instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 53
24.4k
| output
stringlengths 8
818
|
---|---|---|
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর এই সাবমেরিনটিই নিখোঁজ হয়েছে, ফাইল ছবি ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ অনুমান করছে নৌবাহিনীর ওই সাবমেরিনটিতে এখন যেটুকু অক্সিজেন আছে তাতে ক্রুদের জীবিত উদ্ধারের জন্য আর মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় আছে। "আমাদের হাতে মাত্র শনিবার ভোর ৩টা পর্যন্ত সময় আছে - তাই আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি" - বলেন ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র আশমাদ রিয়াদ। কেআরআই নাঙ্গালা ৪০২ নামের এই সাবমেরিনটি বালি দ্বীপের উপকুলের নিকটবর্তী সমুদ্রে একটি মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল। বুধবার সকালে টর্পেডো মহড়ার অনুমতি চাওয়ার কিছু ক্ষণ পরই হঠাৎ করে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হযে যায়। এর পর সাগরে ব্যাপক অনুসন্ধান তৎপরতা শুরু হয়। কমপক্ষে ৬টি যুদ্ধ জাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও ৪০০ লোক এ অনুসন্ধানে অংশ নিচ্ছে। বালি দ্বীপের কাছে যেখানে নিখোঁজ হয়েছে সাবমেরিনটি বিবিসি বাংলায় আরো খবর: সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া এলাকাটিতে জাহাজ পাঠিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানিও সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৯৭০ সালে নির্মিত সাবমেরিনটি জার্মানির তৈরি, এবং ইন্দোনেশিয়ার মোট পাঁচটি সাবমেরিন রয়েছে। যে জায়গাটিতে সাবমেরিনটি ডুবে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে তার কাছাকাছি সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে হয়তো সাবমেরিনটির তেলের ট্যাংকে ছিদ্র হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে ইন্দোনেশিয়ান সামরিক বাহিনী জানায়, তারা সাগরের একটি জায়গায় ৫০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে ( ১৬৫ থেকে ৩৩০ ফিট) কিছু একটা বস্তুর উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পেরেছে। সেটি নিখোঁজ সাবমেরিনটিই কিনা - তা জানার জন্য এখন শব্দতরঙ্গ দিয়ে নিমজ্জিত বস্তু চিহ্নিত করতে পারে এমন একটি জাহাজকে কাজে লাগানো হয়েছে। অনুসন্ধান এলাকার মানচিত্রের সামনে একজন সামরিক কর্মকর্তা নিকট অতীতে বেশ কিছু সাবমেরিন দুর্ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর সূত্র বিবিসিকে বলেছেন যে সেদেশে সাবমেরিন হারানোর ঘটনা এই প্রথম। তবে এ ধরণের ঘটনা নিকট অতীতে বেশি কয়েকটি ঘটেছে। রাশিয়ার নৌবাহিনীর কুর্স্ক নামে একটি সাবমেরিন ২০০০ সালে ব্যারেন্টস সি-তে ডুবে যায়, যাতে ১১ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। এক তদন্তে পরে জানা যায় যে সাবমেরিনটির একটি টর্পেডো ফেটে গিয়েছিল এবং তা অন্য টর্পেডোগুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটায়। বেশির ভাগ ক্রু-ই সাথে সাথেই মারা গিয়েছিল তবে কয়েকজন সাবমেরিনের মধ্যে আরো কয়েকদিন বেঁচে ছিলেন - তবে পরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। দু'হাজার তিন সালে চীনের নৌবাহিনীর এক মহড়ার সময় একটি সাবমেরিন দুর্ঘটনায় পতিত হয়, এবং ৭০ জন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও ক্রু নিহত হন। এ ছাড়া ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার একটি সামরিক সাবমেরিন ৪৪ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয়। এক বছর পর এর ধ্বংসস্তুপ খুঁজে পাওয়া যায়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: | ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিন ৫৩ জন আরোহী নিয়ে বুধবার সাগরে নিখোঁজ হওয়ার পর এর সন্ধান ও উদ্ধারের প্রয়াসে সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিক্ষোভ রোহিঙ্গাদের কাছে মালয়েশিয়া এখনো সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত আশ্রয়স্থল। এক হিসাবে, বর্তমানে মালয়েশিয়াতে বৈধ এবং অবৈধভাবে দুই লাখের মত রোহিঙ্গা বসবাস করছেন, যাদের সিংহভাগই গেছেন সাগর-পথে মানব পাচার কারীদের হাতে। তাদের মধ্যে লাখ দেড়েক জাতিসংঘের চেষ্টায় শরণার্থী হিসাবে রয়েছেন, বাকিরা অবৈধভাবে লুকিয়ে থাকেন।। রোহিঙ্গারা কেমন আছেন মালয়েশিয়ায়? "২৭ বছর ধরে আছি এদেশে, এখনও ইউএনএইচসিআরের কার্ড নিয়ে চলি। মালয়েশিয়ার বাইরে কোথাও যেতে পারিনা," টেলিফোনে বিবিসি বাংলার কাছে তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বললেন জাফর আহমেদ। মেহরুম (মিয়ানমার এথনিক রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, মালয়েশিয়া) নামে রোহিঙ্গাদের একটি এনজিরও মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছেন তিনি। বললেন, অবশ্যই তার যে সব আত্মীয়-স্বজন মিয়ানমারে অথবা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আছেন, তাদের চেয়ে মালয়েশিয়াতে অনেক নিরাপদে এবং স্বস্তিতে রয়েছেন, কিন্তু খুবই নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারির মধ্যে থাকতে হয় তাদের। "আমাদের ছেলেমেয়েরা সরকারি স্কুলে যেতে পারেনা, শিক্ষা নিতে পারছে না। পুলিশের নজরদারি থাকে...যারা শরণার্থী কার্ড পায়নি, তাদের লুকিয়ে থাকতে হয়।" মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের একটি মাদ্রাসা মালয়েশিয়া এখনও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সনদে সই করেনি, ফলে শরণার্থীদের অনেক অধিকার সেখানে নেই। শরণার্থীর মর্যাদা দিলেও রোহিঙ্গাদের বাচ্চারা সরকারি স্কুলে যেতে পারেনা। জাতিসংঘ এবং অন্য কিছু এনজিও পরিচালিত কিছু স্কুলে তারা যায়। "আমাদের ছেলেমেয়েরা সরকারি স্কুলে যেতে পারেনা, শিক্ষা নিতে পারছে না। এটা আমাদের বড় চিন্তা," বলছিলেন জাফর আহমেদ। এছাড়া পুলিশের কড়া নজরদারিতে থাকতে হয় তাদের। মি. আহমেদ বলছেন, রোহিঙ্গাদের পক্ষে আন্দোলন করার অপরাধে তাকে একাধিকবার জেলে যেতে হয়েছে। যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী কার্ড পায়নি তাদের লুকিয়ে থাকতে হয়। মেহরুমের হিসাবে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে হাজার দশেক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন আটক শিবিরে রয়েছেন। জাফর আহমেদ বলেন, নতুন করে শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়া দিনকে দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। মালয়েশিয়ার লাংকাউয়ি দ্বীপের কাছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি নৌকা আটক করছে নৌবাহিনী (ফাইল ফটো) কি কাজ করেন রোহিঙ্গারা জাফর আহমেদ বলেন, দোকান-পাট, রেস্টুরেন্টে কাজ করেন অনেকে। পাম বাগান এবং কৃষি খামারে কাজ করেন। এছাড়া, যারা অনেকদিন ধরে রয়েছেন, তাদের কেউ কেউ দোকানপাট করেছেন। তবে অবৈধভাবে যারা রয়েছেন, তারা লুকিয়ে-চুরিয়ে অল্প পয়সায় শ্রম বেঁচে জীবনযাপন করছেন। "দেশে রোহিঙ্গারা ভাবে মালয়েশিয়া অনেক ভালো। সরকারের রহম (দয়া) আছে। আসার পর বুঝতে পারে পরিস্থিতি কি। স্বাধীনতা নাই।" অবৈধভাবে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় যেতে গিয়ে গত বছরগুলোতে নৌকা ডুবে অথবা দালালদের নির্যাতনে অনেক রোহিঙ্গার প্রাণ গেছে। অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং ব্যাংকক ভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ফর্টিফাই রাইটস এক যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে, মানব পাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের সাথে যা করছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সামিল। "তারা হত্যা করছে, নির্যাতন করছে, জোর করে কাজ করাচ্ছে, ধর্ষণ করছে।" | বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে মঙ্গলবার নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১৫ জন নারী ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আবারো প্রমান করেছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পালানোর চেষ্টা থেমে নেই। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর মেসির উদযাপন। বিশ্বকাপ থেকে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়েই যাচ্ছিল। শেষমুহুর্তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো আর্জেন্টাইনদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হয়ন আর্জেন্টিনার। নিজেদের দুর্বলতা দূর করে টুর্নামেন্টের পরবর্তী অংশে কি শক্তিশালী দল হিসেবে ফিরে আসতে পারবে তারা? আমাদের সবার জন্য এটি ছিল বিশাল এক পরিত্রাণ: মেসি আর্জেন্টিনার পুরো দলকেই এবার নানা ধরণের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারার পর এই দলকে আর্জেন্টিনার "ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে" দলও বলা হয়েছে। কোচ সাম্পাওলি সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এমন গুজবও উঠেছে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে টানেলে মেসিকে দেখা যায় দলের খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দিতে। মেসি বলেন, "খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম আমরা।" "আমাদের জন্য এটি বড় ধরণের একটি পরিত্রাণ ছিল বলা যায়। শেষ ম্যাচে হারের পর এই জয় দলের সবার জন্যই দারুণ স্বস্তি এনে দিয়েছে। সৌভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি।" ম্যাচশেষে কোচ সাম্পাওলি ও প্রশংসা করেন। মেসি তাঁর জাতীয় দলের হয়ে শতভাগ খেলেন না, এমন গুজব সত্য নয় বলে মন্তব্য করেন সাম্পাওলি। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বকাপ ২০১৮-এর সর্বশেষ সমীকরণ বিশ্বকাপ ২০১৮: ভিএআর’এর ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক বিশ্বকাপ ২০১৮: মেসির হতাশাজনক খেলার কারণ কী? নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের বিরতিতে দলের খেলোয়াড়দের টিম মিটিংয়ে মেসি সাম্পাওলি বলেন, "মেসি প্রত্যেক ম্যাচেই প্রমাণ করেন যে, তিনি অন্য সবার চেয়ে উঁচুমাপের খেলোয়াড়। কিন্তু তাঁরও দলের সদস্যদের কাছ থেকে সমর্থন প্রয়োজন।" "মেসি'র মানবিক দিকগুলো অসাধারণ। দলের খারাপ সময়ে তিনিও কষ্ট পান, অনেক সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকে বলেন, তিনি আর্জেন্টিনার জন্য খেলা উপভোগ করেন না, কিন্তু আমি এই ধারণার সাথে একমত পোষণ করি না।" সাম্পাওলি বলেন, "আমার দলের খেলোয়াড়রা প্রত্যেকে হৃদয় দিয়ে খেলে, তারা প্রত্যেকে সত্যিকারের যোদ্ধা।" প্রতি দশকে গোল - মেসি'র পরিসংখ্যান বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মেসির জন্য সাইকেল চালিয়ে কেরালা থেকে রাশিয়া? মেসির তুলোধোনা আর্জেন্টিনার মিডিয়ায় আর্জেন্টিনা দলের উপর বেশ ক্ষেপেছেন ম্যারাডোনা নেইমারের ডাইভ ও কান্না নিয়ে এত কথা কেন? ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ কেন? | নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের পর লিওনেল মেসি বলেছেন "এর আগে কখনো তিনি এতটা ভোগেননি।" |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল দৈনিক যুগান্তর, যমুনা টেলিভিশন এবং যমুনা ফিউচার পার্ক এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। তার মালিকানাধীন পত্রিকা যুগান্তর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে (সাবেক অ্যাপোলো) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। গত ১৪ জুন নুরুল ইসলামের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিনই তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাসে তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে ১০ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা চলছিল। তিনি ৩৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন বলে জানা গেছে। তার স্ত্রী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় সংসদের এমপি সালমা ইসলাম। দৈনিক যুগান্তর জানিয়েছে, ১৯৭৪ সালে নুরুল ইসলাম যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে একে একে শিল্প এবং সেবা খাতে গড়ে তোলেন ৩৮টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস, বস্ত্র, ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, মোটরসাইকেল, বেভারেজ টয়লেট্রিজ, নির্মাণ, সংবাদমাধ্যম এবং আবাসন খাত। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | বাংলাদেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধরের পর উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ভারতে বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ্ণৌ থেকে বিবিসির সমীরাত্মজ মিশ্র বলছেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে উন্নাও শহরে ব্যাপক হারে পুলিশ আর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যে মাদ্রাসার ছাত্ররা মার খেয়েছে, সেখানকার কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, ছাত্রদের দিয়ে জোর করে 'জয় শ্রীরাম' বলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই স্লোগান দিতে অস্বীকার করায় তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। মাদ্রাসা দার-উল উলুমের পরিচালক মো. নঈম। জানান, কজন ছাত্র বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় জি আই সি ময়দানে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল। "১২-১৪ বছরের কয়েকজন ছাত্র যখন ওই মাঠে খেলছিল, সেখানে কয়েকজন বয়সে বড় কিছু ছেলে হাজির হয়। তারা ব্যাট কেড়ে নিয়ে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেওয়ার জন্য জবরদস্তি করতে থাকে। আমাদের ছাত্ররা 'জয় শ্রীরাম' বলতে অস্বীকার করে। তখন ওই ক্রিকেট ব্যাট দিয়েই মারা হতে থাকে। কয়েকজন ছাত্রের মাথা ফেটে গেছে।" তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, জবরদস্তি 'জয় শ্রীরাম' বলানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, ঘটনা তা নয়। কেন মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বলছে, পুলিশ একতরফাভাবে তাদের সদস্য সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। মারধর বা জয় শ্রীরাম বলানোর জন্য জবরদস্তি - এসব কিছুই হয় নি। আরও পড়ুন: ভারতে কীভাবে হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটেছিল কেন উত্তেজনা বরাকের বাঙালি হিন্দু ও মুসলিমে? মারধরের প্রতিবাদে উন্নাওতে মুসলিমদের বিক্ষোভ সমাবেশ হিন্দু যুবা বাহিনীর এক কর্মকর্তা রঘুবংশ বলছিলেন, "একটা সামান্য মারামারির ঘটনাতে ধর্মীয় রঙ লাগানো হচ্ছে। ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে এটা। যে ভিডিওটা প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে (মাদ্রাসা) ছাত্ররা জয় শ্রীরাম বলানোর কথা যখন বলছে, সেটা যে কেউ ওদের বলতে শিখিয়ে দিচ্ছে, এটা তো স্পষ্ট।" তিনি বলেন, "ওই ভিডিওটা পরীক্ষা করে দেখা হোক। হিন্দু যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশ যেসব অভিযোগ এনেছে, সেগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।" দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতির কারণে গোটা শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, যাকে উত্তরপ্রদেশে প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি বা পিএসি বলা হয়, সেই বাহিনীও নিয়ে আসা হয়েছে। এখনও উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। আরও পড়ুন: বিশ বছরের রশিদ খান নতুন আফগান অধিনায়ক | ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলায় কয়েকজন মাদ্রাসা ছাত্র 'জয় শ্রীরাম' না বলতে চাওয়ায় তাদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর শহরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরী হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে হিন্দুদের দেব-দেবীর মূর্তি এসব হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এ সময় মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বোরহাউদ্দিনে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আবুল কালাম আজাদের সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে এসব তথ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের নবীকে হেয় করার অভিযোগকে ঘিরে বোরহানউদ্দিনে রোববার সকালে বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে 'তৌহিদী জনতা'র ব্যানারে একটি সমাবেশে আসা লোকজনের সাথে এক পর্যায়ে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে চার জন নিহত ও পুলিশসহ বহুলোক আহত হয়। এর আগে তিন দিন ধরে বোরহানউদ্দিনে বিক্ষোভ চলছিল। এই বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে গত কয়েকদিন অনেক আলোচনা চললেও, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা, উপাসনালয়ে হামলার এসব খবর মূলধারার গণমাধ্যমে খুব একটা উঠে আসেনি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রবীন্দ্রপল্লী ভাওয়ালবাড়ি নামক এলাকায় এখনো সেদিনকার হামলার চিহ্ন রয়েছে। বিবিসিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঐ সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে নেবার পথে বিক্ষুব্ধ জনতা সেখানকার হাসপাতাল পাড়া বলে পরিচিত একটি এলাকায় হামলা চালায়। শুরুতে বাজারে একজন হিন্দু ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এরপর সেখানকার একটি মন্দির ভাঙচুর হয়। মন্দিরে হামলা চালিয়ে সবগুলো প্রতিমার মাথা ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। তছনছ করে মন্দিরের প্রধান মণ্ডপ, মন্দির চত্বরেই ভিন্ন মণ্ডপে কালী প্রতিমা ভাঙচুর করে। এছাড়া মন্দিরের ভেতরের আসবাবপত্র, এবং মন্দিরের ভেতরের রান্নাঘরেও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। হামলায় পুড়িয়ে দেয়া একটি মোটরসাইকেল এরপর একই এলাকার আটটি বাড়িতে হামলা চালায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এর মধ্যে দুইটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তারা। পুড়িয়ে দেয় একটি মোটরসাইকেল। হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের একজন লক্ষ্মী রানী দে বলছিলেন, "আমার বাড়িতে যখন হামলা চালায়, তারা আমার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, ঘরের ভেতরে খাটসহ অন্যান্য আসবাবপত্রেও আগুন দেয় তারা। খালি আগুনই দেয়নি, তারা লুটপাটও চালিয়েছে ঘরে।" মিসেস দে অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা তার ঘরে লুটপাট চালিয়ে নগদ ১০-১৫ টাকা হাজার নিয়ে যায়। বোরহানউদ্দিন বাজারে শ্রীশ্রী গৌর নিতাই আশ্রম নামক মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে গত শনিবার কার্তিক-ব্রত নামে মাসব্যাপী এক উৎসব শুরু হয়। এখন অবস্থার প্রেক্ষাপটে সে উৎসব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এক গ্রামবাসী আশ্রমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাস বিবিসিকে বলেন, সকাল ১১টার পর সেই হামলা যখন শুরু হয়, অনেকেই 'বিস্মিত এবং ভীত' হয়ে পড়েন। "বোরহানউদ্দিনে এমন হামলার ঘটনা খুবই বিরল। সেই ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল যে বছর, সে সময় এখানে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা হয়েছিল। এরপর এমন ঘটনা আর কখনো ঘটেনি।" মিঃ দাস অভিযোগ করেছেন, মন্দিরের কাছেই অবস্থিত তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তার পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে। "যদিও হামলায় কেউ মারা যায় নাই, কিন্তু আমাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা নিরাপত্তাহীন বোধ করছি।" তবে মিঃ দাস জানিয়েছেন, এসব হামলার ঘটনা নিয়ৈ মামলা করা হয়নি। মঙ্গলবার পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে লিখিত তাদের অভিযোগ জানানোর কথা রয়েছে। এদিকে, পুলিশ বলছে হিন্দুদের ওপর এরপরে যাতে আর কোন হামলা না হয়, সেজন্য তারা বিশেষ সতর্ক রয়েছে। বোরহানউদ্দিন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেছেন, "এ ধরণের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুরো এলাকায় পুলিশের সঙ্গে র্যাব এবং বিজিবি টহল চলছে।" আরো খবর: ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে ক্রিকেটারদের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতাম না: মাশরাফী 'ক্যান্সারের জন্ম' বিষয়ে তথ্য খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা | সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের নবীকে হেয় করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংস বিক্ষোভ ও পুলিশের গুলির ঘটনার কিছু পরই সেখানকার হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির এবং বাড়িঘরে হামলা চালায় অজ্ঞাত সংখ্যক বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মি. মোমেন বলেছেন যে স্বাধীন-সার্বভৗম বাংলাদেশ তার নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। একই সাথে তিনি মন্তব্য করেছেন যে চীনের রাষ্ট্রদূত এখানে তার দেশের প্রতিনিধি এবং তিনি তাদের বক্তব্য বলতে পারেন। তবে যে জোটের কথা বলা হয়েছে, তার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এখনও 'অ্যাপ্রোচই' করেনি বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। কোয়াড হলো চার দেশের একটি কৌশলগত জোট, যা নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর সঙ্গে রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান। এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ চীন এই জোটে নেই, তাই বিশ্লেষকেরা একে চীন বিরোধী জোট বলেই মনে করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কোয়াডে যোগ দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক 'খারাপ হবে': চীনা দূত চীনকে আটকাতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীরা টোকিওতে ঢাকায় সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে সতর্ক করে বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের জোট 'কোয়াড'-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে "যথেষ্ট খারাপ" করবে। চীনা রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে আজ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, "আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করবো।" তবে তিনি এও বলেন, "যে কোন দেশ তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা সেগুলো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। কিন্তু আমরা কি কাজ করবো বা করবো না - সেটা আমাদের দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্যে, আমাদের নীতিগত অবস্থানের প্রেক্ষিতে উই উইল ডিসাইড (আমরা ঠিক করবো)।" "উনারা (চীন) যাই বলতে পারেন এবং ন্যাচার্যালি উনি (চীনা রাষ্ট্রদূত) একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা হয়তো এটা (কোয়াড) চায় না। তিনি তার বক্তব্য বলবেন" - এমন মন্তব্য করেন মি. মোমেন। চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. মোমেন উল্লেখ করেন যে কোয়াডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এখনও কোন প্রস্তাবই দেয়া হয়নি। "যে প্রতিষ্ঠানের (কোয়াড) কথা বলেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদের কাছে এখনও অ্যাপ্রোচই করে নাই। এটা একটু আগ বাড়িয়ে বলাবলি হয়েছে। তো আমরা এটাকে খুব একটা...উনি (চীনা রাষ্ট্রদূত) বলেছেন ফাইন। এটা নিয়ে আমাদের বিশেষ বক্তব্য নাই। বাট উই উইল ডিসাইড, হোয়াট টু ডু (আমরা ঠিক করবো যে কী করতে হবে)," বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, "এতদিন ধরে দেখেছেন যে ব হুলোক বহু সময় বহু কিছু বলেছেন, কিন্তু আমাদের দেশের স্বার্থ এবং মঙ্গলের ব্যাপারে যা যা করার আমরা তাই করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মঙ্গলের জন্য তাই করেছেন।" "উই মেইনটেইন এ নন-অ্যালাইন (জোট নিরপেক্ষ) এবং একটি ব্যালান্সড ফরেন পলিসি (ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি)।" আবদুল মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ীই এগুবে। | যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতসহ চারটি দেশের জোট 'কোয়াড'-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশ্নে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত যে মন্তব্য করেছেন, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মিঞা কবিতার চর্চা হচ্ছে মূলত ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলেই 'মিঞা কবিতা' নামে পরিচিত এই কাব্যরীতি বছরকয়েক হল চালু করেছেন ওই রাজ্যের বাংলাভাষী মুসলিমরা, আর এই কবিতাগুলোতে তারা আসামে তাদের সামাজিক বঞ্চনা ও নির্যাতনের ছবিই তুলে ধরছেন। কিন্তু এই 'মিঞা কবিতা' ঘৃণা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, দিনচারেক আগে এক এই মর্মে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর রাজ্য পুলিশ এখন জনাদশেক কবিকে খুঁজছে। এই কবিরাও সবাই এখন গা ঢাকা দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে আছেন। এদিকে মিঞা কবিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন আসামের বহু চিন্তাবিদ ও শাসক দল বিজেপির নেতারাও। মিঞা কবি রেহনা সুলতানা কিন্তু জাতিস্বত্তার দ্বন্দ্বে বিদীর্ণ ভারতের এই রাজ্যটিতে 'মিঞা কবিতা' কেন আচমকা এই বিতর্কের কেন্দ্রে? আসামের বাসিন্দা রেহনা সুলতানা বেশ কিছুদিন হল 'মিঞা কবিতা' লিখছেন, নানা জায়গায় আবৃত্তিও করছেন। উর্দুতে 'মিঞা' বলতে বোঝায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম ব্যক্তিকে, কিন্তু আসামে এই শব্দটি আসলে একটি বর্ণবাদী গালাগাল - যা অবৈধ অভিবাসী বা বাংলাদেশীদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। তবে আসামের বাংলাভাষী কিছু মুসলিম, যারা অনেকেই ব্রহ্মপুত্রের চর অঞ্চলের বাসিন্দা, এখন তাদের ধর্মীয় ও ভাষাগত পরিচয়কে নতুন করে যেন আবিষ্কার করতে শুরু করেছেন এই মিঞা কবিতার হাত ধরে। ২০১৬তে প্রথম মিঞা কবিতাটি লিখেছিলেন একজন শিক্ষক হাফিজ আহমেদ। আসামে এনআরসি-র শেষ পর্বের শুনানি আর নথিপত্র পরীক্ষার কাজ চলছে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরি করাকে কেন্দ্র করে বাঙালি মুসলিমরা যে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তারই প্রতিবাদ ছিল হাফিজ আহমেদের কবিতা। তারপর এই কবিতা লেখার ধারা দ্রুত জনপ্রিয় হতে থাকে, নেলির গণহত্যা থেকে ধর্ষিতা মুসলিম নারীর কাহিনী কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে আসে। মিঞা কবি হিসেবে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গবেষক শালিম হোসেন। সেই মি হোসেন বিবিসিকে বলছিলেন, "ইংরেজি-হিন্দির পাশাপাশি বিভিন্ন ডায়ালেক্টেও এই কবিতা লেখা হয়।" "আর এই ডায়ালেক্টগুলোর উৎস ময়মনসিংহ, পাবনা, ঢাকা - এরকম নানা অঞ্চলে, যার ভেতরে মিশে যায় অসমিয়া ও আরও নানা স্থানীয় ভাষাও।" মিঞা কবি শালিম হোসেন "আর এই মিঞা কবিতা চলতে থাকে একটা চেইনের মতো - কেউ হয়তো একটা কবিতা লিখল, তার রেশ ধরে আর একজন লিখল - এইভাবে এগোয়।" কিন্তু কেন এরা বিশুদ্ধ অসমিয়ায় কবিতা না-লিখে এই ধরনের উপভাষায় কবিতা লিখবেন, আসামের বিশিষ্ট দার্শনিক হীরেন গোঁহাই-এর মতো ব্যক্তিরাও সে প্রশ্ন তুলতে শুরু করার পর মিঞা কবিতার বিরুদ্ধে জনমত তীব্র হয়েছে। গৌহাটিতে জনৈক প্রণবজিৎ দলই-য়ের করা যে মামলার ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশ এখন দশজন মিঞা কবিকে খুঁজছে - তাতেও বলা হয়েছে এই কবিতাগুলো আসামের সামাজিক পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অপরাজিতা ভুঁইঞাও বিবিসিকে বলছিলেন, "মিঞারা এই সব কবিতায় সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। সবাই জানে, এই মিঁয়াদের হাতেই রাজ্যে ধর্ষণ ঘটছে, অপরাধ বেড়ে চলেছে।" "তবু আমরা ওদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতেই দেখে থাকি। কিন্তু এরা এতো নির্লজ্জ, বাইরের জগতে একটা ভুল ছবি তুলে ধরার জন্যই এসব আজেবাজে লিখে চলেছে।" আসামের সুপরিচিত চিন্তাবিদ হীরেন গোহাঁই সদ্য আসাম ঘুরে আসা বিবিসির সাংবাদিক প্রিয়াঙ্কা দুবের অভিজ্ঞতাও বলে, "বাঙালি মুসলিমরা যদি গণহত্যা বা ধর্ষণের শিকার হয়েও থাকেন, তাহলে পুলিশে অভিযোগ না করে কবিতায় কেন তা বলা হচ্ছে - আসামে সে প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন।" "কিন্তু মিঞা-রা আবার বলছেন, নিজেদের মনের কথা বলার জন্য এমন একটা দারুণ মাধ্যমকে কেন তারা ব্যবহার করবেন না?" আসামের তিনসুকিয়া কলেজের বাংলা ভাষা বিভাগের অধ্যাপক সুশান্ত করও মনে করেন, বিষয়বস্তু আর ভাষা - দুই কারণেই আসলে মিঞা কবিতা নিয়ে এত বিতর্ক। তার কথায়, "এর কনটেন্ট যেমন অহমিয়া শভিনিজমকে চ্যালেঞ্জ করছে, তেমনি এর ভাষার মধ্যেও লুকিয়ে আছে আসামের ভাষা রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।" "আসামের এই তথাকথিত মিঞারা একটা সময় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল তারা অসমিয়া হয়েই আসামে থাকবে।" আসামের কামরূপে বাঙালি মুসলিম নারীরা "ফলে ময়মনসিংয়ের বাংলা ডায়লেক্ট-কেও অসমিয়ারই একটা ডায়লেক্ট বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যদিও ভাষাগতভাবে তার কখনওই কোনও ভিত্তি ছিল না।" "রাজনৈতিক স্বার্থে অসমিয়াদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছিল বটে, কিন্তু এই বাংলাভাষী মুসলিমরা মন থেকে এটা কোনও দিনই মেনে নেননি।" ফলে আজ এত বছর পরে নিজস্ব ভাষা বা জুবান নিয়ে তাদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভই মিঞা কবিতার রূপে বেরিয়ে আসছে বলে অধ্যাপক কর মনে করেন। এদিকে এ মাসের শেষেই আসামে প্রকাশ হতে যাচ্ছে বিতর্কিত এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা, যাতে লক্ষ লক্ষ বাঙালি মুসলমান ভারতের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই তালিকা প্রকাশের ঠিক আগে মিঞা কবিতা নিয়ে বিতর্ক উত্তেজনাকেই আরও অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে এক বিশেষ ধরনের ডায়ালেক্ট বা উপভাষায় লেখা কবিতাকে ঘিরে সামাজিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | এই হাঙ্গরটি উঠে পড়েছিল টেরি সেলউডের নৌকায় প্রায় নয় ফুট মত লম্বায় হাঙ্গরটিকে দেখাচ্ছিল পাঁচ মিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা। আর নৌকায় উঠে পড়েই সে শুরু করে তীব্র ঝাঁকুনি, যা জেলে টেরি সেলউডের কাছে নাচের মত মনে হচ্ছিল। হতবিহবল মি. সেলউড এতটাই অবাক হয়ে যান এই ঘটনায়, যে তাড়াতাড়ি পালাতেও ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ইভান্স হেড নামক জায়গায় ঘটেছিল ঘটনাটি শেষে হাঙ্গর তার একটি হাত কামড়ে ধরার পরই তিনি সম্বিৎ ফিরে পান। এরপর রেডিওতে সাহায্য চেয়ে পাঠান। ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ইভান্স হেড নামক জায়গায়। উদ্ধারকারীরা যতক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছান, ততক্ষণে মি. সেলউডের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। আরো পড়ুন: ওমরাহ করার জন্য সবচেয়ে দামী ফুটবলার এখন মক্কায় ভারতে প্রকাশ্যে গরু জবাই করে প্রতিবাদ ইভান্স হেডের মেরিন রেসকিউ টিমের উদ্ধারকারী দলের একজন কর্মকর্তা বলছিলেন, নৌকাটির দৈর্ঘ্য পাঁচ মিটার। ফলে অতবড় হাঙ্গরটি উঠে পড়ার পর খুব বেশি জায়গাও ছিল না নৌকায়। সে কারণে হাঙ্গরটি কামড়ে দেয়া ছাড়াও নিজের পাখনা দিয়ে কয়েক দফা আঘাত করে মি. সেলউডকে। সেই সঙ্গে বিস্ময়জনিত কারণেও তিনি চলৎশক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে জানান উদ্ধারকারীরা। | ২০০ কেজি ওজনের হাঙ্গর যদি হঠাৎ উঠে পড়ে কোন জেলে নৌকায়, ভাবুন কি অবস্থা হতে পারে সেই জেলের? |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | শামীমা বেগম বর্তমানে ২১ বছর বয়স্ক শামীমা বেগম তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যুক্তরাজ্যে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এক সর্বসম্মত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাকে ব্রিটেনে ফিরতে না দিয়ে সরকার শামীমা বেগমের অধিকার লংঘন করেনি। তিনি এখন উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীর প্রহরাধীন একটি শিবিরে বাস করছেন। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ব লন্ডনের আরো দুজন স্কুলপড়ুয়া মেয়েসহ যুক্তরাজ্য ত্যাগ করে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া চলে যান, এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সাথে যোগ দেন। তখন শামীমা বেগমের বয়স ছিল ১৫। সেখানে তিনি একজন ডাচ জিহাদিকে বিয়ে করেন । দু বছর আগে ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ‘আইএস বধূ’ শামীমা বেগমকে নিয়ে কেন এতো হইচই? 'আইএস বধূ' ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমা দেশে ফিরতে চান 'শামীমা বেগমের বিষয়টি বাংলাদেশের কোন বিষয় নয়' সিরিয়ায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমার সন্তান প্রসব গ্যাটউইক বিমানবন্দরের সিসিটিভিতে : তিন স্কুল ছাত্রী খাদিজা সুলতানা (বাঁয়ে), শামিমা ও আমিরা আবাসি (ডানে)। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকা থেকে দুই বান্ধবী খাদিজা সুলতানা ও আমিরা আবাসি-সহ আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা বেগম। সিরিয়ায় গিয়ে এই তরুণী নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের তিনটি সন্তান হয় - কিন্তু তাদের সবারই অল্প বয়সে মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে লন্ডনের দৈনিক দি টাইমসের একজন সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমা বেগমের খোঁজ পান। ঐ সাংবাদিকের মাধ্যমে শামীমা বেগম ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন যে তাকে যেন ব্রিটেনে ফেরত আসতে দেওয়া হয়। সে অনুমতি না দিয়ে সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। সেসময় শামীমা বেগমের মা বাংলাদেশী - এ কারণে তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় চাইতে পারেন এমন কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছিলেন, শামীমা বেগম কখনোই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না এবং তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: খাসোগজি হত্যা রিপোর্ট প্রকাশের আগে সৌদি বাদশাহকে বাইডেনের ফোন মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে বিক্ষোভ, তদন্তের আশ্বাস সরকারের কারাগারেই মৃত্যু লেখক মুশতাক আহমেদের ৭ই মার্চের কর্মসূচি 'আওয়ামী লীগের দৃষ্টিকোণ থেকে না': বিএনপি বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের নতুন ট্রেনে ভারতীয়দের কী লাভ | লন্ডন থেকে পালিয়ে ইসলামিক স্টেটের সাথে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়া তরুণী শামীমা বেগমকে ব্রিটেনে ফেরার সুযোগ দেয়া হবে না বলে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | একদল মুসলিম এখন এই শহরে মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে, যা খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা বলছেন এর চেয়ে বরং মৃত্যুই তাদের কাছ শ্রেয়। "আকসুম আমাদের মক্কা," বলছিলেন সিনিয়র ধর্মীয় নেতা গডেফা মেরহা। তাদের বিশ্বাস ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোতে যেমন গির্জা নিষিদ্ধ তেমনি আকসুমেও কোনো মসজিদ থাকতে পারেনা। মিস্টার গডেফা বলেন, "আকসুম একটি পবিত্র স্থান। সিটি অফ মনেস্ট্রি"। "এখানে কেউ যদি মসজিদ নির্মাণ করতে আসেন তাহলে আমরা মরব। কখনোই এটা মেনে নেয়া হবেনা। আমাদের জীবদ্দশায় এটা আমরা অনুমোদন করবোনা"। যদিও 'জাস্টিস ফর আকসুম মুসলিম' ব্যানার নিয়ে একদল মুসলিম ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা বলছেন মসজিদ নির্মাণ ও প্রার্থনার সুযোগ পাওয়া তাদের অধিকার। আর মুসলিমদের এ তৎপরতায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে সেখানকার অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। বাংলাদেশের মসজিদ মানুষ কখন ও কেন কথা বলতে শিখলো? বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বিড়ম্বনা, যা জানা প্রয়োজন অনেক মুসলিম বাস করেন আকসুমে যদিও সেখানকার অনেকে বিশ্বাস করেন যে এ বিতর্ক অর্থহীন কারণ প্রাচীন এ শহরটি অনাদিকাল থেকেই ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য সুপরিচিত। ধর্ম দুটির অনুসারীদের মতে ইসলামের সূচনালগ্নে মক্কায় অমুসলিম শাসকদের অত্যাচারে পালিয়ে প্রথম মুসলিমরা এসেছিলো এই শহরে। তখনকার খ্রিস্টান রাজা তখন তাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। আর মূলত আরব উপত্যকার বাইরে এটাই ছিলো মুসলিমদের প্রথম কোনো উপস্থিতি। এখন আকসুমের ৭৩ হাজার অধিবাসীর দশ শতাংশই মুসলিম। আর ৮৫ ভাগ হলো অর্থোডক্স খ্রিস্টান। আর পাঁচ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মের অন্য ধারার অনুসারী। মুসলিমের বাইরে প্রার্থনায় বাধ্য করা হচ্ছে শহরের মুসলিমদের একজন ৪০ বছর বয়সী আব্দু মোহাম্মেদ আলী। তিনি বলছেন খ্রিস্টানদের একটি বাড়িই তারা কয়েক প্রজন্ম ধরে প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন। "আমাদের তেরটি অস্থায়ী মসজিদ আছে। শুক্রবারে আমরা যদি মাইক ব্যবহার করি তাহলে তারা বলে যে আমরা সেন্ট ম্যারিকে অসম্মান করছি"। চিকিৎসক আজিজ মোহাম্মেদ প্রায় বিশ বছর ধরে আকসুমে বাস করছেন। তিনি বলছেন মসজিদ না থাকায় অনেক মুসলিম খোলা জায়গায় প্রার্থনা করতে বাধ্য হয়। "এখানে আমরা মুসলিম ও খ্রিস্টানরা একসাথেই বাস করি। খ্রিস্টানরা বাধা দেয়না কিন্তু বহু বছর ধরেই আমরা রাস্তায় প্রার্থনা করছি। আমাদের একটি মসজিদ দরকার"। অস্থায়ী মসজিদ আছে কয়েকটি আমাদের শান্তিতে থাকতে হবে' প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে যখন ইথিওপিয়ায় সম্রাট হাইল সেলেসি ক্ষমতায় ছিলেন তখন আকসুমেও একই রকম মতপার্থক্য দেখা দেয়। রাজ পরিবারের সদস্য, যিনি শহরের তখনকার নেতা ছিলেন তিনি একটি সমঝোতা করে দেন। যার ফলে মুসলমানরা ভুকিরো-মারে শহর থেকে প্রায় পনের কিলোমিটার দূরে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিল। ওই শহরে মুসলিমদের জন্য রান্নার কাজ করেন কেরিয়া মেসুদ। তিনি বলছেন, "মসজিদের জন্য আমরা জোর করতে পারিনা। আমাদের শান্তিতে থাকতে হবে"। গডেফা মেরহা অবশ্য বলছেন উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে এবং উভয়ের মধ্যে ইব্রাহীম নবী সম্পর্কীয় কিছু একই বিশ্বাস কাজ করে। তিনি বলেন তার বেস্ট ফ্রেন্ড হলো একজন মুসলিম এবং তারা এক সাথেই বিয়ে, শেষকৃত্যের মতো অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দেন। তার বিশ্বাস ইথিওপিয়ার অন্য অঞ্চলের মুসলমানরা আকসুমে মসজিদ বানানোর এই প্রচারণার পেছনে আছে। কিন্তু অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা আকসুমের পবিত্রতা রক্ষায় সেটি হতে দেবেনা। তবে অনেকেই আশা করছেন সম্রাট হেইলি সেলাসিসের সরকার একটি সমঝোতা তৈরি করতে পারবেন। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদের বাবা একজন মুসলিম ছিলেন আর মা খ্রিস্টান। রিজিওনাল কাউন্সিল অফ মুসলিম বলছে তারা খ্রিস্টানদের সাথে আলোচনা করবেন। "আমরা আশা করি খ্রিস্টানরা মসজিদ নির্মাণে সহায়তাই করবেন,"বলছেন কাউন্সিল কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাহসে। | একদল মুসলিম এখন এই শহরে মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে, যা খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | জুনায়েদ জামশেদ জুনায়েদ জামশেদ নামের এই পপ শিল্পী একসময় ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও পরে ইসলাম ধর্মের ক্যাম্পেইনার বা প্রচারকে পরিণত হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে যে নবী মোহাম্মদের একজন স্ত্রী সম্পর্কে তিনি মানহানিকর মন্তব্য করেছেন। তার সেই বক্তব্য ক্যামেরয়া ধারণ করা আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি মোহাম্মদের সবচে ছোট স্ত্রী আয়েশা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। জুনায়েদ জামশেদ একটি সুন্নি মুসলিম সংস্থার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি। তারপরই ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে যায় এবং অপর একটি সুন্নি গ্রুপ তার বিরুদ্ধে ইসলামের অবমাননা বা ব্লাসফেমি মামলা দায়ের করে। এর পরপরই মি. জামশেদ আরো একটি ভিডিও ছেড়েছেন যেখানে তিনি তার মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ব্লাসফেমি আইন পাকিস্তানে অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রায়শই অভিযোগ করে থাকে যে ব্যক্তিগত স্বার্থে সংখ্যালঘু ও দরিদ্রের বিরুদ্ধে এই আইনটি প্রয়োগ করা হয়। | পাকিস্তানের পুলিশ সেদেশের সাবেক একজন পপ তারকার বিরুদ্ধে ইসলামের অবমাননার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | বিশেষজ্ঞরা বলছেন আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন এই ধারণা অবান্তর। আমরা বিভিন্ন সময়ে উপদেশ শুনি রাতে ভালো ঘুমের জন্য শোবার ঘর থেকে টিভি সরিয়ে ফেলুন, ভালো একটা আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থা করা। মোবাইল ফোন সহ সব প্রযুক্তিগত জিনিস এক, দুই ঘণ্টা আগে বন্ধ করতে হবে। কিন্তু যদি আপনি অভিজাত স্তরের ঘুম ঘুমাতে চান তাহলে কী করতে হবে? নিক লিটলহেলস একজন ঘুমের কোচ। তার লক্ষ্য হল ক্রীড়াবিদরা যাতে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে শরীরের ধকল একদম কাটিয়ে উঠতে পারে। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মত বড় বড় ক্লাবের সাথে কাজ করেছেন। তার দেয়া কিছু টিপস এখানে উল্লেখ করা হল। চেষ্টা করলে আপনিও হয়ত একজন প্রিমিয়ার লীগ খেলোয়াড়ের মত ঘুমাতে পারবেন। আমাদের ঘুম ৯০ মিনিটের চক্র অনুযায়ী চলে। অর্থাৎ দেড়ঘন্টা পর আপনার ঘুম ভাঙ্গতে পারে। ঘণ্টা হিসেব করে ঘুম নয় নিক বলছেন প্রতি মানুষের জন্য আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন এই ধারণা অবান্তর। তিনি বলছিলেন, আমাদের ঘুম ৯০ মিনিটের চক্র অনুযায়ী চলে। অর্থাৎ দেড়ঘন্টা পর আপনার ঘুম ভাঙ্গতে পারে। তাই আপনি যদি সকাল সাড়ে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে চান তাহলে প্রতি দেড় ঘণ্টা অন্তর অন্তর আপনার ঘুমের সাইকেল চলতে থাকে। দিনের মধ্যভাগে ঘুম হল দ্বিতীয় স্বাভাবিক ঘুমের সময় অল্প কিন্তু ঘন ঘন ঘুমান দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে যখন অবশ্যই আপনি বিশ্রাম নিতে চাইবেন। দিনের মধ্যভাগে ঘুম হল দ্বিতীয় স্বাভাবিক ঘুমের সময়। এবং আরেকটি বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭টা। অনেক অ্যাথলেট ঘুমের এই স্বাভাবিক সময় মেনে চলেন। ঘুম পরবর্তী পরিকল্পনা ঘুমের পর আপনি কী করবেন সেটা সম্পর্কে আগেই পরিষ্কার একটা পরিকল্পনা করে রাখুন। তিনি বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে আপনি কী করছেন সেটাই নির্ধারণ করে আপনি কতটা ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবেন। লাইট থেরাপি ডিভাইস নিক বলছেন যদি আপনি ঘুম থেকে উঠতে না পারেন তাহলে লাইট থেরাপি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন। যেটা অন্ধকার ঘরে সূর্য উঠা এবং ডোবার পরিবেশ তৈরি করবে। বড় বিছানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বড় বিছানা দরকার ঘুমের এই কোচ বলছেন ভালো ঘুমের জন্য আপনার ঘরে যত বড় বেড রাখা যায় তত বড় বেড রাখুন। কারণ ভালো ঘুমের জন্য বড় বিছানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন ঘুমের মধ্যে নাক দিয়ে নিশ্বাস নেয়ার অভ্যাস করুন। কারণ মুখ দিয়ে নিশ্বাস নেয়ার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং ভালো ঘুম নাও হতে পারে। | আপনি কি ভালোভাবে ঘুমাতে চান? এই প্রশ্নটি আপনি যত মানুষের কাছে জানতে চাইবেন উত্তর পাবেন 'হ্যাঁ'। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ওপুকোয়া কোয়াপং বলছেন, প্রযুক্তি তার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে নাম ওপুকোয়া কোয়াপং। তিনি একা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের একটি বাড়িতে। সেখান থেকে তিনি কথা বলছিলেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহরে বসবাসকারী তার বোন আদুমেয়া সাপোং-এর সাথে। তখন মিসেস সাপোং তার বোনের মুখে এক ধরনের পরিবর্তন দেখতে পান। তার কাছে মনে হয় যে তার বোন আসলে দেখতে যেরকম তাকে ঠিক সেরকম দেখাচ্ছে না। তার বোনের কণ্ঠ ভেঙে পড়ছে - এটা টের পাওয়ার পরপরই তিনি একটা ব্যবস্থা নেন যা তার বোনকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। মিস কোয়াপং বলছেন, তিনি বুঝতে পারছিলেন না তার পরিস্থিতি কতোটা গুরুতর হয়ে উঠেছিলো। ৫৮ বছর বয়সী এই নারী জানান, তিনি যখন দুপুরবেলা ঘুম থেকে জেগে উঠেন তখনই তার বোন সাপোং তাকে ফেসটাইমে ফোন করেছিলেন। এটা আইফোনে ভিডিও ফোনের একটি ফিচার। মিস কোয়াপং বলেন, "আমার বোন আমার দিতে তাকালো এবং বললো যে আমার মুখটা নাকি ঠিক দেখাচ্ছে না। "সে আরো বললো আমার কথা নাকি জড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো সে আমাকে নিয়ে মজা করছে। আমি তার কথা বিশ্বাস করিনি।" মিসেস সাপোং বলেন, "আমি যখন ওকে ফোন করি সে বলছিলো যে সে নাকি ভালো ফিল করছে না। তার নাকি ক্লান্ত লাগছিলো। এমনকি তার নাকি হাঁটতেও অসুবিধা হচ্ছিলো। "আমি তাকে বললাম, তোমার হয়তো এসপিরিন খেতে হবে। সে একটা গ্লাস হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু পারছিলো না। তখন আমি ফেস টাইম ভিডিও কলে দেখলাম যে তার মুখ বাঁকা হয়ে ঝুলে পড়ছে। আমি তখন ফোন রেখে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে বলি।" "সে ভাবলো আমি তার সাথে মজা করছি। তখন আমি আমার আরো এক বোনের সাথে যোগাযোগ করি। সে একজন ডাক্তার। সেও দেখলো যে তার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। তখন আমরা দু'জনেই তাকে বলি জরুরী লাইনে ফোন করে সাহায্য চাইতে।" মিস কোয়াপং তখন ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ক্যান করে দেখা যায় তার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। এই স্ট্রোকের পর তার শরীরের বাম দিক অবশ হয়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক শহরের একটি বাড়িতে একা থাকেন ওপুকোয়া কোয়াপং মিস কোয়াপং, যিনি নিজেও একজন খাদ্য বিজ্ঞানী, বলেছেন, ফেসটাইম যে আমার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। "আমার বোন যদি এটা লক্ষ্য না করতো, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকমও হতে পারতো।" তিনি বলেন, যেহেতু তিনি খুব বেশি চলাফেরা করতে পারেন না সেকারণে তিনি ভিডিও কনফারেন্সিং-এর উপর অনেক বেশি নির্ভর করে থাকেন। মিসেস সাপোং বলেন, "ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আমরা প্রচুর নেতিবাচক কথা শুনি। তবে প্রযুক্তি যে ভালো কিছুও হতে পারে সেটা তার একটা উদাহরণ। স্ট্রোকের ব্যাপারে লোকজনকে সচেতন করতে কাজ করছেন এমন একজন এসমি রাসেল বলেন, "যে কারোরই স্ট্রোক হতে পারে, যেকোনো বয়সে, যেকোনো সময়ে এটা হতে পারে। সেকারণে মানুষকে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তখন হয়তো জীবন বাঁচানোও সম্ভব হতে পারে। মিসেস সাপোং বলেন, "ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আমরা প্রচুর নেতিবাচক কথা শুনি। তবে প্রযুক্তি যে ভালো কিছুও হতে পারে সেটা তার একটা উদাহরণ মস্তিষ্কের কোনো একটা অংশে রক্ত জমাট হয়ে তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে কিম্বা রক্তক্ষরণের কারণে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। কিভাবে বোঝা যায় এধরনের কিছু একটা দেখলেই জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। | ফেসটাইম ভিডিওতে এক নারী তার বোনের সাথে কথা বলছিলেন। সেসময় তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং সেটি তার বোনের চোখে পড়ায় তার জীবন বেঁচে গেছে। সুস্থ হয়ে উঠার পর তিনি বলছেন, প্রযুক্তি তার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | কে কে মুহাম্মদ কেরালার উত্তরপ্রান্তে কালিকটের বাসিন্দা তিনি, ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ছেষট্টি বছরের প্রৌঢ় এখন সেখানেই দিন কাটাচ্ছেন। এখনও মাঝে মাঝে অবশ্য উৎসাহী পর্যটকদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন, হাম্পি থেকে বটেশ্বর - ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নানা আর্কিওলজিক্যাল সাইটে তাদের নিয়ে 'গাইডেড ট্যুর' করান। আর এ কাজে তার রীতিমতো 'হাই-প্রোফাইল' অভিজ্ঞতা আছে - মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন বছরকয়েক আগে ভারত সফরে এসেছিলেন, দিল্লির বিভিন্ন প্রত্নকীর্তিতে তার 'ট্যুর গাইড'ও ছিলেন কেকে মুহাম্মদ। তারও বহু আগে পাকিস্তানের তখনকার প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ যখন আগ্রা সফরে এসেছিলেন, তাকেও তাজমহল ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল এই প্রত্নতত্ত্ববিদের ওপর। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'বাবরি মসজিদ অক্ষত থাকলে কি এই রায় কখনও আসত?' কেন মন্দির বানানোর পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট? মন্দির তৈরির পক্ষেই রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৬ সাল থেকে এই বাবরি মসজিদ চত্ত্বরেই শুরু হয় প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁড়াখুঁড়ি কিন্তু এখন সহসা সারা ভারত জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি - আর তার পেছনে আছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভেতে কর্মরত অবস্থায় তার নেতৃত্বে প্রস্তুত করা একটি রিপোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানে মন্দির বানানোর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট শনিবার যে রায় দিয়েছে, তার পেছনে এই প্রত্নতাত্ত্বিক রিপোর্টটির গুরুত্ব ছিল বিরাট। মূলত ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা মেনে নিয়েছেন, বাবরি মসজিদের স্থাপনার নিচেও বহু পুরনো আর একটি কাঠামো ছিল - যেটি 'ইসলামি ঘরানায়' নির্মিত নয়। বস্তুত ওই রিপোর্টেই প্রথম স্পষ্টভাবে দাবি করা হয়েছিল, বাবরি মসজিদ চত্ত্বরে মসজিদ প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকেই একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ত্ব ছিল। সেই জন্যই রায় ঘোষণার পর তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কে কে মুহাম্মদ বলতে দ্বিধা করেননি, "এটা একেবারে পারফেক্ট জাজমেন্ট। আমার মতে এর চেয়ে ভাল রায় আর কিছু হতেই পারে না!" আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার লোগো মন্দির বানানোর রায়ের মধ্যে দিয়ে তার দীর্ঘদিনের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও পরিশ্রমই স্বীকৃতি পেল, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু একজন মুসলিম হয়েও তিনি কীভাবে অযোধ্যার বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানে মন্দির ছিল বলে আজীবন সওয়াল করে এসেছেন, তার জন্য নিজের সমাজের লোকজনের কাছ থেকে বহু অপবাদও শুনতে হয়েছে। "চিরকাল আমাকে এজন্য নানা গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আবার এটাও বলব, কোনও কোনও মুসলিম কিন্তু প্রকাশ্যেই আমাকে সমর্থন করেছেন।" "এমন কী, খোদ লখনৌতেও আমি বহু মুসলিমের সাপোর্ট পেয়েছি", জানাচ্ছেন কে কে মুহাম্মদ। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদকে ঘিরে যে পরিসর, সেখানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছিল ১৯৭৬ সালে। রামমন্দির বানানোর লক্ষ্যে অযোধ্যাতে জড়ো করা 'শ্রীরাম' লেখা ইঁটের স্তূপ। ১৯৯২ তখন সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ভারতের বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ড: বি বি লাল, তার অধীনেই একজন তরুণ গবেষক হিসেবে যোগ দেন কে কে মুহাম্মদ। তার বয়স তখন সবেমাত্র কুড়ির কোঠায়, ইতিহাসে মাস্টার্স করে সদ্যই বেরিয়েছেন আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে। বাবরি মসজিদ চত্ত্বরে সেই খোঁড়াখুঁড়িতেই 'মন্দির প্রণালী', 'অভিষেক জল' বা 'মগর (কুমীর) প্রণালী'র মতো বিভিন্ন চিহ্ন বা স্মারক মিলেছিল বলে জানাচ্ছেন তিনি, যেগুলো থাকত হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে। "কুমীর প্যাটার্নের ওই ধরনের স্থাপনা কখনও মসজিদে থাকত না।" "তা ছাড়া মানুষ ও পশুপাখির বহু টেরাকোটা মোটিফও আমরা পেয়েছিলাম, যেগুলো মুঘল আমলের কোনও মসজিদে কখনওই দেখা যেত না", ভারতের রিডিফ ডটকম পোর্টালকে এদিন বলেছেন কে কে মুহাম্মদ। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে 'পারফেক্ট জাজমেন্ট' বলে বর্ণনা করছেন কে কে মুহাম্মদ পরে এই সব 'সাক্ষ্যপ্রমাণে'র ভিত্তিতেই ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ তাদের রিপোর্টে এই উপসংহারে পৌঁছয় যে বাবরি মসজিদ স্থাপনারও অনেক আগে সেখানে হিন্দুদের একটি মন্দির ছিল। সেই রিপোর্টেরই মূল প্রণেতা ছিলেন কে কে মুহাম্মদ। তিনি পরে উত্তর ভারতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অধিকর্তা হিসেবে অবসর নেন। তবে সেই প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর, ভারতের অনেক বিশেষজ্ঞই ওই রিপোর্টের বিষয়বস্তু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা রিপোর্টটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। কে কে মুহাম্মদ জানাচ্ছেন, "ইরফান হাবিবের মতো বামপন্থী ইতিহাসবিদরা তখন খুব প্রভাবশালী ছিলেন।" "ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব হিস্টোরিকাল রিসার্চে তখন তিনি ও তার মতো বাম ঘরানার লোকজনেরই দাপট, ফলে তারা আমাদের গবেষণাকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি", রিডিফ ডটকম পোর্টালকে বলেছেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন থেকে কী কী সেবা পাবে জনগণ রুশ অধ্যাপকের ব্যাগে প্রেমিকার কাটা হাত ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব কিন্তু এতদিন বাদে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত যে তাদের ওই রিপোর্টটিকে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দিল ও সেটির ভিত্তিতেই রায় ঘোষণা করল, তাকে জীবনের 'শ্রেষ্ঠ সম্মান' বলেই মনে করছেন কেকে মুহাম্মদ। প্রত্নতত্ত্বে অবদানের জন্য এ বছরই ভারত সরকার তাঁকে বেসামরিক খেতাব পদ্মশ্রীতে ভূষিত করেছে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ তাঁর হাতে সেই সম্মান তুলে দিয়েছেন। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর থেকেই ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতে কে কে মুহাম্মদকে নিয়ে তুমুল চর্চা ও তর্কবিতর্কও শুরু হয়ে গেছে। অনেকে যেমন ওই অযোধ্যা রিপোর্টের জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করছেন, তেমনি অনেকের কাছ থেকে নিন্দামন্দও জুটছে। কালিকটে 'কেকে', বিশ্রামের মুহুর্তে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা। যাতে বলা হচ্ছে, "বৈচিত্র্যের মধ্যে এই ঐক্যটাই ভারতের সৌন্দর্য! এ জিনিস শুধু ভারতেই সম্ভব!" "একজন হিন্দু আইনজীবী (রাজীব ধাওয়ান) এদেশে মসজিদের জন্য প্রাণপণ সওয়াল করেন!" "আবার একজন মুসলিম প্রত্নতত্ত্ববিদ (কে কে মুহাম্মদ) মন্দিরের পক্ষে রিপোর্ট লিখতেও ভয় পান না!" | সদা হাসিমুখ ভদ্রলোকের পুরো নাম কারিঙ্গামান্নু কুঝিয়ুল মুহাম্মদ। বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনরা অবশ্য তাকে 'কেকে' নামেই ডাকেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | উর্দুভাষী আবদুল কাইয়ুম খান এদের বেশিরভাগ ছিলেন বিহারের অধিবাসী। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে তারা বিহারী নামে পরিচিত। বিহারীদের একাংশের আশা ছিল পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের নাগরিক হবেন। আব্দুল কাইয়ুম খান তাদের মধ্যে একজন। যিনি দেশ ভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে এসে পাকিস্তানের নাগরিক হওয়ার অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই আশা তার পূরণ হয় নি। সৈয়দপুরের হাতিখানা কায়েম ক্যাম্পে আবদুল কাইয়ুম খানের বসবাস। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর মি. খান এবং তার সাত ভাই চলে আসেন এই পারে। তাদের পূর্ব পাকিস্তানে আসার মূল কারণ ছিল কয়েকটি। মি. খান বলছিলেন "সেই সময় বিহারের হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা একটা বড় কারণ আমাদের এপারে চলে আসার জন্য। তারপর ভাষা এবং ধর্ম আরো দুইটি কারণ"। সৈয়দপুরের হাতিখানা কায়েম ক্যাম্পে আবদুল কাইয়ুম খানের সাথে কথা বলছেন ফারহানা পারভীন মি. খানের ভাষায় "পাকিস্তান আমাদের দেশ আছে, ইন্ডিয়া হিন্দুদের দেশ আছে। তো আমরা আমাদের দেশে আসতে চেয়েছি। কিছুদিন পর থেকে গেল বাঙ্গালী-বিহারী মারামারি-কাটাকাটি"। মি. খান এবং তাঁর ভাইদের সম সময়ের ইচ্ছা ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের নাগরিক হওআর। তিনি বলছিলেন "আমাদের ক্যাম্প করে দিল আইসিআরসি (ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস সোসাইটি)। পাকিস্তান যাবো, পাকিস্তান যাবো এটাই ছিল আমার মুখের বুলি। কিন্তু আজ পর্যন্ত যেতে পারিনি"। পাকিস্তান সরকার তাদের যেমন নেয়নি তেমনি তারা বিহারে পূর্ব-ভিটায় ফিরে যেতে পারেননি। ১৯৪৭ সালে অনেকেই ভারত ছেলে চলে আসেন ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার উর্দুভাষীদের জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে দেয়। "আমরা কী করতাম? আমরা যাইতে পারছি না, কাউকে বলতে পারছি না। তারপর বললাম ঠিক আছে আমাদের কার্ড করে দাও" বলছিলেন তিনি। মি. খানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এখনো কি যেতে চান পাকিস্তানে? উত্তরে তিনি বললেন " আমাদের মন ভাঙ্গে গেছে। আমরা হাজার বার পাকিস্তানের নাম মুখে নিয়েছি কিন্তু পাকিস্তান একবারো আমাদের নাম নেয় নি"। আমরা পাকিস্তানকে দেখতে চাইনা, ওখানে যেমন বোমা হামলা হচ্ছে, মানুষ মরছে প্রতিদিন- এখানে তো তেমনটা নেই। এখানে যাই হোক কিছু করে খেতে পারছি, থাকার জায়গা তো একটা পাইছি"। | ভারত-ভাগের ফলে ৭০ বছর আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অনেক মুসলমান উর্দুভাষীরা চলে আসেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | জনস্রোতের অংশ এই শিশু চলেছে বাবার ঘাড়ে চড়ে। এদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশু, যাদের বাবা-মা নিজ দেশের দারিদ্র্য, অপরাধ, আর সহিংসতা থেকে শিশুদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘ বলছে, গোড়াতে এই বহরে লোক ছিল ১০০০ জন । এখন এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭,০০০ জনে। পর্যবেক্ষকরা একে 'জনস্রোত' বলে বর্ণনা করেছেন। ফটোসাংবাদিক এনকার্নি পিনদাদো গুয়াতেমালা-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে এদের অনুসরণ করেন। এই দলটি গত ১৩ই অক্টোবর হন্ডুরাসের অপরাধ-জর্জরিত শহর সান পেদ্রো সুলা থেকে যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে তারা পায়ে হেঁটে গুয়াতেমালার সীমান্ত অতিক্রম করে। এই বহরে একজন অভিবাসীর প্ল্যাকার্ডে লেখা: "অভিবাসন কোন অপরাধ নয়।" তাদের শেষ লক্ষ্য আমেরিকায় যাওয়া যেখানে, তারা বলছেন, অপরাধ জগত থেকে দূরে তারা নতুন করে জীবন শুরু করতে চান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, তিনি এই কাফেলাকে কোনমতেই যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবেন না। আগামী ৬ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-মেয়াদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি এই ইস্যুটিকে রিপাবলিকান পার্টির স্বার্থে ব্যবহার করে ভোট চাইছেন। টুইটারে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "যখনই দেখবেন কোন কাফেলা বা মানুষ অবৈধভাবে ঢুকছে বা ঢোকার চেষ্টা করছে, তখনই মনে রাখবেন যে ডেমোক্র্যাটরা দেশের অভিবাসন আইনে পরিবর্তন করতে দেয়নি।" আরেকটি পোস্টে মি. ট্রাম্প দাবি করেন যে "অপরাধী এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন" এই কাফেলায় যোগ দিয়েছে। যদিও তিনি এই কথার কোন ব্যাখ্যা দেননি। এই জনবহরে যে অভিবাসীরা রয়েছেন, তাদের একজন একটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। এতে লেখা ছিল "অভিবাসন কোন অপরাধ নয়।" হন্ডুরাস থেকে ৭০০০ মানুষের ঢল। এরা মেক্সিকোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এরা গত সপ্তাহে পায়ে হেঁটে গুয়াতেমালা পার হন এবং মেক্সিকোর সীমান্তে গিয়ে পৌঁছান। এই এই কাফেলার বেশিরভাগ যাত্রী এসেছেন হন্ডুরাস থেকে। অনেকের ব্যাক-প্যাকে হন্ডুরাসের পতাকা লাগানো ছিল। এরা যখন সীমান্তে বিভাজনকারী সেতুর কাছে এসে পৌঁছান তখন ওপারে অপেক্ষা করছিল মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর শতশত কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্য। মেক্সিকোর সরকার এর আগে বলেছিল যে এই বহরে যাদের কাছে কোন পাসপোর্ট কিংবা সঠিক ভিসা নেই তাদের আটক করা হবে। তবে দিনের শেষে তারা শুধুমাত্র ৩০০ লোকের কাগজপত্র যাচাই করতে পেরেছিল। টিয়ার গ্যাসের শিকার বাবা ছেলে। ছয় দিন ধরে বিরতিহীন হাঁটার পর প্রচণ্ড গরমে কোন কোন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সীমান্তের এপারে অপেক্ষমান এই অভিবাসীদের অনেকেই পুলিসের আচরণে ক্ষেপে ওঠেন। এরপর শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ঢিল ছোঁড়া, এবং পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ। এই হট্টগোলের মাঝে বেশ কিছু শিশু তাদের মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টিয়ারগ্যাসের শিকার এই বাবা তার ছেলেকে কোলে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন। সীমান্তে ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ৬০০ লোককে মেক্সিকোতে ঢুকতে দেয়া হয়। নদীপথে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছেন ক'জন অভিবাসী। বাকিরা ভিন্ন উপায়ে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। কোন কোন অভিবাসীকে ভেলায় করে উদ্ধার করা হয়। যারা মেক্সিকোতে ঢুকতে পেরেছেন, তাদের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। তারা কাছের শহর সিউদাদ হিডালগো জড়ো হন। এসময় স্থানীয় লোকজন নাচগান করে তাদের স্বাগত জানায়। শহরে যে স্কয়ারে অভিবাসীরা রাত কাটান কিছু স্থানীয় বাসিন্দা তাদের জন্য খাবার, পানি এবং কাপড়চোপড় রেখে আসেন। তাপাচুরা শহরে রাত কাটাচ্ছেন অভিবাসীরা। ছবি তুলেছেন এনকার্নি পিনদাদো এবং সব ছবির সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। | মধ্য আমেরিকার ক'টি দেশ থেকে শত শত মানুষের এক কাফেলা এখন মেক্সিকো অতিক্রম করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে টুইট নিয়ে পুরো বিশ্বে চলে তুমুল আলোচনা-হাস্যরস পুরো দুনিয়া জুড়ে এ নিয়ে তোলপাড় - এটি কি একটা গোপন বার্তা? যদি তাই হয়, তাহলে কার জন্যে ছিল সেই সিক্রেট মেসেজ? রাশিয়া? শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে হলো হোয়াইট হাউজকে। কিন্তু তাতে কি রহস্য কেটেছে, না-কি আরও ঘনীভূত হয়েছে? মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি টুইট করেছিলেন, তাতে ছিল ঐ শব্দটি - কভফেফে। এমন একটি শব্দ, যার আভিধানিক কোন অর্থ নেই। তিনি লিখেছিলেন, 'ডেসপাইট দ্যা কনস্ট্যান্ট নেগেটিভ প্রেস কভফেফে' - অর্থাৎ 'অব্যাহত নেতিবাচক প্রেস কভফেফে সত্ত্বেও'। শুধু ঐটুকুই - এরপর পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই প্রেসিডেন্ট হয়তো চলে গিয়েছিলেন বিছানায়, নিজের চিন্তার বিষয়টিতে সমাপ্তি না টেনেই। টুইটার ঝড়ের পর বুধবারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেখা গেল বেশ খোজ মেজাজেই সারারাত ধরে টুইটটি ছিল, আর এরপর বুধবার সকালেই বলা যায় ভেঙ্গে পড়ে ইন্টারনেট। এ নিয়ে শুরু হয় নানা কৌতুক, টিক্কা-টিপ্পনী, আমোদ-হুল্লোড় - মজা করতে থাকেন পুরো বিশ্বের ইন্টারনেট জগতের মানুষেরা। বুধবারে হোয়াইট হাউজের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক এ নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রেস সচিব শন স্পাইসারকে। তিনি জানতে চান যে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সত্যিই উদ্বেগের কিছু আছে কি-না। জবাবে মি. স্পাইসার ঐ টুইট নিয়ে যা বলেন, তাতে বরং রহস্য আরও বাড়ে। মি. স্পাইসারের উত্তর ছিল: "না, প্রেসিডেন্ট এবং মাত্র অল্প কয়েকজনই জানেন তিনি সত্যিকার অর্থে কী বলতে চেয়েছেন"। ছয় ঘণ্টারও বেশী সময় পর মি. ট্রাম্প নিজেই টুইটটি মুছে দিয়ে আরেকটি টুইট করেন - "কভফেফের সত্যিকার মানে কে বের করতে পেরেছে??? উপভোগ করুন"। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নিজেও রহস্য খোলাসা করেননি, বরং সবাইকে খানিকটা খোঁচা মেরেছেন বলেই মনে হয়। তবে এরই মধ্যে মাতামাতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটের পর মজার মজার সব টুইটের ঝড় ওঠে কেউ কেউ টি-শার্ট বানিয়ে ফেলেছেন এই শব্দ লিখে, যা আবার বিক্রি হয়েছে ই-বে সাইটে। কেউ একজন 'কভফেফে ডট ইউএস' এই ডোমেন নাম কিনেও ফেলেন। তৈরি হয় একের পর এক মেমে। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী জানান যে তাঁরা ভালো করে ঘুমাতেও পারেননি, কারণ সবারই চেষ্টা ছিল কে কার চেয়ে এক কাঠি বেশী সরেস জবাব দিতে পারে। আমেরিকার সেলেব্রিটি কমেডিয়ান জিমি কিমেল তাঁর টুইটে লেখেন: "যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশী বিষণ্ণ করেছে তাহলো আমি জানি আমি কখনোই কভফেফের চেয়ে হাস্যকর কিছু লিখবো না।" আর এরপর ইউরোপ জেগে ওঠার পর শুরু হয় আরেক দফা হৈচৈ। ঐ শব্দ নিয়ে টুইটার অ্যাকাউন্টও তৈরি হয় - 'কভফেফে দ্যা স্ট্রং' নামের এক অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয় যে মি. ট্রাম্পের অদ্ভুতুড়ে শব্দ তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। হোয়াইট হাউজে প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার 'কভফেফে'-এর কোন মানে করতে না পারলেও ধারণা করা হচ্ছে যে এটি ছিল টাইপের ভুল এবং প্রেসিডেন্ট আসলে "কাভারেজ" শব্দটি লিখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাক্যটি শেষ না করেই তিনি টুইটটি পোস্ট করে দেন, আর কেউ হয়তো ভুলটি ধরিয়েও দেননি। পরের দিন সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন টুইট জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নেয়ার পরও মি. ট্রাম্প টুইটারে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টুইট করেই যাচ্ছেন। তাঁর যুক্তি হলো, এর ফলে তিনি আমেরিকান জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। মাঝেমধ্যেই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন এসব টুইটের মাধ্যমে - বানান ভুলও করেন হরহামেশা। কিন্তু তাঁর কোন টুইটই - যাকে এখন ট্রাম্পিজম বলা হচ্ছে - এতটা আলোড়ন তুলতে পারেনি, যতটা তুলেছে "কভফেফে"। মি. ট্রাম্পের এই টুইট কিন্তু নজর এড়ায়নি নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের। ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি এ নিয়ে রীতিমতও মজা করেন। তাঁর মন্তব্য ছিল: "আমার মনে হয়েছিল এটা রাশানদের জন্যে একটা গোপন বার্তা"। আরও পড়ুন: বনানীতে দুই ছাত্রীকে 'ধর্ষণের আলামত' পাওয়া যায়নি ‘প্রতিবন্ধী মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ করার ব্যবস্থাও করা হয়’ ডা: ইকবাল জানেন না সাত মাস তিনি কোথায় ছিলেন | একটি মাত্র শব্দ যে ইন্টারনেটকে মাতিয়ে তুলতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ড. কামাল হোসেন। রাজনৈতিক নেতাদের দল বদলের ঘটনা দেশটিতে নতুন কিছু নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব দল পরিবর্তনের ঘটনা দেখা যায় ছোট দল থেকে বড় দলের রাজনীতিবিদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে। অথবা ক্ষমতা কিম্বা মন্ত্রিত্বের আকর্ষণে। কিন্তু গণফোরাম একটি ছোট দল হওয়ার পরেও এখন কেন এই দলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে? সর্বশেষ গণফোরামে যোগ দিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবু সাইয়িদ। তিনি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পাবনার বেড়া এবং সাঁথিয়া এলাকায় নির্বাচন করছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি আওয়ামী লীগে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন এবং এরপর দল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। তার আগে আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন সাবেক নেতা গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। গণফোরামের নেতারা বলছেন, তাদের দলের দীর্ঘ ২৫ বছরের রাজনীতিতে এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের দলে অনেকে ভিড় করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলছিলেন, এখন দলবদলের পিছনে নির্বাচনে আসন পাওয়া ছাড়া আদর্শ বা অন্য কোন বিষয় নেই। "তারা যাচ্ছেন সিটের জন্য। ঐ যে আপনার আসন ছেড়ে দেবে বিএনপি এবং ড: কামাল হোসেনের কারণে এখন গণফোরামের নামটা প্রমিনেন্টলী এসে গেছে। এই গণফোরামে যাওয়াটা শুধুমাত্র সিট পাওয়ার জন্য। আর কোন কারণ তো আমি খুঁজে পাচ্ছি না।" শেখ হাসিনার সাথে ড. কামাল হোসেন। আরো পড়তে পারেন: জনগণের বুকে গুলি চালাবেন না: তারেক রহমান শেখ তন্ময়কে নিয়ে হইচই, তিনি কতটা জানেন? বেঁচে থাকার জন্যে কেন ৫৩৬ খৃস্টাব্দ ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ? ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনে চুরির প্রতিবাদ "সরাসরি বিএনপিতে যেতে একটু লজ্জা করে। আপনি এতদিন বিএনপির সবকিছু খারাপ বলে, হঠাৎ বিএনপিতে গেলে আপনার আশে পাশের লোকেরাও তো আপনার সমালোচনা করবে।" "এতদিন যারা আওয়ামী লীগের ছাতা নিয়ে ঘুরেছে, তাদের জন্য হঠাৎ করে বিএনপিতে যাওয়া তো কঠিন ব্যাপার। সে কারণে তারা গণফোরামে ভিড় করছে। গণফোরামের নেতারা তো এক সময় আওয়ামী লীগে ছিলই।" আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বা দলটির সাবেক যেসব নেতা গণফোরামে গেছেন, তারা রাজনীতিতে একটা নিরাপদ অবস্থান বজায় রাখতে সরাসরি বিএনপিতে যোগ না দিয়ে গণফোরামকে নির্বাচনী ঢাল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের আরও অনেকে মনে করছেন, গণফোরাম ছোট দল হলেও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ড: কামাল হোসেনের গ্রহণযোগ্যতা থাকায় বিএনপি তাদের দু'জন শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্বে জোট করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের সাবেক অনেক নেতা ড: হোসেনের গণফোরামে যোগ দিয়ে নির্বাচনে বিএনপির ভোট ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছেন। বিশ্লেষকরা এর কারণ হিসেবে বলেছেন, ড: কামাল হোসেন ৯০ দশকের শুরুতে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেই আলাদা দল গঠন করেছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগের সাবেক যারা গণফোরামে গেছেন, তাদের জন্য সেটা সহজ এবং রাজনীতিতে অনেকটা নিরাপদ অবস্থান হয়েছে। গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীও মনে করেন, আসনের জন্যই তাদের দলে এখন অনেকে যোগ দিতে পারেন। "অনেকে আছেন, যারা সকালে একটা অফিসে যায়, মনোনয়ন না পেলে বিকেলে আরেকটা অফিসে যায়। এ রকম আমরা আগের নির্বাচনগুলোতেও দেখেছি। সুস্থ ধারার রাজনীতি চালু করার যে প্রচেষ্টা আমরা করছি, সেটা তো একটা নির্বাচন দিয়ে করা সম্ভব নয়।" প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। কিন্তু গণফোরামও তো অন্য দল থেকে এলেই তাকে নিয়ে প্রার্থী করছে, এই প্রশ্নে তিনি বলেছেন, "এখন যারা আগ্রহ প্রকাশ করছে, তাদের আমরা নিচ্ছি। কিন্তু সকলেই মনোনয়ন পাবেন, তেমনটা নয়।" একইসাথে গণফোরামের এই নেতা বলছেন, তাদের নেতার নেতৃত্বের কারণেও অনেকে আসছেন। কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের আরো একজন সাবেক নেতা ও ডাকসু ভিপি সুলতান মো: মনসুর আহমেদ গণফোরামে গেছেন। দশজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তাকেও গণফোরামে যোগ দিতে দেখা গেছে। তবে শাহ এম এস কিবরিয়াকে হত্যার ঘটনা ঘটেছিলো বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে। এই হত্যা মামলাতে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগ দিয়ে জোট থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার বিষয়কে বড় চমক হিসেবে দেখেছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। তবে রেজা কিবরিয়া বলছিলেন, তিনি আদর্শের কারণেই গণফোরামে গেছেন। আবু সাইয়িদ এর সাথে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি। | বাংলাদেশে সম্প্রতি অন্তত তিনজন সুপরিচিতি রাজনৈতিক নেতা এবং প্রায় দশজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দল গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | আহত একজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন জরুরি দায়িত্বে নিয়োজত কর্মীরা এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন নিশ্চিত করেছিলেন যে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি দেশটির ইতিহাসের "কালো দিনগুলোর" একটি। পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আরও হামলাকারী পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন আটককৃতদের একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একজন "মৌলবাদী, অতি-ডানপন্থী সহিংস সন্ত্রাসী" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর আগে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বড় এই শহরটির পরিস্থিতিকে পুলিশ "সংকটময় ঘটনা" হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করেছে। আল নূর মসজিদ ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার পর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশী নিহত বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন বলে সেখানে বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দূতাবাসের অনারারী কনসাল শফিকুর রহমার ভুইয়া বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনজন বাংলাদেশীর পরিচয় সম্পর্কেই তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। এছাড়া মসজিদে হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশের দূতাবাস এখন পর্যন্ত খবর পেয়েছে। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান মি. ভুইয়া। এছাড়া, হামলার ঘটনার পর দু'জন বাংলাদেশী নিখোঁজ ছিলেন, তবে এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন বলে দূতাবাস নিশ্চিত হয়েছে। আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে অনেক মুসলমান জড়ো হয়েছিলেন। এমন সময়ে সেখানে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আল নূর নামের ওই মসজিদটি ডিন অ্যাভিনিউতে অবস্থিত এবং এটি হ্যাগলি পার্কের মুখোমুখি। এই মসজিদেই জুম্মার নামাজ পড়তে পাওয়ার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিরাপদে রয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। হ্যাগলি পার্কেই অনুশীলন করছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানেই বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দলের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের টুইটার পেইজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয় দুই দলের সম্মতিতে ১৬ই মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ দলে ক্রিকেটাররাও লিখেছেন এই হামলার ঘটনার পর। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, "ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় আল্লাহ আজ আমাদের রক্ষা করেছেন...আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান।" বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সদস্যরা খুব অল্পের জন্য ওই গোলাগুলির ঘটনা এড়াতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন "পুরো দল বন্দুকধারীদের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে!!! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো, এবং সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেছেন, বাসে করে দলের বেশিরভাগ সদস্যই মসজিদে গিয়েছিল এবং ঠিক যখন হামলার ঘটনাটি ঘটে তারা মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন,"তারা নিরাপদে আছেন, কিন্তু মানসিকভাবে তারা ধাক্কা খেয়েছেন। আমরা তাদেরকে হোটেল থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।" ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড়রা নিরাপদ আছেন জানিয়ে দলের টুইটার পেজ থেকে পোস্ট দেয়া হয়। ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খবর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক মোহাম্মদ ইসাম টুইটারে লিখেছেন, "তারা (ক্রিকেট দল) হ্যাগলি পার্কের কাছে একটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা থেকে বাঁচতে পেরেছেন।" শহরের পরিস্থিতি ক্রাইস্টচার্চের সব স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা একজন বন্দুকধারীর হাত থেকে নিজেদের জীবন বাঁচার জন্য প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছিলেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মোহন ইব্রাহীম নামে একজন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড সংবাদপত্রকে বলেছেন, "শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম এটা হয়তো বৈদ্যুতিক শকের কোনও ব্যাপার, কিন্তু একটু পরেই সবাই দৌড়াতে শুরু করলো"। বন্দুকধারীর হামলার পর পুলিশ একে "সংকটময় ঘটনা" বলে সতর্ক করেছে। "এখনো ভেতরে আমার বন্ধুরা রয়েছে" এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "আমি আমার বন্ধুদের ডাকতে থাকি কিন্তু সেখানে অনেকেই আছে, কারও কথা শুনতে পারিনি। আমার বন্ধু বেঁচে আছে কি-না সেটা নিয়ে আমি আমি ভীত।" শহরতলীর লিনউড এলাকার আরও একটি মসজিদ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ক্যাথেড্রাল স্কয়ারে হাজার খানেক শিশুর জলবায় পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে শোভাযাত্রা হওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করছেন। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে এবং রাস্তায় নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত স্কুলও বন্ধ থাকবে বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন। | নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটো মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় ৪৯ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ভারতে একটি চায়ের বাগান। কিন্তু তারপরেও ভারতে নতুন করে চা জনপ্রিয় করার চেষ্টা কেবল ভারতে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়ের নাম চা। মুম্বাই এর কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তা চা পান এবং বিক্রির পরিচিত কায়দা-কানুনগুলোকে একেবারে বদলে দিতে চায়। মুম্বাইয়ের একজন উদ্যোক্তা শাহিল বনসালি বলছেন চা বানানোর ধরন এখন তারা পাল্টাচ্ছেন। নানা ধরনের মসলা মিমিয়ে এখন তারা চা পরিবেশন করেন। এজন্য তরুণদের অনেকেই তার দোকানে চা খেতে আসেন। এই সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে বলে জানালেন মি: বনসালি। তিনি বলেন, “ভারতে চায়ের সহজলভ্যতার কারণে এখনো মানুষজন চায়ের বাণিজ্যিক মূল্য বুঝতে পারেনি।” ভারতে রাস্তার পাশে টং দোকোনে চা বেশি বিক্রি হয়। ভারতে প্রতিবছর ১৮০ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়। সেজন্য কপির মতো চা’কে এখানে জনপ্রিয় করে তোলার প্রয়োজন হয়নি। মি: বনসালি বলেন মানুষজন ভিন্ন স্বাদের চা পান করতে পছন্দ করেন। সেজন্য এর বাজার বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। কাজের ফাঁকে মুম্বাই শহরে চা পান করতে টং দোকানে আসেন। নিতিন সালুজা নামের একজন উদ্যোক্তা একটি চা ক্যাফে তৈরি করেছেন। তিনি বলেন পশ্চিমাদের কাছে কফি যেমন ভারতীয়দের কাছে চা সেরকম। অনেকে ভালো পরিবেশে আরাম করে চা পান করতে চান। মি: সালুজা বলেন সেজন্যই তিনি চা ক্যাফে তৈরি করেছেন। রাধিকা চোপড়া নামের আরেকজন উদ্যোক্তা মনে করেন চায়ের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের অভ্যাস ও রুচি দিন-দিন বদলাচ্ছে। ইতোমধ্যে বহু মানুষ ভিন্ন ভিন্ন চায়ের সাথে পরিচিত হচ্ছেন। | দিনের শুরুতে এক কাপ চা না হলে অনেকেরই ঠিকমতো দিন শুরু হয়না। গল্প, আড্ডা আর অতিথি আপ্যায়নে চা যেন থাকতেই হবে। ভারত কিংবা বাংলাদেশে এটি অনেকটা সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সোশাল মিডিয়া অনেকখানিই অনিয়ন্ত্রিত। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব বুধবার একদিনেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাতজনকে আটক করেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ফেসবুকে নিয়ে বেশ সক্রিয় বলে মনে হচ্ছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০জনকে আটক করেছে, যাদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে গুজব এবং বিকৃত তথ্য ও ছবি প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাও আটক করেছে আরো কিছু ব্যক্তিকে। র্যাব এবং পুলিশ বলেছে, আটককৃতদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে হয় কুৎসা রটিয়েছে নতুবা ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে। সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালো কথা বলার সুযোগ যেমন তৈরি করে দেয়, তেমনি খারাপ কথা বলার সুযোগও তৈরি করে। "যখন সরকারের বিরুদ্ধে খারাপ কথাটা যায় তখন সক্রিয় হয়," বলেন মি: চৌধুরী। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ফেসবুকে তাদের ভাষায় গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য তৎপর হলেও তারা শুধুই সরকারের বিপক্ষে যেগুলো যাচ্ছে সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছেন। নির্বাচনের সময় প্রচারিত একটি ভুয়া ছবি। আরো পড়তে পারেন: গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ: ইকোনমিস্ট বসের ফোন না ধরলে ধমক খাওয়ার দিন শেষ হচ্ছে? অথচ সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভুয়া খবর প্রচারের জন্য তারা বাংলাদেশে ছয়টি অ্যাকাউন্ট এবং নয়টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফেসবুক বলছে, এগুলোতে বাংলাদেশের সরকারের সমর্থনে বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছিল, এবং এর সাথে সরকার-সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের সম্পর্ক আছে। এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ছিল নিশ্চুপ। কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো পর্যন্ত যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডির সাইবার তদন্ত বিভাগের প্রধান মোল্লা নজরুল ইসলাম বলছেন, বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত করে দেখেছেন যে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য বলে প্রচার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বিকৃত করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গত বছর খানেক ধরেই ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম - বিশেষ করে ফেসবুক নিয়ে সরকার বেশ চিন্তিত। সরকারের অনেকেই মনে করেন, সরকার বিরোধীরা এ মাধ্যমে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা কিংবা অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। আফসান চৌধুরী, সাংবাদিক ও গবেষক। এমনকি নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে কিংবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছিলেন, ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে সরকারের চিন্তিত হবার কারণ রয়েছে। মি: চৌধুরী বলেন, "বাংলাদেশের ২৫টা টেলিভিশন স্টেশনকে আমি বার করলাম, তার মধ্যে বেশিরভাগই তো দেখছি যে আওয়ামী লীগ সমর্থক অথবা আওয়ামী লীগের এমপি অথবা আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর লোক। অতএব এসব গণমাধ্যম নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তিত না। ছাপা গণমাধ্যম সবচেয়ে দায়িত্বশীল। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া সরকার অন্য কোন কিছুকে পাত্তা দেয়না।" সরকার বিরোধীরা মনে করেন, ফেসবুকে যাতে কেউ সরকার বিরোধী মনোভাব প্রকাশ না করে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ধরপাকড়ের মাধ্যমে এক ধরণের ভীতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের সমালোচনা করার জন্য কাউকে আটক করা হয়নি। যারা ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, কিংবা তথ্য এবং ছবি বিকৃত করার মাধ্যমে কারো সম্মানহানি করছে অথবা কোন কিছু উসকে দেবার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। | বাংলাদেশে ফেসবুকে রাষ্ট্র বিরোধী গুজব এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি অনেককে আটক করেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ তবে যৌন সম্পর্কের কারণে হঠাৎ করেই হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় একথা বলা হয়েছে। এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ। সিডার্স-সিনাই হার্ট ইন্সটিউটের সুমিত চঘ বলেছেন, যৌন সম্পর্কের সাথে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্পর্কের ওপর এই প্রথম এরকম একটি গবেষণা পরিচালিত হলো। অ্যামেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের এক সভায় গবেষণার এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদযন্ত্র যখন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং হঠাৎ করে সেখানে হৃদকম্পন বন্ধ হয়ে যায় তখনই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা ঘটে। তারা বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়তে পারে এবং তার নিশ্বাস গ্রহণও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর দ্রুত চিকিৎসা না হলে তার মৃত্যুরও আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। হৃদযন্ত্রে যখন রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না। ক্যালিফোর্নিয়ায় ড. চঘ এবং তার সহকর্মীরা ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফাইলগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন। যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না। তারা বলছেন, যৌন সম্পর্কের কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি ১ শতাংশেরও কম। গবেষকরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং মধ্যবয়সী। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন হার্ট অ্যাটাকের পর যৌন সম্পর্ক শুরু করার ব্যাপারে রোগীদেরকে চার থেকে ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করার জন্যে পরামর্শ দিয়ে থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ব্যাপারে কিছু তথ্য: | যৌন সম্পর্কের কারণে নারীর তুলনায় পুরুষের হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি অনেক বেশি। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরিতেই ঘটনাটি ঘটে । (প্রতীকী ছবি) কেরালার কোট্টায়ামে মহাত্মা গান্ধী স্কুল অব মেডিকেল এডুকেশনের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। ওই মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরিতেই ঘটেছে এই ভয়াবহ ঘটনা। আগুন লাগাবার পর দুজনেকই কোট্ট্রায়াম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে গতকাল সন্ধ্যায় তারা দুজনেই মারা যায়। দুজনের শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। বিবিসি হিন্দিকে সেখানকার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল ছয় মাসের মতো। কিন্তু মেয়েটি এক পর্যায়ে ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার পর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি আদর্শ নামের ওই ছেলেটি। এরপর নানাভাবে মেয়েটিকে উত্যক্ত করছিল আদর্শ"। এমনকি পুলিশের কাছে রিপোর্টও করেছিল মেয়েটি। মেয়েটির গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এইচ নিয়াজ জানাচ্ছেন, "পুলিশ ইন্সপেক্টর ওই মেয়ের অভিভাবকদের ও আদর্শকে থানায় ডেকেছিল। আদর্শও লিখিত মুচলেকা দিয়েছিল সে আর মেয়েটিকে বিরক্ত করবে না।" "থানার এই ঘটনা এক মাসের আগের। অথচ গতকাল সে পেট্রোল ঢেলে মেয়েটিকে পুড়িয়ে দিল আর নিজেকেও পোড়ালো!" - বলছিলেন মি: নিয়াজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান - "ঘটনার দিন মেয়েটি তার ক্লাসরুমে সহপাঠীদের সঙ্গে বসেছিলো। সে সময় হঠাৎ আদর্শ নামের ওই ছেলেটি মেয়েটিকে ডাকে, কিন্তু সে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কিছুক্ষণ পর আদর্শ হাতে কিছু একটা নিয়ে ফিরে এলে মেয়েটি লাইব্রেরির দিকে দৌড়ে যায়। ওখানেই তাকে পেট্রোল ছুড়ে মারে আদর্শ, এরপর নিজের গায়েও সে পেট্রোল ঢেলে দেয়"। "আমরা জানতাম সে পুলিশের কাছে আদর্শের নামে রিপোর্ট লিখিয়েছিল" - বলছিলেন ওই শিক্ষার্থী, যিনি মেয়েটির বন্ধুদের একজন। মহাত্মা গান্ধী স্কুল অফ মেডিকেল এডুকেশনে ফিজিওথেরাপি কোর্সে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল আদর্শ ও তার প্রেমিকা। আরও পড়ুন: ছাত্রদের মানবসেতুতে হাঁটার আরেকটি ছবি নিয়ে বিতর্ক খালি পেটে লিচু: ভারত ও বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর কারণ ৬০ লাখ ডলার জরিমানার মুখে পড়লো ট্রাম্পের গলফ ক্লাব মেয়েটি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল যে আদর্শ নামের ওই ছেলেটি তাকে উত্যক্ত করছে। | ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এক তরুণীর গায়ে আগুন দিয়ে পরে ঐ আগুনে পুরেই আত্মহত্যা করেছে তার প্রেমিক। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবি পোড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানের রাস্তায় যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের জন্য সবধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন, দুই দেশ আর বন্ধু দেশ নয়। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এক ধাপ এগিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের সাথে বেইমানি করছে। তবে উপরে এ ধরনের বাক্যালাপ চললেও, তলে তলে দুই পক্ষ অনেক সতর্ক। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র এখন বলছে, নিরাপত্তা সাহায্য সাময়িকভাবে বন্ধ করা হবে। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত তহবিল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। তবে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান বন্ধের যে ঘোষণা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেছেন, তাকে কেউ হালকা করে দেখছে না। কারণ, পাকিস্তান গত বিশ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া অনেক কমিয়ে দিয়েছে । সন্দেহ শুরু ৯/১১ এর পর থেকে ১৯৫০ এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ মিত্র। পাকিস্তানের অর্থনীতি এবং নিরাপত্তায় দুহাতে টাকা দিয়েছে আমেরিকা। পাকিস্তানও প্রতিদান দিয়েছে। ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গোপন রেডিও বার্তার ওপর নজরদারীর জন্য পেশোয়ারে সিআইএ'কে একটি ঘাঁটি করতে দিয়েছিল পাকিস্তান। তারপর ১৯৮০র দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েতদের তাড়ানোর যুদ্ধে পাকিস্তান তাদের ভূমি উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। আমেরিকানরা পয়সা জোগালেও মুজাহেদিনদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে ঘাঁটি তৈরি- সবই করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বিরোধের সূচনা হয় ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে। আমেরিকা আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে এবং পাকিস্তানকে সেই যুদ্ধের সরবরাহ রুট হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। সেসময় রফা হয়, আমেরিকা প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করবে, অন্যদিকে পাকিস্তান করবে মানুষ দিয়ে। পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত কিন্তু সমস্যা শুরু হলো, আমেরিকা আফগানিস্তানে যে ইসলামি কট্টরপন্থীদের নির্মূল করতে উদ্যোগ নিল, একসময় তাদেরই পাকিস্তান ব্যবহার করেছে আফগানিস্তানে ভারতীয় প্রভাব খাটো করার জন্য। ফলে আফগান যুদ্ধে ওপরে ওপরে পাকিস্তান আমেরিকানদের সহযোগিতার কথা বললেও, ভেতরে ভেতরে এসব ইসলামি কট্টরপন্থীদের সীমান্তে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিরাপদে থাকার জায়গা করে দিতে শুরু করে পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা। ফলে কিছু আল-কায়দা নেতাকে হত্যা বা ধরার জন্য পাকিস্তান আমেরিকাকে সাহায্য করলেও তালিবান বা হাক্কানি নেটওয়ার্কের সিংহভাগ নেতা অক্ষত রয়ে গেছে। এখনও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তালিবান কমান্ডারদের কোয়েটা, পেশোয়ার, করাচী এমনকী রাজধানী ইসলামাবাদেও চলাফেরা করতে দেখা যায়। আর এই বাস্তবতায়, পাকিস্তানের সাথে গোয়েন্দা তথ্য লেনদেনে নিজেরাই উৎসাহ হারাচ্ছে আমেরিকা। পাকিস্তানের বিকল্প কী? এখন একটি উপায়েই পাকিস্তান আমেরিকাকে কিছুটা বিপদে ফেলতে পারে। তা হলো, আফগানিস্তানে সরবরাহ রুটগুলো বন্ধ করে দেয়া। তবে সেই পথে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও পাকিস্তান কিছু বলেনি। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পাকিস্তান এখন বড়জোর যেটা করতে পারে তা হলো আমেরিকার সরবরাহের ওপর বাড়তি ট্রানজিট কর বসানো এবং সরবরাহ প্রক্রিয়ায় ইচ্ছা করে বিলম্ব তৈরি। পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, কিন্তু পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেছে, সেটা ভাবার এখনও সময় আসেনি। | ইসলামাবাদ এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কে নতুন ফাটল শুরু হয় যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নববর্ষের বার্তায় পাকিস্তানকে "মিথ্যা এবং প্রতারণার" জন্য অভিযুক্ত করেন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | শত শত পুলিশের উপস্থিতিতেই রিগ্যান বিনা বাধায় আধা ঘণ্টারও বেশি সময় এই টুপিটি পরে ছিল। বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত জন আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের একজন রাকিবুল হাসান রিগ্যানকে দেখা যায় মাথায় একটি কালো টুপি। কালো ওই টুপিটির উপর ছিল অবিকল আইএস-এর কালো পতাকাটির উপর সাদা রঙে আঁকা প্রতীকটি। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা রাকিব হাসনাত। তিনি জানাচ্ছেন, রিগ্যান রায় ঘোষণার পরই আদালত কক্ষেই কোন এক ফাঁকে মাথায় টুপিটি পরে ফেলেন। তারপর তাকে পাঁচ তলা থেকে নিচতলায় প্রিজন ভ্যানে এনে ওঠানো পর্যন্ত তিনি মাথায় পরে ছিলেন ওই টুপিটি। এ সময় ওই এলাকায় ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শত শত সদস্য। রিগ্যানকেও ধরে ছিল পুলিশের কয়েকজন। কিন্তু কেউই রিগ্যানকে এই টুপিটি পরতে বাধা দেয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। এমনকি টুপিটি খুলে নেয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায়নি কাউকে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রিগ্যান যখন সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিলেন, তখন তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, 'আমি আইএস-এর লোক'। আদালত কক্ষ থেকে প্রিজন ভ্যানে এনে তোলা পর্যন্ত আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইএস-এর এই প্রতীক প্রদর্শন করেন রিগ্যান। রাকিব হাসনাত জানাচ্ছেন, আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু'র নজরে আনেন। তখন তিনি পরামর্শ দেন, রিগ্যান কীভাবে এই টুপিটি পেল সেই প্রশ্ন সে যাদের হেফাজতে আছে তাদেরকে করতে। অবশ্য পরে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রিগ্যানের এই আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন করা এবং টুপিটি সে কীভাবে সংগ্রহ করলো তা নিয়ে তদন্ত করবেন তারা। হোলি আর্টিজান হামলা: সাতজনের মৃত্যুদণ্ড ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে হামলার রাতে কী ঘটেছিল আইএসের ভিডিও: বাংলায় কথা বলছে জিহাদিরা 'শতাধিক লোককে হত্যা করেছি': এক আইএস ঘাতকের গল্প প্রিজন ভ্যানে তোলার পর রিগ্যানের মাথায় টুপিটি ছিল, জানাচ্ছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিবিসির রাকিব হাসনাত। রাকিবুল হাসান রিগ্যানসহ হোলি আর্টিজান হামলা মামলার সব আসামীই ছিল কাশিমপুর কারাগারে। এটি বাংলাদেশের একটি হাই সিকিউরিটি প্রিজন বলে পরিচিত। গুরুত্বপূর্ণ আসামীদেরকে সাধারণত এই কারাগারে রাখা হয়। কারাগারের বাইরের যেকোনো সামগ্রী প্রবেশে সেখানে কড়াকড়ি থাকে। সেক্ষেত্রে এরকম একটি স্পর্শকাতর প্রতীক সম্বলিত টুপি কীভাবে রিগ্যানের কাছে পৌঁছালো, তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে এমন একটি দিনে রিগ্যান এই প্রতীকটি প্রদর্শন করলো যেদিন হোলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় প্রধান উপলক্ষে নিরাপত্তা কড়াকড়ি জোরদার করা হয়েছিল। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর অজ্ঞতা? রিগ্যান কীভাবে এই টুপিটি সংগ্রহ করলেন, এই প্রশ্নের পাশাপাশি আরেকটি প্রশ্নও উঠে এসেছে - কেন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাকে বাধা দিলেন না কিংবা তার মাথা থেকে টুপিটি খুলে নেয়ার চেষ্টা করলেন না। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলন, "জঙ্গিদের মনোভাব ও তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর অজ্ঞতার কারণেই তারা এরকম একটি বিতর্কিত প্রতীক সম্বলিত পোশাকের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি"। "ঐ ব্যক্তি এটিই চেয়েছিল, যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর তার এই প্রতিবাদ যেন প্রচারিত হয়। এটি জঙ্গিদের এক ধরণের অনুপ্রেরণা," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। এ বিষয়ে অজ্ঞতা ছাড়াও মৃত্যুদণ্ড পেতে যাওয়া একজন জঙ্গির কাছে থাকা আরবি প্রতীক সম্বলিত পোশাক ধর্মীয় কারণে পুলিশ কেড়ে নেয়নি বলে মনে করেন সাখাওয়াত হোসেন। হোলি আর্টিজান হামলার পুরো ঘটনাপ্রবাহ | হোলি আর্টিজান হামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রাকিবুল হাসান রিগ্যান বুধবার আদালত চত্বরে যেভাবে দীর্ঘ সময় ধরে বিনা বাধায় তথাকথিত জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর প্রতীক প্রকাশ্যে প্রদর্শন করেছে, তাতে নানারকম প্রশ্ন উঠছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | আনা শেনওয়াল্ট তার চীনা নাম চেন জিয়ানজেমি, যার ওয়াশিংটন ডিসির কূটনীতিক মহলে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সেই সঙ্গে যোগাযোগ ছিল চীন আর তাইওয়ানের সরকারের সঙ্গেও। তিনি ছিলেন একজন অনানুষ্ঠানিক কূটনীতিক কর্মকর্তা, যিনি বিংশ শতকের রাজনীতির নানা ক্ষেত্রে বিচরণ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি আর রিচার্ড নিক্সনের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছিল। চীনের নেতা ডেঙ জিয়াওপিং আর তাইওয়ানের চিয়াং কাইশেকের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে। কুনমিংয়ে মার্কিন মেজর জেনারেল ক্লারেল শেনওয়াল্টের সঙ্গে দেখা হয় চেন জিয়ানজেমির, যিনি পরে পরিচিতি পান আনা শেনওয়াল্ট নামে যুদ্ধের সময়ের ভালোবাসা তাকে কমিউনিজম বিরোধী বলে আমেরিকানরা জানতো। কিন্তু চীনে তাকে বিবেচনা করা হতো নামী একজন যোদ্ধার বিধবা স্ত্রী হিসাবে। আর তাইওয়ানের কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ একজন লবিয়িস্ট, যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রেখেছেন। ১৯২৩ সালে বেইজিংয়ে একটি শিক্ষিত আর ধনী পরিবারে তার জন্ম। হংকংয়ে পড়াশোনা শেষে একটি চীনা বার্তা সংস্থায় প্রতিবেদক হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি এমন একটি দায়িত্ব পান, যা তার জীবনকে বদলে দেয়। কুনমিংয়ে মার্কিন মেজর জেনারেল ক্লারেল শেনওয়াল্টের সাক্ষাৎকার নেয়ার দায়িত্ব পান। মি. শেনওয়াল্ট তখন মার্কিন বিমানচালকদের একটি স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ, ফ্লায়িং টাইগারের দায়িত্বে ছিলেন, যারা জাপানী হামলা থেকে চীনকে রক্ষায় কাজ করছিল। দুজনের মধ্যে তিন দশক বয়সের ব্যবধান থাকলেও, দুজনে প্রেমে পড়ে যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর স্ত্রীকে তালাক দিয়ে চেন শিয়ানজেমিকে বিয়ে করেন মি. শেনওয়াল্ট। তার নতুন নাম হয় আনা শেনওয়াল্ট। রিচার্ড নিক্সন আর হেনরি কিসিঞ্জারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন আনা শেনওয়াল্ট তখন নিজের দুই কন্যাকে নিয়ে ওয়াশিংটনে পাড়ি জমান ৩৫ বছরের আনা। সেখানেও তিনি সাংবাদিক, অনুবাদক আর পরে স্বামীর বিমান পরিবহন ব্যবসা দেখাশোনা করেন। তার পেন্ট হাউজ অ্যাপার্টমেন্ট ছিল ওয়াটার গেট কমপ্লেক্সে, যে ভবনেই ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারিরও জন্ম হয়। সেখানে তার দেয়া পার্টিতে এসেছিলেন রিচার্ড নিক্সনও, যিনি তাকে 'ড্রাগন লেডি' বলে ডাকতেন। তবে তিনি পুরোপুরি বিতর্কের বাইরেও ছিলেন না। তার মৃত স্বামীর একটি কোম্পানি পরে সিআইএ কিনে নেয়। বলা হয়, সেটি কমিউনিজম বিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে। এফবিআইয়ের একটি গোপন রেকর্ডিয়ে জানা যায়, তিনি তৎকালীন দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন তারা প্যারিসে শান্তি আলোচনা বর্জন করে, যা রিচার্ড নিক্সনের নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা করেছিল। তার বিরুদ্ধে এ জন্য অভিযোগ আনা হলেও, পরে নিক্সন ক্ষমতায় আসার পর সেটি আর এগোয় নি। ২০১৫ সালে আনা শেনওয়াল্টকে একটি সম্মানসূচক পদক দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বন্ধুত্বের দূত চীনে আনা শেনওয়াল্টকে দেখা খানিকটা আলাদাভাবে। চীনে এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ফ্লাইং টাইগার্স আর মেজর জেনারেল ক্লারেল শেনওয়াল্টকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। আর তাই আনাকেও দেখা হয় তাদের সম্মানের ধারক হিসাবেই। এমনকি ২০১৫ সালে তাকে একটি সম্মানসূচক পদকও দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক তৈরিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জন এফ কেনেডির সঙ্গে আনা শেনওয়ার্ল্ট, ছবিটি ১৯৬২ সালে তোলা চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া তার বিষয়ে লিখেছে ''তিনি এমন একজন চীনা-আমেরিকান যিনি চীন আর আমেরিকার বন্ধুত্বের দূত হিসাবে কাজ করেছেন।'' তাকে দেখা হতো প্রথম চীনা নাগরিক হিসাবে যিনি হোয়াইট হাউজে কোন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু বরাবরই কম্যুনিজমের বিরোধী ছিলেন আনা। চীনের গৃহযুদ্ধের পর যখন কুয়োমিনটাং নেতারা তাইওয়ানে সরকার গঠন করে, তাদের নেতা চিয়াং কাইশেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আনার। দীর্ঘদিন তাইওয়ানের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেন দরবার করেন আনা শেনওয়াল্ট। তবে ১৯৭৯ সালে চীনের কম্যুনিস্ট সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর তারও অবস্থান পাল্টায়। ১৯৮১ সালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের অনানুষ্ঠানিক দূত হিসাবে চীনে যান এবং দুই দেশের সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। একই সময় তিনি তাইওয়ানের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের স্বার্থে কাজ করে যান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের অনানুষ্ঠানিক দূত হিসাবে চীন সফর করেন আনা পরবর্তী জীবনে এই তিন ভিন্ন ঘরানার দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যান। বলা হয়, কোন আনুষ্ঠানিক পদে না থেকেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল একজন কূটনীতিক। ১৯৯০ সালে তার মধ্যস্থতাতেই তাইওয়ানের প্রথম একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল মেইন ল্যান্ড চীন সফর করে। ২০০২ সালে চীনের সাংবাদিকদের দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের এই জীবন নিয়ে তিনি বলেন, ''নির্বাসনে থাকার সময়, সাংবাদিক হিসাবে কাজ করার সময়, যুক্তরাষ্ট্রে একা থাকার সময় আমার অনেক অম্লমধুর অভিজ্ঞতা হয়েছে আর সেগুলোই আমার কাজে লেগেছে।'' ''আটজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়াদে আমি অনেক বিনা বেতনের কাজ করেছি আর সেসব ছিল খুবই বৈচিত্র্যময়। তাই তার বদলে আমি কিছু আশাও করিনি।'' | গত সপ্তাহে যখন আনা শেনওয়াল্ট ৯৪ বছর বয়সে মারা যান, তখন বিশ্বের খুব কম মানুষই জানতে পেরেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা তাইওয়ানের মতো দেশের মাঝে মধ্যস্থতা করার মতো অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তিকে বিশ্ব হারিয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, মারধর এবং নির্যাতনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভাসানচর থেকে শরণার্থীদের কয়েকজন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ভাসানচর থেকে তাদেরকে শরণার্থী শিবিরগুলোতে আত্নীয়স্বজনের কাছে ফিরিয়ে আনার দাবিতে তারা টানা চারদিন অনশন এবং মিছিল করলে তখন তাদের নির্যাতন করা হয়। ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে নেয়া হয় গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। তাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। সে সময় এই রোহিঙ্গারা নৌকায় করে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে তাদের ধরার পর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছিল। ভাসানচরে রাখা এই রোহিঙ্গারা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে আনার দাবি তুলে অনশন এবং মিছিল করেছে গত ২২শে সেপ্টেম্বর। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, সেই প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ করার কারণে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মারধর এবং নির্যাতন করা হয়েছে। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র মিনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মারধর করার ঘটনার ছবি তারা পেয়েছেন। "যারা ভাসানচরে আছে, তাদের সেখানে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল দু'সপ্তাহের জন্য। কিন্তু এখনও তাদের ফেরত আনা হয়নি। সেজন্য তারা হাঙ্গার স্ট্রাইক করেছিল। এরপর তারা মিছিল করে, সেখানে যে নেভি অফিসার ছিলেন কয়েকজন, তারা রেগে গিয়ে রোহিঙ্গাদের মারপিট করেছেন। তারা সেই ছবি আমাদের পাঠিয়েছে।" হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মিনাক্ষী গাঙ্গুলী আরও বলেছেন, "বাংলাদেশ সরকারতো রোহিঙ্গাদের এই জন্যে আশ্রয় দিয়েছেন যে, তাদের (মিয়ানমারের) সিকিউরিটি ফোর্সের লোকেরা মেরেছিল এবং তাদের ওপর খুবই অত্যাচার হয়েছিল। সেই অত্যাচার যদি আবার বাংলাদেশে অফিসাররা করেন, সেটাতো বাংলাদেশের জন্য খুব বিব্রতকর একটা ব্যাপার। এখন আমাদের মতে, ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া উচিত।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'ভাসানচর মিয়ানমারের কাছে ভুল বার্তা দেবে' রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: দ্য হেগ থেকে আদালত বাংলাদেশে স্থানান্তরের অনুরোধ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার উদ্যোগ আটকে গেছে মানচিত্রে ভাসানচরের অবস্থান ভাসানচরে যে রোহিঙ্গাদের রাখা হয়েছে, তাদের কয়েকজন বলেছেন, কয়েকমাস ধরে তারা আত্নীয়স্বজনের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা আরও বলেছেন, কিছুদিন আগে টেকনাফ এবং উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে ৪০ জন প্রতিনিধিকে সেখানে পরিবেশ দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের কাছে তারা তাদের আত্নীয়স্বজনের কাছে ফেরত নেয়ার জন্য আবেদন জানানোর কথা বলেছিলেন। ভাসানচর থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রোহিঙ্গা বলছেন, তারা বাধ্য হয়ে চারদিন অনশন করার পর গত ২২শে সেপ্টেম্বর মিছিল করেছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, "আমরা এখানে মিছিল করেছি। খাওয়া দাওয়া করি নাই চারদিন ধরে। আমরা এখানে থাকতে চাই না। এতদিন ধরে আমাদের আত্মীয়স্বজনের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। আমরা নদীর পারে বেড়িবাঁধে চলে গিয়ে মিছিল করেছিলাম। তখন আমাদের লাঠি দিয়ে মেরেছে এবং নির্যাতন করেছে।" তবে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মারধর বা নির্যাতনের অভিযোগ যা তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট বলে বর্ণনা করেছে কর্তৃপক্ষ। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক কর্ণেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেছেন, "বিষয়টি অবাস্তব, অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক এবং মিথ্যাচারের শামিল। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা ভাসানচরে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগণের স্বাচ্ছন্দ্যমূলক জীবন যাপন নিশ্চিত করার পাশাপাশি অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে একসাথে এই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও যৌথভাবে পালন করে আসছে।" বিমান থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি আবাসন বাংলাদেশ সরকার ভাসানচরে বসবাসের অবকাঠামো নির্মাণ করে সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে বেশ আগে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলে আসছে, ভাসানচর বসবাসের উপযোগী কিনা-তা পরীক্ষা না করে এবং জোর করে সেখানে শরণার্থীদের পাঠানো ঠিক হবে না। সেই প্রেক্ষাপটে সরকার বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে যে ৪০ জন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিকে ভাসানচর ঘুরিয়ে এনেছেন, তাদের মধ্যে একজন জহুরা বেগম বলছিলেন, "আমরা সেখানে পরিবেশ ভাল দেখেছি। পরিবেশ ভালই। কিন্তু সেখানে যাদের রাখা হয়েছে, তারা বলেছে, তাদের অনেকে স্বামী ছাড়া এবং অনেকে বাবা মা ছাড়া সেখানে আটকা আছে। তারা সেখানে থাকতে চায় না।" এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান বলেছেন, "ভাসানচরে যেহেতু এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবারকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে, সেজন্য সেখানে এখন যাদের রাখা হয়েছে, তাদের ফেরত আনা হবে না।" তিনি আরও জানিয়েছেন, ভাসানচরের পরিবেশ দেখানোর জন্য শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের ৫০ জন প্রতিনিধিকে আবারও সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর: ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গারাই আর সেখানে থাকতে চান না | নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখার প্রতিবাদে তারা সেখানে অনশন এবং বিক্ষোভ করলে নৌবাহিনীর একদল সদস্য বিক্ষোভকারীদের মারধর ও নির্যাতন করেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | অ্যালিসন মাকলিনটায়ার অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার নামে ঐ বিজ্ঞানী বলছেন এতদিন পর্যন্ত যত জন চাঁদে গেছেন তাদের ১২ জনই ছিলেন পুরুষ। তার মতে, মেয়েদের সামনে আনা উচিত এবং যেদিন কোন মানুষকে তারা মঙ্গল গ্রহে পাঠাবেন, তার নারীই হওয়া উচিত। টেক্সাস এবং ফ্লোরিডাতে নাসার 'বিহাইন্ড দ্যা সিন' তৈরি করছে বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভ। তারা একবিংশ শতাব্দীতে মহাকাশ গবেষণায় যেসব নারীরা সামনের দিকে রয়েছে - তাদের সাথে সাক্ষাত করেছে। প্রায় অর্ধশত বছর আগে রাশিয়া প্রথম একজন নারীকে মহাকাশে প্রেরণ করেন। আর ৪০ বছর আগে নাসা প্রথম নির্বাচন করে একজন নারী নভোচারীকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নারী চাঁদে যাননি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: সৌদি আরবে নিষিদ্ধ সিনেমা হঠাৎ কেন বৈধ হয়ে গেল? মেক্সিকো সীমান্তে ছ'মাসে ১৭১ বাংলাদেশি আটক মহাকাশে যান অনিয়ন। যেটা হয়ত একজন মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত যেতে পারে নভোচারীদের জন্য বিশাল এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার। তার অফিসে বসে তিনি বিবিসির টিমের সাথে কথা বলেন। হিউস্টনে জনসন স্পেস সেন্টারে অ্যালিসনের অফিসে একটা জানালা রয়েছে যেখান থেকে মহাকাশ যানের বিভিন্ন মডিউল তৈরির ভবনটির দারুণ দৃশ্য দেখা যায়। বিশাল এই ভবনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের এমন ধরণের সব মডিউল রয়েছে - যাতে করে নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। অ্যালিসন এই ফ্যাসিলিটির প্রধান। তিনি নাসাতে ৩০ বছর ধরে আছেন এবং এই সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে - বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলছিলেন "আমার সেন্টার পরিচালক একজন নারী, আমার সাবেক ডিভিশন প্রধান ছিলেন একজন নারী, আমাদের নারী নভোচারীও রয়েছেন - কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত একজন নারীকে চাঁদে পাঠাতে পারিনি। "আমি মনে করি মঙ্গলে প্রথম যিনি যাবেন তিনি একজন নারী হওয়া উচিত"। নাসার একজন নারী নভোচারী কারেন নেইবার্গ ইতিমধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন। তিনি বলছিলেন "আমাকে যখন ২০০০ সালে প্রথম নভোচারী হিসেবে বেছে নেয়া হলো, তখন আমি ভেবেছিলাম একটা বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হলো যে আমরাই হয়ত পরবর্তীতে চাঁদে যাবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আমরা সে সুযোগটা পাই নি"। নারীরা আদৌ চাঁদে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্ন করলে, কারেন বলেন - "এটা হবে । তবে এখানে অনেক রাজনীতি চলে, প্রচুর অর্থের দরকার। সুতরাং বিষয়টা যে খুব দ্রুত হবে সেটা মনে হচ্ছে না, তবে একদিন অবশ্যই হবে"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: একজনের মুখ কেটে দু'বার বসানো হলো অন্যজনের মুখ প্রতিদিন অতিরিক্ত মদ্যপান করলে কমতে পারে আয়ু ইউরোপে কিভাবে 'দাসপ্রথা' চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া ? বাংলাদেশে অনলাইনে যৌন ব্যবসা, ব্যবসায়ী আটক | নাসার একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলেছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রথম অবতরণকারী একজন নারী হওয়া উচিত। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চি মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ হবার প্রতিক্রিয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিলো কানাডার পার্লামেন্ট। মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মিজ সু চির ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯১ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে ছিলেন। গত মাসে প্রকাশিত এক জাতিসংঘ প্রতিবেদনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির শীর্ষ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার। আরো পড়তে পারেন: সু চি'র সম্মতিতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন:জাতিসংঘ রোহিঙ্গা সংকট: 'সু চি'র পদত্যাগ করা উচিত ছিলো' গত এক বছরে অন্তত সাত লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হয়ে গত এক বছরে দেশ ছেড়ে অন্তত সাত লক্ষ মানুষ পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। মিজ সুচিকে কানাডাতে যে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে, সেটি বাতিলে পার্লামেন্ট প্রস্তাব ওঠার আগের দিন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, মিজ সু চিকে নাগরিকত্বের সম্মান জানানোর প্রয়োজন আর আছে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে নাগরিকত্ব বাতিলের পরবর্তী পদক্ষেপসমূহ কি হবে সে নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও, এ পদক্ষেপের কারণে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে না বলে মিঃ ট্রুডো উল্লেখ করেছেন। কানাডাতে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মানুষকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে এটি অত্যন্ত বিরল এক সম্মান ছিল মিজ সু চির জন্য। এর আগে অক্সফোর্ডসহ ব্রিটেনের কয়েকটি শহর তাকে দেয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। | কানাডার পার্লামেন্টে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ১৯৯১ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এ প্রথমবারের মতো তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হলেন। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে আসার পর থেকে খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। খালেদা জিয়া নিজ দলের নেতৃত্বে যেমন দিয়েছেন, তেমনি নির্বাচনের মাঠেও তাঁর সাফল্য শতভাগ। বাংলাদেশে ১৯৯১ সাল থেকে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আরো পড়ুন: মনোনয়ন বাতিল হলো যেই আলোচিত প্রার্থীদের তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয় এবং ঢাকা টেস্টে আরো যত রেকর্ড ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি । গত প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনে খালেদা জিয়া কখনোই পরাজিত হননি। গত ২৮ বছরের মধ্যে এ প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই বিতর্ক চলছিল। কিন্তু তারপরেও বিএনপির তরফ থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজা হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতিবারই পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন এবং সবগুলো আসনে তিনি জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত একতরফা নির্বাচনেও খালেদা জিয়া প্রার্থী ছিলেন। এরপর ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করে তিনটিতে জয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছিল বিএনপি। সে নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পেলেও খালেদা জিয়া নির্বাচনে জয়লাভ করতে কোন অসুবিধা হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। এসব আসন হচ্ছে - ফেনী ১. বগুড়া ৬ ও বগুড়া ৭। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হবার কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি। খালেদা জিয়ার অতীত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা দেখা যায়, তিনি বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রামের আসন থেকে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়া ১৯৯১ সালে ঢাকার একটি আসন থেকে এবং ২০০১ সালে খুলনার একটি আসন থেকে ভোটে লড়েছেন তিনি। নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু জয়লাভ করাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে খালেদা জিয়ার ভোটের ব্যবধানও ছিল বেশি। | ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না - বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | গতকাল থেকেই ফেসবুকে অনেকে মো: শাহেদের বহু ছবি শেয়ার করেছে যেখানে তাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা গেছে। এমনকি বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতার সাথে তার ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-এর মুখপাত্র সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, "বাংলাদেশের হর্তা-কর্তা ব্যক্তিদের সাথে সে ছবি তুলেছে। এটা আসলে তার একটা মানসিক অসুস্থতা। এই ছবি তোলাকে কেন্দ্র করেই সে প্রতারণা করতো।" মো: শাহেদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে র্যাব মুখপাত্র বলেন, "প্রতারকদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তারা যখন যার নাম পারে তখন সেটা বেচে নিজের জীবনকে অগ্রগামী করার চেষ্টা করে। " র্যাব কর্মকর্তা মি: কাশেম বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো: শাহেদ বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। "প্রতারণাই ছিল তার প্রধান ব্যবসা," বলেন র্যাব কর্মকর্তা। এমএলএম কোম্পানির মাধ্যমে মানুষের সাথে আর্থিক প্রতারণার জন্য এর আগে এই ব্যক্তি কারাগারেও গিয়েছিল বলে তথ্য দিয়েছে র্যাব। আরো পড়তে পারেন: 'শুদ্ধি অভিযান': কীভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা? এমপি, যুবলীগ নেতাসহ দশজনের ব্যাংক হিসাব তলব শেখ হাসিনা কেন হঠাৎ 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে' সজাগ হলেন দায় কি শুধু ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাদের? র্যাব জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করার জন্য গতরাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে দ্রুত আটক করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন র্যাব কর্মকর্তা মি: কাশেম। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ভুয়া পরীক্ষা এবং নানা অপকর্মের মাধ্যমে মি: শাহেদ কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। "গত তিনমাসে সে আমাদের হিসেব মতে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা সে অবৈধভাবে মানুষের কাছ থেকে অপকর্মের মাধ্যমে নিয়েছে," বলেন র্যাব কর্মকর্তা মি: কাশেম। র্যাব-এর তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস টেস্ট করারা জন্য রিজেন্ট হাসপাতাল প্রায় ১০ হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু সেগুলো পরীক্ষা না করেই রোগীদের ভুয়া ফলাফল দেয়া হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, ৪৫০০ ভুয়া টেস্টের কাগজপত্র তাদের হাতে এসেছে। র্যাব বলছে, টেস্টের ভুয়া ফলাফল তৈরি করা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের কম্পিউটার সিস্টেমে। প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার অপারেটরদের দ্বারা ভুয়া ফলাফল তৈরি করতে বাধ্য করেছে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান। যেসব কম্পিউটার অপারেটরদের বাধ্য করিয়ে এসব ভুয়া ফলাফল তৈরি করা হয়েছে তাদের সবাইকে তিন মাস আগেই চাকুরিচ্যুত করেছেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান। "যদি কোন কারণে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরা পড়ে যায়, তাহলে যেন বলতে পারে, এটা আমার কর্ম না। এটা তো আমার কম্পিউটার অপারেটর আমার নাম ভাঙিয়ে করেছে," বলেন র্যাব-এর মুখপাত্র। রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এর মধ্যে আট জনকে আটক করা হয়েছে। মো: শাহেদকে আটক করার জন্য অভিযান চলছে বলে জানায় র্যাব। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট নিষিদ্ধ ইতালির, বলেছে 'ভাইরাল বোমা' নিষ্ক্রিয় হয়েছে আটান্ন বছরের পুরনো খবরের কাগজের পাতা যে কারণে ভাইরাল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? | করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে সিলগালা করে দেয়া রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো: শাহেদ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ভারত জানিয়েছে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের যে ''ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়ান্ট''-এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল, সেটির কারণেই দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি প্রাণঘাতী হয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা দায়ী তা নিয়ে বিস্তারিত এই ভিডিও প্রতিবেদনে। আরো দেখতে পারেন- করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আসলে ঠিক কী? দিল্লিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবার আশঙ্কা 'মহামারি পূর্ব দিকে এগোচ্ছে', ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা | ভারতে প্রতিদিনই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ২০১২ সালের ৩১শে মে- ৩০শে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় দিনাজপুর জেলায় লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৪ শিশু, এদের মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়। গবেষকরা বলছেন, নিহত শিশুরা সবাই 'অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোমে' আক্রান্ত হয়েছিল, ফলে তাদের মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি হয়। লিচু গাছের নীচে বা আশেপাশে এই কীটনাশক বিষের প্রভাব থাকে। নতুন ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০১২ সালে যে সময় শিশুদের মৃত্যু হয় সেই সময়ে চাষীরা তাদের শস্যক্ষেতে 'এনডোসালফান' নামের অত্যন্ত বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেছিল। যে কীটনাশকটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ। অ্যামেরিকান জার্নাল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এন্ড হাইজিনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, লিচু ফলগুলোতে ওই কীটনাশক বিষ মিশে গিয়েছিল যা খাওয়ার কারণে ২০ ঘন্টার মধ্যে তার প্রতিক্রিয়ায় মস্তিষ্কে প্রদাহ শুরু হয় ও শিশুদের মৃত্যু ঘটে। এইচআইভি প্রতিরোধে নতুন এক রিং: নারীদের মধ্যেও পেয়েছে জনপ্রিয়তা আমাকে ৬ মাস ধরে প্রত্যেক দিন ধর্ষণ করা হতো পোকামাকড় ঠেকাতে লিচুসহ বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ক্ষেতখামারে কীটনাশক মেশানো হয়। লিচু যখন বাতাসে গাছ থেকে নীচে পড়ে ফেটে যায় তখন ওই কীটনাশকের বিষ ফলে মিশে যায়-আর লিচু গাছের নীচে বা আশেপাশে থেকে সেই ফল খেয়ে শিশু বা অন্য মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। লিচু খাবার পর শিশু মৃত্যুর ঘটনা বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ঘটেছিল। তবে ভারতের ঘটনা উদ্ধৃত করে 'দ্য ল্যানচেটে' প্রকাশিত জার্নালে বলা হয়েছিল যে- লিচু ফলের মধ্যেই থাকা একটি রাসায়নিকের কারণে এমনটা ঘটেছে। শিশু খালি পেটে লিচু খেলে এই রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটতে পারে। সেই প্রতিবেদনে গবেষকেরা বলেছিলেন- লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামে একটি রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে শর্করা তৈরি রোধ করে। খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খেয়ে ফেললে শিশুদের শরীরে শর্করার পরিমাণ অত্যন্ত কমে গিয়ে তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে -বাংলাদেশে লিচু খাবার পর যে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে তার কারণ শুধুমাত্র এই ফলটি নয়। "আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি বাংলাদেশে ২০১২ সালে যে শিশুরা লিচু খাবার পর মারা গেছে তারা ওই ফলের ভেতরের রাসায়নিকের জন্য মারা যায়নি। কৃষিকাজে উচ্চমাত্রার বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে" -বলেন গবেষণা দলের প্রধান লেখক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়ার ডিজিজ রিসার্চের সহযোগী বিজ্ঞানী। "বাংলাদেশে যখন লিচুর ফলন হয় ও দেশের মানুষেরা যেই সময়টায় ওই ফল খায় তখনই ঘটনাটি ঘটেছে। লিচু খাবার কারণে যদি মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো তাহলে দেশের সব অঞ্চল থেকেই ব্যাপকহারে এ ধরনের মৃত্যুসংবাদ আমরা শুনতাম। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটতো না" -বলেন তিনি। লিচু খাবার পর শিশু মৃত্যুর ঘটনা বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ঘটেছিল। ২০১২ সালের ৩১শে মে- ৩০শে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় দিনাজপুর জেলায় লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৪ শিশু, এদের মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়। শুধুমাত্র একজন বেঁচে যায়। আক্রান্ত ওই এলাকায় সেইসময়ে অনুসন্ধান চালায় ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের একটি দল। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর ওই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জানিয়েছিলেন যে -লিচুতে বিষাক্ত কীটনাশকের কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ওই ঘটনার অনুসন্ধানে যুক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন' এর গবেষক দল। আর মার্কিন গবেষকেরা তাদের প্রতিবেদনে বলছেন- নিষিদ্ধ কীটনাশক 'এনডোসালফান' এর কারণে ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছিল। এখানে উল্লেখ্য 'এনডোসালফান' নামের ওই কীটনাশকটি ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু তারও আগে ২০০৫ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ওই কীটনাশকটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারতে টমেটো পাহারা দিচ্ছেন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী স্ট্রোকে আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুণ 'অন্যায় পরিস্থিতির শিকার হয়েছি', বললেন বরিশালের ডিসি নতুন কি পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হলো এইচএসসির খাতা? | যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বলছেন, বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশকের বিষক্রিয়ার কারণেই প্রায় পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে ১৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। ওই শিশুরা লিচু খাবার পর মারা গিয়েছিল। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ধর্ষণ বিরোধী প্রতিবাদ (ফাইল ছবি) বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, সোমবারই মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে আইনটির সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়ার পরে আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি উঠেছে প্রতিবাদ সমাবেশগুলো থেকে। কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ থেকে এ দাবি উঠলেও এ নিয়ে নানা বিতর্কও আছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বরাবরই মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে নয়। তারা বরং বলছে, আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবনের যে সাজা এখন আছে, সেটারই প্রয়োগ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেই এ ধরণের অপরাধ বাড়ছে। বুধবারই আইনমন্ত্রী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন যে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করার দাবি সরকার বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পর সেটিই চূড়ান্ত ভাবে ঘোষণা করলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ধর্ষণ প্রতিরোধে 'ক্রসফায়ার' নিয়ে এত আলোচনা কেন? ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ নিয়ে আইন যা রয়েছে মৃত্যুদণ্ডের আইন কি বাংলাদেশে ধর্ষণ বন্ধের সমাধান? ধর্ষণের বিচার পাওয়া নিয়ে যত প্রশ্ন বাংলাদেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে একটি কর্মসূচি এখন আইনে কী আছে? ২০০০ সালের আগে ধর্ষণের ঘটনায় জরিমানার বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জরিমানা বাধ্যতামূলক করা হয়। এই আইনে বলা হয় যে, "যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে ওই ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।" এছাড়া যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন তাহলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করে বা আহত করার চেষ্টা করে তাহলে তার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হবে। আর ধর্ষণের চেষ্টা করলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হবে। | বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হচ্ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন সাকিব ১৩ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬৩২৩ রান করেছেন এবং ২৬০টি উইকেট নিয়েছেন। এই দলে আরো আছেন রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার, ভিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, মাহেন্দ্র সিং ধোনি, বেন স্টোকস, মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট, ইমরান তাহির, লাসিথ মালিঙ্গা। গত ১০ বছরে যারা ওয়ানডে ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের নিয়ে এই একাদশ বানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। গত ১০ বছরে যারা ওয়ানডে ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের নিয়ে এই একাদশ বানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের মনোনীত সাংবাদিক, ক্রিকেট সম্প্রচারকরা। ২০১১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের সাতই অক্টোবর পর্যন্ত পারফরম্যান্স আমলে নেয়া হয়েছে এখানে। ২০১৯ সালে আইসিসিরি দুর্নীতি-বিরোধী নিয়ম বা অ্যান্টি করাপশন কোড লঙ্ঘনের তিনটি অভিযোগ স্বীকার করে নেয়ার পর ২ বছরের জন্য সাকিব আল হাসানকে বহিষ্কার করা হয়, যার মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ করেই বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা অলরাউন্ডারের জায়গা ফিরে পান। গত বছরের ২৯শে অক্টোবর সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যার মধ্যে এক বছর ছিল স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ করেছেন সাকিব। এদিকে আইসিসি আরো দুই ফরম্যাটে দশকের সেরা ক্রিকেট দল নির্বাচন করেছে, যেখানে পুরুষ কিংবা নারী কোনো দলেই বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটার জায়গা পাননি। আরো যা পড়তে পারেন: সাকিব 'বিচ মুডে', সাচিন উড়ছেন, বলিউডি সাজে ডেভিড ওয়ার্নার ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর 'কী বা করার ছিল' সাকিব আল হাসানের? সাকিবের পূজায় যোগ দেয়া নিয়ে যা বলছেন কলকাতার আয়োজকরা আইসিসির দশক সেরা টেস্ট ক্রিকেট একাদশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দলে আছেন: রোহিত শর্মা, ক্রিস গেইল, অ্যারন ফিঞ্চ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এম এস ধোনি, কাইরন পোলার্ড, রশিদ খান, জসপ্রিত বুমরাহ, লাসিথ মালিঙ্গা। আইসিসির দশক সেরা টেস্ট দল: অ্যালেস্টার কুক, ডেভিড ওয়ার্নার, কেইন উইলিয়ামসন, ভিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ, কুমার সাঙ্গাকারা, বেন স্টোকস, রাভিচান্দ্রান আশ্বিন, ডেল স্টেইন, স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসন। | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ঘোষিত এই দশকের সেরা ক্রিকেট একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। র্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ'র আদালতে জবানবন্দি দেন। কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদউদ্দিন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, দুপুর থেকে ১৬৪ ধারায় কনফেসনাল স্টেটমেন্ট দিতে শুরু করেছেন পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এই মামলায় এই প্রথম কেউ জবানবন্দি দিলেন। গত ৩১শে জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। সেই ঘটনায় পুলিশ দুইটি মামলা করে। তবে মেজর (অব.) সিনহার বোনের করা মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জন পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মেজর সিনহা হত্যা: সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলো কেন? মেজর সিনহা হত্যা: যেসব অভিযোগে এপিবিএন সদস্যরা গ্রেপ্তার মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশ কি চাপের মুখে? সিনহা হত্যা: পুলিশ বাহিনী কি নিজেদের ভাবমূর্তির প্রশ্নে উদ্বিগ্ন | কক্সবাজারে মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে প্রতিবছর লাখ-লাখ মানুষ সমবেত হয়। সচিবালয়ে তাবলীগ জামাতের বিবদমান দু'পক্ষকে নিয়ে এক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী যৌথভাবে জানিয়েছেন যে, এবার ইজতেমা একটাই হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, "আজকের সভার পর ইজতেমা একটাই হবে। কোনো বিভক্তি হবেনা। তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সাথে এটা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে"। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন যে, যাকে নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছিলো ভারতের মাওলানা সাদ কান্দালভী এবারের ইজতেমায় আসছেন না। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহর সাথে বৈঠকের ইজতেমার সময়সূচী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, "বিষয়টি এতটাই বিতর্কিত হয়ে গেছে যে আমরা কিছু না বললে এটা পরিস্কার হচ্ছেনা। হাইকোর্টে রিট পিটিশন পর্যন্ত গেছে। সেখানে কথাবার্তা ভালো আসেনি"। এতোদিন ধরে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ সরকারের সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শর্ত দিয়েছিলেন তিনি আজকের বৈঠকটিতে দু'পক্ষেই থাকতে হবে। সে শর্ত মেনেই তারা আজ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা মাঠ ভাগ করার দাবি নির্বাচন আর কান্দালভি বিতর্কে পেছালো ইজতেমা তাবলীগ জামাতে দু'গ্রুপের দ্বন্দ্বের মূল কারণ কী? সাদ কান্দালভী এবার ইজতেমায় আসবেন না। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণ বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের ভেতরে দু'টি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন ধরে - যা সহিংস রূপ গত ডিসেম্বরে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে । এই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে আছেন তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা ভারতীয় মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি। এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ঢাকার টঙ্গীতে এবার বিশ্ব ইজতেমা হতে পারেনি। তাবলীগ জামাতের একটি গ্রুপ ১১ই জানুয়ারি থেকে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত নভেম্বরেই তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপকে নিয়ে বৈঠক করেন - যেখানে ওই তারিখে ইজতেমা না করার সিদ্ধান্ত হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই মি. কান্দালভি তাবলীগ জামাতে এমন কিছু সংস্কারের কথা বলছেন - যা এই আন্দোলনে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। সাদ কান্দালভি বলেন, 'ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়" - যার মধ্যে মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকাণ্ড পড়ে বলে মনে করা হয়। কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ কান্দালভি যা বলছেন - তা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ইজতেমায় অংশ নেবার জন্য সাদ কান্দালভি ঢাকায় আসলেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি। তিনি কাকরাইল মসজিদে অবরুদ্ধ ছিলেন। সাদ কান্দলভির অনুসারীরা বলছেন, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতারা সাদ কান্দালভির বিরুদ্ধে সক্রিয়। কিন্তু হেফাজতের নেতারা এ অভিযোগ সরাসরি স্বীকার করেন না। | বাংলাদেশে ইজতেমা নিয়ে বিরোধের আপাতঃ অবসান হয়েছে এবং আগামী মাসে একটি ইজতেমা করতে সম্মত হয়েছে তাবলীগের বিবদমান দু'পক্ষ। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিয়ে চালানো ইউসিএলের এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এর কারণ নিশ্চিতভাবে না জানলেও গবেষকরা ধারণা করছেন কোনো সময়ে নিয়মিত ধূমপান করার ফলে শরীরে পাকাপাকিভাবে পরিবর্তন আসতে পারে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বিবিসি'র একটি অনলাইন জরিপে অংশ নেয়া মানুষের তথ্য উপাত্ত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটি। গবেষণায় অংশ নেয়া মানুষকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে: তাদের তাদের শারীরিক যন্ত্রণার পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের উত্তরের ভিত্তিতে তৈরি করা শুন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কেলে সেই উত্তর বসানো হয়। যারা কখনো ধূমপান করেননি, তাদের চেয়ে বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ীরা গড়ে ১ থেকে ২ পয়েন্ট বেশি পান, অর্থাৎ তাদের শারীরিক যন্ত্রণার হার অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি। অথবা বলা যায়, ধূমপান ছেড়ে দিলেও ভবিষ্যতে এই অভ্যাসের কারণে শারীরিক যন্ত্রণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গবেষকদের একজন ডক্টর ওলগা পারস্কি বিবিসিকে বলেন, "গবেষণার প্রধান আবিষ্কার হলো, সাবেক ধূমপায়ীরাও অপেক্ষাকৃত বেশি শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করেন।" "কিন্তু এটি চিকিৎসাগত দিক থেকে অর্থবহ কি-না, সেটি এখনও নিশ্চিত না।" আরো পড়তে পারেন: চিকিৎসকের দৃষ্টিতে ধূমপান ছাড়ার ১০টি সহজ উপায় ধূমপান কমিয়ে লাভ নেই - ব্রিটেনে নতুন গবেষণা 'ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেট প্রধান হাতিয়ার হতে পারে' ধূমপানের সাথে শারীরিক যন্ত্রণার সম্পর্ক কেন? ধূমপানের সাথে শারীরিক যন্ত্রণার কী সম্পর্ক সেবিষয়ে এখনো নিশ্চিত না বিজ্ঞানীরা। একটি ধারণা রয়েছে যে সিগারেটে যে কয়েক হাজার ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি টিস্যুর ক্ষতি করে - যার ফলে শরীরে ব্যাথা তৈরি হয়। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে শরীরের হরমোনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে ধূমপান। তবে এমন সম্ভাবনাও থাকতে পারে যে ধূমপান আসলে ব্যাথার কারণ নয়, উপসর্গ মাত্র। এরকম ধারণার কারণ হলো, বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিরা তীব্র ব্যাথা বোধ করেন বা তাদের ধূমপানের সম্ভাবনা বেশি - গবেষণায় এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। সুতরাং এমন হতেও পারে যে, যে ধরণের মানুষের ব্যাথার কথা প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি, সেই ধরণের মানুষের ধূমপায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গবেষক ডক্টর পারস্কি বলছেন শরীরে তীব্র ব্যাথা এবং পিঠে ব্যাথার সাথে ধূমপানের সম্পর্ক আছে, গবেষণা এর আগেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। ধূমপান বিরোধী ক্যাম্পেইন গ্রুপ অ্যাশ'এর প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ আরনট বলেন, "১৯৫০ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় যে ধূমপানের সাথে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর গত কয়েকদশক যাবত হওয়া নানা গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্রায় সব ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে ধূমপানের কারনে আরো খারাপ অবস্থা তৈরি হয়।" "ক্যান্সার, হৃদরোগ ও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ ছাড়াও অন্ধত্ব, বধিরতা, ডায়বেটিস, স্মৃতিভ্রম এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান। এছাড়া অপারেশন হওয়ার পর ধূমপায়ীরা সেরে উঠতে অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি সময় নেয়। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের অপারেশন সফল না হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।" | যারা ধূমপান করেন, এমনকি যারা আগে ধূমপান করতেন এবং এখন ছেড়ে দিয়েছেন, তারাও অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করেন বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | শহীদুল আলম ঢাকার দৃক গ্যালারিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সকালে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে রেহনুমা আহমেদ বলেন, "শহীদুল আলমকে তুলে নেয়ার ব্যাপারে আমরা অফিশিয়ালি কোন তথ্য পাইনি। আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না তিনি কোথায়? সকালে ডিবি অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন, ভেতরের কারও কোনও তথ্য দেওয়ার নিয়ম নেই। সকালে দেখলাম একটা গাড়িতে করে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে কোথায় নেওয়া হচ্ছে আমরা এখনও জানি না। আমরা জানতে চাই, তার কী অপরাধ?" তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য নিশ্চিত করা হয়েছে যে মি. আলমকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ফেসবুক লাইভে সরাসরি সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আইনজীবী সারা হোসেন, বেসরকারী সংগঠন নিজেরা করি'র খুশী কবির এবং গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি। গতরাতে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছিল, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম শহীদুল আলমকে চলমান ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়ে তাঁর কিছু ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। দৃকের সংবাদ সম্মেলনে রেহনুমা আহমেদ। রেহনুমা আহমেদ এই আটকের বিরুদ্ধে রাতেই ধানমন্ডি থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন । পরে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আসেন। যেকোন নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাবাদের জন্য আটক করার আইনী বিধান রয়েছে উল্লেখ করে সারা হোসেন বলেন, "বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যদি কাউকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে যথাশিঘ্র তার পরিবারকে আটকের কারণ জানাতে হবে। আটক ব্যক্তিকে তার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এছাড়া বেআইনিভাবে কারো গৃহে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ, সেই সঙ্গে নিজস্ব যোগাযোগ মাধ্যমের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারটি সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।" পুলিশ যদি এই নির্দেশনা না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান সারা হোসেন। এ ব্যাপারে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম বলেন,"শহীদুল আলমকে একটি বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের করতে আটক করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, গ্রেফতারের কারণ জানানোর বিধান সংবিধানে আছে।" তিনি বলেন, "বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে কারো বিরুদ্ধে কোন তথ্য আসলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। মামলা হওয়া সাপেক্ষেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এমন নয়। কোন তথ্য জানার ক্ষেত্রে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কোন আইনী বাধা নেই।" আরও পড়তে পারেন: 'ভোগ' ম্যাগাজিনে সৌদি রাজকুমারী: কেন এত বিতর্ক অনুমতি ছাড়া অন্যের ছবি ব্যবহারের শাস্তি কী? বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শোয়েব ফারুকীর 'স্রষ্টার জন্য খাবার' সেরা ছবি এদিকে সরকারকে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার মতো কাজ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, "জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহি করতে হবে। সরকার যদি মনে করে যে তারা সঠিক কাজ করছে, তাহলে ভীতি কিসের? ক্রমাগত সংবিধান লঙ্ঘনের কারণে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি কোথায় ঠেকেছে?" এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনানুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান। | আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ফটোগ্রাফার শহীদুল আলমকে কেন বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তাঁর পরিবারকে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | ভারত শাসিত কাশ্মীরে এখনও চলাফেরার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ চলছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করছে, সেখানে কমপক্ষে চার হাজার লোককে বন্দী করা হয়েছে। কাশ্মীরি রাজনীতিবিদ শেহলা রশিদ দিল্লিতে একের পর এক টুইট করে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাতে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তরুণ যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। "তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করছে, খাবার ফেলে দিচ্ছে বা চালের বস্তায় তেল ঢেলে দিচ্ছে এবং শেষে বাড়ির যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।" তিনি আরও লিখেছেন, সোপিয়ানের একটি আর্মি ক্যাম্পে চারজন যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে জেরা ও নির্যাতন করার সময় তাদের সামনে মাইক্রোফোন ধরে রাখা হয়েছিল - যাতে তাদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে গোটা এলাকা ভয় পায়। তবে সোপিয়ানের আর্মি ক্যাম্পে কাশ্মীরি যুবকদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তার অডিও মহল্লায় শোনানো হয়েছে বলে শেলা রশিদের দাবিকে সামরিক বাহিনীর সূত্রে 'ফেক নিউজ' বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর শেহলা রশিদের এইসব অভিযোগকে মিথ্যা রটনা বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দাবি করেছেন আইনজীবী অলক শ্রীবাস্তব। তিনি প্রশ্ন তুলছেন, "ওই সব কথিত নির্যাতনের অডিও বা ভিডিও কোথায়? কিংবা নির্যাতিতদের নাম, পরিচয় বা ঘটনা কোথায় ঘটেছে সেগুলোই বা কেন তিনি জানাতে পারছেন না?" ঠিক দুসপ্তাহ আগের আর এক সোমবারে ভারতীয় পার্লামেন্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর থেকে সেখানে এযাবত কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশাসন আগাগোড়াই অস্পষ্টতা বজায় রেখেছে। তবে সরকারি মুখপাত্র নির্দিষ্টভাবে কোনও সংখ্যা জানাতে অস্বীকার করলেও বার্তা সংস্থা এএফপি কাশ্মীরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্ধৃত করে বলছে, আটকের সংখ্যা কিছুতেই চার হাজারের কম হবে না। আরও পড়ুন: কাশ্মীর: মাত্র ১০০ মিটার দূরেই শত্রু, কেমন লাগে কাশ্মীর: অন্যান্য রাজ্যের জন্যও কি একটি সংকেত? সেনাবাহিনী ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়ে কাশ্মীরি যুবকদের নির্যাতন করছে - শেহলা রশিদের টুইট স্কুল-কলেজে তালা এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে সোমবার থেকে আবার স্কুল খোলার কথা থাকলেও বেশির ভাগ স্কুলই খোলেনি, বা খুললেও বাচ্চারা আসেনি। এদিকে দুসপ্তাহ পরে আজ সরকার আবার জম্মু ও কাশ্মীরে সব স্কুল খোলার উদ্যোগ নিলেও সে চেষ্টা কার্যত ভেস্তে গেছে। শ্রীনগর থেকে বিবিসির রিয়াজ মাসরুর এদিন বলছিলেন, "আজ থেকে আবার স্কুল খোলার ঘোষণা হলেও শহরে তা কার্যকর করা হয়নি।" "প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ক্লাস এইট পর্যন্ত বাচ্চারা স্কুলে আসবে - পরে সেটাকে শুধু ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে কারফিউ-র ভেতর বাবা-মারা শেষ পর্যন্ত ওই ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর ঝুঁকি আর নেননি।" ফলে প্রশাসন যা-ই দাবি করুক কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দূরে - আর তারই মধ্যে শত শত যুবককে আটক করা বা তুলে নেওয়ার খবর যথারীতি আরও আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। এএফপি বলছে, কাশ্মীরে কমপক্ষে চার হাজার লোকেক আটক করা হয়েছে। জামাত সমর্থকরাই টার্গেট? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মীনাক্ষি গাঙ্গুলিও বিবিসিকে বলছিলেন পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। তার কথায়, "দেখুন ডিটেনশন তো শুধু গত দুসপ্তাহে নয় - তার বহু আগে থেকেই হচ্ছে। ইয়াসিন মালিক কিংবা হুরিয়াতের আরও বহু নেতাকে তো অনেকদিন ধরেই আটকে রাখা হয়েছে।" "সরকার যদিও বলছে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা খুব অল্প কিছু লোককে আটক করেছে, আমরা কিন্তু বলব আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তারা এখানে তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। আমরা এনিয়ে খুব শিগগিরি বিবৃতিও দেব।" "এসব ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব হল স্বচ্ছতার সঙ্গে আটককৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা, যাতে পরিবারের লোকজন জানতে পারে তারা কোথায়।" "তাদেরকে আইনি সহায়তা দেওয়া দরকার, ডিটেনশনের মেয়াদ যাতে অনির্দিষ্টকাল না-হয় সেটা যেমন দেখা দরকার - তেমনি ডিটেনশন ছাড়া অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যেত কি না, সেটাও জাস্টিফাই করতে হয়। কিন্তু কাশ্মীরে ভারত সরকার কোনওটাই এখনও করেনি", বলছিলেন মীনাক্ষি গাঙ্গুলি। শ্রীনগরের লেখক ও গবেষক বশির আসাদও অবশ্য দিল্লিতে বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর লোককে আটক করা হচ্ছে এবং এখানে মূলত নিশানা করা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ও ভাবধারার লোকজনকে।" "বস্তুত কাশ্মীরে জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল মাসদুয়েক আগেই, এখন তাদের সমর্থকদের জেলে আসা-যাওয়া লেগেই আছে", বলছিলেন মি আসাদ। এএফপি যদিও দাবি করেছে, কাশ্মীরের জেলে আর জায়গা নেই বলে আটক বহু ব্যক্তিকে বাকি ভারতেও পাঠাতে হচ্ছে, বশির আসাদ অবশ্য পরিস্থিতি ততটা খারাপ বলে মনে করছেন না। | ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর গত দুসপ্তাহে শত শত যুবককে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | অ্যাথলেট সালাহ আমেদান যারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, তারা মূলত সবাই নিজ ভূমি থেকে নির্বাসিত। ১৯৭৫ সালে পশ্চিম সাহারা মরুভূমির সাহারাউয়ি এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নেয় মরক্কো। তখন থেকেই অসংখ্য সাহারাউয়ি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতি বছর আলজেরিয়ায় সাহারা মরুভূমিতে নিজেদের প্রতিবাদ আর মাতৃভূমির স্বাধীনতার দাবিতে একটি ম্যারাথন আয়োজন করেন তারা। ওই ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন অ্যাথলেট সালাহ আমেদান। তিনি বলেন, ''আমি আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য দৌড়াচ্ছি, যাদের বহুদিন দেখতে পাই না।'' ''আমার ছোট্ট পরিবারটি দখলকৃত এলাকায় রয়ে গেছে। কিন্তু আমার সেখানে যাওয়া নিষেধ। দেড় বছর আগে আমার বাবা মারা গেছেন। তখনো আমি সেখানে যাওয়ার অনুমতি পাইনি।'' এই মরুভূমিতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্বাধীনতার দাবিতে ম্যারাথন যাকে তিনি দখলীকৃত এলাকা বলছেন, সেই এলাকা নিজেদের দক্ষিণ প্রদেশ বলে দাবি করে মরক্কো। প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৭৫ সালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নেয় মরক্কো। সালাহ আমেদান ওই এলাকাতেই বড় হয়েছেন। বারো বছর বয়স থেকে তিনি মরক্কোয় খেলাধুলা শুরু করেন। মরক্কোর জাতীয় দলের হয়ে পুরস্কার আর আরব অ্যাথলেট পুরস্কার পেয়েছিলেন আমেদান। কিন্তু ২০০০ সালে একটি প্রতিযোগিতার পুরস্কার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হলে, তিনি অবহেলার বিষয়টি উপলব্ধি করতে শুরু করেন। এর চার বছর পর ফ্রান্সে একটি দৌড়ানোর প্রতিযোগিতায় তিনি মরক্কোয় নিষিদ্ধ সাহারাউয়ি পতাকা উড়ান। এরপর থেকেই থেকেই তাকে মরক্কোয় নিষিদ্ধ করা হয়। আমেদান বলছেন, পতাকা ওড়ানোর সময় আমি অনেকটা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম। আর প্রথমবার অনেক দায়িত্বও অনুভব করি। আমি যদিও নিজেকে আর আমার পরিবারকে ঝুঁকিতে ফেলেছি, কিন্তু আমি মনে করি আমি দখলীকৃত ভূমির মানুষজনের পাশে দাড়াতে পেরেছি। ম্যারাথনের পুরো পথ ধরে অ্যাথলেটদের পানি, খেজুর আর কমলা সরবরাহ করেন নারীরা চার দশক আগের যুদ্ধের পর থেকেই অসংখ্য সাহারাউয়ি মানুষ প্রতিবেশী আলজেরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে ছয়টি শরণার্থী শিবিরে এখন বাস করছে লাখ লাখ মানুষ। তারাই অংশ নিয়েছেন এই ম্যারাথনে। অবশ্য মাতৃভূমির স্বাধীনতা নিয়ে এসব মানুষের স্বপ্ন এখন অনেকটা ফিকে হয়ে আসতে শুরু করেছে। কারণ ২৫ বছর আগে এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু এখনো সেই ভোটের দেখা মেলেনি। আর তাই অনেক সাহারাউয়ি আবার অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার কথাও ভাবছেন। যেমন সাহারাউয়ির একজন সামরিক নেতা আলী সালাম সিটি মোহাম্মেদ বলছেন, যা এক সময় জোর করে নিয়ে নেয়া হয়েছে, সেটি ফেরত নিতে হলেও শক্তি খাটিয়েই নিতে হবে। স্বাধীনতার দাবিতে সাহারাউয়িদের ম্যারাথন লায়ুম ক্যাম্পের গভর্নর মোহাম্মেদ বেসাত বলছেন, ''একপক্ষের মাধ্যমে শান্তি আসবে না। মরক্কোকে বাধ্য করতে হলে তাদের উপর কোন না কোনভাবে চাপ তৈরি করতে হবে। সেটা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী থেকে হতে পারে অথবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না।'' তিনি আরও বলেন, ''দরকার হলে আমরা আবার যুদ্ধে জড়াবো। কারণ আমরা সাহারাউয়ির সবাই একটি যোদ্ধা জাতি।'' এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মরক্কো সরকারের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। নিজেদের পতাকা তুলে ধরছেন সাহারাউয়ি নারীরা ম্যারাথন শেষে সেখান আসা ভিকতোর সালাহ নামে একজন তরুণের সঙ্গে কথা হচ্ছিল বিবিসি সংবাদদাতার। সালাহ'র কাছে তিনি জানতে চান এতসব জটিলতার মধ্যে তিনি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা আশা রাখেন? জবাবে সালাহ বলেন, ''আমি মনে করি, আমাদের নিজ ভূমিতে ফেরত যাওয়ার আগে সাময়িক একটি সময় আমরা পার করছি। একদিন আমরা সেখানে ফেরত যাবো বলেই আমি আশা করছি। আশা ছাড়া মানুষের জীবনের আর কি থাকে?'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: 'সাংবাদিকতায় একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে' প্রতিবেশীদের তুলনায় বাংলাদেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র গুরগাঁওতে নামাজ পড়ার সময় 'জয় শ্রীরাম' বলে হামলা | সাহারা মরুভূমির গভীরে, আলজেরিয়া সীমান্তের কাছে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় সাহারা ম্যারাথনের। তবে এটি এখন শুধুমাত্র সাধারণ কোন একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আসলে একটি প্রতিবাদ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | আগেরবারের ভারত সফরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২৫শে মে তিনি শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত 'বাংলাদেশ ভবনে'র উদ্বোধন করবেন বলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। পরদিন পশ্চিমবঙ্গে কবি নজরুলের নামাঙ্কিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি গ্রহণ করবেন সাম্মানিক ডিলিট। পশ্চিমবঙ্গের এই দুটি অনুষ্ঠানেই তার সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দেখা হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যদিও রাজ্য সরকার বিবিসিকে পরিষ্কার জানিয়েছে তিস্তা চুক্তি নিয়ে তাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই পটভূমিতে কেন আবার এত কম সময়ের ব্যবধানে শেখ হাসিনার এই ভারত সফর ? আসলে লন্ডনে গত মাসে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে যখন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার দেখা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত সফরের ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছিল তখনই। সেই অনুযায়ী ২৫শে মে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই শেখ হাসিনা বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন। পরদিন আসানসোলের কাছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেবেন সাম্মানিক ডিগ্রি। যে পশ্চিমবঙ্গের বাধাতে তিস্তা চুক্তি আটকে আছে, সেই রাজ্যেই তার এই সফরে অবশ্য তিস্তার ছায়া তেমন পড়বে না বলেই বিশ্বাস করেন ঢাকায় সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী। "আমার মনে হয় তিস্তা ইস্যু এখন অনেক ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে গেছে," বলছিলেন তিনি। মি. চক্রবর্তীর আরও ধারণা, "ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলেই শেখ হাসিনা এই সফরে সম্মতি দিয়েছেন। তা ছাড়া, এই সফর প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও তার আরও এক দফা আলোচনার সুযোগ করে দেবে।" কবি নজরুলের জন্মস্থান চুরুলিয়ার কাছে অবস্থিত যে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে ডিগ্রি দিয়ে সম্মান জানাচ্ছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারেরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। আরো পড়ুন: পাহাড়িদের দলগুলো বিভক্ত হয়ে পড়ছে কেন বাল্য বিয়ে ঠেকানোর মোবাইল অ্যাপ এলো বাংলাদেশে ভারতে দলিত হত্যার কিছু কাহিনি প্রয়োজনে আসাদকে হত্যার ইঙ্গিত ইসরায়েলি মন্ত্রীর জানা যাবে বজ্রপাতের পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথেও শেখ হাসিনার বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। সেখানকার অধ্যাপক অশিস মিস্ত্রি বলছিলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে শেখ হাসিনার সফর প্রথাগত কূটনীতির বাইরেও সম্পর্কের অন্য একটা দিগন্ত খুলে দিতে পারে। তার কথায়,"প্রোটোকলের কূটনীতির বাইরেও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসির যে একটা পরিসর আছে, কিংবা ট্র্যাক-টু ট্র্যাক-থ্রি যাই বলুন না কেন, সেই দিক থেকে কিন্তু আমাদের এখানে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সফর আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।" দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যে তিস্তার মতো ইস্যুর এখনও মীমাংসা হয়নি, এই ধরনের ইনফর্মাল সফর - যেখানে দুই দেশের মানুষের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় - সেখানেই বরফ গলার প্রক্রিয়াটা শুরু হতে পারে বলে তিনি আশাবাদী। "আর আমাদের দু'দেশের সম্পর্কটা যে শুধু ঢাকা-নতুন দিল্লির মধ্যেই সীমিত নয়, সেখানে পশ্চিমবঙ্গেরও বড় ভূমিকা আছে, তা তো অতীতে বারে বারেই দেখা গেছে", বলছিলেন অধ্যাপক মিস্ত্রি। বস্তুত বিশ্বভারতী বা আসানসোলে মমতা ব্যানার্জি ও শেখ হাসিনার মধ্যে একান্ত আলোচনা হতে পারে, সেই সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির ক্যাবিনেটে সেচমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি বিবিসিকে পরিষ্কার জানাচ্ছেন, তিস্তার এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে জল ভাগাভাগির চুক্তি করার কোনও অবস্থাই নেই। "এই শুখা মরশুমে তিস্তায় জল নেই বললেই চলে। উজানে যেভাবে সিকিম তিস্তার ওপর একের পর এক বাঁধ দিয়েছে তাতে এককালের ভরা নদী তিস্তা এখন একেবারে শুকিয়ে গেছে, আমাদের চাষের প্রয়োজনই মিটছে না।" "আমরা মনে করি তিস্তায় জলের প্রবাহ না বাড়িয়ে যদি চুক্তি করা হয় তাহলে তা কারোরই কাজে আসবে না, কাউকেই সন্তুষ্ট করতে পারবে না। ফলে এখন চুক্তি করাটাই তো অর্থহীন," বলছিলেন মি ব্যানার্জি। ফলে বাংলাদেশে নির্বাচনী বছরে শেখ হাসিনার এই পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত সফর তিস্তা নিয়ে জট খুলতে পারবে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। | বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র বছর-খানেকের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এ মাসের শেষের দিকে ভারত সফরে যাচ্ছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলাভবন প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য: অপরাজেয় বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে বেদম প্রহার করে হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ডাকসু ভিপি ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ৫০/৬০ জনের একটি দল নিয়ে ফরিদ হাসানকে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে মিছিল করতে করতে এস এম হলে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে। তার সাথে এসময় শামসুন্নাহার হলের ভিপি তাসমিন আফরোজ ইমিসহ বিভিন্ন হলে যারা স্বতন্ত্র জয়ী হয়েছিলো তারাসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছিলেন। তাদের মিছিলটি হলে পৌঁছালে ছাত্রলীগ পাল্টা মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে নুরুল হক নুরের সাথে আসা মেয়েদের লক্ষ্য করে ডিম ও পাথর নিক্ষেপ করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী একজন ছাত্র বিবিসিকে জানান। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে শামসুন্নাহার হলের ভিপি তাসমিন আফরোজ ইমি বলেন, "আমি নির্বাচিত ভিপি—সবাই জানেন ফরিদের সাথে কি হয়েছে। আমি একটি হলের নির্বাচিত ভিপি। আমি তাদের মতো কারচুপি করে ভিপি হইনি। আমি দুজনকে যিনি (তিনি হামলাকারীর নাম পরিচয় উল্লেখ করেছেন)। আরও যারা ছিলো তাদেরও চিনি। একজন আমার গায়ে হাত দিয়েছে। আমি প্রক্টর অফিসে যাবো। আমি এর বিচার চাই।" প্রত্যক্ষদর্শী এন এইচ সাজ্জাদ জানান, "বাইরে যখন এমন পরিস্থিতি তখন প্রাধ্যক্ষের রুমে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যেই একাই ছিলেন ডাকসু ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক। সেখান থেকে ব্যাপক চিৎকার, হৈ চৈ, চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের সেদিকে যেতে দেয়া হয়নি।" পরে হল প্রাধ্যক্ষ আসার বেশ কিছুক্ষন পর ডাকসু ভিপি সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। ফরিদকে নির্যাতনের ঘটনা ফরিদ হাসান সাম্প্রতিক ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে এসএম হল থেকে ছাত্রলীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। সোমবার রাতে তাকে বেদম প্রহার করে হল থেকে বের করে দেয়া হলে হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই প্রতিবাদে ডাকসু ভিপিসহ বিভিন্ন হল সংসদে স্বতন্ত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য এসএম হলে যান। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ারদার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ছাত্রদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো। এখন সব শান্ত হয়েছে। ভিপিকে অবরুদ্ধে করা হয়নি। আর কোনো হামলার ঘটনাও ঘটেনি"। ছাত্রলীগ কী বলছে? হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান তাপস বলেন ডাকসু ভিপিকে তারা অবরুদ্ধ করেননি। "হলে বহিরাগতরা এসেছিলো তদের ভুয়া বলে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভিপিকে অবরুদ্ধ করা হয়নি। তিনি এসে প্রাধ্যক্ষের সাথে কথা বলে চলে গেছেন। তবে মেয়েদের নিয়ে হলের ভেতরে আসায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে"। | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এস এম হল) এক ছাত্রকে বেদম প্রহার করে হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনার জের ধরে তুমুল উত্তেজনারখবর চলছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বাংলাদেশের লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার একটি গ্রামে রাস্তার উপর অপেক্ষা করছেন মেহেরবান বিবি ও আর্জিনা বেগমের পরিবার। আশা পানি নেমে গেলেই ভারতীয় অংশে নিজ গ্রামে ফিরে যাবেন তারা। কোচবিহার জেলার অন্তত দুটি এলাকা থেকে বহু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার থেকে নির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী। বাংলাদেশের লালমনিরহাট থেকে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলো থেকে বন্যাক্রান্ত হয়ে ৫ থেকে ৬শ লোক এসেছিল। লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোরশেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, যেহেতু তারা বিপদে পড়ে এসেছে, মানবিক কারণেই তাদেরকে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়নি। তারা এখানে এসে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ঘর-বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। তিনি বলেন, সীমান্তের ওই এলাকাটি একটু অদ্ভুত। সীমান্তে বাংলাদেশের দুটি গ্রাম মোগলহাটা ও দুর্গাপুরের মধ্যবর্তী জায়গায় রয়েছে তিনটি ভারতীয় গ্রাম, যেগুলো ধরলা নদী দ্বারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন এবং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত। সীমান্তে কাঁটাতারও নেই সেখানে। ফলে বন্যাপ্লাবিত হওয়ার পর তারা আর ধরলা পাড়ি দিয়ে ভারতে যেতে পারেনি, তাই বাংলাদেশে চলে এসেছে। ভারত থেকেও একই রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় অংশের দিনহাটা মহকুমার জারিধরলা আর দরিবস গ্রামগুলি থেকে এবং তুফানগঞ্জ এলাকার চরবালাভূত এলাকার বন্যাদুর্গত মানুষদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি সেখানকার নদীগুলিতে প্রবল স্রোতের কারণে। নদীতে গত কয়েকদিনের বন্যার কারণে ব্যাপক স্রোত বইছে। ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া সেই জারিধরলা ও দরিবস গ্রাম পুরোটাই প্রায় ডুবে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের সামিদুল হক ও তার পরিবার লালমনিরহাট সদর উপজেলার এক গ্রামে এক পরিচিতর বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, সাথে নিয়ে এসেছেন তার প্রিয় গবাদি পশুগুলোও। কোচবিহার থেকেই নির্বাচিত রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলছেন, "জারিধরলা আর দরিবস এলাকায় প্রায় হাজার ছয়েক মানুষ থাকেন। নদীতে এমন স্রোত, যে এত লোককে উদ্ধার করে নিয়ে আসা অসম্ভব। ত্রাণও পৌঁছনো যাচ্ছে না। সেজন্যই ওরা বাংলাদেশের দিকে চলে গেছে বলে জানতে পেরেছি।" তিনি আরও জানান যে তুফানগঞ্জ এলাকার চরবালাভূতেরও একই অবস্থা। হাজার চারেক মানুষ সেখানে জলবন্দী হয়ে আছেন। তবে ঠিক কত জন সেখান থেকে বাংলাদেশের দিকে গেছেন, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জারিধরলা আর দরিবস এলাকার মানুষ বাংলাদেশের মোগলহাটে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। "আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমাদের নাগরিকদের বিপদের দিনে তারা ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করছেন," বিবিসি বাংলাকে বলেন মন্ত্রী মি. ঘোষ। তবে বিএসএফের সূত্রগুলি বলছে, ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে চলে গেছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ, এমন তথ্য বিজিবি তাদের জানায়নি এখনও। মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলছিলেন, আগেও বন্যার সময়ে ওই এলাকার মানুষ বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। "ওই অঞ্চলের মানুষকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে নদীর এপারে খাস জমি দিচ্ছি, সেখানে বসবাস করুন। ছাত্রছাত্রীদের হোস্টেল করে দিচ্ছি, সেখানে থেকে তারা পড়াশোনা করুক। তবে খুবই উর্বর জমিতে তারা কলা চাষ করেন। সেজন্যই নদীর এদিকে আসতে রাজী নন তাঁরা কেউ," বলছিলেন মি. ঘোষ। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বন্যার জল কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। তাই যারা বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছিলেন, এমন কিছু মানুষ আবারও ফিরতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশে বিজিবির লে. ক. মোরশেদও বলছেন, যারা আশ্রয় নিতে এসেছিল, তাদের বেশীরভাগই ভারতে ফিরে গেছেন। এখন ওই এলাকায় বড়োজোর ৫০-৬০টি ভারতীয় পরিবার রয়ে গেছে | ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া কয়েকশ মানুষ এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ৮ ম্যাচ খেলে এই বিশ্বকাপে ১১ টি উইকেট নিয়েছেন জিমি নিশাম। টুইটারে এমন নানা ধরনের কথাবার্তার জন্য বেশ সমাদৃত তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর নিশাম লেখেন, "এটা আসলেই কষ্টকর। আশাকরি আগামী এক দশকে হয়তো এক বা দুইদিন পাবো যখন আমার মনে এই খেলার শেষ আধা ঘন্টার কথা আসবে না। ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন, তারা যোগ্য।" ক্রিকেটের প্রতি সে মাঝেমধ্যেই অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে টুইটারে প্রায়শই মতামত দেন নিশাম। এমনকি এই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার যাত্রার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে আরো পড়ুন: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের বৃষ্টির কথা ভেবে রিজার্ভ ডে রাখা উচিত ছিল কি? ম্যান অফ দা টুর্নামেন্টের দৌড়ে এগিয়ে কারা? বাংলাদেশ-ভারত খেলার উত্তেজনা সামাজিক মাধ্যমে এমন মজার পোস্ট প্রায়ই দেন নিশাম ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানান নিশাম, "ক্রিকেটে আপনি ১০ হাজার বল অনুশীলন করে মাঠে নামবেন এরপর দেখা যাবে, প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে আউট হয়ে গেলেন, তখন মনে হয় সব কষ্ট বৃথা।" বিশ্বকাপের এই ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে অনেকেই টুইট করেছেন। যুবরাজ সিং তো বলেই দিয়েছেন এই নিয়ম তিনি মানেন না। যুবরাজ সিং এর টুইট। তিনি লিখেছেন, "আমি এই নিয়ম মানি না! কিন্তু নিয়ম তো নিয়মই, অভিনন্দন ইংল্যান্ডকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জয়ের জন্য, আমার হৃদয় কিউইদের জন্য যারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন।" "দুর্দান্ত খেলা ও মহাকাব্যিক ফাইনাল," টুইটারে এভাবেই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে যুবরাজ সিং। পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার শোয়েব আখতার বলেছেন, "বিশ্বকাপ ফাইনাল হিসেবে এটা অবিশ্বাস্য, মনে হচ্ছে ট্রফি ভাগাভাগি হয়েছে, ম্যাচ টাই, সুপার ওভার টাই, বেশি বাউন্ডারি মেরে জিতলো ইংল্যান্ড, লর্ডসে দারুণ এক দৃশ্যপট।" বেন স্টোকস ও কেইন উইলিয়ামসনকে শুভকামনা জানান সাচিন। কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান, সাচিন টেন্ডুলকার টুইটারে বেন স্টোকস এবং কেইন উইলিয়ামসনের প্রশংসা করেন। ভিভি এস লক্ষণও বলেন, জিমি নিশাম কদিন আগেও ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন, প্রায় বিশ্বকাপ জিতে গিয়েছিলেন, বেন স্টোকস ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ভুলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এটা খেলাধুলার জগতের জন্যই শিক্ষামূলক। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: এরশাদের অবর্তমানে জাপা ‘বিলুপ্ত হতে পারে’ এরশাদ: কবিখ্যাতির জন্য ব্যাকুল এক সেনাশাসক এরশাদের সফলতা এবং বিতর্কের নানা দিক | "বাচ্চারা তোমরা খেলাধুলায় এসো না। বেকারি অথবা অন্য কিছু শুরু করো। ষাট বছর বয়সে খুশি ও মোটা অবস্থায় মারা যাও," ম্যাচ শেষে টুইটারে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে ওই নারী লোকটির ওই আচরণের দৃশ্য নিজের ফোনে রেকর্ড করেন - এবং পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করার ঠিক আট ঘণ্টা পর, কলকাতা পুলিশের ভাষায় 'শহর চষে ফেলে' তারা শনিবার রাতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে কলকাতা পুলিশের নিজস্ব ফেসবুক পোস্টে ওই ব্যক্তির ছবি দিয়ে লেখা হয়, 'ইনিই তিনি। ধরা পড়েছেন। শাস্তি হবেই, ভরসা রাখুন।' ওই নারী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, শনিবার দুপুরে তিনি যখন বন্ধুর সাথে উত্তর কলকাতার হেদুয়া থেকে ৩০বি/১ রুটের একটি বাসে চেপে যাচ্ছিলেন, তখন ওই ব্যক্তি আচমকাই তাকে উদ্দেশ্য করে ওই জঘন্য কাজটি করতে শুরু করে। চলন্ত বাসে নিজের সিটে বসে প্যান্টের জিপার খুলে পুরুষাঙ্গ বের করে তিনি ওই মহিলার দিকে তাকিয়ে হস্তমৈথুন করতে থাকেন। তিনি বাস কন্ডাক্টরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সে হাসতে হাসতে বলে "আমি কী করতে পারি, বলুন? কার মনে কী আছে সেটা আমি কী করে জানব?" তখন "ওই লোকটি নোংরামো করছেন, ওকে আপনারা ধরুন," বলে সেই নারী চিৎকার করে উঠলেও বাসের যাত্রীরা কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি, তারা সবাই চুপচাপ বসেছিল বলেই তিনি জানাচ্ছেন। এমন কী, তার সঙ্গে এই ঘটনা প্রথম নয় বলেও তার দাবি। দিন-পনেরো আগেও এই একই ব্যক্তি আর একটি বাসে ওই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে একই ধরনের নোংরামো করলেও তখনও বাসের কন্ডাক্টর বা যাত্রীরা কিছুই করেননি বলে তার অভিযোগ। এবার আর তিনি অবশ্য বিষয়টা উপেক্ষা করেননি। নিজের মোবাইলেই ওই ব্যক্তির ছবি রেকর্ড করে নিয়ে তিনি পরে ফেসবুকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে পোস্ট করেন, আর সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে হুলুস্থুল পড়ে যায়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভেতর তার পোস্টে ২৫০০০ কমেন্ট পড়ে যায়, প্রায় চল্লিশ হাজারের মতো লোক সেটি শেয়ার করেন। আরও পড়তে পারেন: কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ও সরকার মুখোমুখি কুকুরের প্রেমে ভারতে থেকে গেলেন ব্রিটিশ দম্পতি পিরামিডের নিচে হাজার বছর আগের নৌকার খোঁজে মসজিদে নারী উপস্থিতি: বিতর্ক বাংলাদেশি কমিউনিটিতে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতা পুলিশ জানায়, তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আরও বলা হয়, প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ওই নারীর ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছিল। ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের স্ট্যাটাস পুলিশ তার নাম পরিচয় প্রকাশ করে বলেছে, তিনি একজন হকার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুব কম সময়ের মধ্যে ধরতে পারায় সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই যেমন কলকাতা পুলিশের তারিফ করছেন, তেমনি বাসের সহযাত্রীরা এই ঘটনায় হাত গুটিয়ে থাকায় নিন্দারও ঝড় উঠেছে। মাত্র কয়েকদিন আগে কলকাতার মেট্রো রেলে এক তরুণ-তরুণী নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় ছিলেন, তার প্রতিবাদে ট্রেনের সহযাত্রীরা স্টেশনে নেমে তাদের ব্যাপক মারধর করেছিলেন। সেই ঘটনার পর কলকাতার 'মরাল পুলিশিং' বা নৈতিকতার মুরুব্বিগিরি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। অনেকেই বলছেন, সেই ঘটনার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে গণপরিবহনে এরকম অসভ্যতা দেখেও কলকাতা কীভাবে চুপ থাকতে পারল, এটাই তাদের মাথায় ঢুকছে না! | ভারতের কলকাতায় একটি বাসে একজন নারীকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করার অভিযোগে পুলিশ একজন মাঝবয়সী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | পুকুরের মাছ মেরে ফেলার ঘটনা প্রায়শই গণমাধ্যমে আসে এখন গবেষকরা বলছেন কিছু পদক্ষেপ নিলেই এসব অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে মুক্তির সুযোগ রয়েছে । সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক বলছেন মড়ক প্রতিরোধে দেশে প্রথমবারের মতো মাছের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছেন তারা, যেটি বিশেষ করে পাঙ্গাস মাছকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষায় সফল হয়েছে গবেষনাকালে। এ ভ্যাকসিনটি ব্যাপক ভাবে বাজারে আনা সম্ভব হলে রুই কাতলা জাতীয় মাছের ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে বলে আশা করছেন তারা। বাংলাদেশের ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা মৎস্য চাষিদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিস ফার্মারস এসোসিয়েশনের মতে দেশের বছরে কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০টি পুকুরে বিষ দেয়ার ঘটনা প্রকাশ পায় আর প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে মড়কেও মারা যায় বহু চাষির মাছ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গ্রামীণ জনগণকে ইলিশ মাছ খাওয়াতে চায় সরকার রাক্ষুসে মাছ স্নেকহেড: দেখামাত্রই হত্যার নির্দেশ যেভাবে একই সাথে চাষ করবেন মাছ ও মুরগি ‘প্রায় বিলুপ্তি’র পথে ১০০ এর বেশি দেশীয় মাছ যেভাবে ক্ষতিকর হয়ে উঠছে বাংলাদেশের চাষের মাছ সব বাজারেই চাষের মাছের আধিক্য দেখা যায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে তারা একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছেন যা মাছকে মড়ক থেকে বাঁচাতে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। "বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই মাছের কোন ভ্যাকসিন নেই। আমরা এটি উদ্ভাবন করেছি। পাঙ্গাস মাছের ক্ষেত্রে প্রায়োগিক সাফল্যও পেয়েছি। এটি মাছকে মড়ক থেকে বাঁচাতে পারবে," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। তিনি বলেন 'বায়োফ্লিম' নামের ভ্যাকসিনটি এরোমোনাস হাইড্রোফিলার মতো ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যা থেকে মাছকে সুরক্ষা দেবে, বিশেষ করে পাঙ্গাস মাছের ক্ষেত্রে এটি বেশি কার্যকরী বলে প্রমাণিত। গবেষণা দলটির আরেকজন সদস্য একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিস বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্সের ডঃ শামীমা নাসরীন বলছেন ভ্যাকসিনটি বড় আকারে উৎপাদন করা গেলে বাংলাদেশের মৎস্য খাত দারুণভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছেন তারা। তিনি বলেন স্বাদু পানিতে চাষ করা হয় এমন মাছগুলোর ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে। বাংলাদেশে চাষের জন্য তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ বেশি জনপ্রিয় খামারিদের কাছে কিন্তু বিষ থেকে কিভাবে বাঁচানো যাবে পুকুরের মাছ গত বছর অগাস্টে ঢাকার কাছে আশুলিয়ায় প্রায় ৬৬ বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে বিষয় দিয়ে একশ টনের মতো মাছ মেরে ফেলার খবর নিয়ে বেশ শোরগোল হয়েছিলো। পুকুরটিতে অসংখ্য ছোট বড় মাছ মরে ভেসে আছে এমন ছবিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলো বহু মানুষ। বাইশ বছর ধরে রংপুরে মাছ চাষ করে আসা রাজ গোস্বামী বিবিসি বাংলাকে বলছেন পুকুরকে ঘিরে প্রযুক্তিগত ও সাইকোলজিক্যাল কিছু পদক্ষেপ নিলে বিষ দেয়ার মতো অপরাধমূলক তৎপরতা থেকে মাছ রক্ষার সুযোগ বাড়বে। তার মতে পুকুরকে ঘিরে কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এগুলো হলো: ১. সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোজন ২. পুকুরে বা খামার এলাকায় ছোট টং ঘর তৈরি করে রাতের বেলায় আলো রাখা ৩. আশেপাশের লোকজনের সাথে সু সম্পর্ক রাখা ৪. টং ঘরে মাঝে মধ্যে অবস্থান করা ৫. সুযোগ থাকলে সার্বক্ষণিক পাহারার আয়োজন করা ৬. স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করে পুকুরকে জিআই তার দিয়ে ঘিরে রাখা ৭. ছোটো পুকুর হলে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা ৮. মাঝ মধ্যেই হুট করে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা মাছ বাজারে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশ ফিস ফার্মারস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার তপন বলছেন যেসব এলাকায় পুকুর বা খামার বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেখানে বিষ দেয়ার মতো ঘটনা বেশি ঘটে। "মূলত সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা কারণে এগুলো ঘটে। বছরে ২০-৫০টি ঘটনা প্রকাশ পায়। এর বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে তবে নজরে আসেনা। এখন আমরা চাষিদের সচেতন করার চেষ্টা করছি যাতে একযোগে প্রতিবাদ করা যায়," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। অন্যদিকে মাছের মড়কের বিষয়ে তিনি বলেন মাছের ব্যবস্থাপনা সঠিক হলে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। "বাংলাদেশে এখন ভ্যাকসিন নেই। মাঝে চেষ্টা হয়েছিলো বিদেশ থেকে আনার কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় হ্যাচারিগুলো তা গ্রহণ করেনি," বলছিলেন সালাউদ্দিন সরকার। খুলনার মৎস্য চাষি তরিকুল ইসলাম বলছেন মাছকে মড়ক থেকে রক্ষার জন্য লবণ ও চুনের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। "পানির ব্যবস্থাপনা ঠিক মতো করতে পারলে মড়কের ঝুঁকি কমে। তবে মাছের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো নিম্নমানের খাবার ও উপকরণ। দক্ষিণাঞ্চলে চিংড়ীর ক্ষেত্রে ভাইরাস আর চোরের উপদ্রবে চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন," বলছিলেন তিনি। মিস্টার ইসলাম বলেন এখন প্রশাসন থেকে সহায়তা পাওয়া যায় দ্রুত কিন্তু তারপরেও চুরির কারণে দক্ষিণের চাষিদের অনেক ক্ষতিই মেনে নিতে হয়। | বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে বিশেষ করে স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় হলেও দেশটিতে মাছ চাষের ক্ষেত্রে বড় দুটি সমস্যা হলো মড়ক ও পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলার মতো প্রতিহিংসা মূলক কাজ। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | শিশুটিকে ঘিরে স্বজনেরা এ সময় তিনি ২৫ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন বলে জানিয়েছেন ক্লিনিকে তিনি যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন সেই চিকিৎসক জিন্নাতুল আরা। "মাত্র ২৫ সপ্তাহের প্রেগন্যান্সি ছিলো। তবে অনেক ব্যথা আর ফ্লুয়িড বের হচ্ছিলো," বিবিসি বাংলাকে জানালেন জিন্নাতুল আরা। "এ অবস্থায় আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ২৫ সপ্তাহের প্রেগন্যান্সির কথা ভেবে আমরা সিজার করতে রাজী হইনি। পরে নরমাল ডেলিভারি হয় সোমবার ভোর চারটার দিকে"। তিনি বলেন, শিশুটির যখন জন্ম হয় তখন তার ওজন ছিলো মাত্র ৬০০ গ্রাম এবং তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাস পাওয়া যাচ্ছিলো না। "দেখে মনে হচ্ছিলো বাচ্চাটি জীবিত নেই। এটি দেখেই তার স্বজনরা চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করেন। তবে আমরা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখি ও প্রায় আধা ঘণ্টা পর তার সাড়া পাই।" জিন্নাতুল আরা বলেন, "এরপর মায়ের সংস্পর্শে দেয়াসহ প্রাথমিক সব ব্যবস্থা নেয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর তার সাড়া মেলে। এরপর দ্রুত তাকে শিশু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে দেয়া হয় এবং তিনি দ্রুততার সাথে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন"। সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আসাদুর রহমান মানিক বিবিসি বাংলাকে জানান, তিনি সোমবার সকাল ৮/৯টার দিকে শিশুটিকে হাতে পান। "তখন তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল ছিলো। শ্বাস নিচ্ছিলো না, তবে হার্ট বিট ছিলো। দ্রুততার সাথে আমরা এখানে যতটুকু ব্যবস্থা আছে তার সবটুকুই নিই," জানান ডা. আসাদুর রহমান। তিনি বলেন, এরপর বাচ্চাটিকে ইনকিউবিটরে দেয়া হয় ও আরও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়। "এক পর্যায়ে বাচ্চাটি নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে। কিন্তু তার জন্য আরো ভালো চিকিৎসা সুবিধা দরকার ছিলো বিধায় আমরা রাজশাহীতে রেফার করি। তবে তার অভিভাবকেরা রাতে তাতে নিতে রাজী হয়নি"। ডা. রহমান জানান, আজ সকালে এসে তিনি আবার শিশুটির অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন এবং তাকে দ্রুত রাজশাহী নেওয়ার পরামর্শ দেন। "পরে শুনলাম বাচ্চাটির অভিভাবকেরা হাসপাতালে না নিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে গেছে এবং সেখানেই দুপুরে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি ঠিক যে শিশুটির অবস্থা খুবই জটিল ছিলো। এ ধরণের শিশুর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উপকরণ চুয়াডাঙ্গায় নেই বলেই আমরা রাজশাহী নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম," বলছিলেন এই চিকিৎসক। শিশুটির বাবা আব্দুল হালিম জানান, শিশুটি বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই নেই দেখেই তিনি তার নিজের সিদ্ধান্তেই তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। "(বাঁচার) ৯০ ভাগ সম্ভাবনা ছিলো না। আর টাকা পয়সার বিষয় ছিলো। তাই ভাবলাম আগে বাড়ি নিই," তিনি বলছিলেন বিবিসি বাংলাকে। শিশুটির চাচা বরকত উল্লাহ বিবিসিকে বলেন, তাদের গতকালই উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেয়ার কথা বলা হলেও অর্থনৈতিক কারণে তারা চেয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা হোক। শেষ পর্যন্ত হাজারহাটি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পর বেলা একটার দিকে মৃত্যু হয় সোমবার ভোরে জন্ম নেয়া শিশুটির। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'সেলফি থেকে জানলাম আমিই চুরি হওয়া শিশু' দৌড় শেষ করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি যে দুঃশ্চিন্তা আচ্ছন্ন করে রাখে ঢাকার পথচারী নারীদের | বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আব্দুল হালিমের স্ত্রী জিনিয়া খাতুন রোববার সকালে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আসেন ব্যথার সমস্যা নিয়ে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | শিজিনপিং এবং মাও জেদং এখন থেকে তাকে চ্যালেঞ্জ করার যে কোনো পদক্ষেপকে কম্যুনিস্ট পার্টির শাসন ক্ষমতার বিরুদ্ধে হুমকি হিসাবে বিবেচনা করা হবে। এর ফলে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি এবং মর্যাদার বিচারে মি শি এখন দলের প্রতিষ্ঠাতা মাও জেদংয়ের সমপর্যায়ে উঠে গেলেন। মাও জেদংয়ের পর তিনিই হয়ে উঠেছেন চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং প্রভাবশালী নেতা। দলের মেনিফেস্টোতে 'নতুন যুগে চীনা সমাজতন্ত্র নিয়ে শি জিনপিংয়ের মতাদর্শ' ঢোকানোর এই প্রস্তাব অনুমোদনে বেইজিংয়ে গ্রেট হলে দলের ২,০০০ প্রতিনিধি হাজির হয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা বলছেন, প্রস্তাবে কারো কোনো আপত্তি রয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে উপস্থিত কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিরা সমস্বরে চেঁচিয়ে ওঠেন - না নেই। ফলে, এখন থেকে চিনা কম্যুনিস্ট পার্টির ৯ কোটি সদস্যের পাশাপাশি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কল-কারখানার শ্রমিকদের চিনা সমাজতন্ত্র সম্পর্কে বর্তমান নেতা শি জিনপিংয়ের 'মতাদর্শ' পড়তে হবে। এর আগেও দাং শাওপিং সহ গুটিকয়েক নেতার 'দর্শন' বা 'ভাবনা-চিন্তা' দলের সংবিধানে স্থান পেয়েছে। কিন্তু মাও জেদং ছাড়া কোনো নেতারই দর্শনকে 'মতাদর্শ' হিসাবে মর্যাদা পায়নি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এখন থেকে হয়তো মাও-এর রেড-বুকের মত শি জিনপিংয়ের মতাদর্শ সম্বলিত কোনো পুস্তিকা চিনে প্রায় বাধ্যতামূলক পাঠ্য হিসাবে আবির্ভূত হবে। শি জিনপিং শি জিনপিংয়ের 'মতাদর্শ' আসলে কী? প্রথম দেখলে বা শুনলে 'শি জিনপিং মতাদর্শ'কে নেহাতই অস্পষ্ট কথামালা বলে মনে হতে পারে। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই চীনা কম্যুনিজম নিয়ে তিনি এসব কথাই বলে যাচ্ছেন। তার ১৪টি মূলনীতিতে তিনি চীনের শাসন ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে কম্যুনিস্ট পার্টির ভূমিকাকে জোর দিয়েছেন। মি শির মতাদর্শের মধ্যে আরো রয়েছে : -"পরিপূর্ণ সংস্কার" এবং "নতুন ভাবনা-চিন্তা" -"মানুষ এবং প্রকৃতির সহাবস্থানের" প্রতিশ্রুতি । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন শি জিনপিং। -"চীনা সেনাবাহিনীর ওপর কম্যুনিস্ট পার্টির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।" -"এক দেশ দুই নীতি" এবং "মাতৃভূমির একত্রীকরণ" যেটাকে পর্যবেক্ষকরা ব্যাখ্যা করছেন হংকং এবং তাইওয়ানের ব্যাপারে মি শি'র অবস্থান। বেইজিং থেকে বিবিসির চীনা বিষয়ক সম্পাদক ক্যারি গ্রেসি বলছেন, চিনা কম্যুনিস্ট পার্টিতে এখন শি জিনপিং শাসনামলকে "নতুন যুগ" হিসাবে জোরালো-ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। নতুন এই যুগকে দেখা হচ্ছে আধুনিক চিনের তৃতীয় অধ্যায় হিসাবে। প্রথম অধ্যায়টি ছিলো যখন মাও জেদং গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত চীনকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। দ্বিতীয় অধ্যায় ছিলো যখন দাং শাওপিং চীনকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তৃতীয় অধ্যায়টি হলো বর্তমান সময় যখন শি জিনপিং চীনকে আরো ঐক্যবদ্ধ করেছেন, চিনের সমৃদ্ধি বাড়িয়েছেন এবং দেশের ভেতর এবং দেশের বাইরে চীনের প্রতিপত্তি এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন। | বর্তমান নেতা শি জিনপিংয়ের 'নাম' এবং তার 'মতাদর্শ' দলের মেনিফেস্টো অর্থাৎ সংবিধানে ঢোকানোর এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে চীনা কম্যুনিস্ট পার্টি। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | কুমিল্লার গন্ধমতি এলাকার স্যাটেলাইট চিত্র। ওই ভবনটির ভেতরে একজন জঙ্গি রয়েছে বলে সন্দেহ। কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ মোহাম্মদ আবিদ হোসেন বিবিসিকে বলেন, গন্ধমতি এলাকায় একটি কবরস্থান আছে, তার পাশে একটি রাস্তার দুপাশে কিছু দ্বিতল, ত্রিতল ও একতলা বাড়ি। এগুলোর মধ্যে একটি বাড়ি তারা ঘিরে রেখেছেন। তাদের সঙ্গে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াটের সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। তারা অভিযানের কৌশল ঠিক করছেন ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঢাকা থেকেও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল সহ আরো সদস্যরা রওনা দিয়েছে। তারা পৌঁছলেই শুরু হবে চূড়ান্ত অভিযান। এমন সময় কুমিল্লায় এই সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলল, যখন, শহরটিতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ডামাডোল চলছে। কাল সকালেই শহরটিতে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর জঙ্গি সন্দেহে যে বাড়িটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে, সেটি রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে। আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে আবর্জনার স্তুপে ফেলে যাওয়া শিশুটি পরিবার পেল বাসা-ভাড়া নেয়ার 'নাটক' করে খুন: সাবেক প্রেমিকাসহ ৪জন আটক অবশেষে নোবেল নিতে রাজি হলেন বব ডিলান ব্রেক্সিট শুরু: ইইউকে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক চিঠি | কুমিল্লা থেকে পুলিশ জানাচ্ছে শহরের সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ি এলাকার গন্ধমতিতে একটি ত্রিতল ভবন ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিনে শেখ হাসিনা নেত্রকোনা জেলার শিক্ষার্থীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করে আলাপ করেন। তিনি বলেন, "বকাঝকা করবেন না। এটা কোনও সমাধান নয়। কী কারণে তার ফল খারাপ হলো, তা খুঁজে বের করে সেটার সমাধান করুন।" ঢাকায় চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এই পরামর্শ দিয়েছেন। পাবলিক পরীক্ষায় এবার যারা ভাল ফল করেছে শেখ হাসিনা তাদের অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আরও পড়তে পারেন: হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো যেভাবে কেটেছিলো ১১৩ বছর আগে স্বর্ণ নিয়ে ডোবা যুদ্ধ জাহাজের সন্ধান রোহিঙ্গা নারী: যাদের মেকাপ আসে প্রকৃতি থেকে আর যাদের ফলাফল ভাল হয়নি বা যারা অকৃতকার্য হয়েছে শেখ হাসিনা তাদেরকে মনোবল ধরে রেখে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়ার উপদেশ দেন। "এখন থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়লে কৃতকার্য হবে। নিজের ইচ্ছায় পড়তে হবে," তিনি বলেন। চলতি বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৬৬.৬৪%। এ বছর মোট পাস করেছে ৮,৫৮,১০১ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯২৬২ জন। শিক্ষাকে সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, ছিনতাই বা চুরি ডাকাতি করেও কেউ নিতে পারবে না। একই সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ থেকে ছাত্ররা যাতে দূরে থাকতে পারে, তার জন্য শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রতি পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন। | বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় খারাপ ফল করলেও তাদের যেন বকাঝকা না করা হয়। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ জুমার নামাজের পরে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে একটি সমাবেশ শেষে সেখান থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে ঢাকায় আসতে না পারেন। এই সমাবেশে নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড বহন করেন বিক্ষোভকারীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমরা নরেন্দ্র মোদী সরকারের নির্দেশ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: দিল্লিতে যেভাবে নড়ে গেছে হিন্দু-মুসলিম বিশ্বাসের ভিত সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্যেই হিন্দু মুসলমানদের হাতে হাত রাখার গল্প করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে কী করছে ইরান? করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে কী করছে ইরান? বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে ঢাকায় আসতে না পারেন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া সানোয়ার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা চাই ভারতের মুসলমানরা যাতে সমভাবে বসবাস করে। তারা যাতে নির্যাতনের শিকার না হয়। সেজন্যই আমরা এ বিক্ষোভ করছি।" বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে জানিয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তিনি আসতে সম্মত হয়েছেন। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকারের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া ভারত অন্য কেউ আসলে তাদের আপত্তি নেই। সমাবেশে অংশ নেয়া মো: মঈন রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের যুদ্ধে কংগ্রেসের সহায়তা ছিল। বিজেপি তো উগ্র। নরেন্দ্র মোদীকে কোন যুক্তিতে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয়া হয়? কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা আসুক, আমরা তাদের সমর্থন জানাবো।" ইসলামপন্থী দলগুলোর নেতারা সমাবেশে বলেন, নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসলে প্রয়োজনে তারা আবারো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করবেন। এ সমাবেশকে কেন্দ্র বায়তুল মোকাররম এবং তার আশপাশের এলাকায় ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। | ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলিমদের উপর সহিংসতার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইসলাম-ভিত্তিক কিছু দল ও সংগঠন। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক না, এখন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের একজন সদস্য, ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত হন তিনি। বিশ্বকাপ ও মাশরাফী, এই দুটো শব্দ একসাথে হলেই ২০১১ বিশ্বকাপ অবধারিতভাবে চলে আসে। সেই বিশ্বকাপে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে ফিটনেসজনিত কারণে দল থেকে বাইরে রাখেন নির্বাচকরা। ২০০৭ বিশ্বকাপে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম বড় তারকার দলের বাইরে থাকা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। খোদ মাশরাফীও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময় আবেগ সামলাতে না পেরে কেঁদেছেন সেবার। ক্যারিয়ারে নানা উত্থান-পতন কাটিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা প্রায় ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে মাশরাফীর অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ইনজুরি। আরো পড়ুন: ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে লিটন দাসের তারতম্য কতটা? ক্রিকেট বিশ্বকাপ: দলে মিরাজের প্রভাব কতটা? হ্যাপী বিতর্কের পর যেভাবে বদলেছে রুবেলের ক্যারিয়ার ক্যারিয়ারে মাশরাফীর হাটুঁতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার শুধু হাটুঁতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। তবু ২০১৪ সাল থেকে অনেকটা নিয়মিতই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এক নজরে মাশরাফীর ওয়ানডে ক্যারিয়ার ম্যাচ২০৯ উইকেট২৬৫ সেরা৬/২৬ গড়৩১.৫৫ ইকোনমি৪.৮১ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ক্যারিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বিবিসি বাংলার মুখোমুখি মাশরাফী মাশরাফীর সবচেয়ে প্রিয় বিশ্বকাপ ২০০৭ সাল, ভারতের দলটি ছিল সেই বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট সেই বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার স্মৃতিটাই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। ২০০৩ বিশ্বকাপে মাশরাফী দলে থাকলেও ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি তিনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনি ৯ ম্যাচে ৯উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে দলে ছিলেন না মাশরাফী। ২০১৫ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ দল। মাশরাফি বলেন, "লেগে থেকেছি অনেকটা দিন, অনেকবার ইনজুরি হয়েছে হাল ছাড়িনি কখনো মানুষ যদি চায়, চেষ্টা করে মেহনত করে, আল্লাহ তা'আলা সাহায্য করেন। শেষ স্টেজে এসে পেয়েছিও অনেক। খেলেছি অনেকদিন, অধিনায়কত্ব করেছি, বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছি, সবকিছু মিলিয়ে চেষ্টা করেছি।" "একজন প্রশ্ন করেছে বিশ্বকাপ আপনার কাছে কী? আমি বলেছি কিছুইনা। আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করি, ব্যক্তি আমার কাছের চেয়ে এটা দলের কাছে ও দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যদি বিশ্বকাপ জিতি সেটা সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপ ফাইনালে হেরেছি সেটা সবাই হেরেছি, জিতলেও আমি একা জিততাম সেটা না, তাই এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই," বলছিলেন মাশরাফি। | বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ২০১৪ সাল থেকেই তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | সুশান্ত সিং রাজপুত। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। রোববার মুম্বাইয়ে বান্দ্রার নিজ বাড়ি থেকে তার গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিবিসি হিন্দি প্রতিবেদককে এই খবর নিশ্চিত করেছেন মুম্বাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার শর্মা। জানা গেছে, বাড়ির গৃহপরিচারিকা তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। মি. সিং বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। তার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক জানিয়ে টুইট করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার, কারান জোহর, ঋত্বিক রোশান, অনুরাগ কাশ্যপসহ অনেকে। ২০১৩ সালে বড় পর্দায় ক্যরিয়ার শুরু করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। শুরুতে ছোট পর্দার মাধ্যমে মিডিয়ে জগতে পা রাখলেও পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে বেশ সফলতার পরিচয় দিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। ২০১৩ সালে 'কাই পো চে' দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করা মি. সিং আমির খানের সুপারহিট ছবি 'পিকেতে'ও কাজ করেছিলেন। তবে তিনি সবার নজরে এসেছেন 'এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি' বায়োপিক চলচ্চিত্রে মূখ্য চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। এছাড়া 'ডিটেকটিভ বোমকেশ বক্সি', 'শুধ দেশি রোমান্স' এবং 'কেদারনাথ' চলচ্চিত্রে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সবশেষ 'ছিচোড়ে' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন তরুণ এই অভিনেতা। এই চলচ্চিত্রের মূখ্য বার্তাই ছিল আত্মহত্যার বিরুদ্ধে, জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়াকে ঘিরে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শোক জানিয়ে টুইট। ১৯৮৬ সালের ২১শে জানুয়ারী ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনায় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করলেও অভিনয় ও নাচের প্রতি ঝোঁক থাকায় মাঝ পথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনায় ইতি টানেন। ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকেই মিডিয়া জগতে তিনি পা রেখেছিলের ব্যাকআপ নৃত্যশিল্পী হিসেবে। এরপরে তিনি 'কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল' নামে একটি সোপ অপেরায় প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপরে 'পাবিত্রা রিশতা' সিরিয়ালে মি. সিং-এর অভিনয় তাকে ছোটপর্দায় জনপ্রিয় করে তোলে। পরবর্তীতে তিনি নৃত্যের রিয়েলিটি শো 'জারা নাচে কে দিখা' এবং 'ঝালাক দিখলা জা'তেও অংশ নেন। তবে বড় পর্দায় আসার পর তার ক্যারিয়ারের গ্রাফ ওপরের দিকেই যেতে থাকে। সুশান্ত সিং রাজপুত। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে 'পাবিত্রা রিশতা' সিরিয়ালের সহ-অভিনেতা অঙ্কিতা লোখাণ্ডের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে পরে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদের খবর পাওয়া যায়। মি. সিং চলচ্চিত্র জগতে সাফল্য অর্জনের পর থেকে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, কিছুদিন আগে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার ২৮ বছর বয়সী দিশা স্যালিয়ানও একটি বহুতল ভবন থেকে নীচে পড়ে মারা যান। আগে বলা হয়েছিল যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিন্তু পরে খবর পাওয়া যায় যে মিস স্যালিয়ান নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে মি. সিং ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক সংবাদ। দিশার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। তোমার আত্মা শান্তি পাক।" গত তেশরা জুন নিজের এক কোটি দুই লাখ ফলোয়ারের ইন্সটাগ্রামে তিনি তার প্রয়াত মা'কে নিয়ে সবশেষ পোস্টটি দিয়েছিলেন। মা'কে নিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের সবশেষ পোস্ট। সুশান্ত সিং রাজপুতের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: নিষিদ্ধ ইরানি পরিচালকের যে সিনেমা পুরষ্কার জিতলো ধর্মীয় কোন্দলে আটকে গেছে পাকিস্তানের যে সিনেমা | ভারতের নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশে হাঙ্গর শিকার আইনত নিষিদ্ধ কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে আরোহন করা ১৮টি হাঙ্গর ট্রলারে করে পাচারের জন্যে নিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার রাতে ঐ জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাঙ্গর, তিমি, ডলফিন ইত্যাদি শিকার বাংলাদেশে আইনত নিষিদ্ধ। "কিন্তু বণ্যপ্রাণী আইন অমান্য করে বাংলাদেশে এই হাঙ্গর শিকার বহুদিন ধরেই হচ্ছে। সংঘবদ্ধভাবে একটা চক্র এই কাজটা করে আসছে। এখন হয়তো আরও সক্রিয় হচ্ছে।" বলছেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী সংরক্ষক তপন কুমার দে। তবে তিনি বলছেন বাংলাদেশে এ হাঙ্গর ধরা নিষিদ্ধ হলেও এখান থেকে পাচার বা ধরার নিয়ন্ত্রণের তেমনও কোনও আইন নেই। "হাঙ্গর দিয়ে খাবার রান্না করাসহ সবকিছুইতো হয়। বিভিন্ন ধরনের হাঙ্গরের যে বিভিন্ন উপকরণ আছে, তাদের যে দেহাবশেষ সেগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবহার হয় বিভিন্ন দেশে। চাহিদা প্রচুর। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে তাইওয়ান, কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাচার করা হয় হাঙ্গর"- বলছিলেন তপনকুমার দে। সামুদ্রিক এসব প্রাণী নিয়ন্ত্রণের কোনও অবকাঠামো বনবিভাগে নেই উল্লেখ করে তপনকুমার দে বলেছেন "কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীকে বলা হয়েছে এগুলোর নিয়ন্ত্রণের জন্য সাহায্য করতে। বিপদাপন্ন বণ্যপ্রাণীর মধ্যে হাঙ্গর অন্যতম। গভীর সমুদ্রে আন্তর্জাতিক সীমা পেরিয়ে আসা এসব প্রাণী এখন বিপদাপন্ন অবস্থাতেই আছে"। আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের এক নারীর কানে আটকা পড়েছিল অজগর প্রবীণ রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রয়াত 'ক্যান্সার হবার পর থেকে সংসার বলতে কিছুই নাই' | বাংলাদেশের সুন্দরবনে বলেশ্বর নদীতে ট্রলারে করে হাঙ্গর শিকার ও পাচারের অভিযোগে উপকূল রক্ষীরা ১২ জন জেলেকে আটকের পর বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পাচারের উদ্দেশ্যে হাঙ্গর শিকার অনেকদিন ধরেই চলছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নিখোঁজ নেতাকর্মীদের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠাটিতে তাদের কথা বলেন। কথাগুলো ঢাকার বংশাল এলাকার একজন নিখোঁজ বিএনপি নেতার স্ত্রী ফারজানা আকতারের। তার অভিযোগ, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তার স্বামীকে গুম করা হয়েছে। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ফারজানা আকতার বুধবার উপস্থিত হয়েছিলেন ঢাকায় বিএনপির মানবাধিকার সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে। "আমার স্বামী ২০১৩ সালের ২রা ডিসেম্বরে গুম হয় ঢাকা শাহবাগ এলাকা থেকে। আমি তখন গর্ভবতী ছিলাম। আমার সেই ছেলে এখন স্কুলে যায়, সে তার বাবাকে দেখেনি। আর আমার মেয়েটারও বয়স তখন ছিল দুই বছর।" ফারজানা আকতার বলছিলেন, তার দুই শিশু এখন বাবার গল্প শুনে শুনে বড় হচ্ছে - এই বাস্তবতা তার মেনে নিতে কষ্ট হয়। "এই এখন আমাদের জীবন, বড় কষ্টের" - বলেন ফারজানা আকতার। 'কোন সাহায্য পাই নি' নিখোঁজ হওয়া আরেক বিএনপি নেতা খালিদ হাসানের স্ত্রী সৈয়দা শাম্মী সুলতানাও এসেছিলেন ওই অনুষ্ঠানে, তার ৭ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে। তার স্বামী ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার একটি ওয়ার্ড বিএনপির একজন নেতা ছিলেন। সৈয়দা শাম্মী সুলতানার অভিযোগ, সাত বছর আগে তার স্বামী খালিদ হাসান গুম হয়েছেন। একটি মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন খালিদ হাসান। যেদিন তার জামিনে মুক্তি মেলে, সেদিনই কারাগারের সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল। সৈয়দা শাম্মী সুলতানা বলেছেন, তার স্বামীর গুম হওয়ার অভিযোগ নিয়ে তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীগুলোর কাছে বার বার গেছেন, কিন্তু সেভাবে সাহায্য পাননি। "কারাগারের সামনে থেকে গুম হলো, সেখানে সিসিটিভির ফুটেজ দেখলে হয়তো বের করা যেতো। কিন্তু কোনো সাহায্য পাই নি।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশে 'গুম' হচ্ছেন কারা এবং কীভাবে? নিখোঁজ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের সবই থাকে অজানা গুমের শিকার 'বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা' বিএনপি দাবি করছে, গত ১০ বছরে তাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ৩০০'র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নিখোঁজ নেতাকর্মীদের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠাটিতে তাদের কথা বলেন। তাদের অনেকেই প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার আশা একেবারে ছেড়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে এখনও আশা নিয়ে থাকতে চান। বিএনপির এই প্রতিবেদনের ভিত্তি কী বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি দাবি করছে, গত ১০ বছরে তাদের অন্তত ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে, এবং এই সময়ে তাদের ৩০০'র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে বলে দলটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। গত দশ বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকারের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি তাদের একটি প্রতিবেদন বই আকারে প্রকাশ করে। বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে এই প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে গুম বা নিখোঁজ হওয়া বিএনপির নেতা কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা তাদের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেছেন, তাদের অনেকের শিশু সন্তানরা গুম হওয়া বাবার গল্প শুনে বড় হচ্ছে এবং এই বাস্তবতাকে তারা জীবনের সবচেয়ে কষ্টের সময় হিসেবে দেখছেন। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই বিএনপি তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের অধিকার খর্ব হওয়া এবং নারী-শিশুদের অধিকারসহ সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লংঘনের চিত্রও দলটি তুলে ধরে। এই প্রতিবেদন যারা তৈরি করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী শামা ওবায়েদ । তিনি বলছিলেন, তারা সংবাদমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছ থেকেও তথ্য নিয়েছেন। বিএনপির প্রতিবেদনে বলা হয়,গত ১০ বছরে রাজনৈতিক কারণে তাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় এক লাখ মামলা করা হয়েছে। "রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে" বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানবাধিকার লংঘন করে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। সেই চিত্রই তারা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। "দেশে যখন ৩৫ লাখ মানুষ আসামী হয়, তখন পরিস্থিতিটা কি তা বোঝা যায়। আজকে মানবাধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা না থাকা বা সামগ্রিকভাবে যে পরিস্থিতি ১০ বছরে আমরা দেখছি, এর মুল কারণই হচ্ছে আমরা একটা অর্থবহ নির্বাচন করতে পারছি না" - বলেন মি.আলমগীর। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থাও পাল্টিয়ে ফেলেছে" বিএনপির এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের ঢাকায় কর্মরত অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আরো পড়তে পারেন: গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সু চি গণহত্যার স্বীকৃতি দিন: সু চি'র উদ্দেশ্যে নোবেলজয়ীরা ১৫ মাসের জন্য বাংলাদেশে এসে ৫০ বছর কাটালেন শাড়ি পরে নোবেল নিলেন এসথার, ধুতি পরে অভিজিৎ | "আমার মেয়েটা ভুলে গেছে তার বাবার কথা। এখন তাদের কাছে তাদের বাবা একটা গল্প । আগে যেমন আমরা ছোটবেলায় দাদি-নানীদের কাছে গল্প শুনতাম, এখন ওরা দু'জন ওদের বাবার গল্প শোনে।" |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | গত চার বছরে বাংলাদেশের খেলা ১৯টি টেস্টের মধ্যে মাত্র ছয়টিতে সাকিব মাঠে নেমেছেন পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশ সময় সাড়ে দশটায় শুরু হবে খেলা। সাকিব আল হাসান অবশ্য মাঠেই আছেন - তবে তিনি ব্যস্ত আইপিএল নিয়ে, তাই শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি নেই। কিন্তু বছর দেড়েকের কিছু বেশি আগে তার ওপর নিষেধাজ্ঞার আরোপের পর থেকে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্সে অধিনায়কদের একটা প্রশ্ন প্রতিনিয়ত শুনতে হয় - সাকিবকে ছাড়া খেলাটা কতটা কঠিন? তবে সাকিব ছাড়াও বাংলাদেশ যে খেলতে পারে মমিনুল হক এবার বলেই দিলেন - তার কথায়: অন্যদেরও দশটা-বারোটা হাত নেই, সাকিব ভাই বা মুস্তাফিজেরও দশ-বারোটা হাত নেই। কিন্তু টেস্টে সাকিব আল হাসান না থাকলেই মূলত দুটো সমস্যায় পড়ে টিম ম্যানেজমেন্ট- একজন বাড়তি বোলার ও একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান প্রয়োজন হয়। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বিবিসি বাংলায় আরো যা পড়তে পারেন: সাকিবের আইপিএল খেলা কি আটকাতে পারে বিসিবি? সাকিব আল হাসানের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে বিতর্কের ঢেউ এবার ভারতেও আইপিএল নিলাম: কলকাতা সাকিবকে আর রাজস্থান কিনলো মুস্তাফিজকে চার বছর ধরেই টেস্টে অনিয়মিত সাকিব সেই ২০১৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই সাকিব টেস্ট ক্রিকেটে কিছুটা অনিয়মিত। হাতের চোট, ছুটি, নিষেধাজ্ঞা এবং এবারে আইপিএল - দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দুটি টেস্ট থেকে শুরু করে সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা ১৯টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে মাত্র ছয়টি টেস্টে খেলেছিন সাকিব। এই ছয়টি টেস্টের মধ্যে দুইটি টেস্টে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধুমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে হোম এবং অ্যাওয়ে সিরিজেই পরোটা সময় দলে ছিলেন সাকিব। অধিনায়ক হিসেবে ছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে খেলা একটি টেস্ট ম্যাচে, যেখানে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হেরে যায়। বাকি যে ১৩টি ম্যাচে সাকিব খেলেননি, তার মধ্যে মাত্র দুটো ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ব্যাটিংয়ে সাকিবের জায়গায় কে? টেস্টে সব সময়েই বাংলাদেশের মাথাব্যথার মূল কারণ ব্যাটিং। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সবশেষ জয় এসেছিল সেই ২০১৭ সালে - ম্যাচটি ছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে। সাকিব গত চার বছরে যেসব টেস্টে খেলেননি, সেইসব ম্যাচে তার জায়গায় বাংলাদেশ সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান আর লিটন দাসকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছে। কিন্তু তারা চারজন টেস্ট ফরম্যাটে উল্লেখ করার মতো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন যে সমস্যা অন্য জায়গায়, কারণ সাকিব আল হাসানের পজিশনে যারা খেলেছেন সাব্বির ছাড়া তারা সবাই আসলে ওপেনিং ব্যাটসম্যান। "আমরা যেটা করি তাহলো, লিমিটেড ওভারে কেউ ভালো খেললেই তাকে আমরা টেস্ট ক্রিকেটে নিয়ে আসি। আমরা দেখি না টেস্ট ক্রিকেটের মেরিট তাদের কতটা আছে। এটা যতটা না ক্রিকেটারদের সমস্যা, তার চেয়ে বেশি সিস্টেমের সমস্যা," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। সাকিব টেস্টে ব্যাট করে পাঁচ নম্বর পজিশনে। ২০২০ সালে পাঁচ নম্বরে নেমে মুশফিকুর রহিম একটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে লিটন দাস ৯৪ রানের একটি ইনিংস খেলে ম্যাচ ড্র করেন। সাকিব না থাকলে মিডল অর্ডারে যে জায়গাটা ফাঁকা হয়, সেখানে খেলার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে মিডল অর্ডারেই খেলেন এমন ব্যাটসম্যানকে সুযোগ দেয়ার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন মি. ফাহিম। টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের, একই সাথে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও বোলিংয়ে সাকিবের জায়গায় কে? সাকিব আল হাসান টেস্টে অনেকটা নিয়মিতভাবে দিনে ২০ থেকে ৩০ ওভার বল করেন। একই সাথে যেসব উইকেটে স্পিন ধরে, সেখানে কখনও কখনও ওভারের সংখ্যাটা ৩৫ থেকে ৪৫ ওভার পর্যন্ত দাঁড়ায়। বোলিংয়ে তাইজুল ইসলামের সঙ্গী হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তুলনামূলক তরুণ নাইম হাসান মোটামুটি ভালো বল করেছেন সাম্প্রতিক কিছু ম্যাচে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে বোলারদের লক্ষ্য থাকতে হয় প্রতিপক্ষের ২০টি উইকেট তুলে নেয়া। এই কাজটি বাংলাদেশের বোলাররা দেশের বাইরে খুব কমই করতে পেরেছে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৫৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে দেশের বাইরে, যার মধ্যে মাত্র পাঁচটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের পুরো ২০টি উইকেট নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এটি দু'বার ঘটে ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ান সফরের সময়, যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দলের খেলোয়াড়রা ধর্মঘটের গিয়ে সেই সিরিজে খেলেননি। সেই টেস্টে সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরি করেন, ইনিংসে চার উইকেট নেন। সাথে ভালো ব্যাট করেছিলেন তামিম ইকবাল। তাই আগামীকালের ম্যাচে মাঠে নামার আগে সাকিবের অভাব পূরণ করার ভাবনা থাকবেই বাংলাদেশের। বিশেষত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দলের কাছে দেশের মাটিতে ম্যাচ হারের পর টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স এখন প্রশ্নের মুখে। 'এক কথায় সাকিবের বদলি এখন নেই' তবে নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে সাকিবের জায়গা পূরণ করার মতো ক্রিকেটার এখনও নেই। সাকিব যে পজিশনে খেলেন, সেখানে আসলে তিনি না থাকলে অভিজ্ঞতা আর পারফরম্যান্স দুটো দিক থেকেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। তরুণদের নিয়ে আশাবাদ দেখা গেছে অনেক, তবে মাঠে তার প্রতিফলন নেই বললেই চলে তিনি বলেন, এটা আবার একই সাথে একটা সুযোগও নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার, যে কাজে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। "একজন ক্রিকেটার নেই, এটা নিয়ে না ভেবে বরং যারা আছেন, তাদের নিয়েই তো এগুতে হবে। সাকিব অবসরে যাবেন, বা টেস্ট থেকে রিটায়ার করবেন একদিন।" সাকিবকে নিয়ে হোক কিংবা সাকিবকে ছাড়া হোক, বাংলাদেশ আসলে চার বছর আগে যে মানের ক্রিকেট খেলতো এখন তা খেলতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। "আসলে কাগজে কলমেই বাংলাদেশ এখন বেশ খারাপ অবস্থায় আছে," বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মূলত এখন একটা আস্থাহীনতার জায়গায় আছে।" | দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলতে আগামীকাল থেকে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, এবারে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | গুলশান বনানী সংযোগ সড়ক। বিশেষ করে গুলশান, বনানী, বারিধারা, বসুন্ধরার মতো কয়েকটি সোসাইটিতে গেলে দেখা যায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে, ড্রেনেজ সিস্টেম এমনকি যান চলাচল সব কিছুতেই রয়েছে একটি আধুনিক নগরের শৃঙ্খলার ছাপ। কারণ সেখানকার সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখভাল করছে স্থানীয় কমিউনিটির লোকজন। বেহাল দশা সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত এলাকায়: ঢাকাকে একটি আধুনিক রূপ দিতে ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করে শহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপরও দুই সিটি কর্পোরেশন তাদের আওতাধীন এলাকাগুলোয় এমন সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। এর প্রমাণ দেখা যায়, ঢাকার মগবাজারের রেললাইন সংলগ্ন এলাকা পার হয়ে রামপুরা, বনশ্রী এবং মেরাদিয়ার বেশ কয়েকটি স্থানে। সেখানে চোখে পড়ে কিছুদূর পর পর পড়ে আছে আবর্জনার স্তূপ। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। এবং খোলা ড্রেনের দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বনশ্রী লেকের পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। বনশ্রী সি ব্লকের কাছে একটি স্কুলের পাশেই চোখে পড়ে ময়লার ভাগাড়, সেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যত্রতত্রভাবে পাশের লেকে ময়লা ফেলছেন। সিটি কর্পোরেশনকে প্রতিমাসে টাকা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে হতাশ এই এলাকার বাসিন্দা মৌটুসি রহমান। "যখন ওই লেকের পাশ দিয়ে আসি দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। তারপর রাত হলে মশার তাণ্ডব। এই যে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলে রেখেছে, এগুলো পরিষ্কারের নাম নেই। পানি জমে মশা হচ্ছে, দেখার কেউ নেই। আমরা কিন্তু এই সার্ভিসগুলোর জন্য প্রতিমাসে টাকা দিচ্ছি। কিন্তু কোন সেবা পাচ্ছি না।" সোসাইটিগুলো সফল কেন? অথচ পুরো ভিন্ন চিত্র রামপুরা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে গুলশান, নিকেতন, বনানী, বারিধারা ও বসুন্ধরা এলাকায়। এই এলাকাগুলো জনবহুল হওয়া সত্ত্বেও রাস্তাঘাটে কোন আবর্জনা নেই। সবখানেই ছিমছাম পরিবেশ। এর একটাই কারণ এই প্রতিটি এলাকা তাদের নিজস্ব কমিউনিটির উদ্যোগে এই কাজগুলো করিয়ে থাকেন। এজন্য তারা স্থানীয়দের থেকে চাঁদা ও দানের মাধ্যমে বাড়তি জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকেন যেমন কমিউনিটি নিজস্ব পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ট্রাফিক পুলিশ, পাহারাদার ইত্যাদি। যেসব ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তার প্রয়োজন হয় সেখানে এই সোসাইটি তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে কাজ আদায় করে থাকে বলে জানান গুলশান সোসাইটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান সদস্য শিরিন শিলা। "আমরা সোসাইটির পক্ষ থেকে মূল যে কাজটি করি সেটা হচ্ছে আমরা কর্তৃপক্ষের ওপর প্রেশার ক্রিয়েট করি, যে আমার এই এরিয়ার জন্য এই জিনিষটা চাই। এটা হাজার জন হাজারভাবে বলে লাভ নেই। এটা সমন্বিতভাবে চাপ দিলেই আদায় করা যাবে। আমরা আমাদের চাওয়াগুলো গুছিয়ে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনকে বলি, বোঝাই এবং আদায় করি। এটাই সোসাইটির শক্তি।" বলেন মিসেস শিলা। সম্পর্কিত খবর: বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নামে পরিবেশ দূষণ? সিটি কর্পোরেশন থেকে কী কী সেবা পাবে জনগণ ডেঙ্গু প্রকোপ: মশা নিধনে অ্যাম্বাসেডরদের কাজ কী? স্কুলের পাশে ময়লার ভাগার, দেখার কেউ নেই। সিটি মেয়র কী বলছেন? যেখানে একটি কমিউনিটির লোকজন একটি আদর্শ নাগরিক জীবনের সেবাগুলো নিশ্চিত করতে পারছে সেখানে স্থানীয় সরকার সংস্থা হিসেবে সিটি কর্পোরেশন কেন একক প্রচেষ্টায় তা পারছেনা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাইদ খোকনের কাছে এমন প্রশ্ন রাখলে তিনি প্রথমেই তাদের স্বীকার করে নেন যে সিটি কর্পোরেশনের যথেষ্ট কাজে ঘাটতি রয়েছে। তবে এর পেছনে জন সচেতনতার অভাব সেইসঙ্গে জনবল সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, "আমাদের কাজের দুর্বলতা যে নেই তা আমি বলবো না। তবে সিটি কর্পোরেশন তার চাহিদার মাত্র ৩৮% জনবল নিয়ে কাজ করছে। তবে জনবল যদি শতভাগও হয় তাও এই সুশৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে না। যতক্ষণ না নাগরিকরা আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এই কমিউনিটিগুলো সফল কারণ তারা আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে।" সিটি কর্পোরেশনের থেকে সোসাইটির মতো সেবা পাওয়া সম্ভব কীভাবে? নগরে শৃঙ্খলা ফেরাতে যে বড় বড় সোসাইটির মাধ্যমেই কাজ করতে হবে, বিষয়টি এমন নয় বলে জানান নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান। তিনি মনে করেন প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনের অধীনে যে ওয়ার্ড কাউন্সিলগুলো রয়েছে সেগুলোর ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। কয়েকটি এলাকায় ড্রেনেজ সংস্কার করা হলেও রাস্তা পড়ে আছে বেহাল দশায়। মেয়রকে সকল ক্ষমতার কেন্দ্র না বানিয়ে দায়িত্ব ছড়িয়ে দিতে হবে এবং ওয়ার্ডগুলোর জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। এতে ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলগুলো, সোসাইটির চাইতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে জানান তিনি। "সিটি কর্পোরেশনকে শতভাগ কার্যকর বানানো সম্ভব দুইভাবে, প্রথমত এর অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয় সেটার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যেন জনগণ তার আস্থাভাজন প্রতিনিধিকে বেছে নিতে পারে, যারা তাদের দুর্দশার অংশীদার হবে। এরপর যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের কাজ হল সিটি কর্পোরেশনকে রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে রেখে দল, মত নির্বিশেষে জনগণকে সম্পৃক্ত করা।" বলেন মি. খান। আর জনগণকে সম্পৃক্ত করার কাজটি করবে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। তারা জনগণের চাওয়া পাওয়ার কথা মেয়রকে জানাবেন। মেয়র তাদের বাজেট দেবেন। সে অনুযায়ী কাজ হবে। এখানে মেয়রকে ক্ষমতার কেন্দ্র না বানিয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা খুব জরুরি। বলে মনে করেন তিনি। সারাবিশ্বে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা যেভাবে জনগণের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করে থাকে সিটি কর্পোরেশনের সেদিকে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে মত এই নগর পরিকল্পনাবিদের। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেয়র সাঈদ খোকন যা বললেন ঢাকায় এশিয়া বনাম বিশ্ব একাদশ ক্রিকেট: পাকিস্তানীরা বাদ? ভারতে থাকা 'অবৈধ বাংলাদেশীদের' ফেরানো হবে? | বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বেশিরভাগ এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা চোখে পড়লেও ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যায় হাতে গোনা কয়েকটি সোসাইটিতে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ২০১৫ সালে সিরিয়াতে ইরানের একজন নেতা নিহত হলে বিক্ষোভে ইসরায়েলের পতাকায় আগুন দেয়ার চেষ্টা করছে একজন বিক্ষোভকারী। এরপরেই প্রশ্ন উঠে কেন সিরিয়াতে ইরানের স্থাপনার উপর হামলা করছে ইসরায়েল। এই দুই দেশের সম্পর্কটা কেমন? কেন ইসরায়েল এবং ইরান একে অপরের শত্রু? ১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লবের পর সেখানে ধর্মীয় নেতারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। ইরানের সেই সব নেতারা ইসরায়েলকে বর্জন করার আহ্বান জানায়। ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান । তারা বিবেচনা করে ইসরায়েল অবৈধভাবে মুসলমানদের ভূমি দখল করে রেখেছে। এদিকে ইসরায়েল তাদের অস্তিত্বের জন্য ইরানকে তাদের হুমকি হিসেবে দেখে। ইসরায়েল সব সময় বলে এসেছে ইরানের অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত হবে না। ইসরায়েলের নেতারা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের যে বিস্তৃতি সেটা দেখে উদ্বিগ্ন। সিরিয়ার সরকারের বড় সমর্থক রাশিয়া এবং ইরান সিরিয়া কিভাবে দুই দেশের মধ্যে এলো? ২০১১ সাল থেকে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতে যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েল গভীর উদ্বেগের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। কিন্তু সিরিয়ার সরকার এবং বিদ্রোহীদের সাথে এই যুদ্ধে ইসরায়েল কোন সময় যুক্ত হয়নি। কিন্তু ইরানের অবস্থান ছিল উল্টো। ইরান, সিরীয় সরকারকে হাজার হাজার সৈন্য এবং সামরিক উপদেষ্টা দিয়ে সাহায্য করেছে। ইসরায়েল আরো উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলো ইসরায়েলের পার্শ্ববর্তী আরেক দেশ লেবাননের যোদ্ধাদের কাছে গোপনে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করছে ইরান। এটা ইসরায়েলকে আরো হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন তাঁর দেশ সিরিয়াতে ইরানকে কোন প্রকার ঘাটি তৈরি হতে দেবে না যেটা ইসরায়েলের বিপক্ষে ব্যবহার করা হতে পারে। এ অবস্থায় ইরান যেহেতু সিরিয়াতে একটা শক্তিশালী অবস্থানে চলে গেছে, ইসরায়েলও তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য তাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরায়েল এবং ইরান কি যুদ্ধ লিপ্ত হবে? না। এর পিছনে কয়েকটি শক্ত কারণ রয়েছে। ইরানের সাথে রয়েছে শক্তিশালী গ্রুপ যারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রয়েছে। তারা হল হেজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের সামরিক সংগঠন হামাস। এরপরও যদি যুদ্ধ দুই যুদ্ধে জড়ায় তবে তা হবে ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক। আরো পড়ুন: সিরিয়ায় তীব্র আকার নিয়েছে 'ইসরায়েল-ইরান' যুদ্ধ ইরান চুক্তি থেকে কেন বেরিয়ে গেলেন ট্রাম্প? ইসরায়েলের সীমান্তে ইরানের রয়েছে ভারী অস্ত্র, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে ইসরায়েলের রয়েছে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। এছাড়া বলা হয়, তাদের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। তাছাড়া সব ধরণের সামরিক সহায়তা দিতে তাদের পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। | সম্প্রতি সিরিয়াতে ইরানের বিভিন্ন ঘাঁটিতে ইসরায়েল বোমা হামলা চালায়। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে সর্বোচচ তাপমাত্রার রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস এই তাপমাত্রার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলজুড়ে একটি তাপপ্রবাহ চলতে থাকায় এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিকল হয়ে পড়ায় অঞ্চলটি দুই দিন ধরে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। ''এখানে মারাত্মক গরম যেন আপনার মুখ পুড়ে যাবে,'' বলছিলেন ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের একজন কর্মী ব্রান্ডি স্টুয়ার্ট। মাঝে বিরতি দিয়ে পাঁচ বছর ধরে এই জাতীয় উদ্যানে কাজ করছেন মিজ স্টুয়ার্ট। অগাস্ট মাস জুড়ে বেশিরভাগ সময়েই তাকে ঘরের ভেতরে কাটাতে হয়েছে। ''যখন আপনি বাইরে হাঁটবেন, মনে হবে যেন হেয়ারড্রায়ার (চুল শুকানোর যন্ত্র) দিয়ে আপনার মুখে তাপ দেয়া হচ্ছে। আপনি গরম টের পাবেন এবং মনে হবে যেন একটি চুলার ভেতর দিয়ে হাঁটছেন আর চারপাশে তাপ ছড়ানো।'' তিনি বলছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: তাপমাত্রা কমাতে মাংস কম খেতে হবে? 'বিশ্বের তাপমাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে' তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে গেলে কী করবেন? তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় শনিবার 'ফায়ারনাডো' দেখা গেছে এর আগের রেকর্ডগুলো কী? রবিবারের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের ফারনেস ক্রিকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় শনিবার 'ফায়ারনাডো' দেখা গেছে। এটি হচ্ছে আগুনের টর্নেডো যা শুষ্ক ও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে অনেক সময় তৈরি হয়। এর আগে বিশ্বে সর্বশেষ সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নির্ভরযোগ্য রেকর্ডটিও এই ডেথ ভ্যালিতেই, ২০১৩ সালে। তখন রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ৫৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড প্রায় একশো বছর আগে-সেটাও এই ডেথ ভ্যালিতে-যদিও সেই তথ্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বর্তমানকালের অনেক আবহাওয়াবিদ মনে করেন, ওই গ্রীষ্মের আরও কিছু রেকর্ডের মতো ওই তথ্যে ভুল রয়েছে। আবহাওয়া ইতিহাসবিদ ক্রিস্টোফার বার্টের ২০১৬ সালে করা একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৯১৩ সালে ওই অঞ্চলের অন্যান্য রেকর্ডগুলোর সঙ্গে ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রার রিডিং ঠিক মেলে না। বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৯৩১ সালে তিউনিসিয়ায়। কিন্তু মি. মার্টের বলছেন, ঔপনিবেশিক সময়ে আফ্রিকার অন্যান্য এলাকার মতো এই তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সীমান্তে ধর্নায় বসতে চান বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়রা 'জঙ্গী কর্মী সংগ্রহের চেষ্টা এখন কোন একটা বিশেষ শ্রেনির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই' সিরিজ বোমা হামলা: যেভাবে সংগঠিত হয়েছিল জেএমবি মাস্ক ছাড়া কক্সবাজার সৈকতে বেড়ানো ও হোটেলে চেক-ইন হবে না | পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য যেসব রেকর্ড রাখা হয়েছে, সেই অনুযায়ী সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে। রবিবার পার্কের একটি স্থানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায় কড়াকড়ি শুরু হয়েছে বহু পরিবহন কোম্পানি অন্য বছরের তুলনায় ঈদে তাদের বাস ও ট্রিপের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট ও প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করানোর হিড়িক পরে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম কেমন চলছে? ঢাকার প্রান্তে গাবতলি বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় অন্য সময়ের তুলনায় যেন একটু নিরিবিলি। এখনো গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম। ৫ তারিখ থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিন ধার্য করেছিলো মালিকদের একটি অংশ কিন্তু তা আবার স্থগিত করে দেয়া হয়। আরো খবর: বিআরটিএ চিত্র: আন্দোলনের পর বিবিসির চোখে কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? সহিংসতার ঘটনায় মানসিক সমস্যায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমান্ডে, আতঙ্ক অনেকের মধ্যে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম কর্মব্যস্ততার চিত্র দেখা যায় গাবতলি বাস টার্মিনালে বেশিরভাগ পরিবহন কোম্পানি ঈদের টিকেট দেয়া শুরু করেনি। গাবতলিতে প্রায় যতগুলো কাউন্টারের কর্মীদের সাথে কথা হল তারা সবাই একই ধরনের পূর্বাভাস দেন। দিগন্ত পরিবহনের আব্দুর রহমান বলছেন, "এবার বহু লোককে ঢাকায় থেকে যেতে হবে। ঈদে আমাদের ২৯ ট্রিপ গাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কমিয়ে দশটা করে দেয়া হয়েছে। কারণ গাড়ি নাই।" তিনি আরও বলছেন, "যেসব গাড়ির ফিটনেস আছে শুধু সেগুলো ছাড়া হচ্ছে আর যেগুলোর ফিটনেস নাই সেগুলোর কাগজপত্র করতে দিয়েছে মালিক। এবারে গাড়িতে নতুন রঙ করার প্রবণতা কম। আর নতুন রঙ করলেও গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকতেই হবে। সেটা নিশ্চিত হয়েই আমরা গাড়ি ছাড়তেছি।" বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী দেশে নিবন্ধিত বাসের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। কিন্তু এর মধ্যে ২২ হাজারেরই কোন ফিটনেস সনদ নেই। মিনিবাসের অবস্থাও একই রকম। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইমামদের বয়ান ঠিক রাখতে অ্যাপ চালু করছে সৌদি আরব হাসপাতাল থেকে আবার ডিবি কার্যালয়ে শহীদুল আলম সাকিবের তর্কের ভিডিও ভাইরাল: কী বলছেন তিনি সারা দেশে নিবন্ধিত সব ধরনের গাড়ির সংখ্যা সাড়ে ৩৫ লাখের মতো। কিন্তু বিআরটিএর ইস্যু করা লাইসেন্স প্রায় পঁচিশ লাখের মতো। ঈদের আগে এত গাড়ির ফিটনেস সনদ তৈরির কাজ বা এত ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার কাজ কি শেষ হবে? বিভিন্ন বাসের কর্তৃপক্ষ নিজেরাই তা মনে করছেন না। তারা নিজেরাই বলছেন এবার ঈদের সময় বাসের সংকট হবে। গাবতলিতে ঈগল পরিবহনের খন্দকার সুমন বলছেন, "এবার ঈদের সময় অনেক বেশি সংকট তৈরি হবে। সব কোম্পানির একই অবস্থা।" বুধবার ঢাকার গাবতলীতে যাত্রীদের আনাগোনা অনেক কম দেখা গেছে বিআরটিএ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানে গাড়ির ফিটনেস সনদ ও প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করানোর ব্যাপক ভিড় বেড়েছে। বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী জানিয়েছেন, "শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমের কারণে পুলিশি তৎপরতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি আমাদের মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের নিয়মিত যে কাজগুলো আছে তার গড় করলে ৬০ শতাংশের মতো বেড়ে গেছে।" মি. রব্বানী বলছেন, "এত চাপ কভার দেয়ার জন্য সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত আমাদের অফিস খোলা রাখা হচ্ছে। আমাদের নিয়ম হচ্ছে একই দিনে ফিটনেস সনদ ডেলিভারি দিয়ে দেয়। যেই আসবে তাদের কাজ করে দিতে আমরা সচেষ্ট আছি এবং আমাদের সক্ষমতাও আছে। ঈদের আগে আশা করি আমরা এটা কভার করতে পারবো।" ফিটনেস সনদ হয়ে গেলেও গাড়ির স্বাস্থ্য আসলেই সকল দিক থেকে ঠিক আছে কিনা বা আদৌ গাড়িগুলোর আয়ুষ্কাল আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার সক্ষমতা বিআরটিএর নেই। ফি জমা দিলে পরিদর্শক খালি চোখে দেখে গাড়ির সনদ দিয়ে দেন। অনেক সময় সব গাড়ির শুধু হুড একবার খুলে দেখারও সময় হয়না পরিদর্শকদের। গাড়ির সংকটে ইতিমধ্যেই ভোগান্তিতে পরতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। পরশ কুমার ঘোষ ঝিনাইদহের জন্য টিকেট কাটতে এসেছেন। তিনি বলছেন, "আমরা টিকিট সম্পর্কে যে তথ্য পাচ্ছি তা হল টিকেট নাই, গাড়িও নাই। যা শুনতে পাচ্ছি ওদের গাড়ি শুধু যেগুলোর কাগজপত্র ঠিক আছে শুধু সেগুলো ছাড়া হচ্ছে।" পরিবহন মালিকরা তাদের উপর চলমান কড়াকড়ির ক্ষেত্রে এই সংকটকে উল্টো কড়াকড়ি তুলে নেয়ার উসিলা হিসেবে ব্যবহার করবে কিনা সেটি নিয়েও আশংকা তৈরি হয়েছ। | বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ফিটনেস বিহীন গাড়ি অথবা লাইসেন্স বিহীন চালকদের উপর যে ধরপাকড় হচ্ছে, তার ফলে এবারের ঈদে ঢাকা থেকে সারা দেশে যাওয়ার গাড়ির সংকট হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ছয় মাস পর অন্যান্য খাবার দিতে হবে শিশুকে এমা শার্ডলো হাডসন বলে এটা তার সন্তানদের শরীরের জন্য ভাল। কারণ তার খুব কম অসুস্থ হয়। ২৭ বছর বয়সী এই মা বলছিলেন, তিনি বিষয়টা ভালো-ভাবে নিচ্ছেন কারণ বুকের দুধে এন্টিবডি রয়েছে যেটা শিশুর শরীরের জন্য ভালো। যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যতদিন মা এবং শিশু দুজনেই চাইবে ততদিন দুধ পান করানো উচিত। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন ক্যান্সারের সতর্ক সংকেত, যা উপেক্ষা করা উচিত নয় জিয়াউর রহমানের মৃতদেহের খোঁজ মিলল যেভাবে বাংলাদেশী পণ্যের নিজস্ব ব্র্যান্ড কতটা তৈরি হচ্ছে? যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস নির্দিষ্ট কোন টাইম বেধে দেয় নি ঠিক কোন সময়ে দুধ পান করানো বন্ধ করতে হবে। শিশুর জন্য প্রথম ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ পান করানোর জন্য বিশেষ ভাবে বলা হয়। এর পর ছয় বছর দুধের সাথে সাথে অন্যান্য শক্ত খাবার খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুর জন্য বুকের দুধ শ্রেষ্ঠ খাবার বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে বুকের দুধ পান করানো মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যে কোন ধরণের ইনফেকশন, ডাইরিয়া, এবং বমি ভাব বন্ধ করার ক্ষেত্রে মায়ের দুধ ভালো রক্ষাকবচের কাজ করে। পরবর্তী জীবনে স্থূলতাসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। আর মায়ের জন্য স্তন এবং ওভারির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু কত দিন: ইউকে তে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন নির্দেশনামা নেই। এটা মা শিশুর সম্পর্ককে গড়ে তোলে আর এতে কোন ক্ষতি নেই। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে বলা আছে, "যতদিন আপনার ভালো লাগবে ততদিন আপনি আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন"। আরো বলা আছে "দুই বা তার চেয়ে বেশি বছর ধরে বুকের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি এসময় অন্যান্য খাবার দেয়া উচিত"। ক্ষতিকর কিছু নেই এর অনেক ভালো দিক থাকলেও একজন মা সিদ্ধান্ত নেন কখন বন্ধ করতে হবে। এটার সাথে মায়ের পরিবেশ ,পরিস্থিতি জড়িত। অনেক সময় মায়েদের কাজে ফিরতে হয়, পরিবার বা বন্ধুদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এছাড়া অস্বস্তি কাটানোর জন্য আত্মবিশ্বাসের দরকার পরে। এর মাধ্যমে মা এবং শিশুর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ডাক্তাররা বলছেন এটা একেবারেই একটা ব্যক্তিগত বিষয়। এটা মা শিশুর সম্পর্ককে গড়ে তোলে আর এতে কোন ক্ষতি নেই। | একজন মা যার একটা ৫ বছর বয়সী মেয়ে এবং দুই বছর বয়সী ছেলে রয়েছে তারা একই সাথে মায়ের দুধ পান করছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল ২০১৭ সেই সঙ্গে প্রথমবারের মত ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এমন একটি সঙ্গীতের আসর আয়োজনের জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসবের আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। বিবিসি বাংলার ফারহানা পারভীনকে তিনি বলেছেন, মাঠের বাইরে যাতে শব্দ না যায়, সেজন্য আলাদা সাউন্ড সিস্টেম এবং তাতে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য আবাহনী মাঠ ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, এবং মাঠের চারপাশ ঘিরে উঁচু প্রাচীর দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যাতে কোনভাবে আহত না হয়, সেটি নিশ্চিতের চেষ্টাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিজ চৌধুরী। তিনি আরো জানিয়েছেন, উৎসবে পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া,পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী,ওস্তাদ রাশিদ খান, পণ্ডিত উল্লাস কশলকার, ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খানের পরিবেশনা শুনবেন শ্রোতারা। এছাড়া পাঁচদিনব্যপী উৎসবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের আলাদা আকর্ষণ থাকবে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল মিউজিকের সম্মেলন, যেটা এর আগের কোন বারেই করা হয়নি। আজ সন্ধ্যায় কাজাখস্থান থেকে আসা আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করবে, বাংলাদেশে অর্কেস্ট্রার এমন পরিবেশন আগে হয়নি বলে দাবী করেছেন মিজ চৌধুরী। গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এই অনুষ্ঠানটি রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে হলেও এবছর ভেন্যু না পেয়ে প্রথমে উৎসবটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে আবাহনী মাঠ বরাদ্দ পাওয়ায় সেখানে 'বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব ২০১৭' আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। | বাংলাদেশের ঢাকার আবাহনী মাঠে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের জন্য নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইরফান খান। স্লামডগ মিলিয়নিয়ার মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। অভিনয় করেছেন বলিউড ও হলিউডের বহু ছবিতে। বাংলাদেশে বহুল আলোচিত একটি চলচ্চিত্র 'ডুব'-এর মূল ভূমিকাতেও ছিলেন তিনি। তার সংস্থা জানিয়েছে, মি. খান ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০১৮ সালে এক টুইটার পোস্টে এই অভিনেতা জানান যে, তিনি এনডোক্রাইন টিউমারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি এমন এক ধরণের রোগ যেটি রক্তে হরমোনের সরবরাহকে বাধাগ্রস্থ করে। পরে তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলার দুই মাস পর তিনি এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন। যেখানে তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা নেয়ার সময় তার কষ্টের তীব্রতা এবং জীবনের অনিশ্চয়তার বিষয়টি তুলে ধরেন। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তার ভক্তরা তাকে বাধ ভাঙা সমর্থন জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বলিউড তারকা এবং ভারতের রাজনীতিবিদরা। মি. খানের পিআর সংস্থা এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রিয়জন, পরিবারের সদস্য যাদেরকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসতেন, তার সব উত্তরাধিকারের মায়া পেছনে ফেলে তিনি স্বর্গে পাড়ি জমিয়েছেন। আমরা সবাই প্রার্থনা করছি তার আত্মা শান্তিতে থাকুক।" সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন যিনি 'পিকু' চলচ্চিত্রে তার সাথে অভিনয় করেছেন তিনি এক টুইটারে বলেন, "চলচ্চিত্র দুনিয়ার এক অবিশ্বাস্য প্রতিভা...বিনীত সহকর্মী...কর্মঠ কর্মী... খুব জলদি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন...অনেক বড় শূন্যতা তৈরি করে দিয়ে চলে গেলেন।" আরো পড়তে পারেন: বলিউড অভিনেত্রী রাভিনা ট্যানডন এক টুইটে বলেছেন, "চমৎকার একজন সহ-অভিনেতা, অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন অভিনেতা এবং একজন সুন্দর মনের মানুষ ছিলেন তিনি।" ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মি. খানের মৃত্যুকে "সিনেমা এবং থিয়েটার জগতের ক্ষতি" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, "নানা মাধ্যমে নিজের বহুমুখী অভিনয়ের কারণে স্মরনীয় হয়ে থাকবেন তিনি। তার পরিবার, বন্ধু এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি রইলো আমার সমবেদনা। তার আত্মা শান্তিতে থাকুক।" ভারতে টুইটারের টপ ট্রেন্ডের প্রথম চারটিই ইরফান খান বিষয়ক। অনেকেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ২০১৩ সালে 'পান পান সিং তোমার' নামে একটি বায়োপিক সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য মি. খান ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান। ওই চলচ্চিত্রের একজন অ্যাথলেটের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছিল যিনি পরবর্তীতে ডাকাত হয়ে যান। এছাড়া লাঞ্চবক্স, পিকু এবং হিন্দি মিডিয়ামের মতো আরো অনেক বলিউডের হিট মুভিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার সর্বশেষ সিনেমা 'আংরেজি মিডিয়াম' গত মাসে মুক্তি পায়। পরিচালক আসিফ কাপাডিয়ার নির্মিত ব্রিটিশ-ভারতীয় চলচ্চিত্র 'দ্য ওয়ারিয়র' এ অভিনয়ের জন্য বাফটা পুরষ্কার জেতেন ইরফান খান। | বলিউড অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন। এসময় তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | লোগান পলের একটি বিতর্কিত ভিডিও ব্লগ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। ইউটিউবের চীফ এক্সিকিউটিভ সুজান ওজস্কি বলেছেন, কিছু ভিডিও ব্লগারের খুবই বাজে ধরণের আচরণ পুরো ভিডিও ব্লগার কমিউনিটির ক্ষতি করছে। সম্প্রতি একজন জনপ্রিয় ভিডিও ব্লগার লোগান পল একটি ভিডিওতে একজন আত্মহত্যাকারীর মৃতদেহ দেখানোর পর ইউটিউবের ব্যাপক সমালোচনা হয়। জাপানের একটি জঙ্গল, যেটি 'সুইসাইড জঙ্গল' বলে পরিচিত, সেখানে এই মৃতদেহ পড়েছিল। প্রতি বছর সেখানে অনেক মানুষ আত্মহত্যা করতে যায়। উল্লেখ্য জাপানের আত্মহত্যার হার খুব বেশি। এ ঘটনার পর অবশ্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষ লোগান পলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়। ইউটিউবে বিতর্কিত কোন ভিডিওর পাশে যেন বিজ্ঞাপন দেখা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে ইউটিউব তাদের 'এলগরিদম' ব্যবহার করছে। কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও ব্লগিং করে তারকায় পরিণত হয়েছেন এমন অনেকে অভিযোগ করছেন, তাদের ভিডিওকে এখন ভুলবশত এই ক্যাটাগরিতে ফেলে বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সুজান ওজস্কি তারা আরও অভিযোগ করছেন, ইউটিউবের নীতিমালায় স্বচ্ছতার অভাব আছে। তবে একটি ব্লগ পোস্টে ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সুজান ওজস্কি বলেছেন, তিনি ইউটিউবের ব্যাপারে মানুষের যে আস্থা সেটা আরও বাড়াতে চান। তিনি বলেন, কিভাবে নানা সমস্যার আরও ভালো সমাধান খোঁজা যায়, তারা সেই চেষ্টা করছেন। এজন্যে ভিডিও পর্যালোচনার কাজটি এখন আরও বেশি মডারেটর নিয়োগের মাধ্যমে করার কথা ভাবা হচ্ছে। "কেউ বাজে কিছু করলে তার জন্য যেন পরিণতি ভোগ করতে হয় সে ধরণের নীতিমালা আমরা এখন তৈরি করছি।" ইউটিউব তাদের কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে চায়। সুজান ওজস্কি বলেন, "যদিও এরকম বাজে কাজের ঘটনা বিরল, কিন্তু তারপরও এটি ইউটিউবের সুনামের বড় ক্ষতি করতে পারে। ইউটিউবের একজন বড় তারকা হ্যাংক গ্রীন এক ব্লগ পোস্টে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। | ইউটিউব জানিয়েছে, যারা তাদের সাইটের সুনাম ক্ষুন্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | আওয়ামী লীগের ইশতেহার 'সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ' শিরোনামের ঐ প্রতিশ্রুতির দলিলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ১০ শতাংশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। সেই সাথে, তিনি অঙ্গীকার করেছেন, ভবিষ্যতে তার সরকারের উন্নয়নের লক্ষ্য হবে "অন্তর্ভুক্তিমূলক", অর্থাৎ যার সুফল সবাই পাবে, আয়ের বৈষম্য কমবে, মানুষের কাজের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু যে দল গত ১০ বছর ধরে ক্ষমতায়, তাদের দেওয়া অঙ্গীকারে কতটা ভরসা করবে মানুষ? অর্থনীতিবিদ ড.নাজনীন আহমেদ বিবিসিকে বলেন - যেসব অর্থনৈতিক অঙ্গীকার আওয়ামী লীগ করেছে, তা একবারে হঠাৎ থলে থেকে বের করা হয়নি। সরকারের চলতি এবং ধারাবাহিক যেসব অর্থনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলোই তুলে ধরা হয়েছে। "সন্দেহ নেই যে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, চোখে পড়ার মতো হয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, কিন্তু সেই উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক কিনা - তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।" "২০১৬ সালে যে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হয় তাতে আয় বৈষম্য কমানোর কথা রয়েছে, কিন্তু গত তিন বছরে যে সব পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তাতে তো মনে হয়না যে সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে।" ড. আহমেদ বলেন, "মানুষ যে আরো দরিদ্র হয়েছে তা নয়, কিন্তু একজনের আয় হয়তো শতভাগ হারে বাড়ছে, আরেকজনের দশভাগ। দেশের একপ্রান্তে উন্নয়নের যে চিত্র আমি দেখি, উত্তরবঙ্গে বা চর এলাকায় তা দেখিনা। " সরকারের চলতি এই রেকর্ড হঠাৎ করে আগামী পাঁচ বছরে বদলে যাবে, তা নিয়ে তেমন ভরসা সেই ড. আহমেদের। চলতি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও আয়ের বৈষশ্য কমানোর কথা রয়েছে- ড নাজনীন আহমেদ প্রতিশ্রুতি বনাম অতীত রেকর্ড মঙ্গলবার ইশতেহার ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা বলেন, "মানুষ মাত্রই ভুল হয়। কাজ করতে গিয়ে আমার বা আমার সহকর্মীদের ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। আমি নিজের এবং দলের পক্ষ থেকে আমাদের ভুল-ভ্রান্তিগুলো ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য দেশবাসীর প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।" ইশতেহারের কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সির ঢাকা অফিসের নির্বাহী পরিচালক ড ইফতেখারুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের প্রশংসা করেন। "এ ধরনের ভুল স্বীকার আমাদের সংস্কৃতিতে বিরল। দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এই বক্তব্যে তার ভেতর আত্মবিশ্বাসের একটি ঘাটতি চোখে পড়ে। এটি একটি ইতিবাচক বিষয়। এর একটি প্রতীকী গুরুত্ব আছে।" কিন্তু, ড. জামান বলছেন, গত দশ বছরে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সংগঠনের স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব হয়েছে, তাতে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ওপর ওপর কতটা ভরসা করতে পারবে - তা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। "তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কথা বলেছেন, কিন্তু যেভাবে গত দশ বছরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে সেটা তো অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের পরিপন্থী।" "আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে। গত দুবার নির্বাচনের আগেও বলেছিল, কিন্তু গত বছরগুলোতে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ সহ জবাবদিহিতামুলক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে, তাতে তো দুর্নীতি দমনের কোনো সদিচ্ছা প্রকাশিত হয়নি। আরও পড়ুন: বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট: ইশতেহারে মিল-অমিল কোথায়? তরুণদের নিয়ে কি আছে নির্বাচনী ইশতেহারে? 'টানা দশ বছর ধরে যে উন্নয়ন বাংলাদেশে হয়েছে, সেটা আগে কখনো হয়নি। কিন্তু অধিকারের জায়গাটিকে সঙ্কুচিত করা হয়েছে,' ড ইফতেখারুজ্জামান "উন্নয়ন হয়েছে, টানা দশ বছর ধরে যে উন্নয়ন বাংলাদেশে হয়েছে, সেটা আগে কখনো হয়নি। কিন্তু অধিকারের জায়গাটিকে সঙ্কুচিত করা হয়েছে।" ফলে, ড. জামান মনে করেন যে বহু মানুষের মধ্যেই এসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেবে। সেইসাথে রয়েছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে মানুষের মনে বিরক্তি। তবে ড. জামান এবং ড. নাজনীন আহমেদ দুজনেই মনে করেন - দলগুলো যেমন, বাংলাদেশে ভোটাররাও এসব ইশতেহার এবং প্রতিশ্রতিকে গুরুত্ব দেয়না। দলগুলোর কাছে এসব ইশতেহার নেহাতই কাগুজে দলিল। তারা বলছেন, মানুষ ভোট দেয় দলীয় আনুগত্য এবং বর্তমান সরকারের শাসনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। | আরেকবার ক্ষমতা পেলে বাংলাদেশেকে আরো সমৃদ্ধি এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলের ৮০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ ইশতেহারে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৭২ সালে বিবিসি বাংলাকে সাক্ষাৎকার দেবার সময় তোলা ছবি) সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুজিববর্ষের পরিবর্তিত কর্মসূচীতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সীমিত আয়োজনের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা কবিতা পাঠ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া লাল ও সবুজ রঙের আলোকসজ্জা, আতশবাজি আর আলোচনার মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ উদ্বোধন করা হবে। পরে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের রেকর্ড করা ভাষণও এদিনে প্রচার করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাত আটটায় আতশবাজির প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে "মুক্তির মহানায়ক" শিরোনামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে। এরপর টেলিভিশনে রেকর্ড করা সব অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে মুজিববর্ষ পালনে এক বছরব্যাপী নানা ধরণের কর্মসূচী নেয়া হয়েছিল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কাটছাঁট করা হয় মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান সূচীতে। যার অংশ হিসেবে মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বেশ কয়েক জন রাষ্ট্রপ্রধানের। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচী বাতিল করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হলেও করোনাভাইরাসের কারণে সেই আয়োজনেও কাটছাঁট করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। তিনি ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইএ এবং একই কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বিএ পাস করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর একজন একনিষ্ঠ অনুসারী। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ১৯৪৯ সালের প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন। তিনি ১৯৪৮ সালে জানুয়ারির ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ যার মাধ্যমে তিনি একজন অন্যতম প্রধান ছাত্র নেতায় পরিণত হন। বিভিন্ন আন্দোলনে তাঁর ভূমিকার জন্য ১৯৪৮ সাল থেকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাভোগ করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা ভাসানী ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করার পর শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগ ছেড়ে দিয়ে এই নতুন দলে যোগ দেন এবং তাঁকে পূর্ব পাকিস্তান অংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ১৯৫৪র নির্বাচনে গোপালগঞ্জ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন শেখ মুজিব। আরো পড়তে পারেন: পাকিস্তানে ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি হওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে সংগ্রামের কারণে তাঁকে কয়েক বছর আবার জেল খাটতে হয়েছিল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব নেন। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে "ছয় দফা দাবি" পেশ করেন। রেস কোর্স ময়দানে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এক জনসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি দেয়া হয়েছিল। মি. সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আয়োজিত এক জনসভায় শেখ মুজিব ঘোষণা করেন যে এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে "বাংলাদেশ" নামে অভিহিত করা হবে। রেস কোর্সে শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এক জনসভায় শেখ মুজিব স্বাধীনতার ডাক দিলেন এবং জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করলেন। ২৫শে মার্চ রাতে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলো পশ্চিম পাকিস্তানে এবং ফয়সালাবাদের একটি জেলে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হলো। এরপর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২-এর দশই জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে গেলেন শেখ মুজিবুর রহমান। অল্পদিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি থাকার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৫-সালে ১৫ই অগাস্টের রাতে ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতেই সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের হাতে নিহত হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে। | বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ থেকে ২০২১ সালের ১৯ই মার্চ পর্যন্ত 'মুজিব বর্ষ' ঘোষণা করেছে সরকার। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | মতিঝিল ঢাকার ব্যস্ততম একটি বাণিজ্যিক এলাকা, যা লকডাউনের কারণে প্রায় ফাঁকা, ছবিটি গত সপ্তাহের। সেজন্য সাপ্তাহিক ছুটি আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পিকটাইম হতে পারে আগামী দুই সপ্তাহ। এই বিষয়টিকে ঠিক কতোটা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ খারাপ অবস্থার দিকে গেলে চিকিৎসার যথাযথ প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ এখন একটা লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন শব্দ ব্যবহার না করে বলা হচ্ছে সাধারণ ছুটি। মানুষকে ঘরে রাখতে সেই ছুটি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড: আহমদ কায়কাউস বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা এই মুহুর্তে সরকারের প্রধান কৌশল। এই কৌশল বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তা দেয়ার বিষয় একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে এসেছে। এর সাথে তৃতীয় কৌশল হিসাবে করোনার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। "একটি বিষয় নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে এবং দেখা যাচ্ছে যে সবাই সেটি প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব রাখা, যাতে করে করোনাভাইরাস ছড়াতে না পারে। সরকার এটাকে আরও বাড়াচ্ছে। এটাই এখন সরকারের মূল পদক্ষেপ।" বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে আরো দুজন কোভিড-১৯ রোগী বাংলা নববর্ষে লোকসমাগম নয়, সাধারণ ছুটি বাড়তে পারে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস টেস্ট করাতে এতো যাচাই-বাছাই কেন? দরিদ্র দেশগুলো কি করোনাভাইরাসের টিকা পাবে? একটা শব্দও 'টুইস্ট' করি না, বলছে আইইডিসিআর করোনাভাইরাস: ইউরোপের বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে কফিনের মিছিল তিনি আরও বলেছেন, "এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই যে দীর্ঘ একটা ছুটি, এর ফলে দৈনিক যারা আয় করে জীবন চালান বা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাদের আয় কমে গেছে বা নেই, সেক্ষেত্রে তাদের সহায়তা দেয়া। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যদি ব্যাপক হয়, সেজন্য চিকিৎসার সব প্রস্তুতি আমাদের নেয়া আছে।" দেশের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন বা জেলা প্রশাসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের এসব কৌশলের কথা তুলে ধরেছেন। সেই প্রেক্ষাপটে কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, সারাদেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যাপারে একটা শক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে তারা সক্ষম হয়েছেন। ঢাকার সড়কে যান চলাচল ও মানুষের চলাফেরা অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, চীন থেকে শুরু করে ইতালি, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ধাপে ধাপে প্রবাসীরা বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় বিশ্লেষণ করলে এর বিস্তারের প্রশ্নে আগামী দুই সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মুনশী বলছিলেন, "চীন থেকে আসা প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। ইতালি থেকে দ্বিতীয় ধাপে আসা প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিন শেষ পর্যায়ে চলছে। আমরা কিন্তু এখনও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশের মতো পিক সময়টা দেখি নাই।" "আমাদের হাসপাতালগুলোতে কিন্তু সে রকম সংখ্যায় করোনাভাইরাসের রোগী আমরা দেখছি না। এর একটা কারণ হতে পারে যে লকডাউনের কারণে হাসপাতালে রোগী রিপোর্ট করছে না। অপর পক্ষে যেহেতু আমাদের পরীক্ষা কম হচ্ছে, সেজন্যও রিপোটিং কম হচ্ছে। যেটাই কারণ হোক না কেন, আমরা কিন্তু পিক সময় দেখতে পাই নি। সেজন্য আগামী দুই সপ্তাহ হয়তোবা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।।" স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেন ড: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি মনে করেন, সরকারের পদক্ষেপগুলোতে এখনও ঘাটতি আছে। তিনি বিশেষভাবে এখনও পরীক্ষা কম হওয়ার বিষয়কে বড় কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। "কৌশল বা পলিসিগত যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, এখন এই পর্যায়ে এসে পরীক্ষা বাড়ানো প্রয়োজন। এটা পর্যাপ্ত হচ্ছে না। সেটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি বোঝা প্রয়োজন। এরপরও টেস্ট সীমিত পর্যায়ে রাখা হচ্ছে।" তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকার বাইরেও পরীক্ষার কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। তারা উল্লেখ করেছেন, এখন সন্দেহ হলেই পরীক্ষা করা হবে, এমন ব্যবস্থা তারা নিচ্ছেন। | বাংলাদেশ সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দমিয়ে রাখতে এখনও মানুষকে ঘরে রাখা বা সামাজিক দূরত্ব রক্ষার কার্যক্রমকে প্রধান কৌশল হিসাবে নিয়েছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির প্রধান শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যখাতে গত তিনমাসে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য, কেনাকাটায় দুর্নীতি আর অনিয়মের অনেক খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেসব খবরের কোন প্রতিবাদও আসেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে। কিন্তু মহামারির সময়ে এই খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির পরিমাণ অনেক বেড়েছে বলে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি গত বছর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। টিআইবি বলছে, করোনাভাইরাস মহামারিকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির মহোৎসব হচ্ছে। বিবিসি বাংলার আরও খবর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নাজুক অবস্থার কারণ কী? বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাত কী পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জামের জরুরি কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ 'পেছনের রুই-কাতলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ফল হবে না' বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে যে সাংবাদিক সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট করেছেন, সেই রোজিনা ইসলামকে সম্প্রতি পাঁচ ঘণ্টা মন্ত্রণালয়ে আটকে রাখার পর অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে ১৮০০ চাকরির নিয়োগ নিয়ে কোটি টাকার ঘুষের প্রস্তাব, স্বাস্থ্যের সাড়ে তিনশো কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়ম - এরকম অনেকগুলো প্রতিবেদন তৈরি করেছেন রোজিনা ইসলাম। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ? সেসব অভিযোগের ব্যাপারে কি খতিয়ে দেখা হয়েছে? স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি আর অনিয়ম বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্য খাতের নাজুক অবস্থার চিত্রটি প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনিশিয়ানের সংকট রয়েছে দরকারি উপকরণের অভাব, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ, হাসপাতালে সেবার অভাব, নিয়োগ আর কেনাকাটায় একের পর এক দুর্নীতির খবর যেন এই খাতের বেহাল দশাকেই তুলে ধরেছে। কিন্তু এসব অভিযোগ কতটা আমলে নিয়েছে স্বাস্থ্য খাতের কর্তাব্যক্তিরা? স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ ফ ম রুহুল হক বলছেন, ''দুর্নীতির কোন অভিযোগ আসলে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশনে চলে যায়। এরপর আমরা সেখান থেকে কোন তথ্য আর পাই না। আর গত কিছুদিনে যেসব অনিয়ম, দুর্নীতির খবর হয়েছে, সেগুলো তো দুর্নীতি দমন কমিশন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের তদন্ত করে দেখার কথা। আমরা আশা করবো, কেউ না কেউ এসব দেখবে।'' তবে সুনির্দিষ্টভাবে এসব অভিযোগের কোন তদন্ত চলছে বা হয়েছে কিনা, তা তার জানা নেই বলে জানান সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দুর্নীতির তদন্ত কতটা হয়? মাস্ক কেলেঙ্কারি, কোভিড টেস্ট নিয়ে জালিয়াতি, জেকেজি আর রিজেন্ট হাসপাতালের মতো বড় আর আলোচিত ঘটনার পরেও, গত তিনমাসেই স্বাস্থ্য খাতে ১৮০০ জনবল নিয়োগে কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব, শত শত কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর আবার বাংলাদেশের গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। যে সাংবাদিক এই প্রতিবেদনগুলো করেছিলেন, সেই রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের একটি মামলা করে কারাগারে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইসরায়েল ও গাযার রক্তক্ষয়ী লড়াই নিয়ে আইন কী বলে উত্তরপ্রদেশের প্রাচীন মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর উত্তেজনা ওবায়দুল কাদের বলছেন রোজিনা ইসলাম 'ন্যায় বিচার পাবেন' রেসকোর্স থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান - যেভাবে ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই দেশের নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্রটি বেরিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা প্রকাশ্যে এসব বিষয়ে কথা বলতে চাননি। তবে স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত বা ব্যবস্থা নেয়ার কোন তথ্য তাদের জানা নেই। এসব অভিযোগের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা সরকারের তরফ থেকে কোন বক্তব্য জানানো হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া এবং মানুষের মুখে মুখে যেসব দুর্নীতির অভিযোগের কথা শোনা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাথমিকভাবে প্রতিটা বিষয়ই আমলে নিয়েছে এবং তদন্ত করেছে। তিনি জানান, এরকম অনেক দুর্নীতির বিষয়ে তারা তদন্ত করেছেন, কিছু কিছুর প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে, কিছু এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। কিন্তু তাতে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির কতটা পরিবর্তন হয়েছে? মোজাম্মেল হক খান বলছেন, ''আমি যদি সততার সঙ্গে বলি, তাহলে পরিবর্তন এখনো দৃশ্যমান হয়নি। তবে আমরা আশা করছিলাম এর চেয়ে ভালো অবস্থান আমরা দেখতে পাবো। তবে ভবিষ্যতে, আমাদের যেসব অনুসন্ধান চলছে, এ থেকে যদি ভালো একটা রেজাল্ট বের করে আনতে পারি, তাহলে অবশ্যই একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন আপনাদের দেখাতে পারবো।'' 'রুই-কাতলা সবসময়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়' বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদি মিলিয়ে দুর্নীতি বেশি হয়, এমন ১১টি খাত চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। গত বছরেই দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি একটি প্রতিবেদনে বলেছিল, করোনাভাইরাস সংকটের সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আস্থার সংকটে পড়েছে স্বাস্থ্য খাত। কিন্তু গণমাধ্যমে বড় বড় অনিয়ম-দুর্নীতি তথ্যপ্রমাণসহ প্রতিবেদন প্রকাশের পরেও কেন তেমন কোন ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ চোখে পড়ে না? বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পুরনো হলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ''যেখানে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত, সেখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এরকম ক্ষেত্রে খুব কমই আমরা কোন পদক্ষেপ দেখতে পাই।'' ''বড় জোর বদলি হয়, যা আসলে কোন পদক্ষেপ না। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকেও খুব যে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়, তা নয়। কখনো কখনো চুনোপুঁটি ছোটখাটো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, যাদের রাজনৈতিক যোগসাজশ নেই। কিন্তু রুই-কাতলাদের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গৃহীত হতে দেখা যায় না।'' ''এই কারণে দুর্নীতির ব্যাপকতা বেড়েই চলেছে। আর এই মহামারিকে দুর্নীতির একটি মহোৎসবে পরিণত করা হয়েছে।'' বলছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। ২০২০ সালের বৈশ্বিক দুর্নীতির সূচকে দুই ধাপ নিচে নেমে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১২তম আর এই অবনমনের পেছনে করোনাভাইরাস মহামারিতে স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক দুর্নীতিকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। টিআইবি বলছে, আমূল সংস্কারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের সঠিক শাস্তি না হওয়ার কারণেই এই খাত দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। | বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অনেক আলোচিত প্রতিবেদনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। কিন্তু দুনীতির র্এসব অভিযোগের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা কি নিয়েছে? |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | স্কুল খোলা না গেলে অটোপাসের কথা ভাবছে সরকার রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন বলেন, স্কুল খোলা না গেলে তো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। স্কুল খোলা না গেলে কোন মূল্যায়নও হবে না। ''স্কুল খোলা না গেলে আমরা কী মূল্যায়ন করবো? স্কুল খোলা না গেলে কোনও মূল্যায়ন হবে না।'' তিনি বলছেন। তিনি জানান, অক্টোবর না নভেম্বর মাসে যদি স্কুল খুলে যায়, তাহলে মূল্যায়নের জন্য সরকার দুইটি বিষয় বিবেচনায় রেখেছে। সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন বলছেন, ''আমরা দুইটা পরিকল্পনা মাথায় রেখেছি। অক্টোবরের জন্য একটা আর নভেম্বরের জন্য একটি। যদি খোলা যায়, তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারবো। আর না হলে তো আপনারা বুঝেন...।'' ''স্কুল খোলা না গেলে তো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না।'' তিনি বলছেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে শিক্ষার্থীদের সবাইকে এক শ্রেণী থেকে উপরের শ্রেণীতে 'অটোপাস' বা উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়া হয়েছিল। সেই স্মৃতিও স্মরণ করেন সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ই মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আপাতত তেসরা অক্টোবর পর্যন্ত এই ছুটি রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় এরপরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে এখনি স্কুল না খুলতে যেসব যুক্তি বিশেষজ্ঞদের কওমি মাদ্রাসায় পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার নিরাপদে স্কুল খুলতে যেসব নির্দেশনা মানার প্রস্তাব করা হয়েছে শিশুদের জেএসসি পরীক্ষার যৌক্তিকতা কী? মার্চ মাস থেকে বন্ধ আছে ক্লাস ও পরীক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, অক্টোবরে স্কুল খুলছে ক্লাস নেয়ার সময় থাকবে ৫৭ দিন আর নভেম্বরে খুললে সময় থাকবে ৪০ দিন। এমনকি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও স্কুল খোলা গেলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা না হলে পরীক্ষা বা মূল্যায়নের কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। সেক্ষেত্রে সবাইকে 'অটো পাস' দেয়া হবে বলে ভাবা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, অটোপাসের কথা শুনে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা থেকে সরে না যায়, সেজন্য এখনি তারা কোন ঘোষণা দিচ্ছেন না। কিন্তু বছরের বেশিরভাগ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরীক্ষা দেবে, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলছেন, যেটুকু শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে সীমিত সিলেবাসে পরীক্ষা হতে পারে। কিন্তু সব কিছুই নির্ভর করছে স্কুল খোলা- না খোলার ওপর। এর আগে অগাস্ট মাসের শেষের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল যে, করোনাভাইরাসের কারণে এবছর কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে না পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পিইসি। এর পরিবর্তে নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা গবেষক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, স্কুল খোলার সুযোগ পেলেও পরীক্ষা আয়োজন নয়, বরং সরকারের প্রথম বিবেচ্য হওয়া উচিত, যে শিক্ষার্থীদের আগে স্কুলে ফেরত আনা। এরপরে তাদের উচিত, এই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে তাদের যে ঘাটতি হয়েছে, সেটা পূরণ করার ব্যবস্থা নেয়া। কারণ অনলাইন, টেলিভিশন-রেডিওতে ক্লাস করার কথা বলা হলেও সব শিক্ষার্থী তো সেসবের সুযোগ পায়নি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যেখানে সেখানে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন বাড়িতে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সম্ভাব্য যে দুর্ঘটনা থেকে যেভাবে সাবধান থাকবেন স্কুলে যেতে-আসতে যে শিক্ষককে পাড়ি দিতে হতো ৪৪ কিলোমিটার পথ যুক্তরাষ্ট্রে তিক্ততা, বিভাজন আর আক্রমণের নির্বাচন | করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল খোলা সম্ভব না হলে অটোপাস বা মূল্যায়ন ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী শ্রেনীতে উত্তীর্ণ করে দেয়ার কথা ভাবছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সেজন্য সিদ্ধান্ত নিতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় মন্ত্রনালয়। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান গত তিন সপ্তাহ ধরেই পাকিস্তানের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য নিষিদ্ধ। ফলে এয়ার ইন্ডিয়ার ইউরোপ বা আমেরিকাগামী বিমানগুলোকে এখন অনেক ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। বাড়তি সময়, জ্বালানি এবং রিফিউয়েলিং স্টপেজের কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার ইতিমধ্যেই প্রায় দশ মিলিয়ন ডলারের মতো বাড়তি খরচ হয়েছে এবং এই অঙ্কটা রোজই বেড়ে চলেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, অচিরেই এই পরিস্থিতি হয়তো আবার স্বাভাবিক হতে পারে। থাই এয়ারওয়েজকেও বাতিল করতে হয়েছিল ইউরোপগামী বহু বিমান। ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্ককে আটকে পড়া যাত্রীরা আরো পড়তে পারেন: পার্বত্য চট্টগ্রামে মৃত্যুর মিছিল কেন থামছে না? ডাকসুর ভোটের হিসেব রাজনীতিতে কী বার্তা দিচ্ছে? বিশ্বের কোন শহরটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর কোনটি সস্তা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বালাকোটে হামলা চালিয়েছিল ভারতের যুদ্ধবিমান - আর তার পরদিন থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানি এয়ারস্পেস। ফলে দিল্লি থেকে তাদের ইউরোপ বা আমেরিকাগামী বিমানগুলোকে এখন প্রথমে দক্ষিণমুখী হয়ে গুজরাট যেতে হচ্ছে - তারপর আরব সাগর ও পার্সিয়ান গাল্ফ পাড়ি দিয়ে উড়তে হচ্ছে গন্তব্যের দিকে। এয়ার ইন্ডিয়া এমনিতেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে, নতুন এই পরিস্থিতিতে তাদের সমস্যা আরও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সংস্থার সাবেক জেনারেল ম্যানেজার অশোক শর্মা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "যেহেতু ঘুরপথে যেতে হচ্ছে তাই খরচ তো বাড়বেই। তা ছাড়া জার্নির সময়ও বাড়ছে স্বাভাবিকভাবেই।" এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের অভ্যন্তরে যাত্রীরা। ফাইল ছবি "আর বেশি লম্বা রুট মানেই বেশি জ্বালানি, যার পুরোটা একবারে ভরে নিয়ে যাত্রা শুরু করাও সব সময় সম্ভব নয় - ফলে রাস্তায় কোনও একটা ট্রানজিট পয়েন্টে নতুন করে তেল ভরার জন্য রিফিউয়েলিং স্টপও নিতে হচ্ছে।" দিল্লি থেকে এতদিন এয়ার ইন্ডিয়ার যে ফ্লাইটগুলো সরাসরি নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ওয়াশিংটন ডিসি বা শিকাগোতে যেত - সেগুলোকেই এখন জ্বালানি ভরার জন্য থামতে হচ্ছে আমিরাতের শারজা বা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়, আর তাতে খরচও প্রচুর বেড়ে গেছে। এমন কী, লন্ডন বা প্যারিস থেকে এয়ার ইন্ডিয়ায় চেপে দিল্লি আসতে বাড়তি দু-তিনঘন্টা সময় লাগছে। এ সপ্তাহেই যেমন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চেপে লন্ডন থেকে দিল্লিতে এসেছেন বিবিসির সাংবাদিক কুমার মালহোত্রা। বালাকোটে হামলার পর লাহোরে ছাত্রীদের ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ তিনি বলছিলেন, "ইউরোপ পেরিয়ে তুরস্কে ঢোকার পরই দেখলাম বিমানটা সোজা দক্ষিণে টার্ন করছে - আর ইরাক, ইরান পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে পারস্য উপসাগরে। পরিষ্কার বোঝা গেল, পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়াতেই ওই রাস্তা নেওয়া হল।" "তারপর বাঁয়ে ঘুরে গুজরাট দিয়ে ঢুকে আমরা অবশেষে দিল্লি এলাম। যে ফ্লাইটটা সাত থেকে আট ঘন্টা লাগার কথা, সেটায় নয় ঘন্টার ওপর সময় লাগল।" কিন্তু এটা কি তাহলে এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য একটা স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হল? ভারতের প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব সালমান হায়দার অবশ্য মনে করেন, পরিস্থিতিটা পাকিস্তানকেও অসুবিধায় ফেলছে - কাজেই একটা সমাধান হয়তো শিগগিরি বেরোবে। পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ, ভারতের মাটিতে। ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ মি হায়দার বিবিসিকে বলছিলেন, "পাকিস্তান যখন পূর্ব আর পশ্চিম, দুভাগে বিভক্ত ছিল তখন ভারত তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিলেই তারা বিরাট বিপদে পড়ত।" "বাংলাদেশ সৃষ্টির পর সমস্যাটা সেভাবে নেই ঠিকই, কিন্তু আজ ভারতও যখন তাদের আকাশসীমা পাকিস্তানের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছে - সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া তাদের কাছে বহু দূরের পথ হয়ে যাচ্ছে।" "ফলে আমি নিশ্চিত দুদেশের উত্তেজনা আরও একটু প্রশমিত হলেই এই পরিস্থিতির একটা সমাধান হবে।" এর আগেও একাত্তরের যুদ্ধের সময়-সহ বহুবারই ভারত-পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা পরস্পরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এখন এয়ার ইন্ডিয়ার যত বিমান রোজ ইউরোপ-আমেরিকায় যায় ততটা আগে কখনওই ছিল না - ফলে আর্থিক চাপটাও পড়ছে নজিরবিহীন। | গত মাসে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আপাতত কিছুটা থিতিয়ে গেলেও ভারতের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন এয়ার ইন্ডিয়াকে এখনও তার চড়া মাশুল গুনে যেতে হচ্ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বাবা জেফ্রি কিটনের মরণোত্তর বীরত্ব পুরস্কার গ্রহণ করে ১৯ মাস বয়সী হার্ভি কিটন ১৯ মাস বয়সী হার্ভি কিটন বৃহস্পতিবার তার বাবার মরণোত্তর পুরস্কার গ্রহণ করে। পুরস্কারটি দেয়া হয় তার বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। সেসময় মি. কিটনের কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে গার্ড অব অনার দেন দমকলকর্মীরা। ১৯শে ডিসেম্বর একটি আগুন নেভাতে যাওয়ার পথে গাড়িতে গাছ পড়লে মি. কিটন ও তার সহকর্মী অ্যান্ড্রু ও'ডোয়াইয়ার মারা যান। অ্যান্ড্রু ও'ডোয়াইয়ারেরও একটি শিশু সন্তান রয়েছে, আগামী সপ্তাহে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের দমকল বিভাগের কমিশনার শেন ফ্রিটজসিমন্স শিশু হার্ভি কিটনের হাতে তার বাবার সাহসিকতার পুরস্কার তুলে দেন। আরো পড়তে পারেন: ইরানের শীর্ষ জেনারেলকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে নিরামিষভোজীর সংখ্যা বাড়ছে কেন? অ্যামাজনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মুকেশ আম্বানি সাম্প্রতিক আগুনে মারা যাওয়া তিনজন দমকল কর্মীর একজন জেফ্রি কিটন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন 'জেফ কিটনের জীবন ও তার দেয়া সেবার প্রতি সম্ম্ন জানাতে' তিনি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মি. কিটন ও মি. ও'ডোয়াইয়ার ছাড়াও দমকা বাতাসে ট্রাক উল্টে আরেকজন দমকলকর্মী মারা যান। ঐ ঘটনায় আহত হন দু'জন। আগুনে সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে এই সপ্তাহে নিউ সাউথ ওয়েলসেই ৭ জন মারা গেছেন। বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। আগুন নেভাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার দমকলকর্মী নিয়োগ করা হলেও বিশাল ঐ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এই দমকলকর্মীদের অধিকাংশই স্বেচ্ছাসেবী, অর্থাৎ তারা বিনা পারিশ্রমিকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন। | অস্ট্রেলিয়ার দাবানল নেভানোর চেষ্টা করতে গিয়ে মারা যাওয়া এক স্বেচ্ছাসেবীকে তার বীরত্বের জন্য সম্মান জানানো হয়েছে ঐ ব্যক্তির শিশুপুত্রের হাতে মেডেল তুলে দিয়ে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল দেওয়ার পর বাংলাদেশ দল এটা যেই পরুক না কেনো একটা প্রত্যাশার চাপ পড়ে তার ওপর। বাংলাদেশের নারী ফুটবলে বয়স-ভিত্তিক দলগুলো এই দশকে আঞ্চলিক আসরগুলোতে যেভাবে মাঠ মাতাচ্ছে সেখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কিছু ফুটবলার উঠে আসছে যাদের খেলা চোখে পড়ার মতো, স্বপ্না তাদেরই একজন। ২০০১ সালে রংপুরে জন্ম হয় সিরাত জাহান স্বপ্না। খেলায় আসার আগে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল স্বপ্নার, তার আগে দু বোনের বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। তবে স্বপ্না পরিবারকে বুঝিয়ে খেলার পথে আসেন, স্কুল ফুটবলের গন্ডি পেড়িয়ে এখন তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়। অনুর্ধ্ব ১৮ দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা অবশ্য বলেন, পরিবারের জন্যই তার আজ এই অবস্থানে আসা। স্বপ্না বলেন, 'অবশ্যই, বিশেষত আমার বাবা খেলাধুলা পছন্দ করতো, মা একটু অপছন্দ করতো, কিন্তু বাবার ইচ্ছাতে ফুটবল খেলতে আসি, এখন ভালো করার পর মা-বাবা দুজনই সাপোর্ট দেন।' সেপ্টেম্বর মাসে ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব ১৬ সাফে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এক মাসের ব্যবধানে অনূর্ধ্ব ১৮ সাফে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তান হজম করে ১৭ গোল। মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বড় জয়। নেপালের বিপক্ষে জয়ের পর সিরাত জাহান স্বপ্না আর এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন স্বপ্না, বাংলাদেশের ১০ নম্বর জার্সিধারী। স্ট্রাইকার স্বপ্না ছয়টি গোল করেন সেদিন, মানে 'ডাবল হ্যাটট্রিক'। পুরো আসরে মোট সাতটি গোল করেন সিরাত জাহান স্বপ্না। আরো পড়ুন: ভারতীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ গ্রেনেড হামলা: বিএনপির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? পত্রমিতালী করে জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছিলেন যারা সর্বোচ্চ সাত গোল করেও গোল্ডেন বল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্বপ্না। সমান সাত গোল করে গোল্ডেন বল জেতেন নেপালের রেখা পাউডেল। মূলত টস দিয়ে নির্ধারণ করা হয় কে পাবেন গোল্ডেন বুট। স্বপ্নার অবশ্য এনিয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই, 'যেটা চলে গেছে সেটা চলে গেছে, দল জিতেছে, এখন চাইবো সামনে যেসব টুর্নামেন্ট আসে সেগুলোতে ভালো করতে।' স্ট্রাইকারের যেসব গুণাবলি তাতে স্বপ্না আছেন বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে সবার আগে, নিজ পারফরম্যান্স ও পরিসংখ্যান দিয়ে মাঠে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তিনি বলেন, খুঁটিনাটি আরো কিছু জায়গায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সময় প্রয়োজন। 'ভালো খেলতে গেলে আরো কিছু জায়গায় উন্নতি হবে, হ্যা, চ্যাম্পিয়ন হয়েছি ঠিক তবে সেখানেও কিছু কমতি ছিলো' স্বপ্না যোগ করেন, 'আমি স্ট্রাইকিংয়ে যেহেতু খেলি তাই ফিনিশিং, মুভমেন্ট, রানিং, ড্রিবলিং-য়ে মোটমাট ভালো খেলা প্রয়োজন।' | যেকোনো দলেই সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয় ১০ নম্বর জার্সি। ফুটবলে ১০ নম্বর জার্সির মাজেজা অন্যরকম। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাংলাদেশে কিশোর অপরাধীদের জন্য মোট তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র আছে। "গ্রেফতারের পর সবাই হত্যার কথা স্বীকার করেছে, পরে তাদের কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়" - জানান কামরাঙ্গীচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। শুধু এই ঘটনাই নয়, বাংলাদেশে সম্প্রতি একটি ধর্ষণের ঘটনায়ও ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে আলোচনা রয়েছে। বাংলাদেশের শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছর বা এর কম বয়সী যেসব শিশু কিশোরের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদেরকে জেলে নেয়ার পরিবর্তে উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠাতে হবে - যেন তারা সংশোধিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান বলেন, কাউকে আটক করা হলেও তাকে থানায় আলাদা প্রোবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অন্য অপরাধীদের থেকে আলাদা রাখার নিয়ম রয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে কিশোর গ্যাং-কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি অপরাধ এবং খুনের ঘটনার পরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি পদক্ষেপ নেয়। এর পর ঢাকায় শুরু হয় কিশোর গ্যাং-বিরোধী অভিযান। আরো পড়ুন: একদিনেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় শতাধিক কিশোরকে। এর মধ্যে শুধু হাতিরঝিল থানাতেই আটক করা হয় ৮৮ জনকে। পরে কিশোর গ্যাং-বিরোধী এ ধরণের অভিযানে ঢালাওভাবে কিশোরদের আটকের ঘটনার সমালোচনা হলে হাইকোর্টের নির্দেশে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তিন কারণে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, বলেন পুলিশ প্রধান এর আগে মঙ্গলবার পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশে আইনের জটিলতা, জনবলের অভাব এবং অবকাঠামোর অভাবে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। "কিশোর অপরাধ করলে মোবাইল কোর্ট করা যেতো, এখন হাইকোর্ট বলেছে না এটা করা যাবে না। মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, নরমাল আদালতে বিচার করা যাবে না, জেলে রাখা যাবে না, রাখবো কোথায়? বিচারে পাঠাবো কোথায়?" - বলেন বেনজির আহমেদ। তিনি বলেছিলেন, কিশোর অপরাধ দমনের জন্য পরিবারকে দায় নিতে হবে। পরিবার থেকেই সুশিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান অবকাঠামোতে শিশু বা কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য অনেক সময় পদক্ষেপ নেয়া হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বেশিরভাগ সময়েই তা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, প্রশাসনিক কিছু জটিলতার কারণে দেখা যায় যে, কোন এক কর্মকর্তাকে শিশু বা কিশোর অপরাধের ক্ষেত্রে কিভাবে ডিল করতে হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনার পর হয়তো সে অন্য কোথাও বদলি হয়ে গেল। কিংবা ওই থানাতেই অন্য কোন দায়িত্বে চলে গেল। "তখন আর ওই থানায় এ বিষয়ক প্রশিক্ষিত কোন কর্মকর্তা থাকে না" - বলেন তিনি। বাংলাদেশের শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছর বা এর কম বয়সী অপরাধীদের উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। মি. রহমান বলেন, শিশুদের অধিকার রক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করা গেলে বর্তমান অবকাঠামোর আওতাতেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তিনি বলেন, "এগুলো ধীরে ধীরে পরিবর্তন করা সম্ভব যদি মানসিকতাটা আমাদের সেরকম হয়।" 'সবারই দায় রয়েছে, কেউই দায় এড়াতে পারে না' অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমাজ পরিবর্তনের কারণে পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন চর্চার বিষয়টি ভেঙ্গে পড়েছে। যার কারণে সমাজে একটা শূন্য অবস্থা তৈরি হওয়ায় শিশু কিশোররা নেতিবাচক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তবে এর জন্য কোন ভাবেই কিশোর আইনের ধারা দায়ী নয়। বরং সারা বিশ্বেই এটি স্বীকৃত। "আমি যদি বলি যে, আইনের কারণে এটি হচ্ছে - তাহলে সেটা কখনোই সঠিক নয়। এ কারণেই নয়, কারণ ১৮ বছরের কম বয়সীদের সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের একটা সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকে। আর এ জন্যই একে কিশোর অপরাধ বলে।" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, কিশোর অপরাধের পেছনে পরিবার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা রয়েছে। "আমাদের স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি, এলাকা ভিত্তিক সংগঠন, সবারই দায় রয়েছে। কেউই দায় এড়াতে পারে না।" কিশোর অপরাধ সংশোধনে অবকাঠামোর অভাবকে চিহ্নিত করাটাও একটা ইতিবাচক দিক। তবে এটি কাটিয়ে উঠতে হলে সমাজের সব সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগ ও সদিচ্ছা দরকার বলে মনে করেন মি. রহমান। মি. রহমান অনেকটা অভিযোগের সুরেই বলেন যে, "আমরা সবাই পপুলার কথা বলছি যে এটা করা যাচ্ছে না, এটা করতে হবে, কিন্তু কেউ এটা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসছে না।" ব্যক্তিকেন্দ্রিক জীবন শিশু-কিশোরদের অপরাধপ্রবণতার কারণ বাংলাদেশে কিশোর অপরাধীদের জন্য মোট তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র আছে। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য টঙ্গি ও যশোরে দুটি এবং গাজীপুরে মেয়েদের জন্য একটি। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, আধুনিক সমাজে পরিবার ভেঙে ছোট পরিবার গঠন এবং জীবনযাত্রা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়াটাও শিশু-কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ। এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরীন বলেন, শিশু কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ কমে যাওয়া, বিভিন্ন ধরণের বিনোদনের সুযোগ কমে যাওয়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ না নেয়াও অপরাধ-প্রবণতার বড় কারণগুলোর অন্যতম। এমন অবস্থায় পরিবারের পাশাপাশি, সামাজিক সব সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি। | রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট এলাকায় পায়ে পাড়া দেয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয়েছে সিফাত নামে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে। এ ঘটনায় যে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় - তাদেরও বয়স ছিল ১০ থেকে শুরু করে ১৪ বছরের মধ্যে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বৃহস্পতিবার রাত থেকে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে অভিযান চলছে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহসান বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযানের মধ্যেই জঙ্গিদের হামলায় দুজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ছয়জন নিহত হয়। এমন অবস্থায় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশের সদর দপ্তর থেকে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন "পুলিশ মনে করছে তারা জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে সেজন্যই হয়তো এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আরেকটা কারণ হলো পুলিশ যেন সতর্ক থাকে এবং সামনে দিয়ে সন্দেহজনক কিছু গেলে যেন পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়"। "অনেকদিন ধরে পরিস্থিতি ঠান্ডা থাকাতে পুলিশরাও একটু গা-ছাড়া হয়েছিল আইজিপি এমন করছেন হয়তো, সেজন্যই এধরনের সতর্ক নির্দেশ আসতে পারে" -বলছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এদিকে সিলেটে জঙ্গি হামলায় নিহত দুজন পুলিশ সদস্যের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ দুপুরে সিলেট পুলিশ লাইনসে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শিববাড়ি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে গতরাত থেকেই। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। আরো পড়ুন: সিলেটের আতিয়া মহলে আটকে থাকা ৩০ ঘণ্টা বাংলাদেশে হঠাৎ করে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ,অভিযান অব্যাহত অভিযানের মধ্যেই যেভাবে সিলেটে জঙ্গি হামলা সিলেটে আরও এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু, নিহত মোট ৬ | বাংলাদেশের সব জেলার পুলিশকে সর্বোচ্চ সর্তক থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন ও আটকের ঘটনার পর আলোচনায় আসেন জেলার আরডিসি। কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসক হিসেবে রেজাউল করিম নামে একজন উপসচিবকে দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া বাকি দুজন হলেন সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, প্রত্যাহার করা এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আরডিসি নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে আরো 'কঠিন ব্যবস্থা' নেয়া হতে যাচ্ছে। এমন ব্যবস্থা যা 'তার এবং তার চাকরি, পরিবার ও সামাজিক অবস্থার জন্য বেদনাদায়ক ও অপমানকর হবে'। রবিবার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্রসফায়ারের হুমকি ও শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ করবার সময় বারবার আরডিসি নাজিম উদ্দীনের নাম উল্লেখ করছিলেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম। যদিও এ নিয়ে বক্তব্যের জন্য মি. উদ্দীনের টেলিফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি, কিন্তু একদিন পর দেখা গেল, কুড়িগ্রাম থেকে যেসব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের মধ্যে এই নাজিম উদ্দীনও রয়েছেন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে মি. উদ্দীনকে দেখা গেছে এক বৃদ্ধকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করতে। বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো খবর দিচ্ছে, এই কর্মকর্তা এর আগেও আচরণগত কারণে একাধিকবার বদলি হয়েছেন। বদলি কি শাস্তি? জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলছেন, হ্যাঁ। "কোন কর্মকর্তার বদলি বিষয়টি হচ্ছে তার শোধরানোর একটা সুযোগ। সাধারণত শাস্তি হিসেবে এমন জায়গায় বদলি করা হয় যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না, কিংবা দুর্নীতি করার সুযোগ নেই"। এছাড়া চাকরিতে যোগ দেয়ার আগেই আচরণ বিষয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে বলেও জানান তিনি। যেখানে সরকারি বিভিন্ন নিয়মকানুনের পাশাপাশি কার সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে, জনগণের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে সে বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। "একজন ভাল কর্মকর্তা যাতে ভদ্রলোকের মতো আচরণ করে সে বিষয়ে নানা ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়," তিনি বলেন। তবে তারপরেও সিভিল সার্ভিস যেহেতু একটি বড় সংগঠন তাই এখানে অনেক মানুষ আসে। সেখানে কিছু কিছু কর্মকর্তা, কিছু কিছু লোক খারাপ থাকতেই পারে বলে মন্তব্য করেন মিস্টার হারুন। তিনি বলেন,"সব লোক যে ভাল সেটি আমরা মনে করি না"। প্রশিক্ষণ ছাড়াও আচরণগত সংশোধনের জন্য বিভিন্ন ধরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়। "যদি কোন কর্মকর্তার ব্যবহার যদি এমন হয় যেটি অকর্মকর্তাসুলভ বা ভদ্রলোকের মতো আচরণ নয়, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মোকদ্দমা দায়ের করা হয়। আর আচরণ ফৌজদারি অপরাধমূলক হলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায়। একই সাথে বিভাগীয় মামলাও হতে পারে"। তবে এর পরও আচরণে সংশোধন না আসলে এবং একই ধরণের আচরণ বার বার করলে অনেক ক্ষেত্রে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয় বলে জানান তিনি। নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে এর আগে বেশ কয়েকবার অভিযোগ এসেছে এবং এমন পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রশাসন সচিব মিস্টার হারুন বলেন, কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে হয়। "অনেক ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না পাওয়ার কারণে অনেক ঘটনা নজর এড়িয়ে যায়। তাদেরকে যারা সুপারভাইজ করেন যেমন জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার যদি সময়মত অভিযোগ না দেয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া যায় না"। "তবে এখন তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটি খুবই কঠিন। তার এবং তার চাকরি, পরিবার ও সামাজিক অবস্থার জন্য বেদনাদায়ক ও অপমানকর হবে", বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই সচিব। বদলি কি শাস্তি হিসেবে যথেষ্ট? সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলি ইমাম মজুমদার বলেন, "বদলি একজন কর্মকর্তার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কিছুটা হলেও প্রভাব বিস্তার করে। তবে এটি অবশ্যই হালকা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে হয়ে থাকে"। কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে সেক্ষেত্রে তাকে "চাকরিচ্যুত করাই শ্রেয়" বলে মনে করেন তিনি। তবে একই অভিযোগ বারবার এলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা উচিত। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় মামলা করা উচিত বলে জানান সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা। | কুড়িগ্রামে গভীর রাতে ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে এক সাংবাদিককে নির্যাতন ও কারাদণ্ড প্রদানের অভিযোগে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন এবং আরো দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বিএনপির একটি সমাবেশের দৃশ্য দীর্ঘ সময় পর বিরোধীদল বিএনপি সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছে। দলটির নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়গুলো বাদ দিয়ে একতরফা কিছু সিদ্ধান্ত হওয়ায় বিএনপি তার প্রতিবাদ করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের সাথে সিদ্ধান্ত বা চুক্তিগুলো নিয়ে বারবার ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও কেন ভারত বিরোধিতা, এই প্রশ্নে দলগুলোর পাশাপাশি বিশ্লেষকরাও বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরছেন। বিএনপির ভারত বিরোধী অবস্থান প্রকাশ্যে দলটি দু'দিন আগে ঢাকায় যে সমাবেশ করেছে, এর মূল বিষয়ই ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতিবাদ করা। সমাবেশে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্যেই ছিল ভারতের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কড়া সমালোচনা। সাত আট বছর পর বিএনপি আবার প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে এই সমাবেশ করে। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে খালেদা জিয়ার ভারত সফর। ছবিতে আরো দেখা যাচ্ছে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদকে (ফাইল চিত্র) ২০১২ সালের অক্টোবরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সে সময় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লি সফর করেছিলেন। এরপর থেকে জেলে যাওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেত্রী ভারতের বিরোধিতা বা সমালোচনা করে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেননি। এমনকি চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর নিয়ে বিএনপি আগে রক্ষণশীল অবস্থানে থাকলেও গত বছর যখন এই বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেয়ার ব্যাপারে চুক্তি হয়, তখন দলটি সতর্ক বক্তব্য তুলে ধরেছিল বিবৃতির মাধ্যমে। কিন্তু এখন আবার ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে মাঠে নামার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফরে ভারতের স্বার্থে একতরফা সব চুক্তি হয়েছে, সেকারণে তারা প্রতিবাদ করছেন। "একতরফাভাবেতো বন্ধুত্ব হয় না। বন্ধুত্ব হচ্ছে টু ওয়ে ট্রাফিক। দেয়া নেয়ার ক্ষেত্রেতো একটা সমতা থাকতে হবে, একটা ন্যায্যতা থাকতে হবে। সেখানে আমরা দেখছি একটা বড় ধরণের অভাব বা ঘাটতি থাকছে।" "তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে কিছু করা হলো না। কিন্তু হঠাৎ করে ফেনী নদী থেকে পানি দিয়ে দেয়া হলো। এখানেই মানুষের মাঝে সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে।" বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আরও বলেছেন, "বাংলাদেশের জনগণ মনে করে, দুই দেশের জনগণের মাঝে বন্ধুত্ব নয়, বরং একটি রাজনৈতিক দলকে তারা আস্থায় নিয়ে তাদেরকে দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বিষয়গুলো করিয়ে নেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণের যে প্রতিক্রিয়া, সেই প্রতিক্রিয়াই আমরা তুলে ধরছি।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কে এই নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ বিজেপিকে মুচলেকা দিয়েই কি বোর্ড সভাপতি সৌরভ? কেন ধর্মঘটে গেলেন উবার চালকদের একাংশ বিএনপির অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর এবার ভারত সফরে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি বিএনপির ভারত বিরোধী অবস্থান পরিচিত ছিল, এখন তাহলে তাদের অবস্থান কেন আলোচনায় আসছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে তিস্তা নদীর পানি বন্টন ইস্যুসহ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের বিষয়গুলোতে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। এর বিরোধিতা করে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল মাঠে নামে। এরমধ্যে ভারত ইস্যুতে দীর্ঘসময় সতর্ক থাকা বিএনপি আবার মাঠে নামায় তাদের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কারণ দলটির পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ভারতের সাথে একটা ভাল সম্পর্ক তৈরি চেষ্টা অনেকসময় দৃশ্যমান হয়েছে। বিএনপি সিনিয়র কয়েকজন নেতা গত বছর ভারত সফরেও গিয়েছিলেন। দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, তাদের সম্পর্ক তৈরির চেষ্টায় ভারতে সেভাবে সাড়া দেয়নি, সেকারণে দলটির এমন চেষ্টার সাথে জড়িত অংশটি কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। ফলে বিএনপিতে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি আবার মাথা চাড়া দিয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে আবার বলছেন, ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যও এটি বিএনপির একটি কৌশল হতে পারে। অনেকেই বলছেন ভারতের সাথে সুসম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে সফল হয়নি বিএনপি আওয়ামী লীগ কেন বারবার ব্যাখ্যা দিচ্ছে? আওয়ামী লীগ বা সরকারও ভারতের সাথে চুক্তিগুলো নিয়ে যুক্তি বা ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করছে। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলছেন, "বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না। সেকারণে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। এটা তাদের সস্তা রাজনীতি।" পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে বিএনপি জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেজন্য সরকার সঠিক তথ্য তুলে ধরছে। তবে দলটির অন্য একাধিক নেতার সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগ এবং সরকার ভারতের সাথে ভাল সম্পর্ক বহাল রাখছে। একইসাথে মানুষের মাঝে আবার ভারত বিরোধী মনোভাব জোরালো হচ্ছে কিনা, সেটাও তারা নজরে রাখছে। বিশ্লেষকদের বক্তব্য: বড় প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারতের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি বিএনপিও বিবেচনায় নিয়েছিল। সেকারণে লম্বা সময় বাংলাদেশে রাজনীতিতে ভারত বিরোধিতা সেভাবে ছিল না। কিন্তু বিএনপির সেই কৌশলে ফল তারা পাচ্ছে না। সেকারণে এখন প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়গুলোর সুযোগ নিয়ে বিএনপি মাঠে নেমেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুকসানা কিবরিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়গুলোতে ভারতের উদাসীনতার কারণে ভারত বিরোধিতা পুরোনো পরিবেশ ফিরে আসছে। "আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে ভারত সফর করলেন, তারপর রাজনৈতিক একটা ইস্যু তৈরি হয়ে গেছে। একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের বিষয়গুলোতে সমাধান আসেনি। এখন এটা রাজনীতি। এগুলো এখন যে যেভাবে পারবে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।" আরো খবর: 'লেজুড়বৃত্তি কখনোই ভালো কোন ফল বয়ে আনে না' তুরস্কের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল দ্বৈরথ: কার শক্তি কেমন? | বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও ভারত বিরোধিতা প্রকাশ্যে জোরালোভাবে দেখা যাচ্ছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃত্তি ঘোষণার পরেও তারা বাংলা বিভাগে শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না এর কারণ হিসাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আগ্রহের অভাবকে দায়ী করছেন। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড, মোঃ. আনোয়ারুল কবির বলছিলেন, ক্যারিয়ার বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ না থাকার কারণেই বাংলা বিভাগ খোলা হয় না। তিনি বলছেন, ''উদ্যোক্তা হিসাবে যারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গঠন করেছেন, তারা ডিসিপ্লিন বা বিভাগগুলো খোলার ক্ষেত্রে দেখেছেন, কোন বিভাগগুলোর প্রতি বাজারের আগ্রহ আছে। কেননা, একজন ছাত্র ছয়লাখ সাত লাখ টাকা দিয়ে একটি বিষয়ে অধ্যয়ন করলো, এরপর বাজারে তারা জায়গাটা খুঁজে পেল না, সেটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেমন দুঃখজনক, তেমনি তার ক্যারিয়ারের জন্যও হতাশার।'' ''হয়তো একসময় যখন দেখা যাবে, শিক্ষার্থীরা এই পরিমাণ টাকা দিয়ে বাংলা সাহিত্য পড়তে আগ্রহী হবে, তখন হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এগিয়ে আসবে।'' বলছেন মি. কবির। আরো পড়তে পারেন: এটাই কি অলিম্পিকের সেরা প্রেমের গল্প? কেন মাশরাফিকে টি২০-তে ফেরাতে চায় বিসিবি? মি, কবির বলছেন, ''তবে শুধুমাত্র ক্যারিয়ারের দিকটি বিবেচনা নিয়েই নয়, বাংলা বিভাগে পড়তে হলে বাংলা সাহিত্যের প্রতি আলাদা একটা আগ্রহও থাকা দরকার। কিন্তু শুধু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও সেই আগ্রহে যেন কমতি দেখা যাচ্ছে।'' বাংলাদেশে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৯৫টি। তার মধ্যে মাত্র ১৪টিতে বাংলার জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগটি ভুগছে শিক্ষার্থী খরায়। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের রেজিস্টার অধ্যাপক ইফাত কায়েস চৌধুরী বলছেন, বৃত্তি ঘোষণার পরে ও তাদের এই বিভাগে তারা শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না। তিনি বলছেন, ''বাংলাদেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে সবার আগে আমরাই তিন চার বছর আগে থেকে বাংলা বিভাগ খুলি। প্রথম বছর থেকেই আমরা প্রথম ভর্তি হওয়া পাঁচজনের জন্য বৃত্তি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্র পেলেও, স্নাতক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীও পাইনি। আমাদের শিক্ষক আছে, ক্লাস আছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত স্নাতক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়নি।'' এর কারণ হিসাবে তিনি মনে করেন, ''শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ধারণা আছে যে, বাংলায় পড়ে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে না। অথচ আমরা আমাদের নিজেদের স্কুল বা কলেজেই বাংলার জন্য ভালো শিক্ষক খুঁজে পাচ্ছি না।'' বাংলা বিভাগ রয়েছে, এরকম আরো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খোজ নিয়ে জানা গেলো, সেখানেও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কিছু কর্মজীবী শিক্ষার্থী থাকলেও, স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। বাংলায় উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন, এরকম একজন ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা সোহানা ইয়াসমিন। তিনি বলছেন, ''আমি বাংলায় অনার্স মাস্টার্স করে দেখলাম, স্কুল কলেজ আর সরকারি চাকরির এর চাহিদা কম। বিসিএসের চেষ্টাও করেছি। কিন্তু সেটি না হওয়ায় পরে ম্যানেজমেন্ট আর ইংরেজির উপর কয়েকটা শর্ট কোর্স করে এখন গার্মেন্ট সেক্টরে কাজ করছি।'' বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের আগ্রহের অভাব থাকার কারণেই বাংলা বিভাগ খোলা হয় না তবে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া একজন ছাত্র শাহরিয়ার হোসেন বলছেন, ''আমি শিক্ষকতাতে পেশা হিসাবে নিতে চাই। তাই বাংলা বেছে নিয়েছি, যাতে এর পাশাপাশি আমি পার্টটাইম চাকরিও করতে পারি, আর পড়তে খরচও কম লাগে।'' সরকারি একটি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল হক অবশ্য মেধা তালিকায় বাংলা পেয়েছেন। তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনি খুব বেশি মাথা না ঘামিয়ে আপাতত পড়াশোনা শেষ করতে চান। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বাংলা বিভাগের সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাদের কেউ কেউ এই বিভাগটি যেমন বেছে নিলেও, বেশিরভাগই মেধা তালিকার কারণেই বাংলায় পড়াশোনা করেছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলার প্রতি এই অনাগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য মোঃ. আখতার হোসেন বলছেন, ''পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে বেসরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সংস্কৃতি এখনো হয়নি। এগুলো যেমন বাংলাদেশের শিক্ষায় অনেক অবদান রাখছে, তেমনি আবার তারা এমন সব বিষয়ে বিভাগ খুলতে চান, যেগুলো শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি। তবে প্রোগ্রাম হিসাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রাম হিসাবে বাংলা খুলেছে। পুরোপুরি বিভাগ হিসাবে খুলতে হয়তো আরো খানিকটা সময় লাগবে।'' তবে পুরোপুরি বিভাগ খুলতে বাধ্য করতে না চাইলে, অন্তত একটি কোর্স হিসাবে বাংলাকে ছড়িয়ে দিতে চায় মঞ্জুরি কমিশন। এজন্য বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে তারা একটি কোর্স তৈরি করেছেন, যা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, সব বিভাগেই পড়ানো হবে। এ বছর থেকেই এই কোর্সটি পুরোদমে চালু হবার আশা করা হচ্ছে। কমিশনের আশা, এর মাধ্যমে অন্তত সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে বাংলাকে পৌঁছে দেয়া যাবে। | বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষা বাংলা হলেও, দেশটির বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই উচ্চ শিক্ষা হিসাবে বাংলা পড়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ সেখানে বাংলার জন্য কোন বিভাগই নেই। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করছে তা নিয়ে চীনের এক নিবন্ধ প্রকাশের পর চীনের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। ফিনানসিয়াল টাইমস পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন চীন এই সঙ্কট অন্যদের থেকে ভালভাবে মোকাবেলা করেছে এটা বলা "অজ্ঞতা" হবে। তিনি বলেছেন, "কী ঘটেছে তা আমরা আসলে জানি না।" চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়ালেও চীনের চেয়েও বেশি মানুষ মারা গেছে আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। চীনে মৃতের সংখ্যা নিয়ে এবং চীন কত দ্রুত তা মোকাবেলা করেছে বা অন্য দেশগুলোকে কত দ্রুত এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেনও। তবে চীনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব ব্যাপী এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বিশ লাখের বেশি মানুষের এবং মারা গেছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার। সবেচয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনের জনগণ। ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে যত মানুষ মারা গেছে তার এক তৃতীয়াংশই বৃদ্ধ নিবাসের বাসিন্দা। চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে কেন এই সংঘাত? ফ্রান্সে কোভিড নাইনটিন আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার। উহান শহরে শুক্রবার আরও ১,২৯০ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। ফলে চীনে এখন মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪,৬৩২ জন। উহানেই এই মহামারির শুরু এবং অতি সম্প্রতি সেখানে জারি করা কঠোর লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন তাদের পরিসংখ্যান আসতে সময় লেগেছে এবং আগের পরিসংখ্যান সঠিক ছিল না। মৃতের সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ক্ষোভের কারণ এই ভাইরাস মোকাবেলায় পশ্চিমা সরকারগুলোর ভূমিকা নিয়ে চীনের এক নিবন্ধ। চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক নিবন্ধে লেখা হয়েছে পশ্চিমের দেশগুলো বৃদ্ধ মানুষদের দেখাশোনার জন্য যে আবাসনগুলো রয়েছে সেখানে বয়স্কদের মৃত্যুর মুখে ফেলে রেখে দিচ্ছে - তাদের সেখানেই মরতে দিচ্ছে। এই নিবন্ধ প্রকাশের পর প্যারিসে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এর প্রতিবাদ জানায়। ফ্রান্সে এইসব বৃদ্ধ নিবাস বা কেয়ার হোমে কোভিড নাইনটিনে যারা মারা গেছেন তাদের সংখ্যা বিশাল। দেশটিতে মোট মৃতের এক তৃতীয়াংশই কেয়ার হোমের বৃদ্ধ বাসিন্দা। ব্রিটেনেও কেয়ার হোমে বৃদ্ধ বয়সী যারা করোনাভাইরাসে মারা যাচ্ছেন তাদের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে অন্তর্ভূক্ত না করায় সরকারকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। চীন অবশ্য এই বিতর্ককে "ভুল বোঝাবুঝি" বলে নাকচ করে দিয়েছে। সরকারি মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন ফ্রান্স কীভাবে এই মহামারির মোকাবেলা করছে সে বিষয়ে চীন কখনই কোন নেতিবাচক মন্তব্য করেনি। মি. ম্যাক্রোঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল চীন ভাইরাস ঠেকাতে যে কঠোর কর্তৃত্বমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল তা পশ্চিমা দেশগুলোর গণতন্ত্রের দুর্বলতাকে সামনে এনে দিয়েছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেছেন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা আর যে সমাজ ব্যবস্থায় সত্য চাপা দেয়া হয় -এ দুয়ের মধ্যে তুলনা চলে না। "এই তফাতের কথা এবং চীনের বর্তমান অবস্থার কথা মাথায় রেখে বিষয়টা দেখা উচিত। চীন অন্যদের থেকে ভালভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে এটা বলার আগে ভাবা উচিত।" "আমরা জানি না। স্পষ্টতই সেখানে কিছু ঘটেছে যে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।" মি. ম্যাক্রোঁ বলেছেন মহামারি ঠেকাতে গিয়ে মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিলে পশ্চিমা গণতন্ত্র ঝুঁকিতে পড়বে। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? পশ্চিমের দেশগুলোতে এই ভাইরাসে যে হারে মৃত্যু ঘটছে এবং কেয়ার হোম বা বৃদ্ধ নিবাসগুলোকে যেভাবে অবহেলা করা হচ্ছে তা নিয়ে এসব দেশে বহু কর্মকর্তাকে নানাধরনের জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। আর এসব দেশের জনসংখ্যা চীনের তুলনায় অনেক কম। চীন সেদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করেছে পশ্চিমা দেশগুলোর এমন অভিযোগ দেশটি অস্বীকার করেছে। আমেরিকা আর ব্রিটেন চীনের দেয়া পরিসংখ্যান ও তাদের ব্যাখ্যা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে দাবি তোলায় সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এই প্রাদুর্ভাব কীভাবে শুরু হল এবং "কেন তা আরও আগে থামানো গেল না" তা নিয়ে চীনকে "কঠিন প্রশ্নের" মুখোমুখি করতে হবে। তিনি বলেছেন চীন থেকে এই ভাইরাস কীভাবে বাইরে এভাবে ছড়ালো তা "গভীরভাবে অনুসন্ধান" করতে হবে এবং এই সঙ্কটের পর "সব লেনদেন আগের মতই" চালানো যাবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পও চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। চীনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের মানচিত্র করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: কীভাবে শনাক্ত করছে বাংলাদেশ? করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? বুধবার মি. ট্রাম্পকে সংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, আমেরিকায় এত মানুষের মৃত্যুর কী ব্যাখ্যা তিনি দেবেন? তিনি উত্তরে চীনের নাম করে বলেন, "অন্য দেশের পরিসংখ্যান কি মানুষ আসলেই বিশ্বাস করে?" তিনি বলেন এই করোনাভাইরাস উহানের বাজার থেকে নয়, বরং শহরের একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে এমন একটি অসমর্থিত খবর আমেরিকা যাচাই করে দেখছে। আমেরিকায় ফক্স নিউজ অজ্ঞাত কিছু সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে উহানের একটি গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই ভাইরাস দুর্ঘটনাবশত বাইরে বেরিয়ে গেছে, কারণ ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুর্বলতা ছিল । ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্র কূটনৈতিক তারবার্তা থেকে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে বলা যাচ্ছে ২০১৮ সালে আমেরিকার বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু কূটনীতিককে চীনের ওই গবেষণা কেন্দ্রে কয়েকবার সফরে পাঠানো হয়েছিল। ওই কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনকে দুবার হুঁশিয়ার করে দিয়েছিল যে ওই গবেষণাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহী ছিল বলে মঙ্গলবার জানান আমেরিকার যৌথ স্টাফ প্রধানদের একজন জেনারেল মার্ক মিলি। "আমরা এ বিষয়ে অনেক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। আপাতত এটু্কুই বলতে চাই যে তার থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছন যায়নি। যদিও প্রাপ্ত তথ্য ইঙ্গিত দিয়েছিল সেখানে অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে না। কিন্তু নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না," তিনি বলেন। বিবিসির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পল রিনকন বলছেন সার্স-কোভ-২ ভাইরাস দুর্ঘটনাবশত গবেষণাগারের বাইরে চলে এসেছিল বলে কোন তথ্যপ্রমাণ কিন্তু নেই। অনলাইনের একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যেটি জানুয়ারি মাসে ভাইরাল হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল এই ভাইরাস জীবাণু অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য একটি গবেষণাগারে তৈরি করা হচ্ছিল। তবে বিজ্ঞানীরা বারবার এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নাকচ করে দিয়েছেন। তারা বলেছেন গবেষণায় দেখা গেছে এই ভাইরাসের সূত্রপাত প্রাণী থেকে - খুব সম্ভবত বাদুড় থেকে। | ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ করোনাভাইরাসের প্রকোপ চীন যেভাবে মোকাবেলা করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | অনেক নারীর কাছে যৌন সম্পর্ক ধারালো বস্তুর আঘাতের মতো এই কথাগুলো বলছিলেন হ্যানা ভ্যান ডি পিয়ার, যার যৌনমিলনের সময় যন্ত্রণা হওয়ার এক রোগ রয়েছে। ভ্যাজাইনিজমাস নামের এই ব্যাধি সারা বিশ্বের নারীদের জীবনকে প্রভাবিত করে থাকে। তবে এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব অল্প মানুষই জানেন। মূলত এই ব্যাধিতে আক্রান্তদের শরীর যৌনমিলনের ভয়ে এ ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে। "আমি এমন অনেক নারীর সাথে কথা বলেছি যারা এই সমস্যায় ভুগেছেন। তাদের প্রায় সবার থেকে একটি অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরেছি, আর তা হল তারা খুব একাকীত্বে ভোগেন," হ্যানা বলেন। যাদের ভ্যাজাইনিসমাস আছে, তাদের যোনিপথের পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং এর ওপর ওই নারীদের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এতে কিছু ভুক্তভোগীদের যৌনমিলনের জন্য অনেক কষ্ট পেতে হয়। এসময় তাদের জ্বালাপোড়া এবং কাটা দেয়ার মতো যন্ত্রণা হয়। অনেকের পক্ষে ট্যাম্পন প্রবেশ করানোও বেশ কঠিন হয়ে যায়। হ্যানার বয়স এখন ২১ বছর। তিনি তার প্রথম যৌনমিলনের অভিজ্ঞতার কথা মনে করতে গিয়ে বলেন: "আমাকে সবসময় শেখানো হয়েছিল যে কুমারীত্ব হারানো যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। কিন্তু প্রথম যৌনমিলনের সময় আমার মনে হয়েছিল কেউ আমার ভেতরে ছুরি ঢুকিয়ে চারপাশে মোচড়াচ্ছে।" কিছু নারী এটিকে শরীর কেটে যাওয়া বা ত্বকে সূঁচ ফোটানোর মতো অনুভূতি হিসাবে ব্যাখ্যা করেন। যুক্তরাজ্যের কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট লেয়লা ফ্রডশাম বলেছেন যে এটি যৌনতার ব্যাপারে সর্বশেষ ট্যাবুগুলোর একটি। "প্রথমবারের যৌনমিলন নিয়ে চিন্তিত হওয়াই স্বাভাবিক, এবং সম্ভবত আমরা সবাই এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তবে ভ্যাজাইনিসমাসে আক্রান্ত নারীরা আজীবন এই জাতীয় অনুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারেন।" হ্যানা ভ্যান ডি পিয়ার ভ্যাজাইনিসমাসে আক্রান্ত আমিনার বয়স কুড়ি বছরের কিছু বেশি এবং তিনি ভ্যাজাইনিজমাসে আক্রান্ত। তিনি বলেছেন যে এই বিষয়টি তার জীবন চিরতরে বদলে দিয়েছে। "ভ্যাজাইনিসমাস আমার বিবাহিত জীবনের আনন্দকে গ্রাস করেছে। আমি কখন সন্তান নিতে চাইব সেটা বেছে নেয়ার ক্ষমতাও আমার নেই।" এই অবস্থা নারীর জীবনের যে কোন সময় ঘটতে পারে। যৌন রোগ থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব বা যৌনতা নিয়ে কোন মানসিক আঘাত কিংবা মেনোপজ - এই সময়গুলোতে যে কোন অভিজ্ঞতার কারণে এই ব্যাধি নারীর জীবনে দেখা দিতে পারে। কিছু ভুক্তভোগী তাদের এই রোগটি তখনই আবিস্কার করেন, যখন তারা প্রথমবার সেক্স করার চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তবে ডাঃ লেয়লা ফ্রডশাম বলছেন যে ধর্মীয় কঠোর অনুশাসনও এক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে। "কিছু লোক আছেন যারা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বেড়ে ওঠেন। কিন্তু তাদের একেবারেই কোনও সমস্যা থাকে না। তবে এমনও অনেকে আছেন যারা অনেকটা স্পঞ্জের মতো - তারা সব ইঙ্গিত এবং মন্তব্যগুলো টেনে নেন," বিবিসিকে বলেন তিনি। "এসব মন্তব্যের একটি হল, আপনার বিয়ের রাতে যৌনমিলন খুব যন্ত্রণাদায়ক হবে এবং কুমারীত্ব প্রমাণের জন্য আমরা দেখতে চাই যে মিলনের পর কিছু রক্ত বয়ে গেছে" যদিও আমিনাকে কুমারীত্ব প্রমাণের জন্য এমন কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে হয়নি, তবে এই নিয়ে চিন্তা সবসময় তার মাথায় ঘুরঘুর করতো। "এটি সম্ভবত এমন একটি বিষয় ছিল যা আমাকে যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে খুব ভয় দেখিয়েছে," তিনি জানান। "আমার বিয়ের রাতে আমার মনে হয়েছিল যে আমার শরীর বন্ধ হয়ে গেছে। এ সম্পর্কে কথা বলা কঠিন, কারণ মানুষ তা বুঝতে পারবে না। তারা ভাববেন যে আমি বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করছি বা পুরো বিষয়টি আমার মনগড়া।" ভ্যাজাইনিসমাসে আক্রান্তদের ট্যাম্পন ব্যবহারেও সমস্যা হয় হ্যানা ভ্যান ডি পিয়ারকে এক সময় বলা হয়েছিল যে সেক্স একজন নারীর জন্য কখনোই সুখকর হয় না -"আমি একটি গির্জার স্কুলে গিয়েছিলাম এবং আমাকে বলা হয়েছিল যে যৌনতার ফলে রক্তাক্ত যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, গর্ভধারণ হতে পারে অথবা এসটিডি হতে পারে।" ইসলে লিনের মতো আরও কিছু নারীর ক্ষেত্রেও এই ব্যাধিটি তাদের সম্পর্কের উপর বড় ধরণের সংবেদনশীল প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, "আমার মনে আছে, আমি সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম যে আমার সঙ্গী হয়তো ভাববে যে তার প্রতি হয়তো আমার কোন ভালবাসা নেই বা শারীরিকভাবে আমি তার প্রতি আকৃষ্ট নই।" লজ্জা এবং ট্যাবু প্রায়শই নারীদের এই বিষয়ে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত রাখে। অথচ ভ্যাজাইনিসমাস নামের এই ব্যাধিটি চাইলেই নিরাময় করা সম্ভব। হ্যানা এবং আমিনা উভয়েই যৌন প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে উদ্যোগী হয়েছেন। একই সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক যৌনমিলনের বিষয়ে তাদের সাইকো সেক্সুয়াল থেরাপিও দেয়া হবে। ভ্যাজাইনিসমাস নিরাময়ে শারীরিক ও মানসিক দুই ধরণের চিকিৎসাই দেয়া হয়ে থাকে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ধর্ষণ: ছেলেশিশুরা কি মেয়েশিশুদের চেয়ে নিরাপদ আমার চোখে বিশ্ব: যৌন সহিংসতায় আছে এইডস ছড়ানোর ঝুঁকি 'যৌন আকর্ষণ কী জিনিস সেটা আমি জানিনা' আমিনা জানান, এটি একটি পর্যায় পর্যন্ত অনেক সহায়তা করেছে। "আমি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবাহিত জীবন যাপন করছি এবং আমার মনে হয় আমি আরও ভাল হওয়ার পথে যাচ্ছি। এই চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় নারীদের মানসিক দিকটির প্রতিও গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। এজন্য মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ বা সাইকো সেক্সুয়াল কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে যৌনমিলনের মানসিক ভয় দূর করার চেষ্টা করা হয়। গ্লাসগো'র কুইন এলিজাবেথ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভেনেসা ম্যাককে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে - "এটি একধরণের কথা বলার থেরাপি, যা আপনার শরীরের ব্যাপারে আপনার অনুভূতিগুলো আরও বেশি করে বুঝতে এবং কিছু নেতিবাচক চিন্তা পরিবর্তন করতে সহায়তা করে।" হ্যানা জানাচ্ছেন যে তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবে যৌনমিলন এখনও তার কাছে কঠিন মনে হয়। তবে তিনি বিষয়গুলিকে আরও উন্নত করতে, আরও পরিবর্তন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, "আমি এমন যৌনমিলন করতে চাই যা আমি উপভোগ করবো। আমি চাই আমার মাসিক চলার সময়ে আমি যেন ট্যাম্পন পরে হাটতে পারি।" "আমি নিজের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি এবং আমি ভবিষ্যতের জন্য সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে কাজ করে যাচ্ছি।" | "আমার শরীর আমাকে সেক্স করতে দেয় না এবং আমি যখন সেক্স করি, তখন এমন মনে হয় যে কেউ আমাকে ছুরিকাঘাত করছে।" |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | এই অস্ত্রোপচারে ছিলেন ৬০ সদস্যের মেডিক্যাল টিম এবং সময় লেগেছে ৫৬ ঘThe surgery took 56 hours and involved a medical team of 60 অন্য লোকের চেহারা নিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা অ্যান্ডি অস্ত্রোপচারের পর কথা বলতে সক্ষম ছিলেন না। কিন্তু আয়নায় তার নতুন মুখমণ্ডল দেখার পর তিনি চিকিৎসক ও পরিবারের উদ্দেশ্যে কাগজে লিখে দেন, "আমার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।" দুই তরুণ একে অপরকে চিনতেন না, কিন্তু একটা ব্যাপারে তাদের মধ্যে মিল ছিল। তারা দুজনেই আত্মহত্যার জন্য নিজেদের গুলি করেছিলেন। ২০০৬ সালে অ্যান্ডি স্যান্ডনেসের আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ওয়াওমিং এলাকার এই তরুণ প্রাণে বেঁচে যান, কিন্তু মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে যায়। মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন সার্জারির আগে অ্যান্ডি অনেকগুলো অস্ত্রোপচার করেও তার চেহারা চলনসই করতে পারেন নি চিকিৎসকরা। অ্যান্ডি তখন সবাইকে বলতেন শিকার করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তার মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। ২০০৬ সালে আত্মহত্যার চেষ্টার পর অ্যান্ডি স্যান্ডনেস বলেন তিনি বিরাট ভুল করেছিলেন মিনেসোটাতেই থাকতেন দাতা ক্যালেন রস। ২০১৬র জুন মাসে গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার স্ত্রী লিলি তখন ছিলেন অন্তসত্ত্বা। তার প্রয়াত স্বামী ক্যালেন মৃত্যুর আগে তার অঙ্গদান করার ইচ্ছে প্রকাশ করে গিয়েছিলেন। স্বামীর ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে লিলি তার দেহ দান করতে রাজি হন, কিন্তু তার মুখমণ্ডল আরেকজনকে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি খুব স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। "আমি চাই নি পথ চলতে গিয়ে হঠাৎ দেখব আমার স্বামী ক্যালেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন," সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান লিলি। ডাঃ সামীর মারদানি অ্যান্ডিকে নিয়ে যাচ্ছেন অস্ত্রোপচারের জন্য। তবে চিকিৎসকরা তাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন মিঃ স্যান্ডনেসের চোখ ও কপাল তার নিজেরই থাকবে- চোখের নিচ থেকে বাকিটা প্রতিস্থাপন করা হবে। তাই হুবহু তার স্বামীর চেহারা অ্যান্ডি পাবেন না। মিনোসোটার রচেস্টারে মেয়ো ক্লিনিকে গত বছর জুন মাসে এই বিরল ও জটিল অস্ত্রোপচার করেন ডাক্তার সামীর মারদানি, যিনি মুখমণ্ডল পুর্নগঠন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এই অপারেশনের জন্য হাত পাকাতে তিনি তিন বছর ধরে ৫০টি শনিবার মৃত ব্যক্তির উপর পরীক্ষামূলক অস্ত্রোপচার চালিয়েছেন। রচেস্টারের মেয়ো ক্লিনিকে এটাই প্রথম মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর অ্যান্ডি এখন ইলেকট্রিকের কাজ করতে চান। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল অ্যান্ডির শরীর নিতে পারবে এমন দাতা পেতে কয়েক বছর লেগে যাবে। কিন্তু ৫ মাসের মধ্যেই ক্যালেনের মৃত্যুর পর তার মুখমণ্ডল গ্রহণযোগ্য বিবেচনায় এই অপারেশন চালানো হয়। অপারেশনটি খুবই জটিল, কারণ নিজের স্নায়ু ব্যবহার করে অন্যের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজ অ্যান্ডি যাতে ঠিকমত করতে পারেন চিকিৎসককে সেই সম্বন্বয়ের কাজটা নিশ্চিত করতে হয়েছে- যেমন হাসা, চোখ খোলা বা বোজা, বা দাঁত ব্যবহার করা। মিঃ স্যান্ডনেস এখনও তার দাতার স্ত্রী লিলিকে দেখেন নি। কিন্তু তাকে চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ক্যালেন রসের এই ছবিটি দিয়েছেন তার স্ত্রী লিলি | অস্ত্রোপচারের পর আয়নায় মুখ দেখে অবাক মিনেসোটার ২১বছরের তরুণ অ্যান্ডি স্যান্ডনেস। তার নাক, চিবুক, মুখ, ঠোঁট, চোয়াল, গাল, এমনকী দাঁতগুলোও অন্যের- দাতা ২১বছরেরই তরুণ ক্যালেন রস। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | এক হাজারের বেশি শয্যার এই হাসপাতালটিতে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরণের চিকিৎসা সুবিধা থাকবে বলে বলা হচ্ছে। এক হাজারের বেশি শয্যার এই হাসপাতালটিতে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরণের চিকিৎসা সুবিধা থাকবে বলে বলা হচ্ছে। হাসপাতালটির কার্যক্রম বেসামরিক ও সামরিক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে পরিচালিত হবে, তবে হাসপাতালটির সার্বিক তত্বাবধানে থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মহাখালীর যেই ভবনটিতে এই হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়েছে সেটি তৈরি করা হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাঁচা বাজার তৈরি করার জন্য। গত বছর বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করলে ছয় তলা ভবনটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি আইসোলেশন সেন্টার চালু করে। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে কোভিড সংক্রমণ কমে যাওয়ায় গত বছরের ১৩ই জুলাই আইসোলেশন সেন্টারটি স্থগিত করে বিদেশ গামীদের জন্য আরটিপিসিআর টেস্ট করার সেন্টার তৈরি করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসপাতালটির প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, "বাংলাদেশে দিন দিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সেন্টারটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।" অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, "ঢাকা শহরে এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে যতগুলো আইসিউ সুবিধা রয়েছে, শুধু এই হাসপাতালেই তার চেয়ে বেশি আইসিইউ সমমানের শয্যা রয়েছে।" আরো পড়তে পারেন: কোভিড রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্মীরা হাসপাতালে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কেন বাড়ছে হাসপাতালে বেড বসানোর এক ইঞ্চি জায়গাও নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের আইসিইউ'র জন্য হাহাকার হাসপাতালে ৫০০র বেশি শয্যায় আইসিইউ সমমান সুবিধা দেয়া সম্ভব বলে বলা হচ্ছে যেসব সুবিধা থাকবে হাসপাতালটিতে ছয় তলা ভবনটি প্রায় ২২ বিঘা জায়গার ওপর তৈরি করা হয়েছিল। পুরো হাসপাতালটিতে শুধু করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য এক হাজারের বেশি শয্যা রয়েছে। এই হাসপাতালে থাকবে: এছাড়াও হাসপাতালটিতে চিকিৎসার কাজ পরিচালনা করার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফসহ প্রায় দুই হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসার কাজ পরিচালনা করার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফসহ প্রায় দুই হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। গত বছর ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের জায়গা ও অবকাঠামো ব্যবহার করে একটি বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতাল তৈরি করেছিল সরকার। সেসময় ঐ হাসপাতালটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতাল বলে বলা হচ্ছিল। তবে দুই হাজার শয্যার ঐ হাসপাতালটি মূলত আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। সেখানে কোভিড চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপকরণ, আইসিইউ সুবিধা বা ভেন্টিলেটর থাকলেও কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় তা ব্যবহৃত হয়নি। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে কোভিড সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হওয়ায় এবং হাসপাতালে রোগী কমে যাওয়ায় ঐ হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণার নির্দেশনায় বসুন্ধরা গ্রুপকে হাসপাতালে ব্যবহৃত বেড এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। | বাংলাদেশে শুধুমাত্র করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষায়িত বৃহত্তম হাসপাতাল চালু হয়েছে রবিবার। ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত এই হাসপাতালকে বলা হচ্ছে 'ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল।' |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | অনন্ত জলিলের ভিডিও নিয়ে সমালোচনা ফেসবুকে অনেক তারকারাও অনন্ত জলিলের এই ভিডিও নিয়ে কথা বলেছেন। ভিডিওটির শুরুতে মি. জলিল ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কথা বলেছেন, তবে তার ভিডিওর পরবর্তী অংশে তার বেশ কিছু কথার মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদেরই দোষারোপ বা 'ভিকটিম ব্লেমিং' করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। শনিবার রাতে অনন্ত জলিলের ফেসবুক পাতায় ভিডিওটি আপলোড করা হয়। রোববার সারাদিনই এই ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে বেশ আলোচনা-সমালোচনা দেখা গেছে। বাংলাদেশের বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন তার ফেসবুকে লিখেছেন, "আমি মেহের আফরোজ শাওন, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র ও মিডিয়াকর্মী এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশের নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অসংলগ্ন বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও বার্তা দেয়ার জন্য জনাব অনন্ত জলিলকে বয়কট করলাম।" এর বাইরেও ফেসবুকে অনন্ত জলিলের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে অনেকেই নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। আরো পড়ুন: ধর্ষণ প্রতিরোধে 'ক্রসফায়ার' নিয়ে এত আলোচনা কেন? ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড, আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত ভারতে নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি ফেরাল হাথরাসের ধর্ষিতা তরুণী ভিডিওতে কী বলেছেন অনন্ত জলিল যদিও অনন্ত জলিলের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় ভিডিওটি একবার মুছে দেয়া হয়। এরপর বির্তকিত অংশের ভিডিও মুছে ফেলে আবার ছোট করে ভিডিও আপলোড দেয়া হয়। তবে প্রতিবেদনটি লেখার সময় তার স্ত্রী বর্ষার ফেসবুক পাতায় ছিল সম্পূর্ণ ভিডিওটি। "আমি আজ কিছু কঠিন কথা বলবো," এটা বলে তার এই ভিডিও শুরু করেন মিঃ অনন্ত জলিল। তিনি মূলত যারা ধর্ষণ করে তাদের বিরোধিতা করে ভিডিও বার্তাটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ভিডিওর এক পর্যায়ে তিনি বলেন, "আমাদের দেশে সমস্ত মেয়েদের উদ্দেশ্যে কিছু বলি। ভাই হিসেবে, সিনেমা, টেলিভিশন সোশাল মিডিয়াতে অন্য দেশের অশ্লীল ড্রেস আপ দেখে ফলো করার চেষ্টা করো। এবং ফলো করে সেইম ড্রেস আপ পরে ঘোরাঘুরি করো। এরপর তিনি বলেন, "এই চেহারার দিকে মানুষ না তাকিয়ে তোমাদের ফিগারের দিকে তাকায়" "ফিগারের দিকে তাকিয়ে বখাটে ছেলেরা বিভিন্নভাবে মন্তব্য করে এবং রেপ করার চিন্তা তাদের মাথায় আসে" "তোমরা কি নিজেদের মডার্ন মনে করো? এটা কি মডার্ন ড্রেস নাকি অশালীন ড্রেস।" তিনি মেয়েদের শালীন পোশাক পরার কথায় জোর দেন। তিনি বলেন, "নিজেকে একটা ভদ্র মেয়ের পাশে দাঁড় করিয়ে দেখো কত বাজে লাগে।" "ছেলেদের মতো একটা টি-শার্ট পরে রাস্তায় বের হয়ে যাও। খুব মডার্ন তুমি। নিজেকে অনেক মডার্ন মনে করো। তারপর ইজ্জত হারিয়ে বাসায় যাও। হয় আত্মহত্যা করো, নয়তো কাউকে আর মুখ দেখাতে পারো না।" "শালীন ড্রেস পরলে যারা বখাটে, যারা ধর্ষণের চিন্তা-ভাবনা করে তারাও তোমার দিকে তাকাবে না। সম্মান করবে। মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যাবে," বলেন তিনি। ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। এবিষয়ে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে টেলিফোনে মি. জলিলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। | বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অভিনেতা অনন্ত জলিলের ফেসবুক পাতায় আপলোড করা একটি ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন এক ইসরায়েলি-আরব নারী। এপর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে । এতে দেখা যায় মিস্টার নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থী জোট ৫৯টি আসন জেতার পথে আছে। তবে ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের দরকার আরও অন্তত দুটি আসন। এই নির্বাচনে ৫টি আসন জেতার পথে আছে একটি আরব দল, যা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলে ক্ষমতার ভারসাম্যে এই দলটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল কী দাঁড়ায়, তার ওপর নির্ভর করবে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতি। রাম নামের যে আরব দলটি ৫টি আসন জিতেছে তারা এখনো বলেনি মিস্টার নেতানিয়াহুর সঙ্গে তারা জোট বাঁধবে কিনা। যদি তারা নেতানিয়াহুর দলকে সমর্থন দেয়, সেটা হবে এক অস্বাভাবিক ঘটনা। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী নির্বাচনে নেতানিয়াহু বিরোধী জোট পেয়েছে ৫৬টি আসন। আরব দল রামের সমর্থনে তারাও ক্ষমতায় যেতে পারে। কিন্তু এই জোট অনেক বেশি বিভক্ত এবং তাদের পক্ষে একসঙ্গে কাজ করতে পারার সম্ভাবনা কম। আর যদি কোন পক্ষই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার মতো জোট গড়তে না পরে, তখন ইসরায়েলে গত দুই বছরের মধ্যে ৫ম দফা নির্বাচন করতে হবে। ইসরায়েলে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে। এর ফলে কোন একক দলের পক্ষেই আসলে পার্লামেন্টে একচেটিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সর্বশেষ ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা যায়, মিস্টার নেতানিয়াহু যদি ক্ষমতায় থাকতে চান তার একই সঙ্গে আরব দল রাম এবং একটি ছোট্ট কট্টর দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী দল ইয়ামিনার সমর্থন লাগবে। মিস্টার নেতানিয়াহুর জোট সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখনো পায়নি আরব দল রামের মতোই ইয়ামিনার নেতা নাটালি বেনেটও এখনো ঘোষণা করেননি তিনি সরকার গঠনের জন্য কোন জোটকে সমর্থন করবেন। "ইসরায়েলের জন্য যা কল্যাণকর, আমি সেটাই করবো, বলছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, মিস্টার নেতানিয়াহুকে তিনি জানিয়েছেন যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ইয়ামিনা তাদের সিদ্ধান্ত নেবে না। মঙ্গলবার এই টুইট বার্তায় মিস্টার নেতানিয়াহু তার সমর্থকদের বলেন, "আপনারা আমার নেতৃত্বে দক্ষিণপন্থী এবং লিকুড পার্টিকে বিরাট বিজয় এনে দিয়েছেন। লিকুড এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দল।" "এটা পরিষ্কার, বেশিরভাগ ইসরায়েলি হচ্ছে দক্ষিণপন্থী এবং তারা একটি শক্তিশালী এবং দক্ষিণপন্থী সরকার চায়।" এদিকে প্রধান বিরোধী নেতা ইয়েইর লাপিড, যার মধ্যপন্থী দল ইয়েশ আটিড ১৭টি আসন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে, তিনি বলেছেন, দলের 'বিরাট অর্জনে' তিনি খুশি। "আমি এরই মধ্যে আমাদের জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি এবং আরও কথা বলবো। আমরা ইসরায়েলে একটা বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন সরকার গঠনে যা যা করা দরকার তা করবো।" আরব রাজনৈতিক জোট রামের নেতা মানসুর আব্বাস। পাঁচটি আসনে অভাবিত জয়ের পর তিনিই কিংমেকার হয়ে উঠতে পারেন। এবারের নির্বাচনে ৬৭ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পড়ে। এই নির্বাচনকে মিস্টার নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের ব্যাপারে গণরায় হিসেবে দেখা হচ্ছিল। ২০০৯ সাল হতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটানা ক্ষমতায় আছেন। এর আগে ১৯৯০ এর দশকেও তিনি তিন বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আরও পড়ুন: ইসরায়েলের কাছে আরবরা কেন পরাজিত হয়েছিল? ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণার প্রতিক্রিয়া কী হবে? ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন নির্বাচনে তিনি মূলত কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচী বাস্তবায়নে সরকারের সাফল্য এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কূটনৈতিক সাফল্য তুলে ধরেন। তবে তার রাজনৈতিক বিরোধীরা বলছেন, যখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে, তখন তার ক্ষমতায় থাকা উচিৎ নয়। মিস্টার নেতানিয়াহু অবশ্য কোন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত তিনটি নির্বাচনের কোনটিতেই মিস্টার নেতানিয়াহু বা তার প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো কোন স্থিতিশীল সরকারী জোট গঠন করতে পারেনি। এখন যে জাতীয় ঐক্যের সরকার, যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টযের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির সমঝোতার ভিত্তিতে গঠিত হয়, তা মাত্র সাত মাসের মাথায় গত ডিসেম্বরে ভেঙে যায়। | ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্লামেন্টে যত আসন দরকার, মঙ্গলবারের নির্বাচনের আংশিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তার পক্ষে সেটি পাওয়া কষ্টকর হতে পারে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | ডিভোর্স হবার কারণে সহধর্মীর ৫৪টি ভায়োলিন ভেঙে ফেলেছেন এক নারী। সাবেক স্বামীর ভায়োলিন সংগ্রহ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানোর ৭০টি যন্ত্র পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছেন এক নারী, যেগুলোর মূল প্রায় এক মিলিয়ন ডলার। এই অপরাধে পুলিশ ওই নারীকে গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ বলছে, ৩৪ বছর বয়সী ওই নারী নাগোয়ায় তাদের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে বাদ্যযন্ত্রগুলো ভেঙে ফেলে। ২০১৪ সালে দুজনের ডিভোর্সের পরপর ঘটনাটি ঘটে কিন্তু এতদিন পর ওই নারীকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ওই নারীর সাবেক স্বামীর বয়স ৬২ বছর। তিনি ভায়োলিন তৈরি করেন এবং ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভায়োলিন সংগ্রহ করাটা তাঁর শখ। কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে, যে ৫৪টি ভায়োলিন ওই নারী ভেঙে ফেলেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামী ভায়োলিনটি ছিল ইতালিতে তৈরি। জাপানের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই নারী চীনের নাগরিক এবং মঙ্গলবার চীন থেকে টোকিওতে আসার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ‘নেহরু ছাড়া ভারতে অন্য কোনো চিন্তাবিদ নেই না কি?’ 'পানির নীচে রাস্তা ভালো', ট্রাফিকের সাইনবোর্ড স্বামীগৃহ হারাচ্ছেন মিয়ানমারের ধর্ষিতা রোহিঙ্গা নারীরা ভারতে এবার খোলা জায়গায় মলত্যাগ নিয়ে চলচ্চিত্র | ডিভোর্সের কারণে দুটো মানুষের হৃদয় ভাঙে এটা সবার জানা এবং ডিভোর্সের ঘটনাও সাধারণ বিষয়। কিন্তু জাপানে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বাংলাদেশে এখন অজস্র টেলিভিশন চ্যানেলের ছড়াছড়ি বিবিসির সাথে আলাপকালে সাংবাদিক এবং তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন বলেছেন, সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার চাপের পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ, ধর্ম নিয়ে কট্টরপন্থী এবং জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিসহ নানান পক্ষ থেকে বাধা আসছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশিপের প্রবণতাও বাড়ছে বলে তাঁরা মনে করেন। বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল,রেডিও,পত্রিকা বা অনলাইনের সংখ্যা বাড়ার বিষয়কে স্বাধীন সাংবাদিকতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে থাকে। তবে সাংবাদিকদের অনেকে মনে করেন, স্রোতের মতো সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানে অপসাংবাদিকতাকে সামনে এনে গণমাধ্যমকে দূষিত করার ভিন্ন কৌশল নেয়া হচ্ছে। কুষ্টিয়ার একজন সাংবাদিক মওদুদ রানা ৫৭ ধারায় মামলার কারণে এলাকা ছাড়া হয়ে এখন আরেক জেলা রাজশাহীতে বসবাস করছেন। রাজশাহী থেকেই তিনি সাংবাদিকতা করছেন। এই সাংবাদিক জানিয়েছেন, তিনি কুষ্টিয়ায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করার সময় স্থানীয় পুলিশ এবং প্রভাবশালী রাজনীতিকদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে তাদের আক্রোশে পড়েছিলেন। এর জের ধরে গত বছর ৫৭ ধারায় মামলা করা হলে তাঁকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। সাংবাদিক মওদুদ রানা ঢাকায় উচ্চ আদালত থেকে মামলায় জামিন পেলেও আর কুষ্টিয়ায় যেতেই পারেননি। তিনি যে বেসরকারি টেলিভিশনে কাজ করতেন, সেই টেলিভিশন তাঁকে স্টাফ রিপোর্টার করে রাজশাহীতে তাঁর বসবাস এবং সেখান থেকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন 'আর্টিক্যাল নাইনটিনে'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরের তুলনামূলক চিত্রে প্রতি বছর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 'আর্টিক্যাল নাইনটিন' বলছে গত বছর বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৭৬টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে আমাদের পেজে আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সামরিক বাজেট: ভারত ও মিয়ানমারের সাথে পার্থক্য কতটা? ভারতের গুরগাঁওতে নামাজ পড়ার সময় 'জয় শ্রীরাম' বলে হামলা স্বামীর পাসপোর্ট দিয়ে ম্যানচেস্টার থেকে দিল্লীতে এই সংগঠনের পরিচালক তাহমিনা রহমান জানিয়েছেন, গত বছরেই ৭৬টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলার সংখ্যাই বেশি। দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ৭০টিরও বেশি মামলা হয়েছিল মানহানির অভিযোগে এবং ৫৭ ধারায়। তাঁকে ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় গিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল। মি: আনাম বলছিলেন, একটা 'ভয়ের পরিবেশের কারণে' স্বাধীন সাংবাদিকতার অবনতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর কথায়, "সামগ্রিকভাবে অসহিষ্ণুতার একটা পরিবেশ। এটা সরকার থেকে অসহিষ্ণুতা, বিভিন্ন সংস্থা থেকে অসহিষ্ণুতা। ব্যক্তিগতভাবে ধরেন, বড় বড় এমপিরা কিছু হলেই মামলা করে দেবে। মানহানির মামলা নাহলে আইসিটি মামলা।" "এই সবকিছু মিলে একটা ইনটিমিডেশনের পরিবেশ হয়ে গেছে। ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতার অবনতি হয়েছে।" দেশে এখন ২৭টি টেলিভিশন চ্যানেল চালু আছে। আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় আছে। এত চ্যাণেলের ভিড় ... কিন্তু তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাভিশন নামের বেসরকারি টিভির বার্তা বিভাগের প্রধান মোস্তফা ফিরোজ বলছিলেন, নানামুখী চাপের কারণে তাদের মধ্যে সেলফ সেন্সরশিপের প্রবণতা বেড়েছে। "নানা ধরণের বাধা অক্টোপাসের মতো গণমাধ্যমকে চেপে ধরে আছে। একদিকে সরকারের একটা রোষানলে পড়ার বাধা, এছাড়া ক্ষমতাশালী যারা, সেটা বিরোধীপক্ষ, তারপরে ধর্মীয় পক্ষ, জঙ্গী পক্ষ, সাম্প্রদায়িক পক্ষ ... এসব নানান পক্ষের বাধার কারণেই বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়েছে।" মোস্তফা ফিরোজ আরও বলেছেন, "আপনি বলতে পারেন, বাংলাদেশে তো অনেক টেলিভিশন আছে, অনেক সংবাদপত্র আছে। কিন্তু সংখ্যা বাড়লেই যে তারা স্বাধীনভাবে সবকিছু চর্চা করতে পারে, তা কিন্তু না!" "এমন কী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে মুক্তভাবে লিখতে গিয়ে বিপদের মধ্যে পড়েছে। এসব ঘটনার কারণে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই একটা সেলফ সেন্সরশিপ তৈরি হয়ে যায়। অনেক হিসাব নিকাশ করে লিখতে বা বলতে হয়।" দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বেসরকারি টেলিভিশনের সংখ্যা যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনি নতুন নতুন পত্রিকাও বের হচ্ছে। আর অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে শত শত। এই সংখ্যাকেই সরকার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে। কিন্তু মাহফুজ আনাম মনে করেন, গণমাধ্যমের সংখ্যা বাড়ানোর সাথে স্বাধীন সাংবাদিকতার সম্পর্ক নেই। "এক সময় ছিল না, অপ্রেস দ্য প্রেস (গণমাধ্যমের উপর দমননীতি)। এখন আন্তর্জাতিকভাবে অপ্রেসিং দ্য প্রেস ইজ নট এ্যাকসেপটেবল। সো হোয়াট ডু ইউ ডু, পলিউটেড দ্য প্রেস!" "তো আপনি যাকে খুশি তাকেই লাইসেন্স দিচ্ছেন। তারা কেন খবরের কাগজ বের করছে? কেন টেলিভিশন বের করছে? আসলেই তাদের এখানে আন্তরিকতা আছে কিনা, এগুলো বিচার না করে আপনি এমন লোককে দিচ্ছেন, যাদের এই পেশায় কোনো আগ্রহ থাকার কথা না।" মি: আনাম আরও বলেছেন, "আপনি যখন স্রোতের মতো অনুমতি দেন, তখন নিশ্চয়ই সাংবাদিকতার মানের অবনতি হয়। তখন আপনি অপসাংবাদিকতাকে দৃষ্টান্ত ধরে আপনি বলতে পারেন, এই তো সাংবাদিকতা।" "এই দেখো না ঐ কাগজে কী লিখেছে, এই দেখো না, ঐ অনলাইনে কী লিখেছে, তো সাংবাদিকতাই খারাপ। এভাবে সাংবাদিকতা নিয়ে ঢালাওভাবে জনমনে সন্দেহ তৈরি করা হয়।" স্বাধীন সাংবাদিকতা বিষয়কে সরকার আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা, ফলে এটা নিয়ে সাংবাদিকদের অনেকের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। তবে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলছেন, "এ মুহূর্তে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ সরকার বা প্রশাসন নয় - বরং জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, মাফিয়া চক্র, কালোবাজারি চক্র এবং সাম্প্রদায়িক চক্র। কর্পোরেট মালিকপক্ষের চাপেও সাংবাদিকরা দুর্বল হয়ে আছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনে মামলার সংখ্যা বাড়ার পরিসংখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করে মন্ত্রী বলেন, এসব মামলা কি সাংবাদিকতার কারণে হয়েছে নাকি অন্য কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার জন্য হয়েছে? নানা পক্ষের চাপের মুখে সংবাদমাধ্যমে সেল্ফ-সেন্সরশিপ হচ্ছে, এ অভিযোগের জবাবে মি.ইনু বিভিন্ন অপরাধ, বা এমপি-মন্ত্রী-ব্যাংক খাতে দুর্নীতির ঘটনার রিপোর্টিংএর উদাহরণ দিয়ে বলেন, সংবাদমাধ্যমে এসব রিপোর্ট বের হবার ফলে সরকার উপকৃত হয়েছে। "এসব রিপোর্টের জন্য কোন সাংবাদিককে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় নি বা কোন পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল হয় নি" - বলেন তথ্যমন্ত্রী। | বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস যখন পালিত হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে সাংবাদিক মহল এবং তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের একটি বড় অংশ মনে করছে, দেশটিতে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে হুমকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া এখন অনেকটা সহজ হয়েছে বলা যায়। গ্রামের মানুষ যেন গ্রামে থেকেই শহরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারে সেজন্য চলছে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ ও সরকারের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশনের সহযোগিতায় শুরু হয় এই কার্যক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স বিভাগ ও বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের কিছু উদ্ভাবনের ফলে এই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়েছে- বিবিসি বাংলার কাছে আলাপকালে বলছিলেন অধ্যাপক ড: খন্দকার সিদ্দিক ই রাব্বানি। বিস্তারিত দেখুন বিবিসি ক্লিকের প্রতিবেদনে। [বিবিসি ক্লিকের পর্বগুলো দেখতে পারবেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে।] বিবিসি বাংলার আরো খবর: আইফোন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে নিয়ে নতুন সেট নতুন মাদক 'খাট': মানবদেহের জন্য কতোটা ভয়াবহ যে সেলফি অ্যাপ ফেসবুককে পেছনে ফেলে দিয়েছে | বেশ কয়েক বছর আগেও দেশের প্রত্যন্ত অনেক এলাকাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া ছিল চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবনে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হয়েছে অনেক নতুন ব্যবস্থা। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ঢাকায় কয়েকদিন ধরে ইসলামপন্থী দলগুলোর বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার স্পর্শকাতর বিষয়ে ফ্রান্সকে উস্কানিমূলক কিছু না করার পরামর্শ দিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে ইসলামপন্থী দলগুলোর নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে নিন্দা জানাবে, সেটা তারা চান। ইসলামপন্থী দলগুলো বাংলাদেশে ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে কয়েকদিন ধরে। তারা ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছে। তারা আরও দাবি করেছে, বাংলাদেশ সরকার যেনো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের ব্যাপারে নিন্দা জানায়। এমন প্রেক্ষাপটেই এখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। কী আছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠিতে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি চিঠিতে ফরাসী সরকারকে স্পর্শকাতর বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। "আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তবে কাউকে আঘাত করে নয়। ফ্রীডম অব এক্সপ্রেশনের একটা লিমিটেশন আছে। আর আমরা বলেছি যে, স্পর্শকাতর ব্যাপারে কেউ যেন উস্কানি না দেয়।আরেকটি কথা আমরা বলেছি যে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। সেটা যে কোন ধর্ম বর্ণ বা গোষ্ঠীই হোক না কেন-তার উর্ধ্বে থেকে একে অপরকে শ্রদ্ধা করা উচিত। এ ব্যাপারে আগামীতে আরও সতর্ক হলে ভাল।" একইসাথে তিনি ফ্রান্সে একজন শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা এবং পরে হামলায় কয়েকজনের নিহত হওয়ার ঘটনার ব্যাপারে দু:খ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, মত প্রকাশ করা বা কোন কারণে কাউকে হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি: মোমেন চিঠিতে ধর্ম বা স্পর্শকাতর বিষয়ে ফ্রান্সকে উস্কানিমূলক কিছু না করার পরামর্শ দিলেও ফরাসী প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের ব্যাপারে নিন্দা জানাননি। আরও পড়ুন: বয়কট ফ্রান্স: ঢাকায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর মিছিল ফ্রান্সে নবীর কার্টুন ও 'অবমাননা': ঢাকায় ইসলামপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি ঢাকার এক বিক্ষোভে ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভকারি অন্যতম দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ফ্রান্সকে সতর্ক করে চিঠি দেয়ার বিষয়কে তারা ইতিবাচক হিসাবে দেখেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে নিন্দা জানাবে- সেটা তারা চাইছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। "এটা আমরাও বলছি, উস্কানিমূলক এবং কোন অঘটন বা পরিবেশ নষ্ট করে এ ধরনের কোন আচরণ কারও থেকেই না হোক। এটা আমরাও চাই। সরকার এটা বলেছে, এটা ভাল দিক। এটা আমরা সমর্থন করি।" তিনি আরও বলেছেন, "ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে তামাম দুনিয়ায় অশান্তি তৈরি হয়েছে, ফলে তার নিজেরই এখনই একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত। সে দায়িত্ব প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রর নিজের। এটা আমরা বলছি। একইসাথে আমরা চাই, বাংলাদেশ সরকার যেন স্পষ্টভাবে নিন্দা এবং উদ্বেগ জানায়।" সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্রান্স ইস্যুতে বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ইসলামপন্থী দলগুলোর বিক্ষোভের খবর পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছে। ফ্রান্সের রাজনীতিতেও বাংলাদেশ আলোচনায় এসেছে। ফ্রান্সের বিরোধী নেত্রী মারি লো পেন বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন। অন্যদিকে দেশে ইসলামপন্থী দলগুলো ফ্রান্স বিরোধী শক্ত অবস্থানেই রয়েছে। ফলে দু'দিক থেকেই বাংলাদেশ সরকার চাপে পড়েছে কিনা- এই প্রশ্ন মানতে রাজি নন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি: মোমেন। তিনি বলেছেন, ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ কোন বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয়। "এটা আমাদের কনসার্ন না। আমরা ফ্রিডমে বিশ্বাস করি। বহুলোক বহুকিছু দাবি করতে পারে। এটা আমাদের জন্য বড় কোন ইস্যু নয়।" কিন্তু পরিস্থিতি ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোন প্রভাব পড়বে কিনা- এই প্রশ্নও মানতে রাজি নন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। "কোন প্রভাব পড়বে না। তারা খুব ভাল বন্ধু। আমাদের সাথে ফ্রান্সের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ট।" মি: মোমেন আরও বলেছেন, বাংলাদেশে যেসব প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে, সেগুলো থেকে কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে-সেটা সরকার আশা করে। | ফ্রান্সে ইসলাম এবং নবীর কার্টুন নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলো যে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে, সেই প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ সরকার স্পর্শকাতর বিষয়ে উস্কানি না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে ফরাসী সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে হাই পারফরম্যান্স দল ক্রিকেট বোর্ড এই ক্রিকেটারদের আলাদাভাবে কোনো প্রশিক্ষণ দিয়ে দল বানাচ্ছে না বলেই মনে করেন পারভিন। "আমরা প্রত্যেকটা জেলার কোচদের সাথে বসতাম, আমরা ছেলে-মেয়েদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে আলাপ করতাম। এখন তো সেটা করার প্রয়োজন হয়না। অনেক বাবা-মা নিজেরাই ছেলে-মেয়েদের ক্রিকেট খেলা শেখান।" ক্রিকেটাররা উপজেলা-জেলা হয়ে, স্থানীয় কোচদের সাথে কোচিং করে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগে খেলার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানিয়েছেন মিস পুতুল। পুতুলের ভাষ্যমতে, একাডেমি, বোর্ড বা কোনো প্রতিষ্ঠান না। স্থানীয় পর্যায়ের ক্রিকেটাররা নিজ আগ্রহে স্থানীয় কোচদের কাছেই ক্রিকেট শেখে। মাঠের গল্প বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট স্কোয়াডে আনকোরা নতুন একজন ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন, তার নাম সাইফ হাসান। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের অন্যতম সাফল্য মেহেদি হাসান মিরাজ ক্রিকেট সম্পর্কে আরও কিছু খবর: তিনি এই টেস্ট সিরিজে সুযোগ পাওয়ার পরপরই আবাহনী ক্রিকেট ক্লাবের একাডেমিতে গিয়ে সতীর্থদের সাথে সেলিব্রেট করেন। এছাড়া সাদমান ইসলাম অনিক, নাজমুল হোসেন শান্তও বাংলাদেশের ক্রিকেট একাডেমির ছাত্র। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার সংস্কৃতি খুব বেশি সমৃদ্ধ বা পুরোনোও নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ওয়ানডে বা টেস্টে একটা ম্যাচ জয়ের জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করেছে। এরপর বাংলাদেশের নির্বাচকরা তুলনামূলক দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। সেটা হলো তুলনামূলক তরুণ ক্রিকেটারদের তৈরি করা। আরিফুল ইসলাম রনি, একজন ক্রীড়া সাংবাদিক যিনি বিগত দশকে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলছেন, "টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরপর ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা ছিল খুব খারাপ, তখন নির্বাচকরা দুই ধাপে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার তৈরির কাজ করছিলেন। এক ধাপে এসেছিলেন আশরাফুল, নাফীস ইকবালরা। পরের ধাপে ছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা।" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত স্কুল ক্রিকেটের একটি দৃশ্য সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। তবে শুধু তরুণদের ওপর বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড খুব একটা সুফল পায়নি। আরিফুল ইসলাম রনি মনে করছেন, এই ব্যর্থতার পেছনে একটা বড় কারণ মানসিক বাধা। "ভালো প্রতিভাবান ক্রিকেটার পাওয়া কঠিন ছিল, স্কিলের সমস্যাও ছিল।" এক্ষেত্রে চোখে পড়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যবধান অনেক বেশি। দল নির্বাচনে তার প্রতিফলন পড়ে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেলিটন দাসের ক্যারিয়ার:ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে লিটন দাসের তারতম্য কতটা? লিটন দাস কিছুদিন আগেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই শত রানের একটি ইনিংস খেলেন, কিন্তু জাতীয় দলে ঢোকার পরে তার ব্যাটে রান নেই। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে লিটন দাস রান করেছেন ৪৫। আরিফুল ইসলাম রনির মতে, "ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও অনেকেই সুযোগ পান না এই কারণে। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে আসা হয়। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে খাপ খাওয়াতে অনেক সময় নিয়ে নেন।" ঠিক এই সময়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়ে কাজ করা বাড়িয়ে দেয়। অনুর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯ - তিনটি জাতীয় দল গঠন করে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড। এক্ষেত্রে অবশ্য আইসিসির নীতিমালা ও বাধ্যবাধকতাও ছিল। অনুর্ধ্ব-১৯ দল থেকে নিয়মিত ক্রিকেটার উঠে আসা শুরু করে ঠিক এই সময়টাতেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত স্কুল ক্রিকেটের একটি দৃশ্য বাংলাদেশের বয়স-ভিত্তিক দলগুলো থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার দায়িত্ব ছিল নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাঁধে। যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেমস ডেভেলপমেন্টের ন্যাশনাল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তামিম ইকবাল তারই অধীনে অনুর্ধ্ব-১৫ দলে খেলেছেন। কিন্তু তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান কিংবা মুশফিকুর রহিম যেভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে মানিয়ে নিয়েছেন বা নিজেদের আরো এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সেক্ষেত্রে বাকিরা অধিকাংশই ব্যর্থ হয়েছেন। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয় এর বড় উদাহরণ। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলেও ঠিক প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। আরিফুল ইসলাম রনির মতে, "বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও জানে যে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট মানসম্মত নয়, এজন্যই তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেললেও সরাসরি তাকে দলে নেয়ার ক্ষেত্রে ভাবে। এইখানে তারা বয়সভিত্তিক দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল যেহেতু তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রাখে।" পরবর্তীতে ঘরোয়া ক্রিকেটের ওপর জোর আরো বাড়ানো হয় ২০১৬-১৭ সেশনে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের ক্রিকেটের তিনটি স্তর ১৫, ১৭ ও ১৯ এর জন্য পরীক্ষা নেয়া হয়। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩০,০০০ ক্রিকেটার। ঢাকার একাডেমিতে খেলা বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই তরুণ ক্রিকেটার সেখান থেকে ৮২ জন ক্রিকেটারকে নির্বাচন করে বয়স অনুযায়ী ভাগ করে দেয়া হয়। নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, এই ৩০ হাজার একটা সংখ্যা মাত্র, এদের মধ্যে ১০ শতাংশও যদি সিস্টেমে ঢুকে যায় সেটাও অনেক বড় ব্যাপার হবে বাংলাদেশের মতো দেশে। সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রনি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বদলে যাওয়ার ব্যাপারটার দিকেও চোখ বুলিয়েছেন। তিনি বলেন, "ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো করছে তারা 'এ'-দলে খেলছে। হাই পারফরম্যান্স টিম তৈরি হচ্ছে।" বিগত তিন চার বছর ধরে 'এ'-দল ও এইচপি দল নিয়মিত মাঠে নামছে। যেখানে ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদের মতো ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। মি: রনি বলেন, "উপমহাদেশের এই সংস্কৃতি আছে যে কেউ বয়স-ভিত্তিক ক্রিকেটে ভালো করলে সেখান থেকে সরাসরি জাতীয় দলে নিয়ে আসা হয়। খুব অসাধারণ কিছু না করলে ভারত, শ্রীলঙ্কায় তেমন নেয়া হয় না। বাংলাদেশে এই পরিবর্তনটা একটু ধীরে হচ্ছে, কিন্তু একটু একটু করে হলেও হচ্ছে এটা।" বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের একজন কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম। এ দল ও এইচপি দলের জন্য বিদেশি কোচও নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আমি তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ঠিক কী উপায়ে ক্রিকেটারদের তুলে এনে জাতীয় দলে খেলায়? তিনি প্রথমেই একাডেমি দলগুলোর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ঢাকায় একটি টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে যার নাম একাডেমি কাপ। এই টুর্নামেন্ট থেকে সেরা ক্রিকেটারদের বাছাই করা হয়। ঢাকায় বর্তমানে ৮৯টি ক্রিকেট একাডেমি রয়েছে। "যত একাডেমি থাকবে আমাদের জন্য সেটা তত ভালো। আমরা সেখান থেকে (খেলোয়াড়) তুলে আনি। অনুর্ধ্ব-১৪ বলেন অনুর্ধ্ব-১৮ হোক একাডেমি থেকেই তারা এই পর্যায়ে আসেন।" তবে তিনি দাবি করেন, ঢাকার চেয়ে রাজশাহীর একাডেমি থেকেই বেশি ক্রিকেটার আসেন। প্রক্রিয়ার কথাও বলেন তিনি, "আমরা স্কুল ক্রিকেট ও বয়স-ভিত্তিক দুটো গ্রুপ করি। সেখানে জেলা পর্যায়ে আমাদের ৬৪জন কোচ আছেন। তারা জেলা থেকে বিভাগ, বিভাগ থেকে কেন্দ্রে আসে। এরপর আমরা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের পথে এগোই।" এই ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ জন ক্রিকেটার বাছাই করা হয়। সম্প্রতি অনুর্ধ্ব-১৬ দল পাকিস্তানে সফরে গিয়েছে, এরপর অনুর্ধ্ব-১৫ দল ভারত সফরে যাবে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবদান কতটা, এমন প্রশ্নে মি: শহীদুল ইসলাম বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বন্ধু সংগঠন হিসেবে কাজ করে বিকেএসপি। তিনি বলেন, "বিকেএসপি থেকেই আমরা ক্রিকেটার পাই, আবার আমরা যে হান্টিং করি তারাই তো বিকেএসপিতে ভর্তি হয়, এটা আমাদের জন্যই ভালো হয়।" বিকেএসপি থেকে আসা সেরা ক্রিকেটার: বিবিসিতে অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে দুদিন না যেতেই ফের ট্রেন দুর্ঘটনা আবরার হত্যার বিচার হবে দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে ঢিলেঢালা কাপড়ের ফ্যাশন আবার আসছে? | ক্রিকেটার তুলে আনার ক্ষেত্রে ক্রিকেট বোর্ডের অবদান নেই, যা করছে জেলা পর্যায়ের কোচরা করছেন, বিবিসি বাংলাকে এ কথাই বললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক কোচ পারভিন নাসিমা নাহার পুতুল। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। রোববার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে বিএনপিরই সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে দলের নেত্রী খালেদা জিয়াও রয়েছেন। দুর্নীতির মামলায় সাজা হবার ফলে বিএনপির শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়া যেহেতু জেলে - তাই দলটির মহাসচিবের স্বাক্ষরে তাদের দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়। 'মনোনয়নপত্রে সেই স্বাক্ষর মিলছে না', এই অভিযোগে ঢাকা-১ আসনে দোহার এলাকার বিএনপির প্রার্থী ফাহিমা আকতারের মনোনয়নপ্রত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন,একটা ইস্যু তুলে একতরফাভাবে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মনোনয়নপত্র বাতিল প্রার্থীদের নিয়ে কী করবে বিএনপি হলফনামার সম্পদের বিবরণী কী কাজে লাগে? ভোটের মাঠে খালেদা জিয়ার না থাকা কী প্রভাব ফেলবে? নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে "আমাকে বিএনপি মহাসচিব দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তার স্বাক্ষর আছে। আমাকে বলা হয়, এই স্বাক্ষর মিলছে না। আমি বললাম, আপনি মহাসচিবের সাথে কথা বলেন টেলিফোনে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন, তিনি কথা বলবেন না। তিনি আমাকে আপিল করতে বললেন। আসলে উনারা কোন কথাই শুনলেন না" - বলেন ফাহিমা আকতার। তবে সোমবার বিএনপির আরও কয়েকজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় দলীয় মহাসচিবের স্বাক্ষর না মেলার অভিযোগে। দলটির নেতারা অভিযোগ করছেন - সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খান, মীর নাসিরের মতো তাদের 'হেভিওয়েট প্রার্থীদের' একটা বড় অংশকে 'টার্গেট করে' মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সাজা থাকার বিষয় ছাড়াও ছোটখাটো বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের অনেক নেতা কর্মীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আরও বাড়ছে।" নির্বাচন কমিশন বিএনপির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, মনোনয়নপত্র বাতিলের ক্ষেত্রে আইন মেনেই তারা কাজ করেছে, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রশ্নই ওঠে না। মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণে কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় এখন বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। দুনীতির মামলায় সাজা থাকার কারণে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির বেশ কয়েকজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। খালেদা জিয়ার একটি আসন বগুড়া-৭ সহ ছয়টি আসনে দলটির মূল প্রার্থী এবং বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এখন বিএনপির কোন প্রার্থীই নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে পরিচিত কারও মনোনয়ন পত্র বাতিলের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দলটির সূত্রে জানা গেছে, তাদের ৭০ জনের বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন ৪০টি আসন থেকে। এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ৩৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমনই একজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও হবিগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হন কেয়া চৌধুরী। তিনি বলছিলেন, তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না। "আমার সাজা নেই। আমি ঋণ বা বিল খেলাপী নই। আমার মনোনয়ন বাতিল হবে কেন? তারা বলেছে, মনোনয়নপত্রে বেশ কয়েকটি স্বাক্ষরের জায়গায় আমার একটি স্বাক্ষর কম আছে।" তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, মনোনয়নপত্র বাতিল করার ক্ষেত্রে আইনের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলছিলেন, বিষয়গুলো আপিলে এলে সব অভিযোগ বা প্রশ্নের জবাব মিলবে। "যদি আমাদের কাছে আপিল করে, তখন আমরা বুঝতে পারব যে, কোন রিটার্নিং অফিসার কি কারণে কার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন।" "নির্বাচন কমিশন আইনগত ভিত্তির ওপর চলে। এখানে আবেগ বা রাজনৈতিক বিবেচনার কোন অবকাশই নেই।" বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাদের মধ্যে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। সেটি একটি প্যাটার্ন হিসেবে চোখে পড়ছে এবং সেকারণে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে। ঢাকায় বিএনপির অফিসের সামনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভিড় সাবেক একজন নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলছিলেন, বাদ পড়া প্রার্থীদের আপিলের আবেদনের শুনানিতে বিষয়গুলো পরিস্কার হবে বলে তিনি মনে করেন। "এটা একটা প্যাটার্নের কারণে বিরোধীদল থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আপিলে বোঝা যাবে, এই প্যাটার্নটা কেন ঘটলো? কিন্তু বাতিল হওয়াটা সারপ্রাইজ বা অস্বাভাবিক কিছু না। কারণ ২০০৮ সালেও মোট যতো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল, তার মধ্যে ২২.৪৬% বাদ পড়েছিল। আর এখন তিন হাজারের বেশি প্রার্থীর মধ্যে ২৫.৪০% এর মতো বাদ পড়েছে।" বিএনপিসহ সব দলের বাদ পড়া প্রার্থীরাই নির্বাচন কমিশনে আপিল করছেন। ৩রা ডিসেম্বর সোমবার থেকে ৫ই ডিসেম্বর বুধবার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যাবে। এরপর কমিশন ৬ই ডিসেম্বর থেকে তিনদিন শুনানি করে আপিলগুলো নিস্পত্তি করবে। আরো পড়ুন: প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করা হয় যেভাবে রাঙ্গা জাপা মহাসচিব: কেন সরানো হলো হাওলাদারকে? জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? 'উরু-দেখানো ছবি': মন্দিরে ঢুকতে চাওয়া নারী আটক | বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বলেছেন, তাদের ভাষায় 'সরকারের ইচ্ছে অনুসারেই' কমিশন তাদের দলের ৮০ জনের মতো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | মি. ইসলামকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সংবাদকর্মীসহ অনেকেই এই ঘটনার সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের অনেক ব্যবহারকারী ওই ছবিটিকে নিজেদের প্রোফাইল পিকচার হিসেবেও ব্যবহার করেন। অনেক ব্যবহারকারী আবার মি. ইসলামকে হাতকড়া পড়ানোর বিষয়টির আইনগত ভিত্তি কতটা রয়েছে এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, যারা তাকে হাতকড়া পরিয়েছে তারা অবশ্যই জানতেন যে তিনি সংবাদকর্মী। কোন দাগী আসামী নন। ''এভাবে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়াটা আসলে হয়রানি করা, হেনস্তা করা,'' তিনি বলেন। "একজন সাংবাদিককে পিছমোড়া করে বেধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটার অনেক ব্যাখ্যা হতে পারে। তবে আমরা চাই না যে কোন দিনই কোন সংবাদকর্মীকে এভাবে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক,'' ফরিদা ইয়াসমিন বলেন। নিখোঁজ হওয়ার ৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর ৩রা মে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের খোঁজ মেলে। পুলিশ কী বলছে? গত শনিবার গভীর রাতে বেনাপোল-রঘুনাথপুর সীমান্ত থেকে আটক করে টহলরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সদস্যরা। পরের দিন তাকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। মি. ইসলামকে আদালতে হাজির করেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হাতকড়া সবাইকে পড়ানো হয়। অন্য আসামীদের যেভাবে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকেও সেভাবেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। "আসামীকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে হলে তাকে অবশ্যই হাতকড়া পড়াতে হবে, এটা নিয়ম। আমরা সেই নিয়মটাই পালন করেছি," তিনি বলেন। তবে তাকে যে ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সে ধারা অনুযায়ী হাতকড়া পরানোটা জরুরী কিনা এমন প্রশ্নে মি. খান বলেন, তার বিরুদ্ধে আরো তিনটি মামলা রয়েছে। ''চারটা মামলার আসামী হিসেবে তাকে হাতকড়া পরিয়ে আদালত পাঠানো হয়েছে।" ফেসবুক পোস্টের পর মামলা পক্ষকাল নামে একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল একই সাথে দৈনিক খবরের কাগজ বনিক বার্তার আলোকচিত্রি। মার্চ মাসের ১০ দশ তারিখ রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় সন্ধের দিকে পক্ষকালের কার্যালয় থেকে বের হন। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর আগে মি. ইসলামের ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতায় একটি খবর প্রকাশের জের ধরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য। এই মামলার একদিন পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শফিকুল ইসলাম। নিখোঁজ হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে একই আইনে আর একটি মামলা করেন আওয়ামী লীগের আর এক নেতা। তখনও সামাজিক নেটওয়ার্কে তার নিখোঁজ হওয়া এবং এসব মামলাকে ঘিরে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছিল। বিজিবি মি. ইসলামকে আটকের পর বেনাপোল পোর্ট থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আইন কী বলছে? মি. ইসলামকে হাতকড়া পড়ানোর বিষয়টি আইনগতভাবে কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটির বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, হাতকড়া পড়ানোর বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়। এ বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাতকড়া পরানোর বিষয়টি রয়েছে পুলিশ রেগ্যুলেশন অব বেঙ্গল ১৯৪৩-তে। এই আইনে পুলিশ আসামীকে দরি বেধে নিয়ে যাবে নাকি হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। ''এই আইনে বলা আছে যে, যদি পুলিশ মনে করে যে আসামী পালিয়ে যেতে পারে তাহলে তার পালানো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে,'' মি. বড়ুয়া জানান। নারীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে তাদের ক্ষেত্রে হাতকড়া পড়ানোর দরকার নাই। সাংবাদিক মি. ইসলামের বিষয়টি উল্লেখ করে মি. বড়ুয়া বলেন, সব বিষয় বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, তাকে আসলে হাতকড়া পড়ানোটা অপ্রয়োজনীয়। "সাংবাদিক কাজলের বিষয়টা একটু অড," তিনি বলেন। তিনি বলেন, মি. ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে চকবাজার থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে যে ১০ই মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ। সেই মামলায় কোন অগ্রগতি নেই। সেই মামলাটি চলমান ছিল। তার মানে সে কারো না কারো কাস্টডিতে ছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদও প্রকাশ করা হয়। আর তাই তাকে পাওয়া যাওয়ার পর তার বিষয়ে খোঁজ-খবর করাটা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। মি. বড়ুয়া বলেন, "পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩ এর ১১ এর ৩ ধারায় গ্রেফতার করা হলো। আর গ্রেফতারের পর তাকে যেভাবে নিয়ে যাওয়া হলো সেটা অপ্রয়োজনীয় ছিল।" তার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি হলে তিন মাসের কারাদণ্ড হতে পারে বলেও জানান তিনি। 'প্রতীকী হাতকড়া' এদিকে একজন সাংবাদিককে এভাবে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজিরের বিষটিকে লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। তিনি বলেন, হাত কড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবিটি খুবই প্রতীকী। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা নেই এবং স্বাধীন সাংবাদিকতাও যে নেই এই ছবি সেটারই প্রতীক বলে মনে করেন তিনি। "তাকে যে হাতকড়া পড়ানো হয়েছে সেটি হচ্ছে আজকের দিনের সাংবাদিকতার চেহারা। এটা খুব পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।" বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের এবং অবদমিত করবার যে প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলছিল তারই একটা প্রতীক হিসেবে ফুটে উঠেছে। এটা সাংবাদিক সমাজের জন্য বড় বার্তা এবং বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য ভীত হওয়ার কারণ আছে বলেও মনে করেন তিনি। | বাংলাদেশে প্রায় দু'মাস ঘরে নিখোঁজ ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ হবার পর বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | বিধিনিষেধ চলাকালে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৫শে এপ্রিল রবিবার থেকে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বাজার বা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে 'ব্যাপক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করে' নতুন এ নির্দেশনা জারি করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ই এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচলে নানা বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ আর বেড়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত গত ১৪ই এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে সাতদিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এ লকডাউনে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে শিল্প-কারখানা ও ব্যাংক খোলা রাখা হয়। এরপর করোনা সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, সরকার লকডাউনের সময় আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবি আসে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দোকানপাট ও শপিংমল খোলার প্রজ্ঞাপন জারি করা হল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: দোকানপাট খোলার প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে এখনো প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৯৮ জন মারা গেছেন। আর এই সময়ে নতুন করে ৪,০১৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৭ হাজার ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আক্রান্তদের তথ্য পাওয়া গেছে। সেই হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪.৬৩ শতাংশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ১০,৭৮১ জন। আর এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৭৭ হাজার ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। | বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান লকডাউনের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। |
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন। | ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ফেরিঘাটে ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনা ভিআইপি হিসেবে তাদের বিশেষ সুবিধা অর্জনের নামে অসাংবিধানিক, সম্পূর্ণভাবে অবৈধ, বৈষম্যমূলক এবং একই সাথে অনৈতিক ও অমানবিক দৃষ্টান্ত। আমাদের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে।" এ ধরণের চর্চাকে সুস্পষ্টভাবে 'ক্ষমতার অপব্যবহার' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার জন্য একটি ফেরি ছাড়তে তিন ঘণ্টা দেরি করায় সংকটাপন্ন এক রোগী অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুল ছাত্র তিতাস ঘোষকে যখন ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল তখন মাদারীপুরের একটি ফেরিঘাটে দীর্ঘসময় আটকে ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। এ ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার পর সরকার এ ঘটনার ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আরো পড়তে পারেন: ভিআইপি'র জন্য ফেরি আটকা, ছাত্রের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ 'ঢাকায় ভিআইপি লেন তৈরির মানসিকতাই অগ্রহণযোগ্য' ভিআইপি সংস্কৃতিতে নিয়ন্ত্রণ ভারতে, বাংলাদেশে হবে? বাংলাদেশে ভিআইপি যাতয়াতের জন্য গণপরিবহণে সাধারণ মানুষের হয়রানির ঘটনা নতুন নয়। মিস্টার ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তথাকথিত ভিআইপি সুবিধা রয়েছে। তবে সেই সুবিধার 'একটা সীমারেখা' থাকতে হবে। তিনি বলেন, " বাংলাদেশে যে ভিআইপি তার জন্য সুবিধার সীমারেখা রয়েছে। যারা ভিআইপি তাদের কার্যালয় নির্ধারিত, তাদের চেয়ারটা নির্ধারিত, তাদের গাড়িটা নির্ধারিত, তাদের বাড়িটা নির্ধারিত। এই ধরণের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।" তবে জনগণের ব্যবহারযোগ্য যে সুযোগ-সুবিধা যেমন রাস্তাঘাট, তা তারা [ভিআইপি ব্যক্তিরা] দখল করে নিবেন বা বন্ধ করে দেবেন - তা কোন ভিআইপি আচরণ হতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, "ভিআইপি হতে গেলে ভিআইপির সত্ত্বাটা তা অর্জন করতে হয়। সেটা জোর করে আদায় করা যায় না। মানুষকে বিপদে ফেলে জিম্মি করে ভিআইপি সুবিধা ভোগ করা কোন অবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।" তিনি বলেন, ভিআইপি সংস্কৃতির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে চলে গেছে। কিছুদিন আগে, ভিআইপিরা দাবি তোলেন যে রাস্তার একটা নির্ধারিত অংশ তাদের জন্য রাখতে হবে এবং বিমানবন্দরে তাদেরকে নিরাপত্তা তল্লাশি করা যাবে না। মিস্টার ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "ক্ষমতার এধরণের সীমাহীন অপব্যবহার কোনভাবেই একটা গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। ভিআইপিদের সুনির্দিষ্টভাবে সীমারেখা চিহ্নিত থাকতে হবে যে কোন কোন সুযোগ-সুবিধা তারা পাবেন আর কোন কোনটা পাবেন না।" "ভিআইপিদের বিশেষ সুবিধার বোঝাটা যেহেতু জনগণকেই শেষমেশ নিতে হয় - সেটা অর্থমূল্যে হোক কিংবা মানসিক জীবনের মূল্যে হোক, তাই তাদের মতামত নিতে হবে যে তারা এই বোঝাটা নিতে চায় কিনা," তিনি বলেন। | বাংলাদেশে ভিআইপিদের বিশেষ সুবিধা অর্জনের বিষটি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | তুর্কী টিভি সিরিয়াল 'সুলতান সুলেমান' বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক দর্শকই বলছেন, অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন প্রচারে বিরক্ত হয়ে তারা বিদেশী চ্যানেলের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। টেলিভিশন এবং বিজ্ঞাপন শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন এই অভিযোগ নিয়ে কি বলেন? তিন প্রজন্মের টেলিভিশন দর্শক; মা, মেয়ে, এবং নাতনীর সাথে কথা হচ্ছিল। বয়স আর রুচির ক্ষেত্রে তাদের অনেক ভিন্নতা থাকলেও, একটি বিষয়ে তাদের মতামত খুব একটা আলাদা নয়। আর তা হলো বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে অনুষ্ঠানের মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতির পরিমাণ বিরক্তিকর মাত্রায় বেশি। বিজ্ঞাপন বিরতির বর্তমান অসহনীয় অবস্থা নিয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে অ্যাডভারটাইজিং এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সালাহউদ্দিন শাহেদের সাথে কথা বলে জানা গেল, বাংলাদেশের দর্শক একটা বিদেশি চ্যানেল দেখার জন্য যে পরিমাণ অর্থ ক্যাবেল অপারেটর কে দেয় তা সেই চ্যানেল পর্যন্ত ঠিকই পৌঁছায় কিন্তু দেশি চ্যানেল গুলির ক্ষেত্রে সেটি ঘটছে না। ভারতের একটি জনপ্রিয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন এর মাত্রা নিয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের ভাবনা জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি চ্যানেল 'চ্যানেল আই'কে। চ্যানেল আই এর মহাপরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর মনে করছেন যে, বাংলাদেশে এখনও যেহেতু কোন পে-চ্যানেল নেই এটা বিজ্ঞাপন নির্ভরশীলতার একটা অনেক বড় কারণ। এদিকে বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা মনে করছেন চ্যানেলগুলো মূলত কাজ করছে অর্থ উপার্জনের জন্য, সেখানে টেলিভিশনের শৈল্পিক বিষয়গুলি গুরুত্ব পাচ্ছে না আর দর্শক এ কারণেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের টেলিভিশন শিল্পের পরিসর গত কয়েক বছরে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় চ্যানেলগুলোর বিতরণ ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য গুণগত উন্নয়ন হয়নি । এছাড়া অনুষ্ঠানের মান নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ । তবে বাংলা ভিশনের অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান শামিম শাহেদ মনে করছেন ভাল অনুষ্ঠান হচ্ছে । সাধারণ দর্শকরা মনে করছেন যদি বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল গুলোর বিজ্ঞাপন বিরতি একটু সহনীয় মাত্রায় হত তো বিদেশী চ্যানেল দেখার প্রবণতা অনেকটাই কমে যেত । বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই টেলিভিশনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে । ভারতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট সম্প্রচার আইন। বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় একটি সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। কিন্তু সেখানে বিজ্ঞাপন বিরতির বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে তেমন কিছু বলা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন এবং ফিল্ম স্টাডিস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শফিউল আলম ভুঁইয়া মনে করেন যে, বিজ্ঞাপন বিরতি কতটুকু থাকা উচিত সেটি সুনির্দিষ্টভাবে সম্প্রচার নীতিমালা বা আইনে থাকা প্রয়োজন। আর বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গুলো তা মেনে চলছে কিনা সেটা নজরদারীর জন্য প্রয়োজন একটি যথাযথ কতৃপক্ষের সক্রিয় উপস্থিতি । তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশে শীঘ্রই একটি সম্প্রচার আইন পাশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন বিরতির বিষয়ে সেখানে কি ধরনের দিক নির্দেশনা আছে তা জানতে হাজির হয়েছিলাম তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে । বৈচিত্র্যপূর্ণ ও মানসম্মত অনুষ্ঠানের দর্শক সবসময়ই ছিল,আছে ও থাকবে । যেমন- এ সময়ে আলোচিত ,দীপ্ত টেলিভিশন এর বাংলায় ডাবিং করা সিরিয়াল 'সুলতান সুলেমান' তার বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনার গুণে ব্যাপক দর্শক প্রিয়তা পেয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে পরিমিত বিজ্ঞাপন বিরতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। টিভিতে বিজ্ঞাপন প্রচারের একটি অংশ | অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞাপন নাকি বিজ্ঞাপনের ফাঁকে একটু অনুষ্ঠান? বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলির লাগামহীন বিজ্ঞাপন বিরতির কারণে দর্শকদের মাথায় এখন এমন প্রশ্ন আসাটা হয়তো স্বাভাবিক। |
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। | অনেকে আশংকা করছেন, আগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মতো এই আইনেরও অপব্যবহার হতে পারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে পাস হয়। আইনটি প্রস্তাবের পর থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের কর্মীরা। তাদের আশঙ্কা, আইনটির অনেক ধারায় হয়রানি ও অপব্যবহার হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আইসিটি অ্যাক্ট থেকে ভিন্ন? বিতর্কিত ‘৫৭ ধারা’ নতুন আইনে কীভাবে আসছে? তবে মি. জব্বার সংসদে দাবী করেছেন, সংবাদকর্মীরা যেসব বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা সংশোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কি রয়েছে? • ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জন শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করলে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে পুলিশ পরোয়ানা বা অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি, জব্দ এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে। আইনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করবে বলে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে সম্পাদকদের পরিষদ • আইনে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করা হয়, বা প্রকাশ করে বা কাউকে করতে সহায়তা করে ওই আইন ভঙ্গ করলে এই আইনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা হতে পারে, ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিদেশে বসে 'মনগড়া বই' লিখেছেন সিনহা: কাদের সরকারের হুমকিতে দেশ ছেড়েছি: সুরেন্দ্র সিনহা নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু এবং ৫১ লাখ রুপি 'বাংলাদেশ এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে' • কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত যদি কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে তা গুপ্তচরবৃত্তি বলে গণ্য হবে এবং এজন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। ফেসবুকে মানহানিকর বা অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য প্রস্তাবিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে • আইন অনুযায়ী ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার নামে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালালে বা মদদ দিলে অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। • ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, ঘৃণা প্রকাশ, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ বা ব্যবহার করলে জেল জরিমানার বিধান রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তিন থেকে সাত সাত বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বার এরকম অপরাধ করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। • ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যমে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না • কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের বিষয়েও বিধান রয়েছে এই আইনে। সেখানে ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম. কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার ব্যাহত করে, এমন ডিজিটাল সন্ত্রাসী কাজের জন্য অপরাধী হবেন এবং এজন্য অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড অথবা এনধিক এক কোটি অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। • ছবি বিকৃতি বা অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছেকৃতভাবে বা অজ্ঞাতসারে কারো ব্যক্তিগত ছবি তোলা, প্রকাশ করা বা বিকৃত করা বা ধারণ করার মতো অপরাধ করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও শিশু পর্নগ্রাফির অপরাধে সাত বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। • কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া অনলাইন লেনদেন করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' • বাংলাদেশ বা বিশ্বের যেকোনো বসে বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি এই আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলেই তার বিরুদ্ধে এই আইনে বিচার করা যাবে। • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। | বাংলাদেশের পার্লামেন্টে বুধবার পাস হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, যে আইনের প্রস্তাবের পর থেকেই উদ্বেগ, বিতর্ক আর সমালোচনা চলছে। |
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর। | 'ঢাকার রাস্তায় বিশৃঙ্খলা বন্ধে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।' সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর পর এই দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এর আগেও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সরকারের তরফ থেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যেরকম ব্যাপক এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দরকার হবে, সেই রাজনৈতিক সদিচ্ছা সরকারের কতটা আছে,সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যাত্রীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী একটি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে,সরকার বিভিন্ন সময় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয়নি।সেকারণে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এই সমিতির একজন একজন নেত্রী রিজু আকতার বলছিলেন, সরকার যদি আন্তরিকভাবে সমাধান চায়, তাহলেই কেবল সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা সম্ভব। "সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলেই সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নেই।" সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় সরকারের কয়েকটি সংস্থা কাজ করে। বিশেষ করে ঢাকায় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ যেমন রয়েছে।সেখানে সিটি কর্পোরেশন এবং পুলিশও কাজ করে। আরও পড়ুন: 'যত গতি তত ক্ষতি, মোড়ে মোড়ে ফুট ওভারব্রিজে লাভ নেই' জাসিন্ডা আরডের্ন: ভালবাসা দিয়ে 'হৃদয় জয়' করলেন যিনি মুসলিমদের সাথে একাত্মতায় নিউজিল্যান্ডে নারীদের মাথায় স্কার্ফ ঢাকার পুলিশ কমিশনার ইতিমধ্যে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির একজন সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এনামুল হক বলছেন, সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত কোনো পরিকল্পনা না থাকায় বিশৃঙ্খলা থাকছে। "যখনই একটা ঘটনা ঘটবে, সেখানেই একটা ফুটওভার করে দেবে। এটা কোনো সমাধান নয়।এখানে সমন্বয়ের অবশ্যই ঘাটতি আছে।আপনি দেখবেন, আমরা যখন রাস্তা বানাই, রাস্তার অর্ধেকটা দখল করে রাখে একটা শ্রেণি।রাস্তার শৃঙ্খলা দেখে পুলিশ। আবার রাস্তা বানাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন, সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ কিছু রাস্তা বানাচ্ছে। এই বিভিন্ন বিভাগ কাজ করছে।" "এছাড়া বিভিন্ন গতির যানবাহন চলছে। ফলে রাস্তার গ্রহণ-ক্ষমতা এবং মানুষের গ্রহণ-ক্ষমতা, দুটাই কমে যাচ্ছে।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।" নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আবারও রাস্তায় নেমে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করার পর কর্তৃপক্ষ আবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে তারা এজন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে কেন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার? বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেছেন,সমস্যা এবং সমাধানের উপায় চিহ্নিত করে পরিকল্পনা করা আছে। এখন আসলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া সমাধান সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বড় সমস্যা হিসেবে দেখেন, বাস মালিক বা শ্রমিকদের রাজনৈতিক প্রভাব।আর সেজন্যই সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। নিরাপদ সড়ক চাই নামের একটি সংগঠনের ফারিহা ফতেহ মনে করেন, সমাধানের প্রশ্নে সড়কের সাথে জড়িত সব পক্ষের আন্তরিকতা প্রয়োজন। "এখানে কিছু বিষয় আছে রাজনৈতিক বলতে পারেন। আর ব্যবসায়িক একটা পয়েন্ট রয়েছে। আমাদের দেশে বাসের মালিক শত শত।এই বাস চালানোর ক্ষেত্রে একটা বিষয় হচ্ছে, চালকের জন্য জমা পদ্ধতি। এজন্য চালকরা বেশি অর্থ আয় করতে রাস্তায় বাস নিয়ে প্রতিযোগিতা করে এবং উল্টা-পাল্টা করে তারা ওভারটেক করে। এসব রাতারাতি ১০০ভাগ সমাধান করা সম্ভব নয়। তার মানে এই নয় যে, সমাধান অসম্ভব।" শিক্ষার্থীরা গত বুধবার যখন ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ করেন, তখন নগরীর উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। সরকার কী রাজনৈতিকভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে? আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, সরকার সড়কপথে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিভিন্ন সময় নানা উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু এই খাতে ব্যাপক এবং কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সেখানে রাজনৈতিক কিছু বিষয় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সড়ক পরিবহণ শ্রমিকদের নেতা শাহজাহান খান আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন। মালিকদের সংগঠনের নেতাদেরও বেশিরভাগই এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া এই সংগঠনগুলো ধর্মঘট ডেকে সড়ক পথ অচল করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। সব মিলিয়ে সরকার তাদের ক্ষ্যাপাতে চায় না বলে দলটির একাধিক সূত্র বলেছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বলছেন, মালিক শ্রমিকদের সংগঠনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় এই সরকারের গত দুই মেয়াদে তারা কখনও লাগাতার ধর্মঘটের কর্মসূচি সেভাবে নেয়নি। সেজন্য এই নিয়ন্ত্রণ সরকার হারাতে চায় না। কিন্তু সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে সরকার যে বার বার সমালোচনা এবং আন্দোলনের মুখে পড়ছে, সেই বিষয়টিও এখন সরকারের ভিতরে আলোচনায় আসছে দলটির নেতাদের অনেকে বলছেন। আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এরজন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন। "বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এত বিশাল জনগোষ্ঠীকে পরিবহণের জন্য সরকারি বা রাষ্ট্রীয়ভাবে সড়কপথে সে ধরণের কোনো ব্যবস্থা নেই।স্বাভাবিকভাবে এই পরিবহণ ব্যবস্থাটা বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভর করে।যখনই বেসরকারি খাতের ওপর একটা সেক্টর পুরোপুরি নির্ভর করবে, তখন সেখানে পুরো শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অনেক কঠিন ব্যাপার।" তিনি আরও বলেছেন, "অবশ্যই এটা চলাটা কারও কাম্য নয়।আমরা চাই এর সঙ্গে যারা দায়িত্বশীল আছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, তারা পথ খুঁজে বের করবে যে, কিভাবে আমরা এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।এটা আসলে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় না।" সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে কিছুদিন ধরে সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সরকারের একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী দাবি করেছেন, সরকার এবার সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছে। | বাংলাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আবারও রাস্তায় নেমে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করার পর কর্তৃপক্ষ আবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে তারা এজন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | ভোট গ্রহণের আগে সকালে চট্টগামের একটি কেন্দ্রে ব্যালটবাক্স পূর্ণ দেখতে পান বিবিসি বাংলা'র একজন সাংবাদিক বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর হামলা, ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোট জালিয়াতি এবং নির্বাচনের আগে ও পরে নির্বাচন কমিশনের একপক্ষীয় আচরণের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন বলে বিবৃতি প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নির্বাচন কমিশন ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্বাচনকে 'অবাধ ও নিরপেক্ষ' বলে ঘোষণা করলেও বিরোধী দল এই নির্বাচনকে 'প্রহসন' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলে পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, "নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়টা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের কারণে বিতর্কিত ছিল।" পাশপাশি আগে থেকে ব্যালটে সিল মেরে রাখা, ভোটাদের ভয় দেখানো, ভোট গ্রহণের দিনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন কমিশন গঠন করার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, ভোট গ্রহণের দিন দেশের অন্তত ২২১টি আসনে বিএনপি'র পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। তবে এইসব অনিয়মের অভিযোগকে 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' বলে উল্লেখ করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। পুলিশ মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারী নির্বাচনকালীন পরিবেশ 'শান্তিপূর্ণ' ছিল বলে মন্তব্য করেছেন। আরো পড়তে পারেন: ভোটের দিনে যেভাবে হেনস্থা হলেন ভিপি জয়নাল পশ্চিমা দেশের মোলায়েম প্রতিক্রিয়ায় আশাহত বিরোধীদল নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে বিএনপির তৃণমূলে হতাশা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে আইনগত ও রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে অগ্রসর হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে বলেছে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করার বদলে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করছে বাংলাদেশের পুলিশ। ভোটের খবরকে কেন্দ্র করে খুলনার সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাটি বিবৃতিতে তুলে ধরেছে জিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আরেকজন সাংবাদিক রাশিদুল ইসলামকেও ঐ মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে আসামী দেখানো হয়। অনেক সাংবাদিকদের ভোটে অনিয়মের ছবি তোলা বা ভিডিও করার ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে বলা হয় বিবৃতিতে। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার একজন সাংবাদিক কাফি কামাল ভোটারদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের হামলার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গেলে সহিংসতার শিকার হন বলে জানান হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে। এবারের নির্বাচনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিদেশী সাংবাদিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের প্রক্রিয়া যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিল বলে উঠে আসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে। যে কারণে অনেক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চাইলেও নানা বাধ্যবাধকতার কারণে সময়মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেননি। নির্বাচনকালীন সময়ে অনিয়মের সকল অভিযোগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে তদন্ত করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বৃটিশ হাই-কমিশন ও মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতির অংশবিশেষও তুলে ধরা হয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে। ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, "আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সাথে বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর মনে রাখা প্রয়োজন যে নির্বাচন ভোটারদের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্র, ক্ষমতাসীনদের নয়।" মি. অ্যাডামস মন্তব্য করেন, "যে দেশে মানুষের রাজনৈতিক মতামতের ক্ষেত্রে বিভাজন স্পষ্ট, সেরকম একটি দেশে একটি দল ৯৬ শতাংশ আসনে জয়লাভ করলে ঐ নির্বাচন সম্পর্কে অবিলম্বে প্রশ্ন তোলা উচিত।" অন্যান্য খবর: পশ্চিমা দেশের মোলায়েম প্রতিক্রিয়ায় আশাহত বিরোধীদল ভোটের দিনে যেভাবে হেনস্থা হলেন ভিপি জয়নাল | বাংলাদেশের নির্বাচনে অনিয়মের নানা ধরণের অভিযোগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। |
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি? | হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে সৌদি সমর্থনপুষ্ট ইয়েমেনি বাহিনী সৌদি আরবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনার ওপর নাটকীয় হামলার পর তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সৌদি আরবের এই তেলস্থাপনাগুলো গোটা বিশ্বের তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে খু্বই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো যে কতটা নাজুক অবস্থায় আছে, এই হামলা সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি আরব, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের মদত আছে। সৌদি আরবের এসব বিমান সরবরাহ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। বহু দিন ধরে সৌদি আরব হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিপক্ষও যে পাল্টা হামলার ক্ষমতা রাখে, সৌদি তেল স্থাপনার ওপর এই আঘাত তারই প্রমাণ। তবে এই ঘটনা সেই পুরোনো বিতর্ককে আবার উস্কে দিয়েছে- হুথি বিদ্রোহীদের ইরান কী পরিমাণ সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে? মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এমনিতেই অস্থিতিশীল। সেখানে এই সর্বশেষ ঘটনা যেন পুরো অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। কিন্তু এই হামলা একই সঙ্গে ইরানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এবং কৌশলের ব্যর্থতাও ফুটিয়ে তুলেছে। সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে নানা দাবি এবং পাল্টা দাবির মধ্যে অনেক তথ্য এখনো অজানা। হামলার পর জ্বলছে সৌদি তেল স্থাপনা হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের বিভিন্ন টার্গেটে আগেও ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ড্রোন হামলা থেকে তারা খুব সীমিত সাফল্যই পেয়েছে। তবে এবারের যে হামলা সেটা এমন মাত্রার যে তার সঙ্গে আগেরগুলোর কোন তুলনাই চলে না। বহুদূর থেকে যেরকম ব্যাপক মাত্রায় যে ধরণের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে, তার নজির নেই। মিসাইল না ড্রোন এই হামলার ব্যাপারে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত। হামলায় কি 'আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল' (ইউএভি) ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি নতুন কোন ধরণের মিসাইল। যদি মিসাইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সৌদি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন তার সংকেত পেল না? আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে হামলার পেছনে ইরাকের কোন ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী ছিল, নাকি স্বয়ং ইরানই জড়িত? মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কিন্তু কোন সময় নষ্ট না করে সরাসরি তেহরানের দিকে আঙ্গুল তুলছেন এই ঘটনার জন্য। ঘটনার ব্যাপারে কোন গোয়েন্দা তথ্যের জন্য পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেননি। কয়েকঘন্টা পর অবশ্য মার্কিন সূত্রগুলো দাবি করতে থাকে মোট ১৭টি স্থানে এই ড্রোন হামলা হয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এসব হামলা হয়েছে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে। যুক্তরাষ্ট্র বলতে চাইছে এই হামলা হয়েছে ইরান বা ইরাকের দিক থেকে, দক্ষিণের ইয়েমেন থেকে নয়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা এই হামলা ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবে। হামলায় ব্যবহৃত যেসব ড্রোন টার্গেট পর্যন্ত যেতে পারেনি, সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেসব সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা হয়েছে কোন দিক থেকে হামলা ২০০৮ সালে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছিল, হুথি বিদ্রোহীদের কাসেফ-ওয়ান ড্রোনের সঙ্গে ইরানের আবাবিল-টি ড্রোনের ব্যাপক সাদৃশ্য আছে। জাতিসংঘের দলটি তাদের রিপোর্টে বলেছিল, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, ইরান সেটি ভঙ্গ করেছে এবং হুথি বিদ্রোহীদের নানা রকম অস্ত্র সরবরাহ করেছে। কাসেফ-ওয়ান কিংবা আবাবিল-টি ড্রোন বড়জোর ১০০ বা ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে পারে। ইয়েমেনের সীমান্ত থেকে খুরাইস তেল ক্ষেত্রের দূরত্ব প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার। যেসব টার্গেটে হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এই তেলক্ষেত্রই ইয়েমেনের সবচেয়ে কাছে। ইরানি সামরিক সরঞ্জাম কতটা পাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা কাজেই ইয়েমেনের দিক থেকে যদি এই হামলা হয়ে থাকে, তাহলে এবারের ড্রোনগুলো নিশ্চিতভাবেই একেবারে ভিন্ন ডিজাইনের, যেগুলো অনেক বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে এবং অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। ইরান এবং সম্ভবত হুথি বিদ্রোহীদেরও হয়তো আরও দূরপাল্লার ড্রোন আছে। কিন্তু এপর্যন্ত ইয়েমেনের যুদ্ধে সেধরণের ড্রোনের ব্যবহার দেখা যায়নি। আরেকটা জল্পনা হচ্ছে, হামলায় হয়তো ক্রুজ মিসাইলও ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। হয়তো ইরাক বা ইরান থেকে এই ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। কিন্তু এই দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের দরকার হবে। সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি কতটা কিন্তু শেষ বিচারে এসব খুঁটি-নাটি তথ্যের কোন মানে দাঁড়ায় না। কারণ কূটনৈতিক ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব ইরানের নির্মম শত্রু। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে মনস্থির করে ফেলেছে। পারস্য উপসাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলার জন্য তারা ইরানকেই দোষী করছে। সৌদি বিমান হামলার বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে অসন্তোষ বাড়ছে ইরান তাদের একটি তেলবাহী জাহাজ জিব্রালটারে আটক হওয়ার পর পাল্টা একটি ব্রিটিশ জাহাজ জব্দ করে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, সৌদি আরবের তেল স্থাপনার বিরুদ্ধে হুথি বিদ্রোহীদের যত হামলা, তার সবকটিতে ইরানের হাতের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা কী করবে বা কী করার ক্ষমতা রাখে? এর উত্তর হচ্ছে, সম্ভবত খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা নেই। আরও পড়ুন: সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা: ইরানকে দায়ী করলো যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত ইয়েমেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই শক্তভাবে সৌদি আরবের পক্ষে। কিন্তু এই যুদ্ধের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে অতটা উৎসাহ নেই। কংগ্রেসে এমন মত প্রবল হচ্ছে যে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে এই সৌদি বিমান হামলার কোন মানে নেই। একটা গরীব দেশের ওপর এই হামলা এক বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। ট্রাম্প প্রশাসন যদিও সৌদি আরবের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন জোগাচ্ছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কথা বলছে, বাস্তবে তেহরানের কাছে তারা কিন্তু নানা ধরণের বার্তা দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি যুদ্ধের ঝুঁকি নেবেন? একদিকে মনে হচ্ছে মি. ট্রাম্প যেন ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটা মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চান। তিনি মাত্রই তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করেছেন। জন বোল্টন হচ্ছেন সেরকম একজন কট্টরপন্থী, যিনি কিনা যে কোন পন্থায় ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতায় পালাবদলের পক্ষে। ইরান এবং হুথি বিদ্রোহীরা যুদ্ধে যে ধরণের কৌশল নিয়েছে, সেটা শক্তিমানের বিরুদ্ধে দুর্বলের লড়াইয়ের চিরাচরিত কৌশল। বেশিরভাগ কৌশল যেন রুশদের কাছ থেকে ধার করা- যে কোন কিছু অস্বীকার করা, ছায়াযুদ্ধ, সাইবার হামলা এবং প্রপাগান্ডা যুদ্ধ। তেহরান ভালো করেই জানে, মিস্টার ট্রাম্প মুখে যত কথাই বলুন, আসলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন কোন যুদ্ধে জড়াতে চান না, বরং যুদ্ধ থেকে বের করে আনতে চান। এর ফলে ইরানই বরং এখন পাল্টা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু যে কোন মূহুর্তে যে কারও একটা ভূল হিসেবের কারণে একটা সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে, যেটা আসলে কেউই চায় না। | হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করছে এই হামলা তারা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি এর পেছনে আছে ইরান। আর ইরান এর সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্কের কথা জোর গলায় অস্বীকার করছে। |
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন। | মাহফুজা কিরণ: নারী ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশের নাম গুলিয়ে ফেলায় টুইটারে সমালোচনা। সমালোচনা আর টীকা-টিপ্পনী চলছে সামাজিক গণমাধ্যম টুইটারে। কারণ - মিজ কিরণ বলতে পারেননি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নারী দল কোনটি। বিবিসির এক সংবাদদাতা ম্যানি জাযমি টুইট করেছেন -- নির্বাচিত হওয়ার পর মাহফুজা কিরণকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন নারীদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কে? প্রথম উত্তর ছিল উত্তর কোরিয়া। ভুল ধরিয়ে দিলে, মাহফুজা কিরণ জাপানের নাম বলেন, তারপর আমতা আমতা করে উত্তর দেন ইউএসএ। মজা করে মি জাযমি লিখেছেন ২/১, অর্থাৎ দুবার ভুল করে সঠিক উত্তর। তার এই টুইটের পর মিজ কিরণকে নিয়ে সমালোচনা আর টিকা-টিপ্পনী শুরু হয়ে যায় টুইটারে। শেইখা আল খলিফা নামেএকজন টুইটারে লিখেছেন -- এই ফলাফলে আমি বিস্মিত হচ্ছি।এখন মনে হচ্ছে আমি নিজেও এর চেয়ে ভালো প্রার্থী হতাম। শেলি জেফরি নামে একজন আরো এক ধাপ এগিয়ে লিখেছেন -- বিশ্বকাপ কী বস্তু সেটাই তার জন্য হয়তো সহজ প্রশ্ন হতো। মাহফুজা কিরণকে নিয়ে টুইটারে সমালোচনার ঝড় আলেকজান্দ্রিয়া সিবোর্ন নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন -- এভাবে কারো হাতের পুতুল হওয়ার জন্য তাকে (মাহফুজা কিরণকে) ধিক্কার। ম্যাথিউ নীল নামে আরেকজন টুইট করেছেন -- ফিফাকে বদলাও, সেখানে একই কাণ্ড চলছে। এসব সমালোচনার কোনো উত্তর এখনও মাহফুজা কিরণের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। মাহফুজা আখতার কিরণ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি ময়া ডডকে ১০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। আজ (সোমবার) বাহরাইনের রাজধানী মানামায় ফিফার কংগ্রেসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের আগে অন্য দুই জন প্রার্থী উত্তর কোরিয়ার হান উন গিয়ং এবং ফিলিস্তিনের সুজান শালাবি মোলানো প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফিফা কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করবেন। | আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়মক সংস্থা ফিফার কাউন্সিলে এশীয় ফুটবল কনফেডারেশনের নারী প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের মাহফুজা আখতার কিরণ নির্বাচিত হয়েই তোপের মুখে পড়েছেন। |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.