instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
উত্তর ভারতে মদ-বিরোধী মিছিলে নারীরা অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করার জন্য তাদের করা এক আর্জি বিহারের ১০ কোটি(১০০ মিলিয়ন)মানুষকে প্রভাবিত করেছে। রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই কারণে ইতোমধ্যেই ওই এলাকাটিতে পারিবারিক সহিংসতা, ছোট-খাটো অপরাধ, এবং আয়-রোজগার নষ্ট করার ঘটনাগুলো দীর্ঘ মহামারীর রূপ নিয়েছে। এইধরনের নারী-অধিকার কেন্দ্রিক ক্যাম্পেইনগুলো একশো ত্রিশ কোটি (১.৩ বিলিয়ন) জনসংখ্যার দেশ ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটির রাজনীতিবিদেরা এখন উপলব্ধি করতে পারছেন যে, ক্ষমতা চাইলে তাদের অবশ্যই নারীদের কথা শুনতে হবে। রাজনীতিবিদরা তাই নানা রকম প্রতিশ্রুতির ঝাঁপিও খুলে বসেছেন সাম্প্রতিক আঞ্চলিক নির্বাচনগুলোতে। মেয়েদের বিনা বেতনে শিক্ষা, নববিবাহিত নারীদের জন্য অর্থসাহায্য এবং নারী পুলিশদের সমন্বয়ে বিশেষ থানা ইত্যাদি প্রতিশ্রুতি উচ্চ সমর্থন লাভ করেছে। এর কারণ? ভারতের পুরুষদের আধিপত্যময়, রক্ষণশীল সমাজে নারী ভোটাররা দ্রুত তাদের পায়ের তলায় শক্ত মাটি খুঁজে নিচ্ছে। আরও পড়ুন: বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা নিয়ে আদালত-সরকার লড়াই ভারতে মেয়েদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে প্রতিদিন অতিরিক্ত মদ্যপান করলে কমতে পারে আয়ু রাজস্থানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নারীদের হাতে তাদের পরিচয়পত্র লিঙ্গ সমতার দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে তালিকার একেবারে নিচের দিকের তিনটি দেশের একটি হিসেবে স্থান পাওয়া ভারতকে মেয়েদের ব্যালট বাক্সের কাছে নিয়ে যেতে দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছে । এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। ভোটদান প্রক্রিয়ায় এই লিঙ্গ বৈষম্যের আংশিক কারণ- প্রথমত, এখানকার নারীরা ঐতিহ্যগতভাবে ভোটের জন্য নিবন্ধিত হতে ইচ্ছুক কম। এমনকি যদি তারা নিবন্ধিত হয়ও, ভোট দিতে যাওয়ার জন্য ঘরের কাজ ছেড়ে বাইরে বের হওয়ার বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখা হয় না। এবং ভোট দিতে গিয়ে তারা হয়রানি এবং হুমকির মুখে পড়তে পারে। গত কয়েক দশকে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ভোট প্রদানের হার ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে যার মাধ্যমে সমাজে তাদের প্রান্তিক অবস্থান এবং রাষ্ট্রীয় নীতি তৈরির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ যে কম- সে বিষয়টি প্রতিফলিত হয়। নিজে থেকে এগিয়ে আসার মত নারীর সংখ্যাও কম। লিঙ্গ-ভিত্তিক গর্ভপাত(লিঙ্গ পরীক্ষা করে তারপর গর্ভপাত করানো হয়), নবজাতক কন্যা শিশুকে হত্যা, এবং ছেলে সন্তানের অগ্রাধিকার দেয়ার মনোভাবের ফলাফল হচ্ছে, ভারতে প্রতি ১০০০(এক হাজার) জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা মাত্র ৯৪৩ জন। তবে এতসব ইস্যু থাকা সত্ত্বেও ভোটিং জেন্ডার গ্যাপ সম্প্রতি সঙ্কুচিত হয়ে রেকর্ড সর্বনিম্ন মাত্রায় চলে এসেছে। ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেখানে নারী ভোটারের হার ছিল ৮.৪ %, সেখান থেকে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৮% -এ। ব্যাংক থেকে টাকা তুলছেন একজন মহিলা ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৩০টা আঞ্চলিক নির্বাচনে, দুই-তৃতীয়াংশ রাজ্যে পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটারদের ভোটদানের হার ছিল বেশি। অ্যালকোহলে নিষেধাজ্ঞা যেসব রাজ্যে নারী ভোটারদের উচ্চ হার রয়েছে তার মধ্যে উত্তর ভারতের বিহার অন্যতম। সেখানে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ এবং অপরাধ, সাথে অ্যালকোহল আসক্তি- অনেক পরিবারের আয়-উপার্জন ধ্বংস করার সমস্যা দীর্ঘদিন। ২০১৫ সালের রাজ্য নির্বাচনে নারীদের উপস্থিতি পুরুষদের তুলনায় ৭% ছাড়িয়ে যায় এবং তাদের পরিষ্কার একটি বার্তা ছিল, আর সেটি হল: মদ থেকে পরিত্রাণ দাবি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার তার প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার অনুযায়ী ওই রাজ্যে মদ্যপান ও মদ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ২০১৬ সালের ৫ই এপ্রিল মদ্যপান এবং বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিহারে ১৩ হাজার লোককে গ্রেফতার করা হয়। যদিও সেসময় অনেকেই এর বিপক্ষে থাকলেও রাজ্যের মহিলারা এর পক্ষে ছিলেন, কারণ তাদের মতামত ছিল, মদ্যপান পরিবারের মধ্যে নির্যাতন এবং দারিদ্র্য বাড়ায়। এক কিংবা দুই বছরের মধ্যে সরকার জানায় যে সহিংস অপরাধ ব্যাপকভাবে কমে গেছে, যেখানে গাড়ি এবং ট্রাক্টরের জন্য লোকজনের হাতে টাকা-পয়সা বেড়ে গেছে। তবে বিহারের হাইকোর্ট রাজ্যটিতে মদ বিক্রি ও পানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়। সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট মেধা পাটকারের মত অনেক সামাজিক আন্দোলন কর্মী অন্যান্য রাজ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "নারীর প্রতি সহিংসতার সবচেয়ে বড় কারণ হল মদ"। ভারতজুড়ে নারীদের মধ্যে হঠাৎ করে রাজনৈতিক আন্দোলনের কারণ হিসেবে কাজ করেছে কোন বিষয়? নারীদের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং শিক্ষা আরও অনেক সংখ্যক নারীকে ভোটেকন্দ্রে নিয়ে যেতে পেরেছে। ব্যক্তিগত কারণ এবং সরকারি হস্তক্ষেপ এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। মহিলাদের ওপর সহিংসতার বড় কিছু ঘটনা এখানে নারী ভোটারদের অধিকার এবং নিরাপত্তার লড়াইকে জোরদার করেছে। এ বছরের শুরুর দিকে উত্তর প্রদেশ, জম্মু, কাশ্মীর ও অন্যান্য রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা খবরের শিরোনাম হওয়ার পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়, যখন হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলনটি আলোড়ন তোলে। নারীরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বাধা, সহিংসতা এবং আতঙ্কের মুখোমুখি হয় তা মোকাবেলার জন্য উদ্যোগ নেয় ভারতের নির্বাচন কমিশন। তারা ভোটদানের নয় লাখ বুথের নিরাপত্তার উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া নারী ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ বাড়াতে নির্বাচনের দিন পরীক্ষামূলক-ভাবে কেবলমাত্র নারীদের জন্য আলাদা লাইন করে কমিশন। বিহার সীমান্তে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি মদের দোকানের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছেন একজন নারী ২০১৯ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচনে সম্ভবত প্রথমবারের মত নারী ভোটারদের উপস্থিতি পুরুষ ভোটারদের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর এই ধারাটির নানারকম প্রভাব রয়েছে, কেবল রাজনীতিবিদরা কিভাবে প্রচারণা চালায় সেটিই নয়, কিভাবে তারা দেশ চালায় তার ওপরও নির্ভর করে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নারী ভোটারদের প্রতি তার নানারকম উদ্যোগ নেয়ার তুলে ধরার ইচ্ছা গোপন করেননি। উদাহরণস্বরূপ, তিনি লক্ষ লক্ষ ভারতীয় পরিবারকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের জন্য একটি প্রকল্প চালু করেন। তার দলের দাবি, এর ফলে মহিলাদেরকে রান্নার সময় ক্ষতিকর ধোঁয়ায় নি:শ্বাস নিতে বা জ্বালানী সংগ্রহের সময় ব্যয় করতে হবে না। আরেকটি প্রকল্প হল প্রতি পরিবারের জন্য একটি করে ব্যাংক হিসাব। ভারতে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতার অনেক ঘটনার কারণ হিসেবে মদকেও দায়ি মনে করেন অনেক মানুষ রাজনীতিতে সংসদীয় প্রার্থীর মাত্র আট শতাংশ নারী এবং বিজয়ী মধ্যে কেবল ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। ভারতে নারীর ক্ষমতায়নের পথ ধীর এবং নানা প্রতিবন্ধকতাময়। কর্মক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে ১৩১ দেশের মধ্যে ভারত ১২১ তম অবস্থানে । এর হয়তো পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। নারীদের আন্দোলন রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ তৈরি করছে সংসদে নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত রাখার নিশ্চয়তা দিয়ে, নারী সংরক্ষণ বিল পাশ করার জন্য। স্থানীয় রাজনীতিতে একই ধরনের কোটা ইতোমধ্যে চালু রয়েছে। আরও বেশি করে নারীদের নির্বাচিত করার ফলে দেশটিতে অপ্রত্যাশিত ভাবে সুবিধা এনে দিতে পারে এবং সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, নারী রাজনীতিবিদরা উন্নয়ন কাজে এবং দুর্নীতিতে কম জড়িত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটিতে লিঙ্গ সমতা এখনো অনেক দূরে থাকলেও, সেখানে ব্যালট বাক্সে এবং ক্ষমতার দোরগোড়ায় নারীদের প্রভাব এরইমধ্যে স্পষ্টভাবে ধরা দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে নারী ভোটারদের সারি
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকার অনেক মহিলাই দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন যে, তারা তাদের স্বামীদের মাতলামির কারণে চরম বিরক্ত।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রশ্ন প্রথমেই নাকচ করে দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা এই নির্বাচন বা ফলাফল নিয়ে কোন মন্তব্যও করবে না বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনের পরেই ইউরোপের কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে জেতার জন্য স্বাগত জানায়। আর আজ প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ জার্মানিতে যাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে যে পশ্চিমা দেশগুলো সমালোচনায় করেছিল তারা কেন শেখ হাসিনার সরকারকে স্বাগত জানিয়ে তাদের আস্থা প্রকাশ করছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রোকসানা কিবরিয়া বলছিলেন, একটি নির্বাচিত সরকারের সাথে যদি বৃহৎ শক্তির নীতির কোন বিঘ্ন না ঘটে সেক্ষেত্রে সেই দেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা তারা দেখবে না। আরো পড়ুন: ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড: ভারত ও চীনকে কিভাবে সামলাবেন হাসিনা ক্ষমতার এ দফায় কী চাইছেন শেখ হাসিনা পশ্চিমা দেশের মোলায়েম প্রতিক্রিয়ায় আশাহত বিরোধীদল নির্বাচনের ফলকে কীভাবে দেখছেন ভারতীয় গবেষকরা? নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো "নির্বাচনের আগে কী বলেছে, নির্বাচনে কী হয়েছে - সেটা তাদের জন্য বড় কথা না। তাদের কথা হল নির্বাচনের পরে সরকার কী ধরণের পলিসি (নীতি) নেয় সেটা।" মিজ. কিবরিয়া বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব দেখবে সেই নীতিগুলো তাদের স্বার্থের পক্ষে আসছে নাকি বিপক্ষে আসছে। "পক্ষে থাকলে তারা অনেক কিছুই তারা দেখবে না। সেটা নিয়ে তারা ততটা ইস্যু করবে না। আন্তর্জাতিক রাজনীতির এটাই ট্রেন্ড।" এদিকে গত ১১ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। কমিটির সদস্যরা একটি চিঠিতে গত বছরের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগগুলোকে কংগ্রেসের সদস্যরা 'গণতন্ত্রের জন্য হুমকি' বলেও অভিহিত করেছেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস বলছিলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বড় বিষয় প্রত্যেকটা দেশ নিজের স্বার্থটা দেখে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং স্থিতিশীল থাকলে তারাও অংশীদার হবে। "পশ্চিমা দেশ বলেন বা অন্য যে দেশ বলেন তারা আশা করছে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আসুক, সেখানে কোন সন্ত্রাসবাদের স্থান থাকবে না। সেটা আমাদের প্রতিবেশী দেশরাও আশা করছে, পশ্চিমারাও।" কারণ এখানে যদি অশান্তি হয় সেটা স্ফুলিঙ্গের মত অন্য জায়গায় উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। "সুতরাং শান্তি বজায় রেখে প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো এবং প্রগ্রেস যেটা বলে আন্তর্জাতিকভাবে সেই পথে যদি বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে তাহলে পশ্চিমা দেশ এবং অন্য দেশের স্বার্থ পূরণ হবে," এমনটা ই মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। "তাই তাদের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য এবং এই সরকারকে তারা এভাবেই গ্রহণ করেছে।" নির্বাচনের আগে বিরোধীদের সাথে রাজনৈতিক সংলাপ করে সরকার। দেশীয় কয়েকটি পর্যবেক্ষণ সংস্থায় আর্থিক সহায়তা করলেও সরকারি পর্যবেক্ষক পাঠায়নি যুক্তরাজ্য, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক। নির্বাচন নিয়ে যেমন প্রশ্ন তোলে তেমনি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কিছু দেশ এবং পশ্চিমা সংস্থা। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে নির্বাচনকে ঘিরে এসব অভিযোগকে দু:খজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। নানা অভিযোগ নির্বাচনকে কলুষিত করেছে বলে মন্তব্য করেছিল ইয়োরোপীয় ইউনিয়ন। অনিয়মের অভিযোগের বিষয় সব পক্ষকে একসাথে কাজ করতে বলছিল যুক্তরাষ্ট্র। আবার একই সাথে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে তারা। এ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলছিলেন, বাংলাদেশের নানা দিকে ইতিবাচক যে বিবর্তন হয়েছে সেটা দীর্ঘমেয়াদে আঞ্চলিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করছেন। "প্রশ্ন যেটা আছে সেটা তারা রাখছে একটা ট্র্যাকে। কিন্তু পাশাপাশি এই যে বাংলাদেশের ইতিবাচক বিবর্তন সেটাকে তারা মনে করে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তন যেমন বাংলাদেশের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমন আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।" মি. কবির বলেন, "সেটাকে তারা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করে। আমি মনে করি তারা মনে এই জায়গাটাতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করা প্রয়োজন, এবং সেই জায়গায় তারা সকলেই কাজ করতে আগ্রহী।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেবার আহ্বান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে বাংলাদেশের নির্বাচন অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যেভাবে বিবিসির চোখে পড়লো ভোটের আগেই পূর্ণ ব্যালটবক্স গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ: ইকোনমিস্ট
বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরে পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ এবং সংস্থা নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং ফলাফল নিয়ে সমালোচনা করেছিল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
তাদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, ভালয় ভালয় দেশে ফিরতে পারলেই তারা বেঁচে যান। গত শনিবার রাতে দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোর থেকে ট্রেনে করে নিয়ে আসা কথিত বাংলাদেশীদের এমনই একটি দলকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও মানবাধিকার কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের সাময়িক আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে এর আগেই বেশ কয়েক দফা 'পুশব্যাক' করা হয়ে গেছে বলে তারা জানাচ্ছেন - আর ভারতের সরকার, পুলিশ বা সীমান্ত-রক্ষী বাহিনী গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। বস্তুত গত সপ্তাহেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন-রাতের টেস্ট উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। অভিযোগ উঠছে, ঠিক সে সময় নাগাদই শহরের অন্য প্রান্তে কথিত বাংলাদেশীদের নিয়ে এসে বিএসএফের মারফত তাদের সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া স্টেশনে মানবাধিকার কর্মীদের বিক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআরের সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ সেনগুপ্তর কথায়, "ঘটনাটা যা ঘটেছে তা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে বলেই আমরা রিপোর্ট পেয়েছি।" তিনি বলেন, "এই কথিত বাংলাদেশীদের এনে রাতের বেলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে তুলে দিলে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।" "পরদিন সকালে বিএসএফের হাতে এদের হস্তান্তর করার পর ৩২ জনের একটা দলকে এরা সীমান্ত পার করিয়ে দেয় বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে।" "আরও জেনেছি, বাংলাদেশে ঢোকার পর ভারত থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী বলে এদের নাকি সেখানেও জেলে পোরা হয়েছে", বলছিলেন ধীরাজ সেনগুপ্ত। এই কথিত বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় দলটি শনিবার বিকেলে কলকাতার কাছেই হাওড়া রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। ট্রেনের আসনে কয়েকজন কথিত বাংলাদেশি। তাদেরকে হাওড়া স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। আরো পড়তে পারেন: আসামে নাগরিকত্ব হারানোদের সামনে জটিল দীর্ঘ পথ 'অবৈধ বাংলাদেশিদের' ওয়ার্ক পারমিটের প্রস্তাব রোহিঙ্গা মুসলিমদের বার্মায় 'পুশব্যাক' করছে বিজিবি ভারতের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কেন বাংলাদেশে ঢুকছে এদেরকে যাতে কিছুতেই বিএসএফের হাতে তুলে না-দেওয়া হয় সেই দাবিতে মানবাধিকার কর্মীরা স্টেশনে আগে থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন - আর সেখানে ছিলেন বিজ্ঞানী ও অ্যাক্টিভিস্ট নিশা বিশ্বাস। নিশা বিশ্বাস বিবিসিকে বলেছেন, "ব্যাঙ্গালোর থেকে একটা বিশেষ ট্রেনের দুটো কামরা রিজার্ভ করে ষাট জনের মতো কথিত বাংলাদেশীদের হাওড়াতে নিয়ে আসা হয়।" তিনি বলেন, "যতজন লোক ছিল দলটায়, প্রায় ততজনই পুলিশ ছিল সঙ্গে। আর উর্দিতে নন, তারা সবাই ছিলেন সাদা পোশাকে।" "ট্রেনের সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পর এই দলটাকে এক লাইন করে হাঁটিয়ে নিচে নামানো হয়। প্ল্যাটফর্মের পাশে দুটো পুলিশ ভ্যানও দাঁড়িয়ে ছিল, জানি না ওদের নিয়ে যেতেই সেগুলো এসেছিল কিনা!" "তবে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম বলে তাদের ভ্যানে তোলার চেষ্টা করা হয়নি। পুরো দলটাকে এক কোনায় মাথাগুনতি করে বসিয়ে রাখা হয়।" ট্রেনের কামরার ভেতর কথিত বাংলাদেশীরা "ট্রেন এসেছে বিকেল চারটেয়, আর রাত দশটা-সাড়ে দশটা অবধি ওদের ওই কোনাতেই ঠায় বসিয়ে রাখা হয়।" "আমরাও ততক্ষণ ওখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে দুটো পুলিশ ভ্যানে করে ছেলে আর মেয়েদের আলাদা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই খবর পেয়েছি," জানাচ্ছেন নিশা বিশ্বাস। ব্যাঙ্গালোর থেকে হাওড়া পর্যন্ত তাদের ওই ট্রেন-যাত্রায় এই কথিত বাংলাদেশীদের ফলো করেছেন 'দ্য ফেডারেল' নামের একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদক সুদীপ্ত মণ্ডল। মাঝপথে তিনি তাদের কয়েকজনের সঙ্গে ট্রেনের জানালা দিয়ে কথাও বলতে পেরেছেন। তারা কেউ বলেছেন, "আল্লাহর দয়ায় এখন ভালয় ভালয় দেশে ফিরতে পারলেই বাঁচি।" কেউ আবার জানিয়েছেন, "আমার ভাইয়ের নাম সাইফুল, ব্যাঙ্গালোরের সেন্ট্রাল জেলে আটক আছে - দেখুন না ওকে ছাড়ানো যায় কি না!" সুদীপ্ত মণ্ডল নিজেও বিবিসিকে বলেছেন, মাঝপথে এই নারী-পুরুষদের কোথাও নামিয়ে দেওয়া হবে এই জল্পনাও ছিল প্রবল। ব্যাঙ্গালোর থেকে কথিত বাংলাদেশীদের নিয়ে ট্রেনটি যখন যাত্রা শুরু করছে তার কথায়, "একজন মহিলা ও একজন পুরুষ সাব-ইনস্পেক্টর, এই দুজন জুনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এই গোটা দলটার তদারকি করছিলেন। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছে এই বাংলাদেশীদের নিয়ে কী করা হবে, তাদেরকে বারবার সে প্রশ্ন করেও কোনও জবাব পাইনি।" তিনি বলেন, "আর ট্রেন বাংলায় ঢোকার আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়, সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে এদের মাঝের কোনও স্টেশনে নামিয়ে নিয়ে সরাসরি বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেরকম কিছু হচ্ছে কিনা, সেটা দেখতে প্রতিটা স্টেশনে নেমেই আমি ওদের কামরার দিকে দৌড়ে যাচ্ছিলাম।" মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার সাবেক কর্মকর্তা, বর্তমানে সাংবাদিক অরিজিৎ সেন আবার মনে করছেন, এখানে ভারতের সবচেয়ে বড় অন্যায়টা হল বিদেশি নাগরিকদের ডিপোর্টেশনের যেটা স্বীকৃত পদ্ধতি, সেটার কোনও পরোয়াই করা হচ্ছে না। অরিজিৎ সেন বিবিসিকে বলছিলেন, "১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুসারে, এরা যদি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হয়েও থাকে তাহলে আদালতে পেশ করে তারা যে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছে সেটা আগে প্রমাণ করা দরকার।" "তারপর কনস্যুলার অ্যাকসেসের প্রশ্ন আসে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এদের ডিপোর্ট করার ব্যবস্থা করতে হয়।" "এটা একটা দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি, আর এটা করা হলে তবেই কাউকে ডিপোর্ট করা যায়। কিন্তু এরা তো সেই পদ্ধতির ধারে-কাছেও যাচ্ছে না, বরং মনে হচ্ছে এরা যেন একটা ক্লিনিং অপারেশনের মতো কিছু করছে।" "ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে যেখানে ভারত-বাংলাদেশ নিবিড় সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে, অথচ তার পাশাপাশি এখানে যে ন্যূনতম মানবাধিকারটুকু নিশ্চিত করা দরকার ছিল সেটা কিন্তু আদৌ হচ্ছে না," বলছিলেন অরিজিৎ সেন। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের পুলিশ, সরকারি এজেন্সি ও বিএসএফের মধ্যে সমন্বয় ছাড়া এধরনের অপারেশন চালানো সম্ভব নয়। কিন্তু এই সব সংস্থার সঙ্গে দিনভর নানাভাবে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কেউই এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। আরো পড়তে পারেন: চীনে মুসলিমদের বন্দী করে মগজ ধোলাই এর দলিল ফাঁস হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের বিজয়ের অর্থ কী? পাচার নিয়ে লেখা অধ্যাপকের বিরুদ্ধেই পাচারের অভিযোগ
ভারতের নানা প্রান্ত থেকে অবৈধ বাংলাদেশী সন্দেহে আটক নারী-পুরুষদের দলে দলে কলকাতায় নিয়ে এসে গোপনে ও জোর করে সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
এর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে লে-অফ বা সাময়িক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। যদিও সরকার এর আগে কর্মীদের বেতন না কাটা এবং কর্মী ছাটাই না করার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে সরকারকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। পোশাক কারখানায় লে-অফ গত ১৪ বছর ধরে একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় মার্চেন্ডাইজ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন মোহাম্মদ শাফায়েত হোসেন। এটি তার আসল নাম নয়, ছদ্ম নাম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে একদিন প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ এবং মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ডেকে বৈঠক করে কারখানার মালিক জানিয়ে দেন, তিনি কোম্পানি লে-অফ করছেন। কোন কর্মীকে ছাটাই এর ঘোষণা দেয়া হয়নি। শ্রমিকসহ সব কর্মীকে মার্চ মাসের অর্ধেক বেতন দেয়া হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? মালিক জানিয়েছেন, সময় ভালো হলে তিনি আবার কারখানা চালু করবেন, তখন সবাইকে চিঠি দিয়ে ডাকা হবে। এরপর হঠাৎ করে কার্যত বেকার হয়ে পড়েছেন মি. হোসেনসহ প্রায় ১৪০০ কর্মী। "আপনি ভাবুন অবস্থাটা, আমি সংসারের প্রধান উপার্জনকারী মানুষ। বাসা ভাড়া আছে, সংসার খরচ আছে, অসুস্থ মায়ের নিয়মিত চিকিৎসার খরচ চালাতে হয় আমাকে। সেই সঙ্গে আমার ব্যাংক লোন আছে, তার কিস্তি দিতে হয়। আমি জানি না এখন কিভাবে কী করবো!" মি. হোসেনের এই পোশাক কারখানাটি ডেনমার্কসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে পোশাক রপ্তানি করত। শুধু লে-অফ নয় পোশাক কারখানাসহ সেবা খাতের কিছু প্রতিষ্ঠানে এখন কর্মীদের বিশেষ করে প্রবীণ কর্মীদের ফোর্সড লিভ বা অবৈতনিক বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারখানার গেটে ঝোলানো নোটিস গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার দাবি করেছেন সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়া এবং ময়মসসিংহে প্রায় শতাধিক কারখানায় লে-অফ করে দেয়া হয়েছে। কমে গেছে বেতন ঢাকার একটি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেন সাবিহা সুলতানা, এটিও তার আসল নাম নয়। কর্মস্থলে হয়রানির শঙ্কায় নিজের নামটি গোপন রাখতে চান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই তাদের প্রতিষ্ঠানসহ পর্যটন খাতে ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং, এবং ভিসা প্রসেসিং এর চাহিদা মারাত্মক হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু কিছু এজেন্সি কাজ স্থগিত রেখেছে। কিন্তু মিজ সুলতানার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসার পরিস্থিতি কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানিয়েছে, এপ্রিল মাস থেকে কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেয়া হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ পর্যায়ের কর্মীদের বেতন ২০ শতাংশ কমে যাচ্ছে, আর ম্যানেজার এবং সিনিয়র ম্যানেজারদের বেতন ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হবে। এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন বলছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মীরা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হবে তবে ওই কোম্পানিতে কর্মরত সাপোর্ট স্টাফদের বেতন কমানো হচ্ছে না। চাকরি আছে, কিন্তু বেতন বন্ধ ঢাকার একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন লাচিন সাংমা। সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিন থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত তাদের পার্লারটি বন্ধ। মার্চ মাসের ২৫ তারিখে ঐ মাসের অর্ধেক বেতন দেয়া হয়েছে তাদের। তবে পার্লার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যতদিন পার্লার বন্ধ থাকবে ততদিন কর্মীদের বেতন দেয়া যাবে না। লাচিনের মত হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন তার পার্লারের আরো ৪৫ জন কর্মী। লাচিনের টাকায় ঢাকায় তিনি ও তার বোন এবং নেত্রকোনায় তার মা-বাবার সংসার চলে। এদিকে, লাচিন যে পার্লারে কাজ করেন, তার মালিক হুমায়রা সুলতানা স্বীকার করেছেন মার্চ মাসে কর্মীদের অর্ধেক বেতন দেয়া হয়েছে। কিন্তু মিজ সাংমা তার প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করতে চাননি। আরো পড়তে পারেন: মসজিদে জমায়েতের প্রতিবাদ করে প্রাণ হারালেন যুবক করোনাভাইরাস: আক্রান্তের পরিচয় কী প্রকাশ করা উচিৎ? বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একটি শিশুর মৃত্যু বিশ্বের তেল উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে কমানো হচ্ছে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "পার্লার বন্ধ থাকলে তো ইনকাম বন্ধ, বেতন দেব কোথা থেকে বলেন? কর্মীদের বেতন ছাড়াই আমার এই প্রতিষ্ঠানের পেছনে মাসে ফ্ল্যাটের ভাড়া, বিদ্যুৎ ও পানির বিল, গার্ডের বিল সব মিলে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ওপরে খরচ আছে। সেটা জোগাড় করতেই হিমসিম খাচ্ছি আমি।" তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কেবল কর্মীরাই নয়, তার মত ছোট উদ্যোক্তাদেরও খুবই আশংকার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। "কবে আবার পার্লার চালু করতে পারবো কেউ জানে না। আবার কর্মীদের যারা ফিরে আসবে তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি কী থাকে, ক্লায়েন্টরা তাদের কাছ থেকে সেবা নিতে স্বস্তি পাবে কিনা---এসব নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে আমারো।" নিয়োগদাতারা কী বলছেন? বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণ বন্ধে সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদও। সর্বশেষ ১৪ই এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেছেন, এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পোশাক খাতের বাইরে বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন এমন প্রায় ৫ কোটি মানুষের ওপর। তবে, সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন বাংলাদেশের প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ যারা দৈনিক হিসেবে মজুরি পান। তবে তিনি বলেছেন, পুরো পরিস্থিতি বোঝার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। "কারণ এমন পরিস্থিতিতে আমরা আগে কখনো পড়ি নাই, যে কারণে খাত ধরে হিসাব তৈরি এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্যও সময় দরকার।" অর্থনৈতিক প্রভাব বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এখন বাংলাদেশে জন্য অর্থনৈতিক ঝুঁকিতেও পরিণত হয়েছে। "একদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং আরেকদিকে লকডাউনের ফলে কলকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে যারা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন এমন অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতির কারণে দারিদ্র সীমার ঠিক ওপরে যারা আছেন, অর্থাৎ নিম্ন মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী, তারাও দারিদ্রসীমার মধ্যে পড়ে যাবেন বর্তমান অবস্থার কারণে।" তিনি আশংকা করছেন এর ফলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে। সিপিডির গবেষণা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ পরিবার ভঙ্গুর জনগোষ্ঠীর মধ্যে পড়বেন এবং তাদের সরাসরি সরকারের অর্থ-সহায়তার প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে কার্যত লকডাউন চলাকালেই কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন কাটছে কিংবা অর্ধেক বেতন দিচ্ছে, এমনকি বেতন দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
পাকিস্তানে অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয় ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াজিরিস্তানের দুর্গম এক এলাকায়।। পরিবারের দুই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে পরিবারেরই এক সদস্য। পাকিস্তানের পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ওয়াজিরিস্তানের একটি দুর্গম এলাকায় এক লোকের সাথে দুই কিশোরীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে। পাকিস্তানের পুলিশের বরাত দিয়ে শীর্ষ এক দৈনিক ডনে খবর আসে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার সীমান্তবর্তী এক গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যা করা হয় ঐ কিশোরীদ্বয়কে। একজনের বয়স ছিল ১৬ এবং আরেকজনের ১৮। ডন পত্রিকার হাতে ভিডিওটি এসেছে এবং তারা বলছে ভিডিওতে দেখা গেছে এক যুবক ভিডিওটি ধারণ করছিলেন, যেখানে তিনটি মেয়ে উপস্থিত ছিলো এবং জায়গাটি ছিল নির্জন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অন্তত এক বছর আগের ভিডিও এটি, সম্প্রতি এটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের একজন পুলিশ অফিসার বলেন, "এখন আমাদের দায়িত্ব তৃতীয় মেয়েটি ও যুবকের প্রান বাঁচানো।" পাকিস্তানে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, দেশটিতে নারী ও মেয়েদের ওপর সহিংসতা একটা ভয়াবহ সমস্যা। প্রতি বছর এক হাজারের বেশি অনার কিলিং হয় দেশটিতে। অনার কিলিং নিয়ে আরো খবর: পাকিস্তানে কান্দিল বালোচের হত্যাকারী ভাইয়ের সাজা ভিন্ন বর্ণে বিয়ে: মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলো বাবা পাকিস্তানে 'অনার কিলিং'এর অভিযোগে ৩ জনের যাবজ্জীবন
পাকিস্তানে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে হয়েছে অনার কিলিং, মেরে ফেলা হয়েছে দুই কিশোরীকে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বগা লেকের পানি ঘোলা হওয়ার আগের ও পরের চিত্র। ঘোলা হওয়ার পর পানির রঙ অনেকটা হলুদ হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, হ্রদটির পানি ঘোলাটে আকার ধারণ করেছে। অথচ হ্রদটির নীল রঙের পানির সঙ্গেই পরিচিত পর্যটকেরা। স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনাটি প্রচার পাওয়ার পর বদলে যাওয়া বগা লেক দেখতে পর্যটকের আনোগোনা বেড়ে গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিস্তর আলোচনা এবং স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা ধরণের মিথ ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বান্দরবানের সাংবাদিক মনু ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলছেন, প্রতিবছরই এ সময় অর্থাৎ শীতকালে জানুয়ারি মাসের দিকে লেকের পানি আপনা-আপনি ঘোলা হতে থাকে। "৩-৪ বছর পর পর পানি ঘোলা হতে হতে প্রায় হলুদ হয়ে যায়। এবারও তেমনটিই ঘটেছে।" পানির এই ঘোলাটে ভাব মাসখানেক স্থায়ী হবার পর তা আবার ধীরে ধীরে ধূসর এবং পরে স্বচ্ছ নীল রঙ ধারণ করে বলেও জানান তিনি। মিস্টার ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, যে বছর পানি বেশি ঘোলা হয় সে বছর জুম চাষে ফলন বেশি হয়। রুমা এলাকার বাসিন্দা ও টুরিস্ট গাইড মো. আলমগীর রুমা অবশ্য বলছেন, প্রতি বছরই বগা লেকের পানি এই সময়ে ঘোলা হয়। আর এটি ১৫-২০ দিন স্থায়ী হয়। চলতি বছরে সপ্তাহ খানেক আগে পানি ঘোলা হওয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘোলা হয় বগা লেকের পানি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিস নাহিদ সুলতানা বলেন, ওই এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বা জলবায়ুর কারণেই লেকটির পানির রঙ পরিবর্তিত হতে পারে। তিনি বলেন, বগা লেক যেহেতু ভূ-পৃষ্ঠ থেকে কিছুটা উপরে পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এবং এটি একটি প্রাকৃতিক হ্রদ তাই এর পানির বৈশিষ্ট্যও আলাদা। "আর পানির রঙ যেহেতু বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে পরিবর্তিত হয় তার মানে হলো সেখানকার পানির কেমিস্ট্রি অর্থাৎ পানিতে থাকা নানা ধরণের উপাদান ওই সময়ে পরিবর্তিত হয়ে যায়," তিনি বলেন। তবে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বগা লেকের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যদি বর্ষাকালে লেকের পানি ঘোলা হতো তাহলে তার একটা ব্যাখ্যা থাকতো যে, বৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে কাদামাটি এসে পানিকে ঘোলা করে। কিন্তু শীতকালে পানি ঘোলা হওয়ার ক্ষেত্রে এই ব্যাখ্যা খাটে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বছরের অন্য সময়ে স্বাভাবিক-ই থাকে বগা লেকের পানির রঙ অধ্যাপক ইসলামের মতে, শীতকালে বগা লেকের পানি ঘোলা হওয়ার দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, বগা লেকের পানিতে যে সমস্ত অ্যালগি বা ক্ষুদ্রাণু-ক্ষুদ্র প্রাণী ও উদ্ভিদ আছে সেগুলো হয় বছরের এ সময় এসে মারা যায় কিংবা তাদের গায়ের রঙ পরিবর্তিত হয়। "আর এটি হয়ে থাকে বাইরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে," তিনি বলেন। তবে তিনি মনে করেন, এসব ক্ষুদ্র প্রাণী ও উদ্ভিদ মারা গেলে সেগুলো পঁচে কাদায় পরিণত হবে যার কারণে পানি ঘোলা হবে। "আর তা না হলে যদি এগুলোর গায়ের রঙ বদলায় তাহলেও পানির ভিজিবিলিটি নষ্ট হয়ে যাবে।" তিনি বলেন যে, পানিতে যদি গন্ধ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে ক্ষুদ্র প্রাণী ও উদ্ভিদ মারা যাওয়ার কারণে এটি হয়েছে। বগা লেক কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল? বগা লেক তৈরি নিয়ে নানা ধরণের মিথ প্রচলিত আছে। এক সময় মনে করা হত, আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে বগা লেক তৈরি হয়েছে। বগালেকের পানি ঘোলা হতে শুরু করেছে। কিন্তু অধ্যাপক ইসলাম এমন ধারণা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, "এ অঞ্চলে কোন অগ্ন্যুৎপাতের উল্লেখ নাই"। তার মতে, ৫০০ থেকে এক হাজার বছর আগে ওই এলাকায় বড় ধরণের ভূমিকম্প এবং বৃষ্টিপাত এক সাথে হয়েছিল। আর এ কারণেই পাহাড় থেকে বড় ধরণের ভূমিধ্বস হয়। "পরে ওই ভূমিধ্বসের কারণে পাহাড়ের খাত বা উপত্যকার মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে পানি জমতে থাকে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় বগা লেক।"
বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য বান্দরবানের বগা লেকের পানির রঙ হঠাৎ বদলে যাওয়ায় ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ঢাকায় সম্পাদকদের মানববন্ধন তারা সংসদের আগামী অধিবেশনেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। কর্মসূচিতে সাত দফা দাবি ঘোষণা করে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, "আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি সংশোধন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা হোক"। সম্পাদক পরিষদের সাত দফার কয়েকটি হলো--ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নয়টি ধারা সংশোধন, কোন সংবাদমাধ্যমের কম্পিউটার ব্যবস্থা জব্দ করার ক্ষেত্রে আদালতের আগাম আদেশ নেয়ার বিধান চালু করা, তথ্য অধিকার আইনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়া। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন কর্মসুচিস্থল থেকে বিবিসির কাদির কল্লোল জানাচ্ছেন, কর্মসূচিতে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৭ জন এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এর আগে আজকের এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মাহফুজ আনাম বলেছেন, "সংসদে এখনো আইনটি সংশোধনের সুযোগ আছে এবং তারা সরকারকে সেটিই বোঝানোর চেষ্টা করছেন"। এর আগে সম্পাদক পরিষদ ২৯শে সেপ্টেম্বর একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলো। পরে তথ্যমন্ত্রীর আলোচনার আহবানে সাড়া দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করে তারা ত্রিশে সেপ্টেম্বর সরকারের তিন মন্ত্রী ও একজন উপদেষ্টার সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলো। আরো পড়তে পারেন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা ডিজিটাল আইনের যে তথ্যগুলো জানা থাকা দরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রচারণায় সাংবাদিকদের গুরুত্ব কেন? ‘মিথ্যা তথ্য না দিলে সাংবাদিকদের উদ্বেগের কিছু নাই’ আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা বাতিল হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নতুন রূপে তা ফিরে আসছে বলে অভিযোগ গণমাধ্যমকর্মীদের ওই বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা যে নয়টি ধারা নিয়ে আপত্তি করেছে সেগুলো মন্ত্রীসভায় তোলা হবে এবং সেখানে আলোচনার পর তারা আবারো সম্পাদক পরিষদের সাথে আলোচনা করবেন। কিন্তু ওই বৈঠকের পর সরকার সংসদে পাশ হওয়া আইনটিই স্বাক্ষরের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করেন এবং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর আইনটি কার্যকর হয়ে যায়। এ প্রেক্ষাপটে নতুন করে আজকের মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে সম্পাদক পরিষদ। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মাহফুজ আনাম বলছেন, তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে আলোচনায় গিয়েছিলেন আন্তরিকতা প্রকাশ করতে কারণ তারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাব যেন একটা সুষ্ঠু আইনের দিকে যাওয়া সম্ভব হয়। তিনি বলেন, "সরকার যদি আলোচনার প্রস্তাব দেয় আমরা কেন সেটি গ্রহণ করবো না। সেভাবেই গিয়েছি এবং উনাদের এতো সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ছিলো। কিন্তু সেই আশায় আমাদের নিরাশ হতে হয়েছে"। এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ও দি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ডেইলি স্টার সম্পাদক বলেন, তারা মনে করেন আইনটি সংশোধনের সুযোগ আছে। কারণ সংসদ এখনো বহাল আছে ও সামনে একটি অধিবেশন আছে। "আমরা মনে করি সরকারের সদিচ্ছা থাকলে, তারা যদি সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করতে না চান তাহলে যৌক্তিকতা দেখেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন এবং গ্রহণযোগ্য একটা আইন আসবে"। তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে কিন্তু সাংবাদিকের স্বাধীনতা হরণ করা ও বাক স্বাধীনতা হরণ করা দেশের ভবিষ্যত ও গণতন্ত্রের জন্য ভালো হবে না। এতে করে সংবিধানে যে অধিকার দেয়া আছে তারও লঙ্ঘন হবে। মাহফুজ আনাম বলেন, "আইন হবার পরেও আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া আছে। সেজন্য আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। একটা সুযোগ আছে এখনো সেদিকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বলতে পারেন এটি সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা"। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ: কতটা বিবেচনায় নিয়েছে সরকার?
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ট্রাম্প পরিবার হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করছেন। জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর মি: ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে থাকা শুরু করলেও ছেলের পড়ালেখার কথা ভেবে সেখানে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। কারণ নিউইয়র্কে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারের কাছেই ছিল ব্যারনের স্কুল। তবে তখন মেলানিয়া বলেছিলেন সেমিস্টার শেষ হলে ছেলেসহ হোয়াইট হাউজে যাবেন তিনি। মেলানিয়ার এমন সিদ্ধান্ত তখন বেশ আলোড়ন তুলেছিল। অনেকের কাছে বিষয়টা অবাক করার মতোই ছিল। মেলানিয়া ট্রাম্পই প্রথম ফার্স্টলেডি যিনি দ্রুত হোয়াইট হাউজে স্থানান্তর হননি। এমনকি সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা ওয়াশিংটনে দ্রুত চলে এসেছিলেন তাঁর মেয়েদের নতুন স্কুলে ভর্তি করানোর কথা ভেবে। তবে পাঁচ মাস পর হোয়াইট হাউজে এসে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া যে যথেষ্ট আনন্দিত সেটি টুইটারে তাঁর পোস্ট প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ঘর থেকে তোলা হোয়াইট হাউজের বাগানের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তবে মেলানিয়া ও তাঁর ছেলে ব্যারনের হোয়াইট হাউজে স্থানান্তরের কারণে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা খুশি হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ট্রাম্প টাওয়ারে ফার্স্টলেডি ও তাঁর ছেলের অবস্থানের কারণে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এবং তাদের এই উপস্থিতি ট্রাফিক সমস্যাও তৈরি করেছিল। মেলানিয়া ট্রাম্পের টুইট
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় পাঁচ মাস পর হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা হলেন মেলানিয়া ট্রাম্প ও তাঁর ছেলে ব্যারন ট্রাম্প।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর গ্রামে ঘুরেন। অনেকে এই চাকরি দেবার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার অনেকে এর সমালোচনা করেছেন। যেমন পাভেল শেখ নামে একজনের মন্তব্য "বাহ্ ,কয়েক মিনিট ভ্যান চালিয়েই বিমান বাহিনীতে !! আমাদের দেশে এমন হাজার পিতা আছে যাদের ভ্যানের প্যাডেল ঘোরা পরিশ্রমে তাদের ছেলেমেয়েরা অনার্স মাষ্টার্স পাশ করে বেকার বসে আছে ।। যাদের একদিন প্যাডেল না ঘুরলে তাদের ছেলেমেয়েরা না খেয়ে পড়া লেখা করতো। আর এই ভ্যানওয়ালা কয়েকটি মিনিট ভ্যান চালিয়ে বিমানবাহিনীর মত চাকরি পায়। আমি ঐ ভ্যানচালকের চাকরির বিরোধিতা করছিনা ,আমি বিরোধিতা করছি এই প্রক্রিয়ার"। মেহেদি হাসান লোভন নামে একজনের মন্তব্য "একটি ভ্যান এর আত্মকাহিনী ... বিদ্র: বিমান এবং ভ্যান উভয়ই ত্রিচক্রযান"। তবে এমন উদ্যোগের সমালোচনার বিপক্ষে নুর আলম সিদ্দিকী নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন "একটা ছেলে পিওনের চাকরি পেয়েছে জেনে লোকজনের আচরণ দেখে অবাক না হয়ে বিরক্ত হচ্ছি"। "অপরের ভালো সহ্য করতে শিখুন" মন্তব্য আলম সুজনের। তবে ভ্যানচালকের চাকরির খবরের সাথে তার ভ্যানটিকে জাদুঘরে রাখার খবরও প্রকাশ হয়েছে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে। এ খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ভ্যানচালক ইমাম শেখ ও তার মামা আব্দুল কাইয়ুম শেখ বিবিসি বাংলাকে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই 'ভ্যান' নিয়েও চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে একে ক্ষমতার অত্যাধিক প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করছেন, আর অনেকের ভাষায় এটি একধরনের 'তেলবাজি' ঘটনা। যেমন মাহমুদুল হাসান লিখেছেন "আমপাবলিকের হাতে রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক কোন ক্ষমতা না থাকলেও একটা ক্ষমতা থাকে, সেটা হলো ভালবাসার ক্ষমতা। ভ্যানে চড়ে শেখ হাসিনা মানুষের যতটুকু ভালবাসা অর্জন করেছিলেন, ভ্যানওয়ালাকে বিমান বাহিনীতে চাকরি দেয়া এবং ভ্যানকে জাদুঘরে রাখার খবরে তার চেয়ে বেশি খোয়া দিলেন"। অন্যদিকে শরিফুল হাসানের মন্তব্য "প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার ভ্যা‌নে চলার ছ‌বি আম‌া‌কে মুগ্ধ ক‌রে‌ছে। তাই ব‌লে কি ওই ভ্যান জাদুঘ‌রে পাঠা‌তে হ‌বে?" ফেসবুকে কয়েকজনের মন্তব্য "আমার নিজের ধারণা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওই ভ্যানচালককে চাকুরি পর্যন্তই বলেছিলেন। ভ্যান জাদুঘ‌রে পাঠা‌তে ব‌লেন‌নি। যা‌দের উর্বর ম‌স্তিষ্ক থে‌কে এই ভাবনা এসে‌ছে কিংবা যারা আগ বাড়িয়ে ভ্যানটাকে জাদুঘরে নেওয়ার ঘোষণা করছে তারা তেলবাজ। এদের কারণে ভালো কাজগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ হয়"। ভ্যানচালক ইমাম শেখের কথা গত ২৭শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জে যান এবং একটি রিকশাভ্যানে চড়ে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ি ঘুরে দেখেন। ভ্যানে চড়ার সেই ছবি প্রকাশের পর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই শেয়ার করেন। তবে এ ঘটনার দু'দিন পরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় যে ভ্যানচালকের চাকরি হচ্ছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে। যে ইমাম শেখের ভ্যান ও চাকরি নিয়ে বিতর্ক চলছে, তিনি আজ যশোর থেকে তাঁর নিজের গ্রামে ফিরছেন। ভ্যানচালক ইমাম ও তার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে চাকরি হচ্ছে সেটা জানলেও সেটা কী চাকরি আর কবে থেকে কাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে তারা এখনও কিছু জানেন না। ইমাম শেখ যশোরে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার পর আশ্বাস পেয়েছেন যে শীঘ্রই তিনি সেখানে কাজ করতে পারবেন। "তবে প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন চাকরি হবে, আশা করছি হয়ে যাবে," বলছিলেন ইমামের মাম আব্দুল কাইয়ুম শেখ। ভ্যানচালক ইমাম শেখ বলেছেন তাঁর ভ্যানে প্রধানমন্ত্রী চড়েছেন বলে তিনি খুবই আনন্দিত ইমাম শেখরা পাঁচ ভাইবোন। এর মধ্যে দুই বোনের বিয়ে হয়েছে আর ছোট বোনটি স্কুলে পড়ে। তারা দুই ভাই-ই ভ্যান চালান। বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ হবার পর থেকে ইমাম সংসারের হাল ধরার জন্য রিকশাভ্যান চালানো শুরু করেন। তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন, সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশও করেন তিনি। যেই ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান ইমাম শেখ সেটিও বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিস্তিতে কিনেছেন। ইমাম বলেন যে প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যানে চড়িয়ে তিনি খুব আনন্দিত। "সেদিন যখন একটা ভ্যান পছন্দ হলো না, আমারটাতে আপা চড়বেন বলে ঠিক হলো, পাশ থেকে একজন সিকিউরিটি অফিসারের মতো কেউ বলছিল তুমি ভাগ্যবান, প্রধানমন্ত্রী তোমার ভ্যানে চড়বেন"। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর বাড়িতে রাখার পর যখন ইমামকে টাকা দেয়া হয় তখন তিনি তা নেননি। "আমি নিইনি কারণ আপাকে চড়াইছি। আমি আমার কষ্টের কথা বলতে চাইছিলাম কিন্তু পারি নাই। চলে আসছি" - বলেন ভ্যানচালক ইমাম শেখ। পরে রাতে তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন যে তাকে চাকরি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা এসে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন যশোরে। সেখানে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন ইমাম। তবে চাকরি শুরু না হওয়া পর্যন্ত ভ্যান চালিয়ে যাবেন ইমাম, তাঁর ভাষায় "ভ্যান না চালালে সংসারতো চলবে না ঠিকমতো"। আরও পড়ুন: ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন অনড় বাংলাদেশে কেন বেশি জনপ্রিয় ভারতের বাংলা চ্যানেল কানাডার কুইবেক সিটি মসজিদে গুলি, নিহত ৬ ভ্যানচালকের চাকরি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেসবুকে একজনের মন্তব্য
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গীপাড়ায় গিয়ে যার ভ্যানে চড়েছিলেন, সেই ভ্যানচালক ইমাম শেখকে বিমান বাহিনীতে চাকরি দেওয়া হচ্ছে - এমন খবর প্রকাশ হবার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
নতুন এবং সাবেক মেয়রের সাথে মমতা ব্যানার্জী। ববি হাকিম নামে বেশি পরিচিত এই নেতা আগে থেকেই রাজ্যের নগরোন্নয়ন এবং পৌর দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন চ্যাটার্জী। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েনের ফলে কাজে অমনোযোগী হয়ে পড়ছিলেন, এই অভিযোগে মমতা ব্যানার্জী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ভোটের আগে পুলিশকে যেসব নির্দেশ দিলেন সিইসি সংসদ নির্বাচন: শুরু হয়েছে তুমুল নেতিবাচক প্রচারণা দিনের বেলায় নাইটি পরা নিষেধ ভারতের যে গ্রামে নতুন মেয়র বেছে নেয়ার জন্য দলীয় কাউন্সিলরদের বৈঠক আগেই ডাকা হয়েছিল, যেখানে মমতা ব্যানার্জী ছাড়াও হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ভারতের স্বাধীনতার পর কোন মুসলিম নেতা কলকাতার মেয়র পদে বসেননি। সেই বৈঠকেই মিজ ব্যানার্জী জানান নতুন মেয়রের নাম। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার আগে পাঁচজন মেয়র ছিলেন মুসলিম, যাদের মধ্যে ছিলেন শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক। কিন্তু তারপর থেকে কখনও কোনও মুসলিম ধর্মাবলম্বী নেতা কলকাতার মেয়র পদে বসেননি। ফিরহাদ হাকিম দক্ষিণ কলকাতার চেতলা অঞ্চলের মানুষ। কংগ্রেস রাজনীতি করতে করতেই মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠা এবং গত শতাব্দীর নয়ের দশকের শেষ দিকে কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসাবে প্রথম ভোটে জেতা। যতদিন গেছে, ততই মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠদের বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি পাড়ার বাসিন্দা ফিরহাদ হাকিম। কর্পোরেশনের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছিয়ে গেছেন বিধানসভায়। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরে হয়েছেন মন্ত্রী। আর রাজনীতির ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছেন মমতা ব্যানার্জীর 'ম্যান ফ্রাইডে'দের অন্যতম। পাকিস্তানের 'ডন' পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, তার দাদু বিহারের গয়া জেলা থেকে কলকাতায় এসে ব্যবসা শুরু করেন। বাবা ছিলেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আইন আধিকারিক। আর মা ছিলেন কলকাতার একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা। ফিরহাদ হাকিম, পারিবারিক পরিবেশে। ফিরহাদ হাকিমের মায়ের আদি বাড়ি ছিল ফরিদপুরে। তার মা হিন্দু মুখার্জী পরিবারের সন্তান ছিলেন বলে জানিয়েছেন মি. হাকিমের বাল্য বন্ধু ঋষিকেশ মুখার্জি। "ববি ধর্মে মুসলমান ঠিকই, নিয়মিত নামাজও পড়ে, গত বছর হজ করে এসেছে, কিন্তু ওর মধ্যে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গটা একেবারেই নেই। ওর মা ছিলেন পূর্ব বঙ্গীয় হিন্দু পরিবারের মানুষ, বোনের বিয়ে দিয়েছে হিন্দু পরিবারে।" "ছোট থেকে আমরা কয়েকজন বন্ধু প্রতি শনিবারে নিয়ম করে কালীঘাটের কালী মন্দিরে যেতাম দর্শন করতে, সেখানে ববিও থাকত। আবার ঈদের দিনে আমরা সব বন্ধুরা ওদের বাড়িতে বিছানায় বসে একসঙ্গে আড্ডা মারতাম। আর এটা তো নতুন করে বলার কিছু নেই যে চেতলা অগ্রণী ক্লাবে যে দুর্গাপুজো এখন বিখ্যাত, তার শুরুটাই ববি আর আমরা কয়েকজন বন্ধু করেছিলাম।" "ওদের বাড়ির ঠিক সামনে ফুটপাথে শুরু হয়েছিল সেই দুর্গাপুজো," বলছিলেন ফিরহাদ হাকিমের ছোটবেলার বন্ধু, তার পাড়ারই বাসিন্দা মি. মুখার্জি। তিনি আরও জানাচ্ছিলেন যে বড় নেতা বা তারপরে মন্ত্রী হয়ে যাওয়ার পরেও কলকাতায় থাকলে নিয়মিত আড্ডায় বসেন বন্ধুদের সঙ্গে, সেখানে রাজনীতির আলোচনা কমই হয়। "যখন আড্ডা মারি আমরা, তখন মন্ত্রী বলে মনেই হয় না ওকে। আর পাড়ার ক্লাব অন্ত প্রাণ। কিছুক্ষণের জন্য হলেও ক্লাবে আসবেই ও। তবে যখন সামনে পুলিশের গাড়ি নিয়ে ওর কনভয় বেরয়, তখনই একমাত্র ওকে মন্ত্রী বলে মনে হয়," বলছিলেন ঋষিকেশ মুখার্জী। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম। বিদায়ী মেয়র শোভন চ্যাটার্জীকে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বলার পর থেকেই যে নামগুলো উঠে আসছিল সম্ভাব্য মেয়র হিসাবে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ফিরহাদ হাকিমের নাম। আর তখন থেকেই সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ লিখতে শুরু করেছিলেন যে একজন মুসলমানকে মেয়র করা হোক। নজরে আসছিল এরকম মন্তব্য যে স্বাধীনতার পর থেকে কেন কলকাতা শহরে কোনও মুসলমান মেয়র হয় নি। সিপিআইএম দলের নেতা ও সংসদ সদস্য মুহম্মদ সেলিম বলছিলেন, "নজরে এসেছে যে এরকম একটা আলোচনা ফেসবুকে চলছে দু'দিন ধরে। কিন্তু আমার মনে হয় কলকাতার মতো একটা কসমোপলিটান শহরের প্রথম নাগরিক - মেয়র, কোন ধর্ম বা ভাষা গোষ্ঠীর থেকে হবেন, অথবা এতদিন কেন হয় নি সেটা কি আলোচনার বিষয়?" "ফিরহাদ হাকিম কর্পোরেশনে দীর্ঘ বছর কাউন্সিলর ছিলেন, তার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই ক্ষমতাসীন দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হয়। এর মধ্যে তার ধর্মবিশ্বাসকে নিয়ে আসা ঠিক হবে না।" পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সভাপতি মুহম্মদ কামরুজ্জামানের কথাতেই অনেকটা সেই একই সুর। "এটা তৃণমূল কংগ্রেস দলের সিদ্ধান্ত যে তারা কাকে মেয়র করবে। তিনি হিন্দু না মুসলমান, সেটা আলাদা করে দেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। নিতান্তই একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এটা," বলছিলেন মি. কামরুজ্জামান।
কলকাতার নতুন মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
নাইজেরিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি শারিয়া আইনও আংশিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের যে কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কথা। উত্তর নাইজেরিয়ার যেসব রাজ্যে ২০০০ সালের পর থেকে শরিয়া আইন কার্যকর করা হয়, কানো তার মধ্যে একটি। নাইজেরিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি শরিয়া আইনও আংশিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। কানো রাজ্যের হিসবাহ মুখপাত্র আদামু ইয়াহইয়া বিবিসিকে জানান, আটককৃত ব্যক্তিদের সকলেই মুসলিম ছিলেন। অমুসলিমদের যেহেতু ইসলামের নিয়ম-কানুন মানতে হয় না, তাই এই ধরণের অভিযানে কর্তৃপক্ষ অমুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে না বলেও জানান মি. ইয়াহইয়া। তিনি বলেন, আটককৃতদের কয়েকজন জানিয়েছেন যে তারা রমজানের চাঁদ নিজে না দেখায় রোজা পালন করেন না আর অন্যান্যরা অসুস্থতাকে রোজা না রাখার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের সবার যুক্তিকেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। "প্রথমবার আইন ভাঙায়" আটককৃত ৮০ জনকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান মি. ইয়াহইয়া। তাদেরকে সাবধান করে দেওয়া হয় যে, এরপর যদি তারা ধরা পড়ে তাহলে তাদের আদালতেও পাঠানো হতে পারে। যেসব মুসলিমরা রোজা রাখেন না, তাদের বিরুদ্ধে পুরো রমজান মাসই এধরণের অভিযান চলবে বলে হিসবাহ'র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: সাইবার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি শিশুদের সুরক্ষায় চাইল্ড রাইটস কমিশন গঠনের দাবি যে পাঁচটি বিষয় নিয়ে পুরুষরা কথা বলে না
উত্তর নাইজেরিয়ার কানো রাজ্যে রমজানের দিন জনসম্মুখে খাওয়ার অভিযোগে ৮০ জনকে সীমিত সময়ের জন্য আটক করেছে দেশটির ইসলামিক শরিয়া পুলিশ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বৈরুত শহরকেন্দ্রে রফিক হারিরি যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মারা যান সেই ধ্বংসস্থলের দৃশ্য চারজন অভিযুক্তের মধ্যে সালিম আয়াশকে মি. হারিরির হত্যায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি আন্তর্জাতিক আদালতে রফিক হারিরির হত্যার ব্যাপারে রায় দিতে গিয়ে এক বিচারক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে হেযবোল্লাহ গোষ্ঠীর নেতারা জড়িত ছিলেন এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিচারক আরও বলেছেন, ১৫ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডে সিরিয়ান সরকার সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল সেরকম প্রমাণও নেই। চারজন অভিযুক্ত ছিলেন সালিম জামিল আয়াশ, হাসান হাবিব মেরহি, হুসেইন হাসান ওনেইসি এবং আসাদ হাসান সাবরা। বৈরুতে মি. হারিরির যানবহরের ওপর যখন হামলা চালানো হয়, সেসময় লেবাননে সিরিয়ার ব্যাপক প্রভাবকে মি. হারিরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিলেন। মি. হারিরির গাড়িবহর যখন বৈরুতের সমুদ্রের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একটি ভ্যান ভর্তি বিস্ফোরক দিয়ে ওই বহরে হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২২০জন আহত হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন রফিক হারিরি এবং আরও ২১জন। পনের বছর আগে লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরিকে হত্যার দায়ে, নেদারল্যান্ডসে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত যে চার ব্যক্তিকে বিচার কাঠগড়ায় তোলা হয়, তারা লেবাননের শিয়া হেজবোল্লাহ গোষ্ঠীর নিচু পর্যায়ের সদস্য। সন্দেহভাজনদের বিচার হয়েছে তাদের অনুপস্থিতিতে। দুহাজার পাঁচ সালের ওই বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ এই চার ব্যক্তি অস্বীকার করেছিল। সিরিয়া সরকারও তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। বৈরুতে এই হামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিরিয়া প্রায় ৩০ বছর পর লেবানন থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল লেবাননের জন্য একটা মোড়-ঘোরানো মুহূর্ত। কারণ ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর যে প্রতিদ্বন্দ্বী জোটের উত্থান হয়, তা পরবর্তী বছরগুলোতে লেবাননের রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। রফিক হারিরি, ধণাঢ্য ব্যবসায়ী সিরিয়াকে লেবানন ত্যাগ করার আহ্বান জানান। ওই ঘটনার পর যে সিরিয়া-বিরোধী, এবং পশ্চিমাপন্থী দলটি আত্মপ্রকাশ করে, তার নেতৃত্ব দেন মি. হারিরির ছেলে, সাদ হারিরি। তিনি তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। দ্য হেগ শহরের উপকণ্ঠে যে গ্রামে এই মামলার বিচার কাজ চলছে, মঙ্গলবার সেখানে রায় দানের সময় এই বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি নিজেও যোগও দেন। চারজন অভিযুক্ত সালিম জামিল আয়াশ, হাসান হাবিব মেরহি, হুসেইন হাসান ওনেইসি এবং আসাদ হাসান সাবরা এখন কোথায় আছেন তা অজ্ঞাত। আদালত তাদের পক্ষ সমর্থনের জন্য যে আইনজীবীদের নিয়োগ করেন তারা কৌঁসুলিদের দায়ের করা মামলা নাকচ করে দেন এই যুক্তি দেখিয়ে যে এই মামলা দাঁড় করানো হয়েছে ঘটনাভিত্তিক তথ্যের ওপর নির্ভর করে এবং সেসব তাদের সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণ করে না। মামলার বিষয়বস্তু দু হাজার পাঁচ সালের সকালবেলা, রফিক হারিরি যখন এক যানবহর নিয়ে বৈরুতের সেন্ট জর্জ হোটেলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন একটি ভ্যানে লুকানো একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় রাস্তায় প্রকাণ্ড একটা গর্ত তৈরি হয়। নিকটবর্তী যানবাহনে আগুন ধরে যায় এবং এলাকার বহু দোকানের সামনের অংশ উড়ে যায় এবং আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মি. হারিরির হত্যার পর বৈরুতে ব্যাপক সরকার বিরোধী প্রতিবাদ হয়। মি. হারিরি ছিলেন লেবাননের অন্যতম সবচেয়ে বিশিষ্ট সুন্নী রাজনীতিক। তার মৃত্যুর সময়ে তিনি সিরিয়াকে লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবার আহ্বানে সমর্থন জানাচ্ছিলেন। লেবাননে গৃহযুদ্ধ শুরু হবার পর ১৯৭৬ সাল থেকে সেখানে সিরিয়ার সৈন্যরা ছিল। তার হত্যার পর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সিরিয়াপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। লেবাননের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী সিরিয়ার দিকে মি. হারিরির হত্যার জন্য অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। সরকার দু সপ্তাহ পর পদত্যাগ করে এবং এপ্রিল মাসে সিরিয়া লেবানন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর জাতিসংঘ এবং লেবাননের সরকার ২০০৭ সালে এই বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। এই বিচারের লক্ষ্য ছিল ওই বোমা হামলার তদন্ত এবং চারজন সন্দেহভাজনকে তদন্ত শেষে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ষড়যন্ত্র সহ তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়। পঞ্চম সন্দেহভাজন ছিলেন হেযবোল্লাহর সামরিক অধিনায়ক মুস্তাফা আমিন বদর-এদ্দীন। ২০১৬ সালে সিরিয়ায় তিনি নিহত হবার পর তার নাম অভিযোগ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। হেযবোল্লাহ সমর্থকরা এই মামলা প্রথম থেকেই প্রত্যাখান করে আসছিলেন এই যুক্তি দেখিয়ে যে এই বিচার রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কেন ৩০বছর পর লেবানন ছেড়ে যেতে হল সিরীয় সৈন্যদের 'প্রাণের ভয়ে' লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ লেবানন: হোয়্যাটস্ অ্যাপ কর নিয়ে যে বিক্ষোভের শুরু সঙ্কটময় লেবানন বিবিসি নিউজের পল অ্যাডামস বৈরুত থেকে এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, ২০০৫-এর ফেব্রুয়ারিতে আততায়ীর হাতে নিহত মি. হারিরির হত্যার ঘটনার এই বিচারের রায়ের পনের বছর পর কী তাৎপর্য রয়েছে। তিনি বলছেন, মাত্র দু'সপ্তাহ আগে বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটি এই মুহূর্তে বিপর্যস্ত। বিস্ফোরণের ঘটনার বাহ্যিক এবং রাজনৈতিক প্রভাবের ব্যাপকতা এখন দেশটিতে অন্য সব কিছুকেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। এছাড়াও করোনাভাইরাস লকাডাউনে দেশটির অবস্থা সঙ্গীন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে এবং মানুষ উদ্বিগ্ন। হেযবোল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এই বিচার প্রক্রিয়া একটা ষড়যন্ত্র বলে প্রত্যাখান করেছেন এর ওপর রয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক দুরাবস্থা। গত বছরের শেষ থেকে দেশটিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ আরও খারাপ হয়েছে। মুদ্রার মূল্য পতন হয়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে ব্যাপকভাবে এবং অনেক মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। বৈরুতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র বলে দিচ্ছে কীভাবে বিত্তশালী ও স্বচ্ছল লেবানীজরা প্রতিদিন দেশ ত্যাগ করছে। পনের বছর আগে মি. রফিক হারিরি যে লেবাননে আততায়ীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন তার সাথে আজকের লেবাননের অনেক তফাত রয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনী দেশ ত্যাগ করেছে অনেকদিন আগে। হেযবোল্লাহ এখন আগের থেকে অনেক শক্তিশালী, অনেক বড়। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামরিক জীবনের সব স্তরে তাদের এখন উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। গোষ্ঠীটির বিরোধীরা হয়ত মনে করতে পারে যে ২০০৫ এবং ২০২০র বিস্ফোরণে হেযবোল্লাহর হাত ছিল, কিন্তু লেবাননে তাদের উপস্থিতি আজ এতটাই শক্তিশালী যে খুব কম মানুষই মনে করছে এই ট্রাইব্যুনালের রায় সেখানে কোনরকম প্রভাব ফেলবে। যে হেযবোল্লাহ গোষ্ঠীকে রফিক হারিরির মৃত্যুর জন্য অনেকে দায়ী করে থাকে, সেই মি. হারিরির কনিষ্ঠ পুত্র সাদ হেযবোল্লাহর সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছেন। তিনি হেযবোল্লাহর সাথে জোট গঠন করে ইতোমধ্যেই দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি যদি আবার প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তাহলে আবার তার জন্য হেযবোল্লাহর সমর্থন প্রয়োজন হবে।
লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরিকে ২০০৫ সালে বৈরুতে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত আন্তর্জাতিক আদালত।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
টিকা তৈরিতে বহু গবেষণা চলছে সারা বিশ্বে কিন্তু সরকারের প্রথম ডোজ টিকা সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত এসেছে সেটাতে তিনি হতাশ। রুম্পা জাহান বলছেন, যেহেতু তাকে প্রতিদিন কাজে বের হতেই হয় - তাই টিকা নেয়াটা তার খুব দরকার। তিনি বলছেন "অফিস -আদালত বন্ধ হলেও ব্যাংক খোলা। আমাকে বাইরে বের হতেই হবে, কাজে আসতেই হবে। তাই টিকা নিতে চেয়েছিলাম। এখন আমি খুবই হতাশ। এই মহামারির সময় একমাত্র ভরসা ছিল টিকা। সেটা যদি দিতে না পারি তাহলে সাবধান থাকার পরেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে" রুম্পা জাহানের মত অনেকেই নিবন্ধন করেছেন আবার অনেকে প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে অপেক্ষা করছেন দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার। প্রথম ডোজ সরকার আপাতত বন্ধ করেছে, আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। করোনাভাইরাসের এই টিকা ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে সরকার চুক্তির মাধ্যমে নিয়ে আসছে। সরকারের কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রধান, ড. শহীদুল্লাহ বলছিলেন সিরাম ইন্সটিউটের সংগে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩ কোটি টিকার যে চালান পাওয়ার কথা ছিল সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সরকারের কাছে যেটা মজুদ আছে তা দিয়েই ২ ডোজের কাজ যাতে চালানো যায় - সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মি. শহীদুল্লাহ বলেন - "এ পর্যন্ত পেয়েছি এক কোটি দুই লক্ষ। সেটার উপর নির্ভর করে সরকার অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। প্রথম ডোজের সাথে দ্বিতীয় ডোজ চলছিল। এখন যারা প্রথম ডোজ যারা নিয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে"। "এই অনিশ্চয়তার মাঝখানে সরকার এখন ভাবছে কি পরিমাণ টিকা আছে। কারণ ২৭ লক্ষ লোক ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছে। বাকি যারা আছে তাদের দিতে গেলে আনুমানিক ১২লক্ষ ডোজ ঘাটতি হবে" - বলছিলেন তিনি। আরো পড়ুন: আবারো প্রায় একশোর কাছাকাছি মৃত্যু, শনাক্ত তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশে কি করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন সম্ভব? করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে রাশিয়া কি লুকোচুরি করছে? করোনাভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট ৫০ লক্ষ টিকা প্রস্তুত করে রেখেছে বাংলাদেশকে দেয়ার জন্য। কিন্তু ভারতের সরকারের অনুমতি না থাকায় তারা এখন দিতে পারছে না। এদিকে বাংলাদেশের কাছে যে পরিমাণ টিকা আছে সেটা দিয়ে মধ্য মে মাস মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া যাবে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২০ লক্ষ টিকা পাওয়া যাবে। সেটা পাওয়া গেলে প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন তারা সবাই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। এদিকে সরকার রাশিয়া এবং চীন থেকে টিকা আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বিভিন্ন আইন-কানুন, বিধিনিষেধ মেনে কবে নাগাদ সেই টিকা দেশে আসবে - সেটা এক বড় প্রশ্ন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলছেন, যদি এই টিকা প্রাপ্তির বিষয়টা ৩/৪মাস পিছিয়ে যায় - তাহলে বড় একটা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে দেশ। "নিশ্চয় এর একটা প্রভাব পড়বে। তিন-চার মাসে যদি আমরা কয়েক কোটি লোককে টিকা দিতে পারতাম, বিশেষ করে শহরগুলোতে যেখানে সংক্রমণ বেশি, তাদের বেশিরভাগকে যদি টিকার আওতায় আনা যেত - তাহলে আমরা সুরক্ষা পেতাম" বলছেন মি.আহমেদ। "এই তিন-চার মাসের গ্যাপ, ভারতের যে ভয়ানক অবস্থা সেটার ঢেউ যদি বাংলাদেশে আসে, আবার এক ডোজ পেল দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছে না তারা খুবই হতাশ হবেন, মনক্ষুন্ন হবেন। আবার নিবন্ধন করেছিলেন তারা না পেলে তারা হতাশ হবেন, সব মিলিয়ে আমরা একটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে যাচ্ছি।" স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৮ হাজারের ৪০০ মানুষ। তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬জন। রবিবার বিকেল ৫:৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৭২ লক্ষ ২৪ হাজার ৩০৭ জন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দোকানপাট খোলা রেখেই বাংলাদেশে লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে আবারো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ফেরা মানুষদের মনিটরিং এর কী ব্যবস্থা কীভাবে ১৯৪৭ সালে দু'ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর মহামারিতে কাবু ভারত, আইপিএল থেকে সরতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা হেফাজতে ইসলামের নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছেন
একটি ব্যাংকে কাজ করেন রুম্পা জাহান। প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার জন্য তিনি নিবন্ধন করেছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
একেএম ফজলুল হক মিলন, গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী। গাজীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার বর্তুল এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। মি. হক বিএনপির একজন সাবেক সাংসদ। তিনি একই সাথে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি। গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, ফজলুল হক মিলনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানার সাতটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। মি. হকের পরিবার জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে মোট ৩৩টি মামলা রয়েছে। কিন্তু তিনি সব মামলায় জামিনে ছিলেন। তার স্ত্রী শম্পা হক সাংবাদিকদের বলেছেন, দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি একটি সভায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে 'ওপর মহলের নির্দেশে' আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে বলে মিসেস হক বলেন। একই দিনে পুলিশ গাজীপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি হুমায়ুন কবির সরকার ও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মোতালিবকেও গ্রেপ্তার করেছে। এরা গাজীপুর-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটানোর লক্ষ্যে গায়েবি মামলায় এই দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে মি. সিদ্দিকী জানিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: তরুণ ভোটারদের প্রধান টার্গেট করবে বিএনপি ‘আহমেদ যদি হিন্দুর সামনে গরু কাটে, তা কি অপরাধ?’ গুগল সার্চে বাংলাদেশীরা যাদের বেশি খোঁজ করেছেন
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারাভিযানের মাঝে পুলিশ গাজীপুর-৫ আসনে বিরোধীদল বিএনপির প্রার্থী একেএম ফজলুল হক মিলনকে আটক করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য অং সান সু চির বিশ্বস্ত হওয়াই প্রধান যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত এবং উইন মিন্ট তেমনই একজন। দীর্ঘদিন ধরে সু চি'র এনএলডি পার্টির সদস্য হওয়ায় মিজ সু চির একজন একান্ত অনুগত ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত মি: মিন্ট।। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে মিজ সু চির আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত হওয়া। ৬৬ বছর বয়সী মি: মিন্ট, মিজ সু চির বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন। মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার সম্প্রদায়ের একজন তিনি। ইয়াঙ্গুন বিশ্বিবদ্যালয় থেকে পাশ করে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা গড়তে উদ্যোগী হন। ২০১২ সাল থেকে তিনি নিম্নকক্ষের স্পিকার ছিলেন। গত সপ্তাহে মি: মিন্ট ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং তাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট করা হয়। তাকেই যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেয়া হতে পারে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল এবং ভাইস প্রেসেডন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় এই ধারণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে। ১৯৮৮ সালে স্বৈরশাসক জেনারেল নে উইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন এবং সামরিক জান্তার হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন উইন মিন্ট। ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়ের পর তিনি ইয়াঙ্গুনের একটি আসন লাভ করেন যা ক্ষমতাসীন এনএলডি'র নেতৃত্বে তার অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করে। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট পদ থকে ইস্তফা দেন ৭১ বছর বয়সী টিন চ। সেসময় রাষ্ট্রপতির ফেইসবুক পাতায় বলা হয়, তিনি বিশ্রাম নিতে চান। পার্লামেন্টে সামনে তখন সাতদিনের মধ্যে ভাইস-প্রেসিডেন্টদের মধ্য থেকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বাধ্য-বাধকতা তৈরি হয়। প্রেসিডেন্ট পদে তিনি ছাড়া সম্ভাব্য আর যে দুজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাদের একজন সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে, যিনি টিন চ পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মি: মিন্ট দুয়েকদিনের মধ্যে শপথ নিতে পারেন। যদিও দেশটিতে প্রেসিডেন্টের পদটি আলঙ্কারিকমাত্র কেননা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সু চি। কারণ স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে অং সাং সু চি নিজেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মি: মিন্টের ভূমিকা হবে মূলত কাগজে-কলমে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে অং সান সু চি'র উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির সংবিধানে এমন একটি ধারা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে বার্মিজ কারো সন্তান যদি অন্য দেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এমন দায়িত্ব নিতে পারবেন না। সুচির সন্তানরা ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার কারণে সংবিধান অনুসারে বার্মার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তিনি। আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেনের চাকরির জন্য পিএইচডি ডিগ্রীধারীও মরীয়া কেন? এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ স্মিথ ও ওয়ার্নার হয়রানি রুখে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশি নারীর গল্প
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অং সাং সু চির দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ উইন মিন্টকে নির্বাচিত করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ফাঁসির দড়ি। (ফাইল ছবি) বুধবার রাতে সিলেটের মোগলাবাজার থানার আলমপুর মুক্তিযোদ্ধা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ওই ফেসবুক লাইভটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লেও কিছু সময়ের মধ্যেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ লাইভটি সরিয়ে নেয় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যে আইডি থেকে লাইভ করা হয় সেটাও পরে বন্ধ পাওয়া গেছে বলে পরিবার এবং পুলিশ জানাচ্ছে। নিহত ১৮ বছর বয়সী ওই কিশোরের নাম আলহাজ উদ্দিন বলে জানা গেছে এবং পুলিশ বলছে তারা ঘরের ভেতর তার গলায় ফাঁস দেয়া লাশ পেয়েছে। গলায় ফাঁস পরার আগে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া একটি স্ট্যাটাস ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি মেয়ের সাথে ছবি সংযুক্ত ওই ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল যে- ''কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে। তারা অনেক স্বার্থপর হয় প্রিয় মানুষটার বিষয়ে। সবকিছু দিয়ে তাকে পেতে চায়। আর আমি কোনোভাবে পাইনি। চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে। ভালোবেসো না ঠকে যাবে!'' নিহতের চাচার ধারণা এই ঘটনা সন্ধ্যা ৭টা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটেছে। পুলিশ জানাচ্ছে যখন ওই কিশোরের ঝুলন্ত লাশ তারা উদ্ধার করে তখন রাত নয়টা, সাড়ে নয়টা বাজে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক স্টেটাস থেকে পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন যে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের চাচা আফজাল হোসেন বিবিসিকে জানান, গতকাল আলহাজ সারাদিন ঘরেই ছিল। রাতের বেলা মাকে চা বানানোর কথা বলে সে রুমে গিয়ে দরজা লক করে দেয়। রুমের ভেতরে জোরে জোরে গান বাজায়। কিন্তু এমন কোন ঘটনা ঘটতে পারে বলে কেউ ধারণা করতে পারেননি। পরে অনেকক্ষণ দরজা ধাক্কা দিয়েও কোন সাড়া না মেলায় ভেন্টিলেটরের ফাঁকা জায়গা থেকে তারা ফাঁস দেয়া লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দরজা ভেঙে দড়ি খুলে লাশ নামিয়ে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এরি মধ্যে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সেটা পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান মি. হোসেন। নিহত আলহাজ উদ্দিন সিলেট কারিগরি স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গেছে। মোগলাবাজার থানার ওসি সাহাবুল ইসলাম জানান, রাতে তারা খবর পেয়ে দরজা ভেঙে যখন ভেতরে ঢোকেন, দেখতে পান ওই কিশোর বিছানার চাদর কেটে দড়ি বানিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়েছে। প্রেমের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এরি মধ্যে তারা নিহতের পরিবারের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান মি. ইসলাম। আরও পড়তে পারেন: যেভাবে আত্মহত্যা প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন এই নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা দূর করবেন কিভাবে? ‘আমি ওভারব্রিজে দাঁড়িয়েছিলাম ঝাঁপ দেবো বলে’
বাংলাদেশের সিলেটে ফেসবুক লাইভে থাকাকালীন এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গণপিটুনি প্রতিরোধে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উপস্থিত থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য। বুধবার রাজধানী ঢাকার পুলিশ হেডকোয়াটার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী বলেন, "দুঃখজনক হলেও সত্যি, গণপিটুনির প্রতিটি ঘটনা আমরা বিশ্লেষণ করেছি। গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের কেউই অপহরণকারী ছিল না, কেউই ছেলেধরা ছিল না।" সাংবাদিকদের মি. পাটোয়ারী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের বিভ্রান্তির সৃষ্টির মাধ্যমে গত কয়েকদিনে আট জনের প্রাণহানি হয়েছে। "এ ধরণের ঘটনা পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে আসার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।" আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের মানুষ কেন নির্মম হয়ে উঠছে? 'দেশের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রিত কিছু গ্রুপে ছড়ানো হচ্ছে গুজব' গণপিটুনি রোধে ধীরে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার? তিনি বলেন, নেত্রকোনায় গত ১৮ তারিখে শিশু সজীবের কাটা মাথা যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো সেই রবিন মাদকাসক্ত ছিল। "সে এর আগেও তার স্ত্রীকে গলাকাটতে হামলে পড়েছিলো ব্লেড নিয়ে। যার কারণে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।" তাকে এর আগেও গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী। 'স্কুল-কলেজে সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে' পুলিশের এই মহাপরিদর্শক আরো জানান, গণপিটুনি প্রতিরোধে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উপস্থিত থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য। তিনি বলেন, অভিভাবকদের সাথে কিংবা দলবদ্ধভাবে যেন শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে সেবিষয়ে জনগণকে সচেতন করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। এছাড়া প্রত্যেকটা স্কুল-কলেজের পাশে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিও থাকবে, বলেন তিনি। "এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সিসিটিভির আওতাভুক্ত করা যায় কিনা তা স্কুল কর্তৃপক্ষকেও আমরা উদ্বুদ্ধ করছি।" "তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ব্যবস্থা নিতে," বলেন তিনি। '৬০টি ফেসবুক আইডি, ২৫টি ইউটিউব লিংক, ১০ টি অনলাইন পোর্টাল বন্ধ' বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে জনসচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ ধরণের যেকোন পরিস্থিতিতে পুলিশের সহায়তা নেয়ার জন্য ৯৯৯ নম্বরে জন সাধারণের প্রতি যোগাযোগ করার আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, "সন্দেহজনক ৬০টি ফেসবুক আইডি, ২৫টি ইউটিউব লিংক, ১০ টি অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছি এধরণের গুজব ছড়ানোর জন্য। এছাড়া র‍্যাব গুজব রটনাকারী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পেজ, চ্যানেল ও লিংক বন্ধ করে দিয়েছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করছে।" বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে গণপিটুনিতে অন্তত আট জন নিহত হয়েছেন। (ফাইল ছবি) হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড, লোকালয় বা জনসমাগম স্থানে জনগনকে অবহিত এবং জন সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য ছোট ছোট সভা করা হচ্ছে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে পুলিশ সদস্যদের সকালে অ্যাসেম্বিলিতে গিয়ে মত বিনিময় করতে এবং বিষয়টি যে একটি গুজব ছাড়া কিছু নয় তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশি ব্যবস্থাকে জোরদার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সভা করতে বলা হয়েছে। "আজ [বুধবার] থেকে এধরণের সচেতনতা কার্যক্রম আরো জোরদার হবে এবং অব্যাহত থাকবে।"
বাংলাদেশে পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে - এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহতদের মধ্যে কেউ ছেলেধরা ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫,৬৪৫ জনের মৃত্যু হলো। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৫৬০ জন। প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৮.০৫ জন সুস্থ হয়ে উঠছেন। যেই হার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৬ শতাংশ। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ২ হাজার ২৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১,৫৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ৫১ হাজার ৭০২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ১০.৪৫ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১৮ শতাংশের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১,২০৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
স্কাইপে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তারেক রহমান এই অফিসেই গত দুদিন ধরে স্কাইপ সংযোগের মাধ্যমে ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য দলের মনোনয়নপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয় কিছু ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বলছে, তারা স্কাইপ বন্ধ করে দেবার নোটিশ পেয়েছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি-র কাছ থেকে । এরকম একটি চিঠির কপি বিবিসি বাংলার হাতে এসেছে, কিন্তু বিটিআরসি এরকম নির্দেশ দেবার কথা অস্বীকার করেছে। বিএনপি বলছে, তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যই তাদের কার্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ ব্লক করে দেয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলায় এ বিষয়ে আরো পড়ুন: তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স: আইনে কী আছে? তারেক রহমান বিএনপির কারাভোগরত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে, এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে লন্ডন থেকে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন - এরকম খবর ও ছবি পত্রপত্রিকায় বেরুনোর পর বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচন কমিশন জানায়, এ ব্যাপারে তাদের করার কিছু নেই। ঢাকায় কয়েকটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে বিবিসি জানতে পেরেছে, গতকাল সোমবার সকাল ১১ টা ১৭ মিনিটে তারা বিটিআরসির কাছ থেকে ইমেইল এর মাধ্যমে নোটিশটি পান। এতে লেখা রয়েছে "কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কাইপ অ্যাপ ব্লক করতে হবে অনতিবিলম্বে।" এবং ব্লক করার বিষয়টি মেইল করে বিটিআরসিকে নিশ্চিত করতেও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে । বিএনপির অভিযোগ, তাদের গুলশান অফিসে ইন্টারনেট ও স্কাইপ সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বিষয়টা নিয়ে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কোন নির্দেশনা দেয়া হয় নি, তবে "কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছু স্থানে স্কাইপ বন্ধ রয়েছে। " চিঠির শেষে বিটিআরসির সিস্টেম এবং সার্ভিস বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল আলমের নাম রয়েছে। মি. খান বলছেন, এই নোটিশের বিষটি তারা তদন্ত করে দেখবেন। বিএনপি গত রবিবার থেকে ভিডিও কলের অ্যাপ স্কাইপ ব্যবহার করে নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছিলো। তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সাক্ষাতকার প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে যে, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হিসাবে একজন ব্যক্তির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া বেআইনি । স্কাইপ বন্ধের পিছনে রাজনৈতিক কোন কারণ আছে কিনা - জানতে চাইলে বিটিআরসির জাকির হোসেন খান বলেন, কোন 'ব্যারিয়ার' (প্রতিবন্ধকতা) দেবার ইচ্ছে তাদের নেই। কমিশন টেলিযোগাযোগ আইন বলে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করে, কোন পার্টি বা দলকে হেয় করা বা যোগাযোগে বাধা দেবার কোন ব্যাপার এতে নেই, বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই তবে বিএনপি অভিযোগ করছে, পুরো পার্টি অফিসেই ইন্টারনেট কানেকশনের ব্যাঘাত ঘটনো হয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, "শুধু স্কাইপ না, জ্যামার দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একটা মেইলও করা যাচ্ছে না"। মি. আলমগীর বলছিলেন, তাদের স্ট্যান্ডিং কমিটি আজ তৃতীয় দিনের মতো মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, আর বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে তারেক রহমানের মতামত নেয়ার। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী কার্যক্রমে এভাবে বাধা দেয়া হলে কোন ভাবেই 'লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড' তৈরি হবে না। দলটি নির্বাচন কমিশনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি অভিযোগ করেছে যে ঢাকার গুলশান এলাকায় তাদের প্রধান কার্যালয়ের ইন্টারনেট-ভিত্তিক ফোন সার্ভিস স্কাইপের সংযোগ ব্লক করে দেয়া হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
২৪ শতাংশ শিক্ষক সপ্তাহে অন্তত একবার সহিংসতার শিকার হন। দেশটিতে জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষকদের একটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজারের মতো সদস্যদের উপর এই জরিপটি চালানো হয়েছে। অন্তত ২৪ শতাংশ শিক্ষক বলছেন যে তাঁরা সপ্তাহে অন্তত একবার সহিংসতার শিকার হন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে চারজন শিক্ষক বলছেন, তাঁরা মৌখিকভাবে হুমকি পেয়েছেন। শিক্ষকরা কী বলছেন? শিক্ষার্থীদের কাছে মৌখিক দুর্ব্যবহার তাদের জীবনে দৈনন্দিন ব্যাপার বলে জানাচ্ছেন একজন শিক্ষক। আরো পড়ুন: শিশুশিক্ষায় বইয়ের বোঝা কেন? ব্রিটেনে শিশু শরণার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে ব্রিটেনে ৩০টি গীর্জার স্কুলে পড়ুয়া অধিকাংশই মুসলিম পারিবারিক সান্নিধ্যে থাকা তরুণদের যৌনতার হার কমছে ওই শিক্ষক বলেন, "আমি ৪০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। আমি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারে চরম অধঃপতন দেখছি।" তিনি আরও বলেন, "তাছাড়া, এখন শিক্ষকদের কাছে আশাও করা হয় যে তাঁরা মৌখিক দুর্ব্যবহার সহ্য করবেন। এমন আচরণ ঠেকাতে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে কারোরই যেন কোন আগ্রহ নেই।" সহিংসতা ছাড়াও মৌখিক দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় অনেককে। আরেকজন শিক্ষক বলেন, "আমার স্কুল তো গত কয়েক বছরে রীতিমতো একটা ভীতিকর জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি করিডোরে বের হই এমন সময়ে, যখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে রয়েছে।" "তা না হলে আমার মনে হয় যে আমি বোধহয় ওদের পায়ের নিচেই চাপা পড়ে যাবো, নতুবা ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাবো। তা না হলে কোন ধরনের গালি খেতে হবে আমাকে।" পরিসংখ্যানে আরও যা দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের শিক্ষা অধিদপ্তরের এক তথ্যমতে এ ধরণের ঘটনা বাড়ছে। সংস্থাটির হিসেবে, ২০১৬/১৭ সালে ৭৪৫ জন শিক্ষার্থীকে স্কুলের কোন প্রাপ্তবয়স্ক কর্মকর্তা, কর্মচারী অথবা শিক্ষককে শারীরিক হেনস্থার জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। প্রায় ২৭,০০০ শিক্ষার্থীকে একই অপরাধে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বহিষ্কার করা হয়। আর ৬৫৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো মৌখিক দুর্ব্যবহারের জন্য। এর এক বছর আগে এই সংখ্যা কম ছিল। অন্যান্য খবর: যৌন নির্যাতন: শিশুদের কীভাবে সচেতন করবেন সাপের ভয়ে অফিস যাচ্ছেন না লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট শরীর-মন-ঘুম: কেন দিনের আলো এত গুরুত্বপূর্ণ
ব্রিটেনে প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, দেশটিতে বহু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দ্বারা সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশ পাসপোর্ট তবে অনেকের মতে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেবার সময়েই যেহেতু নাগরিকদের পরিচয় যাচাই হচ্ছে এবং সে তথ্য কর্তৃপক্ষের ডাটাবেসে রক্ষিতও আছে - তাই পাসপোর্ট করানোর সময় আবার নতুন করে পরিচয় যাচাইয়ের দরকার আছে কি? বিশ্লেষকদের অনেকেই এ প্রশ্ন তুলছেন এখন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি'র ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন এমন মানুষের তিন-চতুর্থাংশকেই পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হয়ে 'ঘুষ বা নিয়ম-বহির্ভূত টাকা' দিতে হয়। যেকারণে ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশন এবং টিআইবিসহ অনেক সংস্থা পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দেবার প্রস্তাব করেছে। 'জনভোগান্তি' নতুন পাসপোর্ট করতে গিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। ঢাকার একজন ব্যাংকার সানজিদা কিবরিয়া বলছিলেন, চার বছর আগে যখন পাসপোর্ট করান, সে সময় তাকে বেশ বিব্রত হতে হয়েছিল। "শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য যখন আমাদের বাসায় আসেন, আমি অফিসে ছিলাম। তিনি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে আমার এসএসসির সনদের সঙ্গে মিলিয়ে জন্মতারিখ ও অন্যান্য তথ্য মিলিয়ে নেন।" এরপর আমার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য এবং বাড়ির বিদ্যুৎ বিল দেখে ঠিকানার ব্যপারে নিশ্চিত হন তিনি।" নানা দেশে ভ্রমণের চাবিকাঠি হচ্ছে পাসপোর্ট "কিন্তু কাজ শেষ হবার পরে চা-বিস্কিট খেয়েও তিনি কিছুক্ষণ বসে থাকেন। আমার বাবা-মা বুঝতে পারেননি উনার হাতে কিছু দিতে হবে। এক পর্যায়ে উনি নিজেই বলেন যে তাকে 'কনভেন্স' দিতে হবে।" কনভেন্স বা যাতায়াতের ভাড়া হিসেবে হাতে টাকা তুলে দেবার পর স্থানত্যাগ করেন সেই কর্মকর্তা। দন্ত চিকিৎসক কায়ফি আজমীর অভিজ্ঞতা একটু আলাদা। পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় তিনিও বাড়িতে ছিলেন না। তথ্য যাচাই হয়ে যাবার পর বাড়িতে আসা কর্মকর্তাকে 'বখশিশ' দিতে রাজি হননি আজমীর শ্বশুর। "এরপর একমাস পেরিয়ে যায়, দুই মাস পেরিয়ে যায় - আমার আর পাসপোর্ট আসে না। আমি ও আমার স্বামী এক বন্ধুর মাধ্যমে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করি, তারা জানান যে পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট আসেনি।" এরপর সরকারী কয়েকটি অফিস ঘুরে আরো প্রায় দেড় মাস পরে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছিলেন আজমী। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ ধরণের অভিযোগ হরহামেশা শোনা যায়। বৈশ্বিক এক পাসপোর্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের 'দুর্বল' অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এমনকি ২০১৬ সালে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য একজন বিচারপতির বাসায় গিয়ে ঘুষ দাবি করার পর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন এএসআই এর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছিলেন সেই বিচারপতি। এ বছরের মার্চে পরে ঐ এএসআইকে আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সেসময় ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। পুলিশ ভেরিফিকেশন কী? আবেদন পত্র হাতে পেয়ে প্রাথমিক কাজ শেষ করে পাসপোর্ট অফিস আবেদনকারীর তথ্য যাচাইয়ের জন্য পাঠায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বা এসবি কার্যালয়ে।। জেলা পর্যায়ে হলে সেটা যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট থানার একজন উপ-সহকারী পরিদর্শক বা এএসআই, সহকারী পরিদর্শক বা সাব ইন্সপেক্টর কিংবা ইন্সপেক্টরকে তথ্য যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ঐ কর্মকর্তা তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে পাসপোর্ট অফিসে যে প্রতিবেদন পাঠান - সেটাই 'পুলিশ ভেরিফিকেশন' নামে পরিচিত। কতটা জরুরী পুলিশ ভেরিফিকেশন? বর্তমানে প্রচলিত ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রথমে ব্যাংকে ফি জমা দিয়ে, একজন আবেদনকারী পাসপোর্ট ফর্ম পূরণ করেন। এক্ষেত্রে সাধারণ অর্থাৎ এক মাস সময়ের মধ্যে, জরুরী অর্থাৎ সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাবার ব্যবস্থা রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আদালত কক্ষে এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন এরশাদের অবর্তমানে জাপা ‘বিলুপ্ত হতে পারে’ যে কারণে ম্যান অফ দা টুর্নামেন্ট উইলিয়ামসন এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ মাতানো পাঁচ তরুণ আর সে অনুযায়ী নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয় ব্যাংকে। এরপর সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যুক্ত করে জমা দেন নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে। পরের ধাপ, পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং নির্ধারিত একটি সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেবার কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে পাসপোর্ট ইস্যু করে পাসপোর্ট অফিস। এ পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে নানা ধরণের হয়রানির অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান মনে করেন, এ ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। "রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রয়োজনে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। ধরুন কোন দুষ্কৃতিকারী অথবা কেউ আগে জাতীয় পরিচয়পত্র করেছে, পরে সে ব্যক্তি বিপথগামী হতে পারে। তাদের সম্পর্কে পুলিশ বা স্পেশাল ব্রাঞ্চ মারফত আমাদের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।" "একজন ব্যক্তির পরিচয়পত্র করার পরে বর্তমান অবস্থা তো আর জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেসে সংরক্ষণ হয় না। এসব তথ্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যই প্রয়োজন।" "না হলে হয়ত একজন অপরাধী পাসপোর্ট পেয়ে যেতে পারে এবং সে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে।" পাসপোর্ট অফিস কী বলছে? পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সোহায়েল হোসেন খান জানিয়েছেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা সহজীকরণ করার জন্য তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কিছু সুপারিশ পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সভাও হয়েছে। "এছাড়া পুলিশ ভেরিফিকেশন সহজ করার জন্য নতুন পাসপোর্টে একটা প্রক্রিয়া চলছে যে, কেউ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার আগে প্রি-ভেরিফিকেশন করিয়ে নিতে পারে কিনা সে ব্যবস্থা চালু করার।" এখন পাসপোর্টের পুরো ব্যবস্থাকে অন-লাইন করা গেলে এ ধরণের অভিযোগ আর থাকবে না বলে মনে করেন মিঃ খান। পুলিশ ভেরিফিকেশন কি থাকবে? ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং টিআইবিসহ অনেক সংস্থা পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দেবার প্রস্তাব করেছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের যুক্তি পাসপোর্ট পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দেয়া হয়। সরকারী ডাটাবেসে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে আবেদনকারীর তথ্য মিলিয়ে দেখলেই যাচাই করা সম্ভব। নতুন করে পরিচয় যাচাই করার দরকার আদৌ নেই। এক্ষেত্রে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের পরিচয়পত্র যাচাই করে পাসপোর্ট দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তবে, সামনের দিনে পুলিশ ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা থাকবে কি না, সেটি নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। তবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান মনে করেন, এজন্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পাঠানো সুপারিশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাংলাদেশে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় — এমন অভিযোগ বহু মানুষের।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গুরুতর আহত সাব ইন্সপেক্টর মতিউর রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর সহকর্মীরা আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর নির্মানের সরকারী পরিকল্পনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে শতশত মানুষ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। এজন্য সকাল থেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে । আড়িয়াল বিল রক্ষা কমিটি নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ অবরোধের ডাক দেয়া হয়। মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা হামিদুর রহমান জানিয়েছেন ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে একটি পুলিশের গাড়ির উপর অবরোধকারীরা আক্রমন করে৻ আক্রমনে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক মতিউর রহমান নিহত এবং আরও বারোজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। সড়ক অবরোধকারীরা লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশের ঐ গাড়িটি ঢাকা থেকে যাচ্ছিল । স্থানীয় সাংবাদিক মনিরুজ্জমান উজ্জ্বল জানিয়েছেন অবরোধের এক পর্যায়ে পুলিশ ও অবরোধকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা গাছ কেটে রাস্তা ফেলে অবরোধ তৈরী করে । আড়িয়াল বিল রক্ষা কমিটি নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ অবরোধের ডাক দেয়া হয়। সহিংসতার আশংকায় সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতাযেন করা হয়েছে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল নতুন আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মান করার যার নাম হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। ক্ষমতায় আসার পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রথমে এ বিমান বন্দরের জন্য প্রাথমিকভাবে স্থান নির্ধারন করা হয়। কিন্তু পরে সেখান থেকে সরে এসে ঢাকার কাছে মুন্সিগঞ্জের আড়িযাল বিলে বিমান বন্দর নির্মান করার জন্য স্থান নির্ধারন করা হয়। মহাসড়কে লাঠি-সোটার স্তুপে আগুন প্রায় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত এ বিমান বন্দরের জন্য আড়িয়াল বিলে পচিঁশ হাজার একর জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু করে সরকার । এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে অনেকেই । তাদের দাবী আড়িয়াল বিলে বিমান বন্দর হলে তাদের ফসলী জমি নষ্ট হবে । তবে সরকার বলছে আড়িয়াল বিল এক ফসলী জমি । যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানানো হয় সরকারের তরফ থেকে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব শফিক আলম মেহেদি কয়েকদিন আগে বিবিসিকে বলেন বিমান বন্দরের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের মধ্যে সাধারন মানুষের সম্পৃক্ততা নেই । মি: মেহেদি বলেন , “আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর না করে অন্য যে কোন জায়গায় বিমান বন্দর করলে এর চেয়ে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো।” তিনি যুক্তি তুলে ধরেন বিমান বন্দর হলে স্থানীয় মানুষের কর্মস্থান হবে৻
বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলে নতুন বিমান বন্দর নির্মানের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন পুলিশ নিহত এবং ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে তার লাখ লাখ ভক্ত। বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সাথে প্রতিযোগিতার কারণেই তারা এরকম কিছু একটা করার চিন্তাভাবনা করছে। তবে বলা হচ্ছে, এই উদ্যোগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগকে টেক্কা দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের গৃহীত একটি মহাপরিকল্পনার সামান্য কিছু অংশ মাত্র। লা লীগার পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে, আগামী ১৫ বছর ধরে তাদের কয়েকটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে। বিবিসির সংবাদাতারা বলছেন, ইউরোপে যে পাঁচটি বড়ো ধরনের ফুটবল লীগ আছে তার মধ্যে লা লীগাই প্রথম তাদের কোন ম্যাচ বিদেশের মাটিতে আয়োজন করার উদ্যোগের কথা জানালো। এজন্যে তারা স্পেনের ফুটবল কর্তৃপক্ষ স্প্যানিশ এফএ-র কাছে অনুমতি চেয়েছে। তাদের এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত পেলে লিওনেল মেসির মতো ফুটবল তারকাকে দেখা যাবে ফ্লোরিডার মাঠে বল নিয়ে দৌড়াতে। লা লীগা চাইছে আগামী জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহরের হার্ড রক স্টেডিয়ামে জিরোনা বনাম বার্সেলোনার ম্যাচটি আয়োজন করতে। লা লীগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের টেবাস বলেছেন, এসব বিষয়ে কিছু বড় ধরনের সমঝোতা হয়েছে। শুরুর দিকে খেলোয়াড়দের ইউনিয়ন এবং সমর্থক গোষ্ঠীগুলো এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছিল। তবে লা লীগা কর্তৃপক্ষের সাথে এক সমঝোতার পর ফুটবল ভক্তরা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে। সমঝোতায় বলা হয়েছে, এর ফলে জিরোনার সিজন টিকেটধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ফ্যানস ইউনাইটেড বলছে, এই উদ্যোগের কারণে স্প্যানিশ ফুটবল এবং লা লীগা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ভক্তদের কাছেও পৌঁছে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে আছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও রেয়াল মাদ্রিদের বহু ভক্ত। এই দুটো ক্লাবের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ হয়েছিল ফ্লোরিডায়, ২০১৭ সালে। গ্যালারির একটি অংশ। লা লীগায় যেসব টিম খেলে তাদের প্রচুর সমর্থক রয়েছে আমেরিকায়। বলা হচ্ছে যে এর ফলে ভক্তরা এখন প্রতিদিন খুব সহজে তাদের টিমকে অনুসরণ করতে পারবে। এই পরিকল্পনাটি নিয়ে লা লীগার সাথে স্প্যানিশ ফুটবলারদের যে ইউনিয়ন আছে তাদের আলোচনা হয়েছে। ফুটবলাররা বলেছেন, এই পরিকল্পনার ব্যাপারে তাদের এখনও কিছু কিছু আপত্তি রয়ে গেছে। তবে এবিষয়ে তারা তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা লা লীগাকে এখনও জানায়নি। আরো পড়তে পারেন: ফেঁসে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড আবেদনকারীরা ড. কামালের ঐক্য প্রক্রিয়া: গুরুত্ব দিচ্ছে আ: লীগ? হংকং এর দ্রুতগামী রেল নিয়ে কেন বিতর্ক গত কয়েক বছর ধরেই লা লীগার কিছু ম্যাচ উত্তর আমেরিকায় আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। "লা লীগাকে আমরা একটি বিশ্ব ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করছি। এবং সেই লক্ষ্যেই আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি," বলেন লা লীগার গ্লোবাল কিউনিকেশন কর্মকর্তা ইউরিস এভারস। শুধু তাই নয়, এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে লা লীগা সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের অফিস খুলেছে। তার মধ্যে রয়েছে দুবাই, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া এবং মেক্সিকো। গঠন করা হয়েছে লা লীগা গ্লোবাল নেটওয়ার্ক নামে আন্তর্জাতিক একটি গ্রুপ যার জন্যে ৪৪ জন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। "লা লীগার জন্যে তারা নতুন বাজার খুঁজে দেখছে। আমরা যাতে ভিন্ন ভিন্ন বাজার সম্পর্কে ঠিক মতো জানতে পারি, কোথায় কী সুযোগ আছে, কোথায় কী ধরনের হুমকি আছে সেগুলোও সম্পর্কে যাতে আমরা ধারণা পেতে পারি সেজন্যে এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে," বলে মি. এভারস। লা লীগার এই কর্মকর্তা মনে করেন, তাদের জন্যে সম্ভাবনায় বাজার হচ্ছে হাঙ্গেরি, চিলি, কোস্টারিকা, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া। তিনি বলেন, জিরোনার মতো ক্লাব যদি ভারতের মতো নতুন একটি বাজারের পেছনে বিনিয়োগ করতে চায় তারা লা লীগার কাছে আসতে পারে। তখন সেখানে কী কী ধরনের সুযোগ আছে, স্পন্সরশীপ কেমন হতে পারে এসব বিষয়ে লা লীগা তাদেরকে সাহায্য করতে পারে।
স্প্যানিশ ফুটবল লীগ লা লীগা তাদের কয়েকটি ম্যাচ উত্তর আমেরিকার মাঠে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ১০৩টি আসনের ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। নির্বাচনের ছয় মাস পরে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র-ভিত্তিক যে ফলাফল প্রকাশ করেছে সেটি পর্যালোচনা করেই এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ৭৫টি আসনের ৫৮৬টি কেন্দ্রে যতগুলো বৈধ ভোট পড়েছে, তার সবগুলোই পেয়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। এসব কেন্দ্রে ধানের শীষ কিংবা অন্য প্রার্থী কোন ভোটই পাননি। তবে মাগুরা ২ আসনের একটি কেন্দ্রে সব ভোট পেয়েছে ধানের শীষ। যদিও সে আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করেছে। নির্বাচনে অনিয়মের আরেকটি দিক হচ্ছে, অন্তত পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গণনার পরে রিটার্নিং অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, তার সাথে সর্বশেষ প্রকাশিত কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলের কোন মিল নেই। সুজনের প্রতিবেদন বলছে, ৭৫টি আসনের ৫৮৬টি কেন্দ্রে যতগুলো বৈধ ভোট পড়েছে, তার সবগুলোই পেয়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। উদাহরণ হিসেবে সুজন তুলে ধরেছে, চট্টগ্রাম-১০ আসনের কথা। এই আসনে গণ-সংহতি আন্দোলনের সৈয়দ মারুফ হাসান রুমী কোন ভোট পাননি। অর্থাৎ তিনি শূন্য ভোট পেয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছিলেন রিটার্নিং অফিসার। কিন্তু কয়েকদিন আগে প্রকাশিত কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, তিনি ২৪৩ ভোট পেয়েছেন- জানাচ্ছে সুজন। সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ১০৩টি আসনের ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। এ বিষয়টি কোনক্রমেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেও তারা উল্লেখ করেছে। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ফলাফল পর্যালোচনা করে চরম অসঙ্গতি এবং কারচুপি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। মি. মজুমদার বলেন, "সুষ্ঠু নির্বাচন তো হয় নাই। এর মধ্যে অনেক অসঙ্গতি, অনিয়ম এবং জালিয়াতি আছে। এ ব্যাপারে অনেকেরই দায় আছে। তবে সবচেয়ে বড় দায় আছে নির্বাচন কমিশনের।" আরো পড়তে পারেন: ১৯৭ কেন্দ্রে শতভাগ, হাজারো কেন্দ্রে ৯৫-৯৯% ভোট বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেবার আহ্বান বাংলাদেশ কি গণতন্ত্র থেকে ছিটকে পড়ছে? চট্টগ্রামে ভোটের আগে ব্যালট বাক্স ভরা পেলেন বিবিসি'র সাংবাদিক সুজনের এই পর্যালোচনা প্রতিবেদন নিয়ে নতুন করে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। তবে কয়েকদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়া স্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচন-কালীন অথবা গেজেট প্রকাশের আগে কেউ যদি অভিযোগ করতো সুনির্দিষ্টভাবে, তাহলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখতে পারতো। যেহেতু এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বা কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসেনি, গেজেট নোটিফিকেশন করার পরে আর কিছু করার থাকে না। কিন্তু বদিউল আলম মজুমদার এ ধরনের বক্তব্যের সাথে একমত নন। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারতো। এমনকি নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বাতিল করারও ক্ষমতা রয়েছে বলে মি: মজুমদার উল্লেখ করেন। আরো পড়তে পারেন: 'ক্রিস্টাল মেথ বা আইস' শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর? নকল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে 'অর্থ চুরি' ভারতে 'গো-মাতার জয়' বলতে বাধ্য করা হল ২৫জনকে ঢাকার তিন সড়কে রিকশা বন্ধ নিয়ে পাঠকের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের মাত্রা কতটা ব্যাপক ছিল তার কিছু খণ্ড চিত্র উঠে এসেছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজনের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কাসেম সোলেইমানি তেহরান কঠোরতম প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামিনি বলেছেন, "অপরাধীদের জন্য ভয়াবহ প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।" ইরানের সেনাবাহিনীর (ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডস বা আইআরজিসি) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রমজান শরিফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, "ইরান এবং আমেরিকা তোমরা কড়া জবাবের জন্য অপেক্ষা করো।" দেশের বাইরে ইরান যে তার সামরিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে চলেছে তার পেছনে মূল ব্যক্তিটি ছিলেন কাসেম সোলেয়মানি। লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনের মত দেশগুলোতে তেহরান-পন্থী যে শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো এখন পরাক্রমশালী হয়ে উঠেছে, তিনিই ছিলেন এর রূপকার । ফলে বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের এক নম্বর টার্গেট ছিলেন ইরানি এই জেনারেল। আরও পড়ুন: বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে হামলা ক্ষুব্ধ জনতার ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঘটছে ইরাকে? ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া নেতা মাহদি আল মুহানদিসও (কেন্দ্রে) মি সোলেইমানির সাথে নিহত হয়েছেন সংবাদদাতারা বলছেন, ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ বুশ এবং তারপর বারাক ওবামা পর্যন্ত তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেও পরিণতির কথা ভেবে পরে পেছপা হয়েছিলেন। এ কারণে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আগামি নির্বাচনে ডেমোক্রাটদের সম্ভাব্য প্রার্থী জো. বাইডেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প 'একটা বারুদের বাক্সে ডিনামাইট ছুঁড়ে দিয়েছেন।' তিনি বলেছেন, "আমরা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন বড় ধরনের যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গেলাম।" এখন প্রশ্ন হচ্ছে কাসেম সোলেইমানি মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু হওয়া স্বত্বেও তার পূর্বসূরিরা যে ঝুঁকি নিতে চাননি, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন কেন তা নিলেন? পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা হলো, কাসেম সোলেইমানি ইরাকে মার্কিন কূটনীতিক এবং সৈন্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল, সুতরাং আগে থেকেই তাকে হত্যা করে সেসব পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হলো। তবে এমন সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ড ঘটালেন যখন কিছুদিন আগেই তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস, এবং এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি দেখতে শুরু করেছেন। কাসেম সোলেইমানির গাড়িতে ড্রোন হামলার পর ধ্বংসস্তূপ যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের সাংবাদিক জুলিয়ান বার্গার লিখেছেন, নভেম্বরে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সোলেইমানিকে হত্যার এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি মনে করছেন, ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার যে ঘটনা বারাক ওবামার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রচারণায় প্রধান একটি বিষয় হয়ে উঠেছিল, মি. ট্রাম্প হয়তো সেরকমই কিছু করতে চেয়েছেন। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন বলছেন, অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে আমেরিকানরা এখন কেন এই 'ট্রিগার' টিপলো, তার কারণ হয়তো প্রেডিসন্ট ট্রাম্প মনে করেছেন এই হত্যাকাণ্ডের যে ঝুঁকির মাত্রা তার চেয়ে সুবিধার পাল্লা ভারি। "তিনি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) হয়তো মনে করেছেন অব্যাহত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় ইরান দুর্বল-একঘরে হয়ে পড়েছে। দেশের ভেতরে যে প্রচণ্ড অসন্তোষ শুরু হয়েছে তাতে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া হলেও, ইরান বড় কোনো হুমকি তৈরি করতে পারবে না।" ডোনাল্ড ট্রাম্প্র জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কি করতে পারে ইরান 'দুর্বল ইরান' তেমন কিছু করতে পারবে না বলে মি ট্রাম্প হয়তো যে ভরসা করছেন, বাস্তবে তা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিবিসির জেরেমি বোয়েন। "কূটকৌশল বা পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিস্টার সোলেইমানি ছিলেন খুবই ক্ষুরধার। সুতরাং তাকে কখনো হত্যা করা হলে, কি করতে হবে তেমন পরিকল্পনাও হয়তো তিনিই করে গেছেন। ইরান যে তার হত্যার একটা জবাব দেবে, তা নিশ্চিত। সোলেইমানি এতদিন ধরে দেশের বাইরে ইরানের যে প্রভাব প্রতিপত্তি তৈরি করেছেন, তা টিকিয়ে রাখার সর্বোত চেষ্টা ইরান করবে।" ইরান এবং আমেরিকার মধ্যে একটা যুদ্ধ লেগে যেতে পারে, এই শঙ্কা সন্দেহ গত বছর খানেক ধরে চলছিল, কিন্তু সেই সাথে যুদ্ধ এড়ানোর একটা চেষ্টাও তলে তলে চলছিল। ফ্রান্স এই দুই শত্রুর মধ্যে একটা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লিস ডুসেট মনে করছেন, মি সোলেইমানি এবং ইরাকি একটি শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীর (পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স) প্রধান আবু মাহদি আল মোহানদিসকে হত্যার পর যুদ্ধ এড়ানোর সেই চেষ্টা ধসে পড়বে সন্দেহ নেই। কিন্তু কিভাবে ইরান প্রতিশোধ নেবে - পরিষ্কার করে অনুমান করা শক্ত। কাসেম সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের প্রতি শোক প্রকাশ করছেন ইরানের রেভলুশনারি গার্ডের সদস্যরা, তেহরান, ০২/০১/২০২০ তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরী বৈঠক হচ্ছে। সেখান থেকেই হয়তো একটা ছক তৈরি হবে। লিস ডুসেট মনে করেন, 'বদলা নেওয়ার নানা রাস্তা এবং উপায় ইরানের রয়েছে।' মি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক একজন সদস্য কার্সটেন ফনটেনরোজকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখছে, ইরানের এই বদলা হয়তো দীর্ঘমেয়াদী এবং নানামুখী হবে। তিনি বলছেন ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা হয়ত তাৎক্ষনিক-ভাবে কিছু হামলা চালাবে, কিন্তু ইরান হয়তো "উপযুক্ত সময় এবং স্থানের জন্য অপেক্ষা করবে।" তিনি বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি পশ্চিম আফ্রিকা বা দক্ষিণ আমেরিকাতেও মার্কিন স্বার্থ এবং নাগরিকরা হামলার মুখে পড়তে পারে, এবং এই ঘটনা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। "ইরান এমন একটি বার্তা দিতে চাইবে যে আমেরিকানরা কোথাও নিরাপদ নয়।"
ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী সেনা অধিনায়ক কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পরিণতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ শুরু হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
রক্তদান কর্মসূচি তবে এতে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যার ফলে রক্তদান নিয়ে ভুল ধারণা বা বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এখানে এমন কিছু বিভ্রান্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ভেজিটেরিয়ানরা স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে পারেন না এই শঙ্কাটা তৈরি হয়েছে রক্তে আয়রনের মাত্রার ওপর। ভেজিটেরিয়ান বা নিরামিষাশীদের খাদ্যে আয়রন কম থাকে বলে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করেন তাহলে রক্তে আয়রন কম হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। তবে আপনার রক্তে যদি আয়রন সত্যি কম থাকে, তাহলে নিরাপত্তার স্বার্থেই আপনাকে রক্ত দিতে দেয়া হবে না। বেশিরভাগ দেশে রক্তদানের আগে হিমোগ্লোবিন টেস্ট করে জেনে নেয়া হয় রক্তদানকারী অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন কি না। অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বা, শিশু কিংবা বয়োবৃদ্ধ হলে রক্ত দিতে পারবেন না এই কথাটা সত্যি। যারা এইচআইভি পজিটিভ (এইডস আক্রান্ত), হেপাটাইটিস, সিফিলিস, টিবি, এবং রক্ত-বাহিত আরো কিছু রোগে যারা আক্রান্ত তারা রক্ত দান করতে পারবেন না। ঢাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের রক্ত সংগ্রহ কর্মসূচি। ঠান্ডা, সর্দিজ্বর, খুশখুশে কাশি, পেট খারাপ থাকলেও রক্তদান করতে পারবেন না। যে কোন অসুখ থেকে সম্পূর্ণভাবে সেরে ওঠার ১৪ দিন পর আপনাকে রক্তদান করতে দেয়া হবে। আপনি যদি অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে থাকেন তবে কোর্স শেষ হওয়ার সাত দিন পর আপনি রক্ত দিতে পারবেন। অন্যান্য ওষুধের ক্ষেত্রে একেক দেশে একেক রকম নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি অন্তঃসত্ত্বা কিংবা প্রসূতি হন, শিশুকে স্তন্যদান করেন, কিংবা আপনার যদি অ্যাবোরশন হয়ে থাকে, তাহলে রক্তে আয়রনের মাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে রক্তদানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। রক্তদানের জন্য নূন্যতম বয়স হচ্ছে ১৬ বছর। বেশিরভাগ দেশে এই বয়সী তরুণদের রক্তদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতি লাগে। রক্ত দেয়ার সময় এই বয়সী তরুণদের জ্ঞান হারানোর ঝুঁকিও বেশি থাকে। নিয়মিত রক্তদানকারীদের কোন সর্বোচ্চ বয়সসীমা নেই। কোন কোন দেশে এটা ৬০-৭০ বছর। যেসব দেশে গড় আয়ু কম সেখানে প্রথমবারের মতো রক্তদানকারীদের সম্পর্কেও সতর্ক হতে হয়। 'ঝুঁকিপূর্ণ' যেসব কাজ রক্তদানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ঋতুস্রাবের সময়ও নারীরা রক্তদান করতে পারবেন। জীবনে নানা ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। রক্তদানের ক্ষেত্রে সেগুলো সমস্যা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, 'ঝুঁকিপূর্ণ যৌনাচার', যেমন বহুগামিতা, অর্থের বিনিময়ে যৌনসংগম, পুরুষ সমকামিতা ইত্যাদি রক্তদানে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই রক্তদানের অনুমতি দেয়া হয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে যারা নেশা করেন তারাও রক্ত দিতে পারবেন না। মশা-বাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং যিকা ভাইরাসের প্রকোপ রয়েছে যেসব দেশে সেখান থেকে আসা কারও দেহ থেকে রক্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। অনেক দেশই এসব 'ঝুঁকিপূর্ণ' কাজে নিয়োজিতদের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করে না। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক-ভিত্তিক কোন নিষেধাজ্ঞা বৈষম্য তৈরি করতে পারে। রক্তদান করলে কেউ মারা যায় না দেহের ওজনের বিবেচনায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে গড়পড়তা পাঁচ লিটার রক্ত থাকে। প্রতিবার রক্তদানের সেশনে ৫০০ মিলিলিটার করে রক্ত নেয়া হয়। রক্তদানের পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন রক্ত তৈরি হয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করে। কঠোর বিধিনিষধের কারণে সমকামী পুরুষদের জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করা কঠিন। সব মিলিয়ে যদি... ... তাহলে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীর তালিকায় আপনার নামও উঠতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী সব মানুষই স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারবেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে হারার পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলে সাড়া জাগানো পরিবর্তন দেখা যায়। যা পরিলক্ষিত হয়েছে পরবর্তীতে ক্রিকেটের রেকর্ড উল্টে -পাল্টে দেওয়া দাপুটে সব ম্যাচগুলোতে। বিবিসি স্পোর্টে একটি সাক্ষাৎকারে ২০১৫ সালের স্মৃতিচারণ করলে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান দুটো ম্যাচের কথা বলেন, একটিতে ইংল্যান্ড ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যা নিউজিল্যান্ড ১২.২ ওভারে তাড়া করে। আরেকটি ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। মরগ্যান বলেন, বাংলাদেশ ২৭৫ রান তোলে এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানরা সেই রান তাড়া করার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে চাপের মুখে হার মানে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ জয়ের পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ক্রিকেটের কিছু খবর: বাংলাদেশের ক্রিকেট কি পেছন দিকে হাঁটছে? বাংলাদেশের মানুষের ভারতবিদ্বেষ কি শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই? টানা ৬ বার বোল্ড তামিম ইকবালকে বাদ দেয়ার সময় এসেছে? ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড কীভাবে কাজ করে? 'একটি ফোন কলে আমূল পরিবর্তন' একটি ফোন কল ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে আমূলভাবে বদলে দেয় বলে মনে করা হয়। ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেট ডিরেক্টর ও সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস মরগ্যানকে ফোন দিয়ে বলেন, শুধু কোচ পরিবর্তন করা হবে, একটি দল গঠন করা হবে এবং দলটিকে যথেষ্ট সময় দেয়া হবে। এরপর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ওপেনিং জুটি থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডারে লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন আসে। বিশেষত লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড, যেখানে ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেটরাও ব্যাট চালাতে পারেন। পেস বোলিং অলরাউন্ডার, মঈন আলী ও আদিল রশিদের মতো কার্যকরী স্পিনার এবং সাথে শুরুতে দ্রুত গতিতে রান তোলার মতো ওপেনিং জুটি তৈরি হওয়ার পর ইংল্যান্ড বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দলগুলোর একটি হয়ে ওঠে। জেসন রয়ের উদ্বোধনী শুরুর সাথে বেন স্টোকস ও ইয়ন মরগ্যানের মিডল অর্ডার জুটি এবং শেষদিকে লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটিং মিলিয়ে ইংল্যান্ড প্রতিপক্ষের বোলারদের জন্য কঠিন দল হয়ে ওঠে। ২০১৫ বিশ্বকাপের আগেও ইংল্যান্ডের এই দলেরই অনেক সদস্যরা ছিলেন, কিন্তু মূলত যে পরিবর্তন আসে সেটা দলের মানসিকতায়। শুধু মারকাটারি ব্যাটিংই নয়, আধুনিক ক্রিকেটের সাথে তাল মিলিয়ে অলরাউন্ডার ভিত্তিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠে ইংল্যান্ড দলে। যার ফলে অনেক সময় বিশেষজ্ঞ বোলার ছাড়াই ম্যাচ বের করে আনে ইংল্যান্ড। মোটামোটি ৩ ফরম্যাটে আলাদা দলও গঠন করে তারা। মরগ্যান বলেন, সবাই তখন ৩০০-৩৩০ রান করছিল, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। ইংল্যান্ডকেও সেটাই করতে হবে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড মোট চারবার ৪০০ রান করে। যা ক্রিকেট ইতিহাসের জন্য একটা পরিবর্তন। বাংলাদেশ কি পারবে ইংল্যান্ড থেকে শিক্ষা নিতে? অপরদিকে এবারের টুর্নামেন্টে 'আত্মবিশ্বাসী' থাকলেও ৮ ম্যাচের তিনটিতে জয় পায়, পাচঁটিতে হেরে গিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে বাংলাদেশ। স্থান হয় আট নাম্বারে।। সর্বশেষ ১১ ম্যাচে আটটিতেই হেরে যায় দলটি। পরে সর্বশেষ শ্রীলংকার সাথে ৩-০ ব্যবধানের হারে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে হারের ধরণ। কোন ম্যাচেই শ্রীলংকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হারের পর শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ১২২ রানে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অষ্টম হওয়ার পর প্রধান কোচ স্টিভ রোডসকে ছাটাই করা হয় সমঝোতার মাধ্যমে, বিসিবি থেকেই জানানো হয় পারষ্পরিক আলোচনার ভিত্তিতেই কোচের চুক্তির মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়। এরপর পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশীর সাথেও চুক্তি বাড়ানো হয়নি। নতুন পেস বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট ও স্পিন বোলিং উপদেষ্টা ঘোষণা করা হয়েছে ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে। এই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কি ইংল্যান্ড দল থেকে শিক্ষা নিতে পারবে? -এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার সাথিরা জেসি বিবিসি বাংলাকে বলেন , বাংলাদেশের যথেষ্ট ক্রিকেটার নেই এমন কোন পরিকল্পনা সফল করতে যে ক্ষেত্রে সব ঢেলে সাজানো যাবে। "আমাদের বোলিংয়ের জায়গাটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, যেটা আমাদের শক্তিমত্তার জায়গা ছিল।" "বিশ্বকাপে খারাপ করার পর আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি দেখা গিয়েছে, পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট ক্রিকেটার প্রয়োজন হয়।" ব্যাটিং বা নেতৃত্ব দুই দায়িত্বেই ব্যর্থ তামিম ইকবাল। "ধরুন সাকিব খেলছে না, তার বিকল্প কে? মুশফিক না খেললে তার বিকল্প কে হতে পারে? বিকল্প না থাকলে পরিবর্তন তো সম্ভব নয়।" "ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড টার্গেট করেই খেলেছে ২০১৯ বিশ্বকাপ জিতবে, বাংলাদেশ এমন লম্বা পরিকল্পনা কখনোই করে না, শোনা যায় যে পরবর্তী বিশ্বকাপ নিয়ে কাজ করছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট রিসোর্স থাকে না যে একটা পরিকল্পনা ধরে রাখবে।" পরিবর্তনের দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন মিজ জেসি, "এতো পরিবর্তন হয় যে পরিবর্তনের সাথে তাল মেলানো কঠিন, বিশ্বকাপ খারাপ গেলো কোচ পরিবর্তন করা হয়েছে।" "হাতে যে অপশন নেই এটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন। এখন অনুর্ধ্ব ১৯ বা এ দলের দিকে নজর রাখা যায় তাহলেও কিছুটা সম্ভব। বাংলাদেশের মূল সমস্যা কোন বিষয় ফিক্সড নয়।" বিবিসি বাংলার আরো কিছু খবর: ভুতুড়ে এক শহরে রূপার খোঁজে ২২ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২০জন নিহত বিশ্ব কি নতুন পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার মুখে?
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাথে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড দল। আর পরেরবার অর্থাৎ এবার তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
এ ভাইরাসের কারণে মানবদেহে এমন কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে যেটির প্রভাব বেশ মারাত্মক। করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত নতুন রোগেরও সন্ধান মিলছে। এর নাম হচ্ছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম। এপ্রিল মাসে সর্ব প্রথম ব্রিটেন এবং আমেরিকায় বেশ কিছু শিশুর মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে। এটি মূলত শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেনে এই রোগ শনাক্ত হবার পরে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্ত কিছু শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে। গত ১৫ই এবং ২৭শে মে বাংলাদেশে দুটি শিশুর মধ্যে এই রোগের উপস্থিতি পাওয়া যায়। বিরল এই রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ৩ মাস এবং আরেক শিশুর বয়স ২ বছর দুই মাস। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, " দুজন শিশুরই যথাক্রমে ৫ ও ৭ দিন ধরে ১০২ এবং ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর ছিল। এর সাথে ছিল ডায়রিয়া, চোখ ও ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া এবং পায়ের হালকা ফোলা ভাব।" চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগে শিশুদের আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, যেহেতু এই রোগটি করোনাভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত, সেজন্য মহামারির সময় শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। এই রোগের লক্ষণগুলো কী? যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে শিশুদের মধ্যে যদি নিচের লক্ষণগুলো থাকে তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে - • জ্বর থাকবে •পেটে ব্যথা • ডায়রিয়া • বমি •ঘাড়ে ব্যথা •র‍্যাশ •চোখ লাল হয়ে যাওয়া •বেশি ক্লান্ত অনুভব করা তবে সব শিশুর ক্ষেত্রে একই রকমের উপসর্গ নাও থাকতে পারে বলে সতর্ক দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। সংস্থাটি বলেছে আরো কিছু উপসর্গ থাকতে পারে এই রোগের ক্ষেত্রে। এগুলো হচ্ছে. •শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা •বুকে চাপ ও ব্যথা অনুভব করা •জেগে থাকতে কষ্ট হওয়া •ঠোঁট এবং মুখ নীলাভ হয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ থেকে শিশুদের রক্ষার করার উপায় হচ্ছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, ঠিক একই ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম-এর ক্ষেত্রে। ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেখানে যে দুটি শিশুর ক্ষেত্রে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম-এর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন ভারত ও চীনের সেনা প্রত্যাহার কতটা ফলপ্রসূ হবে আইসোলেশনে থাকলে যে সাতটি কাজ করবেন সাপের কামড়ে 'দশ লাখের বেশি' মানুষের মৃত্যু রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল কীভাবে?
করোনাভাইরাস মানুষের উপর কী ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে সেটি নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য যোগ হচ্ছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ইস্পাহানের শাহ মসজিদ: ইরানের একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থাপনা এই হুমকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে দিয়েছিলেন গত শনিবার। তিনি বলেছিলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানলে পাল্টা জবাব দেয়ার জন্য ইরানের ৫২টি টার্গেট বাছাই করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্যে অনেক সাংস্কৃতিক স্থাপনাও আছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই হুমকি দিয়েছিলেন ইরান তাদের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর। রবিবার আবারও এই হুমকির পুনরাবৃত্তি করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পক্ষে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, 'যদি ওরা মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করে, নির্যাতন করে, রাস্তার ধারে বোমা মেরে মার্কিনীদের উড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরা কেন ওদের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারবো না?" তার এই কথার সমালোচনা শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই নয়, স্বদেশেও হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একে সরাসরি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এই কাজ করেন, সেটা হবে যুদ্ধাপরাধের সামিল। ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধ সম্পর্কিত যে জেনেভা কনভেনশন, তার ৫৩ ধারার কথা উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, কোন ধরনের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা, এতে একেবারেই নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেট দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নপ্রার্থী, তিনিও মন্তব্য করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসলে যুদ্ধাপরাধ করার হুমকি দিচ্ছেন। আর সবচেয়ে কঠোর জবাব এসেছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের কাছ থেকে। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকিকে ইসলামিক স্টেট যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সাংস্কৃতিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল, তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। অন্যান্য খবর: কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? সোলেইমানির জানাজায় কাঁদলেন আয়াতোল্লাহ খামেনি পরমাণু চুক্তি আর না মানার ঘোষণা দিলো ইরান তিনি বলেছেন, "হাজার বছর ধরে যে বর্বররা এসে ইরানের নগরীগুলো ধ্বংস করেছে, সভ্যতা ধ্বংস করেছে, পাঠাগার পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা এখন কোথায়? ইরানিরা এখনো দাঁড়িয়ে আছে আরও শক্তিশালী হয়ে।" যুদ্ধ চেষ্টা থামাতে ডেমোক্রেটদের চেষ্টা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যেসব রণহুংকার দিচ্ছেন, তাতে তিনি কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারেন, এমন আশংকা তৈরি হয়েছে ডেমোক্রেটদের মধ্যে। ইরানের প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান পার্সেপোলিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় সব নেতাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেপরোয়া ইরান-নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। জো বাইডেন বলেছেন, জেনারেল সোলেইমানি যত খারাপ লোকই হোক, মনে রাখতে হবে তিনি ইরান সরকারের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, তাকে হত্যার ফলে ইরান এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিচ্ছে। সেনেটর চাক শুমার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশু হুমকি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটদের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা সীমিত করতে তিনি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তাব আনবেন। এর লক্ষ্য হবে ইরানের বিরুদ্ধে যে কোন সামরিক ব্যবস্থা যেন ৩০ দিনের বেশি দীর্ঘ না হয়। অন্যদিকে দুজন ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্য এমন বিল আনার ঘোষণা দিয়েছেন, যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একতরফাভাবে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধই ঘোষণা করতে না পারেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ভাষায় ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনাকেও হামলার টার্গেট করা হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছেন, তাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামণি। গণমাধ্যমে মুক্তামণির শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর দেখে কয়েকদিন আগে বাবা ইব্রাহিম হোসেনকে ফোন করে খোঁজ নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন। বিবিসির সাথে আলাপকালে মি: সেন বলছিলেন, মুক্তামণির হাতের ছবি পাঠানোর পাশাপাশি তিনি প্রয়োজনে মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে আসার কথাও বলেন তার পরিবারকে। তবে মুক্তামণি কোন অবস্থায় ঢাকায় আসতে রাজী হচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন বাবা ইব্রাহিম হোসেন। "এছাড়া মেয়ের সুস্থতার কোন লক্ষণ না দেখে তার মধ্যেও কোন আগ্রহ দেখা যায়নি," বলেন ডা: সেন। পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে থাকলে সাতক্ষীরা সদরে তার চিকিৎসা চালিয়ে নিয়ে যেতে ড. সামন্ত লাল গতকাল একটি অ্যাম্বুলেন্সে দুজন সিভিল সার্জনকে পাঠান। কিন্তু কোন অবস্থাতেই চিকিৎসার জন্য রাজী হয়নি মুক্তামণির পরিবার। মুক্তামণির বাবা মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন। রোগমুক্তির কতটা আশা ছিল? মুক্তামণির শতভাগ আরোগ্য সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তার হাতে ওই বিরল রোগের পাশাপাশি ফুসফুস ও লিভারেও সমস্যা ছিলো বলে জানা গেছে। "এছাড়া অতিরিক্ত রক্তশূণ্যতা ও হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির কারণে তার হার্ট ফেইলিওর হতে পারে," বলে ধারণা করছেন ড. সামন্ত লাল। তিনি বলেন, "গত কয়েকদিন থেকেই মুক্তামণির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শুনেছি তার হাত অনেক ফুলে গিয়েছিলো, ক্ষতস্থান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিলো, পোকা বের হচ্ছিলো। আর হাতের ওই পচন শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ছিলো। এই কয়দিন মেয়েটিকে অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে।" দেড় বছর বয়স থেকে রক্তনালীতে টিউমার বা হেমানজিওমা নামে এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয় শিশু মুক্তামণি। ছয়মাস ধরে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গত ডিসেম্বরে তারা গ্রামের বাড়ি ফিরে যান। আরো পড়তে পারেন: দিনে দিনে বুড়িয়ে যাচ্ছে ১১ বছরের নীতু বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামণি কী ঘটেছিল তখন? গত বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তামণির বিরল রোগের খবরটি গণমাধ্যমে এলে তখন তার চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারের তরফ থেকে বহন করার খবর আসে সংবাদ মাধ্যমে। এরপর ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে মুক্তামণির চিকিৎসায় গঠিত হয় বোর্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ধরা পড়ে মুক্তামণির হাত রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত। ড. সামন্ত লালের তত্ত্বাবধানেই গত বছর মুক্তামণির অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছিলো। তখন তার হাতে তিন কেজি ওজনের টিউমারটি অপসারণ করা হয়। সে কোনদিন পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবে না বলে সেসময় জানিয়েছিল চিকিৎসকরা। কারণ তার শরীরের আরও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নষ্ট হয়ে গেছে। শিশুদের রক্তনালীর টিউমার হেমানজিওমা খুব একটা জটিল রোগ নয় বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু মুক্তামণির ক্ষেত্রে চিকিৎসার অভাবে ডান হাতের টিউমারটি মারাত্মক রূপ নেয়। বাড়িতে কিছুদিন মুক্তামণি ভালো থাকলেও, পরবর্তীতে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। কয়েক দিন আগে মুক্তামণির স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গেলে তারা বাবা ইব্রাহিম হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানান, একদিন দেরী করে ড্রেসিং করতে গিয়ে দেখেন মুক্তামণির হাতের ক্ষতস্থান থেকে পোকা বের হচ্ছে। এছাড়া হাতের কয়েকটি স্থানে গর্তের মতো হয়ে সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছিল বলেও জানান তিনি। অস্ত্রোপচার করে হাতে যে চামড়া লাগানো হয়েছিলো সেগুলো পচে গিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করছিলেন মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন।
সাতক্ষীরায় রক্তনালীতে টিউমারে আক্রান্ত ১২ বছরের শিশু মুক্তামণি মারা গেছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়ি সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামে তার মৃত্যু হয় ।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নারী ৯৬ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে নারী প্রেসিডেন্টের অপেক্ষায় আছেন আর কারও জন্য এ দিনটি হতে যাচ্ছে ৯৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। ১৯২০ সালের ১৮ই অগাস্টের আগে যুক্তরাষ্ট্রে যারা জন্ম নিয়েছেন তারা এমন একটি দেশে বেড়ে উঠেছেন যে দেশটিতে নারীদের ভোট দেয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। ৯৮ বছর বয়সী এস্তেলে স্কাল্টজও এমন একজন নারী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন এবং তার সারাজীবনে শিক্ষাবিদের কাজ করে চলেছেন। শৈশবে এস্তেলে তাঁর মায়ের সাথে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন কিভাবে মানুষ ভোট দিচ্ছে তা দেখার জন্য। কিন্তু এস্তেলে হার্টের গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন এবং বর্তমানে তিনি কারণে হাসপাতালের পরিচর্যায় রয়েছেন, কিন্তু তিনি বলেছেন "আমি আরও বাঁচতে চাই, আমার দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের নির্বাচন আমি দেখে যেতে চাই"। অক্টোবর মাসে তিনি তার পোস্টাল ব্যালটে লিখেছেন "কতটা গ্লানিকর ছিল অতীতের দিনগুলো" এবং পোস্টাল ব্যালটসহ এস্তেলের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তাঁর নাতি সারাহ। আরও পড়ুন: আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে এত আগ্রহ কেন? হিলারির ইমেইলে দোষের কিছু নেই:এফবিআই ৯৮ বছর বয়সী দাদির অনুরোধে তাঁর পোস্টাল ব্যালটসহ ছবি পোস্ট করেন নাতি সারাহ সেই ছবিটি খুব তাড়াতাড়ি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে দেখে সারাহ ও তার পরিবার এমন মানুষ খুঁজতে থাকে যারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও নারীকে প্রেসিডেন্ট হতে দেখবেন, কোনও নারী প্রার্থীকে তারা ভোট দিবেন। এস্তেলের মতো আরও অনেক প্রবীণকে খুঁজে পাওয়া যায় যারা নারী প্রেসিডেন্টের অপেক্ষায় রয়েছেন এবং এ থেকেই জন্ম হয় ওয়েবসাইট 'আই ওয়েটেড নাইনটি সিক্স ইয়ারস' অর্থাৎ '৯৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি"। এই ওয়েবসাইটে দেখা মেলবে সেসব নারীর যারা কোনও নারী প্রার্থীকে ভোট দেবার অপেক্ষায় ছিলেন। হিলারি ক্লিনটনের এই প্রবীণ সমর্থকদের বিভিন্ন গল্প ও মন্তব্যও পাওয়া যাচ্ছে এখানে। কয়েকজন নারী এতটাই বৃদ্ধ যে তারা মনে করতে পারছেন না কবে নারীরা ভোট দেবার অধিকার পেলেন। ১০২ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট গেরালডাইন জেরি এমেটও নারী প্রার্থীকে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী পাশের মাধ্যমে দেশটিতে নারীরা ভোট দেবার অধিকার পায়। ১৯১৯ সালের ৪ঠা জুন এই সংশোধনী কংগ্রেসে পাশ হলেও এ প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায় ১৯২০ সালের ১৮ই অগাস্ট। সংবিধানের এই ১৯তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নারীর ভোট দেয়ার অধিকার আছে। " আমার মনে আছে সেই দিনটির কথা, যেদিন আমার মায়ের সাথে ঘোড়ায় করে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলাম, তখন প্রথমবারের মতো নারীরা ভোট দিয়েছিল"-বলছিলেন ১০৩ বছর বয়সী জুলিয়েট বার্নস্টেইন । তিনি থাকেন ম্যাসাচুসেটসে, ১৯১৩ সালে জন্ম নেয়া এই নারী মায়ের উৎসাহেই ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। ১০২ বছর বয়সী ইউগেনিয়া পার্কিন্স বলেছেন তিনি বরাবরই নারীবাদী। শিকাগো থেকে ৯৮ বছর বয়সী বিয়াট্রিস লাম্পকিন বলছেন "আমার মা ছিলেন সেসব নারীদের একজন যারা প্রথম তাদের চুল ববকাটে ছেঁটে ফেলেন এবং নিজেরা লং স্কার্ট ছেড়ে ছোট ছোট স্কার্ট পড়া শুরু করেন"। "এটা পুরাটাই ছিল আমাদের অধিকারের বিষয়, যা ভোটাধিকারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের যে দাবি ছিল, সেটা পাবার পর কতটা যে গর্ববোধ করেছিলাম এই বৃদ্ধ বয়সেও আমি সেটা অনুভব করি"-বলেন মিস লাম্পকিন।
৮ই নভেম্বর, লাখ লাখ আমেরিকান নারীর জন্য হতে যাচ্ছে বিশেষ একটি দিন, কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই দিনে তারা কোনও নারী প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। যে সুযোগটি অনেকের জীবনে আগে কখনও আসেনি।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
তিন দশক মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হোসনি মোবারক মিসরে গণঅভ্যুত্থানের আগে তিনি প্রায় তিন দশক দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১১ সালে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হারান। মিসরের উত্তরাঞ্চলে কাফর আল মেসেলহায় ১৯২৮ সালের ৪ঠা মে জন্ম নেয়া মিস্টার মোবারক নিজেও সামরিক বাহিনীর লোক ছিলেন। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা সত্ত্বেও তিনি ১৯৪৯ সালে মিসরের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। পরে বিমান বাহিনীতে বদলি হয়ে ১৯৫০ সালে কমিশন প্রাপ্ত হন। ১৯৭২ সালে তিনি বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। মূলত বিমান বাহিনী প্রধান ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার হওয়ার পরই তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যু্দ্ধের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলার তিনিই ছিলেন পরিকল্পনাকারী। পরে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানান ১৯৭৫ সালে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মোহাম্মদ মোরসি: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্টের উত্থান ও পতন গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মিশরেরর প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত মিশরে দিনে স্বাধীন আর রাতে কারাবন্দি যারা ২০১৪ সালে বিচারের সময় হোসনি মোবারক ১৯৮১ সালে আনোয়ার সাদাত সামরিক বাহিনীর হাতেই নিহত হন ও এ ঘটনায় হোসনি মোবারকও আহত হন। পরে জাতীয় গণভোটে মিস্টার মোবারক প্রেসিডেন্ট হন যেখানে তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর ২০১১ সালে আরব বসন্তের ঢেউ লাগে মিসরে এবং এক পর্যায়ে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন মিস্টার মোবারক। চার মাস পরেই বিচারের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। ২০১২ সালে যাবজ্জীবন দণ্ড হয় তার। এর ছয় মাস পর এ দণ্ড বাতিল করা হয় ও পুনরায় বিচারের আদেশ দেয়া হয়। তাকে কায়রোর একটি সামরিক হাসপাতালে বন্দী রাখা হয়। অবশ্য ২০১৭ সালে মিসরের সর্বোচ্চ আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় এবং তিনি মুক্তি পান।
মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক কায়রোর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
যুক্তরাজ্যের একটি জরিপ বলছে, পারিবারিক সান্নিধ্যে থাকা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌনতা বা গর্ভধারণের হার কমছে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী একহাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর চালানো জরিপে দেখা যায়, তাদের মদ্যপানের পরিমাণও আগের চেয়ে অনেক কমেছে। ব্রিটেনের গর্ভধারণ বিষয়ক পরামর্শ সংস্থা বলছে, ব্রিটেনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের গর্ভধারণের সংখ্যা ২০০৭ সালের পর যে রাতারাতি কমেছে, এটি তার হয়তো কারণ হতে পারে। জরিপে অংশ নেয়া দুই তৃতীয়াংশ কিশোর-কিশোরী বলেছেন, তাদের কখনোই যৌন অভিজ্ঞতা হয়নি। তাদের মধ্যে ২৪ শতাংশ বলেছে যে, তারা কখনোই মদ্যপান করেনি। ব্রিটিশ প্রেগন্যান্সি অ্যাডভাইজারি সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি বিবেচক, শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ পেশাজীবনের প্রতি বেশি মনোযোগী এবং তারা গর্ভধারণ এড়াতে চায়। জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী বলেছে, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা অথবা পছন্দের পেশা বেছে নেয়ার বিষয়টি তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকারের, অন্যদিকে ৬৮ শতাংশ বলেছে যে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে তাদের বেশি ভালো লাগে। তরুণরা বলছে, বন্ধুদের চেয়েও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতো তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে শিক্ষা ও সচেতনতার কারণে যুক্তরাজ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণের হার গত দশবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে তবে জরিপের অংশ হিসাবে তাদের প্রাত্যহিক কর্মতালিকায় দেখা গেছে যে, পড়াশোনার বাইরেই তারা প্রতিদিন অন্তত পাঁচ ঘণ্টা ইন্টারনেটে সময় কাটাচ্ছে। চারভাগের একভাগ কিশোর-কিশোরীর বন্ধুদের সঙ্গে সরাসরি দেখাসাক্ষাৎ হয়। বাকিদের কথাবার্তা হয় অনলাইনে। গবেষকরা বলছেন, বন্ধু বা সঙ্গীদের সঙ্গে যাদের নিয়মিত দেখাসাক্ষাৎ হয়, তাদের মধ্যে যৌনতার ব্যাপারটিও বেশি ঘটে। যুক্তরাজ্যের সব জাতির মধ্যেই অপ্রাপ্তবয়স্ক গর্ভধারণের হার গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমেছে। এখন সেই হার কমে ২০০৭ সালের পর ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। এজন্য স্কুলে যৌনতা বিষয়ক শিক্ষা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবায় ব্রিটিশ সরকারের নীতি বিশেষ অবদান রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আরো পড়ুন: প্রেমে আর যৌনতায় আগ্রহ হারাচ্ছে জাপানী তরুণরা 'চরিত্র গঠনের জন্যই লেখায় এসেছে ধর্মের পাশাপাশি যৌনতা ' শিশুদের সাথে যৌনতায় আগ্রহীদের ফাঁদে ফেলেন যিনি যৌন আনন্দের জন্য গাঁজা ব্যবহার করেন যে লোকেরা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সমকামী ইমাম: আমার হৃদয়ই আমার মসজিদ
যুক্তরাজ্যের একটি জরিপ বলছে, পারিবারিক সান্নিধ্যে থাকা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌনতা এবং গর্ভধারণের হার কমছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
'নিরাপদ মাত্রার মদ্যপান' বলে কিছু নেই, বলছে জরিপ যুক্তরাজ্যে চালানো এক জরিপে বলা হয়েছে এ কথা। গবেষকরা বলছেন, একজন নারী যদি সপ্তাহে ৭৫০ মিলিলিটারে এক বোতল ওয়াইন খান বা সপ্তাহে ১০টি সিগারেট খান - তাহলে তার ক্যান্সার হবার ঝুঁকি হবে একই সমান। পুরুষের ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক বোতল ওয়াইন বা সপ্তাহে পাঁচটি সিগারেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি সমান সমান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ্যালকোহলের চাইতে ধূমপানের ফলে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি অনেক বেশি । তারা আরো বলছেন, এ ঝুঁকি কমানোর উপায় একটাই - সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ন ছেড়ে দেয়া। যুক্তরাজ্যে সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যগত ক্ষতির দিক থেবে বিবেচনা করলে মদ্যপানের কোন 'নিরাপদ' সীমা নেই। তবে নারী ও পুরুষদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে তারা যেন সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি মদ্যপান না করেন। এর অর্থ হলো, সপ্তাহে ছয় পাইন্ট বিয়ার বা সাত গ্লাস ওয়াইন, বা ১৪ পেগ হুইস্কির বেশি নয়। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে মদ্যপান সম্পর্কে যা জানা যায় 'পরিমিত' মদ্যপান কি আসলেই নিরাপদ? 'মদ্যপান কিংবা সিগারেটের চেয়ে গাঁজা ভালো' নারী ও পুরুষের জন্য এ্যালকোহল পানের উর্ধসীমা বিএমসি পাবলিক হেলথ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি তাদের জরিপে বলছে, এ্যালকোহল পানে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার এবং পুরুষদের লিভার ও অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ-এর বিজ্ঞানী ড. মিনুক শুমেকার বলছেন, ক্যান্সার ঝুঁকির ব্যাপারটি অত্যন্ত জটিল। কাজেই এটা মনে রাখা দরকার যে এ জরিপে অনেক কিছুই অনুমান করে নিতে হয়েছে। "এখানে ক্যান্সারের অনেক অনেক কারণকে বিবেচনায় নেয়া হয় নি। তা ছাড়া এ্যালকোহলের সমানুপাতিক সিগারেটের যে সংখ্যা বলা হয়েছে তা অনেক কম।" "বাস্তবে মানুষ সপ্তাহে ৫-১০টির অনেক বেশি সিগারেট খায়।" নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের 'টোব্যাকো এন্ড এ্যালকোহল স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক জন ব্রিটন বলছিলেন, এ জরিপে এটাও স্পষ্ট যে ধূমপান করা এ্যালকোহল পানের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর। তবে 'অল্প মদ্যপানেরও' যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে - তা এই জরিপটি মানুষকে এটাও বোঝাতে সহায়ক হবে - একথাও বলছেন গবেষকরা। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ঢাকার সব বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হবে: মন্ত্রী এই শতাব্দীর পর কি বিশ্বে মানবজাতি টিকে থাকবে ভারতের যে সম্প্রদায়ে পতিতাবৃত্তিকে ঐতিহ্য ভাবা হয় একাত্তরের যুদ্ধকে কোন চোখে দেখেছে বলিউড ?
আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে এক বোতল ওয়াইন খান, তাহলে আপনার ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ততটাই বাড়বে - যতটা সপ্তাহে পাঁচ থেকে ১০টি সিগারেট খেলে বাড়তো।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
. বিবিসি নিউজ আরবী এবং আরব ব্যারোমিটার রিসার্চ নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এই জরিপ চালায়। এটিকে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় এ ধরণের সবচেয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানী জরিপ বলে দাবি করা হচ্ছে। ধর্ম, রাজনীতি, যৌনতা থেকে শুরু করে নারী অধিকার এবং অভিবাসন—এধরণের বহু বিষয়ে এই জরিপে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। গত বছরের শেষ এবং এ বছরের শুরুতে দশটি দেশ এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের মানুষ এই জরিপে অংশ নেয়। এই জরিপে যা জানা গেছে: . নিজেদের ধার্মিক বলে ভাবেন না এমন মানুষের সংখ্যা ২০১৩ সালে যেখানে ছিল ৮%, সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩%। তিরিশ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেই এদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদের মধ্যে ১৮ শতাংশই নিজেদের ধার্মিক বলে ভাবে না। কেবলমাত্র ইয়েমেনের এরকম মনোভাবের মানুষের সংখ্যা কমেছে। . একজন নারীরও যে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অধিকার আছে, পুরো অঞ্চলজুড়েই বেশিরভাগ মানুষ তা সমর্থন করে। আলজেরিয়ার একমাত্র ব্যতিক্রম। সেখানে ৫০ শতাংশেরও কম মানুষ বলেছে, একজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান হলে সেটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তবে যখন পারিবারিক জীবনের প্রসঙ্গ আসে- তখন বেশিরভাগ মানুষ, এমনকি বেশিরভাগ নারীও মনে করে পারিবারিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার চূড়ান্ত অধিকার স্বামীর। কেবল মরোক্কো এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সেখানে স্বামীরই যে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ- এই মত সমর্থন করেছেন অর্ধেকের কম মানুষ। . সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা পুরো অঞ্চল জুড়েই কম বা একেবারেই কম। যদিও দেশভেদে কিছুটা পার্থক্য আছে। লেবাননকে বিবেচনা করা হয় পুরো মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব বিশ্বে সবচেয়ে উদারপন্থী দেশ হিসেবে। সেখানেও সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা ৬ শতাংশ। 'অনার কিলিং' বা পারিবারিক সন্মান রক্ষার হত্যা বলে যাকে বর্ণনা করা হয়, তাতে সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই পরিবারের কাউকে হত্যা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই এধরণের হত্যার শিকার হন। জরিপে অংশ নেয়া প্রতিটি অঞ্চলেই অন্যান্য নেতাদের চেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ছিল সবার নীচে। এর বিপরীতে আবার ১১টি দেশ এবং অঞ্চলের সাতটিতেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নীতি প্রশংসিত হয়েছে। তবে লেবানন, লিবিয়া এবং মিশরে এরদোয়ানের চেয়েও বেশি সমর্থন পেয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নীতি। . মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় নিরাপত্তা নিয়ে এখনো উদ্বেগ আছে। যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ইসরায়েলের পর কোন দেশগুলি তাদের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি, তখন দ্বিতীয় বৃহত্তম হুমকি হিসেবে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। তৃতীয় স্থানে ছিল ইরান। . যত দেশে এই জরিপ চালানো হয়, প্রত্যেক জায়গাতেই প্রতি পাঁচজনে একজন বলেছেন, তারা দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবছেন। সুদানে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই অভিবাসী হতে চেয়েছেন। উত্তর আমেরিকায় যেতে চান এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের তুলনায় ইউরোপে যেতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কমেছে। তারপরও যারা অভিবাসী হতে চান, তাদের বেশিরভাগের পছন্দ এখনো ইউরোপ।
মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার ২৫ হাজার লোকের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হচ্ছে, সেখানে এমন লোকের সংখ্যা বাড়ছে - যারা নিজেদের ধার্মিক বলে মনে করেন না।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নাইরোবির এই বিস্ফোরণে ২০০রও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। কিন্তু ঐ ঘটনার তিন বছর আগে, ১৯৮৮ সালে, পূর্ব আফ্রিকার দুই দেশ কেনিয়া এবং তানজানিয়ার মার্কিন দূতাবাসে প্রায় একই সঙ্গে দুটি বোমা হামলা হয় যাতে প্রাণ হারায় প্রায় ২৫০ জন। ঐ আক্রমণে ১২ জন আমেরিকান নিহত হয়, কিন্তু হতাহতদের একটা বড় অংশ ছিল স্থানীয় কেনিয়ান এবং তানজানিয়ান। ঐ দুই হামলায় আহত হন ৪,০০০ মানুষ। এই দুই হামলার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের নজর পড়ে আল কায়েদার ওপর। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর শীর্ষ ১০ ফেরারি আসামীর তালিকায় আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নাম যুক্ত হয়। সীমানাহীন সন্ত্রাস কৌশলগত দিক থেকে, টুইন টাওয়ারে হামলার মধ্য দিয়ে এমন এক পর্বের সূচনা হয় যেখানে সন্ত্রাসবাদকে কোন ভৌগলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দেয়া হয় সারা বিশ্বে। উনিশশো নব্বইয়ের শেষভাগে বিশ্বায়নের দশকে, ২৪/৭ নিউজ চ্যানেলগুলোর সুবাদে এসব হামলার ছবি যেমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র, তেমনি জিহাদি বাণীও পৌঁছে যায় ঘটনা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। ট্রাকভর্তি বিস্ফোরক দিয়ে চালানো হামলায় নাইরোবির মার্কিন দূতাবাসের একাংশ ধসে পড়ে। পূর্ব আফ্রিকায় সাফল্য দেখিয়ে আল কায়েদা ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে হামলা চালায় ইয়েমেনে। সেখানে নোঙর করে রাখা মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস কোল-এর ওপর আক্রমণে ১৭ জন মার্কিন নৌসেনা এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়। পূর্ব আফ্রিকায় ঐ হামলাগুলো স্মরণে কেনিয়া এবং তানজানিয়ার রাজধানীতে ৭ই অগাস্ট নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে নিহতদের নামগুলো আবার পড়ে শোনানো হয়। ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তারাও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। নাইরোবির অনুষ্ঠানে।ঠানে কেনিয়ার জাতীয় সন্ত্রাসবাদ নির্মূল কেন্দ্রের প্রধান মার্টিন কিমানি বলেছেন, "ঐ হামলার দিন থেকে বড় মাপের হামলা চালানোর ব্যাপারে আল কায়েদা খিদে বেড়ে যায়।" "ঐ ঘটনার পর থেকে সারা বিশ্বের নানা জায়গায় সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চলছে," তিনি বলেন। 'অ্যানেসথেশিয়ার সময় নেই' "আজকের দিনটা আমাদের জন্য খুবই দু:খের দিন," বলছিলেন নাইরোবি বোমা হামলায় এক নিহত নারীর বোন। এই হামলায় ২০০ জন প্রাণ হারায়। "এমন একটা দিন নাই যেদিন তার কথা আমার মনে পড়ে না। তার পরিবার, ছেলে-মেয়ে, তার নাতি-নাতনীদের জন্য এটা একটা বেদনার ব্যাপার।" বোমা হামলার শিকার জুলি ওগোয়ে বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। আরো পড়তে পারেন: 'যারা গরু কাটবে, তাদের হাজারবার জবাই করব' কেন বাংলাদেশের সিগারেটের বাজারে ঢুকছে জাপান বন্দী আনাকে দিয়ে যৌন ব্যবসা করানোর কাহিনী ঐ বোমা হামলার দিন জুলি ওগোয়ের জন্য ছিল অন্য যে কোন দিনের মতোই। মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বোমাটি বিস্ফোরিত হয় সকালের মধ্যভাগে। এতে ঐ ভবনটির একটা বড় অংশ ধসে পড়ে। পাশের ২৫-তলা কোঅপারেটিভ হাউস ব্যাংকও বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনার পাঁচ মিনিট পর পাশের দেশ তানজানিয়ার রাজধানী দার এস-সালামে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে একটা তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটে। জুলি বিবিসিকে বলছিলেন, বিস্ফোরণের ধাক্কায় তার দেহ আকাশে উড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে। তারা মাথার ওপর ঝরে পড়ে বিল্ডিং-এর ধ্বংসাবশেষ। "আমার সারা মুখে ছিল অনেকগুলো ক্ষত। যে নার্স আমার ক্ষত পরিষ্কার করার চেষ্টা করছিল, তার গায়েও ছোপ ছোপ রক্ত লেগে যায়। সে চিৎকার করে বলে, 'এই মেয়েটি তো রক্তক্ষরণেই মারা যাবে'"। "এরপর তারা আমার ক্ষতগুলো সেলাই করার চেষ্টা করে। আমাকে বলা হয়: তোমাকে অ্যানেসথেশিয়া দেয়ার সময় নেই। সেভাবেই আমার ক্ষতগুলো সেলারই করা হয়।" "এরপর তারা আমাকে এক জায়গায় বসিয়ে রাখে। সেখানে এক পাদ্রীকে আমি বলি আমি এখানে তাকতে চাই না। আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিন। তিনি আমাকে বলেন, তোমার চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে জুলে রয়েছে। এই কথা শুনে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।" ওসামা বিন লাদেন, আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা। জুলি ওগোয়ের ওপর এরপর অনেকগুলো অপারেশন হয়। তার মধ্যে একটি করা হয় জার্মানিতে। তার বাঁ চোখটি অকেজো হয়ে গেলেও বেঁচে থাকতে পেরে তিনি খুশি। কারণ তিনি মনে করেন তার জীবনে আরও ২০ বছর যোগ হয়েছে। আল কায়েদার কী হাল? নাইরোবি এবং দার এস-সালামে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান এবং সুদানে আল কায়েদার সন্দেহজনক ঘাঁটির ওপর ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় আরব লীগ। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং সুদানে মিছিল হয়। কিন্তু ওয়াশিংটন কর্তৃপক্ষের নিরন্তর অভিযানের মুখে আল কায়েদার সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। মার্কিন সৈন্যরা ২০১১ সালে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। এখন উত্তর আফ্রিকা, আরব উপদ্বীপ এবং ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মূলত স্বতন্ত্র ছোট ছোট দলের মাধ্যমে তৎপরতা চালায়। ইরাকে আল কায়েদার যে সংগঠনটি ছিল সেটি নাম পরিবর্তন করে এখন ইসলামিক স্টেট নামে পরিচিত।
সারা বিশ্ব প্রথমবারের মতো আল কায়েদা এবং বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসকে তার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কৌশলের কথা প্রথম, জানতে পারে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার মধ্য দিয়ে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
শুরুতে নিজেদের সেফটির জন্য হলেও পরে আমরা দেখলাম যে, এটা একটা ট্রেন্ড। সবাই গুন্ডামি করছে। "শুরুতে মূলতঃ অন্যদের হামলা থেকে নিজেদের প্রটেক্ট করার জন্যই আমরা কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হই। পরে বেশ বড় একটা গ্যাং তৈরি হয় আমাদের"। "পরে আমরা দেখলাম, এটা একটা ট্রেন্ড। সবাই গুন্ডামি করছে, গ্যাং বানাচ্ছে, দেয়ালে দেয়ালে স্প্রে দিয়ে গ্যাংয়ের নাম লিখছে। তখন আমরাও শুরু করলাম। ৫/৬ টা গাড়ি নিয়ে একসঙ্গে মুভ করতাম। একসময় বেশ বড় একটা গ্যাং তৈরি হয় আমাদের।" বলছিলেন তানিম আহমেদ। তবে গ্যাং তৈরি হওয়ার পর খুব দ্রুতই অন্য এলাকার গ্রুপগুলোর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় বলে জানাচ্ছেন মি. আহমেদ। অনেক সময় তুচ্ছ কারণেও ঘটতো মারামারির ঘটনা। এক এলাকার ছেলে অন্য এলাকায় গেলে মারধরের ঘটনা ঘটতো। কাউকে গালি দিলে, 'যথাযথ সম্মান' না দেখালে, এমনকি বাঁকা চোখে তাকানোর কারণেও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মেয়েলি বিষয় এবং সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব থেকেও অসংখ্য মারামারি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তানিম। "আমাদের গ্যাংয়ে একসময় কয়েকটা আর্মস ক্যারি (অস্ত্র বহণ) করা শুরু করি আমরা। এসব দিয়ে মাঝে মধ্যে ফাঁকা ফায়ারিং করা হতো। তবে আমরা কাউকে গুলি করিনি কখনো।" কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দেয়ালে আকা গ্রাফিতি অস্ত্র আসার কিছুদিনের মধ্যেই তানিমদের গ্রুপে মাদকও ঢুকে পড়ে। "আমাদের গ্যাংয়ের কয়েকজনের মধ্যে একটা সময় লোভ চলে আসে। গ্রুপটাকে কাজে লাগিয়ে টাকা আদায়ের ধান্দা শুরু করে কেউ কেউ। ছিনতাই শুরু হয়। আর মাদক নেয়া তো ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়"। "দুয়েকজন বিভিন্ন অপরাধে জেলও খেটেছে। মারাও গেছে।" ফলে নিজেকে রক্ষায় নিজের তৈরি গ্যাং থেকে একসময় নিজেই বেরিয়ে আসেন বলে দাবি করেন তানিম আহমেদ। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে অনেক কিশোর গ্যাংয়ের নাম লেখা গ্রাফিতি চোখে পড়বে। ধানমন্ডি লেকের পাশে কয়েকটি সড়কে ঘুরেই আমি এরকম অন্ততঃ ১৫টি কিশোর গ্যাংয়ের নাম দেখতে পেয়েছি। মূলতঃ স্কুলে পড়তে গিয়ে কিংবা এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতে মজার ছলে এসব গ্রুপ তৈরি হলেও পরে একসময় মাদক, অস্ত্র এমনকি খুনোখুনিতেও জড়িয়ে পড়ে। কিশোর গ্যাং কেন তৈরি হচ্ছে? সমাজবিজ্ঞানী রাশেদা ইরশাদ নাসির মনে করেন মূলতঃ দুটি কারণে কিশোররা এসব গ্যাং সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ছে। প্রথমতঃ মাদক, অস্ত্রের দাপটসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। দ্বিতীয়তঃ এখনকার শিশু-কিশোররা পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে না। ফলে কিশোরদের কেউ যখন বন্ধুদের মাধ্যমে কিশোর গ্যাংগুলোতে ঢুকছে এবং মাদক ও অস্ত্রের যোগান সহজেই পেয়ে যাচ্ছে তখন তার প্রলুব্ধ হওয়া এবং অপরাধপ্রবণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তিনি মনে করেন, একদিকে সমাজে অপরাধী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে পরিবারে কিশোরদের একাকী বা বিচ্ছিন্ন না রেখে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। অস্তিত্ব জানান দিতে পাড়া-মহল্লার দেয়ালে কিশোরেররা নিজেদের গ্রুপের নাম লিখে রাখে। পুলিশের পদক্ষেপ: গত একমাসে কিশোর গ্যাং-কেন্দ্রীক বেশ কয়েকটি অপরাধ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। গাজীপুরে এক কিশোর হত্যার ঘটনায় 'ভাই-ব্রাদার' নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের ৮ জনকে গ্রেফতারের কথা জানায় র‍্যাব। অন্যদিকে ঢাকায় শুরু হয় কিশোর গ্যাং-বিরোধী অভিযান। একদিনেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় শতাধিক কিশোরকে। এর মধ্যে শুধু হাতিরঝিল থানাতেই আটক করা হয় ৮৮ জনকে। যদিও পরে অপরাধ খুঁজে না পাওয়ায় ৮০ জনকেই ছেড়ে দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে থানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কিশোর গ্যাং-বিরোধী এ ধরণের অভিযানে ঢালাওভাবে কিশোরদের আটকের ঘটনার সমালোচনাও হচ্ছে। রাশেদা ইরশাদ নাসির বলছেন, যে কোন কিশোরকে আটক করে থানা হাজতে আনার আগে সে অপরাধী কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা উচিত পুলিশের। তিনি বলেন, "কোন নিরপরাধ কিশোর কিংবা তার পরিবার যেন ভোগান্তির মধ্যে না পড়ে, হয়রানির শিকার না হয়। নিরপরাধ একজন কিশোরকে হুট করে সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করা হলেও তা ঐ কিশোরকে ট্রমার মধ্যে ফেলে দিতে পারে"। "সে যদি তাৎক্ষণিক ছাড়াও পায়, এরপরও এর একটা প্রভাব থাকতেই পারে। একইসঙ্গে ঐ পরিবারটিও সামাজিকভাবে হেয় হতে পারে।" পুলিশের বক্তব্য: পুলিশের মুখপাত্র সোহেল রানা অবশ্য বলছেন, নির্দিষ্ট কোন এলাকায় যখন তারা অভিযান চালান তখন আসলে তাৎক্ষণিক যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ তেমন থাকে না। কিন্তু আটকের পর যারা দোষী নয়, তাদের অভিভাবকদের ডেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে অভিভাবকদেরও খেয়াল রাখা উচিত যে তাদের সন্তান অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে যাওয়া-আসা করছে কিনা। মি. রানা জানাচ্ছেন, সারাদেশেই পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে তারা নির্দেশ দিয়েছেন কিশোরদের গ্যাং সংস্কৃতি এবং অপরাধ বন্ধ করতে স্কুল-কলেজ, অভিভাবক এবং সুশীল সমাজের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করতে। আরো খবর: মানিব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে আলোচিত রোমের বাংলাদেশি ধর্ষণ: 'নিজে ধর্ষিত হলাম, ভয় পাচ্ছি মেয়েদের নিয়েও' সন্তান জন্মের পর মানসিক সমস্যায় ভোগেন পুরুষরাও
তানিম আহমেদ (ছদ্মনাম) একসময় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বছর কয়েক আগে নিজ এলাকায় সমবয়সী কিশোরদের নিয়ে কিশোর গ্যাংটি নিজেই গড়ে তুলেছিলেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকাটি রক্ত জমাট বাধঁতে সহায়তা করে, এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি ইউরোপের কয়েকটিসহ বেশ কিছু দেশ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমন আহবান আসলো। সংস্থাটি বলছে এ টিকার সাথে ব্লাড ক্লট বা রক্ত জমাট বাঁধার কোন প্রমাণ তারা পায়নি। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনও তাদের পূর্বসতর্কতার অংশ হিসেবে এ টিকা প্রয়োগ স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিশেষজ্ঞরা আজ এ বিষয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ আলাদাভাবে বৈঠকে বসবে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) এবং এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত তারা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই চলবে কোভিড-১৯: বাংলাদেশে টিকায় আগ্রহ বাড়ার কয়েকটি কারণ সাতটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা স্থগিতের পর যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে কোম্পানি সাতটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে তবে তারা বলেছে যে টিকা দেয়া অব্যাহত রাখা উচিৎ। ইউরোপে টিকা দেয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওই কয়েকটি ঘটনার বাইরে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ ধরণের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনার আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের প্রায় এক কোটি সত্তর লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছেন এর মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা চল্লিশটিরও কম। যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে দেশটির ভ্যাকসিন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী তারা তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া বন্ধ করতে যাচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "এ সিদ্ধান্তের কারণ হলো সেরেব্রাল ভেইন থ্রমবোসিস-এর কয়েকটি খবর যার সাথে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার যোগসূত্র আছে"। "নতুন ঘটনা গুলোর প্রেক্ষাপটে পল এরলিখ ইন্সটিটিউট (জার্মানি ভ্যাকসিন কর্তৃপক্ষ) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে টিকাদান স্থগিত রাখার সুপারিশ করেছে"। তিনি বলেন এ সিদ্ধান্ত 'রাজনৈতিক' নয়। "আমরা সবাই এ সিদ্ধান্তের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন এবং আমরা খুব সহজেই এ সিদ্ধান্ত নেইনি," তিনি বলছিলেন। এর পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত টিকাদান স্থগিত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ইতালি মেডিসিন এজেন্সি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কয়েকটি ব্যাচের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। আর স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন তার দেশে টিকাদান অন্তত দু সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখবে। এর আগে নেদারল্যান্ডও ২৯ মার্চ পর্যন্ত এ টিকা দেয়া স্থগিত করেছে। অস্ট্রিয়াসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ পূর্বসতর্কতার অংশ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নির্দিষ্ট ব্যাচের টিকা দেয়া স্থগিত করেছে। তবে থাইল্যান্ড মঙ্গলবার থেকে এ টিকা দেয়া আবার শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন যে অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ যেসব টিকা সেখানে দেয়া হচ্ছে তার সবই নিরাপদ। জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যা বলছে সংস্থাটির মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন খবরগুলো তারা তদন্ত করেছেন। তিনি বলেছেন তাদের সুপারিশ শিগগিরই জানানো হবে। "তবে আজ পর্যন্ত এসব ঘটনার সাথে টিকার কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি এবং ভাইরাস থেকে গুরুতর রোগ থেকে রক্ষা ও জীবন বাঁচানোর জন্য টিকা দেয়া অব্যাহত রাখা গুরুত্বপূর্ণ"। ওদিকে যুক্তরাজ্যের মেডিসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা জনগণকে টিকা নেয়া অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেছে। বাংলাদেশে চলবে বাংলাদেশের স্বাস্ব্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''বাংলাদেশ আমরা টিকা স্থগিতের মতো কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছেনি। যে পাঁচ-ছয়টি বা সাতটি দেশে তারা বন্ধ করেছে, তারা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সেটা করেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্য দেশগুলো থেকে লিখিতভাবে কোন বারণ করেনি।'' ''অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় যে উপাদানগুলো রয়েছে, রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। যেহেতু সম্পর্ক নেই, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশে এই কার্যক্রম বন্ধ করতে পারি না। কারণ বাংলাদেশের মতো দেশগুলো শতভাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে চলেছে'', স্বাস্থ্য সচিব বলেন। ''অক্সফোর্ডের যে টিকা আমরা নিয়ে এসেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বলে যে, এটা দেয়া যাবে না, এটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে যদি তারা আমাদের চিঠি দেয়, তাহলে তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা অপেক্ষায় আছি।'' বলছেন মি. মান্নান।
অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস টিকা প্রয়োগ স্থগিত না করার আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রিত নাইকির নতুন জুতা একে বলা যেতে পারে ফিউচারিস্টিক ফুটওয়্যারের সর্বশেষ সংস্করণ। তবে এই জুতাটির ধারণা পাওয়া গিয়েছিল ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "ব্যাক টু দ্য ফিউচার পার্ট টু" চলচ্চিত্রে। পরে নাইকি বিস্তর গবেষণার পর ২০১৬ সালে সেই জুতাটির একটি বাস্তব রূপ দিতে সক্ষম হয়। জুতাটি এই ফেব্রুয়ারিতে বাজারে ছাড়ার কথা রয়েছে। জুতাটি কিভাবে কাজ করে? এই জুতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ব্যবহারকারীরা চাইলেই এই জুতার ফিটিংসে নিজের মতো পরিবর্তন আনতে পারবেন। জুতার মাপ ইচ্ছামত কাস্টমাইজড করতে পারবেন। নাইকি এই প্রযুক্তি তাদের অন্যান্য জুতাতেও ব্যবহার করবে। আর এই পুরো কাজটাই করা যাবে স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে। সেখানে এই উপযুক্ত মাপগুলো সংরক্ষণ রাখা যায়। জুতার ফিতাকে অ্যাক্টিভেট করার জন্য জুতাটির মধ্যে আলাদা করে কোন বাটন বা বোতামের প্রয়োজন হয়না। জুতাটির সর্বশেষ এই সংস্করণের নাম দেয়া হয়েছে "নাইকি অ্যাডাপ্ট" এবং এর দাম ধরা হয়েছে ৩৫০ মার্কিন ডলার। লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ "টুইচ"-এ এই জুতাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। কাদের জন্য জুতা? জুতাটি মূলত খেলোয়াড়দের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে বাস্কেটবল খেলায় এর প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। আরও পড়তে পারেন: ঘোড়ায় চড়া, জুতা পরায় দলিতদের উপর হামলা চামড়ার দাম তলানিতে, তবু জুতো কেন এত দামি? মালয়েশিয়ার রাজনীতি: ব্যাগ ও স্যান্ডেলের গল্প এ বিষয়ে নাইকির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এরিক অ্যাভার জানান, "নাইকি অ্যাডাপ্টের পরীক্ষামূলক ব্যবহারে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে বাস্কেটবল খেলাটিকে প্রথমে বেছে নিয়েছি। কেননা এই খেলার অ্যাথলেটদের এ ধরনেরর জুতার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।" "বাস্কেটবল খেলার সময় খেলোয়াড়দের পায়ের মোশন দ্রুত পরিবর্তিত হয়। কখনো তাদের পায়ে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে জুতাটি শিথিল থাকা প্রয়োজন আবার কখনও বা আঁটসাঁট হওয়া প্রয়োজন।" জুতার ফিটিংস আপনা আপনি পরিবর্তন করতে নাইকি এই বিশেষায়িত জুতাটি বাজারে আনছে। যা এ্যাথলিটদের খেলার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মিস্টার অ্যাভার। ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের বিভিন্ন মুহূর্তে পায়ের বিভিন্ন মাপ সেট করে রাখতে পারবেন। নাইকির এই জুতায় রয়েছে লেইস ইঞ্জিন প্রযুক্তি। জুতাটি কিভাবে কাজ করে? যখন ব্যবহারকারী তার পা জুতায় ঢোকাবেন তখনই জুতায় থাকা কাস্টম মোটর এবং গিয়ার তার পায়ের স্নায়ু-চাপ বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী ফিটিংস অ্যাডজাস্ট করে নেবে। অ্যাপ্লিকেশনে তথ্যগুলো সংরক্ষিত থাকায় অ্যাথলেটরা চাইলে সেটা নাইকির সঙ্গে শেয়ারও করতে পারবেন। "ওয়েরেবল" নামে একটি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটের সম্পাদক মাইকেল সাওহ বলেন: "স্পষ্টতই এটি ব্যাক-টু-ফিউচারের সেল্ফ লেইসিং জুতার কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। সেই সিনেমার প্রপস এখন বাস্তব হয়ে হয়ে পড়েছে। " গত বছর যখন নাইকি এই জুতাটি নিয়ে আলোচনা করছিল তখন তাদের নিয়ে নানা কথাবার্তা হয়। তবে তাদের আশা, অনেক নাইকি স্নিকার-প্রেমী তাদের সংগ্রহে এই জুতাটি রাখতে চাইবে। নাইকি বলছে যে, তারা এই প্রযুক্তি তাদের এই রেঞ্জের অন্য জুতাগুলোতে যোগ করবে। এতে তারা যেমন মানুষের নজর কাড়তে পারবে তেমনি জুতাগুলো সবার কাজেও আসবে।" তবে জুতার মধ্যে নতুন এই প্রযুক্তি ভোক্তাদের তথ্য কিভাবে ব্যবহার করবে সে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকেই। অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসগুলির তুলনায় নাইকি যেসব তথ্য ধারণ করে সেগুলো নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ এটি শুধু ব্যবহারকারীর পায়ের ফিটিংসের বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়। হার্টরেট বা স্বাস্থ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নয়।
বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড নাইকি সেল্ফ-লেইসিং বা ফিতা বাঁধা ট্রেইনার জুতা বাজারে আনতে যাচ্ছে। যা গ্রাহকদের পায়ের আকৃতি অনুযায়ী সহজেই ফিট হয়ে যাবে এবং এই জুতাটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নুসরাত জাহান মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহানের বক্তব্য ভিডিও করে তার অনুমতি ছাড়া সেটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তাকে দশ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আইনজীবীরা এই রায়কে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি সতর্ক বার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদে থেকে অনুমতি ছাড়া কারও বক্তব্য রেকর্ড করে তা ছড়িয়ে দিয়ে গুরুতর অপরাধ করা হয়েছে বলে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই রায় থেকে শিক্ষা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনাল জরিমানার টাকা নিহত নুসরাত জাহানের পরিবারকে দিতে বলেছে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ ওঠার পর মোয়াজ্জেম হোসেনকে পুলিশের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এখন সাজা হওয়ার পর তার আর চাকরি ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই বলে তারা মনে করেন। মামলার বাদি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক বলেছেন, আদালত এই রায় এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। "আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনে মোয়াজ্জেম হোসেন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন এবং যে মেয়েটি শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে থানায় গেলো সাহায্যের জন্য, এই ভিডিও করার মাধ্যমে তাকে দ্বিতীয়বার শ্লীলতাহানির মুখোমুখি করা হয়েছে।" "আদালত আরও বলেছে, নাগরিক অধিকার রক্ষা না করে তিনি অপরাধ করেছেন, সেজন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। এই রায়টি একটি সিগন্যাল যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে এভাবে চিন্তা করা যাবে না।" নুসরাত হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন হয়েছিল। নুসরাত জাহানকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে এই অভিযোগে তার মা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গত মার্চ মাসে। সে সময় সোনাগাজী থানায় তার জবানবন্দি নিয়েছিলেন ঐ থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন। এর কয়েকদিন পর মাদ্রাসার ছাদে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাত জাহানের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলে দেশজুড়ে তা আলোচনার সৃষ্টি করে। তখন নুসরাতের সেই জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। নুসরাতের অনুমতি ছাড়া ভিডিও করা এবং তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে তখন মোয়াজ্জেম হোসেনে বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল। মি. হোসেনের আইনজীবী বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করবেন। আরো পড়তে পারেন: নুসরাত হত্যা: ১৬ জন আসামীর সবার মৃত্যুদণ্ড নুসরাত হত্যা: আটক হলো ফেরারি ওসি মোয়াজ্জেম আমার চোখে বিশ্ব: নুসরাতের প্রতিবাদ কি শুনবে বাংলাদেশ? সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর বা পিপি নজরুল ইসলাম বলেছেন, গত বছরের জুন মাসে ডিজিটাল আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ওই আইনে দু'শর মতো মামলা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কোন মামলায় বিচার শেষ হলো। সরকারি এই আইনজীবীও এই রায়কে একটি বার্তা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেছেন, "শুধু পুলিশের জন্য নয়, সমাজের সবার জন্যই এই রায় বার্তা দিচ্ছে।" মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অনেক সময়ই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষা না করার অভিযোগ ওঠে। তারা আরও বলেছেন, শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেই নয়, বিভিন্ন আইনেই নাগরিকের গোপনীয়তা এবং মর্যাদা রক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু অনেক সময়ই সেই আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। সোনাগাজীর ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে বলেই এই ঘটনায় বিচার হলো বলে তারা মনে করেন। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলছেন, আদালতের রায়কে গুরুত্ব দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর এসব বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো উচিত। সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। "একজন নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা করাটা হচ্ছে আইনের প্রথম কাজ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ থাকে, সেখানে বিরাট একটা ফাঁক রয়ে গেছে যে, তারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত নন। সেখানে তাদের কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের একটা বিষয় থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।" স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের উর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছেন, নাগরিকের গোপনীয়তা এবং অধিকার রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় সতর্ক রয়েছে। তারা আরও বলেছেন, সতর্কতার মাঝেও কোন ঘটনা ঘটলে তাতে ছাড় দেয়া হয় না। সোনাগাজী থানা পুলিশের সাবেক ওসির শাস্তি হওয়ার বিষয়কে তারা এর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই প্রথম কোন মামলার রায়ে ফেনীর সোনাগাজী থানা পুলিশের সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
২৪শে ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে নির্বাচন কমিশনের সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং 'স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে' সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলছেন, নির্বাচনের সময় যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্য সব বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে - শুধু তখনই সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে। সেনাবাহিনীকে কোন বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় আচরণবিধি ভঙ্গ বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যে কোন কর্মকান্ড ঠেকানো, অপরাধের বিচার এবং শান্তি রক্ষার জন্য দেড় হাজার ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সাথেও ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বুধবার বিবিসি বাংলাকে বলেন, "সেনাবাহিনীকে কোন বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না। তবে যদি তারা কোন 'এ্যাকশনে' যায় - তাদের সাথে ম্যাজিস্ট্রেট যাবেন।" "আমরা কখনো বলিনি যে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে। সেনাবাহিনী যখন কোন এ্যাকশনে যাবে তখন সঙ্গে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিক্রমেই তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতা ভোটারদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে প্রতিদিনই হচ্ছে সহিংসতা: কি করছে নির্বাচন কমিশন? সংসদ নির্বাচন: প্রচারণার শুরুতেই সহিংসতায় নিহত ১ সেনা বাহিনী ছাড়াও নির্বাচনের সময় মোতায়েন থাকবে পুলিশ, র‍্যাব, ও বিজিবি "বিজিবির সাথেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। শুধু র‍্যাব ও পুলিশের সাথে কোন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন না - তারা ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই এ্যাকশনে যাবেন" - বলেন নির্বাচন কমিশনার মিজ খানম। "প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় চার-পাঁচটি স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। প্রথম স্তরে পুলিশ, তার পর বিজিবি, তারপর র‍্যাব - তার পরে থাকবে সেনাবাহিনী।" "যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে অন্য সব বাহিনী 'ফেল' করছে - শুধু তখনই সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে" - বলেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। জেলা থেকে উপজেলা স্তর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট থাকবে - বলছে নির্বাচন কমিশন যদি তেমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেনাবাহিনীকে ডাকার সিদ্ধান্ত কে নেবেন? প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, "এটা তো রিটার্নিং অফিসারই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সেনাবাহিনীকে ইনফর্ম করবে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং অফিসারই নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন।" "জেলা থেকে উপজেলা স্তর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট থাকবে। তারা ভিজিবল থাকবে - অর্থাৎ তাদের উপস্থিতি দেখা যাবে, কিন্তু পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব এই তিন বাহিনীও থাকবে।
বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ছয় দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে, তবে তাদের কোন বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না এবং অন্য সব বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেই কেবল তারা 'এ্যাকশনে' যাবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কিন্তু নেদারল্যান্ডে এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই ধারণা ভুল। পানি পান করে মদের খোঁয়ারি কাটানো যায় না। গবেষকদের মতে, এ্যালকোহল কম খাওয়াটাই আসল সমাধান। একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দল কানাড়া এবং নেদার‍ল্যান্ডসের ৮০০রও বেশি ছাত্রের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তাদের জরিপের ফল আমস্টার্ডামের একটি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। ডাচ ছাত্রদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ রাতে মদ্যপানের পর খোঁয়ারি কাটানোর আশায় তৈলাক্ত খাবার এবং ভারী প্রাত:রাশ খেয়েছিলেন। এদের দু-তৃতীয়াংশ মদ্যপানের সময় এবং অর্ধেকেরও বেশি ঘুমাতে যাবার আগে পানি পান করেন। গবেষকরা বলছেন, যারা একেবারেই পানি খান নি, তাদের চাইতে এরা পরদিন অপেক্ষাকৃত ভালো বোধ করলেও - দুই গ্রুপের খোঁয়ারির তীব্রতার তেমন কোন পার্থক্য ছিল না। এর আগেকার জরিপে দেখা গিয়েছিল, মদ্যপায়ীদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ আদৌ কোন হ্যাংওভার অনুভব করেন না। উট্রেখট বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ইয়োরিস ভের্স্টার বলেন, সাধারণ সত্য হচ্ছে এই যে আপনি যত বেশি মদ পান করবেন, ততই আপনার হ্যাংওভারের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তবে তিনি বলেন, মদ্যপান-পরবর্তী এই খোঁয়ারি বা হ্যাংওভার ঠিক কেন হয় তা এখনো বিজ্ঞানীরা জানেন না। তাই এটা জানার আগে পর্যন্ত এর কোন নিরাময় বের করাও কঠিন। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মাইকেল ব্লুমফিল্ড বলেন, সহজ সরল সত্যটা হলো, হ্যাংওভার কাটানোর সবচাইতে ভালো উপায় হলো এ্যালকোহল কম পান করা।
রাত জুড়ে অপরিমিত মদ্যপানের পর সকালবেলা যে খোঁয়ারি বা মাথাব্যথা-অবসাদের অনুভূতি হয় - তাকে ইংরেজিতে বলে 'হ্যাংওভার'। এই হ্যাংওভার নিয়ে অনেকের ধারণা আছে যে প্রচুর পরিমাণ পানি খেলেই তা কেটে যাবে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
গত ৯ই অক্টোবর এই চিঠিটি লেখা হয়, এবং সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর এটা ওয়াশিংটন থেকে আংকারায় পাঠানো হয়। এতে মি. এরদোয়ানকে লক্ষ্য করে মি. ট্রাম্প মন্তব্য করেন: "কঠিন হবেন না। বোকামি করবেন না।" তুর্কী সংসদে বিবিসির সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মি. এরদোয়ান ঐ চিঠিকে পুরোপুরিভাবে খারিজ করে দিয়েছেন। এই চিঠি যে দিনটিতে তুরস্কের হাতে পৌঁছায় সেই দিনেই তুর্কী সামরিক বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে তুরস্কের সেনা অভিযানের প্রতি একটা 'সবুজ সঙ্কেত' দেয়া হয়েছে। কিন্তু মি. ট্রাম্পের সমালোচনার একটা বড় অংশ এসেছে তার নিজের দলের কাছ থেকে। বিরল এক ঘটনায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল যৌথভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ভর্ৎসনা করেছেন। মি. এরদোয়ানের কাছে লেখা মি. ট্রাম্পের চিঠি। আরো পড়তে পারেন: তুরস্ককে প্রতিহত করতে কুর্দিদের সাথে সিরিয়ার চুক্তি সিরিয়ায় কি ইসলামিক স্টেট ফিরে আসতে পারে? ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউজ অফ রেপ্রেজেনটেটিভে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১২৯ সদস্য বুধবার মি. ট্রাম্পের নিন্দা করে যে ভোটের আয়োজন করেন - তাতে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি সদস্যরাও যোগ দেন। সৈন্য প্রত্যাহার প্রশ্নে মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাথে মি. ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। বৈঠকের এক পর্যায়ে মিজ পেলোসি এবং সিনেট মাইনরিটি লিডার চার্লস শুমাখার বৈঠকে ছেড়ে চলে যান। গত বুধবার মি. ট্রাম্প মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সেনা অভিযানে হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ, সিরিয়ার সীমান্ত "আমাদের সীমান্ত না" এবং কুর্দিরাও "কোন ফেরেশতা নন।" তুরস্ক গত সপ্তাহে যে অভিযান শুরু করে তার দু'টি লক্ষ্য: প্রথমত ওয়াইপিজি নামে পরিচিত কুর্দি-সিরিয়ান মিলিশিয়া বাহিনীকে হটিয়ে দেয়া। তুরস্ক কুর্দি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে। তুর্কী প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্পের চিঠিকে 'খারিজ করে দিয়েছেন।' তুর্কী অভিযানের দ্বিতীয় লক্ষ্য: উত্তর সিরিয়ায় একটি 'নিরাপদ এলাকা' গড়ে তোলা যেখানে তুরস্কে বসবাসকারী প্রায় ২০ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থীদের এনে বসানো হবে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দিরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র শক্তি ছিল। ঐ অঞ্চলের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়লে সেখানে জিহাদি শক্তির পুনরুত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: পাকিস্তানে যে মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম নেয়া হয় না প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যা কী করে সম্ভব?
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেখা একটি চিঠি 'ডাস্ট বিনে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন' বলে বিবিসি জানতে পেরেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
হারিয়ে যাওয়ার আগে ড্রোনটির ছবি অনেকেই খোঁজাখুঁজিও শুরু করে দেয় ড্রোনটি। ঘোষণাটি আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে, আদৌ এই পুরষ্কার দেয়া হবে কি না সে সম্পর্কে তাদের নিশ্চিত কোন ধারণা ছিল কি না সে ব্যাপারে অবশ্য সন্দেহের যথেষ্টই অবকাশ রয়ে গিয়েছিল সেসময়। পরবর্তীতে সম্প্রচার ও ড্রোনের দায়িত্বে থাকা রিয়েল ইমপ্যাক্ট প্রোডাকশন টিম এই পুরষ্কারের দায়িত্ব নেয়। এই ড্রোন বা রিমোট কন্ট্রোলচালিত কোয়াডকপ্টারটি মূলত অনেক উপর থেকে খেলার মাঠের ভিডিও ধারণের জন্য ব্যবহার করছিল সম্প্রচারকারকরা। এদিন চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে চলছিল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের মধ্যে একটি ম্যাচ। হঠাৎ করেই ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং সেটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভূপাতিত হয়। ক্রিস ফিকরেট এই ড্রোনটি রিমোট কন্ট্রোলের দায়িত্বে ছিলেন।। ক্যানাডা থেকে আসা এই ড্রোন অপারেটর বিবিসিকে বলেন, "আসলে ড্রোনটির ব্যাটারি ফুরিয়ে গিয়েছিল। এখন বিকল্প একটি ড্রোন ব্যবহার করছি আমরা। আমাদের ড্রোন নিয়ে চিন্তা নেই। আরো ড্রোন আছে।" পরবর্তীতে আজ ড্রোনটি পাওয়া গিয়েছে স্টেডিয়ামের গন্ডির ভেতরেই। পূর্বদিকের ফ্লাড লাইটে এটি খুঁজে পাওয়া যায়। মি. ফিকরেট অবশ্য বলেন বলেন, এই ড্রোনটি রেজিস্ট্রার করা, তাই কেউ যদি পুনরায় ব্যবহার করতে চাইলেও সেটা অসম্ভব। 'অন' হওয়া মাত্রই আমাদের রেডিও ডিভাইসে এটা সিগনাল পাঠাবে। এর আগে স্টেডিয়াম সংলগ্ন সাগরিকা এলাকার একটি টেনিস কোর্টে পরে অবশ্য ড্রোনটির ব্যাটারিটি পাওয়া যায়। ক্রিকেট নিয়ে কিছু খবর: নিজের বয়স নিয়ে যা বললেন আফগান বোলার রশিদ খান আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগের নেপথ্যে ক্রিকেট বিনোদনের খোরাক মেটাতে ব্যর্থ বিপিএল? ড্রোন পাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "ড্রোন হারানোর পর অনেক ফোন পেয়েছি। এটা নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু নেই। ব্যাটারি শেষ হয়েছে ড্রোন পড়ে গেছে, পাওয়া যাবে আশা করি। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।" ক্রিস ফিকরেট জানান, ড্রোনটির মূল্য ৫০০০ ক্যানাডিয়ান ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার মতো। পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছেন একজন টেলিভিশন সাংবাদিক পার্থ বনিক। তিনি বলেন, "ড্রোনটির রেঞ্জ দুই কিলোমিটার, এটা উড়তে উড়তে আউটার স্টেডিয়ামে চলে যায়। সেখানে ফ্লাডলাইডের যে পিলার সেখানে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। পাইলট প্রথমে বলেছে পাখির সাথে ধাক্কা লেগেছে, এরপরে বলেছে আবার ব্যাটারি শেষ হয়ে গিয়েছে।" পার্থ যোগ করেন, এই ক্ষেত্রে ড্রোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্প্রচারের সাথে যারা জড়িত তাদের যোগাযোগের একটা দূরত্ব ছিল। কেউই জানতো না শুরুতে ঘটনা কী হয়েছে। বিপিএলের সম্প্রচার মান ও খেলা নিয়ে নানা ধরণের হাস্যরস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। গতকাল রাত থেকেই ড্রোন হারানোর ঘটনা চাউর হবার পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা নিয়ে লিখছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে তাৎক্ষণিক পুরষ্কারের ঘোষণা ও ড্রোন হারানোর ঘটনা একইসঙ্গে হাস্যরস ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলছিলেন, "আমরা দেখেছি ফ্লাডলাইটে লেগে ড্রোনটি পড়ে গেছে"। "বিপিএলের তো অনেক সমস্যা এর মধ্যে ড্রোনও দেখি পড়ে যায়।" তিনিই আবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ড্রোনটি যদি মাটিতে পড়ার সময় কারো মাথায় পড়তো, সেটায় ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। এমনকি মাঠেও ক্রিকেটারদের গায়ে সেটা সরাসরি পড়ার সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সম্প্রচার নিয়ে নানা সমালোচনা ও এর মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় এই ঘটনা বেশ সাড়া ফেলেছে ক্রিকেট অনুসারীদের মধ্যে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: রাজাকারের তালিকা: আবেদন করলে 'সংশোধন' হবে নাগরিকত্ব আইন: আসামে 'তিনকোনিয়া বিভাজন' হাজারো মানুষকে কিডনি পেতে সাহায্য করলেন যিনি
"একটি ড্রোন হারানো গিয়েছে, কেউ যদি পেয়ে স্টেডিয়ামের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দিতে পারেন তবে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে," মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এমন এক ঘোষণায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল স্টেডিয়ামের আশেপাশে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
দুটি দেশ এক অপরকে দায়ী করছে মাত্র গতকাল ১০ অক্টোবর মস্কোতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে প্রায় দশ ঘণ্টা আলোচনার পর সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল দেশ দুটি। বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের রাজধানী স্টেপানকার্টে শনিবার সন্ধ্যায় গোলাবর্ষণের কথা জানাচ্ছে আর্মেনিয়ার গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করছে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় আজেরি সেনারা আক্রমণ চালায়। জাতিগত আর্মেনীয়রা তার জবাব দেয়। অন্যদিকে আজাবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পাল্টা অভিযোগ করে বলছে, আজেরি অঞ্চলে আর্মেনিয়ানরা 'স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন করছে।' দুই সপ্তাহ আগে নতুন করে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। নাগোর্নো-কারাবাখে স্বঘোষিত জাতিগত আর্মেনিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, আজারবাইজান স্টেপানকার্টের বেসামরিক এলাকায় মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। অন্যদিকে আজেরিদের অভিযোগ আর্মেনিয়া ড্রোন হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘ তিন দশক ধরে বিরোধ চলে আসছে সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিকের অংশ এই দেশ দুটির মধ্যে। আরো পড়ুন: নাগোর্নো-কারাবাখ: যেখানে যুদ্ধের কৌশল বদলে দিয়েছে তুর্কী ড্রোন নাগোর্নো-কারাবাখে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান: কোন দেশের সামরিক শক্তি কেমন? তুরস্ক কেন আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে এবং তারা কতো দূর যেতে পারে? আজেরীদের জাতীয় সত্ত্বা ঘিরে আছে স্বদেশ হারানোর যে ক্ষত যে জায়গাটির দখল নিয়ে দেশ দুটোর মধ্যে যুদ্ধ চলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী দখল করে নিয়েছিল। দুটো দেশই এই এলাকাটিকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। ১৯৮৮ থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ চলার পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলেছে। দশ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলার পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। এলাকাটি নিয়ে কোন ধরনের নিষ্পত্তি দুই দেশের মধ্যে হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত। কিন্তু এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। পুরনো সংঘর্ষ নতুন করে তা আবারও জোরালো হয়ে ওঠে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর। দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে তিনশ'র বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং ৭০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য দেশ দুটি একে অপরকে দায়ী করে আসছে। বন্দী বিনিময় এবং মরদেহ উদ্ধারের সুযোগ তৈরি করার জন্য এই যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অন্যান্য খবর: সৌদি আরব গমনেচ্ছুরা যে পাঁচ ধরণের সমস্যার মুখোমুখি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আমেরিকার নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে? শতবর্ষী দবিরুল চৌধুরী রানির স্বীকৃতি পদক পেয়ে খুবই খুশি
দুই সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষের পর নাগোর্নো-কারাবাখে যুদ্ধবিরতি শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বুকের দুধ খাওয়ানো খুব সহজ এমনটা ভাবার কারণ নেই আমি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য একদম তৈরি ছিলাম। কিন্তু আমার বাচ্চা জন্মানোর দুইদিন পরেও আমার বুকে দুধ আসতো খুব কম। আমি ম্যাসাজ করা, চর্বিযুক্ত খাবার, অনেক করে গুরুর দুধ খেতে থাকলাম। কিন্তু তিন দিনের মাথায় আমার মিডওয়াইফ আমাকে হাসপাতালে যেতে বললো কারণ আমার বাচ্চাটাকে একেবারে খাওয়া পাচ্ছিল না। এটা কঠিন যখন তারা একটা যন্ত্র দিয়ে দুধ বের করার চেষ্টা করলো তখন দুধের পরিবর্তে রক্ত বের হয়ে আসলো। "সমস্যা কী? আমার শরীর কি মাতৃত্বের সাধারণ প্রক্রিয়াকে নিতে পারছে না?"আমি মনে মনে চিন্তা করতে থাকলাম। আমার লিকলিকে বাচ্চাটা ক্ষুধায় এত জোড়ে দুধ খাওয়ার চেষ্টা করছিল যে জায়গাটা ফেটে গেলে। আমি যদি আগে জানতাম যে বুকের দুধ খাওয়ানো স্বাভাবিক ভাবে নাও হতে পারে। এটা একটা প্রক্রিয়া যেটা চেষ্টা এবং ভুল হতে পারে। আপনি ভালো করতে পারেন চর্চার মাধ্যমে। এবং সেজন্য নানা রকম কৌশল রয়েছে। কিন্তু এটা সবসময় যে সহজ হবে তেমন না। বরং কোন কোন সময় খুব কষ্টদায়ক হতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সন্তান পালনের ১৩টি টিপস শিশুকে কীভাবে 'বুকের দুধ খাওয়ালেন' বাবা সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানের যেসব ঝুঁকি রাতের পর রাত একলা জেগে থাকা নি:সঙ্গ একবার যখন আমার শরীর এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেল আমার বাচ্চা বুকের দুধ পাওয়া শুরু করলো। আমি নিজেকের আবিষ্কার করলাম শারীরিক তরল পদার্থে। আমার ঘুমানোর জন্য খুব কম সময় থাকতো। গোসল করা বা আয়নার দিকে তাকানোর সময় হত না। বাইরে বের হতে ইচ্ছা করতো না। "আমার প্রতিবেশীরা কি মনে করবে, আমার বন্ধুরা কি মনে করবে" এসব কিছু ভাবতাম। আমার পছন্দের জায়গা হয়ে গেল যেখানে কেউ যায় না। কারণ আমি মানুষের সামনে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে অস্বস্তি হত। আমি রাত জেগে থাকতাম একদম একা। মনে হত পৃথিবীর সবার চেয়ে আমি একা ,আলাদা। আমি শিশু জন্মের পর যে বিষণ্ণতায় ধরে সেটা আমাকে ধরে ফেলার উপক্রম হল এবং সেখানে সাহায্য করার কেউ ছিল না। আমি যদি আগে জানতাম যে নিজের যত্ন নেয়া কতটা জরুরী। একজন স্বাস্থ্যবান, বিশ্রাম নেয়া মা একজন উদ্বিগ্ন এবং বিষণ্ণতায় ভর করা মায়ের চেয়ে অনেক উত্তম। সব সময় দোষী মনে করা সব সময় নিজেকে দোষী মনে করা যখন আমার বাচ্চাকে প্রথম ফরমুলা খাবার দেয়া হল হাসপাতাল থেকে, তখন আমার বাচ্চা কয়েক ঘণ্টা ঘুমালো। তখন আমি মনে মনে বললাম যদি আমার কখনো বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে আমি তাকে ফরমুলা খাবার দেব। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি আমার মনে হল আমি ভুল করছি। ফরমুলা খাবার পর আমার বাচ্চা জিহ্বায় সাদা আস্তরণ পরতো এবং অদ্ভুত একটা গন্ধ হত। আমার মনে হল আমি আমার বাচ্চাকে স্বাস্থ্যকর খাবার না দিয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার দিচ্ছি। "প্রতিবার আমার মনে হত আমি ভালোমত চেষ্টা করিনি। আমার আসলে বেশি ঘুমের দরকার নেই"। আমি যদি জানতাম এই দোষী ভাবাটা যাবে না কখনো। কিন্তু এটাও অন্যায়। প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব রুটিন তৈরি করে নেয় যে কোনটা তাদের জন্য ভালো হবে। মায়ের বুকের দুধ না কি অন্য কোন খাবার। সব সময় দোষী বোধ করা একজন দায়িত্ববান মায়ের জন্য অভিশাপ কিন্তু খারাপ মায়েদের জন্য না। সাহায্য চাও প্রায় প্রতিটা শিশুর জন্য প্যাকেট-জাত খাবার রয়েছে, আপনি টাকা দিয়ে কিনবেন বিনিময়ে কিছু সময়ের জন্য অব্যাহতি পাবেন। বুকের দুধ খাওয়ানো বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি। প্রায় প্রতিটা শিশুর জন্য প্যাকেট-জাত খাবার রয়েছে, আপনি টাকা দিয়ে কিনবেন বিনিময়ে কিছু সময়ের জন্য অব্যাহতি পাবেন। আমি আমার স্থানীয় সুপারমার্কেটে এই সংক্রান্ত যাবতীয় সব জিনিস দেখতে পেলাম। কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে কাজে দিল ব্রেস্টফিডিং ওয়ার্কশপে যাওয়া এবং যারা অভিজ্ঞ তাদের কাছ থেকে সাহায্য নেয়া। ব্রেস্টফিডিং একটা চয়েস। আমি মনে করি এটাই একমাত্র পদ্ধতি হওয়া উচিত। কিন্তু যদি আপনি ব্যর্থ হন বা না চান , তার মানে এই না যে আপনি একজন খারাপ মা।
শিশু জন্মের পূর্বকালীন যে ক্লাস হয় আমি সেখানে যেতাম। আমি সাথে করে আমার শিশু জন্মের পর দুধ খাওয়ানোর সুবিধার জন্য যেসব বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায় সেসব নিয়ে যেতাম।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশে সামরিক বাহিনীর আকার বেড়েছে গত দশ বছরে তাদের তৈরি তালিকায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭ তম ছিল, তবে চলতি বছরে দেশটি একধাপ উপরে উঠে এসেছে। সামরিক শক্তি বিচারে সবার উপরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র, আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামের এই গবেষণা সংস্থা এই তালিকা প্রকাশ করেছে। গত ১২ বছর ধরে সংস্থাটি এ ধরণের তালিকা প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ২২৫০০০ মোট সদস্য ১৬০০০০ সক্রিয় সেনা সদস্য ৬৫০০০ সংরক্ষিত সেনা সদস্য সামরিক শক্তির বিচারে দুই প্রতিবেশী মিয়ানমার এবং ভারত বাংলাদেশের তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে আছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? কেন নির্বাচন করছেন না ড. কামাল হোসেন এখন কেন গণফোরামে যোগ দেওয়ার হিড়িক? গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকায় ভারতের অবস্থান পঞ্চম এবং মিয়ানমারের ৩৫তম। সামরিক বাহিনীর বিমান ১৭৩টি এয়ারক্রাফট ৪৫টি ফাইটার এয়ারক্রাফট ৪৫টি অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ৫৭টি ট্রান্সপন্ডার কেবল একটি দেশের সামরিক সরঞ্জামের সংখ্যা দিয়ে এই শক্তিমত্তার বিষয়টি নির্ণয় করা হয়নি। বরং দেশটির সামরিক সরঞ্জাম কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ, সেটিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদসহ আরো কিছু বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে এই তালিকা তৈরিতে। সামরিক শক্তির চিত্র ৬৪টি হেলিকপ্টার ৫৩৪টি কমব্যাট ট্যাংক ০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৯৪২টি সাঁজোয়া যান ১৮টি সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ৩২ টি রকেট প্রজেক্টর সামগ্রিক সামরিক শক্তি পরিমাপের ক্ষেত্রে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর শক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাজেট ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার। সামরিক নৌযানের চিত্র ৮৯ মোট নৌযানের সংখ্যা ০ বিমানবাহী রণতরীর সংখ্যা ফ্রিগেট ৬টি সাবমেরিন ২টি প্যাট্রোল ভেসেল ৩০টি মাইন ওয়ারফেয়ার ৫টি চলতি বছরের মে মাসে সুইডেন-ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিপ্রি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সামরিক খাতে ১২৩ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। গবেষণা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সামরিক খাতে ব্যয় ছিল প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৭ সালে সামরিক খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮,৮০০ কোটি টাকা। বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশগুলো
সামরিক খাত নিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষণা করে, বিশ্বে সুপরিচিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৫৬তম।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
তুরস্ককে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশটিকে যে তারা কোনটি ক্রয় করবে- যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিমান নাকি রাশিয়ার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারকে চিঠি পাঠিয়ে এ আল্টিমেটাম জানিয়ে দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন- তুরস্ক একই সাথে দুটি অর্থাৎ আমেরিকার এফ-৩৫ অত্যাধুনিক জেট ফাইটার এবং রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম পেতে পারে না। রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে কয়েকমাস ধরেই টানাপড়েন চলছে। আমেরিকার যুক্তি হল- রাশিয়ার প্রযুক্তি ন্যাটোর প্রতিরক্ষা পদ্ধতির জন্য হুমকি বরং যুক্তরাষ্ট্র খুশী হবে যদি তাদের প্যাট্রিয়ট এন্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম ক্রয় করে তুরস্ক। তুরস্ক যদিও ইতোমধ্যেই একশ এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান কিনতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং এফ-৩৫ কর্মসূচীতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বোমারু বিমানগুলোর যন্ত্রাংশ তৈরি করবে তুর্কি কোম্পানিই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সিরিয়ার যুদ্ধ: বড় দেশগুলির কার কী অস্ত্র আছে? যেসব ভুলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলো বাংলাদেশ মহাকাশ স্টেশনে রাত কাটাতে পর্যটক পাঠাবে নাসা এস-৪০০ প্রযুক্তি না নিতে তুরষ্ককে হুঁশিয়ার করেছে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে কী পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে ? মিস্টার শানাহান ওই চিঠিতে বলেছেন যে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ নিতে তুর্কি লোকবল রাশিয়ায় গেছে এ খবরে যুক্তরাষ্ট্র 'অসন্তুষ্ট'। "এস-৪০০ গ্রহণ করলে তুরস্ক এফ-৩৫ পাবে না। তোমাদের এখনো সময় আছে এস-৪০০ এর বিসয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের।" প্রথম চারটি এফ-৩৫ ইতোমধ্যেই তুরস্ককে হস্তান্তরের কথা থাকলেও সেগুলো এখনো তুরস্কের হাতে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মঙ্গলবার বলেছেন, এস-৪০০ চুক্তি এগিয়ে নিতে তাদের মনোভাব দৃঢ়। তিনি বলেন, "দুঃখজনকভাবে এখনো কোনো ইতিবাচক প্রস্তাব আসেনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে।" ন্যাটো জোটে তুরস্ক দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশগ্রহণকারী দেশ। ওদিকে রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, দু মাসের মধ্যে এস-৪০০ তুরস্ককে দেয়া শুরু করবে রাশিয়া। এস-৪০০ মিসাইল প্রযুক্তি কী? এস-৪০০ প্রযুক্তি 'ট্রিউমফ' হল বর্তমান বিশ্বে ভূমি থেকে আকাশে মিসাইল নিক্ষেপের সবচেয়ে উন্নততর প্রযুক্তি। এটার আওতা হচ্ছে ৪০০ কিলোমিটার এলাকা। একটি এস-৪০০ প্রযুক্তি দিয়ে একনাগাড়ে ৮০টি লক্ষ্যে আঘাত করা যায়। রাশিয়া জানিয়েছে, স্বল্প উচ্চতার ড্রোন থেকে শুরু করে যেকোন উচ্চতায় বিমান এবং দূরপাল্লার মিসাইলে আঘাত হানতে সক্ষম এই প্রযুক্তি।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নাকি মার্কিন যুদ্ধ বিমান - এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তুরস্ককে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
আবদুল কাদের মির্জা মি. মির্জা বসুরহাটে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পৌরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই। এ কারণে পৌর নির্বাচনের সময় তার করা একটি মন্তব্য বাংলাদেশে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি করে। মি. মির্জা বুধবার পৌনে ১২টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর নতুন করে আবার আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ''আমি প্রশ্নবিদ্ধ আর হতে চাই না। আমি আওয়ামী লীগে আজ থেকে আর নেই। কোনও শক্তি আর আমাকে আওয়ামী লীগের মির্জা আর বানাতে পারবে না।'' আরও পড়ুন: আলোচনায় কাদের মির্জা: সাধারণ সম্পাদকের ভাই, নাকি 'সত্যবচন'? ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা বলছেন নোয়াখালীর সেই আ. লীগ নেতা নোয়াখালীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানীর পর চলছে ধরপাকড় ফেসবুক লাইভে তিনি বলছেন, ''আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি সেখানে থেকেই কাজ করবো।'' আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নেই তিনি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তবে বুধবার ফেসবুকে দেয়া ঘোষণায় তিনি লিখেছেন, আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম: ১. ভবিষ্যতে কোনও রকম কোনও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না ২. ভবিষ্যতে আমি কোনও রকম কোনও দলীয় পদ-পদবির দায়িত্ব নেব না কেন তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন, এই বিষয়ে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''প্রশাসনের জুলুম, সরকারি জুলুম আমার বিরুদ্ধে চলছে, এগুলোর কেউ বিচার করছে না। আমার বিরুদ্ধে, আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হচ্ছে। কোন বিচার পাই না। আমাদের মামলা থানা নেয় না, তাদের মামলা নিয়ে আমাদের লোকজনকে হয়রানি করতেছে।'' ৯ই মার্চ বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত আর বহু আহত হওয়ার পর ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেই ঘটনায় কয়েকটি মামলায় অন্তত ২৮জনকে আটক করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার পরেও কেন তার এসব অভিযোগ, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি আওয়ামী লীগে নেই। আমি তো বিরোধী দলের থেকেও খারাপ। আমি মওদুদ সাহেবের প্রোগ্রাম কেন করলাম? এখন আমার বিরুদ্ধে সবাই লাগছে"। ''আমি ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে কথা বলতেছি, আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতেছি, তাই সবাই আমার বিরুদ্ধে লাগছে। '' তিনি বলেন। গত জানুয়ারি মাসে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে কয়েকটি বক্তব্যে আবদুল কাদের মির্জা বলেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন-চারটা আসন বাদে আমাদের এমপিরা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। মেয়র প্রার্থী হিসাবে ইশতেহার ঘোষণার সময় দেয়া বক্তব্যে আবদুল কাদের মীর্জা বলেছিলেন, 'বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিছু কিছু চামচা নেতা আছেন, যারা বলেন অমুক নেতা, তমুক নেতার নেতৃত্বে তারা বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গেছে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন চারটা আসন ছাড়া বাকি আসনে আমাদের এমপিরা পালানোর দরজা খুঁজে পাবে না। এটাই হলো সত্য কথা।'' তার এই বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তখন বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ''আমি নোয়াখালীর প্রসঙ্গে এই কথা বলেছি। আমি বলছি, সত্যিকার গণতান্ত্রিকভাবে যদি ভোট হয়, সেক্ষেত্রে নোয়াখালীতে দুই-চারজন এমপি ছাড়া বাকিরা পালানোর পথ পাবে না। দুই-একজন এমপির কারণে এখানে জনপ্রিয়তা নষ্ট হচ্ছে।'' ''আমার বক্তব্য হচ্ছে যে, যে গণতন্ত্র থেকে আজ মানুষ বঞ্চিত, যে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, এটা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি মনে-প্রাণে, জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন"। এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনাত হুদা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ''এটা আসলে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের ব্যাপারটি বাইরে বেরিয়ে এসেছে। সরকারের উচিত এটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা। এখানে যদি কোন স্থানীয় এবং জাতীয় ইস্যু জড়িত থাকে, পেছন থেকে যদি অন্য কোন অদৃশ্য শক্তির ইন্ধন থাকে, সেটাও দলটির অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।'' আবদুল কাদের মির্জার এই পদত্যাগের ঘোষণার ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আবদুল কাদের মির্জা রিজাইন করলেন কি না করলেন, তাতে আমাদের তো কিছু আসে যায় না। আমরা তার ব্যাপারে কোন খবরও রাখি না, তার ব্যাপারে আমরা কিছু জানিও না। হে তো নিজে নিজেই রাজা, নিজে নিজেই সব কিছু। হে তো কাউকে মানে না। আমাদের কাছে কোন খবর নেই।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইরানের সাথে চুক্তি করার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নজর দিল চীন বাংলাদেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচী কি গভীর সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে? অ্যাকোয়ারিয়ামের সাকার ফিশ কেন মাছ চাষীদের মাথা ব্যথার কারণ? ২৯টি জেলায় সংক্রমণ কেন এত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ?
সম্প্রতি নানা মন্তব্য করে বাংলাদেশে আলোচনা সৃষ্টি করা নোয়াখালীর আলোচিত একজন পৌরসভা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মির্জা এবার ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আপনার সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানে গুগল আমরা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কথা বলছি। "আপনি যখন গুগলের সেবা ব্যাবহার করেন, আপনার তথ্য দিয়ে আপনি আমাদের বিশ্বাস করেন।" টেক জায়ান্ট কোম্পানিটি নিজেদের গোপনীয়তা সংক্রান্ত নীতিমালার প্রথম লাইনেই এরকম পরিষ্কারভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না "মাই অ্যাক্টিভিটি" তে জমা থাকা যে কোনো তথ্য মুছে দেয়ার সুযোগ আছে। কিভাবে এটি করা যায় তা কয়েকটি সহজ ধাপে বর্ণনা করা হোলো। ১. মাই অ্যাক্টিভিটি মুছে দেয়া প্রতিবার আপনি যখন গুগল সার্চ করেন, তারা আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে তা যুক্ত করে রাখে। জিমেইল ইনবক্স দিয়ে সার্চ করা বা কোনো ফর্ম পূরণের পাশাপাশি আপনার সব পদক্ষেপেরও বিবরণ রাখে তারা এই সব তথ্য "মাই অ্যাক্টিভিটি" নামের একটি সাইটে জড়ো করে রাখে তারা- যেখানে আপনার যেতে হবে। মাই অ্যাক্টিভিটি’র লিঙ্ক আপনি পছন্দমতো নির্দিষ্ট কোনো পেইজ বা বিষয় মুছে দিতে সার্চ ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোনো সময়ের মধ্যে সব বা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মুছে দিতে পারেন। এর ফলে কি কি হতে পারে এবিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে আপনার কাছে একটি সতর্কবার্তা আসবে। কিন্তু বাস্তবে আপনার সার্চ ও ওয়েবসাইট ব্রাউজের ইতিহাস মুছে দিলে কোনো সমস্যা হবে না। এমনকি আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট ও অ্যাপের কার্যকারিতার ক্ষেত্রেও না। ২.ইউটিউবের সব কার্যক্রম মুছে দেয়া ইউটিউবে আপনি কি সার্চ করেন ও কি দেখেন তা'ও গুগল নজরে রাখে। কিন্তু এটিও সহজেই মুছে দেয়া যায়। প্রথমে বামদিকের মেন্যুতে থাকা "হিস্টরি" তে ক্লিক করুন। এরপর "ক্লিয়ার অল সার্চ হিস্টরি" আর "ক্লিয়ার ওয়াচ হিস্টরি" তে ক্লিক করুন, অথবা বাছাই করে নির্দিষ্ট সার্চ করা বা দেখা বিষয়ও মুছে দিতে পারেন। মাই অ্যাক্টিভিটি থেকে ইউটিউব সার্চ হিস্টরিতে যাওয়ার লিংক ৩. বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার সম্পর্কে যা যা জানে তা কীভাবে মুছবেন গুগল শুধু আপনার বিষয়ে সব জানে তা'ই নয়, তারা এই তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের দিয়ে থাকে। একারণেই আপনার সার্চ হিস্টরির সাথে সম্পৃক্ত বিজ্ঞাপন দেখতে পান আপনি প্রায়ই। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই - বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে কি তথ্য যাচ্ছে তা আপনি জানতে পারেন। এবার আপনার যেতে হবে "অ্যাডস সেটিংস" (Ads Settings) অপশনে। সেখানে ক্লিক করুন এবং তারপর "ম্যানেজ অ্যাডস অ্যান্ড সেটিংস" এ চাপুন। এরপর আপনার কাছে "অ্যাডস পার্সোনালাইজেশন" নামে একটি অপশন আসবে। এটিকে অকার্যকর করলে গুগলের কাছে থাকা আপনার তথ্যের ভিত্তিতে আর কোনো বিজ্ঞাপন আপনি দেখতে পাবেন না। তবে একেবারেই কোনো বিজ্ঞাপন না দেখার অপশন নেই। আপনার পছন্দ সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন না বলে একটি গুগল আপনাকে একটি সতর্কবার্তা দেবে। তবে এই সিদ্ধান্ত আপনার ওপর নির্ভর করে। ৪. আপনার অবস্থানের বিবরণ মুছে ফেলুন আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাহলে একটি টাইমলাইন ফাংশনের মাধ্যমে আপনি ফোন বা ট্যাবলেট রিয়ে কোথায় কোথায় গিয়েছেন তার একটি তালিকা তৈরী করে রাখে গুগল। গুগল ম্যাপস থেকে এই তথ্য মুছে দিতে আপনার এই পেইজে যেতে হবে। এই পেইজে গিয়ে অবস্থান বিবরণ মুছতে পারেন লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ করে সম্পূর্ণ হিস্টরি, একটি বিশেষ দিন বা নির্দিষ্ট সময়ের তথ্য মুছে দিতে পারেন আপনি। তবে নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য বা যাত্রার তথ্য "ওয়েস্ট বাস্কেট" এ ক্লিক করে কখনোই মুছতে পারবেন না।
অন্যান্য অনেক কিছুর মত আপনি কি সার্চ করেন, আপনার কি পছন্দ আর আপনি কোন ওয়েবসাইটে যান, তা ওর অজানা নয়।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
জীজা ঘোষ: সেরিব্রাল পলসি সত্ত্বেও জীবনে সফল চল্লিশ বছর বয়সী জীজা ঘোষ সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত৻ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সেরিব্রাল পলসিতে ছোটবেলায় পড়াশুনো করেছেন৻ প্রতিবন্ধকতা নিয়েও নিয়মিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ৻ ছাত্রী ছিলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ আর দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের৻ আর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সেরিব্রাল পলসিতে এখন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে চাকরী করেন তিনি৻ জীজা ঘোষ একাই বহু জায়গায় বিমানে সফর করেন৻ আর এর আগেও একাধিকবার তাঁকে বিমানে তুলতে প্রাথমিক আপত্তি জানিয়েছে বিভিন্ন বিমানসংস্থা – কিন্তু শেষমেশ কেউই তাঁক বিমান থেকে নামিয়ে দেন নি – যে ঘটনা হয়েছে কলকাতায়৻ নিজের দপ্তরে বসে জীজা ঘোষ বিবিসি-কে বলেন, “সেরিব্রাল পলসি সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গোয়া যাওয়ার জন্য একটি বেসরকারী বিমানে চেপেছিলাম৻ নিয়মমাফিক চেক-ইন করে বোর্ডিং পাস নিয়ে বিমানে আরোহন করি৻ কিন্তু একটু পরেই এয়ারলাইন্সের কর্মীরা আমাকে নেমে যেতে বলেন৻” “ প্রথমে কোনও কারণও দেখানো হয় নি৻ পরে বলা হয় যে পাইলট আমাকে নিয়ে বিমান ওড়াতে রাজী নন৻ ওই বিমানের অন্যান্য যাত্রীরা আমাকে সমর্থনও করেছিলেন৻ কিন্তু শেষমেশ নেমেই যেতে হয়,” বলছিলেন জীজা ঘোষ৻ এই ঘটনার পরে ওই বেসরকারী বিমানসংস্থা অবশ্য ক্ষমা চেয়েছে আর পরবর্তী বিমানে মিস ঘোষকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছিয়ে দিয়েছে৻ কিন্তু জীজা ঘোষ বলছেন যে ওই পাইলটকে জনসমক্ষে বা সংবাদমাধ্যমে ক্ষমা চাইতে হবে – যাতে একটি দৃষ্টান্ত তৈরী হয় আর এরপরে যাতে কোনও পাইলট বা বিমানসংস্থা বা অন্য যে কেউ এধরনের আচরণ না করতে পারেন৻ এই ঘটনা সামনে আসার পরে পাইলটের অনমনীয় মনোভাবের যেমন সমালোচনা হচ্ছে, তেমনই বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সাধারণভাবে সচেতনতার অভাব নিয়ে৻ এছাড়াও প্রতিবন্ধী মানুষদের চলাফেরা করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামোও নেই দেশে৻ জীজা ঘোষের কথায়, “মানুষ অনেক কিছু বুঝেও বুঝতে চান না.. এটাই সবথেকে বড় বাধা৻ এছাড়াও রাস্তাঘাট, যানবাহন, বড় বিল্ডিং – এগুলোতে প্রতিবন্ধীদের চলাফেরার খুবই অসুবিধা হয়৻ যদি কেউ হুইলচেয়ার বা ক্রাচ ব্যবহার করেন, তাঁর পক্ষে তো বাইরে বের হওয়াই সম্ভব না৻ কিন্তু লন্ডনে পড়াশোনার জন্য একবছর থাকতে গিয়ে অভিজ্ঞাতাটা একেবারে অন্যরকম৻ একা থাকতে বা চলাফেরা করতে কোনও অসুবিধাই হত না সেখানে৻” “এটাই বেশিরভাগ মানুষ বোঝেন না যে সেরিব্রাল পলসি কোনও অসুখ বা ব্যাধি নয় – এটা একটা অবস্থা৻ জন্মের আগে বা জন্মের সময়ে মস্তিষ্কে চোট লাগলে সেরিব্রাল পলসি হয়, মন্তব্য জীজা ঘোষের৻ কিন্তু সরকার কি প্রতিবন্ধীদের অধিকারের বিষয়ে যথেষ্ট সক্রিয়? জীজা ঘোষের কথায়, “প্রতিবন্ধীদের অধিকার দিতে সরকার একটা আইন পাশ করে ১৯৯৫ সালে – যেটা শিক্ষার অধিকার, চাকরীর অধিকার বা চলাফেরার অধিকারের কথা বলেছে৻ কিন্তু আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্রে সই করার পরে ভারতকে নতুন আইন তৈরী করতে হবে – সেটার খসড়াও তৈরী হয়েছে৻ যত দ্রুত সম্ভব এই আইন চালু করাটাই এখন আমাদের সবথেকে বড় দাবী৻” অন্যদিকে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্যও সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে – যেমন পালস পোলিও টীকাকরণ নিয়ে দেশব্যপী প্রচার হয়েছে – যার ফলে মানুষ সেটার ব্যাপারে জানতে পেরেছেন – প্রতিবন্ধীদের সম্বন্ধে সচেতন করতেও একই ধরনের প্রচারাভিযান শুরু করা উচিত সরকারের, বলছিলেন জীজা ঘোষের৻ তবে সরকারের ভরসায় না থেকে তাঁরা ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছেন একটা নেটওয়ার্ক তৈরী করার৻ এর জন্য ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটকে তাঁরা ব্যবহার করছেন৻
সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে ভারতের একটি বেসরকারী বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সেদেশে শুরু হয়েছে বিতর্ক৻
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ঢাকার মীরপুরে ১০ টাকা কেজি চাল কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু মানা হয়নি সামাজিক দুরত্ব। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে জানান, বিশেষ ওএমএস কর্মসূচির আওতায় এই চাল কিনতে গিয়ে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছিলেন। "এর ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না এবং জন স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল," তিনি বলেন। তিনি জানান, পাশাপাশি যারা এই চাল কেনার যোগ্য না তারাও এসে চাল কেনার লাইনে যোগ দিচ্ছিলেন। এসব কারণে চালু হওয়ার সপ্তাহ-খানেক সময়ের মধ্যে ১০ টাকা-কেজি চাল বিক্রির এই বিশেষ কার্যক্রম স্থগিত করা হলো বলে তিনি জানিয়েছেন। পরে বিকল্প পথে এই ওএমএস কর্মসূচি আবার শুরু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে মি. মাহমুদ জানান। করোনাভাইরাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের সাহায্যে এই বিশেষ কর্মসূচি চালু হয়। ওএমএস-এ প্রতি কেজি চালের দাম ৩০ টাকা হলেও এই বিশেষ কর্মসূচিতে চালের দাম ১০ টাকা নির্ধারিত হয়। আগামী তিন মাসে এই কর্মসূচির আওতায় ৭৪,০০০ মে. টন চাল বিক্রির কথা ছিল। এজন্য ২৫২ কোটি টাকা ভর্তুকির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল বলে সরকারে জানাচ্ছে। সারোয়ার মাহমুদ, মহাপরিচালক, খাদ্য অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন এবং পৌর এলাকায় এই কর্মসূচিতে এপর্যন্ত ১০,০০০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে বলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উল্লেখ করেন। সামাজিক দূরত্ব কেন বজায় রাখা গেল না? সারোয়ার মাহমুদ বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময় চাল বিক্রির লাইনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হওয়ার প্রধান কারণ বিশৃঙ্খলা। "চাল বিক্রির স্পটগুলিতে আমরা লাইনে দাঁড়ানোর জন্য জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম," বলছেন তিনি, "সেখানে উপস্থিত ডিলার, আমাদের বিভাগীয় কর্মকর্তারা এবং পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনও তাদের সাধ্যমত শৃঙ্খলা বাজায় রাখার চেষ্টা করেন।" "কিন্তু দেখা গেল আমরা যতটা আশা করছিলাম, ভিড় হয়ে যাচ্ছিল তার চেয়েও বড়।" এখন খাদ্য বিতরণে সরকারের অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে এই বিশেষ ওএমএস আবার চালু করার সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ওএমএস চাল বিক্রির লাইনে সামাজিক দূরত্ব না মানায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্য-ঝুঁকির মুখে সরকার দেশব্যাপী ১০ টাকা-কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
লেবাননের দম্পতি ক্যারোল ও হাবিব দু'জনেই বধির কিন্তু মজার বিষয় হলো এই দম্পতির দু'জনই বধির। সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ (ইশারা বা সাংকেতিক ভাষা) ব্যবহার করে তারা একে অন্যের সাথে ভাব আদান প্রদান করেন। কানে না শোনার পাশাপাশি কথা বলতেও সমস্যা হয় তাদের দু'জনেরই। কিন্তু তাদের এই সমস্যার কারণে তাদের ভালোবাসা থেমে থাকেনি। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারোল এবং হাবিব দু'জনেই জানান যে একে অপরকে আগে থেকে চিনলেও শুরুতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। ধীরে ধীরে তাদের পরিচয় থেকে পরিণয় হয়। "ক্যারোল স্কুলে আমার নিচের ক্লাসে পড়তো। এরপর বধিরদের নিয়ে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানেও বেশ কয়েকবার তার সাথে আমার দেখা হয়। কিন্তু তখনও তার জন্য বিশেষ কিছু অনুভব করিনি।। একদিন এক বন্ধুর বাসায় এক অনুষ্ঠানে তাকে দেখে আমি হঠাৎই তার প্রেমে পড়ি", বলছিলেন হাবিব। ক্যারোলও শুরুতে হাবিবকে বন্ধুর মতোই দেখতেন। পরে ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। ক্যারোল ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আর হাবিব শিয়া মুসলিম। দু'জনের সম্পর্কের বিষয়ে জানার পর তাদের পরিবার শুরুতে কিছুটা আপত্তি করলেও পরে মেনে নেয়। কিন্তু লেবাননে ধর্মীয় স্বীকৃতি ছাড়া বিয়ে করা বৈধ নয়, তাই তারা পার্শ্ববর্তী দেশ সাইপ্রাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন। হাবিবের জীবনের স্বপ্ন ছিল গায়ক হওয়ার। স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় অবশ্য খুব একটা দু:খিত নন তিনি। "একবার টিভিতে এক গায়ককে দেখার পর থেকে আমার জীবনের স্বপ্ন গায়ক হওয়ার। কিন্তু আমি কানেও শুনতে পাই না, আর আমার কথাও অনেকেই বোঝে না। তাই দূর্ভাগ্যজনকভাবে গায়ক হওয়া আর হলো না।" ক্যারোলও তার শারীরিক ত্রুটির বিষয়ে লজ্জিত নন। "আমার মাঝে-মাঝে প্রকৃতির শব্দ শুনতে, আশেপাশের মানুষের কথা শুনতে ইচ্ছা হয়। কারণ সবসময় তো আর অন্য কেউ তাদের কথা আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারবে না", বলেন ক্যারোল। "কিন্তু এটা কোন বিষয় নয়, আমার অভ্যাস হয়ে গেছে।" ক্যারোলের ভাই-বোনদের মধ্যে একজনও বধির না হলেও হাবিবের চার ভাই-বোনের তিনজনই বধির। ক্যারোল আর হাবিবের চাওয়া - তাদের সন্তান যেন বধির না হয়। "আমাদের সন্তান যদি কানে শুনতে পায় তাহলে তার জীবন অনেক সহজ হবে। বধিরদের জন্য লেবাননে জীবনধারণ অনেক কঠিন", বলছিলেন হাবিব। ক্যারোল বলেন, "একজন বধির ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয় হলো কাজ পাওয়া। যারা কানে শুনতে পায়, অধিকাংশ সময় তারা আমাদের কথা বুঝতে পারে না।" "যখন তারা আমাদের কথা বুঝতে পারে না, তখন আমরা অনেকসময় হতাশ হয়ে যাই। অনেকসময় তারা আমাদের নিয়ে হাসাহাসিও করে।" ক্যারোল আর হাবিবের বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থানীয় বধির গোষ্ঠীর সবাই আমন্ত্রিত ছিলেন। তাদের বিয়ের প্রস্তুতির নানা কাজেও তারা তাদের এলাকার বধিরদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তারা মনে করেন, এর ফলে নিজেদের দুর্বলতাকে ছাপিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আত্মবিশ্বাস পাবেন বধিররা। তাদের বিয়ের আংটি এবং পোশাকের ডিজাইনারও ছিলেন একজন বধির ব্যক্তি। এমনকি তাদের বিয়ের নাচের পরিচালকও ছিলেন একজন বধির ব্যক্তি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর জনসংখ্যার সাড়ে তিন ভাগ মানুষ বধির। বিশ্ব বধির সংঘের নির্বাহী পরিচালক ইভা টুপি'র মতে বিশ্বের বধির শিশুদের আশি ভাগই কখনো পড়ালেখা করার সুযোগ পাননা।
হাবিব এবং ক্যারোল দম্পতি লেবাননের নাগরিক। তারা একে অপরকে ভালোবাসে বিয়ে করেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আমাদের ঘুমের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে একটি বিশেষ রঙ। রং-টির নাম সায়ান। সহজ করে বলতে গেলে, সবুজ আর নীল মেশালে যে রং হয় সে রকম। জীব বিজ্ঞানীদের মতে, এই রং-এর মধ্যে এমন একটি গোপন উপাদান আছে, যেটা এক ঝটকায় মানুষের ঘুম তাড়িয়ে মস্তিষ্ককে সজাগ করে তুলতে পারে। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন যে, চোখের সামনে এই সায়ান রং বেশি মাত্রায় থাকলে মানুষের ঘুম কমে যায়। অন্যদিকে এই রং সরিয়ে রাখলে ঘুমিয়ে পড়া সহজ হয়। চোখের সামনে এই রং-এর পরিবর্তন যদি তেমন একটা দৃশ্যমানও না হয় তাও এর প্রভাব অনুভব করা যায় বলে জানায় তারা। গবেষকরা জানান, তারা কম্পিউটার এবং মোবাইলের স্ক্রিনের জন্য এমন কোন জিনিষ তৈরি করতে চান যেটা দিয়ে সায়ানের রং-এর মাত্রা কমানো বাড়ানো যাবে। 'নাইট মোড' ঘুম গবেষকরা এরই মধ্যে ঘুমের সঙ্গে রং-এর একটি সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে যে নীল রং-এর আলো বিচ্ছুরণ হয় সেটা ঘুমের বিলম্ব করে বলে চিহ্নিত করেছে। এ কারণেই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের সেটিংসে নাইট মুড নামে একটি অপশন থাকে। সায়ান রং কি মানুষকে জাগিয়ে রাখতে পারে? যেটা এই ব্লু লাইটের পরিমাণ কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। এতে রাতের বেলা ঘুমের ব্যাঘাত কম হয়। এ নিয়ে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানীরা সুইজারল্যান্ডের বাসেন শহরে গবেষণা পরিচালনা করে। এই গবেষণা নিয়ে "স্লিপ" নামে একটি জার্নাল প্রকাশ করেন তারা। সেখানে সায়ান রং-এর কয়েকটি বিশেষ প্রভাবের কথা উঠে আসে। যখন মানুষ চোখের সামনে কম বা বেশি পরিমাণ সায়ান রং দেখতে পায় তখন গবেষকরা তাদের লালার নমুনা থেকে স্লিপ হরমোনের মাত্রার তারতম্য পরিমাপ করতে পারে। অধ্যাপক রব লুকাস জানান, কারো জন্য এটা জরুরি নয় যে সে নিজে রং-এর পার্থক্য দেখতে পারছেন কিনা। খালি চোখে এই পার্থক্য দৃশ্যমান না হলেও শরীর এই পরিবর্তনের কারণে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে কিনা সেটা বেশি জরুরি। রাতে স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তিনি বলেন, সায়ান রং-এর সাথে মিলিয়ে যদি অন্য কোন রং তৈরি করা হয় তাহলে সেটাও মানুষের ঘুমে প্রভাব ফেলতে পারে। সবুজের এমন বিভিন্ন শেডে সায়ান রঙ মেশানো থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সায়ানের কাছাকাছি অন্য কোন রং মিশিয়ে কাঙ্ক্ষিত রং তৈরি করা যেতে পারে। স্ক্রিনের রঙ যদি মানুষকে জাগিয়ে রাখার লক্ষ্য থাকে, যেমন যেসব কাজে রাতের বেলা প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কম্পিউটারের স্ক্রিনে সায়ান রং বা এর সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা অন্য কোন রং রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। তবে যদি লক্ষ্য থাকে ঘুম বাধাগ্রস্ত হওয়ার সমস্যা কমানো তাহলে কম্পিউটারে স্ক্রিনে এমন রং রাখতে হবে যেখানে সায়ানের কোন মিশ্রণ নেই। গবেষকরা এই ধারণাটি প্রমাণ করতে মানুষকে বিভিন্ন সিনেমা দেখান। গবেষকরা বলেছেন সায়ান রঙ ব্যবহার না করেই একই ধরণের রঙ তৈরি করা সম্ভব। যেখানে কিছু সিনেমার পর্দায় সায়ান রং ব্যবহার করা হয়েছে এবং কোনটিতে হয়নি। এতে দর্শকদের লালায় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা এবং এতে ঘুমের তারতম্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়। অধ্যাপক রব লুকাস এবং ডক্টর এনেটে অ্যালেন নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষক দলটি জানায়, এই আবিষ্কারের বিষয়ে কম্পিউটার, টেলিভিশন বা স্মার্টফোনের স্ক্রিনে বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন থাকতে পারে। অধ্যাপক লুকাস বলেন, "এই গবেষণার ফলাফল এক অর্থে দারুণ। কারণ এ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, সায়ান রং পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র এই রং থেকে বিচ্ছুরিত আলোর সংবেদনশীলতা বা লাইট এক্সপোজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা কতোটা ঘুম-ঘুম বোধ করবো সেটাকে প্রভাবিত করতে পারি।" যেসব পরিবারের কিশোর কিশোরীরা রাতের বেলা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, এই গবেষণা তাদের সাহায্য করতে পারে বলে জানান অধ্যাপক লুকাস। আরো পড়তে পারেন: দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় গেমে আসক্তি 'মানসিক রোগ', বাংলাদেশের চিত্র কি? সুস্বাস্থ্যের জন্য আট ঘণ্টা ঘুম কতটা জরুরী?
শিরোনাম পড়ে হয়তো অবাক হবেন এই ভেবে যে রং-এর সঙ্গে ঘুমের কী সম্পর্ক? তবে গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের ঘুম-ঘুম ভাব কেড়ে নিয়ে মস্তিষ্ক সজাগ করে তুলতে পারে একটি বিশেষ রং।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষা শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রে বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে কাইজার পারমানেন্টে গবেষণাকেন্দ্রে ৪৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। এই টিকার উপাদান হলো, কোভিড-নাইনটিন ভাইরাসের একটি জেনেটিক কোড - যা আসল ভাইরাসটি থেকেই নকল করে তৈরি করা হয়েছে। এই কপিটি বিপদজনক নয়, এবং এটা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনটি, বা এরকম যে আরো কয়েকটি টিকা এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে - তাতে আদৌ কোন কাজ হবে কিনা তা জানতে আরো অনেক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। বিজ্ঞানীরা সারা পৃথিবী জুড়েই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন গবেষণার কাজ দ্রুততর করতে। এমআরএনএ-১২৭৩ নামের এই টিকাটি কোভিড-নাইনটিন সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস থেকে তৈরি নয়। বরং সেই ভাইরাসের জেনেটিক সংকেতের একটি অংশ কপি বা নকল করেছেন বিজ্ঞানীরা এবং সেটাই এই টিকাতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই টিকা প্রয়োগ করা হলে, মানবদেহের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলেই ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে। স্বেচ্ছাসেবকদের বাহুতে ২৮ দিন পর পর দুবার টিকাটি দেয়া হবে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবককে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে। পরীক্ষাটি যদি ভালোভাবে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, তাহলে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য পাওয়া যেতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে পরীক্ষা করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাদ দিচ্ছে। সেটি হলো, এই টিকাটি প্রাণীর দেহে সংক্রমণ-প্রতিরোধী ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে কিনা - তার পরীক্ষাটি এ ক্ষেত্রে করা হয়নি। তবে মডার্না থেরাপিউটিক্স নামে যে বায়োটেকনোলজি কোম্পানি এ কাজটা করছে - তারা বলছে, বহুল-পরীক্ষিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এই ভ্যাকসিন বানানো হয়েছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. জন ট্রেগোনিং বলছেন, এই টিকা বিদ্যমান প্রযুক্তিই অনুসরণ করেছে, এবং অত্যন্ত উচ্চ মান রক্ষা করে এটি বানানো হয়েছে। "এতে যা ব্যবহৃত হয়েছে তা যে মানুষের দেহে ব্যবহার নিরাপদ তা আমাদের আগে থেকেই জানা এবং এই ট্রায়ালে যারা অংশ নেবেন তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে মনিটর করা হবে।" ড. ট্রেগোনিং বলেন, "হ্যাঁ, এটা অত্যন্ত দ্রুত তৈরি হচ্ছে, কিন্তু এখন ভাইরাসটির সংগে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হচ্ছে এব্ং কাজটা করা হচ্ছে মানবতার কল্যাণের জন্য।" আরো পড়তে পারেন: ভাইরাস ভীতিতে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করবেন কীভাবে বিদেশফেরত বাংলাদেশীদের নমুনা পরীক্ষা কতটা হচ্ছে? বিদেশ-ফেরতরা কি আদৌ 'হোম কোয়ারেন্টিনে' থাকছেন?
করোনাভাইরাসের একটি টিকা তৈরি হয়েছে এবং তা সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের দেহে পরীক্ষা করা শুরু হবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। এদের মধ্যে কিছু রাজ্যে ফিরেছে বলে রাজ্য সরকার জানাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। কেন্দ্র অভিযোগ করছে এই শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিতে যথেষ্ট সহায়তা করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। যাদের নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত, সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। শুনুন তাদেরই জবানিতে: মেয়ের সাথে টিঙ্কু শেখ টিঙ্কু শেখ, মুম্বাইতে আটকে পড়া এক রাজমিস্ত্রী বীরভূম জেলার রামপুরহাট থেকে বাসে আমাদের গ্রামে যেতে হয়। আমাদের বিশেষ জমিজায়গা নেই, তাই বছর আটেক আগে মুম্বাইতে রাজমিস্ত্রীর কাজের খোঁজে চলে আসি। আমি একটানা থাকি না, কয়েক মাস কাজ করে ফিরে যাই, আবার আসি এখানে। দেশে বাবা মা আছে, স্ত্রী আর চার বছরের মেয়ে। মেয়েটা বার বার বলছে আব্বু কবে বাড়ি আসবে! কোনও মাসে ১৫, কোনও মাসে ২০ হাজার টাকা রোজগার হত। নিজের খরচ খরচা বাদে হাজার দশেক টাকা দেশে পাঠাতাম। বা কয়েক মাস কাজ করে আবার বাড়িও ফিরে যেতাম, যেমন এবারই তো আমার বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল মে মাসের তিন তারিখ। সে টিকিটে তো আর যেতে পারি নি - হঠাৎ লকডাউন করে দিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তো একটু ভাবার দরকার ছিল লকডাউন দেওয়ার আগে। আমাদের মতো বাইরে যে গরীব মানুষগুলো কাজ করে, তারা কী করবে, সেটা তো ভাবে নি সরকার। এই দেড়মাস যে কী করে বেঁচে আছি, নিজেই জানি না। আমরা যে শেঠের কাছে কাজ করি, তার একটা বাড়ি মেরামত হচ্ছিল। আমি আর আরও ছ'জন সেখানেই কাজ করছিলাম। লকডাউন দেওয়ায় ওই বাড়িরই একটা দিকে সরু মতো একটা ঘরে আমরা থাকছি। বাইরে বেরতে পারছি না। শেঠ বলে দিয়েছে টাকা পয়সা কিছু দিতে পারবে না। হাতে যা ছিল, তা শেষ। দেশেও কিছু পাঠাতে পারছি না। কিন্তু আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তারও খরচ খরচা আছে। কীভাবে যে কী হবে, জানি না। পুরসভা থেকে ক'বার খাবার দিতে এসেছিল, কিন্তু সেই খাবার থেকে গন্ধ বেরচ্ছে। ও জিনিষ পোকামাকড়েও খাবে না বোধহয়। একটা সংস্থা চাল-ডাল দিয়েছে মোট পাঁচবার। সেই খেয়েই আছি। শাক সব্জি কেনার তো পয়সাই নেই। আশেপাশের অন্য রাজ্যের লোকদের তো তারা ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শুনছি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: লকডাউনে ভারতের অভিবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বেপরোয়া চেষ্টা `ক্লান্ত হয়ে রেল লাইনের ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শ্রমিকরা` ভারতে ঘরে ফিরতে মরিয়া শ্রমিকদের ব্যাপক বিক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গের এই পরিযায়ী শ্রমিকরা বলছেন তারা অবর্ণনীয় দুদর্শার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের মমতা দিদি কী উদ্যোগ নিচ্ছেন বুঝতে পারছি না। উনি যদি একটু মুখ খুলতেন, তাহলে হয়তো আমরা বাড়ি ফিরে যেতে পারতাম। এভাবে আর কতদিন চলবে জানি না। মি. শেখের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই তার ফোনটা চেয়ে নিয়ে কথা বলতে চাইলেন তারই এক সহকর্মী। আব্দুল গণি, বীরভূম থেকে মুম্বাইতে আটকে পড়া আরেক রাজমিস্ত্রী পয়সা-কড়ি সব শেষ। কতদিন শুধু ডাল ভাত খেয়ে বাঁচব জানি না। ওইটুকু রেশন কবার পেয়েছি বলে জানে বেঁচে আছি। যদি দেশে ফিরতে পারতাম, তাহলে যা হোক কিছু করে রোজগার হত - কারও জমিতে খেটে বা এটা ওটা ঠিকই জুটে যেত। অথচ অন্যান্য রাজ্য থেকে যারা এসেছে, তারা তো অনেকেই চলে যাচ্ছে। শনিবারও তো শুনলাম ভি টি স্টেশন (মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাল) থেকে ট্রেন যাচ্ছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে একটু বলুন না আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে। আর তা যদি না করা যায়, তাহলে বরং গুলি করার অর্ডার দিয়ে দিন। একেবারে ঝামেলা মিটে যাবে তাহলে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন! মনোরঞ্জন মন্ডল, কেরালা থেকে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফেরা এক পরিযায়ী শ্রমিক আমি কেরালায় কাজ করছিলাম। এর্ণাকুলামের পেরুমবাভুরে মিস্ত্রীর কাজ করি। আমার একার রোজগারেই দেশের বাড়িতে সংসার চলছিল। মার্চ মাসের ২২ তারিখ যেদিন কারফিউ দিল, তার পরের দিন মালিককে যখন ফোন করে কাজের কথা জানতে চাইলাম, সে বলে দিল এখন আর আসতে হবে না! ব্যস, সেই শেষ। আর কাজ নেই তারপর থেকে। চেন্নাই পুরসভার কাছ থেকে নাস্তা আসার অপেক্ষায় রাস্তায় লাইন দিয়েছেন লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। ঘর ভাড়া দিতে পারিনি আমরা অনেকে। ঘরের মালিক মারধরও করেছে অনেককে। আবার ঘর ভাড়া দিতে পারিনি বলে পাখাও চালাতে দিত না। কেরালা সরকার অবশ্য দুবার করে খাবার দিত। সেই খেয়েই খুব কষ্ট করে থাকতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকারের দরকার ছিল দায়িত্ব নিয়ে আমাদের মতো লোকদের ফিরিয়ে আনা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়িত্ব নিল কই! তবে ভোটের সময়ে সব দল এসে ভোট চাইবে! শেষমেশ অবশ্য শুনলাম ট্রেন ছাড়বে। ৯৪০ টাকা করে টিকিট কাটতে হয়েছে। আমার কাছে পয়সাকড়ি কিছুই ছিল না। মালিকের কাছ থেকে ধার করে টিকিট কেটেছি। নাহলে ট্রেনে চড়তেই দিত না। ট্রেনে ওঠার আগে একটা করে পাউরুটি আর একটা জলের বোতল দিয়েছিল। চারদিন ট্রেনে ছিলাম। দিনে দুবার করে খাবার দিত ট্রেনে। রাত দেড়টার সময়ে কদিন আগে বাড়ি পৌঁছই। আমাকে কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়নি, কারণ আমরা যেখানে ছিলাম, সেখানে করোনা ছড়ায়নি। তাই বাড়িতেই থাকতে দিয়েছে আমাকে। কি নিয়ে বাক যুদ্ধ? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর একটি চিঠি শনিবার সকালে গণমাধ্যমে এসেছে, যাতে তিনি অভিযোগ করেছেন যে অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট সহায়তা করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনেক রাজ্যে শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়িমুখো রওনা দিয়েছেন। কিন্তু অনেকের জন্য বাড়ি অনেক দূরের পথ। রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ওই চিঠির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে মমতা ব্যানার্জীই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি অনেক আগে থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বাস আর ট্রেনে করে কয়েক হাজার শ্রমিক-ছাত্র-তীর্থযাত্রী ফিরেওছেন পশ্চিমবঙ্গে। মি. শাহর চিঠি সামনে আসার পরে তৃণমূল কংগ্রেস এটাও জানিয়েছে যে আরও আটটি বিশেষ ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিককে ফিরিয়ে আনা শুরু হচ্ছে শনিবার থেকেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর চিঠির জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে আজ শনিবার থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে ট্রেন আসবে। প্রথম ট্রেনটি হায়দ্রাবাদ থেকে আজই ছাড়বে। এছাড়াও কর্ণাটক, তামিলনাডু, পাঞ্জাব থেকে মোট ৩১ হাজারেরও বেশি শ্রমিককে আটটি বিশেষ ট্রেনে চাপিয়ে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত ইতিমধ্যেই করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল কর্মকর্তারা। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর
ভারতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন প্রতিদিনই বাড়ছে তখন কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যাদের নিয়ে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া সেই শ্রমিকরা বলছেন তারা অবর্ণনীয় দুদর্শার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগদানের জন্য বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এক সেমিনারে প্রশ্নোত্তরের সময় এ কথা বলেন। তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেফতার হবার পর জামিন পেয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান। সেখানে তিনি এখন স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন বলে জানা যায়। মি. রহমান দুটি মামলায় কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। এর একটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, অপরটি মুদ্রাপাচার মামলা। তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া, দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়ার পর এখন মি. রহমানই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে আসার পর বাংলাদেশে বিএনপির নেতারা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ বক্তব্য হচ্ছে তার ভাষায় 'প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার রোডম্যাপ।' তাকে যদি বিচারের জন্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কথা শেখ হাসিনার সরকার ভেবে থাকে - তাহলে দুই দেশের বর্তমান আইনী কাঠামোতে কি আসলে কাউকে এভাবে ফেরত পাঠানো সম্ভব? এ ব্যাপারে ব্রিটেনের আইনে কি বলা হয়েছে - বিবিসি বাংলার কাছে তা ব্যাখ্যা করেছেন ইংল্যান্ডে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সৈয়দ ইকবাল । বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুর্ভাবনায় ভারত? 'ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছে মহাভারতের যুগে' একজনের মুখ কেটে দু'বার বসানো হলো অন্যজনের মুখ বাংলাদেশে অনলাইনে যৌন ব্যবসা, ব্যবসায়ী আটক কয়েকটি মামলায় দন্ডিত তারেক রহমান এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, তারেক রহমান সফলভাবে ব্রিটেনে আশ্রয় এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন। তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন যে বাংলাদেশে ফেরত গেলে তার ওপর জুলুম হবে রাজনৈতিক কারণে। মি. ইকবাল জানান, তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেটা হলো এক্সট্রাডিশন বা বিচারের জন্য প্রত্যর্পণ। "এর প্রক্রিয়া হলো যদি কোন সরকার ব্রিটিশ হোম অফিস বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক্সট্রাডিশনের আবেদন পাঠায় তাহলে ব্রিটেনের ২০০৩ সালের এক্সট্রাডিশন আইন আলোকে করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রেফতারের পরোয়ানা দেয়া হবে আদালতের মাধ্যমে।" "আদালত দেখবে যে এ ক্ষেত্রে কোন আইনী বাধা আছে কিনা। এর একটি হলো - যে অপরাধের জন্য তাকে বাংলাদেশে নেয়া হবে তার জন্য তার মৃত্যুদন্ড হতে পারে কিনা। " "দ্বিতীয়টি হলো যে সাজার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হবে - তার বাইরে অন্য কোন সাজা যেন না হয়। তৃতীয়টি হলো এক্সট্রাডিশন অর্থাৎ বিচারের জন্য প্রত্যর্পিত হবার মতো কোন অপরাধ তিনি করেছেন কিনা।" খালেদা জিয়া তারেক রহমান বা তার আইনজীবীরা যদি এটি চ্যালেঞ্জ করতে চান তাহলে তারা আপিলের প্রক্রিয়ায় শরিক হতে পারেন, হাইকোর্টে বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন বলে মি. ইকবাল বলেন। "তা ছাড়াও তারা যদি মনে করেন যে এতে মানবাধিকারের লংঘন হচ্ছে, বা রানৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে তাকে নেয়া হচ্ছে, তাহলে তারা জুডিশিয়াল রিভিউর মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। তারা বলতে পারবেন যে যে কনভেনশনের আওতায় তাকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেয়া হয়েছে - দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেলে তার লংঘন হবে - তারা তা করতে পারবেন।" মি. জানান, ২০০৩ সালের এক্সট্রাডিশন আইন, এবং ২০০২ সালের কমনওয়েলথ দেশগুলোর এক্সট্রাডিশন সংক্রান্ত আইনগুলোতে এ প্রক্রিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে বলা আছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিএনপি ও জিয়া পরিবারের রাজনীতি কোন পথে?
একাধিক দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির মুখেও ইভিএম ব্যবহার করতে যাচ্ছে কমিশন এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার হয়। তবে প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আগে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আছে নির্বাচন কমিশনের সামনে। আর তা হল এটার বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা অর্জন। যেভাবে কাজ করে ইভিএম? ইভিএম মেশিনগুলোর তিনটা অংশ থাকে। প্রথমত, কন্ট্রোল ইউনিট-যাতে ভোট ও ভোটারদের তথ্য জমা থাকে, দ্বিতীয়ত ডিসপ্লে ইউনিট, সেই তথ্যগুলো প্রদর্শন করে এবং ব্যালট ইউনিট, যেটাতে সুইচ টিপে ভোটাররা গোপন কক্ষে তাদের ভোট প্রদান করে থাকেন। ইভিএম কেনা নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের দাবী এই ইভিএমটি "সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ও নতুন এমন কিছু ফিচার" যোগ করা আছে এতে যা এর আগে বিশ্বের কোথাও ব্যবহার হয়নি। "ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের বড় সুবিধা হলো, দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে সহজেই মূহুর্তের মধ্যে ভোট গণনা করে ফেলা যাবে," বলছিলেন নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ও যোগাযোগ বিভাগের অপারেশন ইনচার্জ মাহমুদ আরাফাত। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ইভিএম কীভাবে কাজ করে ইভিএম ইস্যুতে বৈঠক বর্জন করলেন একজন কমিশনার নির্বাচনের আগে এরশাদ কেন আবার সামরিক হাসপাতালে কিন্তু এটি নিয়ে এত সমালোচনা কেন? আর যুক্তরাষ্ট্র, ভারতে ইভিএম নিয়ে বিতর্কটা কোথায়? বাংলাদেশে ইভিএমের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত বুয়েট অধ্যাপক লুৎফুল কবীর বলছিলেন ইভিএম মেশিনের দুটো প্রধান ঝুঁকির কথা। ১. পছন্দের প্রতীকে ভোট দিলেও নির্দিষ্ট প্রতীকে জমা হতে পারে মেশিনটি চাইলে এমনভাবে প্রোগ্রাম করা সম্ভব যে, নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ভোটের পর বাকি সব ভোট একটা প্রতীকেই জমা হবে। হয়তো ভোটার দেখবে যে সে তার পছন্দের প্রতীকে ভোট দিয়েছে, কিন্তু আসলে তা হবে না। মি কবীর বলছিলেন, "এখন এইটা নিশ্চিত করার জন্য সব দলের অংশগ্রহণে একটা টেকনিক্যাল কমিটি করা যেত, যারা মেশিনটি ভেরিফাইড করবে।" ২. পুনর্গণনার সুযোগ নেই ইভিএম মেশিনে ভোটার ভ্যারিয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা ভিভিপিএটি নেই। একজন ভোটার ভোট দেবার পর তাঁর কাছে একটা প্রিন্টেড স্লিপ আসতো, যাতে কোন কারণে ভোট পুনর্গণনার প্রয়োজন হলে এটি কাজে আসতো। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমও জানালেন ইভিএম তৈরীর কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই অপশনটি রাখতে চেয়েছিলেন তারা। "এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ঐ ফিচারটি রাখতে গেলে অন্য কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছে।" বাংলাদেশে ইভিএমের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত বুয়েট অধ্যাপক লুৎফুল কবীর। শুধু অর্থ ও লোকবল সাশ্রয়? ইভিএম - এ কোন ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন না নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আমরা তো দেখলাম মানুষ খুব সহজে ভোট দিতে পারছে।" "এছাড়া ম্যানুয়্যাল পদ্ধতিতে আমাদের যে পরিমাণ লোকবল, অর্থ, ট্রান্সপোর্ট ও ম্যাটেরিয়াল লাগতো তা থেকেও মুক্তি মিলছে।" ইভিএমের কোন ঝুঁকি দেখছেন না নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এই কমিশনার আরো জানান যদি আরো বাড়তি কিছু যোগ করতে হয় ইভিএমের শঙ্কা দূর করতে তাহলে কমিশন সেটা পরিপত্র জারী করেও করতে পারে। অন্যদিকে প্রোগ্রামিংয়ের ব্যাপারটার ব্যাখ্যা করেন মি. আরাফাত বলেন, "মেশিনটি এমনভাবে প্রোগ্রাম করা যে এটি ভোটের দিন সকাল ৭টার আগে কোনভাবেই চালু হবেনা। আর ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শুধু ডেমো ভোট দেয়া যাবে।" "তাই কেউ যদি কোনভাবে মেশিনটি নিয়েও যায় কোন লাভ হবেনা। আর ভোট শুরুর আগে সবার উপস্থিতিতে মেশিনটি চেক করে নিশ্চিত হওয়ার ব্যবস্থা আছে যে এই মেশিনে কোন ভোট পড়েনি।" দেশব্যাপী ইভিএম প্রদর্শনী করেছে নির্বাচন কমিশন ইভিএম শুধু মাত্র যেসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে ইভিএমের ৪৮ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকলেও আপাতত শুধু যেসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে সেখানেই সীমিত আকারে ব্যবহারের চিন্তা নির্বাচন কমিশনের। আর সাধারণ মানুষকে এর সাথে পরিচয় করাতে দেশব্যাপী নানা প্রচারণা চালিয়েছে কমিশন। কিন্তু এটি ঘিরে বিতর্ক বন্ধ করা যায়নি তাতে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বোরকার বিরুদ্ধে সৌদি নারীদের যে অভিনব প্রতিবাদ কেন নির্বাচন আর পেছাতে চায় না নির্বাচন কমিশন কীভাবে চেনা যাবে 'ফেক-নিউজ', ঠেকানোর উপায় কী
এখনো ঠিক কতগুলো আসনে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহার হবে তা নিশ্চিত করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে এটা নিয়ে শঙ্কা, আলোচনা আর সমালোচনা থেমে নেই।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সব কিছু হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন এই নারী শ্রমিকরা। ফলে সৌদি সরকার কিংবা সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কিছু করার থাকে না বলে জানিয়েছেন রিয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। তবে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিটি কেস সৌদি শ্রম দফতরে জানানো হয়। "কিন্তু ৯০% ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার নারী তার নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করতে চান না," বলছেন তিনি, "এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তারা দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান। দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলবে, সে আশঙ্কায় তারা আর সৌদিতে কালক্ষেপণ করতে চান না।" একে একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে মি. মসীহ বলেন, সৌদি আরবে যৌন নির্যাতন কিংবা অন্য যে কোন ধরনের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। "সৌদি প্রশাসন সেই আইন প্রয়োগের ব্যাপারে আগ্রহীও। কিন্তু দেখা যায় যে যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা এতটাই বিপর্যস্ত থাকেন যে এক মুহূর্তও তারা আর এ দেশে থাকতে চান না।" এর বাইরে নতুন পরিবেশে গিয়ে অনেকেই খাপ খাওয়াতে পারে না, তারাও নানা অজুহাতে দেশে ফিরে আসতে চান বলে জানান মি. মসীহ। সৌদি আরবে মূলত গৃহকর্মী হিসেবে বর্তমানে ২,০৩,০০০ নারী শ্রমিক কর্মরত। সৌদিতে যে বাড়িতে কাজ করতেন যাত্রাবাড়ীর তানিয়া সেখানে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দেয়া হয়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর থেকে এদের মধ্যে ৩% অর্থাৎ ৬,০০০ শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে প্রায় সবাই ধর্ষণ, মারধরসহ বিভিন্ন নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশে ফেরেন বলে জানান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান। "মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যায় না," বলছেন তিনি, "শরীরে মারের দাগ, পোড়া দাগ নিয়ে যে অভিবাসী নারী এয়ারপোর্টে এসে কাঁদেন, সেই কান্না শুধু তার একার না। সেই কান্না সৌদি আরবে কর্মরত সব নারীর। কারণ আমরা জানি না বাকি নারী শ্রমিকরা কী অবস্থায় আছেন।" এসব নারীর মধ্যে অনেকেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অনেক সময় তাদের পরিবারও তাদের গ্রহণ করতে চায় না। দেশে ফেরার পর এই নারীদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ থাকে না। সৌদিতে অভিবাসী নারীদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মি. হাসান বলেন, নির্যাতনের শিকার নারীদের দেশে ফেরত পাঠানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। তিনি বলেন, বাদবাকি নারী শ্রমিক ভালভাবে রয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখাও দূতাবাসের একটা প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত। ঘাড়ে-পিঠে ছ্যাঁকা দেয়া হয়েছে এই নারীকে। কিন্তু রিয়াদে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলছেন, এতে আইনগত জটিলতা রয়েছে। সৌদি নিয়োগকর্তা কখনই কোন বাড়িতে সৌদি প্রশাসন বা বাংলাদেশ দূতাবাসকে ঢুকতে দেয় না। গোলাম মসীহ জানান, সৌদি আরবে যেসব নারী শ্রমিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন, তাদের দেখাশোনার জন্য রিয়াদ ও জেদ্দায় দুটি সেফ হোম রয়েছে। কিন্তু ব্র্যাকের শরিফুল হাসান বলছেন, এখানে যে সব বিপদগ্রস্ত নারী থাকেন তাদের সাথে সৌদি প্রশাসনের কোন যোগাযোগ হয় না। অভিবাসী অধিকার আন্দোলনকারীদের যুক্তি হচ্ছে, সমস্যাটা যেহেতু সৌদি আরবে, সুতরাং যা ব্যবস্থা নেয়ার সেটা সেখানেই নিতে হবে। তারা বলেন, এটা না করা পর্যন্ত বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল লাউঞ্জে নারী শ্রমিকদের আর্তনাদ চলতেই থাকবে।
সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার নারীদের বেশিরভাগই নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী থাকেন না।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
রুদ্রাণী কখনও আবার মনে হয় কেউ আমার পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ চাইবে। কেউ আমাকে পরিবারের কলঙ্ক বলে, কেউ আবার মনে করে আমি দেবী। বেশ্যা তো অনেকেই বলে আমাকে। কিন্তু রুপেশ থেকে রুদ্রাণী হয়ে ওঠায় আমার কোনও লজ্জা নেই। বাড়িতে আমিই সবার বড় ছিলাম। কিন্তু কখনও আমার শরীর নিয়ে সহজ হতে পারতাম না। নিজেকে মনে হত একটা ছেলের শরীরে যেন বন্দী হয়ে আছি। আমার হাবভাব সবই মেয়েদের মতো ছিল - সাজতে ভালবাসতাম খুব। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কী শর্তে আত্মসমর্পণ করছে দস্যুরা বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীরা বছরে কত খরচ করে? দুর্গা পূজা যেভাবে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো কংকাল থেকে সিপাহি বিদ্রোহের অজানা অধ্যায় ছোটবেলার ছবি (বাম দিকে রুদ্রানী) ওই শরীরে বন্দী হয়ে থাকাটা আমাকে পাগল করে দিত, কিন্তু আমি কখনও হেরে জেতে চাই নি। বাড়ির সবার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করেছিলাম বিষয়টা নিয়ে। আমার সৌভাগ্য যে বাবা-মা আর ভাই সহজেই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল, মেনেও নিয়েছিল। আমাকে স্বাধীনভাবে থাকতে দিয়েছিল ওরা। তবে সেই স্বাধীনতা শুধু ঘরের চৌহদ্দির ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। আমি কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছি। ছেলেদের ইউনিফর্ম পড়েই স্কুলে যেতে হত আমাকে। জামা-প্যান্ট বা জিন্স পড়ে আমি কখনই সহজ হতে পারতাম না। পরিবর্তন গুলো বুঝতে পারছিলেন আস্তে আস্তে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ওই একই কনভেন্ট স্কুলে পড়েছি। ওখানেও সবাই আমাকে নিয়ে মজা করত, হেনস্থাও হতে হয়েছে। তাই কলেজে পড়তে যেতে ইচ্ছা করে নি আমার। এরপর থেকে আমি তাই বাড়িতেই পড়াশোনা করেছি। যত বড় হতে লাগলাম, ততই ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করলাম। কিন্তু কোনও সময়েই আমার মনের কথা প্রকাশ করে উঠতে পারি নি - সমাজের চোখে আমি তখন নিজেও তো ছেলে! আমার নাম তো তখনও রুপেশ। শুধু বাড়ির ভেতরে আমি মেয়ে। এটা নিয়ে আমি সবসময়ে বিচলিত থাকতাম। সেই সময়েই আমি সেক্স পরিবর্তন করে মেয়ে হয়ে ওঠার কথা সিরিয়াসলি চিন্তাভাবনা করতে শুরু করি। বাড়ির লোকেদের পাশে পেয়েছিলাম। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আমার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছিলেন। তিনি এটা বুঝতে চেয়েছিলেন যে আমি সত্যিই মেয়ে হয়ে উঠতে চাই কি না। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে এটা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে দেখতে তো মেয়েদের মতোই লাগবে, শরীরও হবে মেয়েদেরই মতো, কিন্তু কয়েকটা ব্যাপারে আমি কখনই নারী হয়ে উঠতে পারব না। চিকিৎসকরা সম্মতি দিয়ে দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে রূপান্তরের প্রক্রিয়াটা শুরু হয় ২০০৭ সালে আমার রূপান্তরের প্রক্রিয়াটা শুরু হল। ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমাকে অনেকগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা আর অপারেশন করাতে হয়েছিল। কিন্তু আমার মাথায় একটা জিনিষ ঘুরত - অপারেশনের যে শারীরিক কষ্ট, সেগুলো তো সহ্য করে নেব, কিন্তু তারপরেও কি আমাকে মানুষ রুদ্রাণী বলে মেনে নেবে? যদি মেনে না নেয়, তাহলে? বন্ধুদের সঙ্গে পেয়েছিলাম ওই সময়ে। অনেক লোক আমার চেহারা নিয়ে মজা করত, আমি গোঁড়ার দিকে মুষড়ে পড়তাম। কিন্তু তারপরে আমি একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিলাম ব্যাপারটাকে। ধীরে ধীরে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বাড়াতে লাগলাম। পরিচিতি বাড়তে লাগল। আমি রূপান্তর-কামী নারী এটা জানার পরে ধীরে ধীরে মডেলিংয়ের অফার পেতে শুরু করলাম। অভিনয়ও শুরু করি তখন থেকেই। বিদেশ থেকেও মডেলিংয়ের অফার পেতে শুরু করলাম। এখন ছোট হলেও আমার নিজের একটা বাড়ি আছে। নিজের হাতে সাজিয়েছি ঘরটা। লিঙ্গ পরিবর্তনের পরে তৈরী করেছেন রূপান্তরকামীদের জন্য ভারতের প্রথম মডেলিং এজেন্সি আজ রুদ্রাণী নিজের পরিচয়েই পরিচিত হয়েছে। সমাজ থেকেও সম্মান পাই। লোকে আমার ব্যবহার পছন্দ করে। একটা মডেলিং এজেন্সি চালাই আমি - আমার মতো অন্যান্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করি ওটার মাধ্যমে। তবে একটা বিষয় অধরাই থেকে গেছে - সেক্স বদল করার পরেও। এ ব্যাপারটা আমাকে সবসময়ে নাড়া দেয়। আমার জীবনে অনেকে আসে, আর চলে যায়। কেউ আমার জীবনসঙ্গী হতে চায় না। কারণ আমি নারী হয়ে উঠলেও কখনও মা হতে পারব না। আরো পড়তে পারেন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: পিছিয়ে নেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমারের মন্ত্রী, রোহিঙ্গাদের ক্ষোভ 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না' মার্কিন সিনেটরদের তোপের মুখে জাকারবার্গ
যখন রাস্তায় কোনও কারণে দাঁড়িয়ে থাকি, আমার ভয় হতে থাকে যে কোনও ছেলে হয়ত শিস দেবে বা জিজ্ঞাসা করবে, 'তোর রেট কত? চল...'
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
হামজা বিন লাদেনকে তার পিতার সম্ভাব্য উত্তরসূরী বলে মনে করা হতো গত মাসে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এক বিমান হামলায় তার নিহত হবার খবর প্রকাশ করে। দু বছর আগে আমেরিকা তাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্ণিত করে। ব্যাপকভাবে মনে করা হতো যে হামজা বিন লাদেন তার পিতা ওসামা বিন লাদেনের সম্ভাব্য উত্তরসূরী। হামজার বয়স ধারণা করা হয় প্রায় ৩০বছর। তিনি আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের ওপর আক্রমণ চালানোর ডাক দিয়েছিলেন। ''হামজা বিন লাদেন, আল কায়দার শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য এবং ওসামা বিন লাদেনের পুত্র, আফগানিস্তান/পাকিস্তান এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালানোর সন্ত্রাস বিরোধী এক অভিযানে নিহত হয়েছেন,'' হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছেন মি: ট্রাম্প। ''হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু আল কায়দার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বপদে শূন্যতা সৃষ্টি করবে এবং তার বাবার সঙ্গে হামজার প্রতীকী যোগাযোগের জায়গাটাও তার মৃত্যুতে ধাক্কা খাবে। শুধু তাই নয়, দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমও এর ফলে বাধাগ্রস্ত হবে।'' আমেরিকা কখন এই অভিযান চালিয়েছে তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। মাত্র ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকান সরকার হামজাকে ধরিয়ে দেবার জন্য দশ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ওসামা বিন লাদেনের ছেলে 'মারা গেছেন' ওসামা বিন লাদেনের ছেলে সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায় বিন লাদেনের ছেলে হচ্ছেন আল কায়েদার নতুন নেতা? Only childhood videos of Hamza bin Laden had been seen before this wedding footage হামজা বিন লাদেনকে মনে করা হতো আল কায়দার উঠতি নেতা। অগাস্ট মাসে খবর দেওয়া হয় যে গত দুই বছরে কোন সময়ে এক সামরিক অভিযানে হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন এবং ওই অভিযানে আমেরিকা জড়িত ছিল। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট তারিখ বা সময় স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আল কায়দা: মূল তথ্য কাবুলের কাছে ২০০১ সালে ওসামা বিন লাদেন বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যোগাযোগ বন্ধের সমালোচনা সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত নাইন-ইলেভেন শিশু জন্মাল ১১/৯ ন'টা ১১-এ ওজনও ৯:১১
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের চালানো এক অভিযানে মারা গেছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
পানামার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের খেলায় ছিল গোলের বন্যা। ৬-১ গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচ জেতে। কিন্তু যে ক'টি ম্যাচ এ পর্যন্ত হয়েছে তার ভিত্তিতে এবারের বিশ্বকাপ সম্পর্কে কী ধারণা আমরা পাচ্ছি? যথেষ্ট অবাক করা ঘটনা এরই মধ্যে ঘটেছে বিশ্বকাপে। দেখা গেছে অনেক চমক। তারই কয়েকটি এখানে: ইংল্যান্ড এবং বেলজিয়াম: গোলের বন্যা বেলজিয়াম এবার আছে দারুণ ফর্মে। প্রতি ম্যাচে গড়ে চারটি করে গোল করেছে তারা। গেল শনিবারের আগে পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে গোলের সংখ্যা ছিল খুবই কম, সাম্প্রতিক কোন বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করলে। শুক্রবার পর্যন্ত যতগুলো ম্যাচ হয়েছিল, তাতে ম্যাচ প্রতি গোলসংখ্যা ছিল দুই দশমিক ৩৩। কিন্তু তারপর গ্রুপ জি-র দুই প্রধান দল যেন গোলের বন্যা বইয়ে দিল। বেলজিয়াম ৫-২ গোলে হারালো তিউনিসিয়াকে। আর ইংল্যান্ড ৬-১ গোলে পানামাকে। সেনেগাল আর জাপানের খেলা ২-২ গোলে ড্র হলো। সব মিলিয়ে ৩২টি ম্যাচে গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৮টিতে। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে গোলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই দশমিক ৬৫-তে। গত চার বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করলে মোটেই খারাপ নয়। গত চারটির মধ্যে কেবল ব্রাজিল বিশ্বকাপেই গড়ে এর চেয়ে বেশি গোল হয়েছে। গোলশূন্য ড্র নেই: ইরান বনাম মরক্কোর ম্যাচ। গোলশূন্য ড্র হওয়ার আশংকা ছিল। কিন্তু আত্মঘাতী গোলে হারলো মরক্কো। ফুটবল ভক্তরা এবং সাংবাদিকরা অভিযোগ করছেন যে এবারের বিশ্বকাপে নেতিবাচক কৌশলের খেলা দেখাচ্ছে কিছু টিম। কিন্তু তা সত্ত্বেও এবার কিন্তু এখন পর্যন্ত একটিও গোলশূন্য ড্র নেই এবারের টুর্ণামেন্টে। সত্যি কথা বলতে কি, ৩১টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৫টি খেলা এবার ড্র হয়েছে। গোল্ডেন বুট পাওয়ার প্রতিযোগিতায় যারা: রোনাল্ডো ইতিহাস তৈরি করতে পারে.....কিন্তু তাকে টেক্কা দিতে হবে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইনকে। গোলের বন্যায় এবার যার কপাল খুলে যেতে পারে, তিনি ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। তার গোল্ডেন বুট পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকার ১৯৮৬ সালে গোল্ডেন বুট পেয়েছিলেন। হ্যারি কেইন এ পর্যন্ত ৫টি গোল করেছেন। কিন্তু তাকে তাড়া করছেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তাদের দুজনেই করেছেন চারটি করে গোল। খেলার মাঠে রাজনীতি সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পর ঈগলের ভঙ্গিমায় যাকা। এজন্যে তার এবং শাকিরির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সুইটজারল্যান্ডের দুই খেলোয়াড় সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল করার পর যে ভঙ্গিতে উল্লাস করেছেন, সেটি রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করে। যাকা এবং শাকিরি, এরা দুজনেই সুইটজারল্যান্ড জাতীয় দলের খেলোয়াড় হলেও কসোভোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে এবং দুজনেই আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল দেয়ার পর দুজনেই দুই হাতে ঈগলের ভঙ্গিমায় উল্লাস করেন, যা আসলে আলবেনিয়ার জাতীয় পতাকার প্রতীক। উল্লেখ্য কসোভো ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। তাদের এই উল্লাসের ভঙ্গিমা স্বাভাবিকভাবেই সার্বিয়ার কাছে অপমানজনক লেগেছে। ফিফা ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাদের দুজনেই দুটি করে ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে পারেন। লাল কার্ড, হলুদ কার্ড… জাপানের বিরুদ্ধে খেলায় এবারের বিশ্বকাপের প্রথম লাল কার্ড পেলেন কলম্বিয়ার কার্লোস স্যানচেজ। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম তিরিশটি ম্যাচে ৯৫টি হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। এর মানে প্রতি ম্যাচে তিনটির বেশি করে হলুদ কার্ড। ১৯৯৪ সালের পর যত বিশ্বকাপ হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে, হলুদ কার্ডের সংখ্যা সেরকম বেশি নয়। তবে গেলবারের বিশ্বকাপের তুলনায় এই সংখ্যা একটু বেশি। সেবার ম্যাচ প্রতি হলুদ কার্ডের সংখ্যা ছিল তিনের নীচে। দর্শকে পরিপূর্ণ স্টেডিয়াম: লুযনিকি স্টেডিয়ামেই এবার সবচেয়ে বেশি দর্শক সমাগম হয়েছে এ সপ্তাহান্ত পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ দর্শক মাঠে গিয়ে খেলা দেখেছেন। স্টেডিয়ামগুলোর প্রায় ৯৭ শতাংশ আসন ছিল পূর্ণ। সবচেয়ে বেশি দর্শক খেলা দেখেছেন মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। সেখানে রাশিয়া বনাম সৌদি আরব, পর্তুগাল বনাম মরোক্কো এবং জার্মানি বনাম মেক্সিকোর খেলায় সবচেয়ে বেশি দর্শক হয়েছিল। গণশত্রু নেইমার কোস্টারিকার বিরুদ্ধে গোল করার পর নেইমার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেইমারের লাখ লাখ ফলোয়ার। কিন্তু রাশিয়ায় গিয়ে তার কিছু কিছু আচরণে অনেকে ক্ষিপ্ত। বিশেষ করে ব্রাজিল কোস্টারিকার বিরুদ্ধে যে ম্যাচে ২-০ গোলে নাটকীয়ভাবে জিতলো, সেই ম্যাচে তিনি যেভাবে রেফারির কাছে অভিযোগ করছিলেন। একই ম্যাচে যেভাবে তিনি পড়ে গিয়ে পেনাল্টি পাওয়ার চেষ্টা করেন, সেটিও সমালোচিত হয়। গুগল ট্রেন্ডের ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার ব্রাজিল দলের ব্যাপারেই গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে। গুগলে নয় শতাংশ সার্চ ছিল ব্রাজিলের জন্য। এর পর রয়েছে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানি (৭ শতাংশ)। তৃতীয় স্থানে ফ্রান্স (৬ শতাংশ)। স্পেন, ইংল্যান্ড এবং পর্তুগাল আছে চতুর্থ স্থানে (৫ শতাংশ)। খাদের কিনারে মেসি: লিওনেল মেসি দুটি ম্যাচে আর্জেন্টিনার সংগ্রহ মাত্র এক পয়েন্ট। যদি নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে জিততে না পারে, তাহলে টুর্ণামেন্ট থেকেই তাদের বাদ পড়তে হবে। কিন্তু মেসি এ পর্যন্ত যেভাবে খেলেছে, তাতে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা খুবই হতাশ। ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্ণামেন্ট হচ্ছে বিশ্বকাপ। কিন্তু সেটি যদি এবারও আর্জেন্টিনার জন্য জিততে না পারেন মেসি, যদি গ্রুপ পর্ব থেকেই তাদের বিদায় নিতে হয়, তার সমর্থকরা তাকে ক্ষমা করবেন না। পানামার উল্লাস বিশ্বকাপে প্রথম গোল পাওয়ার পর পানামার উল্লাস। কেউ যদি হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পানামার গোল এবং তারপর পানামার খেলোয়াড়দের উল্লাস দেখেন, ভাবতে পারেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বুঝি তারা বড় অঘটন ঘটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। পানামা ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ছয় গোল খেলেও বিশ্বকাপে এই প্রথম তারা গোল করেছে। সেজন্যেই এত উল্লাস! বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে এসে তারা এরই মধ্যে নয় গোল খেয়েছে, তাতে কী!
বিশ্বকাপের মোট ৬৪ টি ম্যাচের ৩২টির খেলা হয়ে গেছে। এ সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ স্টেজের খেলা। সপ্তাহ শেষে পরিস্কার হয়ে যাবে কারা যাচ্ছে নকআউট পর্বে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ডিমা নাচাউই-র একটি ছবি প্রথম দেখায় ডিমা নাচাউই-র ছবিগুলো দেখলে মনে হবে এ ছবি পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেরই ভালোবাসার ছবি হতে পারে। কিন্তু একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, না - এ ছবিতে সম্পূর্ণ অন্য গল্পও আছে। সে গল্প বিমান হামলার, সে গল্প আঘাতের, এবং মৃত্যুর। আসলে এ ছবি হল সিরিয়ার ইস্টার্ন ঘৌটা অঞ্চলে সত্যিকারের মানুষ কীভাবে বেঁচে আছে - এবং ভালও বাসছে - তারই। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুটেরেস এ অঞ্চলকে বর্ণনা করেছেন 'পৃথিবীর বুকে এক নরক' হিসেবে। ডিমার কথায়, "তবুও কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা তাদের রোজকার জীবন যাপন করছে, তারা প্রেমেও পড়ছে - এবং ভালবাসার জনকে বাঁচানোর চেষ্টাও করছে!" ডিমা বড় হয়েছে সিরিয়াতেই। কিন্তু বহু বছর আগে দেশ ছাড়ার পর তিনি এখন বৈরুটের বাসিন্দা, আর সেখানেই একজন শিল্পী হিসেবে তিনি নিজের কেরিয়ার গড়ে তুলেছেন। সিরিয়ার পরিস্থতি নিয়ে নানা ধরনের সৃষ্টিশীল প্রকল্পেও তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। তার এই 'প্রেম হল ...' কালেকশনটা সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। এর ছবিগুলো সত্যিকারের মানুষের জীবন নিয়ে, আর তাদের সম্পর্কে সিরিয়ার সংঘাত কী প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে। প্রতিটি ছবিতেই ডিমা তুলে ধরেছেন আলাদা আলাদা, অনামা কোনও দম্পতিকে - আর তাদের পরিচয় সম্পর্কে খুব কম তথ্যই তিনি প্রকাশ করেছেন। "এই প্রোজেক্টটা ছিল ভীষণই কঠিন - বিশেষ করে যে ছবিটায় মেয়েটি মারা যায়, সেটি", ডিমা বলছিলেন নিচের ছবিটার দিকে আঙুল দেখিয়ে। "ছবিটা কেমন দেখতে লাগবে সেটা যেমন আমি ভাবছিলাম, তেমনি ছবিটা আঁকার সময় আমার মনটাও ভারাক্রান্ত হয়ে ছিল। "আসলে যার শেষটা সুখের নয়, সে ছবি আঁকাটা ভীষণ, ভীষণ কঠিন।" "কিন্তু আমি কৃতজ্ঞ যে এই সুযোগে আমি সিরিয়ানদের জীবনের অন্য দিকটাও দেখার সুযোগ পেয়েছি। জীবনের এই দিকটায় তারাও বাঁচেন, তারাও ভালবাসেন - এবং তারা সেখানে কিন্তু ভিক্টিম নন।" "আমার ছবিগুলোতে আমি তাদের ঠিক সেই দিকটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।" এদিকে বিদ্রোহী-অধিকৃত ইস্টার্ন ঘৌটা থেকে দলে দলে মানুষের পালিয়ে যাওয়ার খবর আসছে, বলা হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি 'সঙ্কটজনকের চেয়েও খারাপ'। সামান্য কিছু ত্রাণ সেখানে পৌঁছেছে ঠিকই - কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো বলছে আরও অনেক বেশি সহায়তা পাঠানো দরকার। গত কয়েক সপ্তাহে সাতশোরও বেশি মানুষ সেখানে মারা গেছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। ডিমা নাচাউই-র একটি ছবি তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যেভাবে সিরিয়ার মানুষের ছবি তুলে ধরছে, ডিমা তাতে আদৌ খুশি নন। "মানুষ হিসেবে আমাদের যেন শরণার্থী ও ভিক্টিম হিসেবে স্টিরিওটাইপ করে ফেলা হচ্ছে", গভীর খেদের সঙ্গে বলছিলেন তিনি। "আমি তো বরং সিরিয়ার মানুষের সঙ্গে সেটা নিয়েই কথা বলতে চাইব যে কীভাবে তারা বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, কীভাবে তাদের রোজকার দিন কাটছে।" "তবে যখনই আমার খারাপ লাগে, আমি কিছু-না-কিছু করার চেষ্টা করি। আমি জানি আমার ছবির ভক্তরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছেন - আমি তাদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, সিরিয়া নিয়ে এমন কিছু তাদের জানাতে চাই যেটা তারা আগে জানতেন না!" "আমার ছবি আর শিল্পকলাই এই কাজে আমার একমাত্র হাতিয়ার। ঠিকই, আমি হয়তো সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব একটা বড় কোনও পরিবর্তন আনতে পারব না।" "কিন্তু আমি এটা জানি আমার ছবি সিরিয়ার সাংস্কৃতিক স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার কাজটা করছে, পরবর্তী প্রজন্ম যেটা দেখে জানতে পারবে আসলে সে দেশে তখন কী ঘটেছিল!" আমাদের পেজে আরও পড়তে পারেন: বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম, নির্যাতনে অভিযুক্ত ক্রিকেটার শামি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন?
একটা ক্রিসমাস ট্রি-কে ঘিরে বসে বন্ধুরা গল্পগুজব করছে, দুজন লং ডিসট্যান্স প্রেমিক কথা বলছে টেলিফোনে - আর একজন পুরুষ তার বান্ধবীর জন্য ইন্টারনেট কানকেশনটা মেরামত করার চেষ্টা করছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
মালালা ইউসুফজাই ভারতে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সারা বিশ্ব জুড়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকারের চ্যাম্পিয়ন, পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই যখন ২০১৪তে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান, সেই পুরস্কার তাকে ভাগ করে নিতে হয়েছিল ভারতের প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে। অসলোতে পুরস্কার নিতে গিয়ে তখন ৬০ বছরের সত্যার্থী ও ১৭ বছরের মালালা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব আর আস্থার মাধ্যমেই দুদেশের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। "দুই দেশের শিশুদের মধ্যে সহিষ্ণুতা ও শান্তির বীজ বপন করতে পারলেই ইনশাল্লাহ ভারত ও পাকিস্তান আবার দুই ভাইয়ের মতো পাশাপাশি থাকতে পারবে", নরওয়েতে দাঁড়িয়ে সেদিন বলেছিল মালালা। তবে মালালা ইউসুফজাই তারও অনেক আগে থেকেই ভারতে সুপরিচিত একটি নাম। নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করে মালালা ইউসুফজাই ও কৈলাস সত্যার্থী। ডিসেম্বর, ২০১৪ তালেবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যেভাবে তিনি সোয়াত উপত্যকায় মেয়েদের পড়াশুনোর অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন তার জন্য ভারতেও তার অনুরাগী ও গুণগ্রাহীর সংখ্যা কম নয়। কিন্তু দিনকয়েক আগে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে মালালার টুইট ও জাতিসংঘকে সেখানে হস্তক্ষেপের আবেদন সেই গোটা ছবিটাকেই আমূল বদলে দিয়েছে। আরো পড়ুন: মালালাকে পাকিস্তানের মানুষ কিভাবে নিয়েছে? কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী? ভারতে বহু রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়, তারকা ও সাধারণ মানুষ মালালার বিরুদ্ধে ক্রমাগত টুইট করে চলেছেন, তাকে আগে নিজের দেশ পাকিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সোজা কথায়, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে মালালা ইউসুফজাই রাতারাতি ভারতে ভিলেনে পরিণত হয়েছেন। গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মালালা টুইট করেছিলেন, "দশকের পর দশক ধরে কাশ্মীর যে দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কবে তার অবসান হবে আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।" তিনি আরও লেখেন, "শিশু-সহ প্রায় হাজার চারেক মানুষকে ইচ্ছেমতো জেলে আটক করে রাখা হয়েছে, আমি তাদের কথা ভেবে শঙ্কিত।" কাশ্মীরে চল্লিশ দিনেরও বেশি হল শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, মেয়েরা বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে - সে কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে তিনি যে কাশ্মীরে বসবাসকারী ও সেখানে কর্মরত বহু সাংবাদিক, মানবাধিকার আইনজীবী ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অনেক কথাবার্তা বলেছেন, সেটাও জানাতে ভোলেননি। সেই সঙ্গেই মালালা জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের প্রতি আবেদন জানান, "কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনারা কাজ করুন, কাশ্মীরিদের কন্ঠস্বর শুনুন এবং বাচ্চাদের নিরাপদে স্কুলে ফিরতে সাহায্য করুন!" এর পর থেকেই ভারতে মালালা-র বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে। বিজেপি এমপি ও কর্নাটকের সাবেক মন্ত্রী শোভা কারান্ডলাজে মালালাকে ব্যঙ্গ করে টুইট করেছেন, "নোবেলজয়ীকে অনুরোধ করব পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলার জন্যও একটু সময় খরচ করুন।" "আপনার নিজের দেশে সংখ্যালঘু (হিন্দু, শিখ) মেয়েদের কীভাবে নির্যাতিত ও জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, সেটার বিরুদ্ধেও মুখ খুলুন।" হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনার মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই টুইট করেন, কাশ্মীরি মেয়েদের জন্য তার উদ্বেগের আড়ালে মালালা আসলে পাকিস্তানের 'এজেন্ডা'কেই সমর্থনের চেষ্টা করছেন। ভারতীয়রা যে মালালার 'প্রকৃত চেহারা' বুঝতে পারছেন, তাতেও তার উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ওই শিবসেনা নেত্রী। ভারতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়াবিদ ও শ্যুটার হিনা সিধুর আক্রমণ ছিল আরও কঠোর ভাষায়। হিনা মালালার উদ্দেশে লেখেন, "তাহলে আপনি বলছেন কাশ্মীরকে পাকিস্তানের হাতেই তুলে দেওয়া উচিত, যে পাকিস্তানে শিক্ষার হাল এতোটাই ভাল যে পড়াশুনো করতে গিয়ে আপনার প্রাণ যেতে বসেছিল?" "তারপর আপনাকে দেশ থেকে এমনভাবে পালিয়ে যেতে হল যে আপনি আর ফিরতেই পারলেন না? তার চেয়ে বরং আপনি আগে পাকিস্তানে গিয়েই আপনার দরদ দেখান না কেন!" এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর মন্তব্য করেছিলেন, মালালা আসলে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যই নন। ভারত-শাসিত কাশ্মীর অবরুদ্ধ হয়ে আছে গত প্রায় দেড় মাস ধরে এখন আবার সেই পুরনো বিতর্ককে টেনে এনে বলিউড অভিনেতা ও বিজেপি এমপি পরেশ রাওয়াল লিখেছেন, "শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর যে সঠিক ছিলেন, মালালা নিজেই সেটা প্রমাণ করে দিলেন।" বলিউডের চিত্র পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেছেন, মালালা আসলে নাকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছেন। "চীনে যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এত নির্যাতন চলছে সেটা নিয়ে তিনি কিছু বলছেন না কেন? কারণ কি এটা তার (সিআইএ) এজেন্ডার অংশ নয়!", টুইট করেছেন মি অগ্নিহোত্রী। মালালা ইউসুফজাইকেই সরাসরি 'সাম্প্রদায়িক' বলতেও দ্বিধা করেননি তিনি। শুধু তারকা বা রাজনীতিবিদরাই নন, ভারতে বহু সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিযোগ করছেন মালালা আসলে ভারতকেই আন্তর্জাতিক স্তরে অপদস্থ করতে চাইছেন। সরকারি দমনপীড়নের কারণে গত আগস্ট মাসে একটি কাশ্মীরি স্কুলছাত্রী তার পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারেনি - এই জাতীয় ভিত্তিহীন খবর টুইট করে মালালা আসলে 'ফেক নিউজ' ছড়াচ্ছেন বলেও অনেকে লিখেছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে মালালা ইউসুফজাইয়ের সাম্প্রতিক পোস্টগুলি থেকেই স্পষ্ট, এখন বাইশ বছর বয়সে পৌঁছে তিনি কাশ্মীরিদের দুর্দশা ও যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন।
কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে ও সেখানে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে ভারতে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই। তাকে ভারতীয়দের পরামর্শ, আগে নিজের দেশ পাকিস্তানের দিকে তাকান।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
বঙ্গোপসাগর বিশ্বের ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকাগুলোর একটি সংস্থাটি একটি সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, আজ শনিবারের মধ্যেই উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এরপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামী বুধবার নাগাদ উডিষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আফতাবউদ্দিন শনিবার সকালে বিবিসি বাংলাকে বলেন, ''আমরা (পরিস্থিতির দিকে) নজর রাখছি। আজকের মধ্যেই সেখানে একটি লঘুচাপ তৈরি হবে বলে আমরা ধারণা করছি। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যে কারণে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে বঙ্গোপসাগরেই কেন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় হয় ঘূর্ণিঝড়ের কোন সতর্ক সংকেতের কী মানে? 'যখন ওর লাশ পাইছি মেয়েরে জড়ায়ে ধরেই ছিল' আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হলে পরে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটির নাম হবে 'ইয়াস'। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এই নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। এর অর্থ 'হতাশা'। ঘূর্ণিঝড়ের এই সতর্কবার্তা এমন সময়ে এলো, যখন বাংলাদেশের অনেক এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায়, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস -আর সবচেয়ে কম সৈয়দপুরে, ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলায় সরকারের অবস্থান কী ইসরায়েল ও হামাসের 'বিজয়' দাবির মধ্যে আল-আকসায় আবার উত্তেজনা বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেবে আমেরিকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক করোনা রোগীদের জন্য নতুন আতঙ্ক
বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
স্যামুয়েল লিটলঃ বহু বছর ধরে অজানা ছিল তার অপরাধের রেকর্ড স্যামুয়েল লিটল নামের ৭৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে পুলিশ অন্তত ৫০টি খুনের ঘটনায় জড়িত বলে দেখতে পেয়েছে। এসব খুনের ঘটনা ঘটেছে ১৯৭০ সাল হতে ২০০৫ সালের মধ্যে। তিন মহিলাকে খুনের দায়ে ২০১২ সাল হতে তিনি কারাগারে সাজা খাটছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, স্যামুয়েল লিটল হামলার জন্য বেছে নিতেন দুর্বল প্রকৃতির লোকদের, বিশেষ করে মেয়েদের। এদের বেশিরভাগই হয় যৌনকর্মী অথবা মাদকাসক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের যেসব জায়গায় খুনের কথা স্বীকারে করেছেন স্যামুয়েল লিটল স্যামুয়েল লিটল ছিলেন একজন পেশাদার বক্সার। তিনি প্রথমে ঘুষি মেরে কাউকে কাবু করতেন। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করতেন। এর ফলে তাদেরকে যে খুন করা হয়েছে,সেটা প্রথম দেখায় বোঝা যেত না। এরকম অনেক খুনের ঘটনা এফবিআই কখনো তদন্ত করেই দেখেনি। অনেক হত্যার ঘটনাকে দুর্ঘটনা বা অতিরিক্ত মাদক নেয়ার ফল বলে খারিজ করে দেয়া হয়েছিল। অনেক মৃতদেহ তো খুঁজেই পাওয়া যায়নি। সোমবার এক বিবৃতিতে এফবিআই জানিয়েছে, স্যামুয়েল লিটল যেসব খুনের কথা স্বীকার করেছেন, সেগুলো বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে হচ্ছে। এফবিআই এর একজন বিশ্লেষক ক্রিস্টি পালাজ্জো বলেন, "অনেক বছর ধরে স্যামুয়েলের ধারণা ছিল সে কখনো ধরা পড়বে না। কারণ তার খুনের শিকার যারা হচ্ছিল, তাদের খবর কেউ রাখছিল না।" আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে নারীদের হত্যা করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা দিনে দর্জি, রাতে ডাকাত: ধরা পড়লো ৩৩ খুনের আসামী সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করা মার্কিন সিরিয়াল কিলার? তিনি বলেন, যদিও স্যামুয়েল জেল খাটছেন, তারপরও এই প্রত্যেকটি খুনের ঘটনাতেই তার বিচার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে কেনটাকিতে একটি মাদকের মামলায় স্যামুয়েল লিটলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সশস্ত্র ডাকাতি থেকে শুরু করে ধর্ষণ - এরকম বহু ধরণের অপরাধের অভিযোগ ছিল। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় তাকে তিনটি খুনের সঙ্গে সম্পর্কিত দেখা যায়। লস এঞ্জেলেসে ১৯৮৭ হতে ১৯৮৯ সাল এসব খুনের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী এক সাজাপ্রাপ্ত খুনি এ পর্যন্ত ৯৩টি খুনের কথা স্বীকার করার পর এফবিআই তাকে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর সিরিয়াল খুনি বলে নিশ্চিত করেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বর্তমানে অনেক শিশুদের শরীরের জীবাণু মাল্টিপল এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে থাকে। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে মেয়েটি 'মাল্টিপল এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট' - অর্থাৎ তার শরীরের জীবাণু ধ্বংস করতে বেশ কয়েকধরণের ওষুধ এখন আর কাজ করবে না। এমন অবস্থায় চিকিৎসকরা তার মেয়ের জন্য কিছু ওষুধ দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও সেখানে দেখা যায় যে, শিশুটির শরীরে জীবাণু ধ্বংস করতে ওষুধটির যে শক্তিকে কাজ করার কথা ছিল, সেটা তেমনটা কাজ করছেনা। এখন তৃতীয় ধাপের ওষুধ ও ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে মিসেস মিথুনের মেয়েকে। তার পুরোপুরি সেরে ওঠা নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানান মিসেস মিথুন, "ইউরিন কালচারে ১৮টা এন্টিবায়োটিক দিয়ে টেস্ট করা হয় এর মধ্যে ১১টাই রেসিস্ট্যান্ট আসে। যেগুলো রেসিস্ট্যান্ট নয়, সেগুলোর মধ্যে একটা ঠিকমতো কাজ করছে না। আমি ভাবতেও পারিনি, আমার মেয়ের এমন অবস্থা হবে" - বলছিলেন মিসেস তাসমিন নাহার। আরও পড়তে পারেন: 'ভাবতেও পারিনি গলায় ফোঁড়ার কারণ যক্ষ্মা হতে পারে' প্রেসক্রিপশন ছাড়া মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক খায় কেন? 'ওজন কমিয়ে বহুমূত্র রোগ সারানো সম্ভব' হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুরা। সম্প্রতি ঢাকার একটি হাসপাতালে এক নবজাতকের মেডিকেল পরীক্ষাতেও দেখা যায় যে শিশুটি প্রায় ১৮টি এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট। এ থেকে ধারণা করা যায় যে, এই এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স বাংলাদেশের জন্য এখন নতুন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স কি? চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এন্টিবায়োটিক হচ্ছে সেই সব ঔষধ - যা রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পরজীবী ধ্বংস করে। এখন এই ওষুধ যদি সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করা না হয় - তাহলে এক পর্যায়ে ওই জীবাণু সেই ওষুধের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ফলে সেই ওষুধে আর কোন কাজ হয়না। একেই বলে 'এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স' - অর্থাৎ যখন ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস করার ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক এর কার্যকারিতা থাকে না। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশু। শিশুরা কেন এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট হয়? আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম জানান, প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি আসা রোগীদের একটি বড় অংশের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায়। "আমরা এরকম শিশুদের পরীক্ষা করেছি, যারা আমাদের কাছে আসার তিন মাস আগেও কোন এন্টিবায়োটিক খায়নি। অথচ তাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়াগুলো মাল্টিপল ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট।" "এর মানে শিশু এন্টিবায়োটিক না খেলেও প্রকৃতি-পরিবেশে থাকা এসব ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট জীবাণু তাদের শরীরে প্রবেশ করছে এবং ওষুধ কাজ করছে না। অর্থাৎ আমরা কেউই এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট নই। শিশুরা তো নয়ই।" বর্তমান পরিস্থিতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় ধরণের অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ সায়েদুর রহমান। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, বিশ্বে যে হারে নতুন এন্টিবায়োটিক তৈরি করা হচ্ছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হারে বাড়ছে এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স। যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে সামান্য হাঁচি-কাশি-জ্বরেও মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ড. সায়েদুর রহমান। "একটা এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করতে লাগে ১৫ বছর, ওটার বিপরীতে ব্যাকটেরিয়া রেসিস্ট্যান্স হতে লাগে এক বছর। আগামী সাত বছরে দুইবার বেশি এন্টিবায়োটিক আসার সম্ভাবনা নেই। এক সময় দেখা যাবে, রোগের জীবাণুকে কোন ওষুধ দিয়েই ধ্বংস করা যাচ্ছেনা।" প্রোটিনের জন্যে ভবিষ্যত ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। পরিবেশে এই রেসিস্ট্যান্স কিভাবে তৈরি হয়? শিশুদের এমন এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট হওয়ার পেছনে জেনেটিক বা বংশগত কোন কারণ না-ও থাকতে পারে। তবে আমরা যেসব প্রাণীর মাংস বা শাকসবজি খাই - সেইসব প্রাণীর শরীরে বা সবজির উৎপাদনে যদি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলো রেসিস্ট্যান্স তৈরি করে, যার প্রভাব মানুষের ওপর পড়ে। ডা. রহমান জানান, "মানুষের প্রোটিনের জন্য যেহেতু, মাছ, মুরগি, গরু দরকার এবং সেগুলোকে সস্তায় বাঁচানোর জন্য এন্টিবায়োটিক দরকার। অর্থাৎ মানুষকে তার প্রোটিনের জন্যে ভবিষ্যতকে ঝুঁকিগ্রস্ত করা হচ্ছে।" এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে রেসিস্ট্যান্ট ব্যক্তির হাঁচি-কাশি মল-মূত্র থেকেও তা ছড়াতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: এন্টিবায়োটিক তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে হাসপাতালে শিশুর জ্বর পরীক্ষা করা হচ্ছে। করণীয় কি? চারটি প্রাথমিক সচেতনতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে জানান ড. সায়েদুর রহমান। প্রথমত, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক কেনা/বিক্রি বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সকল এন্টিবায়োটিক ওষুধের প্যাকেটের রং লাল করতে হবে। এবং অন্যান্য ওষুধ থেকে আলাদা রাখতে হবে, যেন মানুষ সহজেই পার্থক্য করতে পারে। তৃতীয়ত, এন্টিবায়োটিকের ডোজ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না, ডোজ সম্পূর্ণ করতে হবে এবং নিয়ম মেনে খেতে হবে। চতুর্থত, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়া এই চারটি রোগ সারাতে এন্টিবায়োটিকের কোন প্রয়োজন নেই। তাই চিকিৎসককে এই চারটি কন্ডিশনে এন্টিবায়োটিক দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, ওষুধ সেবন করার বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান ও তার প্রয়োগের মাধ্যমে এই ভয়াবহ অভিশাপ ঠেকানো সম্ভব।
মিসেস তাসমিন নাহার মিথুনের আট বছরের মেয়ে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার শিশু হাসপাতালে আছে। সাধারণ ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা নিয়ে তাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছিল।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ফিরহাদ হাকিম ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের গ্রেপ্তার করে। সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিমকে যখন আটক করা হয়, তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, নারদা ঘুষ মামলায় যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মন্ত্রী মি. হাকিম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের আরও তিনজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সম্মতি দেয় বলে জানা গেছে। নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও বাকি যে তিনজনের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন, তারা হলেন পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মমতা ব্যানার্জীর মন্ত্রিসভার দুজন সাবেক সদস্য - মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। আরো পড়ুন: নারদা নামে একটি পোর্টাল ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গোপন ক্যামেরায় অভিযান বা স্টিং অপারেশন (sting operation) চালিয়েছিল - যাতে গোপন ক্যামেরায় ওই নেতাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ নিতে দেখা যায় । এই ঘটনায় দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই পরে যে মামলা শুরু করে, সেটিই নারদা ঘুষ মামলা নামে পরিচিত। ২০১৮ সালে কলকাতার নতুন মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নির্বাচন না হওয়ায় তিনি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর তিনিই প্রথম কলকাতার মুসলিম মেয়র। ৪৭ এর আগে পাঁচজন মেয়র ছিলেন মুসলিম, যাদের মধ্যে ছিলেন শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক। কিন্তু তারপর থেকে কখনও কোনও মুসলিম ধর্মাবলম্বী নেতা কলকাতার মেয়র পদে বসেননি। ফিরহাদ হাকিম ৯০এর দশকের শেষদিকে প্রথমে কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়েছিলেন। সে সময় থেকেই মমতা ব্যানার্জীর সাথে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি পাড়ার বাসিন্দা ফিরহাদ হাকিম। কর্পোরেশনের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছেন বিধানসভায়। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরে হয়েছেন মন্ত্রী।
নারদা ঘুষ মামলায় কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক এবং মমতা ব্যানার্জীর কেবিনেটের সিনিয়র মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ইউরোপের ১২ ক্লাব মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ... পরিকল্পনা, ঘোষণা, সমালোচনা এরপর বাতিল। এসবই হলো মাত্র দুইদিনের মধ্যে। তাই বিবিসি পাঠকদের জন্য একটি তালিকা তৈরি করেছে যে তালিকায় আপনি পাবেন, যেসব জিনিস এই ইউরোপিয়ান সুপার লিগের চেয়ে বেশিদিন টিকে গেছে সুয়েজ খালের জাহাজ নিয়ে নাটকীয়তা এই তো গত মাসেই তুলকালাম আলোচনা হল এমন এক জাহাজ নিয়ে যেটি পুরো বিশ্বের বানিজ্যে প্রভাব ফেলে। সুয়েজ খালে আটকে পড়া সেই জাহাজের নাম, এভারগিভেন। সেটিও আটকে ছিল ছয়দিন! যা ইএসএলের চেয়েও চারদিন বেশি। সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া জাহাজ ব্রিটনি স্পিয়ার্সের প্রথম সংসার একটা লিগ যেটা কখনো মাঠেই গড়ায়নি সেটার চেয়ে যে একটা বিয়ে বেশি সময় টিকবে সেটাই স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ। কিন্তু সেটা যদি হয় ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বিয়ে। নাহ, এটা ছিল ২০০৪ সালের সময়কার ট্রেন্ডিং ঘটনা, যদি ট্রেন্ডিং বলে তখন কিছু থেকে থাকে। ২০০৪ সালে আমেরিকান অভিনেতা জেসন আলেকজান্ডার ও সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বিয়ে টেকে মাত্র ৫৫ ঘণ্টা। সেটাও ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে হারিয়ে দিতে পারবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের এই আইডিয়াকে। ২০০৪ সালে আমেরিকান অভিনেতা জেসন আলেকজান্ডার ও সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বিয়ে টেকে মাত্র ৫৫ ঘণ্টা। ব্রায়ান লারার ইনিংস ২০০৪ সালের এই এপ্রিল মাসেই ইংল্যান্ডের সাথে ব্রায়ান লারা একটা ইনিংস খেলেন। সেন্ট জোনসে ১০ই এপ্রিল ব্যাট করতে নামার পর লারা, ১১ই এপ্রিল পেরিয়ে ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। রান তুলেছেন চারশো। যা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ইএসএল-এর এই পরিকল্পনা টিকেছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ব্রায়ান লারা দাবি করতেই পারেন, তিনি ইউরোপের এই ক্লাবগুলোর মহাপরিকল্পনা থেকে বেশি সময় টিকেছেন উইকেটে। আরো অনেক কিছুই আছে যা ইউরোপিয়ান সুপার লিগের চেয়ে বেশি সময় টিকেছে কিন্তু এমন কিছু ভাবতে পারেন যা আপনার ঘরেই আছে? আপনার ফ্রিজে রাখা দুধ এই সুপার লিগ যখন ঘোষণা দেয়া হয় তখন যেই পাত্রের দুধ দিয়ে আপনি চা বানিয়েছিলেন, সেটা দিয়েই আপনি সেটা বাতিল হওয়ার পরেই চা বানাতে পারবেন অনায়াসেই। বার্গার! কিছু মাংস আছে যা হজম হতে লাগে অন্তত দুইদিন। যখন ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ঘোষণা হয়, তখন যদি আপনি মাংস আছে এমন কোন বার্গার খেয়ে থাকেন। যখন ইএসএল বাতিল হল, তখনও সেটার কিছু অংশ আপনার পাকস্থলীতেই আছে।
এই সপ্তাহের শুরুতেই মনে হচ্ছিল যেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রদবদল বোধহয় হয়েই গেল। ১২টি ক্লাব আলাদা হয়ে একটা লিগ খেলবে, প্রতি মাসেই রেয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম লিভারপুল!
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মৃত্যু ও সনাক্তের হারে ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। শনাক্ত অনুপাতে মৃত্যুর হার ১.৩ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে আক্রান্তের হার ২১ শতাংশের নিচে নামছেই না। এ নিয়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৩০ জনে। সারা দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৫০৪ জন গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৯৪৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে বলে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। মৃতদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই পুরুষ। মোট মৃতদের ৩৭ জনেরই বয়স ৪১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। তিনি জানিয়েছেন নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৫৭ জন আর মোট সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৬০ জন। ওদিকে স্বাস্থ্য বুলেটিনের শুরুতে নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন চীন থেকে একটি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে সফরে এসেছেন। চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। তারা বাংলাদেশে ১৪ দিন অবস্থান করবেন। এই সময় তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন কোভিড ১৯ হাসপাতাল, কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র ও ল্যাব পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যবস্থাপনাসহ তাদের অভিজ্ঞতা ও মত বিনিময় করবেন। সারাদেশে অনলাইন সভার মাধ্যমে কথা বলবেন। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিচালক ও চিফ ফিজিশিয়ান। চীন এর আগেও কোভিড ১৯ আক্রান্ত বিভিন্ন দেশে সহায়তা তাদের হিসেবে চিকিৎসক পাঠিয়েছে। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্যে কর্মকর্তারা নানা দেশ সফর করছেন। 'প্লাজমা থেরাপি' নিয়ে বাংলাদেশে কী হচ্ছে, 'প্রটোকল' কী বলছে আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়?
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৩৫ জন। মারা গেছেন ৪২ জন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
গত জুনে এখানে বিস্ফোরণে ২৫ জন আহত হয় কারণ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় এর আগে নানা সময়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও এবার যে রীতিমত ঘরের দুয়ারে। সুইডেনের পুলিশ নজিরবিহীন এ সব ঘটনার তদন্ত করছে, তবে বিস্ময়ের বিষয় হলো চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটিতে অন্তত ৯৭টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বোমা স্কোয়াডকে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। "আমি এখানে বড় হয়েছি এবং আপনি অনুভব করবেন যে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠছে," বলছিলেন জোয়েল নামে এক তরুণ। তার ঘরের সামনের দরজা বিস্ফোরণে উড়ে গেছে আর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে জানালাগুলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যে দেশে এমপিদের সুযোগ সুবিধা না পাওয়াটাই রীতি রোহিঙ্গা: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার অভিযোগ কেন? কে এই ভারতের বিতর্কিত প্রত্নতত্ত্ববিদ কে কে মুহাম্মদ? কে দায়ী? ২০১৮ সালে দেশটিতে ১৬২টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এবং শুধু মাত্র গত দু মাসেই অন্তত ত্রিশবার বোমা স্কোয়াডকে ডাকা হয়েছে। সুইডেনের ন্যাশনাল অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টের ইন্টেলিজেন্স বিভাগের প্রধান লিন্ডা এই স্ট্রাফ বলছেন, ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভস ও হ্যান্ড গ্রেনেড এসব বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছে। তার মতে হামলাগুলো সন্ত্রাসী গ্যাংগুলো করেছে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। "এটি একটি মারাত্মক অবস্থা। কিন্তু সাধারণ মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়, কারণ তারা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা"। এসব সন্ত্রাসী দলগুলোর সাথে বোঝাপড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত দল পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে সুইডিশ মিলিটারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় আছে, যাদের আফ্রিকা ও আফগানিস্তানে বিস্ফোরক নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। "এটা সুইডেনে নতুন এবং সেজন্য আমরা সারা বিশ্ব থেকেই জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করছি," বলছিলেন ম্যাটস লভনিং, ন্যাশনাল অপারেশন্স কমিটির প্রধান। তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞ আমির রোস্তামি এটিকে তুলনা করেছেন মেক্সিকোর পরিস্থিতির সাথে যেখানে গ্যাং কালচার মহামারির মতো। "কিন্তু এটি নজিরবিহীন ঘটনা সেসব দেশের জন্য যেখানে কোনো যুদ্ধ নেই বা সন্ত্রাসের দীর্ঘ কোনো ইতিহাস নেই," তিনি বলছিলেন। এই ভবনটিতেও হামলা হয়েছে। এর কাছেই একটি স্কুল আছে কোন এলাকাগুলোতে বিস্ফোরণ? বেশিরভাগ বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো হয়েছে স্টকহোম, গুটেনবার্গ ও মালমো শহরের শহরতলী এলাকায়, যেখানে মূলত নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করে। এ মাসে মালমো শহরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্টকহোমের উত্তরে শহরতলীর একটি এলাকা ব্রম্মায় আবাসিক এলাকায় একটি বিস্ফোরণে একটি ফ্ল্যাটের প্রবেশপথ ধ্বংস হয়ে যায়, জানালাগুলো উড়ে যায় ও গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। আবার ঐতিহাসিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শহর লান্ড-এ একটি মুদি দোকানে হামলার ঘটনায় ২০ বছর বয়সী একজনকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। লিনকোপিংয়ে ফ্ল্যাটে হামলার ঘটনায় ২৫ জন আহত হয়েছে। সোডেরমালমে একসময় শ্রমজীবী মানুষ বসবাস করতো যা পরে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়। সেখানেই যে ভবনে বিস্ফোরণ হয় তা ছিলো একটি স্কুলের কাছে। "ঘটনার পরপরই যখন পুলিশ আশেপাশের রাস্তা বন্ধ করে দিলো তখন আমি বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম। সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম," বলছিলেন মালিন ব্রাডশো, যিনি কাছেই বসবাস করেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং পুলিশও কোনো মন্তব্য করেনি। জুনের হামলা গুরুত্ব পেয়েছে দেশটির গণমাধ্যমে সুইডেনের ক্রিমিনাল গ্যাং কারা? পুলিশের মতে অনেক সময় একই গ্যাং একাধিক ঘটনায় জড়িত এবং এগুলোর সাথে মাদক পাচারের জড়িত। সুইডেনে ২০১৮ সালে ৪৫টি রক্তক্ষয়ী বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে, অথচ ২০১১ সালে এমন ঘটনা ঘটেছে ১৭টি। কিন্তু তারা কেনো বিস্ফোরক ব্যবহারও বাড়িয়েছে তার কারণ এখনো অজানা। সুইডেনের পুলিশ সন্দেহভাজন বা সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের রেকর্ড সংরক্ষণ বা প্রকাশ করেনা। "তারা সুইডেনেই বেড়ে উঠেছে। দুর্বল আর্থসামাজিক অবস্থান থেকে সবাই উঠে এসেছে। অনেকেই সম্ভবত দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসী," বলছিলেন লিন্ডা এইচ স্ট্রাফ। রক্ষণশীল লেখক মিরা অক্ষয় বলছেন তারা একই এলাকার এবং অনেকটা একই মানসিকতার। যা তাদের এক করতে সহায়তা করে। তারা ঠিক সুইডেনের সাথে অংশ হতে পারেনি। যদিও ব্রাডশ বিশ্বাস করেন মূলত অর্থনৈতিক কারণই প্রধানত অপরাধ বাড়ার জন্য দায়ী। কর্তৃপক্ষ কি করছে? পুলিশ বলছে তারা জড়িতদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে কিন্তু ২০১৮ সালের ঘটনার প্রতি দশজনের একজনের শাস্তি হয়েছে। ন্যাশনাল অপারেশন্স ডিপার্টমেন্ট পুলিশের সাথে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করছে। সন্দেহভাজনদের খুঁজে পেতে আরও শক্তি বাড়ানোর কথা বলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সোডেরমালম শহরের অধিবাসী আন্দ্রে হেরডেন্ট বলছেন, জোর দিতে হবে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর।
গত মাসে হঠাৎ করেই স্টকহোমের বিভিন্ন জায়গায় মধ্যরাতে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যা রীতিমত অবাক করে শহরটির অধিবাসীদের।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আলিসা মিলানো এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, "মেয়েদের নিজের শরীরের ওপর আইনগত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারিনা"। যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বশেষ জর্জিয়া গর্ভপাতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু এর প্রতিবাদে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার যে আহবান মিস মিলানো জানিয়েছেন তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অবশ্য #সেক্স স্ট্রাইক টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রে অনেকে তাদের টুইটে দিতে শুরু করেছেন। আরো পড়ুন: গর্ভপাত করাতে পুরুষের অনুমতি লাগবে মেয়ের গর্ভপাত করাতে আদালতের দ্বারস্থ বাবা-মা গর্ভপাত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ধর্মঘট, বন্ধ ঘরের কাজও কথিত 'হার্ট-বিট বিল' জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প মঙ্গলবার স্বাক্ষর করেছেন। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। অ্যালিসা মিলানো তার টুইটে লিখেছেন, "আমাদের প্রজনন অধিকার বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। যতদিন শরীরের ওপর নারীর আইনগত নিয়ন্ত্রণ না আসবে ততদিন আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারিনা। শরীরের স্বায়ত্তশাসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থেকে আমার সাথে যোগ দিন"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'দশ মিনিট দেরি হলে আমরা সবাই মারা যেতাম' কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট নিজের গর্ভে নাতনির জন্ম দিলেন মার্কিন নারী বিলটিতে কী আছে? কেন এই বিল নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে? নতুন এ আইনে মায়ের গর্ভধারণের পর ভ্রূণের হার্ট-বিট পাওয়ার পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাধারণত গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পর গর্ভজাত শিশুর হার্ট-বিট তৈরি হয়। যদিও অনেক সময় নারীরা কিছুটা লক্ষ্মণ ছাড়া ছয় সপ্তাহে টেরই পাননা যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন। এমনকি মর্নিং সিকনেস নামে গর্ভধারণের পর যে শারীরিক লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় তাও নয় সপ্তাহ সময় লাগে। নতুন এ আইনটি অবশ্য আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এর আগে কেন্টাকিতে একজন বিচারক এমন একটি আইন আটকে দিয়েছিলেন। মিসিসিপি রাজ্যেও এমন আইন পাশ হয়েছে তাও আদালতে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। যৌন ধর্মঘট বলতে কী বোঝায়? মিস মিলানো শনিবার টুইটটি করেছেন। এরপর তিনি নিজে ও তার তৈরী হ্যাশট্যাগ সেক্স স্ট্রাইক টুইটারে অনেকটা ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। প্রায় ৩৫ হাজার লাইক আর ১২ হাজার বার রি-টুইট হয়েছে তার টুইট। অভিনেত্রী বেটি মিডলারও মিস মিলানোকে সমর্থন করে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমি আশা করি জর্জিয়ার নারীরা যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকবেন এমন লজ্জার বিষয়টি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত"। যদিও অনেকে আবার এ ধারণার সমালোচনাও করছেন। একজন লিখেছেন সেক্স স্ট্রাইক একটি খারাপ ও যৌনময় আইডিয়া। এর আগে আইনটি পাশের সময় ৫০ জন অভিনেতা ওই রাজ্যে ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশন বয়কটের প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্য অভিনেতারাও বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন। যদিও অনেকেই আবার এর বাইরে রয়েছেন। মোশন পিকচার্স এসোসিয়েশন এর মুখপাত্র ক্রিস অর্টম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন জর্জিয়ায় ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশনের সাথে ৯২ হাজার চাকরীর বিষয় জড়িত। গভর্নরের অফিসের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশন ইন্ডাস্ট্রি ২০১৮ সারে দুই দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার আয় করেছিলো। অন্যান্য খবর: কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? 'দশ মিনিট দেরি হলে আমরা সবাই মারা যেতাম' শিশু ধর্ষণের ঘটনা কি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট
অভিনেত্রী ও মি টু অ্যাক্টিভিস্ট অ্যালিসা মিলানো গর্ভপাত বিষয়ক একটি আইনের প্রতিবাদ স্বরূপ নারীদের 'সেক্স স্ট্রাইক বা যৌন ধর্মঘটে' অংশ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বিশ্বের অনেক দেশই গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দিয়েছে মেক্সিকোর নতুন সরকার গাঁজার 'বিনোদনমূলক ব্যবহার'কে বৈধতা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। একই ধরণের পরিকল্পনা রয়েছে লুক্সেমবার্গের পরবর্তী সরকারেরও। অন্যদিকে, গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গণভোট আয়োজন করার চিন্তা করছেন নিউজিল্যান্ডের নেতারা। গাঁজার বিষয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মানুষ ও সরকারের মনোভাব পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ করে অনুমান করা যেতে পারে যে গাঁজার ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে অন্যান্য দেশও এর উৎপাদন ও ব্যবসার প্রসারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। কিন্তু গাঁজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একের পর এক দেশ কেন তাদের নীতিমালা শিথিল করছে? মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ২০১২ সালে উরুগুয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য গাঁজাকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করে। তবে এই নীতি প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য ছিল গাঁজার অবৈধ বিক্রি ও চোরাচালান সংশ্লিষ্ট অপরাধ কমিয়ে আনা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে গাঁজার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা। সেবছরই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট আর কলোরাডোর প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা চিকিৎসা বাদে অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য গাঁজার ব্যবহারে বৈধতা দেয়ার নীতির সমর্থন করে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় মার্কিন সরকার দেশটির রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগে শিথিলতা দেখিয়ে রাজ্যগুলোকে নিজেদের নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী আইন প্রণয়নে উৎসাহ দেয়। যার ফলস্বরুপ ওয়াশিংটন ডিসি'সহ আরো আটটি রাজ্যে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধতা পায়। অন্যান্য রাজ্যেও গাঁজা ব্যবহার সংক্রান্ত আইনের সাজা কমানো হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের ৩৩টিতেই চিকিৎসা কাজে গাঁজা ব্যবহার বৈধ। গাঁজা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না উপকারী এ নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের আমেরিকার এই পরিবর্তনের হাওয়ায় প্রভাবিত হয়েছে উত্তর আমেরিকার আরো দু'টি দেশ। এবছরের অক্টোবর মাস থেকে গাঁজা বিক্রি ও ব্যবহারকে বৈধতা দিয়েছে কানাডা সরকার। মেক্সিকোও যে গাঁজাকে বৈধতা দেবে তা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। নীতিমালায় নানা ধরণের পরিবর্তন এনেছ অন্য অনেক দেশও। গাঁজা বিক্রি অবৈধ হলেও সামান্য পরিমাণে গাঁজা সাথে থাকা বর্তমানে অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না ব্রাজিল, জ্যামাইকা ও পর্তুগালে। স্পেনে ব্যক্তিগতভাবে গাঁজা ব্যবহার বৈধ, আর নেদারল্যান্ডসের কফি শপগুলোতে গাঁজা বিক্রি করার অনুমতি রয়েছে। আর চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে অনেক দেশই। এছাড়া অনেক দেশই গাঁজার ব্যবহার বিষয়ে নিজেদের মনোভাব ও নীতিমালা পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তা করছে। কীভাবে পরিবর্তন হলো মানসিকতা? অনেক দেশেই গাঁজার বৈধতা পাওয়ার বিষয়টি শুরু হয়েছে গাঁজার ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনোভাব পরিবর্তনের সাথে সাথে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহারের বিষয়ে মানুষের মনোভাব পরিবর্তন হতে থাকে মূলত, জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকা শিশুদের শারীরিক যন্ত্রণার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হওয়ার পর। একই ধরণের ধারা লক্ষ্য করা গেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও। যুক্তরাজ্যে 'চিকিৎসা কাজে' গাঁজার ব্যবহার বৈধতা পেলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী 'বিনোদনমূলক ব্যবহার' অবৈধই থাকবে। চিকিৎসায় ব্যবহৃত গাঁজার প্যাকেট। গাঁজার ব্যবসার বিস্তৃতি দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশেই কৃষকদের গাঁজা চাষে উদ্বুদ্ধ করে সেসব দেশের সরকার। পৃথিবীর অনেক দেশেই চিকিৎসার কাজে গাঁজা ব্যবহৃত হচ্ছে, নিকট ভবিষ্যতে আরো অনেক দেশে ব্যবহার শুরু হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যেই বিভিন্ন দেশের সরকার গাঁজা চাষকে গুরুত্ব দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ থেকে অনুমান করা যায়, চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ হলে সেই ধারা অনুসরণ করে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধ করার দাবিও জোরালো হবে, যার ফলে বৈশ্বিক ভাবে গাঁজার ব্যবসা আরো প্রসার লাভ করবে। তবে এখন পর্যন্ত এক দেশ থেকে সীমান্ত পার করে আরেক দেশে গাঁজা নেয়ার ব্যাপারে আইনি বাধা রয়েছে। চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা গাঁজাই শুধুমাত্র আমদানি-রপ্তানির আওতায় পরে এবং আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড নামের একটি সংস্থার দ্বারা এর পরিমাণ ঠিক করা হয়। গাঁজার প্রভাব
গাঁজার ব্যবহার বিষয়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নীতিমালা ও মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
৬০ বছর পর লাইব্রেরীর বই ফেরত দিলো একজন সাবেক ছাত্র কালচার এন্ড সোসাইটিস অফ আফ্রিকা নামের ওই বইটি ওই লাইব্রেরি থেকে নেয়া হয়েছিলো। এখন লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জরিমানা মওকুফের অঙ্গীকার করেছে। বর্তমান সময়ের হিসেবে সপ্তাহে দেড় পাউন্ড হিসেবে জরিমানার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭শ পাউন্ড। গনভিল অ্যান্ড কেইউস কলেজের একজন সাবেক ছাত্র বুধবার বইটি ফেরত দিয়েছেন। পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় মূল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ ক্যামব্রিজের লাইব্রেরিতে। এক টুইট বার্তায় লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ লিখেছে, "বেটার লেট দ্যান নেভার"। একই সাথে জরিমানা মওকুফের কথাও উল্লেখ করেছে তারা। তারা বলছে, "হয় এটা একটি অসাধারণ বই অথবা তিনি খুবই ধীরগতির একজন পাঠক"। তবে একজন মুখপাত্র বলছেন এটি ঠিক পরিষ্কার নয় যে ওই শিক্ষার্থী এই দীর্ঘ সময় ধরে বইটি ভুলবশত নাকি ইচ্ছাকৃত নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। তবে লাইব্রেরি সিস্টেমে এখনো বইটিকে নিখোঁজ দেখাচ্ছে। বইটি ক্যাটালগ শাখায় দেয়া হয়েছে এবং তারাই শিগগির বইটিকে তালিকাভুক্ত করে নির্ধারিত জায়গায় রাখবেন। আরো পড়ুন: বই পড়া কি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে? দুর্নীতি বিরোধী অভিযান থেকে পুলিশ কেন বাদ
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি ৬০ বছর পর ফেরত পেলো একটি বই।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কেটি পোহলারের বয়স যখন মাত্র তিন দিন তখন তার বাবা একটি মার্কেটের পাশে তাকে ছেড়ে চলে যায় কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে, কপালে আলতো চুমু দিয়ে, লোক চক্ষুর অগোচরে তাকে রেখে দেয়। কান্না সামলাতে দৌড়ে চলে আসেন সেখান থেকে। পাশে রেখে আসেন একটা চিঠি। চাইনিজ ভাষায় সে চিঠিতে লেখা ছিল আজ থেকে ১০ অথবা ২০ বছর তোমার সাথে আমাদের দেখা হবে চীনের বিখ্যাত একটি ব্রিজের উপর। কিন্তু কেমন ছিল সে সময়টা কেটির বাবার জন্য? তিনি বলছিলেন "আমার স্ত্রী যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন আমরা অ্যাবরশন করতে যায়। কারণ আপনি জানেন যে চীনে এক সন্তান নীতি। কেটির আগে আমাদের আরেকটা কন্যা সন্তান ছিল। কিন্তু যখন আমরা হাসপাতালে গেলাম তখন আমারা সন্তানের নড়াচড়া টের পেলাম তার মায়ের পেটের মধ্যে। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা অ্যাবরশন করাবো না"। কেটির বাবা বলছিলেন প্রতিদিন তিনি অপেক্ষা করেছেন মেয়ের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হল। লুকিয়ে একটা নৌকার মধ্যে থাকতে হল তাদের। সন্তান প্রসবের সময় কোন চিকিৎসকের সাহায্য তারা পায়নি। কেটির বাবা বলছিলেন "আমরা ভেবেছিলাম পরিচিত কারো কাছে হয়ত আমরা রাখতে পারবো কিন্তু তেমন কাওকে পাওয়া গেল না"। ১৯৯৬ সাল। আমেরিকান এক দম্পতি কেটিকে দত্তক নেন। আর কেটির জন্মদাতা বাবা মাকে জানান যে সে ভালো আছে আর তারা তাকে খুব ভালোবাসে। কেটির বয়স যখন ১০ তখন তার আমেরিকান বাবা তার চাইনিজ বাবাকে মেসেজ পাঠান যে তারা আসবেন ঐ ব্রিজের উপর। চীনের ব্রোকেন ব্রিজে প্রতিবছর ৭ই জুলাই প্রিয় মানুষদের সাথে সাথে সাক্ষাত করেন। ২০ বছর পর মেয়েকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা কেটির জন্মদাতা পিতা বলছিলেন "সেই রাতটা আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমার মনে হয়েছিল যারা তাকে দত্তক নিয়েছে তারা হয়ত দুই,পাঁচ বছরে আমাদের সাথে দেখা করাবে না। তাই ১০/২০ বছরের কথা লিখেছিলাম। অবশেষে সেই দিন এসে গেল। আমরা সকাল সাতটায় চলে গেলাম ব্রিজের উপর। ৮টা ,৯টা ,১০ টা বেজে গেল। আমরা দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। কিন্তু তারা আসলো না"। অসম্ভব হতাশা নিয়ে তারা ফিরে আসলেন।এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেল। চীনের মিডিয়া এই ঘটনা নিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করলো। সেই অনুষ্ঠানে কেটির বাবা তার মেয়ের গল্প বললেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। আমেরিকায় বসে কেটির দত্তক নেয়া বাবা মা এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারলেন। ইতিমধ্যে কেটির বয়স ২০ বছর হয়েছে। কেটি এখন থাকেন মিশিগানে তার দত্তক নেয়া বাবা -মায়ের কাছে তারা কেটিকে জানালেন তারা জন্মদাতা বাবা-মা এমন চীনে থাকেন এবং তাকে দত্তক নেয়া হয়েছে। কেটির প্রথমবারের মত কথা বলেন এই বিষয়ে। কেটি বলছে "যখন আমার বাবা-মায়ের সাথে দেখা হল তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিল। আর আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়নি তাদের ক্ষমা করার মত কিছু ঘটেছে। আমি বুঝতে পারি তারা পরিস্থিতির শিকার। এমন একটি সিস্টেমের মধ্যে তারা ছিল, যেটা ছিল খুব মর্মান্তিক"। কেটি কয়েকদিন তার বাবা মায়ের সাথে কাটান। এরপর ফিরে যান মিশিগানে তার দত্তক নেয়া বাবা মায়ের কাছে। কিন্তু হঠাৎ করেই এই জীবন পাল্টে দেয়া ঘটনা তাকে ভীষণ ভাবে আলোড়িত করলো। আরো পড়ুন: হামলার আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন আকায়েদ মাছি কতধরনের রোগ জীবাণু বহন করে
তখনো সকালের আলো ফোটেনি। ভোর চারটা। কেটির জন্মদাতা পিতা ছোট একটা কম্বলে মুড়িয়ে তাকে নিয়ে যায় একটি মার্কেটে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কানাডা এবং ব্রিটেনের নেতারা এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেন। সে ঘটনায় ১৭৬ জন যাত্রী এবং ক্রুদের সবাই নিহত হয়েছে। তবে বিমানটিতে মিসাইল আঘাত করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান। ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিমান বিধ্বস্ত হবার খবর আসে। মার্কিন গণমাধ্যম অনুমান করছে, যাত্রীবাহী বিমানটিকে ইরান হয়তো আমেরিকার যুদ্ধ বিমান ভেবে ভুল করতে পারে। কারণ যে সময়টিতে যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার কিছুক্ষণ আগে ইরান মিসাইল হামলা চালিয়েছে। ফলে আমেরিকার দিক থেকে সম্ভাব্য হামলার আশংকা করেছিল ইরান। আমেরিকার গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বলছে, সে সময় স্যাটেলাইটে দুটি মিসাইলের সংকেত পাওয়া গেছে। এরপরই বিস্ফোরণের আরেকটি সংকেত পাওয়া যায়। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, বিমানটিতে আসলে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে ইরান বলছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ব্ল্যাক-বক্স আমেরিকা কিংবা বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িং-এর কাছে হস্তান্তর করা হবেনা। যদিও ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তে যোগ দেবার জন্য ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বোয়িংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী তদন্তে নেতৃত্ব দেবার অধিকার রয়েছে ইরানের। তবে বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা সাধারণত তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। মিসাইল হামলা সম্পর্কে কী বলা হচ্ছে? কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে যাত্রীবাহী বিমানটি মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত-ভাবে হতে পারে বলে মি: ট্রুডো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কানাডার মানুষের মনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এবং তাদের উত্তর জানা দরকার। তবে বিষয়টি নিয়ে কাউকে দোষারোপের সময় এখনো আসেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের সে বিমানটিতে কানাডার ৬৩জন নাগরিক ছিল, যারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ হয়ে টরন্টো যাবার কথা ছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে একমত পোষণ করেছেন। মি: জনসন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে কানাডার সাথে ব্রিটেন ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কানাডা সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ইরান ভ্রমণ না করার জন্য ব্রিটিশ নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমেরিকা এবং ইরাকের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক বলেছে, মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর ইরানের বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থা তখন হয়তো কার্যকর ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পেন্টাগন এখনো আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য করেনি। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী ওলেক্সি ড্যানিলভ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হবার তিনটি কারণ কারণ থাকতে পারে। এগুলো হচ্ছে . . ড্রোন কিংবা অন্য কোন উড়ন্ত বস্তুর সাথে মাঝ আকাশে সংঘর্ষ . কারিগরি ত্রুটির কারণে ইঞ্জিন বিস্ফোরণ . সন্ত্রাসী হামলার অংশ হিসেবে বিমানের ভেতরে কোন বিস্ফোরণ ঘটানো ইরান কী বলছে? ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেন, বিমানটি যখন বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছিল তখন সেটি পশ্চিমমুখী ছিল। একটি সমস্যার কারণে সেটি ডান দিকে মোড় নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে পুনরায় ফিরে আসছিল তখন সেটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হবার আগে আগুন জ্বলতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইমাম খোমেনি বিমান বিমানবন্দরে ফিরে আসার আগে বিমানের পাইলট সাহায্য চেয়ে কোন বার্তা পাঠাননি। "বিমানটিতে মিসাইল আঘাত বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে অসম্ভব। এ ধরণের গুজব অযৌক্তিক," বলেন মি: আবেদজাহ। ইরান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমান বিধ্বস্ত হবার জন্য ইরানকে দায়ী করা একটি 'মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ'।
তেহরানের কাছে গত বুধবার ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের বিমানটি ভুলবশত ইরানের মিসাইল আঘাত করায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন পশ্চিমা নেতারা। তথ্যপ্রমাণ সেটিই নির্দেশ করছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তিগুলোর সাথে চুক্তি করে ইরান মিস্টার ট্রাম্প বলছেন মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ও আরও কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলছেন এটি বলেছেন আমেরিকানদের ঘৃণ্য কূটনীতি হিসেবে। এক টুইট বার্তায় মিস্টার জারিফ ট্রাম্প প্রশাসনকে যুদ্ধে আগ্রহী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চুক্তির পর শক্তিশালী হতে শুরু করে ইরানি অর্থনীতি কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে? যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে আটজন সিনিয়র ইরানি কমান্ডার যারা দেশটির আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ড বাহিনীকে দেখভাল করে তাদেরকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। তারা বলছে মিস্টার ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অফিসও। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মিস্টার খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রিভলিউশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণা এ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার। বিবিসি বাংলায় পড়তে পারেন: আরবরা কি ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কার্যকর অলরাউন্ডার সাকিব আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মিস্টার এমনুচিনে মতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখন নিষেধাজ্ঞা কেনো? ২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দু দেশের সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততার দিকে। আরো পড়ুন: সাইবার হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিকল? 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প ইরানে আক্রমণের অনুমোদন দিয়েও পিছু হটলেন ট্রাম্প পরে ইরানর ওপর আরও চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয় তারা। পরে উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে কয়েকটি হামলার ঘটনাও ঘটে। এরপর ইরানি কর্মকর্তারা তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে। উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে আগুন এর কয়েকদিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। ইরান বলছে ড্রোনটি তার ভূখণ্ডে এসেছিলো আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিলো। ইরানের বিপ্লবী রিভলিউশনারি গার্ড বলেছে যে ড্রোন ভূপাতিত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে যে ইরানের সীমান্ত তাদের কাছে রেড লাইন। রিভলিউশনারি গার্ডের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন ড্রোনের কাছ দিয়েই উড়ে যাচ্ছিলো একটি সামরিক এয়ারক্রাফট যাতে ৩৫ জন যাত্রী ছিলো। তিনি বলেছেন সেটিও তারা ভূপাতিত করতে পারতেন কিন্তু করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞায় সাক্ষর করেছেন যার আওতায় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনির কার্যালয়ও থাকবে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন এই ভাস্কর্যের কিছু অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এপর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে, তাদের দুজন মাদ্রাসার ছাত্র এবং বাকি দুজন একই মাদ্রাসার শিক্ষক। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মহিদ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুজনকে শনাক্ত করা হয়, পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, মাদ্রাসাটি একটি কওমী মাদ্রাসা এবং মহামারির মধ্যেও সেটি চালু ছিল। এই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং পরিচালনা কমিটির কোন সদস্যের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পলাতক রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তে যার নাম আসবে তার বিরুদ্ধেই মামলা হবে। "ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হলেই সবার পরিচয় সম্পর্কে জানানো হবে। কিন্তু তদন্তে যার নাম আসবে তার বিরুদ্ধেই মামলা হবে, এটা স্পষ্ট," তিনি বলেন। ভিডিও ফুটেজ এর আগে কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বিবিসিকে বলেছেন, "ফুটেজ দেখেই তদন্ত হচ্ছে"। শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটির কাছেই একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে চারপাশে বাঁশ ও কাঠের পাটাতন দিয়ে ভাস্কর্যটি ঘিরে রাখা। একটি মই বেয়ে দুজনকে উঠতে দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনার সময় রাতের বেলায় তবে রাস্তায় আশপাশ থেকে কিছুটা আলো এসে পড়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে ভাস্কর্যটি বানাতে যে কাঠের পাটাতন তৈরি করা হয়েছে ওই দুজন সেখানে উঠে কোন সময় নষ্ট না করে ভাস্কর্যটির উপরের দিকে কিছু একটা দিয়ে জোরে আঘাত করছেন। দুজনের পরনে সাদা আলখাল্লা ও পায়জামা। শরীরের ওপরের অংশে কালো ভেস্ট অথবা কোটের মতো কিছু পরে আছেন তারা। মাথায় রয়েছে সাদা টুপি। শনিবার সকালে নির্মাণাধীন সাদা রঙের ভাস্কর্যটির হাত ও মুখের কিছু অংশ ভাঙ্গা অবস্থায় দেখা যায়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভাস্কর্যটির অনেকাংশ নির্মাণ সম্পন্নও হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ বলছে শুক্রবার গভীর রাতে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির বৈঠক চলছিল। এতে বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন। ওদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ আজ কুষ্টিয়া গেছেন। কমিটির এই বৈঠকে তিনি অংশ নিয়েছেন। একই সাথে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মি. হানিফ বিবিসিকে বলেছেন, "দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের খুব দ্রুতই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।" একটি প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ওদিকে শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া শহরে জেলার বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বেশ কয়েকটি চেয়ার টেবিল ভাংচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি এখনো। তবে জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন জানিয়েছেন, যে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে তারা বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুরসহ সকল বিষয় খতিয়ে দেখবে। ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। আজ দুপুরের দিকে একটি প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে যাতে আরও বিস্তারিত তথ্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। দেশের ইসলামপন্থী দলগুলোর ঢাকায় একটি মুজিব ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে গত কিছুদিন যাবৎ প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে। যাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে ইসলামপন্থীদের টানাপোড়েন চলছে। বরাবরই ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থানে সামনের সারিতে থাকা দল হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এক বক্তব্যের পর উত্তেজনার শুরু। হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী ২৭ নভেম্বর এক বক্তব্যের পর সেই উত্তেজনাকে আরও জোরালো হয়ে ওঠে। তিনি চট্টগ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠানে বলেছেন, "কেউ যদি আমার আব্বার ভাস্কর্য স্থাপন করে, সর্বপ্রথম আমি আমার আব্বার ভাস্কর্যকে ছিঁড়ে, টেনে-হিঁচড়ে ফেলে দেব।" এরপর থেকে ভাস্কর্যের পক্ষে বিপক্ষে দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলছে। গত শুক্রবার ঢাকায় ভাস্কর্যবিরোধী একটি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। চলমান বিতর্কের মাঝেই দেশের বেশ কিছু ইসলামী চিন্তাবিদদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোন উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।" তারা বলেছেন, "এমনকি কোন মহৎ ব্যক্তি ও নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরিয়ত সম্মত নয়।" আরো পড়ুন: যে কোন উদ্দেশ্যে ভাস্কর্য তৈরি 'ইসলামে নিষিদ্ধ' বলে আলেমদের বিবৃতি 'আমার আব্বার ভাস্কর্যও ছিঁড়ে, টেনে-হিঁচড়ে ফেলে দেব' - বাবুনগরী ভাস্কর্য নিয়ে 'কঠোর অবস্থানের' ইঙ্গিত আওয়ামী লীগের মুজিব ভাস্কর্য: 'আওয়ামী লীগের নিজের ঘরেই সাপ ঢুকেছে'
কুষ্টিয়া শহরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন ব্যক্তি তাতে জড়িত ছিল।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জনপ্রিয় স্পাইডারম্যান চরিত্রের পাশে স্ট্যান লি। ১৯৬১ সালে তিনি "লী দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর ফর মার্ভেল কমিকস" তৈরি করেন। সেই থেকে তাকে পপ কালচারের জনক হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মিডিয়া অঙ্গনের তারকাসহ অসংখ্যা ভক্ত অনুরাগী। আরও পড়তে পারেন: মারভেল সিরিজ: যেভাবে বানানো হয়েছে হাল্ক ও কর্গ চরিত্রকে মিশরের স্কুল থেকে মিকি মাউস কেন বাদ দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্যাটায়ার করা কি এখন কঠিন? 'ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন' কার্টুন হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় স্পাইডারম্যানের পোজে স্ট্যান লি। কে এই স্ট্যান লি? লি এর জন্ম ১৯২২ সালে একটি অসচ্ছল ইহুদি পরিবারে। তার পরিবার এসেছিল রোমানিয়া থেকে। কমিকসে তার ক্যারিয়ার শুরু হয় টাইমলি পাবলিকেশনের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানটি ছিল তার এক আত্মীয়ের। কমিক চরিত্র তৈরির অসাধারণ পারদর্শিতার কারণে মাত্র ১৮ বছর বয়সে "সম্পাদকের" পদ লাভ করেন তিনি। তার নাম মূলত স্ট্যান লিবারম্যান হলেও তিনি পরবর্তীতে "লি" হিসেবে নিজের পরিচয় সৃষ্টি করেন। তরুণ বয়সীদের আকৃষ্ট করতে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্ভেলে ক্রাইম, হরর এবং ওয়েস্টার্ন কমিক স্টোরি নিয়ে কাজ করেন স্ট্যান লি। সে সময় তার কমিকস ভীষণ জনপ্রিয় হলেও লি যেন আরও ভিন্ন কিছু করার চেষ্টায় ছিলেন। পরে ৪০ বছর বয়সে তিনি কমিকস দুনিয়াকে বিদায় জানাতে চাইলেও তার স্ত্রী জোয়ান তাকে উৎসাহ দেন নিজের সেই চরিত্রগুলো নিয়ে লিখতে যেটা লি সব সময় চেয়েছিলেন। জনপ্রিয় হাল্ক চরিত্রের পাশে স্ট্যান লি। কিভাবে জনপ্রিয়তা পেলেন স্ট্যান লি? পরে ১৯৬১ সালে লি এবং শিল্পী জ্যাক কারবি দুজন মিলে ফ্যান্টাসটিক ফোর তৈরি করেন। যেখানকার চারটি চরিত্রের রয়েছে চার ধরণের বৈশিষ্ট্য। এরা জীবন ঘনিষ্ঠ সমস্যার সমাধান করে থাকে। এই ফ্যান্টাসটিক ফোর শুধু লি এর জীবন নয় বরং বদলে দেয় গোটা কমিকস ইন্ডাস্ট্রিকে। এ সময় টাইমলি পাবলিকেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মারভেল। যা শুরু করে কমিক বুকের সোনালী যুগের। মার্ভেলের বহু চরিত্র সে সময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যায়। বছরে মার্ভেলের ৫ কোটি কপি বিক্রি হওয়া সেটারই জানান দেয়। কেননা প্রতিটি চরিত্রের সঙ্গে লি সংমিশ্রণ করেছেন সে সব বৈশিষ্ট্যের যেগুলো প্রতিটি ছেলে মেয়ে তাদের কিশোর বয়সে মুখোমুখি হয়েছিল। যেমন ব্রন হওয়া, খুশকির সমস্যা, হাত পায়ের নখ বাড়তে থাকা ইত্যাদি। তার "ব্ল্যাক প্যানথার" ইতিহাসের প্রথম কোন কমিক সুপারহিরো যার গায়ের রং কালো। ব্ল্যাক প্যানথার চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেতা চ্যাডউইক বোজম্যানের সঙ্গে স্ট্যান লি। এছাড়া অন্ধ সুপারহিরো ডেয়ারডেভিল এবং মানবতার প্রতিমূর্তি সিলভার সার্ফার যোগ করেছিল নতুন মাত্রা। প্রতিটি কমিক চরিত্রের আঁকিয়েদের কৃতিত্ব দিতেও ভুলতেন না লি। এ কারণে তার নামের সঙ্গে সঙ্গে কমিস পাগলদের কাছে প্রিয় নাম হয়ে ওঠে কারবি, ফ্র্যাঙ্ক মিলার, জন রমিটান্ডসহ আরও অনেক শিল্পী। কমিকস এলো টিভি ও চলচ্চিত্রে: ১৯৭১ সালে মারভেল থেকে অবসর নেন লি। তবে কমিকস জগত থেকে তখনও তিনি বিদায় জানান নি। ২০০১ সালে তিনি পারভিওর অফ ওয়ান্ডার- পিওডব্লিউ নামে নতুন একটি এন্টারটেইনমেন্ট প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এর কাজ কমিকস চরিত্রগুলোকে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রোগ্রামে নিয়ে আসা। অর্ধশত বছরের পুরনো চরিত্রগুলোকে নতুন আদল দিতেই লি নতুন এই পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন। যার সফলতা প্রচার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এক্স মেন, স্পাইডারম্যান, আয়রন ম্যান ফ্যান্টাসটিক ফোর, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, হাল্ক, ডেয়ারডেভিল এবং অ্যাভেঞ্জার্সকে নিয়ে হলিউড চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে যার বেশিরভাগের খ্যাতি ছিল আকাশচুম্বী। নিজের জনপ্রিয় চরিত্রগুলো সেলুলয়েডে নিয়ে আসেন স্ট্যান লি। এরমধ্যে স্পাইডারম্যানকে ঘিরে দুটো ছবি আয় করেছে ১৬০ কোটি ইউএস ডলার এছাড়া ক্রিস ইভানসের রূপ দেয়া ক্যাপ্টেন আমেরিকার তিনটি চলচ্চিত্র আয় করেছে ২২৪ কোটি ইউএস ডলার। রবার্ট ডাউনির আয়রন ম্যান একটি সিনেমা থেকে আয় করে ২৪০ কোটি ইউএস ডলার। এটাই শেষ নয়: লি এরপর তার কাজ শুরু করেন ডিজিটাল গ্রাফিক নভেল নিয়ে। ২০১৬ সালের কমিক-কনে তার "স্ট্যান লি'স গড ওয়ক" এর প্রিন্ট ভার্শন ২০১৭ সালের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাবলিশার বুক অ্যাওয়ার্ডসের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভয়েজ পুরস্কার অর্জন করে। পরে লি এর দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করেন। কমিক বই লেখা বা পড়ার মতো অবস্থাও তার ছিল না। ২০১৬ সালে এক রেডিও সাক্ষাতকারে লি জানান যে তিনি পড়ার ক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছেন। "লি" ছিলেন একজন ভাগ্যে বিশ্বাসী মানুষ। যখনই তাকে তার কোন ভক্ত জানতে চান যে সবচেয়ে বড় সুপার পাওয়ার কি। তিনি একটাই উত্তর দেন। আর সেটা হল "ভাগ্য"। স্ট্যান লি এর মতে সৌভাগ্য থাকলে সবকিছুই সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়।
মার্কিন কমিক বই লেখক, মার্ভেল কমিকসের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং স্পাইডার ম্যান, আয়রন ম্যান, ফ্যান্টাস্টিক ফোর, দ্য ইনক্রেডিবল হাল্কের মতো জনপ্রিয় সুপারহিরোদের স্রষ্টা স্ট্যান লি ৯৫ বছর বয়সে মারা গেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
৬০ বছর পর বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়লো জার্মানি এবার বিশ্বকাপে এফ গ্রুপে জার্মানি তিনটি খেলা খেলেছে। কিন্তু জিতেছে মাত্র একটিতে। সেই জয়টাও তারা পেয়েছিল সুইডেনের বিরুদ্ধে খেলার শেষ মুহুর্তে ৯৫ মিনিটে গোল করে। আবারও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের গায়ে অভিশাপ আঘাত করলো। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, এটি একবিংশ শতাব্দীর অভিশাপ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২০০২ সাল পর্যন্ত দুই বার শিরোপাধারীদের টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এর একটি ঘটনা ছিলো ১৯৫০ সালে। তখন ১৯২৮ এর চ্যাম্পিয়ন ইতালি বাদ পড়েছিলো (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ এ বিশ্বকাপ হয়নি)। আর ১৯৬২'র চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ১৯৬৬ সালে বাদ পড়েছিলো পর্তুগাল এবং হাঙ্গেরি থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে। আরো পড়তে পারেন: 'মেসি দলকে শতভাগ দেননা- এমন গুজব সত্য না' ম্যারাডোনা মধ্যাঙ্গুলি কাকে দেখালেন, কেন? বিশ্বকাপ তারকা যেভাবে মাঠের কৃষক হয়ে গেলেন জার্মানির বিদায়ের সময় দর্শক গ্যালারি ২০০২ সালে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে উদ্বোধনী খেলাতেই সেনেগাল এর কাছে গোল খেয়ে ছিটকে পড়েছিল আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। অথচ সেটাই ছিল সেনেগালের প্রথম বিশ্বকাপ। ২০১০ সালে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলো। ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইতালি গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারলো না। চার বছর পর ২০১৪ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। এখন আবার একই ঘটনা ঘটলো। সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মোক্সিকোর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে জার্মানি, এটা মানুষের ভাবনায় ছিল না। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডেনকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল জার্মানরা। কিন্তু অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে শেষমুহুর্তের গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়তে হলো জার্মানিকে। বিশ্বকাপের আগে টানা ৫ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া কোনো ম্যাচে জয়ী হতে পারেনি। তারাই হারিয়েছে জার্মানিকে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সাথে যেন অদৃশ্য এক অভিশাপই লেগে গেছে।
বিশ্বকাপের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলের হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
সন্তান কার কাছে থাকবে তা নিয়ে আদালতে মুখোমুখি হন বাবা-মা ওই হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২০ সালে তালাকের পরিমাণ বেড়েছে। তবে তালাকের সাথে স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি যারা প্রভাবিত হয় তারা হচ্ছে ওই পরিবারের সন্তানরা। কোন পরিবারের বাবা-মায়ের মধ্যে তালাক হলেও ওই পরিবারের সন্তানের জিম্মা কার হবে। এ নিয়ে মুসলিম আইনেই বা কী বলা আছে? বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা বলেন, মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, প্রায় সব ক্ষেত্রে বাবা সন্তানের প্রকৃত আইনগত অভিভাবক। এই আইনের আওতায় সন্তানের অভিভাবকত্ব এবং জিম্মাদারিকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়। তবে সাধারণ ক্ষেত্রে সন্তানের দেখাশুনা, অভিভাবকত্ব এবং ভরণপোষণের বিষয়গুলো অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন ১৮৯০ এবং পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। আরো পড়ুন: এই আইন অনুযায়ী, অভিভাবক বলতে যে ব্যক্তি কোন নাবালকের শরীর অথবা সম্পত্তির বা শরীর ও সম্পত্তি উভয়ের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত থাকবে তাকে বুঝাবে। সন্তান কার জিম্মায় থাকবে? আইনজীবী মিতি সানজানা বলেন, কোন দম্পতির মধ্যে তালাক হলে এবং তাদের সন্তান থাকলে ছেলে সন্তানের সাত বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের হেফাজতে থাকবে। আইনে এমনটাই বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে মায়ের অধিকার সবার আগে স্বীকৃত। বাবা আইনগত অভিভাবক হলেও মা হচ্ছে সন্তানের হেফাজতকারী। তবে মুসলিম আইনে মা সন্তানের আইনগত অভিভাবক নন; আইনগত অভিভাবক বাবা। মা শুধু জিম্মাদার বা হেফাজতকারী। "মা কিন্তু গার্ডিয়ান না, মাকে অভিভাবক হিসেবে ধরা হয় না, মা হচ্ছে বাচ্চার কাস্টোডিয়ান বা হেফাজতকারী।" তিনি বলেন, ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে যে সাত বছর সে মায়ের কাছে থাকবে তখন সে বাবার সাথে দেখা-সাক্ষাত করতে পারবে। মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত সে মায়ের হেফাজতে থাকবে। এসময় বাবা তার সাথে দেখা করতে পারবেন। এই সময়ের পর সন্তানদের তার বাবা চাইলে নিয়ে যেতে পারে। তবে নির্দিষ্ট বয়সের পরও সন্তানের জিম্মাদারি যদি কোন মা রাখতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে আদালতে আবেদন করতে হবে। মিতি সানজানা বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে, তালাক হলেও যদি বাবা-মায়ের মধ্যে তেমন সমস্যা বা বিতর্ক না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সন্তানদেরকে যৌথ হেফাজতে দেয়া হয়। অর্থাৎ বাবা কিংবা মা দুজনেই চাইলে সন্তানদের রাখতে পারেন। "সেক্ষেত্রে হয়তো মায়ের কাছে চার দিন আর বাবার কাছে তিন দিন বা তাদের সুবিধা মতো থাকতে পারে।" তবে জিম্মাদারি বা হেফাজত নিয়ে যদি বিতর্ক তৈরি হয় তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের পর অর্থাৎ ছেলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাত বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও যদি মা নিজের হেফাজতে রাখতে চান, তখন তাকে আলাদাভাবে আদালতে আবেদন করতে হবে। আইনজীবী মিতি সানজানা এ ধরনের আবেদনের পর আদালত যে বিষয়টি বিবেচনায় নেয় সেটি হচ্ছে, সন্তানের কল্যাণের জন্য যেটা সবচেয়ে ভাল, সেটিই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে আদালত। আদালত সাধারণত চায় যে, হেফাজতের ক্ষেত্রে বাবা-মা দুজনেই থাকুক। তবে ধরে নেয়া হয় যে, মায়ের কাছেই সন্তানরা সবচেয়ে বেশি ভাল থাকবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মা যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল না হয়, বা তার যদি আয় না থাকে তাহলে সেটি মামলাকে দুর্বল করে তোলে। "কোর্ট এখানে অনেক কিছুকে বিবেচনায় নেয়। যেমন ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি সেটা বাবা-মা যার কাছেই থাকুক না কেন, এছাড়া অন্যান্য বিষয় যেমন ড্রাগ ইস্যুও বিবেচনায় নেয়া হয়," বলেন মিতি সানজানা। বাবা-মায়ের মধ্যে যদি কারো বিরুদ্ধে গুরুতর কোন অভিযোগ থাকে যেমন মাদকাসক্ত হওয়া কিংবা অপরাধমূলক কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ, তাহলে আদালত কখনোই তার কাছে সন্তানের জিম্মাদারি দিতে চায় না। "যার কাছে থাকলে সন্তানের সর্বোচ্চ কল্যাণ হবে তার কাছে থাকারই অনুমোদন দেয় আদালত।" তবে সন্তান বাবা কিংবা মা- যার সাথেই থাকুক না কেন, অপরপক্ষকে সন্তানের সাথে দেখা করা ও সময় কাটানোর অনুমোদন দেয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে। তবে এক্ষেত্রেও তার বিরুদ্ধে মারাত্মক কোন অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। গুরুতর অভিযোগ না থাকলে সপ্তাহে দুই দিন বা তিন দিন দেখা করতে পারে। তবে এটা পরিবার অনুযায়ী আলাদা হয় বলেও জানান আইনজীবী মিতি সানজানা। তবে দেখা করার অনুমোদন থাকলেও যদি বাবা কিংবা মাকে দেখা করতে না দেয়া হয় তাহলে যাকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না সে আবার বিষয়টি নিয়ে আদালতে যেতে পারেন। সন্তানের মতামতের সুযোগ আছে কি? বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা বলেন, হেফাজত বা জিম্মাদারি দেয়ার ক্ষেত্রে সন্তানের মতামতের গুরুত্ব সবসময়ই থাকে। জিম্মাদারির ক্ষেত্রে শিশুর মতামত দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের ভয় দেখানো বা প্রভাবিত করা হয় বলে জানান মিতি সানজানা। আর সেকারণেই বাচ্চাদের সম্মতি নেয়া হলেও আদালত বোঝার চেষ্টা করে যে, সে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে কিনা। "পর্যবেক্ষণ করা হয় যে, বাচ্চা নিজের ইচ্ছায় মতামত দিচ্ছে কিনা।" তবে বাচ্চার মতামতই একমাত্র নয়। জিম্মাদারি নেয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চার মতামত মামলাটিকে শক্তিশালী করলেও এটি ধরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না। বরং বাচ্চার মতামতকে একটি এভিডেন্স বা প্রমাণ হিসেবে নেয়া হয়। "বাচ্চা যদি বলে যে অমুকের সাথে থাকবো, তার মানে এই না যে তাকে সাথে সাথে থাকতে দেয়া হচ্ছে," বলেন মিতি সানজানা। এর কারণ হচ্ছে, যার সাথে থাকতে চাচ্ছে সে ম্যানিপুলেট বা প্রভাবিত করতে পারে, ভয় দেখাতে পারে, তার ভরণপোষণের ক্ষমতা না থাকতে পারে, সে মাদকাসক্ত হতে পারে, তার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ থাকতে পারে। এ সমস্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। "তবে যার পক্ষে বাচ্চা বলবে তার পক্ষেই মামলাটি শক্তিশালী হবে। জিম্মাদারি পাওয়ার ক্ষেত্রে দুপক্ষই টানা-হেঁচড়া করে।" তবে অনেক সময় বাচ্চার ইচ্ছানুযায়ী, দুপক্ষকেই তার হেফাজত ও জিম্মাদারির দায়িত্ব দেয়া হয়।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় প্রতিদিন ৩৯টি তালাকের ঘটনা ঘটেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
অ্যান্ড্রু মাইকেল জানান এখনও তিনি উচ্চাকাঙ্খী অ্যান্ড্রু মাইকেলে বয়স যখন ১৭ বছর তখন তিনি নিজের জীবন বদলানোর জন্য একধরনের জুয়া খেললেন। ব্যবসার জন্য তার মায়ের ক্রেডিট কার্ড থেকে না জানিয়ে ৩০, ০০০ পাউন্ড খরচ করলেন-অর্থাৎ নিজেই তিনি একে বলছেন চুরি হিসেবে । ১৯৯৭ সালের সালে যখন পশ্চিম ইংল্যান্ডের শেলটেনহামে মায়ের সাথে থাকতেন তখন তার সামনে ব্যবসার এই সুযোগ আসে। স্কুল সহপাঠীর সাথে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে স্ব-ঘোষিত এই "কম্পিউটার বিজ্ঞানী" অনুধাবন করলেন যে বিদ্যমান হাতে গোণা কিছু ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি সাধারণ লোকজন কিংবা ছোটখাটো ব্যবসাকে টার্গেট করছে না। "ব্রিটেনে সেইসময় প্রায় সব ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে কাজ করছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রের ব্যক্তিরা সহজেই নিজেদের দ্বারা সহজে পরিচালন-যোগ্য কিছু একটা চাইছিলেন"। বলছিলেন বর্তমানে ৩৯ বছরের সফল তরুণ ব্যবসায়ী মিস্টার মাইকেল। তখন বাজারের এই ফাঁকা জায়গাটি দখলের জন্য লক্ষ্য স্থির করলেন তিনি এবং তার বন্ধু। চালু করলেন নিজেদের প্রথম ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি 'ফাস্টহোস্টস'। গরুর দুধে রাসায়নিক ঠেকাতে কী করছে সরকার? ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক কতটা কার্যকর হবে? দেশে স্মার্টফোন ঝুঁকিতে - নিরাপদ থাকার উপায় নিজের প্রথম ব্যবসায় সাফল্য তাকে বিশাল ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করে। অ্যান্ড্রু জানান, মায়ের বাড়িতে শোবার ঘরে তাদের কম্পিউটারে কাজ শুরু এবং তাদের সফটওয়্যারটি নিজেরাই বানিয়ে নিয়েছিলেন। "তবে যেটা আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল সেটা হচ্ছে দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ যা নিতে হলে সেসময় রাস্তার নিচে খোঁড়াখুঁড়ির প্রয়োজন হতো। এটা ছিল প্রায় ৩০ গ্র্যান্ড খরচ-সাপেক্ষ কিন্তু সেসময় আমাদের কাছে কোন টাকাপয়সা ছিল না। " আর কোন উপায় না দেখে অ্যান্ড্রু নিজের মায়ের ক্রেডিট কার্ড নিয়ে গেলেন এবং তা দিয়ে ইন্টারনেট আপগ্রেড করার অর্ডার দিলেন। "আমরা ফোনে এটা একরকম প্ররোচিত করলাম" বলেন অ্যান্ড্রু। এছাড়া ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন বুকিং এবং নতুন বিশাল কম্পিউটার মডেম এর ব্যবস্থাও করতে হলো। মূল জুয়াটা ছিল যে, প্রথম মাসেই ব্যবসা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ আয় করতে হবে যেন প্রথম মাসের ক্রেডিট কার্ডের বিল আসার পরই তা পরিশোধ করা যায়। অ্যান্ড্র ২০ বছর বয়সেই স্যার রিচার্ড ব্রানসন সহ অনেক তারকা এবং নামকরা ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাত করেছেন আশ্চর্যজনকভাবে তা সত্যিই কাজ করলো। "মাসের শেষ নাগাদ আমাদের যথেষ্ট সংখ্যায় ক্লায়েন্ট জুটে গেল এবং ইন্টারনেট লাইন এবং বিজ্ঞাপনের অর্থ পরিশোধ এর টাকাও উঠে এলো"। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো যে, প্রতারণা করে টাকা নেয়ার ঘটনার জন্য তার মা তাকে ক্ষমা করে দিলেন। তার বন্ধুটি যখন উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটিতে চলে গেলো, তখনও অ্যান্ড্রু তার নিজের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা বাতিল করে দিলেন। তার বদলে ফাস্টহোস্টসকে প্রতিষ্ঠার জন্য ফুল-টাইম মনোযোগ দিলেন। নয়বছর পরে তার বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬১ দশমিক ৫ মিলিয়ন। তার বয়স যখন মাত্র ২৬ বছর তার ব্যবসার ৭৫% শেয়ার নিজের এবং তার মানে ৪৬ মিলিয়ন পাউন্ড তার নিজের পকেটে। দুই বছর পরে অ্যান্ড্রু 'লাইভ ড্রাইভ' নামে একটি ক্লাউড স্টোরেজ ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে তিনি বিক্রি করে দেন। যদিও কত টাকায় সেটি বিক্রি করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি তবে ধারণা করা হয় যে এই বিক্রির অর্থ দশ মিলিয়ন এর কম নয়। যখন দুটো ব্যবসাই সফল প্রমাণিত হলো অ্যান্ড্রু সংবাদপত্রের শিরোনাম হন ব্যয়বহুল পার্টির কারণে। ফাস্টহোস্টস এর বড়দিনের পার্টি মাতাতে মেয়েদের ব্যান্ড গ্রুপ গার্লস অ্যালাউড ও সুগারবেবস, রক ব্যান্ড দ্যা ডার্কনেস পারফর্ম করে। আর আসরের গ্রন্থণায় অংশ নেন উপস্থাপক জোনাথন রস। একবার নিজের বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টিতে গাওয়ার জন্য মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী উশেরকে অর্থ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। "আমি পার্টি পছন্দ করি। লোকজনকে আনন্দে মাতিয়ে রাখতে ভালবাসি আমি। এবং আমি কখনো কোনকিছু আধাআধি করি না"। অ্যান্ড্রুর সর্বশেষ ব্যবসা বার্ক ডটকম-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা কেই ফেলার এর সাথে। সাইপ্রাসে জন্ম নেয়া অ্যান্ড্রুর বেড়ে ওঠা শেলেটনহামে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, তার ব্যবসায়িক চিন্তাধারা এবং একনিষ্ঠ মনোযোগ পুরোটাই তিনি পেয়েছেন বাবার কাছ থেকে। "আমার বাবা সাইপ্রাস থেকে এসেছিলেন এবং খুব ছোট ব্যবসা ব্যবসায়ী ছিলেন," তিনি বলেন। "অনেক সাইপ্রিয়টের মতো তিনি মাছের দোকান এবং ক্যাফে খুলেছিলেন। তাই আমার শৈশবের অনেকটা সময় এসব জায়গা দেখে দেখে ব্যবসার জিনিসপত্র সংগ্রহ এবং ব্যবসা বিষয়ে আলোচনার মধ্যে কেটেছে"। "খুব কম বয়স থেকেই আমার ট্রেডিং, অর্থ উপার্জন, মানসিকতা ও মানসিকতা ছিল।" ফাস্টহোস্টস কিভাবে আরো বিস্তৃতি লাভ করলো সে সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে অ্যান্ড্রু বলেন, তিনি ছিলেন লেজার ফোকাসড এবং সেটার ছাড়া আর কিছুই মুখ্য ছিলনা। ২০০৬ সালে যখন ব্যবসা তাকে বড় ধরনের ধনী বানালো তখনও তার মধ্যে অপরিপূর্ণতার অনুভূতি ছিল। "মনে আছে যখন আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতো আমি ভাবতাম বিষয়টি আমাকে সত্যি সুখী করবে। কিন্তু যখন অফিসে হাঁটতাম আমার আসলে ডুবে যাওয়ার মত একধরনের অনুভূতি হতো এবং উপলব্ধি হতো যে, এসবই আমি বিক্রি করে দেবো, সব কিছু একটি স্প্রেডশিটে এবং সংখ্যায় চলে আসবে"। বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টিতে গাওয়ার জন্য মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী উশেরকে ব্রিটেনে এনেছিলেন অ্যান্ড্রু। এরই ফলশ্রুতিতে অ্যান্ড্রু স্বীকার করেন কিছু সময়ের জন্য সব একঘেয়ে হয়ে যায় এবং নিয়মিত মদ্যপ হয়ে যান। ব্যবসা ফিরে পেতে তিনি দুইবছর পর লাইভ ড্রাইভ চালু করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কোম্পানিটিকে বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতায় সংগ্রাম করতে হচ্ছে। "আমরা দেখেছেন যে একই সময়ে অনেক লোক একই রকমের আইডিয়া নিয়ে কাজ করেছে ফলে সেই বিজ্ঞাপন চলেনি। এটা ছিল আমার ব্যর্থতার প্রথম ধাক্কা খাওয়ার অভিজ্ঞতা"। তবে তাই হয়তো শেষ পরিণতি হতো যদি না এক রাতে পাবে ডিক্সনস-এর একজন ইলেকট্রনিক্স রিটোইলাইরের সাথে যোগাযোগ না ঘটতো। একসাথে তারা কাজ শুরু করলেন। লাইভড্রাইভের পণ্য আরো উন্নত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করলো ডিক্সনস। এরপর ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের সাথে তা বান্ডেল করে বাজারজাত করা হলো। এটা ছিল ব্যাপক বিধ্বংসী সফলতা।পরবর্তীতে ফাস্টহোস্টস এর চেয়েও বড় ব্যবসায় পরিণত হলো তাদের ব্যবসা, বলেন অ্যান্ড্রু। তার সর্বশেষ ব্যবসা হচ্ছে বার্ক ডটকম। এটা এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পেশাদার পরিষেবা দানকারীকে পাওয়া যাবে যেমন স্যানিটারি মিস্ত্রি থেকে শুরু করে গিটার শিক্ষক, ঘোড়া পালনকারী, কিংবা ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক। প্রযুক্তি বিশ্লেষক ক্রিস গ্রিন বলেন: "ফাস্টহোস্টস ছিল আশি এবং নব্বই এর দশকে যুক্তরাজ্যে বেডরুম কম্পিউটার উদ্ভাবনের চমৎকার উদাহরণ। ১৭ বছর বয়সী তরুণ অ্যান্ড্রুর জন্য সেটি কেবল তাৎক্ষনিক সাফল্য নয় এটি ডোমেন নাম নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং অনেকের জন্য ওয়েব হোস্টিং অ্যাক্সেস প্রক্রিয়া সহজতর করেছে তার মতে, " লাইভ ড্রাইভ ব্যক্তিগত এবং ছোট ব্যবসার জন্য ক্লাউড স্টোরেজ এবং ব্যাকআপ মার্কেটের জন্য প্রশ্নাতীতভাবে পথপ্রদর্শক" মিস্ত্রি থেকে শুরু করে গিটার শিক্ষক সবই মিলবে বার্ক ডটকম-এ। এখনো নিজের প্রচুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে জানান অ্যান্ড্রু। "আমি সেই ধরনের ব্যক্তিদের একজন যার যত বেশি আছে, তত বেশি আমি আরো চাই। যদিও আমার প্রথম দুটি ব্যবসা ভাল ছিল তারপরও আমি নিজেকে দুর্দান্ত সফল শ্রেণীর মধ্যে রাখবো না।"
বিবিসিতে প্রতি সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সফল ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে চলমান দি বস সিরিজে এই সপ্তাহে উঠে এসেছে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু মাইকেলের ব্যবসায়ী হিসেবে পথচলা শুরুর কথা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জামাল খাসোগজি, সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক এই কর্মকর্তাটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মি. খাসোগজিকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনার। তিনি আরো বলেন, খাসোগজির সাথে ধস্তাধস্তি হবার পর তাকে বিষাক্ত ইনজেকশন দেয়া হয়। গত ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর খুন হন ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক জামাল খাসোগজি। সরকারি কৌসুলি এই হত্যার ঘটনায় ১১জনকে অভিযুক্ত করেছেন এবং তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছেন। মামলাটি একটি আদালতে পাঠানো হয়েছে, এবং একই সঙ্গে সন্দেহভাজন আরও দশজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। রিয়াদে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিং এ ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর সালান বিন রাজিহ সালান বলেছেন, মি: খাসোগজির মৃত্যুর পর তার দেহ দূতাবাসের ভেতর খণ্ড খণ্ড করে ফেলা হয়। এরপর তার দেহের বিভিন্ন অংশ কনস্যুলেটের বাইরে স্থানীয় একজন 'সহযোগী'র কাছে হস্তান্তর করা হয়, জানান ওই মুখপাত্র। সেই সহযোগীর একটি স্কেচ তৈরি করা হয়েছে এবং দেহাবশেষের খোঁজে তল্লাশি চলছে। হত্যার দায়ে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের কারো নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি মিস্টার সালান । জামাল খাসোগজি হত্যা: সৌদি সমালোচকরা যেভাবে গুম হয়ে যান সৌদি আরব: রাজপরিবারের ভেতর কী ঘটছে? খাসোগজি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন কারা এই ১৫ জন? তবে তিনি জানান, তদন্তে জানা গেছে যে ব্যক্তি খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই দলটির মধ্যে আলোচনাকারী হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করছিলেন। উপ-গোয়েন্দা প্রধান জেনারেল আহমেদ আল আসিরি তাকে ইস্তাম্বুলে পাঠিয়েছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল মিস্টার খাসোগজিকে তার স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে সৌদি আরবে ফিরে যেতে বাধ্য করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সৌদি যুবরাজ এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। বাদশাহ সালমানের পুত্র এবং কার্যত সৌদি আরবের শাসনকাজ পরিচালনাকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তার কোনরকম সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। তবে সমালোচকরা মনে করছেন, এ ধরনের একটি ঘটনা সম্পর্কে যুবরাজ মোহাম্মদ কিছুই জানতেন না তেমনটি হওয়া খুবই অসম্ভব। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন - সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটরের কিছু বক্তব্য সন্তোষজনক নয়। তিনি বলেন, ওরা বলছে যে মি. খাসোগজি তাদের বাধা দিয়েছিলেন বলে তাকে হত্যা করা হয়, কিন্তু এ খুন আসলে ছিল পুর্বপরিকল্পিত। "তার পর তারা বলছে তার দেহ কেটে টুকরো করা হয়েছিল, কিন্তু এটা আপনাআপনি হয় নি। তাকে হত্যা এবং মৃতদেহ টুকরো করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোক আগে থেকেই আনা হয়েছিল। সমালোচকরা মনে করেন, সৌদি যুবরাজ খাসোগজি হত্যা সম্পর্কে কিছু জানতেন না এটা সম্ভব নয় তুর্কি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে - খুনের কয়েক ঘন্টা আগে যে ১৫ জন সৌদি এজেন্ট ইস্তাম্বুল এসেছিল - তাদের সাথে হাড় কাটার করাত ছিল, এবং তাদের একজন ছিলেন সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এর্দোয়ান বলেছেন, "সৌদি কর্তৃপক্ষ যেটি বলুক না কেন, মি. খাসোগজি হত্যার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এসেছে" - তবে তিনি বিশ্বাস করেন যুবরাজ সালমান সেটি করেননি। অন্যদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ খাসোগজিকে "টার্গেট করে নৃশংসভাবে হত্যা" করার অভিযোগে ১৭ সৌদি কর্মকর্তার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বলা হয়, তাদেরকে তাদের "কর্মকাণ্ডের পরিণাম ভোগ করতে হবে"। যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন যুবরাজ সালমানের সাবেক একজন উপদেষ্টা সউদ আল-কাহতানি আছেন। তিনি এ ঘটনার "পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে জড়িত ছিলেন" বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। মিস্টার কাহতানির ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানান সৌদি মুখপাত্র, তবে জেনারেল আসিরির ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। অস্য দুজনের একজন হচ্ছেন মাহের মুতরেব - যিনি 'অপারেশনের সমন্বয় এবং তা কার্যকর করেছিলেন"। অপরজন হচ্ছেন ইস্তাম্বুলের কনসাল-জেনারেল মোহাম্মদ আল-ওতাইবি।
সৌদি আরবের সরকারি কৌঁসুলি বলছেন, ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
গুজব ঠেকাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে পারে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন বলছে, গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে কেউ যদি কোথাও নির্বাচন বানচালের উস্কানি দেয় - তবে তা ঠেকাতে দরকারে এমনকি সেই এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দেয়া হবে। কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলছেন, "সোশাল মিডিয়াতে কিন্তু অসংখ্য আছে ফেক আইডি। যাদেরকে আমরা চিনতে পারছি না। তারা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ঐসব পোষ্ট বন্ধ করে দিতে পারি।" "অথবা, যদি এমন হয় যে ঐ সোশাল মিডিয়ার কারণে এলাকার আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা নেটওয়ার্ক শাটডাউনও করতে পারি" - বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক গুজব ও অপপ্রচার ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর উপরে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে। এজন্যে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন কোম্পানি ও পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন ধরনের মন্তব্য, ছবি, পোষ্ট, গুজব বা অপপ্রচারের আওতায় পড়বে? নির্বাচন কমিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। এ প্রশ্নে জবাবে হেলালুদ্দিন আহমদ বলছেন, "যেমন দেলোয়ার হোসেইন সাইদীকে চাঁদে দেখা গেছে সেই গুজবকে ভিত্তি করে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনত করেছে। অথবা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় একটা প্রোপাগান্ডা হয়েছে। সেটাই আমরা মাথায় রেখে নির্বাচনকে ঘিরে যাতে প্রচার করে মানুষকে উস্কানি দিতে না পারে - তা আমরা মনিটরিং করবো।" বাংলাদেশে এবারের নির্বাচন এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন এর আগের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার হচ্ছে অনেক বেশি। এর আগের কোন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি নিয়ে এতটা ভাবতে হয়নি। বিষয়টি এক ধরনের উদ্বেগ যে তৈরি করছে সেটি বোঝা যাচ্ছে। হেলালুদ্দিন আহমদ বলছেন, গুজব বা অপপ্রচার পাওয়া গেলে তারা চলমান আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলছেন, নির্বাচন কমিশন নিজে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নজরদারির একটি সেল তৈরি করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয় আগে থেকেই কাজটি করছিলো। পুলিশের বাহিনীর সবগুলি ইউনিটে সাইবার মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তৈরি করেছে একটি সোশাল মিডিয়া মনিটরিং অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম প্রিভেনশন কমিটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই 'ফেক নিউজ' একটি আলোচিত শব্দবন্ধে পরিণত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ভাষায় ঝুঁকিপূর্ণ কোন পোষ্ট, ফেক আইডি, ভুয়া খবর - এগুলো যাচাই করার ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বড় ভূমিকা পালন করবে। পুলিশের গণমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা এআইজি মোঃ: সোহেল রানা বলছেন, "নির্বাচন কেন্দ্রিক কিছু ট্রেন্ড এবং টেন্ডেন্সি আমাদের আছে, গুজব ছড়ানো এবং গুজব সৃষ্টির।" তারা কিভাবে নির্ধারণ করছেন কোনটি গুজব বা অপপ্রচার? তিনি বলছেন, "আমাদের সেলগুলো নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিং-এর কাজগুলো করে। আমাদের যে সোশাল মিডিয়া মনিটরিং অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম প্রিভেনশন কমিটি আছে তাদের দৃষ্টিতে বিষয়গুলো আনা হয়। আসলেই এগুলো গুজব কিনা কমিটি তা যাচাই বাছাই করে এবং এই সিদ্ধান্ত দেয়। তারপর এটি নিয়ে কাজ করা হয়।" কিন্তু এই প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুমিন ফারহানা। বাংলাদেশে আগের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার হচ্ছে অনেক বেশি বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভুয়া খবর: ফেসবুকে রাজনীতি নিয়ে ছড়িয়ে দেয়া গুজব যেভাবে ফেসবুক বা ইউটিউবে নজরদারি করবে সরকার ডিজিটাল নজরদারির প্রযুক্তি আনছে বাংলাদেশ বিটিআরসির কথা ফেসবুক কি আদৌ শোনে? সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের সকল দেশের জন্য সেটি এখন গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে সর্বশেষ নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের হারের পেছনে এমন কিছু কাজ করেছে কিনা সেটি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। রুমিন ফারহানা মনে করছেন, নজরদারির কারণে তারা সাইবার জগতেও চাপে রয়েছেন। তিনি বলছেন, "নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কথাটি বারবার উঠে আসছে যে সরকার এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করছে, নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। এমনকি আমার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দুবার হ্যাক হয়েছে, স্টপ করে রাখছে সরকার। আমাদের কর্মী ও নেতাদেরও একই কাণ্ড হয়েছে। এরকম একটি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমাদের মনে হচ্ছে যে আমরা সাইবার জগতেও চাপের মধ্যে আছ। আমাদের আইনের মাধ্যমে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।" কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের যেসব ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোর উপরে কোন নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের সরকারি সংস্থাগুলোর নেই। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছেন, "অনেক সময় ফেসবুকে যে প্রোপাগান্ডা হয় সেটা বন্ধ করতে বলে। আসলে বিটিআরসি বন্ধ করতে সক্ষম না। বিটিআরসি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে পারে। অনুরোধ করলে কখনো কখনো তারা কনসিডার করে। তারা কিন্তু তা করতে বাধ্য না।" আরো পড়ুন: প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করা হয় যেভাবে রাঙ্গা জাপা মহাসচিব: কেন সরানো হলো হাওলাদারকে? জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? 'উরু-দেখানো ছবি': মন্দিরে ঢুকতে চাওয়া নারী আটক
বাংলাদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর উপরে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে নির্বাচন কমিশন। তারা বলছেন, দরকার হলে মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দেয়া হবে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ভারতের অফিসকর্মীদের আর বসের ফোন ধরতে হবে না। স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নামটা দেখেই চমকে গিয়ে বলে উঠলেন, "অফিসের ফোন, ধরতেই হবে, আসছি একটু।" কাজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে কিংবা ছুটির মধ্যে অফিসের ফোন না ধরলে বা ইমেইলের উত্তর না দিলে বসের কাছে যে ধমক খেতে হবে, সেই ভয়ে সকলেরই আছে। বেসরকারি সংস্থা বা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সকলেই তটস্থ থাকে - বসের ফোন, মেসেজ বা ইমেইল যাতে মিস না হয়ে যায়। কাজের শেষে বাড়িতে গিয়েও এই টেনশনে ভোগার দিন হয়তো ভারতে শেষ হতে চলেছে। ভারতের পার্লামেন্টে পেশ হওয়া একটি বিল যদি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়, তবে যে কোনও ব্যক্তির অধিকার থাকবে কাজের সময় শেষ হয়ে গেলে ফোন না ধরার। সংসদ সদস্য সুপ্রিয়া সুলের পেশ করা এই বেসরকারি বিলটির নাম 'রাইট টু ডিসকানেক্ট বিল, ২০১৮'। প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে, মালিক কোনও কর্মীকে তার কাজের সময়ের পরে ফোন বা ইমেইল করতেই পারেন, কিন্তু সেই কর্মী ফোন কেটে দিতে পারবেন এবং ইমেইলের উত্তরও না দিতে পারেন। এজন্য কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সুপ্রিয়া সুলে, সংসদ সদস্য। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের অর্থ চুরি:ফিলিপিন্স ব্যাংক কর্মকর্তার জেল সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে সতর্কতা যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াতের বিচারের উদ্যোগ বিশ্বে শুধুমাত্র ফ্রান্সে এই ধরণের আইন রয়েছে। ২০১৭ সালে পাশ হওয়া সেই আইনটিতে কর্মীদের ফোন প্রত্যাখ্যান করার অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। "অফিসের পরে বসের ফোন না ধরলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হয়তো এখনও নেওয়া হয় না কোনও সংস্থাতেই, কিন্তু বসেরা পরের দিন নিশ্চিতভাবেই ধমক দেন। কথা শোনানো হয় যে কাজের সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও অফিসের ফোন না ধরাটা নাকি অপেশাদারি মনোভাব," বলছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ম্যানেজার অনুরাধা রায়চৌধুরী। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যারা কর্মরত রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে নিয়োগপত্রেই এরকম শর্ত থাকে - যে কোনও প্রয়োজনে ফোনে বা ইমেইলে যোগাযোগ করা যাবে। প্রস্তাবিত আইনে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই ক্ষেত্রের জন্যও। বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রগুলিতে ২৪ ঘণ্টার কাজ হয়, সেখানে একজন কর্মী অফিসের পরে ফোন যদি না ধরেন, এবং তার ফলে যাতে কাজ আটকে না যায়, সেটার ব্যবস্থা ওই সংস্থাকেই করতে হবে। ওই প্রস্তাবিত আইনে ফোন না ধরার অধিকারের কথা যেমন বলা হয়েছ, তেমনই কর্মী কল্যাণ পরিষদ গড়ার কথাও লেখা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি, শ্রম এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি হবে এই পরিষদ, যারা নিয়োগকর্তা এবং কর্মীদের মধ্যে নিয়োগের শর্তাবলী কীরকম হবে, সেটার একটা রূপরেখা তৈরি করে দেবে। প্রতিটি সংস্থাকে সেই রূপরেখা অনুযায়ী নিজেদের নীতিমালা তৈরি করতে হবে। ফ্রান্সেও একই ধরনের আইন রয়েছে।
হয়তো বাড়িতে অতিথি এসেছেন, অথবা পরিবারের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেছেন, এমন সময়ে বেজে উঠল মোবাইল।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পাকিস্তানের একটি বন্যার ছবি, যেখানে বন্যায় বাস্তুচ্যুত মানুষজনের বেশিরভাগই নারী জাতিসংঘের গবেষণা বলছে, জলবায়ুর পরিবর্তনে যে মানুষজন বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের আশি শতাংশই নারী। পরিবারের সদস্যদের যত্ন আর খাবারের মতো দায়িত্ব তারা নেয়ায় বন্যা এবং খরায় তারা আরো বেশি সংকটে পড়েন। আরো পড়ুন: চাকরির কোটা শিথিলের প্রজ্ঞাপন: কতটা সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা? বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন এত বাড়লো কীভাবে? এ কারণে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে এই নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকায় লেক চাদের ৯০ শতাংশ শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানকার নারীরা ভয়ানক বিপদে পড়েছে। নারীদের এখন অনেক বেশি কষ্ট করে পানি সংগ্রহ করতে যেতে হয়। লেক চাদ শুকিয়ে যাওয়ায় পানির জন্য সেখানকার নারীদের এখন অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় গবেষণায় জানা যাচ্ছে, এটা শুধুমাত্র প্রান্তিক এলাকার লোকজনের সমস্যাই নয়। সারা বিশ্বেই নারীরা পুরুষদের তুলনায় কম ক্ষমতা ভোগ করছেন এবং বেশি দারিদ্রের মুখোমুখি হচ্ছেন। চাকরি, আশ্রয় বা অবকাঠামোর অভাব দুর্যোগ এই নারীদের আরো বিপদে ঠেলে দেয়। অক্সফামের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৪ সালের সুনামির পর যেখানে তিনজন পুরুষের বিপরীতে একজন নারী রক্ষা পেয়েছেন। কারণ জানা না গেলেও, সারা বিশ্বেই একই ধরণের উদাহরণ দেখা গেছে। ফলে সারা বিশ্বেই জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষেত্রে সরকারি বেসরকারিভাবে নারীদের আরো অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানী ডায়ানা লিভারম্যান বলছেন, ''বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যাতে সব বড় সিদ্ধান্তে তাদের অংশগ্রহণ থাকে।'' ''কারণ জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষমতার কোন লড়াই নয়, এটা টিকে থাকার লড়াই।'' আরো পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে বৈঠকে ট্রাম্পের সম্মতি মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে ফেসবুকে আশ্রয়
জলবায়ু পরিবর্তনে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে সম্প্রতি একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ঢাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। ঢাকায় দু'দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই তালিকা হস্তান্তর করা হয়। মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. জেনারেল চ সোয়ের সাথে বৈঠকের পর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সীমান্তের জিরো-লাইনে যে ৬৫০০-এর মতো রোহিঙ্গা এখনও বাংলাদেশে আসার জন্যে অপেক্ষা করছে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার উপর জোর দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দীর্ঘ সময় বৈঠকের পর সন্ধ্যায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের কাছে রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা হস্তান্তরের প্রশ্নে মি. খান জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নতুন এবং পুরনো মিলিয়ে এপর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় মিয়ানমারকে দেয়া হলো ১৬৭৩টি পরিবারের ৮০৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা। "মিয়ানমার পরিবার এলাকা ভিত্তিক তালিকা চেয়েছিল। আমরা সেভাবেই তালিকাটি তৈরি করে তা হস্তান্তর করেছি। তারা বলেছে, এই তালিকা তারা যাচাই করে রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা করবে।" রোহিঙ্গা গ্রামে হামলা করে ফিরে আসছেন অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারিরা। দেশে ফেরত যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এছাড়া সীমান্তের জিরো-লাইনে মিয়ানমার অংশে এখনও যে ৬৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে, তাদেরও ফেরত নেয়ার কথা বাংলাদেশ বৈঠকে তুলেছে বলে মি. খান জানান। তিনি বলেন, "সীমান্তের জিরো-লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমি তাদের বলেছি, এরাতো আমাদের দেশে প্রবেশ করেনি। তোমাদের দেশেই আছে। সেটা তারা স্বীকার করেছেন এবং এদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছেন। মি. খান আরও এলন, জিরো-লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে ২০শে ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের একটি জেলায় দুই দেশের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই বৈঠকে জিরো-লাইনের ৬৫০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া ঠিক করা হবে। মিয়ানমারে নির্যাতন এবং সহিংসতার প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫শে অগাস্ট থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে যে আশ্রয় নেয়। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করছে। আরও দেখুন: এরশাদ যেভাবে রাজনীতিতে টিকে গেলেন পুরুষ সেজে দুটো বিয়ে করে ভারতে গ্রেপ্তার নারী জলের তলে অবাক জীবন সংখ্যায় কম হলেও এখনও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। কিন্তু এখনও সংখ্যায় কম হলেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বন্ধ হয়নি। এই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গাদের আসা বন্ধ করার ব্যাপারে মিয়ানমার আশ্বাস দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করাসহ মৌলিক অধিকারগুলোর ব্যাপারে মিয়ানমার কতটা পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মি. খান বলেছেন, গত অক্টোবরে তিনি যখন মিয়ানমারে গিয়েছিলেন, তখন কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দুই দেশ দশটি পয়েন্টে একমত হয়েছিল। সে অনুযায়ীই এখন আলোচনা এগিয়ে নেয়া হয়েছে বলে মি. খান উল্লেখ করেন। "তারা তিনটি ধাপে প্রক্রিয়া চালানোর কথা বলেছে। প্রথমে তাদের যাওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করা, দ্বিতীয় তাদের থাকার ব্যবস্থা এবং তৃতীয় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করার পরিবেশ সৃষ্টি করা, এসব তারা ধাপে ধাপে করছে।আমাদের যেটা নিশ্চিত করেছে।" রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দু:সাধ্য পরিক্রমা। মিয়ানমার আলোচনা অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ কতটুকু নিচ্ছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে তাদের ইচ্ছাই বা কতটা আছে, এসব প্রশ্নও রয়েছে। আসাদুজ্জামান খানের বক্তব্য হচ্ছে, এখন মিয়ানমারের সাথে আলোচনার ওপর তারা বিশ্বাস রাখতে চান। "আজকের বৈঠকেও তারা যেভাবে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। যেভাবে তারা আমাদের সাথে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন। যদি এগুলো পর্যালোচনা করেন, তাহলে আস্থা তৈরি হচ্ছে যে হয়তো তারা নিয়ে যাবে।" দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠকের পর সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের পাশ দিয়েই মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চ শোয়ে চলে যান। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্নও করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোন কথা বলেননি।
বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্যে ৮০০০ রোহিঙ্গার একটি তালিকা বার্মার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কিভাবে এত বড় সুনামির ঢেউ সৃষ্টি হলো - তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা ভূ-প্রাকৃতিকভাবে ইন্দোনেশিয়া এমন একটি দেশ যেখানে ভুমিকম্প প্রায় প্রতিদিনই হয়, কিন্তু পালুতে ভুমিকম্প থেকে এত বড় ঢেউ সৃষ্টি হলো কেন - তা স্থানীয় লোকদের তো বটেই এমনকি বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে। এই সুনামির আঘাতে পালু শহরের ১৩০০-র বেশি লোক নিহত হয়েছে এখন পর্যন্ত। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭.৫ মাত্রার যে ভুমিকম্পটি হয়েছে তা থেকে এমন ভয়ংকর সুনামি হবে - তা অনেকেই ভাবতে পারেন নি। এর পেছনে কাজ করেছে পালুর ভৌগলিক অবস্থান, সময়, আর দুর্বল পূর্ব- সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। একটা নির্দিষ্ট মাত্রার ভুমিকম্প হলে কি হতে পারে, কতটা ক্ষতি হতে পারে - তা নানা রকমভাবে অনুমান করা যায়। পালুর ক্ষেত্রে যা হয়েছে - বিজ্ঞানীরা বলছেন, সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে ঠিক সেটাই হয়েছে। কি ঘটছিল সেদিন? বিজ্ঞানীরা এখন পুরো দিনের ঘটনার একটা চিত্র তুলে ধরছেন। ১৯ ফুট উঁচু ঢেউ এগিয়ে আসছে পালুর উপকুলের দিকে, মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিও শুক্রবার পুরো দিন ধরেই ছোট ছোট ভুমিকম্প হচ্ছিল। কিন্তু সন্ধ্যের দিকে হঠাৎ একটা গুরুতর ঘটনা ঘটে। মাটির ৬ মাইল নিচে ভূ-স্তরের যে টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থল - যাকে বলে পালু-কোরু ফল্ট - আকস্মিকভাবে পিছলে যায়। এই জায়গাটা পালু উপকুলের অল্প দূরেই। ভূস্তরের এই বিশেষ ফাটলটি নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে গবেষণা করছেন বান্দুং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির হামজা লতিফ। তিনি বলছিলেন, পারু শহরটি গড়ে উঠেছে পলিমাটির পুরু স্তরের ওপর। আর ভূমিকম্পের আঘাতে পাথুরে মাটি যতটা নড়ে, তার চাইতে পলিমাটি নড়াচড়া করে অনেক বেশি। তাই এর ওপর তৈরি করা খুব কম ইমারতই সেই আলোড়ন সহ্য করতে পারে। এত বড় ঢেউ আসবে কেউ ভাবে নি যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ হায়দারজাদেহ বলছিলেন, "আমার হিসেবে পালুতে সমুদ্রের তলদেশে বিকৃতি (ডিফরমেশন) ঘটেছে ৪৯ সেন্টিমিটার।এতে সুনামির ঢেউ এক মিটারেরও কম উঁচু হবার কথা। ৬ মিটার হবার কথা নয়। কাজেই অন্য কিছু একটা ঘটেছে।" সরু উপসাগরের এক প্রান্তে শহর পালু বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:সুনামির পর লাশের গন্ধে ভারী পালুর বাতাস সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ফিলিপ লিউ লি-ফ্যান বলছিলেন, "পালু-কোরু ফল্ট লাইন নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাবতাম না -কারণ এখানে টেকটোনিক প্লেট দুটো নড়াচড়া করে ডাইনে-বাঁয়ে, ওপরে-নিচে নয় - তাই বিপজ্জনক ঢেউ সৃষ্টি হবার ঝুঁকি কম।" কিন্তু এবার ঠিক তাই হয়েছে। কেন হলো? "আমরা বের করার চেষ্টা করছি কি ঘটেছে। হতে পারে যে ভূমিকম্পের ফলে হয়তো সাগরের তলদেশে একটা ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছিল, অথবা ফল্ট-লাইনটাও অন্যরকম আচরণ করে থাকতে পারে - আমরা এখনো জানি না" - বলছিলেন অধ্যাপক লি-ফ্যান। করার কিছুই ছিল না সুনামি যখন সৃষ্টি হলো - তখন সরু একটা ১০ কিলোমিটার লম্বা উপসাগরের এক মাথায় গড়ে ওঠা পালু শহরের বাঁচার কোন সুযোগ ছিল না। সুনামির আঘাতে পালু শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে পালুতে আঘাত হানলো তিন-তিনটি ঢেউ। যেহেতু উপসাগরটা সরু, তার ওপর ঘোড়ার খুরের আকৃতির - তাই ঢেউগুলো ক্রমাগত বড় হচ্ছিল, আর দু পাশের তীরে আঘাত হানতে হানতে এগুচ্ছিল। মি লতিফ বলছিলেন, পালুতে আগেও সুনামি হয়েছে। ১৯২৭ সালে একটা সুনামি হয় যখন উপসাগরের মুখে ঢেউটা ছিল ৩ থেকে ৪ মিটার উঁচু। কিন্তু পালুর উপকুলে পৌঁছানোর সময় তা বেড়ে ৮ মিটার অর্থাৎ প্রায় ২৫ ফিট উঁচু হয়ে যায়। ভুমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে পারু খুব বেশি দূরে নয় সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা কাজ করে নি ২০০৪ সালে সুনামিতে মারা গিয়েছিলেন আড়াই লক্ষ লোক। এর পর পুরো অঞ্চল জুড়ে সুনামির আগাম সতর্কতার জন্য বহু সেন্সর বসানো হয়। কিন্তু প্রফেসর লিউ বলছেন, এ ব্যবস্থা কাজ করে নি। আসলে ২০১২ সাল থেকেই অনেকগুলো সেন্সর নষ্ট হয়ে পড়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার পালুতে আঘাত হানা সুনামির ঢেউ ছিল ৬ মিটার বা প্রায় সাড়ে ১৯ ফুট উঁচু।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
চিনিযুক্ত পানীয়র ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে এক লাখেরও বেশি মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা পেয়েছেন। গবেষণার ফলাফল ব্রিটিশ মেডিকেল জর্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্যারিসে সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মনে করছেন, রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া-ই ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণায় এরকম কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি যার ভিত্তিতে এটাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। একারণে বিশেষজ্ঞরা আরো গবেষণার উপর জোর দিয়েছেন। চিনিযুক্ত পানীয় কোনগুলো? যেসব পানীয়তে ৫% এর বেশি চিনি আছে গবেষকরা সেগুলোকে চিনিযুক্ত পানীয় বলে বিবেচনা করেছেন। এসবের মধ্যে আছে ফলের রস (এমনকি বাড়তি চিনি না মেশানোর পরেও), সফট ড্রিঙ্ক, মিষ্টি মিল্কশেক, এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং চিনি দেওয়া চা ও কফি। গবেষকরা বাজারে জিরো-ক্যালোরি বলে যেসব পানীয় বিক্রি হয় সেসব ডায়েট ড্রিঙ্ক নিয়েও পরীক্ষা চালিয়েছেন এবং দেখেছেন এগুলোর সাথে ক্যান্সারের কোন সম্পর্ক নেই। এসব পানীয়তে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার মেশানো হয়। ফলের রস (বাড়তি চিনি না মেশালেও) সেটা চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই ধরা হয়েছে। কতোখানি ঝুঁকি? গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে যদি ১০০ মিলি লিটার চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া হয়, যা সপ্তাহে দুই ক্যান পানীয়র সমান, তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১৮% বেড়ে যায়। এরকম প্রতি ১,০০০ জনে ২২ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। "এ থেকে ধারণা করা যায় যে চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার সাথে ক্যান্সারের একটি সম্পর্ক আছে। তবে এবিষয়ে আরো বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে," বলেছেন ড. গ্রাহাম হুইলার, যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী। এই গবেষণার সময় মোট ২,১৯৩ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৬৯৩ জন স্তন ক্যান্সার, ২৯১ জন প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং ১৬৬ জন মলনালী সংক্রান্ত বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই প্রমাণই কি যথেষ্ট? না। যেভাবে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে তা থেকে এর একটি ধরন বা প্যাটার্ন চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু এসব পরিসংখ্যান থেকে এর কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি পান করার কারণে যে ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া গেছে গবেষণায় সেটি দেখা যায় নি। তাতে বলা হয়নি যারা বেশি পান করেছে (দিনে প্রায় ১৮৫ মিলিলিটার) তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যারা কম পান করেছে (দিনে ৩০মিলিলিটারেরও কম) তাদের তুলনায় বেশি। তবে যারা চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খান তাদের মধ্যে আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে যেসব থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সফট ড্রিঙ্কে প্রচুর চিনি থাকে। আরো পড়তে পারেন: ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী? ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর গবেষকদের ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় ফলে এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট করে বলা যায় না যে চিনিযুক্ত পানীয় ক্যান্সারের কারণ। "গবেষণাটি যদিও ক্যান্সার ও চিনিযুক্ত পানীয়র মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দেয়নি, তারপরেও চিনি খাওয়া যে কমিয়ে দেওয়া দরকার, এই গবেষণায় সেই গুরুত্ব উঠে এসেছে," বলেন ড. অ্যামেলিয়া লেক, টেসাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি আরো বলেন, "আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া খুবই জরুরি।" তাহলে কি স্থূলতা? কোন কোন ক্যান্সারের জন্যে প্রধান কারণ স্থূলতা বা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া। এবং খুব বেশি পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে গবেষণায় যা বলা হয়েছে এখানেই তার শেষ নয়। "অতিরিক্ত পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় এবং ওজন বেড়ে যায় - এটা একটা অংশ মাত্র। কিন্তু এর যে আরো বিষয় আছে সেটা ব্যাখ্যা করা হয়নি," বলেন মাটিলডে তোভির, একজন গবেষক। ফরাসী গবেষকরা বলছেন, রক্তে চিনির মাত্রা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। চা কফিতে চিনি খেলে সেটাও চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই বিবেচিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পানীয়তে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো হয়, রঙিন করে তোলার জন্যে, সেগুলোও শরীরের জন্যে ক্ষতিকর, সেগুলোও ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণাতে এই প্রশ্নেরও জবাব নেই। প্যারিসের গবেষকরাও বলছেন, তাদের ফলাফলকে নিশ্চিত ভাবে ধরে নিতে হলে আরো বিস্তৃত পরিসরে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তারা বলছেন, চিনিযুক্ত পানীয়র সাথে হৃদরোগ, ওজন বেড়ে যাওয়া, স্থূলতা, ডায়াবেটিস- এসবের সম্পর্ক আছে। এজন্যে তারা চিনিযুক্ত পানীয়র ওপর আরো কর বাড়ানোর কথাও বলেছেন। তারা বলছেন, এর ফলে লোকেরা চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত যাবজ্জীবন কারাবাস শুরু করছেন ভারতের 'দোসা কিং'
ফরাসী বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফলের রস ও ফিজি ড্রিঙ্কের মতো চিনিযুক্ত পানীয় খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
অ্যামাজনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ অ্যামাজনকে ভারত থেকে পাততাড়ি গোটাতে হবে বলে এই খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি, যাদের শাসক দল বিজেপির বড় সমর্থক-গোষ্ঠী বলে ধরা হয়। ওদিকে মি. বেজোস কিন্তু ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে অ্যামাজন অন্তত ১০০০ কোটি ডলার মূল্যের ভারতে তৈরি পণ্য রফতানি করবে - যে 'মেক অব ইন্ডিয়া' নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক বিরাট কর্মসূচী। ফলে একদিকে দেশি ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা আর পাশাপাশি বিদেশি লগ্নি আকৃষ্ট করার চেষ্টা ভারতকে এক ধরনের উভয় সঙ্কটে ফেলেছে, যা অ্যামাজন-বিতর্ককে কেন্দ্র করে সামনে চলে এসেছে। ভারত সফরে আসা জেফ বেজোস ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের ব্যবসাগুলোর এক সম্মেলন, 'সম্ভব সামিটে' যোগ দিতে তিনদিন আগেই ভারতে পা রাখেন অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোস। কিন্তু তখন থেকেই দেশের সাড়ে তিনশোরও বেশি শহরে তার বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন ভারতের অসংখ্য দোকানদার ও ব্যবসায়ী, স্লোগান উঠছে 'গো ব্যাক অ্যামাজন', 'গো ব্যাক বেজোস'। ভারতে কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের মহাসচিব প্রভীন খান্ডেলওয়াল বলছিলেন, "প্রতিযোগীদের বাজার থেকে বের করে দিতে অ্যামাজন যেভাবে জিনিসের দাম কম রাখছে বা ডিসকাউন্ট দিচ্ছে তাতে আমরা দেশব্যাপী এই প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছি।" "বিদেশি লগ্নির সব শর্ত তারা আদৌ মানছে না, ফলে আমরা সরকারকে বলব তাদের পোর্টাল অবিলম্বে ব্লক করে দিতে এবং তাদের ব্যবসায়িক মডেল তদন্ত করে দেখতে।" ভারতে ব্যবসায়ীরা অনেকেই স্লোগান দিচ্ছেন 'বেজোস নিপাত যাও' আর এক ব্যবসায়ী নেত্রী রিমা মালহোত্রা বিবিসিকে বলছিলেন, "দেশব্যাপী এই বিক্ষোভের মাধ্যমে আমরা জেফ বেজোসকে একটা কথাই বলতে চাই, ব্যবসার নিয়ম না-মানলে তোমাকে আমরা ভারতে টিঁকতে দেব না!" ভুবনেশ্বরের ব্যবসায়ী প্রণব মহাপাত্র তো এক ধাপ এগিয়ে অ্যামাজনকে তুলনা করছেন ব্রিটিশদের 'ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি'র সঙ্গেও। তার কথায়, "ই-কমার্সের নামে এরা এসেছেই স্থানীয় ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিতে"। ভারতে শাসক দল বিজেপির সমর্থনের বড় ভিত্তি এই ব্যবসায়ীরা, তাদের স্বার্থ বজায় রাখতে সরকার নানা পদক্ষেপও নিয়েছে। ভারতে ই-কমার্সের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে অ্যামাজন কিন্তু মুশকিল হল, অ্যামাজন-ওয়ালমার্টের মতো সংস্থাগুলোর কাছ থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আবার বড় বিদেশি বিনিয়োগও দরকার। ভারতের নামী পলিসি কনসালট্যান্ট প্রশান্ত কুমার রায় বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এই ব্যাপারটা অবশ্যই বিভ্রান্তিকর ও পরস্পরবিরোধী। একদিকে সরকার দীর্ঘদিন ধরে চাইছে বড় বিদেশি বিনিয়োগ আসুক - আর ওয়ালমার্ট, অ্যামাজনের মতো বড় কোম্পানিগুলি শত শত কোটি ডলারের লগ্নি আনছেও।" "কিন্তু অন্য দিকে এই বিনিয়োগ আসার জন্য প্রধান যে সহায়তা দরকার, সেটা হল বলিষ্ঠ একটা পলিসি ও পলিসি-র স্টেবিলিটি (নীতি ও নীতির স্থিতিশীলতা)।" "অথচ আমরা দেখছি এদেশে ই-কমার্স পলিসি খুব ঘন ঘন আর আচমকাই বদলে যাচ্ছে, বেশ কয়েকবার এ জিনিস ঘটেছে। হয়তো ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বা নানা রাজনৈতিক কারণেই সেগুলো করা হচ্ছে।" অ্যামাজন হুমকিতে ফেলেছে এই ধরনের 'কিরানা শপ' বা পাড়ার ছোট দোকানগুলোকে "কিন্তু সেটা বড় বিনিয়োগকারীদের খুব বিপজ্জনক ও হতাশাব্যঞ্জক বার্তা দিচ্ছে", বলছিলেন প্রশান্ত কুমার রায়। এদিকে জেফ বেজোস নিজে ইতিমধ্যেই ভারতে এসে ঘোষণা করেছেন, আগামী পাঁচ বছরে এদেশের ছোট ও মাঝারি ব্যবসাগুলোকে ডিজিটাল চেহারা দিতে অ্যামাজন ১০০ কোটি ডলার লগ্নি করবে। তিনি আরও বলেছেন, "একুশ শতক হবে ভারতের শতক"। ভারতের অর্থনীতির বেহাল দশায় অ্যামাজন সিইও-র এই ঘোষণা মোদী সরকারকে খুশি করেছে অবশ্যই, কিন্তু পাশাপাশি কীভাবে তারা দেশের খুচরো ব্যবসায়ীদের শান্ত রাখবে সেটাও বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় ক্রেতাদের কেনাকাটার অভ্যাসও অনেক বদলে দিয়েছে অ্যামাজন প্রশান্ত কুমার রায় কিন্তু মনে করেন, ভারতে অ্যামাজন ও ছোট ব্যবসাদারদের পাশাপাশিই টেঁকা সম্ভব - আর তাতে উভয়েরই লাভ। মি রায় বলছিলেন, "দেখুন, ই-কমার্স কিন্তু ভারতে মোট ব্যবসার মাত্র ২ শতাংশ বা তার কাছাকাছি। ফলে ই-কমার্সের জন্য দেশে আর সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিষয়টা কিন্তু মোটেও সেরকম নয়।" "আর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ব্যবসাটা যারা করছে, তারাও তো বেশির ভাগই সব ছোট ব্যবসায়ী। হ্যাঁ, বড়ও কিছু আছে - কিন্তু সেখানে ৯৯ শতাংশেরও বেশি বিক্রেতা কিন্তু ছোট ট্রেডার্স।" "পাশাপাশি ব্রিক অ্যান্ট মর্টার, অর্থাৎ ইঁট-কাঠের দোকানও তো আর উঠে যায়নি - তারাও ব্যবসা করছে।" ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার ডিজিটাইজেশনে ১০০ কোটি ডলার লগ্নি করবেন জেফ বেজোস "ফলে এই দুটো নিয়েই - একদিকে প্রোটেকশনিজম আর অন্য দিকে ইনভেস্টমেন্টের মধ্যে একটা 'মিডল গ্রাউন্ড' বা মাঝামাঝি রাস্তা অবশ্যই বের করা সম্ভব।" "এটাও মনে রাখতে হবে, এই ছোট ব্যবসায়ী বা ধরা যাক হস্তশিল্পীরা তো আগে নিজেদের পণ্য বাইরে বেচতেই পারত না। এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো তাদেরও জিনিস দেশে-বিদেশে বেচার সুযোগ করে দিচ্ছে", বলছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপি সরকার তাদের সমর্থক ব্যবসায়ী সমিতিগুলোকে এখনও এই যুক্তি বুঝিয়ে উঠতে পারেনি। আর সেটা যতক্ষণ না হচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতে অ্যামাজনের বিপুল লগ্নির বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।
গ্লোবাল কর্পোরেট জায়ান্ট অ্যামাজনের সিইও ও ধনকুবের জেফ বেজোস এই মুহুর্তে রয়েছেন ভারত সফরে - কিন্তু দেশ জুড়ে বিভিন্ন শহরে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কিম জং আন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের মধ্যে সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা এ মাসের ১২ তারিখ। পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য নোবেল বিজয়ী বেসরকারি সংস্থা আইসিএএন প্রস্তাব দিয়েছে - বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার যে খরচ হবে তা তারা দিয়ে দেবে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের হোটেলের বিলও শোধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আইসিএএন। সিঙ্গাপুরে কিম জং আন এবং তার প্রতিনিধিদলের খরচ বহন করা উত্তর কোরিয়ার জন্য কষ্টকর হতে পারে, সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর বেরুনোর পর সাহায্যের এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইসিএএনের কর্মকর্তা আকিরা কাওয়াসাকি বার্তা সংস্থা রয়টরসকে বলেছেন, "নোবেল পুরস্কারের সাথে কিছু নগদ অর্থ আমরা পেয়েছিলাম, তা দিয়ে এই শীর্ষ বৈঠকের খরচ বহন করতে প্রস্তুত। কোরীয় উপদ্বীপের শান্তির জন্য, পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের জন্য এই আমরা এটা করতে চাই।" ফুলারটন হোটেল, সিঙ্গাপুর। কিম জং আন এখানে থাকবেন বলে জানা গেছে। আরও পড়ুন: কোন বাহনে চড়ে বেড়াতে যান উত্তর কোরিয়ার কিম? পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন কিম শীর্ষ বৈঠকের আয়োজনের জন্য উত্তর কোরিয়া সরকারের স্টাফ প্রধান কিম চ্যাং সন সম্প্রতি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তাকে সে সময় সিঙ্গাপুরের পাঁচ তারকা হোটেল ফুলারটনে দেখা গেছে। বিলাসবহুল ফুলারটন হোটেলে প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটের ভাড়া প্রতি রাতে ৬,০০০ মার্কিন ডলার। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা লিখেছে - উত্তর কোরিয়া তার নেতা এবং প্রতিনিধিদলের সিনিয়র সদস্যদের জন্য এই হোটেলকে পছন্দ করছে। কিম জং আনের সাথে থাকবেন তার উপদেষ্টারা, ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং নিরাপত্তা কর্মীরা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সিঙ্গাপুরে শীর্ষ বৈঠকের সময় কিম জং আনের হোটেল বিল দেওয়া উত্তর কোরিয়ার জন্য কঠিন হতে পারে, এমন খবরের পর সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী একটি সংস্থা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
জনতা কারফিউ-র দিনে তালি বাজাচ্ছেন বচ্চন পরিবারের সদস্যরা আজ (রবিবার) দুপুরে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার মেয়ে আরাধ্যার সোয়াব টেস্টের ফলাফলে তাদের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানা গেছে। ভারতের 'টাইমস নাও' নিউজ চ্যানেল জানাচ্ছে, ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যা কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলেও অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চন অবশ্য করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হননি – তার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এদিন সকালে মুম্বাই পুর কর্তৃপক্ষের তরফে শহরে বচ্চন পরিবারের বাসভবন 'জলসা'-কে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি সিল করে স্যানিটাইজ করছেন পুরকর্মীরা ঘটনাচক্রে এর কয়েক ঘন্টা আগে শনিবার রাতে বলিউডের আর এক লেজেন্ড, অভিনেত্রী রেখার বাসভবনের এক নিরাপত্তারক্ষীও করোনা পাজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর বৃহন্মুম্বই মেট্রোপলিটান কর্পোরেশন (বিএমসি)-র পক্ষ থেকে রেখার বাসভবনের একাংশও সিল করে দেওয়া হয়। অমিতাভ ও রেখা দুজনেই বলিউডে প্রায় সমসাময়িক, তাদের জুটিকেও মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির 'ফোকলোর' বা লোকগাথার অংশ বলে ধরা হয়। রেখা নিজেরও করোনা টেস্ট করাচ্ছেন বলে বিএমসি-কে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক – দুজনকেই মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার রাতে নিজেই টুইট করে অভিষেক অবশ্য জানিয়েছেন, "আমার ও বাবার এদিন কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে।" করোনা টেস্ট করাচ্ছেন অভিনেত্রী রেখা-ও "দুজনেই আমরা হাসপাতালে ভর্তি আছি, তবে আমাদের উপসর্গ মৃদু-ই!" সাতাত্তর-বছর বয়সী অমিতাভ বচ্চনকে নানাবতী হাসপাতালের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেই একটি ভিডিও পোস্ট করে অমিতাভ বচ্চন হাসপাতালের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এদিকে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার মেয়ে আরাধ্যাকে অবশ্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে না – তারা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থেকে কোভিডের চিকিৎসা নেবেন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক বচ্চন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তার পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও নাতনি আরাধ্যাও করোনা আক্রান্ত হিসেবে নিশ্চিত হয়েছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ভ্যাটিকানে পোপের সঙ্গে সাক্ষাতকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জি-৭ সম্মেলন পরবর্তী সফরের অংশ হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সোমবার ভ্যাটিকান সফরে যান এবং পোপের সঙ্গে দেখা করেন। ১৮৮০ সালের দিকে কানাডার আদিবাসীদের প্রায় দেড় লাখ শিশুকে সরকার পরিচালিত আবাসিক স্কুলে নিয়ে আসা হয়েছিল। কানাডার মূল সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য সেসব শিশুদের নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভাষা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল। এক শতাব্দিরও বেশি সময় কানাডা সরকার স্কুলগুলোতে অর্থায়ন করলেও এগুলো পরিচালনা করতো ক্যাথলিক গির্জা। সবশেষ স্কুলটি ১৯৯৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এসব স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীই শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে কানাডার 'ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলেশন কমিশন'এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিবাসী শিশুদের তাদের বাবা-মা ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে সাংস্কৃতিক গণহত্যা চালানো হয়েছিল। সেই কমিশন পোপের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দাবিসহ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছিল। সোমবার পোপের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, 'আদিবাসীদের প্রকৃত সমন্বয়ের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকদের সামনে এগিয়ে যাওয়াটা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আমি পোপকে সে বিষয়ে বলেছি। ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে তিনি কিভাবে সহযোগিতা করতে পারবেন সে বিষয়েও আমি আলাপ করেছি"। পোপ ফ্রান্সিসকে আদিবাসীদের কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য কানাডায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। যদিও কানাডায় পোপের সফর ও ট্রুডোর অনুরোধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভ্যাটিকান থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে এটি নিশ্চিত যে পোপ ফ্রান্সিস ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যেকার ৩৬ মিনিট দীর্ঘ এই বৈঠকে দুজনেই ছিলেন বেশ 'আন্তরিক'। আরো পড়ুন: ‘আমরাতো নি:স্ব হয়ে গেলাম, ঘরবাড়ি সব গেল’ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়টি হঠাৎ নৌকায় উঠে জেলেকে জাপটে ধরলো হাঙ্গর ‘নোংরা যুদ্ধে’র শর্ত মেনেই কাশ্মীরে লড়বে ভারত
কানাডায় ক্যাথলিক চার্চ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আদিবাসী শিশুদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছিল তার জন্য পোপ ফ্রান্সিসকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গত বছর আগস্টে গ্যালাক্সি নোট সেভেন লঞ্চ হওয়ার পরপরই তাতে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কটি ঘটনা ঘটে। এক বিবৃতিতে কোম্পানি বলছে, ফোনের সফটওয়ার বা হার্ডওয়ার কোনটিই নয় বরং ব্যাটারি গরম হয়ে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যাচ্ছিলো। ব্যাটারির ডিজাইন এবং নির্মাণেই মূল সমস্যা ছিলো। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়ে এই ভুলের দায় স্বীকার করে বলছে ব্যাটারি নির্মাতার বিরুদ্ধে তারা কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না। এই ফোনের ব্যাটারি নির্মাতা স্যামসাং-এর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি স্যামসাং এসডিআই এবং চীনা নির্মাতা এমপেরেক্স টেকনোলজি। গত বছর আগস্টের শেষের দিকে স্যামসাং-এর স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট সেভেন বাজারে আসার পর বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল কাস্টমারদের কাছে। বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করা হয়েছিলো। বলা হচ্ছিলো এটি বাজারের সেরা এন্ড্রয়েড ফোন এবং আই-ফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু বাজারে ছাড়ার পরপরই এই ফোনে আগুন ধরে যাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন পকেটে থাকা অবস্থায় আগুন লাগার ঘটনা স্বভাবতই বেশ উদ্বিগ্ন করে তোলে ব্যবহারকারীদের। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর কোম্পানিটি এর বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দেয় এবং বিশ্ব বাজার থেকে ২৫ লাখ ফোন প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে ৫০০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানির। ফোনটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর মার্কিন অ্যাভিয়েশন অথরিটি এবং বেশ কয়েকটি বিমান কোম্পানি এই মডেলের সেট নিয়ে বিমানে ওঠা নিষিদ্ধ করে দেয়। তবে কিছু ক্রেতা এখনো এটি ব্যবহার করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আরো পড়ুন:অন্যের হয়ে কারাভোগ, প্রতারণার মামলা
বিশ্বের সবচাইতে বড় স্মার্টফোন কোম্পানি স্যামসাং এক তদন্তের পর সোমবার স্বীকার করেছে যে ত্রুটিপূর্ণ ব্যাটারির কারণেই গ্যালাক্সি নোট সেভেন মডেলের ফোনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
চেরাভাল্লির মসজিদে যখন হিন্দু রীতিতে বিয়ে হচ্ছে মসজিদ প্রাঙ্গণেই সম্পূর্ণ হিন্দু রীতি-রেওয়াজ মেনে রবিবার ওই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এবং জামাত কমিটি নবদম্পতিকে উপহারেও ভরিয়ে দিয়েছেন। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিন্নারাই বিজয়নও সোশ্যাল মিডিয়াতে এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে ওই শহরের লোকজনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কেরালাই ভারতের প্রথম রাজ্য যারা সে দেশের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেছে এবং তারা বলছে এই আইন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী। কেরালার আলাপুজা জেলার একটি ছোট জনপদ চেরাভাল্লি - যেখানে বাকি রাজ্যের মতোই হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের সহাবস্থান শত শত বছর ধরে। দক্ষিণ ভারতের কেরালায় একটি মসজিদ (ফাইল ছবি) গতকাল (রবিবার) সেই চেরাভাল্লির স্থানীয় মসজিদের ভেতরেই একজন হিন্দু পুরোহিত সম্পূর্ণ শাস্ত্রীয় রীতি-নীতি মেনে বিয়ে দিলেন শরত শশী আর অঞ্জু অশোকের - আর চেরাভাল্লির শত শত মানুষ ভিড় করে এসেছিলেন সেই উৎসবে সামিল হতে। শুধু অনুষ্ঠানের আয়োজন করাই নয়, বিয়েতে প্রায় হাজারখানেক অতিথিকে খাইয়েওছে স্থানীয় মুসলিম জামাত কমিটি - স্থানীয় মালয়লাম ভাষায় যাকে বলে 'সাদিয়া' পরিবেশন করা। চেরাভাল্লির মেয়ে, নববধূ অঞ্জুকে তারা দশ তোলা স্বর্ণও উপহার দিয়েছেন, নগদ অর্থও দিয়েছেন দুলক্ষ রুপি। অথচ এভাবে মেয়ের এত জাঁকজমক করে বিয়ে হবে, কখনও তা ভাবতেই পারেননি অঞ্জুর মা বিন্দু অশোক। তিনি বলছিলেন, "অনেক আগেই আমি স্বামীকে হারিয়েছি - তারপর খুব কষ্ট করে তিন ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছি।" "কিন্তু অঞ্জুর বিয়ে দিতে গিয়ে যখন দেখলাম হাতে একটা পয়সাও নেই, তখনই আমি শরণাপন্ন হয়েছিলাম মুসলিম জামাত কমিটির। ওরাই আমাদের সব স্বপ্ন পূর্ণ করে দিয়েছেন।" কিন্তু হিন্দু রীতিতে বিয়েটাও যে মসজিদের ভেতরেই হবে, সে সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হল? চেরাভাল্লি মুসলিম জামাত কমিটির সম্পাদক নুজুমুদিন আলুম্মুট্টিল জানাচ্ছেন, "বিয়েটা যাতে ঠিকঠাক করিয়ে দেওয়া যায়, সেই আবেদন নিয়ে অঞ্জুর মা আমার বাড়িতে এসেছিলেন।" "তার চিঠিটা নিয়ে আমি জামাত কমিটির সামনে পেশ করি।" "কমিটিই তখন সিদ্ধান্ত নেয়, সব দায়িত্ব নিয়ে বিয়েটা আমরা শুধু উতরেই দেব না - হলের ভাড়া বাঁচাতে আমরা বিয়েটাও করাব মসজিদ চত্বরেই।" ভারতের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কেরালার কোচিতে প্রতিবাদ সমাবেশ। ১লা জানুয়ারি, ২০২০ এই অসাধারণ বিয়ে নিয়ে চেরাভাল্লির সাধারণ মানুষরাই শুধু নন, উচ্ছ্বসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। ফেসবুক ও টুইটারে সেই বিয়ের ছবি পোস্ট করে কেরালার বামপন্থী সরকারের প্রধান, পিন্নারাই বিজয়ন লিখেছেন, এই ঘটনা 'কেরালার সামাজিক ঐক্যের এক দৃষ্টান্ত'। টুইটে তিনি নবদম্পতি ও তাদের পরিবার, মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও চেরাভাল্লির বাসিন্দাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন। চেরাভাল্লির মসজিদে গতকাল যেমন রোজকার মতোই আজান দেওয়া হয়েছে, তেমনি শাস্ত্রীয় মন্ত্রোচ্চারণে হিন্দু বিবাহও সম্পাদিত হয়েছে। কেরালা সরকার যখন ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনকে 'সাম্প্রদায়িক' বলে দাবি করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তখন এই ঘটনাটিকে তারা রাজ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন হিসেবেই তুলে ধরতে চাইছে।
দক্ষিণ ভারতের কেরালায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক বিরল নজির স্থাপন করে একটি মুসলিম জামাত কমিটি স্থানীয় মসজিদের ভেতরেই গরিব একটি হিন্দু মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ব্রাজিলের মন্ত্রণালয় বলছে, এ পরামর্শ দিয়ে তারা কৌমার্য উৎসাহিত করতে চাইছে না এই পরামর্শ ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ব্রাজিলে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সমিতি এর তীব্র সমালোচনা করেছে। এই নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন ব্রাজিলের নারী, পরিবার ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী দামারেস আলভেস। তাকে আবার সমর্থন দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বোলসেনারো। এরা দু'জনেই ইভাঞ্জেলিক্যাল খ্রিষ্টান এবং অভিযোগ উঠেছে যে তারা ব্রাজিলের জনগণের ওপর ধর্মীয় এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন। মিজ আলভেস গত বছর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "আমরা একটা খুব জোর প্রয়াস দেখতে পাচ্ছি এটা তুলে ধরতে - যেন যৌনমিলন শুধুই আনন্দের জন্য।" তিনি তাতে যুক্তি দেন - টিনএজ মেয়েদের গর্ভবতী হয়ে পড়া ঠেকাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় কনডম নয়, আইইউডি নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও নয়। সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো যৌনমিলন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।" ব্রাজিলে অবশ্য ২০০০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে টিনএজ মেয়েদের গর্ভবতী হয়ে পড়ার হার ৩৬ শতাংশ কমেছে, কিন্তু তবুও ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় তা এখনো অনেক উঁচু। আরো পড়তে পারেন: বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ 'যৌন আকর্ষণ কী জিনিস সেটা আমি জানিনা' বেঁটে পুরুষদের কী যৌনসঙ্গী পেতে সমস্যা হয়? দামারেস আলভেস জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ১৫ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের মধ্যে পৃথিবীতে প্রতি ১ লক্ষ জনের মধ্যে গড়ে ৪৪ জন গর্ভবতী হয়ে থাকে। ব্রাজিলে এই হার ৬২। টিনএজ প্রেগনেন্সির হার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায়। বিয়ের আগে সেক্স না করার পক্ষে ব্রাজিলের সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এর লক্ষ্য হলো অল্পবয়েসে গর্ভবতী হওয়া এবং যৌন সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে ছড়ায় এমন রোগের বিস্তার ঠেকানো । এ প্রচারণার শিরোনাম হচ্ছে 'সবকিছুই হোক উপযুক্ত সময়ে।' সরকার বলছে, তারা এটিকে কোন নৈতিক ইস্যু বানাতে চায় না, এবং সেক্স থেকে বিরত থাকার ব্যাপারটা কারো ওপর চাপিয়ে দিতেও চায় না। তবে প্রেসিডেন্ট বোলসেনারো অতীতে অভিভাবকদের বলেছিলেন, টিনএজারদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা পুস্তিকা থেকে এমন সব ছবি ছিড়ে ফেলে দিতে - যাতে নারীর প্রজননতন্ত্র এবং কীভাবে কনডম ব্যবহার করতে হয় তা দেখানো হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সমিতি এর তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে এসব প্রচারাভিযানে কোন কাজ হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে, স্কুলের ভেতরে বা বাইরে যৌন শিক্ষা দিলে যৌন কর্মকান্ড বৃদ্ধি পায় না।
ব্রাজিলে ১৩ থেকে ১৯-এর মধ্যে বয়স এমন তরুণীদের মধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়া এত বেড়ে গেছে যে তা প্রতিরোধের জন্য 'বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক না করার' পরামর্শ দেয়া হচ্ছে 'টিনএজার'দের ।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ফাইল ছবি) টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনে এটাই তার প্রথম সফর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, চীনের কাছে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতির সম্ভাবনা আছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশী ফয়েজ আহমেদ। এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আমাদের নিরাশ হওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু চীন এখানে সংযুক্ত হয়েছে তাই তারা অবশ্যই চেষ্টা করবে যে এটা যেন একটি সফল পরিণতির দিকে যায়।" "তারা [চীন] চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিষয়টাকে একটা সমাধানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।" বাস্তবে সেই চেষ্টা এখন পর্যন্ত সফল হয়নি। কেননা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং চুক্তি হলেও আসল যে কাজ অর্থাৎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, সেটা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আগে মিয়ানমার যেন তাদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা এবং মান-মর্যাদার নিশ্চয়তা দিতে পারে, প্রধানমন্ত্রী সে ব্যাপারে চীনের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং চীনও চেষ্টা করবে সমাধান বের করতে কেননা এর সঙ্গে এখন তাদের ভাবমূর্তি জড়িয়ে পড়েছে, বলেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। মিস্টার আহমেদ বলেন, "পৃথিবীর অন্যতম শক্তিধর দেশ এই চীন। এখন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাদের প্রচেষ্টা যদি সফল পরিণতির দিকে না যায়, তাহলে তাদেরও তো মুখ রক্ষা হবে না।" তার মতে, বাংলাদেশে আশ্রিত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো জন্য বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে চীনের সহায়তা চাইতে পারে। আরও পড়তে পারেন: রোহিঙ্গাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে? রোহিঙ্গা সংকট: 'কিছু বললে দা-বটি নিয়ে তেড়ে আসে' ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আসলে কী আছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চীনের নেতৃত্বে যদি একটা আন্তর্জাতিক দল তৈরি হয়, যারা এই নিশ্চয়তা দেবে, তাহলে দ্রুত সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করেন মুনশী ফয়েজ আহমেদ। "বাংলাদেশ চীনকে জানাতে পারে যে তারা যেন উদ্যোগ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক দল গঠন করে, যারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও তাদের মান-মর্যাদা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো তদারকি করবে," বলেছেন মিস্টার আহমেদ। এদিকে বিনিয়োগ, ভৌগলিক ও রাজনীতির কারণে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের আগে থেকেই বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে। সেখানে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি করার ব্যাপারে চীনের এই ইচ্ছা কতোখানি থাকবে - সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে মিস্টার আহমেদ জানান যে, চীন নিজ স্বার্থেই মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইবে। কেননা তাদের যেসব অংশীদার রয়েছে, তারাও চায় মিয়ানমারের পরিবেশ যেন শান্তিপূর্ণ ও বিনিয়োগবান্ধব হয়। সেই সঙ্গে চীনও চাইছে মিয়ানমারে তাদের যেসব বিনিয়োগ আছে, সেগুলো যেন শঙ্কামুক্ত থাকে, বলছেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। তাছাড়া আরাকান রাজ্যে তাদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে লোকবলের প্রয়োজন রয়েছে। যাদের কেউই এখন সেখানে নেই। সবাই পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসায় আরাকান রাজ্যের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। যার অর্থ রোহিঙ্গারা ওই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি ছিল। মিস্টার আহমেদ বলেন, "রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে ঘিরে সবার স্বার্থই জড়িত। যারা ওখানে কাজ করবে, বিনিয়োগ করবে, এতে তাদেরই লাভ হবে।" মিয়ারমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দফায় দফায় বৈঠক হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যবাসন আজও শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে চীনের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি শক্তি প্রয়োগ বা কঠোর হতে পারছে না। মিয়ানমারের সাধারণ মানুষও এই সংঘাতের অবসান চায়। কেননা এতে চীন ও প্রতিবেশী দেশগুলো মিয়ানমারের মানুষের জন্য নানামুখী সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন মিস্টার আহমেদ।
পাঁচ দিনের এক সরকারি সফরে চীনে গেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে আশা করা হচ্ছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
দুবাইয়ের একটি লেবাননি রেস্টুরেন্টে নিজ দলের সাথে পারফর্ম করছেন একজন বেলিডান্সার। দরিদ্র পরিবারের সন্তান পারুল আকতার অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ার পর জীবিকার তাগিদে নাচকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কয়েক বছর আগে এক অনুষ্ঠানে নাচতে গেলে তার সঙ্গে দেখা হয় এক ব্যক্তির, যিনি দুবাইয়ের একটি 'ডান্স বারের এজেন্ট'। "ঐ লোক আমাকে বলছে, তুমি তো ভালোই নাচ। দুবাই যাইবা? ঐখানে স্টেজে নাচলে মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন পাইবা। টাকার কথা শুনে আমি রাজী হইলাম," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন পারুল আক্তার । দুবাই যেতে পারুল আক্তারের কোন টাকা খরচ হয়নি। কিন্তু এ বিষয়টিও তার মনে কোন সন্দেহও জাগায়নি। দুবাই গিয়ে পুরোপুরি ভিন্ন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হন পারুল আক্তার। তার বর্ণনায়, "এখান থেকে ডান্স এর কথা বইলা নিয়া যাইতো। পরে ঐখানে ছেলেদের রুমে পাঠানো হয়। ওখানে পরিস্থিতির শিকার।" পারুল আক্তারের মতো বহু মেয়েকে এভাবেই দুবাইয়ের ডান্স বারে চাকরি দেয়ার নামে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ব্যালে নৃত্য: 'কালো মেয়ের গোলাপি টাইটস্ পরা উচিত না' নানা দেশের মানুষের যৌনজীবন: মজার কিছু তথ্য অ্যান্টিবায়োটিক যেসব কারণে রোগ সারাতে পারছেনা 'ভারত থেকে বাংলাদেশে গোপনে পুশব্যাক চলছে' যেভাবে দুবাইতে পাচার করা হচ্ছে নয় মাস আগে দুবাই ফেরত কিছু নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে নারায়নগঞ্জের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব ১১'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "অনেকদিন ধরেই আমরা খবর পাচ্ছিলাম যে এখান থেকে কিছু মেয়ে দুবাই আসা যাওয়া করছে। আমাদের কাছে কিছু অভিযোগও এসেছে।" নয় মাস তদন্তের পর র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল গত রবিবার ছয়জনকে আটক করেছে,যারা দুবাইয়ের 'ডান্স বারে' নারী পাচারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ছয়জনের মধ্যে একজন পাসপোর্টের দালাল, দুইজন ডান্স বারের এজেন্ট এবং দুই জন ডান্স বারের মালিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে র‍্যাব জানতে পেরেছে, পাঁচটি ধাপে দুবাইয়ের ডান্স বারে নারীদের পাচার করা হয়। প্রথম ধাপে রয়েছে এজেন্ট। তাদের কাজ হচ্ছে মেয়েদের টার্গেট করা এবং তাদেরকে প্রলোভন দেখানো। এর সাথে দুবাই ফেরত কিছু নারীও জড়িত রয়েছে। কারণ তাদের মুখে 'আর্থিক সমৃদ্ধির গল্প' অন্য নারীদের প্রলুব্ধ করে। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে পাসপোর্ট করিয়ে দেবার দালালচক্র। মেয়েদের রাজী করানো সম্ভব হলে দালালরা তাদের পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করে। মেয়েদের ছবি পাঠানো হয় দুবাইতে ডান্স বারের মালিকদের কাছে। র‍্যাব বলছে ছবি দেখে পছন্দ হলে মালিকরা ঢাকায় আসে তাদের দেখার জন্য। তৃতীয় ধাপে রয়েছে ট্রাভেল এজেন্ট। তাদের কাছে টুরিস্ট ভিসা পাঠিয়ে দেয় দুবাইয়ের ডান্স বারের মালিকরা। পরবর্তী ধাপে আছে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে কর্মরত কিছু অসাধু ব্যক্তি। একজন নারী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে দুবাই যাবার জন্য ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের ভাষ্য মতে, একজনকে পাঠাতে দুই লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়, যার পুরোটাই বহন করে ডান্স বারের মালিকরা। দুবাইতে পৌঁছানোর পর একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় এসব নারীদের। তারপর সেখান থেকে কোন বাড়িতে নিয়ে কার্যত বন্দী করা হয় এবং দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়। তিনি বলেন, তদন্তে দেখা গেছে একটি ট্রাভেল এজেন্সি শুধু চলতি বছরেই ৭২০ জন তরুণীকে দুবাই এবং মালয়েশিয়া পাঠিয়েছে। এ বিষয়টি র‍্যাব-এর কাছে বেশ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডান্স বারের মালিক এবং এজেন্টদের কাছ থেকে র‍্যাব জানতে পেরেছে যে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর দুই থেকে আড়াই হাজার নারীকে ডান্স বারের নামে দুবাই পাচার করা হয়। " একটা মেয়েকে দুবাই নিয়ে যেতে ডান্স বারের মালিকের খরচ হয় দুই লাখ টাকা। অথচ এদের একজনকে দিয়ে ডান্স বারের মালিকরা প্রতিমাসে ৬ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করে," বলছিলেন র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন। আটককৃত ডান্স বারের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানতে পেরেছে, দুবাইতে বাংলাদেশীদের মালিকানাধীন প্রায় ৪০টি ডান্স বার রয়েছে। র‍্যাব বলছে বাংলাদেশ থেকে নারীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইতে পাচার করার রমরমা বাণিজ্য চলছে।
ঢাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ করতেন পারুল আকতার (ছদ্মনাম)।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
এই হোটেলেই বন্দি ছিলেন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইশোর বেশি প্রিন্স, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী রিয়াদে পাঁচ তারা হোটেলটির কর্মীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, অতিথিদের জন্য হোটেলটি খুলে দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত হোটেলটিতে কোন অতিথি রাখা হয়নি। সেদি আরবের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, রিৎস-কার্লটন হোটেলে এখনো ৫৬জন বন্দি আছেন। যদিও দেশটির কোন কোন রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিৎস-কার্লটন হোটেলের বাকি বন্দিদের কারাগারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত জুনে উত্তরাধিকারী হিসাবে যুবরাজ মোহাম্মেদের নাম ঘোষণা করেন বাদশাহ সালমান জানুয়ারি মাসের শেষদিকে প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রিন্সসহ প্রভাবশালী গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সঙ্গে অর্থনৈতিক দণ্ডের রফা করেছে সরকার। এ প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই দশ হাজার কোটি ডলার বা ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করেছে সরকার। যদিও সরকারের হিসাবে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের গোপন বা অফ শোর হিসাবের অর্থের পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত নভেম্বরে দেশটিতে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালু হবার পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া প্রভাবশালী বন্দিদের রাখার জন্য রিৎস-কার্লটনসহ বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল ব্যবহৃত হতো। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান, দেশটির দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নেবার পর থেকেই দুর্নীতি দমন অভিযান শুরু হয়। আরো পড়ুন: ইন্টারনেটের গতি কমানোর উদ্যোগ কতটা সফল হবে? হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ জেল কোড অনুসারে ডিভিশন পান কারা? এরপর একে একে রাজপরিবারের সদস্য, মন্ত্রী, শীর্ষ ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হন। তাদেরকে বিলাসবহুল হোটেলে আটকে রাখা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পাশাপাশি, তাদের ব্যক্তিগত বিমানগুলো আটকে রাখা হয় এবং তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল, এবং সৌদি মিডিয়া মোগল ওয়ালিদ আল-ইব্রাহিম উল্লেখযোগ্য। বলা হয়ে থাকে, দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি যুবরাজের এ উদ্যোগের সঙ্গে ক্ষমতার যোগসূত্র আছে। যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান বা এমবিএস, নামেও যিনি পরিচিত, এর মধ্যেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র গুলোয় ক্ষমতা করায়ত্ত করেছেন। তিনি এখন বিশ্বের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বলা হয়, যুবরাজ দুর্নীতি দমন অভিযানের মাধ্যমে তিনি কার্যত নিজের ক্ষমতার জানান দিয়েছেন।
নভেম্বরে সৌদি আরবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইশোর বেশি প্রিন্স, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীদের কয়েদখানা হিসেবে ব্যবহার হওয়া রিৎস-কার্লটন হোটেল সম্প্রতি খুলেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আটক সৌদি মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রোমে বিক্ষোভ (ফাইল ছবি) জেনেভাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এক বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশের সবগুলো সহ মোট ৩৬টি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে সৌদি আরবের কড়া নিন্দা করেছে। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো দেশ একসাথে সৌদি আরবের নিন্দা করেনি। অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ এতদিন পর্যন্ত সৌদিদের প্রকাশ্য সমালোচনা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে। ইউরোপীয়দের যুক্তি ছিল - মধ্যপ্রাচ্য একটি জটিল বিপজ্জনক অঞ্চল, এবং তার মোকাবেলায় সৌদি আরবকে চটানো ঠিক হবেনা। জেনেভা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা ইমোজেন ফুকস বলছেন, ইউরোপের সেই মনোভাব বদলে গেছে। নজিরবিহীন এই নিন্দা প্রস্তাব এমন সময় করা হলো যখন সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান বেশ কিছুদিন ধরে তার দেশে সামাজিক উদারীকরণের প্রতিশ্রুতি প্রচার করে চলেছেন। এমনকি নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও এ ধরনের বিবৃতি থেকে বোঝা যায় সৌদি আরবে মানবাধিকার কর্মীদের আটক করে নির্যাতন এবং সাংবাদিক জামাল খাসোগজির নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল কতটা উদ্বিগ্ন। যৌথ বিবৃতি প্রকাশের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে আইসল্যান্ডের প্রতিনিধি আটক সৌদি মানবাধিকার কর্মীদের নাম ধরে ধরে তাদের মুক্তির দাবি করেন। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ড তদন্তে সৌদি সরকার যেন পূর্ণ সহযোগিতা করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করছে যে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও এর জন্য যে নারীরা আন্দোলন করেছিলেন তাদের অনেককেই আটক করে নির্যাতন করা হচ্ছে। কারাগারে তাদের ইলেকট্রিক শক, চাবুক পেটা করা ছাড়াও তাদের অনেকের ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সৌদি যুবরাজকে বিদ্রূপ করে রোমে মানবাধিকার কর্মীদের বিক্ষোভ (ফাইল ছবি) বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার অ্যাগনেস ক্যালামার্ডকে উদ্ধৃত করে রয়টর্স বার্তা সংস্থা বলছে, "এ ধরণের বিবৃতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যে দেশটি এতদিন পর্যন্ত সমালোচনা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, তাকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।" গতকাল (বুধবার) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট আটক নারী মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানান। কিন্তু রয়টর্স বার্তা সংস্থা বলছে, সৌদি সরকারের ক্ষমতাধর একজন কৌঁসুলি সরকারি মালিকানাধীন একটি দৈনিক পত্রিকাকে বলেছেন, কারাগারে নারী অধিকার কর্মীদের অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আমেরিকা সৌদি বিরোধী এই বিবৃতিতে সই করেনি। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কিছু শোনা যায়নি। সৌদি যুবরাজের জন্য অভাবী পাকিস্তানের লাল গালিচা বাংলাদেশ-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি: কী থাকছে চুক্তিতে?
মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নির্যাতনের প্রশ্নে নজিরবিহীন সমালোচনার মুখে পড়েছে সৌদি আরব। ইইউ জোটের সবগুলো দেশের যৌথ বিবৃতি।