহনায় পাতা মাছধরা জালের ভয়েই ইলিশের ঝাঁক মিষ্টি পানিতে রয়ে যাচ্ছে বলে তারা ধারণা করছেন। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের ইলিশ কেন আর কীভাবে মিঠাপানির স্থায়ী বাসিন্দায় পরিণত হচ্ছে? ইলিশ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়তে ঝাঁকে ঝাঁকে তারা নদীতে ঢোকে - আবহমান কাল থেকে ইলিশ-প্রিয় বাঙালি সেটাই জেনে এসেছে। আরো পড়ুন: হাসপাতালে বাচ্চা বদল: সিনেমার মতো নাটকীয় ঘটনা কিন্তু ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেসের অর্থায়নে করা এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বহু ইলিশ ডিম পাড়তে গঙ্গায় ঢুকলেও আর কখনও বঙ্গোপসাগরে ফিরছে না। ওই গবেষক দলের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী, অধ্যাপক অসীম কুমার নাথ বলছিলেন, ইলিশের 'অটোলিথে' বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাণে তারতম্য দেখে তারা এর প্রমাণ পেয়েছেন। বাজারে ইলিশের চাহিদা প্রচুর তিনি বলছিলেন, "অটোলিথ মাছের একটা অর্গ্যান, যা ইলিশের ক্ষেত্রে মাথায় থাকে, কোনও কোনও মাছের ফ্যারিঞ্জিয়াল রিজিওনেও থাকে। এই অটোলিথ বিশ্লেষণ করে একটা মাছের মাইগ্রেটরি রুট সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। "আমরা এখন ইলিশের অটোলিথ কেটে দেখতে পাচ্ছি সেখানে বিভিন্ন রাসায়নিকের অনুপাত এমন যা থেকে স্পষ্ট অনেক ইলিশই আর সাগরে ফিরছে না। মিঠা জলে এগুলোর বেশ ওজনও হয়ে গেছে - পাঁচশো বা সাড়ে পাঁচশো গ্রাম - আবার ওদিকে ক্ষুদে সাইজের পাঁচ-দশ গ্রাম ওজনের ইলিশও মিলছে।" আসলে সাগরে না-ফেরাটা এই ইলিশগুলোর এক ধরনের বেঁচে থাকার চেষ্টা বা 'ন্যাচারাল সিলেকশন' বলেই মনে করছেন ভারতের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিশারিজ এডুকেশনের মুখ্য বিজ্ঞানী বি কে মহাপাত্র। আরো পড়ুন: কখন এতো টুইট করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প? "গলদা চিংড়ি হরিদ্বারেও দেখা যায়, সেখান থেকে ডিম পাড়তে তারা চলে আসে সুন্দরবনের মোহনাও। এই জাতীয় মাছকে বলে ক্যাটাড্রোমাস। কিন্তু ইলিশ হল অ্যানাড্রোমাস মাছ, তারা সাগর থেকে ডিম পাড়তে যায় নদীর ভেতর।" "কিন্তু কেন এখন তারা আর ফিরতে চাইছে না? চাইছে না, কারণ গঙ্গার এসচুয়ারি জুড়ে বিছানো আছে চোদ্দ হাজারেরও বেশি জাল - তাই প্রাণে বাঁচতেই তারা রয়ে যাচ্ছে মিষ্টি জলে। এটাকে বিবর্তনবাদ বা ন্যাচারাল সিলেকশন হিসেবেই দেখা যায়," বলছিলেন বি কে মহাপাত্র। বহু বছর আগে গুজরাটে দেখা গিয়েছিল, তাপ্তী নদী বেয়ে ইলিশের ঝাঁক উকাই জলাধারে ঢুকে সেখানেই থাকতে শুরু করে, ডিম পাড়ে ও তাদের বাচ্চাও হয়। এখন অনেকটা একই ধাঁচের জিনিস দেখা যাচ্ছে গঙ্গাতেও - জানাচ্ছেন অধ্যাপক অসীম কুমার নাথ। "গঙ্গায় কাকদ্বীপের নিচে নিশ্চিন্দাপুরে যেখানে মিঠা পানি শুরু, সেখান থেকে ওপরে আপনি যদি দুশো কিলোমিটারেরও বেশি ওপরে বলাগড় অবধি যান, সেখানে ক্যালেন্ডার করে আমরা দেখতে পাচ্ছি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চ-প্রাক মনসুন-মনসুন কিংবা পোস্ট-মনসুন ... সারা বছরই কিন্তু এই পুরো এলাকা জুড়ে ইলিশ মিলছে।" ইলিশ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়তে ঝাঁকে ঝাঁকে তারা নদীতে ঢোকে - আবহমান কাল থেকে ইলিশ-প্রিয় বাঙালি সেটাই জেনে এসেছে তবে অধ্যাপক নাথ সেই সঙ্গে বলছিলেন, বিশেষত বর্ষার পর কৃষিক্ষেতের কীটনাশক-যুক্ত জল যখন এসে নদীগুলোতে মেশে, তখন এই মিঠা পানির ইলিশগুলোর বিরাট ক্ষতিও হয়ে যাচ্ছে। মিঠা জলের নদীতে পাকাপাকিভাবে থাকার জন্য এই ইলিশদের বেশি দূষণের শিকার হতে হচ্ছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তার পরেও স্বাদে-গন্ধে সেগুলো কিন্তু অন্য ইলিশের চেয়েও ভাল, বলছিলেন ড: মহাপাত্র। তার কথায়, "মিঠা পানিতেই কিন্তু ইলিশের স্বাদ বাড়ে - কারণ নদীতে ঢোকার পরই তাদের শরীরে ফ্যাট বাড়ে, সেগুলো খেতেও অনেক ভাল হয়। গভীর সমুদ্রে ধরা ইলিশের স্বাদ কখনওই তেমন হয় না। ফলে এগুলোর স্বাদ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই!" ইলিশ কখনও সাগরে না সাঁতরালে তাকে আদৌ সত্যিকারের ইলিশ বলা যাবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য মৎস্য বিজ্ঞানী আর খাদ্য-রসিকদের মধ্যে দু'রকম মত আছে। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, বেশ কিছু ইলিশ আর কখনওই সাগরে ফেরার টান অনুভব করছে না - আর জেলেরা গঙ্গায় সেই ইলিশ পাচ্ছেন বছর জুড়েই! | ভারতের কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের এক যৌথ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সমুদ্র থেকে ডিম পাড়তে মিঠা পানির নদীতে ঢুকে বহু ইলিশই আর কখনও সাগরে ফিরে যাচ্ছে না। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | একাকীত্ব যে কোন বয়সের মানুষকে গ্রাস করতে পারে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা 'অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস' এর এক জরিপে উঠে এসেছে যে, ব্রিটেনের প্রতি দশজন তরুণের একজন একাকীত্বে ভোগেন। গবেষণা অনুযায়ী, একাকীত্বকে 'ব্যর্থতা' হিসেবে ধরে নেয়া হবে বলে তরুণরা এটিকে 'লজ্জাজনক' বলে মনে করেন। অনেক তরুণই সামাজিক মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন তাদের এই একাকীত্ব লুকানোর একটি পথ হিসেবে এবং তারা ভান করে যে তারা নিঃসঙ্গ বোধ করে না। যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান সংস্থার মতে, ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ১১% প্রায়ই নিঃসঙ্গ বোধ করে এবং ৩৪% মাঝেমধ্যে নিঃসঙ্গ বোধ করে। আর একাকীত্বে ভুগতে থাকা এই তরুণদের মধ্যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যাই বেশী। কেন এই নিঃসঙ্গতা? কী কারণে মানুষের মধ্যে একাকীত্ব বোধ তৈরি হয় - সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয় এই গবেষণায়। গবেষণা অনুযায়ী, একাকীত্বে ভোগার অন্যতম প্রধান কারণ কিশোর ও তরুণ বয়সে বয়:সন্ধির সময়কালীন বিভিন্ন ঘটনা। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্কুলে ওঠার সময়, মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ওঠা এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় নিঃসঙ্গতা বোধ করার সম্ভাবনা বাড়ে। একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রয়োজন নিজেকে সাহায্য করা। আর ছোট শহর বা গ্রামে বাস করা তরুণদের চেয়ে শহরে বেড়ে ওঠা তরুণদের নিঃসঙ্গতায় ভোগার প্রবণতা বেশী বলেও বলা হয় ঐ গবেষণায়। এছাড়া আর্থিকভাবে অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল তরুণদেরও একাকী বোধ করার সম্ভাবনা বেশী থাকে বলে উল্লেখ করা হয় গবেষণার প্রতিবেদনে। অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, প্রিয়জন বা কোনো আত্মীয়ের মৃত্যু বা হেনস্থার শিকার হলেও একাকীত্ব বোধ তৈরি হওয়া সম্ভব। আর সমাজের মানুষের কাছে একাকী হিসেবে পরিচিত হতে চাওয়ার ভয়কেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়। সমাজের মানুষের কাছ নিঃসঙ্গ হিসেবে পরিচিত হওয়া বিব্রতকর একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এর ফলে মানুষ ঐ ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে অনাকর্ষণীয় বা মানুষের অপছন্দের চরিত্র হিসেবে মনে করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমে অভিনয় সামাজিক মাধ্যম যেমন প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার একটি মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, তেমনি মানুষের একাকীত্ব বোধ লুকানোর একটি মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করা হতে পারে। গবেষণার জন্য যেসব তরুণদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই মনে করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়, বরং সৌজন্যমূলক বাক্যালাপ হয়ে থাকে মানুষের সাথে; যার ফলে নিজেদেরকে অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে তরুণরা। এবছরে একাকীত্ব নিয়ে বিবিসি পরিচালিত এক জরিপে সারা পৃথিবী থেকে ৫৫ হাজারের বেশী মানুষ অংশ নেয় এবং জরিপে অংশ নেয়া ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের প্রায় ৪০ শতাংশই 'প্রায়শই' বা 'প্রতিনিয়তই' নিঃসঙ্গ বোধ করে বলে জানায়। ঐ জরিপে উঠে আসে যে, একাকীত্ব দূর করার লক্ষ্যে 'ডেটিং'কে সবচেয়ে অকার্যকর সমাধান বলে মনে করে তরুণরা। | কিশোর বা তরুণদের চেয়ে কিশোরী ও তরুণীদের মধ্যে একাকীত্বে ভোগার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বস্টনে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় এত বেশী ছিল এবং তাদের শ্লোগানের এত তীব্রতা ছিল যে ডানপন্থীরা তাদের এই সমাবেশটি আগেভাগেই শেষ করে দিতে বাধ্য হয়। হাতে গোনা এই উগ্র ডানপন্থীদেরকে পরে পুলিশ পাহারায় সরিয়ে নেয়া হয়। এক সপ্তাহ আগের শার্লটসভিলের ঘটনাপ্রবাহ যাতে এখানে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য এসকল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বস্টন কমনে যখন হাতে গোনা কিছু উগ্র ডানপন্থীর আয়োজনে চলছিল 'ফ্রি স্পিচ' নামের ওই সমাবেশ, তখন কাছেই বস্টন স্পোর্টস সেন্টার থেকে তাদের দিকে এগিয়ে আসছিল হাজার হাজার বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারী। তাদের কণ্ঠে ছিল স্লোগান। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা এসে উগ্র ডানপন্থীদের ওই সমাবেশটিকে ঘিরে ফেলে এবং নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। বস্টন হেরাল্ডে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা হবে অন্তত ৩০ হাজার। ত্রিশ হাজারের মতো মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয় বলে খবরে প্রকাশ। শার্লটসভিলের প্রাণঘাতী সংঘাতের উদাহরণ সামনে আছে, তাই উত্তেজনা ছিল আগে থেকেই। পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুল সংখ্যক। অবস্থা বেগতিক দেখে ডানপন্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তাদের সমাবেশ শেষ করে ফেলে। এর ফলে শেষ দিকের বেশ কয়েকজন বক্তা তাদের বক্তব্য পর্যন্ত দিতে পারেনি। পরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলেও খবর বেরিয়েছে। এ ঘটনায় কুড়ি জনকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকের মুখে এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে সাঁটা ছিল হেদার হেয়ারের ছবিযুক্ত স্টিকার। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষেও জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ৩২ বছর বয়স্ক হেদার হেয়ার গত সপ্তাহে শার্লটসভিলে নিহত হন। সেখানে তিনিসহ একদল বিক্ষোভকারীর উপর চলন্ত ট্রাক উঠিয়ে দিয়েছিল এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী। ফ্রি স্পিচ সমাবেশের আয়োজক উগ্র ডানপন্থীরা অবশ্য দাবী করছে, তাদের সমাবেশে তারা কোন বর্ণবাদ বা ধর্মীয় গোঁড়ামিকে স্থান দিচ্ছিল না। তারা এও দাবী করছিল যে তাদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে, যার ফলে অনেকেই তাদেরকে শার্লটসভিলের সেই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সঙ্গে এক করে দেখছে। সম্পর্কিত খবর: যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় দাঙ্গার পর জরুরী অবস্থা জারি দাঙ্গা নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, হোয়াইট হাউজের সাফাই শার্লটসভিল সহিংসতা: শঙ্কায় বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান | যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে উগ্র ডানপন্থীদের একটি সমাবেশের বিরুদ্ধে বহু মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির মুখেও ইভিএম ব্যবহার করতে যাচ্ছে কমিশন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোর মধ্য থেকে দৈব চয়নের ভিত্তিতে ছয়টি নির্বাচনী আসন বাছাই করা হবে, এসব আসনে পুরোটাই ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ছয়টি আসনে সবমিলিয়ে ৯০০ কেন্দ্রে যন্ত্রে ভোট গ্রহণ হবে, সেখানে প্রচলিত ব্যালট পেপার থাকবে না। আরো পড়ুন: সংসদ নির্বাচন: ইভিএম ব্যবহারের ঝুঁকি কোথায়? ইভিএম কীভাবে কাজ করে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি আগামী ২৮শে নভেম্বর এই আসনগুলো বাছাই করবে নির্বাচন কমিশন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত রয়েছে(ছবিতে এক ধরণের ইভিএম) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হচ্ছে মূলত শহর এলাকাগুলো থেকে। এজন্য কিছুদিন আগে তড়িঘড়ি করে আইন সংশোধন ও অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে অবস্থান জানালেও, বিএনপি এবং তাদের জোটের দলগুলো ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি জানাচ্ছিল। আপত্তি না শুনলে মামলা করার হুমকিও দিয়েছে তারা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: অফিসার্স ক্লাবে ‘গোপন বৈঠক’: কে কী বলছে? যে যুদ্ধে মানুষ মরেছে লাখ লাখ, জেতেনি কেউ শিশু জারিফ অপহরণ: যেভাবে নাটকের সমাপ্তি দাঙ্গা-সহিংসতার তান্ডব কেন বারবার মুম্বাইতেই? প্রথম ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সীমিত পর্যায়ে ইভিএম ব্যবহার হয়। (ফাইল চিত্র) ভোটাররা অভ্যস্ত নয় -এই যুক্তি তুলে ধরে এই নির্বাচনে তা ব্যবহার না করার জন্য আহবান জানিয়েছিল এমনকী ক্ষমতাসীন মহাজোটের অংশীদার জাতীয় পার্টি। ইভিএম ব্যবহার নিয়ে মামলা হলে কমিশন কি বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেবে? জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ''আগে মামলা করুক, তারপর সেটা দেখা যাবে।'' ইভিএম ব্যবহারে কতটা সক্ষম ইসি? এর আগে স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সময় যন্ত্রে ক্রুটি বা সমস্যায় পড়েছিলেন ভোটাররা। তবে ইসি সচিব বলছেন, স্টাফ এবং কেন্দ্রের সক্ষমতা সকল কিছু বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইভিএম পরিচিত করে তুলতে কিছুদিন আগে দেশব্যাপী ইভিএম প্রদর্শনী করেছে নির্বাচন কমিশন ইভিএমের এই প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একটি দল। আটাশ তারিখে কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করার পরে এসব কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ইভিএম ব্যবহারের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে বলছে কমিশন। নির্বাচনের দিন এসব কেন্দ্রে কারিগরি সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরাও থাকবে। পাশাপাশি আঙ্গুলের ছাপের কারণে কোন ভোটারের সমস্যা হলে, সেক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তাদের ভোট প্রদানে সরাসরি সহায়তা করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ইভিএম প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম বিতর্ক তবে ইভিএম ব্যবহারের এই পরিকল্পনাকে গোড়া থেকেই 'দুরভিসন্ধিমূলক' বলে দাবি করে আসছে বিএনপি। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে অগাস্ট মাসে ইসি বৈঠক বর্জন করেছিলেন একজন কমিশনার। সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে পুরোপুরি যন্ত্রে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ (মাঝে) এসব আপত্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বলছেন, বিরোধীদের আপত্তি বিবেচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কারণ, তিনি বলেন, ডিজিটাল একটি প্রযুক্তি হিসাবে এটির ব্যবহার থেকে তারা পিছিয়ে থাকতে চান না। বিরোধীদের আপত্তি নিয়ে এখন আর তাদের কিছু করার নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মি আহমেদ। | বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে , এবারের নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনের সমস্ত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে। শনিবার নির্বাচন কমিশনে এ বৈঠকের পর কমিশনের কর্মকর্তারা একথা জানান। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | রাশিয়ার নাইনএম৭২৯ মিসাইল নিয়েই উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা 'দি ইন্টার মিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি' বা আইএনএফ ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষর করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যান ও সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচভ। এতে ৫০০ থেকে ৫৫০০ কিলোমিটার মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ধরনের ক্রুজ মিসাইল মোতায়েনের মাধ্যমে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। যদিও সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া। আমেরিকানরা বলছে রাশিয়া বেশ কিছু নাইন এম-৭২৯ মিসাইল (যেগুলো নেটোতে এসএসসি-৮ নামে পরিচিত) মোতায়েন করেছে এবং এর প্রমাণ তাদের কাছে আছে। এরপর নেটোও একই অভিযোগ তোলে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে চুক্তিটির মৃত্যুর জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, নেটোর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত হয়েছে যে রাশিয়া চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে আইএনএফ চুক্তির আনুষ্ঠানিক মৃত্যু ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়াকে ২রা অগাস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন। পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের নিজস্ব বাধ্যবাধকতা স্থগিত করার ঘোষণা করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ কেন? নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দেবে সামরিক ভারসাম্য রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র: বাস্তব না কল্পনা ? ১৯৮৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ ও রোনাল্ড রিগ্যান ঝুঁকিগুলো কী কী? জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, পরমাণু যুদ্ধের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধা সরে গেলো। "এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিকে কমায়নি, বরং বাড়িয়েছে," মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে একটি পথ খুঁজতে সমঝোতায় পৌঁছাতে সব পক্ষকে আহবান জানান। যদিও রাশিয়ান সামরিক বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহর বলেছেন, "চুক্তিটি শেষ হয়ে গেছে, এখন আমরা নতুন নতুন অস্ত্রের উন্নয়ন ও মোতায়েন দেখবো"। গত মাসে নেটোর মহাসচিব জেনারেল জেনস স্টোলটেনবার্গ বিবিসিকে বলেন, রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো পরমাণু সক্ষম, মোবাইল ও চিহ্নিত করা কঠিন ও কয়েক মিনিটের মধ্যে ইউরোপের যে কোনো শহরে যেতে পারে- ওই চুক্তির পরিষ্কার লঙ্ঘন ছিলো। তিনি বলেন, "এটা মারাত্মক। আইএনএফ চুক্তি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশক করে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটি ভিত্তি ছিলো এবং এখন আমরা তার মৃত্যু দেখলাম।" তিনি বলেন, ভূমি-ভিত্তিক পরমাণু ক্ষেপনাস্ত্রের কোনো পরিকল্পনা ইউরোপের নেই। চুক্তি ভঙ্গ করে ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া কি ছিলো ওই চুক্তিতে? •যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮৭ সালে চুক্তিটি করেছিলো যাতে স্বল্প ও দূরপাল্লার সব পরমাণু ও অপারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। •১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের এসএস-২০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো যুক্তরাষ্ট্র এবং জবাবে ইউরোপে তারা ক্রুজ মিসাইল মোতায়েন করে। •১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়। •দু'দেশ একে অন্যের স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করতে পারতো। চুক্তির আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো ৫৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাত্রার ক্ষেপনাস্ত্র সমস্যা কোথায় ছিলো ? দা'হাজার সাত সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন যে ওই চুক্তি আর রাশিয়ার স্বার্থ সংরক্ষণ করছেনা। এর আগে ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান। দু'হাজার চৌদ্দতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। তবে ইউরোপিয়ান নেতারা চাপ দিলেও তিনি চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পক্ষপাতী ছিলেননা। সর্বশেষ গত বছর চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে সমর্থন করে। রাশিয়া অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ও ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্র পটভূমি তৈরি করছে। ওয়াশিংটন ও মস্কোর বিরুদ্ধে সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই তুরস্ক গত মাসে রাশিয়ার এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ডিফেন্স সিস্টেমের প্রথম চালান গ্রহণ করে, যার তীব্র বিরোধিতা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে সতর্ক করে বলেছিলো যে তুরস্ক একই সাথে এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ডিফেন্স সিস্টেম ও যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ ফাইটার বিমান পেতে পারেনা। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো সহযোগী কিন্তু তুরস্ক রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে। | রাশিয়ার সাথে করা একটি পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র যা আবারো অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশঙ্কা তৈরি করছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোয় বর্ষার মৌসুমে দেখা যায় বেহাল দশা বুধবার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার না করায় সেখানকার নির্বাহী প্রকৌশলীকে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, অতি বর্ষণে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বগুড়া থেকে ঢাকা যেতে চার বা সাড়ে চার ঘন্টার জায়গায় এখন দ্বিগুণ সময় লাগছে। তিনি তাই দেশের সব মহাসড়ক ১০দিনের মধ্যে সংস্কার করে সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক বলেছেন, সপ্তাহ দুয়েক পরই ঈদ উল আযহা সামনে রেখে মহাসড়কে চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এধরনের কোন উৎসব এলেই হুড়োহুড়ি করে অ্যাডহক ভিত্তিতে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়, ফলে সেটা টেঁকসই বা স্থায়ী সমাধান হয় না বলে তিনি মনে করেন। "মহাসড়কে যে জায়গাগুলোতে সংস্কার দরকার, সেগুলোতে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ রয়েছে। এর সাথে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। এই অবস্থায় অত্যন্ত অস্থায়ী ভিত্তিতে খোয়া দিয়ে কিছু একটা হয়তো করার চেষ্টা হবে। জরুরি ভিত্তিতে কোনভাবে ঠেকা দিয়ে যেন ইভেন্টটাকে পার করা যায়। কিন্তু টেঁকসই সমাধান যে করা যায়, সেদিকে আমরা যাচ্ছি না।" বর্ষা মৌসুমে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা সরকারের থাকে বলে বলা হয়। কিন্তু এবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে ব্যাপক ক্ষতির পরও সংস্কার করা হয়নি- এমন অভিযোগ উঠেছে। আরো পড়ুন: ভারতে নারীরা কেন মাঝরাতে তোলা ছবি শেয়ার করছে 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি অধ্যাপক শামসুল হক জানিয়েছেন, সারা দেশে মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়ক মিলিয়ে ২২শ কিলোমিটারের মতো রাস্তা আছে। বর্ষার এই মৌসুমে অনেক সড়কের নাজুক অবস্থা বা বেহাল দশা হয়েছে। সমস্যার মূলে নজর দেয়া হচ্ছে না বলেই তিনি মনে করেন। "রাস্তায় জলাবদ্ধতা এবং অতিমাত্রায় ওভারলোড ট্রাক চলার কারণে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। গত বছরই যে সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে, বছর না পেরুতেই দেখা যাচ্ছে তার বেহাল দশা। অনেক রাস্তা আউট অব অর্ডার হয়ে গেছে।সামনে ঈদে ভোগান্তি দেখা দিতে পারে।" তবে মহাসড়কে বেহালদশার অভিযোগ অস্বীকার করছে সড়ক পরিবহণ এবং সেতু মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন বলেছেন, এসব অভিযোগ অতিরঞ্জিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেছেন, মন্ত্রী ১০দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক সংস্কার করার যে কথা বলেছেন, সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব। একইসাথে এই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য মহাসড়ক সংস্কারে ইতিমধ্যে কিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে এবং শুস্ক মৌসুমে সেগুলোর কাজ শুরু হবে। | বাংলাদেশে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশের সব মহাসড়ক ১০দিনের মধ্যে সংস্কার করে সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন মহাসড়কগুলোর টেঁকসই সমাধানের উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেক মহাসড়কের বেহাল দশা থেকেই যাচ্ছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। নান্দনিক ডিজাইন এবং দামে বেশি হওয়ার কারণে জামদানির সঙ্গে আভিজাত্য এবং রুচিশীলতা - এই দুটি শব্দ জড়িয়ে আছে। ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে আজকাল বিভিন্ন মার্কেটে জামদানির নামে বিক্রি হচ্ছে নকল শাড়ি, ফলে ঐতিহ্যবাহী জামদানির আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা। অনেক বিক্রেতা জামদানি বলে ভারতীয় কটন, টাঙ্গাইলের তাঁত, পাবনা ও রাজশাহীর সিল্ক শাড়ি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। প্রশ্ন হল আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায় তাহলে কী? এক্ষেত্রে শাড়ি কেনার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে নজর দেয়ার কথা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার শারমিন শৈলী এবং নারায়ণগঞ্জের জামদানি বিসিক শিল্প নগরীর তাঁতি মোঃ মনির হোসেন। নারায়নগঞ্জে জামদানির পাইকারি বাজারে শাড়ি তুলে দাম হাকানো হয়। আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায়: জামদানি শাড়ি কেনার আগে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে - শাড়ির দাম, সূতার মান এবং কাজের সূক্ষ্মতা। আসল জামদানি শাড়ি তাঁতিরা হাতে বুনন করেন বলে এগুলো তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। তাই এগুলোর দামও অন্যান্য শাড়ির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। একটি জামদানি শাড়ি তৈরি করতে দুইজন কারিগর যদি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা শ্রম দেন, তাহলে ডিজাইন ভেদে পুরো শাড়ি তৈরি হতে সাত দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সাধারণত শাড়ি তৈরির সময়, সূতার মান ও কাজের সূক্ষ্মতা বিবেচনায় একটি জামদানির দাম ৩,০০০ টাকা থেকে এক লাখ ২০,০০০ টাকা কিংবা তারচেয়েও বেশি হতে পারে। কিন্তু মেশিনে বোনা শাড়িতে তেমন সময় বা শ্রম দিতে হয় না। এজন্য দামও তুলনামূলক অনেক কম। জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হওয়ায়, শাড়ির ডিজাইন হয় খুব সূক্ষ্ম এবং নিখুঁত। ডিজাইনগুলো হয় মসৃণ। কারিগর প্রতিটি সুতো হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুনন করেন। সূতার কোন অংশ বের হয়ে থাকে না। এ কারণে জামদানি শাড়ির কোনটা সামনের অংশ আর কোনটা ভেতরের অংশ, তা পার্থক্য করা বেশ কঠিন। আরও পড়তে পারেন: 'শাড়ি' নিয়ে লেখা, সামাজিক মাধ্যমে তুলকালাম ব্যাঙ্গালোরে বর্জ্য পানি ব্যবহৃত হচ্ছে সিল্ক শাড়ি তৈরির কাজে শত কোটি টাকার শাড়ি কিনেও নারীদের খুশি করা যায়নি জামদানি শাড়ির কোনটা সামনের অংশ আর কোনটা ভেতরের অংশ সেটা পার্থক্য করা বেশ কঠিন। মেশিনে বোনা শাড়িতে কেবল জামদানির অনুকরণে হুবহু নকশা সেঁটে দেয়া হয়। এই শাড়িগুলোর উল্টো পিঠের সূতাগুলো কাটা কাটা অবস্থায় বের হয়ে থাকে। জামদানি শাড়ি চেনার আরেকটি উপায় হতে পারে এর সূতা ও মসৃণতা যাচাই করা। জামদানি শাড়ি বয়নে সুতি ও সিল্ক সূতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সূতার ব্যবহারের দিক থেকে জামদানি সাধারণ তিন ধরণের হয়ে থাকে। ১. ফুল কটন জামদানি - যেটা তুলার সূতা দিয়ে তৈরি করা হয়। ২. হাফ-সিল্ক জামদানি - যেখানে আড়াআড়ি সুতাগুলো হয় রেশমের আর লম্বালম্বি সূতাগুলো হয় তুলার। ৩. ফুল-সিল্ক জামদানি - যেখানে দুই প্রান্তের সূতাই রেশমের হয়ে থাকে। শাড়ি কেনার আগে এই সূতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি, কেননা নকল জামদানি শাড়ি সিল্কের পরিবর্তে পলেস্টার বা নাইলনের মতো কৃত্রিম সূতা ব্যবহার করে থাকে। সূতার মান যাচাই করতে শাড়ির আঁচলের শেষ প্রান্তে যে কিছু সুতা বের হয়ে থাকে, সেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে। নাইলনের সূতা মসৃণ হয়, আর জামদানির সিল্ক সূতায় মাড় দেয়া থাকায় সেটা হবে অপেক্ষাকৃত অমসৃণ। সাধারণ পিওর সিল্কের সূতা টানাটানি করলে ছিঁড়ে যায় এবং এই সূতা আগুনে পোড়ালে চুলের মতো পোড়া গন্ধ বেরোয়। জামদানির সূতায় মাড় দেয়া থাকে আঁচলের শেষ প্রান্তের সূতাগুলো আঙ্গুল দিয়ে মোড়ানোর পর যদি সুতাগুলো জড়িয়ে যায়, তবে সেটা সিল্ক সূতার তৈরি আর যদি সূতাগুলো যেকোনো অবস্থায় সমান থাকে, তবে তা নাইলন। এছাড়া কাউন্ট দিয়ে সূতার মান বোঝানো হয়। যে সুতার কাউন্ট যত বেশি, সেই সুতা তত চিকন। আর সূতা যতো চিকন, কাজ ততই সূক্ষ্ম হবে - যা ভাল মানের জামদানি শাড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্য। জামদানি শাড়ির সূতাগুলো সাধারণত ৩২-২৫০ কাউন্টের হয়ে থাকে। জামদানির মান মূলত কাজের এই সূক্ষ্মতার উপর নির্ভর করে। আর শাড়ি কতোটা সূক্ষ্ম হবে, তা নির্ভর করে এই সূতা এবং তাঁতির দক্ষতার উপর। সাধারণত যে শাড়িটা কাজ যতো সূক্ষ্ম, স্বাভাবিকভাবেই তার দামও ততো বেশি হয়ে থাকে। আবার সুতা যত চিকন, শাড়ি বুনতে সময়ও লাগে তত বেশি - কাজেই দামও বেশি পড়ে। অন্যদিকে মেশিনে বোনা শাড়ির সুতা ২৪-৪০ কাউন্টের হয়ে থাকে। তবে মেশিনে বোনা শাড়িগুলোর বুনন অনেক ঘন হয়। তাঁতে আর যাই হোক মেশিনের মতো ঘন বুনন দেয়া সম্ভব না। জামদানি শাড়িতে যে অংশটুকু কোমরে গুঁজে রাখা হয়, ওই অংশটায় অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ হাত পর্যন্ত কোন পাড় বোনা থাকে না। কিন্তু মেশিনে বোনা শাড়ির পুরো অংশ জুড়েই পাড় থাকে। হাতে বোনা জামদানি ওজনে হালকা হয়ে থাকে এবং পরতেও আরামদায়ক। তবে জামদানি খুব যত্ন করে রাখতে হয়, না হলে বেশিদিন টেকসই হয় না। অন্যদিকে কোনও রকম হাতের ছোঁয়া ছাড়া, জামদানির ডিজাইন নকল করা, মেশিনে বোনা শাড়ি কৃত্রিম সুতোয় তৈরি হয় বলে এই শাড়িগুলো হয় ভারি এবং খসখসে। তবে এই শাড়িগুলো বছর বছর ধরে পরা যায়। দীর্ঘ সময় ও কঠোর শ্রমের কারণে জামদানির দাম তাই অন্যান্য শাড়ির তুলনায় বেশি পড়ে। জামদানির বৈশিষ্ট্য: জামদানির প্রধান বৈশিষ্ট্য এর জ্যামিতিক নকশা। এই জ্যামিতিক নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয় নানা ধরণের ফুল, লতাপাতা, কলকাসহ নানা ডিজাইন। জামদানির ডিজাইন বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তারমধ্যে পান্না হাজার, তেরছা, পানসি, ময়ূরপঙ্খী, বটপাতা, করলা, জাল, বুটিদার, জলপাড়, দুবলি, ডুরিয়া, বলিহার, কটিহার, কলকাপাড় ইত্যাদি বেশি প্রচলিত। জামদানিতে ছোট ছোট ফুল বা লতাপাতার ডিজাইন যদি তেরছা ভাবে সারিবদ্ধ থাকে, তাহলে তাকে তেরছা জামদানি বলে। ফুল, লতার বুটি জাল বুননের মতো সমস্ত জমিনে থাকলে তাকে জালার নকশা বলা হয়। পুরো জমিনে সারিবদ্ধ ফুলকাটা জামদানি ফুলওয়ার নামে পরিচিত। ডুরিয়া জামদানি ডোরাকাটা নকশায় সাজানো থাকে। তেমনি পাড়ে কলকির নকশা থাকলে তা হবে কলকাপাড়। | বাংলাদেশের যেসব নারী শাড়ি পছন্দ করেন, তাদের সংগ্রহে অন্তত একটি হলেও জামদানি শাড়ি থাকে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার নিজের দল রিপাবলিকান এর ১০ জন সদস্য ট্রাম্পের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দিয়ে তাকে অভিশংসিত করে। ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ২৩২ ভোট এবং বিপক্ষে ১৯৭ ভোট পড়ে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি দুই বার অভিশংসিত হয়েছেন এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যাকে অপরাধ সংগঠনে জড়িত থাকার কারণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মি. ট্রাম্প যিনি নিজেও একজন রিপাবলিকান, তিনি এখন সেনেটে বিচারের সম্মুখীন হবেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি আবারো ক্ষমতায় আসার সুযোগ চিরতরে হারাতে পারেন। তবে তার মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও তাকে এখনই হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হচ্ছে না। কারণ এই সময়ের মধ্যে সেনেট আবার গঠন করা সম্ভব নয়। গত নভেম্বরে জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আগামী ২০শে জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়তে হবে তাকে। আরো পড়ুন: বুধবার অভিশংসনের ভোট হওয়ার আগে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভসে। সেসময় ক্যাপিটলের ভেতরে এবং বাইরে ন্যাশনাল গার্ডের সশস্ত্র সেনারা পাহারা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে মি. বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ওয়াশিংটন ডিসি এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবকটিতে সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে বলে ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই সতর্ক করেছে। কংগ্রেসে ভোটের পর প্রকাশিত এক ভিডিওতে মি. ট্রাম্প তার অনুসারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি যে অভিশংসিত হয়েছেন সেই বিষয়টি উল্লেখ করেননি। "সহিংসতা এবং ভাঙচুরের কোন জায়গা নেই আমাদের দেশে...আমার সত্যিকারের কোন সমর্থক কখনোই রাজনৈতিক সহিংসতাকে সমর্থন দেবে না," খানিকটা মলিন এবং শান্ত কণ্ঠে তিনি এসব বলেন। প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্প ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কী? অভিশংসনের অভিযোগ মূলত রাজনৈতিক, অপরাধমূলক নয়। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগে বলা হয়েছে যে, ৬ই জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের বাইরে তিনি তার ভাষণের মাধ্যমে ক্যাপিটলে হঠাৎ হামলার মাধ্যমে দখলে নেয়ার ঘটনায় উস্কানি দিয়েছেন। তিনি তার সমর্থকদেরকে "শান্তিপূর্ণভাবে এবং দেশপ্রেমের সাথে" নিজেদের আওয়াজ তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সাথে যে নির্বাচন তার ভাষায় "কারচুপির শিকার হয়েছে" তার বিরুদ্ধে "ভয়ংকর লড়াইয়ের"ও আহ্বান জানিয়েছিলেন। মি. ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের জের ধরে তার সমর্থকরা ক্যাপিটলে জোর করে ঢুকে পড়ে, আইনপ্রণেতাদের অধিবেশন ও নির্বাচনের ফলাফলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য করে। পুরো ভবনে লকডাউন দেয়া হয় এবং এ ঘটনায় পাঁচ জন মারা যায়। অভিশংসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মি. ট্রাম্প "বারবার মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে এটা প্রতীয়মান করার চেষ্টা করেছেন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি হয়েছে এবং তা গ্রহণযোগ্য নয়"। এতে বলা হয়, এরপর তিনি বার বার একই দাবি তুলেছেন এবং "ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের সামনে বলে তাদেরকে উৎসাহিত করেছেন এবং এর কারণেই ক্যাপিটলে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে" যা সহিংসতা এবং প্রাণহানিতে রূপ নিয়েছে। "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চরমভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন, ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরকে বাধাগ্রস্ত করেছেন এবং সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।" গত সপ্তাহে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল এবং ট্রাম্পের হারকে মেনে নেয়ার বিপক্ষে ১৩৯ জন রিপাবলিকান ভোট দিয়েছেন। বিতর্কে আইনপ্রণেতারা কী বলেছেন? আইনপ্রণেতারা সেই একই চেম্বারে বসে ভোটের পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক করেছেন যেখানে গত সপ্তাহে দাঙ্গাকারীদের প্রবেশের মুখে গ্যাস মাস্ক পরে তারা চেয়ার নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি হাউস ফ্লোরে বলেন: "যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই সহিংস উত্থানকে উস্কে দিয়েছেন, আমাদের দেশের বিরুদ্ধে এই সশস্ত্র বিদ্রোহকে উৎসাহ দিয়েছেন।" "তিনি অবশ্যই যাবেন। আমাদের ভালবাসার দেশের প্রতি তিনি স্পষ্ট এবং চলমান হুমকি।" ওহাইয়ো রাজ্যের রিপাবলিকান প্রতিনিধি জিম জর্ডান ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান জুলিয়ান ক্যাস্ট্রো মি. ট্রাম্পকে "ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে" উল্লেখ করেছেন। বেশিরভাগ রিপাবলিকানই মি. ট্রাম্পের বক্তব্যের পক্ষে কোন সাফাই দেননি। এর পরিবর্তে তারা বলেছেন যে, অভিশংসনের প্রস্তাব প্রথাগত শুনানি ছাড়াই উত্থাপিত হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য এটিকে বাদ দিতে ডেমোক্রেটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। "এতো কম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করাটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে," বলেন হাউসের শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থি। "তার মানে এই নয় যে প্রেসিডেন্টের কোন দোষ নেই। বুধবার কংগ্রেসের উপর দাঙ্গাকারীদের হামলার দায় প্রেসিডেন্টকে বহন করতে হবে।" ওহাইয়ো রাজ্যের রিপাবলিকান জিম জর্ডান ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে দেশকে বেপরোয়াভাবে রাজনৈতিক বিভাজনের দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ তোলেন। "সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে নামাতে হবে" বলেন মি. জর্ডান। "যাই হোক না কেন, প্রেসিডেন্টকে সরাতে হবে। এটা একটা ঘোর হয়ে দাঁড়িয়েছে।" প্রেসিডেন্টের দলের মধ্য থেকে যারা তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন থার্ড-র্যাংকিং হাউস রিপাবলিকান লিজ চেনি। ওয়াইওমিং এর এই রিপ্রেজেন্টেটিভ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে। তিনি ক্যাপিটলের দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে বলেন, "এর আগে কোন প্রেসিডেন্ট এতো বড় বেইমানি করেনি।" পরবর্তী পদক্ষেপ কী? অভিশংসনের আর্টিকেলটি সেনেটে যাবে যেখানে প্রেসিডেন্ট দোষী কিনা তার বিচার অনুষ্ঠিত হবে। মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার হবে। তার মানে হচ্ছে ১০০ আসনের উচ্চ কক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানকে ডেমোক্রেটদের পক্ষে ভোট দিতে হবে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, কম করে হলেও ২০ জন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বিচার চায়। মি. ট্রাম্প যদি সেনেটে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে আইনপ্রণেতারা চাইলে আরেকটি ভোট অনুষ্ঠিত করতে পারেন যা তাকে ২০২৪ সালে আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথকে বন্ধ করে দেবে। তবে এই বিচার কাজ মি. ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থাৎ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে না। এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান সেনেট নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন: "সব নিয়ম, প্রক্রিয়া এবং সেনেট যেখানে প্রেসিডেন্টের বিচার অনুষ্ঠিত হবে তার নজির অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট বাইডেন শপথ নেয়ার আগে একটি নিরপেক্ষ বা গুরুতর বিচার কোনভাবেই অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হবে না।" তিনি বলেন, এর চেয়ে যদি বাইডেন প্রশাসনের জন্য একটি শান্তি ও সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়, তাহলে সেটিই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে। মি. ম্যাককনেল তার সহকর্মীদের এক নোটের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি কিভাবে ভোট দেবেন সেটি এখনো ঠিক হয়নি। এখনো পর্যন্ত কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হননি। ২০১৯ সালে হাউসে অভিশংসিত হয়েছিলেন মি. ট্রাম্প। কিন্তু সেনেটে পার পেয়ে যান তিনি। একই ধরণের ঘটনা ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটনের সাথে এবং ১৮৬৮ সালে অ্যান্ড্রু জনসনের সাথে ঘটেছিল। | যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসিত করেছে। গত সপ্তাহের ক্যাপিটলের দাঙ্গার ঘটনায় "বিদ্রোহে উস্কানি" দেয়ার কারণে তাকে অভিশংসিত হতে হল। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | কখনোবা অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজে মিটিয়েছেন বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলেছেন। তিনি এখন বাংলাদেশের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ। বিশ্বকাপের মূল একাদশে সুযোগ পেলে তা কীভাবে কাজে লাগাতে চান - সে বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বিবিসি বাংলার সাথে। আরো পড়ুন: দলে বোলিং অলরাউন্ডারের আক্ষেপ ঘোচাবেন সাইফুদ্দিন? ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে যারা রয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: দেখে নিন বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে, কখন | বোলিং অলরাউন্ডারের তালিকায় ফরহাদ রেজা, জিয়াউর রহমানরা তো ছিলেনই। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | স্থূলতা এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কারভাবে উঠে এলেও, এর পেছনে কি ধরণের জৈবিক প্রক্রিয়া কাজ করছে তা এখনো সম্পূর্ণভাবে ধারণা করা যায়নি। তারা জানাচ্ছে, অন্ত্র, কিডনি, ওভারিয়ান এবং লিভার ক্যান্সারের কারণ যতটা না তামাকের ধূমপান থেকে হচ্ছে তার থেকে বেশি হচ্ছে অতিরিক্ত ওজনের কারণে। তারা আরও বলছে, লাখ লাখ মানুষ ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছে তাদের ওজনের কারণে। এবং এসব মোটা মানুষদের ক্যান্সারের আশঙ্কা ধূমপায়ীদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু ওবেসিটির ফলে ক্যান্সার ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে এর নতুন বিলবোর্ড ক্যাম্পেইন নিয়ে তারা সমালোচনার মুখে পড়েছে। সেখানে ফ্যাট-শেমিং বা শারীরিক স্থূলতা নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা। তবে এই অভিযোগে এই দাতব্য সংস্থাটি এই প্রথমবার অভিযুক্ত হল তেমনটি নয়। গত ফেব্রুয়ারিতেই কমেডিয়ান এবং ক্যাম্পেইনার সোফি হাগেন এই ক্যাম্পেইনের সমালোচনার জন্য টুইটারকে বেছে নেন। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে বলছে যে, তারা ওভার-ওয়েট বা মেদবহুল হওয়ার জন্য লোকজনকে দোষারোপ করছে না। আবার ক্যান্সারের জন্য ক্ষতিকরের দিক বিবেচনায় ধূমপান এবং স্থূলতা সরাসরি তুলনীয় বলে তারা উল্লেখ করছে না, তবে দুটোই ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আরও পড়ুন: মোটা হয়েও আপনি অপুষ্টিতে ভুগছেন? পৃথিবীর সব চেয়ে আলসে দেশ কোনগুলো? মোটা হলেই কি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে? ব্রিটেনে ক্যান্সারের প্রতিরোধ-যোগ্য কারণগুলোর মধ্যে ধূমপান প্রধান। এর পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওবেসিটি। কিন্তু তারা বলছে, অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী বা স্থুল হওয়ায় প্রতিবছর প্রায় ২২ হাজার ৮০০ ক্যান্সারের ঘটনা ঘটছে, আর ধূমপানের কারণে ঘটছে ৫৪ হাজার ৩০০ ঘটনা। স্থূলতা এবং ধূমপানের কারণে যে চারটি ক্যান্সারের ঘটনা সচরাচর ঘটছে- •অন্ত্র- প্রায় ৪২ হাজার নতুন ক্যান্সারের ঘটনা যার মধ্যে ওভারওয়েট বা স্থূলতার কারণে ৪,৮০০ এবং ধূমপানের কারণে ২৯০০টি। •কিডনি: সর্বমোট ১২ হাজার ৯০০ ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার কারণে ২৯০০ এবং ধূমপানের কারণে ১৬০০ জন আক্রান্ত। ·লিভার- সর্বমোট ৫৯০০ জনের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার জন্য ১৩০০ এবং ধূমপানের জন্য ১২০০ জন এবং ·ওভারিয়ান: মোট ৭,৫০০ জন আক্রান্ত এবং প্রতিবছর অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ৪৯০ জনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী, যেখানে ধূমপান দায়ী ২৫ জনের ক্ষেত্রে। সার্বিকভাবে ব্রিটেনে ক্যান্সারের প্রতিরোধ-যোগ্য কারণগুলোর মধ্যে ধূমপান প্রধান। এর পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওবেসিটি-বলছে সিআরইউকে। কিন্তু যেসময়টাতে ধূমপানের হার কমে আসছে, তখন ওবেসিটি বা স্থূলতা বাড়ছে, যেটাকে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন। সে কারণে টোরি নেতা বরিস জনসন পর্যালোচনা ছাড়া সুগার ট্যাক্স বর্ধিত না করার ঘোষণা দিলে তাদের পক্ষ থেকে সেই সতর্কবার্তা আসে। কোমল পানীয় থেকে মিল্কশেক-এর ওপর ট্যাক্স বর্ধিত করার পরিকল্পনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, মিস্টার জনসন নিজের ওজন নিয়ে কৌতুক করে বলেছিলেন, ট্যাক্স আরোপ করায় অন্তত যারা এটা বহন করার সামর্থ্য রাখেন তাদের আহত করতে তিনি "খুব খুব অনিচ্ছুক" ছিলেন। তিনি পরামর্শ দেন, "আমরা লোকজনে হাটতে, সাইকেল চালাতে এবং সাধারণত আরও বেশি ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করছি"। বিলবোর্ডে স্থুলতার ঝূঁকি সম্পর্কে তথ্য যুক্তরাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ স্থুল। ব্রিটেনের এ সম্পর্কিত আরও যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ- •১৩.৪ মিলিয়ন স্থুল প্রাপ্তবয়স্ক আছে যারা ধূমপান করে না • ৬.৩ মিলিয়ন প্রাপ্ত বয়স্ক ধূমপায়ী রয়েছে যারা স্থুল নয় •১.৫ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যারা একইসঙ্গে স্থুল এবং ধূমপায়ী স্থূলতা এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কারভাবে উঠে এলেও, এর পেছনে কি ধরণের জৈবিক প্রক্রিয়া কাজ করছে তা এখনো সম্পূর্ণভাবে ধারণা করা যায়নি। চর্বি কোষ অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে এবং বৃদ্ধি করে যা কোষগুলোকে বিভক্ত হয়ে পড়তে বলে। এটা ক্যান্সার কোষ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিক সক্রিয়তা বা কর্মশক্তি হয়তো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মোটা হলে বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হলেই যে একজন মানুষের নিশ্চিতভাবে ক্যান্সার হবে তেমনটা নয়, কিন্তু সেটা ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। এবং এই ঝুঁকি বেড়ে যায় যখন সে আরও বেশি ওজন লাভ করে এবং যত দীর্ঘসময় ধরে সে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন বহন করে চলে। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র তথ্য অনুসারে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যান্সার স্থূলতার সাথে সম্পর্কিত- •স্তন ক্যান্সার(মেয়েদের মেনোপজের পরে) •অন্ত্রের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক বা অগ্নাশয় ক্যান্সার. •খাদ্যনালীর ক্যান্সার, •লিভার ক্যান্সার •কিডনি ক্যান্সার •পাকস্থলীর উপরের অংশ, •গল-ব্লাডার • জরায়ু •ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয় •থাইরয়েড •ব্লাড ক্যান্সার •মস্তিষ্কের ক্যান্সার। স্থূলতা ও ক্যান্সারের এই সম্পর্ক যদিও শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা গেছে, তবে স্বাস্থ্যসম্মত আদর্শ ওজন শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই দাতব্য সংস্থাটি বলছে , প্রতিবছর ব্রিটেনে অতিরিক্ত ওজনের ফলে যা ঘটে- •ধূমপানের চেয়ে ১৯০০-র বেশি অন্ত্রের ক্যান্সার •১৪০০-র বেশি কিডনির ক্যান্সার •৪৬০-র বেশি ওভারিয়ান ক্যান্সার •১৮০-র বেশি লিভার ক্যান্সার। দেশটির ওবেসিটি সমস্যাকে আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সরকারের উচিত উদ্যোগ নেয়া, এমনটাই মনে করছেন ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে-র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক লিন্ডা বোল্ড। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয়ের বিজ্ঞাপন সীমিত করার ক্ষেত্রে সরকার ধীর গতিতে এগুচ্ছে, বলছে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, "আমরা ধূমপানের সাথে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকির ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন হলেও, ওবেসিটি মোকাবেলায় উদ্যোগ কম নেয়া হয়েছে, যেটা এখন ক্যান্সারের প্রধান একটি কারণ"। এনএইচএস ইংল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইমন সিভেন্স বলেছেন, স্থুলকায়তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এনএইচএস একা জয়ী হতে পারবে না। "আমেরিকার ক্ষতিকর এবং ব্যয়বহুল উদাহরণ সামনে রেখে যদি আমরা তা এড়াতে চাই,তাহলে বিভিন্ন পরিবার, খাদ্য ব্যবসায়ী এবং সরকার-সবাইকে তাদের নিজেদের যার যার অবস্থানে থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে"।? | ব্রিটেনে এখন সাধারণ চার ধরনের ক্যান্সারে অনেক ক্ষেত্রে ধূমপানের চেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠেছে স্থূলতা। এমনটাই বলছে দাতব্য সংস্থা ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ফরহাদ মজহার 'স্বেচ্ছায়' বাড়ি ছেড়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার বিবিসি বাংলাকে জানান, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে মি: মজহারকে ঢাকার আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয়। "আমাদেরকে বললো উনার ওষুধ নিয়ে যেতে। ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ কাল খেতে পারেননি বলে ভীষন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁকে বেশ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত ও ট্রমাটাইজড লাগছিলো"- বলেন ফরিদা আক্তার। তবে আদাবর থানায় কিছু সময় স্বামীর পাশে বসে থাকলেও কোনো ধরনের কথা হয়নি বলে জানান মিস আক্তার। "তিনিতো অনেক অসুস্থ। কোনো কথা বলতে পারছেন না। ওখানে ঘন্টাখানেক রাখার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে"-বলেন ফরহাদ মজহারের স্ত্রী। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মি: মজহারের স্ত্রী ও পরিবারের কজন সদস্য ডিবি অফিসেই অপেক্ষা করছিলেন। ফরহাদ মজহারকে সোমবার ভোর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিল তার পরিবার। ঢাকার শ্যামলীর নিজের বাসা থেকে ভোর পাঁচটার দিকে বের হয়ে যান ফরহাদ মজহার। এরপর তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একাধিকবার মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। মি: মজহারকে উদ্ধারের পর মুক্তিপণ বা অন্য কোনো বিষয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত তাঁর পরিবারকে কিছু জানায়নি বলে জানাচ্ছিলেন ফরিদা আক্তার। ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর রাত একটার দিকে খুলনায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বলেন "উদ্ধারের সময় মি. মজহারের কাছে একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে যাতে দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র ছিল।" তিনি বলেন, "আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বেড়াতে গেলে যেমন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে নিই, তার ব্যাগের ভেতর সেসব জিনিস প্রমাণ করে যে তিনি স্বেচ্ছায় গিয়েছেন"। | কবি, কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে বাংলাদেশের যশোর জেলার নোয়াপাড়ায় ঢাকাগামী একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয় গতরাতে। উদ্ধারের পর প্রথমে ঢাকার আদাবর থানা ও পরে তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ভারতের ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় বাংলাদেশের নায়ক ফেরদৌসের এমন ছবি ছাপানো হয়েছে একজন বিদেশি নাগরিক কীভাবে ভারতে এসে ভোটের প্রচার করতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলে এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছে রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি। রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী অবশ্য বিবিসি-র কাছে দাবি করেছেন, ফেরদৌস এসে তার হয়ে প্রচার করেছেন বলে তিনি কিছু জানেন না - এ বিষয়ে তার নাকি খোঁজ নেওয়ারও সময় নেই। ফেরদৌস নিজেও গোটা বিতর্ক নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কলকাতায় তাদের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস বা বিদেশি নাগরিকদের আঞ্চলিক নথিভুক্তকরণ কেন্দ্রর কাছ থেকে বাংলাদেশী চিত্রতারকা ফেরদৌসের ব্যাপারে একটি রিপোর্ট তলব করেছে। ফেরদৌস একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তার মাধ্যমে তিনি তার ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন কি না, ওই রিপোর্টে সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ সংসদীয় আসনটি বাংলাদেশ সংলগ্ন, ওই কেন্দ্রে অর্ধেকেরও বেশি ভোটার মুসলিম। সেই রায়গঞ্জ কেন্দ্রের হেমতাবাদ, ইসলামপুর, করণদীঘির রাস্তায় জনপ্রিয় বাংলাদেশী চিত্রতারকা ফেরদৌস রোড শো করছেন এবং তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোটও চাইছেন, সেইসব ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ছবিতে টালিগঞ্জের অন্য তারকাদের সঙ্গে জিপে ও নির্বাচনী মঞ্চেও দেখা গেছে ফেরদৌসকে। আর এসব ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোটের ইস্যুগুলো কী? লোকসভা নির্বাচন: শুরু হলো বিশ্বের বৃহত্তম ভোট উৎসব বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচন যেভাবে আয়োজন করছে ভারত ভারতে কয়েক ধাপে নির্বাচন এখন চলছে মঙ্গলবার রায়গঞ্জে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে থেকে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ও পশ্চিমবঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এই কাজটা যে ভারতের সংবিধান-বিরোধী, আমরা সেটাই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।" "একজন বিদেশি নাগরিক কোন ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকে এখানে ভোটের প্রচার করছেন, আমরা আমাদের অভিযোগে সেই প্রশ্নটাই রেখেছি।" রায়গঞ্জ আসনের বিশাল সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ''তোষণ করতেই'' ফেরদৌসকে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। মিস চৌধুরী আরও বলছিলেন, "পশ্চিমবঙ্গের ২৭ শতাংশ মুসলিম ভোট তোষণ করেই তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় টিঁকে আছে। রায়গঞ্জেও মুসলিম ভোট পোলারাইজ করার চেষ্টাতেই ওই চিত্রতারকাকে এখানে আনা হয়েছিল।" "গোটা ভারত আজ পশ্চিমবঙ্গকে ঘৃণার চোখে দেখছে, যে সেখানে ভোট হচ্ছে - আর অন্য রাষ্ট্র থেকে একজন বিদেশি তারকাকে এনে সম্পূর্ণ জাতিগত কারণে, সাম্প্রদায়িক কারণে তাকে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে!" ফেরদৌসের প্রচারের ঘটনা সামনে আসার পর তৃণমূল নেতৃত্বও বেশ বিব্রত, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। রাজ্য স্তরের নেতারা এ বিষয়ে কেউ মুখই খুলতে চাইছেন না, আর রায়গঞ্জ আসনের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল ''ফেরদৌস'' শব্দটা শোনামাত্র বলে উঠছেন এ বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী মি: আগরওয়াল বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "দেখুন বিষয়টা আমার নলেজেই নেই। আমার কিছুই জানা নেই, আমি আমার মতো প্রচার করে যাচ্ছি - এ বিষয়টা সত্যিই আমার নলেজে নেই!' "বিশ্বাস করুন, আমার হাতে এখন এসব দেখার মতো একটা মিনিটও সময় নেই। আমি সাংগঠনিক ছেলে, আমি আমার সংগঠন দিয়েই চিরকাল ভোটের প্রচারটা করি। আর সেটা নিজেই করি!" তার মানে বলতে চাইছেন, বাইরের তারকাদের আপনার প্রচারে কোনও কাজেই লাগে না? "একদমই কাজে লাগে না। কোনও দিনই লাগেনি, আর যথারীতি এবারেও লাগছে না", বলছেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া কিছু কিছু ছবিতে ফেরদৌসকে যে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গেও দেখা গেছে - তা মি: আগরওয়াল এখন সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন। তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভায় বাংলাদেশী তারকা ফেরদৌসের উপস্থিত থাকার ছবি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে যাওয়ার আগে ফেরদৌস নিজেও সংবাদমাধ্যমকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন। নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিতে পারে? নির্বাচন কমিশন এই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নিতে পারে বা এতে তৃণমূলের কোনও শাস্তি হতে পারে কি না, তা নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা আছে। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে যেমন বলছিলেন তার কর্মজীবনে তিনি কখনও এরকম কোনও ঘটনা দেখেননি, যেখানে বিদেশিরা এসে ভারতে ভোটের প্রচার করছে বা তা নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি বা মডেল কোড অব কন্ডাক্টেও এ বিষয়ে সরাসরি কিছু উল্লেখ নেই। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে কমিশনের কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, তারা বিষয়টিকে দিল্লিতেই রেফার করছেন - এবং এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনই সেটা নেবে। | ভারতের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটের প্রচার করে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের চিত্রতারকা ফেরদৌস আহমেদ, যিনি ফেরদৌস নামেই বেশি পরিচিত। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ঈদের খাবার তৈরি নিয়ে ভোগান্তি হয় গৃহিনীদের। (ফাইল ফটো) পরিবারের জন্য ঈদের খাওয়ার আয়োজন করতে গিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত তাদের কাজ করতে হয়। রংপুরের গৃহিণী মমতাজ বেগম মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঈদের রান্নার আয়োজন করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রাত নয়টার দিকে জানায়, বুধবারের বদলে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। রান্নাঘরের ভোগান্তিটা শুরু হয় তখন থেকে। "আমরা তো ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। রান্নাবান্নাও অনেকখানি শেষ। হঠাৎ করেই সন্ধ্যার পরে শুনলাম ঈদ হচ্ছে না," বলছিলেন তিনি, "এরপর আবার তারাবির নামাজ পড়া, সেহেরির জন্য রান্না করলাম। তারপর এসে আবার জানলাম বুধবারই ঈদ হবে। এটা কেমন!" বুধবার ঈদ হচ্ছে না জেনে অনেক পরিবার তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। ফ্রিজ থেকে বের করা কাঁচা মাছ-মাংস তারা আবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তি বাংলাদেশে এর আগেও ঘটেছে। পরে রাত ১১টায় যখন আবার ঘোষণা করে হলো যে ঈদ বুধবারই হবে তখন আবার সেই কাঁচা খাবার ফ্রিজ থেকে বের করতে হয়। ঈদ হবে না জেনে গৃহকর্মী কিংবা রান্নাঘরের সাহায্যকারীদের বিদায় দিয়ে দেন অনেকে। ফলে ঈদ একদিন এগিয়ে আসায় অনেক গৃহিণী বিপাকে পড়ে যান। বিউটি পার্লারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েও বাধে গোলযোগ। ঈদ হবে না জেনে অনেকে তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করেন। ঈদ উপলক্ষে অনেকেই হাতে মেহেদি দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ঈদ হবে জেনে তারা সেটা মুছে ফেলেন। বুধবার ঈদ হবে জেনে তাদেরকে আবার মেহেদির আয়োজন করত হয়। আবীর খান নামে একজন বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় জানান, তার বাসায় সবাই রাত ন'টার খবর দেখেছেন যে বুধবার ঈদ হচ্ছে না। এর পর আর কোন খবর দেখেননি। সবাই রাত ১০টার পর ঘুমিয়ে পড়েন। "রাতে সময়মত উঠে তারা সেহেরিও খান। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন ঈদ হচ্ছে বুধবার", তিনি লেখেন, "এরপর তাড়াহুড়ো করে রান্নার কাজে অনেক সমস্যা হয়েছে। এখন এই সমস্যার দায়ভার কি চাঁদ (দেখা) কমিটি নেবে?" অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত তাড়াহুড়ো করে ঈদের কেনাকাটা করেন। (ফাইল ফটো) আরও পড়তে পারেন: ঈদের যানজটে মহাসড়কে সন্তান প্রসব লন্ডনে যেমন ঈদ কাটালেন ক্রিকেটাররা তারাবির নামাজ নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। ইমরান খান নামে এক বিবিসি ফলোয়ার ফেসবুকে জানান, "সারাজীবন আমি তারাবিহ পড়ে রোজা রেখেছি আজও পড়েছি। আর এখন বিরল সৌভাগ্য অর্জন করতে চলেছি রোজার পরিবর্তে ঈদের নামাজ পড়বো। ২৯ রমজানের মাসে ৩০টা তারাবিহ আদায় করলাম।" তবে এর মাঝেই কেউ কেউ বিষয়টাকে খুশি মনেই মেনে নিয়েছেন। যশোরের গৃহবধূ আফরোজা খাতুন বলছিলেন, মঙ্গলবারই তিনি খবর পেয়েছিলেন সৌদি আরবে ঈদ হয়েছে। সে অনুযায়ী বুধবার ঈদ হবে এটাই নিশ্চিত ছিলেন তিনি। তাই দ্বিতীয় দফায় যখন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রাত ১১টা নাগাদ জানায় যে বুধবারেই ঈদ হবে তখন তিনি খুশিই হয়েছেন। "আমি নিশ্চিত ছিলাম। তারপরে জানলাম ঈদ হবে না। তাই বেশ খানিকটা বিভ্রান্তিতে পড়েছিলাম। এরপর যখন রাতে জানলাম (বুধবার) ঈদ হবে তখন বেশ খুশি হয়েছি।" জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সাথে একযোগে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি কাজ করে। শপিং সেন্টারগুলো গভীর রাত পর্যন্ত খোলা ছিল। (ফাইল ফটো) দেশের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সেটি স্থানীয় প্রশাসন বা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জেলা কমিটির কাছে পৌঁছায়। পাশাপাশি, আবহাওয়া অধিদফতরের দেশজুড়ে যে ৭৪টি স্টেশন আছে সেখান থেকেও তথ্য নেয় চাঁদ দেখা কমিটি। কিন্তু ঈদের দিন চূড়ান্ত করা নিয়ে বিভ্রান্তির ফলে জনগণের মনে এই কমিটির দক্ষতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে। বিবিসির অন্যান্য খবর: নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের যত মিল-অমিল নিউজিল্যান্ড কি সাকিবের প্রিয় প্রতিপক্ষ? | শাওয়াল মাসে ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে গৃহিণীদের। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | এ বছর এপ্রিলে কোট সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ (ফাইল ফটো) তবে এই কমিটি সবচেয়ে আলোচিত কোটা, অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে কি থাকবে না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আদালতের এ সংক্রান্ত একটি রায় থাকার কারণে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর ঢাকায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, "আমাদের কমিটির সুপারিশ হলো কোটা প্রায় উঠিয়ে দেয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেয়া।" "তবে কোর্টের একটি ভারডিক্ট আছে, সুপ্রীম কোর্টের, যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রতিপালন করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে এবং যদি খালি থাকে তাহলে খালি রাখতে হবে," জানান সচিব। মি. আলম বলেন, এ বিষয়ে সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। তিনি বলেন, যদি আদালত এটিকেও মওকুফ করে দেয়, তাহলে কোনো ধরণের কোটা থাকবে না। আর আদালত যদি রায় দেয় ঐ অংশটুকু সংরক্ষিত রাখতে হবে তাহলে ঐ অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি সব উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আদালত থেকে যে রায় দেয়া হয়েছিল, সেটি তারা পুরোপুরি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হননি, তাই এ বিষয়ে আদালতের মতামত চাওয়া হবে। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে এখন সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা পুরো কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করলেও কোটার একটি বড় অংশ, অর্থাৎ ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় সেটি নিয়েই সবচেয়ে বেশী আলোচনা হচ্ছে। এর বাইরে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা বর্তমান ব্যবস্থায় সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এই ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ১১ই এপ্রিল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে দেয়া একটি ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে গত ১২ই জুলাই তিনি আবার সংসদে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ থাকায় সেটি সরকারের পক্ষে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত কোটা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, "আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি ওনারা অগ্রসর হয়ে গেছেন।" "আমাদের এখন সময় হয়েছে, আমরা এখন উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাবো," বলেন মি. আলম। খুব শিগগিরই কমিটির চুড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। আরো পড়তে পারেন: সরকারি চাকুরিতে কোটা কি রাখতেই হবে? 'কোটা বাতিল নিয়ে কোন আফসোস থাকবে না' চাকরিতে কোটা নিয়ে এত ক্ষোভের কারণ কী? | বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গঠিত সচিব পর্যায়ের একটি কমিটি তাদের প্রাথমিক প্রস্তাবনায় প্রায় সব ধরণের কোটা বাতিল করার সুপারিশ করেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | তন্বী শেঠ ও তার স্বামী আনাস সিদ্দিকি শেষ পর্যন্ত পাসপোর্ট পেয়েছেন। মিসেস শেঠ টুইটারে অভিযোগ করেছেন যে লখনৌয়ের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে কর্মরত এক অফিসার সকলের সামনে তাকে প্রশ্ন করেছেন যে বিয়ের পরেও কেন নিজের পদবী পরিবর্তন করেন নি তিনি। স্বামীকেও ডেকে বলা হয় যে পাসপোর্ট নবায়ন করতে হলে তাঁকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে হবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে ট্যাগ করে পাঁচ ভাগে পোস্ট করা টুইটে মিসেস শেঠ লিখেছেন, তিনি আনাস সিদ্দিকিকে ১২ বছর আগে বিয়ে করেছেন, তাদের বছর ছয়েকের এক সন্তানও আছে। কিন্তু ভারতের বেশীরভাগ নারীই যেমন বিয়ের পরে পদবী বদল করে স্বামীর পদবী রাখেন, সেটা তিনি করেন নি। "একজন মুসলিমকে বিয়ে করেও কেন পদবী বদল করি নি, সেই প্রশ্ন তুলে আমার পাসপোর্টের নবায়ন আটকে দেন বিকাশ মিশ্র নামের ওই অফিসার। সবার সামনে আমাকে অপমান তো করাই হয়, এমনকি আমার স্বামীকে ডেকে পাঠিয়ে বলা হয় যে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলে তবেই পাসপোর্ট নবায়ন করা হবে," লিখেছেন মিসেস শেঠ। সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ্য করে তন্বী শেঠ লিখেছেন, "বিচারের প্রতি এবং আপনার প্রতি আমার গভীর আস্থা নিয়ে, একই সঙ্গে মনে প্রচণ্ড রাগ আর অনিশ্চয়তার মধ্যে এই টুইট করতে হচ্ছে আমাকে। বিকাশ মিশ্র নামের ওই পাসপোর্ট অফিসার প্রশ্ন তুলেছেন কেন আমি একজন মুসলমানকে বিয়ে করেছি, আর কেনই বা আমি বিয়ের পরে পদবী বদল করি নি। বিয়ের পর থেকে কোনও দিন এত অপমানিত হই নি।" তন্বী শেঠ ও তার স্বামী আনাস সিদ্দিকি। আরও দেখুন: ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসিকে ম্যারাডোনা হতে হবে? বিশ্বকাপ ২০১৮: রুশ নারীরা এত আলোচনায় কেন? আন্তর্জাতিক আদালতকে দেওয়া পর্যবেক্ষণে যা বলা হল লখনৌয়ের রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার পীযুষ ভার্মা বুধবারই সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই দম্পতিকে নিজের দপ্তরে ডেকে তাদের হাতে পাসপোর্ট তুলে দিয়েছেন তিনি। মি. ভার্মা জানিয়েছেন, "পাসপোর্ট নবায়নের জন্য যে সব নথি ওরা জমা দিয়েছিলেন, তাতে কোনও অসঙ্গতি নেই। তাই নতুন পাসপোর্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যে অফিসার ওই দুর্ব্যবহার করেছিলেন, তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।" বিয়ের পরে নারীরা পদবী বদল করবেন কিনা, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পদবী বদল করতেই হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই ভারতে। অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীও আজকাল বিয়ের আগের পদবীই রেখে দেন, অনেকে আবার পুরনো পদবীর সঙ্গে স্বামীর পদবী - একসঙ্গে দুটিই ব্যবহার করেন। আইন অনুযায়ী কোনও সরকারি কাজকর্মে বা নথিতে এই নিয়ে বাধ্যবাধকতা নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মকর্তারা বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেখতে চান, অথবা বলেন অ্যাফিডেফিট করিয়ে নিয়ে আসতে। | বিয়ের ১২ বছর পরে যে স্বামীর ধর্ম নিয়ে কোনও প্রশ্ন শুনতে হবে, এটা কল্পনাও করতে পারেন নি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা তন্বী শেঠ। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | কঠিন অনুশীলনের সময় সমস্যায় পড়েছেন একজন মার্কিন সেনা একটা দেশের সেনাবাহিনীতে সৈন্যরা স্বাস্থ্য ও ওজনের দিক থেকে কেমন হবে - তা নির্ধারিত হয় একটা মাপকাঠি দিয়ে, যাকে বলে বডি ম্যাস ইনডেক্স বা বিএমআই। এই বিএমআই হিসাব করে বের করা হয় যে একজন সৈন্যের উচ্চতা এবং ওজনের অনুপাত আদর্শ এব স্বাস্থ্যকর সীমার মধ্যে আছে কিনা। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে পৃথিবীর অনেক দেশেই সৈন্যদের মধ্যেই স্থূলতা, বা অলস জীবনযাপনজনিত সমস্যা তৈরি হয়েছে । এমনকি চীনের সেনাবাহিনীতে সৈন্যদের মধ্যে কম্পিউটার গেম ও হস্তমৈথুন আসক্তিও এক সমস্যা হয়ে উঠছে। র্যান্ড কর্পোরেশনের হিসেবে দেখা যাচ্ছে - আমেরিকান সৈন্যদের প্রায় ৬৬ শতাংশের ওজনই মাত্রাতিরিক্ত রকমের বেশি। এমন এক সময় এই হিসেব বেরুলো যখন আমেরিকান তরুণদের বেশিরভাগই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী নয়। বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে ১৬ থেকে ২৪ বছরের আমেরিকানদের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবার আগ্রহ দেখিয়েছে। আরো খারাপ খবর হচ্ছে, যারা নিয়োগের পরীক্ষায় বাতিল হয় তাদের এক-তৃতীয়াংশই বাদ পড়ে অতিরিক্ত মোটা হবার কারণে। চীনা সৈন্যদের প্রধান সমস্যা ফাস্ট ফুড খাওয়া এবং হস্তমৈথুন। স্থূলতা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার জন্য কিংবা বাদ-পড়াদের শূন্যস্থান পূরণ করতে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে প্রতি বছর দেড়শো কোটি ডলার খরচ করতে হয়, একথা লিখেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জেফরি ফিলিপস। কিন্তু শুধু আমেরিকান সৈন্যদের মধ্যেই কি এ সমস্যা? অন্যদের অবস্থা কী? চীনা সৈন্যদের সমস্যা: ফাস্ট ফুড এবং হস্তমৈথুন চীনা সৈন্যদের নাকি প্রধান সমস্যা হচ্ছে ফাস্ট ফুড খাওয়া এবং হস্তমৈথুন। একথাই বলা হয় গত বছর চীনা সেনাবাহিনীর পত্রিকা 'পিপলস লিবারেশন আর্মি ডেইলি'র এক রিপোর্টে। এতে এক সম্পাদকীয়তে লেখা হয়: নিম্নমানের খাওয়া, দীর্ঘ সময় কমপিউটার গেম নিয়ে বসে থাকা, অতিমাত্রায় হস্তমৈথুন করা, এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাব - এ গুলোই হচ্ছে তরুণ সৈন্যদের ফিটনেস টেস্টে অনুত্তীর্ণ হবার সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণ। বলা হয়, নতুন প্রার্থীদের ২০ শতাংশ ওজন পরীক্ষায় ফেল করেছে। কিছু সৈন্য ৫ কিলোমিটারের দূরপাল্লার দৌড় শেষ করতে পারে নি। প্রতি দশজন ইরানী সৈন্যের একজন মোটা, এক জরিপের তথ্য ইরানে ১৩ শতাংশ সৈন্য 'মোটা' ইরানের সৈন্যদেরও মোটা হবার সমস্যা আছে। গ্লোবালফায়ারপাওয়ার ডট অর্গ নামে একটি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ওয়েবসাইট বলছে, ইরানের পাঁচ লাখ সক্রিয় সেনা সদস্য রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে বিএমসি পাবলিক হেলথ নামে এক জার্নালের নিবন্ধে বলা হয়, ইরানে ৪১ শতাংশ সেনার ওজন আদর্শ মাত্রার চেয়ে বেশি, এবং ১৩ শতাংশ রীতিমত স্থূলকায়। অনেক ব্রিটিশ সৈন্যের স্থূলতা কমানোর জন্য চিকিৎসা নিতে হয়েছে ব্রিটিশ সৈন্যদেরও রয়েছে স্থূলতার সমস্যা সম্প্রতি ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় সেনা ঘাঁটি ক্যাটারিকের সৈন্যদের গ্রেগস নামে একটি রুটির দোকান থেকে খাবার কেনা নিষিদ্ধ করা হয়। দশ শতাংশ ব্রিটিশ সৈন্যই ডাক্তারি মাপকাঠিতে মোটা - এরকম এক রিপোর্ট বেরুনোর পর এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। একজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়েছেন, সৈন্যরা যেভাবে মোটা হচ্ছে - তাতে হয়ত অচিরেই যুদ্ধবিমান এবং সাবমেরিনের চালকের আসন চওড়া করে বানাতে হবে। ভারতে সৈন্যরা অতিরিক্ত মোটা হলে প্যারেডে অংশ নিতে পারে না ভারতে এক-তৃতীয়াংশ সৈনিক মোটা ভারতে ২০১৬ সালের এক জরিপে বলা হয় এক তৃতীয়াংশ সেনাই মোটা। এর পর গত বছর এপ্রিল থেকে সৈন্যদের খাদ্যের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। মোটা সৈন্য ও অফিসারদের পদোন্নতি এবং বিদেশে পোস্টিং নিষিদ্ধ করা হয়। স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মেক্সিকোর সেনাবাহিনীতেও সৈন্যদের স্থূলতার সমস্যা মোকাবিলা করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার সৈন্যরা এ সমস্যার কারণ কি? অনেকেরই ধারণা যে সামরিক বাহিনীর লোকেরা যে প্রশিক্ষণ নেয়, তাতে তাদের সবারই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ব্যাপারটা তা নয়। এর কারণ কী? তা বের করতে কিছু গবেষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর লোকেরা নানা রকম স্ট্রেস বা চাপের শিকার হয়। তারা মৃত্যু ও অন্যান্য নানা রকম ক্ষতিকর ঘটনা প্রত্যক্ষ করে, তাদের ঘুমের ব্যাঘাত হয়। এগুলোর কারণে তাদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খাবার অভ্যাস তৈরি হতে পারে। | আমেরিকান সৈন্যদের ৬০ শতাংশই নাকি 'অতিরিক্ত মোটা' - এক রিপোর্টে এই মত প্রকাশ করেছে র্যান্ড কর্পোরেশন নামে একটি আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | করন জোহর, পরিচালক-প্রযোজক টুইটারে এক বার্তার মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, রুহি এবং ইয়াশ নামে দুজন নতুন অতিথি তার পরিবারে আসায় তিনি উল্লসিত। বলিউডের ধর্ম প্রডাকশন্সের কর্ণধার মি. জোহর একই সঙ্গে সন্তান জন্মদানে সহায়তার জন্য গর্ভ ভাড়া দানকারী মাতাকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তার 'জীবনের স্বপ্ন' পূরণের জন্য ঐ নারীর প্রতি তিনি 'চিরজীবনের জন্য কৃতজ্ঞ' থাকবেন। এর আগে বলিউড অভিনেতা তুষার কাপুর গর্ভ ভাড়া নিয়ে সন্তানের পিতা হয়েছিলেন। করন জোহর এবং তুষার কাপুর দুজনের কেউই বিয়ে করেননি। তাহলে কিভাবে বড় হবে করন জোহরের দুই সন্তান? তিনি জানিয়েছেন, এই কাজে তাকে সহায়তা করবেন তার নিজের মা, অর্থাৎ বাচ্চা দুটির দাদী। তিনি বলেন, "এই সিদ্ধান্তটা বেশ আবেগপূর্ণ। কিন্তু সম্পূর্ণ দায়িত্বের কথা যথেষ্ট ভেবে চিন্তেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" ভারতে গর্ভ ভাড়া নিয়ে সন্তানের জন্মদান একটি বিতর্কিত বিষয়। এই কাজের নিয়মকানুন ব্যাখ্যা করে গত বছর নভেম্বর মাসে লোকসভায় একটি খসড়া বিল পেশ করা হয়েছে। এতে অর্থের মাধ্যমে গর্ভ ভাড়া নেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবিবাহিত পুরুষ কিংবা নারীরা অন্যের গর্ভ ভাড়া নিয়ে সন্তানের জন্মদানও এই খসড়া আইনে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। | বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা করন জোহর বলছেন, গর্ভ ভাড়া করে তিনি দুই সন্তানের জনক হয়েছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | আমি নিশ্চিত এই মূহুর্তটা আমার জীবনে আগেও এসেছিল... অথবা এরকম কথা-বার্তা যেন আগেও কোথায় শুনেছেন। কিন্তু আপনি আবার জানেন, এটা হতেই পারে না। ইংরেজীতে এই অনুভূতিটাকে বলে 'দেজা ভু।' বাংলায় এক শব্দে এই অনুভূতি প্রকাশ করা কঠিন। কিন্তু 'দেজা ভু' আসলে কেন হয়, কখন আমরা এরকম অনুভূতির মুখোমুখি হই? ১. বেড়াতে গেলে 'দেজা ভু' হয় এই জায়গাটা কি আমি আগেও দেখেছি? সাধারণত কোন জায়গায় বেড়াতে গেলেই আমরা 'দেজা ভু'র মতো অনুভূতির মুখোমুখি হই। 'দেজা ভু গবেষক ক্রিস মোলিনের মতে, যখন আমরা যখন একেবারে নতুন কোন জায়গা বা অভিনব কোন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই, তখনই এই অনুভূতিটা সবচেয়ে প্রবল হয়। তার মতে, একেবারে অপরিচিত জায়গায় গিয়ে যখন আমাদের জায়গাটা চেনা বলে মনে হতে থাকে, আবার এটাও জানি যে সেখানে আমরা আগে কখনো যাই নি, তখন এই দুয়ের মধ্যে একটা বিরাট দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যত বেশি ভ্রমণ করে, তত বেশি 'দেজা ভু'র অনুভূতি হয়। ২. তরুণ বয়সীদের বেশি দেজা ভু হয় এর আগে কতবার এই পাহাড়ের চূড়াউ উঠেছেন? যখন আপনার বয়স কম থাকে, তখন আপনার অনেক বেশি ঘন ঘন দেজা ভু হয়। তবে সাধারণত মাসে একবারের বেশি নয়। যখন আপনার বয়স যখন ৪০ বা ৫০ এর কোঠায়, তখন দেজা ভুর এই হার কমে আসে। আর বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলে আপনার যদি বছরেও একবার দেজাভু হয়, তাহলে আপনাকে সৌভাগ্যবানই বলতে হবে। ৩. অনেক মানুষের দিনভর দেজা ভু হয় ডেজা ভু হতে পারে মজার অভিজ্ঞতা, কিন্তু খুব দীর্ঘ সময় ধরে যদি এই অভিজ্ঞতা হয় সেটা আবার যন্ত্রণাদায়ক বেশিরভাগ মানুষের জন্য এই দেজা ভু হচ্ছে এক বিরল এবং খুবই ক্ষণস্থায়ী একটি মূহুর্তের অভিজ্ঞতা। তবে এমন বিরল ঘটনাও আছে, যেখানে কোন কোন মানুষের জন্য এই দেজা ভু এক মারাত্মক সমস্যা। যুক্তরাজ্যের মানচেস্টারের বাসিন্দা লিসা সেরকম একজন। লিসার বয়স যখন ২২ বছর, তখন থেকে তিনি দীর্ঘসময়ের জন্য দেজা ভুর মুখোমুখি হতে শুরু করেন। তার দেজা ভু হতো সারাদিন ধরে। আরও পড়ুন: শিশুদের 'মানসিক সমস্যা তৈরি করছে' সোশ্যাল মিডিয়া একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার ৯টি উপায় মানসিক রোগীকে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন "সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরই আমার কোন কোন দিন দেজা ভু শুরু হতো, আমার মনে হতো যা কিছু ঘটছে তার সবই যেন আগেও ঘটেছে।" লিসা আরও ঘন ঘন দেজা ভুর মুখোমুখি হতে শুরু করেন। তার সমস্ত ইন্দ্রিয়ের ওপর এর প্রভাব পড়ে। লিসা পরে জানতে পারেন তার এই ঘন ঘন দেজা ভুর সঙ্গে সম্পর্ক আছে বিরল এক ধরণের 'এপিলেপসি' বা মৃগি রোগের। এটিকে বলা হয় 'টেম্পোরাল লোব এপিলেপসি'। পরে অবশ্য তিনি এর চিকিৎসা নিতে পেরেছিলেন। ৪.মস্তিস্কের ভুল সংকেতের কারণে ঘটে দেজা ভু দুটি পথ, একটাই স্মৃতি যারা নিয়মিত এবং প্রবল দেজা ভুর মুখোমুখি হন, তাদের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা এর সম্ভাব্য কারণ বুঝতে পেরেছেন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আমাদের এই দেজা ভুর অনুভূতির জন্য দায়ী হচ্ছে মস্তিস্কের এমন একটি অংশ, যার নাম 'টেম্পোরাল লোব' মস্তিস্কের এই অংশটির কোন সার্কিট থেকে যখন কোন স্মৃতির সংকেত দেয়া হয়, যেটা আসলে তখন দেয়ার কথা নয়, তখনই ঘটে দেজা ভু। এটাই আমাদের মধ্যে কোন স্থান বা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিভ্রম তৈরি করে। মনে হয় কোথায় যেন দেখেছি আগে! তবে এ নিয়ে আরও নানা তত্ত্ব আছে। যেমন কারও কারও মতে, দুটি সমান্তরাল মহাবিশ্বের (প্যারালাল ইউনিভার্স) সংঘাতে দেজা ভু হয়! আর কেউ কেউ তো এটিকে 'পুনর্জন্মের' তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চান। ৫. মস্তিস্কের 'তথ্য যাচাই ব্যবস্থা' আমাদের ফিরিয়ে আনে বাস্তব জগতে আমাদের মস্তিস্কে কি একটা 'ব্যাক-আপ' সার্কিট আছে? বিজ্ঞানীদের ধারণা আমাদের মস্তিস্কে দ্বিতীয় একটি ব্যবস্থা সক্রিয় যেটি আসলে 'টেম্পোরাল লোবে' কী ঘটছে তার ওপর নজর রাখে। এটাকে বর্ণনা করা হচ্ছে এক ধরণের 'তথ্য যাচাই ব্যবস্থা' হিসেবে। দেজা ভু হওয়ার পর যখন আমরা বিভ্রান্তিতে ভুগি, তখন মস্তিস্কের এই অংশটি সেই বিভ্রান্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। ৬. আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে আপনি ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা দেজা ভু আপনাকে করে তুলতে পারে ভবিষ্যতদ্রষ্টা খুব প্রবল কোন দেজা ভুর সময় আপনার হয়তো এমন মনে হতে পারে যে ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা আপনি বলে দিতে পারেন। গবেষক ক্রিস মোলিন বলছেন, আমাদের মস্তিস্ক আসলে আমাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করে। "আমাদের স্মৃতি তো থাকে এই কারণেই। একই ভুল আমরা যাতে বার বার না করি এবং কী ঘটতে যাচ্ছে সেটা যেন আমরা আঁচ করতে পারি।" কাজেই যখন আপনার 'দেজা ভু'র সময় মস্তিস্কের আরও অনেক অংশে এর প্রভাব পড়ে, তখন এটি আপনার আবেগকে স্পর্শ করতে পারে। আপনার স্মৃতিতে জমা ছবি এরকম একটা ধারণা আপনাকে দিতে পারে যে, আপনি জানেন এর পর কী ঘটতে চলেছে! ৭. 'দে জাভু'র বিপরীত অনুভূতির নাম 'জামাইস ভু' 'জামাইস ভু'- যখন চিরচেনা কাউকেও মনে হবে অচেনা অনেক সময় কোন পরিচিত কিছু দেখেও আমাদের অদ্ভূত অনুভূতি হয়, এটাকে বলা হয় 'জামাইস ভু'। পরিচিত কোন মানুষের চেহারা দেখে আপনার এরকমটা মনে হতে পারে। আপনার মনে হতে পারে লোকটি আপনার অপরিচিত। ৮. দে জাভু শব্দটি যিনি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এমিল বইরাচ: দেজা ভু শব্দটি যিনি প্রথম ব্যবহার করেন একজন প্যারা-সাইকোলজিস্ট এমিল বইরাচ 'দেজা ভু' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। ১৮৭৬ সালে তিনি একটি চিঠি লেখেন ফরাসী জার্নাল 'ফিলোসফিকে।' সেখানে তিনি এই 'আগে যেন দেখেছি'র অনুভূতি বর্ণনা করেছিলেন 'দেজা ভু' শব্দটি দিয়ে। বহুদিন পর্যন্ত 'দেজা ভু'কে একটি প্যারা-নরমাল বা 'অস্বাভাবিক' অভিজ্ঞতা বলে মনে করা হতো। | এটা একটা অদ্ভূত অনুভূতি। মনে হবে এ জায়গাটায় আপনি যেন আগেও এসেছিলেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | নাইন ইলেভেন নিয়ে করা মন্তব্যের পর ইলহান ওমরকে ঘিরে বিতর্কের ঝড়। নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে তার এক মন্তব্যের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে তাকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি এই বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে আরও। ইলহান ওমরের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র বাদানুবাদ চলছে রাজনীতিতে এবং গণমাধ্যমে। ইলহান ওমর তার এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম বিদ্বেষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে নাইন ইলেভেনের হামলার প্রসঙ্গ টেনেছিলেন এবং এই হামলাকে 'সাম পিপল ডিড সামথিং' বলে বর্ণনা করেছিলেন। এরপর তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিওর পাশাপাশি ইলহান ওমরের মন্তব্য জুড়ে দিয়ে সেটি টুইট করেন। রিপাবলিকানরা অভিযোগ করেন, ইলহান ওমর নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলাকে হালকাভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা ইলহান ওমরকে সমর্থন করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইলহান ওমর এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছেন। ঠিক কিভাবে এই বিতর্কের শুরু এবং কেন এটি এত উত্তেজনা তৈরি করেছে মার্কিন রাজনীতিতে? ইলহান ওমর কে? গত নভেম্বরের নির্বাচনে মিনেসোটার একটি আসন থেকে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য নির্বাচিত হন ইলহান ওমর। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম দুজন মুসলিম মহিলা কংগ্রেসের সদস্য হন, ইলহান তাদের একজন। তিনি হচ্ছেন প্রথম কংগ্রেসের প্রথম কোন মহিলা সদস্য, যিনি হিজাব পরেন। ইলহান ওমরের পরিবার সোমালিয়া থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আসেন। ইলহান ওমরের পরিবার উদ্বাস্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন সোমালিয়া থেকে কংগ্রেস সদস্য হিসেবে শুরু থেকেই ইলহান ওমরকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। ইসরায়েল এবং ইসরায়েলপন্থী লবি নিয়ে মন্তব্যের কারণে তাকে 'অ্যান্টি সেমেটিক' বা ইহুদী বিদ্বেষী বলে বর্ণনা করেন ডানপন্থী সমালোচকরা। পরে অবশ্য ইলহান ওমর তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। একজন মুসলিম কংগ্রেস সদস্য হিসাবে ইতোমধ্যে তিনি নানা ধরণের হুমকিরও মুখে পড়েছেন। তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় নিউ ইয়র্কের পুলিশ সম্প্রতি ৫৫ বছর বয়সী এক লোককে গ্রেফতার করে। এই লোকটি ইলহান ওমরকে সন্ত্রাসী বলে বর্ণনা করেছিল। কী বলেছিলেন ইলহান ওমর? 'সাম পিপল ডিড সামথিং' বা কিছু লোক কিছু একটা করেছিল' কথাটি ইলহান ওমর সম্প্রতি দেয়া এক বক্তৃতায় বলেছিলেন। গত ২৩শে মার্চ তিনি কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ২০ মিনিটের ঐ ভাষণে তিনি ইসলামোফোবিয়া থেকে শুরু করে সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসবাদী হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি কথা বলছিলেন, নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের কী ধরণের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। "এই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। বহু দিন ধরে আমাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে একটা অস্বস্তি নিয়ে বসবাস করতে হয়েছে এবং সত্যি কথা বলতে কি, আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এই দেশের প্রতিটি মুসলিমেরও তাই হওয়া উচিৎ। নাইন ইলেভেনের পর কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স স্থাপন করা হয়েছিল। কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল, কিছু লোক কিছু একটা করেছে এবং এখন আমাদের সবাই নাগরিক অধিকার হারাতে শুরু করবো।" কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স আসলে স্থাপিত হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা এই তথ্যটি যাচাই করে প্রকাশ করার পর ইলহান ওমরের একজন মুখপাত্র অবশ্য বলেন, তিনি ভুল বলেছেন এবং তিনি আসলে বলতে চেয়েছিলেন নাইন ইলেভেনের হামলার পর এই সংগঠনের আকার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এই বির্তক কীভাবে ছড়ালো? ইলহান ওমরের এই বক্তৃতা গত ৯ই এপ্রিল থেকে সবার মনোযোগ কাড়তে শুরু করে। কারণ টেক্সাসের এক রিপালিকান কংগ্রেস সদস্য ড্যান ক্রেনশ তার বক্তৃতাকে 'অবিশ্বাস্য' বলে বর্ণনা করেন। এরপর বিষয়টি লুফে নেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ সহ অন্যান্য রক্ষণশীল মিডিয়া, তারা এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। 'মুসলিম বিরোধী পোস্টার':ক্ষুব্ধ মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাশিদা, ইলহান: কংগ্রেসে প্রথম দুই মুসলিম নারী 'ইসলাম বিদ্বেষ কমছে, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক' যাদের মতে টুইন টাওয়ার বিমানের আঘাতে ভাঙে নি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান ইলহান ওমরকে 'অ্যান্টি আমেরিকান' বলে বর্ণনা করেন। এর পাল্টা ইলহান ওমর একে 'বিপদজনক উস্কানি' বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'কারণ আমি এখনই মৃত্যুর হুমকির মধ্যে আছি।' ইলহান ওমর নাইন ইলেভেনের ব্যাপারে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের একটি মন্তব্য পোস্ট করে বলেন, তিনিও কী তাহলে নাইন ইলেভেনের হামলাকে খাটো করে দেখাচ্ছিলেন? এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। তারা পত্রিকার প্রথম পাতায় নাইন ইলেভেনের হামলার একটি ছবি প্রকাশ করে ওপরে হেডলাইন দেয়: 'হিয়ার ইজ ইয়োর সামথিং।' নিউ ইয়র্ক পোস্টের এই শিরোণাম বিতর্কটিকে আরও তিক্ত করে তোলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর পক্ষে বিপক্ষে শুরু হয় তর্ক। নাইন ইলেভেনের ছবি ব্যবহারের জন্য অনেকে পত্রিকাটির সমালোচনা করে। নিউ ইয়র্কের যে কর্নার শপগুলোতে পত্রিকা বিক্রি হয়, যেগুলোর বেশিরভাগই ইয়েমেনিরা চালায়, তারা পত্রিকাটি বর্জনের ঘোষণা দেয়। এই বিতর্ককে কীভাবে দেখছে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই বিতর্কে ইলহান ওমরকে সমর্থন দিচ্ছেন। শুক্রবার টুইটারে 'স্ট্যান্ড-উইথ-ইলহান' হ্যাশট্যাগটি ট্রেন্ড করছিল। ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃস্থানীয় রাজনীতিকরা ইলহানের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন প্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে "একজন নারী কংগ্রেস সদস্যের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার' অভিযোগ তোলেন। আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, ইলহান ওমরের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ 'ন্যাক্কারজনক এবং বিপদজনক।" | যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মুসলিম মহিলা সদস্য ইলহান ওমরকে ঘিরে গত কদিন ধরে চলছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | দিল্লির একটি হাসপাতালে স্ট্রেচারে করে রোগীকে নিয়ে আসছেন তাদের আত্মীয়রা এই একই সময়সীমার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২৭৬৭ জন, সেটিও ভারতে নতুন রেকর্ড। দেশের রাজধানী দিল্লি এই মুহুর্তে সবচেয়ে দুর্গত এলাকাগুলোর একটি, সেখানে বহু হাসপাতাল বেড নেই বলে রোগীদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে - এবং শহরে রোজ অজস্র রোগী শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দেশবাসীদের উদ্দেশে তার নিয়মিত রেডিও ভাষণে মন্তব্য করেছেন, ভারতীয়দের 'দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা কতটা' করোনা এখন তারই পরীক্ষা নিচ্ছে। বস্তুত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মিলিয়ে রাজধানী দিল্লির স্বাস্থ্য অবকাঠামো যে অন্তত বাকি দেশের তুলনায় অনেকগুণ ভালো - তাতে কোনও সন্দেহ নেই। অক্সিজেনের অভাবে বহু হামপাতাল রোগীদের ভর্তি নিচ্ছে না কিন্তু হাজারে হাজারে কোভিড রোগীর চাপ ও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব মাত্র দিনসাতেকের মধ্যে সেই পরিষেবাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। শত শত রোগীর পরিজনরা একটা কোভিড বেডের জন্য উদভ্রান্ত হয়ে ছোটাছুটি করছেন, অথচ হাসপাতালগুলো নতুন রোগী নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রবিবার সকালেই সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ফোর্টিস এসকর্টস হার্টস ইনস্টিটিউটের নাম, এই নামী বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন আর একজন রোগী ভর্তি নেওয়ার মতো অক্সিজেনও তাদের স্টকে নেই। এর আগে গতকালই জয়পুর গোল্ডেন নামে দিল্লির আর একটি হাসপাতালে অন্তত বিশজন কোভিড রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন। রাজধানীর যখন এই হাল - তখন বাকি দেশের অবস্থা খুব সহজেই অনুমেয়। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্রতার পেছনে কারণ যা বলা হচ্ছে যে দুটো জিনিসের জন্য চরম হাহাকার ভারতের সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে ভারতের হাসপাতালে ২২ রোগীর মৃত্যু কোভিডে প্রিয়জনকে হারানো একজনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন পরিবারের অন্যরা। দিল্লির একটি হাসপাতালের সামনে নাগপুরের বাসিন্দা মহম্মদ ইলিয়াস বলছিলেন, "আমি নিজের জামাতাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে শুনি ভেন্টিলেটর নেই, ভর্তি হবে না।" "তখন পরিচিত একজন ফোন করে জানায়, দেড়শো কিলোমিটার দূরে অমরাবতীতে একটা অক্সিজেন-ওয়ালা বেড পাওয়া যাচ্ছে, তখন শ্বাসকষ্টে ভোগা মরণাপন্ন জামাতাকে অনেক কষ্ট করে অত দূরেই নিয়ে যাই।" ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীরাও এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে গিয়ে যথারীতি হাঁফিয়ে উঠছেন। ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশালিস্ট ড: শাশ্বতী সিনহা যেমন বিবিসিকে বলছিলেন, "আমাদের সব হাসপাতালে একেবারে শোচনীয় অবস্থা ... রোগীদের অকিসেজেন স্যাচুরেশন হু হু করে কমছে, তাদের ভেন্টিলেটরে দিতে হচ্ছে।" "ভয়ার্ত জুনিয়র ডাক্তাররা আমাদের সারাক্ষণ আইসিইউ-তে ডাকাডাকি করছেন - কোভিড আইসিইউ-এর অবস্থা এক কথায় মর্মান্তিক।" "প্রতিদিন এত বিপুল সংখ্যায় রোগীকে ভর্তি করতে হচ্ছে, গত বছর কিন্তু এ জিনিস আমরা দেখিইনি।" কিন্তু মাত্র দু-তিনসপ্তাহের মধ্যে মোটামুটি স্থিতিশীল থেকে ভারতের কোভিড পরিস্থিতি এরকম বিপজ্জনক হয়ে উঠল কীভাবে? ভারতের নামী ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিলের মতে, যেভাবে ভারতে কেসের সংখ্যা বেড়েছে - তা আসলেই চমকে দেওয়ার মতো। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, "এদেশে ১০ থেকে ১১ মিলিয়ন কেস হতে সময় নিয়েছিল ৬৬ দিন। অথচ ১১ থেকে ১২ মিলিয়ন হয়েছে ৩৪ দিনে, আর পরের ১ মিলিয়ন বেড়েছে মাত্র পনেরো দিনের ভেতর।" "অথচ গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই আমরা বলছিলাম যথেষ্ঠ সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়ে গেছেন এবং গ্রাফ এখন নিম্নমুখী হতে বাধ্য।" "তাহলে হঠাৎ কী এমন হল যে এত লোক আবার আক্রান্ত হচ্ছেন? এর একটাই সম্ভাব্য ব্যাখ্যা - ভাইরাসটা পরিবর্তিত হয়েছে, নিজেকে মিউটেট করেছে", বলছিলেন ড: জামিল। হাসপাতালে বেড না-পেয়ে বাইরে স্ট্রেচারে শুয়েই কাতরাচ্ছেন রোগীরা এই পটভূমিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তাঁর 'মন কি বাত' শীর্ষক মাসিক বেতার ভাষণে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মহামারির প্রথম ধাক্কা সামলানোর পর দেশের যে মনোবল ছিল তা এখন ভেঙে পড়ার মুখে। তিনি আজ দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, "করোনা এখন সকলের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে, শোক-দু:খ সইবার ক্ষমতা কতটা তার পরীক্ষা নিচ্ছে। বহু প্রিয়জন অসময়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।" "করোনার ফার্স্ট ওয়েভ সাফল্যের সঙ্গে সামলানোর পর আমাদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। কিন্তু এই ঝড় আমাদের দেশকে এখন কাঁপিয়ে দিচ্ছে।" রাজ্য সরকারগুলোকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে কেন্দ্র এই বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও মি মোদী আজ ঘোষণা করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশের জনসংখ্যার মোটামুটি চল্লিশ শতাংশকে টিকা দেওয়া না-পর্যন্ত ভারতে মহামারির এই প্রকোপ স্তিমিত হওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে না - কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ভারতের এখনও অনেক রাস্তা বাকি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিনটি তিন টুকরো হয়ে সমুদ্রের তলায়, ৫৩ নাবিক নিহত বাংলাদেশে আবারো শতাধিক মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ১১ হাজার ছাড়ালো বাংলাদেশে কাল থেকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকাদান বন্ধ | ভারতে আজ নিয়ে টানা চারদিন ধরে দৈনিক কোভিড সংক্রমণের বিশ্বরেকর্ড ক্রমাগত ভেঙেই চলেছে - আজ সকালে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত চব্বিশ ঘন্টায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | করোনাভাইরাস কিন্তু এ ভাইরাসটির প্রকৃতি এবং কিভাবেই বা তা রোধ করা যেতে পারে - এ সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা বিশদভাবে জানার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে জরুরি স্বাস্থ্য সতকর্তা ঘোষণা করা হবে কীনা এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সারা বিশ্ব থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এক জরুরী বৈঠকে বসেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে ছড়ায়? করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস - যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৭টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি হয়তো ইতিমধ্যেই 'মিউটেট করছে' অর্থাৎ নিজে থেকেই জিনগত গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে - যার ফলে এটি আরো বেশি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি অত্যন্ত দ্রুত ছড়াতে পারে এবং সোমবারই বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে এ ভাইরাস একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে। এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে । রহস্যময় ভাইরাস আরো ছড়িয়েছে, বাংলাদেশে সতর্কতা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় এক দশক আগে সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারের বেশি লোক। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে কী লক্ষণ দেখা যায়? করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, জ্বর এবং কাশি। কিন্তু এর পরিণামে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং মৃত্যু ঘটতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তার পর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহ পর দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট এবং তখন কোন কোন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এর কি কোন চিকিৎসা আছে? যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো নেই, এবং এমন কোন চিকিৎসাও নেই যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। তাহলে এর হাত থেকে রক্ষা পাবার উপায় কী? একমাত্র উপায় হলো, যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে বা এ ভাইরাস বহন করছে - তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। তা ছাড়া ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন বার বার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা। ম্যাকাওতে একজনের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. গ্যাব্রিয়েল লিউং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এ নির্দেশনায় বলছেন, হাত সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, বার বার হাত ধুতে হবে। "হাত দিয়ে নাক বা মুখ ঘষবেন না, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরতে হবে।" "আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে মুখোশ পরুন, আর নিজে অসুস্থ না হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মুখোশ পরুন" - বলেন তিনি। উহান শহরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসে কমপক্ষে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মী নিজেরাই এতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগের উৎপত্তি কোথায়, কীভাবে? মধ্য চীনের উহান শহর থেকে এই রোগের সূচনা। ৩১শে ডিসেম্বর এই শহরে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে প্রথম চীনের কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এর পর ১১ই জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। উহান শহরের বিমানবন্দরে সতর্কবাণী তবে বিশেষজ্ঞরা অনেকে বলছেন, আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি, এমনকি এক হাজারেরও বেশি লোক এ ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকতে পারে। সাধারণত ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকার পর তার দেহে সংক্রমণের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে কয়েকদিন সময় লাগে। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল তা এখনও নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করতে পারেন নি বিশেষজ্ঞরা। 'ভাইরাসটি ছড়িয়েছে কোন প্রাণী থেকে' তবে তারা বলছেন, সম্ভবত কোন প্রাণী এর উৎস ছিল। প্রাণী থেকে প্রথমে ভাইরাসটি কোন মানুষের দেহে ঢুকেছে, এবং তারপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। এর সাথে উহান শহরে সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজারে গিয়েছিল এমন লোকদের সম্পর্ক আছে এবং ওই বাজারটিতে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হতো বলে বলা হচ্ছে। ভাইরাসটি এখন চীনের অন্যান্য শহর এবং চীনের বাইরে থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এই ব্যক্তি উহানে গিয়েছিলেন বলেও জানানো হয়। এ ভাইরাস যেন আরো না ছড়ায় সে জন্য অনেক বিমানবন্দরেই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে সোয়াইন ফ্লু বা ইবোলার ক্ষেত্রে যেমন হয়েছিল - তেমনি এই করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য আন্তর্জাতিক জরুরি সতর্কতা জারি করা হবে কিনা - সে ব্যাপারে বুধবারই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত নেবার কথা। | করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে চীনসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে যে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে - তাতে এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমিত হয়েছে অন্তত ৪৪০ জন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | জেয়রাজ ও বেনিক্সের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এসেছেন চার্চের যাজক ৬২ বছর বয়সী পি জেয়রাজ ও তার ছেলে জে বেনিক্সের একমাত্র অপরাধ ছিল তারা করোনাভাইরাস লকডাউনে নির্ধারিত সময়ের পরেও নিজেদের মোবাইল ফোনের দোকান খুলে রেখেছিলেন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট এখন এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও তাদের কঠোরতম শাস্তি দাবি করছে। তামিলনাডুর তুতিকোরিন শহরের কাছে সাথানকুলামের বাজারে একটি ছোটখাটো মোবাইল ফোনের দোকান চালাতেন পি জেয়রাজ। লকডাউনের সময় পুলিশের বাড়াবাড়ি নিয়ে তার কোনও মন্তব্য স্থানীয় এক অটোচালক পুলিশের কানে পৌঁছে দিয়েছিল – পরদিন ১৯ জুন সন্ধ্যায় পুলিশ এসে তাকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ করা হয়, তিনি সন্ধ্যাবেলা নির্ধারিত সময়ের পরও নাকি দোকান খুলে রেখেছিলেন। যেভাবে চালানো হয় অত্যাচার ও মারধর বাবাকে আটক করার খবর পেয়ে তার ছেলে জে বেনিক্স (৩২) থানায় ছুটে গেলে দেখতে পান, সেখানে তাকে প্রচন্ড মারধর করা হচ্ছে। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকেও পুলিশ লকআপে ঢুকিয়ে নেয় – এবং পরবর্তী কয়েক ঘন্টা ধরে দুজনের ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার ও নির্যাতন। ঠিক চারদিন পর জেয়রাজ ও বেনিক্সের লাশ পায় তার পরিবার। জেয়রাজ ও বেনিক্সের অন্তিম যাত্রায় ভিড় করে এসেছিলেন শত শত মানুষ। ২৬শে জুন জেরাজের মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, "ওরা যেভাবে বাবা ও ভাইকে মেরেছে তা বর্ণনা করা যায় না। ১৯ তারিখ সারা রাত থানার বাইরে দাঁড়িয়ে আমরা ওদের আর্তনাদ শুনেছি।" "২০ তারিখ সকালে পুলিশ যখন ওদের হাসপাতালে নিয়ে যায়, বাবার ভেস্তি (লুঙ্গি) আর ভাইয়ের প্যান্ট তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পুলিশ আমাদের বলে, গাঢ় রঙের লুঙ্গি দিতে।" "সে দিনই জেল হেফাজতে নিয়ে তাদের ওপর আবার অত্যাচার শুরু হয়।" পি জেয়রাজের শ্যালক জোসেফ পরে জানিয়েছেন, পুলিশ যখন ২০ তারিখ তাদের আদালতে নিয়ে যায় তখন ম্যাজিস্ট্রেট দোতলা থেকেই হাত নেড়ে তাদের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেছিলেন – পুলিশ ভেতরে পর্যন্ত ঢোকেনি। পরের প্রায় বাহাত্তর ঘন্টা পরিবার আর তাদের কোনও খোঁজ পায়নি। ২৩শে জুন জেয়রাজ ও বেনিক্সের মৃতদেহ পাওয়ার পর দেখা যায়, তাদের দুজনেরই যৌনাঙ্গ থেকে প্রবল রক্তক্ষরণ ও সারা শরীরে ব্যাপক মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবি পুলিশের হেফাজতে এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে রাজ্যে প্রতিবাদ শুরু হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই, যার রেশ এখন দিল্লি-সহ সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ছে। তামিলনাডুতে বিরোধী দল ডিএমকের সিনিয়র এমপি কানিমোরি বিবিসিকে বলছিলেন, "এটা আসলে একটা খুন – পুলিশের হাতে ঠান্ডা মাথায় খুন। সেভাবেই এর তদন্ত করতে হবে।" "এই চরম অত্যাচারের জন্য অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করাই যথেষ্ঠ নয়, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তারও করতে হবে।" "ঠিক সময়ে দোকান বন্ধ করা হয়নি, এই অপরাধে কারও বিরুদ্ধে বড়জোর এফআইআর হতে পারে – কিন্তু কীভাবে পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে সারা রাত লক-আপে নির্যাতন করে?", প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অভিযুক্ত চারজন পুলিশকর্মীকে প্রথমে সাসপেন্ড করা হলেও মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ গতকাল তাদের বিরুদ্ধে খুনের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। জেয়রাজ ও বেনিক্সের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টও বন্ধ খামে করে তুলে দেওয়া হয়েছে আদালতের হাতে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জয়শ্রী বাজোড়িয়া প্রবল চাপের মুখে তামিলনাডু সরকার এদিন রাজ্যের পুলিশ কাঠামোতেও বড়সড় রদবদল করতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশি নির্যাতনের সংস্কৃতি কবে বন্ধ হবে? মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক জয়শ্রী বাজোড়িয়া বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "আসলে পুলিশে সংস্কারের প্রক্রিয়া ভারতে বহুদিন ধরেই বন্ধ হয়ে গেছে।" "জেয়রাজ ও বেনিক্সের মৃত্যুকেও কিছুতেই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যাবে না।" "জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য এদেশের পুলিশ আখছার নির্যাতনের আশ্রয় নেয়, গ্রেপ্তারির যে সব নিয়মকানুন আছে তার কোনও ধার ধারে না।" "আমরা শুধু আশা করতে পারি, জেয়রাজ-বেনিক্সের মৃত্যুতে যে ধরনের তুমুল ক্ষোভের বহি:প্রকাশ দেখা যাচ্ছে তাতে পুলিশের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সরকার হয়তো এবার কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে।" নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের যে সনদ আছে, ভারত তাতে স্বাক্ষর করলেও আজ পর্যন্ত নিজের দেশে তা র্যাটিফাই বা অনুমোদন পর্যন্ত করেনি। পুলিশ হেফাজতে বাবা ও ছেলে, জেয়রাজ ও বেনিক্সের নির্মম মৃত্যু প্রশাসনিক উদাসীনতার সেই করুণ ছবিটা কিছুটা হলেও পাল্টাতে পারে বলে মানবাধিকার কর্মীরা এখন আশা করছেন। করোনাভাইরাসে ষাটোর্ধ বয়সের মানুষের মৃত্যুর হার বেশি নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় | দক্ষিণ ভারতের তামিলনাডুতে একজন প্রৌঢ় দোকানদার ও তার ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে অকথ্য যৌন নির্যাতন করে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ‘কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি'র সাফল্য নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা মনে করছেন, এদের রক্তে আছে এমন এক উপাদান, যা করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই রক্ত ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় যে কৌশল অবলম্বনের কথা চিন্তা করছেন তাকে বলে ‘কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি।’ চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সাধারণত কোন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে সেরে উঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই রক্ত সঞ্চালিত করা হয় একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুর মহামারি এবং ১৯৩০ এর দশকে হামের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছিল। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলা, সার্স এবং ‘এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান’ এর মতো রোগের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছে। কতটা কার্যকর এই চিকিৎসা ‘কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি’ নিয়ে প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা আশার আলো দেখছেন, তবে এখনো তারা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেন না এটি পুরোপুরি কাজ করবে কীনা। চীনে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর সেখানে প্রথম এটি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। শেনঝেন পিপলস হাসপাতাল এনিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে ২৭শে মার্চ। চীনের ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ’ এই হাসপাতালেই। ৩৬ হতে ৭৩ বছর বয়সী পাঁচজন রোগীর ওপর এই পদ্ধতিতে চালানো চিকিৎসার ফল বর্ণনা করা হয়েছে এতে। কোভিড-নাইনটিন থেকে সেরে উঠা রোগীদের রক্ত সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-নাইনটিন থেকে পুরোপুরি সেরে উঠা পাঁচজনের রক্ত সঞ্চালিত করা হয় এই পাঁচ রোগীর দেহে। ১২ দিনের চিকিৎসার পর এদের সবাই পুরোপুরি সেরে উঠেছেন বলে চীনা গবেষকরা দাবি করছেন। এই পদ্ধতির সাফল্য ব্যাপক ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এখনো সম্পূর্ণ প্রমানিত নয়। তারপরও এটির মধ্যে কিছু সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? যুক্তরাষ্ট্রে কনভালেসেন্ট প্লাজমা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের একজন ডঃ লুইস কাটয। তিনি বলছেন, কোভিড-নাইনটিনের চিকিৎসায় সেরকম কিছু যেহেতু এখনো পর্যন্ত নেই, তাই তারা কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিকে একটি সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেস টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এটি যে বেশ উপকারি হতে পারে সেরকম ঐতিহাসিক নজির আমাদের কাছে আছে। আর এরকম তথ্য-উপাত্তও আমাদের কাছে আছে যা দেখে আমরা মনে করছি এই পদ্ধতি নিরাপদ।” যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন গত সপ্তাহেই কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। কেবল গুরুতর অসুস্থ কোভিড-নাইনটিন রোগীদের জরুরী চিকিৎসায় ডাক্তাররা এই থেরাপি ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানাচ্ছে লস এঞ্জেলস টাইমস। হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতাল যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই থেরাপি ব্যবহার করেছে। রক্ত সংগ্রহের হিড়িক কোভিড-নাইনটিন থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠা রোগীদের রক্ত সংগ্রহের জোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নিউ ইয়র্ক ব্লাড সেন্টার গত সপ্তাহ থেকে এরকম রোগীদের রক্ত সংগ্রহ শুরু করেছে। আমেরিকান রেডক্রস সম্ভাব্য রক্তদাতাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলেছে। ‘কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি' নিয়ে চীনেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। রক্তদাতারা যখন রক্ত দিতে আসবেন তাদের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে। প্রথমত তাদের কোভিড-নাইনটিন হয়েছিল কিনা। দ্বিতীয় পরীক্ষায় দেখা হবে তারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিনা, অর্থাৎ এখন তাদের কোভিড-নাইনটিন পরীক্ষার ফল নেগেটিভ কিনা। আর তাদের প্রথম কোভিড-নাইনটিনের লক্ষণ দেখা দেয়ার পর ২৮দিন পার হয়েছে কিনা। কোভিড-নাইনটিন থেকে সেরে উঠা এরকম এক রোগী নিউ ইয়র্কের ডায়ানা বেরেন্ট এখন তার রক্ত দেয়ার জন্য উদগ্রীব। মার্চের মাঝামাঝি তার লক্ষণ ধরা পড়েছিল। লং আইল্যান্ড এলাকায় যাদের প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে, তিনি তাদের একজন। এ সপ্তাহে তার রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। যদি তার রক্তে যথেষ্ট ‘এন্টিবডি’ পাওয়া যায়, অন্য রোগীদের জন্য তার রক্ত সংগ্রহ করা হবে। ডায়ানা বেরেন্ট বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “এক অভূতপূর্ব, ভীতিকর সময় পার করছি আমরা। সবকিছুই এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। করোনাভাইরাস থেকে আমরা যারা সেরে উঠেছি, আমরা যদি এভাবে রক্ত দিয়ে অন্যদের প্রাণ বাঁচাতে পারি, আমরা হতে পারি সুপারহিরো।” আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে মসজিদে জামাতে বিধিনিষেধ, তাবলীগের কর্মকাণ্ড বন্ধ জাতীয় কমিটির প্রধান হয়েও সিদ্ধান্তের কথা জানেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু, দুরকম তথ্য দিলো সরকার এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো একটি বাঘ | কোভিড-নাইনটিন আক্রান্ত যেসব মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্লাড ডোনেশন সেন্টারগুলিতে এখন তাদের রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ৬৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করল আওয়ামী লীগ এ অঞ্চলের প্রাচীন এই দলটি তৈরি হয়েছিল, যখন বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অংশ, এবং দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। দীর্ঘ উত্থান পতনের ধারাবাহিকতায় দলটি এখন আট বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের শাসনক্ষমতায় আছে এবং এবারই তারা সবচাইতে দীর্ঘসময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে। ১৯৪৯ সালের তেইশে জুন ঢাকার টিকাটুলিতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যে দলটি আত্মপ্রকাশ করেছিল সেই দলটিই আজকের আওয়ামী লীগ। দল আত্মপ্রকাশের ছয় বছরের মাথায় দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়া হয়, উদ্দেশ্য দলে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চ্চা এবং অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। ১৯৬৬ সালে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে যে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয় আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সেটাকেই মনে করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম একটি পদক্ষেপ। এরপর ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগের ভূমিকা দলটিকে এই অঞ্চলের একক বৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত করে ফেলে আর শেখ মুজিবর রহমান পরিণত হন দলের অবিসংবাদিত নেতায়। এর সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যুক্ত হওয়ায় শেখ মুজিব আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বলা হয় সেই জনপ্রিয়তাই সত্তর সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দেয়। ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিল, যার ধারাবাহিকতায় এখন স্বাধীন বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার পর সরকার প্রধান হন দলের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যম্ভাবীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পেল আওয়ামী লীগ, সরকার প্রধান হলেন দলের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি এক পর্যায়ে গিয়ে ১৯৭৫ সালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করে দিয়ে চালু করলেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ বা বাকশাল নামের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের বক্তব্য এই বাকশাল গঠন আওয়ামী লীগকে তাদের এতদিনকার আদর্শ থেকে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। ''আমি মনে করি সেটি একটি বড় ভুল ছিল। হয়ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন ছিল, কিন্তু, আরো বেশি সময় নিয়ে আরো বেশি জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে, এই বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব ছিল,'' বলেন মিঃ ইসলাম। ঘটনার ধারাবাহিকতায় সপরিবারে খুন হন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ মুজিবর রহমান, দীর্ঘদিনের জন্য সামরিক সরকারের শাসনে চলে যায় বাংলাদেশ এবং বিরাট ছন্দপতন নেমে আসে আওয়ামী লীগে। ১৯৮১ সালে শেখ মুজিবর রহমানের বেঁচে যাওয়া দুই মেয়ের বড়জন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করার পর আওয়ামী লীগের এই ছন্দপতন দূর হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে যে স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় তার অন্যতম শরীক হয় আওয়ামী লীগ, যুগপৎ আন্দোলনে স্বৈরশাসকের পতন হয়, এবং ১৯৯০ সালের একটি সাধারণ নির্বাচনে দীর্ঘ সময় পর আওয়ামীলীগ অংশ নিলেও পরাজিত হয়ে বিরোধী দলে পরিণত হয়। দীর্ঘ একুশ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকার পর আওয়ামী লীগ আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। তার আগে অবশ্য নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একটি আন্দোলন করে সফলতা পায় দলটি। এরপর আরেকদফায় ক্ষমতার বাইরে থাকার পর ২০০৯ সালে আবার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ, যে মেয়াদে তাদের সংবিধানে সংশোধনী এনে নিজেদের আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই বাতিল করে দেয় দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে একটি নির্বাচন আয়োজন করে আওয়ামী লীগ, বড় বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণহীন সেই নির্বাচনটি দেশে বিদেশে ব্যপক সমালোচিত ও অগ্রহণযোগ্য হয়। সেই পরিস্থিতির জন্য যদিও আওয়ামী লীগকে এককভাবে দোষারোপ করতে নারাজ প্রফেসর ইসলাম, কিন্তু তিনি বলছেন, সেরকম পরিস্থিতি যাতে আর না হয় সেজন্যও আওয়ামী লীগকেই ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন গণতান্ত্রিক পরিবেশ আরো সুন্দর করতে হবে, ছোট ছোট সবগুলো দলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে এবং বিএনপির দিকে একটি হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ''আমি মনে করি যে এখনো সুযোগ আছে এবং এই দুইটি বড় দলের ভিতর একটি কনভার্সেসশন কথোপকথন শুরু হওয়া উচিত, এবং তা যদি সম্ভব হয়, যদি ২০১৯বা যাই হোক ২০১৮ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।'' এদিকে আওয়ামী লীগ উত্থান পর্ব নামের গ্রন্থের রচয়িতা মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, এখনকার প্রেক্ষাপটে প্রতীয়মান হচ্ছে ঘোষিত নীতি ও কর্মসূচি অনুযায়ী অনেক প্রগতিশীল হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিঁকে থাকার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই একেবারে বিপরীত মেরুর আদর্শের সাথে জোট গঠন করছে, আঁতাত করছে, যেটা আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের কাছে একেবারেই কাম্য নয় বলে মনে করেন মি. আহমেদ। | বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আজ প্রতিষ্ঠার আটষট্টিতম বছর পার করে উনসত্তরতম বর্ষে পদার্পণ করেছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ক্রিকেটার স্বামী শোয়েব মালিকের সঙ্গে টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ইস্যুতে তীব্র ট্রোলিংয়ের মুখে এর মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে নিজের কৈফিয়ত দিয়েছেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা - যার স্বামী শোয়েব মালিক একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। বলিউড অভিনেত্রী শাবানা আজমি ও তার স্বামী গীতিকার জাভেদ আখতার বাতিল করেছেন তাদের নির্ধারিত করাচি সফর। তার পরেও তাদের পেতে হচ্ছে দেশবিরোধীর তকমা। এমন কী, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কট না-করার পরামর্শ দিয়ে ট্রোলিংয়ের কবলে পড়েছেন সাচিন টেন্ডুলকর পর্যন্ত। ট্রোলিং-য়ের জবাবে ইনস্টাগ্রামে সানিয়া মির্জার পোস্ট পুলওয়ামাতে জঙ্গী হামলার ঠিক পরদিন একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ডিজাইনার পোশাকে নিজের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে বিয়ে করেছেন, শুধু এই কারণে তাকে প্রায়ই ভারতীয়দের তোপের মুখে পড়তে হয় - তবে সেদিন যেন সানিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। 'সারা ভারত যখন কাঁদছে', তখন সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের ছবি দেওয়ার জন্য ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হতে থাকে তাকে। অবশেষে সেই জঙ্গী হামলার তিনদিনের মাথায় সেই ইনস্টাগ্রামেই একটি বিবৃতি দিয়ে সানিয়া পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, তার মতো সেলিব্রিটিদেরই কেন বারবার নিজেদের দেশপ্রেম প্রমাণ করতে হবে, কিংবা ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করতে হবে? অভিনেত্রী শাবানা আজমি "একজন ভারতীয় হিসেবে আমি চিরকাল দেশের নিহত জওয়ানদের পাশে থাকব - কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে সব সময় তা ঘোষণা করতে পারব না" - বিবৃতিতে সেটাও জানাতে ভোলেননি তিনি। কিন্তু কোনও কোনও ভারতীয় সেলিব্রিটি যথেষ্ট জোরেশোরে পাকিস্তানের নিন্দা করছেন না, সোশ্যাল মিডিয়াতে এই আলোচনা দানা বাঁধতেও সময় লাগেনি। অভিনেত্রী শাবানা আজমি ও তার স্বামী জাভেদ আখতারের যাওয়ার কথা ছিল করাচিতে একটি সাহিত্য সম্মেলনে, পুলওয়ামা হামলার পরদিনই তারা সেই সফর বাতিল করে দেন। কিন্তু এর পরও আর এক বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাওয়াত পাকিস্তানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য তাদের প্রকাশ্যে দেশবিরোধী বলে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। কমেডিয়ান মল্লিকা দুয়া বলিউডে তার চেয়ে অনেক সিনিয়র শাবানার নাম করে কঙ্গনা অভিযোগ করেন, "এরাই এতদিন 'ভারত তেরে টুকরো হোঙ্গে গ্যাং'-কে (অর্থাৎ যারা ভারত ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেই চক্রকে) মদত দিয়ে এসেছেন!" এরপর এ সপ্তাহে দিল্লির মৌলানা আজাদ কলেজের এক অনুষ্ঠানে শাবানা আজমিকে পুলওয়ামাতে নিহত সেনাদের শহীদ বলে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দেখা যায়। নিজের বাবা কাইফি আজমির লেখা বিখ্যাত গান 'অব তুমহারে হাওয়ালে ওয়াতন সাথিয়োঁ'-র পংক্তি গেয়ে তিনি জানিয়ে দেন এই লড়াইতে সারা দেশবাসী এক সাথেই আছে। কিন্তু কেন এভাবে পুলওয়ামার ঘটনার সবাইকে শোক ও শ্রদ্ধা ঘোষণা করতেই হবে, নিজের পডকাস্টে এই অস্বস্তিকর প্রশ্নটাই তুলে এনেছেন জনপ্রিয় স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান মল্লিকা দুয়া। সাচিন টেন্ডুলকর মল্লিকার প্রশ্ন, "রোজ তো অনাহার-অবসাদ-মহামারী বা বেকারত্বর জ্বালাতেও কত লোক মারা যায়, কই তখন তো আমাদের জীবন স্বাভাবিক ছন্দেই চলতে থাকে।" "আর এখন সারা দেশ কাঁদছে, তুমি কীভাবে হাসতে পারো এটা আবার কী ধরনের যুক্তি?" এদিকে নীনা গুপ্তার মতো কোনও কোনও তারকা আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশপ্রেমের গান গেয়ে পোস্ট করছেন, তাতে হাজার হাজার 'লাইক' পড়ছে, বহু মানুষ সাধুবাদ জানাচ্ছেন তার 'সাহসে'র। পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর বলে যার পরিচিতি, সেই সচিন টেন্ডুলকরকে পর্যন্ত এখন এই ইস্যুতে আক্রমণের নিশানায়। এই ইডেনের দেওয়াল থেকেই ইমরান খান-ওয়াসিম আক্রমদের ছবি সরানোর দাবি উঠেছে কারণ তিনি শুধু বলেছিলেন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বর্জন করে ভারতের দুটো পয়েন্ট খোয়ানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে তিনি মনে করেন না। টেন্ডুলকরের এক সময়ের সতীর্থ ও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বলেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো পয়েন্ট নয় - বিশ্বকাপ জেতাটাই বরং লক্ষ্য হওয়া উচিত। কলকাতার আইকনিক ইডেন গার্ডেন্সের দেওয়াল থেকে ইমরান খানের ছবি নামিয়ে নেওয়ার দাবিও তারা বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন বর্তমানে ক্রিকেট প্রশাসক সৌরভ গাঙ্গুলি। যে সব ঘটনাপ্রবাহ থেকে স্পষ্ট, ভারতে এখন পাকিস্তান-বিরোধিতা শুধু মনে মনে পুষে রাখলেই চলবে না - তা পরিষ্কারভাবে দেখাতেও হবে। | ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে ঠিক দশদিন আগে আত্মঘাতী হামলায় চল্লিশজনেরও বেশি আধা-সেনার মৃত্যুর পর ভারত জুড়ে যে পাকিস্তান-বিরোধী আওয়াজ উঠছে, তাতে গলা না-মেলানোর অভিযোগে এবার তোপের মুখে পড়ছেন সে দেশের অনেক সেলিব্রিটি বা তারকাই। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে একজন সাংবাদিককে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী বলছেন, এভাবে কাউকে বাড়ি থেকে ধরে এনে সাজা দেয়া মোবাইল কোর্টের আওতার মধ্যে পড়ে না। মাদক বিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযানের কথা বলা হলেও শুক্রবার রাতের ওই অভিযানে একমাত্র সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ছাড়া আর কাউকে আটক করা বা সাজা দেয়া হয়নি। আরিফুল ইসলামের সহকর্মীরা বলছেন, জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার কারণে প্রতিশোধমূলকভাবে ধরে এনে সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ করার কারণে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে এখানে কোন ঘটনা ঘটেনি। কী ঘটেছে কুড়িগ্রামের কারাগারের সামনে থেকে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু। তিনি স্বামীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কারাগারের কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে, সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে কারো দেখা না করতে দেয়ার নির্দেশ রয়েছে। তাই তিনি দেখা করার অনুমতি পাননি। মোস্তারিমা সরদার বলছেন, ''শুক্রবার গভীর রাতে অনেক লোকজন এসে আমাদের বাসার দরজা খুলে দিতে বলে। একপর্যায়ে ওনারা ধাক্কা দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে সাত আটজন মিলে আমার স্বামীকে মারতে শুরু করে। তাদের হাতে রাইফেল, পিস্তল সবই ছিল।'' ''তখন বারবার বলছিল, কয়দিন ধরে খুব জ্বালাচ্ছিস। গুলি করে দেবো। বলে আর মারে। ওর গায়ে কোন কাপড় ছিল না। আশেপাশের বাড়ির কাউকে সামনে এগোতে দেয়নি। সারা রাস্তা মারতে মারতে নিয়ে গেছে। কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, তাও বলেনি।'' অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে জানা গেল, তাকে নাকি সঙ্গে সঙ্গেই মাদকের মামলায় এক বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। আরও পড়ুন: মোবাইল কোর্ট আইনের সংশোধন, অপব্যবহারের আশঙ্কা অনেকের ফেসবুকে হুমকি দিয়ে ছাত্র জেলে, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ হরতালে আদালতের 'নজিরবিহীন' ব্যবহার সম্প্রতি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১২১টি শিশুর দেয়া সাজা অবৈধ ঘোষণা করে তাদের মুক্তি দেয়ার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রতিশোধমূলক সাজা? স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, আটককৃত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম এর আগে স্থানীয় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদ করেছিলেন। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে তাকে নতুন আর কোন নিউজ না করার জন্যও বলা হয়েছিল। আরিফুল ইসলাম যে পত্রিকায় কাজ করেন, বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলেন ''আরিফুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদ করেছিলেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কাবিখার টাকায় একটি পুকুর সংস্কার করে জেলা প্রশাসক নিজের নামে নামকরণ করেছিলেন। এছাড়া কুড়িগ্রামের মোবাইল কোর্টকে যেভাবে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করা হয়, তা নিয়েও তিনি সংবাদ করেছিলেন।'' ''আরেকটি খবরের বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। সে কারণেই তাকে এভাবে আটক করে সাজা দেয়া হয়েছে।'' তিনি বলেন, ''আরিফের বাড়িতে কোন তল্লাশি চালানো হয়নি। কিন্তু জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেয়ার পর তার বিরুদ্ধে আধা বোতল মদ আর দেড়শ গ্রাম গাজা উদ্ধারের গল্প বলা হচ্ছে। অথচ আরিফুল সিগারেটও খায় না। এ থেকেই বোঝা যায়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আর প্রতিশোধমূলকভাবে করা হয়েছে।'' যা বলছেন জেলা প্রশাসক জেলা শহরের মোবাইল কোর্টগুলো জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। এসব কোর্টের দায়িত্বও জেলা প্রশাসক নির্ধারণ করে থাকেন। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলছেন, ''আমাদের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট হয়, আমরা শিডিউল করে দেই। অনেক সময় তারা মাদক, চোরাচালানের টাস্কফোর্সের অভিযানেও যায়, যেখানে ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। গত রাতেও এরকম কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। সেই অভিযানে ওই ব্যক্তিকে আটক করে সাজা দেয়া হয়েছে।'' জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ কারণে এই অভিযান বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''যদি ওই ঘটনাই হতো, সেটা তো একবছর আগের কথা। এখানে আমি কিছু কাজ করেছি, সংস্কার কাজ.. সেখানে ওরা বলছে যে, আমার নামে....নামের কোন লক্ষণই নেই, সেটা আলাদা বিষয়, সেখানে সে স্যরি বলেছে বলে আমরা তো আর কিছুই বলি নাই। ওইটা যদি কোন বিষয় হতো, তাহলে তো তখনি আমরা কোন অ্যাকশনে যেতাম।'' ''এখন ওইটার সঙ্গে এইটা মিলাচ্ছে তারা (সাংবাদিকরা)।" মোবাইল কোর্ট এভাবে অভিযান চালাতে পারে কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ''আসলে অভিযানটি চালিয়েছে টাস্কফোর্স। সেখানে যদি মোবাইল কোর্টে শিডিউলভুক্ত মামলার বিষয় থাকে, সেক্ষেত্রে তারা দিতে পারে।'' বাংলাদেশে রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে কতটা কাজ হয় কিন্তু যেভাবে একজন সাংবাদিককে মধ্যরাতে ধরে আনা, আধ বোতল মদ আর দেড়শ গ্রাম গাজার মামলায় একবছরের সাজা দেয়া, এটা বেশ নজিরবিহীন ঘটনা। তিনি তাই মনে করেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''টাস্কফোর্সের টোটাল টিম বলতে পারবে, আসলে ব্যাপারটা কী? আমি তো ঘটনাস্থলে ছিলাম না।'' রাতের ওই অভিযানে আর কাউকে সাজা দেয়া হয়নি বলেও তিনি জানান। তাহলে কি শুধুমাত্র একজনকে লক্ষ্য করেই অভিযান চালানো হয়েছে এবং তাকেই সাজা দেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, '' আমার কাছে তা মনে হচ্ছে না। তবে আমার মনে হয় রেগুলার মামলা হলে ভালো হতো।'' যে ম্যাজিস্টেট এই সাজা দিয়েছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান। তবে পরবর্তীতে তিনি আর টেলিফোন ধরেন নি। কুড়িগ্রাম থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, এ ধরণের অভিযানের ব্যাপারে তাদের কাছে কোন তথ্য ছিল না। মোবাইল কোর্টের অপব্যবহার? সম্প্রতি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১২১টি শিশুর দেয়া সাজা অবৈধ ঘোষণা করে তাদের মুক্তি দেয়ার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলছেন, মোবাইল কোর্টের আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, মোবাইল কোর্ট কখন গঠন করা যাবে, কখন সাজা দেয়া যাবে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এরকম কোন অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে তিনি তাক্ষণিকভাবে সাজা দিতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে এসে বলেন, সে এই অপরাধ করেছে, সেক্ষেত্রে তার সাজা দেয়ার সুযোগ নেই। ''মোবাইল কোর্ট গঠন করার যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি আছে, সেখানে গভীর রাতে বাসায় গিয়ে এভাবে মোবাইল কোর্ট করে সাজা দেয়ার সুযোগ নেই। যে প্রক্রিয়ায় এটা করা হয়েছে, তা মোবাইল কোর্টের একটি অপব্যবহার বলেই আমার মনে হচ্ছে।'' বলছেন মি. মোরশেদ। তিনি বলছেন, ''মোবাইল কোর্টের যে অপব্যবহার হচ্ছে, তা নিয়ে হাইকোর্ট কিন্তু বেশ কয়েকটি ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে এবং যারা মোবাইল কোর্ট করেন, তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং সাজাগুলো বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।'' মি. মোরশেদ বলেন, তার ধারণা যেভাবে কুড়িগ্রামের সাংবাদিককে আটক করে নিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে, হয়তো তার পেছনে হয়তো অন্য কোন বিরোধ আছে। | বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে স্থানীয় একজন সাংবাদিককে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ২০১৮ সালের ছবি এক টুইট বার্তায় তারা ঘোষণা দিয়েছেন, "আমাদের সম্পর্কটি নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা ও কাজের পর আমরা আমাদের বিয়ের সমাপ্তি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" মেলিন্ডা ১৯৮০ সালে বিল গেটসের মাইক্রোসফটে যোগ দেয়ার পর তাদের মধ্যে প্রথম পরিচয় হয়েছিল। বিলিওনেয়ার এই দম্পতির তিন সন্তান আছে এবং তারা যৌথভাবে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটি সংক্রামক রোগ ও শিশুদের টিকাদান উৎসাহিত করতে বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করে। গেটস দম্পতি ও বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটস দ্যা গিভিং প্লেজ- উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত যার লক্ষ্য হল -ধনীদের সম্পত্তির সিংহভাগ দাতব্য কাজে ব্যয় করা। ফোর্বসের হিসেবে, বিল গেটস এ মূহুর্তে বিশ্বের চতুর্থ ধনী এবং তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৪ বিলিয়ন ডলার। তিনি এ মূলত এ অর্থের মালিক হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফটের মাধ্যমে। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা করা এ কোম্পানিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা: বিল গেটসকে নিয়ে এত ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নেপথ্যে কী? বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের শহর মেডিনা কেন অর্থসংকটে বিল গেটস ও পিরব্রাইটকে নিয়ে 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' যেভাবে ছড়ালো এ মূহুর্তে বিশ্বের চতুর্থ ধনী বিল গেটস বিল ও মেলিন্ডা গেটস তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পর্কে টুইটারে বিবৃতি দিয়েছেন। "গত ২৭ বছর ধরে আমরা তিনটি অসাধারণ সন্তানকে বড় করেছি এবং একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছি যা বিশ্ব জুড়ে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে"। বিবৃতিতে তারা বলেন, "ফাউন্ডেশনে আমরা এক সাথে কাজ করে যাবো। কিন্তু জীবনের পরবর্তী ধাপে আমরা একসাথে এগিয়ে যেতে পারবো বলে আমরা আর বিশ্বাস করি না।" বিবৃতিতে তারা তাদের নতুন জীবনের গোপনীয়তার দিকটিও সবাইকে মনে করিয়ে দেন। বিল ও মেলিন্ডার পরিচয় কীভাবে? মেলিন্ডা মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছিলেন প্রডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে ১৯৮৭ সালে এবং ওই বছর তারা নিউইয়র্কে একটি বিজনেস ডিনারে মিলিত হয়েছিলেন। নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিতে বিল বলেছেন, "আমরা একে অন্যের যথেষ্ট যত্ন করেছি এবং সেখানে দুটি সম্ভাবনা ছিলো- হয় বিচ্ছেদ নয়তো বিয়ে।" ১৯৯৪ সালে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নিজের দাতব্য কাজে জোর দেয়ার জন্য বিল গেটস গত বছর মাইক্রোসফট বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান। | বিল ও মেলিন্ডা গেটস তাদের বিয়ের সাতাশ বছর পর এসে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, "জুটি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি এটা আমরা আর বিশ্বাস করি না।" |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | গত ২রা অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর আর বেরোননি মি. খাসোগজি তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম বলছে, সৌদি কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত কনস্যুলেটের ভেতরে একটি কুয়ায় তল্লাশি চালানোর অনুমতি দেননি তদন্তকারীদের । ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জামাল খাসোগজির মৃতদেহের খন্ডিত অংশ পাওয়া গেছে বলে খবর বেরুচ্ছে। তুরস্কের বিরোধীদলের একজন নেতাকে উদ্ধৃত করে কিছু সংবাদপত্র সৌদি কনসাল জেনারেলের বাড়ির বাগানে এবং কুয়াতে মৃতদেহ পাবার কথা বলছে। কিন্তু তুরস্কের পুলিশ সূত্রগুলো এসব খবর সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছেন ইস্তাম্বুল থেকে সাংবাদিক সরওয়ার আলম। পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, তারা এখনো মৃতদেহের সন্ধান করছে। এর আগে পুলিশ মৃতদেহের খোঁজে সৌদি কনস্যুলেটের নিকটবর্তী একটি বনভূমিতে অনুসন্ধান চালায়। সৌদি আরব বলেছে, মি. খাসোগজির মৃতদেহ কোথায় তা তারা জানে না। ইতিমধ্যে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর প্রধান জিনা হ্যাসপেল তুরস্কে সফরে গিয়েছেন, এবং সেদেশের গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ তাকে এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং দেখিয়েছেন বলে তুরস্কের দুটি সংবাদপত্র রিপোর্ট করেছে। দৈনিক সাবাহ সংবাদপত্র বলছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তার সাথে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর থেকে করা রেকর্ডিং শেয়ার করেছেন - যাতে ওই হত্যাকান্ডের বীভৎস খুঁটিনাটি আছে। একজন সৌদি কর্মকর্তা নাম উল্লেখ না করে বার্তা সংস্থা রয়টারকে বলেছেন, ধস্তাধস্তির সময় মি. খাসোগজির গলা পেঁচিয়ে ধরায় তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান, তারপর তার মৃতদেহ একটি কার্পেটে জড়িয়ে ফেলে দেবার জন্য একজন স্থানীয় সহযোগীর হাতে তুলে দেয়া হয়। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন , খাসোগজির হত্যাকান্ড কোনভাবেই চাপা পড়তে দেয়া হবেনা। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: খাসোগজির দেহ কোথায়? জানতে চাইলেন এরদোয়ান খাসোগজি হত্যা: কিভাবে সুর পাল্টেছে সৌদি আরব গত ২রা অক্টোবর মি. খাসোগজি তার বিবাহবিচ্ছেদের দলিলপত্র সংগ্রহ করতে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর আর বের হন নি। সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়, সৌদি আরব থেকে আসা ১৫ জনের একটি দল তাকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করে এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে। সৌদি আরব বলছে, কিছু এজেন্ট তাদের ক্ষমতার সীমার বাইরে গিয়ে এ কাজ করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আজ পর পর দ্বিতীয় দিনের মত বলেছেন, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকান্ডকে তিনি কোনোভাবেই ধামাচাপা পড়তে দেবেন না। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান অভিযোগ করেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড যা ঘটিয়েছে সৌদি গোয়েন্দা এবং অন্য কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের মধ্যে এই হত্যাকান্ডে যাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকা ছিল, যাদের নির্দেশে এই হত্যাকান্ড হয়েছে - তাদের শাস্তি পেতে হবে। ওদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, মি খাসোগজির হত্যাকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য চেষ্টা। | তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাসোগজির মৃতদেহের সন্ধান পাওয়াটা এখন তদন্তের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | সারকোফ্যাগাসের মধ্যে রাখা নতুন আবিষ্কৃত মমি। চলতি বছর এপর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। কায়রো থেকে বিবিসি সংবাদদাতা ইউসেফ তাহা জানাচ্ছেন, রাজধানীর দক্ষিণে সাক্কারার প্রাচীন সমাধিভূমিতে খনন করে এসব মমি খুঁজে পাওয়া যায়। মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল-আনানি কয়েক ডজন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সামনে শনিবার এক আন্তর্জাতিক প্রেস কনফারেন্সে একটি সারকোফ্যাগাস খোলেন। সারকোফ্যাগাস হচ্ছে কফিন যেখানে মমি রাখা হয়। পিরামিডের ভেতরে রাখা মমি। আরও পড়তে পারেন: তিনি জানান, প্রাচীন মিশরের বিস্ময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি, কারণ শুক্রবার রাতেই তারা ২৭টি সারকোফ্যাগাস আবিষ্কার করেছেন। এই ৫৯টি কফিনের গঠন দু'হাজার ৬০০ বছর পরও মজবুত রয়েছে। ভেতরের মমির অবস্থাও ভাল বলে কর্মকর্তারা বলছেন। মিশর সরকার জানাচ্ছে, গিজার পিরামিডের কাছে নবনির্মিত গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান যাদুঘরে এসব মমি দর্শনার্থীদের জন্য সাজিয়ে রাখা হবে। কায়রোর অদূরে পিরামিড ও স্ফিংস্। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: | মিশর ঘোষণা করেছে যে সে দেশের প্রত্নতাত্ত্বিকরা কয়েক ডজন নতুন মমি এবং ৫৯টি সারকোফ্যাগাস খুঁজে পেয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আঞ্চলিক মিত্রদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান সাম্প্রতিক বক্তব্যে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশের সাথে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি করেছেন। বিশ্লেষকরা তুরস্কের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি - গত মাসে ১১.৭% - এবং সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অসম্মতির বিষয়টিকে কারণ মনে করছেন। সুদের হার বাড়ানো মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনতে পারে এবং তুরস্কের মুদ্রা লিরা কিনতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে পারে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন লিবিয়া, সিরিয়া, সাইপ্রাসের আশেপাশে এবং ককেশাস অঞ্চলে তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের শক্তি প্রদর্শনের কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ব্যবসা করা একজন তুর্কী নাগরিক বলেন, "তুরস্কের মুদ্রা লিরা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে নতুন কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তৈরি হওয়া ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা।" আরো পড়তে পারেন: ফ্রান্সে 'কট্টর ইসলামের' বিরুদ্ধে এখন কেন উঠে পড়ে লেগেছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি ঢাকার এক বিক্ষোভে ফরাসী পণ্য বর্জন করার ডাক দিলেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান 'বয়কট ফ্রান্স' বাংলাদেশেও, ম্যাক্রঁর দেশ কি ইমেজ সংকটের মুখে কুয়েত, জর্ডান ও কাতারের কিছু দোকান থেকে ফরাসী পন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তুরস্কের রাবো ব্যাংকের একজন বিশ্লেষক পিওতর ম্যাটিস বলেছেন যে, তুরস্কের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন বিজয়ী হলে 'রাশিয়া থেকে এস-৪০০ (অ্যান্টি এয়ারক্রাফট) মিসাইল সিস্টেম কেনার কারণে বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।' পাশাপাশি 'তুরস্কের সাথে ফ্রান্সের দ্রুত অবনতি হওয়া পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টিও বাজারে উদ্বেগের কারণ' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই বছরে তুরস্কের মুদ্রা লিরা ২৬% মান হারিয়েছে এবং তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে মুদ্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ১৮ মাসে তারা ১০ হাজার কোটি ইউরোর বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। মিসাইল বিতর্ক ২৩শে অক্টোবর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিশ্চিত করেছেন যে তুরস্ক বিতর্কিত এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের পরীক্ষা চালিয়েছে। রাশিয়ার সাথে অস্ত্র চুক্তি করার কারণে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের যে সমালোচনা করেছিল, সেটির জবাবে রবিবার প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন: "আপনি জানেন না আপনি কার সাথে খেলছেন। আপনার যত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দিতে পারেন।" নবীর ব্যঙ্গচিত্র ও বয়কট ফ্রান্স আন্দোলন নিয়ে ফরাসী মুসলিমরা যা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে 'তুরস্ক মিসাইল সিস্টেমটি চালু করলে নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুতর পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে' বলে সতর্ক করা হয়েছে। তুরস্কের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু সাইপ্রাসে গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা মি. এরদোয়ানকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সম্মেলনের এক বিবৃতিতে বল হয়েছে যে সংস্থাটি 'পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রম উস্কানিমূলক এবং একতরফা।' এই ঘটনায় ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বিশেষভাবে সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের। রবিবার মি এরদোয়ান ফরাসী মুসলিমদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ তোলেন ফরাসী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এরপর ফরাসী পণ্য বর্জন করার জন্য আরব বিশ্বের সাথে সুর মেলান। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এরদোয়ান, ইমরান খানসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের কারণ কী? করোনাভাইরাসও তুরস্কের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। একদফা খারাপ পরিস্থিতি পার করে আসার পর তুরস্কের করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও গত কিছুদিন ধরে ইউরোপের অন্যান্য জায়গার মত আবারো সেখানে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি লিরার দরপতন ঠেকাতে শত শত কোটি ডলার বিক্রি করে দেয়ায় তুরস্কের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বছরেই তুরস্কের অর্থনীতির বড় ধরণের সংকোচন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুরস্কের ব্যবসায়িক মিত্র রাশিয়ার সাথে মি. এরদোয়ানের সম্পর্কের উষ্ণতাও ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে অনেকটাই শীতল হয়েছে। লিবিয়া ও সিরিয়ায় চলমান দ্বন্দ্বে তুরস্ক ও রাশিয়া বিরোধী পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে। আবার আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা নাগোর্নো-কারাবাখকে কেন্দ্র করা যুদ্ধে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে। | করোনাভাইরাস মহামারির পর নেটো জোটের মিত্রদের সাথে তুরস্কের বিরোধের জের ধরে ডলারের অনুপাতে তুরস্কের মুদ্রার রেকর্ড পরিমাণ দরপতন হয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইরান পারমাণবিক বোমা বানালে সৌদি আরবও বানাবে। ইরানকে মোকাবেলায় সৌদি আরব নিউক্লিয়ার বোমা বানাবে কি-না সে প্রশ্নের উত্তরে যুবরাজ সালমান বলেন, সৌদি আরব কোনও ধরনের নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করতে চায় না। তবে ইরান যদি নিউক্লিয়ার বোমা বানায় তবে সৌদি আরব যুত দ্রুত সম্ভব সে পথ অনুসরণ করবে। ইরানের সবোর্চ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনিকে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন হিটলার হিসেবে অভিহিত করার বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। "আপনি কি আয়াতুল্লাহ খামেনিকে 'নিউ হিটলার অব মিডল ইস্ট' বলে মন্তব্য করেছেন?" এর উত্তরে যুবরাজ সালমান বলেন "বিলক্ষণ" কেন? সে প্রশ্নে সৌদি যুবরাজ বলেন, "কারণ সে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। সে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রজেক্ট বা নিজস্ব উচ্চাকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে চায়। অনেকটা ঠিক যেভাবে হিটলার চেয়েছিল এবং ইউরোপের ও বিশ্বের অনেক দেশই বুঝতে পারেনি তার ভয়াবহতা যতক্ষণ না বিপদজনক পরিণতি ঘটেছে। সেই একইরকম ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে ঘটুক সেটি আমি চাইনা।" আরও পড়ুন: আপনার কাটা চুলে কোটি টাকার ব্যবসা ফাইনালে হারের পর বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের চিত্র কেমন ছিল? খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাস, কোন পথে এগোবে বিএনপি? | সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আমেরিকার সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইরান পারমাণবিক বোমা বানালে প্রয়োজনে সৌদি আরবও বানাবে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দুই তরুণ মুখ আর্চার ও আফ্রিদি। শাহীন শাহ আফ্রিদি পেস বোলার, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তান আর আফ্রিদি বলতে ক্রিকেট বিশ্ব যাকে সাধারণত বোঝেন তিনি শহীদ আফ্রিদি, নামে আর খেলাতেও তার জায়গা নিয়ে নেয়ার জন্য এসেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। খাইবারের এই পেস বোলারের বয়স ১৯ বছরের একটু বেশি। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরুর দিককার ম্যাচগুলোতে তিনি সুযোগ পাননি একাদশে। উচ্চতা, গতি, সুইং মিলিয়ে পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপে বড় সংযোজন শাহীন আফ্রিদি। প্রথমবার সুযোগ পান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৭০ রান দেন ২ উইকেটে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ উইকেট নেন ৫৪ রানে। পাকিস্তান তখনো সেরা চারের লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল, সেমিফাইনালে ওঠাতে না পারলেও আশা শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখেন আফ্রিদিই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮ রানে ৩ উইকেট, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রানে ৪ উইকেট এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৬টি উইকেট নেন তিনি। বিশ্বকাপে মাত্র ৫ ম্যাচ খেলেই ১৬ উইকেট নেন তিনি, মাত্র ১৩.৭৮ গড়ে। জোফরা আর্চার পেস বোলার, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল এই বিশ্বকাপে আর্চার খেলেছেন ১০টি ওয়ানডে ম্যাচ, তার মোট ম্যাচ সংখ্যা ১৩টি, অর্থাৎ মাত্র ৩টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে দলে ঢোকেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ছিলেন না জোফরা আর্চার। পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে যে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় সেই ম্যাচে দুর্দান্ত একটি স্পেল করেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: ইংল্যান্ড দলে কিভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোফরা আর্চার জোফরা আর্চার- বিশ্বকাপের অন্যতম সফল বোলার। সেখানেই টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা অর্জন করেন এই ২৪ বছর বয়সী পেসার। ১৩ ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা ২২, ইকোনমি রেট পাঁচের বেশ নিচে। বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচ খেলে ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেমিফাইনালে তার গতি ও সুইংয়ের কাছে হার মেনেছে অস্ট্রেলিয়ান টপ অর্ডার। মূলত প্রথম দশ ওভারে ক্রিস ওকস ও জোফরা আর্চারের স্পেলেই হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপেও অন্যতম সেরা ইকোনমি রেট আর্চারের। শুধুমাত্র পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি ছাড়া বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচেই সফল এই তরুণ পেসার। ফা ইনাল ম্যাচেও আর্চার নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন, সুপার ওভারে ১৫ রান দেন তিনি, ইংল্যান্ড বাউন্ডারির হিসেবে এগিয়ে থেকে বিশ্বকাপ জিতে নেয়। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পেস বোলিং অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচকরা প্রায়ই আফসোস করে থাকেন। এই আসা-যাওয়ার তালিকায় আছে অনেক নাম। ফরহাদ রেজা, জিয়াউর রহমানরা তো আছেনই। কখনোবা অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজে মিটিয়েছেন বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব। সাইফুদ্দিন কি বাংলাদেশের পান্ডিয়া-স্টোকস হয়ে উঠতে পারবেন? মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের সম্প্রতি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। এই বিশ্বকাপে সাইফুদ্দিন যখন প্রয়োজন হয়েছে তখনই দলের কাজে এসেছেন। উইকেট নেয়া কিংবা ডেথ ওভার বোলিং। স্বভাবসুলভ উদযাপনে সাইফুদ্দিন। (ফাইল ছবি) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, অর্থাৎ ভারতের বিপক্ষে সাইফুদ্দিন ৫১ রানের একটি ইনিংস খেলে আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন। ৭ ম্যাচ বল করে ১৩ উইকেট নিয়েছেন ফেনী থেকে উঠে আসা এই অলরাউন্ডার, তবে ইকোনমি রেটটা বেশি, ৭.১৮। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কিছু খবর যা আপনি পড়তে পারেন: বিশ্বকাপের ফরম্যাট বদলানো উচিত, বলছেন কোহলি বাংলাদেশের মানুষের ভারতবিদ্বেষ কি শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই? সেমিফাইনালে ছিটকে গেলো ফেভারিট ভারত নিকোলাস পুরান ব্যাটসম্যান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট দলে চমক হিসেবেই এসেছিলেন নিকোলাস পুরান। মূলত তার পরিচয় টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট, ওয়ানডেতেও কাজটা ভালো করতে পারেন যার প্রমাণ দিয়েছেন এই বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের আগে মাত্র একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট পুরান, ওয়ানডেতেও হয়ে উঠেছেন নির্ভরযোগ্য। এই বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ৩৬৭ রান তোলেন, ৫২.৪২ গড়ে। বিশ্বকাপে পুরানের স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে পুরান স্ট্রাইক রেটের জন্যই পরিচিত, যা প্রায় ১৪৪। এই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সাথে সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের সাথে পুরান ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ইমাম উল হক ব্যাটসম্যান, পাকিস্তান ক্রিকেট দল ইমাম উল হক পাকিস্তানের ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন শুরু থেকেই। তার চাচা ইনজামাম উল হক, এখন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক। বাংলাদেশকে 'চিবিয়ে খাব' বিজ্ঞাপন নিয়ে ভারতে বিতর্ক বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচ স্টিভ রোডস বরখাস্ত ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ২টি ফিফটি ও একটি সেঞ্চুরি করেছেন ইমাম। তাই ইমামের ওপর প্রত্যাশার চাপটাও বেশি। ইমাম এখন পর্যন্ত সেই চাপ সামলেছেন দারুণভাবেই। ২০১৭ সালে অভিষিক্ত ইমাম ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতেই শ্রীলংকার বিপক্ষে ১০০ রানের একটি ইনিংস খেলেন। এই বিশ্বকাপে শুরুটা ভালো না হলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে ব্যাটে রান এসেছে তার ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিফটি ও বাংলাদেশের সাথে সেঞ্চুরি করেন ইমাম। বিবিসি বাংলার আরো খবর: আপনার শিশুর বৃদ্ধির জন্য যা খাওয়াতে পারেন ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় ৭৩ জন আক্রান্ত, যাচ্ছে ঢাকার বাইরেও | ক্রিস গেইল, শোয়েব মালিক, মাশরাফী, ধোনিদের যেমন শেষ বিশ্বকাপ ছিল এটা, ঠিক তেমনি কিছু ক্রিকেটার এসেছেন যারা আরো বিশ্বকাপ মাতানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন নিজেদের খেলা দিয়েই। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বিয়ে থেকে সরাসরি খেলার মাঠে বর মঙ্গলবার একদল দর্শক বিয়ের পোশাক পরে সিলেটের স্টেডিয়ামে এসে হাজির হলে গ্যালারিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বরের বেশে যিনি তিনি সরাসরি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেই স্টেডিয়ামে চলে এসেছেন। বরের কাছে খেলা দেখতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্রিকেট ভালোবাসেন বলেই তার এই ছুটে আসা, তাও দলবল সহ। আলী হায়দার লাভলু বরের নাম, বিয়ে করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। বিশ্বনাথ থেকে সরাসরি সিলেটের স্টেডিয়ামে ছুটে আসেন খেলা দেখতে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই বর বলেন, "বউকে বাসায় রেখেই খেলা দেখতে চলে এলাম, এর বড় কারণ আমি ক্রিকেট ভক্ত, বিশ্বনাথ থেকে গাড়িতে চড়ে চলে এলাম।" লাভলু বলেন, প্রেম ও পরিবারের সম্মতি উভয়ই ছিল বিয়েতে। "তবে বাংলাদেশের খেলা যেহেতু তেমন দেখতে পারিনা এবং বিয়ে করতেই এসেছি তাই এমন তাড়াহুড়ো করে চলে এলাম।" নবপরিণীতা স্ত্রীর বিয়ের দিনেই বরের খেলা দেখা নিয়ে আপত্তি ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, "আমাদের যখন টেলিভিশনে দেখিয়েছে তখনই ফোন এসেছে। ওনারাও আনন্দিত, আমরা তো বাসায়ই যাবো, নতুন জীবন শুরু হচ্ছে।" বরের সাথে এসেছে পাত্রীর ভাইও। তিনি বলেন, এমন দুলাভাই পেয়ে আমি আনন্দিত, যিনি খেলা ভালোবাসেন। বেশ টানটান উত্তেজনারই একটি ম্যাচ দেখেন সদ্য বিবাহিত এই বর ও তার সঙ্গীরা। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচটি শেষ বল পর্যন্ত গড়ায় এবং বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত চার রানের একটি জয় পায়। বরের ও বরপক্ষের আরো একটি পরিচয় হলো যুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিম নিউইয়র্কের একটি শহরে তারা ক্রিকেট খেলেন, সেখানে আঞ্চলিক দলগুলোতে তাদের অংশগ্রহন আছে নিয়মিত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে বসে খেলাটি দেখেন বিডিক্রিকটাইমের প্রতিবেদক নাজমুস সাকিব, তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "মাঠে একদল মানুষ বিয়ের পোশাক পরে ঢোকার পর বেশ হইচই পড়ে যায়। আমি সেদিকে গিয়ে দেখি জমজমাট অবস্থা। সিলেটে বলেই এমনটা সম্ভব বলে মনে হয়।" আরো খবর: করোনাভাইরাস: ৫৪ হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দিলো ইরান করোনাভাইরাস: শিশুকে যেভাবে রোগটি সম্পর্কে বোঝাবেন ‘আমি আমার মাকে যে কারণে বিয়ে করলাম’ দিল্লিতে যেভাবে মুসলমানদের বাড়িঘর টার্গেট করা হয় বিবিসি জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১৪- অমর্ত্য সেন | নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে সরাসরি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ দেখতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সিলেটের এক তরুণ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মিস্টার সারাঙ্গির সাধসিধে জীবনযাপনের ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গি। নিজের রাজ্য উড়িষ্যার বাইরে তাকে খুব কম মানুষই চেনেন। কিন্তু গত সপ্তাহে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাওয়ার জন্য একেবারে সাধারণ পোশাকে তিনি তাঁর বেড়ার কুঁড়েঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন। কপর্দকহীন অবস্থা থেকে বিপুল বিত্তশালী হওয়ার কাহিনী ভারতে সবসময় সাড়া জাগায়। কাজেই মিস্টার সারাঙ্গির কাহিনীও সেরকম তোলপাড় সৃষ্টি করলো। কিন্তু সদ্য জনপ্রিয়তা পাওয়া এই প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গি আসলে কে? খোঁজ-খবর নিয়ে যেটা জানা যাচ্ছে, মিস্টার সারাঙ্গির অতীত ইতিহাস অতটা সুবিধের নয়। ১৯৯৯ সালে ভারতে একজন খ্রীষ্টান মিশনারি গ্রাহাম স্টেইনস এবং তার দুই সন্তান খুন হন উন্মত্ত হিন্দু জনতার হাতে। ভারতের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করেন কট্টরপন্থী হিন্দু গোষ্ঠী বজরং দলকে। প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গি তখন এই বজরং দলের নেতা। তবে সরকারি তদন্তে ঐ ঘটনার সঙ্গে কোন একটি গোষ্ঠীর সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে ২০০৩ সালে দীর্ঘ বিচার শেষে এই ঘটনায় মোট ১৩ জনকে সাজা দেয়া হয়। তাদের একজন দারা সিং ছিলেন বজরং দলের সদস্য। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। উড়িষ্যার হাইকোর্ট দুবছর পর অবশ্য তার মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেয়। সেই সঙ্গে আরও ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে মুক্তি দেয় আদালত। কারণ তাদের সাজা দেয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মিস্টার সারাঙ্গি তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন খ্রিস্টান মিশনারীরা পুরো ভারতকে ধর্মান্তরিত করার শয়তানি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যারা তখন মিস্টার সারাঙ্গির সাক্ষাৎকার নেন তাদের একজন ছিলেন উড়িষ্যার সাংবাদিক সন্দীপ সাহু। সেই সাক্ষাৎকারে মিস্টার সারাঙ্গি যদিও খ্রিস্টান মিশনারী গ্রাহাম স্টেইনস এবং তার দুই সন্তানকে হত্যার নিন্দা করেন, ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে তিনি তার শক্ত দৃষ্টিভঙ্গীতে অনড় ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন প্রতাপ সারাঙ্গি। তাকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। ২০০২ সালে বজরং দলসহ ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলো উড়িষ্যা রাজ্য বিধান সভায় হামলা চালায়। এই ঘটনায় মিস্টার সারাঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ, হামলা এবং সরকারি সম্পদের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়। মিস্টার সারাঙ্গিকে মন্ত্রী করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে যে মাতামাতি, সেখানে অবশ্য এর কোন কিছুর উল্লেখ নেই। বরং তিনি কত 'সাধাসিধে' জীবনযাপন করেন সেটাই সবাই উল্লেখ করছেন। অন্যান্য খবর: ইংল্যান্ডে বাংলাদেশকে পথ দেখাবেন স্টিভ রোডস যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ১১ বিশ্বকাপ নিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ভাবনা কী? সন্দীপ সাহু জানান, "মিস্টার সারাঙ্গি তার এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য সাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়ান। ভুবনেশ্বরেও প্রায়শই তাকে দেখা যায় পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে রাজ্য পরিষদের সভায় যাচ্ছেন। রাস্তার ধারের কোন সাধারণ খাবার দোকানে খাচ্ছেন। রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন।" সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে যখন মিস্টার সারাঙ্গি তার দুই বিত্তশালী ও ক্ষমতাবান প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করেন, তখন সেই লড়াইকে ডেডিড বনাম গোলিয়াথের লড়াই বলে তুলনা করা হয়। বৃহস্পতিবার যখন তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন তার নির্বাচনী এলাকায় উৎসব শুরু হয়ে যায়। সমর্থকরা আতশবাজি পুড়িয়ে এবং মিষ্টি বিতরণ করে তাদের উল্লাস প্রকাশ করেন। কেউ কেউ তাকে এরই মধ্যে 'উড়িষ্যার মোদি' বলে বর্ণনা করতে শুরু করেছেন। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা তারকা বনে যাচ্ছেন তাদের বেলায় এটাই সমস্যা। কোন একটা ছবি বা কোন একজনের গল্প সেখানে মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এর ফলে কোন ব্যক্তি অতীতে কী করেছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনেই তাকে লোকজন নায়কে পরিণত করছে। | বৃহস্পতিবার যখন ভারতের নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিচ্ছিল, তখন সবচেয়ে বেশি করতালি পড়েছিল প্রায় অপরিচিত, দেখতে শীর্ণকায় একজন মন্ত্রীর বেলায়। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঢাকার বাইরে সাংবাদিকতা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে বলছেন সাংবাদিকরা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা মেহেরপুরের পুলিশ বলছে প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতার এক নিকটাত্মীয় এক বছর আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করেছিলেন সেখানকার সাংবাদিক আল আমিনের বিরুদ্ধে। মি. আমিনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় আজ গাংনী থানা পুলিশ তাকে আটক করে বলে জানিয়েছেন সেখানকার পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিকরা এবং বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন বলছে, এ ধরণের মামলা-হামলাসহ নানা কারণে মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকতা করাই এখন দুরূহ হয়ে উঠেছে। সংগঠনটির হিসেবে চলতি বছরেই অন্তত পাঁচজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হয়েছে দেশের নানা জায়গায়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নির্যাতনের শিকার হয়েও বিচার পান না যে সাংবাদিকরা বাংলাদেশে মফস্বল সাংবাদিকতা কতটা ঝুঁকির? জনস্বার্থে তথ্য সংগ্রহের সুযোগ না থাকলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কতটা থাকবে আলোচিত ঘটনার ফাঁস হওয়া অডিও-ভিডিও কতটা প্রভাব ফেলে? সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলা প্রায়ই হয়ে থাকে বাংলাদেশে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক লাইলি ইয়াসমিন বলছেন, আপোষ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকতা করা এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। "পুলিশ, আমলা, এলাকার মাস্তানসহ নানা দিক থেকে বাধা আসে। এমন করে হয়রানির পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যে সাংবাদিকরা তটস্থ থাকে ও আপোষ করে সাংবাদিকতা করতে বাধ্য হয়। আমি নিজে মামলার শিকার হয়েছি। আমার বাড়ীতে হামলা হয়েছে। হুমকি দেয়া হয়েছে। বাড়ী ছেড়ে অন্য জেলায়, ঢাকায় ছিলাম। একটা রিপোর্টের জন্য এ অবস্থায় পড়তে হয়েছে আমাকে"। লাইলি ইয়াসমিনের মতো মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিককেই এ ধরনের হামলা, মামলা কিংবা প্রশাসনের রোষের শিকার হয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হতে হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। কুড়িগ্রামেই আরিফুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিককে গভীর রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে নির্যাতন ও কারাদণ্ডের অভিযোগে গত বছর আলোচনার এসেছিলেন ওই জেলার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক সহ চারজন কর্মকর্তা। তোলপাড় করা ওই ঘটনায় পরে কিছু ব্যবস্থাও নিয়েছিলো কর্তৃপক্ষ। মানবাধিকার সংস্থা ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে গত বছর সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৪৭ জন সাংবাদিক এবং এতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। এ সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১২৯টি মামলায় ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিকদের আসামি করা হয়। ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা সুবিধাও পান কম দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরগুনার সাংবাদিক আরিফুর রহমান বলছেন শুধু মামলা- হামলা নয়, এখন নতুন প্রবণতা হলো সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো দখল করা এবং প্রভাবশালীরা নিজেরা অনলাইন পোর্টাল বানিয়ে অনুগত সাংবাদিক তৈরি করে প্রকৃত সাংবাদিকদের জন্য প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করা। বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আর্টিকেল নাইনটিনের হিসেবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৩৮টি মামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। সংস্থাটির দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলছেন ঢাকার বাইরে কাজ করেন এমন সাংবাদিকরা চরম নিরাপত্তাহীন ভুগছেন। "জেলা উপজেলায় সাংবাদিকরা কম বেতনে বা নামমাত্র বেতনে কাজ করেন। কিন্তু তারাও কম হয়রানির শিকার হচ্ছেন না নানা রাজনৈতিক কারণে। অনেক প্রেসক্লাবে নেতৃত্ব এখন রাজনীতির লোকদের হাতে। তারা কোন কোন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক। তারাও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ফলে ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা একদমই নিরাপদ না। তাদের ব্যাপারে খুব একটা হইচই হয় না"। বাংলাদেশে আগেও জেলা পর্যায়ে সাংবাদিক নির্যাতনের নানা ঘটনা ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলো। কিন্তু এখন হামলা হুমকির পাশাপাশি সাংবাদিক সংগঠনগুলো দখলসহ নানা কালাকানুন মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকদের জন্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: জনস্বার্থে তথ্য সংগ্রহের সুযোগ না থাকলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কতটা থাকবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলায় সরকারের অবস্থান কী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন | বাংলাদেশে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের দেশজুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্যেই শনিবার মেহেরপুরে একজন সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আটকের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের একটি অংশ বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খান বলছেন, মিয়ানমারের চিন প্রদেশ থেকে পালিয়ে আসা এসব মানুষজন নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছেন বলে জানাচ্ছেন। এমনকি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করছেন। মূলত খুমি, মার্মা এবং খিউ সম্প্রদায়ের মোট ৩৮ টি পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশু সেখানে অবস্থান নিয়েছে বলে জানাচ্ছে বিজিবি। যদিও স্থানীয়রা বলছেন তারা বাংলাদেশের অংশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমেও এমনটাই বলা হচ্ছে। জহিরুল হক খান বলছেন, ফেব্রুয়ারির তিন তারিখ তারা প্রথম এমন খবর পান যে রুমা উপজেলার রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়নের চাইক্ষাং সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বৌদ্ধরা অনুপ্রবেশ করেছে। তিনি বলছেন, "অঞ্চলটি এতটাই দূরে এবং প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা, যে রুমা থেকে হেঁটে যেতে দেড় দিন সময় লাগে এবং আর কোনভাবে সেখানে যাওয়ার উপায় নেই।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: শেষ ঘাঁটিগুলো ছেড়ে পালাচ্ছে আইএস যোদ্ধারা 'সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কোচিং অবৈধ' 'অনেক কবি-লেখক বলেছেন, বইটি প্রকাশ করো না' খুমি, মার্মা এবং খিউ সম্প্রদায়ের লোকেরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশেই পাহাড়ি এলাকায় বাস করে। ফাইল ছবি। বিজিবির একটি টহল আজ বিকেলে ঐ অঞ্চলে পৌঁছে তাদের সাথে কথা বলেছেন। মি. খান বলছেন, "তাদের ভাষাগত একটু সমস্যা আছে। তাদের যখন স্থানীয়দের সহায়তায় জিজ্ঞেস করা হল যে তারা কেন এসেছেন, তারা জানাচ্ছে যে গত দশদিন ধরে তাদের উপর নানা ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হচ্ছে। সেই জন্যেই তারা ভয়ে পালিয়ে এসেছে।" তবে হেলিকপ্টার থেকে কারা গুলি করছে সেই বিষয়েও তথ্য দিতে পারেননি মি. খান। আশ্রয় নেয়া এই লোকগুলোর বাড়িঘরও সেখান থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বলে জানাচ্ছেন তিনি। পরিস্থিতি ভালো হলে তারা বাড়ি ফিরে যাবেন বলে বিজিবি সেনাদের জানিয়েছেন। মি. খান অবশ্য বলছেন, তারা পানি সংগ্রহ করতে এবং মাঝে মাঝে দোকানে কেনাকাটা করতে বাংলাদেশে অংশে আসছেন এবং আবার শূন্য রেখায় ফিরে যাচ্ছেন। তারা নিজেরাই নিজেদের খাবার সাথে করে নিয়ে এসেছেন বলেও দাবি করেন বিজিবির এই কর্মকর্তা। যদিও রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়নের স্থানীয় একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সেখানকার গ্রামবাসীরা তাদের নিজেদের বাড়িঘরে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের খাদ্য দিয়ে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বৌদ্ধ শরণার্থীরা বাংলাদেশে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় দেড় বছরে সাড়ে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করলেও মিয়ানমার থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের পালিয়ে আসা নিয়ে নতুন আশংকা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার ইতিমধ্যেই এমন আশংকায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিজিবি বলছে ওই এলাকায় সীমান্তে এখন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, টহল বাড়ানো হয়েছে। এলাকার জনগণকেও কোন ধরনের অনুপ্রবেশ হলে খবর দিতে বলা হচ্ছে। সেখানে গোয়েন্দাদের তথ্য-দাতা নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। | বাংলাদেশে বান্দরবান জেলার গহীন এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তে শূন্য রেখায় মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা ১৩৬ জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আশ্রয় নিয়েছে বলে জানাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার গণভবনে সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বুয়েটে পিটিয়ে ছাত্র হত্যা এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানোর পর সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাব দেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর নেয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। "আমি যখনই বুয়েটের খবর পেয়েছি, সাথে সাথে পুলিশকে বলেছি আলামত সংগ্রহ করতে এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে। এরপর আমি দাবির অপেক্ষা করি নাই, পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে।" জড়িতদের গ্রেপ্তারে তাৎক্ষনিক নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘটনায় কারা জড়িত, তাদের দলীয় পরিচয় রয়েছে কিনা - সে বিষয় দেখা হয়নি। "অপরাধ অপরাধই, যারা অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ধরণের ঘটনা আমি মেনে নেব না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকেছি। তাদের বহিষ্কার করতে বলেছি, পুলিশকে বলেছি অ্যারেস্ট করতে।" "যারা জড়িত তাদের উচ্চ শাস্তি হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরা হয়েছে। তাহলে এরপরেও কেন আন্দোলন করা হচ্ছে?" "যে মা-বাবা সন্তান হারিয়েছেন, তাদের যে কষ্টটা কী সেটা আমি বুঝি। একটা সাধারণ পরিবারের ছেলে, একটা ব্রিলিয়ান্ট ছেলে, তাকে কেন হত্যা করা হলো? এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। কোনও দল-টল বলে আমি মানি না।" তাঁর পিতা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সহ নিজের পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে দীর্ঘ ৩৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি বিচার পাইনি। যখন কেউ বিচার দাবি করে, সেটা আমি বুঝি।" আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ হস্তক্ষেপ করুক, সেটাও তিনি চান না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ খুশী আন্দোলন করুক, আপত্তি নাই। একজন ছাত্র মারা গেছে, তারা আন্দোলন করছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদেরও আচরণ যুক্তিসঙ্গত হতে হবে।" বুয়েটের শেরে বাংলা হলে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করেছিল কেন সে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তাদের কি উদ্দেশ্য ছিল আমি জানি না। তাদের মধ্যে খুনিরাও ছিল কি না, আমি জানি না।" আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, "কারা হামলা চালাবে? কিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে তাদের?" বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের যে দাবি উঠেছে সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "বুয়েট কর্তৃপক্ষ চাইলে তারা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে পারে, আমরা হস্তক্ষেপ করবো না। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি কেন বন্ধ করা হবে?" সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র রাজনীতির নানা দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে 'মাস্তানি' বন্ধ করা হবে। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা চান। | বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটে নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের সব ব্যবস্থা নেয়ার পরও বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | খালেদা জিয়া কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল যে খালেদা জিয়া রাজি থাকলে আজ (মঙ্গলবার) তাকে কারাগার থেকে ঢাকার শাহবাগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেজন্য নিরাপত্তার যাবতীয় প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেলা ১০টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকার গুলশানে অবস্থিত বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে রাজি নন খালেদা জিয়া। সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, "আজকে ১১টার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথা ছিল। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু তিনি (খালেদা জিয়া) অনীহা প্রকাশ করেছেন।" "উনি বলেছেন যে ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও চিকিৎসা নেবেন না" - বলেন তিনি। কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, কারা বিধি অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ হাসপাতাল হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা সেখানে না থাকলে বেসরকারি হাসপাতালে করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন কারা মহাপরিদর্শক। সেক্ষেত্রে 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের' নির্দেশনা কিংবা অনুমোদনের প্রয়োজন আছে বলে তিনি জানান। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কারাবন্দীদের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অনেক রেকর্ড রয়েছে অতীতে। এটা নতুন কিছু নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। "ওয়ান ইলেভেনের সময় আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগার থেকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছিল। আব্দুল জলিলকে ল্যাব এইডে নেয়া হয়েছিল। অনেক নেতাদের বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল," - বলেন মি: হোসেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খালেদা জিয়া কি 'মাইল্ড স্ট্রোকে'র শিকার হয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া কি নির্বাচনে যাবে বিএনপি? এক বছর পূর্ণ হতেই আবার ভূমিধস: নিহত ১০ ভারত-বিএনপি সম্পর্কে পরিবর্তনের হাওয়া? ইউনাইটেড হাসপাতাল তিনি বলেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাদের উদ্বেগ বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের মন্ত্রীরা যেসব যুক্তি তুলে ধরছেন, সেটিকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "যেসব মন্ত্রীরা এ কথা বলছেন, তারা অসুস্থ হলে বিএসএমএমইউতে যান কী-না? তারাও তো ঢাকায় চিকিৎসা নিলে ইউনাইটেড, স্কয়ার কিংবা অ্যাপোলোতে যান।" যে দুইজন চিকিৎসক কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়াকে কারাগারে দেখতে গিয়েছিলেন তাদের একজন অধ্যাপক সৈয়দ ওয়াহিদুর রহমান। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্যতম। অধ্যাপক রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে - রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। চিকিৎসক মি. রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার প্রস্রাবে বারবার সংক্রমণ হচ্ছে, কিডনি দুর্বল হয়ে গেছে এবং রাতে জ্বর আসে। "ওনার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। যেমন ধরুন - এমআরআই করা দরকার। ওনার দুই হাঁটুতেই আর্টিফিশিয়াল প্রসথেসিস করা আছে যেটা নরমাল এমআরআই মেশিনে হবে না। এখানে সরকারি-বেসরকারি ব্যাপার না। বিষয় হচ্ছে পরীক্ষাগুলো এমন এক জায়গায় করতে হবে যাতে সবকিছু একসাথে করা যায়। বিএসএমএমইউতে ঐ ধরণের এমআরআই মেশিন নাই। এটা সমস্যা হবে," - বলছিলেন অধ্যাপক রহমান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যেহেতু ইউনাইটেড হাসপাতালে অনেক আগে থেকেই চিকিৎসা করতেন। সেজন্য সেখানকার চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার যেমন পরিচিত, তেমনি পরিবেশেও পরিচিত বলে মি. রহমান উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় "পেশেন্টের (রোগীর) চয়েস তো সারা পৃথিবীতে আছে। ঢাকা শহরে ১০০টা হার্টের ডাক্তার আছে। আমি তো সব ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করছি না। আমার হার্টের অসুবিধা হলে আমি সবসময় যার কাছে যাই, তার কাছেই যাব।" চিকিৎসক অধ্যাপক রহমান বলেন, খালেদা জিয়া ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান দুটো কারণে। প্রথমত: সে হাসপাতালের পরিবেশ এবং চিকিৎসকরা তাঁর পরিচিত, দ্বিতীয়ত: খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সে হাসপাতালে একসাথে করা সম্ভব। এদিকে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেও সেটি নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। এ আবেদনকে অযৌক্তিক হিসেবে বর্ণনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া 'মাইল্ড স্ট্রোকে' আক্রান্ত হয়েছেন - এ কথা চিঠিতে উল্লেখ করে শামীম ইস্কান্দার লিখেছেন, "ভবিষ্যতের জন্য এ ধরণের বিষয় বড় রকমের ঝুঁকির পূর্বাভাস বহন করছে।" ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সব ব্যয়ভার তিনি বহন করবেন বলে নিশ্চয়তা দেন। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: কেন ট্রাম্প এবং কিম বিশ্বকে চমকে দিতে পারেন মরে যাচ্ছে আফ্রিকার হাজার বছরের প্রাচীন গাছগুলো যেখানে একজনের অপরাধের দায় গোটা সম্প্রদায়ের | বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী নন, এ কথা জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নাঈম আশরাফের সাত দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত বুধবার রাতে ঢাকার কাছে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতারের পর আজ তাকে আদালতে উপস্থাপন করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলো পুলিশ। এদিকে এর আগেই সকালে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের কাউন্টার-টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে ধর্ষণের ঘটনায় নাঈম আশরাফের ভূমিকাই বেশি ছিলো। পরে আদালতে পুলিশ যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতেও বলা হয়েছে যে নাঈম আশরাফ সরাসরি ধর্ষণে অংশ নিয়েছে। তবে আদালতে মি. আশরাফের আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার এ অভিযোগ সত্যি নয় বলে দাবি করেন। গত ২৮শে মার্চ বনানীর একটি হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ৬ই মে থানায় দায়ের করা মামলায়। মামলার মোট পাঁচ জন আসামীর মধ্যে চারজনকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এবং গ্রেফতারের পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। নাঈম আশরাফ একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্ণধার। মামলার এজাহারে তার নাম নাঈম আশরাফ হলেও পুলিশ তাকে এস এম হালিম নামেও চিহ্নিত করেছে। ওদিকে, মামলার অভিযুক্ত শাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরপর ঐ দুজন এ ঘটনায় আদালতে আজ জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। | বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বনানীতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সর্বশেষ আটক হওয়া নাঈম আশরাফের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | টুইটারের প্রধান কর্মকর্তা জেক ডোরসি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সারা দুনিয়া যখন সমালোচনা মুখর, তখন মিয়ানমারের প্রশংসা করে মি. ডোরসি লিখেছেন, "সেখানে মানুষেরা আনন্দ-ভরপুর আর খাবার-দাবারও অসাধারণ"। মিয়ানমার নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন মি. ডোরসি। সেগুলোতে বলা হয়েছে, গত মাসে তিনি মিয়ানমারের উত্তরাংশে ভ্রমণ করেছেন। মেডিটেশন বা ধ্যানকে কেন্দ্র করেই মূলত ছিল তার এই বিশেষ পরিভ্রমণ। টুইটারে মি. ডোরসির প্রায় ৪০ লাখ ফলোয়ার বা অনুসরণকারী রয়েছে। এই ব্যাপক সংখ্যক অনুসরণকারীদের সামনে তিনি মিয়ানমারকে ভ্রমণের ইতিবাচক গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরলেও সেখানে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপরে নির্যাতন, নিপীড়নের ও তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি মি. ডোরসি একেবারেই উপেক্ষা করে গেছেন বলে মনে করছেন সমালোচকেরা। আরও পড়তে পারেন: প্রমোদতরীতে ভ্রমণ যেভাবে রুপ নিলো ট্রাজেডিতে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গেল, এবার প্রচারযুদ্ধ শুরু কেমন ছিল প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শৈশব? টুইটারের পোস্ট। গত বছর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে সহিংস অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই অভিযানে নিহত হয়েছে শিশু ও নারীসহ কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা বহু নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং জ্বালিয়ে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও জমির শস্য। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে মিয়ানমারকে একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরায় মি. ডোরসি'র টুইটকে 'নিন্দনীয়' বলে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছে মন্তব্য লিখেছেন একজন। টুইটারের পোস্ট। আরেকজন মন্তব্যকারী আরও বেশ কড়া ভাষায় লিখেছেন, "এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন পরামর্শ।" মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে এই ব্যক্তি আরও লেখেন, "এতো নিউজ, এতো হৈচৈ-কোলাহল হচ্ছে। অথচ এই নিয়ে উনার প্ল্যাটফর্মে কোনও মনোযোগ নেই?" মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সমালোচনা করেছে অন্য আরও অনেকে। গত মাসে ফেসবুক বলেছে যে, মিয়ানমারে 'অফলাইন' বা মানুষের বাস্তব জীবনে যে সহিংসতা চলছে তা থামাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। টুইটার পোস্ট। এই বিষয়টিকে সামনে এনে একজন লিখেছেন, "গণহত্যা চালাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু জেক ডোরসি খুব গর্বের সাথে তুলে ধরেছেন তার নীরব পরিভ্রমণের খবর"। আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী এই বলে ডোরসিকে প্রশ্ন করেছেন যে, "তুমি যখন মিয়ানমারে ধ্যান করছিলে তখন কি ধ্যানের ভেতর মিয়ানমার সরকার ও তাদের সমর্থকরা তোমার প্ল্যাটফর্মকে (টু্ইটার) ব্যবহার করে কীভাবে সহিংসতার বিস্তার ঘটাচ্ছে তা থামানোর উপায় খুঁজেছিলে? বিবিসি বাংলার আরও খবর: ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েও দুর্বিষহ জীবন ভারতে ইভিএম নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস জোর করে শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়ে বিপদে শিক্ষিকা | মিয়ানমারকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরে টুইট লিখে বেকায়দায় পড়েছেন টুইটারের প্রধান কর্মকর্তা জেক ডোরসি। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার ব্যবহৃত দামি ঘড়িগুলো উপহার হিসেবে পেয়েছেন বলে জানান। গত মাসে সুইডেনভিত্তিক একটি অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মি. কাদের যে ঘড়িগুলো ব্যবহার করেন তার মধ্যে সাতটি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের এবং ওই ঘড়িগুলোর বাজার মূল্য নয় থেকে ২৮ লাখ টাকা। এতো ব্যয়বহুল ঘড়ির ব্যবহার, নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তার সম্পদের বর্ণনার সাথে পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত বৃহস্পতিবার মি. কাদের সাংবাদিকদের বলেন, তার যত দামি ঘড়ি ও দামি পোশাক রয়েছে, তার সবই কর্মীরা 'উপহার' হিসেবে দিয়েছেন। তিনি নিজে কোনটা পয়সা দিয়ে কেনেননি। মি. কাদেরের এমন ব্যাখ্যাকে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা-টিআইবি এক বিবৃতিতে প্রশ্ন তুলেছে যে, এসব সামগ্রী যদি উপহার হিসেবেই পাওয়া হয়ে থাকে, কেন সেগুলো রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা দেওয়া হল না? কার থেকে কী পরিমাণ উপহার সরকারি বিধি অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মকর্তা কী পরিমাণ উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন এবং কোন উপহারগুলো তোশাখানায় জমা দিতে হয়, সেটার প্রক্রিয়াই বা কী? এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী এই উপহারগুলো বা উপহারের সমপরিমাণ অর্থ যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেওয়ার কথা। তিনি বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার দেশের ভেতরে কারও থেকে কোন উপহার গ্রহণের নিয়ম নেই। তবে বিদেশে গেলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে উপাহার নেয়া যেতে পারে। "যদি বিদেশি কোন রাষ্ট্রদূত উপহার দেন, সেটা না নিলে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে, তখন তাই সেই উপহার নেয়া যাবে। তবে সেটার মূল্য যদি নির্ধারিত পরিমাণের চাইতে বেশি হয় তাহলে সেটা সরকারি তোশাখানায় জমা দেয়ার জন্য মন্ত্রী পরিষদ সচিবের কাছে একটি চিঠি দিতে হবে। সেটা ব্যবহার করা যাবে না।" বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের কিছু ঘড়ি। তোশাখানা বিধিতে কী বলা আছে ২০১২ সালের জুনে হালনাগাদ করা তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিদেশি বিশিষ্টজনদের থেকে একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ৩০ হাজার টাকা বা তার কম মূল্যের উপহার গ্রহণ করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এই মূল্যমানের সীমা ৫০ হাজার টাকা এবং সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে। এর বেশি মূল্যমানের উপহার বা উপহারটি যদি দুর্লভ বস্তু যেমন: পুরানো ছবি বা প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হয় তাহলে সেটা সাথে সাথে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে জানিয়ে তোশাখানায় জমা দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই নিজের কাছে রাখা যাবে না বা ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে যে তোশাখানা আছে সেখানে এই উপাহারগুলো সাজিয়ে রাখার নিয়ম আছে, যেন সাধারণ মানুষ দেখার সুবিধা পায়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি যেসব উপহার পান সেগুলো বঙ্গভবনে সংরক্ষিত থাকে। আরও পড়তে পারেন: দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে বাংলাদেশে নামে মাত্র সংসদীয় গণতন্ত্র আছে - টিআইবি ভিআইপি সংস্কৃতি অসাংবিধানিক - টিআইবি কিছু উপহার যেমন বিভিন্ন তৈজসপত্র বা যন্ত্রপাতি সরকারি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অব্যবহৃত কিছু উপহার যেগুলো ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে কিংবা মূল্য হারিয়ে ফেলবে সেগুলো নিলামে তোলা যেতে পারে, যার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, দুর্লভ ছবি বা ভিডিওর মতো অমূল্য সম্পদগুলো জাতীয় জাদুঘরে পূর্ণ নিরাপত্তা বলয়ে রাখতে বিধিতে বলা হয়েছে। কিছু পণ্য যদি বেশ মূল্যবান হয় এবং তোশাখানা থেকে গায়েব হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে প্রসিদ্ধ ব্যাংকের লকারে সরকারি অর্থায়নে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। তোশাখানার জিম্মাদার দায়িত্ব পালন করে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। তারা মূলত ওইসব উপহার সংগ্রহ, মূল্য নির্ধারণ ও সংরক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে থাকে। এবং সার্বিক কাজে তাদের সহায়তা করে তোশাখানা মূল্যায়ন কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকেন। এছাড়া সদস্য হিসেবে থাকেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুজন উপসচিব, এবং অর্থনীতি বিভাগ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। দুর্নীতি উস্কে দিচ্ছে মি. কাদেরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সমাজের দুর্নীতিকে আরও উস্কে দিয়েছে বলে মনে করেন দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণায় সংশ্লিষ্ট সুলতানা কামাল। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "যারা নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে আছেন, যারা নিয়ম বানান এবং যারা এসব নিয়ম মানার জন্য অন্যের ওপর কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতে পারে, তারা যখন নিয়ম মানেন না সেটা একটা নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এতে তাদের নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।" দেশের শীর্ষ ক্ষমতায় থেকে প্রচলিত নিয়ম নীতি না জানাকেও অন্যায় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "কেউ যদি জেনেশুনে এমন অপরাধ করে থাকেন তাহলে সাধারণ মানুষ মনে করবে যে তারাও আইন না মেনে, দুর্নীতি করে চলতে পারবে। এটা মানুষকে সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে মানুষকে ধাবিত করে।" নিয়ম লঙ্ঘণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী এখন কেউ এসব নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা তোশাখানা বিধিতে স্পষ্ট করে বলা নেই। তবে তথ্য গোপন এবং হলফনামায় দেয়া তথ্যের সঙ্গে এসব উপহারের অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেলে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এর আগে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার কারণে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। যদিও হাইকোর্ট পরে সেই মামলা বাতিল করে দেয়। | বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যবহৃত ঘড়ি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এই কর্মকর্তাদের প্রথমত প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাদের ব্যক্তির মালিকানায় কোন সম্পদ থাকে সেগুলোর সব জব্দ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর সংশ্লিষ্ট কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবে না তারা। নিষেধাজ্ঞায় থাকা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং লাইং -ও রয়েছেন। এছাড়া বাকি তিন কর্মকর্তা হলেন, ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং। নিষেধাজ্ঞার ওই ঘোষণায় মিয়ানমারের পরিবর্তে 'বার্মা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন আং লাইং। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, তারাই প্রথম কোন দেশ বার্মিজ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে হত্যা ও সহিংসতার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দুই বছর আগের সেই সহিংসতার যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। জাতিসংঘের মিশন এর আগে জানিয়েছে যে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা বন্ধে যদি আরও আগে পদক্ষেপ নেয়া হতো তাহলে রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে এই বার্মিজ সেনাদের দুই বছর আগেই দোষী সাব্যস্ত করা যেত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে কঠোর। ওই সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন থাকবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। আরও পড়তে পারেন: মিয়ানমার আর্মির বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রোহিঙ্গা শিবিরে কোন্দল, বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ড: সাজাপ্রাপ্ত সাত সেনাকে মুক্তি ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন অভিযান চালানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক ধাপে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে এই রোহিঙ্গারা। | মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির শীর্ষ চারজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | জেট এয়ারওয়েজের বিমান প্রবল সঙ্কটের মুখে পড়া এই এয়ারলাইনটিকে বাঁচানোর জন্য জেটের পাইলটরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইছেন। প্রধান ঋণদাতা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কাছে তারা ১৫০০ কোটি রুপি জরুরি তহবিলের জন্যও আবেদন জানিয়েছেন। মাত্র কিছুদিন আগেও এই এয়ারলাইনটি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালাত। কিন্তু তাদের যাবতীয় অপারেশন এখন প্রায় স্তব্ধ - জেটের কর্মীরা প্রতিবাদে রাস্তাতেও নেমে এসেছেন। সোমবার মুম্বাইতে জেট এয়ারওয়েজের সদর দফতরের সামনে উৎকন্ঠিত পাইলটরা কিন্তু কেন আর কীভাবে সংস্থাটির এই হাল হল? গত পঁচিশ বছরে ভারতের এভিয়েশন সেক্টরের করুণ ও বিবর্ণ ছবিটাকে আমূল বদলে দেওয়ার জন্য যে সংস্থাটিকে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেওয়া হয়ে থাকে - সেটি জেট এয়ারওয়েজ। ১৯৯২ সালে ভারতে যখন আর্থিক উদারীকরণের যুগ শুরু হয়, তখন অনাবাসী শিল্পপতি নরেশ গয়ালের হাত ধরে এই কোম্পানির জন্ম । আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও তারা ভারতে ও ভারতের বাইরে মোট ৫৬টি গন্তব্যে নিয়মিত বিমান চালাত। কিন্তু সেই জেট এয়ারওয়েজ এখন প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে - গত কয়েকদিন ধরে তাদের কর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে দিল্লি ও মুম্বাইতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, পাইলটরা ধর্মঘটের হুমকি দিচ্ছেন। জেটকে রক্ষা করার দাবিতে সংস্থার কর্মীদের মিছিল জেটের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের কর্মী অদিতি বলছিলেন, "এ মাসে আমরা মাইনে পাইনি।" "সংস্থার বেশির ভাগ গ্রাউন্ড স্টাফ একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা, ফলে এক মাস মাইনে না-পাওয়ার অর্থই হল বাড়িভাড়ার চেক বাউন্স করা কিংবা ছেলেমেয়ের স্কুলের মাইনে না-দিতে পারা।" "আমরা চাকরির নিরাপত্তা চাই ... কারণ জেট বিপদে পড়লে সংস্থার হাজার হাজার কর্মী চাকরি খোয়াবেন।" জেটের পাইলটদের অবস্থা আরও করুণ, ক্যাপ্টেন নাসিম যেমন জানাচ্ছেন তাদের কারওরই গত সাড়ে তিন মাস ধরে মাইনে হয়নি। তবে তার পরেও তিনি বলছিলেন, "মাইনেটা কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি নয়, প্রধান দাবি হল জেট এয়ারওয়েজকে আগে বাঁচানো।" সব আন্তর্জাতিক রুটেই জেটের বিমান চলাচল এখন বন্ধ "এর জন্যই আমরা ঋণদাতাদের জরুরি সহায়তা চাই, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।" "কারণ এয়ারলাইনটা না-থাকলে কিছুই থাকবে না, পুরো জেট পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে!" বস্তুত কিছুদিন আগেও জেট এয়ারওয়েজের বহরে যে ১২৩টি বিমান ছিল, তার মধ্যে বড়জোর গোটাসাতেক এখন আকাশে উড়ছে। লন্ডন, ব্রাসেলস, আমস্টার্ডাম, হংকং, সিঙ্গাপুর বা ঢাকা-তে ভারত থেকে জেটের যে সরাসরি উড়ানগুলো ছিল সেগুলোও এখন বন্ধ। কিন্তু ভারতের যে এয়ারলাইনটি একদিন এমিরেটসের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার স্বপ্ন দেখত, সেটির এই দশা হওয়ার পেছনে আসলে একাধিক কারণ আছে। ভারতে লো-কস্ট এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারেনি জেট এয়ার ইন্ডিয়ার সাবেক অধিকর্তা জিতেন্দ্র ভার্গব বিবিসিকে বলছিলেন, "যখন থেকে ভারতের বাজারে ইন্ডিগো বা স্পাইসজেটের মতো লো-কস্ট এয়ারলাইনগুলো এসেছে এবং তারা অনেক কম খরচে প্রায় জেটের মতোই ভাল পরিষেবা দিতে শুরু করেছে তখন থেকেই তাদের এই সঙ্কটের শুরু।" "কারণ, ভারতীয়রা দামের ব্যাপারে খুব সচেতন, ভাড়া কম হলে তারা ইন্ডিগো বা স্পাইসজেটেই ঝুঁকবে।" "জেটও দশ বছর আগে যে প্রিমিয়াম পরিষেবাটা দিত, এই চাপের মুখে পড়ে সেটাও তারা দিতে পারছিল না।" এভিয়েশন খাতের বিশেষজ্ঞ হেমন্ত বাটরাও জানাচ্ছেন, গত কয়েকমাস ধরেই জেট এয়ারক্র্যাফট লিজিং কোম্পানি, তেল সংস্থা বা অন্য ভেন্ডরদের কিস্তির টাকা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছিল। মি বাটরার কথায়, "কারণ তাদের নগদের টানাটানি তুঙ্গে উঠেছিল, ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছিল ১০০ কোটি ডলার।" জেটের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল গত মাসে সংস্থা থেকে বিদায় নিয়েছেন "গত মাসে জেটের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালকেও বিদায় নিতে হয়েছে, নতুন বিডিংয়ের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৩০শে এপ্রিল।" "কিন্তু যা পরিস্থিতি, তাতে এক্ষুনি ১৫০০ কোটি রুপি টাকা না-ঢাললে জেট হয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।" প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারলাইনগুলো এর মধ্যেই ৪০ বা ৫০ শতাংশ কম বেতনে জেটের পাইলটদের তাদের সংস্থায় যোগ দেওয়ার অফার দিতে শুরু করেছে। বাজার থেকে জেটের বিদায়ে ভারতে বিমানভাড়াও বেড়ে চলেছে হু হু করে। অতএব ভারতে এভিয়েশনের একটি দারুণ সফল উদ্যোগের মৃত্যুসংবাদও এখন লিখে ফেলতে হবে কি না, সেটাও জানা যাবে খুব শিগগিরি। | ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন জেট এয়ারওয়েজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলোর এক জরুরি বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঘরের সামনে প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে তথ্যও খুবই কম আছে বলে বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। ডিসেম্বর মাসেই আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছিল- পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এমন বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সাথে জড়িত কর্মকর্তারাও বলেছেন, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার ব্যাপারে সরকারের তাগিদও রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে বাধ্য করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এবারও তাদের বিবৃতিতে একই কথা বলা হচ্ছে। পাঁচতলা বিশিষ্ট শেল্টার হোম রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের একটি দলকে ভাসানচর পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বুধবার জাতিসংঘ তাদের বিবৃতিতে বলছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের ব্যাপারে জাতিসংঘ তার আগেকার অবস্থানেই রয়েছে, অর্থাৎ ভাসানচরে যাবার ব্যাপরে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন জেনে-বুঝে এবং মুক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এবং সেজন্য জায়গাটি সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক, সুনির্দিষ্ট ও হালনাগাদ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যেন তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাংলাদেশের সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে স্থানান্তর প্রক্রিয়া হবে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার ভিত্তিতে, এবং এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির প্রতি সরকার সম্মান দেখাবে বলে জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়েছে। ভাসানচরে স্থানান্তরিত হবে যে রোহিঙ্গারা দ্বীপটিতে গিয়ে তাদের মৌলিক অধিকার এবং দ্বীপটিতে যাওয়া-আসা করার স্বাধীনতাসহ সব ধরণের সেবা পাওয়ার অধিকারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে জাতিসংঘ। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার প্রশ্নে অনিশ্চয়তা, তারিখ ঠিক হয়নি রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার উদ্যোগ আটকে গেছে ভাসানচরে যেতে চাইছেন না রোহিঙ্গারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রা নির্বাহের পর্যাপ্ত সুযোগ যেন থাকে। এর ফলে ভাসানচরে কর্মক্ষম ও নিরাপদ একটি জনগোষ্ঠী গড়ে ওঠার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। ২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। কিন্তু ২০১৮ সালে যখন প্রথম তাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়, তখন থেকেই রোহিঙ্গারা সেখানে যাবার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। আজকের বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ভাসানচর প্রকল্প ঘোষণার সময় থেকে এ পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ গঠনমূলক আলোচনার প্রস্তাব রেখেছে এবং সরকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত, পদ্ধতিগত এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিবেচনা করেছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর: ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গারাই আর সেখানে থাকতে চান না এই নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে জাতিসংঘ এখনও আগ্রহী বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, ভাসান চরে যেকোনো স্থানান্তর শুরুর আগে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল প্রোটেকশন অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য জাতিসংঘ বরাবর আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার অনুমোদন দিলে, জাতিসংঘ প্রায়োগিক এবং সুরক্ষা বিষয়ক মূল্যায়ন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। | জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী দিনে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত আছে। কিন্তু শরণার্থীদের স্থানান্তর প্রস্তুতি কিংবা রোহিঙ্গাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | পুলিশ বা প্রশাসনের নজরের বাইরে ঢাকায় ক্যাসিনো চলেছে কিভাবে-এই প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে। এদিকে, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ক্যাসিনো যন্ত্রপাতি আমদানিকারক চারটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে জানা গেছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে গত এক সপ্তাহে ঢাকা অবৈধভাবে স্থাপিত ক্যাসিনোতে এবং বিভিন্ন ক্লাবে জুয়া পরিচালনার ঘটনা ধরা হয়েছে। সরকার সমর্থিত যুবলীগের দু'জন নেতা এবং শ'দুয়েক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ক্যাসিনোগুলো চলার পিছনে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই অনেকে এমন অভিযোগ তুলেছেন। এতদিন ধরে এসব ক্যাসিনো চলছে কিভাবে, এর যন্ত্রপাতিই বা কিভাবে বাংলাদেশে এসেছে — এমন অনেক প্রশ্ন উঠেছে। তবে পুলিশ বা প্রশাসন কেউ এর দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। রাজধানীতে ক্যাসিনো চলার ব্যাপারে কিছুই জানা ছিল না বলে বক্তব্য তুলে ধরছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযানে একটি ক্যাসিনোর সরঞ্জাম জব্দ করা হচ্ছে গত বছর পুলিশের আইজি'র পদ থেকে অবসরে যান শহীদুল হক। তিনি বলছিলেন, তার সময়ে কখনও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে এমন ক্যাসিনো সম্পর্কে কোন তথ্য আসেনি। "ক্লাবগুলো একেবারে জুয়ার খেলার হাউজে রূপান্তর হবে, এটা পুলিশের ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। স্থানীয় পুলিশ তো বলে যে তারা এগুলো জানতো না। জুয়া খেলে জানতাম, কিন্তু ক্যাসিনো আছে, সেটা জানতাম না।এটা হচ্ছে তাদের ভাষ্য।" "অনেক সময় থানা পুলিশ যখন দেখে, আমি বন্ধ করতে পারি না এবং আইনও নাই সেখানে আমার যাওয়ার, তখন যদি কিছু পয়সা পাওয়া যায়, এরকম চিন্তা অনেকে করে।এটাও হয়তো হয়েছে। এগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।" তবে দুর্নীতি বিরোধী চলমান তৎপরতার প্রথম দিনেই র্যাব ঢাকার মতিঝিল এলাকায় চারটি অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়েছিল। সেই ক্যাসিনোগুলো সেখানে থানা বা পুলিশ স্টেশন থেকে অল্প দূরত্বেই ছিল,এই বিষয়টি এখন উদাহরণ হিসেবে সামনে আসছে। দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা টিআইবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলছিলেন, ঢাকায় ক্যাসিনো চলার বিষয়ে পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ কিছুই জানতো না, এমন বক্তব্য আরও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। "কোনো নির্বোধও এটা বিশ্বাস করবে না যে, এটা পুলিশ বা প্রশাসনের নজরের বাইরে হয়েছে। নজরের বাইরে হলে তারা তাহলে কি করেছে?জানাটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যদি তারা জানতে না পারেন, সেটাও কিন্তু দায়িত্বে অবহেলার মধ্যে পড়ে। তাহলে তারা থানা খুলে বসে আছেন কেন? এসব প্রশ্ন তোলেন সুলতানা কামার। আওয়ামী লীগের ভিতরেও পুলিশ বা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।এমনকি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বলেছেন, অবৈধ ক্যাসিনো চলার ব্যাপারে প্রশাসনের কারও না কারও যোগসাজশ ছিল। বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসিকে বলেছেন, পুলিশের কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এলেই তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এই অভিযান ক্যাসিনো বা ক্লাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে কিনা, সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, "সারাদেশে এই অভিযান হবে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে। রাঘববোয়াল বা চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না।" কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার সাথে জড়িত সন্দেহে যাদের ধরা হচ্ছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেকের যোগসাজশের তথ্য আসছে, সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে পুলিশ রাবের নজর এখনও বিভিন্ন ক্লাব এবং অবৈধ ক্যাসিনো বা জুয়া বাণিজ্যের দিকে। এসব সামাজিক অপরাধ এবং দুর্নীতির সাথে যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের কিছু নেতা এর সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। পুলিশী অভিযানের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সন্দেহভাজন অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। সবকিছু ছাপিয়ে ক্যাসিনো ইস্যুই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। | বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্লাবে এবং ক্যাসিনোতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ জুয়া চলার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের কারও কোন যোগসাজশ ছিল কিনা, সরকার তা তদন্ত করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | হামলার শিকার হওয়া মোহাম্মদ ফাইসান এই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা চারজনই একটি হিন্দুত্ববাদী দলের সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। নাগাপিত্তানাম জেরার কিল ভেলুর অঞ্চলের ২৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ ফাইসান বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দু'টি ছবি পোস্ট করে যেখানে তিনি গরুর মাংসের স্যুপ খাচ্ছিলেন বলে দেখা যায়। ছবিগুলোর সাথে স্যুপের স্বাদের প্রশংসা করে একটি পোস্টও করেন তিনি। ঐদিন সন্ধ্যায় একই এলাকার চারজন তরুণ ফাইসানকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। হামলায় ঘাড়ে এবং পিঠে চোট পাওয়া ফাইসানকে নাগাপিত্তানামের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে ফাইসান বলেন, "আমার পোস্ট করা ছবির নীচে তারা (হামলাকারীরা) খুবই আপত্তিজনক কমেন্ট পোস্ট করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তারা সেসব কমেন্ট সরিয়ে নেয়।" আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় ৭৩ জন আক্রান্ত, যাচ্ছে ঢাকার বাইরেও 'প্রত্যেক পুরুষ আপনার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়' 'ধর্ষণের বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়' বাংলাদেশের মানুষের ভারতবিদ্বেষ কি শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই? গরুর মাংসের স্যুপের প্রশংসা করে দেয়া পোস্ট "পরে আমি যখন প্রোভাচেরি মারিয়াম্মান মন্দিরের সামনে বসে ছিলাম তখন তারা দলবেঁধে আসে এবং আমার উপর হামলা চালায়।" কিল ভেলুর পুলিশ স্টেশন জানায় যে তারা চারজনকে আটক করেছে যারা হিন্দুত্ববাদী দল 'হিন্দু মাক্কাল কাটচি'এর সদস্য। হিন্দু মাক্কাল কাটচির নেতা অর্জুন সাম্পাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক ব্যক্তি তার খাওয়ার দোকানের প্রচারণায় বলেছেন 'যদি গরু আপনার ইশ্বর হয় তাহলে আমরা তাকে খাবো।' এবিষয়ে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা।" "কিন্তু পুলিশে অভিযোগ করা হলেও এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।" হামলার শিকার মোহাম্মদ ফাইসান এই প্রচারণাকে সমর্থন করে হিন্দুত্ববাদী দলের এক নেতার সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বলেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অর্জুন সাম্পাথ। "হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি তার গাড়িতে এ দোকানের প্রচারণার সাথে মিলিয়ে একটি স্লোগান লিখে রাখে এবং আমাদের এক সদস্যের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ যদি আগেই আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতো তাহলে এই হামলা হতো না।" এই ঘটনায় কিল ভেলরের পুলিশ সুপারের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। | ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের নাগাপিত্তানাম জেলায় গরুর মাংসের স্যুপ খাওয়ার ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য এক ব্যক্তির উপর হামলা হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | অথচ বাংলাদেশে বছরে ৪০ হাজারের মতো মানুষের কিডনি বিকল হয়ে যায়। বাংলাদেশে অন্যান্য রোগে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গেলে সেটি প্রতিস্থাপনের চিত্রও একই রকমই হতাশাব্যঞ্জক। এর প্রধান কারণ বলা হচ্ছে বাংলাদেশে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান করার চিত্র খুবই করুণ। আর মৃত ব্যক্তির অঙ্গ নেয়া বাংলাদেশে এখনো শুরুই হয়নি। কিন্তু এর কারণ কী? অঙ্গ দান সহজ করতে কী করা হচ্ছে? "আমাদের দেহটা পৃথিবীতে যতদিন চলবার ততদিন চললাম, কিন্তু তারপর তো অকেজো হয়ে যাচ্ছে"-বলছিলেন প্রবীণ লেখক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠক কামাল লোহানী। তাঁর সাথে কথা হচ্ছিলো তাঁর ধানমন্ডির বাড়িতে। ২০১৪ সালে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেবায় নিজের পুরো শরীর দান করেছেন। তিনি বলছিলেন কী কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। "অকেজো না হয়ে আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যদি কোন কারণে অন্য কারো কাজে আসে, তাকে বাঁচাবার ক্ষেত্রে অথবা তার জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনভাবে কাজে আসে, সেই জায়গাটা থেকেই ইচ্ছেটা হচ্ছে আমাদের দেহটা দিয়ে যাচ্ছি এবং আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেখানে যা দরকার হবে সেইটাই এরা ব্যবহার করবে।" ধানমন্ডি থেকে খুব বেশি দুরে নয় ঢাকার ভাটারা এলাকা। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে সেখানকার বাসিন্দা মোহাম্মদ মনজুর আলম হঠাৎ আবিষ্কার করলেন তার দুটো কিডনিই ৮০ শতাংশ বিকল হয়ে গেছে। এখন বয়স ৩১ বছর। তার একমাত্র ভরসা কিডনি প্রতিস্থাপন। তা না হলে যন্ত্র ব্যবহার করে বা ডায়ালিসিস করে যতদিন বাঁচার বাঁচবেন। "মন খুবই ভাইঙ্গা যায় যে এই বয়সে আমার এরকম একটা সমস্যা হলো। আমি এই পর্যন্ত আসলাম, এত কষ্ট করে পড়ালেখা করলাম, এখন আমি কিছুই করতে পারবো না? আমার দুইটা কিডনিই শেষ? আহা কী করবো এখন"। আত্মীয়দের কাছ থেকে কিডনি নেয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় মি: আলমের নেই। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। আত্মীয়দের অঙ্গ দিতে রাজি করানো তার জন্য প্রথম ঝক্কি। 'অন্য বিকল্পগুলো ব্যয়সাপেক্ষ' বলছিলেন তিনি। তাই এরপর থেকে চেষ্টা করেই যাচ্ছেন চিকিৎসায় সব খোয়ানো মনজুর আলম এবং শেষমেশ আরো অনেকের মতো ভেষজ চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেবায় নিজের পুরো শরীর দান করেছেন কামাল লোহানী। চিকিৎসকদের কয়েকটি সমিতি থেকে জানা যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হয়ে যায়। দেশে এক কোটির বেশি মানুষ হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত। যার অন্তত ১০ শতাংশের লিভার বিকল হয়ে যায়। কর্নিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধের সংখ্যা পাঁচ লাখ। এতো গেলো নানা ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার অল্প কিছু খতিয়ান। কিন্তু দু:খজনক হলেও এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের খতিয়ান খুবই হতাশাব্যঞ্জক। বছরে দেশে মোটে দেড়শোটির মতো কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। বছরে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টি কর্নিয়া সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কেবল চারটি লিভার সংযোজন হয়েছে। ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন একেবারেই হয়নি। অস্থিমজ্জা সংযোজন কিছুটা হচ্ছে। সোসাইটি অফ অরগ্যান ট্র্যান্সপ্ল্যানটেশন বাংলাদেশের প্রধান কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলছেন, বাংলাদেশে মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে অঙ্গ নেয়া একেবারেই হয় না। সেটি সম্ভব হলে কি হতো। "একজন মৃত ব্যক্তি দুটো কিডনি, একটা লিভার, একটি হৃদপিণ্ড, দুটো ফুসফুস, প্যানক্রিয়াস, ইন্টেস্টাইন দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে একজন মৃত ব্যক্তি অন্তত পাঁচজন অর্গান ফেইলিওর হওয়া মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন। ক্যাডাভারিক ট্রান্সপ্লানটেশনের দিকে আমাদের যেতেই হবে। কারণ রোগী তো অনেক বেশি। তা না হলে অর্গান আমরা পাবো না। আমাদের সামনে অনেক দূর যেতে হবে"। আরো পড়তে পারেন: মোহাম্মদ মনজুর আলমের দুটো কিডনির ৮০ শতাংশই বিকল, অঙ্গদাতা পাননি বলে ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে চলছেন তিনি। বিশ্বের সর্বত্রই মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করা বা ক্যাডাভারিক ট্রান্সপ্লান্টেশনের উপরে চিকিৎসা বিজ্ঞান বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু বাংলাদেশে আত্মীয়দের কাছ থেকে অল্প কিছু কিডনি পাওয়া গেলেও সব মিলিয়ে অঙ্গদানে রয়েছে ব্যাপক অনীহা। বাংলাদেশে নানা রোগে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গেলে সেটি প্রতিস্থাপনের চিত্র এমন হতাশাব্যাঞ্জক হওয়ার কারণ কি? বাংলাদেশ লিভার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলছেন বাংলাদেশে কুসংস্কার ও ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা এর অন্যতম প্রধান কারণ। "অনেকে রিলিজিয়াস একটা গ্রাউন্ড দাড় করান যে আমি মরে গেলাম, আমার লিভার খুলে নিলো, আমার হার্ট খুলে নিলো, কি নিয়ে আমি কবরে যাবো। আমরা জনগণকে বুঝাই যে ধর্মে কোন বারণ নাই কারণ সৌদি আরবের মতো জায়গায় লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট সবই হচ্ছে। ধর্মও্র এমন বলে না যে তুমি মরার পরে অঙ্গ দান করতে পারবা না" অধ্যাপক আলী বলছেন বাংলাদেশে প্রতিস্থাপনের সুবিধাও খুব কম। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সবচেয়ে সফলভাবে যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে সেটি হলো চোখের কর্নিয়া। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি বলছে ১৯৮৪ সালে তাদের চক্ষু সংগ্রহের কাজ শুরুর পর থেকে ৩৬ হাজার ব্যক্তির অঙ্গীকার পেয়েছেন তারা। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ডা মোহাম্মদ জয়নাল আবদিন অবশ্য বলছেন অঙ্গীকার দাতাদের মৃত্যুর পর তাদের আত্মীয়রা প্রায়ই তাদের কোনো খবর দেন না। মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে আত্মীয়দের আবেগও তাদের জন্য একটি বড় বাধা। "এমনও হয়েছে যে চক্ষু দান করেছেন কিন্তু তাদের আত্মীয়রা আমাদের খবর দেননি। সেক্ষেত্রে আমরা সেই কর্নিয়া আমাদের পক্ষে পাওয়া সম্ভব না। আমরা একটা ইমোশনাল জাতি। একটা মানুষ মারা যাওয়ার পর আমরা যখন শোকাতুর পরিবারে কর্নিয়া গ্রহণ করার জন্য যাই তখন ওখানে আরো যে মানুষগুলো আছে তাদের অন্যভাবে মোটিভেট করে যে আমরা এরকম সময় এই কাজটা কেন করি। কিন্তু আসলে এখানে শোকের ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর মানবতার কথা আমাদের ভাবা উচিত" কিন্তু সেটি হয়তো সবসময় সহজ নয়। তাই পরিবারের সদস্যদের বোঝানোর ব্যাপারে মত দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশে একই সাথে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের আইনি জটিলতাও রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান সহজ করতে এ সম্পর্কিত অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে একটি আইন সংশোধনের চেষ্টা করছে সরকার। সেটি সংসদে গৃহীত হলে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক বেশি সংখ্যক নিকটাত্মীয়র কাছ থেকে অঙ্গ নেয়া যাবে। মৃত ব্যক্তির অঙ্গ সংগ্রহও আগের থেকে সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে সম্পর্কে বলছিলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বাংলাদেশে আত্মীয়দের কাছ থেকে অল্প কিছু কিডনি পাওয়া গেলেও সব মিলিয়ে অঙ্গদানে রয়েছে ব্যাপক অনীহা। "এই আইন আমরা যুগোযোগী করেছি এই কারণে যে আত্মীয়র সংজ্ঞা, কে দিতে পারবে বা কে পারবে না সে নিয়ে অস্পষ্টতা ছিলো। তাতে অনেক সময় দেখা গেছে অস্পষ্টতা থাকার কারণে আমাদের ডাক্তাররা অনেক সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাছে নিগৃহীত হয়েছেন। অনেক হাসপাতাল তাই এব্যাপারে উদ্যোগ নিতো না। সেজন্য এটি সুস্পষ্ট করা হয়েছে" বলছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ এই আইন পাশ হলে শুধু বাবা মা বা ভাই বোন নন, রক্তের সম্পর্ক আছে এমন নিকটাত্মীয়, নানা-নানী, দাদা-দাদী এমনকি চাচাতো খালাতো ভাইবোনও অঙ্গ দিতে পারবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন এতে সংখ্যা বাড়বে। আইনে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ বেচা-কেনার ব্যবসা বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিকট আত্মীয় সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা অন্যান্য বিধান লঙ্ঘন করলে শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা অনেক সময় কঠোর আইনের কারণে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন। স বমিলিয়ে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো অসুখে শরীরের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গেলে বেশিরভাগের মানুষই নিয়তি মেনে নিয়ে সম্ভবত মৃত্যুর অপেক্ষা করেন। প্রচুর অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব হলেই কেবলমাত্র এর ব্যত্যয় সম্ভব। বিবিসি বাংলার আরো খবর: | বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো সফল কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিলো। কিন্তু এর পর থেকে এত বছরে দেশে মাত্র এক হাজারের মতো কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এখনও জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাননি তিনি ২০১৬ সালের ৯ই নভেম্বর হিলারি ক্লিনটন পরাজয় মেনে নেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠান। কিন্তু এবার আমেরিকার নির্বাচনে জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণার দু'সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনও চুপ। এ নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরে নানা জল্পনার-কল্পনার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন এখন স্বয়ং মুখ খুলেছেন। গতকাল (রোববার) রুশ একটি টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন তিনি বা তার সরকার জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাতে এখনো প্রস্তুত নন। 'নষ্ট সম্পর্ক নতুন করে নষ্ট হয় না' রুশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ভ্লাদিমির পুতিন বলেন তিনি যে এখনও জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাননি তার পেছনে কোনো ‘গোপন ষড়যন্ত্র‘ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমেরিকায় যে “অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে“ তার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে চান। রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া রিয়া নভোস্কি মি. পুতিনকে উদ্ধৃত করে বলছে, “এর (অভিনন্দন না জানানোর) পেছনে এমন কোনো ষড়যন্ত্র নেই যে আমরা অমুককে পছন্দ করি আর তমুককে অপছন্দ করি।“ তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আইনি লড়াই শেষ হওয়ার পর বিজয়ীকে তিনি অবশ্যই অভিনন্দন জানাবেন। ট্রাম্পের সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে একটি উষ্ণ সম্পর্ক ছিল পুতিনের তবে জো বাইডেনকে অভিনন্দন পাঠানোর ইস্যুতে তার টিভি সাক্ষাৎকারে মি. পুতিন আমেরিকার সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের চলতি সঙ্কট নিয়ে কড়া কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দ্রুত অভিনন্দন পাঠানো বা না পাঠানোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক নির্ভর করে না। “নষ্ট সম্পর্ক নতুন করে নষ্ট হয় না। সম্পর্ক ইতিমধ্যেই নষ্ট।“ আমেরিকার নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে চলমান অন্তর্কলহ নিয়ে টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েন নি মি. পুতিন। তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যে অনেক গলদ রয়েছে, সুতরাং অন্য দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করার কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।" পুতিনের বাইডেন সমস্যা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে হবেন বা না হবেন তাতে রাশিয়ার কোনো মাথাব্যথা নেই বলে যে বার্তা মি পুতিন রোববার দিতে চেয়েছেন, তার পেছনে কতটা সত্যতা রয়েছে তা নিয়ে অনেক পর্যবেক্ষকের মনে সন্দেহ রয়েছে। মস্কোতে বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানানো নিয়ে গড়িমসির অন্যতম প্রধান কারণ হয়তো নির্বাচনের ফলাফল মি. পুতিনের মনঃপুত হয়নি।অধিকাংশ পশ্চিমা বিশ্লেষকের ধারণাও সেরকমই। লন্ডনের ফাইনানসিয়াল টাইমসের প্রধান রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফিলিপ স্টিভেন লিখেছেন হোয়াইট হাউজ থেকে ট্রাম্পের বিদায় ক্রেমলিনের জন্য যে উদ্বেগের কারণ তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। “ট্রাম্প ছিলেন পুতিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রশংসাকারী।“ এটা ঠিক যে ২০১৬ সালের পরও মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বরঞ্চ ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার ওপর কয়েক দফায় নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে চুক্তি নবায়নে অনীহা দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে পুতিনকে নিয়ে সরাসরি কখনই কোনো বিরূপ মন্তব্য ট্রাম্প করেননি। বদলে একাধিকবার তিনি পুতিনের ‘বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের‘ প্রশংসা করেছেন। ২০১১ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার মস্কো সফরের সময় তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভিয়েভের সাথে জো বাইডেন 'দুর্বৃত্ত পুতিন' অন্যদিকে জো বাইডেন পুতিনকে একবারেই যে পছন্দ করেন না তার ইঙ্গিত গত ১০ বছরে তার কথা-বার্তায় বারবার প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার কথিত হস্তক্ষেপের পর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে পুতিন বিরোধিতা চরম আকার নিয়েছে। এবছরের মার্চ মাসে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক একটি সাময়িকীতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি থাগ বা দুর্বৃত্ত বলে মন্তব্য করেন। ঐ সাক্ষাতকারে রাশিয়ার সাথে পারমাণবিক অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি প্রসঙ্গে জো বাইডেন বলেন, “নতুন স্টার্ট চুক্তি করতে আমি সাহায্য করেছিলাম। আমি তা করেছিলাম এজন্য নয় যে আমি পুতিনকে পছন্দ করি। মানুষটি একটি দুর্বৃত্ত।“ জুনের ২৭ তারিখে মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক এনবিসিতে মি. বাইডেন বলেন, “ভ্লাদিমির পুতিন এবং ক্রেমলিনের নীচতার কোনো শেষ নেই। “ এসব কথা পুতিনের মত ইগো-সম্পন্ন বা দাম্ভিক একজন মানুষ যে একবারেই পছন্দ করছেন না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্রাইমিয়া দখল এবং ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের সময় জো বাইডেন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সে সময় কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা চাপানোর মূলে ছিলেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: দীর্ঘ নীরবতার পর বাইডেনকে চীনের অভিনন্দন আমেরিকায় নির্বাচন ২০২০: চীন ও রাশিয়া কাকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চায়? রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ মেনে নিলেন ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মি. বাইডেন বার বার বলেছেন, “আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি লঙ্ঘন“ করে পুতিনের রাশিয়া যাতে পার না পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর। রাশিয়ায় "পুতিনের স্বৈরাচারী" শাসনের বিরোধিতা যারা করছেন তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। জো বাইডেন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোকে দুর্বল করে ফেলা, তাদের ঐক্য নষ্ট করা ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান একটি লক্ষ্য। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাটাম হাউজে এক বক্তৃতায় জো বাইডেন পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, “পুতিনের আসল ইচ্ছা নেটো জোট এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাঙ্গন। জোটবদ্ধ একটি ইউরোপের বদলে মি. পুতিন আলাদা আলাদাভাবে ইউরোপের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক করতে চান যাতে তাদের ওপর খবরদারি করা সহজ হয়।“ ফাইনানসিয়াল টাইমসের ফিলিপ স্টিভেন বলছেন, জো বাইডেনের বিজয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক নতুন করে “অক্সিজেন পাবে।“ “আবার আটলান্টিকের দুই তীরের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে নতুন করে কথা শুরু হয়েছে। এবং সেই সহযোগিতার এজেন্ডার তালিকার ওপর থাকবে পুতিনের রাশিয়াকে সামলানো।“ তবে মার্কিন গবেষণা সংস্থা উইলসন সেন্টারের কেনান ইন্সটিটিউটের পরিচালক ম্যাথিউ রোজনস্কি সিএনএন-এ এক নিবন্ধে লিখেছেন, চাইলেই ভ্লাদিমির পুতিনকে এক হাত দেখে নেওয়া জো বাইডেনের কাছে সহজ হবে না। বাইডেনকে অনেকগুলো বাস্তব সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। “ইউক্রেন, জর্জিয়া, সিরিয়া, লিবিয়ার পর এবং এখন আজারবাইজানেও রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। তাছাড়া, চীন-মার্কিন বৈরিতা যত বাড়বে চীনের সাথে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা তত বাড়বে যেটা জো বাইডেনের কৌশলগত সিদ্ধান্তে বড়রকম দ্বিধা তৈরি করবে।“ তিনি বলেন, মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে দারুণ সখ্যতা না থাকলেও দুটো দেশেরই কৌশলগত লক্ষ্য অভিন্ন, “আর তা হলো বিশ্বে আমেরিকার কর্তৃত্ব খাটো করা।“ | ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন চার বছর আগে নির্বাচনে জেতেন তখন অতি দ্রুত যে কজন বিশ্বনেতা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন ছিলেন তাদের অন্যতম। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | সরকারের আশঙ্কা, দ্রুত এই পেঁয়াজগুলোর গতি করতে না-পারলে মুম্বাইয়ের জহরলাল নেহরু পোর্টের গুদামেই এই পেঁয়াজের চালানগুলো পচে পচে নষ্ট হবে। কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা দ্য মেটালস অ্যান্ড মিনারেলস ট্রেডিং কর্পোরেশন (এমএমটিসি) বিদেশ থেকে এই পেঁয়াজ আমদানির দায়িত্ব পেয়েছিল। তারা এখন এই পেঁয়াজের ই-অকশন বা ইলেকট্রিনিক নিলামের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর জন্য টেন্ডারও তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। দিল্লিতে সরকারি সূত্রগুলো বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, মাত্র দুসপ্তাহ আগেও এই পেঁয়াজের জন্য রাজ্যগুলোর কাছে ৪৮-৫৪ রুপি প্রতি কেজি দাম চাওয়া হয়েছিল। আরও পড়তে পারেন: পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? বাংলাদেশ চাহিদামতো পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারছে না কেন পেঁয়াজ: বাঙালির রান্নাঘরে এর কেন এত দাপট? ভারতে পেঁয়াজের বাজারে আগুন গত প্রায় ছমাস ধরেই কিন্তু এখন পেঁয়াজের মানভেদে মাত্র ১০ থেকে ২৫ রুপি দাম পেলেই এমএমটিসি এই পেঁয়াজ বেচে দিতে প্রস্তুত। অথচ ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল এমন একটা সময়ে যখন ভারত থেকে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ, নেপাল বা শ্রীলঙ্কাতে পেঁয়াজ রফতানিতে এখনও নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ভারত আচমকাই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। প্রায় পাঁচ মাস পরে আজও বাংলাদেশ সেই অভাবনীয় পেঁয়াজ সঙ্কট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এমন কী, দিল্লিতে এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুযোগের পরও ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি শুরু করেনি। সে সময় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার যুক্তি হিসেবে ভারত খারাপ ফলন এবং দেশের বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কথাই বলেছিল। তখনই অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এমএমটিসি-র মারফত তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার ইত্যাদি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি ওই সংস্থাটি এ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে প্রায় ২২৬ কোটি রুপি খরচ করেছে, কিন্তু ভারতেরই বিভিন্ন রাজ্যের কাছে তারা মাত্র ১৮ কোটি রুপির পেঁয়াজ বিক্রি করতে পেরেছে । এমএমটিসি সূত্রগুলো বলছে, এপর্যন্ত মোট আমদানির মাত্র ৮ শতাংশ বিভিন্ন রাজ্য সরকার কিনেছে, বাকি পেঁয়াজ অবিক্রিতই থেকে গেছে! তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে হরিয়ানা সরকার ১১০০ মেট্রিক টনের একটি চালান খাওয়ার যোগ্য নয়, এ কথা বলে গত মাসে ফেরত পাঠায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে ভারতের অনলাইন গ্রসারিগুলোতেও এই পরিস্থিতিতে বিপুল ক্ষতির ধাক্কা কিছুটা কমানোর চেষ্টায় এমএমটিসি-র সামনে পেঁয়াজের অভাবি বিক্রি (ডিসট্রেস সেল) করা ছাড়া কার্যত কোনও উপায় নেই। সে কারণেই তারা এই চালান সস্তায় নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের খুচরো বাজারেও কিন্তু ইতিমধ্যে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে এসেছে। ভারতে খোলা বাজারে যে পেঁয়াজ অক্টোবর-নভেম্বর দেড়শো রুপি কেজিতেও বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন পঞ্চাশ রুপি বা তারও নিচে নেমে এসেছে। ই-কমার্স গ্রসারি সাইটগুলোতেও রাজধানী দিল্লিতে মাত্র ৫৬ রুপি কেজিতে পেঁয়াজ ঘরের দরজায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সরকার এখনও কেন পেঁয়াজ রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না, তা ভেবেই পাচ্ছেন না এ দেশের বহু পেঁয়াজ রফতানিকারক। পেঁয়াজের সঙ্কট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও তামিলনাড়ুর এস এস এক্সপোর্টসের প্রধান ষান্মুগাভেল যেমন বিবিসিকে বলছিলেন, "বাজার এখন অনেকটাই পড়ে গেছে। তাছাড়া সরকারের কাছে বিরাট মজুদও পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।" "ওদিকে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশে আমাদের ক্রেতারা এখনও অপেক্ষায় আছেন। ফলে এখনও নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার যুক্তিটা কী, সেটাই বোধগম্য নয়।" "আমাদের কোম্পানি যেমন কোয়েম্বাটোরের ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে। কিন্তু রফতানি চালু করার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে এখনও কোনও সবুজ সংকেতই আমরা পাচ্ছি না", বলছিলেন তিনি। রফতানি নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি রাখলেও মুম্বাইয়ের বন্দরে পড়ে থাকা পেঁয়াজের অভাবি বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট, পেঁয়াজের ঝাঁঝ ভারতকেও মহা অস্বস্তিতে ফেলেছে। | বিদেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ রাজ্যগুলোর কাছে বেচতে না-পেরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ মাত্র দশ রুপিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ২০০৪ সালে আদালতে শুনানির পর ক্যাথলিন ফলবিগ এরপর মনে করুন আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে যে, আপনি সব কটি সন্তানকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছেন। চারটি ভয়ানক অপরাধের দায়ে আপনাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যে অপরাধ আপনি করেননি। আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের হান্টার ভ্যালি এলাকার একজন মা ক্যাথলিন ফলবিগের প্রায় ১৮ বছর আগের অপরাধ নিয়ে এখন এরকম ভাষ্যই শোনা যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছেন সিডনি থেকে সংবাদদাতা কোয়েন্টিন ম্যাকডারমট। ক্যাথলিনকে ২০০৩ সালে খুনের মামলায় "অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দুধর্ষ নারী সিরিয়াল খুনি" বলে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। তার চার সন্তানকেই তিনি হত্যা করেছিলেন বলে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তিরিশ বছরের কারাদণ্ডের ১৮ বছর সাজা তিনি ইতোমধ্যেই খেটেছেন। কিন্তু এতদিন পর বিজ্ঞানীরা নতুন যেসব তথ্য নিয়ে এসেছেন তাতে এই মামলার রায় সঠিক কি না তা নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে ৯০জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ একটি পিটিশনে সই করে মিজ ফলবিগকে ক্ষমা প্রদর্শনের এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার আবেদন জানিয়েছেন। স্বাক্ষরদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন দুজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, বর্ষসেরা অস্ট্রেলীয় খেতাব পাওয়া দুই ব্যক্তি, একজন প্রধান বিজ্ঞানী এবং অস্ট্রেলীয় এ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন শিন। তিনি বলেছেন: "এই মৃত্যুর ঘটনাগুলোতে এখন যেসব বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসাগত তথ্যপ্রমাণ দেখা যাচ্ছে, তাতে এই আবেদনে স্বাক্ষর করাটাই যৌক্তিক মনে করছি।" মিজ ফলবিগকে যদি মুক্তি দেয়া হয়, তাহলে এটি হবে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে ভুল বিচারে শাস্তিপ্রদানের সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত। ২০০৩ সালে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার শুনানিতে ক্যাথলিন ফলবিগ (বামে) পিটিশনে কী আছে? এই পিটিশনে বিজ্ঞান এবং আইনের মধ্যে ব্যাখ্যায় যে বিশাল ফারাক রয়েছে তা উঠে এসেছে। মিজ ফলবিগের রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়টি আপিল করা হয়েছিল। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া রায় ২০১৯ সালে যখন পুনঃবিবেচনা করা হয় তখনও অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীরা রায় দেন যে, তার দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তারা পরিস্থিতিগত তথ্যপ্রমাণ এবং মিজ ফলবিগের সেসময়কার একটি ডায়রিতে লিপিবদ্ধ কিছু ধোঁয়াটে তথ্যের ওপরই মূলতঃ জোর দেন। "ফলে আইনজীবীদের সামনে একটা মাত্র সিদ্ধান্তে পৌঁছনর রাস্তাই খোলা ছিল যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তানদের ক্ষতি করেছেন এবং তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করাটাই ছিল এক্ষেত্রে একমাত্র পদ্ধতি," বলছেন সেসময় মামলার নেতৃত্বদানকারী সাবেক বিচারক রেজিনাল্ড ব্লাঞ্চ। "তথ্যপ্রমাণ যা ছিল তাতে মিজ ফলবিগ ছাড়া আরও কারোর পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব ছিল না।" নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের সরকার জনগণকে দু বছর আগে আশ্বস্ত করে যে, "সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে, তদন্তে কোন ফাঁক রাখা হয়নি।" কিন্তু বিজ্ঞানীরা জোরেসোরে বলতে শুরু করেছেন যে, তাকে দোষী প্রমাণ করার পেছনে যথেষ্ট সন্দেহের কারণ রয়েছে। "বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা উপেক্ষা করা যায় না," বলেন মানবদেহের জিন বিশেষজ্ঞ গবেষক অধ্যাপক জোসেফ গেয। শিশু ও জন স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষক অধ্যাপক ফিয়োনা স্ট্যানলি বলেন: "চিকিৎসাগত ও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণকে এই মামলায় অগ্রাহ্য করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানকে ছাপিয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পরিবেশ ও পরিস্থিতিগত তথ্যের ওপর। ফলবিগ সন্তানদের মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদের হাতে বিকল্প ব্যাখ্যা রয়েছে।" আরও পড়তে পারেন: ক্যাথলিন ফলবিগের কারাদণ্ডাদেশের পর তার স্বামী ক্রেগ ফলবিগ সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন - ২৪শে অক্টোবর ২০০৩ কী সেই ব্যাখ্যা? তারা বলছেন ক্যাথলিন ফলবিগের শরীরে জিনগত একটি পরিবর্তন হয়েছিল যে পরিবর্তন বংশগতভাবে তার দুই মেয়ে সারা ও লরার শরীরে যায় আর সে কারণেই মেয়ে দুটির মৃত্যু ঘটে। ক্যাথলিনের শরীরে জিনের আরেক ধরনের পরিবর্তন হয়, যা ধরা পড়েছে তার দুই ছেলে ক্যালেব এবং প্যাট্রিকের ক্ষেত্রে, যা তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে তারা মনে করছেন, যদিও এই পরিবর্তনটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন। মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানের দেহে পরিবর্তিত এই জিন ২০১৯ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভাসির্টির ইমিউনোলজি এবং জিনোমিক মেডিসিনের অধ্যাপক ক্যারোলা ভিনুয়েসা এবং তিনিই এই মিজ ফলবিগের মুক্তির দাবিতে এই আবেদনের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি। তিনি বিবিসিকে বলেন, "পরিবর্তিত এই নতুন ধরনের জিন কারো শরীরে এর আগে আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যাথলিনের শরীর থেকে এই জিন তার দুই মেয়ের শরীরে গেছে," তিনি বলেন। "ক্যালএমটু (CALM2) নামে এই জিন থেকে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।" এই জিন সম্পর্কে আরও গবেষণা চালান অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এবং গত নভেম্বরে তাদের গবেষণার তথ্য চিকিৎসা বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ পায়। মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানের দেহে পরিবর্তিত জিন ২০১৯ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন অধ্যাপক ক্যারোলা ভিনুয়েসা ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা মিজ ফলবিগের শরীরে পাওয়া এই জিনের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখতে পান যে এটি বেশ মারাত্মক ধরনের এবং এই জিন যে কোন সময়ে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে এবং ছোট শিশুরা ঘুমের মধ্যে এর শিকার হয়ে মারা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানেরই মারা যাবার আগে প্রদাহ হয়েছিল এবং তারা মনে করছেন ওই প্রদাহের কারণে দুই শিশুর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন মিজ ফলবিগের দুই পুত্রসন্তানের শরীরেও বিরল একধরনের জিন পাওয়া গেছে। ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে এই জিন থেকে খুব শিশু বয়সে দুরারোগ্য মৃগী রোগ হতে পারে যার থেকে মৃত্যু অনিবার্য। জিন বিষয় এই গবেষণার ফলাফল থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন মিজ ফলবিগের চারটি সন্তানই স্বাভাবিক কারণে মারা গেছে। মেলবোর্নের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক স্টিফেন কর্ডনার ২০১৫ সালে এই শিশুদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট নতুন করে পর্যালোচনা করে মত দিয়েছিলেন যে, এই শিশুদের খুন করার কোন আলামত তাদের শরীরে নেই। তাদের দম বন্ধ করার কোন লক্ষণও শিশুদের শরীরে ছিল না। তিন বছর পর, ২০১৮ সালে আরেকজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ- ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ম্যাথিউ অর্ড অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, "অধ্যাপক কর্ডনারের সাথে আমি একমত যে এই চারজন শিশুর প্রত্যেকেরই যে স্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়েছে তার স্বপক্ষে ব্যাখ্যা রয়েছে। মিজ ক্যাথলিন ফলবিগের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে এই পিটিশনের ফল কী হয় তার ওপরে। নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি আপিল আদালতে সম্প্রতি তার আরেকটি আবেদনের শুনানি হয়েছে। মিজ ফলবিগ প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন তিনি নির্দোষ। | মনে করুন আপনি একজন মা, চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দশ বছরে আপনার একজনের পর একজন সব কটি সন্তান শিশুকালে স্বাভাবিক কারণে মারা গেছে। কেমন মনের অবস্থা হবে আপনার? |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | কাবো ডেলগাডো প্রদেশে তিন বছর ধরে চলা সহিংস কর্মকাণ্ডে কয়েকশো' মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে কাবো ডেলগাডো প্রদেশের গ্রামবাসীদের 'নির্বিচারে হত্যা' করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। গ্রামবাসীরা জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিতে অস্বীকার করার পর তাদের অনেককে শিরশ্ছেদ করা হয়ে। কাবো ডেলগাডো প্রদেশে তিন বছর ধরে চলা সহিংস কর্মকাণ্ডে কয়েকশো' মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি কোন গোষ্ঠী। নিজেদের নাম 'আল-শাবাব' দাবি করা একটি গোষ্ঠী ওই এলাকায় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। গত মাসে তারা খুব সহজেই মোসিমবোয়া ডে পারায়া শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তবে এই গ্রুপটি একই নামের একটি বৃহত্তর সোমালি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি-না, তা পরিষ্কার নয়। ইসলামিক স্টেট সেন্ট্রাল আফ্রিকা প্রভিন্স নামে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি শাখা দাবি করেছে যে মোজাম্বিকে অতীতের বেশ কয়েকটি হামলা তারা চালিয়েছে। এই হামলাটি গত ৭ই এপ্রিল মাইডুম্বে জেলার শিটাক্সি গ্রামে সংঘটিত হয়, তবে গত মঙ্গলবার এসব হত্যাকাণ্ডের তথ্য জানা যায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে? লকডাউন তুলে নেয়ার শর্ত কি পূরণ করতে পারছে বাংলাদেশ? দেড় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের ৫৫টি জেলায় ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস ‘হাসপাতালে বিছানার কাছেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাশ পড়ে ছিল’ ''সম্প্রতি অপরাধীরা গ্রামের কিছু তরুণকে তাদের দলে ভেড়াতে চেষ্টা করে, কিন্তু তাতে কিছু তরুণের পক্ষ থেকে বাধা আসে। এর ফলে অপরাধীরা রেগে গিয়ে নিষ্ঠুরভাবে ৫২ তরুণকে হত্যা করেছে'' - গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র অরল্যান্ডো মুডুমানে। কাবো ডেলগাডো অঞ্চলটি মোজাম্বিকের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকাগুলোর একটি - তবে এই এলাকায় উত্তোলন করা হয়নি, এমন সম্পদের মজুদ রয়েছে। ২০১০ সালে ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী রোভুমা বেসিনে বিশাল গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার করে মোজাম্বিক। তবে মোজাম্বিকের জাতীয় পুলিশ কমান্ডার বেরনার্ডিনো রাফায়েল দাবি করেছেন, ওই প্রদেশের কোন এলাকাই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে যায়নি। | মোজাম্বিকের উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা অন্তত ৫২ জন বাসিন্দাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | আমেরিকা, ইউরোপ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকার আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২০ লাখ ডোজ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টিকার অভাবে প্রথম ডোজ স্থগিত করা এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় টিকা কার্যক্রম হোঁচট খেয়েছে। টিকার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে একদিকে প্রথম ডোজ দেয়া স্থগিত করা হয়েছে। একইসাথে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া সম্পন্ন করার ব্যাপারে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে অদূর ভবিষ্যতে টিকা আসার সম্ভবনা নাকচ করে দেয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: চীনা টিকার অনুমোদন দিলো বাংলাদেশ, দেশেই উৎপাদন হবে ভারতকে রেমডেসিভির দিতে চাইছে বাংলাদেশ, দিল্লিতে জানালেন শ্রিংলা রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি' নিয়ে যা জানা যাচ্ছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছিল। এখন এই টিকার ঘাটতি সামলাতে বাংলাদেশ সরকার ভারতের বাইরে বিকল্প জায়গা থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার চেষ্টার কথা বলছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিশ্চিত করার বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো: খুরশিদ আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রয়েছে এবং তাদের অনেকে তা ব্যবহার করেনি। তাদের কাছ থেকে এই টিকা পাওয়া যাবে বলে বাংলাদেশ আশা করছে। "আমরা এই ঘাটতি মেটাতে টিকা সংগ্রহ করার চেষ্টায় আছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমরা যোগাযোগ করছি। আমেরিকা, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ইউকে এবং অস্ট্রেলিয়ায় আমরা যোগাযোগ করেছি," বলেন অধ্যাপক আলম। "আমরা ২০ লাখ ডোজ টিকা আনার চেষ্টা করছি। যাতে যারা এই টিকা নিয়েছেন, তারা যেন (দ্বিতীয় ডোজ) মিস না করেন।" তিনি এই চেষ্টায় টিকা পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে বলেন, "আশা নিয়েই বাঁচে মানুষ। আমিও আশা করছি এই টিকা পেয়ে যাবো।" তবে এই টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে- তার কোন সুনির্দিষ্ট সময় অধ্যাপক আলম জানাতে পারেননি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ লাখ ডোজের মতো টিকার ঘাটতি রয়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশের হাতে যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, তাতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না বলে বলা হচ্ছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু করেছিল। যারা এই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ছাড়া অন্য কোন টিকা দেয়া যাবে না-বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। ফলে টিকার যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তাতে পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো: আলম বলেছেন, প্রথম ডোজ দেয়া থেকে দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে যে সময় হাতে থাকছে, তার মাঝে টিকা পাওয়া সম্ভব হবে। "আমাদের প্রথম ডোজ দেয়ার পর ১২ সপ্তাহের সময় থাকে। যদিও আমরা আট সপ্তাহের মাথায় (দ্বিতীয় ডোজ) দিয়েছিলাম। এর কারণ আমাদের দেশের মানুষ যদি সময়মতো না আসে, তাহলে পরেও যাতে তাদের (টিকা) দেয়া যায়। কিন্তু ১২ সপ্তাহের সময়টা সারা দুনিয়াতেই মানা হচ্ছে। "১২ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে আমাদের আট সপ্তাহ চলে গেলেও চার সপ্তাহ সময় হাতে থাকবে। এই সময়ের মধ্যে টিকা পাব আশা করছি," অধ্যাপক আলম বলেছেন। অধ্যাপক আবুল বাসার মো: খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা দেয়ার কথা থাকলেও গত দুই মাসে কোন চালান আসেনি। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগেই টিকার এই ঘাটতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করা উচিত ছিল বলে তারা বলছেন। এখন বিষয়টিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে তারা মনে করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক একজন পরিচালক ড: বে-নজীর আহমেদ বলেছেন, অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এখনও সময় রয়েছে। "এখনও সম্ভবনা আছে এটা সমাধানের। যেহেতু তিন মাস পর্যন্ত এর দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যায়। ফলে সময় আছে।" একইসাথে ড: আহমেদ বলেছেন, "আমাদেরতো আরও আগে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। মাসে যদি ত্রিশ লাখ করেও আসতো, তাহলে আমরা এতদিনে প্রায় দেড় কোটি লোককে টিকা দিতে পারতাম। এক্ষেত্রে আমরা মাত্র অর্ধকোটি লোককে টিকা দিয়েছি। সুতরাং অবশ্যই আমরা হোঁচট খেয়েছি," তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ সরকার এখন রাশিয়া এবং চীন থেকেও টিকা আনার ব্যাপারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মে মাসে চীন থেকে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা আসতে পারে। তবে এসব প্রক্রিয়ায় সময়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে আবার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু করতেও সময় লেগে যেতে পারে। | ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসা বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ১৩ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ সরকার এখন ভারতের বাইরে বিকল্প হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ করছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | পালিয়ে আসা একটি রোহিঙ্গা পরিবার সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করে। মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা এবং এর আগে আসা আরও দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা সরাসরি দেখে গেছেন জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলে সদস্যরা। তারা নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে গেছেন। যুক্তরাজ্যের অ্যাম্বাসেডর কারেন পিয়ের্স বলেছেন, পরিষদের সকল সকল সদস্যই মনে করেন, "রোহিঙ্গা ইস্যুটি গত দশকের মধ্যে দেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার বিষয়ক ইস্যুগুলোর একটি এবং অবশ্যই সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস ডিরেক্টর পরম প্রীত সিং বলেছেন, এবার সিকিউরিটি কাউন্সিল সদস্যরা সরাসরি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে শুনেছেন। যারা দায়ী তাদের অবশ্যই শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। "নির্যাতনের বিষয়ে মিয়ানমারের অব্যাহত-ভাবে এবং অকল্পনীয়-ভাবে অস্বীকার করে আসা এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রমাণ করে এখন কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কাছে ন্যায়বিচারের একমাত্র ভরসা," বলেন তিনি। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কি করতে পারে? রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে রুল চেয়েছেন আইসিসি কৌঁসুলি রাখাইনে যৌন সহিংসতার কথা আইসিসিতে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে চারদিনের সফরে নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি সহ, দুই দেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সাথে আলাপ করেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম আইসিসিতে উত্থাপনের সম্ভাবনার বিষয়ে ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডর পিয়ের্স সাংবাদিকদের বলেন যে, অং সাং সু চি কাউন্সিল সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপযুক্ত প্রমাণ পেলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ "যথাযথ তদন্ত" করবে। যদিও রোহিঙ্গাদের ওপর সর্বোচ্চ মাত্রায় নির্যাতনের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার দ্বারা মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের পরও তারা নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি । একবছরের বেশি সময় দরে দেশটির সরকার সেখানে ইউএন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনকে প্রবেশে অনুমতি দিচ্ছেনা। হত্যা, ধর্ষণ এবং ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টও দেশটির সরকার সেনাবাহিনী নাকচ করে দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলন। গত বছরের নভেম্বরে সেনাবাহিনীর একটি তদন্ত দল জানায়, অন্তত ৩৭৬ "সন্ত্রাসী" সংঘাতের সময় নিহত হয়েছে কিন্তু কোনও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হয়নি"। যেখানে ২০১৭ সালের অগাস্টের সহিংসতার পর কোন বেসামরিক তদন্ত হয়নি, সেখানে রাখাইন রাজ্যের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন কমিশন (২০১৬ সালে অক্টোবর ও নভেম্বরে সংঘটিত সহিংসতার তদন্তে গঠিত) তাদের তদন্ত শেষে জানিয়ে দেয় ,"মানবতা-বিরোধী কোন অপরাধ, জাতিগত নিধনের মত কোন ঘটনা ঘটে নি"। রাখাইন স্টেটে কেবল একটি ঘটনায় মিয়ানমার সেনাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অগাস্টের ২৫ তারিখের পরে ইন ডিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় সাতজন সেনাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। যে দুজন রয়টার্স সাংবাদিক ঘটনার অনুসন্ধান করেছিলেন তাদের আটক করা হয় এবং ১৪ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। হিউম্যান রাইটও ওয়াচ কর্মকর্তা সিং বলেন, নির্যাতনের বিস্তারিত তথ্য প্রমাণের পরও তা নাকচ করে মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়ানক নির্যাতনের বিষয়ে তাদের শূন্য পর্যায়ের মনোযোগেরই পরিচয় দিচ্ছে। রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরষিদের উচিত নয় সরকারের নির্যাতনর তদন্ত করার বিষয়ে এই ফাঁকা আশ্বাসে নির্ভর করা। বিষয়টি আইসিসিতে পাঠানোর 'টেক্সটবুক কেস' হিসেবে অভিহিত করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। আইসিসির রোম স্ট্যাচু অনুসারে কোনও দেশ ভয়াবহ অপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে তদন্ত বা বিচার কাচে অনিচ্ছুক বা অপারগ হলে কেবলমাত্র তখন আদালত ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ মিয়ানমার যেহেুত আইসিসির অংশীদার নয় কিংবা এর জুরিসডিকশন গ্রহণ করছে না সেক্ষেত্রে সিকিউরিটি কাউন্সিলের বিষয়টি আইসিসিতে রেফার করা প্রয়োজন। এপ্রিল মাসে আইসিসিসি কৌসুলি মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে নির্দেশনার চেয়ে আপিল করেছিলেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নিরাপত্তা পরিষদের উচিত কোর্টের রুলিং এর অপেক্ষায় না থেকে নিরাপত্তা পরিসদের উচিত দ্রুত মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই আদালতের কাছে তুলে ধরা। বুনো হাতির হামলায় ১২ জন শরণার্থী মারা গেছে বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশে আলিবাবা: ই-কমার্সের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? অপরাধ আদালতে কি নেয়া যাবে মিয়ানমারকে? ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের যাদুকরী সমাধান নেই’- রুশ প্রতিনিধি 'রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে প্রত্যাশা বাড়াতে চাই না' কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমারের মন্ত্রী, রোহিঙ্গাদের ক্ষোভ | মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক ও পদ্ধতিগত-ভাবে জাতিগত নিধনের বিষয়টি শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তুলে ধরতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | শিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশিষ্ট সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনি। তার প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে তিনি একটি তীব্র অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ায় ভুগছিলেন। যার কারণে তার মুখ ফুলে যায়, চোখ থেকে ক্রমাগত পানি পড়ছে, এছাড়া ঘাড়ে পিঠে, বুকে এবং কবজিতে প্রচুর র্যাশ হয়েছে বলে জানা গেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে মস্কোতে শনিবারের বিক্ষোভের ডাক দেয়ার কারণে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে অ্যালার্জি হলে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নাভালনির চিকিৎসক বলছেন, তার এমন শারীরিক অবস্থাকে শুধুমাত্র অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন হিসেবে চিহ্নিত করা অযৌক্তিক। তিনি সন্দেহ করছেন যে নাভালনিকে হয়তো কোন "বিষাক্ত এজেন্ট"-এর সংস্পর্শে আনা হয়েছে। এমন অবস্থায় নাভালনিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ারও বিরোধিতা করেছেন তিনি। কিন্তু নাভালনিকে এখন পুনরায় জেলে স্থানান্তর করা হবে। স্থানীয় নির্বাচন থেকে বিরোধী প্রার্থীদের বর্জনের বিরুদ্ধে শনিবারের অনুমোদনহীন বিক্ষোভের ডাক দেয়ার কারণে গত সপ্তাহে নাভালনিকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এই ঘটনার জেরে এ পর্যন্ত ১৪০০জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। নাভালনি তার গ্রেফতারের দিন একটি ইন্সটাগ্রাম ভিডিও পোস্ট করে বলেন যে, যখন তিনি তার অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে জগিংয়ের জন্য এবং তার স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ফুল কিনতে বের হন, তখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪৩ বছর বয়সী এই আন্দোলনকর্মীকে এর আগেও অনেকবার কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই বিশিষ্ট সমালোচক ও বিরোধী ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে আর কী কী জানার আছে? ২০১৭ সালের মার্চে মস্কোর একটি আদালতের আপিল শুনানিতে নাভালনি। "চুরি এবং জালিয়াতি" মিস্টার পুতিনের দলকে "জালিয়াতি ও চুরির" আখড়া বলে আখ্যা দিয়েছেন নাভালনি। এই প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থাকে "রাশিয়ার রক্তকে চুষে খাওয়ার" সঙ্গে তুলনা দেন তিনি। এছাড়া তার ভাষ্যমতে যে "সামন্তবাদী রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়েছে তা ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন নাভালনি। তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সম্ভবত তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। আর সেটা হল, ব্যালট বক্সে পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করা। ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা কর্তৃপক্ষ বাতিল করে দিয়েছিল। আরও পড়তে পারেন: ভ্লাদিমির পুতিন: গোয়েন্দা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মস্কোতে বিক্ষোভ নাভালনি কি পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন? কেননা সে সময় রাশিয়ার একটি আদালত তাকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু নাভালনি কঠোরভাবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তার অভিযোগ, পুতিনের বিরুদ্ধে তার কঠোর সমালোচনার কারণেই ক্রেমলিন প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তাকে এমন আইনি প্যাচে ফেলেছে। রাশিয়ার রাজনীতিতে একটি শক্তি হিসাবে নাভালনির উত্থান হয়েছিল ২০০৮ সালের শুরুর দিকে। তখন তিনি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বড় বড় কর্পোরেশনের কথিত দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে ব্লগিং শুরু করেছিলেন। তার কৌশলগুলির মধ্যে একটি ছিল প্রধান তেল সংস্থা, ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়গুলোর অংশীদার হয়ে রাষ্ট্রীয় আর্থিক অবস্থার ছিদ্রান্বেষণ করে অদ্ভুত সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা। নিজ বার্তাগুলো প্রচারে নাভালনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতেন। যেটা তার রাজনৈতিক ধরণের অংশ। এর মাধ্যমে তিনি সরাসরি নবীনদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তীক্ষ্ণ ভাষা এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি আনুগত্য প্রতিষ্ঠার উপহাস তাকে এই পরিচিতি দেয়। বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়ার জন্য কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছেন মিস্টার নাভালনি। সরাসরি বিরোধীতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিস্টার নাভালনির প্রচারাভিযান শুরুতে কর্পোরেশনগুলোর বিরুদ্ধে হলেও পরে সরাসরি ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়। ২০১১ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে, তিনি কোন প্রার্থী হিসাবে যুদ্ধ করেননি, তিনি তার ব্লগের পাঠকদের ইউনাইটেড রাশিয়াকে বাদ দিয়ে যেকোনো দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। সেখানে তিনি ইউনাইটেড রাশিয়াকে "জালিয়াতি ও চোরদের দল" বলে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু সেবার ইউনাইটেড রাশিয়া নির্বাচনে জয়লাভ করে, কিন্তু আগের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না তারা। এই বিজয়ের পেছনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে মস্কো এবং অন্য কিছু বড় শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথম প্রতিবাদের পর ১৫ দিনের জন্য মিস্টার নাভালনিকে গ্রেফতার করা হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ২৪ ডিসেম্বরে মস্কোতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরবর্তী সবচেয়ে বড় সমাবেশে তিনি বক্তব্য রাখেন, এতে ১ লাখ ২০ হাজার জন উপস্থিত ছিলেন। মিস্টার পুতিন পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুন:নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং রাশিয়ার শক্তিশালী তদন্ত কমিটি নাভালনির অতীত কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্ত শুরু করেন, এমনকি আইনজীবী হিসাবে তার প্রমাণাদি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিরভ শহরে জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তাকে অল্প সময়ের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। তখন তার বিরুদ্ধে দেয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ডকে রাজনৈতিক রায় হিসাবে দেখা হয়েছিল। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে মস্কো মেয়র নির্বাচনের প্রচারণার জন্য তাকে কারাগার থেকে বের হওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। সেখানে তিনি ২৭% ভোট নিয়ে পুতিনের সহযোগী সের্গেই সোবিয়ানিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। একে একটি নাটকীয় সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল কেননা তার রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রবেশাধিকার ছিল না, কেবলমাত্র ইন্টারনেট এবং মুখের উপর নির্ভর করেই হয়েছে তার সব প্রচার প্রচারণা। ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত রায় দেয় যে, নাভালনির সঙ্গে ন্যায্য বিচার করা হয়নি। এই ঘোষণার পর রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট নাভালনির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়। তারপর, ২০১৭ সালে পুন:বিচারে, তাকে দ্বিতীয়বারের মতো দোষী সাব্যস্ত করে পুনরায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি এই রায়কে প্রহসনমূলক দাবি করে বলেন, যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাকে প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যেই এমনটি করা হয়েছে। সবুজ রং ঢেলে হামলা চালানো হয় নাভালনির ওপর। রং দিয়ে নির্যাতন ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে, নাভালনির মুখে অ্যান্টিসেপটিক সবুজ রঙ ছিটকে ফেলা হলে তাকে মস্কোর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে এ ধরণের জেলোন্নাকা (ইংরেজিতে "উজ্জ্বল সবুজ")হামলা দ্বিতীয়বারের মতো হয়। এই রং রাশিয়ার একটি প্রচলিত অ্যান্টিসেপটিক বা জীবাণুনাশক এবং ইউক্রেনের বিক্ষোভে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। "এটাকে হাস্যকর মনে হলেও এটির যন্ত্রণা নরকের মতো", মিঃ নাভালনি টুইট করেন। এই হামলায় তার ডান চোখের রাসায়নিক দহনের শিকার হয়। নাভালনিকে তার প্রথম বিচার কাজের জন্য কিরভে পৌঁছাতে ১২ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমন করতে হয়েছিল। বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সবচেয়ে সাম্প্রতিক গ্রেফতারের পর নাভালনির হঠাৎ এমন অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন ডাক্তাররা। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তিনি তীব্র অ্যালার্জিক রিয়্যাকশনের শিকার হয়েছেন। যার ফলে তার মুখ ফুলে গেছে, চোখের সমস্যা হচ্ছে। আর সারা শরীরে র্যাশ উঠেছে। তবে নাভালনির ব্যক্তিগত ডাক্তার রোববার জানান তিনি তিনি এর আগে কখনও এমন অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হননি। তার ওপরে বিষাক্ত কোন উপাদান প্রয়োগের কারণে এমনটা হতে পারে বলে নাভালনির চিকিৎসক ধারণা করছেন। নাভালনির মেডিকেল টিম জানান, তারা সোমবার নাভালনির সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন এবং তার চুল এবং টি-শার্টের নমুনা স্বাধীনভাবে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। | রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশিষ্ট সমালোচক, সরকার বিরোধী ব্যক্তিত্ব, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকর্মী অ্যালেক্সেই নাভালনিকে, মস্কো হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বইটি প্রকাশের পেছনে অনেকের ইন্ধন, উদ্যোগ এবং সাহায্যের যে কথা খোলাখুলি বলেছেন, বিচারপতি সিনহা তা প্রত্যাখ্যান করেন। "প্রধানমন্ত্রী যদি জানেন, তাহলে তা প্রকাশ কেন করছেন না? সাংবাদিকদের তা বের করতে বলছেন কেন?" বিচারপতি সিনহা বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় লেখা নিয়েও তাকে একই ধরনের কথা শুনতে হয়েছে। "তারা কখনো বলেছে আইএসআই এই রায় লিখে দিয়েছে, কখনো বলেছে ড. কামাল হোসেন লিখে দিয়েছেন। আবারো এখন এই বই নিয়ে একই প্রশ্ন।" তিনি বলেন, বইটিতে তার ব্যক্তিগত সব অভিজ্ঞতা তিনি লিখেছেন যেটা অন্য কারো পক্ষে লিখে দেওয়া সম্ভব নয়। "বইটিতে কিছু ভুল রয়ে গেছে, মুখবন্ধে আমি তার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছি। অন্য কেউ যদি এডিট করে দিত, তাহলে এই ভুলগুলো থাকতো না।" "আসলে স্বৈরশাসনে যারা মনোনিবেশ করেন, হিটলারের ইতিহাস যদি দেখেন, তার গোয়েন্দারা মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করতো। সরকারের যে সব বাহিনী এখন আছে, তাদের কথাই এখন প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) মুখে ফুটে ওঠে।" "উনি কেন এত ভয় পাচ্ছেন, এটা তো আত্মজীবণীমুলক একটি বই।" ''ক্ষমতা হারানোর জ্বালা থেকে বিচারপতি এস কে সিনহা বই লিখে মনগড়া কথা বলছেন, " ওবায়দুল কাদের, সাধারন সম্পাদক, আওয়ামী লীগ বিচারপতি সিনহার বইটি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত সপ্তাহে ঢাকায় বলেন, ''ক্ষমতা হারানোর জ্বালা থেকে বিচারপতি এস কে সিনহা বই লিখে মনগড়া কথা বলছেন। ক্ষমতায় যখন কেউ থাকে না, তখন অনেক অন্তরজ্বালা বেদনা থাকে। এই অন্তরজ্বালা থেকে অনেকে অনেক কথা বলেন।'' ''উনি প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায়, এখন যা বলছেন বইতে, সেটা বলার সাহস কেন একজন বিচারপতির থাকে না - এটা নৈতিকতার প্রশ্ন,'' বলছেন মি. কাদের। রাজনৈতিক আশ্রয় শনিবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারপতি সিনহা জানান, দেশে তার জীবনের ঝুঁকির কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। রোববার টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবিসির কাছেও তার রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি এই আশ্রয় চেয়েছেন। "আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি হিসাবে এখানে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়াটা আমাদের দেশে, সরকার এবং মূল্যবোধের জন্য একটা প্রশ্ন...কিন্তু আমার জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে" কেন তিনি মনে করছেন দেশে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে? বিবিসির এই প্রশ্নে বিচারপতি সিনহা বলেন, জঙ্গি বিষয়ক বিভিন্ন মামলার রায় দেওয়া নিয়ে একদিকে ধর্মীয় জঙ্গিদের কাছ থেকে হুমকি এবং অন্যদিকে সেনা গোয়েন্দাদের কাছ থেকে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে তাকে বিদেশে আশ্রয় চাইতে হয়েছে। "আমাকে মারার জন্য জঙ্গিরা একাধিকবার চেষ্টা করেছে। আমার স্ত্রীর ওপর হামলা হয়েছে। আমার গ্রামের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে...আমার দুটো কুকুর পর্যন্ত তারা মেরে ফেলেছিল...।" "অন্যদিকে সরকার আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে, ডিজিএফআই আমাকে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে, তারা আমাকে হুমকি দিয়েছে।" বিচারপতি সিনহার বইয়ের প্রচ্ছদ বিচারপতি সিনহা তার সাক্ষাৎকারে বার বার ঘুরে ফিরে বলার চেষ্টা করেছেন তাকে নিয়ে কিছু মানুষ শেখ হাসিনাকে বিভ্রান্ত করেছে, ভুল বুঝিয়েছে। আবার একইসাথে গণতন্ত্র এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ হাসিনার নানা ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। "আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র আনতে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য লড়াই করেছিল, কেয়ারটেকারের মধ্য দিয়েই তারা ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই তিনি সুর পাল্টে ফেলেন।" আরও পড়ুন: বিদেশে বসে 'মনগড়া বই' লিখেছেন সিনহা: কাদের এখন কেন তিনি এত সরব হলেন? দেশে যখন একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, সে সময় এতদিন পর তিনি কেন এই বই প্রকাশ করলেন? তিনি কি কাউকে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে চেয়েছেন? এই প্রশ্নে বিচারপতি সিনহা বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতিতে কে জিতলো, কে হারলো তা নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। "সরকার আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করেছে, আমি শুধু তা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। যখন শেষ করতে পেরেছি তখন প্রকাশ করেছি। এতে বিরোধী দল যদি কোনো সুবিধা পেয়ে থাকে, তাতে আমার কী লাভ?" "তারা (সরকার) এত ভয় পাচ্ছে কেন? তারা তো উন্নয়ন করেছে। দেশের অর্থনীতি ভালো, আমি নিজেও তা স্বীকার করি। তাহলে আমার একটা বই নিয়ে এত ভয় পাচ্ছে কেন? তাহলে তারা যে দুর্নীতি করেছে সেটা কি উন্নয়নকে ছাপিয়ে যাবে? এই কারণেই কি তারা ভয় পাচ্ছে?" | বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিবিসিকে বলেছেন, এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি' বইটি তিনি নিজে লিখে নিজের উদ্যোগে প্রকাশ করেছেন, অন্য কারো এতে কোনো ইন্ধন নেই। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ভুটানের থিম্পুতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব ১৫ নারী ফুটবল দল সেমিফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে ১৪-০ ও নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে কিশোরী ফুটবলারদের দলটি। আট মাস আগে ঢাকায় হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, হংকংয়ে আমন্ত্রণমূলক জকি কাপ এবং চলতি দক্ষিণ এশিয়ান আসরে সফলতা পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তিনটি আসরে মোট ম্যাচ খেলেছে ৯টি। আর প্রতিপক্ষের জালে গোল দিয়েছে ৫৪টি। আর গোল হজম করেছে মাত্র ২টি। কিশোরী ফুটবলারদের সাফল্যের পরিসংখ্যান ৫৪ প্রতিপক্ষের জালে গোলের পরিমাণ ২ গোল হজম করেছে ৩ টি আসর ৯ টি ম্যাচ এমন গোলবন্যার নেপথ্যে কী আছে? অধিনায়ক মারিয়া মান্ডার কাছে জানতে চায় বিবিসি বাংলা। "সাধারণত পরিস্থিতি বুঝে গোল হয়। আমরা মাঠে থাকলে শুধু চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়েই ভাবি। গোল হলেই তো জয় হয়, ৪টা বা ৫টা দিলেও জয় পাই ৩টা গোল দিলেও জয় পাই।" তবে কখনো কখনো পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে না। যেমন সোমবার নেপালের বিপক্ষে। মারিয়া বলেন, "যখন আমরা গোল পাই না তখন আমরা সবাই মিলে বৈঠক করি। আলোচনা করে আবার ভালোভাবে খেলে ৩টি গোল দেই।" পাকিস্তানের সাথে মূল লক্ষ্য ছিল প্রথম ম্যাচ জয়। কারণ প্রথম ম্যাচ জিতলে গ্রুপ পর্ব পার করা সহজ হয়। তাই গোল দেওয়ার বাড়তি তাড়না ছিল বলে জানান তিনি। আরো পড়ুন: মেয়েদের জন্য ম্যাচ পরিচালনা করা কতটা কঠিন? 'বাংলাদেশের মেয়েরাই আগে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলবে' নেপালের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পায় বাংলাদেশ। গত সাফ অনুর্ধ্ব ১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হবার ফলে এবারও চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য খেলছে বাংলাদেশ দল। মারিয়া মান্ডা মনে করেন, আত্মবিশ্বাসী হয়ে যেভাবে দলটি খেলছে সেভাবে এগুলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশে ফেরাটা সম্ভব হবে। মূলত প্রস্তুতির দিকে বেশি নজর দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবলের বর্তমান সফলতম দলটি। নিয়মিত ফুটবল ফেডারেশনের ক্যাম্পে বিশেষায়িত কোচের অধীনে প্রতিদিন তিনবার অনুশীলন করে কিশোরীদের দলটি। মারিয়া মান্ডা মনে করেন, এই দলটির মূল শক্তি কোনো দলকে দুর্বল না ভাবা। সেমিফাইনালে ভুটানের মুখোমুখি হবে তারা। বাংলাদেশের এই কিশোরী ফুটবল দলটির এমন সফলতার পেছনের কারণ জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছে। তিনি বলেন, "মেয়েদেরকে নিয়মিত রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করানো হয়। মূলত তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মানসিক ও শারিরীক পরিচর্যা বেশি কাজে লাগছে।" এভাবেই এই দলটিকে তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। মেয়েরা ফুটবলকে পেশা হিসেবে, ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়া শিখছে, এটাকে বড় কারণ মনে করেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। সাবিনা খাতুন: বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সাকিব? | বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব ১৫ নারী ফুটবল দল ভুটানে দক্ষিণ এশিয়ান অনুর্ধ্ব ১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সোল শহরের ছোট্ট ফ্ল্যাটের বিছানায় ওহ কে-চিওল এ ছবিতে চিত্রিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোল শহরের দুটি পরিবারের জীবন। একটি পরিবার দরিদ্র, তারা থাকে একটি ভবনের বেসমেন্ট বা মাটির নিচের ফ্ল্যাটে - আর অন্যটি একটি ধনী পরিবার, যারা থাকেন বিলাসবহুল বাড়িতে। ছবির কাহিনী নিশ্চয়ই কাল্পনিক - কিন্তু তাদের ফ্ল্যাট কাল্পনিক নয়। সোলে এসব ফ্ল্যাটে হাজার হাজার লোক বসবাস করে। এগুলোকে বলে বানজিহা। বিবিসির কোরিয়ান বিভাগের জুলি ইয়ুন গিয়েছিলেন তাদের জীবনযাত্রা দেখতে। ওহ কী-চিওলের বানজিহায় সূর্যের আলো বলতে গেলে ঢুকতেই পারে না। ঘরে প্রাকৃতিক আলো এতই কম যে তার টবের গাছগুলো মরে গেছে। রাস্তা থেকে ওহ কী-চিওলের ঘরের ভেতরটা দেখা যায়। রাস্তা থেকে লোকজন তার ঘরের ভেতরটা দেখতে পারে। কোন কোন সময় টিনএজ ছেলেমেয়েরা তার ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট খায়, মাটিতে থুথু ফেলে। গ্রীষ্মকালে ঘরের ভেতরে অসহ্য রকম ভ্যাপসা পরিবেশ তৈরি হয়। ঘরের দেয়ালে প্রায়ই স্যাঁতসেতে ছাতা পড়ে যায়। ফ্ল্যাটের বাথরুমে কোন বেসিন নেই। ঘরের মেঝে থেকে বাথরুমটা আধা মিটার উঁচুতে। তার ছাদ এত নিচু যে ওহ কী-চিওলকে পা ফাঁক করে দাঁড়াতে হয় - যাতে ছাদে তার মাথা ঠুকে না যায়। ওহ বলছিলেন "প্রথম যখন এখানে এসেছিলাম তখন, বাথরুমে যেতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছি, দেয়ালের সাথে ঘষা লেগে হাতের চামড়া উঠে গেছে। তবে এখন ৩১ বছর বয়স্ক ওহ এ ফ্ল্যাটের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। তিনি কাজ করেন লজিস্টিকস শিল্পে। ওহ তার বাথরুমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না "এখন অবশ্য এ ফ্ল্যাটের কোথায় উঁচু, কোথায় নিচু, কোথায় লাইটের সুইচ - সব মুখস্থ হয়ে গেছে।" দক্ষিণ কোরিয়ার কিংবদন্তী পরিচালক বং জুন-হোর প্যারাসাইট ছবিটি দারুণভাবে ব্যবসাসফল হয়েছে। এটি হচ্ছে প্রাচুর্য আর অভাবের বৈপরীত্যের একটি গল্প। এই ছবিতে দেখানো হয়েছে দুটি পরিবারের মধ্যেকার চরম অসাম্যের চিত্র। বড়লোক পার্ক পরিবার এবং দরিদ্র কিম পরিবারকে দেখানো হয় তাদের নিজ নিজ বাড়িতে। একটি হচ্ছে সুরম্য প্রাসাদ, আর অন্যটি একটি সংকীর্ণ সেমি-বেসমেন্ট ফ্ল্যাট। সোলে এই বানজিহায় থাকে হাজার হাজার তরুণ-যুবক। তারা উপার্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে, আর স্বপ্ন দেখে উন্নত ভবিষ্যতের। বাঁদিকে কিম পরিবারের বাথরুম, আর ডান দিকে ওহ-এর ফ্ল্যাট প্যারাসাইট ছবিতে পার্ক পরিবারের বিলাসবহুল এ্যাপার্টমেন্ট এই বানজিহাগুলো কিন্তু সোলের কোন স্থাপত্যবৈশিষ্ট্য নয়। এগুলো এ শহরের ইতিহাসের অংশ। বহু দশক আগে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সংঘাত শুরুর সময় থেকেই এর প্রচলন। উনিশশ আটষট্টি সালে উত্তর কোরিয়ান কমান্ডোরা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হিকে হত্যার উদ্দেশ্যে সোলে ঢুকেছিল। ঘরের বাইরে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন ওহ কী-চিওল সে অভিযান সফল হয়নি। তবে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, উত্তর কোরিয়া একটি আমেরিকান জাহাজ আটক করে, তাদের এজেন্টরা দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুপ্রবেশ করে। কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে সে সময়। এ পরিস্থিতিতে ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার তাদের গৃহনির্মাণ নীতিমালা পরিবর্তন করে। সব নতুন ফ্ল্যাটবাড়িতে মাটির নিচের ঘর বা বেসমেন্ট রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। যাতে কোন জরুরি অবস্থায় ভবসের বাসিন্দারা সেগুলোকে বাংকার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। প্রথম দিকে এসব বানজিহা ভাড়া দেয়া বেআইনি ছিল। কিন্তু ১৯৮০-র দশকে আবাসন সংকটের সময় সরকার বাধ্য হয়ে এগুলোতে লোক বসবাসের অনুমতি দেয়। জনবহুল শহর সোলে আবাসন সংকট তীব্র দক্ষিণ কোরিয়া এখন পৃথিবীর ১১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। কিন্তু তা সত্বেও জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে লোকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে এমন আবাসনের তীব্র সংকট আছে। বিশেষ করে যুবক এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী এ জন্য সমস্যায় পড়ছে। এ কারণেই এই বানজিহা বা বেসমেন্ট হয়ে উঠেছে অনেকের জন্য থাকার একমাত্র উপায়। এগুলোর ভাড়া প্রতিমাসে ৫৪০,০০০ কোরিয়ান ওয়ান - যা মোটামুটি ৪৫৩ ডলারের সমান। বিশের কোঠায় বয়স এমন যুবকদের গড় মাসিক বেতন মোটামুটি ১,৬৭৯ ডলার। তবে বানজিহার বাসিন্দাদের সমাজে প্রায়ই হীন চোখে দেখা হয়। তবে অনেকে আছেন যারা এ সমস্যাকে গুরুত্ব দেন না। ওহ বলেন তার এই ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়িটি খুবই প্রিয় ওহ বলছেন, " আমার এ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে আমি খুশি। আমি পয়সা বাঁচাতেই এ জায়গাটা বেছে নিয়েছি এবং আমি এখন অনেক সঞ্চয় করছি। তবে আমি লক্ষ্য করেছি এখানে থাকি বলে লোকে আমাকে একটু করুণার চোখে দেখে।" "কোরিয়ায় লোকে মনে করে একটা সুন্দর বাড়ি বা গাড়ির মালিক হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে বানজিহা দারিদ্র্যের প্রতীক।" "সে কারণেই আমি কোথায় থাকি তা বলে দেয় - আমি কে।" প্যারাসাইট ছবির মাঝামাঝি বড়লোক পার্ক পরিবারের সাথে দরিদ্র কিম পরিবারের যোগাযোগ হয়। পার্ক পরিবারের তরুণ সদস্য দা-সং লক্ষ্য করে কিম পরিবারের লোকদের গায়ে কেমন একটা গন্ধ। কিম পরিবারের পিতা এ গন্ধ দূর করার চেষ্টা করলে তার মেয়ে ঠান্ডা গলায় বলে, "এটা বেসমেন্টের গন্ধ। আমরা এ জায়গা ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত এ গন্ধ যাবে না।" পার্ক ইয়ংজুন (বামে) বলছেন তিনি সস্তা বলেই বানজিহায় থাকতে চেয়েছিলেন ছাব্বিশ বছর বয়স্ক ফটোগ্রাফার পার্ক ইয়ং-জুন থাকেন একটি বানজিহায়। তিনি সেখানে ওঠার কয়েক দিন পরই প্যারাসাইট ছবিটি দেখেন। তিনি বলছেন, সস্তা বলেই তিনি সেখানে থাকছেন। কিন্তু ছবিতে গন্ধের ব্যাপারটা দেখার পর তিনি বলছেন, "আমি চাইনা আমার গা থেকে ওরকম কোন গন্ধ বের হোক।" এবার গ্রীষ্মকালে তিনি ঘরে সুগন্ধি আগরবাতি জ্বালিয়েছেন, তার ডিহিউমিডিফায়ার সব সময় চালু রেখেছেন। তার কথা - প্যারাসাইট ছবিটি দেখেতিনি তার ফ্ল্যাটকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার প্রেরণা পেয়েছেন। তিনি বলছেন, লোকে যেন আমার মাটির নিচের ঘর দেখে কষ্ট না পায়। পার্ক আর তার বান্ধবী শিম মিন তাদের বানজিহা সাজানোর ভিডিও ব্লগ রেখেছেন। এখন ফ্ল্যাটটা যেমন দেখতে হয়েছে তা নিয়ে তারা দুজনেই খুশি, যদিও এ অবস্থায় আনতে অনেক সময় লেগেছে। পার্ক ইয়ং জুন আর শিম মিন তাদের বানজিহাটি সুন্দর করে আধুনিকায়ন করেছেন। পার্ক বলছেন, আমার বাবা-মা প্রথমবার এ বাসা দেখে অবাক হয়েছিলেন। আমার আগে যে ভাড়াটে থাকতো সে ভীষণ সিগারেট খেতো, আর আমার মা সেই গন্ধ সহ্য করতে পারেন নি। তার বান্ধবী শিম ২৪ বছর বয়স্ক একজন ইউটিউবার। তার বন্ধু যখন বানজিহায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন তিনি কিছুতেই তা মানতে পারেন নি। "আমার নেতিবাচক ধারণা ছিল। এটকে নিরাপদ মনে হতো না। বানজিহা আমাকে শহরের অন্ধকার দিকের কথা মনে করিয়ে দিতো। আমি সারা জীবন বহুতল এ্যাপার্টমেন্টে থেকেছি, তাই আমি আমার ছেলেবন্ধুকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম।" শিম আর পার্কের এ্যাপার্টমেন্ট কিন্তু তাদের ফ্ল্যাটটি আধুনিকায়ন করার পর তার ভিডিও দেখে অনেকে প্রশংসা করেছেন। অনেকে বলেছেন তাদের ফ্ল্যাট খুব স্টাইলিশ। মিন বলছেন তারা তাদের এই ফ্ল্যাটটিকে এখন খুব ভালোবাসেন। এতে যে সংস্কার করা হয়েছে তা নিয়েও তারা খুব গর্বিত। ওহ নিজেও শিগগীরই তার নিজের বাড়ি কেনার জন্য টাকাপয়সা জমাচ্ছেন। "আমার একটাই দু:খ যে আমার পোষা বেড়াল এপ্রিল জানালা দিয়ে রোদ উপভোগ করতে পারে না। " ওহ-র পোষা বেড়াল এপ্রিল ছবিগুলো তুলেছেন জুলি ইয়ুন | এ বছরের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে অষ্কার জিতেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ছবি 'প্যারাসাইট।' এই প্রথম ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন ভাষায় নির্মিত কোন চলচ্চিত্র আমেরিকান মোশন পিকচার একাডেমির শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার জিতলো। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | পিটার ম্যাডসেনকে (ডানে) পুলিশ এ ঘটনায় গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কিন্তু এরই মধ্যে পুলিশ সাবমেরিনটির মালিক এবং চালকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে। গ্রেফতার হওয়া পিটার ম্যাডসেন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাবে বলেছেন, তিনি কোন অপরাধ করেননি। ঐ মহিলা সাংবাদিককে তিনি সাবমেরিন থেকে ঠিকমত নামিয়ে দিয়েছিলেন। কিম ওয়াল নামে এই মহিলা সাংবাদিকের রহস্যজনক অন্তর্ধানের এই ঘটনাটি নিয়ে ডেনমার্কে তুমুল আলোচনা চলছে। গত শুক্রবার নিখোঁজ সাংবাদিক কিম ওয়ালের সঙ্গী প্রথম এ ঘটনা পুলিশকে জানান। তিনি বলেন, সাবমেরিনে স্বল্প সময়ের এই যাত্রার পর কিম ফিরে আসার কথা থাকলেও তখনো ফেরেননি। যে সাবমেরিনটিতে চড়ে কিম ওয়াল গিয়েছিলেন সেটি যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন সেটি পানিতে ডুবে গেছে। সেটি থেকে সাবমেরিনটির মালিক এবং চালক পিটার ম্যাডসেনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সেখানে কিম ওয়ালকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ সাংবাদিক কিম ওয়াল কিম ওয়াল নিউ ইয়র্কে থাকেন। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান এবং ভাইস ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফ্রি ল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। যে সাবমেরিনে চড়ে তিনি ঘুরতে গিয়েছিলেন সেটির নাম নটিলাস। কোপেন হেগেনের দক্ষিণে সাগরতলে এখন এটি পড়ে আছে। উদ্ধার কর্মীরা এটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে। ঘটনাটির ব্যাপারে ডেনমার্কের পুলিশ এখনো কিছু জানাচ্ছে না। কেন মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার আগেই তারা কিম ওয়াল খুন হয়েছেন বলে সন্দেহ করছে সেটা স্পষ্ট নয়। পিটার ম্যাডসেনের 'নটিলাস' সাবমেরিনটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন সাবমেরিন বলে দাবি করা হয়। কিম ওয়াল এই সাবমেরিনটি সম্পর্কে প্রতিবেদন লেখার জন্যই পিটার ম্যাডসেনের সঙ্গে সেটিতে চড়েন। | ডেনমার্কের এক সাবমেরিন থেকে রহস্যজনকভাবে নিঁখোজ হয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। তার কোন খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ফটোশপ করা হয়েছে? তাহলে সেটা জানাতে হবে প্রতিনিয়ত এমন বিজ্ঞাপন আমাদের চোখে পড়ে যেখানে মডেলকে আরো স্লিম, দীর্ঘকায়, সরু ও লম্বা পায়ের অধিকারী, বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি, আরো মসৃণ ত্বক, বড়ো বড়ো চোখ এবং শরীরের কোথাও কোথাও বাঁক সৃষ্টি করে তাকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্যে বিশেষ কিছু সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবিতে এসব পরিবর্তন ঘটানো হয়। কিন্তু ফ্রান্সে আগামীকাল রবিবার থেকে বিজ্ঞাপনের ছবিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এধরনের কোন পরিবর্তন আনা হলে এবিষয়ে ভোক্তাদেরকে সতর্ক করে দিতে হবে, যেমনটা লেখা থাকে সিগারেটের প্যাকেটে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনে মডেলের ফিগার পাল্টানোর ফাঁকি আর চলবে না। নতুন আইনে বলা হয়েছে, এ ধরনের বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে, 'সম্পাদিত ছবি' এই বার্তাটি। এই আইন ভঙ্গ করলে তার ৩৭,৫০০ ইউরো কিম্বা বিজ্ঞাপনটি তৈরি করতে যতো খরচ হয়েছে তার ৩০ শতাংশ গুণতে হবে জরিমানা হিসেবে। কর্মকর্তারা বলছেন, জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এধরনের কৃত্রিম ছবি তৈরি বন্ধ করতেই সরকারের এই উদ্যোগ। কাতালোনিয়া গণভোট: কেন বেরিয়ে যেতে চায় স্পেন থেকে তারা বলছেন, এসব ছবি দেখে মানুষ যাতে অতি রুগ্ন হওয়া এবং ওই মডেলের মতো শারীরিক সৌন্দর্যের অধিকারী হতে বেপরোয়া না হয়ে নিজেদের মতো করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে নতুন এই আইনটি কার্যকর হতে যাচ্ছে। ফরাসী স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, "শরীরের এসব অবাস্তব ছবি দেখে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মবিশ্বাস ও নিজেদের প্রতি সম্মান নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে তাদের শারীরিক ক্ষতিও হতে পারে।" বিজ্ঞাপনে মডেলের ফিগারকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয় প্রযুক্তির মাধ্যমে কারণ ফরাসী তরুণ তরুণীদের কাছে স্লিম হতে পারে তাদের ধ্যান-জ্ঞানের মতো। দেশটিতে প্রচুর মানুষ ক্ষুধা-হীনতার মতো অসুখে ভুগছে এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সেই মানুষের বিএমআই (উচ্চতা অনুযায়ী ওজন) সবচেয়ে কম। ফ্রান্সই যে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা এই আইনটি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে তা নয়, ইসরায়েলেও এধরনের একটি আইন কার্যকর রয়েছে। স্লিম ও মোটা মানুষের প্রতি লোকজনের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তার উপর একটি বই লিখেছেন ফরাসী এক লেখক গ্যাব্রিয়েল দেদিয়ের। ওই বইতে তিনি লিখেছেন, মোটা হওয়ার কারণে একটি স্কুলে তাকে চাকরি হারাতে হয়েছে। আরেক জায়গায় চাকরির জন্যে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তাকে শুনতে হয়েছে মোটা মানুষের ঘিলু কম। কিন্তু প্রশ্ন হলো নতুন আইন কি শরীরের প্রতি ফরাসী মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দিতে পারবে? রোহিঙ্গাদের আসা আবার বেড়ে যাওয়ার কারণ কি অনেকেই এটা মানতে রাজি নন। এরকম একজন ব্রিটেনের টম কুইন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তিনি। "ফটোশপ করা ছবি খাওয়া দাওয়া সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বিষয়টা এতো সহজ সরল নয়। তবে অনেকেই আছেন এধরনের সম্পাদিত ছবি দেখার পর যাদের আত্মবিশ্বাস ও প্রেরণা কমে যায়," বলেন তিনি। প্রথমবারের মতো দেখা যাচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো | মডেলের শারীরিক সৌন্দর্যকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে যে প্রায়শই তার ছবির কিছু কিছু জায়গায় কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটানো হয় সেটা তো আর গোপন কিছু নয়। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সীমান্তে ১৫৮ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে ভারতের পক্ষে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেটি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। সীমান্ত হত্যা নিয়ে দুদেশের সরকারি পর্যায়ে শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং বিজিবি বিএসএফ সম্মেলনে বার বার আলোচনা হলেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। ভারতীয়দের পক্ষে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার এবং মৃত্যু বন্ধে প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও অঙ্গীকার করা হয়েছিল যে সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, "সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন প্রতিশ্রুতি আসে তখন এটা প্রত্যাশিত যে প্রতিশ্রুতিটা কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু আমরা যেটা দেখছি যে গত প্রায় ২০ বছর ধরে, এ জায়গাটাতে প্রতিশ্রুতির সাথে বাস্তবায়নের সামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে না।" বিজিবি কিংবা সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিবাদ, উদ্বেগ বা অনুরোধ যে খুব কাজে আসছে না, সেটি অনেকটা স্পষ্ট। আরো পড়তে পারেন: সীমান্ত হত্যায় বিএসএফের দোষ দেখছেন না খাদ্যমন্ত্রী সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিএসএফের যুক্তি মানছে না বিজিবি বিএসএফ-এর গুলিতে দুদিনে পাঁচ বাংলাদেশি নিহত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কি কাজ করছে? বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সমালোচনা হয় সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পারছে সেটি নিয়েও। "বাংলাদেশের যেকোনো মানুষের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। এখানে আমাদের কণ্ঠটা একটু সোচ্চার হলে হয়তো ভারতও একটু সক্রিয় হতো", বলেন হুমায়ুন কবির। এদিকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সীমান্ত হত্যা কিছুটা কমলেও সেটি তিনগুন বেড়েছে ২০১৯ সালে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালে সীমান্তে নিহতের সংখ্যা ১৪জন, যেটি ২০১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৩জনে। এবছরের জানুয়ারি মাসে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে সংস্থাটির আরেক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সীমান্তে ১৫৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ হিসেবে গড়ে প্রতি ১২ দিনে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র উপপরিচালক নীনা গোস্বামী বলেন, সীমান্তে কেউ অপরাধ করলেও হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। "এটা (সীমান্ত হত্যা) অবশ্যই শূণ্যের কোঠায় নেমে আসা উচিৎ। আমরা দেখতে চাই বর্ডার কিলিং একটাও নাই, এমন একটা পরিবেশ এবং সেইরকম একটা সুসম্পর্ক আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তৈরি হয়েছে।" বাংলাদেশের সাথে সীমান্তের পুরোটাতেই কাঁটাতারের বেড়া দিতে চায় ভারত 'আত্মরক্ষা'র যুক্তি বিএসএফ'এর সীমান্তে গুলি এবং মৃত্যুর প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিএসএফ-এর যুক্তি আত্মরক্ষার। ভারত এই হত্যাকাণ্ডগুলো কীভাবে দেখছে এবং বাংলাদেশের তৎপরতায় বিএসএফ কতটা চাপের মধ্যে থাকে - এ প্রশ্নে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি সমীর মিত্র বলেন, তাদের ওপর তেমন কোনো চাপ নেই। "আত্মরক্ষার অধিকার তো সবার আছে। আজকে আমি ইউনিফর্মে আছি বলে আমার কোনো অধিকার নেই, মানুষের এমন ধারণা হলে সেটাতো দুর্ভাগ্য।" "আমিতো বর্ডারে রয়েছি। যেখানে আমার কাটাতারের বেড়া কাটার চেষ্টা চলছে, সেখানে আমি অ্যাকশন না নিলে কালকে আমার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে আমার প্রশাসন।" তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয় সীমান্ত হত্যার ঘটনায় বিএসএফ এর যুক্তি গ্রহনযোগ্য নয়। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন চলতি মাসে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বেড়ে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন এবং প্রতিটি হত্যার ক্ষেত্রেই জোরালো প্রতিবাদ করা হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে কোনো যুদ্ধাবস্থা নেই বরং দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি আর সুসম্পর্ক নিয়ে এখন গৌরব করা হয়। অথচ মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী সীমান্তের অন্যতম কেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, প্রশ্নটা এখানেই। | ২০২০ সালের প্রথম মাসেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১২জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | অস্ট্রেলিয়ায় সমকামীদের একটি র্যালী, ফাইল ছবি কিন্তু দেশটিতে সমকামীদের যারা নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন অথবা যারা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছেন, তারা ধর্মীয় নেতা এবং তাদের সমাজে জীবনের হুমকিসহ নানান সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। অস্ট্র্রেলিয়ায় একটি মসজিদে ইমাম ছিলেন নূর ওয়াসামে। তিনি সমকামী, সেটা জানাজানি হওয়ার পর তিনি তাঁর মুসলিম সমাজে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি বলছিলেন, তার জীবনের চাহিদাকে কেউ বুঝতে পারেনা। "আমার বিশ্বাস, অন্য ইমামরা কেউ সমকামিতা নিয়ে বা এর পক্ষে কেউ কথা বলবে না।তবে আমি বেডরুমে কি করছি, তা প্রকাশ্যে নিয়ে এসে আলোচনা করাটা ঠিক নয়।" যদিও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে মুসলিম সমাজে তা এখনো গ্রহণযোগ্য নয়। নূর ওয়াসামে সমকামী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর মসজিদে নামাজ পড়ানো বা ইমামতির কাজ হারিয়েছেন। "প্রথম বিষয়টিই ছিল, আমি আমার মসজিদ হারিয়েছি। আমাকে নামাজ পড়াতে বা ইমামতি করতে দেয়া হয়নি। এটি আমার হৃদয়ে খুব আঘাত করেছে।" পাঁচ বছর আগে মসজিদে নামাজের বাইরে একদল তরুণ একটি প্রার্থনা গ্রুপ তৈরি করেছিল। নূর ওয়াসামে সেই তরুণদের সাহায্য করতেন। আরো পড়ুন: 'সমকামী বলে আমি এখন পরিবারের বিষফোঁড়া' জার্মানির যে মসজিদ নারী, পুরুষ, সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য উন্মুক্ত পাবনায় কথিত সমকামী বিয়ে, এলাকায় আলোড়ন "যে তরুণদের মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল না। এই প্রার্থনা গ্রুপটি ছিল তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা। আমি তাদের বলতাম, আমি তোমাদের সাথে থেকে লড়াই করবো।" অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মুসলিম পরিবার থেকে আসা তরুণ হোসেন ওয়ালি'র সমস্যা ভিন্ন ধরণের। তার শরীরের গঠন এবং নারী সুলভ স্বভাব তাকে চলতে ফিরতে সব জায়গায় সমস্যায় ফেলতো। অনেক সময় তা হয়রানির পর্যায়ে চলে যেতো। "আমি শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছিলাম, যখন আমার বয়স ছিল পাঁচ বছর। এরপরও অনেকবার আমি যৌন হয়রানির শিকার হই। আমাকে অনেকে বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে হয়রানি করেছে। আমি কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম।" হোসেন ওয়ালির পরিবার তার জন্য ধর্মকেও ব্যবহার করেছে। তার পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিল, বিভিন্ন সময় যৌনহয়রানির শিকার হওয়ায় তিনি সমকামীতে আসক্ত হয়ে থাকতে পারেন। সেজন্য তাকে মসজিদেও পাঠানো হতো। কিন্তু তার শরীর এবং মনের পরিবর্তনকে সম্মান করা হয়নি। "আমাকে জোর করে মসজিদে নেয়া হতো। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিশেষ দিনে বা অনুষ্ঠানে আমাকে মসজিদে যেতে হতো। এর মধ্য দিয়ে আমার আচরণ পরিবর্তন হতে পারে, পরিবার এমন আশা করেছিল।" অস্ট্র্রেলিয়ায় এ ধরণের অনেকে ধর্ম এবং পরিবারের দিক থেকে নানান সমস্যার মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ইমাম নূর ওয়াসামে নূর ওয়াসামে বলেছেন,অনেক সময় ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয়। "ধর্মীয় নেতা যারা আছেন,তাদের ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। তারা একটি শব্দ বা একটি বাক্য ব্যবহার করে তোমার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারেন অথবা তোমার জীবন গড়ে দিতে পারেন।" অস্ট্র্রেলিয়ার সরকার সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেখানকার জাতীয় ইমাম কাউন্সিল কিছুদিন আগে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা করেছে,ইসলামে সমকামীতা গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলামী আইনে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। নূর ওয়াসামের প্রাননাশের হুমকি আসায় তাকে এখন পুলিশী পাহারায় থাকতে হয়। তিনি স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারেন না। সেজন্য এখন তিনি সামাজিক নেটওয়ার্কে অস্ট্রেলিয়া এবং এর বাইরে অনেক অনুসারী তৈরি করেছেন। "সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমি মিশরের একজনের সাথে কথা বলছি। তার ছেলে সমকামী। ছেলেকে নিয়ে বাবা খুব চিন্তিত। তিনি আমাকে বলছেন, তার ছেলের এই অসুস্থতা কিভাবে সারানো যায়? আমি তাকে বলেছি, এটি তার ছেলের কোন ভুল বা দোষ নয়। এটি সহনশীল দৃষ্টিতে দেখা উচিত। আমার কথা শুনে ছেলেটি বাবা খুব হেসেছিল।" নূর ওয়াসামে মনে করেন, সমকামীরাও মানুষ, তাদেরও ধর্ম পালনের অধিকার আছে। | অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রতি সমকামী বিয়ের স্বীকৃতির পর সমকামীদের অনেকে ঘটা করে বিয়ে করছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | দুলাল চন্দ্র রায়ের কিনে আনা হাতি এরপর মি. রায় জমি, গরু, বাড়ির গাছ বিক্রি করে, কিছু জমি বন্ধক রেখে সোমবার সাড়ে ১৬ লাখ টাকা খরচ করে মৌলভীবাজার থেকে হাতি কিনে নিয়ে এসেছেন। এখন সেই হাতি দেখার জন্য আশেপাশের গ্রামের মানুষ উপচে পড়ছে জেলার সদর উপজেলার রথিধর দেউতি গ্রামের বাসিন্দা মি. রায়ের বাড়িতে। তিনি বলছিলেন, ''গত ১০ বছর ধরে তার স্ত্রী দেবতাদের উপাসনা করেন। পরমেশ্বর আমার স্ত্রীর ওপর ভর করেছে। তার মাধ্যমে তিনি আমাদের নানা কথা শ্রবণ করান। এর আগেও তিনি আমাদের জীব সেবা করতে বলেছেন।'' ''কয়েকমাস আগে থেকে পরমেশ্বর আমার স্ত্রীর মাধ্যমে হাতি কিনতে বলেন। এরপর নানা জায়গায় খোঁজ করে, টাকা পয়সা জোগাড় করে হাতি কিনে এনেছি।'' এর আগে স্ত্রীর কাছ থেকে এরকম 'দৈব নির্দেশ' পেয়ে তিনি ঘোড়া, রাজহাঁস, ছাগল, খরগোশ কিনে দিয়েছিলেন। যদিও এসব প্রাণী কেনার পর থেকে শুধুমাত্র বাড়িতেই থাকে। যেমন, এক বছরের আগে ঘোড়া কিনলেও তার পরিবারের কেউ সেটায় চড়ে কোথাও কখনো যায় নি। কৃষক দুলাল চন্দ্র রায়ের কয়েক বিঘা কৃষিজমি আর সুপারির ব্যবসা আছে। তার মালিকানায় থাকা ১১ বিঘার জমির মধ্যে দুই বিঘা হাতি কিনতে বিক্রি করে দিয়েছেন। এসব জমিতে প্রধানত ধানের চাষ করা হয়। তার বাড়িতে একটি টিনের চালা আর একটি মাটির তৈরি ঘরে দুই সন্তানসহ এই দম্পতি বসবাস করে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: তিনদিন ধরে পানিতে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করছিল হাতিটি বনাঞ্চল কমছে, সংকটর মুখে বন্যপ্রাণী হাতি বন্য হাতির চলাচলের পথে বাধা রোহিঙ্গা ক্যাম্প দুলাল চন্দ্র রায় ও তুলসী রানী দাসী হাতি লালনপালন অনেক ব্যয়বহুল। খাবার ছাড়াও হাতির যে মাহুতকে এনেছেন দুলাল চন্দ্র, তাকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে মজুরি দিতে হবে। তবে স্থানীয় দুইজনকে হাতি পালনের প্রশিক্ষণ দিয়ে তিনি চলে যাবেন। এসব খরচ কীভাবে বহন করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলছেন, ''...(স্ত্রীর মাধ্যমে) পরমেশ্বরকে আমি বলছিলাম যে, হাতির খরচ কেমনে চালাবো, কেমন করে লালন পালন করবো? তিনি বলেছেন, 'আমি তো আছি। তুমি হাতি কিনে আনো'। তিনি আছেন, তিনি দেখবেন। তেনার ওপর বিশ্বাস করে আছি।'' তবে তিনি আশা করছেন, হাতি যেহেতু প্রধানত কলাগাছ খায় এবং তার বাড়ি ও আশেপাশে অনেক কলাগাছ আছে। তাই হাতির খাবার যোগাড় করতে সমস্যা হবে না। ঘরের পাশে এখন হাতির জন্য একটি ঘর তৈরির কাজ চলছে। ''দেবতা যতদিন রাখতে বলবেন, ততদিন হাতি বাড়িতে থাকবে,'' বিবিসি বাংলাকে জানান মি. রায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: চীনের পক্ষে গুপ্তরচরগিরির অভিযোগে নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার শীতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার কতোটা প্রস্তুত অনাগত সন্তান ছেলে কিনা দেখতে 'অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট কাটল' স্বামী মিশরের কূপে আড়াই হাজার বছরের পুরনো কফিন, রহস্যের গন্ধ | কয়েকমাস আগে বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা তুলসী রানী দাসী একটি হাতি কিনে পালন করার জন্য 'দৈব নির্দেশ' পান। সেই তথ্য তিনি জানান তার স্বামী দুলাল চন্দ্র রায়কে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ভারতে মুসলিমদের জীবন বিপন্ন, এই আওয়াজ এখন জোরেশোরে উঠতে শুরু করেছে ঠিক সেই আদলে ভারতেরও বহু অ্যাক্টিভিস্ট, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী এখন আওয়াজ তুলছেন 'মুসলিম লাইভস ম্যাটার' – অর্থাৎ মুসলিমদের জীবনেরও দাম আছে। ভারতে গত কয়েক বছরে মুসলিমরা যেভাবে বারবার হামলা ও গণপিটুনির শিকার হয়েছেন, সে কারণেই এই ডাক এখন প্রাসঙ্গিক বলে তাদের বক্তব্য – যদিও এর ফলে তাদের ভারতের দক্ষিণপন্থী ও জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। আমেরিকার মিনিয়াপোলিসের আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড এবং বছরপাঁচেক আগে ভারতে দিল্লির কাছে দাদরিতে মহম্মদ আখলাক যেভাবে মারা গেছেন – তার মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে হয়তো কোনও মিল নেই। কিন্তু ভারতের বেশ কয়েকজন নামীদামী অ্যাক্টিভিস্ট মনে করছেন এই দুটো হত্যায় কিছুটা সাদৃশ্য আছেও। তারা বলছেন, জর্জ ফ্লয়েড যেমন প্রকাশ্য পুলিশি নির্যাতনে মারা গেছেন, তেমনি ভারতেও পুলিশ ও প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতে মুসলিমদের তুচ্ছ অজুহাতে পিটিয়ে মারা হচ্ছে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর ঠিক এই জন্যই ভারতের প্রেক্ষাপটে তারা এখন আওয়াজ তুলছেন "মুসলিম লাইভস ম্যাটার"। কেন ভারতে মুসলিমরা বিপদের মুখে বিফ রাখার অভিযোগে পিটিয়ে মারা মহম্মদ আখলাকের পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা সাংবাদিক রানা আয়ুবের কথায়, "যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম আমলে বিফ খাওয়ার জন্য বা অন্য ধর্মের মেয়েদের বিয়ে করার অপরাধে মুসলিমদের পিটিয়ে মারা হয়েছে, তখন থেকেই এর শুরু।" "দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই তারা কাশ্মীরের বিশেষ স্বীকৃতি কেড়েছেন, ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় বিশাল মন্দির বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এবং প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব পর্যন্ত দিচ্ছেন – শুধু মুসলিমদের ছাড়া।" "হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর সব আয়োজন সম্পূর্ণ – আর সেখানে মুসলিমদের জানেপ্রাণে বাঁচানোর দাবি তো উঠবেই, কারণ তারা এর মধ্যেই দেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত!" সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় অধ্যাপক অশোক সোয়েইন আরও এক ধাপ এগিয়ে টুইট করেছেন, ভারতেও 'মুসলিমদের বিচার-বহির্ভূত হত্যা' ঠেকাতে আমেরিকার ধাঁচে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। দিল্লিতে সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণানের মতো আরও অনেকেই একই রকম দাবি তুলছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারাও যথারীতি তাদের পাল্টা আক্রমণ করছেন, ভারতের বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী টিভি চ্যানেলেও এ জন্য ওই অ্যাক্টিভিস্টদের তুলোধুনা করা হচ্ছে। দক্ষিণপন্থী লেখক ও বিজ্ঞানী আনন্দ রঙ্গনাথনের কথায়, "এই সব ভন্ড ও ফেক নিউজের কারবারিরা গত ছবছর ধরে ভারতে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল মোদী সরকারকে আরও অন্তত চার বছর তাদের সহ্য করতেই হবে।" ভারতের নানা প্রান্তে এই ধরনের 'গোরক্ষক বাহিনী' মুসলিমদের ওপর অজস্র হামলা চালিয়েছে "এরা ইসলামী জঙ্গীবাদ ও মাওবাদের হযে নানা সাফাই দেন, কিন্তু কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হিন্দু পন্ডিতদের জন্য তাদের প্রাণ কাঁদে না।" "এই সব শহুরে বা 'আরবান নকশাল'রা এখন বর্বর নকশালে পরিণত হয়েছেন – এবং তাদের খেলাটা মানুষ কিন্তু ধরে ফেলেছে", বলছিলেন ড: রঙ্গনাথন। 'প্রতিবাদটা আগেই হওয়া উচিত ছিল' কলকাতায় সমাজতাত্ত্বিক ও অধ্যাপক শাওনি শবনম আবার মনে করেন, ভারতে মুসলিমদের জীবন বিপন্ন – এটা কোনও নতুন কথা নয়। কিন্তু মুসলিমদের জীবনেরও দাম আছে, হ্যাশট্যাগের মধ্যে দিয়ে সেই উপলব্ধিটা আসতে আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল, সেটাই তাঁর মতে বরং দু:খের। ড: শবনম বিবিসিকে বলছিলেন, "এই প্রতিবাদ তো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। যে সরকার এখন দেশের ক্ষমতায়, তারা হয়তো দ্বিতীয়বার জিতে আসতেই পারত না যদি এই সচেতনতা আমাদের আগে আসত।" আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে 'শত্রু সম্পত্তি' নিলামে তুলছে ভারত সরকার দিল্লিতে যেভাবে নড়ে গেছে হিন্দু-মুসলিম বিশ্বাসের ভিত নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম "আমেরিকাতে এখন প্রতিবাদ হচ্ছে বলেই সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের কথাটা এখন বলব, এই যুক্তিটা আমার ঠিক পছন্দ নয়।" "ভারতে মুসলিমদের লাইফ যে ম্যাটার করছিল না এবং তাদের জীবনের দাম শূন্যে এসে ঠেকেছিল, সেটা কি আমরা অনেক আগেই খেয়াল করিনি? ফলে আমার প্রশ্ন হল, এতদিন পরে কেন এই আন্দোলন?" অধ্যাপক অশোক সোয়েনের টুইট: ড: শবনম অবশ্য সেই সঙ্গেই বলছেন অনেক দেরিতে এলেও এই আওয়াজকে তিনি স্বাগতই জানাবেন – কারণ এটার ভীষণ দরকার আছে। ভারতে অনেক পর্যবেক্ষক আবার পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন আমেরিকা ও ভারতের বাস্তবতা ও ইতিহাস সম্পূর্ণ আলাদা – এবং একটা দেশের জাতিগত বৈষম্য ও বর্ণবাদের সঙ্গে অন্য দেশের ধর্মীয় বিভাজন ও অসহিষ্ণুতার তুলনা টানা যায় না। সাংবাদিক রানা আয়ুবের টুইট: সেটা হয়তো আংশিকভাবে ঠিক, কিন্তু তারপরও আমেরিকায় উত্তাল প্রতিবাদের এই সময়ে ভারতেও মুসলিমদের বাঁচার দাবি যে নতুন করে উঠতে শুরু করেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। | আমেরিকায় পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর সারা দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে – সেই পটভূমিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে হ্যাশট্যাগ 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার'। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ভারতের ঘরে ঘরে এখন আভিনন্দনের নাম। ভারতে তার স্টাইলে বাহারি গোঁফ রাখার হিড়িক পড়েছে। দেশটিতে অনেকে তাকে অনুপ্রেরণামূলক একটি চরিত্র হিসেবেও দেখছেন। বিতর্কিত কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার আভিনন্দন ভার্থামানের মিগ-২১ জেট বিমান গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং তিনি ধরা পড়েছিলেন। গত পহেলা মার্চ পাকিস্তান থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতে ফেরার পর দেশটিতে তিনিই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। তার বীরত্ব নিয়ে নানা কথা যেমন ছড়িয়েছে ভারতে প্রায় সবার মুখে মুখে, তেমনি তার গোঁফ আভিনন্দন-গোঁফ নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক মাধ্যমে আভিনন্দনের গোঁফ ওয়ালা ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকে তার মতো গোফ রেখে এবং এমনকি সেলুনে গিয়ে আভিনন্দন স্টাইলে গোঁফ কাটার ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন। আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কি? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? পাইলট আভিনন্দনের মতো গোঁফ কামাচ্ছেন তেজাস চৌধুরী নামের একজন যুবক। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান বাহারি গোঁফকে ব্র্যান্ড হিসেবে নিয়ে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন তৈরি করছে। ভারতের জনপ্রিয় একটি ডেইরি খামার তাদের দুধের বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে অভিনন্দনের গোঁফকে ব্র্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে। আভিনন্দন যেভাবে গোঁফ রেখেছেন, সেটা ভারতে নতুন কিছু নয়। বলিউডে খলনায়কদের বাহারি গোঁফে দেখানো হয়। দেশটির সমারিক বাহিনী এবং পুলিশের অনেক কর্মকর্তা লম্বা বা পেঁচানো গোঁফ রাখেন। এমনকি চোরাকারবারিরাও বিভিন্ন স্টাইলে লম্বা গোঁফ রাখে। কিন্তু গত কয়েতদিনে ভারতে বাহারি বিভিন্ন ধরণের গোঁফের খ্যাতি উদ্ধার করা হয়েছে। আভিনন্দনের কারণে বাহারি গোঁফ এখন সাহস ও দেশপ্রেমের সমার্থক হয়ে উঠেছে। সেলুন মালিক বলেছেন, বিনামূল্যে আভিনন্দন গোঁফ কামিয়ে দিয়ে তিনিও দেশের জন্য কিছু করতে চান। ভারতের ব্যাঙ্গালোরে একটি সেলুন বিনামূল্যে অভিনন্দনের স্টাইলে গোঁফ কামিয়ে দিচ্ছে। এই সেলুনের মালিক নানেশ ঠাকুর বলেছেন, "আভিনন্দন দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। সে কারণে আমি অনুভব করলাম যে, আমি তার মতো অনেক চেহারা দেখতে চাই।" "আর সেজন্য যারা ঐ স্টাইল নিতে আগ্রহী তাদের বিনা পয়সায় আমি সেভাবে গোঁফ কামিয়ে দিচ্ছি। এটা আমার অনুভূতি থেকে করছি।" তেজাস চৌধুরী যুদ্ধবিমান পাইলট আভিনন্দনের মতো করে গোঁফ কামিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। "আভিনন্দন আমাদের দেশের জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি তার স্টাইল নিয়ে তাকে অনুভব করতে পারব না কেন?" একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক নাভিন কুমারও আভিনন্দনের মতো করে গোঁফ কামিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আভিনন্দন আমাদের আসল হিরো। সেজন্য আমি তাঁকে অনুসরণ করেছি।" সেলুনের মালিক নানেশ ঠাকুর বলেছেন, আভিনন্দন যে স্টাইলের গোঁফ রেখেছেন, এটিকে 'গানস্লিংগার' বলা হয়ে থাকে। তার গোঁফ দেখলে মনে হয়, একটি বিমান আকাশে ডানা মেলে উড়ছে। আরো পড়তে পারেন: 'খালেদা জিয়ার রোগগুলো খারাপ আকার ধারণ করছে' নারী পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করে যেসব দেশে হার্ট অ্যাটাক: যে বিষয়গুলো কখনো উপেক্ষা করবেন না আভিনন্দনকে জাতীয় বীর হিসেবে লেখা ছবি, ফেস্টুন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন শহরে মিছিল হয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয় তাকে প্রথম দেখেছিল, পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রনালয়ের প্রকাশ করা ভিডিওতে। তাতে দেখা যায়, গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি তাকে ধরার পর তার চোখ বাধা এবং তার মুখমন্ডলে রক্ত। আভিনন্দন পাকিস্তান থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ভারতে ফেরার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন শহরে নারী পুরুষসহ সব বয়সের মানুষ তার ছবি এবং জাতীয় বীর লেখা ফ্যাস্টুন ব্যানার নিয়ে মিছিল সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। কাশ্মীরের উভয় প্রান্তের দৃশ্য বিবিসির চোখে | ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলট আভিনন্দন ভার্থামান, যাকে প্রায় ৫৮ ঘন্টা পাকিস্তানের সেনাদের হাতে বন্দী থাকার পর ভারতের কাছে ফেরত দেয়া হয়, এখন দেশটির মানুষের কাছে একজন জাতীয় বীর বনে গেছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | হাসপাতাল থেকে ফেরার পর হোয়াইট হাউসের ট্রুম্যান ব্যালকনিতে দেখা যায় মি. ট্রাম্পকে। প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিজের মাস্ক খুলে ফেলেন, যেখানে সম্প্রতি অনেক কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টা কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে মি. ট্রাম্প টুইটে বলেছিলেন "বেশ ভাল বোধ হচ্ছে।" "কোভিডকে ভয় পাবেন না। এটাকে আপনাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন না।" যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৪ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সপ্তাহান্ত জুড়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য সম্বলিত বিবৃতি প্রকাশের পর মি. ট্রাম্পের অসুস্থতা নিয়ে গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। ট্রাম্পের ফিরে আসার সময় কী হলো? সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল ছাড়ার আগে আমেরিকানদেরকে এই রোগ নিয়ে ভীত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে টুইট করেন ট্রাম্প। আর হাসপাতাল ছাড়ার পর তিনি বলেন: "২০ বছর আগে যেমনটা বোধ করতাম এখন তার চেয়ে অনেক ভাল অনুভব করছি।" টুইটেও তিনি বলেন: "শিগগিরই প্রচারণায় ফিরবো।" দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ের মাস খানেক আগে তার এই চিকিৎসা তার প্রচারণায় বেশ ভাল রকমেরই প্রভাব ফেলেছে। হোয়াইট হাউজের এই নির্বাচনের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেন। আরো পড়ুন: নীল রঙের স্যুট, টাই এবং মাস্ক পরে ওয়াশিংটনের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টার থেকে বেরিয়ে আসেন মি. ট্রাম্প। সেসময় বার বার হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করছিলেন এবং খুলছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, "সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।" সেসময় এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, "মি. প্রেসিডেন্ট আপনি কি একজন সুপার সংক্রমণ বিস্তারকারী?" তবে সে প্রশ্নও এড়িয়ে যান তিনি। মি. ট্রাম্প থাম্পস-আপ এবং সামরিক স্টাইলে স্যালুট দেয়ার আগে নিজের মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি। এরপর হেলিকপ্টারে করে হোয়াইট হাউজে এসে পৌঁছান মি. ট্রাম্প। এর পরে তোলা ছবিতে তাকে হোয়াইট হাউজের ট্রুম্যান ব্যালকনিতে দেখা যায়। সেখানে থাম্বস-আপ এবং সামরিক স্টাইলে স্যালুট দেয়ার আগে নিজের মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা পর এক টুইটে নিজের ফিরে আসার ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন তিনি। আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে মি. ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তাও রেকর্ড করেন যেখানে তিনি সবাইকে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। "আপনারা একে পরাজিত করতে যাচ্ছেন," তিনি তাদের বলেন। "আমাদের সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে, সবচেয়ে ভাল ওষুধ রয়েছে। এ সব কিছুই সম্প্রতি উন্নয়ন করা হয়েছে।" তিনি আরো বলেন: "আমরা অগ্রগামী হবো। আপনাদের নেতা হিসেবে আমাকে সেটা করতেই হবে। আমি জানি যে এতে বিপদের ঝুঁকিও রয়েছে, কিন্তু এটা আমাকে করতেই হবে। আমি সামনে এগিয়ে যাবো এবং নেতৃত্ব দেবো।" তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে: "এখন আমি ভাল আছি। হয়তো আমি রোগটি থেকে নিরাপদ, আমি আসলে জানি না।" তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, প্রতিষেধক আসাটা এখন "সময়ের ব্যাপার মাত্র," যদিও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলেছে যে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আগে কোন প্রতিষেধক আসবে না। চিকিৎসকরা কী বলছেন? হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক নেভি ক্যাডার শন কনলি সোমবার বিকেলে বলেন যে, মি. ট্রাম্প "হয়তো এখনো ঝুঁকি মুক্ত নন।" কিন্তু তিনি বলেন যে, প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং উন্নতি "তার বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য উপযোগী যেখানে তিনি সব সময় বিশ্বমানের চিকিৎসা পাবেন।" কিন্তু মি. ট্রাম্প সবশেষ কবে কোভিড নেগেটিভ পরীক্ষা করিয়েছেন কিংবা তার চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত কোন কিছু নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি ডা. কনলি। রোগীর গোপনীয়তা সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্টের নিউমোনিয়ার জন্য স্ক্যান নিয়েও বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে মি. ট্রাম্প স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসেন এবং দিনে তিন বার করে রেমডিসিভির অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ সেবন করছেন। মি. ট্রাম্প নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর জন্য ভ্রমণ করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে ডা. কনলি বলেন: "আমরা দেখবো।" কিন্তু সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্পের চিকিৎসক দল বার বারই গুরুত্বারোপ করেছে যে মি. ট্রাম্প বেশ ভাল করছেন। | তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়ে নাটকীয়ভাবে হোয়াইট হাউজে ফিরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ভারতের সংবাদ মাধ্যমে ঘটনার খবর ভারতের বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে শুক্রবার প্রথম পাতায় স্থান করে নিয়েছে এই খবরটি। ঘটনা সম্পর্কে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিএসএফ-এর দেয়া ভাষ্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যদিও একই সংবাদে তারা বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ভাষ্যও যুক্ত করেছে। তবে বিজিবি এবং বিএসএফ-এর দাবি পরস্পরবিরোধী। বিজিবি কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, প্রথমে বিএসএফ-এর তরফ থেকেই গুলি করা হয়, অন্যদিকে বিএসএফ বলছে তাদের জওয়ানরা গুলি করে নি। ভারতের পত্রপত্রিকায় বড় খবর ভারতের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রথম পৃষ্ঠায় চার কলাম জুড়ে প্রধান শিরোনাম হয়েছে এই খবর। রিপোর্টে বলা হয়, পতাকা বৈঠকের পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা বিএসএফকে গুলি করেছে এবং এতে এক জওয়ান নিহত হয়েছে। বিএসএফকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন রকম উস্কানি ছাড়াই গুলি ছোঁড়া হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ভারতের তিনজন জেলে মাছ ধরার সময় পদ্মানদীর সীমান্ত পেরিয়ে মাছ ধরার জন্য বাংলাদেশে ঢুকেছিল। প্রতিবেদনটিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে মুর্শিদাবাদের অনেক এলাকায় নদীতে সীমান্ত পিলার দৃশ্যমান নয়। ফলে ধারণার উপর ভিত্তি করে সীমান্ত ধরে নেয় জেলেরা। সেজন্য বিভিন্ন সময় ভারত এবং বাংলাদেশের জেলেরা নদীর মাঝখানে সীমান্ত অতিক্রম করে। কলকাতার পত্রিকা আনন্দবাজার শিরোনাম করেছে, "পদ্মার বুকে গুলি, মৃত্যু জওয়ানের।" পত্রিকাটি তাদের প্রথম পাতায় উপরের দিকে বেশ গুরুত্বের সাথে এই সংবাদটি পরিবেশন করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বিএসএফ সৈন্য নিহতের ঘটনা নিয়ে দু'রকম বক্তব্য বেলা থর্ন: ডিজনি তারকা থেকে পর্ন পরিচালক সহযোগী সংগঠন ঢেলে সাজাতে চায় আওয়ামী লীগ বিজিবি'র দেয়া ছবি: এতে চারঘাটের মৎস্য কর্মকর্তা ও স্পিডবোটে করে আসা বিএসএফ সদস্যদের দেখা যাচ্ছে বলে বিজিবি বলছে বিএসএফকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার লিখেছে, "আটক হওয়ার পরে মৎস্যজীবীরা বলেছিলেন যে, ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষীদের অনুমতি নিয়েই পদ্মার ওই অংশে মাছ ধরতে এসেছেন তাঁরা। শুনে বিজিবি-র জওয়ানেরা প্রণবকে আটকে রেখে অন্য দু'জনকে বলেন, ''তোরা বিএসএফকে ডেকে আন। তার পরে ওকে ছাড়ব।'' ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কারও এভাবে মৃত্যুর নজির স্মরণকালে নেই বলে উল্লেখ করে আনন্দবাজার পত্রিকা। বিএসএফকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি বলেছে, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্ত-রক্ষীরা ভারতীয় জেলেকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় এবং বিএসএফ সদস্যদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। পরিস্থিতির অবনতি আঁচ করে বিএসএফ সদস্যরা যখন ফিরে যাচ্ছিল তখন বিজিবি গুলি ছোঁড়ে বলে উল্লেখ করে এনডিটিভি। কলকাতার বাংলা দৈনিক 'এই সময়' তাদের প্রথম পাতায় এই সংবাদটিকে স্থান দিয়ে শিরোনাম করেছে, "বাংলাদেশের গুলিতে হত এক জওয়ান।" দুই দেশের সীমান্তে মাছ ধরাও বিরোধপূর্ণ হয়ে উঠছে। এই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, গুলি চালানো ছাড়াও বিজিবি এক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে জোর করে আটকে রেখেছে। ভারতের সামাজিক মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক ভারতীয় মন্তব্য করেছে। এদের মধ্যে অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অভ্রদীপ দত্ত নামে একজন টুইট করেছেন, "পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি কিভাবে গুলি করার সাহস পেল? বাংলাদেশীদের সমস্যা কোথায়?" হরিশ চৌহান টুইটারে লিখেছেন, "বাংলাদেশকে কঠিন শিক্ষা দেবার সময় এসেছে। নরেন্দ্র মোদী স্যার চুপ কেন?" মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিক টুইট করেছেন, "দুই পক্ষের দিক থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। বিজয় ভান সিং-এর আত্মত্যাগের জন্য স্যালুট।" | বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির গুলিতে একজন ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ সদস্য নিহত হবার ঘটনাটি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে খুব একটা গুরুত্ব না পেলেও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | শিক্ষকদের ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করে দিয়ে মঙ্গলবার একটি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষকদের অনেক মন্তব্য বা সমালোচনা দেখা গেছে, যা সরকারি নীতির খাপ খায়না। তাই তাদের সতর্ক করে দিতে ওই নির্দেশনাটি জারি করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ''ইদানীং ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে নেতিবাচক স্ট্যাটাস/মন্তব্য ও বিভিন্ন অপপ্রচারমূলক তথ্য প্রদান করা হচ্ছে, যা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০১৬ এর পরিপন্থী।'' ''কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও অপপ্রচারমূলক স্ট্যাটাস/মন্তব্য প্রচার করা হচ্ছে এবং শেয়ার করা হচ্ছে, যা প্রাথমিক শিক্ষা তথা সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এ ধরণের কার্যক্রম কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।'' সরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকার অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা তথা সরকারের বিরুদ্ধে কোন ধরণের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক স্ট্যাটাস/ মন্তব্য প্রদান বা শেয়ার করার ব্যাপারে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গণিত এবং ভাষা শিক্ষার ভয়াবহ চিত্র ঝাড়ু হাতে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের অভিনব কর্মসূচি সরকারি ইমেইল কেন ব্যবহার করছেন না কর্মকর্তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা কী বলছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর? অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, অনেক সময় দেখা যায়, সরকারের নীতির বিপক্ষে কেউ কেউ স্ট্যাটাস দিচ্ছেন বলে দেখা যায়। "এ ব্যাপারে ক্যাবিনেটের একটি সার্কুলারও আছে। তারপরেও দেখা যায়, শিক্ষকরা বুঝে না বুঝে অনেক রকম মন্তব্য করছেন। তাই তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হলো।'' কেউ এই নির্দেশনা ভঙ্গ করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে কী ধরণের মন্তব্য তারা দেখতে পেয়েছেন - সেটি নিয়ে কোন কথা বলতে চাননি। 'সরকারি চাকরি করি বলে কি, নিজের ক্ষোভও প্রকাশ করতে পারবো না?' এই নির্দেশনা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে দুই ধরণের প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ যেমন এতে আপত্তি তুলছেন, আবার সমর্থনও করছেন কোন কোন শিক্ষক। একটি জেলা শহরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমাদের কেউ কে কখনো স্কুলের নানা ক্ষোভের বিষয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, এটা ঠিক।" "সেটা সরকারের বিরুদ্ধে হয়তো নয়, বরং সেটা আমাদের জন্য ভালো না বলে মনে হয়েছে, সেটাই প্রকাশ করা হচ্ছে। এটা আসলে আমাদের মত প্রকাশের অধিকার।" "আমি সরকারি চাকরি করি বলে কি, আমার নিজের ক্ষোভের বিষয়টিও প্রকাশ করতে পারবো না?'' তবে আরেকজন শিক্ষক বলছেন (তিনিও নাম জানাতে রাজি হননি), ''সরকারি চাকরি করতে হলে তো কিছু নিয়মকানুন মানতেই হবে।" "অনেক বিষয়ে আপত্তি থাকতে পারে, সেটা নিয়ম মেনে আমি প্রতিবাদ করার পক্ষে, কিন্তু ফেসবুকে না দেয়াই হয়তো ভালো।" তিনি বলেন, "এই যে নির্দেশ দিয়েছে, চাকরি করতে হলে তো আমাকে সেটা মানতেই হবে।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'কনসালটেন্সি ফি' নামে রিজার্ভ সরিয়েছিল হ্যাকাররা 'কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে জেরার মুখে বসতে হবে' সৌদি আরবের সাথে সামরিক চুক্তি: বাংলাদেশের কী লাভ? মেয়েদের খৎনা সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন? রোহিঙ্গাদের দেখে যা বললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ঢাকার একটি প্রাথমিক স্কুল (ফাইল ফটো) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিধিমালায় কী রয়েছে? সরকারি চাকুরীজীবীদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের একটি নীতিমালা জারি করা হয় ২০১৬ সালে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা ওই নির্দেশিকায় ব্লগ, মাইক্রোব্লগস, নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নেটওয়ার্ক এবং ভিডিও শেয়ারিং সাইট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে ব্যক্তিগত একাউন্ট পরিচালনার বিষয়ে বলা হয়েছে: ওই নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেসব বিষয় পরিহার করতে হবে: সরকার প্রতিষ্ঠানে ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টি পর্যালোচনারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। | বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করে দিয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বেশিরভাগ মানুষ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি কেনাকাটা করে, তাই এক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে খাদ্যের অপচয় "এই মুহূর্তে মানবতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ," বলেন নিউ ইয়র্কের শেফ ম্যাক্স লা মান্না। "বেশি উদ্ভিদ, কম অপচয়" নামে একটি বই লিখেছেন তিনি। এখানে তিনি বলেছেন যে, কেউ কিভাবে চাইলেই এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে সহায়তা করতে পারে। জীবন ধারণের সবচেয়ে বড় উপাদান হচ্ছে খাবার। "বাবা একজন শেফ ছিলেন বিধায় বলতে গেলে অনেকটা খাদ্যের দুনিয়ায় বড় হয়েছি আমি। আমার বাবা-মা সবসময় আমাকে খাবার নষ্ট না করতে শেখাতেন," বলেন মি: মান্না। "৯শ কোটি মানুষের এই পৃথিবীতে, প্রায় প্রতিটি স্তরেই আমরা খাদ্যে অনিরাপত্তার মুখোমুখি হচ্ছি এবং ৮২ কোটিরও বেশি মানুষের খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নেই।" আরো পড়ুন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে কোন খাবার জনপ্রিয়? ঈদে স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাংস খাবেন কিভাবে ওয়ার্ল্ড ভিগান ডে: গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয় ম্যাক্স লা মান্না নিউ ইয়র্কের খাদ্য অপচয় বিরোধী একজন শেফ যিনি জিরো-ওয়েস্ট নীতি অনুসরণ করেন। আজ খাদ্য সংকট মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা- বিশ্বে উৎপাদিত খাবারের মধ্যে আনুমানিক প্রায় এক তৃতীয়াংশই হারিয়ে যায় বা নষ্ট বা অপচয় হয়। খাদ্যের অপচয় শুধু খাবারের অপচয় নয়, এর মানে হচ্ছে অর্থের অপচয়, পানির অপচয়, জ্বালানির অপচয়, ভূমির অপচয় এবং পরিবহণের অপচয়। এমনকি আপনার ফেলে দেয়া খাবার জলবায়ু পরিবর্তনেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। ফেলে দেয়া খাবারের স্থান হয় ভাগাড়ে যেখানে এগুলো পচে মিথেন গ্যাস তৈরি করে। খাদ্য অপচয় যদি কোন দেশ হতো তাহলে এটি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণে আমেরিকা ও চীনের পর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হতো। এটি ঠেকাতে আপনি যা করতে পারেন তা হলো- কেনাকাটায় স্মার্ট হোন অনেক মানুষই চাহিদার তুলনায় বেশি কেনাকাটা করে। বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অপচয় হয় স্মার্ট কেনাকাটার ক্ষেত্রে আগে একটি তালিকা তৈরি করুন এবং যা যা আপনার দরকার শুধু সেগুলোই কিনুন। বোনাস: আরেকবার বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করার আগে, আগের বার কেনা সব জিনিস ব্যবহারের জন্য একটি পয়েন্ট হিসাব করুন। খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন ভুল ধরণের খাবার ফ্রিজে রাখলে অপচয় বাড়ে খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে অনেক বেশি পরিমাণ খাবার অপচয় হয়। অনেকেই জানেন না যে সবজি এবং ফলমূল কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। এজন্য অনেক সময় ভালোভাবে পাকার আগে কিংবা বেশি পেকে গেলে তারপর সেগুলো সংগ্রহ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - আলু, টমেটো, রসুন, শশা এবং পেঁয়াজ কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এগুলো ঘরের তাপমাত্রায় রাখা উচিত। পাতাযুক্ত কাণ্ড বা শাক এবং লতানো খাবার পানি দিয়ে রাখতে হবে। রুটি ফ্রিজে রাখা যেতে পারে যদি মনে হয় যে সেগুলো একবারে খেয়ে শেষ করা সম্ভব নয়। সম্ভব হলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনাকাটা করার চেষ্টা করুন। উদ্বৃত্ত খাবার সংরক্ষণ করুন(আসলে সেগুলোও খেয়ে ফেলুন) বেচে যাওয়া খাবার আবারো খাওয়ার উপযোগী করার অনেক উপায় রয়েছে- যেমন সবজির বেচে যাওয়া অংশগুলো একসাথে মিশিয়ে ভেজে ফেলুন উদ্বৃত্ত খাবার শুধু ছুটির দিনের জন্য রেখে দেয়া উচিত নয়। যদি আপনি অনেক রান্না করেন এবং নিয়মিতই খাবার উদ্বৃত্ত থাকে, তাহলে একটি দিন ঠিক করুন যেদিন আপনি রান্না না করে ফ্রিজে জমে থাকা খাবার খাবেন। খাবার ফেলে দেয়া রোধে এটি অনেক ভালো একটি উপায়। এছাড়া এটি আপনার সময় এবং অর্থ-দুটিই বাঁচাবে। ফ্রিজের সাথে সখ্যতা গড়ুন ফ্রোজেন খাবার সবসময় অপরোধ রোধ করে এবং এগুলো স্বাস্থ্য সম্মতও বটে খাবার সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তা ফ্রিজে রাখা। আর ফ্রিজে রাখলে ভাল থাকে এমন খাবারের তালিকাও বেশ লম্বা। যেমন, সালাদ হিসেবে যেসব সবুজ সবজি খাওয়া হয় সেগুলো সহজেই ফ্রিজে রাখা যায়। ব্যাগ কিংবা কন্টেইনারে করে এসব সবজি রেখে দিন এবং পরে সেগুলো স্মুদি বা অন্য রেসিপির জন্য ব্যবহার করুন। শাক বা লতানো খাবার অলিভ অয়েল আর টুকরো রসুনে মিশিয়ে বরফ তৈরির ট্রেতে করে সংরক্ষণ করা যায়। যা পরে ভেঁজে খাওয়া যায় বা অন্যান্য খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। অতিরিক্ত খাবার যেমন ফার্মে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত কোন খাদ্য পণ্য, স্যুপ বা মরিচের মতো পরিমাণে বেশি হয় এমন খাবারও ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। এর মাধ্যমে সব সময় স্বাস্থ্যকর এবং ঘরে রান্না করা খাবারের চাহিদা পূরণও সম্ভব হয়। দুপুরের খাবার বাসা থেকেই নিয়ে যান বেচে যাওয়া খাবার প্যাকেট করা লাঞ্চ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এতে অপচয় কম হবে। যদিও সহকর্মীদের সাথে খাবার খেতে বাইরে যাওয়া কিংবা পছন্দের কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে পছন্দের খাবারটি খাওয়া বেশ আনন্দদায়ক, কিন্তু এগুলো বেশ দামি এবং এতে খাবার অপচয়ের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। অফিসের মধ্যাহ্নভোজ হিসেবে সাথে করে নিয়ে যাওয়া খাবার অর্থ সাশ্রয় এবং সেই সাথে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করে সকালে যদি হাতে সময় কম থাকে, তাহলে আগেই উদ্বৃত্ত খাবার ছোট-ছোট কন্টেইনারে করে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন। এভাবে, আগে রান্না করা এবং মুখরোচক খাবার মধ্যাহ্নভোজ হিসেবে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে আপনার হাতের কাছেই থাকবে। বাড়িতেই স্টক তৈরি করুন বাসায় বেচে যাওয়া সবজি দিয়ে স্যুপ রান্না করলে খরচও বেশ কমে আসে খাদ্য অপচয় কমানোর একটি সহজ উপায় হচ্ছে ঘরেই স্টক তৈরি করা। সবজির বিভিন্ন অংশ যেমন উপরের অংশ, ডাটা, খোসা বা অন্য যে কোন অংশ ছোট টুকরা করে কেটে অলিভ অয়েল বা মাখন দিয়ে মেখে তারপর পানি মেশান এবং পরে ফুটিয়ে এগুলো দিয়ে মজাদার সবজি ব্রথ বা স্যুপ তৈরি করা যায়। পারলে সার তৈরি করুন বেচে যাওয়া খাবার দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করা যায় জৈব সার উদ্বৃত্ত খাবার পুনরায় ব্যবহার করার একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে এগুলো দিয়ে সার তৈরি করা ,যা গাছের জন্য শক্তির যোগান দেয়। সবার যেহেতু বাড়ির বাইরে সার তৈরির ব্যবস্থা নেই, তাই রান্না ঘর বা অল্প জায়গাতেই সার তৈরির এক ধরণের ব্যবস্থা বা কাউন্টার-টপ কম্পোস্টার রয়েছে যা প্রায় সবাই চাইলে ব্যবহার করতে পারে। যাদের বড় বাগান রয়েছে তারা চাইলে বাইরেই একটি কম্পোস্টার ব্যবহার করতে পারেন। আর কাউন্টার-টপ কম্পোস্টার শহরের বাসিন্দা বিশেষ করে যাদের ছোট বাগান বা গাছ রয়েছে তাদের জন্য উপযোগী। ছোট পদক্ষেপ, বড় অর্জন টিকে থাকার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্য অপচয় কমানো, বলেন শেফ ম্যাক্স লা মান্না সবশেষে যেটি বলতে হয় তা হলো, আমরা সবাই চাইলেই খাদ্য অপচয় কমাতে পারি কারণ এর হাজারো রকম উপায় রয়েছে। আপনার বাড়ি থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার অপচয় হয় সে সম্পর্কে পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান এই সম্পদ বাঁচাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আপনি সহায়তা করতে পারেন। আপনার কেনাকাটা, রান্না এবং খাওয়ার বিষয়ে ছোট ছোট পরিবর্তন এনে পরিবেশের উপর চাপ কমানো যেতে পারে। আর এটা তেমন কঠিন কিছুই নয়। ছোট ছোট প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনি আপনার খাদ্য অপচয় বহুলাংশে কমিয়ে আনতে পারেন, অর্থ ও সময় সাশ্রয় করতে পারেন, আর কমাতে পারেন প্রকৃতির উপর থেকে কিছুটা চাপ। | প্রতি বছর প্রায় ১৩০ কোটি টন খাবার অপচয় হয়, যার বেশিরভাগেরই স্থান হয় ভাগাড়ে এবং শেষমেশ যা জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ব্যারি ও কারেন এমনিতে পরিবারটি ছিলো যথেস্ট সম্মানিত। শিকাগোতে একটি পরিচিত সংবাদপত্রে সাংবাদিক ছিলেন কারেন। আর ব্যারি চলচ্চিত্রে ইফেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। ইহুদিদের একটি অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে সাক্ষাত হয়েছিলো ও তাদের সন্তানেরাও প্রার্থনা সভায় যোগ দিতো ও স্কুলে কঠোর পরিশ্রম করতো। ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি ব্যারি কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিনের একটি সেফটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছিলেন। কিন্তু যে কোম্পানির কাছে এটি বিক্রির কথা তাদের চাহিদা মতো ইন্সুরেন্স করতে না পারায় প্রকল্পটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। ফলে পরিবারের নগদ অর্থ দরকার ছিলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নারী সমকামীরা কীভাবে গোপন ভাষায় কথা বলে? 'সমকামী বলে আমি এখন পরিবারের বিষফোঁড়া' যে পাঁচজনের লড়াইয়ে ভারতে সমকামিতা বৈধ হল ব্যারি পরে লস এঞ্জেলেস টাইমসে একটি চাকরীর বিজ্ঞাপন পান কারেন- যেটি ছিলো একটি পর্ন ম্যাগাজিন ও পর্ন ম্যাগনেট ল্যারি ফ্লিন্ট এর উৎপাদিত সামগ্রী বিতরণের কাজ। এভাবেই ম্যাসনস পরিবার পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেয়। প্রথম কয়েক সপ্তাহে কারেন ও ব্যারি ৫ হাজার অর্ডার পেয়ে যায় ও পুরো লস এঞ্জেলেসে গাড়ীতে করে তারা সেগুলো ডেলিভারি দিয়েছেন নিজেরা। ফ্লিন্ট এরপর কয়েকটি সমকামী পর্ন প্রকাশনা কিনে নেন ও পরে সেগুলোও যোগ হয় ম্যাসনের তালিকায়। কয়েক বছর পর লস এঞ্জেলেস এর বিখ্যাত গে পর্ন বুকশপ বুক সার্কাসের মালিক অর্থ সংকটে পড়ে যায়। এটি ১৯৮২ সালের ঘটনা। ব্যারি ও কারেন তা কিনে নাম দেন সার্কাস অব বুকস। যেটা ছিলো হার্ডকোর পর্ন স্টোর। আর এটাই হয়েছিলো সেখানকার সমকামী সম্প্রদায়ের সমবেত হওয়ার জায়গা। তিন সন্তান মিকাহ, রাচেল ও জোসকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো যখন তারা দোকানে আসবে তখন সেখানকার কোনো কিছুর দিকে তাকাবেনা ও স্পর্শ করবেনা। এমনকি তারা যেনো তাদের বন্ধুদের দোকানের নাম না বলে তাও বলা হয়েছিলো। মিকাহর জন্মদিন "আমরা চাইনি ওরা জানুক আমরা কি করি। আমরা পরিবারে এগুলো নিয়ে কথা বলতাম না। লোকজনকে বলতাম আমাদের বইয়ের দোকান আছে," বলছিলেন কারেন। কিন্তু এই পদক্ষেপ খুব একটা কাজে লাগেনি। বড় সন্তান মিকাহ কারেনের গাড়িতে পর্ন ভিডিও পায় এবং এটি তাকে হতাশ করে। রাচেলকে আসলে তার বন্ধুরাই বলেছিলো এবং তখন পর্ন সম্পর্কে তার কিছুটা আইডিয়াও ছিলো। সে খুব আঘাত পেয়েছিলো। তার মা কিছু ধর্মপ্রাণ ও নীতিবান। রাচেল মনে করতো তারা ছোটো ব্যবসা করে। ব্যারি, কারেন, জোস, রাচেল ও মিকাহ "আমরা ছিলাম প্রথাগত একটি পরিবারের মতো। মনে হতো পারফেক্ট পরিবার," জোস বলছিলেন। কারেন ও ব্যারির নেতৃত্বে সার্কাস অব বুকস দারুণ ব্যবসা সফল হয়। পরে সিলভারলেক এলাকায় তারা এর দ্বিতীয় শাখা খোলেন। তারা গে পর্ন ভিডিও তৈরিও শুরু করেন। পাশাপাশি পর্ন বিতরণ ব্যবসাও চালু রাখেন। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ছিলেন পর্নগ্রাফির বিরোধী। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেন এগুলো নিয়ে তদন্ত করতে। একই সময়ে বিচারের নতুন ব্যবস্থা চালু হয় যা ম্যাসন পরিবারের ব্যবসাকে চাপে ফেলে দেয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য পরিচিত জনদের মধ্যে বিক্রিটাই নিরাপদ ছিলো। কিন্তু একদিন তাদের একজন স্টাফ ভুল করে বসেন। একদিন একজন গ্রাহক তিনটি ফিল্ম অর্ডার করেন ও জো ভিডিও স্টোরে পোস্ট করতে বলেন। আসলে এই গ্রাহক ছিলো এফবিআই। পরে হলিউড স্টাইলে দোকানে তল্লাশি হয়। ম্যাসনের বিরুদ্ধ অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ আনা হয়। পুলিশের তল্লাশি সন্তানেরা জানতো না। কিন্তু ব্যারি সম্ভাব্য পাঁচ বছরের জেল ও বড় অর্থ দণ্ডের মুখে। মনে হচ্ছিলো দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। ম্যাসনের আইনজীবী লড়াই করেছেন। আবার ব্যারি জেল এড়াতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং দোকান চালু থাকে। এইডস যুগে কারেন ও ব্যারি ছিলেন মডেল চাকুরীদাতা। কর্মচারীরা অসুস্থ হলে ব্যারি দেখতে যেতেন, প্রয়োজনে হাসপাতালে নিতেন। কোনো কর্মচারী এইডসে আক্রান্ত হলে সাধারণত তাকে কাজে আসতে না বলা হতো। কিন্তু কারেন তারা যতদিন সুস্থ থাকেন ততদিন কাজে আসার সুযোগ দিয়েছেন। "আমি তাদের কাজ করতে দিতাম ও নগদ অর্থ দিতাম,যা ছিলো বেআইনি। তবে আমি মনে করতাম কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ"। ব্যারি ও কারেন অনেক কর্মীরই পরিবার ছিলোনা যাতে সে সহায়তা পেতে পারে। তাদের পরিবার সন্তানের মৃত্যুর পর কারেন ও ব্যারিকেই জানাতেন। লস এঞ্জেলেসের সমকামী গোষ্ঠীর সাথে দীর্ঘদিন জড়িত থাকা সত্ত্বেও যৌনতা নিয়ে কোনো আলোচনা হতোনা তাদের পরিবারে। তবে গোপনে তাদের সন্তান রাচেল একটু ভিন্ন জীবনধারায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। "আমি গে ক্লাবে যেতাম। আমার একটি আইডি ছিলো তাই আমি যেতে পারতাম। আমি এগুলো দেখে মুগ্ধ ছিলাম,"তিনি বলছিলেন। রাচেল সব সময় একটু বিদ্রোহী ধরণের। তাই স্কুলের পথ থেকে সে এখন একটি মেয়েকে নিয়ে নেয় তাতে কেউ অবাক হয়নি। রাচেল ম্যাসন কিন্তু ছোট সন্তান জোসের ওপর ছিলো মায়ের অনেক প্রত্যাশা। "আমি আসলে পারফেক্ট হতে চেয়েছিলাম," জোস বলছিলেন। কিন্তু এক রাতে সে একটি নোট লিখে, "আমি সমকামী। আমি কলম ও কাগজ টেবিলে ছুড়ে মারি"। তবে তার আগে সে বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নেয় কারণ তার ভয় ছিলো যে তাকে বের করে দেয়া হবে। "আমি ফ্লাইট বুকিং নিশ্চিত করেছিলাম"। তবে কারেন জিজ্ঞেস করেন, "তুমি কি নিশ্চিত। কেন এমন করছো। ঈশ্বর আমাকেই শাস্তি দেবেন। কারণ আমি সন্তানকে যথাযথভাবে গড়ে তুলিনি"। কারেন পরে বুঝতে পারেন যে তিনি রুঢ় আচরণ করেছেন। পরে তিনি সমকামীদের অভিভাবক ও বন্ধুদের একটি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হন। "যখন আমার নিজের সন্তানের বিষয় এলো। তখন মনে হলো সমকামীদের নিয়ে চিন্তা ধারার পরিবর্তন করতে হবে"। পরে ব্যারি ও কারেন দুজনই ওই সংগঠনের দূত হয়ে যান। পরে যখন ইন্টারনেট এলো তখন এমনিতেই তার ব্যবসা কমে যায়। সিলভারলেক শাখা বন্ধ হয় ২০১৬ সালে আর ওয়েস্ট হলিউড শপ বন্ধ হয় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। দা সিলভারলেইক সার্কাস অফ বুক শপ দোকান বন্ধ হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো। অনেক মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। অনেক সুপরিচিত গ্রাহক ও সাবেক কর্মীরা দু:খ প্রকাশ করলো। কিন্তু কারেন বলছেন, ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় তিনি আর কর্মীদের সুবিধা দিতে পারছিলেন না যা তারা আগে পেতো। | বহু বছর ধরে এই দম্পতি লস এঞ্জেলেসে সুপিরিচিত সমকামী পর্ন শপ চালিয়েছেন এবং পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রাপ্তবয়স্ক উপকরণ বিতরণ করেছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নাহিদ ফরিদ, ২০১০ সাল থেকে সংসদ সদস্য প্রতিবেদক এখানে তুলে ধরেছেন নারী প্রার্থীদের ভারী সাজসজ্জার বিষয়টি। আর ভিডিওতে দেখানো হচ্ছিলো নেইলপলিশ দেয়া আঙ্গুল, লিপস্টিক দেয়া ঠোঁট কিংবা কাজল দেয়া চোখ। সাথে অনেকটা ব্যাঙ্গ করেই বলা হচ্ছিলো যে এরা জনসেবার শ্লোগান দিচ্ছে। গত বিশে অক্টোবর হয়ে যাওয়া নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিভিশন চ্যানেলটি তাদের প্রতিবেদনে মূলত গুরুত্ব দিয়েছে নারী প্রার্থীদের এসব বিষয়গুলো। অর্থাৎ কে কেমন সাজসজ্জা করে ছবি তুলেছে কিংবা ভোট চেয়ে পোস্টার বানিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: আফগানিস্তান কেন এখন আগের চাইতেও বিপজ্জনক? আফগান নারীরা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? যেসব পোস্টারে নারী প্রার্থীরা জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেশটিতে অনেকেই মনে করেন রাজনীতির মতো জায়গায় এসব মেকআপ বা সাজসজ্জাকে গুরুত্ব না দেয়াই ভালো। যেমনটি বলছিলেন হেরাত কাউন্সিলের সদস্য সাকিনা হুসেইন। "নির্বাচনী প্রচারণা সেই জায়গা নয়, যেখানে একজন নারী মেক আপ নিয়ে আসতে পারেন। কারণ এগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে"। হেরাত কাউন্সিলের এই সদস্য ওই টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন মেকআপ দেয়া বা ফটোশপ করে চেহারা সুন্দর করার বিষয়টি ভোটারদের সাথে এক ধরণের প্রতারণা। তবে এ প্রতিবেদনে কোনো নারী প্রার্থীর সাথে কথা বলা হয়নি। পরে বিবিসি কথা বলে নাহিদ ফরিদ নামের একজন রাজনীতিকের সাথে যার নাম টেলিভিশনের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিলো। "আমি একজন নারী এবং আমি বিশ্বাস করি আমাকেই আমার যোগ্যতা বা সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। আর সেটি করতে হবে আমার অর্জন এবং আমার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই, মেকআপ দিয়ে নয়।" তিনি বলছিলেন, " আবার এটি বড় কোনো ইস্যু হওয়া উচিত নয়। আসলে এটি নিতান্তই একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার যে কখনো কখনো আপনি নারী সাজতে চান"। তুলনামূলক ভাবে হেরাত আফগানিস্তানের অন্য এলাকাগুলোর চেয়ে কিছুটা উদার হিসেবে পরিচিত। দেশটির অন্য প্রদেশের চেয়ে এখানকার মেয়েদের মধ্যে পড়াশোনার প্রবণতাও বেশি। নাহিদ ফরিদ মনে করেন এসব কারণে এখনকার পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে একদিন। নির্বাচনে পুরুষদের ব্যানার বিলবোর্ড নিয়ে কথা না উঠলেও নারীদের পোস্টার নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। "আমি সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি যেদিন লোকে আমাদের বিবেচনা করবে আমাদের যোগ্যতা দেখে, আমি নারী নাকি পুরুষ তার ভিত্তিতে নয়। কিন্তু নারী ও পুরুষ একযোগে কাজ না করলে সেই দিনটি আনা সম্ভব হবেনা। আমি মনে করি এ লড়াইয়ে পুরুষদেরও নারীর পাশে দাঁড়ানো উচিত"। এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রায় আড়াই হাজার প্রার্থীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিলো চারশোর মতো। এর মধ্যে হেরাত থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন আঠাশ জনের মতো। হেরাত দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। "আমার মনে হয় আমাদের কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক। যেমন ধরুন কথা বলা বা মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা।" "আরও কিছু বিষয় রয়েছে যেমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। কিন্তু কেউ এগুলোর অপব্যবহার করলে সেটি গণতন্ত্রকেই ক্ষতি করবে। আমাদের আচরণেই পরিবর্তন আনতে হবে কিন্তু সেটি মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে নয়। কারণ তাহলে এটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে"। এভাবেই একদিন নারীদের জন্য দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন আরও বেশি সুখকর হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন তিনি যেখানে যোগ্যতাই হবে মূল্যায়নের মাপকাঠি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সিনেমার গোয়েন্দা আর বাস্তবের গোয়েন্দার মিল-অমিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দীশিবিরে উইগুর মুসলিমরা হারিয়ে যাওয়া সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচকরা | আফগানিস্তানে চলতি মাসের সংসদ নির্বাচনের ওপর একটি রিপোর্ট প্রচার করেছিলো একটি টেলিভিশন চ্যানেল, যার বিষয়বস্তু ছিলো নারী প্রার্থীরা। কিন্তু ওই প্রতিবেদনের নারী প্রার্থীদের যোগ্যতা অযোগ্যতার চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে নারীদের সাজসজ্জা বা মেকআপ। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বাংলাদেশের একটি স্কুল বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ে যে হাজার হাজার স্কুল আছে সেখানে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে স্কুলের অনুষ্ঠানগুলোও থাকবে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, এখন থেকে আর আগের মতো বছর জুড়ে এক শ্রেণীতে একজন ক্যাপ্টেন থাকবেনা। সংস্থার পরিচালক ড: আব্দুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তারা একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে স্কুলগুলোতে। এগুলো হলো- নেতৃত্ববোধ, দায়িত্ববোধ ও পরিচ্ছন্নতা। "সবার মধ্যেই যেনো এসব গুণাবলী তৈরি হয় সেজন্য বছরে একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের পরিবর্তে প্রতি তিন মাস পর পর ক্যাপ্টেন পরিবর্তন করা হবে।" "এতে করে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে, যা তাদের মধ্যে নেতৃত্ববোধ তৈরি করার পাশাপাশি তাদের ভালো সংগঠকে পরিণত করবে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: দিল্লিতে জনবহুল এলাকায় হোটেলে আগুন, নিহত ১৭ কুকুর বিড়ালকে একটানা বেধে রাখলে জেল বাগেরহাটের যে নারী এখন পুরুষ ফুটবল দলের কোচ শিশুদের জেএসসি পরীক্ষার যৌক্তিকতা কী? বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে সাধারণত বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে যারা শীর্ষে থাকে তাদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেয়া হয়। এসব ক্যাপ্টেনরা স্কুলে তাদের শ্রেণী কার্যক্রম ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা করে থাকে। কিন্তু এখন মাউশি বলছে, শুধু পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে একজনকে নয় বরং প্রতি তিন মাস পর পর ৩/৪ জনকে এ দায়িত্ব দিতে হবে। "এর ফলে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী নেতৃত্ববোধের প্রশিক্ষণ পাবে শ্রেণীকক্ষ থেকেই," বলছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুণগত শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছে অর্থাৎ শুধু ভালো ফল নয় বরং একজন শিক্ষার্থী ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে কি-না সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতৃত্বের সাথে দায়িত্ববোধের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়ার অংশ হিসেবে এখন থেকে স্কুলে যে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীরাই উপস্থাপনা বা পরিচালনা করবে। মিস্টার মান্নান বলেন, আগে শিক্ষকরা এগুলো করতো আর শিক্ষার্থীরা সহায়তা করতো। এখন শিক্ষার্থীরা করবে আর শিক্ষকরা আড়ালে থেকে তাদের সহায়তা করবে। "শিক্ষার্থীরা নিজেরা পরিকল্পনা করে অনুষ্ঠানগুলো করবে আর সপ্তাহে এক দিন পুরো স্কুলের সব কিছু শিক্ষার্থীরাই পরিচ্ছন্ন করতে তুলবে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে থেকে"। বছরে একজনের পরিবর্তে এখন থেকে তিন মাস পরপর ক্যাপ্টেন পরিবর্তন হবে স্কুলগুলোতে উদ্যোগগুলো কেমন হলো? শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলছেন নির্দেশনাগুলো কার্যকর হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। "এতে করে অনেক বেশি শিক্ষার্থী নেতৃত্বগুণ অর্জনের দীক্ষা পাবে এবং তারা শ্রেণী কার্যক্রমে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে"। তিনি বলেন, অনেকে ভালো রেজাল্ট করে এসে পরে দেখা যায় সভা সমিতিতে ঠিকমতো কথা বলতে পারেনা কিংবা সবসময় জড়তা কাজ করে তাদের মধ্যে। "এখন অনুষ্ঠানগুলো করা কিংবা শ্রেণীকক্ষে সমন্বয় সাধনের কাজগুলোতে বেশি শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত হলে তাদের নেতৃত্ব বোধের পাশাপাশি ভালো সংগঠক হওয়ার প্রশিক্ষণ হয়ে যাবে। যেটি তাদের পরবর্তী জীবনে কাজে দেবে"। মিস্টার রহমান বলছেন, এসবের পাশাপাশি সব ধরণের স্কাউটিং প্রোগ্রামগুলো চালু করা গেলেও শিক্ষার্থীরা সামাজিক ও শেয়ারিং মনোবৃত্তির মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে দারুণ উপকৃত হতে পারতো। কত মাধ্যমিক স্কুল আছে বাংলাদেশে? মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)'র হিসেবে, বাংলাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৭৫টি আর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ১০৯টি। তবে সব মিলিয়ে সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ত্রিশ হাজারের বেশি। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী আছে ৪৫ লাখেরও বেশি। | বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ক্যাপ্টেন নির্বাচন করার প্রচলিত যে পদ্ধতি তাতে পরিবর্তন এনেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | Arnold Schwarzenegger starts a conversation about mental health আলি নামের এক ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম রেডিট'এ কিংবদন্তী বডি বিল্ডার মি. শোয়ার্জনেগারকে একটি মেসেজ করেছিলেন অনুপ্রেরণামূলক কিছু উপদেশ চেয়ে। মি. আলি মেসেজে লেখেন যে তিনি 'কয়েক মাস ধরে বিষন্নতায় ভুগছেন' এবং ব্যায়াম করা ছেড়ে দিয়েছেন। কানাডা'র কুইবেকে'র বাসিন্দা আলি বিবিসি'কে বলেন, "আমি বিছানায় পড়ে ছিলাম এবং খুবই হতাশ বোধ করছিলাম যখন ঐ মেসেজটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। বেশ কয়েকমাস ধরেই বিষন্নতায় ভুগছিলাম আমি।" রেডিটে মি.আলি'র করা পোস্ট কিন্তু আলি চিন্তাও করেননি যে সুপারস্টার শোয়ার্জনেগার তার মেসেজের উত্তর দিবেন। মেসেজের উত্তরে শোয়ার্জনেগার আলিকে 'ছোট ছোট ধাপে' সমস্যা সমাধান করার উপদেশ দেন। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের বড় ভক্ত আলি বলেন, "মেসেজ পাওয়ার পর লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে আমার প্রথম চিন্তা ছিল কত তাড়াতাড়ি জিমে যেতে পারবো। মেসেজটি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে আমাকে।" আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার সামাজিক মাধ্যম রেডিট'এ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আরও পড়তে পারেন: নারীদের ফেসবুক গ্রুপ: যেখানে একে অপরের সহায়ক ‘আমি ওভারব্রিজে দাঁড়িয়েছিলাম ঝাঁপ দেবো বলে’ সহিংসতার ঘটনায় মানসিক সমস্যায় শিক্ষার্থীরা জাপানে কাজের চাপে মারা যাচ্ছে কর্মচারীরা মি. আলি'র পোস্টের উত্তরে করা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের পোস্ট রেডিটে ৭০ হাজার 'আপভোট' পায় এই কথোপকথন। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সাথে মি. আলি'র এই মেসেজ আদান প্রদানে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই তাদের নিজেদের বিষন্নতার গল্প প্রকাশ করেন। মি. শোয়ার্জনেগারের মেসেজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মি. আলি অনেককেই সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছেন মেসেজ করে। অধিকাংশ মানুষ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টিকে ভালভাবে নিলেও কয়েকজন এর সমালোচনা করেছেন এই বলে যে বিষন্নতার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান মেসেজের মাধ্যমে হয় না। "আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের কাছ থেকে একটি মেসেজ পাওয়া অত্যন্ত অনুপ্রেরণার একটি বিষয় এবং ঐ মেসেজ পেয়ে জিমে যাওয়ার জন্য আমি দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ হই", বলে এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন আলি। মি. আলি আরো বলেন, "বিষন্নতার মত সমস্যা অবশ্যই এত সহজে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাকে হতাশা থেকে বের করার জন্য যে ধাক্কাটা দরকার ছিল, তা ঐ মেসেজ থেকে পেয়েছি আমি।" রেডিট'এ মি. আলি ও অন্যান্যদের এই কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করে মি শোয়ার্জনেগার একটি ভিডিও মেসেজ পোস্ট করেন, যেই ভিডিওটি একটি জিমে রেকর্ড করা হয়। ভিডিওতে মি. শোয়ার্জনেগার বলেন, "আলি যেভাবে বিষন্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের উৎসাহ ও সাহস দিচ্ছেন তা দেখে আমি গর্বিত।" বিখ্যাত সিনেমা 'টার্মিনেটর টু' এর দারুণ জনপ্রিয় উক্তি 'আস্তা লা ভিস্তা' বলে ভিডিও শেষ করেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কম খরচে সুখী হওয়ার নয়টি উপায় যে কারণে নিজের সন্তানকে অপহরণ করেছেন ব্রিটিশ এক নারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ছোট দলগুলোর বড় শর্ত | হলিউড তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার ও তাঁর একজন ভক্ত, যিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে তাদের মেসেজ বিনিময়ের ঘটনা অনেক মানুষকেই উদ্বুদ্ধ করেছে তাদের নিজেদের জীবনের বিষন্নতার গল্প প্রকাশ করতে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিষের তীব্রতার জন্য কোরাল সাপকে বলা হয় কিলার অফ কিলার্স ইংরেজি নাম লঙ গ্ল্যানডেড কোরাল স্নেক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই সাপকে ডাকা হয় 'কিলার অফ কিলার্স' নামে। কারণ শঙ্খচূড়ের মত বড় ও বিষধর সাপ এদের খাবার। গড়ে সাড়ে ছয় ফুট লম্বা এই কোরাল সাপের বিষ এতই তীব্র যে দেহে প্রবেশের সাথে সাথে সেটি কার্যকর হয় এবং দেহে খিঁচুনি শুরু হয়। বিষাক্ত দ্রব্যের ওপর ম্যাগাজিন টক্সিনে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে,এই সাপের বিষ মানব দেহের স্নায়ুর রিসেপ্টরকে আঘাত করে। ফলে এই বিষ ব্যবহার করে ব্যথা উপশম সম্ভব বলে গবেষকরা মনে করছেন। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ব্রায়ান ফ্রাই বলছেন, ''বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাপের বিষ কাজ করে ধীরে --আপনার শরীর অবশ হয়ে পড়বে,আপনার ঘুম লাগবে এবং এক সময় আপনি মারা যাবেন।'' ''কিন্তু এই সাপের বিষ কাজ করে খুব দ্রুত। কারণ এই সাপ তার মতোই অন্য বিষধর সাপ খায়। সুতরাং বিষ কাজ করতে দেরী হলে তারই বিপদ।'' সাপের বিষ ছাড়ারও বিজ্ঞানীরা কাঁকড়াবিছার বিষ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তবে এই সাপ সচরাচর দেখা যায় না এবং গাছপালা কেটে ফেলার ফলে এর ৮০% আবাসস্থলই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই গবেষণা প্রকল্পে ড. ফ্রাইএর সাথে কাজ করছেন চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুর থেকে আসা একদল বিজ্ঞানী। কোরাল সাপের বিষগ্রন্থি আরও পড়ুন: স্যালুটের রহস্য ভাঙলেন সাকিব আল হাসান নতুন ক্রিকেট তারকা: কে এই মেহেদী হাসান মিরাজ? জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে পুরুষদের ভাবনা | বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেহে সবচেয়ে লম্বা বিষের গ্রন্থি রয়েছে এমন একটি সাপের বিষে লুকনো রয়েছে মানব দেহের ব্যথা উপশমের সমাধান। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বিবিসির ডার্বিশায়ার প্রোগ্রামের গোপন অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের সৌন্দর্য চর্চা খাত জুড়ে কটুবাক্য বা গালাগালির চিত্র বেরিয়ে এসেছে। বিবিসির ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার প্রোগ্রামের গোপন অনুসন্ধানে এই খাত জুড়ে কটুবাক্য বা গালাগালির চিত্র বেরিয়ে আসার পর তারা ওই আহবান জানায়। ''আমি দেখেছি, বড় বড় মেয়েরা, শক্ত মেয়েরা তাদের টেবিলে বসে কাঁদছে। এখানকার পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত আর হয়রানিমূলক যে, মানুষজন এই খাত থেকে বেরিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে.'' বলছেন সারাহ (তার আসল নাম নয়), যিনি প্রসাধনী শিল্প জগতের একটি আন্তর্জাতিক নামী ব্র্যান্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলছেন, তার বস তার পেছনে কথা বলেন এবং সরবরাহকারীদের বলেছেন যে, তিনি নাকি তাদের গোপন তথ্য অন্যদের বলেছেন। আরো পড়ুন: রং ফর্সাকারী ক্রিম কি আসলেই ফর্সা করে? বিউটি পার্লার নিয়ে গ্রাহকরা কতোটা উদ্বিগ্ন রং ফর্সা করার মূল্য কীভাবে দিচ্ছেন লাখ লাখ নারী অ্যালার্জির কারণে আজ আমি বিউটি ফার্মের মালিক ''এরপর থেকে বস'রা আমাকে শুধুমাত্র প্রজেক্টের আওতায় ছোটখাটো কাজ দিচ্ছেন এবং গত দুই বছর ধরে যে প্রজেক্টে খুব ভালোভাবে কাজ করছিলাম, সেখান থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে,'' তিনি বলছেন। ''জন সম্পদ বিভাগ এবং পরিচালনা পর্ষদ আমার কথাকে গুরুত্ব দেয়নি। আমার প্রচণ্ড রাগ লাগছিল, কিন্তু এটা শুধু ক্ষোভের ব্যাপার নয়- আসলে এটা হৃদয় ভেঙ্গে যাওয়ার মতো ব্যাপার।'' এরপর ওই কোম্পানি থেকে চাকরি ছেড়ে দেন সারাহ। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে গত বছর ১৪.২ বিলিয়ন পাউন্ড অবদান রেখেছে প্রসাধনী শিল্প খাত। চাকরি বাজারের প্রতি ৬০ জনের মধ্যে একজন এই খাতে চাকরি করেন। ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার প্রোগ্রাম বিশ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন কোম্পানি পরিচালক থেকে শুরু করে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মেক-আপ আর্টিস্ট, যারা দাবি করেছেন যে, নানা সময়ে তারা গালাগালি, নিপীড়ন এবং খারাপ রীতিনীতির শিকার হয়েছেন। অনেকে বলেছে, তারা ক্ষোভ, হতাশায় ভুগেছেন, এমনকি কখনো কখনো এসব কারণে আত্মহত্যার কথাও চিন্তা করেছেন। প্রায় সবাই বলেছেন, এই খাতটি প্রাতিষ্ঠানিক গালাগালির সংকটে ভুগছে। কিন্তু তারা ভয়ও পান যে, এ নিয়ে যদি তারা কোন অভিযোগ করেন, তাহলে তারা আর চাকরি করতে পারবেন না। এই খাতে কোন ইউনিয়ন নেই, সুতরাং তাদের এমন কেউ নেই, যে বা যারা তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে বা অন্য কোম্পানির সহায়তা চাইবে। সৌন্দর্য চর্চা খাতে কটুবাক্য ব্যবহার এবং অন্যায় চাকরি চ্যুতির ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠনের আহবান জানিয়েছে ব্রিটিশ বিউটি কাউন্সিল, 'কোন ভবিষ্যৎ নেই' ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার প্রোগ্রাম যাদের সঙ্গে কথা বলেছে, তাদের অনেককেই একটি 'প্রকাশ না করার শর্তে' চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়েছে। এটি হচ্ছে এমন একটি চুক্তি, যার মাধ্যমে মুখ বন্ধ রাখার জন্য কর্মীদের হাজার হাজার পাউন্ড দেয়া হয়। কিন্তু ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পরেও সারাহ এবং আরেকজন নারী কর্মী জানিয়েছেন, তারা চান তাদের ঘটনাগুলো মানুষ জানুক, যদিও তারা নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। 'নিকোল' একটি নামকরা প্রসাধনী শিল্প কোম্পানির নির্বাহী হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন, যখন তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান যে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন, তখন তাকে কাজ থেকে একপ্রকার বাইরে ঠেলে দেয়া হয়। ''আমাকে বৈঠকগুলো থেকে বাইরে রাখা হয়, আমাকে কোন তথ্য দেয়া হতো না, তারা এমনকি ইমেইলে আমাকে যোগ করাও বন্ধ করে দেয়,'' তিনি বলছেন। ''এরপর, মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ করে কাজে ফেরার আড়াই মাসের মধ্যে আমাকে বলা হয় যে, এই প্রতিষ্ঠানে আমার কোন ভবিষ্যৎ নেই এবং আমার চলে যাওয়া উচিত।'' ''তারা আমাকে যা বলেছে, সবই আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম, যে আমি একজন খারাপ মানুষ। আমি বিষণ্ণতা, মানসিক চাপের চিকিৎসা করিয়েছি। একটি চিকিৎসা কেন্দ্রেও আমাকে থাকতে হয়েছে। আমি আসলে সত্যিই ভাগ্যবতী যে, আমি ফিরে আসতে পেরেছি...কিন্তু অনেক মানুষ সেটা পারে না।'' তবে শুধু নারীরাই এরকম অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন, তা নয়। জেক, যিনি এখন ফ্রিল্যান্স মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করছেন, বলছেন, তার সঙ্গেও অতীতে অনেক খারাপ আচরণ করা হয়েছে। ''অনেকবার এমন ঘটেছে যে, তাদের আচরণ ছিল এমন, 'তুমি কি তাকে সত্যিই তোমার মেক-আপ করতে দিতে চাও? সে একজন পুরুষ, সে জানে না কীভাবে ঠিকমতো মেক-আপ করতে হয়,'' তিনি বলছেন। ''আমি বিষণ্ণতার অনেকগুলো স্তরের ভিতর দিয়ে গিয়েছি। আমার মনে হচ্ছিল, আমার চারদিকে যারা আছে, তাদের কারো আন্তরিকতা নেই।'' আরো পড়তে পারেন: মোবাইল অ্যাপ কীভাবে ধান ক্রয়ে দুর্নীতি ঠেকাবে হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে ট্রাম্পের আইন পাশ আদালত চত্বরে আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন কর্মসংস্থান বিষয়ক আইনজীবী ক্যারেন জ্যাকসন বলছেন, প্রসাধনী শিল্পে বৈষম্য করার এরকম শতশত মামলা তিনি নিয়ে তিনি কাজ করছেন, যার মধ্যে গালাগালি এবং হয়রানির মতো অভিযোগ রয়েছে। 'হৃদয় ভঙ্গের মতো ব্যাপার' কর্মসংস্থান বিষয়ক আইনজীবী ক্যারেন জ্যাকসন বলছেন, প্রসাধনী শিল্পে বৈষম্য করার এরকম শতশত মামলা তিনি নিয়ে তিনি কাজ করছেন, যার মধ্যে গালাগালি এবং হয়রানির মতো অভিযোগ রয়েছে। ''আমি একই কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ বারবার শুনেছি, যা থেকে বোঝা যায়, যে এরা অতীতের ভুল থেকে কোন শিক্ষা নিচ্ছে না এবং তারা কর্মক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য আচরণ মেনে নিচ্ছে,'' তিনি বলছেন। ''আমি বুঝতে পারি না, কেন তারা এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয় না এবং সমস্যাগুলো দূর করে সবার জীবনকে সহজ করে তোলে না।'' তবে এই শিল্পে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা এখানে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। বিখ্যাত মেক-আপ আর্টিস্ট ল্যান নগুয়েন-গ্রেয়ালিস বলছেন, পেশাজীবনের শুরুর দিকে তিনিও কটুবাক্য ও হয়রানির শিকার হয়েছে এবং সেই অভিজ্ঞতার কারণে নিজেকে অনেক নমনীয় করে তুলেছেন। ''এটা সবটাই বোনদের আন্তরিকতার মতো- অনেক মেয়েরাই দরকার হলে গোপনে আমার কাছে এসে তাদের কথা বলতে পারে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, এই মেয়েদের জানার দরকার আছে এই খাতটি খুবই চমৎকার। আপনি যদি সত্যিই একজন ভালো মানুষ হন, তাহলে আপনি এখানে স্থায়ী একটি পেশা জীবন তৈরি করতে পারবেন।'' এই শিল্পের বক্তব্য, মতামত এবং চাহিদার প্রতিনিধিত্ব করে ব্রিটিশ বিউটি কাউন্সিল। ডার্বিশায়ার অনুষ্ঠানের ফলাফলগুলো প্রচারের পর, সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইলি কেনডাল বলেছেন, ''যেকোনো শিল্পের জন্য এটা খুবই হৃদয়বিদারক ব্যাপার,আমার একে অপরের গলা ধরে টানাটানি করছি।'' ''এটার জন্য দায় সরকারের, কারণ এটা শুধুমাত্র প্রসাধনী শিল্প সংক্রান্ত ব্যাপার নয়, এটা একটা জাতীয় ইস্যু। আমি মনে করি, এখানে ন্যায়পালের মতো বা প্রাতিষ্ঠানিক একটি কর্তৃপক্ষ থাকা উচিত, যারা নিশ্চিত করবে যে, এটা যেন সবার জন্য একটি নিরাপদ স্থান হয়ে ওঠে।'' যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক দপ্তর একটি বিবৃতিতে বলেছে: ''সমতার আইন অনুযায়ী, কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ, বর্ণ, প্রতিবন্ধীত্ব, ধর্ম, বিশ্বাস, যৌন দৃষ্টিভঙ্গি বা বয়সের কারণে হয়রানি করার বিরুদ্ধে সুরক্ষা রয়েছে এবং কর্মীরা এরকম ঘটনায় কর্মসংস্থান বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতিকার চাইতে পারে।'' | সৌন্দর্য চর্চা খাতে কটুবাক্য ব্যবহার এবং অন্যায় চাকরি চ্যুতির ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠনের আহবান জানিয়েছে ব্রিটিশ বিউটি কাউন্সিল, কারণ এই খাতটির কর্মীদের কোন ট্রেড ইউনিয়ন নেই। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | দিল্লিতে ইরান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার দুপুরে তিনি দিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক সেরে তেহরান ফিরে গেছেন, তবে বৈঠকের পর এখনও কোনও দেশই কোনও বিবৃতি দেয়নি। পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, ভারত যাতে ইরান থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখে সে জন্য তেহরান দিল্লিকে চাপে রাখতে চাইছে - আর এ জন্য দরকষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে চাবাহার বন্দরকে। কিন্তু ইরান ইস্যু ভারতের জন্য কীভাবে জটিল এক কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে? আসলে গত নভেম্বরে আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন যখন নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপায়, তখন ভারত-সহ আটটি দেশকে ইরান থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ইরানে ভারতের অর্থায়নে নির্মিত চাবাহার বন্দর কিন্তু চলতি মে মাসের গোড়ায় সেই অব্যাহতির মেয়াদও ফুরিয়েছে, আর এই পরিস্থিতি ভারত ও ইরান দুই দেশকেই বেজায় সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। দিল্লিতে শীর্ষস্থানীয় ইরান-বিশেষজ্ঞ কামার আগা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "বস্তুত ইরান ভীষণভাবে চায় ভারত তাদের থেকে আগের মতো তেল কেনা বজায় রাখুক - কিন্তু ভারতের সমস্যা হল তাদের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ সাঙ্ঘাতিক।" "নানা কারণে সামনে জাতিসংঘ, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স ইত্যাদি ফোরামে আমেরিকার সমর্থন ভারতের জন্য ভীষণ জরুরি।" "ভারত বরাবর বলে থাকে তাদের পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণ স্বাধীন - এখন ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমি বলব ভারতের সেই পররাষ্ট্রনীতিই এক কঠিন পরীক্ষায় পড়েছে", বলছেন মি আঘা। এই পটভূমিতেই সোমবার রাতে দিল্লিতে এসে নামেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ - গত চার মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের নারী ক্রিকেটের তারতম্য কতটা? 'ইসরায়েলি' প্রযুক্তি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে 'রক্ত' ঝরে গত নভেম্বরে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প 'রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে' ভারতকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে বর্ণনা করে মি. জারিফ খোলাখুলি জানান, নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি উঠে যাওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতেই তার দিল্লি আসা। ভারতের জন্যও ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অনেক সুবিধাজনক - কারণ তাতে পরিবহন খরচ ও দাম দুটোই কম পড়ে। ভারতের অন্তত তিনটি রিফাইনারি বা তেল পরিশোধনাগারও পুরোপুরি ইরানের তেলের ওপর নির্ভরশীল ছিল মাত্র কিছুদিন আগে পর্যন্তও। জ্বালানি খাতের সিনিয়র সাংবাদিক জ্যোতি মুকুল জানাচ্ছেন, "গত কয়েক মাসে কিন্তু ভারত ইরানি তেলের বিকল্প কিছু কিছু ব্যবস্থাও নিতে শুরু করেছে।" "পাশাপাশি চীন, জাপান, ভারতের মতো বৃহৎ ক্রেতা দেশগুলো একটা কনজিউমার ব্লক তৈরি করে এক সুরে কথা বলারও চেষ্টা করছে, কেন এশিয়ার দেশগুলো তেলের বেশি দাম দেবে সেই প্রশ্নও তুলছে।" ভারতকে বেশির ভাগ তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় "তবু আমি বলব, ইরান থেকে তেল কতটা কম আসবে সেই প্রশ্নটা যতটা না-দামের - বরং তার চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির", বলছেন মিস মুকুল। ইরান সঙ্কটে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সম্প্রতি অনেকটাই বেড়েছে - কিন্তু ভারতে ভোটের মৌসুমে সরকার পেট্রল-ডিজেলের দামে ততটা আঁচ পড়তে দেয়নি। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এ দেশে ক'দিন বাদে ভোট মিটলেই তেলের দাম একলাফে অনেকটা বাড়াতে হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অসীমা গোয়েল অবশ্য বলছেন, "গত বছর একটা সময় ভাবা হচ্ছিল তেলের দাম একশো ডলার ছোঁবে, যদিও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।" "সেই অভিজ্ঞতার পর আমি কিন্তু এবারও আশাবাদী দামটা নাগালের মধ্যেই থাকবে।" প্রধানমন্ত্রী মোদীর পররাষ্ট্রনীতিতে ইরান খুবই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে "সৌদি-সহ ওপেক দেশগুলোর ওপর মার্কিন চাপ, শেল গ্যাস বা নানা ধরনের বিকল্প গ্রিন এনার্জির কারণে আমার মনে হয় না তেলের দাম ভীষণ বেড়ে যাবে বলে।" এদিকে কামার আগা আবার নিশ্চিত, এদিন সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবধারিতভাবে চাবাহার তাস ব্যবহার করেছেন। ইরানের মাটিতে তৈরি সেই বন্দর ভারতেরই বানানো, সেখানে শত শত কোটি ডলার লগ্নিও করছে তারা। আফগানিস্তান-মধ্য এশিয়া বা রাশিয়াতেও ভারতের গেটওয়ে এই চাবাহার। ইরান যাতে পাকিস্তান বা চীনের দিকে বেশি না ঝোঁকে, সেটাও ভারত নিশ্চিত করতে চায়। ফলে একদিকে শস্তা তেল, চাবাহার ও ইরানের সাথে স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক আর অন্যদিকে আমেরিকার সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা - এই চরম উভয় সঙ্কটের মধ্যেই সমাধানের পথ খুঁজতে হচ্ছে দিল্লিকে। | মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে ইরান থেকে ভারত জ্বালানি তেল কেনা বন্ধ করার মাত্র কয়েকদিনের মাথাতেই ভারতে জরুরি সফর করে গেলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বর্তমান নির্বাচন কমিশনও গঠন হয়েছিল একটি সার্চ কমিটির দেয়া সুপারিশের ভিত্তিতে। এই কমিটিতে ছয় জন সদস্য রয়েছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে এই কমিটির সম্ভাব্য সদস্যদের নাম জানা যাচ্ছে। সূত্রটি জানাচ্ছে, কমিটির প্রধান হবেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। তার নেতৃত্বে সদস্য হিসেবে থাকবেন হাইকোর্টের এক বিচারপতি (তার নামটি জানা যায়নি), সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, মহা হিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও একমাত্র মহিলা সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরিন আখতার। তাদের তালিকা সম্বলিত একটি চিঠি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে বুধবারই পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে। সেখান থেকে এখন এটি গেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে বিবিসির কাদির কল্লোলকে জানিয়েছে সূত্রটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি। এই কমিশনকেও ২০১২ সালে একটি 'সার্চ কমিটির' মাধ্যমে খুঁজে বের করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এবারের যে নির্বাচন কমিশনটি হবে, সেটি কিভাবে করা হবে, কোন প্রক্রিয়ায় খুঁজে বের করা হবে ইত্যাদি চূড়ান্ত করার জন্য প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। ওই সংলাপে বিএনপিও যোগ দিয়েছিল। | বাংলাদেশে নতুন একটি নির্বাচন কমিশনের সদস্য কারা হবেন তা খুঁজে বের করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ল্যাবরেটরিতে টিকা তৈরির কাজ চলছে। রাজধানী ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যুক্তরাজ্যে টিকাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এখন এটি খুব দ্রুত বাংলাদেশে চলে আসবে। তিনি বলেন, "এর আগে আমরা ধারণা করেছিলাম জানুয়ারি মাসের শেষে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে অক্সফোর্ডের টিকাটি বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু এখন এটি জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগেই বাংলাদেশে চলে আসবে।" ব্রিটেনে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুধবার দেশটিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এই টিকাটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এর অর্থ হলো টিকাটি নিরাপদ এবং কার্যকর। বাংলাদেশের কর্মকর্তারাও বলছেন, ব্রিটেনের অনুমোদনের পর বাংলাদেশেও এই টিকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সরকারের পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "এখন খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের লোকজনকেও এই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।" বাংলাদেশ সরকার এর আগে জানিয়েছে যে তারা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে এই টিকাটি আনবে। সেরাম ইন্সটিটিউট এই টিকাটি উৎপাদনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ভারতে তারাই এই টিকাটি উৎপাদন করছে। ভারতে এই টিকাটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে যা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এর জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে সেরাম ইন্সটিটিউট ইতোমধ্যে ভারত সরকারের কাছে আবেদনও করেছে। বলা হচ্ছে, টিকাটি ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলে তা বাংলাদেশেও দেওয়া যাবে। এই দুটো দেশে একই সময়ে টিকা দেওয়ার বিষয়ে সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতাও হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে সর্বশেষ: আশার আলো কতটা? দরিদ্র দেশগুলো কি করোনাভাইরাসের টিকা পাবে? করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হলে জন্মসনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে একজন স্বেচ্ছাসেবীকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। বাংলাদেশে কি এখনই দেওয়া যাবে? স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়া মোটামুটি শেষ পর্যায়ে। যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে উৎপাদিত টিকার অনুমোদন দ্রুত হওয়ার কারণে এটি খুব দ্রুতই পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি আশা করছেন যুক্তরাজ্য অনুমোদন দিয়ে দেওয়ায় এখন ভারতও টিকাটি ব্যবহারের অনুমোদন দেবে। বাংলাদেশে এই টিকার ক্লিনিক্যাল কোন পরীক্ষা হয়নি। তাহলে কি এখনই সেটা বাংলাদেশের মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা সম্ভব? বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে কোন টিকার অনুমোদন দেওয়া হলে বাংলাদেশে তার আলাদা কোন পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সরকারের পরামর্শক কমিটির প্রধান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বাংলাদেশে কোন টিকা দিতে গেলে ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তিনি জানান যে এই অনুমোদনের বিষয়ে তিনটি ক্লজ রয়েছে। প্রথমত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন থাকলে বাংলাদেশে সেই টিকা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে সংস্থাটি অক্সফোর্ডের টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে কীনা। দ্বিতীয়ত: যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কর্তৃপক্ষ যদি কোন টিকার অনুমোদন দিয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে তার জন্য আলাদা করে কোন অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। সে অনুযায়ী ফাইজার-বায়োঅ্যানটেকের টিকাও বাংলাদেশে দেওয়া যাবে। এছাড়াও তৃতীয়ত: যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ইউরোপের সাতটি দেশের কোন একটিতে টিকা অনুমোদন পেলে সেই টিকাটিও বাংলাদেশে দেওয়া যায়। বাংলাদেশের মানুষ অক্সফোর্ডের টিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। "অক্সফোর্ডের টিকাটি যেহেতু যুক্তরাজ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেই হিসেবে বাংলাদেশেও এই টিকাটি দেওয়া সম্ভব," বলেন জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তবে এই টিকাটি যেহেতু বাংলাদেশে পরীক্ষা করা হয়নি সেকারণে কোন সমস্যা হতে পারে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "সেটা করা গেলে ভাল হতো। আমি সেরকম একটা প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।" "প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তো মানুষের মিল থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার পপুলেশন মোটামুটি একই ধরনের। ফলে বাংলাদেশে পরীক্ষা না করে টিকা দিলে তেমন কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়," বলেন তিনি। তবে যুক্তরাজ্যে এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যের মানুষের ওপর এর পরীক্ষার পর। "সেটা অবশ্য আমরা জানি না। তবে প্রতিবেশী ভারতে যদি কোন সমস্যা না হয় বাংলাদেশেও সমস্যা হবে না।" তিনি বলেন, ভারতেও খুব শীঘ্রই এই টিকাটির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে তারা আশা করছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অক্সফোর্ডের এই টিকাটি 'গেম চেঞ্জারের' ভূমিকা পালন করবে কারণ এটি পরিবহন ও সংরক্ষণ করা অনেক সহজ। তারা বলছেন, এই টিকাটি সাধারণ ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা যায়, যেখানে ফাইজার-বায়োঅ্যানটেকের টিকাটি সংরক্ষণ করতে হয় মায়নাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা ব্রিটেনে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার আশা করছে যে এই টিকাটি খুব দ্রুতই বাংলাদেশেও দেওয়া শুরু হবে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বুধবার আবারো মুখোমুখি বসতে চলেছেন শেখ হাসিনা এবং ড. কামাল হোসেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ রাতে বিবিসির কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের সাথে এই সংলাপ হবে সীমিত পরিসরে। কারণ তাদের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষের অল্প সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে এই সংলাপ চাওয়া হয়েছিল। এর আগে পয়লা নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রথম সংলাপে বসে সরকার। সেসময় গণভবনে তিন ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে যা শেষ হয়েছিল কোন রকম সমঝোতা ছাড়াই। সেই আলোচনার জের ধরে রোববার ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখে আবারো আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান। পয়লা নভেম্বর গণভবনে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চিঠিতে বলা হয়, পয়লা নভেম্বরের সংলাপের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে আরো আলোচনার সুযোগ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই পরবর্তী আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ই নভেম্বরের পর আর সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এদিকে, ঐক্যফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে তফসিল ঘোষণা না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আগামী আটই নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছে। বিএনপি, গণফোরাম, জাসদের একাংশ এবং নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বেশ কয়েকটি দাবি। আরো পড়ুন: সংলাপ: সংলাপ: অসন্তুষ্ট বিএনপি এখন কী করবে? আটই নভেম্বর তফসিল, বিরোধীদের দাবি অগ্রাহ্য নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে সন্দেহ আওয়ামী লীগের হঠাৎ করেই সরকার কেন সংলাপে বসতে রাজি হলো? | বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিসহ কয়েকটি দলের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে আগামী ৭ই নভেম্বর বুধবার বেলা ১১টায় আবারো সংলাপে বসবেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালটি মূলত উচ্চবিত্তদের হাসপাতাল হিসাবেই পরিচিত। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবার জন্য ইউনাইটেড হসপিটালে একটি অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। মূল ভবনের পাশে অস্থায়ী ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মি. বর্ধন বলেন, আইসোলেসন সেন্টারে রোগীদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছিল। "এটা ভেরি রিস্কি ছিল (খুব ঝুঁকিপূর্ণ), ভেরি রিস্কি। যারা মারা গেছেন তারা ঠিক সানশেডের নিচে মারা গেছেন," বলেন মি. বর্ধন। বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবহেলা করা হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ আছে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের আশেপাশে কেউ যেতে চায়না। ইউনাইটেড হাসপাতালের ক্ষেত্রেও এটি ঘটেছে কি না? এমন প্রশ্নে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, " আপনারা জানেন করোনা পেশেন্টের আশপাশে কেউ থাকে না। আগুন লাগার পর তারা কেউ বের হতে পারে নাই। হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।" ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনা আইসোলেশন ইউনিটের জন্য ১১ টি ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মধ্যে আটটি ছিল মেয়াদোত্তীর্ন। "এই ধরণের হাসপাতালে রোগী আসে ভালো হবার জন্য। যদি রোগী মারা যায় তাহলে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক," সাংবাদিকদের বলেন মি: ইসলাম। এদিকে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগী নিহত হবার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বুধবার রাতেই একটি বিবৃতি দিয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়, "সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন আইসোলেশন ইউনিটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় আবহাওয়া খারাপ ছিল এবং বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। বাতাসের তীব্রতায় আগুন প্রচণ্ড দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে ভর্তি পাঁচজন রোগীকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।" ঘটনার তদন্তে ফায়ার সার্ভিসকে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহায়তা করছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। | ঢাকার গুলশানের অভিজাত ইউনাইটেড হসপিটালে বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পাঁচজন রোগী নিহত হয়েছেন তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছিল |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | যত্নের ব্যাপারটা তখনি ঘটে যখন রোগী এবং চিকিৎসকের সাক্ষাতটা নিয়মিত হয় ইউনিভার্সিটির অব এক্সেটার এর গবেষকরা বলছেন মানুষের চিকিৎসার যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে করে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে অবহেলা করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন তারা চিহ্নিত করেছেন রোগীদের তাদের 'নিজেদের ডাক্তার' দেখানোর বিষয়টা। তারা সেসব ডাক্তারের কাছে দেখানোর জন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করতেও অসুবিধা বোধ করে না। গবেষণা প্রতিবেদনটি বিএমজে ওপেন এ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নয়টা দেশ যাদের মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। ২২টি গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১৮ টি গবেষণা বলছে দুই বছর ধরে একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়াটা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় মৃত্যুর হার কমিয়ে দিয়েছে। গবেষকরা বলছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনায় এটাতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। ইউনিভার্সিটির অব এক্সটার অধ্যাপক ফিলিপ ইভান্স বলছেন "যত্নের ব্যাপারটা তখনি ঘটে যখন রোগী এবং চিকিৎসকের সাক্ষাতটা নিয়মিত হয়। তারা একে অপরকে জানতে এবং বুঝতে পারে। এটাই দুইজনের মধ্যে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করে, রোগীর মনেও সন্তুষ্টি তৈরি করে।" আরো পড়তে পারেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করেছিলেন যারা হামলা-গ্রেফতারে উত্তেজনা কোটা সংস্কার আন্দোলনে মসজিদের ইমাম যেভাবে খৃস্টানদের জীবন বাঁচালেন | নতুন এক গবেষণায় বলছে যেসব রোগীরা একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন অর্থাৎ যখন-তখন চিকিৎসক বদলান না, তাদের মৃত্যুর হার কম। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ৫ই জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি ভোটার ভোট দিতে পারেননি ঢাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের এলাকার সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। স্বভাবতই তার ২০১৪ সালে ভোট দেয়ার সুযোগ হয়নি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার বছরে এসে পঞ্চাশোর্ধ আমিনুর রহমান বলেন, "সরকারে যিনিই থাকেন কোনো বিষয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাপ রাখেন। এবার চাপের বিষয়টি ক্ষমতায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে, আঁকড়ে রাখার ক্ষেত্রে একেবারে স্পষ্ট এবং নগ্ন।" সংসদ নিয়ে টিআইবির এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ সংসদে আইন পাশ হতে গড়ে মাত্র ৩০ মিনিট সময় নিয়েছে। কোরাম সংকটে বিপুল অর্থের অপচয় ধরা পড়েছে। এমনকি বিধান থাকলেও অনেক আন্তর্জাতিক চুক্তি এ সংসদে বিতর্ক বা আলোচনার জন্য উপস্থাপনই করা হয়নি। অথচ সংসদের সরকারি ও বিরোধী দল একসুরে সংসদের বাইরের দল বিএনপির সমালোচনা করেছে। টিআইবির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দীন খান বলেন, "লিগ্যালি, থিওরিটিক্যালি প্রাকটিক্যালি কোনোভাবেই এটাকে বিরোধীদল বলা যায় না। সুতরাং ২০১৪ সালে যে সংসদ হয়েছিল সেটা বিনা অপজিশনেই ফাংশন করলো। দুনিয়ায় এত সহজে কোনো আইন পাশ হয় এটা দেখা যায় না। তারপরে ওয়াচডক ফাংশনতো করেই নাই। গত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। এবং তারা জবাবদিহী করেও না"। টিআইবির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দীন খান বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের পর একদিকে সংসদের এই অবস্থা অপরদিকে রাজনীতির মাঠে বিএনপিও সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারেনি। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা হয়েছে এবং ৮৪টি মামলা মহাসচিবের বিরুদ্ধে। এছাড়া দলটির দাবি তাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। আর সর্বশেষ ১৬ টি সভা সমাবেশের আবেদনে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মিলেছে মাত্র তিনটি। ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পেছনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার যুক্তি তুলে ধরেছিল সরকার। নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ১৯শে ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, " উনি [খালেদা জিয়া] যদি হরতাল বন্ধ করেন, অবরোধ বন্ধ করেন, মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার বন্ধ করেন তাহলে ওই নির্বাচনের পর আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা যদি একটি সমঝোতায় আসতে পারি। প্রয়োজনে আমরা আবার পুনরায় নির্বাচন দেব। পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেব।" কিন্তু নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর সরকারের দিক থেকে আলোচনার আর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে বিএনপির হরতাল অবরোধে ব্যাপক সহিংসতাও হয়েছে। আন্দোলনে সহিংসতার বিষয়টিকে সামনে তুলে ধরে বিএনপির বিরুদ্ধে আরো কঠোর হয়েছে সরকার। এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল দেখা গেলেও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান মনে করছেন ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য একটা আঘাত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান "দুই দলের যে একটা এগ্রিমেন্ট দরকার নির্বাচনে সেটাতো একদম বিহীত হয়ে গেল। এবং তারপরে যেটা হলো যেহেতু বিরোধী দল পার্লামেন্টে আসলেন না এবং রাস্তায় রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক মার খেলেন তাতে করে যারা সরকারে আছেন শের্ষ পর্যন্ত একটা দল অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে গেছে। অতএব সেটাও আমি বলবো একটা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ভাল নয়।" বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের পর সরকার বিরোধী মত এবং সমালোচনা দমনেও তৎপর হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের ওপর ৫৭ ধারা প্রয়োগ, সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেয়ার পর গুমের ঘটনা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। হাফিজউদ্দীন খান বলছিলেন, "এক কথায় বলা যায় বর্তমান সরকার সমালোচনা মোটেও শুনতে রাজী নয়, সহ্য করতে রাজী নয়। গণতন্ত্র হতে গেলে পরমত সহিষ্ণুতা থাকতে হবে এটাতো একেবারেই অনুপস্থিত, নাই।" বাংলাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জনমনে শঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। ৫ই জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি ভোটার ভোট দিতে পারেননি ঢাকার আমিনুর রহমান বলছিলেন, "দেশে একশ চুয়ান্নটি সিট বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পরেও সংসদ কন্টিনিউ করে এবং ওই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন যেখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সেই কারণে নিঃসন্দেহে জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছেই, যে আগামী নির্বাচনটি যথাযথ এবং সুষ্ঠু হবে কিনা?" আরো পড়ুন: বাংলাদেশে মন্ত্রিসভায় রদবদল কিসের ইঙ্গিত পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা ঢাকা উত্তরে মেয়র নির্বাচন ২৬শে ফেব্রুয়ারি | বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি ভোটার ভোট দিতে পারেননি। বিএনপি বয়কট এবং নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক অনেক কম। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। এর আগে ২০১৯ সালের পুরানো ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭৮ জনের প্রাণহানি হয়। তারও আগে ২০১০ সালে নিমতলী ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ১২৫ জন। এই প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার পেছনে মূল কারণ ছিল মজুদ করা দাহ্য কেমিকেল। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কেমিকেলের মজুদ সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস ও একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও বাস্তবে তাদের কাজের কোন বাস্তবায়ন নেই। এতকিছুর পরও পুরানো ঢাকা থেকে এই কেমিকেলের মজুদ সরানো হয়নি। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পাওয়ার পরও যারা এ ব্যাপারে কোন তদারকি করেনি, পদক্ষেপ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে এখনই আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব। আরও পড়তে পারেন: পুরনো ঢাকায় বার বার কেন এই ট্রাজেডি? পুরনো ঢাকাতেই থাকবে প্লাস্টিক কারখানা - ঝূঁকি কতটা? চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: দাহ্য পদার্থ নিয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তর যা বলছে ভবনের কোরিডোর জুড়ে ক্ষতিকর কেমিকেল। তিনি একে নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং অবহেলাজনিত হত্যা হিসেবে আখ্যা দেন। মি. হাবিব জানান, তদন্ত কমিটি হয়েছে, নীতিমালা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কোন কাজই হয়নি। একইসঙ্গে সিটি কর্পোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিস্ফোরক অধিদফতর, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-কেউ তাদের পালন করেনি। এই দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি যেসব ভবন মালিক অর্থের লোভে ভবনের বাসিন্দার জীবন ঝুঁকিতে ফেলে কেমিকেল মজুদের জায়গা করে দিচ্ছেন, তাদেরকেও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে মনে করেন তিনি। মি. হাবিব বলেন, "মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে এবং যেসব ভবন মালিক বা কেমিকেল গুদামের মালিক অসচেতনতার পরিচয় দিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।" এসব কেমিকেলের মজুদ অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নিতে গাজীপুরের টঙ্গিতে এবং শ্যামপুরে দুটি স্থানে ৬ একর করে জায়গা নির্ধারণ হলেও এখন পর্যন্ত স্থানান্তরের কোন কাজ করা হয়নি। উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে কয়েকজন দমকলকর্মী কেমিকেলের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া নিমতলী ট্র্যাজেডির পর শিল্প মন্ত্রণালয় রাসায়নিক শিল্প-নগর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর চুড়িহাট্টায় আগুনের পর দুই মাসের মাথায় পুরানো ঢাকার সব কেমিকেলের গুদাম অপসারণে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। কিন্তু সব অভিযান ও প্রতিশ্রুতিই কিছুদূর এগিয়ে থেমে গেছে। তবে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার নিজ মন্ত্রণালয়ের ভুমিকার কথা এড়িয়ে গিয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সেবা সংস্থার ওপর দায় চাপাতে চাইছেন। তিনি জানান, দক্ষিণের মেয়র, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী সবার সাথে একাধিকবার মিটিং করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। "সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আবাসিক এলাকায় কোন কেমিকেল গোডাউন থাকবে না। এদের লাইসেন্স দেয়া হবে না। এদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।" এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন ও বিস্ফোরক অধিদফতরের। তাদের দায়িত্ব পালনে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান মি. মজুমদার। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে, শুক্রবার ভোররাতে পুরানো ঢাকার আরমানিটোলার ওই ৬ তলা আবাসিক ভবনে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে ৪ জন দমকলকর্মীও আহত হন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান। ভবনটির নিচে ও আশেপাশে ১০/ি১২টি কেমিকেলের দোকান থাকায় আগুনের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। প্রতিটি রাসায়নিক অত্যন্ত বিপদজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। কেমিকেল পোড়া ধোঁয়া ও আগুনের বিস্তৃতি এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে মাস্কসহ উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে আহত হন ওই ৪ জন কর্মী। এই কেমিকেলগুলো অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছিল বলে জানান মি. রহমান। তিনি বলেন, "যতো তীব্র আগুনই হোক, আমরা ব্রিদিং মাস্ক ছাড়া ঢুকতে পারি। কিন্তু এই আগুনটা এতোটাই বিষাক্ত ছিল যে আমাদের মাস্ক পরতে হয়েছে। তাও অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। এটা কেমিকেলের কারণেই হয়েছে।" ভবনের নীচে ছিল কেমিকেলের গুদাম। ফায়ার সার্ভিস যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন নিচতলার কেমিকেল গুদামের জানালা খুলে দিতে এক প্রকার বিস্ফোরণের মতো হয়। ভেতরে যে গ্যাস জমে ছিল সেটা বাইরের বাতাসে সংস্পর্শে আসতেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। ভবনের নীচে পাউডার ও লিকুইড জাতীয় কেমিক্যাল এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যেগুলোর কোনও লেবেল নেই। এজন্য দমকলকর্মীরা বলতে পারেননি যে এগুলো কি ধরণের কেমিকেল। তবে এগুলো ভীষণ বিপদজনক সেটা নিশ্চিত করেছেন। কারণ যারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের প্রায় সবাই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সরাসরি আগুনে পোড়ার ক্ষত কারও নেই। পুরানো ঢাকা থেকে এসব কেমিকেল গুদাম সরিয়ে নিতে যদি দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হয় এবং এ বিষয়ে যদি ভবন মালিকরা সচেতন ওঠে তাহলে আরেকটি ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হওয়া অসম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: নিখোঁজ সাবমেরিনে অক্সিজেন আছে মাত্র কয়েক ঘন্টার শুধু ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল? লকডাউনের মধ্যেই রবিবার থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণে ধসে গেল ফ্ল্যাটের দেয়াল, দগ্ধ ১১ জন বাংলাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬২৯ কোন ধরণের আগুন কীভাবে নেভাবেন | পুরানো ঢাকায় আরমানিটোলায় বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবারও নতুন করে সামনে এসেছে আবাসিক এলাকায় দাহ্য কেমিকেল মজুদের ভয়াবহতার বিষয়টি। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | চীনে প্রতি বছর দশ লাখেরও বেশি মানুষ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু যে পদে থাকলে এরকম কাজ করতে হয় সেই 'রিসিপশনিস্ট' পদের জন্য চীনে আবেদন করেছেন প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তি। তাও মাত্র একটি পদের জন্য এতজন আবেদন করেছেন। সম্প্রতি চীনে সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট ফলাফল পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে 'চীন ডেমোক্রেট লিগ' এর 'পাবলিক রিসিপশন স্টাফ' পদে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৮৩৭টি আবেদন পত্র জমা হয়েছে। 'চীন ডেমোক্রেট লিগ' নামের এই দলটি দেশটির সংখ্যালঘু রাজনৈতিক দল। আর এই দলটির ক্ষমতাও খুব বেশি নয়। এমনকি দেশটির গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও খুব কমই এই দলটির উপস্থিতি দেখা যায়। তাহলে কেন এত মানুষ দলটির এই রিসিপশনিস্ট পদের জন্য আবেদন করলো? চীনে প্রতি বছর দুর্নীতি দমনবিরোধী অভিযানের কারণে দেশটির সরকার বিভিন্ন চাকরীতে অনেক বেশি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা চাইছে। দেশটির সিভিল সার্ভিস বিভাগের কর্মকর্তা লি ঝং পিপল'স ডেইলিকে জানান, "চাকরির অনেক পদ রয়েছে যেগুলো অনেকের কাছে পছন্দের হলেও খুব বেশি যোগ্যতা চাওয়ার কারণে তাতে অনেকেই আবেদনই করতে পারছে না। সেই তুলনায় যে পদগুলোতে কম যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, সেখানেই বেশি আবেদন করছেন চাকরি প্রার্থীরা"। চীনের এই রাজনৈতিক দলটি যে চাকরির যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সে অনুযায়ী, শুধুমাত্র একটি ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকলে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে যে কেউই এই পদে আবেদন করতে পারবে | অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো বা তাদের চা খাওয়ানো বা আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা - এ ধরনের কাজগুলো কারও স্বপ্নের কাজ নাও হতে পারে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম বাড়িয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান বলেছেন, ইরানি বাহিনীর শত্রুতামূলক আচরণের পাল্টা জবাব হিসাবে তারা সেনা পাঠানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্কিন নৌবাহিনী আরো কিছু নতুন ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, সেগুলো ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে ইরানি হামলার ছবি। নতুন ঘোষণা এমন সময়ে এলো, যখন ইরান ঘোষণা করেছে যে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তারা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি অনুমোদিত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ৩০০কেজি পর্যন্ত স্বল্প মানের ইউরেনিয়াম উৎপাদন করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করার পর তারা ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে ইরানকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছে চীন এবং পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে। আরো পড়ুন: হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প তেলের ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানের হাত? হরমুজ প্রণালীতে টহল দিচ্ছে ইরানের নৌবাহিনী। অতিরিক্ত সেনা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? মার্কিন সময় সোমবার রাতের দিকে মধ্যপ্রাচ্যে আরো সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে লড়াই চায় না। তবে ওই অঞ্চলে আমাদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত সামরিক সদস্যদের নিরাপত্তা আর কল্যাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।" তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সৈন্যদের সংখ্যা বাড়াবে বা কমাবে। মার্কিন নৌবাহিনী আরো কিছু নতুন ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, সেগুলো ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে ইরানি হামলার ছবি। তবে এই অতিরিক্ত সেনা কোথায় মোতায়েন করা হবে, সেসব বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে গত মাসেই ১,৫০০ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর। তিনি রবিবার বলেছিলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র, তবে সব বিকল্প বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশের জয় নিয়ে ক্রিকেট তারকা, বিশ্লেষকরা যা বললেন ডিআর কঙ্গোর ভয়ংকর বিষধর সাপের মুখোমুখি বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা কতটা? হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু কে এই জোশুয়া ওং? ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাাংকারে হামলার নতুন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। নতুন করে কেন উত্তেজনা বাড়ছে? ২০১৫ সালে পারমাণবিক কর্মসূচী সীমিত করতে বিশ্বের পরাশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইরান। ওই চুক্তি অনুযায়ী, দেশটি তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচী সীমিত রাখবে, যা পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি হিসাবে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমনি অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হতে পারে। এর বদলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। তবে গত বছর ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এই পদক্ষেপের কারণে বিপর্যয়ে পড়ে ইরানের অর্থনীতি, যা মূলত দেশটির তেল বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। ফলে পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ইরান। এরই অংশ হিসাবে সোমবার ইরান ঘোষণা দিয়েছে যে, ২৭শে জুন নাগাদ তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ চুক্তি সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে ইরান বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে রক্ষা করতে এখনো ইউরোপীয় দেশগুলোর হাতে 'যথেষ্ট সময়' আছে। একে 'পারমাণবিক চাঁদাবাজি' বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। | ইরানের সঙ্গে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে আরো ১,০০০ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দীর্ঘ রোগমুক্ত জীবন নিশ্চিত করতে পারে নিয়মিত ভিত্তিতে ব্যায়াম, পরিমিত মদ্যপান, ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ধূমপানবিহীন জীবনযাপন নিশ্চিত করলে দীর্ঘায়ু লাভ সম্ভব। মার্কিন এই গবেষণাটি ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ১ লাখ ১১ হাজার মানুষের ওপর চালানো হয়েছে। গবেষণার প্রধান গবেষক ও হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের শিক্ষক ডক্টর ফ্র্যাঙ্ক হু বলেন যে এই গবেষণাটি 'জনগণের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা' দিয়েছে। "মানুষ যে শুধু জীবনে বেশি সময়ই পাচ্ছে, তা'ই নয়, জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তন করার সাথে সাথে বছরগুলো রোগহীনও হবে।" আরও পড়তে পারেন: দাম্পত্য সম্পর্ক খারাপ চললে আপনি কী করবেন? 'ক্যান্সার হবার পর থেকে সংসার বলতে কিছুই নাই' সন্তান জন্মের পর মানসিক সমস্যায় ভোগেন পুরুষরাও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা কী? গবেষণার জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা করা হয় তারা নিম্নোক্ত পাঁচটি কাজের অন্তত চারটি করেন কিনা যেসব নারীরা বলেছেন যে এই পাঁচটির অন্তত চারটি তারা করেন, তারা গড়ে আরো ৩৪ বছর হৃদরোগ (হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক) ও টাইপ টু ডায়াবেটিস জাতীয় রোগ ছাড়া বেঁচে থাকেন - যেসব নারী এই পাঁচটির অন্তত চারটি করেন না তারা এসব রোগের প্রকোপে না পড়ে গড়ে অন্তত ১০ বছর কম বাঁচেন। স্বাস্থ্যবান পুরুষদের মধ্যে যারা পাঁচটির চারটি কাজ করেন তারা রোগহীনভাবে ৩১ বছর বেশি বাঁচেন - যা অপেক্ষাকৃত কম স্বাস্থ্যবান পুরুষদের চেয়ে অন্তত সাত বছর বেশি। স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকায় ফল ও সবজি থাকা গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ ও নারীদের মধ্যে পার্থক্য কী? পুরুষদের চেয়ে সাধারনত নারীরা গড়ে বেশিদিন বাঁচেন। গবেষণা অনুযায়ী, যেসব পুরুষ দিনে ১৫টির বেশি সিগারেট পান করেন এবং অতিরিক্ত ওজন যেসব পুরুষ ও নারীর, (যাদের বিএমআই ৩০ এর বেশি) তাদের রোগহীন প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল সবচেয়ে কম। তবে দুই লিঙ্গের জন্যই কিছু বিষয় সত্য - স্বাস্থ্যকর জীবন শুধু ক্যান্সার, হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিই কমায় না, এ ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়া নারী ও পুরুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বাড়ায়। গবেষণায় দেখা যায় সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান পুরুষ ও নারীরা কখনো ধূমপান করেননি এই রোগগুলোকে কেন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে? ক্যান্সার, হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিস বৃদ্ধ বয়সের সবচেয়ে সাধারণ রোগ। এই রোগগুলো মানুষের জীবনযাত্রার সাথে খুবই নিবিড়ভাবে জড়িত। উদাহরনস্বরূপ, স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন থাকার সাথে ১৩টি ভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয় - যার মধ্যে স্তন, অন্ত্র, কিডনি, যকৃত ও খাদ্যনালী রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০টির মধ্যে চারটি ক্যান্সাএরে প্রতিরোধ করা সম্ভব জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে। যার মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া কমানো, আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া এবং সূর্য থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে চলা। কিছু ক্যান্সার জীবনযাত্রার ধরণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত অন্যান্য বিষয় কী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে? এই গবেষণাটি ছিল একটি বিস্তৃত ও পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা, কাজেই জীবনযাত্রার কোন কোন বিষয়গুলো রোগমুক্ত জীবনে সরাসরি ভূমিকা রাখে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারা সম্ভব হয় না এই গবেষণার মাধ্যমে। তবে পরিবারের সদস্যদের রোগের ইতিহাস, জাতিগত পরিচয় ও বয়সের মত বিষয়গুলো আমলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এই গবেষণায়। গবেষণাতে মানুষের বর্তমান খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের রুটিন, শারীরিক গঠন (উচ্চতা ও ওজন) জানার জন্য অংশগ্রহণকারীকে প্রশ্ন করে জানা হয়েছে, যা সবসময় শতভাগ সঠিক হয় না। গবেষণায় অংশ নেয়া প্রায় ৭৩ হাজার নারী ও ৩৮ হাজার পুরুষের অধিকাংশই ছিলেন স্বাস্থ্যখাতে কাজ করা শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি। | ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চললে ক্যান্সার, হৃদরোগজনিত সমস্যা ও টাইপ টু ডায়বেটিস ছাড়া দীর্ঘ জীবন লাভ সম্ভব - যেক্ষেত্রে নারীদের অতিরিক্ত ১০ বছর এবং পুরুষদের ৭ বছর পর্যন্ত বেশি বাঁচার সম্ভাবনা তৈরি হয়। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলন সোমবার ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। লিখিত বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ''স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনে এমন কাউকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা উচিৎ হবে না, যাকে এদেশের মানুষ চায় না বা যার আগমন এদেশের মানুষকে আহত করবে। কারণ নরেন্দ্র মোদী একজন মুসলিম বিদ্বেষী হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত।'' তিনি ভারতে ঘটা মুসলিম বিরোধী একাধিক সহিংস ঘটনার জন্য নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন। এসব কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনে নরেন্দ্র মোদী আসুক, সেটা চায় না না হেফাজতে ইসলাম। ''আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষের সেন্টিমেন্টের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিকট নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ বাতিলের আহ্বান জানাই,'' বলছেন হেফাজতে ইসলামের এই নেতা। 'ঈমানী দায়িত্ব' হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরুদ্ধে তাদের 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ' অব্যাহত থাকবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। এই সময় তার সঙ্গে মঞ্চে বসে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী, মামুনুল হকসহ অন্যান্য নেতারা। তবে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে কোন মিছিল বা সরাসরি সংঘাতমূলক কোন পদক্ষেপ তারা নেবেন না। আগামী ২৬শে মার্চ দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। নরেন্দ্র মোদী সর্বশেষ বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১৫ সালের জুন মাসে। আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের হিন্দু গ্রামে হামলা: মামলায় ৮০ জনের নাম, নেই গ্রেপ্তার, পরিস্থিতি থমথমে সুনামগঞ্জে হিন্দু গ্রামে হামলা: প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়ার বর্ণনা দুই নারীর ভারত ও চীনের সাথে কিভাবে ভারসাম্য করছে সরকার বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব নোয়াগাঁও গ্রামের সাত-আটটি পারিবারিক মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় 'সুনামগঞ্জের ঘটনায় হেফাজতের দায় নেই' সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একজন হিন্দু ব্যক্তির স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে শত শত লোক গত ১৭ই মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। তবে সংবাদ সম্মেলনে শাল্লা উপজেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের ওপর হামলার দায় চাপানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বা মামুনুল হকের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ওই ঘটনায় আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যকে প্রধান হোতা জানিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলার ৩৬ ঘণ্টা পর ১৮ই মার্চ রাতে হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে, এছাড়া অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার জনকে আসামি করে প্রথম মামলাটি করেন। তবে হেফাজতে ইসলামের নেতারা দাবি করেন, মিডিয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে, তা সত্য নয়। শাল্লা উপজেলার হামলার সঠিক বিচার দাবি করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে সবাইকে থাকার জন্যও আহ্বান জানান হেফাজতে ইসলামের এই নেতা। হামলাকারীরা অন্তত ৮৮টি বাড়িঘর ও সাত-আটটি পারিবারিক মন্দিরে ভাংচুর করে এবং লুটতরাজ চালায়। তবে কয়েকজন এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে একজন স্থানীয় সাংবাদিক বলছেন, গ্রামটির চার থেকে পাঁচশ ঘরবাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট চালিয়েছে হামলাকারীরা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: হিন্দুদের বেনামী চিঠি: মাগুরায় ধর্মানুভূতিতে আঘাতের মামলা মিয়ানমারে রাজপথের আন্দোলনে আত্মত্যাগ আর আতংকের কাহিনী অচিরেই নিজের 'সোশ্যাল মিডিয়া' নিয়ে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে কেন 'অলিভ ব্রাঞ্চ' দেখালেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বাজওয়া | বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশ সরকার যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তা বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | লঞ্চ পন্টুনে ভেড়ার সাথে সাথে টার্মিনালে ভিড় জমে যায়। তিনি তাড়াহুড়া করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়েন এবং লঞ্চে ও পন্টুনের মাঝখানে পড়ে তার পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শনিবার রাত আটটার দিকে দৌলতখান লঞ্চ টার্মিনালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান দৌলতখান থানার ওসি বজলার আহমেদ। আহত যাত্রীটি ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে লঞ্চঘাটে আসেন। ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি ফারহান-৫ টার্মিনালের দিকে ভিড়তে শুরু করলে মানুষ তাড়াহুড়ো করে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করে। এসময় ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা খেয়ে তার বাম পা পন্টুন থেকে পিছলে নীচে পড়ে যায়। পর মুহূর্তে লঞ্চটি সজোরে ধাক্কা দিলে হাঁটু থেকে নীচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে আশেপাশে থাকা মানুষ ওই বিচ্ছিন্ন পা-সহ গুরুতর আহত নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে পরে ভোলার জেলা সদর হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্পিডবোটে করে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের ভয়াবহ ৫ টি লঞ্চডুবির ঘটনা বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার, ধাক্কা দেয়া লঞ্চ 'জব্দ' ভিআইপি'র জন্য ফেরি আটকা, ছাত্রের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে মন্তব্য: শাজাহান খান যা বলছেন মি. আহমেদ বলেন, চরফ্যাশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো দৌলতখান লঞ্চঘাটে যাত্রী উঠানোর জন্য অল্প সময়ের জন্য দাঁড়ায়। এ কারণে ওই সময়ে একসাথে অনেক মানুষ ভিড় করে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করে। এই ভিড়ের কারণেই ওই নারী ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এরিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মি. রহমান। | ভোলার দৌলতখানে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পা-টাই হারিয়েছেন এক নারী। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ড: কামাল হোসেন যুক্তফ্রন্ট নামে সদ্য-গঠিত ঐ জোটের নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে পত্র-পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ চর্চা চলছে। যেমন নতুন জোটের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন -- তিনি যখন গরম বক্তৃতা দেবেন, তখন ধরে নেবেন তার প্লেন রেডি। তার এবং তাদের জোট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যকে তিনি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, এসব নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না। তবে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা যে নতুন জোটকে স্বাগত জানিয়েছেন সেটা ইতিবাচক। জনগণের কাছে নতুন এই জোটের গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে যে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন সে বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা তো ওনার সমর্থনে কিছু করিনি, স্বাধীনভাবে করেছি, তাই এবিষয়ে তো তিনি প্রশ্ন তুলতেই পারেন।" ড. কামাল হোসেন বলেন, "মানুষ এটা ভালোভাবেই জানে যে ২০০৮ সালে আমরা কী করেছিলাম। আমাদের জোটে যারা আছেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে তাদের কী অবদান সেটা সবাই জানেন।" "ভোটার তালিকা বাতিল করার জন্যে আমি মামলা করেছিলাম। তখন এক কোটি ৪৪ লাখ ভোট বাতিল করা হলো। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করালাম। ইয়াজউদ্দিন আহমদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের পদ থেকে সরালাম। তখন আমাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা হলো। এসব অবদানের কথা তো অনস্বীকার্য," বলেন তিনি। যুক্তফ্রন্টের এই নেতা বলেন, তাদের নতুন জোট চাইছে বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। "যদি জনমত নেওয়া যায় তাহলে দেখবেন যে ১০০% সমর্থন এর পক্ষে আছে।" তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত চার/পাঁচ বছরে গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে কিন্তু সেরকম কিছুই করা হয়নি। "মনোনীত লোকজনদের নিয়ে সংসদ বানানো হয়েছে কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রের নাম গন্ধ কেউ পায় নি।" এটা করার জন্যে নতুন জোটের সেই শক্তি কি আছে- এই প্রশ্নের জবাবে ড. হোসেন বলেন, "আমাদের শক্তি শূন্য বলে ধরে নিচ্ছি কিন্তু জনগণের সেই শক্তি আছে। আমাদের কথাবার্তা তো জনগণের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। জনমত যাচাই করে দেখেন তারা পরিবর্তন চাচ্ছে।" শেখ হাসিনা যুক্তফ্রন্টের নেতাদের নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন, ছড়াও কেটেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই জোটের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেছেন। তাদের নিয়ে ছড়াও কেটেছেন। যুক্তফ্রন্টের নেতাদের ইঙ্গিত করে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন কিন্তু তারা অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেন। তারা উত্তর পাড়ার (ক্যান্টনমেন্ট) দিকে তাকিয়ে থাকেন- এই মন্তব্যের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, এই বক্তব্য তাদের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, "আদৌ নির্বাচন হবে কিনা যারা বলেন তারা হয়তো বসে আছেন...কোন কিছু হলে সব উত্তর পাড়ার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। এটাই তো বাস্তবতা। যেমন আমার বাবাকে হত্যা করেছে। যিনি এই দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেলেন তাকে যারা খুন করতে পারে তো সেদেশে কীনা হতে পারে!" এর জবাবে কামাল হোসেন বলেছেন, "২০০৮ সালে আমরা যা করেছি সেটা তো গোপনে করিনি। আমি মামলা করে সব ভুয়া ভোটার বাতিল করলাম, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করলাম- এসব উত্তর পাড়ার কোন ব্যাপার নয়। তাদের সাথে আমাদের কোনদিন সম্পর্ক ছিল না।" বিএনপির সাথে যুক্তফ্রন্টের কোন রাজনৈতিক ঐক্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, এবিষয়ে বিএনপির সাথে তাদের কোন কথা হয়নি। তবে এবিষয়ে নীতিগত ইস্যুতে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। "যদি হয় তখন দেখা যাবে," বলেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: 'উত্তর পাড়ার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই' 'প্রধানমন্ত্রীর কথাই শেষ নয়, আলোচনা হতেই পারে' মাঝদরিয়ায় জেলেদের কী কাজে লাগে কনডম? | বাংলাদেশে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট এবং তাদের নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে ঠাট্টা তামাশা করেছেন - তা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | নতুন এই ভিডিও সার্ভিসের নাম দেয়া হয়েছে 'ওয়াচ'। বলা হচ্ছে ইউটিউব এবং টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে পাল্লা দেবে ফেসবুকের নতুন এই সার্ভিসটি। এই ওয়াচ ট্যাবের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নতুন ধরনের টিভি শো দেখতে পারবেন, এগুলোর মধ্যে কিছু থাকবে -সোশ্যাল নেটওয়ার্কের অর্থায়নে তৈরি শো। ওয়াচ নামের এই ভিডিও ট্যাবটি 'পার্সোনালাইজ'ও করা যাবে যেন ব্যবহারকারীরা নতুন শো দেখতে পারেন, তাদের বন্ধুরা কী দেখছেন তার ওপর ভিত্তি করে নতুন নতুন শো-ও আবিষ্কার করতে পারবেন তারা। নিজের ফেসবুক পোস্টে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন "একটি শো দেখা মানে শুধুমাত্র দেখেই বসে থাকলাম তা নয়। এটি একটা অভিজ্ঞতা শেয়ারের সুযোগ এবং এক ধরনের মনোভাব বা চিন্তাভাবনা ধারণ করা মানুষকে একত্রিত করারও একটি ক্ষেত্র হতে পারে এটি"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মার্কিন ঘাঁটিতে ‘চলতি মাসেই হামলা’: উত্তর কোরিয়া ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি | বিশ্বে জনপ্রিয় একটি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ভিডিও সার্ভিস আনতে যাচ্ছে। নতুন নকশা করা এই 'ওয়াচ' ট্যাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করছে ফেসবুক। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | তার আইনজীবি জেড আই খান পান্না বলেন, "মিন্নির বয়স, সে একজন নারী, তার সংশ্লিষ্টতা কতটুকু আছে এবং যে পদ্ধতিতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে, যেভাবে মিন্নিকে আদালতে পেশ করার সময় তার পক্ষে যে কোন আইনজীবি ছিলো না, এফআইআর এ তার নাম নেই এবং এ মামলার একমাত্র স্বাক্ষী- এসব বিবেচনায় নিয়ে তাকে মু্ক্তি দেয়া হয়েছে।" আদালত তার রায়ে বলে, "তদন্ত প্রক্রিয়া যেহেতু শেষের দিকে এবং এ অবস্থায় তদন্ত প্রভাবিত করার কোন সুযোগ নেই, তাই আমরা জামিন মঞ্জুর করলাম।" মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, "আমরা যে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি তা আইনজীবিরা তুলে ধরতে পেরেছেন। আমরা সুবিচার পেয়েছি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী। তিনিই এই মামলার প্রধান সাক্ষী। চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলায় বরগুনার পুলিশ মিন্নিকে গত ১৬ই জুলাই গ্রেফতার দেখায়। অথচ এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবেই মামলায় নাম ছিল মিন্নির। এর আগে হত্যা মামলাটির বাদী, নিহত রিফাত শরীফের বাবা, আবদুল হালিম দুলাল শরীফ গত ১৩ই জুলাই এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূ (মিন্নি) এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে তিনি সন্দেহ করেন। গত ২৬শে জুন সকালে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল লোক। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঐ ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায় কয়েকজন অস্ত্রধারী রিফাতকে ধারাল অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে আহত করছে। আর ঘটনাস্থলে উপস্থিত মিন্নি তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করছে। মিন্নি ছাড়া ওইসময় আর কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি ভিডিওতে। ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। (সাক্ষাৎকারের ভিডিও দেখুন এখানে) সেখানে তিনি বলেছিলেন, "আমি অনেক বাঁচানোর চেষ্টা করছি, অস্ত্রের মুখে পড়ছি, অস্ত্র ধরছি, কিন্তু বাঁচাইতে পারি নাই। আর কেউ আইসা আমারে একটু সাহায্যও করে নাই"। আশেপাশে অনেক মানুষ ছিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেছিলেন, "আমি অনেক চিৎকার করছি, সবাইরে বলছি ওরে একটু বাঁচান, কিন্তু কেউ আসে নাই"। অভিযুক্ত হামলাকারীদের একজন, যিনি এলাকায় 'নয়ন বন্ড' নামে পরিচিতি ছিল, পুলিশ তাকে আটক করে। পরে, পুলিশের সাথে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সম্পর্কিত খবর: মিন্নির গ্রেফতার নিয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার যা বললেন 'মিন্নির পক্ষে দাঁড়াননি বরগুনার কোন আইনজীবী' ভিডিওতে দেখুন: বরগুনা হত্যাকাণ্ড কি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে? | গণমাধ্যমে কথা বলা বা বক্তব্য না দেয়ার শর্তে বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার অভিযুক্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে জামিনে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার তাপমাত্রা দ্বিগুণ গতিতে বাড়ছে। কিন্তু নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা গড়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে। দেশটির সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এর নানা লক্ষণ ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে সাবধান করে দিচ্ছে এই প্রতিবেদন। দেশটির উত্তরে এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অংশে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে প্রথম দেশটিতে জাতীয় পর্যায়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। এর পর থেকে দেশটির গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৭ সেলসিয়াস। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে তা ২.৩ সেলসিয়াস বেড়েছে। যা ঘটবে এর ফলে বেশ কটি কারণ রয়েছে এর পেছনে। মানুষের কর্মকাণ্ডই এর প্রধান কারণ। সেখানে তুষার ও সামুদ্রিক বরফ কমে যাচ্ছে। যার ফলে সৌর বিকিরণ শোষণ বাড়ছে এবং ভূপৃষ্ঠ আরও গরম হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় হুমকি তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে আবহাওয়া জনিত চরম পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। দাবদাহ বৃদ্ধি পাবে, দাবানল ও খরার হুমকি তৈরি হবে। আরো পড়ুন: লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের যে ৫টি উপায়ে আপনি বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারেন ফ্রিজ-এসিতে ক্ষতিকর উপাদান বন্ধের বৈশ্বিক চুক্তি সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমবে কিন্তু অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আগামী কয়েক দশকের মধ্যে কানাডার সীমান্তবর্তী আর্কটিক সমুদ্রে গ্রীষ্মকালে বরফের পরিমাণ মারাত্মক কম থাকবে। সমুদ্রের পানি বাড়তে থাকবে আর বৃষ্টির সম্ভাবনাও বাড়বে। সাধারণ মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে মত পরিবর্তন হচ্ছে। কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে? দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বছর দুয়েক আগে দেশটির সব অঙ্গরাজ্যগুলোকে হুমকি দিয়েছিলেন যে তাদেরকে এই তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পরিকল্পনায় অংশ নিতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে জ্বালানি তেলের উপর কার্বন নিঃসরণের কর বা কার্বন ট্যাক্স বসানো হবে। কার্বন তৈরি করে এমন খাতের জন্য প্রতি টন কার্বনে ২০ কানাডিয়ান ডলার কর দিতে হবে। যা ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করা হবে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের কমানোর ব্যাপারেও মানুষের মতামত পরিবর্তন হচ্ছে। একটি সময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে ভবিষ্যতের বিষয় বলে মনে করতেন অনেকে। টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ হফম্যান বলছেন, "সাধারণ মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে মত পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ তারা এখন সরাসরি পরিবর্তন অনুভব করতে পারছে। তারা এর মধ্যে জীবনযাপন করছে।" বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারতের স্যাটেলাইট ধ্বংস পরীক্ষা নিয়ে নাসার শঙ্কা 'অটিজমে আক্রান্ত প্রতি ১৭ জনে ১জন মাত্র নারী' ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর ব্যথাহীন মৃত্যুর অধিকার নেই’ | জলবায়ু পরিবর্তন আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রার্থীদের এজেন্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেখানে প্রচারণার মাঠ ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দখলে। পুলিশী হয়রানি এবং গ্রেফতার আতংকে বিএনপি সেভাবে মাঠে নামতে পারেনি। সেই আতংক এখনও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে আছে। এখন ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতির শেষপর্যায়ে এসে বিএনপি কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। তবে আওয়ামী লীগ বরিশালের সব আসনের ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট চূড়ান্ত করে ফেলেছে। বরিশাল থেকে সাংবাদিক শাহিনা আজমিন জানিয়েছেন, গ্রেফতার আতংকের কারণে বিএনপি প্রার্থীরা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য এজেন্টদের একাধিক দল ঠিক করে রেখেছেন। আরো পড়ুন: ৯১ সালের পর এই প্রথম হাসিনার বিপক্ষে নেই খালেদা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে মানুষের মাঝে উদ্বেগ-আতংক জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান যাতে কোন এজেন্ট কেন্দ্রে যেতে না পারলে বিকল্প এজেন্ট দেয়া যায়। বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযোগ করেছে, প্রচারণার সময় অনেক জেলায় সংঘর্ষ বা সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই প্রেক্ষাপটে এবং গ্রেফতারের ভয় থেকে এজেন্ট নিয়োগের জন্য তারা পর্যাপ্ত লোক পাচ্ছে না। দলটির অভিযোগের তালিকায় যে জেলাগুলোর নাম এসেছে, তার মধ্যে নোয়াখালী রয়েছে। তবে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক এবং রিটার্নিং অফিসার তন্ময় দাস বলছিলেন, সেখানে সব আসনে সব প্রার্থীদের পক্ষেই এজেন্টের তালিকা প্রশাসন পেয়েছে। অন্য কোন অভিযোগ তিনি পাননি। ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি জানাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতেও এজেন্ট নিয়োগের ইস্যুটি জায়গা পেয়েছে। তিনি বলেছেন, মামলা না থাকলে কোন প্রার্থীর এজেন্টকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু এজেন্ট নিয়োগের ব্যাপারে প্রার্থীরা কেন এত গুরুত্ব দেয়। ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট কেন প্রয়োজন? এসব প্রশ্নও থাকতে পারে অনেকের। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী একটি বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর শারমিন মুরশিদ বলছিলেন, ভোটকেন্দ্রে একজন এজেন্ট তার প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন, এবং ভোটকেন্দ্রে এজেন্টের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। | বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে জেলাগুলোতে প্রচারণার সময়টাতে ভয়ভীতির পরিবেশ ছিল, এরমধ্যে বরিশাল জেলা অন্যতম। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ২০১৫ সালে বাড়িটিকে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচাইতে দামী বাড়ি বলে আখ্যা দিয়েছে বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে বাড়িটি তিনি কিনেছেন। শেল কোম্পানি হলো একধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা ভবিষ্যতে ব্যতিক্রমী কোনো আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, বিভিন্ন দলিলপত্রে দেখা যাচ্ছে বাড়িটির মালিক একটি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, যা প্রিন্স মোহাম্মদের ব্যক্তিগত ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে। প্রতিবেদনটি নিয়ে সৌদি সরকার কোন মন্তব্য করেনি। সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধান প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তবে ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ওই রিপোর্ট করেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রিন্স মোহাম্মদ সৌদি আরবে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযান পরিচালনা করছেন। এসব অভিযানে আটক কয়েকজন প্রিন্স, মন্ত্রী এবং বিলিয়নিয়ারসহ প্রভাবশালী কয়েক ডজন সৌদি ব্যক্তিত্বকে রিয়াদের পাঁচতারকা হোটেল রিৎজ-কার্লটনে বন্দি রাখা হয়েছে। কেমন সেই বাড়ি? শ্যাঁতু লুই ফোরটিন নামের বাড়িটি ১৭ শতকে ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদের আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রাসাদটির কাছেই বাড়িটি অবস্থিত। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দুর্গ হিসেবে নির্মিত বাড়িটিকে ২০০৯ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়। বাড়িটিতে একটি ওয়াইন সেলার এবং একটি সিনেমা হল রয়েছে। বাড়িটি ঘিরে চারদিক থেকে পরিখা খনন করা রয়েছে। আর পানির নিচে রয়েছে একটি বিশেষ চেম্বার। আরো পড়ুন:রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন সৌদি আরবে কে এই প্রবল ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের পর সৌদি আরবে তোলপাড় ২০১৫ সালে বাড়িটিকে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচাইতে দামী বাড়ি বলে আখ্যা দিয়েছে। বাড়িটিতে থাকা ফোয়ারা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, আলো এবং মিউজিক সিস্টেম স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ২০১৫ সালে প্রিন্স মোহাম্মদ এক রুশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৬০ কোটি ডলার খরচ করে একটি ইয়ট কিনেছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস ওই রিপোর্টে আরো দাবী করা হয়েছে, মাত্র গত মাসে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চিত্রকর্মটির মালিক ছিলেন প্রিন্স মোহাম্মদ। ''স্যালভ্যাতো মুন্ডি (বিশ্বের ত্রাণকর্তা বা সেভিয়র অফ দ্য ওয়ার্ল্ড)" নামে পরিচিত ঐ চিত্রকর্মটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্য ল্যুভর মিউজিয়ামে শোভা পেতে যাচ্ছে। | ফ্রান্সে ৩২ কোটি ডলার মূল্যের বিলাস বহুল একটি বাড়ির রহস্যময় ক্রেতা কে, বিষয়টি এতদিন অজানা ছিল। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে কেনা বাড়িটির মালিক সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.