instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
53
24.4k
output
stringlengths
8
818
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হারিয়ে বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা এখন তাদের জন্য চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট ঠেকাতে আজ একটি বিল আনার সুযোগও তৈরি হলো। তবে ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনবেন। কী হলো ভোটাভুটিতে? আগামী ৩১শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ, যেটি ব্রেক্সিট হিসেবে পরিচিত তা কার্যকর হওয়ার কথা। কীভাবে, কোন চুক্তিতে সেই বিচ্ছেদ হবে, এ নিয়েই চলছে এখন আলোচনা। তবে এই বিচ্ছেদ নিয়ে কোন চুক্তি হোক বা না হোক, নির্ধারিত তারিখেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার ব্যাপারে অনড় থাকার কথা বলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আরো পড়ুন: কেন ব্রেক্সিট নিয়ে নাকাল ব্রিটেন ব্রেক্সিট: আর কী বিকল্প হাতে আছে ব্রিটেনের? ব্রেক্সিট চুক্তি না হলে কী ঘটতে পারে? ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেন সংসদ স্থগিত করতে পারেন? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনবেন। এ নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই বেশ উত্তপ্ত ব্রিটেনের রাজনৈতিক অঙ্গন। এর মধ্যে ছুটি শেষে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট। আগেই এক সভায় বরিস জনসন জানিয়েছিলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দলের যারা বিরোধিতা করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের বিদ্রোহী এমপিদের কাছে হাউজ অফ কমন্সে ৩২৮-৩০১ ভোটে হেরে গেলেন তিনি। মিস্টার জনসনের নিজ দলের ২১ জন এমপি যাদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীও আছেন তারা এই ভোটাভুটিতে সরকারকে হারাতে বিরোধীদের সাথে যোগ দিয়েছেন। ভোটে জয়ের ফলে আজ বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেলেন বিরোধী ও বিদ্রোহী এমপিরা। এই ভোটের ফলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধীরা ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে পার্লামেন্টে বিল আনতে পারবেন। ভোটাভুটির পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বলেছেন বরিস জনসন? ভোটের পর ডাউনিং স্ট্রীট থেকে বলা হয়েছে, যেসব টোরি এমপি বিদ্রোহ করেছে তাদের পার্লামেন্টারি পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে। বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনবেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আশা, বহিষ্কার হুমকি ও আগাম নির্বাচনের কথায় বিদ্রোহী এমপিরা হয়তো অবস্থান বদলাবেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর নেই। মিস্টার জনসন বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালানো ছাড়া তার কিছু করার নেই। কারণ তিনি বলছেন, দেশের জনগণকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও এটিও তার জন্য খুব একটা সহজ হবে না। কারণ ব্রিটেনে ২০১১ সালের একটি আইনে পার্লামেন্টকে পাঁচ বছরের মেয়াদ দেয়া হয়েছে। এখন সেটি পরিবর্তন করতে হলে সংসদে বরিস জনসনের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। এটি পেতে হলে তার বিরোধী দল লেবার পার্টির সমর্থন দরকার হবে। সেটি মি. জনসনের জন্য খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমপিরা যদি চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে বিল এনে সেটি পাশ করাতে সক্ষম হয় তাহলে কী হবে? ভোটের ফলের কারণে আজ এমপিরা হাউস অফ কমন্স নিয়ন্ত্রণ করবেন। এর ফলে তারা ব্রেক্সিট ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রস্তাব দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে বিল আনার সুযোগ পাবেন। তবে সেটি তখনি ঘটবে যদি এমপিরা ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিটের জন্য একটি নতুন চুক্তি অনুমোদন বা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট না দেন। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার ১৫ই অক্টোবর একটি সাধারণ নির্বাচন করতে চান। তার দুদিন পরেই ব্রাসেলসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কীভাবে সেনা প্রশিক্ষণ বদলে দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা কী প্রভাব ফেলছে ইরান-বাংলাদেশ সম্পর্কে? ডেঙ্গুর প্রকোপ কী কমতে শুরু করেছে? 'পুলিশি পরোয়ানার পরও শামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়' ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ব্রিটেনের সময় রয়েছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটাভুটিতে সরকার হেরে যাওয়ার পর বিরোধীরা কী বলছে? লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর নেই। তিনি মন্তব্য করেন, ভোটাভুটি হওয়ার আগেই এই বিল পাশ হওয়া উচিত ছিল। এখন পর্যন্ত ২১জন টোরি এমপি, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীও রয়েছেন, তারা সরকারকে হারাতে বিরোধীদের সাথে যোগ দিয়েছেন। তবে বিরোধীদের এখন দাবি, 'নো ডিল ব্রেক্সিট' বা চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট যেন না হয় সেটি আগে নিশ্চিত করা, তারপর যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট নিয়ে এক ভোটাভুটিতে হেরে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর ফলে আজ বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিলো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধী এমপিরা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
কারাগরের আঙ্গিনায় বন্দী তাতিয়ানা কোরেইয়া দ্যা লিমা। "আয়নায় নিজেকে দেখে এত অদ্ভুত লাগছিল! দেখে চিনতেই পারছিলাম না।" বলছিলেন ২৬-বছর বয়সী লিমা। বারো বছরের সাজা মাথায় নিয়ে দুই সন্তানের এই মা জেল খাটছেন। ব্রাজিলে কারাবন্দীর মোট সংখ্যা বিশ্বের চতুর্থ। কারাগারের ভেতরের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে প্রায়ই তুমুল আলোচনা চলে। পাশাপাশি রয়েছে ধারণ ক্ষমতার বেশি বন্দী এবং কারাগারের ভেতরে গুণ্ডা দলের দৌরাত্ম্য, মাঝে মধ্যেই যা থেকে দাঙ্গা হাঙ্গামা তৈরি হয়। লিমাকে মূল কারাগার থেকে সরিয়ে ইটুয়ানার যে কারাগারে নেয়া হয়েছে সেটি পরিচালনা করে 'অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যসিসটেন্স টু কনভিক্টস (এপ্যাক) নামে একটি সংস্থা। গার্ডবিহীন জেলখানা ব্রাজিলে অন্য কারাগারের চেয়ে এই কারাগারটি একেবারেই ভিন্ন। এখানে নেই কোন কারারক্ষী। নেই কোন অস্ত্র। মূল কারাগারে যেখানে বন্দীদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পোশাক, সেখানে এই কারাগারটিতে লিমা তার নিজের কাপড়ই পরতে পারেন। তার সেলে রয়েছে আয়না, মেকআপ করার সরঞ্জাম। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: আমিরাতের বিপুল অর্থ সাহায্য ফিরিয়ে দিচ্ছে দিল্লি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষের গল্প তাতিয়ানা এবং তার বান্ধবী ভিভিয়েন বলছেন, আগের কারাগার তাদের 'নারীত্ব কেড়ে নিয়োছিল'। ব্রাজিলের কারা সঙ্কটের পটভূমিতে এপ্যাক পরিচালিত কারাগারগুলি অনেক বেশি নিরাপদ, সস্তা, এবং মানবিক বলে স্বীকৃতি পাচ্ছে। গত ২০শে মার্চ ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের রনডোনিয়া এলাকায় এপ্যাক পরিচালিত একটি কারাগারের উদ্বোধন করা হয়। সারা দেশে এধরনের ৪৯টি কারাগার রয়েছে। এখানে যে ধরনের বন্দীদের আনা হয় তাদের বেশিরভাগই আসে মূল কারা ব্যবস্থা থেকে। এরা যে তাদের অপরাধের জন্য অনুশোচনা করছেন সেটা তাদেরকে প্রমাণ করতে হয়। নিয়মিত শ্রম দেয়া এবং শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারে এই কারাগারের যেসব নিয়মকানুন রয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করা হয়। কারাগারে রয়েছে 'কনজ্যুগাল সুইট', যেখানে রয়েছে ডাবল বেড খাট। দেখা করতে আসা স্বামীদের সাথে বন্দীরা এখানে 'ঘনিষ্ঠ সময়' কাটাতে পারেন। কারাগারের একপাশে গিয়ে দেখা গেল নারীরা সাবানের বোতলে লেবেল লাগাচ্ছেন। বন্দীদের তৈরি এই তরল সাবান বাইরে বিক্রি করা হবে। প্রথম এপ্যাক কারাগার স্থান করা হয় ১৯৭২ সালে। একদল ক্যাথলিক খ্রিস্টান এটি তৈরি করেছিলেন। এখন এভিএসআই ফাউন্ডেশন নামে ইতালির একটি এনজিও এবং ব্রাজিলের সাবেক কারাবাসীদের একটি প্রতিষ্ঠান এর অর্থায়ন করে থাকে। ব্রাজিলের মূল কারাগারগুলিতে দাঙ্গা ফ্যাসাদ নিয়মিত ঘটনা। এভিএসআই ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি জ্যাকোপো সাবাতিয়েলো বলছেন, তাদের কারাগারের মূল নীতি হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম এবং অন্যের প্রতি ভালবাসা। "আমরা সব বন্দীকে তাদের নাম ধরে ডাকি। নাম্বার দিয়ে কোন বন্দীর পরিচয় দেই না।" শুশ্রূষা এই কারাগারের বন্দীদের ডাকা হয় 'রিকুপারেন্দোস' নামে অর্থাৎ যাদের আরোগ্যলাভের প্রক্রিয়া চলছে। এক্যাপ বন্দীদের পুনর্বাসনের দিকে জোর দিয়ে থাকে। বন্দীদের সারাদিন ধরে কাজ এবং পড়াশুনা করতে হয়। কখনও কখনও স্থানীয় লোকজনের সাথে কাজ করতে হয়। কোন বন্দী পালানোর চেষ্টা করলে মূল কারা ব্যবস্থার হাতে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। মি. সাবাতিয়েলো বলছেন, এপ্যাকের কারাগারে মারামারির দু'একটা ঘটনা ঘটলেও খুন রাহাজানির মতো কোন বড় অপরাধের নজির নেই। তিনি বলছেন, কারাগারে কোন রক্ষী না থাকায় উত্তেজনা কম থাকে। এখানে কিছু নারী রয়েছেন যারা যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ ভায়াবহ অপরাধ ঘটিয়েছেন। "আমি এখনও আমার পুরনো বন্দী সংখ্যা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি," বলছেন আগিমারা পাত্রিসিয়া সিলভিয়া কাম্পোস। মাদক চোরাচালানের দায়ে মূল কারাগারে তাকে চার মাস কাটাতে হয়েছিল। "আমাদের গাদাগাদি করে থাকতে হতো। ছোট একটা ঘরে ২০ জন বন্দী। ঘুমাতে হতো নোংরা তোষকের ওপর," বলছিলেন তিনি, "আর যে খাবার দেয়া হতো তা মুখে তোলার মত ছিল না।" এপ্যাক কারাগরের দেয়াল লিখন: ভালবাসা ত্যাগ করে কেউ পালায় না। তার সাথে দেখা করতে আসা আত্মীয়দের নগ্ন করে তল্লাশি করা হতো বলে তিনি জানালেন। কাম্পোস যে পরিবেশের কথা বলছেন তা ব্রাজিলের কারা ব্যবস্থার একটা বড় সঙ্কটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে প্রায়ই নারীদের কারাগারে যেতে হয় তার পুরুষ সঙ্গীর অপরাধের জন্য। এরপর দাগী আসামীদের মধ্যে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। অনেকেই কারাগারের মধ্যেই অপরাধের তালিম নেন। "আমি যখন জেলে যাই, তখন এই ধরনের অপরাধ সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না," বলছেন কাম্পোস, "আমার পাশে যে মহিলা ঘুমাতো সে তার প্রতিবেশীর মাথা কেটে ফেলেছিল। এবং সেই কাটা মাথা একটি সুটকেসে ভরে রেখেছিল।" দুই সন্তানের জননী এখন আট বছরের জেল খাটছেন। ব্রাজিলের একজন বিচারক আন্তোনিও দ্যা করাভালহো বলছেন, মূল কারা ব্যবস্থায় কাজ এবং শিক্ষার মাধ্যমে দণ্ড কমানোর প্রথা থাকলেও এটা প্রয়োগ করা হয় সামান্যই। তিনি এপ্যাক কারা ব্যবস্থার একজন সমর্থক। "মূল কারা ব্যবস্থার বর্তমান হাল খুব দু:খজনক। ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার মধ্যে থেকে বন্দীর মানবাধিকার রক্ষা করতে চাইলে এপ্যাক ব্যবস্থাই সবচেয়ে কার্যকারী," তিনি বলেন। আরও পড়তে পারেন: অং সান সূ চির অভিযোগে 'হতাশ' বাংলাদেশ কোরবানির 'সেলফি' নিষিদ্ধ ভারতের উত্তরপ্রদেশে করণজিৎ কৌরই কি আসল সানি লিওন? গরাদের আড়ালে যে প্রেম তাতিয়ানা কোরেইয়া দ্যা লিমা যখন এপ্যাক কারাগারে ঢোকেন তখন তার সুযোগ সুবিধে ছিল কম। জেলের মধ্যে স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে তাকে সেই সুবিধে অর্জন করতে হবে। এটা সব নতুন কারাবন্দীর জন্য প্রযোজ্য। কোন একজন বন্দী যখন ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়, তখন এক পর্যায়ে তাকে স্বল্প সময়ের জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। প্রায়ই বাইরের জগতের সাথে বন্দীদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এভাবেই লিমা খুঁজে পেয়েছেন তার ভালবাসার পুরুষকে। সহ-বন্দী ভিভিয়েন কাম্পোসকে সাথে নিয়ে সেলের মধ্যে বসে তিনি বলছিলেন কিভাবে তার সাথে পরিচয় ঘটলো সেই পুরুষটির, যিনি নিজেও শহরের অন্য প্রান্তে আরেকটি এপ্যাক কারাগারের বন্দী। এপ্যাকের এই কারাগারের দেয়ালে লেখা রয়েছে: ভালবাসা ত্যাগ করে কেউ পালায় না।
প্রথম যেদিন কারাগারে নিজের সেলে ঢুকলেন, সেদিন আয়নায় নিজেকে দেখে চিনতে পারেন নি তাতিয়ানা কোরেইয়া দ্যা লিমা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
করোনা ভাইরাস শাটডাউনের কারণে হঠাৎ করেই উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে লাখ লাখ মানুষের। তাদের অনেকেই ভীড় করছেন স্বল্প মূল্যের টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে। এসব শ্রমজীবী কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেহেতু সরাসরি সরকারি আর্থিক প্রণোদনার আওতায় নেই আবার শ্রম আইনের বাইরে থাকায় পেনশন কিংবা ন্যুনতম ক্ষতিপূরণের সুযোগও নেই। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে করোনা পরিস্থিতিতে আয় হারিয়ে এসব মানুষ এখন টিকে আছেন কিভাবে? তিন বছর আগে অনলাইনে পণ্য বেচা-কেনার একটি ব্যবসা শুরু করেন সামিয়া আফরোজ। এবারের পহেলা বৈশাখ ও ঈদকে কেন্দ্র করে আয় এবং ব্যবসা দুটোই বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এক মাস আগেই ব্যবসার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয় তাকে। সামিয়া আফরোজ জানাচ্ছেন, নিজে তো আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেনই একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী পাঁচজনও পড়েছেন ক্ষতিতে। সামিয়া আফরোজ বলছেন, "বৈশাখ এবং ঈদে আমরা ব্যবসা তো করতে পারলামই না, এখন আমাদের পরিবারই আর্থিকভাবে হুমকির মধ্যে। আমার কর্মীদের আমি গত মাসের বেতন দিয়েছি। সামনের মাসে দিতে পারবো কি-না, জানি না। এমনকি তাদেরকে চাকরীতে রাখবো না ছেড়ে দেবো সেটাও বুঝতে পারছি না। এখন তাদের অবস্থা তো আরো খারাপ।" সামিয়া আফরোজ সমস্যা দেখছেন, ভবিষ্যতে নতুন করে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রেও। কারণ তার মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ব্যবসায়ীরা সেভাবে সরকারি প্রণোদনার আওতায় নেই। কিন্তু গাড়ি চালক জহুরুল অবশ্য এখনি অতো দূরের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারছেন না। একটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপে অন্যের গাড়িয়ে চালিয়ে অর্থ উপার্জন করা জহুরুল বর্তমান সময়ে কিভাবে জীবন চালাবেন তা নিয়েই দু:শ্চিন্তায়। জহিরুল বলছিলেন, "আমি আরেকজনের গাড়ি চালাইতাম। কোম্পানির বিল, গ্যাসের খরচ বাদে যা থাকতো তার ৪০ শতাংশ টাকা মালিক আমাকে দিতো। এখন জিরো। কোন বাসা বাড়িতেও ড্রাইভার নেয় না। নিবে কি, ঢুকতেই তো দেয় না।" জহিরুল বলছেন, এখনো তিনি বাড়ি ভাড়া দিতে পারেননি। ধার-দেনা করে আপাতত: চলছেন। পরে কী হবে তা বুঝতে পারছেন না। সরকারের খাদ্য সহায়তার আওতার বাইরেই রয়ে গেছেন অনেক মানুষ। বাংলাদেশে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই আছে যারা এখনো তাদের কর্মীদের বেতন দেয়নি। তারাও রয়েছেন বিপদে। ঢাকার একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন এরকম একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, তারা গত মার্চ মাসের বেতন পাননি। এমনকি মার্চের শেষ দিকে যখন পার্লার বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার টাকা ধার নিয়ে গ্রামে ফিরেছেন তিনি। চলতি মাসেও বেতন পাবেন কি-না, না পেলে কীভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন তিনি। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবীদের জরুরী সাহায্য কেন দরকার? বাংলাদেশে রিক্সাওয়ালা, হকার থেকে শুরু করে দিনমজুর সকলেই আসলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অন্তর্ভূক্ত। আবার যারা মাসভিত্তিক বেতন পান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন যেগুলো সরকারের ট্রেড লাইসেন্স কিংবা শ্রম আইনের অধীনে নয়, তারাও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অংশ। এ ধরণের কর্মজীবীদের কোন নোটিশ ছাড়াই চাকরীচ্যুত করা যায়, ন্যুনতম ক্ষতিপূরণ নেই, বীমা নেই, পেনশন নেই। অথচ এ ধরণের শ্রমজীবীর সংখ্যা ৫ কোটি ১৭ লক্ষেরও বেশি। যা দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৮৫.১ শতাংশ। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি'র নির্বাহী পারিচালক ফাহমিদা খাতুন বলছেন, বাংলাদেশে শ্রমজীবীরা মূলত: অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতেই বেশি এবং করোনা ভাইরাসের কারণে এখন যে পরিস্থিতি তাতে করে বিশাল আকারের এই শ্রমজীবীদের প্রতি আলাদা করে নজর না দিলে তা অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব করে তুলবে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে তিনি বলছেন, "অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের লোকদের কিন্তু চাকরীর কোন নিশ্চয়তা নেই, বেতনেরও নিশ্চয়তা নেই। অতি দরিদ্র, দরিদ্র এমনকি দারিদ্রসীমার উপরে যারা স্বল্প আয়ের লোক তাদেরও কিন্তু সহযোগীতার প্রয়োজন পড়ছে। কারণ অনেকেরই কিন্তু আয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।" "সবচেয়ে বড় বিপদটা হলো যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত স্বল্প আয়ের লোক তাদের চাওয়ারও কোন জায়গা নেই। এই জনগোষ্ঠীকে কিন্তু আমাদের খাইয়ে-পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখার সময় এখন। তাদেরকে বাইরে রেখে আমরা অর্থনীতির এই সংকটকে মোকাবেলা করতে পারবো না।" কাজ হারানো মানুষকে খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে নগদ অর্থও দেয়ার কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকার কী করছে? কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশাল আকারের এক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সেখানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বয়স্ক ভাতা কিংবা এ ধরণের কর্মসূচির আওতায় এসব মানুষকে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ১০টাকা কেজি চাল কর্মসূচিও আছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলছেন, কাজ কিংবা উপার্জন হারানো মানুষের জন্য এখন সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিই বড় ভরসা। এসব মানুষকে সরকারের সহায়তার অন্তর্ভূক্ত হতে হবে। তবে সিপিডি'র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলছেন, সরকার যে তালিকা ধরে ত্রাণ কিংবা সামাজিক সুরক্ষা দিয়ে আসছে সেই তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে হবে সবার আগে। এক্ষেত্রে বেসরকারি এনজিও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। তিনি বলছেন, "অনেক কথা বলা হয়েছে শ্রমিকদের বিনামূল্যে খাদ্য দেয়া হবে, ১০ টাকায় চাল দেয়া হবে ইত্যাদি। কিন্তু এর জন্য কত টাকা দেয়া হবে, বরাদ্দ কত সে বিষয়ে কিন্তু সুনির্দিষ্ট বক্তব্য নেই।" "এখানে একটা প্যাকেজ করতে হবে। অর্থাৎ খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে নগদ অর্থও দিতে হবে। যেনো তারা খাদ্য বহির্ভূত প্রয়োজনগুলোও মেটাতে পারে। আর তালিকা তৈরিতে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম বাদ দিয়ে বড় তালিকা করতে হবে।" বাংলাদেশে এমনিতেই দরিদ্র মানুষের সংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে কাজ কিংবা আয় হারিয়ে হঠাৎ করেই দারিদ্রের কবলে পড়েছেন আরো অসংখ্য মানুষ। এসব মানুষের সহায়তায় আগে থেকেই সরকারের উদ্যোগ আছে ঠিকই কিন্তু সেই উদ্যোগের আওতা এখন কিভাবে বাড়ানো হয় তার উপরই নির্ভর করছে হঠাৎ করে উপার্জন হারানো মানুষেরা এতে করে কতটা উপকার পাবেন সেটা।
করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে টানা সাধারণ ছুটিতে শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা এখন চরমে। বিশেষ করে রিক্সাওয়ালা, হকার কিংবা সরকারের ট্রেড লাইসেন্স ও শ্রম আইনের অধীনে নেই এরকম অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কয়েক কোটি শ্রমজীবী এখন ভবিষ্যত নিয়ে অন্ধকারে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
রাগ দমনের সবচেয়ে ভালো উপায় নাকি গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করা। মানুষকে তাদের মানসিক চাপ এবং রাগ মোকাবেলার জন্য এই অভিনব পথই কিন্তু বাতলে দিচ্ছে নেদারল্যান্ডসের একটি কোম্পানি। তারা গাড়ি ভাঙ্গার জন্য তাদের কাস্টমারদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে হাতুড়ি কিংবা ব্যাট। আমস্টারডামের কাছে একটি স্ক্র্যাপইয়ার্ডে দেখা গেল এক অভিনব দৃশ্য। বটলগ্রীন রঙ্গের একটি ফোক্সওয়াগন গাড়ির উইন্ডস্ক্রীনে বেশ জোরে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলেন একজন। ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে গেল চারিদিকে। এই কাজটা যিনি করলেন, তিনি ভাবতেই পারেননি এরকম একটা কাজ তিনি করতে পারবেন। আধুনিক জীবনে প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন অনেক মানুষ "আমি গাড়ি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। কিন্তু এরকম একটা কাজ কখনো করবো বলে ভাবিনি। একটা গাড়ি ভাঙ্গতে কেমন লাগে, সেটা দেখার ইচ্ছে ছিল। আজ সেই ইচ্ছে পূরণ হলো।" গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করার ব্যাপারটিকে এখন রাগ দমনের সবচেয়ে ভালো উপায় বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। রাগ দমনের জন্য এর আগেও অনেক বিধ্বংসী থেরাপি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে। কিন্তু গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করার ব্যাপারটি যেন একে নিয়ে গেল একেবারে অন্যমাত্রায়। এই অভিনব চিন্তা প্রথম যার মাথায় আসে, তিনি মেরোলাইন বসহাউজেন । "আমি বিশ্বাস করি গাড়ি ভাঙ্গার মাধ্যমে আপনি রাগ মোচন করতে পারেন। রাস্তায় বা অন্য জায়গায় এই কাজ করা বেআইনি। কাজেই তার পরিবর্তে আপনি আমাদের এই স্ক্যাপইয়ার্ডে এসে এই কাজটা আইনি পথেই করতে পারেন। প্রচুর লোক কিন্তু এজন্যে এখানে আসে। অনেকে স্রেফ মজা করতে। কিন্তু আবার অনেকেই আসে, কারণ তারা জীবনে হয়তো খুব খারাপ কোন অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে।" যে দলটি সেখানে গাড়ী ভাঙ্গতে এসেছে, তাদেরকে নিজেদের হতাশা-রাগ তাদেরকে মনের মধ্যে পুষে রাখতে বলা হয়েছে। তারপর সেই রাগ-হতাশা গাড়ি ভেঙ্গে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। সব দেশেই বিক্ষোভকারীরা তাদের রাগ ঝাড়েন রাস্তায় গাড়ি ভেঙ্গে হাতুড়ি দিয়ে গাড়ি ভাঙ্গার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এক মহিলা। কী ধরণের রাগ-ক্ষোভের প্রকাশ ঘটাতে যাচ্ছেন তিনি? বললেন, " ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়লে যে ধরণের রাগ হয়, সেটা। মনে হয় গাড়ি থেকে নেমে সব ভেঙ্গে চুরমার করে দেই।" আরেকজন তো কাজটা করতে পেরে রীতিমত উল্লসিত। "এই কাজটা করতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। খুবই ভালো লাগে। আমি গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে, গাড়ির ছাদে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করছিলাম। এটা এমন একটা অভিজ্ঞতা, যা একেবারেই অসাধারণ।" তবে রাগ মোকাবেলার এটাই সর্বোত্তম পথ কীনা, তা নিয়ে অবশ্য দ্বিমত করছেন অনেকে। গাড়ি ভেঙ্গে রাগ দমন ভালো কোন উপায় হতে পারে না বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন মনোচিকিৎসকরা এভাবে রাগ দমনের এই থেরাপিকে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কিভাবে দেখেন? জোয়ানা পানটাজি একজন মনোচিকিৎসক। তিনি বলছেন, "সত্যি কথা বলতে কী, এটা আমাকে বেশ ভয় পাইয়ে দিচ্ছে। এখন আপনি গাড়ি ভাঙ্গছেন। এরপর হয়তো আপনি অন্য কিছু ভাঙ্গবেন।" কেন তার এটা মনে হচ্ছে? "এরপর তারা হয়তো এভাবেই তাদের রাগের প্রকাশ ঘটাতে পারে। তখন হয়তো নিজেকে শান্ত করা, নিজের আবেগকে সংযত করার পরিবর্তে এরকম আচরণ করাই ঠিক বলে মনে করতে পারেন। কেউ কেউ হয়তো যুক্তি দিতে পারেন, নিজের বাড়ি গিয়ে বউ পেটানো কিংবা ফুটবল মাঠে গিয়ে সব ভেঙ্গেচুরে ফেলার চেয়ে এভাবে গাড়ি ভাঙ্গাতো ভালো। আমি এর সঙ্গে মোটেই একমত নই। কারণ এরকম কাজের মাধ্যমে আপনি রাগান্বিত অবস্থায় একই ধরণের আচরণকেই আসলে উৎসাহিত করছেন।" জোয়ানা পানটাজির পরামর্শ হচ্ছে, কেউ যদি রাগ সামলাতে না পারেন, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই সবচেয়ে ভালো।
মনের মধ্যে যখন রাগ বা হতাশা দানা বাঁধতে থাকে, তখন আপনার হয়তো অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু গাড়ি ভাঙ্গার কথা কি কখনো আপনার মাথায় এসেছে?
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বিক্ষুব্ধ জনতা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিবিসি এশিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসলামের নবী মোহাম্মদকে নিয়ে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালালে ওই তিনজন ব্যক্তি মারা যান। স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদের আত্মীয় যিনি ফেসবুকে ওই 'আপত্তিকর' পোস্ট দিয়েছিলেন, তার বাড়ির সামনে বিক্ষুব্ধ মানুষজন তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে বিক্ষোভ করছিল। পুলিশ বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছে, এক পর্যায়ে তারা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের ওপর পাথর ছুঁড়তে থাকে। ফেসবুকে পোস্ট দেয়া ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে, সেই সঙ্গে ১১০ জন বিক্ষোভকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো পড়ুন: অযোধ্যায় ভূমিপুজো দিয়ে রামমন্দির নির্মাণ উদ্বোধন করলেন মোদী বিএসএফ-বিজিবি প্রকাশ্য রেষারেষি: বৃহত্তর কোনো বিরোধের ইঙ্গিত? 'হিন্দুদের রক্তস্নান' শিরোনামে ভাইরাল ভিডিওর মানুষটি একজন মুসলিম নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ বিবিসিকে জানিয়েছেন, "গোটা শহরেই ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এছাড়া ডি জে হাল্লি এবং কে জি হাল্লি - নামে শহরের দুইটি থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।" সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে' রয়েছে বলে পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠি চার্জের পরই কেবলমাত্র গুলি চালিয়েছে পুলিশ। পরে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। কর্নাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালোর। পুলিশ কমিশনার মি. পন্থ বলেছেন, "থানার চারদিক থেকে বড় বড় পাথর ছুঁড়ে আক্রমণ করা হচ্ছিল। হঠাৎই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু চারদিক থেকে যেভাবে পাথর ছোঁড়া হচ্ছিল, গুলি চালানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না।" রাতের ওই ঘটনার পরে বুধবার সকালেও দেখা গেছে থানার সামনে পুলিশের গাড়ি উল্টে পড়ে আছে, সেগুলি থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে। কয়েকটি গাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। আরো পড়তে পারেন: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ, জেলায় জেলায় চিঠি রামকে নিয়ে রসিকতা: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা ঢাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার নাকি ১৬ লাখ? গরুর প্রজনন দেখতে বিদেশ যাওয়া হচ্ছেনা সরকারি কর্মকর্তাদের পুলিকেশিনগর থেকে নির্বাচিত জনতা দলের (সেকুলার) বিধায়ক এ শ্রীনিবাস মূর্তির ভাতিজা ওই আপত্তিকর পোস্টটি করেছিলেন, সেটি পরে সরিয়ে নেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে ওই বিধায়ক মি. মূর্তি সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, "আমার মুসলমান ভাইদের কাছে আবেদন, একজন আইন ভঙ্গকারীর কারণে হানাহানি করবেন না। যা কিছুই হোক, আমরা সবাই ভাই। দোষীর শাস্তি হবেই। আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি। দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন।" পাশাপাশি কর্ণাটকের আমির-এ-শরিয়ত হজরত মৌলানা শাগির আহমেদও মুসলমানদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার জন্য। তিনি বলেছেন, "পুলিশ যখন বলেছে যে অবমাননাকর কাজটির জন্য যে দোষী, তার শাস্তি হবে, তখন শান্তি বজায় রাখাই উচিত। দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সরকার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।"
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এক পোস্টকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরে মঙ্গলবার রাত থেকে ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ধোলাইরপাড় চত্বরে ভাস্কর্য তৈরির বিপক্ষে ইসলামপন্থী দলগুলো ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেছে। যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের আয়োজনে শনিবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে 'দেশবরেণ্য শীর্ষ আলেমরা' অংশ নিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসায় বৈঠকের পর আলেমদের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোন উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।" তারা বলেছেন, "এমনকি কোন মহৎ ব্যক্তি ও নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরিয়তসম্মত নয়।" বিবৃতিতে দেয়া তাদের প্রস্তাবে আলেমরা বলেছেন, কোন ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য "কুরআন-সুন্নাহ সমর্থিত কোন উত্তম বিকল্প সন্ধান করাই যুক্তিযুক্ত"। ঢাকার ধোলাইরপাড় চত্বরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য তৈরির পরিকল্পনার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ইসলামপন্থী বেশ কয়েকটি দল সেই পরিকল্পনার বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে। শুক্রবার কয়েকটি ইসলামপন্থী সংগঠনের ডাকা ভাস্কর্য বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বের হবার পর পুলিশ সেটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গত মাসে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী এক সম্মেলনে ভাস্কর্য বিরোধী কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। হেফাজতের শীর্ষ ওই নেতার মন্তব্যের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ভাস্কর্য তৈরির পক্ষে তাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন এবং এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়ার ইঙ্গিতও দেন। আন্দোলনকারী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা ভাস্কর্য তৈরির বিপক্ষে কথা বলেই যাবেন। "শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আন্দোলন করবো। যেটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের ঈমানি দাবিটা জানিয়েই যাব, কথা বলেই যাব। সেটা সরকার রাখবে কি রাখবে না সেটা সরকারের বিষয়," তিনি বিবিসিকে বলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ভাস্কর্য তৈরির পক্ষে কঠোর বক্তব্য দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিবিসি বাংলাকে বলেন, "শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অনভিপ্রেত ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দিচ্ছে" এবং তিনি আরও বলেন তারা "ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রিয় মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরির চেষ্টা করছে"। আরও পড়তে পারেন: শুক্রবার জুমার পর বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বর থেকে বিক্ষোভকারীরা বের হওয়ার চেষ্টা করলে শুরুতে তাদের বের হতে বাধা দেয় পুলিশ। আলেমরা আজ তাদের বৈঠকে আরও যেসব বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে "ইসলামের নবীর প্রতি অবমাননাকর আচরণের ওপর কঠোর নজরদারি ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের" দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও তাদের আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তিদান, তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধ ও দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিল নিয়ে "শব্দ-দূষণের অজুহাতে লাউড স্পিকার ব্যবহারের ব্যাপারে নির্দেশনা জারি"কে তারা "অনভিপ্রেত" বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশে ভাস্কর্য নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে দেশটির বেশ কিছু ইসলামী চিন্তাবিদ ভাস্কর্য নিয়ে তাদের নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা শুনেই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয় ফেসবুক। যে আই পি অ্যাড্রেস থেকে লাইভস্ট্রীম করা হচ্ছিল সেটি তারা দ্রুত খুঁজে বের করে। জানতে পারে ঘটনা কলকাতার। দেরী না করেই কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে খবর দেয় তারা, সঙ্গে পাঠানো হয় ফেসবুক লাইভের লিঙ্কও। পুলিশ বুঝতে পারে হাতে সময় খুব কম। কিন্তু কীভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে - কোন ফ্লাইওভারের ওপরে দাঁড়িয়ে লাইভ করছেন ওই ব্যক্তি। সাইবার থানার এক অফিসার ওই ব্যক্তির প্রোফাইল দেখে খুঁজে বার করেন দুটি মোবাইল নম্বর। ফোন করে দেখা যায় একটি বন্ধ, অন্যটিতে ফোন করা হলে এক নারী সেটি তোলেন। তিনি জানান, এক সময়ে ওই ব্যক্তি তার গাড়ী চালাতেন। তিনিই ঠিকানা জানিয়ে দেন পুলিশকে। আত্মহত্যা করতে যাওয়া ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানোর সাথে সাথে সাইবার থানা খবর দেয় দক্ষিণ কলকাতার কসবা থানাকে। সেখানকার এক অফিসার ওই নারীর দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছান। অন্যদিকে লাইভ লোকেশান খুঁজে বের করেন থানার আরেক অফিসার। জানা যায়, ওই ব্যক্তির একই সাথে তার বাড়িতে পাঠানো হয় পুলিশের আরেকটি দল। আর তিনি যে ফ্লাইওভরে দাঁড়িয়ে আছেন, সেদিকে রওনা দেয় আরেকটি দল। কলকাতা পুলিশ বলছে, একদিকে তার মাকে দিয়ে ফোন করিয়ে ব্যস্ত রাখা হয় ওই ব্যক্তিকে। তার মধ্যেই দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকায় বন্ডেল রোড ফ্লাইওভারের ওপরে চলে যায় কসবা থানার আরেক অফিসার। আরো পড়তে পারেন: ভিনগ্রহের প্রাণী দেখতে আমেরিকায় ফেসবুক ইভেন্ট একটি অপহরণ, সোহেল তাজ ও ফেসবুক লাইভ ঈদের চাঁদ নিয়ে সরগরম ফেসবুক অতিরিক্ত নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রাস্তায় টহল দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। অনেক বুঝিয়ে আত্মহত্যার থেকে নিরস্ত করা যায় তাকে। পুলিশই তাকে বাড়ি পৌঁছিয়ে দিয়ে আসে। কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসেকিউটার বিভাস চ্যাটার্জী বলছিলেন, "এরকম ঘটনা খুবই বিরল। ফেসবুক খুব দ্রুত পুলিশকে জানাতে পেরেছে বলে প্রাণ বাঁচানো গেছে ওই ব্যক্তির।" "যদিও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রতিটি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থারই দায়িত্ব অপরাধ হতে যাচ্ছে এরকম কোনও ঘটনা পুলিশকে জানানোর। কিন্তু বাস্তবে তা খুব কমই ঘটে।" "অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ হয়ে যাওয়ার পরে সামাজিক মাধ্যম বা ইন্টারনেট ভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আইপি অ্যাড্রেস বা অন্যান্য তথ্য জোগাড় করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আত্মহত্যার আগেই খবরটা পাওয়া গেছে, যার ফলে বেঁচেছে একটি প্রাণ," বলছিলেন মি. চ্যাটার্জী। যে তিনজন অফিসার মূলত সে রাতে ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন, কলকাতা পুলিশ তাদের ছবিসহ সেই ফেসবুকেই একটা পোস্ট করেছে। দেশ-বিদেশ থেকে শত শত মানুষ কলকাতা পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য।
কলকাতার একটি ফ্লাইওভারের ওপরে দাঁড়িয়ে ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক ব্যক্তি। অবসাদগ্রস্ত ওই ব্যক্তি ফেসবুক লাইভেই বলছিলেন যে, তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
সীমান্তে রোহিঙ্গাদের নৌকায় নজরদারি আরও কড়াকড়ির ফলে উল্লেখযোগ্য হারে নিষিদ্ধ মাদকের চালান ধরা পড়ছে। বাংলাদেশের সীমান্ত-রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বার্মা সীমান্তে চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে প্রায় ৫১ লাখ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় চালানও আটক করা হয়েছে চলতি মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে। টেকনাফে বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান চৌধুরী বিবিসিকে বলেছেন,"যখন মিয়ানমার থেকে লোকজনের আসা-যাওয়া বেড়েছে তখন থেকে মাদক পাচারও বেড়ে গেছে। লোকজন দিনে-রাতে আসা-যাওয়া করছে এবং চেক (তল্লাশি) করতে গেলে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে।" মি: চৌধুরী আরও জানান, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের পথে নাফ নদীতে গত ১৫ই মার্চ এক রাতেই রোহিঙ্গাদের তল্লাশি চালিয়ে ১৮ লাখের বেশি ইয়াবা আটক করেছেন তারা। যা এ যাবতকালের মধ্যে আটক করা সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান বলেও তিনি জানান। মিয়ানমার থেকে গত অগাস্ট-এর পর বাংলাদেশে ঢুকেছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা, এখনো আসছে অনেকে। মি: চৌধুরীর ভাষায়, "মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে অনেক পরিবার বসবাস করে যারা বাংলাদেশ বা মিয়ানমারের ভেতরে ঢুকতে পারে না। মিয়ানমার থেকে তাদের সরবরাহ করা হয় এসব মাদক। সেগুলো তারা আবার বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা আসে তখন পাচার করে।" মি: চৌধুরী আরও বলেন, "অনেক জায়গায় রাতের আঁধারে হয়তো তারা সীমান্ত অতিক্রম করছে, তখন হয়তো তাদের আটকানো যাচ্ছে না। কিন্তু আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি। " তবে মানবিক কারণে অনেক সময় অনেককে তল্লাশিও করা যায় না বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা। "নারীরা যখন আসছে তাদের ক্ষেত্রে সবসময় চেক করা সম্ভব হয় না মানবিক কারণে। আবার অনেক সময় এত বেশি সংখ্যায় মানুষ ঢুকছে যে সবসময় চেক করা যায় না।" আরও পড়ুন: হয়রানি রুখে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশি নারীর গল্প ভারতে ট্রেনের চাকরির জন্য পিএইচডি ডিগ্রীধারীও মরীয়া কেন? মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে?
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তে রোহিঙ্গাদের নৌকায় নজরদারি আরও কড়াকড়ির ফলে উল্লেখযোগ্য হারে নিষিদ্ধ মাদকের চালান ধরা পড়ছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী, বাম পাশে দাঁড়ানো প্রিয়াংকা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার তারা একটানা দশ বছর বিরোধী আসনে বসতে চলেছে, যদিও তাদের আসন সংখ্যা এতটাই কম, যে আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের স্বীকৃতিও তারা পাবে না। ভারতের রাজনীতিতে 'দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি' বলা হয়ে থাকে যে দলটিকে, তারা মাত্রা ৫২টি আসন পেয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৪৪টি আসন। এরকম শোচনীয় ফলাফলের কারণ বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে দলের ভেতরে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলছিলেন, "যে সব ইস্যুর ভিত্তিতে আমরা প্রচার চালিয়েছি, যেমন নোট বাতিল, জি এস টি, দুর্নীতি - এইসব ইস্যুগুলো আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যে ঠিকমতো পৌঁছিয়ে দিতে পারি নি, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আবার ব্যাপক ধর্মীয় মেরুকরণের প্রচার আর জাতীয়তাবাদের ভাবনা দিয়ে যে মোহজাল বিজেপি সম্প্রসারিত করতে পেরেছে, সেই মোহজালটা আমরা ছিন্ন করতে পারি নি। এটা আমাদেরই দায়।" কংগ্রেস ও তার নেতা রাহুল গান্ধী এখন গভীর সংকটে বৃহস্পতিবার ভোটের ফলাফল যখন স্পষ্ট, তখনই একটি সংবাদ সম্মেলনে এসে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদীকে। অথচ এই রাহুল গান্ধীই কয়েকদিন আগে পর্যন্তও মি. মোদীকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক জনসভায় স্লোগান তুলেছেন চৌকিদার চোর হ্যায়। বিজেপি আর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের সোচ্চার হয়েছে তার দল। বিজেপি যখন উগ্র জাতীয়তাবাদ আর হিন্দুত্বের কথা বলেছে, তখন কংগ্রেস নিয়ে এসেছে বেকারত্ব, নোটবাতিল, কৃষকদের সমস্যার কথা -- যেগুলো ভারতের কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা। কিন্তু ভোটের ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে কংগ্রেসের কথা খুব বেশী মানুষ কানেই তোলেন নি। আনন্দবাজার পত্রিকার অবসরপ্রাপ্ত বার্তা সম্পাদক রজত রায় বলছিলেন, এই নির্বাচনে হেরে গিয়ে কংগ্রেস সঙ্কটে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু দলটার সঙ্কট আরও অনেক গভীরে। "যখন থেকে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নানা রাজ্যে আঞ্চলিকদলগুলো তৈরী হতে শুরু করল, কংগ্রেসের সঙ্কটের শুরুটা তখন থেকেই। যে সর্বভারতীয় বৈশিষ্ট্য ছিল কংগ্রেসের সেটা ধীরে ধীরে খর্ব হতে থাকল। পরে যদিও নানা আঞ্চলিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়ায় গেছে তারা। একই সঙ্গে তারা অন্য আরেকটা বিপদেরও সম্মুখীন হয়েছে," বলছিলেন মি. রায়। তার কথায়, "স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তরাধিকারী হিসাবে তাদের যে একটা সর্বভারতীয় আখ্যান বা ন্যারেটিভ ছিল, সেটাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল যখন বিজেপি হিন্দুত্ববাদ, দেশ আর জাতীয়তাবাদের মিশ্রণে একটা নতুন আখ্যান নিয়ে হাজির হল।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পদত্যাগ করছেন মোদীর জয় বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয়: রওনক আম পাড়ার ক্যালেন্ডার নিয়ে মানুষ কতটা সচেতন? মোদীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার ভোটাররা কানে তোলেন নি "সেটাকে প্রতিহত করার প্রচেষ্টা যে কংগ্রেস খুব একটা করেছে, এমনটা চোখে পড়ে নি। তার ফলে বিজেপি-র নতুন আখ্যানটাই কিন্তু সংখ্যগরিষ্ঠ হিন্দুদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠল ধীরে ধীরে।" কিন্তু বিজেপি-র বিরুদ্ধে তো কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্যাপক সরব হয়েছিলেন বিগত লোকসভার বিতর্কগুলোতে আর নির্বাচনী জনসভাগুলোতে। তাহলে কি গান্ধী পরিবারের কথায় সাধারণ মানুষ আর বিশ্বাস করতে পারছেন না? দিল্লিতে কর্মরত সংবাদ প্রতিদিন কাগজের সিনিয়ার সংবাদিক নন্দিতা রায়ের কথায়, শুধু গান্ধী পরিবার নয়, আজকাল আর কোনও পরিবারের নামেই মানুষ ভোট দেন না। পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাস ভোটারদের আর আকৃষ্ট করে না। "বৃহস্পতিবার যে ফল ঘোষণা হয়েছে, সেদিকে তাকালেই দেখবেন রাজনৈতিক পরিবারগুলোর উত্তরাধিকারীরা বেশীরভাগ জায়গাতেই কিন্তু হেরেছেন। মানুষের কাছে আসলে আর এই পারিবারিক ঐতিহ্যগুলো কোনও অর্থ বহন করে না।" "গান্ধী পরিবার নিশ্চই স্বাধীনতা আন্দোলনে বা স্বাধীন ভারতে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু যারা কম বয়সী ভোটার, তাদের কাছে তার কোনও মূল্যই তো নেই। তারা পারফরম্যান্স দেখে এখন ভোট দেয়," বলছিলেন নন্দিতা রায়। রজত রায়েরও বক্তব্য, "গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্য ভাঙ্গিয়ে আর কতদিন ভোট চাওয়া যেতে পারে! কিন্তু তার মানে এই নয় যে গান্ধী পরিবার শেষ হয়ে গেল এই একটা ভোটেই। রাহুল গান্ধীর বয়স কম। তাই নিজেকে উন্নীত করার এখনও অনেক সময় আছে তার হাতে।" নরেন্দ্র মোদী শোচনীয় ফলাফলের পরেই প্রশ্ন উঠেছে যে রাহুল গান্ধী কি পদত্যাগ করবেন কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে? কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, "তাকে সরিয়ে দিয়ে নেতৃত্বে আনা যেতে পারে, এমন একটি নামও তো আমি ভেবে পাই নি। কে নেতৃত্ব দেবে দলকে?" সভাপতি পদ থেকে এখনই রাহুল গান্ধী যে সরছেন না, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। কিন্তু তার নেতৃত্বে কংগ্রেস আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কী না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি'র উত্থানের তাৎপর্য কী? ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদীর বিজয় কী বার্তা দিচ্ছে আবার মোদী সরকার: কী প্রত্যাশা হবে বাংলাদেশের?
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল ভোটে জয়ের উল্টোদিকে রয়েছে কংগ্রেসের দ্বিতীয়বারের মতো ভরাডুবি।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
গির্জার ভেতর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বালি দ্বীপে ২০০৫ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর ইন্দোনেশিয়াতে এটাই এ ধরনের সবচেয়ে বড় হামলা। তবে এই হামলায় যে বিষয়টি অনেককেই বিস্মিত করছে তা হলো, মাত্র একটি পরিবারের সব সদস্য মিলে সমন্বিতভাবে এই হামলাগুলো চালিয়েছে। দুই বাচ্চাকে নিয়ে মা একটি গির্জায় হামলা চালায়। আর বাবা এবং তিন ছেলে আরো দুটি হামলায় অংশ নেয়। বলা হচ্ছে, পিতা বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে যান পেন্টেকোস্টাল গির্জার কাছে। তারপর হামলাটি চালানো হয়। পুলিশ বলছে, মায়ের সাথে ছিল তার দুই কন্যা। তাদের বয়স ৯ ও ১২। তারা তাদের শরীরে বোমা বেঁধে আরেকটি গির্জায় গিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেয়। ছেলেদের বয়স ১৬ এবং ১৮। তারা হামলা চালায় মোটর সাইকেলে করে। ইসলামিক স্টেট এসব হামলায় দায় স্বীকার করেছে। আরও পড়তে পারেন: কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ও সরকার মুখোমুখি কুকুরের প্রেমে ভারতে থেকে গেলেন ব্রিটিশ দম্পতি পিরামিডের নিচে হাজার বছর আগের নৌকার খোঁজে বাসে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুনের অভিযোগে গ্রেফতার ইন্দোনেশিয়ায় ৯০ শতাংশ জনগণই মুসলিম । তবে সেদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ রয়েছে। সুরাবায়া নামে যে শহরের তিনটি গির্জায় এই আত্মঘাতী হামলা হয়েছে সেটি ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। প্রথম হামলাটি হয় স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শহরের সান্তা মারিয়া গির্জায়। পুলিশ জানিয়েছে, মোটর বাইক ব্যবহার করে ঐ হামলা চালানো হয়। দ্বিতীয় হামলাটির লক্ষ্য ছিল পেন্টেকোস্টাল নামে আরেকটি গির্জা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তৃতীয় গির্জাটিতে হামলা চালিয়েছে বোরখা পরা এক বা একাধিক নারী। বলা হচ্ছে, শহরের আরো কিছু গির্জায় হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহনশীল হিসাবে ইন্দোনেশিয়ার সুনাম রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োকা উইদোদো আক্রান্ত গির্জাগুলো দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক খুঁজে বরে করে এই সমস্যার মূলোৎপাটনের জন্য তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উচিৎ সন্ত্রাস এবং কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইতে সামিল হওয়া, কারণ 'এই সন্ত্রাস ধর্মের এবং ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী।' মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহনশীল হিসাবে ইন্দোনেশিয়ার সুনাম রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কট্টর ইসলাম সেখানে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল ২০০৫ সালে হিন্দু অধ্যুষিত বালি দ্বীপে। সেসময় মারা গিয়েছিল বিদেশী পর্যটকসহ ২০ জন।
ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া শহরে তিনটি গির্জায় চালানো আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
২০২১এর বইমেলা অনলাইনে করার পরিকল্পনা করছে বাংলা একাডেমি তারা প্রশ্ন তুলছেন, বাংলাদেশে শপিং-মল, কলকারখানা এবং গণ-পরিবহন সহ সবই যেহেতু স্বাভাবিক নিয়মে চলছে, সেক্ষেত্রে কেন বই মেলা বন্ধ রাখা হবে? বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা বলছেন, বইমেলা আয়োজনের জন্য তারা আরো আগে থেকেই প্রস্তুত নেয়া শুরু করেছিলেন। তাদের আশা ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির হয়তো উন্নতি হবে। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাংলা একাডেমি ভিন্ন চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক ড. জালাল আহমেদ। "আমাদের নির্বাহী পরিষদ, বাংলা একাডেমির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠান, সেটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় আপাতত বইমেলা স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা আবার বইমেলা শুরু করবো।" ড. জালাল আহমেদ. পরিচালক, বাংলা একাডেমি। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ভার্চুয়াল বইমেলা আয়োজন করা যেতে পারে বলে মনে করছে বাংলা একাডেমি। লেখক এবং প্রকাশকরা বলছেন, বইমেলার প্রকৃত আবহ ভার্চুয়াল বইমেলার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়। ভার্চুয়াল বইমেলাকে সমর্থন করছেন না লেখক সাদিয়া নাসরিন। লেখক সাদিয়া নাসরিন বলেন, "বইমেলা শুধু বই কেনা-বেচার জায়গা না। এখানে লেখক এবং পাঠকের মধ্যে যোগাযোগেরও জায়গা। এখানে আড্ডা হয়, গল্প হয়। এতবড় একটি জিনিস অনলাইনে করা সুন্দর বা সুখময় কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না।" প্রকাশকরা মনে করেন, একটু পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই বইমেলা আয়োজন করা সম্ভব। আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস : আগামী ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হবে অনলাইনে একুশের বইমেলায় ভিন্নমতের বই কতটা বেরুচ্ছে? জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার রাজিয়া রহমান বলেন, প্রতি বছর বইমেলার জন্য প্রকাশকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এজন্য নতুন প্রকাশিতব্য বইয়ের পাণ্ডুলিপি এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, লেখক এবং প্রকাশকরা বইমেলাকে কেন্দ্র করে তাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে প্রতি-ঘণ্টায় কতজন দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবে সেটি নিশ্চিত করার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে বলে মত দেন জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার রাজিয়া রহমান। তিনি মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধির মানার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে বইমেলা আয়োজনে কোন সমস্যা দেখছেন না এই প্রকাশক। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে অমর একুমে গ্রন্থমেলা রাজিয়া রহমান বলেন, "মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে বইমেলার যে আবহটা সেটা তো ভার্চুয়াল বই মেলায় সম্ভব না। " তিনি প্রশ্ন তোলেন, "যেহেতু সবকিছুই চলছে, অন্য কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে কোন বাধা নেই। সবগুলো মার্কেট খোলা আছে, উড়োজাহাজ থেকে শুরু করে বাস, ট্রেন সবই চলছে। শুধু বইমেলা বন্ধ রেখে কী লাভ? " বাংলা একাডেমি বলছে, অন্য যে কোন জায়গার তুলনায় বই মেলায় লোক সমাগম বেশি হয়। এমন অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন একাডেমির কর্মকর্তারা । বাংলা একাডেমির অন্যতম পরিচালক ড. জালাল আহমেদ বলেন, ভার্চুয়াল বইমেলা সংক্রান্ত বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বিষয়টি মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলে বাংলা একাডেমি সেটি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন ড. আহমেদ। তবে ভার্চুয়াল বইমেলা কিভাবে আয়োজন করা হবে সেটির বিস্তারিত এখনো ঠিক হয়নি। এজন্য একটি সফটওয়্যার বানানোর কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে ২০২১ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি নিয়েছে সেটির কড়া সমালোচনা করছেন লেখক ও প্রকাশরা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
গত বছর অক্টোবর মাসে রঞ্জন গোগৈ ভারতের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। পঁয়ত্রিশ বছর-বয়স্ক এই নারী এক হলফনামায় গত বছর অক্টোবর মাসে ঘটা দুটি অসদাচরণের অভিযোগ করছেন। এর কিছুদিন আগেই মি. গোগৈ ভারতের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। তবে এক বিবৃতিতে বিচারপতি গোগৈ এসব "ভুয়া অভিযোগ" "সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার" করেছেন। ভারতের "বিচার ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট" করার জন্যই এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তিনি বলছেন। যৌন নির্যাতনের ওপর হলফ-নামাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভারতের আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী নারীর পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। হলফনামায় ঐ বিবাহিত নারী বলছেন, গত ১০ এবং ১১ই অক্টোবর মি. গোগৈ-এর বাড়ির অফিসকক্ষে নিপীড়নের ঘটনাগুলো ঘটে। ঐ হলফনামায় তিনি জানান, মি. গোগৈ "আমার কোমর জড়িয়ে ধরেন, আমার সর্বাঙ্গে হাত বুলান," এবং শরীর দিয়ে ঐ মহিলার দেহ চেপে ধরেন। ঐ নারী তখন দু'হাত দিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভবন। এরপর ঐ নারীকে তিন বার বদলি করা হয় এবং গত ডিসেম্বর মাসে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। মহিলার স্বামী এবং ভাইকেও তাদের চাকরিতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে হলফনামায় বলা হয়েছে।। কী বলছেন প্রধান বিচারপতি? মি. গোগৈ-এর তরফ থেকে প্রথম জবাব আসে সুপ্রিম কোর্টের মহাসচিবের মাধ্যমে। এতে বলা হয় "অভিযোগগুলি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং কুৎসিত"। এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির সাথে যোগাযোগের কোন সুযোগ ঐ নারীর ছিল না। শনিবার মি. গোগৈ নিজেই সুপ্রিম কোটের একটি বিশেষ বেঞ্চের সামনে এনিয়ে তার বক্তব্য দিয়েছেন। "এসব অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য যে নীচতা, আমি এত নীচে নামতে চাই না," তিনি বলেন, "আমি সুপ্রিম কোর্টের সব কর্মচারির প্রতি সমান শ্রদ্ধা বজায় রাখি।" আরও পড়তে পারেন: 'আমাদের সঙ্গে দাসীর মতো ব্যবহার করা হতো' 'ধর্ম অবমাননা', তোপের মুখে অস্ট্রিয়া প্রবাসী ব্লগার সাপের ভয়ে অফিস যাচ্ছেন না লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগৈ'র বিরুদ্ধে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক কর্মকর্তা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ইসরায়েলি যে বিমানটি তেল-আবিব থেকে আবুধাবিতে গেছে, তার গায়ে ইংরেজি, হিব্রু এবং আরবিতে লেখা হয়েছে ‘শান্তি‘ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ১৩ই অগাস্ট যে চুক্তি হয়েছে, তারপর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের সূচনা হলো। ইসরায়েলি বিমান সংস্থা এল আলএর এলওয়াই-৯৭১ ফ্লাইটটি সৌদি আকাশ সীমার ওপর দিয়ে তিন ঘণ্টায় আবুধাবিতে নামে। ইউএই‘র আন্তর্জাতিক টেলিফোন ডায়াল কোড ৯৭১, এবং তার সূত্রেই বিশেষ এই ফ্লাইটির নম্বর ঠিক করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে যেমন এই প্রথম কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট, তেমনি এই প্রথম সৌদি আরব কোনো ইসরায়েলি বিমানকে তার আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিল। তেল আবিবে বিমানে উঠছেন ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তারা গতকাল (রোববার) ইসরায়েলি একটি টিভি চ্যানেলের (কান) এক রিপোর্টে বলা হয় যে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সৌদি আরব হয়তো শেষ মূহুর্তে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি বাতিল করতে পারে। তবে তা হয়নি। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ের জামাই এবং উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়ান এবং ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেইর বেন-শাবাত। জানা গেছে, মি কুশনারের গোপন মধ্যস্থতায় এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয়েছে। শনিবার আমিরাত সরকার ১৯৭২ সালে জারি করা ইসরায়েলকে বয়কটের আইনটি বাতিল করে। এছাড়া, এ মাসের গোঁড়ার দিকে প্রথমবারের মত দুই দেশের মধ্যে টেলিফোন সার্ভিস চালু হয়। আগামী দুই দিনে ইসরায়েল এবং আমিরাতের কর্মকর্তারা বসে তাদের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং মাত্রা ঠিক করবেন। আবুধাবিতে ইসরায়েলি বিমান থেকে নামছেনে ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা টম বেটম্যান বলছেন, ইউএই এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত তিনটি দেশই নানাভাবে লাভবান হওয়ার আশা করছে - আরবদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা ইসরায়েলের রয়েছে সে পথে তারা অনেকটাই এগিয়েছে, ইসরায়েলের অসামান্য প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা শক্তি থেকে ইউএই লাভবান হওয়ার আশা করছে, এবং নভেম্বরর নির্বাচনে দেশের ভেতর চাপে পড়া মি. ট্রাম্পের আশা মধ্যপ্রাচ্যে এই চুক্তি তাকে নির্বাচনে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। লাইনে সৌদি আরব, ওমান, সুদান সন্দেহ নেই এই চুক্তি সর্বদা বিভক্ত মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে। রোববার মি নেতানিয়াহুর সাথে এক বৈঠকের পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রায়ান বলেন, ইউএইর পথ ধরে আরো মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে। তিনি কোনো দেশের নাম করেননি. কিন্তু ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ইদানীং খোলাখুলিভাবে ওমান, সৌদি আরব, সুদান এবং মরক্কোর নাম করছেন। ফিলিস্তিনরা মনে করছে এমন অবজ্ঞার শিকার তারা আর কখনই হয়নি। তাদের আশঙ্কা, দখলীকৃত জমি ফিরে পেয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টিতে আরবে বিশ্বের যে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা এতদিন ছিল ইউএই তা দুর্বল করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি দিনদিন প্রসারিত হচ্ছে, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই বাস্তব পরিস্থিতির দিকে চোখ বন্ধ রেখে ইসরায়েলের সাথে চুক্তি করেছে। ‘শান্তির বদলে শান্তি‘- নেতানিয়াহু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু এক টুইটে আজকের ফ্লাইটকে 'শান্তির বদলে শান্তি'র একটি উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সংবাদদাতারা বলছেন, দখল করা ফিলিস্তিনি ভূমিকে ব্যবহার করে আরব বিশ্বের সাথে শান্তি স্থাপন সম্ভব বলে তার যে বিশ্বাস এই টুইটের ভেতর দিয়ে মি. নেতানিয়াহু সেটাই পুনর্ব্যক্ত করেছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অংশ করে নেওয়ার যে পরিকল্পনা মি.নেতানিয়াহু করেছিলেন, ইউএইর সাথে চুক্তির বিনিময়ে তিনি সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে রাজী হয়েছেন। তবে তার এই প্রতিশ্রুতিতে ফিলিস্তিনিরা একেবারেই ভরসা রাখতে পারছে না। ইউএই‘র আগে আরব বিশ্বর মাত্র দুটি দেশ - মিশর এবং জর্ডান- ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মিশর ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করে ১৯৭৮ সালে এবং জর্ডান করেছে ১৯৯৪ সালে। আরব লীগের আরেক সদস্য মৌরতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও, ২০১০ সালে সম্পর্ক ছেদ করে দেয়।
ইসরায়েল এবং আমেরিকান কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই-দেশের মধ্যে প্রথম যে বাণিজ্যিক বিমানটি তেল-আবিব থেকে আবুধাবিতে গেছে, তার গায়ে ইংরেজি, হিব্রু এবং আরবিতে লেখা হয়েছে ‘শান্তি‘।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নানা কারণে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বহু রোহিঙ্গা শিশু পালিয়ে আসতে গিয়ে অনেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তাদের প্রিয়জন থেকে। তেমন মানুষদের স্ব-উদ্যোগে সহায়তা করছেন কামাল হোসেন নামে আরেকজন রোহিঙ্গা শরণার্থী। প্রায় কুড়ি বছর ধরে তিনি নিজেই উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা। আগস্টের ২৭ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাতশো পরিবারকে তাদের ছেলেমেয়েদের সাথে পুনরায় মিলিত হতে সহায়তা করেছেন তিনি। কামাল হোসেন বিবিসি বাংলাক বলেছেন তিনি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন তার বয়স ছিল নয়। ১৯৯৮ সালে তিনি মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হয়ে চলে এসেছিলেন বাংলাদেশে। তিনি এসেছিলেন একাই বাবামাকে না জানিয়ে এবং ক্যাম্পে থাকার জন্য নথিবদ্ধ হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক একটি ত্রাণ সংস্থায় গার্ডের কাজ করেন কামাল হোসেন। বলছিলেন এত লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এসে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। "এরা আসতেছে- কিন্তু গ্রাম চিনেনা - পথঘাট চিনেনা। তারা কখনও বাংলাদেশে আসে নাই। এদিক ওদিক যেতে গিয়ে অনেক বাচ্চার থেকে আম্মা হারায়ে যাচ্ছে, কারও আত্মীয় স্বজন হারায়ে যাচ্ছে। খুঁজে পাইতেসে না। " পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বড় সমস্যা পরিবার থেকে শিশুরা যেন বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে কামাল হোসেন বলছিলেন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল বাংলাদেশে ঢোকার পর একদিন তিনি দেখেন তার অফিস গেটের সামনে দাঁড়িয়ে এক মহিলা কাঁদছেন। "একটা মহিলা আমার গেটের সামনে আসি কান্নাকাটি করতেসে। আমি জিজ্ঞাস করার পর উনি বলতেসে আমার একটা ছেলে আজকে দুদিন ধরে হারিয়ে গেছে, আমি খুঁজে পাইতেসি না।" "সারাদিন ডিউটি করার সময় চিন্তা করি করি আমার মনে হল অনেক মানুষ রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতেছে, টাকাপয়সা, জিনিসপত্র দিতেছে, আমার তো ওইধরনের কোন সম্পদ নাই। আমি তো কিসু করতে পারতেসি না। তালে আমি যদি মাইকিং দিয়ে বাচ্চাগুলো যারা হারিয়ে যায়,তাদের মা-বাপেরে যদি খুঁজে দিতে পারি, তাহলে যারা ত্রাণ দিতেসে, ওদের মত ওইধরনের সোয়াবগুলো আমি পাব।" ২৭শে সেপ্টেম্বর কামাল হারিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে আবার মিলিয়ে দেবার কাজ প্রথম শুরু করেন। তিনি বলছিলেন তার নিজের পকেট থেকে তার বেতনের ৩০০০ টাকা দিয়ে তিনি চার দিনের জন্য একটা মাইক ভাড়া করেছিলেন মাইকিং করার জন্যে। "চারদিন পর যখন সময় চলে গেসে, আমি মাইক ফেরত দেবার জন্য যাচ্ছি, তখন ইউএনএইচসিআর আমার সঙ্গে কথা বলল- বলল আপনি তো নিজের টাকা খরচ করি মাইকিংটা করতেসেন। এখন আপনার তো সময় চলে গেছে- আপনি তো মাইকগুলো ব্যাক দিতে চান। তালে আমরা মাইকগুলার ভাড়া দেব, কিন্তু আপনি একটু হেল্প করতে পাবেন কীনা?" এরপর রাজি হয়ে তিনি সেখানে একটা বোর্ড তৈরি করে টাঙালেন হারানো পরিবারদের মিলিয়ে দেবার জন্য। সেখান থেকেই তিনি শুরু করলেন মাইকিং করতে। তিনি বলছিলেন কোনো ছেলে হারিয়ে গেলে তিনি তাকে তার গ্রামের নাম জিজ্ঞেস করেন, তার নাম, তার আব্বা-আম্মার নাম,তার বয়স এসব নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তারপর মাইকিং করতে থাকেন। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটা বড় অংশ নারী ও শিশু ২৭শে সেপ্টেম্বর থেকে মাইকিং করে এ পর্যন্ত ৭৩৭জন হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাকে তিনি বাবা-মার হাতে তুলে দিয়েছেন। কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের পর তবেই তিনি বাচ্চাদের ফিরিয়ে দেন সঠিক বাবা-মায়ের কাছে। "যখন একটা ছেলে হারিয়ে যায়, তখন মাইকিং করার পরে আব্বা আম্মা যখন ফিরে আসে আমার কাছে, তখন তাদের কত আনন্দ হয়, ওই সময় আমারও আনন্দ লাগে।" কামাল হোসেন বলছেন হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাটাকে সঠিক বাবামায়ের কাছে তিনি যে ফিরিয়ে দিতে পারছেন এটা তার জন্য একটা বিরাট আনন্দের অনুভূতি। তিনি যখন খুবই ছোট তখন নাসাকা বাহিনী তাকে দিয়ে কুলির কাজ করানোর চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে চলে এসেছিলেন বাংলাদেশে- বিবিসিকে বলেন কামাল। এর কয়েক বছর পর তার বাবামা বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও বহুদিন বাবামায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন তিনি। তিনি মানুষ হয়েছিলেন আরেকজনের আশ্রয়ে। পরে বাবামাকে খুঁজে পান কামাল। তাই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কষ্ট তিনি জানেন আর ব্যক্তিগত সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এখন হারিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের বাবামায়ের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলে বলছিলেন কামাল হোসেন।
২৫শে আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ছয়লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ যে নেতারা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে বৈঠক করার পর আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন - তারা এখন বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই নাটকীয় মোড় পরিবর্তন ঘটেছে মঙ্গলবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনের চেহারাই ছিল অন্যরকম। দিনের প্রথমদিকে সেখানে চলছিল কোটা-সংস্কার প্রশ্নে সরকারের সাথে সমঝোতার পক্ষে বিপক্ষে সমাবেশ আর পাল্টা সমাবেশ। রোববার ছাত্র অধিকার পরিষদের যে নেতারা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছিলেন তারা সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু এ সমঝোতা বিক্ষোভরত ছাত্রদের একাংশ মেনে না নিলে দৃশ্যত: ছাত্র অধিকার পরিষদেই একটা বিভক্তি দেখা দেয়। মঙ্গলবার সকালে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধী একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে একজন ছাত্রী বলছিলেন, সরকারের বক্তব্যে তারা ভরসা পাচ্ছেন না এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান। তারা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের একমাস সময় নেয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কোটা সংস্কার: আন্দোলনের নেপথ্যে কী ঘটছে ছবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন মেয়েরা কেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে এতটা সম্পৃক্ত? কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা মন্ত্রীর সাথে আলোচনাকারী নেতাদের একজন মোহাম্মদ উজ্জ্বল বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে আন্দোলন স্থগিত করেছেন। যারা এর পরও আন্দোলন করছে তাদের ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, এর মধ্যে বিভিন্ন চক্রান্ত ঢুকে গেছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলন চালানোর পক্ষের ছাত্রদের একজন নেতা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তাদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক চেহারা দেবার চেষ্টা হচ্ছে। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে পাল্টা সমাবেশ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক ছাত্রলীগ। তাদের নেতারা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভিসির বাসভবনে হামলা ও নানা রকম গুজব ছড়ানোর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। কিন্তু বিকেলে দেখা যায় পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন। সরকারের মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এই আন্দোলন সম্পর্কে সংসদে দেয়া এক বক্তব্যে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যারা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন - তারাই আবার আন্দোলনরতদের সাথে মিলে গিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে নেন। ফলে ছাত্র অধিকার পরিষদে আগে একটা বিভক্তি তৈরি হলেও মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে আবার তারা এক হয়ে গেছেন। এ আন্দোলনে মেয়েদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয় পরিষদের একজন নেতা মোহাম্মদ রাশেদ খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে বৈঠকের পর সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোরণন স্থগিত করেছিলেন, কিন্তু মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যে তারা ক্ষুব্ধ। তারা দাবি করেন, মতিয়া চৌধুরীকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে এ জন্য দু:খ প্রকাশ করতে হবে। শেষ খবর পর্যন্ত মতিয়া চৌধুরীর দিক থেকে অবশ্য কোন দু:খ প্রকাশের খবর আসে নি। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী এ. এম. এ. মুহিতের একটি বক্তব্যও ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে - যাতে তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের ব্যাপারটা বাস্তবায়নের প্রশ্ন আসবে বাজেটের পর। এ নিয়ে ছাত্র নেতারা বলছেন, তাদের মধ্যে সরকারের অবস্থান নিয়েই সংশয় তৈরি হচ্ছে - কারণ সরকার একদিকে ছাত্রনেতাদের আশ্বাস দিচ্ছেন, অন্যদিকে সিনিয়র মন্ত্রীরা আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বলছেন, সে কারণেই তারা আবার আন্দোলনে ফিরে গেছেন। তারা বলছেন, এখন প্রধানমন্ত্রীকে ঘোষণা দিতে হবে যে তাদের এই দাবির ব্যাপারে কি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। তারা ঘোষণা করেন, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট এবং ক্লাস বর্জন করা হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসগুলোতে অবস্থান এবং অবরোধ পালন করা হবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া-না-যাওয়া নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা বিভক্তি তৈরি হলেও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এক উক্তিতে ক্ষুব্ধ হয়ে আবার এক হয়ে গেছেন তারা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ : তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন যেন তিনি সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করেন - যে মি. বাইডেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী। ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্যরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে মি. ট্রাম্পকে অভিশংসন করার জন্য অনুসন্ধান শুরু করেছেন। কিন্তু এর মাধ্যমে কি মি. ট্রাম্পকে আসলে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে? এ প্রশ্নের জবাব পেতে হলে দেখতে হবে যে প্রক্রিয়াটা ঠিক কীভাবে কাজ করে। 'এক কঠিন ও বিরল প্রক্রিয়া' অভিশংসন বা ইমপিচমেন্ট মানে হচ্ছে কোন সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিকে পার্লামেন্টে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করা। একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার কথা মার্কিন সংবিধানে আছে, তবে কাজটা সহজ নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প: অভিশংসন প্রচেষ্টার পেছনে কী? ট্রাম্প কি আবারো অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন? মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ প্রথমত: মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধ বা অসদাচরণের অভিযোগ আনতে হবে, তার পর উচ্চকক্ষ সেনেটে এক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। এটা বেশ কঠিন এবং বিরল একটি প্রক্রিয়া। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে শুনানীর পর অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হতে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট, প্রস্তাবের পক্ষে পড়তে হবে মোট ২১৮টি ভোট। কিন্তু ১০০ সদস্যের সেনেটে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হলে লাগবে দু-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ অন্তত ৬৭ জন সেনেটরের সমর্থন। অতীতে অভিশংসিত দুজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের একজন বিল ক্লিনটন এটা হবার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বর্তমান সেনেটে ট্রাম্প সমর্থক রিপাবলিকান সেনেটার আছেন ৪৭ জন। ফলে ইমপিচমেন্টের পক্ষে সেনেটে ৬৭ ভোট মিলবে না বলেই মনে হয়। তাহলে অতীতে কী হয়েছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মাত্র দু'বার দু'জন প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হয়েছেন। এ্যান্ড্রু জনসন ১৮৬৮ সালে, এবং বিল ক্লিনটন ১৯৯৮ সালে। তবে তাদের পদ ছাড়তে হয় নি। সেনেটের বিচার প্রক্রিয়ায় দু'জনেই খালাস পান। তবে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ওয়াটারগেট কেলেংকারির কারণে ইমপিচ হবার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। অভিশংসনের শুনানি টিভিতে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ লোক এবারে দেখা যাচ্ছে, মি. ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাস হলেও সেনেটে হবে না। এই সেনেটে এসেই বহু প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাদের সদস্য সংখ্যা ২৩৩। তবে সেনেটে রিপাবলিকানদের আছে ৪৭টি আসন। তাই অভিশংসনের প্রস্তাব দু-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, যদি না রিপাবলিকান সেনেটররাও মি. ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দেন। তাহলে এই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া আদৌ হচ্ছে কেন? বিবিসির বিশ্লেষক এ্যান্টনি জার্কার বলছেন, এ প্রশ্নের উত্তর আছে মার্কিন নির্বাচন-পূর্ব রাজনীতির হিসেব-নিকেশে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধ অভিশংসনের চেষ্টা হবে কিনা এ নিয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ভেতরে আলোচনা-বিতর্ক হয়েছে। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি অভিশংসনের পক্ষে যে ডেমোক্র্যাটরা, তারা মনে করেন অভিশংসনের একটা আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হবে আমেরিকান জনমতে পরিবর্তন আনা। তাদের মতে, মার্কিন জনমত এখন এর পক্ষে না থাকলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগৃহীত হলে এবং তা জোরালোভাবে উপস্থাপিত হলে জনগণ এর পক্ষে আসবে। অনেক ডেমোক্র্যাট মনে করেন, অভিশংসন একটা নৈতিক দায়িত্ব, কারণ প্রেসিডেন্ট তাদের মতে প্রেসিডেন্ট আইন ভেঙেছেন, তার শপথবাক্য লংঘন করেছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তার অর্থ হবে এতে পরোক্ষ সম্মতি দেয়া এবং আরো আইন ভাঙতে তাকে উৎসাহিত করা। তবে এটা রাজনৈতিকভাবে বিজয়ী হবার মতো ইস্যু হবে কিনা - এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট শিবিরের মধ্যে বিতর্ক হয়েছে। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সহ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ইমপিচমেন্ট করতে গেলে উল্টো রিপাবলিকানদের ভিত্তিই সংহত হতে পারে, এবং মধ্যপন্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হতে পারে - কারণ তারা চান কংগ্রেস নীতিনির্ধারণী ইস্যুর দিকেই মনোযোগ দিক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি সত্যি অভিশংসিত হবেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য শুনানীর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। কংগ্রেস কমিটির সামনে এখন সাক্ষীদের শুনানি ও জেরা চলছে। এটি একটি প্রকাশ্য প্রক্রিয়া এবং মার্কিন জনগণ টিভির পর্দায় প্রতিদিনের শুনানি দেখছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের আটটিতে কোভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য জানায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ৫০০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, "পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ভাইরাস যেন আরো মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিস্বত্ত্বর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।" তিনি বলেন, "বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটি যদিও একটি ইঙ্গিত যে ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ক নজরদারি কার্যকরভাবে হচ্ছে, তবে কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে যে আমাদের আরো জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে সেটিও স্পষ্ট।" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শনাক্তকরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা, আইসোলেশন ও রোগীর সাথে কারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের শনাক্তের ওপর। ডক্টর ক্ষেত্রপাল সিং হাত ধোয়া, হাঁচি ও কাশি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, "শুধু এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।" তবে বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে যদি ভাইরাস ছড়িয়েই পড়ে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে দেশগুলোকে আরো শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস তখন জরুরি অবস্থায় নেয়া পদক্ষেপের পরিধি এবং গুরুত্ব আরো বাড়াতে হবে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য সেবা এবং হাসপাতালের নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সামান্য আক্রান্তদের স্বেচ্ছা প্রণোদিত আইসোলেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের আটটিতে কোভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি:
দক্ষিণ পূ্র্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠিন সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলছে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
তুমুল সমালোচনার মুখে গত মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ১২টি ক্লাবের মধ্যে নয়টি ক্লাবই নাম প্রত্যাহার করে নেয়। ব্রিটেনের শীর্ষ ছয়টিসহ বারোটি ক্লাব ইএসএল নামের একটি নতুন টুর্নামেন্টে যুক্ত হয়েছে এমন খবর বের হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। ক্লাবগুলোর সমর্থক ও সাবেক ফুটবলাররা এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে একাট্টা হন। তবে বার্সেলোনা ও রেয়াল মাদ্রিদসহ তিনটি ক্লাব এখনো ইএসএল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মত কোন সিদ্ধান্তে যায়নি। ফুটবল নিয়ে আরো পড়ুন: রেয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ স্পেনের একটি দৈনিক পত্রিকা এএসের কাছে পেরেজ বলেন, "বাধ্যবাধকতাসহ যে চুক্তি হয়েছে সেটা আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই আমার, আসলে ক্লাবগুলো চলে যেতে পারবে না।" "চাপের মুখে কিছু ক্লাব বলেছে তারা থাকবে না। কিন্তু এই প্রজেক্ট হোক কিংবা এর কাছাকাছি কিছু সামনে আগাবেই। আমি আশা করছি দ্রুত সামনে আগাবো আমরা।" আমেরিকার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান এই প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করছে -এমন খবরকেও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন মি. পেরেজ। ইএসএলের সাথে জড়িত ক্লাবগুলোকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ইউরো দেয়ার কথা জেপি মরগানের। "এই ১২টি ক্লাব যেভাবে পুনরায় ভাবছে, বিনিয়োগকারীরাও ভাবছে কী হবে কী হতে পারে। আমাদের কিছু পরিবর্তন যদি আনতে হয় সেটা আনবো কিন্তু সুপার লিগই এখন পর্যন্ত আমাদের ভাবনায় সেরা প্রজেক্ট।" পেরেজ বৃহস্পতিবার বলেন, আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহ্যাম হটসপার সরে গেলেও ইএসএল 'স্ট্যান্ডবাই' অবস্থায় আছে। গত সপ্তাহের রোববার ১২টি ক্লাব মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ঘোষণা দেয় যা দুই দিনের মধ্যে তুমুল সমালোচনার মুখে অনেকটাই বানচাল হয়ে যায়। সুপার লিগকে ঘিরে যেসব পরিকল্পনা ছিল এই লিগে থাকার কথা ছিল ২০টি দল। ১২টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আরো তিনটি ক্লাব যেদের যোগ দেয়ার কথা। আরো পাঁচটি ক্লাব এখানে খেলানোর ভাবনা ছিল ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ভিত্তিতে। প্রতি বছরই অগাস্টে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু হয়ে সপ্তাহের মাঝে খেলাগুলো হওয়ার কথা। ১০ টি দল করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঘরের মাঠ ও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে। সেরা তিনটি করে দল কেয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যাবে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাবটি নিজেদের মধ্যে প্লে অফ খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে দুই লেগের নকআউট পর্ব শেষে প্রতি বছর মে মাসে একটি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা হবে। ইএসএল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে বেশি অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদি ছিল ক্লাবগুলো।
রেয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেছেন, যে ১২টি ক্লাব ইউরোপিয়ান সুপার লিগে (ইএসএল) নাম লিখিয়েছে তাদের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে এবং চাইলেই ছাড়তে পারবে না।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সালওয়া আট মাস আগে ক্যানাডায় চলে গিয়ে আশ্রয় নেন। আঠারো বছর বয়সী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন গত সপ্তাহে ব্যাংকক বিমানবন্দরের হোটেল কক্ষে নিজেকে অবরুদ্ধ করেন এবং আর বাড়ি ফিরে যাবেন না বলে ঘোষণা করে বিশ্বব্যাপী বিতর্কের সূচনা করেন। তিনি তার জন্মভূমি সৌদি আরব থেকে পালিয়েছেন। তাকে ঘিরে টুইটারে এক তীব্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ক্যানাডার সরকার রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুনকে আশ্রয় দিয়েছে। সৌদি আরবে নারীদের অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে বিতর্ক যখন চলছে তখন রাহাফ আল-কুনুনের মতো আরও একজন নারী এর আগে দেশ থেকে পালিয়ে ক্যানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন। তার নাম সালওয়া। চব্বিশ-বছর বয়সী এই নারী তার এক বোনকে নিয়ে সৌদির আরব থেকে পালিয়ে ক্যানাডায় চলে যান। এখানে তার নিজের বর্ণনাতেই পড়ুন তার কাহিনী: আরো পড়তে পারেন: চীন কি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ? বিমানে মাতাল যাত্রীকে নিয়ে আসলে কী হয়েছিলো ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোন বিভক্তির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে? ক্যানাডায় দেশান্তরী সৌদি নারী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন (মাঝখানে)। ঘর থেকে পালানোর প্রস্তুতি ছয় বছর ধরে আমরা দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু এটা করতে হলে আমাদের পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হতো। এই কাগজগুলো জোগাড় করতে হলে আমার অভিভাবকের সম্মতি লাগতো। (সৌদি আরবে নারীদের বহু কিছু পেতে হলে পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের সম্মতির প্রয়োজন হয়।) সৌভাগ্যক্রমে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছিলাম তখন আমার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করা হয়েছিল। আমার একটি পাসপোর্টও ছিল। কারণ একটি ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার জন্য পাসপোর্টের দরকার হতো। কিন্তু আমার পরিবার এগুলো আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাই, যে কোন উপায়ে আমাকে ঐ কাগজগুলো জোগাড় করা দরকার হয়ে পড়েছিল। তাই আমি আমার ভাইয়ের বাড়ির চাবি চুরি করি। এরপর চাবি তৈরির দোকানে গিয়ে সেগুলোর নকল তৈরি করি। রিয়াদে বাদশাহ্‌ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আরও পড়তে পারেন: মজুরি কাঠামো নিয়ে সমঝোতা: শ্রমিকরা মানবেন? মোবাইল ‍সেটও নিবন্ধন করতে হবে: যা জানা দরকার ভারতের নরমাংসভুক হিন্দু সাধুদের বিচিত্র জীবন আমি লুকিয়ে বাড়ি থেকে বের হই। কাজটা ছিল খুবই বিপজ্জনক। ধরা পড়লে সমূহ বিপদ ছিল। এভাবে নকল চাবি হাতে আসার পর আমার এবং আমার বোনের পাসপোর্ট দুটি আমার হাতে চলে আসে। একদিন আমার বাবা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন আমি তার মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করি এবং সেখানকার রেজিস্টার্ড ফোন নাম্বারটি বদলে আমার মোবাইল নাম্বার দিয়ে দেই। তার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই আমি দেশ ত্যাগের জন্য আমার বাবার অনুমতিপত্র জোগাড় করি। যেভাবে ছাড়তে হলো দেশ একরাতে সবাই যখন ঘুমচ্ছিল তখন আমরা দুই বোন গোপনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমরা গাড়ি চালাতে জানি না। সেজন্য ট্যাক্সি ডাকি। ঘটনাচক্রে সৌদি আরবে বেশিরভাগ ট্যাক্সি ড্রাইভার হলেন বিদেশি। ফলে, দুজন নারী নিজেরাই বিমানবন্দরে যাচ্ছেন, এটা নিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভারের মনে কোন প্রশ্নের উদয় হয়নি। আমরা রিয়াদে বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে রওনা হলাম। টরন্টোর পিয়ারসন বিমান বন্দর। কেউ যদি এটা লক্ষ্য করতো এবং যদি আমরা ধরা পড়তাম, তাহলে নির্ঘাত আমাদের মৃত্যু হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বছরটিতে আমি এক হাসপাতালে কাজ করে যে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। তা দিয়েই আমরা বিমানের টিকেট এবং জার্মানিতে ট্রানজিট ভিসা জোগাড় করি। সৌদি বেকার ভাতার কিছু অর্থও আমি জমিয়ে রেখেছিলাম। যাহোক, আমার বোনকে সাথে নিয়ে আমি জার্মানি-গামী বিমানে উঠে বসি। এটা ছিল আমার প্রথম বিমান ভ্রমণ। সেই অভিজ্ঞতা ছিল অনন্য। একদিকে যেমন খুশি ছিলাম, অন্যদিকে বেশ ভয়ও লাগছিল। বাড়ির সবাই সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন দেখলো আমরা দু'বোন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি তখন আমার বাবা পুলিশে খবর দেন। কিন্তু যেহেতু আমি বাবার ফোন নাম্বার বদলে দিয়েছিলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যখনই বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিল, সেই কলগুলো আমার ফোনে বেজে উঠছিল। জার্মানিতে বিমান নামার পরও আমি তাদের কাছ থেকে টেক্সট মেসেজ পাচ্ছিলাম। যেখানে যাত্রার শেষ ২০১৮ সালের জুন মাসে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানেরা অনুমতি দেয়া হয়। সৌদি আরবে আমাদের যেটা ছিল তাকে ঠিক জীবন বলা চলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে আমি বাড়িতে বসে থাকতাম। সারাদিন কিছুই করার ছিল না। এটা আমাকে খুব কষ্ট দিতো। আমাদের শেখানো হয়েছিল পুরুষরা মেয়েদের চেয়ে সব দিকে থেকে ভাল। রমজান মাস এলে আমাকে রোজা রাখার জন্য জোরজবরদস্তি করা হতো। জার্মানিতে পৌঁছানোর পর আমি লিগাল এইড গ্রহণ করলাম এবং একজন আইনজীবী খুঁজে বের করলাম যিনি আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে সাহায্য করেছিলেন। তার সাহায্যে আমি ক্যানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করলাম। ক্যানাডাকে আমি বেছে নিয়েছিলাম তার কারণ দেশটির মানবাধিকার রক্ষার রেকর্ড খুবই ভাল। সিরিয়ার শরণার্থীদের যেভাবে ক্যানাডা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই খবর আমি আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম। তাই আমি ভাবলাম ক্যানাডাই হবে আমার থাকার জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা। আমার আবেদনপত্র গৃহীত হওয়ার পর আমি জার্মানি থেকে ক্যানাডার শহর টরন্টোতে চলে আসি। সৌদি নারীরা সমানাধিকারের জন্য লড়াই করছেন বহু দিন ধরে। যেদিন টরন্টোতে এসে নামলাম, বিমানবন্দরে ক্যানাডার পতাকা দেখে মনটা ভরে গেল। এখন আমি আমার বোনকে নিয়ে মন্ট্রিয়াল শহরে থাকি। এখানে আমার জীবনে কোন শঙ্কা নেই। কোন কিছুর জন্য কেই আমাকে আর চাপ দেয় না। সৌদি আরবে টাকা-পয়সা হয়তো অনেক বেশি, কিন্তু এখানে রয়েছে ব্যক্তি স্বাধীনতা। আমার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আমি যখন খুশি বাইরে যেতে পারি। কারও অনুমতি লাগে না। এখানকার জীবন নিয়ে আমি সত্যি খুব খুশি। এখনকার প্রকৃতিতে হেমন্তের দৃশ্য আর বরফ পড়া দেখতে আমার খুব ভাল লাগে। আমি এখন ফরাসি ভাষা শিখছি, সাইকেল চালানো শিখছি, সাঁতার কাটা শিখছি। আইস স্কেটিং শিখছি। আমার মনে হচ্ছে জীবনটাকে নিয়ে সত্যি ভাল কিছু করছি। আমার পরিবারের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। আমার মনে হয় একদিক থেকে সেটা দু'পক্ষের জন্যই ভাল হয়েছে। এখন আমার বাড়িঘর এখানেই। এই জীবনই আমার জন্য ভাল। (বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের আউটসাইড সোর্স এবং গ্যারেথ এভান্স অনুষ্ঠানে যেভাবে বলা হয়েছে।) বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কী নিয়ে সংলাপ জানতে চান ডঃ কামাল হোসেন মোবাইল ‍সেটও নিবন্ধন করতে হবে: যা জানা দরকার মৃতদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন যে হিন্দু সাধুরা
এটা এমনই এক নাটকীয় ঘটনা যার মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে নারীদের সমস্যার ওপর নতুন করে বিশ্বের নজর পড়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বয়স এবং শারীরিক অবস্থার কারণে ঝুঁকিতে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো, তবে সামনের দিনগুলোতে 'আসল পরীক্ষা'। টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের কথা শোনা যায়। শুক্রবার টুইটারেই এক বার্তায় ট্রাম্প জানান, তার এবং তার স্ত্রীর কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। কোভিড পরীক্ষার পর তার উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্টের চিকিৎসকও। টানা দুই রাত ধরে হাসপাতালে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের চিকিৎসক শন কনলি বলেন, এখনো বিপদ কেটে যায়নি, তবে মেডিকেল টিম আশাবাদী ট্রাম্পের পরিস্থিতি সম্পর্কে। ট্রাম্পের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসির কাছেই ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে। মি. ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় উপস্থিত হন শনিবার রাতে, যেখানে তিনি একটি স্যুট ও সাদা শার্ট পরেন। এসময় তার পরনে কোনো টাই ছিল না। তিনি বলেন, "এখানে যখন এসেছিলাম তখন ভালো বোধ করছিলাম না। কিন্তু এখন আমার অবস্থা বেশ ভালো।" "সামনের দিনগুলোই হবে আসল পরীক্ষা, আমি আগামী দুইদিনে কী হয় সেটা দেখার অপেক্ষায়।" তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণায় ফিরতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নভেম্বর মাসের তিন তারিখ জো বাইডেনের মুখোমুখি হবেন তিনি। নির্বাচনের ঠিক আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণাও বাধাগ্রস্থ করেছে। এমনকি নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের একজন নতুন বিচারক নিয়োগ দেয়া নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে ক্ষমতা যাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের হাতে আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্ত্রী মেলানিয়া করোনাভাইরাস: অবশেষে মাস্ক পরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস: দেহে জীবাণুনাশক ইঞ্জেকশনের পরামর্শ ট্রাম্পের ট্রাম্পের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবার সকালে ট্রাম্পের চিকিৎসক শন কনলি বলেন. গত ২৪ ঘণ্টায় ট্রাম্পের অক্সিজেন লাগেনি, তার জ্বরও ছিল না এসময়ে। হোয়াইট হাউজের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ট্রাম্পকে আরো কিছু দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। ড. কনলিকে বেশ আশাবাদী শোনা গেছে ট্রাম্পের ব্যাপারে কিন্তু তিনি হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট কথা বলেননি। আবার, হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ বলেন, এখনো সুস্থতার পথে এগোননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ট্রাম্পের অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক মনে হয়েছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টা আরো সংকটপূর্ণ হতে পারে। ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৪ বছর এবং তিনি শারীরিকভাবে স্থূলদের ক্যাটাগরিতে পড়েন, এসব অবস্থা কোভিড-১৯ এর জন্য ঝূঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাকে এখন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক কিছু ঔষধ এবং রেমডিসিভির দেয়া হয়েছে। শন কনলি এটুকু নিশ্চিত করেছেন যে ট্রাম্পকে এখনো পর্যন্ত অক্সিজেন দেয়া হয়নি।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোদ তিনি, তার চিকিৎসক এবং হোয়াইট হাউজ থেকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের পর অনুষ্ঠানে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এতে তিস্তার বদলে তোর্সা, জলঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর পানি-বণ্টনের বিকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তিস্তায় পানির অভাবে এনটিপিসির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। আশেপাশের জেলাগুলোতে সেচের জন্য পানি পেতে সমস্যা হয়। আরো পড়তে পারেন: তিস্তা চুক্তি আমার আমলেই হবে: নরেন্দ্র মোদি কি আছে ভারত-বাংলাদেশের ২২টি চুক্তি এবং সমঝোতায় কিন্তু উত্তরবঙ্গে তোর্সা, জলঢাকাসহ চারটি নদী আছে, যেখানে পানির প্রবাহ ভালো বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। দু দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হলেও তিস্তা নিয়ে চুক্তি হয়নি ফলে তিস্তার বিকল্প হিসেবে এই চারটি নদীর পানি ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগেই জানা গিয়েছিলো তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। মূলত মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণেই এই চুক্তি করা সম্ভব হচ্ছে না অনেক দিন যাবত। কিন্তু এবারের সফরে শেখ হাসিনার সাথে মমতা ব্যানার্জি আলাদা করে বৈঠক করেছেন এবং ঐ বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তার সরকারের মেয়াদের মধ্যেই তিস্তা চুক্তি হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে মমতা ব্যানার্জির পূর্বের অবস্থান বদলে নমনীয়তার কিছুটা ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তিস্তা চুক্তির পরিবর্তে অন্য চারটি নদীর পানি বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটু মন্তব্য করার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় আসাদুজ্জামান আসাদ নামের একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মালয়েশিয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগের পর পুলিশ তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মনির হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানান, "আসাদুজ্জামান আসাদ প্রায়ই ফেসবুক লাইভে এসে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গালাগাল দিতেন বলে আমরা শুনেছি। কিছুদিন আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এরকম গালাগালি দেয়ার পর স্থানীয় বিএনপির নেতা মামুন বিন আবদুল্লাহ গত শনিবার একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।" পুলিশ হেফাজতে থাকায় মি.আসাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। দেশটিতে তার কোন স্বজনও থাকেন না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিকরা। তবে তারা বলছেন, এই ব্যক্তির বিষয়ে তারা আগে খুব একটা জানতেন না। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভের কারণে তিনি মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। আসাদুজ্জামান আসাদের কয়েকটি লাইভ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছেন। এর মধ্যে কোন কোন লাইভে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় বাংলাদেশের সরকারি বা বিরোধী দলের নেতা, বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজনকে নিয়ে কটু ভাষায় মন্তব্যও করেছেন। তবে ফেসবুকে একটি বার্তায় তিনি খালেদা জিয়াকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী মালয়েশিয়া বিএনপির নেতা মোহাম্মদ মামুন বিন আব্দুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে যে বিভিন্ন ধরণের বাজে মন্তব্য করেছেন, সেজন্য মালয়েশিয়ার বিএনপির পক্ষ থেকে মানহানির অভিযোগে চুঙ্গাইবুলু থানায় মামলাটি দায়ের করেছি।'' সেখানে অভিযোগ করা হয়, তিনি বিভিন্ন সময় ফেসবুকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করেছেন, যা তাদের জন্য মানহানিকর। তাই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়। আরো দেখুন: বাংলাদেশে এসে আম খেতে চেয়েও পাননি ম্যান্ডেলা নিহত আইএস যোদ্ধাদের সন্তানরা কোথায় যাবে? মালয়েশিয়ার পুলিশের কাছে অভিযোগে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান আসাদ বিভিন্ন সময় ফেসবুকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করেছেন, যা তাদের জন্য মানহানিকর। তাই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়। গত ১৭ই জুলাই রাতে আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখন অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সাংবাদিক মনির হোসেন জানান, তার নাম আসাদুজ্জামান আসাদ হলেও মালয়েশিয়া তিনি 'পংপং' নাম নিয়েছেন। এখানে তিনি অনেক বছর ধরে রয়েছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। মালয়েশিয়ার আইনে মানহানি একটি সিভিল ও ক্রিমিনাল, উভয় ধরণের অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। তবে এ ধরণের অভিযোগে জামানত সাপেক্ষে জামিনের বিধান রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মোঃ সায়েদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনো এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি।
ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটু মন্তব্য করায় মালয়েশিয়ায় আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে পংপং নামের একজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ভারতের মুম্বাইতে একটি 'পপুলেশন ক্লক' মাসদেড়েক আগেই কেন্দ্রীয় সরকার পরবর্তী আদমশুমারির সময়সূচী ঘোষণা করেছে, কিন্তু তার সঙ্গেই এবার যেহেতু এনপিআর বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের তথ্য সংগ্রহকেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে - সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে নানা জরিপের তথ্য সংগ্রাহকদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে - তাতে অ্যাক্টিভিস্ট ও এনজিও কর্মীরা একবাক্যে বলছেন, সরকার এই ভয় দূর করতে না-পারলে আদমশুমারির পুরো প্রক্রিয়াটাই হুমকির মুখে পড়বে। দেশভাগেরও আগে, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে গত প্রায় দেড়শো বছর ধরে ভারতে সেন্সাস বা আদমশুমারি হয়ে আসছে - তেমন বড় কোনও রাজনৈতিক বিতর্ক ছাড়াই। কিন্তু ২০২১-এর আসন্ন সেন্সাস সেদিক থেকে একটি বড় ব্যতিক্রম। ভারতের তথ্যমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর গত ডিসেম্বরেই ঘোষণা করেছিলেন, "এপ্রিল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেন্সাসের ডেটা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর তার একই সঙ্গে চলবে এনপিআর বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের তথ্য সংগ্রহ।" যেহেতু সেন্সাসের সঙ্গে সরকার এবার এনপিআরকে জুড়ে দিতে চাইছে, তাতেই চরম আতঙ্কিত বোধ করছেন ভারতের একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ। কারণ, এনপিআর-কে তারা দেশব্যাপী জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা প্রস্তাবিত এনআরসি-র প্রথম ধাপ হিসেবেই দেখছেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের উজ্জয়িনী হালিম বিবিসিকে বলছিলেন, "সেন্সাস নিয়ে মানুষের মনে সেভাবে ভীতি না-থাকলেও এবারের সেন্সাসকে তারা এনআরসি প্রস্তুত করার একটি হাতিয়ার হিসেবেই দেখছেন।" "সরকারি ওয়েবসাইটে কিছুদিন আগেও খুব স্পষ্ট করে লেখা ছিল এনপিআর হল এনআরসি-রই প্রথম পদক্ষেপ। তো যতক্ষণ না সরকার এটা পরিষ্কার করে বলছে যে দুটো আলাদা জিনিস, ততক্ষণ ভয় তো একটা থাকবেই।" পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ "পশ্চিমবঙ্গে আমরা সম্প্রতি বারে বারে দেখেছি স্বাস্থ্য নিয়ে সার্ভে করতে গিয়েও কর্মীরা গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন, সামান্য কোনও তথ্য জানতে গিয়েও তারা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।" "এনআরসি-এনপিআর নিয়ে মানুষের মনে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, স্পষ্টতই এই সব হামলা তারই বহি:প্রকাশ।" বস্তুত শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গত কয়েকদিনে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, কর্নাটক-সহ নানা রাজ্যেই ফিল্ড লেভেলে তথ্য সংগ্রহকারীরা আক্রমণের মুখে পড়েছেন। হামলার ভয়ে অন্ধ্র ও পশ্চিমবঙ্গে থমকে গেছে 'ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে' বা এনএসএস-এর কাজ। অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ কবিতা কৃষ্ণন বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "যদিও এই সব আক্রমণ সমর্থনযোগ্য নয় - কিন্তু মানুষের ভয়টা দূর করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারেরই।" কবিতা কৃষ্ণান "যতক্ষণ না এনআরসি-এনপিআর আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল ঘোষিত হচ্ছে, ততক্ষণ সেন্সাসও বন্ধ রাখতে হবে।" "কারণ সেন্সাসে সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই এ দেশের কোনও বাসিন্দাকে সন্দেহজনক নাগরিক বলে চিহ্নিত করার - কিন্তু এনপিআরে ঠিক সেই ক্ষমতাটাই একজন সাধারণ কর্মকর্তাকে দেওয়া হচ্ছে।" "মানুষ কেন ভয় পাচ্ছে তা বোঝা তা-ই শক্ত নয়", মন্তব্য মিস কৃষ্ণানের। পশ্চিমবঙ্গ-সহ নানা রাজ্যেই শিল্পী-অভিনেতা-তারকারা ইতিমধ্যে আওয়াজ তুলেছেন, সরকার যা-ই বলুক, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে দেশের মানুষ কিছুতেই তাদের বংশপরিচয়-দলিল-নথিপত্র ইত্যাদি, এক কথায় 'কাগজ' দেখাবেন না। তবে এর ফলে শুধু সরকারি সংস্থাগুলোই নয় - এখন কিন্তু প্রায় গোটা দেশেই কোনও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সার্ভে করা, জরিপ চালানো এনজিও-গুলোর জন্যও অসম্ভব হয়ে উঠেছে, জানাচ্ছেন উজ্জয়িনী হালিম। ভারতে জনগণনা ভবনের শিলান্যাস স্থাপনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (বাঁয়ে) ও সেন্সাস কমিশনার বিবেক জোশী (ডাইনে)। সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ড: হালিমের কথায়, "যাদের আমরা সার্ভে করতে পাঠাব তাদেরকে আমরা একটা বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারি না। "যেমন গ্রামোন্নয়নের কাজে আমাদের একটা জরিপ করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সত্যি কথা বলতে তৃণমূল স্তরে আমরা যে কর্মীদের পাঠাব সেই পরিস্থিতিটাই কিন্তু এখন নেই।" "এনজিও-গুলো সেই ভরসা-টাই পাচ্ছে না যে অতি সাধারণ একটা সার্ভেও তারা করতে পারবে। সামান্য একটা সচেতনতা শিবির বা তৃণমূল পর্যায়ে একটা মিটিং করতে গেলেও আজকাল হাজারটা প্রশ্নের মুখে তাদের পড়তে হচ্ছে", বলছিলেন তিনি। প্রায় ১৩৪ কোটি মানুষের দেশ ভারতে আদমশুমারি বিশ্বের বৃহত্তম তথ্য সংগ্রহ অভিযানগুলোর একটি। কিন্তু এনপিআর-এনআরসির আতঙ্কে দেশে যেখানে ছোটখাটো জরিপ করাই মুশকিল, সেখানে কীভাবে পুরো দেশে সেন্সাস করা সম্ভব, সেই প্রশ্ন অবধারিতভাবেই উঠছে।
ভারতে সেই ১৮৭২ সাল থেকে প্রতি দশকের শুরুতেই যে আদমশুমারি বা জনগণনার কাজ হয়ে আসছে, এই প্রথমবারের মতো তার সুষ্ঠু সম্পাদন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে মিয়ানমার যাওয়ার পথে উ উ শিত মং-কে আটক করা হয়। উ উ শিত মং নামের এই ব্যক্তি যখন ঢাকা থেকে মিয়ানমার যাচ্ছিলেন, তখন তাকে আটক করা হয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কে টানাপড়েনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটলো। পুলিশ বলছে, গ্রেফতার হওয়া উ উ শিত মং বাংলাদেশের নাগরিক। তবে তার স্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিক এবং সেখানেই তিনি বসবাস করেন। তাঁরা দু'জনই রাখাইন বলে পুলিশ দাবি করছে। ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর-ই আজম মিয়া জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি উ উ শিত মং রাখাইন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও পরিচালনা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মি. মং পার্বত্য এলাকায় এবং কক্সবাজারে এই এনজিওর সেচ্ছাসেবীমূলক কর্মকাণ্ড থাকার কথা বললেও পুলিশ এখনও তার দৃশ্যমান কিছু প্রমাণ পায়নি। তবে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, উ উ শিত মং-এর স্ত্রী মিয়ানমারেও এই এনজিও'র কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। গ্রেফতারকৃত উ উ শিত মং-এর বাড়ি ঝালকাঠি জেলায় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। তবে উ উ শিত মং পার্বত্য এলাকায় থাকতেন এবং মিয়ানমার যাওয়া আসা করতেন। ঢাকায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগের ব্যাপারে মি. মং-এর কোন বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। বিমান বন্দর থানা পুলিশের কর্মকর্তা নূর-ই আজম মিয়া বলেছেন, এই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে অতিরিক্ত মিয়ানমারের মুদ্রা এবং মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ একটি ল্যাপটপও পেয়েছে। সেই ল্যাপটপে উ উ শিত মং এবং তার স্ত্রীর অস্ত্র নিয়ে কিছু ছবি রয়েছে। এর সাথে কিছু তথ্য পুলিশ পেয়েছে। এগুলোকে ভিত্তি করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ধারণা করছে, এনজিও'র আড়ালে উ উ শিত মং মূলত অবৈধ অস্ত্রের কেনাবেচা করেন। পুলিশ সন্দেহ করছে, মিয়ানমারের আরাকানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে এই ব্যক্তি অর্থ সহায়তা করে এবং অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। এই বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। গত ১৯শে অক্টোবর মিয়ানমার যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে এই উশিত মংকে র‍্যাব আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এরই মধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালত থেকে তিনদিনের রিমান্ড পেয়েছে। এখন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আরো পড়ুন: সেনা চেকপোস্টে যেভাবে আটক হলো গোয়েন্দা পুলিশ কর্মক্ষেত্রে অর্ধেক নারীই যৌন হয়রানির শিকার: বিবিসির জরিপ ভারতের সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের পুলিশ বুধবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বৌদ্ধ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধানকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে ফেসবুকে নিয়মিত লাইভ ভিডিও ব্লগ পোস্ট করেন সেফাত উল্লাহ ভিয়েনায় বসবাসরত বাংলাদেশীরা এ ব্যাপারে শুক্রবার একটি কমিটি তৈরি করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতারা ভিয়েনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সঙ্গে এ ব্যাপারে একটি বৈঠকও করেছেন। পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর টেলিফোনে বিবিসি বাংলার মাসুদ হাসান খানকে বলেন, ইস্টারের ছুটির পর বিষয়টি কূটনৈতিক চ্যানেলে অস্ট্রিয়ার সরকারকে তিনি জানাবেন। "সেফাত উল্লাহ সাহেবের যেসব কথা ইউটিউবে পোস্ট হয়েছে, তাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে অবমাননা করার বিষয় রয়েছে। এত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে...আমরা একইসাথে উদ্বিগ্ন যে বিষয়টি নিয়ে যেন ভিয়েনাতে বসবাসরত অন্যান্য দেশের মুসলিমদের মধ্যে অহেতুক কোনো উত্তেজনার সৃষ্টি না হয়।" রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, বিষয়টি অষ্ট্রিয়ার সরকারকে অবগত করা প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে অস্ট্রিয়া-বাসী সেফাত উল্লাহ, যিনি সেফুদা নামেই সোশাল মিডিয়াতে বেশি পরিচিত, কোরান নিয়ে, ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি এসব বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রবল সমালোচনাও শুরু হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মি উল্লার বিচার দাবি করে ছোটোখাটো বিক্ষোভ হয়েছে বলে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর বেরিয়েছে। কিন্তু পরের এক ভিডিও পোস্টে মি উল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তিনি বুধবার লাইভ ভিডিওতে কোরানের পাতা ছেঁড়েননি। উর্দু একটি বইয়ের পাতা ছিঁড়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে শুধু ধর্ম নয়, ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে তিনি বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়েছেন। সেফাত উল্লাহর বক্তব্য শুনতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ধর্মীয় সহিংসতা বন্ধ করতে পারবে? আসিয়া বিবিকে আশ্রয় দিতে চায় কানাডা রাষ্ট্রদূত আবু জাফরও বলেন, সেফাত উল্লার সাথে তাদেরও কোনো যোগাযোগ নেই। ভিয়েনা নিবাসী আবিদ হোসেন খান বিবিসিকে বলেন, একসময় সেফাত উল্লার সাথে তার যোগাযোগ ছিল, কিন্তু এখন বাংলাদেশী কমিউনিটির কারো সাথেই তার তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। "এক ধরনের একাকী জীবন যাপন করেন তিনি। বেসামাল কথাবার্তার কারণে বাংলাদেশীরা তাকে এড়িয়ে চলেন। এক ছেলে অন্য দেশে থাকেন। স্ত্রী থাকেন বাংলাদেশে।"
ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে কোরান নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশী কমিউনিটি বিতর্কিত ভিডিও ব্লগার সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
থাইল্যান্ডের ফুটবল দলকে অবশেষে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে এখন তাদের নিরাপদে বের করে নেয়ার উপায় খুঁজছেন তারা। থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, গুহায় আটকে থাকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তার কোচকে বের করে আনার ক্ষেত্রে কোন ধরণের ঝুঁকি নিতে চাননা তারা। আটকে থাকা এসব ব্যক্তিরা প্রায় দশ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো খাবার ও ঔষধ পেয়েছেন। সাতজন ডুবুরী যাদের মধ্যে একজন ডাক্তার ও একজন নার্সও ছিলেন, তারা গুহার মধ্যে গিয়ে আটকে থাকা দলটির সাথে দেখা করেছেন। থাইল্যান্ডের উত্তরে ওই গুহার মধ্যে প্রায় নয়দিন ধরে আটকে থাকার পর মঙ্গলবার তাদের সন্ধান পায় উদ্ধার কর্মীরা। একটি ফুটবল সেশন শেষে কোচের সাথে গুহার মধ্যে গিয়েছিলো ওই ১২ কিশোর। কিন্তু এরপরই প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে তাদের বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। যে গুহায় তারা আটকা পড়েছে সেটি থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহাগুলোর একটি। আরো পড়ুন: 'গুহায় আটকাপড়া থাই দলটির বেরুতে কয়েকমাস লেগে যাবে' গুহা থেকে ১৩ জনকে বের করার সম্ভাব্য উপায়গুলো কী? গুহায় আটকে পড়লে কী করতে হবে? ফেসবুকে পাওয়া কিশোর দলটির গ্রুপ ছবি পরে তাদের ভিডিও প্রকাশ করে থাই নৌবাহিনী এবং সেখানে দেখা যায় তারা সবাই জীবিত আছেন ও কথা বলছেন। এরপর তাদের কাছে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো সহজে হজম যোগ্য ও উচ্চ শক্তির খাবার আর ভিটামিন পৌঁছানো হয়। চিয়াং রাই প্রদেশের গভর্নর নারংসাক ওসোত্তানাকর্ন বলেছেন তারা কোন তাড়াহুড়ো করতে চাননা। ওদিকে আরও বৃষ্টির কারণে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে গুহায় বাতাস ঢোকার পথগুলো হুমকির মুখে আছে। তারা সাঁতার কেটে বের হতে পারছেনা কেন? প্রথম গুহায় আটকে পড়া দলটির বেশিরভাগই সাঁতার জানেনা যা পুরো উদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরও জটিলতায় ফেলেছে। এর আগে থাই সামরিক বাহিনী বলেছে যে এদের প্রথমে সাঁতার শেখাতে হবে বা অপেক্ষা করতে হবে অন্তত চার মাস। নতুন করে বন্যার পানির কারণে যেন ঝুঁকি তৈরি না হয় সেজন্য পানি পাম্প করে বের করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর প্রদেশের গভর্নর বলছেন, গুহার মধ্যেই যেখানে ছেলেরা আটকে আছে সেখানে একটি অবকাঠামো তৈরির অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। গুহায় কিশোরদের অবস্থান কিভাবে তারা বের হতে পারবে? গুহার ভেতরের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে আটক ছেলেদের বের করে নিয়া আসা একটি ভয়াবহ বিপজ্জনক কাজ। থাম লুয়াং নামের ওই গুহাটি বর্ষায় নিয়মিতই বন্যার পানির সয়লাব হয়ে যায় যেটি চলে সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন গুহার মধ্যে বিপজ্জনক করিডোর, শূন্য মাত্রার দৃশ্যমান পানির কারণে অদক্ষ ডুবুরীদের নেয়াও ঝুঁকির বিষয় হবে। উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত থাকা ডুবুরী বেন রেমিনেন্টস বিবিসিকে বলেছেন থাই নৌবাহিনীর দুজন চিকিৎসক স্ব:প্রণোদিত হয়েই আটকে থাকা ছেলেদের সাথে পানি কমে না আসা পর্যন্ত অবস্থান করতে চেয়েছেন। আর অন্য আরেকটি টীম পাহাড়ের অন্য দিক থেকে গুহার ভিন্ন পথ খোঁজার কাজ করছেন। থাইল্যান্ডের আটকে পড়া ফুটবল টিমের খেলোয়াড়দের চিত্রণ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কেমন করবে বেলজিয়াম? 'নাটুকে' নেইমারে তৃপ্ত ব্রাজিল, বিরক্ত বাকি বিশ্ব ইউএনও'দের রাজনীতি নিয়ে তদন্ত: প্রশাসনে তোলপাড়
প্রায় দশদিন গুহায় আটকে থাকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তার কোচের কাছে খাদ্য ও ঔষধ পৌঁছাতে পেরেছে উদ্ধারকারীরা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দরজা পার হচ্ছেন একজন যাত্রী। (পুরনো ছবি) বাংলাদেশের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ৩রা এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৮ই এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ইউরোপের বাইরে যে ১২টি দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকছে, সেই দেশগুলো হচ্ছে: কাতার, জর্ডান, কুয়েত, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, পেরু, লেবানন, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন টিকাদানে আপনার দেশের অবস্থান কোথায়? নিজেকে আক্রান্ত মনে হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন? কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বাড়ছে, তাই এই পরিস্থিতি সামলাতে ৩রা এপ্রিল থেকে সাময়িক সময়ের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাতে কয়েকটি শর্তও উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে লোকজন আসার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় বিভিন্ন মেয়াদে করা হয়েছিল। ১৪ দিন থেকে কমিয়ে সর্বশেষ চারদিন করা হয়েছিল। তাও নিশ্চিত করা যায়নি, এমন অভিযোগ রয়েছে। বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসা: যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাস: ফুসফুস দীর্ঘমেয়াদে বিকল হতে পারে?
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যুক্তরাজ্য বাদে পুরো ইউরোপ এবং আরও ১২টি দেশ থেকে যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববারও অমৃতসরে বিক্ষোভ হয়েছে। "আমি জানি এটা খুব কঠিন শোনাচ্ছে, কিন্তু এধরনের লোককে জনসমক্ষে বের করে এনে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা উচিত," পার্লামেন্টে এ কথা বলেছেন জয়া বচ্চন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কয়েকজন এমপিও এই নিষ্ঠুর গণ-ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। হায়দ্রাবাদ শহরে ২৭ বছর বয়সী এই পশু চিকিৎসকে গণ-ধর্ষণ করার পর তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয় এবং পরে তার দেহটিও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে শহরের একটি টোল প্লাজার কাছে এই ঘটনার পর সারা দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। প্রথমে ওই তরুণীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, পরে তার পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়। খবরে বলা হচ্ছে, কয়েকজন ট্রাক-চালক ও খালাসি মিলে ওই তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ বলছে, এই অভিযোগে তারা চারজনকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ। রাজপথের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় সোমবার উঠে এসেছে ভারতীয় পার্লামেন্টেও, যেখানে অনেক এমপি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার কী করেছে ও সরকারের পরিকল্পনা কী সে ব্যাপারে জানতে চাইছেন। বিরোধী দলীয় বর্ষীয়ান এমপি জয়া বচ্চন বলেন, "এই ঘটনায় যাদের গাফিলতি ছিল বা যে পুলিশকর্মীরা ঠিকঠাক নিজেদের দায়িত্ব পালন করেননি তাদের সারা দেশের সামনে লজ্জিত করা উচিত।" "আর যারা এই অপরাধটা ঘটিয়েছে - তাদের সম্পর্কে বলব দুনিয়ায় অনেক দেশ আছে যেখানে জনগণই তাদের বিচার করে ফেলে।" তিনি বলেছেন, "আমার মনে হয় মানুষ এখন সরকারের কাছে এবিষয়ে সুনির্দিষ্ট জবাব চায়।" দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাডু রাজ্যের একজন এমপি ভিজিলা সত্যানাথান বলেছেন, ভারতের নারী ও শিশুরা নিরাপদ নয়। তিনি দাবী করেছেন, "যে চারজন মিলে এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ৩১শে ডিসেম্বরের আগেই ফাঁসি দিতে হবে। বিচার হতে দেরি হওয়া মানেই বিচার না হওয়া।" প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, "এই ঘটনা সারাদেশের জন্যেই লজ্জা বয়ে এনেছে। এতেই সবাই আহত।" তিনি বলেছেন, এই ঘৃণ্য অপরাধের নিন্দা জানানোর ভাষাও তার নেই। তিনি বলেন, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজধানী দিল্লিতে মেডিকেলের একজন ছাত্রীকে গণ-ধর্ষণ ও হত্যার পর কিছু কঠোর আইন চালু করা হয়েছিল এবং আশা করা হয়েছিল নারীর প্রতি সহিংসতা কমে আসবে। কিন্তু ওই ঘটনার পর সেরকম কিছু হয়নি। মি. সিং বলেন, "নারীর প্রতি এই সহিংসতার বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করতে সরকার প্রস্তুত এবং এধরনের ঘটনা যাতে বন্ধ করা যায় সেজন্যে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন করতেও আগ্রহী।" সবশেষ এই গণ-ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও কোন মন্তব্য করেন নি। আরো পড়তে পারেন: ধর্ষণকারী কোন ধর্মের, ভারতে বিতর্ক যখন তা নিয়ে ধর্ষণ: ছেলেশিশুরা কি মেয়েশিশুদের চেয়ে নিরাপদ '৬ মাসে প্রায় ৪০০ শিশু ধর্ষণের শিকার' জনগণ এখন এবিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট জবাব চায়। কী হয়েছিল ওই পশু চিকিৎসক বুধবার তার বাইক নিয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছ'টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ডাক্তারের সাথে তার একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। পরে তিনি তার বোনকে টেলিফোন করে জানান যে তার বাইকের টায়ার ফুটো হয়ে গেছে। একজন লরি চালক তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। ওই নারী তার বোনকে জানান যে তিন একটি টোল-প্লাজার কাছে অপেক্ষা করছেন। এর পরে তার সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু তাকে আর ফোনে পাওয়া যায় নি। একদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে একজন দুধ-ওয়ালা একটি ফ্লাইওভারের নিচে ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পান। ভারতীয় আইন অনুসারে কেউ ধর্ষণের শিকার হলে, এমনকি তার মৃত্যুর পরেও তার নাম প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরেও শুক্রবার সকাল থেকেই লোকজন টুইটারে তার নাম উল্লেখ করে এই নৃশংস ঘটনার বিচারের দাবি জানাতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকে তার ছবিও শেয়ার করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশেই বিক্ষোভ চলছে। শনিবার হায়দ্রাবাদ শহরের উপকণ্ঠে একটি থানার সামনে জড়ো হয়ে ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে। হায়দ্রাবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ। অন্যান্য শহরেও এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। যেসব রাজনীতিক ও পুলিশের কর্মকর্তা ওই নারীর বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন, তার পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে ভেতরে যেতে দেয়নি। তারা দাবি করেছেন, বরং এই অপরাধের বিচারে কাজ করতে হবে। ওই নারী যে শামসাবাদ এলাকায় থাকতেন, সেখানকার বাসিন্দারা প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে সেখানে একটি প্ল্যাকার্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। তাতে লেখা" "মিডিয়া নয়, পুলিশ নয়, বহিরাগত নয়, সহানুভূতি নয়- আমরা শুধু চাই ব্যবস্থা নেওয়া হোক, বিচার হোক।" পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে ওই নারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে সেটা পুলিশকে জানানোর পরেও তারা দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এই অভিযোগের পর পুলিশের তিনজন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, পুলিশ অফিসাররা নাকি তখন তাদেরকে বলেছিলেন যে সে কোন ছেলের সাথে "ভেগে" গেছে। ভারতে গত কয়েক বছর ধরে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও এই অপরাধের সংখ্যা কমে যাওয়ার কোন লক্ষণ নেই। সরকারের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৭ সালে ভারতে ৩৩,৬৫৮ জন নারী, অর্থাৎ দিনে প্রায় ৯২ জন ধর্ষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, সৌদি আরব, ইরান, উত্তর কোরিয়া ও সোমালিয়ার মতো বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশেই কেবল আজও প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিধান চালু আছে। ভারতে তা শুরু হওয়ার এখনও কোনও বাস্তব সম্ভাবনা নেই বলেই পর্যবেক্ষকদের অভিমত। তবে তারা সেই সঙ্গেই বলছেন, কিন্তু দেশের পার্লামেন্টেও যখন এই দাবি ওঠে তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না এধরনের জঘন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে ভারতের রাগ-ক্ষোভ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। আরো পড়তে পারেন: সৌদিতে নারী শ্রমিক: যা বলছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কপ-২৫: বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের এবারের ইস্যু কী? দ্রুত পড়া ও বোঝার জন্য যে কৌশল জানা জরুরি
ভারতে একজন তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার প্রতিবাদে যখন বিক্ষোভ চলছে তখন একজন এমপি এবং সাবেক বলিউড অভিনেত্রী বলেছেন, ওই ধর্ষণকারীকে "পিটিয়ে মেরে ফেলা" উচিত।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার (২১শে জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করার পর আবারো আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে সেই বিষয়গুলো। মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এমন একটা সময় পদত্যাগ করলেন যখন করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল নিয়ে জালিয়াতি করা রিজেন্ট হাসপাতাল কীভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসার অনুমোদন পেয়েছিল, তা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে বিতর্ক চলছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ৭ই জুলাই ঢাকায় রিজেন্ট হাসপাতালে র‍্যাবের অভিযানের পর বন্ধ করে দেয়া হয় হাসপাতাল। রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হলে মন্ত্রী জানান যে অধিদফতরের আমন্ত্রণেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে মহাপরিচালক দাবি করেছিলেন যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তারা চুক্তিটি করেছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ালে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি জনসমক্ষে আসে, যেটিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের একটি কারণ হিসেবে মনে করছেন অনেকে। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের এই খবর প্রকাশিত হওয়ার আগেও বেশ কয়েকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও কার্যক্রম পরিচালনায় অস্বচ্ছতার বিষয়টি সামনে এসেছে। আরো পড়তে পারেন: 'পেছনের রুই-কাতলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ফল হবে না' বাংলাদেশে সংক্রমণ 'দুই থেকে তিন বছর ধরে চলতে পারে' কোভিড-১৯ নিয়ে বাংলাদেশে সরকারি তথ্য ও বাস্তবতার মিল-অমিল দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ঢাকার এই হাসপাতাল। মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর যথেষ্ট পরিমাণ পরীক্ষা না করা, তথ্য গোপন করা থেকে শুরু করে নানারকম অভিযোগ ওঠে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে কর্তৃপক্ষের নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার বিষয়টি প্রথমবার জনসমক্ষে প্রকাশিত হয় এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে, যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় আক্ষেপ করে বলেন যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তৈরি করা জাতীয় কমিটির তিনি প্রধান হলেও সেই কমিটির নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি জানেন না। সেসময় এক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন যে, এই জাতীয় কমিটিতে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তার কিছুই কমিটির চেয়ারম্যানকে জানানো হয় না। এরপর দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত, ঈদে যাতায়াত করতে দেয়ার অনুমতির মত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটির সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ায় টেকনিক্যাল কমিটির সাথে সরকারের সমন্বয়হীনতার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ছিল বিভিন্ন মহলে। এর পাশাপাশি মাস্ক নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালককে বদলি, আইইডিসিআরের কাছ থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার দায়িত্ব সরিয়ে নেয়ার মত ঘটনাগুলোও বেশ আলোচনার তৈরি করেছিল। করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা না পাওয়া, রোগী দেখার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অবহেলা, ভিআইপি'দের জন্য আলাদা হাসপাতাল এবং কিছু হাসপাতালের সরকারি নির্দেশনা না মানার অভিযোগের খবর প্রকাশিত হয়, যা সেসময় সরকারকেও যথেষ্ট বিব্রত করেছিল। এরকম প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ে যে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে তা কিছুটা অনুমেয় ছিল। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামকে বদলি করার মাধ্যমে শুরু হয় সেই পরিবর্তনের। সচিবের বদলির সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব এবং উপসচিবকেও বদলি করা হয়। এরপর জুন মাসের মাঝামাঝি সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা একটি মন্তব্যের জবাবে সরকারের একজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের একজন নেতা নেতিবাচক মন্তব্য করায় প্রথমবার মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের অসন্তুষ্টির আভাস পাওয়া যায়। পুলিশ হেফাজতে জেকেজির সাবরিনা আরিফ। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবুল কালাম আজাদ মন্তব্য করেছিলেন যে বাংলাদেশে সংক্রমণ 'দুই থেকে তিন বছর ধরে চলে পারে', যেই মন্তব্যকে ''দায়িত্বজ্ঞানহীন'' বলে মন্তব্য করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঐ ঘটনার কিছুদিন পরেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে এবং কীভাবে ঐ প্রতিষ্ঠান কোভিড পরীক্ষার অনুমোদন পেল, তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেকেজি কেলেঙ্কারির ঘটনার কিছুদিন পরই রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি আর কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসে, যেটির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়। রিজেন্ট হাসপাতাল এবং এর মালিক মো: সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার নানা অভিযোগ যখন ওঠে, তখন হাসপাতালটির লাইসেন্স না থাকার পরও এর সাথে সরকারের চুক্তি করার বিষয়টি আলোচনায় আসে। নানা প্রশ্ন এবং আলোচনার মুখে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চুক্তিটি করা হয়েছিল। এই বক্তব্যের ব্যাপারেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল। কারণ দর্শানোর নোটিশের বিপরীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জবাব দেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। অনেকে মনে করেন বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বারবার দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওপর সরকারের উপর মহল থেকে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল, যার ধারাবাহিকতায় মহাপরিচালকের এই সিদ্ধান্ত।
মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপের কার্যকারিতা, কর্তৃপক্ষের নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ, তথ্য লুকানোর অভিযোগের মত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
গত ২০ বছরে ক্যান্সার গবেষণায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বছরে এক কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। কিন্তু সুখবর হলো, ক্যান্সার আক্রান্ত হবার পর সুস্থ হয়ে ফিরে আসার সংখ্যাও বাড়ছে প্রতি বছর। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরাও ক্যান্সার শনাক্ত ও চিকিৎসার নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছেন। আসুন, সামনের দিনে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় কয়েকটি উদ্ভাবন সম্পর্কে জেনে নিই--- আরো পড়ুন: মদ আর সিগারেট - ক্যান্সারের ঝুঁকি কোন্‌টির কতটা? ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন উপায় 'ভার্চুয়াল টিউমার' নিঃশ্বাস পরীক্ষা করে ক্যান্সার শনাক্তের পদ্ধতি আবিষ্কার বাংলাদেশে জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে যে সংকোচ ২০১৮ সালে নোবেল পুরষ্কার পাবার পর ক্যান্সার গবেষণা নিয়ে আলোচনা বেড়েছে ক্যান্সার কি আমাদের রক্তে থাকে? ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়, তবে এতে মারা যাবার সম্ভাবনা কমে যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার শনাক্ত করার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে মানুষের রক্তে। কানাডার প্রিন্সেস মার্গারেট ক্যান্সার সেন্টারের গবেষকেরা ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের নমুনায় জেনেটিক কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা বের করার নতুন এক পন্থা উদ্ভাবন করেছেন। এতে নির্দিষ্ট কোন জিন কাজ করছে কিনা বা কোনটি হঠাৎ কাজ বন্ধ করেছে কিনা, সেটি বোঝা যাবে। এর ফলে ক্যান্সার উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভবই হবে না কেবল, বরং সেটি কোন ধরণের ক্যান্সার তাও জানা যাবে। ব্রিটেনে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বহু নারী মারা যান যখন পেনিসিলিন নিতে হয় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দিয়েই ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া এখন খুবই জনপ্রিয়। ২০১৮ সালে জিম অ্যালিসন মেডিসিনে নোবেল পেয়েছেন তার উদ্ভাবিত নতুন প্রক্রিয়া যাকে 'পেনিসিলিন মূহুর্ত' নামে সবাই চেনে তার জন্য। এই প্রক্রিয়া ক্যান্সার চিকিৎসার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মূল কথা হচ্ছে, আমাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজানো হবে যাতে এটি শরীরের তৈরি হওয়া ক্যান্সার কোষগুলোকে অগ্রাহ্য করবে আর একই সময়ে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলো সেসব কোষ ধ্বংস করতে থাকবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই পদ্ধতিতে উপকার পেয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে টানাপড়েনের পেছনে কারণ কী জলবায়ু পরিবর্তন: বলি হচ্ছে দুই কোটি বাংলাদেশী শিশু নাচতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করা হলো বিমানটি পড়ে যাওয়া থামাতে পারেননি পাইলটরা 'ছোট ছোট টিউমার' গবেষকেরা দেখেছেন, যাদের শরীরে ছোট ছোট টিউমার থাকে বা বিশেষ করে ত্বকের ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন, এমন মানুষের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া ভালো কাজ করে। যাদের শরীরে 'ভালো' ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি থাকে, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্যান্সারের সঙ্গে বেশি লড়াই করতে পারে। এই উদ্ভাবনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়াটি মানুষ চাইলে তার খাদ্য আর ব্যয়ামের মাধ্যমে বেশি কার্যকর করে তুলতে পারে। ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে আশাবাদী হবার অনেক কারণ আছে, বলছেন চিকিৎসকেরা 'রোগ সারানোর চেয়ে রোগ ঠেকানো উত্তম' ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, স্কটল্যান্ডে ১০ বছর আগে এক টিকাদান কর্মসূচী চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে অল্পবয়সী নারীদের সার্ভিক্যালে ক্যান্সার হওয়া অনেকটাই ঠেকিয়ে দিয়েছে। সেখানকার ১২ ও ১৩ বছর বয়েসী স্কুলের মেয়েদের রুটিন করে টিকা দেয়া শুরু হয়, যা সেক্সুয়ালি ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঐ টিকার ফলে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যান্সার পূর্ব কোষের ধ্বংস সম্ভব। জিন থেরাপি আরেক সম্ভাবনাময় আবিষ্কার হতে যাচ্ছে, জিন থেরাপি দেবার ঔষধ। কিমরিয়া নামে এই ওষুধ এখন লিউকেমিয়া আক্রান্ত অল্প বয়েসী শিশুদের, যাদের অন্য কোন ওষুধে কাজ হচ্ছে না, তাদের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হয়। ফিলাডেলফিয়ায় আবিষ্কার হওয়া এই ওষুধের মাধ্যমে রোগীর একটি স্বাস্থ্যকর টি-সেল মানে রক্তের শ্বেত কণিকার একটি উপাদান যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কাজে লাগে, তাকে অপসারণ করে, সেটিকে ক্যান্সার কোষ শনাক্তে কাজে লাগানো হয়। আরো ভালো খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ক্যান্সারে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে বিষয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে, যেমন সিগারেট, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ওজন, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর একটি জীবনযাপন প্রক্রিয়া বেছে নিতে হবে ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে। কারণ গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীতে অন্তত ২০০ ধরণের ক্যান্সার রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোই রয়েছে যেগুলো আক্রান্ত হবার পর মানুষের সুস্থ হয়ে যাবার হার অনেক বেশি, যেমন স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার। সারা পৃথিবীতে ক্যান্সার ঠেকানোর আরো কার্যকর প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার বাড়ছে আর আগের তুলনায় এখন আরো বেশি মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছে। ২০১৮ সালে সারা পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৯৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী নিজের শরীরে থাকা বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। শহরের পশ্চিমে শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে তালেবান এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং অন্য আর কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। যদিও কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ও তালেবানসহ সুন্নি মুসলিম জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অতীতে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছিল। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে মৃতদেহগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আফগানিস্তানে বিয়েতে অনেক অতিথি থাকে ও তারা একটি বড় হলঘরে সমবেত হয় যেখানে পুরুষদের থেকে নারী ও শিশুরা আলাদা অবস্থানে থাকে। বিয়েতে আসা একজন অতিথি মোহাম্মদ ফারহাদ বলছেন পুরুষরা যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে যখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় তখন তিনি ছিলেন নারী ও শিশুদের অবস্থানের কাছে। "সবাই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে দৌঁড়ে বেরিয়ে যায়,"তিনি বলছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। "প্রায় বিশ মিনিট ধরে পুরো হলরুমটি ছিলো ধোয়ায় ভর্তি। পুরুষদের প্রায় সবাই হয় নিহত কিংবা আহত। ঘটনার দু ঘণ্টা পরেও সেখান থেকে মৃতদেহ নেয়া হচ্ছে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? কাশ্মীর: হাসপাতালের রোগীরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ইসরায়েল ইস্যুতে বিতর্কে পড়া দুই নারী কংগ্রেস সদস্য কারা? যে ছয়টি কারণে আপনার বেতন বাড়তে পারে হাসপাতালের বাইরে স্বজনদের কান্না বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করা একজন ওয়েটার সৈয়দ আগা শাহ। তিনি বলেন বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সবাই দৌড় শুরু করে। "আমাদের বেশ কয়েকজন ওয়েটার নিহত বা আহত হয়েছে"। তালেবানদের একজন মুখপাত্র এক হামলার 'তীব্র নিন্দা' জানিয়েছে। মিডিয়ায় পাঠানো এক বার্তায় জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, "নারী ও শিশুদের টার্গেট করে এ ধরণের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এর আগে কী হয়েছিলো ? সর্বশেষ এ হামলার মাত্র দশদিন আগে কাবুল পুলিশ স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছিলো। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিলো তালিবান। শুক্রবার তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার একজন ভাই পাকিস্তানের কোয়েটার কাছে একটি মসজিদে পেতে রাখা বোমায় নিহত হন। সেই হামলার দায় অবশ্য কেউ স্বীকার করেনি। দেশটিতে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছেন যদিও তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির খুব কাছে বলে বলা হচ্ছে। কাতারের দোহায় দু পক্ষের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ১৮০ জন আহত হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন। আজ টুর্নামেন্টকে ঘিরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাথে আলাদা করে সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-র প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন। বিবিসি বাংলার সঙ্গেও বসেছিলেন তিনি, সাক্ষাৎকারে তিনি বিশ্বকাপকে নিয়ে নিজের উত্তেজনা আর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন। "আমি শেষবার ১৯৯২ সালে এমন উত্তেজিত ছিলাম, কারণ সে সময় আমি নিজেই ক্রিকেট খেলতাম" - বলছিলেন মিঃ রিচার্ডসন। আর এবারের আয়োজন নিয়ে তিনি মুগ্ধ বিশ্বকাপ নিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখে। "যুক্তরাজ্য ও বৈশ্বিকভাবে টিকেটের প্রচুর চাহিদা এবারে, যা আমাদের আশাবাদী করছে।" আইসিসি' প্রধান নির্বাহী বলেন, "কিছু ব্যাপার থাকে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, সেসব নিয়েই মূলত আমাদের উদ্বেগ।" আরো পড়ুন: ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: যেভাবে মাঠে এবং টেলিভিশনে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: দেখে নিন বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে, কখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে বিবিসি বাংলার বিশেষ আয়োজন কী সেই উদ্বেগগুলো? আবহাওয়া ইংল্যান্ডের আবহাওয়া চিরদিনই আনপ্রেডিক্টেবল, অর্থাৎ এই রোদ তো এই বৃষ্টি। মে মাসের শেষের দিকে এখন লন্ডন শহরের আবহাওয়াতে বেশ অধারাবাহিক লক্ষ্য করা গেছে। ২৬শে মে অর্থাৎ গতকাল পুরোদিন মেঘলা আবহাওয়া সাথে বৃষ্টিও হয়েছে সন্ধ্যার দিকে। কার্ডিফে গতকাল ভেসে গিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ। এ নিয়ে রিচার্ডসন বলেন, এমন আসরে কিছু জিনিস থাকে, যা কারো নিয়ন্ত্রণে থাকে না। "যেমন আবহাওয়া, আমরা আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না," বলছিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী। অর্থাৎ বিশ্বকাপের চলতি আসরের কিছু ম্যাচ যে খারাপ আবহাওয়ার খপ্পরে পড়তে পারে, তার আভাস তিনি আগেই দিয়ে রাখছেন। নিরাপত্তা আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে নিরাপত্তা। যেকোনো বিশ্ব ইভেন্টে নিরাপত্তা নিয়ে একটা উদ্বেগ সবসময়েই থাকে আয়োজকদের। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের মাটিতে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সরাসরি হামলা হওয়ার পর থেকে আইসিসি এই বিষয়ে বাড়তি নজরদারি করছে। চলতি বছরেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সফরের সময়, দলের খুব কাছেই, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একটি সন্ত্রাসী হামলা এবং সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় হয়ে যাওয়া বোমা হামলার ঘটনার পর এই উদ্বেগ হয়তো বেড়েছে। তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী জানাচ্ছেন, নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষজনক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। "বিশ্বজুড়ে এটা নিয়ে আলোচনা হয় আমরা জানি। আমরা ঝুঁকি কমিয়ে আনছি," নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ডেভিড রিচার্ডসন। ম্যাচ পাতানো ম্যাচ পাতানোর ইস্যুতে নিজেদের খুব শক্ত অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন ডেভ রিচার্ডসন। যারা ম্যাচ পাতায় তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, "শেষ ১২ মাসে দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাজ চোখে পড়ার মতো, আমরা এখন জানি কারা এসব করছে। তারা যাতে বিশ্বকাপের কোনো জায়গায় ঠাঁই না পায়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।" এবারে বিশ্বকাপের ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা-সমালোচানা হলেও এ নিয়ে ফরম্যাট নিয়ে বেশ আশাবাদী ডেভিড রিচার্ডসন। তাঁর মতে, ১০ দলের বিশ্বকাপ হলেও এটাই সেরা ফরম্যাট, যেখানে সেরা দলগুলোই লড়বে।
দরজায় কড়া নাড়ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ -আগামী ৩০শে মে পর্দা উঠছে ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে এই বড় আসরের।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
শফিক তুহিন ও আসিফ আকবর তবে গত বেশ কিছুদিন ধরেই উভয়ের মধ্যে চরম মনোমালিন্য চলছিল এবং সেটি উঠে এসেছে দু'জনের ফেসবুক পাতায় দেয়া তাদের পোস্টগুলোতে। এতে দেখা যায় একজন আরেকজনের সমালোচনায় বেশ কিছুদিন ধরেই মুখর ছিলেন সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি মামলায় গড়িয়েছে এবং ওই মামলায় গায়ক আসিফ আকবর এখন কারাগারে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। যার মূল বিষয় ছিল - মেধাস্বত্ব আইনের তোয়াক্কা না করেই গীতিকার এবং সুরকারদের বঞ্চিত করে গান বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে শিল্পী প্রীতম আহমেদ কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করে অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন গীতিকার এবং সুরকারদের গান প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। ফলে তারা নামের স্বীকৃতি এবং আর্থিকভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। সে তালিকায় গায়ক আসিফের নাম ছিল বলে অভিযোগ উঠে। অনুষ্ঠানটি প্রচার হওয়ার পর গায়ক শফিক তুহিন তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছিলেন, "গান তুমি কার? দেখুন কিভাবে মেধাস্বত্ব চুরি করে শিল্পীদের ফকির বানিয়ে একদল সংগীত দুর্বৃত্ত সম্পদের পাহাড় গড়ে।" নিজের ফেসবুক পেজে শফিক তুহিন কিছু কাগজপত্র শেয়ার করে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে গান বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। বিষয়টিতে সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আসিফ আকবর এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় লাইভে আসেন ৪ঠা জুন। দীর্ঘ ওই ফেসবুক লাইভে প্রীতম আহমেদ এবং শফিক তুহিনের কড়া সমালোচনা করেন আসিফ আকবর। তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি। এনিয়ে আসিফ আকবর, শফিক তুহিন এবং প্রীতম আহমেদের দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে আসে। শফিক তুহিন ফেসবুকে অভিযোগ করেন, "অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি; কিছু হলে দায়ভার আসিফ আকবরের।" এরপর আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শফিক তুহিন এবং ওই মামলায় প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার কাগজপত্রে গায়ক আসিফের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। একটি অভিযোগ হচ্ছে, ফেসবুকের মাধ্যমে হুমকি এবং গালিগালাজের অভিযোগ। সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। অপরটি অভিযোগটি হচ্ছে, শফিক তুহিনের গান নিয়ে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়া। সেটি নিয়ে মেধাস্বত্ব আইনে মামলা হয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মি: ইসলাম জানান, গতরাতে গায়ক আসিফ আকবরকে তাঁর তেজগাঁও এলাকার স্টুডিও থেকে আটক করা হয়। বুধবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য গায়ক আসিফ আকবরের স্ত্রী সালমা আসিফ মিতুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে কোন মন্তব্য করেননি। আসিফ আকবরের একক অ্যালবামের সংখ্যা ৩০টি এবং মিশ্র ও দ্বৈত অ্যালবামের সংখ্যা প্রায় ৯০টি। সংগীত জগতে এক সময় আসিফ আকবর, শফিক তুহিন এবং প্রীতম আহমেদ বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আসিফ আকবর সংগীত জগত থেকে প্রায় পাঁচ বছর দূরে থাকার পর বছর দু'য়েক আগে তিনি আবারো ফিরে আসেন। এরই মধ্যে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথেও জড়িয়েছিলেন। তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সেখান থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি বলে জানিয়েছে বিএনপির একটি সূত্র। অন্যদিকে, গায়ক প্রীতম আহমেদ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনে বেশ সক্রিয় ছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ব্রিটিশ শিশুদের বাংলা গান শেখান গৌরী চৌধুরী বারী সিদ্দিকির জনপ্রিয়তার পেছনে কারণ কী? একই গানে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত পপ ভিডিও 'তোরি সুরত' নিয়ে ক্ষিপ্ত ভারতের সুফিরা উৎসবের সময় আমদানি করা সিনেমা চলবে না 'অনৈসলামিক' বিবেচনায় ডেসপাসিতো সেন্সর করলো মালয়েশিয়া শিল্পী বব মার্লিকে যেভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো
আসিফ আকবর এবং শফিক তুহিন দুজনেই বাংলা গানের জনপ্রিয় শিল্পী। দুজনই বাংলাদেশে গানের তারকা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতে কাজ করছেন প্রচুর বিদেশি কর্মী। এমন তথ্য উঠে এসেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক গবেষণায়। টিআইবি বলছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে বৈধ এবং অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের সংখ্যা কমপক্ষে আড়াই লাখ। এদের অনেকে কর ফাঁকি দিচ্ছে আবার অনেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ করে কোন কর না দিয়ে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে উঠে এসেছে টিআইবি'র গবেষণায়। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ ও চাকরি করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব ও নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ না থাকার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, বিদেশী নাগরিকরা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সেখানে তাদের প্রকৃত বেতন গোপন করা হচ্ছে। গার্মেন্টসখাতে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের উদাহরণ তুলে ধরে টিআইবি বলেছে, সেখানে একজন বিদেশী নাগরিক সিইও হিসেবে প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ হাজার ডলার বেতন পেলেও কাগজপত্রে সেটি দেখানো হচ্ছে মাত্র তিন থেকে চার হাজার ডলার। তবে বাংলাদেশে কোন কোন দেশের কতজন বিদেশি নাগরিক কাজ করে, সেবিষয়ে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থায় বৈধ ও অবৈধভাবে কাজ করা বিদেশি নাগরিকদের প্রকৃত বেতন গোপন করার ক্ষেত্রে তাদের নিয়োগকারী সংস্থা সহায়তা করার কারণে মূলত এই পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি টিআইবি'র। টিআইবি বলছে, বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি নাগরিক কাজ করে। তবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যাটি অনুমান করা হলেও, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলেও ধারণা করছে তারা। কী পাওয়া গেছে গবেষণায়? বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কাজ করা বিদেশি কর্মীদের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য না থাকলেও টিআইবি'র গবেষনা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিদেশি কর্মী কাজ করে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক এনজিও, হোটেল ও রেস্তোঁরার মত খাতে বিদেশি কর্মীরা কাজ করে থাকেন। বাংলাদেশে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো সমন্বিত ও কার্যকর কৌশলগত নীতিমালা না থাকায় এই ধরণের নিয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষও নেই। যার ফলে বিদেশি কর্মীদের আসা-যাওয়ায় নজরদারি রাখা, নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা পরীক্ষা এবং অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠে থাকে। এপ্রিল ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যণ্ত সময়কালের তথ্য নিয়ে চালানো গবেষণার ভিত্তিতে টিআইবি বলছে, বাংলাদেশে অন্তত ৪৪টি দেশের প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি নাগরিক কাজ করেন, যারা প্রতিবছর অবৈধভাবে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঠান। আরো পড়তে পারেন: দুবাই ডান্স বার: বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার যেভাবে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলো যেভাবে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অবৈধভাবে কীভাবে বিদেশি নাগরিকরা চাকরি করছেন? টিআইবি'র গবেষণা অনুযায়ী, ভিসা নীতি লঙ্ঘন করার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বিদেশি কর্মী অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ করে। অনেক বিদেশি নাগরিক সাধারণত ট্যুরিস্ট ভিসা বা অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তীতে কাজ করার অনুমতি না নিয়েই চাকরিতে যোগ দেন এবং কাজ করতে থাকেন। অনেকক্ষেত্রেই তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের নথিপত্রে বিদেশি কর্মীদের উল্লেখ থাকে না। আয়কর ফাঁকি দিতে বৈধভাবে কাজ করা বিদেশি কর্মীদের বেতনও প্রকৃত বেতনের চেয়ে অনেক কম দেখানো হয়। এছাড়া প্রকৃত বেতনের একটি অংশ বৈধভাবে দেয়া হলেও সিংহভাগই অবৈধভাবে নগদ দেয়া হয়ে থাকে। আর অবৈধভাবে কাজ করা কর্মীদের পুরো বেতনই নগদ অথবা অন্য কোনো দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া কর্মীদের হাতখরচ, আবাসন, পরিবহণ ও অন্যান্য সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে বলেও উঠে এসেছে টিআইবি'র গবেষণায়। আরো পড়তে পারেন: অবশেষে যথাযথ নাম পেতে যাচ্ছে করোনাভাইরাস বগা লেকের পানির রঙ বদলে গেলো যে কারণে কিশোরীর ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যে ফ্রান্সে তুলকালাম স্কুলে মনোবিদ শিক্ষার্থীদের কী কাজে আসবে?
বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা প্রতিবছর অবৈধভাবে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
কে, কবে, কখন ও কেন প্রথম কথা বলেছিল? "পৃথিবীতে মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যাদের ভাষা আছে, এই ভাষার কারণে আমরা অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা হয়েছি," বলেছেন নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাগি টলারম্যান। ভাষার মাধ্যমে এই যে ভাবের বিনিময়, কথার আদান প্রদান, সেটাকে দেখা হয় বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হিসেবে। সবকিছুকে বদলে দিয়েছে এই ভাষা। আর একারণেই মানুষ ভাষার উৎস সম্পর্কে জানতে দারুণ উৎসাহী। "জটিল যতো বিষয় আছে তার একটি এই ভাষা এবং এটিই আমাদের মানুষ বানিয়েছে, বলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব বিবর্তন বিভাগের শিক্ষক ও নৃবিজ্ঞানী রবার্ট ফোলি। মানুষকে বুঝতে হলে তার ভাষাও বুঝতে হবে। ভাষার বয়স কতো বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষ সাড়ে ছ'হাজারের মতো ভাষায় কথা বলে। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা কোনটি? সবচেয়ে পুরনো ভাষার নাম জানতে চাইলে আমরা অনেকেই ভাবি ব্যাবিলনীয়, সংস্কৃত কিম্বা মিশরীয় ভাষার কথা। কিন্তু অধ্যাপক টলারম্যান বলছেন, এসব ভাষা তার ধারে-কাছেও নেই। সাধারণত আমরা বলি যে ভাষা ছ'হাজার বছর পুরনো। কিন্তু ভাষার প্রকৃত উৎস যদি খুঁজে দেখতে হয় তাহলে অন্তত ৫০ হাজার বছর পেছনে ফিরে যেতে হবে। বহু ভাষাবিজ্ঞানী মনে করেন, ভাষার ইতিহাস আসলে এর চেয়েও পুরনো। "আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ভাষার উৎপত্তি পাঁচ লাখ বছর আগেও হতে পারে," বলেন অধ্যাপক টলারম্যান। ভাষার উৎস খুঁজতে আমাদের কতো পেছনে যেতে হবে? একই পূর্বপুরুষ পৃথিবীতে যতো ভাষা আছে সেগুলোর চরিত্র আলাদা আলাদা হলেও "এটাও সম্ভব যে বর্তমানে সব ভাষাই একজন পূর্বপুরুষের কাছ থেকে এসেছে," বলেন অধ্যাপক ফোলি। জীববিজ্ঞানের বিবর্তনের ইতিহাসের সূত্র ধরে বিজ্ঞানীরা ভাষা কবে শুরু হয়েছিল তার কাছাকাছি যেতে পেরেছেন। জিন-বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুসারে আমরা কমবেশি সবাই এসেছি আফ্রিকার একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে। ভাষার এই তালিকার বাইরেও হয়তো অন্যান্য ভাষাও থাকতে পারে, কিন্তু আজকের দিনে যেসব ভাষায় কথা বলতে শোনা যায় সেগুলোর সবই সম্ভবত একই ভাষা থেকেই বিবর্তিত হয়েছে। জীবাশ্ম থেকে অনেক কিছু জানা সম্ভব। জীবাশ্ম থেকে প্রমাণ আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবাশ্ম থেকে কিছু ধারণা পাওয়া যায় যে আমরা ঠিক কবে থেকে কথা বলতে শুরু করেছিলাম। অধ্যাপক ফোলি বলছেন, "কথা হচ্ছে একধরনের শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া। এটা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আমরা শব্দ তৈরি করে থাকি।" এটা করার জন্যে শরীরের পেশীর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হয়। "আমাদের বক্ষ এবং উদরের মাঝখানে যে ঝিল্লির পর্দা সেটি অন্যদের থেকে আলাদা। আমাদের কাছাকাছি যে প্রাণী, অর্থাৎ বানর বা এইপ, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের ঝিল্লির তুলনায় আমাদের ঝিল্লিতে নার্ভের সংখ্যা বহুগুণে বেশি।" এসব নার্ভের অর্থ হচ্ছে "আমাদের স্পাইনাল কর্ড এইপের স্পাইনাল কর্ডের চেয়ে মোটা এবং আমাদের ভার্টিব্রাল কলামও একটু বেশি প্রশস্ত। নিয়েন্ডারথাল নামে আমাদের যে আত্মীয় বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যারা ছ'লাখ বছর আগেও পৃথিবীতে বেঁচে ছিল, তাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে তাদের স্পাইনাল কলামও প্রশস্ত ছিল। কিন্তু আপনি যদি দশ লাখ বছর আগের হোমো ইরেক্টাসের দিকে তাকান, যারা মানবজাতির প্রাচীনতম পূর্বপুরুষ, তাদের দেহে এরকম ছিল না। এ থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায় যে মানুষ কবে থেকে কথা বলতে শুরু করেছিল। কারা কথা বলেছিল প্রথম? জিন-বিজ্ঞানের ভূমিকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্মের রেকর্ডের বাইরেও জিন-বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে ভাষার বয়স জানা সম্ভব হচ্ছে। "এফওএক্সপিটু নামের একটি জিন আছে। স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে এই জিন। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," বলেন অধ্যাপক ফোলি। "জিনের এই রূপান্তর গবেষণা করেও বোঝা যায় কেন মানুষ কথা বলতে পারে, কিন্তু শিম্পাঞ্জি পারে না। কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।" মজার বিষয় হচ্ছে, এখনকার মানুষদের মতো নিয়েন্ডারথালদেরও এই এফওএক্সপিটু ধরনেরই জিন ছিল। এর ফলে ধারণা করা যায় যে তাদের মধ্যেও কোন না কোন ধরনের কথা বা ভাষা ছিল। তবে তাদের সেই ভাষা সম্পূর্ণ এবং উন্নত ছিল কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়। অধ্যাপক টলারম্যান বলছেন, কথার সাথে ভাষার তফাৎ আছে। তবে কী কারণে কথা একসময় ভাষা হয়ে উঠে সেটা জিনগত তথ্যপ্রমাণ থেকে নির্ণয় করা কঠিন। আকারে বড় হওয়া সত্ত্বেও বিলুপ্ত হয়ে গেছে নিয়েন্ডারথাল। মস্তিষ্কের আকার আদি-মানবের মাথার খুলির আকৃতি থেকে কি ভাষার উৎপত্তির সময় খুঁজে বের করা সম্ভব? অবশ্যই না। সবচেয়ে সহজ কারণ হলো আমরা ঠিক জানি না যে একটি ভাষা তৈরির জন্যে কতো বড় মস্তিষ্কের প্রয়োজন হয়। "নিয়েন্ডারথালসের মস্তিষ্ক আমাদের চেয়েও বড় ছিল। কারণ প্রাণী হিসেবেও তারা বড় ছিল," বলেন অধ্যাপক টলারম্যান। প্রথম শব্দ কী ছিল আমরা যখন মানবজাতির শুরুর দিকের ভাষা নিয়ে কথা বলছি, আমরা কি বলতো পারবো তখন মানুষের মুখ থেকে প্রথম কোন শব্দটি উচ্চারিত হয়েছিল? "সৎ উত্তর হচ্ছে: আমাদের আসলে কোন ধারণাই নেই," বলেন প্রফেসর ফোলি। মানব ইতিহাসের শুরুর দিকে যে শব্দগুলো চালু ছিল বলে ধারণা করা হয় সেগুলোর অর্থ হতে পারে 'ঈগল', 'চিতা' অথবা 'দেখো।' অনেকে মনে করেন, আমাদের পরিবেশের আশেপাশে সহজ ও সুনির্দিষ্ট কোন জিনিসই হয়তো মানুষের মুখ থেকে প্রথম এসেছিল। প্রথম শব্দ হয়তো ব্যাকরণ মেনে হয়নি। আরেকটি তত্ত্ব হচ্ছে প্রথম দিককার শব্দগুলোর মধ্যে এমন শব্দগুলোই ছিল যেগুলো আমরা এখন সবসময় ব্যবহার করি। যেমন: ইশ, হেই, ওয়াও, থ্যাংকস, গুডবাই- এধরনের শব্দ। এসব শব্দ প্রায় সব ভাষাতেই আছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে মিল হচ্ছে যে এসবের কোন সিনটেক্স বা ব্যাকরণ নেই। খাওয়ার সময় ভাষা তৈরি হয়েছিল? মানবজাতির শুরুতে কথা বলা শুরু হয়েছিল একে অপরকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি খাদ্য গ্রহণ করতে গিয়েও। আমাদের পূর্বপুরুষরা বড় বড় শিকারি প্রাণীদের হাতে নিহত পশুর মৃতদেহ থেকে মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করতো। "হায়েনাদের হাতে নিহত পশুদের মরদেহ থেকে মাংস খেতে হলে আপনার সাথে আরো কিছু মানুষের প্রয়োজন হতো। কারণ এটা একটা বিপদজনক কাজ ছিল," বলেন অধ্যাপক টলারম্যান। আদিম জীবনের একটি চিত্র। "আপনি যখন খাবারের খোঁজে ঘর থেকে বের হলেন, একটা পশুর ভালো মৃতদেহও খুঁজে পেলেন এবং আপনার গ্রুপের লোকজনদের জানাতে চান যে আশেপাশেই ভালো খাবার আছে তখন তো একটা ভাষার দরকার হবে," বলেন তিনি। বিজ্ঞানীদের ধারণা খাদ্য গ্রহণের তাড়না এবং বেঁচে থাকার চেষ্টার কারণে মানুষের মধ্যে একে অপরকে জানানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে। পরচর্চা বা গসিপের ভূমিকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, একসাথে মিলে কাজ করার ক্ষমতা থেকেও ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা তৈরি হয়েছে। "পরস্পরকে সহযোগিতা করাই এক্ষেত্রে পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, বলেন অধ্যাপক ফোলি, "বিশেষ করে জোটবদ্ধ হওয়া এবং চারপাশে কী হচ্ছে সেটা জানার চেষ্টা করা।" "এই আড্ডা মারার মতো করে কথা বলার গুরুত্বও কম ছিল না। টুকটাক কথা বলা, পরচর্চা বা গসিপ এগুলো প্রতিদিনেরই অংশ," বলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইতিহাসবিদ ড. লরা রাইট। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে চীনা ভাষা ইদানিং কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিশ্বের যে ভাষাগুলোকে সবচেয়ে দক্ষ ভাষা বলা হয় ইংরেজি ভাষার দিন কি ফুরিয়ে এসেছে
আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রথম কবে কথা বলতে শিখেছিল? এখন যে হাজার হাজার ভাষায় মানুষ কথা বলে সেগুলো কি ওই একজন পূর্বপুরুষের কাছ থেকেই এসেছিল? এসব ভাষার ইতিহাস থেকে কি তার উৎস খুঁজে বের করা সম্ভব? লেখক ও ভাষা-প্রেমিক মাইকেল রোজেন সেটাই অনুসন্ধান করে দেখছেন...
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র সমর্থকদের সংঘর্ষ হয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় একটি টেলিভিশনের সংবাদকর্মী আহমেদ সালেহীন বলেন, আর কে মিশন রোডে স্থানীয় সয়ম দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন মতিঝিল এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে গোপীবাগ এলাকায় তার নিজের বাসায় ফিরছিলেন। সেখান থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। "সেসময় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ জন সদস্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এর পরে হাতাহাতি এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।" স্থানীয় আরেকটি টেলিভিশনের সাংবাদিক আশেকীন প্রিন্স জানান, আর কে মিশন রোডে আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি মূলত একটি নির্বাচনী ক্যাম্প। এটি একটি দোতলা ভবন। যার তিন তলার নির্মাণ কাজ চলছে। তিনি বলেন, "ভবনটির দোতলায় কিছু সমর্থক ছিলেন যারা হাতাহাতির সময় উপর থেকে ইট-পাটকেল এবং চেয়ার ছুড়ে মারে। এতে সংবাদকর্মীসহ কয়েক জন আহত হয়।" মিস্টার প্রিন্স বলেন, সংঘর্ষের সময় শুরুতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। কিন্তু কারা গুলি ছুড়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আরো পড়তে পারেন: প্রচারণায় প্লাস্টিকের পোস্টার, রাত বিরেতে শব্দ দূষণ দলগুলোর মধ্যে অনাস্থাই কি ইভিএম বিতর্কের মূলে? বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারে হামলা সংঘর্ষের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, নির্বাচন বানচালের জন্য তার প্রচারণায় হামলা চালানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিয়ম মেনেই নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গোপীবাগে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে তার এবং তার সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন। তার দলের পক্ষ থেকে কেউ গুলি ছোড়েনি বরং তাদের উপর গুলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মিস্টার হোসেন। এ ঘটনার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।" তিনি অভিযোগ করেন, "এই হামলা সুপরিকল্পিত হামলা। বিএনপি প্রার্থী প্রচারণা না চালিয়ে তার বাসার সামনে থাকা নৌকার ক্যাম্পে গিয়ে কেন হামলা চালাবে, সেখানে কেন সে উপস্থিত থাকবে?" পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০২০ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
রাজধানী ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঢাকার একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ওয়ার্ড। (ছবিটি ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে তোলা) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ লাগোয়া দেশের সবকটি রাজ্যকে চিঠি লিখে সতর্ক করে দিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাদের এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। করোনাভাইরাস সঙ্কটের পাশাপাশি আসন্ন ডেঙ্গু মৌশুমে যদি মশাবাহিত এই রোগটিরও বাড়াবাড়ি শুরু হয় – তাহলে অবস্থা খুব খারাপ মোড় নিতে পারে বলেও অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন। বস্তুত বিগত প্রায় দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশে ডেঙ্গু সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল গত বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে। লক্ষাধিক মানুষ সেবার ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, মারাও গিয়েছিলেন প্রায় দুশোর কাছাকাছি। আর এবার বাংলাদেশের সরকারি হিসেবই বলছে, চলতি বছরের প্রথম সাড়ে তিন মাসে সারা দেশে প্রায় ৩০০ লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন - যা গত বছরের একই সময়ের পরিসংখ্যানের চেয়েও তিন-চারগুণ বেশি। ভারেতর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদান এই পটভূমিতেই ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনও ঝুঁকি না-নিয়ে বাংলাদেশ-লাগোয়া রাজ্যগুলোকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছে – ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখন থেকেই তাদের সাবধান হতে হবে। গত ১০ই এপ্রিল ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লির যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেও এই বিষয়টি আলাদা করে উল্লেখ করেন ভারতের স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদান। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের উপস্থিতিতেই তিনি সেদিন বাংলাদেশ-লাগোয়া রাজ্যগুলির উদ্দেশে বলেন, "বাংলাদেশ থেকে আমরা খবর পাচ্ছি ওখানে ডেঙ্গু মারাত্মকভাবে ছড়াচ্ছে।" "কাজেই এই রাজ্যগুলোকে বিশেষভাবে বলব যদিও আপনারা কোভিড-১৯ ঠেকানোর কাজে ব্যস্ত – তারপরও ডেঙ্গুর দিকটাও আপনারা খেয়াল রাখুন।" "আমাদের সংশ্লিষ্ট যুগ্ম-সচিবও এই বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।" এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা বা মিজোরামের মতো বাংলাদেশ সংলগ্ন রাজ্যগুলোকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েও মিস সুদান ডেঙ্গুর সম্ভাব্য হামলা নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। ডেঙ্গু মোকাবেলার কঠোর প্রোটোকল অবিলম্বে বলবৎ করা, সব প্রকাশ্য স্থানে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা, জলের উন্মুক্ত উৎসগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা কিংবা হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ডেঙ্গু টেস্ট কিটের ব্যবস্থা রাখার ওপর ওই চিঠিতে কেন্দ্র জোর দিয়েছে। বাংলাদেশে চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগীদের বিষয়ে সবশেষ পরিসংখ্যান তবে কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ এপিডেমিওলজিস্ট আশিস মান্না মনে করেন, ভারতে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ কতটা হবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে ডেঙ্গুর কোন্‌ সেরোটাইপ এ বছর হানা দেয়, তার ওপর। ড: মান্না বিবিসিকে বলছিলেন, "আমাদের অভিজ্ঞতা বলে সাধারণত প্রতি এক বছর অন্তর ডেঙ্গুর ইমপ্রিন্টটা একটু হাই হয়। "এর কারণ হল, একটা বিশেষ ডেঙ্গু সেরোটাইপে কেউ আক্রান্ত হলে প্রাকৃতিকভাবে তার একটা ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যায়। পরের বছরও সেই একই সেরোটাইপ হানা দিলে ওই ইমিউনিটি অনেকটাই কাজ করে – যদিও তার পরের বছর আবার সেটা দুর্বল হয়ে যায়।" "গত দুবছর ধরে আমাদের এখানে প্রাবল্য দেখা গেছে ডেঙ্গুর সেরোটাইপ টু-র। সেই একই সেরোটাইপ এবারও এলে ঝামেলাটা কম থাকবে – কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন সেরোটাইপ আসে তার ওপরেই নির্ভর করবে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম হবে না বেশি।" বাংলাদেশে বা ভারতেও ডেঙ্গুর পিক সিজন শুরু হয় মনসুন বা মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই – যা আসতে এখনও প্রায় মাসদুয়েক বাকি। কিন্তু এখন থেকে মাসদুয়েকের মধ্যে করোনাভাইরাসের মহামারি স্তিমিত হবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ – কাজেই এবছর করোনাবাইরাস আর ডেঙ্গু একসঙ্গে মিলে একটা বিপর্যয় বাঁধাতে পারে, সেই আশঙ্কা আসলে কতটুকু? কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন ড: আশিস মান্না বলছেন, "করোনাটা আমাদের কাছে একটা নতুন জিনিস – অন্তত কোভিড-১৯টা তো বটেই। অজানা শত্রুকে নিয়ে আগাম পূর্বাভাস করতে যাওয়াটা আসলে খুব বোকামো হবে।" "এ কী খায়, কী পরে, কীভাবে ঘুষি চালায়, বা কোন দিক থেকে অ্যাটাক করতে পছন্দ করে এগুলো আমরা এখনও কিছুই প্রায় জানি না। অন্য দিকে ডেঙ্গু কিন্তু অনেকটাই আমাদের চেনা শত্রু – কারণ আমাদের ডেঙ্গু নিয়ে একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়ে গেছে।" "এমন কী আমাদের হাসপাতালের প্রতিটি কর্মীও জানেন ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে ঠিক কী কাজ করতে হবে, কোন রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, কার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদি।" "কাজেই এই পটভূমিতে আমি বলব করোনা করোনাই, আর ডেঙ্গু ডেঙ্গুই। দুটো একসঙ্গে এলে বা মিলে গেলে কী হবে সেটা আগাম পূর্বাভাস করার জায়গাটা খুব কম।" ড: মান্না অবশ্য সেই সঙ্গেই বিশ্বাস করেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সার্বিকভাবে যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে, মানুষ যেরকম সচেতন হয়ে উঠছে তাতে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়েও তার একটা সুফল অবশ্যই মিলতে পারে।
বিপজ্জনক করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় গোটা দেশে লকডাউন জারি করে ভারত যখন অবস্থা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে – তখন সরকারের কপালে বাড়তি দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
নতুন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান রশিদ খান ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই - টি২০, একদিনের ম্যাচ এবং টেস্ট ক্রিকেটে - দলের নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্বকাপের আফগানিস্তানের হতাশাজনক পারফরমেন্স এবং সাম্প্রতিক সময়ে ভেতর নানা কোন্দলের প্রেক্ষাপটে নাটকীয় এই সিদ্ধান্ত এলো। বিশ্বকাপে তাদের নয়টি ম্যাচেই হেরেছে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই হঠাৎ করে আসগর আফগানকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে নিয়ে গুলবুদিন নাইবকে ৫০ ওভারের ম্যাচের জন্য দলের অধিনায়ক করা হয়। টেস্ট দলের জন্য অধিনায়ক করা হয় রহমত শাহকে। দলের এই পরিবর্তন নিয়ে কোচ ফিল সিমন্সের সাথে চরম বিরোধ তৈরি হয় আফগান দল নির্বাচকদের। এখন টি২০ দলের পাশাপাশি সব ফরম্যাটেই রশিদ খান অধিনায়ক হচ্ছেন। শনিবারের এই সিদ্ধান্তের অর্থ হলো রহমত শাহ একটি ম্যাচেও অধিনায়কত্ব না করেই বরখাস্ত হলেন। বয়স কম হলেও রশিদ খান নিঃসন্দেহে এ মুহূর্তে আফগানিস্তানের সবচেয়ে নামী-দামী ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি আইসিসির টি২০ ক্রিকেট র‍্যাংকিংয়ে এক নম্বরে। তাছাড়া, আইপিএল সহ বিশ্বের নানা টি২০ টুর্নামেন্টে তিনি ইতিমধ্যেই বড় তারকা হয়ে উঠেছেন। ২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর আফগানিস্তান দুটো ম্যাচ খেলেছে। দুটোতেই দলে ছিলেন রশিদ খান। এছাড়া, আফগানিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি ৬৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ৩৮টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্বকাপের দল গঠণ নিয়ে কোচ ফিল সিমন্সের সাথে আফগান নির্বাচকদের বিরোধ চরমে উঠেছিল আফগান ক্রিকেটে কোন্দল বিশ্বকাপের ঠিক আগে কোচ ফিল সিমন্সের সাথে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক দৌলত আহমাদজাইয়ের বিরোধ চাপা থাকেনি। এমনকী বিশ্বকাপ চলার সময়েও দলের দুর্বল পারফরমেন্সের জন্য আহমাদজাই প্রকাশ্যে কোচ সিমন্সকে দায়ী করেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফিল সিমন্স বলেন, "বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এবং আসগর আফগানকে বরখাস্ত করার পেছনে আহমাদজাইয়ের ভূমিকা" তিনি আফগান জনগণকে খোলাসা করে জানাবেন। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সাথে একটি টেস্ট টেস্ট ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান। সেটিই হবে অধিনায়ক হিসাবে রশিদ খানের প্রথম পরীক্ষা।
আফগানিস্তান তাদের মাত্র ২০ বছরের লেগ স্পিনার রশিদ খানকে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিয়োগ করেছে। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সাথে টেস্ট ম্যাচই হবে অধিনায়ক হিসাবে তার প্রথম পরীক্ষা।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নখে জেলপলিশ ও অ্যাক্রেলিক ব্যবহারে অ্যালার্জি হতে পারে। এ অবস্থায় নখে জেল, জেলপলিশ এবং অ্যাক্রেলিক নখ অর্থাৎ কৃত্রিম নখ ব্যবহারের ব্যাপারে নারীদের সতর্ক করেছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান এই জেল, জেল পলিশ এবং অ্যাক্রেলিক নেইলসে এমন একটি রাসায়নিক পাওয়া গেছে যাতে ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিস্ট জানিয়েছে যে, জেল, অ্যাক্রেলিক এবং জেল পলিশ এই তিনটিতেই বিভিন্ন মাত্রায় , মেথাক্রিলেট নামে রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যার সংস্পর্শে শুধুমাত্র আঙ্গুলে নয় বরং শরীরের যেকোনো স্থানে তীব্র চুলকানি, ফুসকুড়ি হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই রাসায়নিকে ২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতবছর যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে এ সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সেখানে মোট ১৩টি ডার্মাটোলজি ইউনিটের প্রায় ৫ হাজার রোগীর ওপর জরিপ করেন গবেষকরা। আরও পড়তে পারেন: বিজ্ঞাপনের যেসব দাবী নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে রেজরের বিজ্ঞাপনে লোমশ নারী: কেন এত বিতর্ক শিশুর একজিমা সারাতে স্নানের তেল কতটা কার্যকর মূলত ওই রোগীদের ওপর এই রাসায়নিক প্রয়োগ করে তাদের অ্যালার্জি হয় কিনা, হলেও সেটা কেমন মাত্রায় হয় সেটা পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, বেশিরভাগ রোগীর এই রাসায়নিকের সংস্পর্শে অ্যালার্জি হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগের অ্যালার্জি হওয়ার কারণ ছিল নেইল এনহান্সমেন্ট, কৃত্রিম নখ ও কৃত্রিম চোখের পাপড়ির আঠা ব্যবহার করা। কাদের অ্যালার্জির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি? মেথাক্রিলেটের সংস্পর্শে এ ধরণের অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায় যখন এই জেলপলিশ বা অ্যাক্রেলিক নখ বাড়িতে বসে বা কোন অদক্ষ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। যেসব বিউটিশিয়ান এসব রাসায়নিক জাতীয় উপাদান নিয়ে কাজ করেন। বা অন্যের হাতে এ ধরণের নেইলপলিশ বা কৃত্রিম নখ পরিয়ে দেন, তাদেরও অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ অবস্থায় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জেল, জেল পলিশ হোম কিটস ব্যবহারে নারীদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাই যারা স্যালন বা বিউটি পার্লারে এসব পণ্য নিয়ে কাজ করেন তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এই রাসায়নিকটি ত্বকের যে কোন অংশের সংস্পর্শে আসার পরপরই অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াগুলি দেখা যেতে পারে। এতে মুখ, ঘাড়, চোখের পাতা এমনকি শরীরের সংবেদনশীল স্থানও দেখা দিতে পারে ক্ষতিকর র‍্যাশ। অনেকের আবার শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভোগারও আশঙ্কা থাকে। আর এ ধরণের অ্যালার্জি নারীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। সারাজীবন থেকে যেতে পারে এই রাসায়নিকের প্রভাব: ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিস্টের ড. ডেভিড অর্টন বলেন, "এটি মানুষের জন্য জানা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে কৃত্রিম নখ ব্যবহার কারণে অ্যালার্জি হতে পারে। "এটা সত্যি যে, এমন অনেক নারী আছেন, যারা এই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত। তবে তারা এ সংক্রান্ত কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন না। কারণ তারা এই অ্যালার্জির লক্ষণটির পেছনে নখের এসব আলপনাকে কারণ হিসেবে ভাবতে পারছেন না।বিশেষ করে অ্যালার্জি যখন শরীরের অন্য কোন অংশে হয়। তখন তারা ভেবে বসেন হয়তো অন্য কোন কারণেই এমনটা হচ্ছে।" ড. অর্টন আরও বলেন, " এ ধরণের অ্যালার্জি হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাটা খুবই জরুরি। যেন তারা এই ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পারে। কেননা এ ধরণের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হয়তো অনেককেই জীবনভর ভোগ করতে হতে পারে। " সাধারণত দন্ত চিকিৎসায় এমনকি সার্জারিতে যে ধরণের যন্ত্র সাধারণ ব্যবহার করা হয়। সেগুলোয় এই অ্যালার্জিক উপাদান রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিকার কি? ড. অর্টন জানান, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন বিউটিশিয়ান এবং যারা নেইল এনহান্সমেন্ট কাজের সঙ্গে জড়িত সেই মানুষেরা। মেথাক্রিলেটযুক্ত নেইল পণ্যগুলো সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে না আনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় তাদেরকে কাজ করার সময় নিট্রাইল গ্লাভস পরার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, "স্যালন মালিকদের একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, এই সেকশনে কর্মরত বিউটিশিয়ানদের তারা যথেষ্ট পরিমাণে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কিনা। সেটা নিশ্চিত করতে পারলেই পেশাগত কারণে কর্মচারীদের ক্ষতি এড়ানো যাবে। " এদিকে, রয়্যাল ইউনাইটেড হাসপাতালের বাথের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ব্রিটিশ সোসাইটি অফ কেটানিয়াস এলার্জির সভাপতি ড. ডেইরড্রে বাক্লে বলেন, আগে চিকিৎসকরা এই রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তিনি বলেন "মেথাক্রিলেট থেকে অ্যালার্জি গত কয়েক দশক ধরে চলা অন্যান্য সংক্রামক অ্যালার্জির মতো হয়ে উঠতে পারে" এক্ষেত্রে তিনি বাড়িতে ব্যবহার উপযোগী পণ্য বা হোম কিট ব্যবহার করার সময় সতর্ক হতে বলেছেন। তিনি বলেন "যদি আপনি এটি ব্যবহার করেন, তাহলে এর সাথে সাথে অবশ্যই এই অ্যালার্জি নিরাময়ের জন্য প্রস্তাবিত ইউভি ল্যাম্প ব্যবহার করতে হবে। এবং এটি ব্যবহারের নির্দেশাবলী ভালভাবে পড়ে নিতে হবে। ভুল ইউভি ল্যাম্প ব্যবহার করা মানে জেল পালিশের ক্ষতি থেকে ঠিকঠাক নিরাময় হবে না এবং এতে অ্যালার্জির আশঙ্কাও বেশি থাকবে বলে জানান ড. বাক্লে। এ অবস্থায় তিনি মেথাক্রিলেটযুক্ত নেইল পণ্যগুলো সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে না আনার পরামর্শ দেন।
আজকাল ফ্যাশন সচেতন নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জেল নেইলপলিশ এবং অ্যাক্রেলিক নেইল পেইন্টের ব্যবহার। তবে সম্প্রতি এতে এমন একটি উপাদান পাওয়া গেছে যা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হচ্ছে ভিডিও গেমে মেয়েদের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে ছেলেরা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোগব্যাধির শ্রেণি বিন্যাসের তালিকায় এই আসক্তিকে ''গেমিং রোগ'' বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে। খসড়া একটি নথিতে ভিডিও গেমে আসক্তিকে একটা আচরণগত সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে এই আচরণে আসক্তির সব লক্ষ্মণ রয়েছে অর্থাৎ বারবার এই খেলার প্রবণতা দেখা যায় এবং এর থেকে সরে আসা কঠিন বলেও দেখা যায়। এছাড়াও ''জীবনের অন্যান্য সব কিছু ছাপিয়ে প্রাধান্য পায়'' এই গেমিং-এর নেশা। কোন কোন দেশে ভিডিও গেম খেলার নেশাকে ইতিমধ্যেই বড়রকম জন স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকা সবশেষ পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে। নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে ২০১৮ সালে। এই নির্দেশিকায় রোগব্যাধির কোড, উপসর্গ, লক্ষ্মণ এগুলো দেওয়া থাকে। চিকিৎসক ও গবেষকরা রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসা পর্যালোচনার জন্য এই নির্দেশিকা ব্যবহার করেন। এই নির্দেশিকায় বলা হবে অন্তত ১২ মাস কারো ওপর নজর রেখে পর্যালোচনা করতে হবে ভিডিও গেম খেলার ব্যাপারে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কীনা, খেলার ব্যাপারে তার আচরণ অস্বাভাবিক কীনা। ''কিন্তু কারো ক্ষেত্রে উপসর্গ যদি খুবই বেশি মাত্রায় দেখা যায়, তাহলে ১২ মাসের কম সময়ের মধ্যেই তাকে রোগগ্রস্ত বলে চিহ্ণিত করা যাবে।'' উপসর্গগুলো কী? লন্ডনের নাইটিঙ্গেল হাসপাতালের প্রযুক্তিতে নেশা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড: রিচার্ড গ্র্যায়াম এই আসক্তিকে রোগ হিসাবে গণ্য করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। "এর ফলে এইধরনের আসক্তি মোকাবেলায় বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও বিষয়টাকে মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।" তবে যারা মনে করেন এধরনের আসক্তিকে রোগ মনে করার পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিকতা নেই, তাদের যুক্তিকে তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না। "যেসব ছেলেমেয়ে আসলে খেলায় উৎসাহী অনেকসময় তাদের বাবামা তাদের আগ্রহকে আসক্তি বলে ভুল করতে পারেন- বিভ্রান্ত হতে পারেন।" তিনি বলেন তিনি প্রতি বছর ৫০টির মত নতুন রোগী দেখেন যারা ডিজিটাল নেশার শিকার। তিনি দেখেন এসব ব্যক্তির আচরণ তার জীবনকে কীভাবে প্রাভাবিত হচ্ছে - তার ঘুম, খাওয়াদাওয়া, সামজিক জীবন এবং শিক্ষা এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কীনা। ড: গ্র্যায়াম বলছেন এটা রোগের পর্যায়ে পৌঁছেছে কীনা তা মূল্যায়ন করতে সবচেয়ে গুরুত্ব তিনি দেন যে বিষয়টির ওপর সেটা হল, "এই আসক্তি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কোনরকম প্রভাব ফেলছে কীনা?" এটা এখন বিশ্বের অনেক দেশেই বড় সমস্যা তৈরি করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার একটা নতুন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কমবয়সীদের মধ্যরাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত অনলাইন গেমস খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জাপানে যারা খেলে তারা প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি খেললে তাদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। চীনে টেনসেন্ট নামে বড় ইন্টারনেট কোম্পানি বাচ্চারা কত ঘন্টা ইন্টারনেটে তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলো খেলবে তার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখেছে মেয়েদের থেকে ছেলেরা ভিডিও গেমে সময় কাটায় বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রথমবারের মত ভিডিও গেমে আসক্তিকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তালিকাভুক্ত করেছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
দুদক বলছে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে যারা বিদেশে পালিয়েছেন তাদের ফেরত আনতে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অর্থ পাচারের সাথে জড়িতদের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আনার ব্যাপারেও পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে। দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা টিআইবি বলেছে, বাংলাদেশ থেকে বছরে ১৫০০ কোটি ডলার পাচার হচ্ছে। তবে বিষয়টিতে লাগাতার চেষ্টা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ থেকে হংকংয়ে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর সেই অর্থ সেখানকার আদালতের মাধ্যমে জব্দ করে রেখেছে দুদক। এই অর্থের ব্যাপারে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া দুদক সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে অর্থ পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, এই দেশগুলোতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তারা তদন্ত শুরু করেছেন। "আমরা ইদানিং কিছু তথ্য পাচ্ছি যে, যারা এভাবে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে তা পাচার করেছে বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড-এই চারটি জায়গার মধ্যে আমরা দু'টো জায়গা থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি। আর বাকি দেশগুলোর তথ্যের অপেক্ষায় আছি।" "আমরা আমাদের আদালতের আদেশ নিয়ে হংকংয়ের আদালতে আবেদন করে অর্থ জব্দ করে রেখেছি। কত মিলিয়ন ডলার, সেটা আমরা এখন বলবো না। আর সিঙ্গাপুরে আমরা তথ্য পেয়েছি, অনেকগুলো ফ্ল্যাট এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের - এইগুলো নিয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলো যেভাবে দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে দুদক বলছে বিদেশে অর্থ পাচারকারী কিছু লোকের অবস্থান তারা জানতে পেরেছেন, প্রয়োজনে তদন্তকারী কর্মকর্তারা সেসব দেশে যাবেন। মি: মাহমুদ আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ঐ দেশগুলোতে পাঠানো হতে পারে। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের পর সেই অর্থ ক্যানাডাসহ বিভিন্ন দেশে যারা পাচার করেছেন বা করছেন, তাদের ব্যাপারেও দুদক বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় যেসব খবর প্রকাশ হচ্ছে, দুদক সেগুলোও আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখার কথা বলছে। দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলছেন, অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে যারা বিদেশে পালিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে ফেরত আনার জন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতাও তারা নেবেন। "বিদেশে অর্থ পাচারকারী কিছু লোকের অবস্থান আমরা জানতে পেরেছি, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলের সহায়তা আমরা চাইবো।" দুদকের পক্ষ থেকে এসব উদ্যোগের কথা যখন বলা হলো, তখন গত বুধবার টিআইবি এক গবেষণায় বলেছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কর্মরত বিদেশী কর্মীরা বছরে অবৈধভাবে ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। তবে বিদেশী কর্মীদের বিষয়টি দুদকের এখতিয়ারে নয়, এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সহ সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে কর্মকর্তারা বলেছেন। দুদক এখন বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে তৎপরতা জোরদার করার কথা বলছে। টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ১০ বছর ধরে বাংলাদেশিদের অনেকের অর্থপাচারের মাত্রা বেড়ে চলেছে এবং পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় গেছে বলে তারা মনে করছেন। "আন্তর্জাতিকভাবে যারা ব্যবসা করে, তাদের কেউ কেউ ডকুমেন্টে তথ্য হেরফের করে অর্থ পাচার করছে। হুন্ডির মাধ্যমেও বড় অংকের অর্থ পাচার হচ্ছে। এটা উদ্বেগজনক অবস্থায় ঠেকেছে। বছরে ১৫০০কোটি ডলার পাচার হচ্ছে- এটা নি:সন্দেহে বলা যায়।" বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি'র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মনে করেন, অবৈধ অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থায় ধারাবাহিকতা এবং সদিচ্ছা প্রয়োজন। "পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা বেশ জটিল। কারণ সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়া চালাতে অনেক সময় লেগে যায়। সেজন্য এই অর্থ ফেরত আনতে চেষ্টা অব্যাহত রাখা দরকার। শুধু সময়ে উদ্যোগের কথা বলে লাভ হবে না।" দুদকের চেয়ারম্যানও বলছেন যে, পাচার হওয়া অর্থ অন্য একটি দেশ থেকে ফিরিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তবে তারা চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের জন্য কী মাশুল দিচ্ছে চীন? আশামনির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ভারতে এবারে আদমশুমারি কি আদৌ সুষ্ঠুভাবে হবে?
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াসহ চারটি দেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
অগাস্টের ৫ তারিখের পর থেকে কাশ্মীরের রাস্তাঘাট অনেকটা জনশূন্যই রয়েছে অগাস্টে ভারত সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পর থেকে গত চার মাস ধরে সেখানকার মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না। এ কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার না করতে পারায় হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। মেসেজিং সেবাদানকারী হোয়াটসঅ্যাপের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বলেছে ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে পাওয়ার পর ব্যবহারকারীদের নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে যুক্ত হতে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ভারতে। সেখানে এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটি। আরো পড়ুন: কাশ্মীর: ১০০ দিন পর কতোটা স্বাভাবিক জনজীবন কাশ্মীর: সর্বনাশের ঝুঁকি, তবুও বাকি বিশ্বের অনীহা কাশ্মীরে কি 'ইসরায়েলি মডেল' চাপাতে চায় ভারত? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে হুমকি হতে পারে ভারত ইন্টারনেট বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন একদল কাশ্মীরি। কিছুদিন আগের ছবি বিবিসিকে হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র বলেন, "বিশ্বের সবখানে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ যোগাযোগের সুবিধা দিতে চায় হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে কোনো অ্যাকাউন্ট ১২০ দিন নিষ্ক্রিয় থাকলে সেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।" "এই ঘটনা যখন ঘটে, ঐ অ্যাকাউন্টগুলো আপনা থেকেই সব গ্রুপ থেকে বের হয়ে যায়। ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার পর আবার নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিতে হবে তাদের।" অগাস্টে ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার পর থেকে সেখানকার সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহমানইয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন, সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেখানকার মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব তৈরি করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে পীর-সুফিদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের প্রতীক যে পাঁচ বিক্ষোভকারী ভরপেট খাওয়া বাংলাদেশিরাও কেন অপুষ্টির শিকার ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কড়াকড়ি
দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে ভারত শাসিত কাশ্মীরের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেয়া হচ্ছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে সংস্কার পরিকল্পনা রয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমানের যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারকে দেশের বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান। তাকে আজ বুধবারই সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেছেন বাদশাহ সালমান। মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩১শে আগস্ট। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের তৃতীয় স্ত্রী ফাহদা বিনতে ফালাহ বিন সুলতানের সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমান। রাজধানী রিয়াদের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর বিভিন্ন রাষ্ট্র সংস্থায় কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে তাঁর বাবার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ বিন সালমান। সেই সময়ে রিয়াদের গর্ভনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ২০১৩ সালে যখন মোহাম্মদ বিন সালমানকে যখন মন্ত্রীর মর্যাদাসহ সৌদি রয়্যাল কোর্টের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তখন থেকেই ক্ষমতায় তার উত্থান শুরু হয়। সৎ ভাই বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে বাদশাহ হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন বর্তমান বাদশাহ সালমান, তখন তার বয়স ছিল ৭৯ বছর। তখনই ক্ষমতায় এসে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাদশাহ সালমান, যা বিশ্লেষকদের কিছুটা অবাকও করেছিল। মোহাম্মদ বিন নায়েফ পদ হারিয়ে নতুন যুবরাজের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ক্ষমতায় এসে বাদশাহ সালমান তাঁর ছেলেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরুর পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। যদিও দু বছর ধরে চলা এই লড়াইয়ে অগ্রগতি খুব কমই হয়েছে। বরং সৌদি আরব ও মিত্র জোটের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ উঠেছে এবং আরব বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে মানব সংকট তৈরির জন্যও তাদের দায়ী করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসেই বাদশাহ সালমানের আরেক দফা রদবদলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববাসীকে অবাক করে, ওই মাসে তিনি তাঁর ছেলেকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন এবং তাঁর ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন। ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হলেও মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের তেল নীতি বাস্তবায়ন ও ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলেন। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক এই দেশের বিপুল প্রতিরক্ষা বাজেটও ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্যও তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন, যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। তিনি অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাবও আনেন। এমনকি তেলখাতে ভর্তুকি কাঁটছাঁটের কথা উল্লেখ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি 'সৌদি আরামকো'র কিছু অংশ বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে একটি সার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিল তৈরির পরিকল্পনাও দেন তিনি। এছাড়া বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবেও বেশ কয়েকটি দেশে সফর করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বেইজিং, মস্কোসহ ওয়াশিংটনেও গিয়েছেন তিনি। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের রাজনীতিতে মোহাম্মদ বিন সালমানের অতি দ্রুত উত্থান বেশ চমক সৃষ্টি করেছে। মোহাম্মদ বিন সালমানকে আজ ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করার পর সৌদি বাদশাহ নতুন যুবরাজের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। মোহাম্মদ বিন নায়েফ পদ হারিয়ে নতুন যুবরাজের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নতুন যুবরাজ ঘোষণার মাধ্যমে সৌদি আরবের ক্ষমতা কাঠামোতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনলেন বাদশাহ সালমান। কারণ সৌদি আরবে যুবরাজই দেশটির সর্বোচ্চ পদটির উত্তরসুরী। ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজ পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ বানালেন বাদশাহ। মাত্র ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান একই সাথে উপপ্রধানমন্ত্রী হবেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সৌদি রাজতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোন বাদশাহ নিজ ছেলেকে যুবরাজ বানালেন। বর্তমান বাদশাহ'র পর যুবরাজই পরবর্তীতে দেশটির বাদশাহ হবেন। আরো পড়ুন: আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন আয়কর দিলে কি মুসলিমদের যাকাত দিতে হয়? কাতার সংকটে যেভাবে শাস্তি পাবে গাজায় ফিলিস্তিনিরা সাদ্দামের ফাঁসির সময়ে কেঁদেছিলেন যে মার্কিন সৈন্যরা
২০১৫ সালে বাদশাহ সালমান দেশটির সিংহাসনে আরোহণের আগে তাঁর পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম বিশ্বের খুব কম মানুষই জানতো।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের টহল কর্মকর্তারা বলেছেন, পদ্মা নদীর তীরে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের কাছে এ বার্তা দেয়া হয়েছে যে তাদের আতংকিত হবার কোন কারণ নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজিবির কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে 'অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুর্ঘটনা' বলে বর্ননা করেছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে যে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে যৌথ টহলসহ সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকার পরও এ ধরণের ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারলো। এসব ব্যবস্থাপনা ব্যর্থ হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নও তুলেছেন বিশ্লেষকরা। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বিএসএফ সৈন্য নিহতের ঘটনা নিয়ে দু'রকম বক্তব্য বেলা থর্ন: ডিজনি তারকা থেকে পর্ন পরিচালক সহযোগী সংগঠন ঢেলে সাজাতে চায় আওয়ামী লীগ বিএসএফ সদস্য নিহতের ঘটনা কীভাবে দেখা হচ্ছে ভারতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রাজশাহীর চারঘাট এলাকায় সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি'র উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত দল। বিজিবির তদন্তকারিরা পদ্মা নদীর তীরবর্তী সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারি সাধারণ লোকজনের সাথেও কথা বলেন। ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো তা নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যেহেতু দুই ধরণের বর্ননা দিচ্ছে - সেকারণে দুই পক্ষ আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে বলে বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে সমস্যা চিহ্নিত হলে তা নিয়ে দু'পক্ষের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেন মানবাধিকার কর্মি নূর খান লিটন। বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপগুলো ব্যর্থ হচ্ছে বলেই এ ধরণের ঘটনাগুলো ঘটছে। "দু'পক্ষের ব্যবস্থায় ঘাটতি আছে। সেকারণে সীমান্তে গোলাগুলি বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কখন্ও কম বা বেশি। কিন্তু একেবারে থেমে যাচ্ছে না।" সীমান্ত এলাকায় বিজিবির প্রহরা বিজিবি এবং বিএসএফ এর মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক এখন নিয়মিত বছরে দু'বার হয়ে থাকে। কোনো সমস্যা হলে দু'পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়। সীমান্তে যৌথ টহল এবং তথ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থা্ও কার্যকর রয়েছে। আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন দু'পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভাল বলেও বলা হয়ে থাকে। এরপরও সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বিজিবির রাজশাহীর কমান্ডার লে: কর্ণেল ফেরদৗস মাহমুদ পদ্মানদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। এ কারণে দুই বাহিনীর পদক্ষেপগুলো ব্যর্থ হয়নি বলে তিনি দাবি করেছেন। সীমান্ত এলাকায় নদীতে বিএসএফ "এ ধরণের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে না। এটা একটা দুর্ঘটনা। আমার জানা মতে, গত এক যুগ বা দুই যুগে এমন ঘটনা ঘটেনি।" বিজিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজশাহী সীমান্তে তারা সতর্ক রয়েছেন - তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তারা উল্লেখ করেছেন, পদ্মা নদীর তীরে বসবাসকারিরা যাতে আতঙকিত না হয়, সেই বার্তা তাদের দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঐ সীমান্বর্তী মানুষের সাথে সাথে আলোচনা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রাজশাহীর ঘটনা দু দেশের মধ্যে সম্পর্কে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে।
বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্তে পদ্মা নদীতে বিজিবি এবং বিএসএফ এর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় একজন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হওয়ার একদিন পর শুক্রবার বিজিবি'র উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডই এখন আয়েশার ঘরবাড়ি। শিশুটির সাথে কেউ ছিলোনা এবং সে ঠিক মতো কথা বলতে কিংবা হাঁটতে পারছিলোনা। তারপর থেকে ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগে ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে আছে শিশুটি, যে অস্ফুট উচ্চারণে তার নাম জানিয়েছিলো আয়েশা। শিশুটির বয়স নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে চিকিৎসকদের ধারণা তার বয়স এখন সাত। এরপর দু বছরে পরিবার বা স্বজন কেউ তার কোনো খোঁজ নিতে আসেনি। তবে এর মধ্যেই চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তাসহ পরিচিত অপরিচিত অনেকেই পরিণত হয়েছে তার স্বজনে। তার পুরো দায়িত্বই নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আইনি অভিভাবক না থাকায় এখন আটকে গেছে তার চিকিৎসার কিছু বিষয়। অন্যদিকে তার আইনি অভিভাবকত্ব পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে নিবেদন নামের একটি অলাভজনক সংস্থা। সংস্থাটির সভাপতি মারজানা সাফাত বলছেন, তারা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আসা এমন অজ্ঞাত রোগীদের নিয়েই কাজ করেন। "বাচ্চাটার একটা ইনটেনসিভ কেয়ার দরকার ছিলো। আমরা তার জন্য আয়া ঠিক করে দিয়েছি। তাকে কোনো শেল্টার হোমে রাখা দরকার। আবার তার চিকিৎসার জন্য আইনি অভিভাবক দরকার। সেজন্য আমরা আদালতে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ অপারেশন করা হলে তার কথা বলার সমস্যা কাটবে," বলছেন মারজানা সাফাত। শিশুটির দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ড: কামাল হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, শিশুটির পায়ে সমস্যা কাটানোর জন্য থেরাপি চলছে কিন্তু জিহ্বা তালুর সাথে লেগে আছে যার সমাধান করতে হবে অপারেশন করে। "অপারেশনের জন্য কিছু আইনি নিয়ম কানুন আমাদের মেনে চলতে হয়। অপারেশনের আগে আইনি অভিভাবকের অনুমোদন দরকার হয়। তেমন কাউকে পাওয়া গেলে আমরা অপারেশন করাতে পারবো এবং আশা করি এতে করে তার কথা বলার সমস্যা কাটবে"। মিস্টার হোসেন বলছেন, শিশুটি এখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেনা, তবে মুখ হা করে কথা বলার চেষ্টা করে। সার্জারি করে এ সমস্যা থকে মুক্ত করা সম্ভব। মারজানা সাফাত বলছেন তারা গত কয়েকমাস ধরে এ শিশুটির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার এখন সার্বক্ষণিক দেখভাল দরকার। প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনে জায়গার সংকুলান হচ্ছেনা। তিনি বলেন, "মেয়েটি খুব ভালো রেসপন্স করে। খুবই কমিউনিকেটিভ ও বন্ধুত্বভাবাপন্ন। আমরা মেয়েটির দেখভালের দায়িত্ব নিতে চাই"। তার মতে আয়েশা অন্যদিক থেকে ভাগ্যবানও। কারণ ডাক্তার নার্সরা তাকে খুবই ভালোবাসে। সবাই তাকে মন থেকে সহায়তা করে। চিকিৎসক কামাল হোসেন বলছেন, শিশুটিতে হয়তো কেউ ফেলে গেছে এবং তার পায়ের সমস্যা জন্মগত যে কারণে সে হাঁটতে পারেনা। "তবে তার পায়ের থেরাপি চলছে এবং বিশেষ জুতো তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে তার হাটার সমস্যার সমাধান হবে"। তিনি বলেন শিশুটি মানসিক দিক থেকে ঠিক আছে বলে মনে করছেন তারা। "তবে জিহ্বা তালুর সাথে লাগানো। এটা অপারেশন করে ঠিক করতে হবে। সব অপারেশনের সাইড এফেক্ট আছে। তার লিগ্যাল অভিভাবক নেই। যদি কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান তাকে অ্যাডপ্ট করে এবং তাদের আইনি অনুমতি পেলে আমরা অপারেশন করে দিতে পারবো"। তিনি জানান হাসপাতালে তাকে যে বেড দেয়া হয়েছে সেখানেই আয়েশা থাকবে ও খাবার পাবে। "চিকিৎসক ও সিস্টাররাও তাকে নানা উপহার দেয়। অন্যরাও তার প্রতি দারুণ সহানুভূতিশীল"। যদিও হাসপাতালের ফাইলে আয়েশার রোগের বর্ণনা সেরিব্রাল পালসি বা সিপি'র কথা উল্লেখ করা হলেও ডা: কামাল হোসেন বলছেন সিপি নয় আয়েশার জিহ্বা তালুর সাথে অর্থাৎ টাং টাইতে আক্রান্ত। আর পায়ে জন্মগত ত্রুটি আছে কিন্তু মানসিক অবস্থা তার ভালো আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরো খবর: শীত সামনে রেখে কক্সবাজারে সক্রিয় মানব পাচারকারীরা বিষাক্ত ব্যাঙের বিস্তার ঠেকিয়ে দিচ্ছে ইঁদুর 'গরুর দুধে সোনা' তত্ত্ব দিয়ে বেকায়দায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি প্রধান খাদ্য অপচয় রোধের সাত উপায় আজহার বেটিং কেলেঙ্কারি ভারত যেভাবে সামলায়
প্রায় দু বছর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কাছে একটি শিশুকে পেয়ে জরুরি বিভাগে ভর্তি করান সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
একটি কারখানায় কাজে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। (ফাইল ফটো) এই মাসের ৯ তারিখে জারি করা একটি নোটিশে লেখা রয়েছে, এই তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে পাঞ্চ করতে হবে। তাতে আরও লেখা রয়েছে, "যদি কোন স্টাফ মাসে সাত ওয়াক্ত পাঞ্চ করে নামাজ না পড়েন তবে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বেতন হতে একদিনের সমপরিমাণ হাজিরা কর্তন করা হইবে।" ঢাকার কাছে গাজীপুরে অবস্থিত মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামের এই ফ্যাক্টরিতে এমন নোটিশ জারি করা হয়েছে। ফ্যাক্টরিটির অপারেশন্স বিষয়ক পরিচালক মেসবাহ ফারুকী জানিয়েছেন, এটি শুধু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য যদিও এই নোটিশের যে কপি বিবিসি বাংলার কাছে রয়েছে তাতে লেখা, 'সকল স্টাফ'। কেন এই নির্দেশ কেন এই নির্দেশ- এই প্রশ্নে মি. ফারুকী বিবিসিকে বলেন, "সবাই আমরা নামাজ পড়ি। আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, আমাদের নামাজ পড়া ফরজ। এখানে মুসলমান যারা আছে তারা সবাই নামাজ পড়ে। কিন্তু তারা নামাজ পড়ে বিক্ষিপ্তভাবে।" এই মাসের ৯ তারিখের নোটিশ। তাছাড়া, তিনি আরও বলছেন, কর্মীদের মধ্যে মতভেদ-দূরত্ব কমানোর একটি উপায় হিসাবে কারখানায় নামাজ বাধ্যতামূলক করার এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। "আমাদের এখানে বিভিন্ন মতভেদের লোক আছে। এখানে একটা টিম হিসেবে কাজ করতে হয়। এখানে ফেব্রিক ডিপার্টমেন্টের সাথে নিটিং সেক্টরের হয়ত একটা সমস্যা থাকে। একেকজন একেকজনের উপর দোষারোপ সারাদিন চলতেই থাকে। তো আমি এটার সমাধান হিসেবে চিন্তা করলাম তাদের যদি একসাথে বসানো যায়, একসাথে কিছু সময় যদি তারা কাটায়, তাদের মধ্যে দূরত্বটা কমবে।" তিনি বলছেন, তার কাছে মনে হয়েছে মসজিদ ছাড়া একসাথে বসানোর কোন পন্থা তিনি খুঁজে পাননি। মি. ফারুকী তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বাস্থ্যগত একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলছেন, সারাদিন বসে বসে কাজ করায় কোলেস্টেরল বাড়ছে, ডায়াবেটিস বাড়ছে। "মসজিদ চারতলায় হওয়াতে কিছুটা ব্যায়ামও হচ্ছে।" নোটিশে যেভাবে একদিনের বেতন কাটার কথা বলা হয়েছে সেনিয়ে তিনি বলছেন, "এ এপর্যন্ত কারোর বেতন কাটা হয়নি।" রপ্তানির জন্য সরকারের দেয়া জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী জাপান, রাশিয়া ও আমেরিকা অঞ্চলের বেশ কিছু দেশে তাদের ব্যবসা। ২০১৬ সালে তাদের রপ্তানি আয় ছিল ৯০ মিলিয়ন ডলার। মূলত গেঞ্জি কাপড়ের নানা ডিজাইনের পোশাক তৈরি হয় এখানে। প্রতি মাসে তাদের রপ্তানি ১৮ লাখ পিস পোশাক। মেসবাহ ফারুকী বলছেন, বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তারা অন্য কোন ধর্মাবলম্বীকে নামাজ পড়তে বাধ্য করছেন না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কী বলছে সরকার তবে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যেভাবে বলা হচ্ছে সেরকম হলে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে তিনি বলেন যে, বাংলাদেশের আইনে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা দেয়া যায় না। "বাংলাদেশের আইন কেন, সংবিধানেই তো বলা আছে ধর্ম কারো উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। ইসলাম ধর্মও বলে না কারো উপরে ধর্ম চাপিয়ে দেয়া যাবে, '' তিনি বলেন। ''আপনি যেমনটি বলছেন, তেমনটি হলে তো এটা খতিয়ে দেখতে হবে,'' মি. হক বলেন। গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলছেন, কর্মীদের বাধ্যতামূলক নামাজ পড়ানোর ঘটনা বিদেশী ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করতে পারে। "বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে অনেক সমস্যা থাকার পরেও ক্রেতারা এখনো মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। তাজরিন ও রানা প্লাজায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার আগে বিদেশি ক্রেতাদেরও এতকিছু জানা ছিল না। কিন্তু কারখানার ভেতরে এরকম আইন যদি তারা করেন, তাহলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হবে।" অন্যান্য খবরঃ চীনে নতুন রোগী কমার দাবি, তবে সন্দিহান ডব্লিউএইচও ছেলের মৃত্যুশোক ভুলতে যিনি বেওয়ারিশ লাশ সৎকার করেন নিষ্ক্রিয় শিশুদের 'বিষণ্ণতায় ভোগার সম্ভাবনা' বেশি থাকে
বাংলাদেশে একটি পোশাক কারখানায় সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য অফিস চলাকালীন প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে যোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় বেশি। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৫ বছর, যেখানে পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর। এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৪.২ বছর। আর পুরুষদের ৭১.১ বছর। অর্থাৎ নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় প্রায় তিন বছর বেশি। নারীর গড় আয়ু বেশি বা কম হওয়ার পেছনে নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কাঠামো জড়িত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী নারীরা জৈবিকভাবে পুরুষদের তুলনায় এগিয়ে আছে এবং উন্নত বিশ্বেও নারীর গড় আয়ু পুরুষদের চেয়ে বেশি। আরও পড়তে পারেন: নারীরা কেন পুরুষদের চাইতে বেশি বাঁচে? নারীদের ফেসবুক গ্রুপ: যেখানে একে অপরের সহায়ক খাবার নিয়ে সাবধান হচ্ছেন বাংলাদেশের নারীরা পুরুষদের সমান শ্রম দেয়া সত্ত্বেও অনেক পেশায় নারীরা বেতন বৈষম্যের শিকার। কিন্তু বাংলাদেশে নারীর এই গড় আয়ু নব্বইয়ের দশকেও পুরুষের চাইতে কম ছিল বলে তিনি জানান। এর পেছনে দারিদ্র্য, নারীর শিক্ষার হার কম হওয়া, নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার অভাব, অপুষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন না থাকা, মর্যাদাগত অবস্থানকে তিনি দায়ী করেন। তার মতে, প্রায় দুই থেকে তিন দশক আগেও নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি ভীষণ অবহেলিত ছিল। নারীরা অপুষ্টিতে ভুগতেন, নারীর স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ করে মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। যার কারণে নারীদের গড় আয়ু ছিল কম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মি. নবী বলেন, "আগে তো নারী ঠিকমতো খাবার পেতো না। সবাইকে দেয়ার পর কিছু থাকলে, সেটা খেতো। এখন তারা খেতে শিখেছে এবং খেতে পারছে। নারী এখন আর হাঁড়ির তলা থেকে কুড়িয়ে খায় না।" কৃষি খাতে বড় অংশ জুড়ে নারীদের অবদান রয়েছে। একই মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক নাসরিন সুলতানার। তিনি জানান, সত্তর ও আশির দশকের পর থেকে নারী শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে নারীরা নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পুষ্টির ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন। এছাড়া অর্থনৈতিক সক্ষমতা তৈরি হওয়ায় নারীরা নিজেদের খাবার কিনে খাওয়া, ডাক্তার দেখানো বা জন্মনিয়ন্ত্রণের মতো সিদ্ধান্তগুলো স্বাধীনভাবে নিতে পারছে। এই স্বাধীনতা ও সক্ষমতা নারীর আয়ু বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ বলে তিনি মনে করেন। মিস সুলতানা বলেন, "একজন নারীর যখন শিক্ষা থাকে, আর সেই সঙ্গে তিনি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হন - তখন তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি কী খাবেন, তার শরীরে কতোটুকু পুষ্টি দরকার, তিনি পরিবার পরিকল্পনা করেন। নারী যখন পুরুষের ওপর নির্ভরশীল ছিল তখন অনেক নারী খাবার পেতো না।" বাংলাদেশে তিন থেকে চার দশক আগেও একটি পরিবারে ছেলে ও মেয়ে অসুস্থ হলে ছেলের প্রতি বেশি যত্ন নেয়া হতো। অনেক সময় শুধুমাত্র ছেলেটিকে ডাক্তার দেখানো হতো। ধারণা ছিল, ছেলে বড় হয়ে মা-বাবাকে দেখবে, মেয়ের পরের বাড়ি চলে যাবে। কিন্তু মেয়েরা ক্রমান্বয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠায় সামাজিক এই দৃষ্টিভঙ্গিতে এখন ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে যা নারীর গড় আয়ুতে প্রভাব ফেলেছে বলে তিনি জানান। নারীরা আত্ম নির্ভরশীল হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু করে। মূলত সত্তর ও আশির দশকের পর থেকে নারী ও পুরুষের গড় আয়ুর ব্যবধান কমতে শুরু করে। ২০১১ সালে নারীর গড় আয়ু পুরুষের তুলনায় এক থেকে দেড় বছর বেড়ে যায়। এর পেছনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ভূমিকা রয়েছে বলে জানান মি. নবী। তার মতে, নারীর ক্ষমতায়ন, তার স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, শিক্ষা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সবকিছুর উন্নয়নে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল - তা বাস্তবায়নের কারণেই নারীরা নিচ থেকে ওপরের দিকে আসতে শুরু করেছে। নারী যখন থেকে আয় রোজগার শুরু করলো, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হল তখন থেকেই মূলত পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। তিনি বলেন, "অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমে আসায় নারীরা স্বাধীনভাবে নিজের স্বাস্থ্য, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিখল তেমনি সেগুলো কার্যকর করার মতো সক্ষমতা তৈরি হল। এই মর্যাদার অর্জনের পর থেকেই নারীর আয়ু পুরুষের তুলনায় বাড়তে শুরু করে।" লাল মরিচ রোদে শুকাচ্ছেন নারীরা। অন্যদিকে নাসরিন সুলতানা জানান, আর্থিকভাবে সক্ষম নারী নিজেই নিজের খাবার, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভার নিতে পারেন। কিন্তু নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, "এখন মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ৭৩% খরচ এখনও নিজের পকেট থেকে দিতে হয়। এই খরচ কমাতে হবে। নাহলে যেসব নারী অসচ্ছল তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়বে।" ইউএনএফপিএ-এর এবারের প্রতিবেদনে নারীর শরীরের ওপর নারীর নিজের অধিকারকে কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন নারীর তার নিজের শরীরের ওপর কতটা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে তার কতটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নারীশিক্ষার বিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। বলা হচ্ছে, শিশুদের ৯৫ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার হার ৬২ শতাংশ। শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান আগের চাইতে অনেকটাই এগিয়েছে বলে মনে করা হয়। অথচ আয়, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি দিকে নারী এখনও পুরুষদের থেকে পিছিয়ে। সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ১৭৩ জন মা প্রাণ হারান। কারণ এখনও ৪৭% শিশু প্রসব হয় অদক্ষ হাতে। যেসব মেয়ের বয়স ১৫-১৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে ৭৪ জন সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে। কারণ ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে ৫৯% কিশোরীর বিয়ে হয়ে যায়। গার্মেন্টস শিল্পের অধিকাংশ শ্রমিকই নারী। এখনও স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন ২৯% নারী। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আরও অগ্রগতির প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, নারী ও পুরুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখার মতো মানসিকতা তৈরিতে আরও অনেক কাজ করতে হবে। ইউএনএফপিএ-এর ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের কোনও দেশ সামগ্রিকভাবে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে পারেনি। যার প্রতিফলন দেখা যায় নারীদের প্রতি সহিংসতা, শারীরিক স্বাধীনতায় ঘাটতি, বেতন বৈষম্য, নেতৃত্ব ও আইনি বৈষম্যে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: লকডাউনের মধ্যেই রবিবার থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল ঢাকার আরমানিটোলায় আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪জন গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণে ধসে গেল ফ্ল্যাটের দেয়াল, দগ্ধ ১১ জন বাংলাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬২৯ কোন ধরণের আগুন কীভাবে নেভাবেন
বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় ৪ বছর বেশি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর 'বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২১' প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে - প্রতীকী ছবি। সম্প্রতি এ ধরণের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একজনকে গণপিটুনি দেয়া হয়। অভিযোগ তোলা হয়েছে যে বকেয়া ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে আসলে ভাড়াটিয়াকে গণপিটুনি দিয়েছে বাড়িওয়ালা। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামও নিশ্চিত করেছেন যে এটি ছিল বকেয়া বাড়ি ভাড়া নিয়ে কলহের ফসল। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "এক ভাড়াটিয়া, যিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন, তিনি ভাড়া দিতে না পারায় তার বাসা ভাড়া বকেয়া পড়ে যায়। পরে বাড়িওয়ালা ওই ভাড়াটিয়াকে ছেলেধরা বলে গণপিটুনি দেয়।" তিনি জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে ওই ভাড়াটিয়াকে। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া মামলা করলে গ্রেফতার করা হয় বাড়িওয়ালাকে। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কেমন চলছে ৯৯৯ নম্বরে জরুরী টেলিফোন সেবা? 'দেশের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রিত কিছু গ্রুপে ছড়ানো হচ্ছে গুজব' 'গণপিটুনিতে নিহত ৮ জনের কেউই ছেলেধরা ছিল না' এদিকে, মঙ্গলবার গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে ছেলেধরা অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন দু'জন, যারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, পুলিশ খবর পায় যে নয়নপুর বাজার এলাকায় গণপিটুনি দেয়া হচ্ছে দুই জনকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ পরে পুলিশ জানতে পারে যে স্বামীর একাধিক বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে বাক-বিতণ্ডায় জড়ায় ওই স্বামী-স্ত্রী। এক পর্যায়ে তারা একে অপরকে ছেলেধরা বলে চিৎকার করতে শুরু করলে স্থানীয়রা তাদের গণপিটুনি দেয়। আসলে তারা কেউই ছেলেধরা ছিল না বলে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে একজনকে। আরেকটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে। সেখানে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন কয়েকজন ছাগল ব্যবসায়ী। তাদের অভিযোগ, আগে যাননি এমন একটি গ্রামে গিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তারা। ওই সময় ছিনতাইকারীরা তাদেরকে ছেলেধরা বলে মারধর শুরু করে এবং পরে কৌশলে পালিয়ে যায়। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বিবিসি বাংলাকে জানান, স্থানীয় বাজারের লোকজনের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজন ছাগল ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন তিনি। পরে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে সেখানে কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণপিটুনি রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে তারা নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। কোন ব্যক্তি যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়, তারও আহ্বান জানানো হয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে কাউকে সন্দেহ হলে জরুরী হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে জাতীয় জরুরী সেবা বিভাগের পুলিশ সুপার মোঃ তবারক উল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, গণপিটুনি সম্পর্কে গত কয়েক দিন ধরে বেশি পরিমাণে টেলিফোন পাচ্ছেন তারা। তিনি বলেন, "গত কয়েক দিন ধরে দিনে আমরা অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি করে গণপিটুনির অভিযোগ সংক্রান্ত ফোন পাচ্ছি। তবে যখনই সত্যতা যাচাই করতে যাই, তখন সেখানে গিয়ে তেমন কিছু পাওয়া যায় না।" "যে কল করে তার কাছে জিজ্ঞেস করলেও সে আসলে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে পারে না। বেশিরভাগ সময়েই বলে যে সে অন্য কারো কাছ থেকে শুনে ফোন করেছে।" পুলিশ সুপার মিস্টার তবারক উল্লাহ বলেন, "আমাদের কাছে মনে হয় এর পিছনে কোন একটা স্বার্থ হাসিলকারী গ্রুপ কাজ করে, না হলে কেন এই বিষয়টি এভাবে আসবে?" আরও খবর: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের সুযোগ নিয়েছে ভারতীয় জেলেরা? বাংলাদেশের মানুষ কেন নির্মম হয়ে উঠছে?
বাংলাদেশে ছেলেধরা গুজবকে কেন্দ্র করে যখন গণপিটুনির বেশ কিছু ঘটনা ঘটছে, তখন অনেকে এই বিষয়টিকে প্রতিশোধ নিতে কিংবা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ব্যবহার করতে শুরু করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
চিকিৎসকরা বলছেন, আসলে কোন ক্রিমই শরীরের রংকে ফর্সা করতে পারে না। এসব পণ্যে নানা ধরনের রাসায়নিক মিশ্রিত থাকার কারণে বিশ্বজুড়েই প্রসাধনী ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এসব রাসায়নিক অনেকের ত্বকের জন্য কোন সুরক্ষা বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি তো করতে পারেই না, বরং সেটি ক্ষতিকরও হয়ে ওঠতে পারে। বিশেষ করে রং ফর্সাকারী ক্রিমগুলো নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। ক্রিম কি আসলেই ফর্সা করে? লেজার মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. ঝুমু জাহানারা খান বলছেন, আসলে কোন ক্রিমই শরীরের রংকে ফর্সা করতে পারে না। কারণ ত্বকের রঙের সাথে শরীরের ভেতরের অনেক উপাদান জড়িত রয়েছে। দোকানে আসল কসমেটিকস চেনা হয়ে উঠে কঠিন ''আমরা কখনোই গায়ের রংকে সাদা করতে পারি না, উজ্জ্বল করতে পারি। আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক যে মেলানোসাইড সেলগুলো আছে, যা রঞ্জক তৈরি করে, সেটাই আমাদের গায়ের রংটা ধারণ করে। এটা ত্বক রক্ষায় অনেকভাবে কাজ করে। '' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গ্রেনেড হামলা মামলা: যেভাবে ঘটনার শুরু থেকে শেষ গ্রেনেড হামলা: বিএনপির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? জামাল খাসোগি: কে এই সৌদি সাংবাদিক পত্রমিতালী করে জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছিলেন যারা তিনি বলছেন, ''এখন বাজারে অনেক সস্তা ক্রিম এসেছে, যেগুলোয় অনেক ভারী রাসায়নিক এবং ক্ষতিকারক পদার্থ রয়েছে। এগুলো খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ফর্সা বা সাদা ইফেক্ট দিয়ে দেয়, কিন্তু কিছুদিন পরেই সেটা বরং ত্বকের জন্য নানা ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। যেমন ত্বকটা হয়তো খুব লাল হয়ে ওঠে, জ্বলছে বা রোদে যেতে পারছে না। বাংলাদেশের বাজারে যেগুলো পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগ ক্রিমই আসলে এরকম।'' ''আমাদের উচিত, নিজেদের যে স্বাভাবিক সৌন্দর্য রয়েছে, সেটাকেই ঠিকভাবে রাখা এবং যত্ন করা। মনে রাখতে হবে, সাদা হয়ে যাওয়া সম্ভব না। তবে কিছু মেডিকেশন আছে যেগুলোয় ত্বক হয়তো উজ্জ্বল হয়।'' বলছেন মিজ খান। কিন্তু যেভাবে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে অহরহ শরীরের ত্বক ফর্সা করার বিজ্ঞাপন বা ঘোষণা দেয়া হয়, তাহলে সেগুলো কতটা বিশ্বাসযোগ্য? ডা: ঝুমু জাহানারা খান বলছেন, ''মেডিকেল পণ্যের ওপর নানা নজরদারি আছে, আইন আছে। কিন্তু কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সেটা নেই। সে কারণে ওরা যা খুশি তাই, অনেক আজেবাজে জিনিসও কনজ্যুমার পণ্য হিসাবে বাজারে ছাড়া হয়। যেমন ফর্সা করার সস্তা ক্রিম তো অবশ্যই ত্বকের ক্ষতি করবে।'' তিনি বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একজনের কথা শুনে আরেকজন পণ্য ব্যবহার করেন। কিন্তু একেকজনের ত্বক একেক রকম হওয়ায় কারো কারো জন্য সেটা চরম ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বাজারে প্রসাধনীর কি অবস্থা? ''আমাদের উচিত, নিজেদের যে স্বাভাবিক সৌন্দর্য রয়েছে, সেটাকেই ঠিকভাবে রাখা এবং যত্ন করা। মনে রাখতে হবে, সাদা হয়ে যাওয়া সম্ভব না।'' বলছেন ডা: ঝুমু জাহানারা খান বাংলাদেশের যেসব প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর বেশিরভাগেই ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশর জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা বাংলাদেশের নামীদামী ৩৩টি প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষা করে সবগুলোয় ক্ষতিকর উপাদানের অস্তিত্ব পেয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের হেয়ার জেল, বেবি লোশন, বিউটি ক্রিমসহ বিভিন্ন প্রসাধনীতে আর্সেনিকসহ বিভিন্ন রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এমনকি শিশুদের জন্য ব্যবহৃত হয়, এমন প্রসাধনীতেও বিষাক্ত উপাদানের অস্তিত্ব রয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। তারা বলছে, নামীদামী পণ্যগুলোর মধ্যেই তারা এসব উপাদান পেয়েছে, তাহলে কমদামী অন্য পণ্যের কি অবস্থা, তা সহজেই অনুমেয়। এসব পণ্যের ব্যাপারে ক্রেতা বা বিক্রেতাদের মধ্যে খুব একটা সচেতনতা দেখা যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাজারে ক্ষতিকারক উপাদানের কসমেটিকস রয়েছে। ত্বকের সৌন্দর্য যখন মানসিক রোগের কারণ বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, প্রসাধনী পণ্যের ব্যাপারে ক্রেতা বা বিক্রেতাদের খুব একটা সচেতনতা দেখা যায় না। বাংলাদেশের ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বক ফর্সা বা উজ্জ্বল করতে গিয়ে অনেকেই উল্টো ক্ষতির মুখে পড়েন। মুখের ত্বকে দাগ তৈরি হওয়া, রোদে বা তাপের মধ্যে যেতে না পারা, চুলকানি বা লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হয়। ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারের মনোবিজ্ঞানী ইসরাত শারমিন রহমান বলছেন, সৌন্দর্যের জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে যখন সেটি উল্টো সৌন্দর্য হানির কারণ হয়, সেটি অনেকের ওপর মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে। তিনি বলছেন, যিনি নিজেকে আরো সুন্দর করার চেষ্টা করেছেন, বা কোন ক্ষত ঢাকার চেষ্টা করছেন, তিনি যখন উল্টো ত্বকের সমস্যায় পড়েন, সেটা তার ওপর মানসিকভাবে অনেক প্রভাব ফেলে। হয়তো অনেকে তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করে। তখন তার মধ্যে রাগ তৈরি হয়, হতাশা তৈরি হয়। তিনি হয়তো নিজেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এটা তার আত্মবিশ্বাসের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনেকের মধ্যে 'অস্বীকার করার' প্রবণতাও তৈরি হয়। তারা এসব দাগ বা ত্বকের ক্ষতি ঢাকতে গিয়ে আরো বেশি ক্ষতি করে ফেলেন, বলছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন? রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলছেন, প্রসাধনী পণ্য বাছাইয়ে সতর্ক হতে হবে বাংলাদেশের প্রসাধনী ও রূপচর্চা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন কানিজ আলমাস খান। তিনি বলছেন, হুট করে বা অন্যদের দেখে কোন প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত না। কারণ একজনের ত্বকের জন্য সেটি ঠিক হলেও, আরেকজনের জন্য সেটি ভালো নাও হতে পারে। ''বাসায় বসে ত্বকের জন্য হার্বাল পণ্য ব্যবহার করা ভালো। ডিম, দুধ, মধু, দই শসা- সমস্ত কিছু ত্বকের জন্য ভালো। তৈলাক্ত ত্বক বা শুষ্ক ত্বক অনুযায়ী এসব পণ্য তারা ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এগুলোতে ক্ষতিকর কিছু নেই।'' তিনি বলছেন, ''অনেক রং ফর্সাকারী ক্রিমেই ত্বক পাতলা হয়ে যায় বা ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। পরে দেখা যায়, তারা রোদে বের হতে পারছেন না বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারছেন না। পরে পুরো ত্বকের ব্যাপারটি তাদের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।'' ''এ কারণে আমি সবাইকে বলতে চাই, রং ফর্সাকারী ক্রিমের দিকে একেবারেই না তাকানোর জন্য। বরং সবাইকে বলবো, ঝকঝকে সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর একটি ত্বকই যথেষ্ট, ফর্সা হওয়া জরুরি নয়।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নারীদের হত্যা করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন দম্পতি প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে মন্তব্য করায় আলোচনায় রাষ্ট্রপতি যে ৫টি উপায়ে আপনি বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারেন বিএনপির সাথে অন্যদের 'ঐক্য' আটকে আছে যে কারণে
বিশ্বের অনেক দেশের মতো ত্বকের সুরক্ষা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নানা রকমের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাংলাদেশেও।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
নেপিডোতে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান রাজধানী নেপিডোতে পুলিশ আজ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে, এবং রাষ্ট্রীয় টিভিতে সতর্ক করে দেয়া হয় যে বিক্ষোভকারীরা "জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের" প্রতি হুমকি সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারে শহরগুলোর রাস্তায় তিন দিন ধরে বিক্ষোভ হচ্ছে। অনেকগুলো শহরে ছোট-বড় বিক্ষোভ সোমবার সকালে রাজধানী নেপিডো, ইয়াঙ্গন এবং মান্দালয় সহ নানা শহরে বহু লোক রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন সরকারি চাকুরে, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা। ইন্টারনেটে কর্মচারিদের বিক্ষোভের প্রতীক হিসেবে কাজ না করার আহ্বান জানানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাক্তার বিবিসিকে বলেন, "আজ আমরা পেশাজীবীরা এটাই দেখাতে চেয়েছি যে একনায়কতন্ত্রের পতনের দাবিতে আমরা সবাই এক।" একজন পোশাক শ্রমিক নিন তাজিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমাদের বেতন কেটে নেয়া হলেও আজ আমরা কাজে যাচ্ছি না।" বিক্ষোভে কিছু মানুষের আহত হবার খবর পাওয়া গেলেও কোন সহিংসতা ঘটেনি। মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থান: ১০ বছরের মধ্যে বার্মায় সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ রাজধানী নেপিডোতে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করা হয়। বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিনের সমাবেশ অভ্যুত্থানবিরোধীদের আন্দোলনে গতিসঞ্চার করেছে - যদিও এখানে তেমন কোন নেতৃত্ব নেই। আপাতত এগুলোকে স্বত:স্ফূর্ত এবং স্থানীয় ভাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সাথে কি আচরণ করবে তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। সংবাদদাতারা বলছেন, পুলিশের চাইতে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি। সামরিক বাহিনী কী বলছে? সামরিক বাহিনী এখন পর্যন্ত সরাসরি কোন বক্তব্য দেয় নি। তবে তারা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সোমবার তাতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কবাণী প্রচার করা হয়। তবে সুনির্দিষ্ট কারো নামে এ সতর্কবাণী প্রচার করা হয়নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চির ভবিষ্যৎ কী মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঠিক এখন কেন ঘটলো, পরে কী হতে পারে? সেনাবাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ থেকে কেন বের হতে পারছে না মিয়ানমার? গত তিন দিন ধরে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছে জোনাথন হেড জানাচ্ছেন, দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ তাদের দমনমূলক কর্মকান্ডের জন্য সুপরিচিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা জনতার এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনের পদক্ষেপ নেয়নি - যদিও অনেকে আশংকা করেন তারা হয়তো অচিরেই সে চেষ্টা করতে পারে। রবিবারের বিক্ষোভে লক্ষ লোকের সমাবেশ রবিবার ইয়াঙ্গন শহরে যে প্রতিবাদ-মিছিল বের হয় তা ছিল গত এক দশকের মধ্যে বৃহত্তম। বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি-র মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি করছে। সোমবার নেপিডোতে অভ্যুত্থানবিরোধী প্ল্যাকার্ড গত সপ্তাহে মিয়ানমারের নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণবিহীন দাবি করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং দেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। মিজ সু চি সহ বেসামরিক রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী করা হয়। সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং লাইং এখন দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনা কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু তা সত্বেও রোববার প্রায় লাখখানেক লোক ইয়াঙ্গনের রাস্তায় নেমে আসে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কে এই জেনারেল মিন অং লাইং মিয়ানমারের অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে কারণে উদ্বেগ মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংকটে "আমরা সামরিক শাসন চাই না" , "আমাদের ভোটকে সম্মান করুন" "গণতন্ত্র ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা দাবি জানাতে থাকবো" - এসবই ছিল বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানকারী সামরিক নেতাদের প্রতি বার্তা। তাদের হাতে ছিল গৃহবন্দী নেত্রী অং সান সু চির ছবি। অনেকের পরনে ছিল তার দল এনএলডির প্রতীকী লাল রঙের ব্যাজ, কারো হাতে ছিল লাল বেলুন। অনেকে তিন আঙুলে স্যালুট দেখিয়ে একনায়কতন্ত্রী শাসনের প্রতিবাদ করে। নগর কেন্দ্রে দাঙ্গা পুলিশের উপস্থিতি ছিল, তবে তেমন কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায় নি। একটি শহরে গুলি বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে - তবে কেউ আহত হয়নি। গত সোমবার অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনী ফেসবুক, টুইটার ও ইন্স্টাগ্রাম ব্লক করে দিয়েছিল, এমন কি তারা ফোন সেবা বিঘ্নিত করার মাধ্যমেও মানুষজনের মধ্যে যোগাযোগ ব্যাহত করার চেষ্টা করে। সোমবার অবশ্য অনেক জায়গাতেই ইন্টারনেট সেবা ফিরে এসেছে।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের অংশ হিসেবে পেশাজীবী ও শ্রমিকরা আজ দেশজুড়ে ধর্মঘট পালন করছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বগুড়ার মহাস্থানগড় সেই সঙ্গে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আবিষ্কারও হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পর্যটকের সংখ্যা বাড়েনি বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশ্ন হতে পারে এর পেছনে কারণ কি। উত্তর খুঁজতে আমি গিয়েছিলাম ঢকার সবুজবাগের অতীশ দীপঙ্কর সড়কের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে। সেখানে দুপুরের খানিক আগে চলছে আহার-পূর্ব প্রার্থনা। প্রার্থনা সভার একপাশে অপেক্ষমাণ তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে জানা গেল, দেশের প্রধান এই বৌদ্ধ মহাবিহারে প্রায় রোজই দেশ-বিদেশ থেকে অনেক দর্শনার্থী এবং পূণ্যার্থী আসেন। তবে এর মধ্যে বিদেশীদের সংখ্যা খুব কম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে বৌদ্ধ ঐতিহ্য বিষয়ক দু'দিনের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে, বাংলাদেশে বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটন বিকাশের কথা বলেছিলেন। এরপর ২০১৭ সালে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছিল বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মের স্থাপনাগুলোতে বিদেশী পর্যটক বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু এক বছর পরে বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছেন, এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি। আরো পড়তে পারেন: প্রিন্স চার্লসকে কমনওয়েলথের নেতা নির্বাচিত করার আহবান ভারতে লোকেরা টয়লেটে যায় না কেন? মাঝ-আকাশে জানালা ভেঙে যাওয়ার পর কি হয়েছিল বিমানের? বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী রয়েছে? সুদানের যে গ্রাম চালাতো ইসরায়েলি মোসাদ এজেন্টরা ঢকার সবুজবাগের অতীশ দীপঙ্কর সড়কের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টোয়াবের সহ-সভাপতি মোঃ রাফেউজ্জামান বলছিলেন, বৌদ্ধ ধর্মের পর্যটকদেরকে বেশিরভাগ ট্যুর অপারেটর এখনও আলাদা করে টার্গেট করে না। "আমরা বৌদ্ধ, হিন্দু এবং মুসলমানদের জন্য আলাদা প্যাকেজ দেই। কিন্তু বৌদ্ধদের জন্যে আলাদা করে কিছু করি না। অথচ বৌদ্ধ প্রধান দেশগুলো থেকে যারা আসেন, তাদের সংখ্যা বললে আমরা ভালোই টুরিস্ট পাচ্ছি।" বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ বাংলাদেশের পাহাড়পুরে অবস্থান করেছিলেন এবং সেখানে বৌদ্ধ স্তূপ রয়েছে। ফলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে বাংলাদেশ অন্যতম একটি পবিত্র স্থান। প্রতিবছর ভুটান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে পর্যটক আসেন। তারা নওগার পাহাড়পুর, বগুড়ার মহাস্থানগড়, কুমিল্লার শালবন বিহারসহ অল্প কয়েকটি পরিচিত জায়গাতেই বেশি যান। অল্প পরিচিত বা নতুন কোন দর্শনীয় স্থানে যান না তারা। এর কারণ কি? পর্যটন বিষয়ক একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল হক বলছেন, এজন্য সরকারের কিছু উদ্যোগ নেবার প্রয়োজন ছিল, যা নেওয়া হয়নি। "মার্কেটিং করা হয়নি বিষয়টি নিয়ে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের ওসব জায়গায় যাবার জন্য অবকাঠামো, তারা কোথায় গিয়ে থাকবেন এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।" বাংলাদেশে প্রতিবছর ছয় লাখের মত বিদেশি পর্যটক আসেন। এদের মধ্যে ঠিক কতজন বেরাতে আসেন, আর কতজন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তার কোন সঠিক সংখ্যা জানা যায় না। ফলে দেশে কোন ধর্মের পর্যটকের সংখ্যা কত তাও বলতে পারেনা সরকার। রামুতে গৌতম বুদ্ধের একটি বিশাল মূর্তি কিন্তু পরিকল্পনা ঘোষণার পর, সরকার কেন বৌদ্ধ পর্যটক আকর্ষণে সফল হতে পারছে না? বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মোঃ নাসির উদ্দিন বলছেন, এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উদ্যোগ ও সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। "যে যে মন্ত্রণালয়, যে যে বিভাগ এর সঙ্গে যুক্ত, সবার সংশ্লিষ্টতা অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু সবারই পরিকল্পনার মধ্যে ট্যুরিজমটা রাখতে হবে, এতে নতুন বাজেট বা কিছুই হয়তো লাগবে না।" এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকায় আজ শুরু হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা, যেখানে এশিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের অনেকে বলছিলেন, বাংলাদেশে পর্যটন খাতে আয় বাড়াতে হলে পরিকল্পনার কোন বিকল্প নাই।
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি গন্তব্যে পরিণত করার কথা বলা হচ্ছে। সরকার এজন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন করে বৌদ্ধ ধর্মের কয়েকটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাকে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার উদ্যোগও নিয়েছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
উহান যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। রাস্তাঘাটে মানুষ চোখে পড়ে খুব কম। বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এর আগে তিনশো জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে উহান থেকে বিমানে করে নিয়ে আসার পর সেই পাইলট এবং ক্রুদের কেউই এখন কোথাও যেতে পারছে না। তাদেরও কোয়ারিনটিনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বিমানটিকে জীবানুমুক্ত করা সত্ত্বেও সেটিকেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রায় পাঁচ হতে সাড়ে পাঁচ হাজার বাংলাদেশি পড়াশুনা এবং কাজের সুবাদে চীনে আছেন। এর মধ্যে উহান থেকে ৩১২ জনকে ইতোমধ্যে ফেরত আনা হয়েছে। তিনি বলেন, "চীন সরকার উহান নগরী পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। তখন উহানের এই বাংলাদেশি ছেলে-মেয়েরা আমাদের অনুরোধ করার পর আমরা চীনের সঙ্গে আলাপ করে এদের ফিরিয়ে আনতে রাজী করাই। চীন রাজী হওয়ার পর আমরা দেশ থেকে একটা বিমান ভাড়া করে ওখানে পাঠাই এবং তাদের নিয়ে আসি।" উহানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস "কিন্তু উহান নগরীতে উবেই প্রদেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় কিছু বাংলাদেশি ছাত্র রয়ে গিয়েছিল, যারা তখন আসতে চায় নি। তারা মনে করেছিল বাংলাদেশে গেলে বরং তাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা আছে।" মন্ত্রী জানান, মোট ১৭১ জন বাংলাদেশি যারা প্রায় ২৩টি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তারা এখন ফিরে আসতে চাইছে। কারণ চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথাও বেরুতে দিচ্ছে না। যদিও তাদের খাবার-দাবার চীনা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সরবরাহ করছে। বিমান পাওয়া যাচ্ছে না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হচ্ছে কোন বিমান পাওয়া যাচ্ছে না। "আমরা যে ফ্লাইটটি উহানে পাঠিয়েছিলাম, সেটির পাইলট এবং ক্রুরাও এখন কোয়ারিনটিনে। তারাও কোথাও আর তাদের পূর্ব নির্ধারিত ফ্লাইটে কাজ করতে পারছেন না। এমনকি বিমানটিকেও কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে।" আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে এক সেনা সদস্যের গুলিতে নিহত অন্তত ১২ জন করোনাভাইরাস ঠেকাতে নতুন নিয়ম চালু করেছে হংকং চালকবিহীন ডেলিভারি ভ্যান বদলে দিতে পারে গাড়িশিল্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন "একটা বিমান চার্টার করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এ নিয়ে আমরা চীনা বিভিন্ন বিমান সংস্থার সঙ্গে আলাপ করেছি। কিন্তু কেউ তাদের নিয়ে আসতে রাজী না।" তবে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমাদের দূতাবাস দুটি হটলাইন খুলেছে। ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে সাতদিন এগুলো খোলা। আমরা দুতিনটি ওয়েব গ্রুপ খুলেছি। তাদের সঙ্গে যেমন আমাদের দূতাবাসের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে, একইভাবে, চীন সরকারেরও দুজন প্রতিনিধি এদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।"
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, চীনের উবেই প্রদেশে আটকা পড়া ১৭১ জন বাংলাদেশিকে বিমানের ব্যবস্থা করতে না পারায় ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
হোসাইনী দালানে হামলার ঘটনায় পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে ঐ হামলার ঘটনায় ইসলামিক স্টেটের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করার দাবি করা হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন যে আইএস নয়, বরং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে শিয়া স্থাপনায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার পর সরকার বিরোধী বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের পর বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে সরকার ব্যর্থতা ঢাকতে বিরোধীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আশুরা উপলক্ষ্যে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় ঢাকার হোসাইনী দালানে হামলার ঘটনায় চকবাজার থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। মামলায় আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীদের। যদিও ঘটনার পর পুলিশ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, এই মামলায় তাদের এখনও গ্রেফতার দেখানো হয়নি। পুলিশ বলছে শুক্রবার রাতের ঐ হামলায় হাতে তৈরী গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল, আর এতে মারা যান এক কিশোর এবং আহত হন অন্তত ৫০ জন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসিকে বলেছেন, তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে। মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে, ওয়েব-ভিত্তিক নজরদারী প্রতিষ্ঠান সাইট এমন খবর দিলেও সরকার অবশ্য এই দাবিকে আমলে নিতে একেবারেই আগ্রহী নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর আগে বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় আইএস-এর পক্ষ থেকে একই রকমভাবে দায়িত্ব স্বীকার করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দিয়েছিল। সরকার কেন আইএস-এর কথিত এই দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইসলামিক স্টেট এখানে নিছক একটা প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশে আই এস-এর কোনও অস্তিত্ত্ব নেই!’’ ‘‘বাংলাদেশে আসলে যারাই আই এস, তারাই জেএমবি, তারাই হুজি, তারাই আবার অনসারুল্লাহ্ বাংলা টিম’’, বলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার পরপরই পুলিশ বাহিনীর প্রধান এ কে এম শহীদুল হক বলেছিলেন যে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা চায় না এবং দেশের স্বাধীনতা চায়নি এমন কোন গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে বলে তাদের বিশ্বাস। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি এবং দলটির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীর বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদেরকে গ্রেফতারের কারণ হিসেবে পুলিশ নাশকতার অভিযোগ করছে। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতা ঢাকার জন্যে বিরোধীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। মি. আলমগীর আরো বলছেন, যে কোন ঘটনার জন্যে সরকার বিরোধীদের দায়ী করার ফলে আসল অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সাম্প্রতিক কোন হত্যাকাণ্ডে তাঁর দল কোনভাবেই জড়িত নয়, বরং দলটি ক্ষমতায় থাকতে জঙ্গী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের মূল ধর্মীয় স্থাপনা হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় বোমা হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
গোপালগঞ্জের ওরাকান্দিতে মতুয়াদের প্রধান মন্দির গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন এলাকা হিন্দুদের মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ মাসের শেষে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মতুয়া ভোটারদের মন জয় করতেই ওড়াকান্দি সফরে গুরুত্ব দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। যেদিন মি. মোদীর ওড়াকান্দি সফর করার কথা, তার পরদিন থেকেই শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাসস্থান ও এর আশেপাশের এলাকা মতুয়াদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। কারা এই মতুয়া সম্প্রদায়? ওড়াকান্দি কীভাবে তাদের তীর্থস্থান হল? হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিম্ন বর্ণ হিসেবে বিবেচিত নমঃশূদ্র গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মতুয়ারা। সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ সম্প্রদায় এই মতুয়ারা, যারা হরিচাঁদ ঠাকুরকে তাদের দেবতা মান্য করে। গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে প্রায় ২১০ বছর আগে জন্ম হয় হরিচাঁদ ঠাকুরের, যিনি এই মতুয়া সম্প্রদায়ের সূচনা করেন। পরবর্তীতে তার ছেলে গুরুচাঁদ ঠাকুরের মাধ্যমে বিস্তৃতি লাভ করে মতুয়া মতবাদ। মোদীর ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে হামলা চালালো কারা? মোদীকে কটাক্ষ করার অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোর আটক ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাসস্থান ও এর আশেপাশের এলাকা মতুয়াদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। মতুয়াদের প্রধান মন্দিরও এখানেই অবস্থিত। "হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের 'লীলাক্ষেত্র' - অর্থাৎ তারা যেখানে থেকেছেন, ধর্ম প্রচার করেছেন, তাদের কর্মক্ষেত্র ছিল - মতুয়াদের কাছে তীর্থস্থান", বলছিলেন কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, যিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের বংশধরও। ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে পূণ্যস্নানে অংশ নেন ভক্তরা "সে সময় অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার আদায় ও উন্নয়নের জন্য হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুর আন্দোলন করেছেন। সমাজ সংস্কার ও শিক্ষার প্রসারের জন্য নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছেন", বলেন সুব্রত ঠাকুর। প্রতিবছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে সারাবিশ্ব থেকে লাখ লাখ মতুয়া এখানে সমবেত হন এবং পুণ্যস্নানে অংশ নেন। সেসময় কয়েকদিনের জন্য ঠাকুরবাড়ি ও আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক মতুয়াদের উপস্থিতি থাকে। সুব্রত ঠাকুর বলেন, "প্রতিবছর পুণ্যস্নানের সময়টায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হয়। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ থেকে মতুয়ারা আসেন তখন। সেসময় আয়োজকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় পূণ্যার্থীদের থাকা-খাওয়া ও দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।" যেভাবে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মতুয়ারা মতুয়া আন্দোলন মূলত ওড়াকান্দি কেন্দ্রিক হলেও ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন সময়ে মতুয়াদের একটা বড় অংশ ভারতে চলে যায় বলে জানান স্থানীয় মতুয়াদের অনেকে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতারা তাদের শিষ্যদের বড় একটা অংশ নিয়ে ভারতে চলে যান এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার ঠাকুরনগরে নিজেদের ধর্মীয় কেন্দ্র গড়ে তোলেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর বলেন তার বাবার এক ভাই ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে চলে যান, যার উত্তরসূরিরা বর্তমানে সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। স্থানীয় মতুয়াদের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে তাদের আত্মীয়দের মধ্যে অনেকে ভারতে গিয়ে সেখানেই স্থায়ী বসতি গড়েছেন বহু বছর আগে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও অনেকেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে বসবাসের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীর সফরকে সামনে রেখে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে ওড়াকান্দিতে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন ও নরেন্দ্র মোদীর ওড়াকান্দি সফর ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন , মতুয়া সম্প্রদায় এবং তাদের ধর্মগুরুরা স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে একটা সময় এই মতুয়াদের অধিকাংশ ভোট বামফ্রন্ট বা তৃণমূল কংগ্রেসের মত বাম ঘরানার দলগুলোর কাছে গেলেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া মহাসংঘ বিভক্ত হয়ে গেলে এই হিসেব পরিবর্তন হয়ে যায়। সেসময় মতুয়া মহাসংঘের একটি অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে থাকে এবং আরেকটি অংশের প্রধান শান্তনু ঠাকুর বিজেপি'র টিকিটে জিতে সংসদ সদস্য হন। বিজেপি'র দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু না হওয়ায় মতুয়াদের বড় একটি অংশ হতাশ হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই তাদের মতে, ভোটের আগে মতুয়া ভোটারদের মন জয় করা বিজেপি'র জন্য বিশেষ প্রয়োজন। আর মতুয়াদের প্রধান তীর্থস্থানে নরেন্দ্র মোদীর সফর মন জয় করার চেষ্টার একটি অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কোলকাতার রাজনৈতিক বিশ্লেষক তপশ্রী গুপ্ত বিবিসি বাংলাকে বলেন, "শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান ও সমাধিতে যাওয়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু সেখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে, ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থানও রয়েছে। মোদী সেখানেও যাবেন।" "আমার ব্যক্তিগত মত হল, এ বছর পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন না থাকলে মোদী এতটা কষ্ট করতেন না।" এবারে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন এতটাই হাড্ডাহাড্ডি হবে যে মতুয়া ভোট অনেক আসনেই নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের মোট ২৯৪টি বিধানসভার ১৪টি বিধানসভার ফল পুরোপুরি নির্ভর করে মতুয়া ভোটের ওপর। আর মোট ৬০ থেকে ৭০টি বিধানসভায় ৫ থেকে ১০ হাজার করে মতুয়া ভোটার রয়েছে, যা এবারের বাস্তবতায় ফলাফলের নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় গোপালগঞ্জে শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি ছাড়াও ঐ জেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
লাদাখ সীমান্তের কাছে মোতায়েন ভারতীয় সেনা। ফাইল ছবি অন্য দিকে চীনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কোনও বক্তব্য না এলেও সে দেশের রাষ্ট্রীয় মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে আজ একটি সেনা মুভমেন্টের খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশে থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিমানবাহিনীর সদস্যরা লাদাখ সীমান্তে উড়ে গেছে। পাশাপাশি ভারতের সামরিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, লাদাখ সীমান্তের এই বিরোধ যে খুব তাড়াতাড়ি মিটবে না, সেটা গতকাল দুপক্ষের অনড় অবস্থান থেকেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। মাসখানেকের ওপর হল লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান ভ্যালি ও প্যাংগং লেক এলাকায় দু’দেশের সেনা মোতায়েনকে ঘিরে ভারত-চীন সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা চলছে। এই উত্তেজনার নিরসনে ভারত যে সামরিক পর্যায়ে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল, চীন তাতে রাজি হওয়ার পর শনিবার পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনের অভ্যন্তরে মালডোতে ''বর্ডার পার্সোনেল মিটিং পয়েন্টে'' বৈঠকে বসেন দু’দেশের সেনা কর্মকর্তারা । ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ফোর্টিন্থ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং আর চীনের তরফে নেতৃত্ব দেন তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট-এর কমান্ডার। সেই বৈঠক অত্যন্ত ''সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে'' হয়েছে এবং দুপক্ষই ''শান্তিপূর্ণ সমাধান'' চাইছে বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ জানিয়েছে – তবে সীমান্তের বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে বিবৃতিতে কিছুই বলা হয়নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারতকে নিয়ে কেন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে চীন চীনা সৈন্যরা ঢুকে পড়েছে, বলার পরও অস্বীকার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখে চীন ও ভারতের সৈন্যরা মুখোমুখি, তীব্র উত্তেজনা চেন্নাইতে গত বছর চীনা প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানিয়ে পোস্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক ও লেখক শ্রীরাম চাউলিয়া অবশ্য মনে করেন এই বৈঠকে খুব বেশি কিছু হওয়ারও ছিল না – কারণ চীনের মতো দেশে সব কিছু সর্বোচ্চ নেতার ইশারাতেই চলে, তার সিদ্ধান্তের দিকেই সবাই তাকিয়ে থাকেন। তার কথায়, "শি জিনপিং শুধু প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টই নন, তিনি কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা এবং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনেরও প্রধান – যাদের হাতে সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।" "কাজেই আমার মতে, এই সঙ্কটের সমাধান করতে গেলে মোদী ও শি-কেও নিজেদের মধ্যে সরাসরি কথা বলতে হবে।" "যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত কোনও দেশই চায় না আমার বিশ্বাস, এবং অতীতেও সর্বোচ্চ নেতাদের মধ্যে হটলাইনের মাধ্যমেই আমরা উত্তেজনা প্রশমিত করতে পেরেছি।" লাদাখে ভারত ও চীনের সীমানায় প্যাংগং লেক দিল্লিতে রোববার ভারতের সামরিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, গতকাল মালডো-র বৈঠকে দুপক্ষই মোটামুটি নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল। লাদাখ সীমান্ত এলাকায় ভারত যে সব রাস্তা ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে সেগুলোর কাজ বন্ধ রাখতে তারা যেমন অস্বীকার করেছে – তেমনি গালওয়ান ভ্যালি, ডেনচক বা প্যাংগং ঝিলে চীনা সৈন্যরা যেভাবে অগ্রবর্তী অবস্থান নিয়েছে সেখান থেকেও তারা পিছু হঠতে রাজি হয়নি। উল্টে চীনা রাষ্ট্রীয় মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস আজ জানিয়েছে, 'চীন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই' মধ্য চীনের হুবেই থেকে চীনা বিমানবাহিনীর বেশ কয়েক হাজার সেনা লাদাখের দিকে উড়ে গেছে। ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী অবশ্য এই সংঘাতকে ভারতের দিক থেকে 'ইতিবাচক' বলেই মনে করছেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, "ভারতের জন্য এটা ইতিবাচক কারণ সেখানে আমাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ আছে।" "তা ছাড়া ওখানে হিমালয়ের যেটা প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট ও পাকিস্তানের সঙ্গেও একটা বিরোধর জায়গা – সেই দৌলত বেগ ওল্ডি-তেও আমাদের অ্যাকসেস বজায় আছে।" "যা বুঝতে পারছি, ভারতের অবস্থান হল যেটাকে আমরা নিজেদের ভূখন্ড বলে মনে করি তা কোনও মতেই ছাড়ব না – এবং যেখানে আছি সেখানেই থাকব।" "বাষট্টির যুদ্ধে বা তার পরেও চীনকে নিয়ে যে হীনমন্যতায় আমরা ভুগতাম, তার থেকে এটা বিরাট এক উত্তরণ কোনও সন্দেহ নেই", বলছেন জেনারেল রায়চৌধুরী। তবে ভারতের উত্তর সীমান্তের এই সামরিক সংঘাত যে খুব তাড়াতাড়ি মিটছে না, সেটা ভারতের সামরিক পর্যবেক্ষকদের কাছেও এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তারা অনেকেই এখন বলছেন, বছর-তিনেক আগে সিকিম ও ভুটানের সীমানাঘেঁষা ডোকলামে ভারত ও চীনের সৈন্যরা মুখোমুখি ছিল বাহাত্তর দিন - কিন্তু লাদাখের এই চলমান সংঘাত যদি ১৭২ দিন বা এমন কী শীতেও গড়ায় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে গতকাল সামরিক স্তরে বৈঠকের পর দিল্লি আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই দেশই এই সঙ্কটের ''শান্তিপূর্ণ সমাধান'' চাইছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ভুটানে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ 'টাইগার্স নেস্ট' এখন বিদেশি পর্যটকদের ভুটান বেড়াতে হলে ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে প্রতিদিন কম করে মাথাপিছু আড়াইশো ডলার খরচ করতেই হয় - যার মধ্যে সরকারের আরোপিত ষাট ডলারের 'সাসটেনেবেল ডেভেলপমেন্ট ফি', থাকা-খাওয়ার খরচ বা এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার ধরা থাকে। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ-মালদ্বীপ থেকে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি ছিল না। তারা অনেক কম খরচে ভুটান বেড়াতে পারতেন, তবে খুব শিগগিরি সেই সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। ভুটানের পর্যটন কর্পোরেশনের সুপারিশে আগামী মাসেই সে দেশের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করতে চলেছে বলে ভারত সরকারকে আগাম জানানো হয়েছে। ভারতে কোনও কোনও পর্যবেক্ষক মনে করছেন নরেন্দ্র মোদীর আমলে দিল্লি ও থিম্পুর মধ্যে সম্পর্কে যে সন্দেহের ছায়া পড়তে শুরু করেছে এই সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন - যদিও সবাই আবার এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন। থিম্পুতে নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাচ্ছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। আগস্ট, ২০১৯ এদিকে এই পটভূমিতেই ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চীনও নীরবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বস্তুত সত্তর বছরেরও বেশি পুরনো 'ফ্রেন্ডশিপ ট্রিটি' বা মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী ভুটানের প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি ও বাণিজ্যে ভারতের প্রভাব দ্বিপাক্ষিকভাবেই স্বীকৃত। আর সে কারণেই বিদেশি পর্যটকরা ভুটানে বেড়াতে গেলে রোজ যে অন্তত আড়াইশো ডলার বা আঠারো হাজার রুপি ফি দিতে হয়, তা থেকে অব্যাহতি ছিল ভারতীয়দের - সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের নাগরিকদেরও। কিন্তু ভুটান সরকার এই ছাড় তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আর গত সপ্তাহে দিল্লিতে এসে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টান্ডি দোর্জি তা ভারত সরকারকে জানিয়েও গিয়েছেন। সাবেক কংগ্রেসি মন্ত্রী ও কূটনীতিক মণিশঙ্কর আইয়ার বিবিসিকে বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী তার প্রথম বিদেশ সফরে ভুটান গিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভুটানকে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ যেমন কমিয়ে দিয়েছিলেন, তেমনি সহায়তা পাওয়ার শর্তও অনেক কঠিন করে তুলেছিলেন। মণিশঙ্কর আইয়ার মি আইয়ারের মতে, থিম্পু ও দিল্লির মধ্যে অস্বস্তির শুরু কিন্তু সেই থেকেই। তিনি জানাচ্ছেন, "ভুটান সরকার ও সে দেশের রাজা তখন ভাবলেশহীন নীরবতা বজায় রাখলেও সে দেশের সংবাদমাধ্যমে কিন্তু বেশ কিছু লেখা বেরিয়েছিল যে ভারতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা থাকলে এই জিনিসই হবে।" "তারপর যখন নেপালের বিরুদ্ধে অবরোধেও ভারত প্রচ্ছন্ন মদত দিল, ভুটানও এটা দেখে প্রমাদ গুনেছিল যে উত্তরের প্রতিবেশীদের ওপর ভারত কীভাবে জোর খাটাতে পারে।" "কাজেই আমি অন্তত ভারতীয়দের ওপর চড়া পর্যটন ট্যাক্স চাপানোতে এতটুকুও বিস্মিত নই।" ভুটানের আর একটি বড় পর্যটক আকর্ষণ 'পুনাখা জং' মি আইয়ার আরও বলছিলেন, "মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের সম্পর্কে যে নানা সংঘাত দেখা দিচ্ছে, এটা আসলে তারই অবধারিত পরিণতি।" "আর তা ছাড়া ডোকলাম সঙ্কটের পর থেকে ভুটান এটাও কিছুতেই চাইছে না ভারত ও চীনের মতো দুই বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ তাদের একটা খেলার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করুক।" চীন কানেকশন চীন ও ভুটানের মধ্যে আজ পর্যন্ত কোনও ফর্মাল কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ফলে দুই দেশের মধ্যে কোনও দূতাবাসও নেই। তবে সাম্প্রতিক অতীতে দিল্লিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী থিম্পু গিয়ে ভুটানের রাজমাতার সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন। থিম্পুতে ভুটানের ফুটবল দল চীনের বিরুদ্ধে ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণী ম্যাচ খেলছে। জুন, ২০১৫ আসলে ভুটানের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনে চীনের দিক থেকে আগ্রহের কোনও অভাব নেই, বলছিলেন দিল্লির ইনস্টিটিউট অব চাইনিজ স্টাডিজের ফেলো, অধ্যাপক শ্রীমতি চক্রবর্তী। ড: চক্রবর্তীর কথায়, "চীন তো অবশ্যই চায় ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করতে।" "কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ভারতের সঙ্গে ভুটানের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে ভুটান হয়তো পিছিয়ে যাবে, এটা মাথায় রেখেই চীন এ ব্যাপারে একটু সাবধানে পা ফেলতে চায়।" "চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে ভুটানের জনমত কতটা জোরালো, চীন সেটাও আগে ভালো করে বাজিয়ে দেখতে চায়।" "তবে আমার ধারণা এই ব্যাপারটা নিয়ে চীন এখনও পুরো নিশ্চিত নয়।" দিল্লিতে গত সপ্তাহে ভারত ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা "তবে ভুটানের আধুনিক প্রজন্ম অবশ্যই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। ভুটানের তরুণরা মনে করে, চীন যেভাবে দ্রুত এগিয়ে চলেছে তাতে এই সম্পর্ক তৈরি হলেই লাভ", বলছিলেন অধ্যাপক শ্রীমতি চক্রবর্তী। ট্র্যাফিক জ্যাম, ব্যাঙের ছাতার মতো গেস্ট হাউস তবে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর ভুটানের ট্যাক্স চাপানোর সিদ্ধান্তে চীনা কোনও 'অ্যাঙ্গল' তো নয়ই, এমন কী ভারত-ভুটান সম্পর্কেরও কোনও প্রভাব আছে বলে মনে করেন না সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ইন্দরপাল খোসলা। মি খোসলা বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এটা তো সহজ অর্থনীতি - আর কোনও কিছুর সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা 'গ্রিন ভুটান' পলিসি নিয়েছে, যা ঢালাও পর্যটনকে উৎসাহ দেয় না।" "আমি যখন সাতের দশকে ভুটানে রাষ্ট্রদূত ছিলাম, গোটা থিম্পুতে মাত্র দুটো হোটেল আর গোটাছয়েক গাড়ি ছিল - ছিল না কোনও রেডলাইট ক্রসিং।" গত চল্লিশ বছরে আমূল বদলে গেছে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চেহারা "সেখানে আজকাল ট্র্যাফিক জ্যাম পর্যন্ত হচ্ছে, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে হোটেল আর গেস্ট হাউস।" "ওরা এটাতে রাশ টানতে চাইলে আপনি কীভাবে ভুটানকে দোষ দেবেন?" "ফলে ভুটান ভারতের বিরুদ্ধে ঝুঁকছে, বিষয়টা এভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়", বলছিলেন মি খোসলা। ভুটানের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কূটনীতি থাকতেও পারে, আবার না-ও পারে। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ-মালদ্বীপ থেকে প্রতি বছর যে প্রায় দুলক্ষ পর্যটক সে দেশে যাচ্ছিলেন সেই সংখ্যায় যে এখন বিরাট ভাঁটা পড়বে তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
ভুটান ভ্রমণে ভারতীয় পর্যটকদের অত্যন্ত চড়া হারে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে এতদিন যে ছাড় ছিল, থিম্পু তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ভারত ও ভুটানের সম্পর্ক কোন খাতে বইছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
প্রতিভাধর বাচ্চাদের নিয়ে ৪৫ বছরের গবেষণা তাদের মধ্যে রয়েছেন ফেসবুকের স্রষ্টা মার্ক জাকারবার্গ এবং পপ তারকা লেডি গাগার মত অত্যন্ত সফল সব ব্যক্তিত্ব। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬৮ সালে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক জুলিয়ান স্টেনলি ১২ বছরের এক বালকের সন্ধান পান। জোসেফ বেটস নামে ছেলেটি ঐ বয়সেই জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ছিল। অসামান্য প্রতিভাধর ছিল ঐ কিশোর। গুগলের সের্গেই ব্রিন, লেডি গাগা বা মার্ক জাকারবার্গের মত প্রতিভাধর মানুষদের শিশুকাল গবেষণার অংশ ছিল জোসেফ বেটসের জীবনে কী হয়েছিল? সে খুবই ভালো করেছিল পরবর্তী জীবনে। ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েশন শেষে ডক্টরেট ডিগ্রি পান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন। তাকে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ বলে ধরা হয়। অধ্যাপক স্টেনলি জন হপকিন্স বিশ্ববদ্যালয়ে তার গবেষণা কর্মসূচি শুরু করেন। চমকে যাওয়ার মতো কিছু ফলাফল দেখতে পান তিনি। জোসেফ বেটস। ১২ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়েছেন। তারই সূত্রে শুরু হয় প্রতিভা নিয়ে দীর্ষ গবেষণা 'প্র্যাকটিস মেকস পারফেক্ট' অর্থাৎ চর্চার মাধ্যমে, পরিশ্রমের মাধ্যমেই শুধু চূড়ান্ত সাফল্য দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব বলে প্রচলিত যে বিশ্বাস রয়েছে, গবেষণায় দেখা যায় তা সর্বাংশে সত্য নয়। পরিবর্তে, প্রফেসর স্টেনলির গবেষণা বলছে, অল্প বয়সে কোনো বিষয় পরিষ্কার করে বোঝার, আত্মস্থ করার এবং সমাধান দেওয়ার ক্ষমতা যে শিশুর যত বেশি থাকে, পরবর্তী জীবনে তার সাফল্যের সম্ভাবনাও তত বেশি থাকে। প্রাকটিস অর্থাৎ নিয়মিত চর্চা বা কঠোর পরিশ্রম একমাত্র চাবিকাঠি নয়। এমনকি শিশুর আর্থ-সামাজিক অবস্থার গুরুত্বও ততটা নয়। সুতরাং অল্প বয়সে আপনার শিশুর বুদ্ধিমত্তা শাণিত করার দিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষাবিদরা বহুবার সাবধান করেছেন, "শিশুদের জবরদস্তি করে প্রতিভাবান করে গড়ে তোলার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হয়। তাদের নানারকম সামাজিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়।" কিন্তু আপনি যদি আপনার বুদ্ধিমান বাচ্চাকে কোনো চাপের ভেতর না ফেলে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করতে চান, নীচে বর্ণিত কিছু পন্থা চেষ্টা করতে পারেন: বিচিত্র অভিজ্ঞতায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকশিত হয় ১.শিশুকে নানা ধরণের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করুন বুদ্ধিমান শিশুদের উদ্বুদ্ধ রাখতে, আগ্রহী রাখতে তাদেরকে অভিনব সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করতে হয়। জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সাহস বাড়ায়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনের পর দিন একইরকম গতানুগতিক জীবন আলস্য, স্থবিরতা ডেকে আনে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ প্রতিকুলতার সাথে শিশুর খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা বাড়ায় ২. তাদের প্রতিভা এবং আগ্রহকে উৎসাহিত করা খেলাধুলো হোক বা সঙ্গীত হোক বা নাটকের ক্লাস, এসব নিয়ে আপনার শিশুর আগ্রহ থাকলে অল্প বয়স থেকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা বাড়বে। তবে 'কিছু হওয়ার জন্য' তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হিতে বিপরীত হবে। সে যা নয়, তা বানানোর চেষ্টা করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবেনা। শিশুকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুণ ৩. বাচ্চার বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আবেগের চাহিদাকে সাহায্য করতে হবে সমস্ত শিক্ষার মূলে রয়েছে জানার আগ্রহ, জিজ্ঞাসা। স্কুল শুরুর আগেই শিশুরা অনেক প্রশ্ন করে। ধৈর্য না হারিয়ে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জরুরী। তাদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশু যত "কেন" এবং "কীভাবে" প্রশ্ন তুলবে, স্কুলে তার সাফল্যের সম্ভাবনা ততই বাড়বে। গবেষণায় বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কিছু প্রশ্নের নতুন উত্তর মিলেছে ৪. জানা বা শেখার চেষ্টার প্রশংসা করুন, তার ক্ষমতাকে নয় শিশুর শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে বেশী প্রশংসা করুন, ফলাফলকে ততটা করবেন । নতুন কোনো ভাষা শেখার জন্য তার চেষ্টা, এমনকি সাইকেল চালানোর জন্য তার চেষ্টা - এসবকে উৎসাহিত করুণ। জানার চেষ্টা, শেখার চেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেখার উৎসাহই পরবর্তী জীবনে তাকে সাফল্যের দরজায় নিয়ে যাবে। শিশুরা যেন ভুল করাকে ভয় না পায় ৫. ব্যর্থতা ভীতিকর কিছু নয় শিশুর ভুলগুলোকে তার শিক্ষার অংশ হিসাবে দেখতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণকে একটি সুযোগ হিসাবে দেখতে হবে। ভুল করলে বাচ্চাদের ভবিষ্যতে সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষমতা বাড়ে। অস্বাভাবিক মনে রাখার ক্ষমতা দেখলে বুঝবেন অপনার বাচ্চা হয়তো প্রতিভাধর ৬. কোনো লেবেল বা তকমা নয় কোনো লেবেল বা তকমা সেটে দিলে আপনার বাচ্চা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ভবিষ্যতে কোনো ব্যর্থতার ভয়ে সারাজীবন সে কুঁকড়ে থাততে পারে। শিশুর সাথে লেবেল লাগাবেন না ৭. শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ প্রতিভাবান শিশুরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ চায়।তাদের নিজের গতিতে শিখতে চায়। চলতি শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে তাদের সেই বিশেষ চাহিদা পূরণে বাবা-মাকে শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত পরামর্শ করতে হবে। প্রতিভাধর শিশুদের স্বাধীনতা দিতে হবে ৮. শিশুর সক্ষমতা যাচাই বাড়তি চাপ দেওয়ার জন্য স্কুলের সাথে দেন-দরবার করার আগে আপনার শিশুর শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নিতে হবে। আপনার শিশুর অনেক অজানা সমস্যা থাকতে পারে। যেমন ডিজলেক্সিয়া, তার মনোযোগের ঘাটতি থাকতে পারে, তার হাইপার-অ্যাকটিভিটি বা অতিমাত্রায় চঞ্চলতার সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু কীভাবে আপনির বুঝবেন আপনার বাচ্চা প্রতিভাধর? কিছু ইঙ্গিত: - মনে রাখার অস্বাভাবিক ক্ষমতা -খুব অল্প বয়সে পড়তে শেখা -অস্বাভাবিক কিছু আগ্রহ, শখ অথবা বিশেষ কিছু বিষয়ে গভীর জ্ঞান -বিশ্বের চলমান ঘটনাবলী সম্পর্কে ধারণা -সবসময় প্রশ্ন করা -উচ্চমানের রসিকতা বোধ -সঙ্গীত নিয়ে আগ্রহ - নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগ্রহ - খেলার সময় নতুন এবং অতিরিক্ত নিয়মকানুন তৈরির ক্ষমতা আরও পড়ুন: গ্রেনেড হামলা: বিএনপির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? বাংলাদেশের বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলা যে ৪টি কারণে সেরা নারী ফুটবলাররা গ্রাম থেকেই আসছে
জোসেফকে দেখে অধ্যাপক স্টেনলি দীর্ঘস্থায়ী একটি গবেষণা শুরু করলেন যেটা পরে ৪৫ বছর ধরে চলেছে। এই সময়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি অসামান্য প্রতিভাধর শিশুদের জীবন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদ করছেন ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকরা। কিন্তু সমস্যার সমাধান দেখা যাচ্ছে না। এসএসসি'র প্রশ্নফাঁসের পর আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ মনে করেন,এসব উদ্যোগের ফলে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। মি. কায়কোবাদ বলেন, "শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের নজরদারি জোরদার করেছে যেন প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়।" "তবে এটা মনে রাখতে হবে প্রশ্নপত্র কিন্তু বেশ কিছুদিন আগেই প্রণীত হয়ে গেছে। আমাদের সিস্টেমে এই প্রশ্নপত্র বিভিন্ন সময় আড়াইশো থেকে পৌনে তিনশো মানুষের দেখার সুযোগ থাকে।" মি. কায়কোবাদ বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় তা ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সম্ভাবনা রোধ করতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। "শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বোর্ড কর্তৃপক্ষের ধারণা হয়েছে ভল্ট কিংবা ট্রেজারি থেকে যখন প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় তখন তা ফাঁস হয়ে যায়। সেটি যদি সত্য হয় তাহলে আমি আশা করি এবারের এইচ.এস.সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুষ্টচক্রে পড়বে না।" প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কোচিং সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে মি. কায়কোবাদ বলেন প্রশ্ন ফাঁসের সবরকমের সম্ভাবনা বন্ধ করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মি. কায়কোবাদ বলেন, " পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কোন সেটে পরীক্ষা হবে। প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেলে একজনকে দুটি প্রশ্নপত্রই পড়ে আসতে হবে। যেটি খুবই সম্ভব। এই সম্ভাবনা ঠেকাতেই কোচিং সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।" তদন্ত কমিটি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণ চিহ্নিত করতে পেরেছে কিনা জানতে চাইলে মি. কায়কোবাদ বলেন প্রশ্নপত্র ট্রেজারি বা ভল্ট থেকে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় সম্ভাবনা কম। মি. কায়কোবাদ বলেন, "ঐ তদন্তে ডিবি এবং সিআইডির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা মনে করছেন এসএসসি'র প্রশ্নপত্র আগে থেকে ফাঁস হয়েছে। ট্রেজারি কিংবা ভল্ট থেকে হয়নি। সেটি অবশ্যই বড় একটি সমস্যা, এই সমস্যা নিয়ে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল।" আরো পড়তে পারেন: চিকিৎসা শিক্ষায় পুষ্টিজ্ঞানের অন্তর্ভূক্তি কতটা জরুরি? প্রিন্সের ভাতা কমালো বেলজিয়ামের পার্লামেন্ট
বাংলাদেশে গত এসএসসি পরীক্ষার ব্যাপকহারে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নতুন করে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বেলজিয়াম কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে হারিয়ে ফ্রান্স, ব্রাজিলকে হারিয়ে বেলজিয়াম, সুইডেনকে হারিয়ে ইংল্যান্ড আর স্বাগতিক রাশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। অথচ এর আগে বিশ্বকাপের মাঠে সুইডেনকে কখনোই হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। সেই ইতিহাসকে পাল্টে দিয়ে এবার ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এভাবে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উঠলো তারা। এদিকে রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়ার অপর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে গোল করে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়েছিলো রাশিয়া। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠে যায় ক্রোয়েশিয়া। এ অবস্থায় সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে বেলজিয়াম খেলবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। কারা উঠতে পারে এবারের ফাইনালে?। বাংলাদেশের সাবেক ফুটবল কোচ ডালিয়া আক্তার বলছেন ইংল্যান্ড অঙ্ক কষেই বেলজিয়ামের সাথে খেলেছিল যাতে করে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেতে পরে এবং সেটাই হয়েছে। রাশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ক্রোশিয়া "না হলে কোয়ার্টারের ফাইনালে সুইডেনের বদলে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে হতো। এখন তো সহজেই তারা সুইডেনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেলো"। তবে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ নিয়ে অনুমান করা কঠিন কারণ দুটো দলই চমৎকার খেলেছে। "সেমি ফাইনালে ডু অর ডাই অবস্থা হয়। তাই বলা যাচ্ছেনা যে ইংল্যান্ড বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে কি-না। ডালিয়া আক্তার বলেন দুটি দলেই তারকা আছে ও ভালো ফিনিশার ও মিডফিল্ড আছে। আরো পড়তে পারেন: নেইমার : পাকা অভিনেতা নাকি রেকর্ড ফাউলের শিকার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের বিদায়ে বিপাকে টিভি চ্যানেল "ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপারকে একটু হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলো এবং এটা ঠিক না হলে ক্রোয়েশিয়াকে সেমিতে ভুগতে হতে পারে"। ডালিয়া আক্তারের মতে বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের খেলাটিও দারুণ জমজমাট হবে কারণ দু দলের কোচই তাদের সেরা কৌশল দিয়েই দলকে মাঠে পাঠাবেন। সে কারণে সেমিফাইনালটি নব্বই মিনিটে শেষ নাও হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। "এ ম্যাচটায় দু দলের জন্য ফিফটি ফিফটি চান্স থাকবে। খেলা ট্রাইবেকারে গড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা"।
বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার দ্বারপ্রান্তে এখন চারটি দেশ- ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড আর ক্রোয়েশিয়া।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ভারতে সাপকে কামড়ে টুকরো করে ফেলেছেন এক ব্যক্তি (ছবি প্রতীকী) এরপরে রাগের চোটে সেই সাপকেই কামড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন তিনি। এখন রয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটাহ জেলার আসরৌলি গ্রামের বাসিন্দা রাজ কুমারের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। তার বাবা বাবু রাম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এটা নিশ্চিত করেছেন যে তার ছেলে ঘটনার সময় নেশাগ্রস্থ ছিলেন। তিনি জানান, রবিবার রাতে তার ছেলে "মদ খেয়ে নেশা করে" বাড়ি ফিরেছিল। এই অবস্থায় ঘরে ঢুকতেই তাকে একটা সাপ কামড়ায়। রাগের চোটে ছেলে ওই সাপটাকেই কামড়ে কয়েক টুকরো করে ফেলে। "ওর অবস্থা ভাল না। ডাক্তাররা বলছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে সে," বলছিলেন বাবু রাম। এটাহ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাহুল ভার্ষনেয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: সাপ দেখিয়ে পুলিশের স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা বাড়ির বাগানে পাওয়া গেল দু'মাথাওয়ালা সাপ ডিআর কঙ্গোর ভয়ংকর বিষধর সাপের মুখোমুখি সাপটিকে কামড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন রাজ কুমার। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, তারা প্রথমে বুঝতেই পারেননি যে রাজ কুমার একটি সাপকে কামড়ে টুকরো করে ফেলেছেন। "একজন যুবক এসে আমাদের জানায় যে সে একটি সাপকে কামড়ে দিয়েছে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা। আমি ভেবেছিলাম সাপ ওকে ছোবল মেরেছে। তারপরে বিষয়টা স্পষ্ট হয় আমার কাছে," জানিয়েছেন একজন চিকিৎসক। তবে অবস্থা খারাপ হতে থাকায় তাকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করা যায়নি, অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। তবে বাবু রাম বলছেন, ছেলের চিকিৎসা করানোর অর্থ নেই তার হাতে। সাপকে কামড়ে দেওয়ার ঘটনা ভারতে অবশ্য এই প্রথম নয়। গত মে মাসে গুজরাট রাজ্যেও সাপের ছোবল খাওয়ার পরে ৬০-বছর বয়সী এক ব্যক্তি উল্টো সাপটিকেই কামড়ে দিয়েছিলেন। এতে ওই ব্যক্তিও মারা যান, সঙ্গে সাপটিও।
রাতের বেলা ঘরে ঢুকেই বিষধর সাপের ছোবল খেয়েছিলেন রাজ কুমার।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া) ও রংপুর-৬ থেকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের নির্বাচন করবেন নোয়াখালী-৫ আসন থেকে। ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা নির্বাচন করবেন নড়াইল-২ আসন থেকে। তবে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। আরো পড়ুন: দুই রাজনৈতিক জোটে আসন ভাগাভাগির কতদূর? তরুণরা এবার আওয়ামী লীগকে কতটা সমর্থন দেবে? আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে জানান, আজ সকাল থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আমরা চিঠি দিতে শুরু করেছি। তবে আগামীকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে সবার প্রার্থিতার তালিকাটি ঘোষণা করা হবে।'' তবে পরবর্তীতে প্রার্থিতায় রদবদল আসতে পারে বলেও তিনি জানান। আরো চিঠি পেয়েছেন কুমিল্লা-১১ আসনে মুজিবুল হক, চাঁদপুর-৩ আসনে ডা. দীপু মনি, শ ম রেজাউল করিম (পিরোজপুর-১), আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), আব্দুস সোবহান গোলাপ (মাদারীপুর-৩), সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), শেখ ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), আসলামুল হক (ঢাকা-১৪), আসাদুজ্জামান খাঁন (ঢাকা-১২), সাদেক খান (ঢাকা-১৩), নিজামউদ্দিন হাজারী (ফেনী-২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯)। এ পর্যন্ত ২৭০জনকে মনোনীত করে চিঠি পাঠাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বাকি আসনগুলো জোটের শরীকদের জন্য রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, মনোনয়নপত্র জমার পাশাপাশি প্রত্যাহারের কাগজেও নেতাদের স্বাক্ষর রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রার্থিতায় কোন পরিবর্তন আসলে এই প্রত্যাহার পত্রের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চিঠি দেয়ার পাশাপাশি মহাজোটের শরীকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়েও আলোচনা চলছে আওয়ামী লীগের। শরীকদের সবমিলিয়ে ৬০/৭০টি আসন দেয়া হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা এর আগে আভাস দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: অফিসার্স ক্লাবে ‘গোপন বৈঠক’: কে কী বলছে? ৪৯দিন সাগরে হারিয়ে থাকা এক কিশোরের গল্প প্রকাণ্ড বার্গার-পিৎজা খাওয়াই যাদের পেশা আবার আরেকটি ৯২ হবে নাতো? আতঙ্কে অযোধ্যা
একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কার্যালয় থেকে মনোনীত প্রার্থীদের নামে চিঠি হস্তান্তর শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া ছড়ায় এবং বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। মশার দ্বারা সংক্রমিত ম্যালেরিয়া রোগটি কিভাবে এতটা প্রাণঘাতী রোগ হয়ে উঠলো তার অজানা তথ্য উঠে এসেছে রোগটির ওপর জেনেটিক গবেষণায়। ক্যামব্রিজের ওয়েলকাম স্যাংগার ইন্সটিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এক গবেষণায় এই পরজীবীটির বংশতালিকা অনুযায়ী সাত ধরনের ম্যালেরিয়ার বিষয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে তারা দেখতে পেয়েছেন যে, প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে এই জীবাণুটি রূপান্তরিত হয়ে রোগের নতুন একটি "শাখায়" রূপান্তরিত হয় যা মানব জাতির জন্য মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নেচার মাইক্রোবায়োলজি নামে জার্নালে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই রূপান্তরে তখন এমন একটি জিনগত পরিবর্তন ঘটে যার ফলে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানব শরীরের লোহিত কণিকায় আক্রমণ করতে পারে। এই গবেষকদের একজন ডক্টর ম্যাট বেরিম্যান বলেন, "আমাদের গবেষণায় প্রতিটি পদক্ষেপের ফলাফল একত্রিত করে বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছি যে, ম্যালেরিয়ার সেসব জীবাণু শুধু মানব শরীরে প্রবেশই করছে তা নয়, সেখানে থেকে যাচ্ছে এবং মশার মাধ্যমে পরিবাহিত হচ্ছে।" ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী যে ভয়াবহ পরজীবী বা প্যারাসাইট বিশ্বজুড়ে এই স্বাস্থ্য সংকটের জন্য দায়ী, সেটি হল 'প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম'। স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে মানুষের দেহে এটি ছড়ায় এবং বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। এছাড়া এর এমন প্রজাতিও আছে যেগুলো মনুষ্য সদৃশ শিম্পাঞ্জি এবং গরিলাকে কামড়ায়। গবেষণার জন্য গবেষক দল গ্যালনের একটি স্যাংচুয়ারিতে এ ধরনের প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা চালান। এসব প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পশুচিকিৎসক দল এগুলোর শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংরক্ষণ করেন। ড: বারিমান বিবিসি নিউজকে বলেন, "দেখা যায়, সুস্থ প্রাণীগুলোর রক্তে উচ্চ মাত্রার প্যারাসাইট বা ম্যালেরিয়ার পরজীবী বহনের ইতিহাস রয়েছে।'' গবেষক দল গ্যালনের একটি স্যাংচুয়ারিতে প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা চালান। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব বাংলাদেশ ভবন: উয়ারি বটেশ্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধ ২৩ বছরের যুবক মাদকাসক্ত থেকে যেভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী এই রক্তের নমুনা থেকে পাওয়া ম্যালেরিয়ার জিনগত কোডের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এর বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। গবেষকরা সাত ধরনের ম্যালেরিয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান করেন। বিবর্তনের ইতিহাস অনুসারে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম ৫০ হাজার বছর আগে আবির্ভূত হয়েছিল। কিন্তু মানব শরীরে সংক্রমণ-কারী প্রজাতি হিসেবে আবির্ভাব তিন থেকে চার হাজার বছর আগে। লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের পরিচালক অধ্যাপক জ্যানেট হেমিংওয়ে বলেন, ''এই গবেষণা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ কারণ কিভাবে এবং কখন একটি রোগ প্রজাতির মধ্যে বাধা অতিক্রম করে একটি মারণঘাতি রোগে পরিণত হয় তার সম্পর্কে এর মাধ্যমে একটি চিত্র পাওয়া যায়।'' কিভাবে এটি সংঘটিত হয় তা জানার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা একইরকম পরিস্থিতি এড়াতে ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অধ্যাপক হেমিংওয়ে বলেন, ''এখনকার দিনে অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, ম্যালেরিয়া একটি মানব-সৃষ্ট রোগ এবং ভুলে যায় যে এটি জেনোটিক রোগ যা ৫০ হাজার বছর আগে সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রজাতিগত বাধা অতিক্রম করেছে। এরপর মানব শরীরকে সে তার নতুন আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করে মানবজাতির জন্য মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।'' ''বিশেষ করে বলা যেতে পারে, যে পদ্ধতিতে এই পরজীবী ও ভাইরাস প্রাণী এবং মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে সেটা জানার মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এটা স্থায়ীভাবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে না পারে।''
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ২০ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এই রোগের কারণে প্রাণ হারিয়েছে এবং তাদের একটি বড় অংশই ছিল পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুরা।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বিরলা হাউজ সময় ১৯৪৮ সাল। ৩০শে জানুয়ারি। ভারত ভাগের প্রায় দেড় বছর পরেই দিল্লির বিরলা হাউজে হত্যা করা হয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে, বেশীরভাগ মানুষ যাকে চেনেন মহাত্মা গান্ধী নামে। আজ মঙ্গলবার গান্ধী হত্যার ৭০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সারা ভারত ঘুরে বেড়ানো মোহনদাস গান্ধী কেন শেষ সময়ে দিল্লির বিরলা হাউসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং কেমন ছিল তাঁর সেই শেষ দিনগুলো তা অনেকের কাছেই অজানা। কয়েকদিন আগে আমি গিয়েছিলাম দিল্লির বিড়লা হাউজে, মি. গান্ধী কীভাবে তাঁর জীবনের শেষ সময়টা কাটিয়েছিলেন সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেতে। বিড়লা হাউজ বিড়লা হাউজ দিল্লির সুপরিচিত ব্যবসায়ী ঘনশ্যাম দাস বিড়লার একটি বড় বাড়ী বা ম্যানশন। তিনি নিজেও গান্ধীর অনুসারী ছিলেন। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর শোবার স্থান ১৯৪৭ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর শেষবারের মত মি. গান্ধী দিল্লিতে আসেন। এর আগে যখনই তিনি দিল্লি এসেছেন, প্রত্যেকবার তিনি 'ভাঙ্গি কলোনি' নামের এক জায়গায় থাকতেন। কিন্তু শেষবার যখন তিনি দিল্লি আসেন, তখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থীরা অবস্থান করছিল। তাই তিনি অবস্থান নেন বিড়লা হাউজে। মি. গান্ধী ধ্যান করতেন এখানে কেন দিল্লিতে থাকার সিদ্ধান্ত? মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী দিল্লি আসেন কোলকাতা থেকে। সে সময় হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে অশান্তি চলছিল - সেটা থামিয়ে তিনি দিল্লিতে আসেন। কিন্তু দিল্লিতে এসে দেখলেন এখানে মুসলমানদের উপর হামলা হচ্ছে। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন দিল্লিতে তিনি থেকে যাবেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অপূর্বানন্দ বলছিলেন "কোলকাতায় তিনি যেটা করেছিলেন অর্থাৎ হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে মিল করেছিলেন, সেটা দিল্লিতেও করতে চেয়েছিলেন। এছাড়া শিখ এবং হিন্দুদের তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন মুসলমানদের উপর যেন হামলা না করে"। সরকারের তরফ থেকেও বিড়লা হাউজে থাকার কথা বলা হয় তাঁকে। এখানেই সব রাজনৈতিক বৈঠক হত সেখানে তাঁর অফিস ছিল, রাজনৈতিক সমস্ত বৈঠকও সেখানে অনুষ্ঠিত হত। রাজনীতিবিদরা ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ আসতেন তাঁর সাথে দেখা করতে, বিভিন্ন অভিযোগ-অনুযোগ নিয়ে। স্বাধীনতার পরপরেই ছিল সময়টা। তাই মি. গান্ধী মনে করেছিলেন বিড়লা হাউজ থেকে সরকারের সাথে যোগাযোগ করাটা যেমন সহজ হবে, তেমনি প্রয়োজনে যে কেউ তাঁর কাছে সহজে আসতে পারবেন। অধ্যাপক অপূর্বানন্দ বলছিলেন, "বিড়লা হাউস থেকে বলা চলে তিনি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিদিন বৈঠক করতেন। যেখানে ত্রাণ পাঠানো দরকার সেটা তিনি তাদের বলতেন। কোন স্থান থেকে বেশি অভিযোগ আসছে - সেটা কীভাবে সামলানো যায় - সেটা নিয়ে আলোচনা করতেন"। মৃত্যুর আগে সরদার প্যাটেলের সাথে মি. গান্ধীর শেষ বৈঠক ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান এবং ভারত নামে দুটি দেশ সৃষ্টির পর অনেক রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক ইস্যু অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছিল। উত্তেজনা বিরাজ করছিল ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে। জওহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মৃদুলা মুখার্জী আমাকে বলছিলেন, বিড়লা হাউজে থাকার সময়টা মোটেও শান্তিপূর্ণ ছিল না মি. গান্ধীর জন্য। "চারদিক থেকে দাঙ্গার খবর গান্ধীজি নিজেও পাচ্ছিলেন," বলছিলেন মৃদুলা মুখার্জী। "কিন্তু তাঁর উপর হামলা হতে পারে এই আশঙ্কা করে কখনো তিনি কোন নিরাপত্তা রক্ষী রাখতেন না।" অনশন বিড়লা হাউজে মি. গান্ধীকে পরিচর্যার দায়িত্বে ছিলেন ব্রিজ কৃষ্ণা চান্দিওয়ালা, মানু এবং আভা নামে তাঁর কয়েকজন আত্মীয়। তিনি নিজে দিল্লির বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ক্যাম্পে সশরীরে যেতেন পরিস্থিতি দেখতে। ব্যবহার করা কিছু জিনিস মূলত ভারত সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তিনি এ সময় সাহায্য করেছেন। তবে মুসলমানদের উপর হামলা যখন একেবারেই থামছিল না, তখন তিনি জানুয়ারির ১৩ তারিখে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন করার ঘোষণা দেন। ১৮ই জানুয়ারি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বিরলা হাউজে এসে তাকে আশ্বস্ত করেন যে মুসলমানদের উপর আর হামলা হবে না। তাদের কথা বিশ্বাস করে তিনি ১৯ তারিখে অনশন ভঙ্গ করেন। কিন্তু এর দুই দিন পরেই বিড়লা হাউজে এক বোমা হামলা হয়। হত্যা তবে তখন মোহনদাস গান্ধীর কোন ক্ষতি হয়নি। এর আগেও কয়েকবার তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছিল। কিন্তু মি. গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ৩০শে জানুয়ারির লক্ষ্য ছিল নির্ভুল। এই পথ দিয়ে তিনি প্রার্থণা স্থলে যেতেন সকাল ও সন্ধ্যায় প্রার্থনা সভা করতেন তিনি। সেখানে সব ধর্মের কথা বলা হতো, প্রতিদিন অংশ নিতেন কয়েকশ' মানুষ। সেদিন সন্ধ্যার প্রার্থনা সভার জন্য মি. গান্ধী প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই মূহুর্তেই নাথুরাম গডসে খুব কাছ থেকে পিস্তলের তিনটি গুলি ছোড়েন তাঁর বুক লক্ষ্য করে। ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমী বলছিলেন, গুলি ছোড়ার আগে গডসে মি. গান্ধীর দিকে ঝুঁকে প্রণাম করেন। ঠিক এখানেই গুলি করা হয় স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু হয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর। মি. হাশমী বলছিলেন, গুলির পরে তাঁকে ঘরে নিয়ে আসা হলেও ধারণা করা হয় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। গান্ধী হত্যার দায়ে মি. গডসেকে ১৯৪৯ সালের ১৫ই নভেম্বর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি নাথুরাম গডসে মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করেন। দিল্লির লালকেল্লায় গান্ধী হত্যা মামলার বিচার চলার সময়ে নাথুরাম গডসে নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে তিনি দেশভাগের জন্য মি. গান্ধীকেই দায়ী বলে মনে করতেন। "গান্ধীজী দেশের জন্য যা করেছেন, আমি তাকে সম্মান করি। গুলি চালানোর আগে তাই আমি মাথা নিচু করে তাঁকে প্রণামও করেছিলাম," আদালতে বলেছিলেন নাথুরাম গডসে। তার এক সহযোগী নারায়ন আপ্তেরও ফাঁসি হয়েছিল একই সঙ্গে। ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমীর সাথে বিড়লা হাউজে সংবাদদাতা ফারহানা পারভীন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারতে দুই কোটির বেশি 'অবাঞ্ছিত কন্যা' শিশুর জন্ম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আইসিটি অ্যাক্ট থেকে ভিন্ন? ভারতে 'ধর্মীয় ঘৃণা' নিয়ে সাবেক শীর্ষ আমলাদের উদ্বেগ
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রধান একজন রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন, এবং স্বাধীনতার পর ভারত তাঁকে জাতির জনকের মর্যাদা দেয়।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
বরিশালের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩১টি মানুষের ভ্রূণ পাওয়া গেছে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটিকে 'অমানবিক' ঘটনা বললেও প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসা গবেষণার কাজে ব্যবহার শেষে এসব মানব ভ্রূণ ডাস্টবিনে ফেলা হলো কেন? আর কীভাবে এরকম মানব ভ্রূণ গুলো দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে অপসারণ করা হয়? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মায়ের গর্ভে যেসব বাচ্চা মারা যায় তাদেরকে অনেক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করে থাকে। এসব অপরিণত ভ্রূণ অনেক সময় পরিবারগুলো নিয়ে যায় না। সেসব ফিটাস বা ভ্রূণ থেকে শিক্ষার্থীরা যাতে মানব দেহ সম্পর্কে আরো জানতে পারে সেটাই থাকে উদ্দেশ্যে। এসব ভ্রূণের অনেক সময় ১০ থেকে ২০ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। হাসপাতালটির পরিচালক ড. বাকির হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, এই সব ভ্রূণগুলো ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। এগুলোর উপযোগিতা শেষ হয়ে যাওয়াতে ভ্রূণগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে যে প্রক্রিয়ায় সেটা করা হয়েছে সেটা একেবারেই উচিত হয়নি বলে তিনি জানান। "যে প্রক্রিয়ায় ডিসপোজাল (অপসারণ) করার কথা ছিল, সেই প্রক্রিয়াই ডিসপোজাল হয় নি। যার ফলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা কোনভাবেই কাঙ্ক্ষিত না।" তিনি বলেন, "যদি তারা জীবিত থাকতো তাহলে আজ তারা বড় হত। সেই মানব ভ্রূণের প্রতি যে সম্মানটা দেয়া দরকার ছিল সেটা আমরা দিতে পারিনি। সেটা আমাদের ব্যর্থতা"। তবে যেহেতু এইসবগুলো মানব ভ্রূণ, তাই মর্যাদার সাথে সেগুলো কাপড়ে মুড়ে দাফন করা হয় বলে জানান মি. হোসেন। "আমাদের দেশ যেহেতু মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। আমরা লোক সমাগমের মধ্যে করি না। লোকচক্ষুর অন্তরালে করি। আমরা সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে দাফন করে দেই। এটা বাংলাদেশের সব জায়গায় করা হয়"। ২ জন বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন এদিকে হাসপাতালটির পরিচালক বলেছেন, ঘটনাটি হয়েছে হাসপাতালের গাইনি বিভাগ থেকে। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের দুইজনকে বরখাস্ত করার চিঠি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ। যেভাবে ভ্রূণের সন্ধান মিলল এর আগে সোমবার রাতে হাসপাতালের আবর্জনা স্তূপ থেকে ৩১ টি ভ্রূণ প্রথম দেখতে পায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের একজন পরিচ্ছন্নতা-কর্মী মো. মিরাজ। তিনি বলছিলেন, প্রতিদিনকার মত সন্ধ্যা সাতটা দিকে তিনি হাসপাতালের পূর্ব পাশের ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে যান। সেখানে ময়লার মধ্যে দেখতে পান এই ভ্রূণগুলে। "আমার সাথে আরেকটা ছেলে ছিল, সে দেখে ভয়ে পালিয়ে যায়। আমি ময়লা সরিয়ে দেখি ৩১ টা বাচ্চার ভ্রূণ। এরপর হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারকে খবর দিলে তারা ভ্রূণগুলো নিয়ে যায়"। নবজাতককে নিয়ে পাঁচতলা থেকে মায়ের লাফ হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও বাবা-মা ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার নামে বাণিজ্য’ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে ‘৫০৮ দিনের অপেক্ষা’? ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ‌। ব্যাপক তোলপাড় বরিশাল জুড়ে এদিকে এতগুলো মানব ভ্রূণ এভাবে ময়লার স্তূপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে বরিশাল শহরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় সাংবাদিক শাহিনা আজমিন বলছিলেন, খবরটা ছড়িয়ে পরলে অনেক মানুষ, দেখতে ভীর করেন এবং ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক বলে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করছেন। "এটা ল্যাবে ব্যবহৃত হয়েছে মেডিকেলের স্টুডেন্টদের জন্য। খবরটা শোনার পর থেকে সবাই বলছে এটা একবারেই উচিত হয়নি। একেবারে অমানবিক কাজ হয়েছে এটা।" "অনেকে বলছেন নখ কাটার পরেও এভাবে ফেলে দিতে হয় না। সেক্ষেত্রে যারা এতদিন এসব জিনিস ব্যবহার করেছেন তাদের শিক্ষার জন্য, তারা কেন এভাবে ময়লা-আবর্জনা বা ড্রেনে ফেলে দেবে? সেটা তো তারা মাটিতে পুতে রাখতে পারতো," এমনটাই জানাচ্ছেন ওই সাংবাদিক। অনেকে আবার বলছেন, এটা তারা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) অপরাধমূলক কাজ না করলেও এক ধরণের অমানবিক কাজকে তারা সমর্থন করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: রামপালে বিদ্যুৎ 'উৎপাদন শুরু আর তিন বছরের মধ্যেই' জামায়াতের জন্য নতুন রূপে কাজ করা সহজ হবে? কোমায় থাকা কিশোরী জেগে দেখে সে নিজেই মেয়ের মা!
বরিশালের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়লার স্তূপ থেকে ৩১টি মানব ভ্রূণ পাওয়া যাওয়ার পর তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কোভিড-নাইনটিনের একটি উপসর্গ কাশি। এজন্য কর্তৃপক্ষ এই রোগ থেকে সেরে উঠা লোকজনকে রক্ত দেওয়ার আহবান জানিয়েছে। এনএইচএস ব্লাড এন্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট বলছে, এই রক্ত দিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে তারা পরীক্ষা চালাবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেটা দিয়ে তারা রোগীর শরীরে থাকা ভাইরাসটি নির্মূল করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই এবিষয়ে বড় ধরনের গবেষণা শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নিচ্ছে দেড় হাজারেরও বেশি হাসপাতাল। রক্তের এন্টিবডি দিয়ে ভাইরাসটি মোকাবেলা করা হবে। কীভাবে কাজ করবে? যখন একজন ব্যক্তি কোভিড-নাইনটিন রোগে আক্রান্ত হন তার শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করতে এন্টিবডি তৈরি করে। এই এন্টিবডি করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে। সময়ের সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের তরল পদার্থ প্লাজমায় প্রচুর পরিমাণে এন্টিবডি তৈরি হয়। এনএইচএস ব্লাড এন্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট বলছে, তারা এখন প্লাজমার এই এন্ডিবডি ব্যবহারের পদ্ধতিটি কাজে লাগাতে চায়। কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-নাইনটিন থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত রক্ত অসুস্থ মানুষের শরীরে সঞ্চালিত করলে কতোটা কাজ হয় সেটা তারা এখন পরীক্ষা করে দেখবেন। সংস্থাটির দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “আমরা মনে করি কোভিড-নাইনটিন রোগীদের সম্ভাব্য চিকিৎসায় এটি হবে প্রাথমিক এক গবেষণা।” এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। করোনাভাইরাস। “এই পরীক্ষায় দেখা হবে কনভালেসেন্ট প্লাজমা কোভিড-নাইনটিন রোগীর শরীরে সঞ্চালিত করার পর সেটি কতো দ্রুত তাকে সারিয়ে তুলতে পারে এবং এর ফলে তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা কতোখানি বৃদ্ধি পায়।” তবে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে মানুষের দেহে এই পরীক্ষা চালানো হবে। এর ফলে রোগীর যাতে ক্ষতি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। এবিষয়ে কতো দ্রুত পরীক্ষা শুরু করা যায় তার জন্য সংস্থাটি সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কোভিড-নাইনটিন রোগের চিকিৎসায় রক্তের প্লাজমার ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন গ্রুপ কাজ করছে। কার্ডিফে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অফ ওয়েলস এই সপ্তাহে ঘোষণা করেছে যে তারাও এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে চায়। এছাড়াও আরো কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষা চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অ্যাকাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর স্যার রবার্ট লেকলার বলেছেন, তিনি চান করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ রোগী, যাদের আর কোনো চিকিৎসার উপায় নেই, তাদের শরীরে এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা চিকিৎসা চালানো হোক। তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কিছু রোগীকে এই চিকিৎসা না দেওয়া যায় তাহলে সেটা হবে হতাশাজনক। এই কাজটা খুব দ্রুত শুরু করতে হবে।” তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা পরীক্ষা করে দেখার ব্যাপারে ব্রিটেন ইতোমধ্যে দেরি করে ফেলেছে। বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের মানচিত্র করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই প্লাজমা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সারা দেশে কোভিড-নাইনটিন রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যক্তিদের রক্ত সংগ্রহ করতে শুরু করে। এবং এই সময়ের মধ্যে তারা প্রায় ছ’শো রোগীর ওপর এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেছে। মায়ো ক্লিনিকের প্রফেসর মাইকেল জয়নার এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, “প্রথম সপ্তাহে আমরা যা শিখেছি তা হলো এখানে বড় ধরনের কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি চোখে পড়েনি এবং রোগীর শরীরে অপ্রত্যাশিত কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।” “কিছু কিছু ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রার উন্নতি হওয়ার খবর পেয়েছি এবং রোগীরও কিছু উন্নতি হয়েছে। এগুলো আশাব্যাঞ্জক তবে এসব ফলাফল আরো গভীরভাবে যাচাই করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে,” বলেন তিনি। তিনি জানান, এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত। “প্লাজমার ব্যাপারে এখনও অনেক কিছুই আমরা বুঝি না। প্লাজমার মধ্যে আরো কী কী উপাদান আছে, সেখানে অ্যান্টিবডির মাত্রা কতোখানি, এবং আরো কিছু বিষয় হয়তো আগামীতে জানা যাবে।” “কিন্তু কখনো কখনো একজন চিকিৎসক হিসেবে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে একটা উদ্যোগ নিতে হবে।” আগের মহামারির অভিজ্ঞতা অসুখ থেকে সেরা ওঠা রোগীর রক্তের ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন কিছু নয়। একশো বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময়েও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি এবোলা ও সার্স রোগের চিকিৎসাতেও এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি প্রয়োগের ওপর এখনও পযন্ত ছোট খাটো কিছু পরীক্ষা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-নাইনটিনের চিকিৎসায় এই প্লাজমা পদ্ধতি কতোটুকু কাজ করবে সেটা জানতে এনিয়ে আরো অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই বহু মানুষ এগিয়ে এসেছে। কোভিড-নাইনটিন থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়া লোকের কাছ থেকে রক্তদানের আহবান জানানোর পর বিভিন্ন কেন্দ্র ও হাসপাতালে মানুষের হিড়িক পড়ে গেছে। নিউ ইয়র্ক ব্লাড সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ব্রুস সেকিস বলেছেন, “শত শত মানুষ আসছে রক্ত দিতে। আমরা মাত্র এক হাজার ইউনিট সংগ্রহ করতে পেরেছি।” “এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা যে সেরে ওঠার পর আক্রান্ত অন্য ব্যক্তিদের এভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন এটা খুবই হৃদয়গ্রাহী ব্যাপার।” তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন এটাও মনে রাখতে হবে যে এই প্লাজমা ‘ম্যাজিক বুলেট’ হিসেবে কাজ করবে না। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা যেখানে এতোটাই সীমিত সেখানে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার আগ পযন্ত কনভালেসেন্ট প্লাজমা পদ্ধতি কোভিড-নাইনটিন রোগ থেকে সেরে ওঠার ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সাহায্য করবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেসব ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের রক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে হাসপাতালে কোভিড-নাইনটিন রোগীদের চিকিৎসা করার পরিকল্পনা করছে ব্রিটেন।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
জোম্যাটোর টুইট- "খাবারের কোনও ধর্ম হয় না। খাবারই একটা ধর্ম।" তার উত্তরে 'জোম্যাটো' নামের ওই জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি অ্যাপ টুইট করেই জানিয়েছে ''খাবারের কোনও ধর্ম হয় না।'' এ নিয়ে বুধবার ভারতীয়দের টুইট হ্যান্ডেলগুলি সরগরম হয়ে ওঠে। জোম্যাটোর টুইটের পরে ওই সংস্থাটির প্রধান আরও রূঢ় ভাষায় জবাব দিয়েছেন। দীপিন্দর গোয়েল লেখেন যে এধরনের অর্ডারের ফলে যদি ব্যবসার ক্ষতি হয়, তাও মেনে নিতে তারা রাজি। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা পণ্ডিত অমিত শুক্লা নামের এক ব্যক্তি, যার টুইটার হ্যান্ডেলের নাম 'নমো সরকার', তিনি মঙ্গলবার রাতে জোম্যাটোর মাধ্যমে অর্ডার দিয়েছিলেন কিছু খাবারের। খাবার ডেলিভারির দায়িত্ব পড়ে একজন মুসলিমের ওপর। জানতে পেরেই সাথে সাথে অপত্তি করেন অমিত শুক্লা। জোম্যাটো কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে চ্যাটের যে স্ক্রিনশট তিনি টুইট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে মি. শুক্লা লিখেছেন, "আমাদের শ্রাবণ মাস চলছে। একজন মুসলমানের ডেলিভারি করা খাবারের প্রয়োজন নেই।" এরপরে জোম্যাটোকে তিনি বলেন অন্য কাউকে দিয়ে ডেলিভারি দেওয়া হোক তার খাবার। পবিত্র শ্রাবণ মাসে তারা শুদ্ধ নিরামিষ রেস্তোঁরা থেকে খাবার আনান। তাই ডেলিভারি বয়কে পাল্টানো হোক, নাহলে অর্ডার বাতিল করবেন তিনি। জোম্যাটোর অ্যাপ আনইনস্টল করারও হুমকি দেন। এরপরেই জোম্যাটো জবাব দেয়, "আমরা রাইডারদের [ডেলিভারি বয়] মধ্যে বিভাজন করি না।" মি. শুক্লা গোটা ঘটনা টুইট করে সবাইকে জানানোর পরে আজ (বুধবার) পাল্টা উত্তর দিয়েছে জোম্যাটো। তারা বলেছে, "খাবারের কোনও ধর্ম হয় না। খাবারটাই একটা ধর্ম।" এরপরেই নিজের সংস্থার পক্ষ নিয়ে জোম্যাটোর কর্ণধার দীপিন্দর গোয়েল লেখেন, "ভারতীয়ত্বের ধারণার জন্য আমরা গর্বিত এবং আমাদের ক্রেতা এবং পার্টনারদের বৈচিত্রের জন্যও। আমাদের সেই চিন্তাধারাকে আঘাত দেয়, এরকম কোনও ব্যবসা যদি আমরা নাও পাই, তাতে কোনও ক্ষতি হবে না।" আরও পড়ুন: দেবতা রামের জয়ধ্বনি যেভাবে মুসলিম হত্যার হুংকার নাগরিকত্ব তালিকায় না থাকায় কি আত্মহত্যা বাড়ছে? একজন মুসলিম তার খাবার ডেলিভারি করছে জানতে পেরে অর্ডার বাতিল করে টুইটারে তা ঘোষণা পন্ডিত অমিত শুক্লা নামের একজন এরপরেই শুরু হয় টু্‌ইটারে বাকযুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত জোম্যাটোর টুইটটি ১৬ হাজারেরও বেশিবার রিটুইট করা হয়েছে, লাইক পড়েছে প্রায় ৪৬ হাজার। অনেক মান্যগণ্য ব্যক্তি জোম্যাটোর টুইটকে অভিন্দন জানিয়েছেন, যাদের মধ্যে কংগ্রেস নেত্রী স্বরা ভাস্কর যেমন আছেন, তেমনই আছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বা প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। নানা ধরণের মন্তব্য করা হয়েছে জোম্যাটো আর মি. শুক্লার টু্‌ইট যুদ্ধে। "ধর্মের নামে যেধরণের ঘৃণা ছড়ানো বেড়ে চলেছে, সেই সময়ে কর্পোরেট দুনিয়ার এরকম কড়া কথার উদাহরণ প্রায় দেখাই যায় না," লিখেছেন 'স্যাম সেজ' নামে একজন। একজন তির্যক মন্তব্য করেছেন, "এরপর থেকে দেখে নেবেন যে খাবারটা একজন হিন্দু চাষ করেছে কিনা, ট্রাকে করে একজন হিন্দু তা নিয়ে এসেছে কিনা, বিক্রি করেছে যে সে হিন্দু কিনা বা যে রান্না করল, সে হিন্দু কিনা! ধর্মের ব্যাপার তো!" শেখ ফারহাদ নামের একজনের মন্তব্য, "মুসলিম দেশ থেকে আনা পেট্রল ডিজেল বয়কট করে সাইকেলে চাপুন।" অভিনভ শর্মা নামে একজনের মন্তব্য, "ওর গাড়ি, বাইক, ট্রেন বা প্লেনে চড়া উচিত নয়। তন্দুরি খাবার, জিলিপি, সিঙ্গাড়া এগুলোও খাওয়া উচিত নয়! মুসলমানী পরিচয় আছে, এমন সবকিছু বর্জন করা উচিত ওর।" ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোম্যাটো ভারতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সিম্মি আহুজার মন্তব্য, "স্যার, এই টুইটারটাও তো অহিন্দুর! আপনার ঘরে যে সবজি আছে, খুঁজে দেখুন অহিন্দুরই চাষ করা হয়তো, বা দুধ-ও। আর যে ভাষায় আপনি লিখেছেন, সেটাও তো অ-হিন্দু ভাষা। হিন্দুদের মূল ভাষা সংস্কৃত। তাতেই লিখুন!" মিজ আহুজার এই মন্তব্যে আবার শুরু হয়েছে আরেক বিতর্ক। কুঁওর পি এক এস রানা নামের একজন জবাব দিয়েছেন, "ম্যাডাম, আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডার একটু প্রসারিত করুন। কোন্‌ মুসলমান চাষাবাদ করে? ভারতে ২% মুসলমানও চাষ করে না। কমিশনখোরের কাজ করে। সব সব্জিই হিন্দুরা চাষ করে আর সব্জি বাজারে মুসলমানরা সেগুলো বিক্রি করে।" সিম্মি আহুজা উত্তরে লিখেছেন, "২০১১-র জনগণনায় ৪৬% হিন্দু চাষাবাদ করেন। বাকি চাষের কাজ অহিন্দুরা করে। অর্থাৎ ৫৫%।"
এক অহিন্দুকে কেন তার খাবার ডেলিভারি করতে পাঠানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে খাবারের অর্ডার বাতিল করে দিয়েছিলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দা। অর্ডার বাতিল করার কথা তিনি ঘোষণা করেন টুইটারে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
আড়ালে থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের উপর চালানো যৌন নির্যাতন (ছবিটি প্রতীকী) কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বিবিসিকে বলছেন অভিযুক্ত দুজনকেই আটক করে তাদের বিরুদ্ধে বলাৎকারের মামলা দেয়া হয়েছে। ওদিকে আক্রান্ত ছেলেটিকে এখন সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে আছে। আরো পড়ুন: কেন আড়ালে থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের উপর চালানো যৌন নির্যাতন? জার্মান গানের স্কুলে বহু ছেলে যৌন নির্যাতনের শিকার যৌন হয়রানির বিষয়ে কেন মুখ খোলেনা মেয়েরা? সেখানকার চিকিৎসক শাহীন আব্দুর রহমান চৌধুরীকে বিবিসিকে বলেছেন গতকালই ওই কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দ্রুতই তারা পুলিশের কাছে তাদের প্রতিবেদন জানাবেন। আক্রান্ত ছেলেটির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে স্কুলের হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতো। সেখানেই আটক হওয়া দুই ছাত্র কিছুদিন ধরেই তাকে বলাৎকার করে আসছিলো। আক্রান্ত ও অভিযুক্ত তিনজনই স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্কুলের একটি এক কক্ষের হোস্টেলে তারা থাকতো। আক্রান্ত কিশোরর মা বিবিসি বাংলাকে বলছেন ওই কক্ষে ৮/৯ জন শিক্ষার্থী থাকতো। তিনি জানান বেশ কিছু ধরেই তার সন্তান হোস্টেলে যেতে চাইতোনা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতো। "বিভিন্ন ভাবে ছেলেটি আমাকে বলতো কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি যে তাকে এভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। সে তার নানীকেও বলেছে যে ওখানে খারাপ ছেলেরা আছে"। তিনি বলেন, "আমি ভেবেছি পড়ার ভয়ে ছেলেটা হোস্টেলে যেতে চাইছেনা। এবার এসে মোটেও যেতে চাইছিলোনা। সোমবার রীতিমত মারধর করে তাকে হোস্টেলে পাঠাই আমি"। এরপর তার খালা হোস্টেলে গেলে সব কিছু প্রকাশ পায় এবং সেখানেই জানা যায় যে দশম শ্রেণীর দুজন শিক্ষার্থী এই কিশোরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অনেক দিন ধরেই যৌন নির্যাতন করে আসছিলো। এরপর আক্রান্ত ছেলেটিকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় ও সব জানার পর দশম শ্রেণীর ওই দু'শিক্ষার্থীকে পুলিশে দেয়ার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রান্ত ছেলেটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ব্যবস্থা করেন। ছেলেটির পরিবারর অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মামলা করে পুলিশ। তার মা বলেন, "আমার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলেটি খুবই ভদ্র ও শান্ত। যারা ছেলেটিকে এমনভাবে অত্যাচার করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমি"। আরো পড়তে পারেন: পাবনায় কথিত সমকামী বিয়ে, এলাকায় আলোড়ন দেখুন: আপনি কতদিন তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পাঁচ বছরের জেল
কক্সবাজারে দুজন স্কুল ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ- তারা দুজনই দশম শ্রেণীর ছাত্র। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বলাৎকার করে আসছিলো।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
কুয়ালালামপুরে অভিবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা (ফাইল ছবি) 'জিটুজি-প্লাস' নামে যে এসপিপিএ সিস্টেমের আওতায় মালয়েশিয়া তাদের দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিয়োগ করত, সেই পদ্ধতি আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকেই স্থগিত হয়ে যাবে বলে সে দেশের সরকার বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে জানিয়েও দিয়েছে। কুয়ালালামপুরের সাংবাদিক শেখ কবীর আহমেদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, বর্তমান পদ্ধতিতে যে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মারফত বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা হত তা বাতিল ঘোষণা করা হলেও মালয়েশিয়ার সরকার নতুন কী পদ্ধতি চালু করতে চাইছে তা আদৌ স্পষ্ট নয়। "মাহাথির মোহাম্মদের নতুন সরকার হয়তো নতুন কোনও পদ্ধতি চালু করবেন। কিন্তু তাতে যে বেশ সময় লাগবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই, আর ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এদেশে শ্রমিক আসা বন্ধ থাকবে ধরেই নেওয়া যায়," বলছেন মি. আহমেদ। বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সমিতি বায়রা বিবিসিকে জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১,৯০,০০০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে পাড়ি দিয়েছেন। এই সংখ্যা সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশী শ্রমিকের সমান - কাজেই বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিতে মালয়েশিয়ার গুরুত্ব কতটা, তা বোঝা কঠিন নয়। মালয়েশিয়ার বহু অবকাঠোমো প্রকল্পেই কাজ করেছেন লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী আমাদের পেজে আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা সংকটের এক বছর : শরণার্থী শিবিরে অবাধে চলছে বাল্যবিবাহ কাজ জমিয়ে রাখা বা গড়িমসি করার অভ্যাস পরিবর্তন করবেন কীভাবে? 'পৃথিবী ধ্বংস হলেও আর জার্মানিতে ফিরবো না' বায়রা-র সচিবালয়ে উপদেষ্টা মো. দলিলউদ্দিন মন্ডল অবশ্য বলছেন, "হ্যাঁ, সাময়িকভাবে হয়তো বিরূপ প্রভাব কিছুটা পড়বে। তবে মালয়েশিয়া এর আগেও বহুবার বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে ও আবার চালু করেছে - আর সেই গত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে এ জিনিস চলছে। কাজেই আমরা অতটা ভয় পাচ্ছি না, আশা করছি আবার নতুন কোনও সিস্টেম চালু হবে।" তবে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ এম. এম. আকাশ মনে করছেন, মালয়েশিয়ার এই সিদ্ধান্তে রেমিট্যান্স প্রবাহে যেমন বড় ভাটা পড়ার আশঙ্কা আছে সেটা একটা দিক - কিন্তু তার চেয়েও বড় বিপদ হল বাংলাদেশের 'ভাবমূর্তির সঙ্কট'। অধ্যাপক আকাশের কথায়, "যে কারণেই মালয়েশিয়া এটা বন্ধ করুক, আমাদের যে কিছুটা বদনাম হয়ে গেল তা তো অস্বীকার করতে পারি না। আমি যেটুকু সমস্যাটা বুঝতে পারছি, আমাদের দিক থেকেও যে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত ছিল না - সেটা তো পরিষ্কার। বাংলাদেশকে এখন তারই মাশুল গুনতে হবে।" কিন্তু মালয়েশিয়া কেন ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করছে, তার কি কোনও নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়েছে? অবৈধ শ্রমিক-বিরোধী অভিযানে রাস্তার পাশে বসিয়ে রাখা হয়েছে আটককৃতদের। কৃয়ালালামপুর, জুলাই ২০১৮ মালয়েশিয়ার সাংবাদিক শেখ কবীর আহমেদ জানাচ্ছেন, "গত ২১ অগাস্ট এ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি, জেনারেল দাতো ইন্দেরা খাইরুল দাজমি বিন দাউদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে যে সে দেশের বিগত সরকার বাংলাদেশের যে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মারফত শ্রমিক নিত, তাদের এসপিএ সিস্টেম সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকেই বাতিল হয়ে যাবে। "এখন যদিও ওই চিঠিতে নির্দিষ্ট কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি, আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারছি ওই ১০টি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিয়োগ পেতে একজন শ্রমিকের যেখানে মাত্র ৪০,০০০ টাকা লাগার কথা, সেই জায়গায় এই এজেন্সিগুলো চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার্জ করত বলে জানা যাচ্ছে", বলছিলেন মি আহমেদ। এই দুর্নীতির সঙ্গে মালয়েশিয়ার পূর্বতন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন মালয়েশিয়ার নাগরিকও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এই কথিত দুর্নীতির ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বায়রা কর্তৃপক্ষ। তবে সংস্থার উপদেষ্টা দলিলউদ্দিন মন্ডল জানাচ্ছেন, তারা চেয়েছিলেন এই রিক্রুটমেন্ট পদ্ধতি সব সংস্থার জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। তার কথায়, "এর আগে ২০১৬তে দুই দেশের সরকার যখন আলোচনায় বসেছিল, তখন বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯০০ এজেন্সির নাম জমা দেওয়া হয়েছিল - কিন্তু মালয়েশিয়া মাত্র ১০টি এজেন্সিকে বেছে নেয় এবং বলে যে সংখ্যাটা পারে বাড়ানো হবে। আমরা অনেকবার লিখেছি যে প্রসেসটা ওপেন করে দেওয়া হোক, কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত আর হয়নি।" মালয়েশিয়ার প্রধান ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা "এখন মালয়েশিয়াতে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। নতুন সরকার হয়তো আগের পদ্ধতিটা পছন্দ করছে না, এই জিনিস তো প্রায়ই হয়। ঠিক বলতে পারব না কী হয়েছে, তবে আমাদের বিশ্বাস মালয়েশিয়াতে জনশক্তি রপ্তানি পাকাপাকিভাবে কিছুতেই বন্ধ হবে না।" "তাহলে তো দুপক্ষেরই ক্ষতি, তাই না? ওরা যদি সা-রে-গা-মা সুর ধরে থাকে, তাহলে আমাদের শ্রমিকরা গিয়েই তো পা-ধা-নি গেয়ে সপ্তসুর শেষ করছে - এটা তো বুঝতে হবে। দুজনেরই আসলে পরস্পরকে দরকার", বলছিলেন মি. মন্ডল। মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণেই আপাতত বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে, বায়রা এমন একটা ইঙ্গিত করতে চাইলেও সেই যুক্তি মানতে নারাজ অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ। তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "যদি ধরেওনি মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পুরনো জমানার মন্ত্রী-নেতাদের দুর্নীতি খুঁড়ে বের করার চেষ্টা হচ্ছে, বাংলাদেশকে তো তার বলির পাঁঠা বানানোর কোনও কারণ নেই। এখানে আমাদেরও কিছু গাফিলতি ছিল, সেটা স্বীকার করে নেওয়াই ভাল।" বাংলাদেশী শ্রমিকরা ফিরে আসছেন মালয়েশিয়া থেকে (ফাইল ছবি) জনশক্তি রপ্তানির পুরো পদ্ধতিটা যতক্ষণ না পুরোপরি 'ডিজিটাল' করা হচ্ছে, ততদিন এই জাতীয় সমস্যা থেকেই যাবে বলে ধারণা অধ্যাপক আকাশের। "সরকারের একটা ওয়েবসাইট থাকবে - যেখানে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকরা নিজেদের যোগ্যতা, তথ্য-পরিচয় উত্যাদি আপলোড করবেন। সেখান থেকে বেছে নিয়ে বিদেশে চাহিদা অনুযায়ী ম্যাচ করে তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, এটা করলেই তো সমস্যা মিটে যায়!" "তার বদলে এখন যে 'মিডলম্যান' বা মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের 'স্বার্থাণ্বেষী চক্র' কাজ করছে সরকার তাদের কাছে বারবার নতি স্বীকার করার ফলেই গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রমবাজারগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে", বলছিলেন অধ্যাপক আকাশ।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারগুলির একটি, মালয়েশিয়ার দরজা আর পাঁচদিনের মধ্যেই আপাতত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
মহাকাশের আবর্জনা এই দশকে অনেক বেড়ে গেছে ‌এসব আবর্জনা হলো পুরনো রকেটের অংশ অথবা ইন্টারগাইডেড স্যাটেলাইটের টুকরো টুকরো অংশ- যেহেতু পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে চাঁদে ভারতের একটি মহাকাশযান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মহাকাশে সেগুলোর বর্জ্য নাসা খুঁজে পাওয়ার প্রেক্ষাপটে মি. চৌধুরী এই বক্তব্য দিলেন। কিন্তু এই দাবি কি তথ্য নির্ভর দাবি? আসলেই কি ভারত এখন মহাকাশে বিপজ্জনক বর্জ্য তৈরি করছে? আরো পড়ুন: চাঁদে পাঠানো ভারতের যানে আসলে কী ঘটেছে? চাঁদে আটকা পড়ে যাওয়া 'ওয়াটার বেয়ার' ভারতের স্যাটেলাইট ধ্বংস পরীক্ষা নিয়ে নাসার শঙ্কা 'মহাকাশে প্রথম অপরাধ' অভিযোগ তদন্ত করছে নাসা মহাকাশে কতটা মনুষ্য তৈরি বর্জ্য রয়েছে? পৃথিবীর কক্ষপথে যেসব আবর্জনা ঘুরছে, তার মধ্যে যেগুলোর আকার দশ সেন্টিমিটারের বেশি, সেগুলো সনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস সার্ভেইল্যান্স নেটওয়ার্ক, বলছে নাসার অরবিটাল ডেব্রিস প্রোগ্রাম অফিস (ওডিপিও) এসব জিনিস ভূপৃষ্ঠের ১২৫০ মাইলের ভেতরে ঘোরাফেরা করছে, যার সঙ্গে রয়েছে আরো দুই হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। ২০০৭ সালে নিজেদের একটি স্যাটেলাইটের ওপর চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, ধারণা করা হয় যে, তখন মহাকাশে প্রায় তিন হাজারের মতো বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে। ওডিপিও তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যোগাযোগ উপগ্রহের একটি দুর্ঘটনার ফলে বেশ বিশাল সংখ্যক বড় আকারের বর্জ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আওয়ামী লীগের সম্মেলন: নতুন কমিটিতে যারা রয়েছেন শীতকালে শিশুদের রোগ থেকে দূরে রাখবেন যেভাবে কেন ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত? দুই ভারতীয় মুসলিম নারী পুতিনকে প্রেসিডেন্ট হতে সহায়তা করেছিলেন যিনি ভারত বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মহাকাশ বর্জ্যের জন্য ভারত কতটা দায়ী? ওডিপিও তথ্য অনুযায়ী, অপর তিন দূষণকারী, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের তুলনায় ভারত এখনো অনেক কম মহাকাশ বর্জ্য সৃষ্টি করছে। তবে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ভারতের এ ধরণের বর্জ্য সংখ্যা বেড়েছে। ১১৭ মহাকাশ বর্জ্য থেকে একবছরে বেড়ে হয়েছে ১৬৩। এ বছরের মার্চ মাসে চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষা বা এএসএটি চালায়। ভারত দাবি করেছে, তারা এমন উচ্চতায় ওই পরীক্ষাটি চালিয়েছে, যা মহাকাশের কক্ষপথে কোন আবর্জনা তৈরি করবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ওই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে এবং নাসা জানিয়েছে, তিনমাস পরে ওই ঘটনার ফলে সৃষ্ট ৫০টি আবর্জনা খুঁজে পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সিকিউর ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের মহাকাশ আইন পরামর্শদাতা ক্রিস্টোফার ডি জনসন বলছেন, মহাকাশের আবর্জনা সমস্যায় ভারতও বেশ অবদান রাখছে। ''এক দশক আগে চীনের কর্মকাণ্ড বড় সমস্যা তৈরি করেছিল। আর এখন ভারত, যারা সম্প্রতি মহাকাশে আবর্জনা সৃষ্টি শুরু করেছে, তাদের জানা উচিত যে, তারা এমন কিছু করছে, যা সবাইকে প্রভাবিত করবে, '' বলছেন জনসন। ''অতীতের ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত এবং বোঝা উচিত যে, মহাকাশে আবর্জনা তৈরির কোন যুক্তিই থাকতে পারে না, যা মহাকাশ ব্যবহারে সবার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।'' মহাকাশের বর্জ্য সমস্যা সামলাতে কী করা হচ্ছে? পৃথিবীর কক্ষপথ ক্রমেই হাজার হাজার স্যাটেলাইটে ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে এবং আরো অনেক স্যাটেলাইট নিক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ফলে একটি স্যাটেলাইটের সঙ্গে আরেকটির সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পরীক্ষা নিয়েও কোন নিয়মকানুন নেই, যা মহাকাশের পরিবেশকে বিপজ্জনক করে তুলছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষা বা এএসএটি চালায়। বেশ কয়েকটি দেশ, এবং কয়েকটি প্রাইভেট কোম্পানি মহাকাশের আবর্জনা নিরসনের চেষ্টা করছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ২০২৫ সালে তাদের প্রথম মহাকাশ মিশন শুরু করবে যার লক্ষ্য হবে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে আবর্জনা দূর করা। তবে মহাকাশ থেকে আবর্জনা দূর করার বিষয়টি প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিকভাবে বড় একটি চ্যালেঞ্জ বলে বর্ণনা করেছে নাসা।
ভারতের মহাকাশ কর্মসূচীর সমালোচনা করে পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, মহাশূন্যের বর্জ্য তৈরির জন্য দেশটি একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
দ্রুতগতির গাড়ি চাপা পড়ে আহত হওয়ার পর অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছেন পুলিশ। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং রাজ্যে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালের দিকে কনফেডারেম পতাকা, বর্ম আর হেলমেট পড়ে একটি মিছিল বের করে চরম ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা। গৃহযুদ্ধের সময়কার জেনারেল রবার্ট ই লি-র একটি ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই মিছিলের আয়োজন করে ডানপন্থীরা। ১৮৬১-৬৫ সালের গৃহযুদ্ধে দাসত্ব প্রথার পক্ষে লড়াইকারী কনফেডারেট বাহিনী পরিচালনা করেন জেনারেল লি। আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের নিয়ে উত্তেজনা সাবমেরিন থেকে মহিলা সাংবাদিকের অন্তর্ধান রহস্য পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনগুলোও এ সময় আলাদা মিছিল বের করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। শহরে অনেক রাস্তায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, বিরোধী কর্মীদের একটি সমাবেশের উপর চলন্ত গাড়ি তুলে দেয়া হলে একজন নিহত আর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এসব সমাবেশের জন্য কোন অনুমতি নেয়া হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষই একে অপরের উপর বোতল, পাথর ছুড়ে মারে। এমনকি তারা পিপার স্প্রেও ব্যবহার করে। এর আগে শুক্রবার রাতেও মশাল মিছিল বের করেছিল শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা। দুই পক্ষের সহিংসতায় অনেকে আহত হয়েছে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী আর বর্ণবাদ বিরোধীদের মধ্যে একপর্যায়ে দাঙ্গা বেধে যায় যদিও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, কিন্তু এখনো অনেক স্থানে বিছিন্নভাবে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টুইটার বার্তায় বলেছেন, আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধভাবে সব ধরণের বিদ্বেষের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত। আমেরিকায় এ রকম সহিংসতার কোন জায়গা নেই। শার্লোটসভিল একটি উদারপন্থী শহর হিসাবেই পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে এই শহরের ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। তবে এখানকার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ জেনারেল লি-র ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর, শহরটি শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের লক্ষ্য হয়ে ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিল শহরে চরম ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী আর বর্ণবাদ বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সহিসংতার ঘটনায় অন্তত একজন নিহত হয়েছে।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
ঠাকুরগাঁওয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়া নীলগাই বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার মোহাম্মদ আফলাতুন নিজামি বিবিসিকে জানিয়েছে মঙ্গলবার বিকেলে তারা স্থানীয়দের হাত থেকে নীলগাইটি উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। "দ্রুত পশু চিকিৎসককে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং ১০/১২টির মতো সেলাই লেগেছে। আজ বেলা বারটার দিকে চিকিৎসকরা আবার আসেন এবং খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে গেছেন," বলছিলেন তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক সামছুজ্জোহা জানান, ঘটনাটি ঘটেছে জেলা সদর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নাগর নদী সংলগ্ন এলাকায়। "কর্মকর্তারা বলেছেন এটি কালো রংয়ের পুরুষ নীলগাই। স্থানীয়রা অনেকেই মারধর করেছে এবং বিজিবি উদ্ধারের সময় এটির গলা থেকে রক্ত ঝরছিলো। খুবই গুরুতর আহত অবস্থায় বিজিবি উদ্ধার করতে পেরেছে," বলছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পরিচিত যেসব পতঙ্গ আর প্রাণী বিষ ছড়ায়, এমন কি মৃত্যুও ঘটায় পঙ্গপাল কীভাবে ক্ষতি করে, একটি দেশের কী বিপদ ডেকে আনতে পারে? বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে গাভী যেভাবে জন্ম দেবে জমজ বাছুর ৪০ বছরে বন্যপ্রাণী কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ স্থানীয়দের আক্রমণে আহত নীলগাই স্থানীয় একজন জানান জমির ফসল নষ্ট করার ক্ষোভ থেকে অনেকে হামলা করেছে এবং এক পর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণীটি নদীতে ঝাপ দেয়। পরে সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। মুজিবুর রহমান নামে স্থানীয় আরেকজন অধিবাসী বলেন বিজিবির টহল পার্টি সেখানে যাওয়ার আগেই নীলগাইটি ধরে বেঁধে ফেলে অনেকে আক্রমণ করে বসে। বুধবার সকালেই ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তা শাহানশাহ আকন্দ বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে নীলগাইটির চিকিৎসা ও অন্য আনুষঙ্গিক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। "এটি খুব অসুস্থ। প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারাও এসেছেন। চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পেলেই এ প্রাণীটিকে সাফারি পার্ক বা যথাযথ কোনো জায়গায় পাঠানো হবে," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। নীলগাই এলো কোথা থেকে বন্যপ্রাণী ও জৈববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান খান বলছেন নীলগাই বাংলাদেশ থেকে অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। "এটি খুব বিরল প্রজাতির বিলুপ্ত একটি বন্যপ্রাণী। বাংলাদেশের বনে এই প্রাণী দেখা যায়না। তবে ভারতের বনে থাকতে পারে। ১৯৪০ সালের পরে নীলগাইয়ের অবস্থান বাংলাদেশে আর আমাদের রেকর্ডেড নেই," বলছিলেন মিস্টার খান। তাহলে এই নীলগাইটি এলো কোথা থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হয়তো সীমান্ত অতিক্রম করে এটি বাংলাদেশের সীমানায় এসেছে। বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার মোহাম্মদ আফলাতুন নিজামিও বলছেন যে স্থানীয়রা মনে করছেন এটি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বা হয়তো খাদ্যের জন্য এসেছে। কর্মকর্তারা বলছেন আরে এর আগেও ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নওগাঁর মান্দা উপজেলার এলাকায় একটি পুরুষ নীলগাই ধরা পড়েছিলো। সেটিকে তখন চিকিৎসা শেষে রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিলো। এর আগের বছরের সেপ্টেম্বরে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত এলাকায় নদীর কাছ থেকে আরেকটি নীলগাই আটক করেছিলো গ্রামবাসী। সেটিকেও পরে রামসাগরে এনে রাখা হয়েছিলো। এই এক জোড়া নীলগাইকে পরে শেখ কামাল ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারে রাখা হয়। ওই সেন্টারের পরিচালক মোঃ জাহিদুল কবির বিবিসি বাংলাকে বলেন এই এক জোড়া থেকে নতুন নীলগাইয়ের বংশ বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। "আমরা আশা করছি দ্রুতই সুখবরটি পাবো। তারা (নীলগাই জোড়া) আমাদের তত্ত্বাবধানে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে," বলছিলেন মিস্টার কবির। এবারেও উদ্ধার করা নীলগাইটিকে এই সেন্টারেই পাঠানো হবে বলে ধারণা করছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। নীলগাই আসলে কেমন প্রাণী বন্যপ্রাণী ও জৈববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান খান এটি আসলে গরু শ্রেণীর একটি প্রাণী তবে গরু নয়। তবে অনেক গবেষক এটিকে বড় হরিণ শ্রেণীর প্রাণী হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন। জীববিজ্ঞানে এটিকে 'অ্যান্টিলোপ' ধরণের প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চেহারায় ঘোড়ার সাথে কিছুটা সাদৃশ্য থাকা এ প্রাণীটির অস্তিত্ব ভারতের অনেক এলাকায় থাকলেও বাংলাদেশে তা বিলুপ্ত। এছাড়া পাকিস্তান ও নেপালেও এর দেখা মেলে। কর্মকর্তারা বলছেন ,সাধারণত ঝোপ জঙ্গলে দলবেঁধেই ঘুরতে ভালোবাসে নীলগাই, যার সামনের পা পেছনের পা থেকে একটু লম্বা হয়। বন কর্মকর্তারা বলছেন এক সময় উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাট এলাকায় নীলগাইয়ের বিচরণের ইতিহাস পাওয়া গেলেও ১৯৪০ এর পর থেকে বাংলাদেশের ভূ এলাকায় প্রাণীটি খুব একটা দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্ত এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় একটি নীলগাই উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি সদস্যরা।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
মো. রায়হান কবির শনিবার মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ফেরার পর বিবিসি বাংলাকে রায়হান কবির জানান, পুলিশের হাতে আটক থাকার সময় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দফায় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি বলেন, "জিজ্ঞাসাবাদের সময় কৌশলে আমার ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছে যেন আমি আমার বিবৃতি পরিবর্তন করি। কিন্তু আমি আমার বক্তব্য পরিবর্তন করিনি।" মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে সাক্ষাৎকার দেয়ার অপরাধে ২৪শে জুলাই রায়হান কবিরকে আটক করে মালয়েশিয়ার পুলিশ। তিন সপ্তাহের বেশি সময় পুলিশের হেফাজতে থাকার পর শনিবার (২২শে অগাস্ট) রায়হান কবিরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। রায়হান কবিরকে যখন গ্রেফতার করা হলো। পুলিশ হেফাজতে যেমন ছিলেন রায়হান কবির পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন সময় প্রথম ১৪ দিন একাধিক সংস্থার সদস্যরা রায়হান কবিরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করতো বলে জানান তিনি। "আমার কোনো ধরণের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, আল জাজিরার সাথে আমার যোগাযোগ কীভাবে হল, সরকারের সমালোচনা করার জন্য আমাকে টাকা দেয়া হয়েছে কিনা, আমার পেছনে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার ইন্ধন আছে কিনা - এই ধরণের প্রশ্ন করা হতো আমাকে।" "আমার মনে হয়েছে, তারা চাচ্ছিল আমি যেন বিবৃতি দেই যে কারো মাধ্যম হয়ে আমি সাক্ষাৎকার দিয়েছি।" তবে রায়হান কবির বলেন যে তিনি তার নিজের বক্তব্য কখনোই পরিবর্তন করেননি। "আমি সেখানকার শ্রমিকদের দূর্ভোগ নিয়ে নিজে থেকেই কথা বলেছি আল জাজিরার সাথে। আমি তাদের বারবার বলেছি যে আমি মালয়েশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলিনি। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে অনিয়মগুলো সম্পর্কে বলেছি।" পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় তার সাথে দুর্ব্যবহার করা না হলেও তাকে একটি অন্ধকার কক্ষে একা আটকে রাখা হতো বলে জানান রায়হান কবির। আটক থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা কয়েকবার তার সাথে দেখা করেন বলেও জানান তিনি। পুলিশের হেফাজতে রায়হান কবির। আরো পড়তে পারেন: রায়হান কবির: 'একজন শ্রমিকের জন্য শ্রমবাজার ঝুঁকিতে ফেলবে না সরকার' 'স্পষ্টভাষী' রায়হান কবিরকে মুক্তি দেয়ার আহবান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মালয়েশিয়ায় খাদ্য সঙ্কটে বাংলাদেশি শ্রমিকরা আল জাজিরা গত ৩রা জুলাই 'লকড আপ ইন মালয়েশিয়াস লকডাউন' নামে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে। প্রায় ২৬ মিনিটের ঐ ডকুমেন্টারিতে মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া অবৈধ শ্রমিকদের বেহাল দশার কথা তুলে ধরা হয়। রায়হান কবির ঐ তথ্যচিত্রে এ সম্পর্কে কুয়ালালামপুর কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছিলেন। ঐ ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, মহামারির মধ্যে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ দু'হাজারেরও বেশি অনিবন্ধিত শ্রমিককে আটক করেছে এবং কঠোর ভাইরাস লকডাউনের মধ্যে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ঐ ভিডিওটি প্রচারের পর থেকেই মালয় সোশাল মিডিয়াতে মি. কবিরের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। এর জেরে কর্তৃপক্ষ তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে, এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। শনিবার রাতে বাংলাদেশে ফেরার পর সাদা পোশাকে থাকা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তার বিবৃতি নেন বলে জানান রায়হান কবির। তবে সে সময় তাকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার বিষয়ে কোনো ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। মালয়েশিয়ায় রায়হান কবিরের গ্রেফতারের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। রায়হানকে আটকের কিছুদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল।
মালয়েশিয়ায় পুলিশের কাছে আটক থাকাকালীন জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাংলাদেশি নাগরিক রায়হান কবিরকে 'মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ' করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি বলছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিশেষ ধরণের জিনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মান এর কারণে মানুষের মধ্যে মৃদু বা মাঝারি স্তরের বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা, বেড়ে ওঠায় বিলম্ব বা অন্য কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। বাংলাদেশে এই বিশেষ ধরণের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য আলাদাভাবে কোনো ধরণের সহায়তার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে ডাউন সিনড্রোমে ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের সহায়তা দেবার উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরদার রাজ্জাক বিবিসিকে জানান, এর শুরুটা হয় ২০১০ সালে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের নিয়ে তৈরী করা একটি সংগঠনের (প্যারেন্টস সাপোর্ট গ্রুপ) মাধ্যমে। মি. রাজ্জাক বলেন, "২০১০'এ প্যারেন্টস সাপোর্ট গ্রুপের মাধ্যমে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। শুরু করার পর আস্তে আস্তে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিভাবকেরা আমাদের জানাতে শুরু করে তাদের সন্তানদের ডাউন সিনড্রোমের কাহিনী।" মি. রাজ্জাক জানান, ২০১৪ সালের ২১শে মার্চ বাংলাদেশ ডাউন সিনড্রোম সোসাইটির উদ্যোগে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালন করা হয়। তবে তা সরকারি স্বীকৃতি পায় ২০১৭ সালে এসে। সেবছরই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও গবেষণার সাথে যুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ডাউন সিনড্রোমের লক্ষণ কী? বাংলাদেশে ডাউন সিনড্রোমের জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বলে জানান মনোরোগবিদ মেখলা সরকার । সেরেব্রাল পালসি বা মস্তিষ্কে পক্ষাঘাতজনিত সমস্যা, ইন্টেলেকচুয়াল ডিজঅর্ডার বা বুদ্ধিগত সমস্যা এবং ডাউন সিনড্রোমকে একই ধারায় বিচার করা হয় বলে জানান মিজ. সরকার। ডাউন সিনড্রোমের বাহ্যিক লক্ষণগুলো হলো: ডাউন সিনড্রোম আর অটিজম কি এক? মিজ. সরকার জানান বাংলাদেশে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা খুব বেশী নেই বলেই তাদের অন্যান্য মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সাথে একই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার প্রবণতা বেশী। কিন্তু ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত মানেই যে অটিজমের শিকার, তেমনটিও সবসময় সত্যি নয়। অটিজম প্রকৃতপক্ষে স্নায়ুতন্ত্র সংক্রান্ত একটি সমস্যা এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণত বাহ্যিক শারীরিক কোন বৈশিষ্ট্য দেখা যায় না। বাংলাদেশে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্যান্য মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবেই বিবেচনা করা হয় বলে জানান সরদার রাজ্জাক। তবে মি. রাজ্জাক জানান, "ডাউন সিনড্রোমে আক্রন্তদের মস্তিষ্কে কোনো সমস্যা থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রথাগত ধারা অনুযায়ী সব ধরণের মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকা মানুষকে একই কাতারে যাচাই করা হয়।" বিশ্বে প্রতি এক হাজার জন্ম নেয়া শিশুর মধ্যে একজনের ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের সমাজে ডাউন সিনড্রোমকে কীভাবে দেখা হয়? মি. রাজ্জাকের মতে ডাউন সিনড্রোমে ভুগতে থাকা ব্যক্তিরা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। তাদের পরিবারের মানুষজনের সমর্থন ও সহায়তা পেলে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সহজেই সমাজের নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করতে পারেন। "ডাউন সিনড্রোমে ভুগতে থাকা শিশুরা গতানুগতিক স্কুলে গেলেও অনেকসময় সহ-শিক্ষার্থীদের বা তাদের বাবা-মা'র বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হন। সহ-শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভুল ধারণার জন্যই এমনটা ঘটে থাকে।" তবে শহরাঞ্চলে ধীরে ধীরে ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী হলেও, শহরের বাইরে এখনও এবিষয়ে প্রচুর সচেতনতা তৈরী প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মি. রাজ্জাক। মি. রাজ্জাক জানান, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটির অধীনে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তার উদ্দেশ্যে অভিভাবকদের সংগঠনের পাশাপাশি আক্রান্তদের ভাই-বোনদের নিয়েও বিশেষ সাপোর্ট গ্রুপ তৈরী করা হয়েছে। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেন তাদের সহোদরদের কাছ থেকে মানসিক সহায়তা ও সাহস পায় তা নিশ্চিত করতেই এই প্রচেষ্টা। ডাউন সিনড্রোম সোসাইটিকে এ বিষয়ে গবেষণায় সহায়তা করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল এবং কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আমেরিকা তুরস্কের পিঠে ছুরি মেরেছে, বললেন এরদোয়ান কোটা বাতিল চায় কমিটি, দোটানা মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ১৭ দিন পর মৃত শাবককে বিদায় জানালো তিমি
ডাউন সিনড্রোম একটি বিশেষ ধরণের জেনেটিক বা জিনগত অবস্থা। ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্ম নেয়া মানুষের ক্রোমোজোমের গঠন সাধারণ মানুষের ক্রোমোজমের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার ট্রাক্টর বিশ্বের সব থেকে বড় ট্রাক্টর প্রস্তুতকারক কোম্পানি 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা'। কয়েকশো কোটি ডলার সম্পত্তির অধিকারী এই কোম্পানি। এদের তৈরি ট্রাক্টর ভারতের কৃষকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু জানেন কি এই কোম্পানির নাম এক সময়ে ছিল 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ'? আর সেখান থেকে দেশভাগ, ভারত - পাকিস্তানের স্বাধীনতা - এসব কারণে তা আজ হয়ে উঠেছে 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা'। কোম্পানিটি চালু হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানাতে কে.সি মাহিন্দ্রা, জে.সি মাহিন্দ্রা আর মালিক গুলাম মুহাম্মদ ইস্পাত কারখানা হিসেবে এই কোম্পানির পত্তন করেন। 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা'র চেয়ারম্যান কেশব মাহিন্দ্রা বিবিসিকে বলছিলেন, "কে.সি মাহিন্দ্রা আর জে.সি মাহিন্দ্রা মি: গুলাম মুহাম্মদকে কোম্পানির অংশীদার বানিয়েছিলেন, কারণ তারা হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের একটা বার্তা পৌঁছে দেবে সবার কাছে। সংস্থায় মি: মুহাম্মদের অংশীদারিত্ব কমই ছিল, কিন্তু তা স্বত্ত্বেও তাঁর নামটা কোম্পানিতে ব্যবহার করা হয়েছিল।" দেশভাগের একদম ঠিক আগে যখন পাকিস্তানের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে, তখনও গুলাম মুহাম্মদ আর মাহিন্দ্রা পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। ব্যবসাও ভালোই চলছে তখন। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদের লোগো ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরে মালিক গুলাম মুহাম্মদ পাকিস্তানে চলে গেলেন। তিনি সেদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন। দেশ যখন ভাগ হল, তখন ব্যবসাও ভাগ হয়ে গেল। ১৯৪৮ সালে 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ' নাম পাল্টে করা হলো 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা'। গুলাম মুহাম্মদ নিজের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন। তবে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক দেশভাগের পরেও অটুট ছিল। শুধু ব্যবসাই আলাদা হয়ে গিয়েছিল। কেশব মাহিন্দ্রার কথায়, "মালিক গুলাম মুহাম্মদ যখন পাকিস্তানে চলে গেলেন, তখন আমাদের পরিবারের সবাই খুব অবাক হয়েছিলাম। এটাও খারাপ লেগেছিল যে উনি আগে থেকে আমাদের পরিবারকে কিছু জানাননি যে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।" ১৯৫১ সালে মালিক গুলাম মুহাম্মদ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হয়েছিলেন। ব্যবসা আলাদা হয়ে গেলেও মাহিন্দ্রা পরিবারের সঙ্গে পুরনো সম্পর্কটা তিনি ভোলেননি। ১৯৫৫ সালে দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রথম সামরিক প্যারেডে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন। "গুলাম মুহাম্মদ দিল্লিতে এসে প্রথম ফোনটা করেছিলেন আমার ঠাকুমাকে। দুই পরিবারের বন্ধুত্বটা আগের মতোই রয়ে গেছে," বলছিলেন কেশব মাহিন্দ্রা। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংকট নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি কেশব মাহিন্দ্রা
ভারতের গাড়ি কোম্পানিগুলির মধ্যে এক অতি পরিচিত নাম 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা'।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর এক বৈঠক ডেকেছিলেন সোনিয়া গান্ধী মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি বা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ওই বৈঠকে যোগ না-দেওয়ার পর যথারীতি প্রশ্ন উঠছে, বিরোধীরা কি আদৌ ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলন এগিয়ে নিতে পারবেন? পর্যবেক্ষকরা অবশ্য অনেকেই বলছেন, ভারতে নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদে আগাগোড়াই নেতৃত্ব দিচ্ছে নাগরিক সমাজ - রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা সেখানে বেশ গৌণ। গত প্রায় এক মাস ধরে ভারতে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে যে তুমুল বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে, তাতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ভূমিকা একেবারেই নিষ্প্রভ ছিল - এই অভিযোগ বারে বারেই উঠছে। এই আন্দোলনকে বিজেপি সরকার যেমন কড়া হাতে দমন করতে চাইছে, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী কিছুদিন আগে অবশ্য তার নিন্দা করেছিলেন - তাও সেটা রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায়। আর যখন তিনি যৌথ অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করার লক্ষ্যে দিল্লিতে সব বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানালেন, দেখা গেল মমতা ব্যানার্জি-মায়াবতী-কেজরিওয়ালের মতো অনেকেই সেখানে অনুপস্থিত। অথচ এই মায়াবতীই কিছুদিন আগে নাগরিকত্ব আইনকে 'বিভেদ সৃষ্টিকারী ও অসাংবিধানিক' বলে বর্ণনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, "বিজেপি জেদ ধরে থাকলে তাদের পরিণতি হবে জরুরি অবস্থার পরের কংগ্রেসের মতো।" আরো পড়তে পারেন: কেন এত আতঙ্কিত উত্তর প্রদেশের মুসলিমরা মমতা ব্যানার্জি ওদিকে মমতা ব্যানার্জিও পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি ও সিএএ-বিরোধী লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন কথাও বলেছেন, "আমাদের আন্দোলনের ফলে সরকার অবশ্যই চাপের মুখে পড়েছে - এবং তারা সম্পূর্ণ নতি স্বীকার না-করা পর্যন্ত এই আন্দোলন জারি থাকবে।" লোকসভায় রাজীব গান্ধী চারশোরও বেশি এমপি নিয়েও যা পারেননি, শ'তিনেক এমপি নিয়ে বিজেপি কীভাবে এই চাপ সামলাবে সে প্রশ্নও তুলেছেন মিস ব্যানার্জি। কিন্তু যখন বিরোধী ঐক্যের প্রশ্ন এল, তখন দেখা যাচ্ছে এই নেতা-নেত্রীরা সবাই লড়ছেন নিজের নিজের জায়গা থেকে - কোনও যৌথ প্ল্যাটফর্ম থেকে নয়। দিল্লির বৈঠকে যোগ দেওয়া বামপন্থীরা তো সরাসরি মমতা ব্যানার্জিকে বিজেপির বি-টিম বলেও আক্রমণ করছেন। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, "দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে বৈঠক তিনিই বয়কট করবেন, যিনি বিজেপির বিরোধিতায় আসলে বিশ্বাস করেন না।" "পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের ডাকা ধর্মঘট কেন সফল হয়েছে, এই দু:খে কেউ যদি বলেন আমি বিরোধীদের বৈঠকে দিল্লি যাব না - তাহলে সেটাকে ছেলেমানুষি বলবেন না সেয়ানাগিরি বলবেন আপনারাই ঠিক করুন!", বলেছেন তিনি। রবিবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর মমতা ব্যানার্জিকে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে 'মোদীর দালাল' বলে গালিগালাজও শুনতে হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের মধ্যে এই ধরনের তিক্ত বিভক্তি আন্দোলনে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে? অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সোমা চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "দেশের মানুষ যেভাবে সংবিধানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে সেই নাগরিক আন্দোলনের দৃষ্টিতে এটা অবশ্যই পরিতৃপ্তির - কিন্তু এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা আগাগোড়াই ছিল হতাশাব্যঞ্জক।" "পার্লামেন্টেও তারা এর বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। বস্তুত বিরোধী দলগুলি সিএএ নিয়ে খুবই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে - এমন কী তাদের ভোটও ছিল বিভক্ত।" "এনআরসি বিরোধিতার প্রশ্নে এখন মোটামুটি একটা ঐকমত্য হলেও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাদের অনেকের মধ্যেই এখনও বিভ্রান্তি বা সংশয় আছে," বলেন সোমা চৌধুরী। মিস চৌধুরীর মতে, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা তারা করছে না - শুধু মুসলিমদের এর বাইরে রাখার বিরোধিতা করছেন - বিরোধীরা যতক্ষণ না এই ন্যারেটিভ সফলভাবে পেশ করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস পাবে, ততক্ষণ এই আন্দোলনে 'সঠিক রাজনৈতিক মোমেন্টাম' যোগ হওয়া খুব মুশকিল। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: পাকিস্তান টেস্টে বাধা কি নিরাপত্তা নাকি রাজনীতি? যে কারণে ইরান-আমেরিকা সংকটের সমাধান নেই বয়াতি-বাউলরা কি এখন নির্ভয়ে গান করতে পারবেন? বরফে এসওএস লিখে কী করে উদ্ধার হলেন টাইসন
ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন এবং দেশ জুড়ে নাগরিকপঞ্জী তৈরির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দিল্লিতে আজ যে বৈঠক ডেকেছিল, অনেক বিরোধী দলই তা বয়কট করেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
ঈদে মোটরসাইকেলে যাতায়াতের প্রবণতা বাড়ছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির তোফায়েল আহমেদ এবারের ঈদ মৌসুমে তার ৩৭ বছর বয়সী ছেলেকে হারিয়েছেন। তিনি বলছিলেন, মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আরেকটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষের ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন তার ছেলে। হাসপাতালে নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে কি শুনেছেন বর্ণনা দিয়ে এই ঘটনার কথা জানাচ্ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। ছেলের দুই সন্তানসহ তার পরিবারের দায়িত্বও এখন এই বৃদ্ধের কাঁধে। তিনি বলছিলেন, এই দুর্ঘটনায় তার পরিবারের উপর দুর্যোগ নেমে এসেছে। "আমি নিজে দেখিনি কিন্তু অন্যদের কাছে শুনেছি একটা মোটরসাইকেলের এসে লাগিয়ে দিয়েছিলো," তিনি বলছিলেন, "এখন তার একটা ছেলের ১১ মাস বয়স আরেকটা দুই বছর, আমার কাছেই থাকে। কী গজব যে আমাদের ওপর পড়েছে তা যদি দেখতেন তাহলে বুঝতেন।" পরিবার পরিজন আর কাপড়ের ব্যাগ সহ যাতায়াতে ঝুঁকি বেশি। ছেলেকে সবসময় সাবধানে মোটরসাইকেল চালাতে বলতেন। এখন আশপাশে কোন মোটরসাইকেল চালককে পেলেই সাবধান করে দেন। কিন্তু ঈদ মৌসুমে অসাবধানতা যেন একটু বেশিই দেখা গেছে এবার। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে সারা দেশে এ বছর ঈদ মৌসুমে মোট ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ৭৬টিই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। গত বছর এই সংখ্যা ছিল অর্ধেকের মতো। এবার মোট নিহতের মধ্যে ৩০ শতাংশ শুধু মোটরসাইকেল আরোহী। আরো পড়ুন: যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো কী করছে? শাহানাজ আক্তার ও তার স্কুটি চুরি নিয়ে যত ঘটনা ঢাকায় মোটর সাইকেল কেন জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠলো? যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলছেন, ঈদের মৌসুমে গণপরিবহনে বাড়ি ফেরার জন্য টিকেট সংগ্রহ সহ যেসব ঝক্কি যাত্রীদের পোহাতে হয় তা এড়াতে অনেকেই মোটরসাইকেল বেছে নিচ্ছেন। তিনি বলছেন, "আজকের এই ডিজিটাল যুগেও ধরেন ট্রেনের টিকেট কিনতে স্টেশনে যেতে হয়, টিকেটের জন্য লাইনে দুইদিন দাড়িয়ে থাকতে হয়। যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য আবার ওখানে যেতে হয়। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, ওভারলোড, এইসব বিষয় এড়ানোর জন্য অনেকে মোটরসাইকেল বলে মনে করেন।" অ্যাপে না যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে চালকদের মধ্যে। তিনি আরও বলেন, "সাধারণ সময়ে হয়ত একজন থাকে। তার পেছনে আরেকজন থাকে। কিন্তু ঈদের সময় যেটা হয় স্ত্রী, বাচ্চা এবং নিজে থাকার পরে পেছনে একটা কাপড়ের ব্যাগ থাকে। যেটা ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে।" ঈদের সময় বাড়ি যাওয়ার জন্য সংখ্যায় যথেষ্ট মানসম্মত গণপরিবহনের অভাবের কারণে ভিন্ন পন্থায় যাওয়া ছাড়াও মোটরসাইকেল দ্রুতগামী হওয়ার কারণে বাংলাদেশে বাহনটি এমনিতেই অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসেবে, মোটরসাইকেলের নিবন্ধন আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। ২০১৭ সালে সারাদেশে তিন লাখ ২৫ হাজারের মতো নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে। পরের বছর এর সংখ্যা ছিল ৭০ হাজারের বেশি। যানবাহন ব্যবস্থাপনা ও সড়ক দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক বলছেন, এর একটি অন্যতম কারণ হল যানজট ও রাইড শেয়ারিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে এখন এমনকি দূরপাল্লার যাতায়াতেও এর প্রভাব পড়ছে। তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলছিলেন, "রাইড শেয়ার জনপ্রিয় হওয়ার ফলে দেখা যাচ্ছে যে যার কোন ধরনের দক্ষতা নেই সেও কিন্তু রাতারাতি মোটরসাইকেলের ড্রাইভার হয়ে যাচ্ছে। আনাড়ি, বয়সে তরুণরা ঈদের মৌসুমে অপরিচিত রাস্তায় যখন চালাতে আসে তখন ঝুঁকি তৈরি হয়।" তিনি আরও বলছেন, অনেকেই অ্যাপে না চালিয়ে কিন্তু আবার একটি অ্যাপের চালক পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছেন। মোটরসাইকেলের নিবন্ধন আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। অধ্যাপক হক বলছেন, "অ্যাপে চালালে তার উপর একটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু সেটা সে যখন করে না আর যাত্রী তার রাইড শেয়ারের আউটফিটটা দেখে তখন নেগোশিয়েটেড প্রাইসে যায়, তখনই প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়।" এছাড়া মোটরসাইকেল বাড়ির দরজা থেকে তুলে নিয়ে তার গন্তব্যের দরজায় পৌঁছে দেয়। অন্য বাহনে সেটি হয়না। সে কারণেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অধ্যাপক শামসুল হক আরও বলছিলেন, উৎসবের সাথে তরুণ প্রজন্মের হৈ হুল্লোড় আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সাথে একটি সম্পর্কে পাওয়া গেছে বিশ্বব্যাপী। একই সাথে এবার ঈদের মৌসুমে বৃষ্টির কথা উল্লেখ করছিলেন বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। কিন্তু এমন ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা ঠেকাতে কি করা হচ্ছে? মি. ইসলাম বলছেন, তারা চালকদের শুভবুদ্ধির উপর নির্ভর করার আহবান জানাচ্ছেন। তিনি বলছেন, "হাইওয়েতে চলাচলে মোটরসাইকেলের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। মোটরসাইকেল যখন রেজিস্টেশন দেয়া হয় তখন কোন নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে দেয়া হয়না। ট্রাকের মতো তারা সমগ্র বাংলাদেশে চলাচল করে।" তবে তিনি বলছেন, "ধরুন আমি ২০০ বা ২৫০ কিলোমিটার দুরে যাবো একটা মোটরসাইকেলের উপরে নির্ভর করে, এই যাওয়াটা সঠিক হবে কিনা তাও আবার ঈদের মতো বড় মাইগ্রেশনের সময় এটা খুব যৌক্তিক না এবং এটা খুব শুভ বুদ্ধির বিষয় না।" তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবারের উচিৎ সন্তানদের নিরুৎসাহিত করা। অন্যদিকে বাংলাদেশে এখন স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সেটিকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অধ্যাপক শামসুল হক। আর যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ঈদ মৌসুমে মহাসড়কে মোটরসাইকেল যাত্রা নিষিদ্ধ করার আহবান জানানো হচ্ছে। বিবিসিতে অন্যান্য খবর: হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? ভাগ্নে অপহৃত, ফেসবুকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আল্টিমেটাম বিয়ের রাতে এক নারীর দুর্বিষহ যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি করা এক জরিপের পর যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, গত বছর ঈদে মোট দুর্ঘটনার সাড়ে ১৫% ছিল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কিন্তু এবার তা ৩৩% হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
বাংলাদেশে কাগজে কলমে কোন স্বর্ণ আমদানি হয়না। বাংলাদেশে স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলারদের মাধ্যমেই শুধুমাত্র স্বর্ণ আমদানি করার নিয়ম করতে যাচ্ছে সরকার। সে সম্পর্কে বিধান রেখে একটি স্বর্ণ নীতিমালায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। তবে এখনো মন্ত্রীসভা থেকে এই নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু বলছিলেন, "আমরা যেটা করেছি কোন অথরাইজড ডিলার যেকোনও ব্যাংক, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে ব্যাংক নিয়োগ দেবে এবং তাদের মাধ্যমে স্বর্ণ বার আমদানি হবে। অর্থাৎ যিনি স্বর্ণ ব্যবসা করেন তিনি স্বর্ণ বার কেনার জন্য তাদের কাছে অর্ডার প্লেস করবেন। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে স্বর্ণ বার আমদানি করে দেবেন। এর ফলে যেটি হবে কতটুকু স্বর্ণ বিদেশ থেকে আমদানি করা হল বা কাদের কাছে বিক্রি করা হল তার একটা হিসেব থাকবে" তবে স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে কি পরিমাণে শুল্ক ধরা হচ্ছে সেটি পরিষ্কার নয়। বাংলাদেশে বহু বছর ধরে কোনও স্বর্ণ আমদানি হয়না। শুল্কের পরিমাণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রয়েছে। বাংলাদেশে জুয়েলারি সমিতির সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার বলছেন, সরকার শুল্ক কত ধার্য করবে তার উপরেই নির্ভর করবে আমদানি করা স্বর্ণ বাজারে চলবে কিনা। তিনি বলছেন, "যেমন একটা মার্কেটে দুইটা গোল্ডের দাম থাকতে পারেনা। কারণটা হল এখানে একটা পাকা সোনার হোলসেল মার্কেট আছে। রিসাইকেল করা পুরানো আছে। কাস্টমারের কাছ থেকে ধরুন দশ বছরের বা পঞ্চাশ বছরের পুরনো সোনা দোকানে আসতেছে নতুন ডিজাইন হচ্ছে। সেই সোনার থেকে যদি আমদানি করা সোনার দামে বেশি হয় তাহলে তো সেই সোনা কেউ কিনবে না" আরো পড়ুন: ভেস্তে গেল ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক মালয়েশিয়ার বিমান ধ্বংস রুশ মিসাইলে: তদন্ত দল ফেসবুক কেন ব্যবহারকারীদের নগ্ন ছবি চাইছে? তবে বাংলাদেশের বাজারে রয়ে যাওয়া পুরনো স্বর্ণ আর বিদেশ থেকে হ্যান্ড লাগেজে আনা জনপ্রতি অনুমোদিত মোটে একশ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে যে বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদা পূরণ হয়না সেটি বোঝা যায়। বহু দিন ধরে অভিযোগ রয়েছে চোরাচালান হয়ে আসা স্বর্ণের দিয়েই বাংলাদেশে স্বর্ণকারদের ব্যবসা পরিচালিত হয়। চার বছরে বিমানবন্দরে দেড় হাজার কেজির বেশি পরিমাণে স্বর্ণ আটক হয়েছে। স্বর্ণ অবৈধ পথে আসে বলে সরকার তার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক সায়মা হক বিদিশা বলছেন, আমদানির নিয়ম কানুন কতটা জটিল তার উপর নির্ভর করবে ব্যবসায়ীরা সঠিক পথে আমদানি করবেন কিনা। তিনি বলছেন, "এই নিতিমালার ফলে অন্ততপক্ষে কিছুটা হলেও নিয়মতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থায় এই খাত পরিচালিত হবে। এক দিক থেকে সরকার যে একেবারেই শুল্ক পাচ্ছিলো না সেটা কিছুটা মোকাবেলা হবে। কিন্তু সরকার যদি তা থেকে সুবিধা নিতে চায় তাহলে এর সাথে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে শুল্কের পরিমাণ বা রেগুলেটরি নিয়মকানুন যেন এমন না হয় যাতে ব্যবসায়ীরা সঠিক পথে আমদানি না করে অন্য পথে কিছু করলো। সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়" বাংলাদেশে অনেকদিন ধরে কাগজে কলমে কোন স্বর্ণ আমদানি হয়না। কিন্তু বাংলাদেশে হাজার হাজার স্বর্ণালংকারের দোকানে ব্যবসা ঠিকই চলছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল গত বছরের শেষের দিকে একটি গবেষণায় বলেছিল বাংলাদেশে বছরে ৪০ মেট্রিক টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে, যার প্রায় ৩৬ মেট্রিক টনই আমদানি করতে হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছরে বিমানবন্দরে দেড় হাজার কেজির বেশি পরিমাণে স্বর্ণ আটক হয়েছে। আমদানি না হলেও হাজার হাজার স্বর্ণের দোকান ঠিকই চলছে। যা থেকে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। এই নীতিমালার খসড়া তৈরিতে সহায়তা করেছে টিআইবি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই নিতিমালা পাশ হলে স্বর্ণ চোরাচালান কতটা বন্ধ হবে? তিনি বলছেন, "স্মাগলিং কতটা হবে সেটা এই নিতির উপর নির্ভর করবে না কারণ তার আর একটা আঙ্গিক আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের যে প্রচলিত আইন আছে তার প্রয়োগ, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সমন্বয় দরকার। কিন্তু কর্তৃপক্ষের মধ্যেও এক অংশের যোগসাজশ ছাড়া স্মাগলিং হয়না। এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনত হবে"ৎ এই সব কিছু মিলিয়ে সব সংস্থা একসাথে কাজ করলেই শুধুমাত্র চোরাচালান বন্ধ করা যাবে বলছিলেন তিনি। বিশ্বের সবচাইতে বেশি স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ হল বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেখানে স্বর্ণ চোরাচালানের গুরুত্বপূর্ণ রুট বলা হয় বাংলাদেশকে। নতুন নীতিতে অনুমোদিত ডিলারদের মাধ্যমে সোনা আমদানি হলে সেটি বন্ধ হবে কিনা সেনিয়েও প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
বাংলাদেশে স্বর্ণ ব্যবসার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে এতদিন কোনও নীতিমালা ছিল না। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে স্বর্ণ নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
৩৭ বছর বয়সী মেয়র পিট বুটএজ্যাজ। আর কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি পরিচিত হয়ে উঠবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়েসী ও প্রকাশ্যে প্রথম সমকামী প্রার্থী হিসেবে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যানচেস্টারে তাকে দেখতে আসা একদল জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহ সত্যিই দারুণ কেটেছে।" "আমাদের বার্তা যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে আমি সত্যিই উজ্জীবিত"। একটি অবিশ্বাস্য উত্থান এক মাস আগেই রাজনৈতিক অঙ্গন এমনকি ডেমোক্র্যাট পার্টির ভেতরে খুব একটা আলোচনায় ছিলেননা ইনডিয়ানার সাউথ বেন্ড শহরের ৩৭ বছর বয়সী মেয়র পিট বুট এজ এজ। কিন্তু একটি টেলিভিশন ভাষণের পর সাধারণ মানুষ এমনকি বিশ্লেষকদের, বিশেষত যারা তরুণ মুখ খুঁজছিলেন, দৃষ্টিও পড়েছে তার ওপরই। নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের অ্যান্ড্রু সালিভানের মতে, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যথার্থ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন মেয়র পিট। তিনি বলেন, "ট্রাম্পের বয়স, টেম্পারমেন্টের, সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে স্টাইল, জেনারেশন, ব্যাকগ্রাউন্ড-সব মিলিয়ে বুট এজ এজ একেবারেই যথার্থ।" পিটের টেলিভিশন ভাষণের প্রশংসা এসেছে ওবামা প্রচারণা দলের কিংবদন্তী ডেভিড এক্সেলরডের কাছ থেকেও। মেয়র পিট ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্রমাগত এগুচ্ছেন এমনকি আইওয়াতে এক জরিপে তিনি উঠে এসেছেন তৃতীয় স্থানে। তার ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা উঠে এসেছে নিউইয়র্ক টাইমসের নন ফিকশন বেস্ট সেলার তালিকায়। নাম দিয়েই শ্লোগান। মেয়র পিট সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে: •নামের উচ্চারণ -বুট এজ এজ (BOOT-edge-EDGE) •ফরাসী, স্প্যানিশ, আরবি, মাল্টিজ, ইটালিয়ানসহ সাতটি ভাষা জানেন •বাবা-মা দু'জনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, এবং বাবা এসেছিলেন মাল্টা থেকে •২০১২ সাল থেকে সাউথ বেন্ড শহরের মেয়র •নৌ বাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন •৩৩ বছর বয়সে সমকামী হিসেবে প্রকাশ করেন ও ২০১৮ সালে বিয়ে করেন একজন অপ্রচলিত ধরণের প্রার্থী ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে তিনি প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার তহবিল তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তহবিল তোলার দিক থেকে তার অবস্থান বার্নি স্যান্ডারস, কামালা হ্যারিস ও বেটো ও'রোকের পরই। মেয়র পিটের সভাগুলোতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। যে কারণে ম্যানচেস্টারেই শেষ পর্যন্ত সভাস্থল পরিবর্তন করতে হয়েছে। পিট বলছেন, "প্রতিবারই আমরা সাক্ষাত ও শুভেচ্ছার জন্য জমায়েত হই কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়ে যায় একটি সমাবেশ।" সম্ভবত আগামী রোববার তিনি স্বতঃস্ফূর্ত এক সমাবেশে তার প্রার্থিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। একজন সিটি মেয়রের অফিস থেকে সাধারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়না। ইতিহাসে মাত্র দু'জন এমন মেয়রের হোয়াইট হাউজে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। আবার কোনো দায়িত্ব পালনরত মেয়রের এমন উদাহরণও নেই। এতদিন মনে করা হতো একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হতে হলে ব্যাপক অর্থ, প্রচার আর সমৃদ্ধ রাজনৈতিক ইতিহাস থাকতে হবে। যদিও তার কিছুটা পরিবর্তনও হয়েছে। মেয়র পিট নটরডেম ইউনিভার্সিটির শহর সাউথ বেন্ডের মেয়র হন ২০১১ সালে ও পরে পুননির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। তিনি বড় হয়েছেন এই শহরেই। বাবা-মা দুজনেই নটরডেমের প্রফেসর। সত্তরের দশকে মালটা থেকে আসা বাবা প্রয়াত হয়েছেন আগেই। সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট কেলভিন কুলিজ ও গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড- যারা দুজনই আগে মেয়র ছিলেন। ঐতিহাসিক প্রার্থিতা ২০১৫ সালের পুননির্বাচনের আগেই পত্রিকায় কলাম লিখে মেয়র পিট জানিয়েছিলেন যে তিনি একজন সমকামী। যদিও এমন ঘোষণা দেয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিলোনা, বলছিলেন মেয়র পিট। এখন তার আইডিয়া ও প্রস্তাবনাগুলোকে অনেকেই বিবেচনা করছেন নতুন প্রজন্মের হিসেবে, যা উজ্জীবিত করছে অনেককেই।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই তারকায় পরিণত হয়েছেন স্বল্প পরিচিত এক তরুণ মেয়র, যিনি একজন সমকামী।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বাংলাদেশে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে বাংলাদেশে পেঁয়াজের হঠাৎ করে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে আমদানির চেয়ে বিক্রিতে পেঁয়াজের মূল্য বেশি রাখায় রবিবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেশ কয়েকটি পেঁয়াজ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ কারণে সোমবার খাতুনগঞ্জের সব পেঁয়াজের আড়ত বন্ধ করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আরো পড়ুন: পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? পেঁয়াজের দাম কী কারণে দু’শ টাকা ছাড়াল বাংলাদেশ চাহিদামতো পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারছে না কেন পেঁয়াজ বাজারে আগুন: দায় কারসাজির নাকি সিদ্ধান্তহীনতার? এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অন্তত বিশ টাকা বেড়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের পেঁয়াজ ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ী আর আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে বৃষ্টিতে মজুদ থাকা পেঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সেই আঁচ এসে পড়েছে বাংলাদেশেও। ঢাকার শ্যামবাজারের পেয়াজের আড়ৎদার আমজাদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, মাঝে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি একটু কমে গেছিল। আবার ভারতে বৃষ্টির কারণে পেয়াজের দাম বেড়েছে, এরকম খবরও পাওয়া যাচ্ছিল। তাই আমাদের এখানেও দাম একটু বেড়েছে। তবে রবিবার থেকে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ৪/৫ টাকা কমে গেছে বলে তিনি জানান। ''গতকাল থেকে ভারতেও দাম কমেছে, আমাদের এখানেও কমে গেছে। ভারত থেকে কম দামে পেঁয়াজ আসলে দাম আরেকটু কমতে পারে।'' তিনি জানান, সোমবার ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৩৪-৩৬ টাকা দরে আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২-৪৪ টাকা কেজি দরে। তবে ঢাকায় সোমবার খুচরা বাজারে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা দরে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মেজর সিনহা হত্যার তদন্ত রিপোর্ট জমা, ১৩ দফা সুপারিশ পেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণে ব্রাজিলকে ছাড়ালো ভারত অগ্নিদগ্ধ হলে সাথে সাথে যে পাঁচটি কাজ করা জরুরি এসি দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব তথ্য জেনে রাখতে পারেন ঢাকায় পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ কাঁচা পণ্যের দাম বেড়েছে সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় ঢাকার ধানমণ্ডির বাসিন্দা নাজমা আক্তার বিবিসিকে বলছেন, ''সোমবার সকালে আমি ৬০ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। সাধারণত দুই কেজি করে কিনি। কিন্তু গত বছরের মতো আবার দাম বেড়ে ৩০০ টাকা পার হয়ে যায় কিনা, সেই ভয়ে বেশি করে পেঁয়াজ কিনলাম। '' আরেকজন ক্রেতা উম্মে সালমা বলছেন, ''বাসায় পেঁয়াজ আছে, তারপরেও পাঁচ কেজি কিনে রাখলাম, যদি দাম অনেক বেড়ে যায়, সেই চিন্তা করে। গত বছর যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটা চিন্তা করলেই তো ভয় লাগে। কম খেতে পারি, একেবারে বাদ তো দিতে পারি না।'' গত বছর এই সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ৩০ টাকা থেকে বেড়ে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম তিনশো টাকা ছাড়িয়ে যায়। এই ভয়ে এ বছর পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করায় আরও অনেককেই বেশি করে পিঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে। কলাবাগানের কাঁচা সবজি বিক্রেতা আল আমীন বলছেন, 'আমরা পাইকারিতে যে দরে কিনি, তার সঙ্গে ৪/৫ টাকা লাভ যোগ করে খুচরা বিক্রি করি। রবিবার কাওরানবাজার থেকে পিঁয়াজ কিনেছি ৫৪ টাকা দরে, তাই সেটা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি।'' অথচ এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খোলা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে। কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলছেন, ''ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়লে দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়ে। আমরা আমদানিকারক বা শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ এসে বিক্রি করি। সেখানে যে টাকায় পাবো, তার সঙ্গে সামান্য লাভ যোগ করে পাইকারি বিক্রি করি।'' পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে আমদানি করা পেঁয়াজের ৯৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। তবে ভারত থেকে আমদানিতে সমস্যা হলে অন্য দেশ থেকেও আমদানি করা হয়। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে বর্তমানে ২৩ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় প্রায় পাঁচ লাখ টন নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ ১৯ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে থাকে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমদানি হয় ১১ লাখ টন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ প্রয়োজন। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ থেকে ২৪ রুপি বেড়েছে। তবে গত বছরের পুনরাবৃত্তি এইবার হবে না বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। আড়ৎদার আমজাদ হোসেন বলছেন, এবার সেরকম কোন সম্ভাবনা নেই। কাঁচাপণ্য, দুই-পাঁচ টাকা ওঠানামা করতে পারে। কিন্তু গত বছরের মতো দাম লাগাম ছাড়িয়ে যাবে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলেই ভারতের বাজারে দাম কমবে, তখন দেশি পেঁয়াজের দামও কমে যাবে। অক্টোবর মাসেই ভারতের বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠার কথা রয়েছে। ঢাকার একটি পেঁয়াজের আড়ত জরিমানার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের আড়ৎ বন্ধ পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজির অভিযোগে রবিবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ মার্কেটে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সময় কাগজপত্র ছাড়াই আমদানিকারকদের কথার ওপর ভিত্তি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোয় ১০টি আড়ৎকে জরিমানা করা হয়। এরপর সেখানে পেঁয়াজের দাম বেশ কমে আসে। তবে সোমবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা আড়ৎগুলো বন্ধ করে রাখেন। খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেছেন, জরিমানার শিকার ব্যবসায়ীরা আড়ৎ বন্ধ রাখার পর সব আড়তই বন্ধ হয়ে যায়। যদিও তারা সমিতির পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচী দেননি। তিনি দাবি করেন, আমদানিকারকদের দেয়া দরের ওপর ভিত্তি করেই আড়তদাররা পেঁয়াজ বিক্রি করেন। সেখানে তারা কোন মজুতদারি করেন না।
বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায় উঠেছে। তবে সোমবার নাগাদ পাইকারি বাজারে দাম আবার বেশ কমে এসেছে বলে জানা গেছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
সারাহ মিডগ্লে মূলত ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলোর প্রতিবাদেই এই ক্যাম্পেইন চলছে, আর তাতে অংশ নিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা অবশ্য সমস্যা মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। যেসব ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে থাকবে যৌন সহিংসতার বিচারের জন্য বিশেষ আদালতের সংখ্যা বাড়ানো এবং কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা ব্যবস্থা। সাইত্রিশ বছর বয়সী ফটোসাংবাদিক সারাহ মিডগ্লে দু'সন্তানের জননী এবং বাস করেন দেশটির প্রধান শহর জোহানেসবার্গে। এক দশক আগে ধর্ষণের শিকার হওয়ার যে মানসিক আঘাত, সেটি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। বিবিসি আফ্রিকার সাথে সেই কঠিন ও দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে যে দশ লক্ষণ দেখে বুঝবেন একটি দেশ গণতান্ত্রিক নয় 'যদি আমি পারতাম, আমি লজ্জায় লাল হতাম' অনেকেই কন্যা সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ২০১০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি ২০১০ সালের নিজের সাবেক প্রেমিকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সারাহ মিডগ্লে, যখন তার দেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন চলছিলো। আঠারো মাস ধরে সেই প্রেমিক তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে জানান তিনি। "অনেকবার আমি তাকে ছেড়ে আসার কিন্তু যতবারই চেষ্টা করেছি ততবার সে আরও সহিংস আচরণ করেছে"। সারাহ বলছেন তাকে লাথি মারা, গলা টিপে ধরা ও কামড় দেয়া হতো। "যদি তাকে ছেড়ে যাই, তাহলে সে নিয়মিত আমার কন্যাদের ধর্ষণ ও আমার সামনেই তাদের খুন করবে বলে হুমকি দিতো। এমনকি একবার আমাকে ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দিয়েছিলো সে"। সারাহ বলেন, এসব ঘটনা তিনি কারও কাছে বলেননি কারণ এটি ছিলো তার জন্য লজ্জার ও বিব্রতকর। "আমি পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে সে আমার সন্তানদেরও ক্ষতি করবে"। কিন্তু যখন তার সাহস হলো প্রেমিককে ছেড়ে যাওয়ার, তখন তিনি সেই কাজটি করলেন অত্যন্ত গোপনে। "দশ দিন পর সে আমার ঘরের দরজায় এলো, বললো যে সে শেষবারের মতো সহযোগিতা চায়। সে বললো ২৫ কিলোমিটার দূরে তার চাচার খামারে যাওয়ার মতো পয়সাও তার হাতে নেই," বিবিসিকে বলেন তিনি। তবে সারাহর কাছে সে অঙ্গীকার করে যে তাকে পৌঁছে দিলে সে আর তাদের জীবনে থাকবে না। "ধর্ষণের ঘটনার বহু বছর পর আমি নিজেকেই দোষ দিলাম এ কারণে যে আমি বিশ্বাস করেছিলাম আমাকে সে যন্ত্রণামুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। গাড়ীতে করে দিয়ে আসার সময়ই খেয়াল করলাম যে সে চুপ হয়ে আছে। আমি আবারও বুঝতে পারলাম যে সে আসলে হেরোইন সেবন করে"। সারাহ ওই ব্যক্তিকে বলেছিলেন যে তিনি খামার বাড়ির গেটে তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে আসবেন। "কিন্তু যখন খামারে পৌঁছলাম সে দৌড়ে আমার দিকে এসে দরজা খুলে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করে। আমি গাড়িতে পড়ে গেলে সে আমার মাথায় লাথি মারে"। "যখন জ্ঞান ফিরলো তখন খামারের বাইরে একটি কোয়ার্টারে এবং আমার ওপরে তাকে দেখতে পেলাম। তার এক বন্ধুও তার সাথে যোগ দিলো। আমি আবারো জ্ঞান হারালাম। জ্ঞান ফেরার পর দেখি তারা চলে গেছে, আর খামারের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এলো সেখানে"। অপরাধ কমাতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ছোট সার্জারিও করাতে হয়েছে সারাহর পাশে দাঁড়ানো পরিচ্ছন্নতা কর্মীর হাতে এক বালতি পানি ছিলো। নিজের কিছু কাপড় দিয়ে সে সারাহকে পরিষ্কার করে দিতে উদ্যত হয়। সারাহ তাকে থামতে বলেন এবং পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলেন। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে সারাহকে হাসপাতাল নিয়ে যায়। কিন্তু সারাহর শারীরিক ক্ষত বেশ গভীর ছিলো এবং তাকে একটি ছোটো অপারেশনও করতে হয়। এসবের মধ্যে সারাহ দেখতে পান তার ওপর হামলাকারী জামিন পেয়েছে শহর ছেড়েছে। পরে অবশ্য সে গ্রেফতার হয় এবং তার আট বছরের জেলও হয়। এরপর সে সাত বছর জেল খাটার পর প্রস্টেট ও ব্লাডার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২০১৭ সালে। "সত্যিকার অর্থে সাত বছরের মধ্যে তখনি প্রথম আমি শান্তিতে নিঃশ্বাস নিলাম। কিন্তু আমি স্বপ্নেও দেখতাম যে আমার সাবেক বয়ফ্রেন্ড ফিরে আসছে এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের ওপর আক্রমণ করছে"। এক পর্যায়ে একা থাকতে না পেরে বাবা-মায়ের কাছে চলে যান সারাহ। "আমি মানুষকে ভয় পেতে শুরু করলাম। চেষ্টা করলাম যাতে কেউ না বোঝে"। সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছোটো বেলায় একবার যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর থেরাপি নেয়ার অভিজ্ঞতাও ছিলো তারা। তবে ভয়ংকর বিষয় ছিলো যে ধর্ষণের শিকার এক মাকে এই যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে হবে, যার দুটো সন্তান রয়েছে। "আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম এই ভেবে যে আমি যে ঘটনার শিকার হয়েছিলাম, তেমনটি যদি তাদের ক্ষেত্রেও হয়!" সারাহ নিজের মেয়েদের বোঝাতে শুরু করেন যে তিনি সবসময়ই তাদের জন্য নিরাপদ জায়গা। তারা যেনো তাকে সবসময় বিশ্বাস করে এবং মা হিসেবে তিনিও সন্তানদের বিশ্বাস করবেন। তিনি সন্তানদের নিরাপত্তা বিষয়ে বেশী চিন্তিত হয়ে পড়লেন। সন্তানদের ফোন কিনে দিলেন ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় খুব বেশী কোনো ব্যবস্থা নেই।
টুইটারে ক্যাম্পেইন চলছে #অ্যামআইনেক্সট এবং অনলাইনে আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তাদের দাবি, অপরাধ কমাতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনা হোক।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
কাশ্মীরের পত্রিকায় আমন্ত্রণ বাতিলের বিজ্ঞাপন যেভাবে কাশ্মীরী বিয়ে হয়, সেই সব আয়োজনই করেছিলেন মি. বাঙ্গরূ। ধর্মীয় রীতি মেনে নিকাহ আর তার সঙ্গে পরিবার, আত্মীয়- বন্ধুদের জন্য বিশাল ভোজের আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেই কাশ্মীরী 'ওয়াজওয়াঁ' বাতিল করতে হয়েছে মি. বাঙ্গরূকে। সব আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের আলাদা করে জানানোর সময় নেই, তাই কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তিনি। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই তাঁর নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছিলাম শ্রীনগরে। "কত সাধ ছিল যে মেয়ের নিকাহতে বড়সড় ভোজের আয়োজন করবো, সবাই আসবে! কিন্তু বাতিল করতে বাধ্য হলাম। কেউইতো আসতে পারবে না বলছে। অত বড় ভোজের আয়োজন করে কী করব? এখন শুধু নিয়মমতো নিকাহ হবে ধর্মীয় রীতি মেনে," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মি. বাঙ্গরূ। তাঁর মতো আরও বহু মানুষ কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করছেন গত কয়েকদিন ধরে। আর এটাই কাশ্মীরে বিয়ের সময়। কেন বাতিল করছেন বিয়ের ভোজ? "যা পরিস্থিতি, তাতে কীভাবে ভোজ বা বড়সড় অনুষ্ঠান আয়োজন করবো? একদিকে কার্ফু অন্যদিকে দুদিনের হরতাল শুরু হয়েছে আজ থেকে," বলছিলেন মুস্তাক আহমেদ। তাঁর ছোট বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানও বাতিল করতে হয়েছে বৃহস্পতিবার। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো, কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি বৃহস্পতি আর শুক্রবার হরতাল ডেকেছে। ভারতের সংবিধানে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যে ধারা অনুযায়ী, তারই অন্যতম, ৩৫-এ প্রত্যাহার করার বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক প্রতিবাদ চলছে। ওই ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরে কারা স্থায়ী বাসিন্দা বলে চিহ্নিত হবেন, সেটা স্থির করার ক্ষমতা দেওয়া আছে রাজ্যের আইনসভাকে। স্থায়ী বাসিন্দা নন, এমন কেউ জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে জমি-বাড়ির মতো কোনও সম্পত্তি কিনতে পারেন না। একটি বিয়ের ভোজের আয়োজন চলছে কাশ্মীরে (ফাইল ফটো) সুপ্রিম কোর্টে কয়েকজন ব্যক্তি এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আবেদন করেছে যে ওই ধারা তুলে দেওয়া হোক। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদনের শুনানি হবে, তারই প্রতিবাদ করছেন ভারত শাসিত কাশ্মীরের মানুষরা এবং সংগঠনগুলো। প্রতিবাদীরা বলছেন, ওই বিশেষ ধারাটি যদি তুলে দেওয়া হয়, তা জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের ওপরে সরাসরি হস্তক্ষেপ হবে। এর প্রতিবাদে বড়সড় বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। অন্যদিকে বিক্ষোভ প্রদর্শন আর অশান্তি হতে পারে, এটা আঁচ করে প্রশাসন কার্ফু জারি করেছে। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ওই আবেদনের শুনানি হতে পারে, এমন একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্যের নানা জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে ২২ জন আহত হয়েছেন। তাই এই দুদিন আর ঝুঁকি না নিয়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে। শ্রীনগরে বিবিসি হিন্দির সংবাদদাতা মাজিদ জাহাঙ্গীর বলছিলেন, "সব রাস্তাঘাট ফাঁকা। একটা দুটো গাড়ি চলতে দেখেছি সকাল থেকে। সব স্কুল, কলেজ, দোকানপাট বন্ধ। যদিও কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি দুপুর অবধি। এই পরিস্থিতি কেউ কি আর বিয়ের ভোজ খেতে বেরুতে পারে? তাই গত কদিন ধরে অনেক বিজ্ঞাপন চোখে পড়ছে কাগজে যারা বিয়ের ভোজ আর অন্যান্য আনন্দানুষ্ঠান বাতিল করছেন" তবে অশান্তি হতে পারে, এমনটা আঁচ করে কার্ফুর মধ্যে কেউ আর বিয়েবাড়ির ভোজ খেতে বেরুতে চাইছেন না। "আত্মীয় বন্ধুরা ফোন করে বলছে যে কীভাবে যাব ভোজে? রান্নার সব আয়োজন করেও তাই বাধ্য হলাম ভোজসভা আর অনুষ্ঠান বাতিল করতে," স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিয়ের পাত্র, ২৮ বছরের আনিস আহমেদ। তাঁর বাবা বলেছেন "কজন বন্ধু আর আত্মীয়কে নিয়ে গিয়ে নিকাহটা সেরে নতুন বউকে ভালোয় ভালোয় বাড়ি নিয়ে এস"।
শ্রীনগরের বাসিন্দা নাজির আহমেদ বাঙ্গরূর মেয়ের বিয়ের দিন ছিল আজ।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
মানবিজে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া দল সিরিয়ার মানবিজ শহরে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজি, যাদেরকে আঙ্কারা সন্ত্রাসী হিসাবে গণ্য করে, তাদের ওপর সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক এবং তাদের সমর্থিত মিলিশিয়ারা ১০০ কিমি দুরের শহর আফরিনে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের সাথে লড়াইতে লিপ্ত রয়েছে। মানবিজ শহরটি ২০১৬ সালে ইসলামিক স্টেটের হাত থেকে নিয়ে নেওয়ার পর থেকে সেখানে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের সাথে মার্কিন সৈন্যরাও রয়েছে। সে কারণে গত সপ্তাহে একজন মার্কিন জেনারেল হুমকি দিয়েছেন, মানবিজে তুরস্ক কোনো হামলা চালানোর চেষ্টা করলে কড়া জবাব দেওয়া হবে। সাথে সাথেই 'অটোম্যান চড়' দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। শক্ত জবাব বোঝাতে তুর্কিরা 'অটোম্যান চড়' শব্দটি ব্যবহার করে। আঙ্কারায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন যুদ্ধের দামামা যেন আরো জোরদার না হয় সে ব্যাপারে দুই নেটো সদস্য দেশের কূটনীতিকরা এখন চেষ্টা শুরু করেছেন। রেক্স টিলারসন গতকাল (শুক্রবার) গিয়েছিলেন আঙ্কারায়। সেখানে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভোসোগলুর সাথে বৈঠকের পর তিনি স্বীকার করেছেন তুরস্কের সাথে সম্পর্ক "সংকটজনক" পর্যায়ে পৌঁছেছে। মি টিলারসন ঘোষণা দেন উত্তেজনা প্রশমনে একটি যৌথ কমিটি শীঘ্রই বসবে। "মানবিজ শহরে পরিস্থিতি সেখানে বিশেষ গুরুত্ব পাবে"। তবে ইস্তাম্বুল থেকে বিবিসির মার্ক লোয়েন বলেন, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বড় কোনো অগ্রগতির ইঙ্গিত নাই। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক "সত্যিকারের ফলাফল" দেখতে চায়। "পরস্পরের সময় নষ্ট করার উদ্দেশ্য আমাদের নাই"। তিনি খোলাখুলি বলেছেন, কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াইপিজি ইউফ্রেতিস নদীর পূর্ব পার্শে চলে যাবে বলে যে প্রতিশ্রুতি আমেরিকা দিয়েছিল, তা তারা রাখেনি। মি চাভোসোগলু হুঁশিয়ার করেন,"নদীর পশ্চিম পাড়ের নিয়ন্ত্রণ যদি ওয়াইপিজি নেওয়ার চেষ্টা করে, অঞ্চলের স্থিতিশীলতা কখনই আসবে না। সুতরাং আমরা চেষ্টা করবো সেটা যেন কখনই না হতে পারে"।
সিরিয়ার উত্তরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেটো জোটের দুই সদস্য তুরস্ক এবং আমেরিকার সৈন্যরা এখন মুখোমুখি, এবং পরিস্থিতি বিপজ্জনক।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
বেন স্টোকসকে আউট করার পর সাকিবের স্যালুট মূলত মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশ ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড দলের যখন একের পর এক উইকেট পড়া শুরু হলো, বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে তখন চরম উত্তেজনা। আর খেলোয়াড়দের মধ্যেতো রয়েছেই। এরই মধ্যে দর্শকরা দেখতে পেল এক ভিন্ন দৃশ্য - ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের উইকেট নেয়ার পর সাকিব আল হাসান প্রথমেই এক স্যালুট দেন, তারপর তিনি দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ওই স্যালুট সাকিব কেন দিয়েছিলেন তা সে সময় জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল, অনেক ক্রিকেট ভক্ত নিজেরা স্যালুট দিয়ে ফেসবুকে ছবিও শেয়ার করেছেন। তবে স্যালুটের রহস্য আজ ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান নিজেই। টুইটারে এক বার্তায় সাকিব আল হাসান লিখেছেন, "বাংলাদেশে এই সিরিজ খেলতে আসার জন্য ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে ও ইংল্যান্ড দলকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে আমাদেরকে বিশ্বাস করার কারণে ইংল্যান্ডকে স্যালুট"। জয়ের পর বাংলাদেশ দলের উচ্ছ্বাস জাফর আনসারির উইকেট ফেলার পর সাকিব আল হাসান গুলশানে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর ইংল্যান্ডের একটি প্রতিনিধি দল দেশে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যায়। তারপরও ইংল্যান্ড দল আসার আশঙ্কা কাটেনি, কয়েকজন খেলোয়াড় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে টেস্ট অধিনায়ক অ্যালাস্টার কুক জানিয়েছিলেন যে বাংলাদেশে তিনি খেলতে আসবেন। এক কথায় বলা যায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই সিরিজটি ছিল অনেক প্রতীক্ষার অবসান। টেস্টে পরাজয়ের পর ইংলিশ অধিনায়ক বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন সব দলেরই এদেশে খেলতে আসা উচিত। অন্যদিকে বেন স্টোকসও তাঁর ফেসবুক পাতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজের অভিজ্ঞতা দারুণ উল্লেখ করে এদেশের মানুষ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে 'স্যালুট'ও দিয়েছেন বেন স্টোকস। টেস্ট ড্রয়ের পর ট্রফি হাতে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আরও পড়ুন: নতুন ক্রিকেট তারকা: কে এই মেহেদী হাসান মিরাজ? বলিউডে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ‘বাচ্চাদের আঙ্গুল তুলে দেখানো হয় ব্লগার বলে তাদের বাবাকে হত্যা করা হয়েছে’
মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তৃতীয় দিনেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যাকে সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়। রাজকীয় একটি আদেশে ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কমান্ডারের পদ থেকে প্রিন্স ফাহাদ বিন তুরকিকে অব্যাহতি দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। মি. ফাহাদের ছেলে আবদুলাজিজ বিন ফাহাদকেও ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দুইজনসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে 'সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের' অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে ওই রাজকীয় আদেশে বলা হয়েছে। সরকারের ভেতর কথিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করছেন বাদশাহের ছেলে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যাকে সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়। তবে সমালোচকরা বলেন, শীর্ষ পদের এসব গ্রেফতারের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যুবরাজের ক্ষমতা গ্রহণের বাধাগুলো দূর করা। আরো পড়তে পারেন: যুবরাজ মোহাম্মদকে চ্যালেঞ্জ করছে যে সৌদি যোদ্ধা গোষ্ঠী কীভাবে এত ঘনিষ্ঠ হতে পারলো ভারত ও সৌদি আরব? সৌদি থেকে নারী শ্রমিকদের মৃতদেহ আসার সংখ্যা বাড়ছে যে কারণে সৌদি আরব ছাড়তে চান অনেক তরুণী ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কমান্ডারের পদ থেকে প্রিন্স ফাহাদ বিন তুরকিকে অব্যাহতি দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। এর আগে এই বছরের শুরুর দিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে, বাদশাহর ছোটভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুলাজিজ ও সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়িফসহ তিনজন জ্যেষ্ঠ রাজ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে যখন রাজপরিবারের অনেক সদস্য, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীকে রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রের তহবিলে ১০৬.৭ বিলিয়ন ডলার দেয়ার সমঝোতায় তাদের বেশিরভাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পঁয়ত্রিশ বছরের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে বেশ কিছু অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার আনার কারণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হন। তবে বেশ কিছু স্ক্যান্ডালেরও মুখোমুখি হতে হয় তাকে। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ড এবং কানাডায় সাবেক একজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার কথিত অভিযোগ। ইয়েমেনে অব্যাহত যুদ্ধের জন্যও তার বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে, যেখানে সরকারপন্থী বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব। নারীদের গাড়ী চালনা থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হলেও নারী অধিকার কর্মীদের ওপর বিরূপ আচরণের জন্যও তার সমালোচনা রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইউএই-ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম ‘ঐতিহাসিক‘ ফ্লাইট লাদাখে চীনের সৈন্যরা আবারও সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে: ভারত সৌদি-পাকিস্তান সম্পর্কে হঠাৎ অবনতি, কাশ্মীরই একমাত্র কারণ নয় ই-কমার্সে 'ক্যাশ অন ডেলিভারি'র সাথে অনাস্থার যে সম্পর্ক
সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির বাদশাহ, যাদের মধ্যে রাজ পরিবারের দুইজন সদস্যও রয়েছেন।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
লেখক শর্বরী জোহরা আহমেদ। এই আক্রমণ এতোটাই হিংস্র যে তারা ধর্ষণেরও হুমকি দিচ্ছে। বিতর্কিত পর্বটির কাহিনীতে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের একটি সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল । সেখানে প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয় করে বলিউড সুপারস্টার প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন এবং ওই চরিত্রটিতে অভিনয় করার জন্যে পরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এই কাহিনী রচনায় বাংলাদেশী আমেরিকান লেখক শর্বরী জোহরা আহমেদের কোন ভূমিকা না থাকার পরেও হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা তাকে গালিগালাজ করছে। যেসব লেখক কোয়ান্টিকোর কাহিনী লিখে থাকেন, শর্বরী জোহরা আহমেদ সেই টিমে ছিলেন শুধু প্রথম মওসুমের জন্যে। মাত্র দুটো পর্বের কাহিনী রচনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। তার একটি তিনি একাই লিখেছিলেন আর দ্বিতীয়টি যে দু'জন মিলে লিখেছিলেন তিনি ছিলেন তাদের একজন। লেখক শর্বরী জোহরা আহমেদ ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বিরুদ্ধে একটি টুইট। শর্বরী জোহরা আহমেদ বারবার তার টাইমলাইনে একথা উল্লেখ করার পরেও, হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা তাকে আক্রমণ করেই যাচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করছে যে "শান্তিকামী হিন্দুদের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থীদের প্রচারণার তিনি অংশ নিচ্ছেন।" টুইটারে একজন মন্তব্য করেছেন, "কোয়ান্টিকোর কাহিনী লিখতে গিয়ে আপনি যে লিখেছেন যে 'ভারতীয়রাই হামলার পরিকল্পনাকারী' - তখন কি আপনার ফ্যান্টাসি কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল? আপনার মনের গভীরে যে পক্ষপাতিত্ব, ঘৃণা, হিন্দু-বিরোধী মনোভাব এবং ইসলামের পক্ষ নেওয়ার বিষয়গুলো প্রোথিত আছে, সেকারণেই কি এরকম লিখেছেন?" শর্বরী জোহরা আহমেদ বলেছেন, তিনি আশা করছিলেন যে যখন তারা জানতে পারবে এই পর্বটির সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই, তখন তারা হয়তো চুপ করে যাবেন। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। তিনি বলেন, "আক্রমণের মাত্রা খুব দ্রুতই বেড়েছে। এসব এতোই হিংস্র হয়ে উঠেছে যে যারা আমাকে সমর্থন করছেন তাদেরকেও তারা সহিংসতা ও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে।" তিনি বলছেন, যারা তাকে আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে তারা তাকে ভারত-বিরোধী এবং হিন্দু-বিরোধী প্রচারণায় একজন মুসলিম এজেন্ট হিসেবে দেখছে।" "তারা গুগলে সার্চ করে অথবা স্ক্রিনে যাদের নাম লেখা থাকে সেই তালিকা দেখে জেনে নিতে পারেন যে আসল সত্যটা কী।" 'দ্য ব্লাড অফ রোমিও' নামের এই পর্বটি প্রচারিত হয়েছিল ১লা জুন যেখানে দেখা গেছে অ্যালেক্স পারিশ নামের প্রধান চরিত্রটি একটি সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। ওই এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কাশ্মীরের উপর এক সম্মেলনের আগে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং কাহিনীতে দেখানো হয়েছে যে আসলে কয়েকজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী এই পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু তারা দোষ দিতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানিদের। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বকাপে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন যারা কাল বিশ্বকাপ: প্রস্তুত মস্কো? নারী ক্রিকেটারদের বেতন বৈষম্য: পরিবর্তন আসবে? শর্বরী জোহরা আহমেদের টুইট। তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর এই থ্রিলারের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবিসি এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। এবিসি থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পক্ষে বক্তব্য দেওয়া হলেও শর্বরী জোহরা আহমেদের বেলাতে তারা কিছু বলেনি। সিরিজের স্ক্রিপ্ট লেখার সাথে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার দুঃখ প্রকাশ করায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই আমেরিকান লেখক হতাশ হয়েছেন। তিনি নিজেও এর আগে কট্টর ইসলামের উত্থান এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। "আমার মনে হয়েছে যে তারা (এবিসি এবং চোপড়া) যারা ভয় দেখাচ্ছিল তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।" আরো পড়তে পারেন: কূটনৈতিক মেন্যুতে সিঙ্গাপুরে কি খেলেন ট্রাম্প-কিম? যেখানে পুরুষের চেয়ে নারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বেশি সরকারি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার আপত্তি কেন?
মার্কিন টিভি সিরিজ কোয়ান্টিকোর একটি বিতর্কিত পর্বকে ঘিরে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা সোশাল মিডিয়াতে এবার আক্রমণ করছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন আমেরিকান লেখককে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ইরাকে প্রায় পাঁচ হাজার সৈন্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যদিও এর মধ্যে মার্কিন একজন জেনারেলের একটি চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিলো, কারণ ওই চিঠিতে বলা হয়েছিলো যে মার্কিন সৈন্যরা ইরাক ছাড়ছে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, "ইরাকি এমপিরা মার্কিনীদের ইরাক ছাড়ার আহবান জানানোর পর সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে তার সৈন্যদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে"। এই বিভ্রান্তি তৈরি হয় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর আমেরিকান সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে দেয়া হুমকির মধ্যেই। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়, যা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। ইরানীরা এই হত্যাকাণ্ডের কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। চিঠিতে কী ছিলো? মনে হচ্ছে চিঠিটি পাঠিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম এইচ সিলি। তিনি ইরাকে মার্কিন ফোর্সের প্রধান। চিঠিটি তিনি পাঠিয়েছেন ইরাকে জয়েন্ট ফোর্সের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল আমিরের কাছে। এতে বলা হয়, "স্যার, ইরাকের সার্বভৌমত্ব এবং পার্লামেন্ট ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে কম্বাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স সামনের দিনগুলোতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাহিনীর অবস্থান নতুন করে সাজানো হবে"। চিঠিতে বলা হয় ইরাকের বাইরে নিরাপদে যাওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক বাড়ানো সহ কিছু পদক্ষেপ 'ডার্কনেস আওয়ারে' করা হবে। এছাড়া বাগদাদে গ্রিন জোনে নতুন কোয়ালিশন ফোর্স আনা হচ্ছে বলে যে ধারনা তৈরি হয়েছে তাও দুর করা হয় এই চিঠিতে। কিভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে ? মিস্টার এসপার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, "ইরাক ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চিঠির বিষয়ে আমি জানিনা। এটি কোথা থেকে এলো আমরা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি"। "কিন্তু ইরাক ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি"। পরে চেয়ারম্যান অফ দা জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিলে বলেন চিঠিটি ছিলো একটি 'ভুল'। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'ট্রাম্প ইরানে হামলা করলে সেটি হবে যুদ্ধাপরাধ' কাসেম সোলেইমানির মৃতদেহ ইরানে, জনতার ঢল সোলেইমানির জানাজায় কাঁদলেন আয়াতোল্লাহ খামেনি
ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদের জেরে কারফিউ জারি করা হলে গৌহাটির রাস্তায় টহল দেয় সেনারা গত দুই দিনের বিক্ষোভকারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন গৌহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জের ধরে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের গৌহাটিসহ ১০টি সংবেদনশীল এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। তবে গৌহাটি ও দিব্রুগড় এলাকায় বিকেল চারটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। কলকাতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয় আসাম থেকে বিবিসির অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, কারফিউ শিথিল করার কারণে, সকালে গৌহাটির জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। সিটি বাস ছাড়াও দূরপাল্লার বাস এবং ব্যক্তিগত যানবাহন চলতে দেখা গেছে। এদিকে, রবিবারও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন-আসুসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। গৌহাটিতে রয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী। তিনি জানিয়েছেন, এর আগে শনিবার বিকেল পর্যন্ত কিছু কিছু দোকানপাট খুলেছিল। যেখান থেকে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেছে। কিন্তু বিকেল চারটার পর থেকেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধের নির্দেশ থাকলেও সেটি আরো ৪৮ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ থাকবে। অন্যান্য সংগঠনের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে বাংলাভাষী মুসলিম সংগঠনগুলোও কারফিউ শিথিল করা হলে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করার কথা জানিয়েছে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন-আসু। গৌহাটিতে রবিবার তাদের একটা সমাবেশ করার কথা আছে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বরপেটাতে রবিবার মুসলিম সংগঠনগুলোর একটা বড় সমাবেশ হওয়ার কথা আছে। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে নানা জায়গাতে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশের পাশাপাশি বিজেপির নেতাদের বাড়ি এবং রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি জোটের অংশ আসাম গণপরিষদের নেতাদের দপ্তরের সামনেও বিক্ষোভ করছে অনেকে। হাওড়ায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান এর বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে যে, লোকসভা নির্বাচনে আসামে বেশ ভালো ভোট পেয়েছিল বিজেপি। স্থানীয়রা মনে করছে, যাদের তারা এতো ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলো সেই সরকারই আবার নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন আনছে। এটা মানতে পারছে না অনেকে। শহরের দেয়ালে দেয়ালে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা রয়েছে। স্লোগান রয়েছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। চাপে পড়ে শনিবার রাতে আসাম গণপরিষদও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করবে। সেই সাথে তারা আসাম পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করার জন্য দিল্লিতে একটা প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছে। নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বাংলাভাষী মুসলিমরাও। তবে তাদের সাথে অসমীয়া সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের পার্থক্য রয়েছে। অসমীয়া সংগঠনগুলো আসলে নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে কথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের আসামের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন যে, আসাম চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পর বাংলাদেশ থেকে আসা কোন ধর্মের মানুষদেরকেই নাগরিকত্ব দেয়া যাবে না। অন্যান্য সংগঠনের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে বাংলাভাষী মুসলিম সংগঠনগুলোও সাথে তারা এটাও বলছেন যে, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়ার কোন জায়গা নেই। এটা সংবিধান পরিপন্থী। পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বাংলাভাষী মুসলমানরা যে প্রতিবাদ করছে সেখানেও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়ার বিরোধিতা রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক রয়েছে যে, তাদের একটা অংশকে এই আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন করে দেয়া হতে পারে। তারা বলছেন যে, এনআরসির মাধ্যমে যে ১৯ লাখ নাম বাদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অমুসলিমরা হয়তো এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন তবে মুসলমানরা কিন্তু বাদই রয়ে যাবেন। তাদেরই হয়তো রাষ্ট্রহীন করে দেয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। আরো খবর: রাশিয়ায় ক্ষমতার ২০ বছর যেভাবে কেটেছে পুতিনের উইগার মুসলিমদের সমর্থনে ওজিলের মন্তব্যে চীনে ক্ষোভ মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না কেন
আসামের গৌহাটিতে সহিংস বিক্ষোভে আহতদের মধ্য থেকে আজ সকালে আরো একজন মারা গেছে। এনিয়ে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের প্রাণহানি হল।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। ফাইল ছবি। ভোর থেকে ঢাকার রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কর্মস্থলে পৌঁছতে চরম বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন তারা। একই চিত্র দেশের অন্য জায়গা থেকেও পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি যারা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে চেয়েছেন, তাদের অনেকেই পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়েছেন। সিলেটের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করেছেন যে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। মি: সামাদের বর্ণনা এ রকম, " পরিবহন হর্তাকর্তারা বলেছেন শুধু মাত্র বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। কিন্তু সিলেটে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে সিএনজি অটো থেকে নামিয়ে দেয়া হয় সাধারণ যাত্রীদের।" ঢাকার বাসিন্দা আরিফ হাসান সাকিব লিখেছেন, তিনি রাস্তায় প্রায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন যানবাহন পাননি। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে যে কারণে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট করছে বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন আইনে যা আছে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের সময় রাজধানী ঢাকার মিরপুরের চিত্র। মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চেয়েছিলেন ক্লাসে যোগ দেবার জন্য। মি: সাকিব লিখেছেন,"একটা বাসও পাইনি। ক্যাম্পাসের বিআরটিসির বাসটাও ওরা বের হতে দেয়নি মিরপুর বাস ডিপো থেকে।" সকালে রাস্তায় গণ-পরিবহন না থাকায় অনেকে অধিক ভাড়া গুনেছেন। শামসুল হক লিখেছেন, " লোকজন বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে অধিক টাকার বিনিময়ে চলছে গন্তব্যে। আমি আজ ৬ কিলোমিটার ১০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে আসলাম।" ঢাকার রাস্তায় ছিল রিক্সার রাজত্ব। শহরের যেসব রাস্তায় রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ সেসব জায়গায় আজ অনায়াসে রিকসা চলছে। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে গত ২৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ করে পরিবহন শ্রমিকরা। মোখলেসুর রহমান লিখেছেন, "১০ টাকা বাজেট। সেখানে যদি ১৫০ টাকা রিক্সা ভাড়া লাগে তখন ভোগান্তি কাকে বলে আপনারাই বলুন।" আগামীকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। জোয়াদ খান ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, "আমাদের কাল চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে এক্সাম। আমাদের গাড়িকেও যেতে দিচ্ছে না। এসব হয়রানির মানে কি?" নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছিল। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "সড়ক দুর্ঘটনার মামলা যদি জামিন অযোগ্য হয়, তাহলে তো পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে গাড়ি পরিচালনা করা সম্ভব না। আমরা এই আইন বাতিলের কথা বলি না, সংশোধনের কথা বলি।" বাংলাদেশে অনেক অপরাধ আছে যেগুলো জামিন অযোগ্য। তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা আইনের ক্ষেত্রে এ বিধান থাকলে সমস্যা কোথায়? এমন প্রশ্নে ওসমান আলী বলেন, " আপনি ক্রিমিনাল ল'র (আইন) সড়ক দুর্ঘটনা মিলাবেন?" পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে তারা যাত্রীদের জিম্মি করছেন না বলে মনে করেন ওসমান আলী। তিনি বলেন, তারা 'গণতান্ত্রিক আন্দোলন' করছেন এবং সরকার তাদের কোন নিয়োগপত্র দেয়নি। তিনি বলেন, ধর্মঘটে যাবার আগে তারা সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং আরো নানা উপায়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন গাঁজা ব্যবহার স্বাস্থ্যকে কতটা প্রভাবিত করে? প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী দ্বন্দ্বে শ্রীলংকায় ওলট-পালট কেন বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় শমসের মবিন চৌধুরী
বাংলাদেশে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে দেশজুড়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সরে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ অথচ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮কে বাণিজ্যিকভাবে মাত্র ২০১৭ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছর অক্টোবর মাসে লায়ন এয়ার বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-এর একটি বিমান ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। সেই ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৮৯ জন। অথচ এই বিমানটির বয়স তিন মাসেরও কম ছিল। একইরকমভাবে ইথিওপিয়ায় বিমানটিও উড়াল দেয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়। আরও পড়তে পারেন: ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, 'বেঁচে নেই কেউ' বিমান ছিনতাই চেষ্টা নিয়ে কর্তৃপক্ষের যত বক্তব্য বিমান থেকে চালানো হামলার জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তি কীসের? বিমানটি অন্য বিমান থেকে কিভাবে আলাদা? জাকার্তা ভিত্তিক এভিয়েশন বিশ্লেষক গেরি সোয়জাতমান বিবিসিকে বলছিলেন, বোয়িং ৭৩৭ এর উইং এর তুলনায় সেটির ইঞ্জিনটা অপেক্ষাকৃত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। বিষয়টি বিমানের ভারসাম্যের উপরে প্রভাব ফেলে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটি ইঙ্গিত করেছিল যে, বিমানে যদি কোনও গোলযোগ ঘটে তাহলে সেই বার্তা পাইলটকে জানাতে বিমানের কোনও একটি সেন্সরকে সংকেত দিতে হয়। কিন্তু এই বিষয়টিতেই কিছুটা ঝামেলা ছিল। ৭৩৭ এর মডেলের বিমানের সেন্সর এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সফটওয়ার তার আগের মডেলের চেয়ে আলাদা ছিল। কিন্তু সেন্সরের এই বিষয়টি নিয়ে পাইলটকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে, ইন্দোনেশিয়ায় বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছিল তার চূড়ান্ত কারণ এখনো জানা যায়নি। ইথিওপিয়ার ঘটনার পর এভিয়েশনের সাথে সম্পৃক্তরা বলছেন, এই সেন্সর ইস্যুটি সম্পর্কে নিশ্চয়ই পাইলটকে আগে থেকেই অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু, ইথিওপিয়ার বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও সেন্সর ইস্যুর মতন কিছুই ঘেঁটেছে কিনা তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানা যায়নি। এভিয়েশন বিশ্লেষক জন স্ট্রিকল্যান্ড বলেছেন, এই এয়ারক্রাফটটি ছিল একেবারে নতুন। ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানটি যে ধরণের ছিল এটিও একইরকম ছিল। তাই এই তথ্যটির দিকে সবাই মনোযোগ নিবদ্ধ করবে। তবে, কেন ইথিওপিয়ার ঘটনাটি ঘটলো - সেই কারণ নির্ণয় করতে আরও ব্যাপক অনুসন্ধানের দরকার আছে বলেও তিনি মনে করেন। বোয়িং এর বক্তব্য কী? রোববারে বোয়িং-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, তাদের টেকনিক্যাল টিম তৈরি আছে। ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের অধীনে যে কোনও মুহূর্তে তারা টেকনিক্যাল সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয় বিপুল মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তারা শোকও প্রকাশ করেছে। বোয়িং-এর ইতিহাসে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ছিল সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হতে থাকা এয়ারক্রাফট। সারা দুনিয়ার ১০০টি বিভিন্ন অপারেটরের পক্ষ থেকে ৪,৫০০ এয়ারক্রাফটের অর্ডার ছিল। ইথিওপিয়ার দুর্ঘটনার তদন্তের ফল পেলেই রেগুলেটর ও এয়ারলাইন্সগুলো তাদের করণীয় ঠিক করবে।
নতুন ধরণের বোয়িং এয়ারক্রাফট চালুর পর ইথিওপিয়ান উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনাটিসহ মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে দুটি দুর্ঘটনা ঘটলো।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
৮২টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে এক নারী ক্রুর কাছ থেকে সকালে ওই বিমান কর্মীর কাছ থেকে ৮২টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম খান। মি: খান জানিয়েছেন, জব্দ করা সোনার বারের বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। মি: খান বলেছেন বেসরকারি সংস্থার একটি বিমান ওমানের মাসকাট থেকে আজ বেলা ১১টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। ফ্লাইটটির একজন নারী গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বেরিয়ে যখন টার্মিনাল এলাকায় আসেন তখন পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে আটকায়। পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল যে ওই বিমানের একজন নারী কর্মীর কাছে লুকানো সোনার বার আছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি কতটা সম্ভব? বিচিত্র যেসব উপায়ে সোনা পাচার হয় ভারতে তরুণীর পেট থেকে বেরুলো দু কেজি সোনা, ৬০টি মুদ্রা বাংলাদেশের বেশিরভাগই সোনাই চোরাই পথে আসে বলে অভিযোগ মি: খান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন তল্লাশিতে ওই বিমানকর্মীর দুই ঊরুতে ৮২টি সোনার বার স্কচ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধা অবস্থায় ধরা পড়ে। সোনার বার জব্দের ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। মি: খান জানিয়েছেন ওই নারী ক্রু এর আগেও বেআইনিভাবে সোনা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে। তিনি বলেছেন বিমানের ওই কর্মীকে এখন বিমানবন্দরের থানায় রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানিয়েছেন। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম খান আরও জানিয়েছেন বাংলাদেশে অতীতে আকাশপথে চোরাইভাবে মলদ্বারে এবং শরীরের অন্য অংশে বেঁধে সোনা নিয়ে আসার অনেক ঘটনা ঘটেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পর্দা ৩৭ লাখ, বালিশ ৬ হাজার টাকা হয় কীভাবে? তারকাদের পাসপোর্ট, এনআইডির কপি নিয়ে হুমকি মোরগের কণ্ঠরোধের চেষ্টা আদালতে নাকচ
ঢাকা বিমানবন্দরে আজ বৃহস্পতিবার প্রায় ১০ কেজি সোনার বারসহ একটি বেসরকারি বিমানসংস্থার এক নারী ক্রুকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রোহিঙ্গা পরিবার। ইয়াংগনে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্তানিস্লাভ সেলিঙ বিবিসিকে জানান, সরকার এই সফর বাতিল করার পেছনে কোন কারণ দেখায়নি। রোহিঙ্গা মুসলমানরা কেন পালাতে বাধ্য হয়েছে সেটা রাখাইনে গিয়ে তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। মাসখানেক আগে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান, বৌদ্ধ এবং হিন্দু ঘরবাড়ি ছেড়ে রাখাইন রাজ্যে ভেতরেই সাময়িক আশ্রয়ে রয়েছে। চার লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। ওদিকে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সংখ্যা গত কয়েকদিনে লক্ষণীয় রকমে কমে গেছে। তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, মিয়ানমার ছেড়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা যে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে এমন কথা বলার সময় এখনো আসে নি। আরো দেখুন: লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা লতাপাতা খেয়ে বেঁচে আছে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে বর্মী সেনাবাহিনী' 'এখন আর বংশালের লোকজন অদ্ভুত চোখে তাকায় না' কুতুপালং-এর একটি শরণার্থী শিবির ওদিকে, মিয়ানমারে কর্মরত একটি ত্রাণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির প্রধান এবং সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেছেন, যে সব দেশ বর্মী সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেয় তাদের উচিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের জন্য তাদের প্রভাবকে কাজে লাগানো। তিনি বলেন, এ সমর্থনকে মানবাধিকার লংঘনের কাজে ব্যবহার করা চলে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে তাতে সেখানে 'জাতিগত শুদ্ধি অভিযান' চলছে বলে অভিযোগও উঠেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য 'বিশাল পরিমাণে' আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। শরণার্থী সংক্রান্ত জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে বলেছেন, এ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ।
জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের একটি নির্ধারিত সফর মিয়ানমার সরকার হঠাৎ করেই বাতিল করে দিয়েছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
নির্বাচনের সময় সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় ইন্টারনেটের গতি ফোর জি থেকে টু জি'তে নামিয়ে আনার সুপারিশ পেশ করা হয় কমিশনের কাছে। কিন্তু ইন্টারনেটের গতি ফোর জি থেকে কমিয়ে টু জি'ত নামিয়ে আনলে তার কী ধরণের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এ.বি.এম. মইনুল হোসেন মনে করেন, ইন্টারনেটের গতি কমালে শুধু সাময়িক নয়, দীর্ঘমেয়াদেও বিভিন্ন রকম ক্ষতি হতে পারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে। কার্যকারিতা হারাবে স্মার্ট ফোন "স্মার্ট ফোনের স্মার্ট শব্দটি এসেছে টু জি সংযোগ থেকে থ্রি জি'তে উত্তরণকে বিবেচনা করে; অর্থাৎ ইন্টারনেটের গতি টু জি'তে নামিয়ে আনলে স্মার্ট ফোনকে আর স্মার্ট বলা যাবে না", বলেন মি. হোসেন। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের গতি টু জি'তে নামানো হলে ই-মেইল আদান-প্রদান বা কিছু কিছু ওয়েবসাইটে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। হয়ে যাবে খুব ধীর গতির। ইন্টারনেটের গতি টু জি'তে নেয়া হলে কার্যত অচল হয়ে পরবে বিভিন্ন যোগাযোগের সফটওয়্যার ও অ্যাপ আরো পড়তে পারেন: বিটিআরসির কথা ফেসবুক কি আদৌ শোনে? যেভাবে ফেসবুক বা ইউটিউবে নজরদারি করবে সরকার ডিজিটাল নজরদারির প্রযুক্তি আনছে বাংলাদেশ "টু জি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে কাগজে কলমে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও কার্যকারিতার কথা বিবেচনা করলে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার মতই অবস্থার তৈরি হবে," বলেন তিনি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইন্টারনেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা; মূলত বিদেশে বসবাসরত ব্যক্তিরা ইন্টারনেটে কম খরচে বাংলাদেশে তাদের আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পরবেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে ই-কমার্স, এফ-কমার্স খাত ইন্টারনেট সেবা টু জি'তে নেমে আসলে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়বেন অনেক মানুষ। ইন্টারনেট না থাকায় কম খরচে যোগাযোগ অসম্ভব হয়ে পড়বে। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসার কাজে ঝামেলা পোহাতে হবে ব্যবসায়ীদের। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকও পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না বলে এফ-কমার্স খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান মি. হোসেন। তাঁর মতে, এর ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এফ-কমার্স বা ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলো। "ইন্টারনেটের গতি কয়েকদিনের জন্য কমালে সেসব দিনে যে ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে, সেবিষয়ে সন্দেহ নেই।" এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন বিদেশী আউটসোর্সিং সংস্থার সাথে ফ্রিল্যান্স ভিত্তিতে যারা কাজ করেন তারাও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মনে করেন মি. হোসেন। ইন্টারনেটের গতি কমলে তা প্রভাব ফেলবে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে প্রভাব পড়বে দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিলে অনেক জরুরি সেবা দেয়া-নেয়াও বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন মি. হোসেন। "আমরা এখন যাতায়াতের ক্ষেত্রে টিকিট কাটা, সরকারি বিভিন্ন সেবা দেয়া-নেয়া বা ব্যাংকের লেনদেনের ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। ইন্টারনেট সেবার মান ব্যাহত হলে এই ধরনের কার্যক্রমও ব্যাহত হবে।" মি. হোসেন বলেন, "যখন দেশের সব ধরনের সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচালনা করার লক্ষ্য নিচ্ছি আমরা, সেসময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া সেই লক্ষ্য অর্জনের পরিপন্থী একটি সিদ্ধান্ত।" ব্যাহত হবে গণমাধ্যমের কার্যক্রম নির্বাচনের সময় ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিলে গণমাধ্যমগুলো সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পরবে বলে মনে করেন মি. হোসেন। ইন্টারনেটের গতি কম থাকলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মূল কার্যালয়ে অডিও, ভিডিও বা ছবি পাঠানোর ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখীন হবেন গণমাধ্যম কর্মীরা। সেক্ষেত্রে সংবাদ সংগ্রহ ও সরবরাহের কাজ দারুণভাবে ব্যাহত হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে খবর প্রচারের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম ফেসবুক এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে খবর সংগ্রহ ও খবর প্রচার প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। "বাংলাদেশে কোনো খবর ছড়িয়ে পরার প্রধান মাধ্যম ফেসবুক। টেলিভিশন ক্যামেরা বা পেশাদার সাংবাদিকরা অনেকসময় বিভিন্ন ঘটনাস্থলে যেতে না পারলেও ফেসবুক লাইভ ফিচারের মাধ্যমে একজন মানুষ তার আশেপাশে কী ঘটছে তা তুলে আনতে পারেন সামাজিক মাধ্যমে।" ইন্টারনেটের গতি কমে গেলে এই ফিচার ব্যবহার করা সম্ভব হবে না; যার ফলে খবর সংগ্রহ ও খবর প্রচারের কাজ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন মি. হোসেন। নিরুৎসাহিত হতে পারেন বিনিয়োগকারীরা মাঝেমধ্যেই ইন্টারনেট বন্ধ করা বা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়ায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি এর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবও রয়েছে বলে মনে করেন মি. হোসেন। "সাম্প্রতিক সময়ে কোনো উন্নত দেশেই সঙ্কটের মুহূর্তে বা নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া বা গতি কমানোর নজির নেই; কিন্তু বাংলাদেশে মাঝেমধ্যেইএ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়," বলেন মি. হোসেন। সামান্য কারণে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত করে দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগে ইচ্ছুকদের নিরুৎসাহিত করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। "দেশী বা বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যখন দেখবে যে সামান্য কারণেই এখানে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয় বা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়া হয়, তখন তারা বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।" মি. হোসেন বলেন, "বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে যদি এরকম একটা ভাবমূর্তি তৈরি হয় যে বাংলাদেশে কিছুদিন পরপরই সামান্য কারণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তারা এখানে ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করবেন; যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে।" মইনুল হোসেনের মতে, "যতদিন পর্যন্ত আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করতে চাওয়ার প্রবণতা দূর করতে না পারবো, ততদিন আমাদের পক্ষে ডিজিটাল সেক্টরে পূর্ণ সক্ষমতা পাওয়া সম্ভব হবে না।" আরো পড়তে পারেন: গণতান্ত্রিক অধিকার হুমকির মুখে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইয়েমেনে সৌদি অভিযানের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনেট ড. কামালের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় কিছুদিনের জন্য ইন্টারনেটের গতি কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
পোল্যান্ডের সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথে চলে এই মহড়া। মার্কিন, ব্রিটিশ, পোলিশ ও অন্য নেটো সদস্য দেশের সেনাদের অংশগ্রহণে পোল্যান্ডের সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথে চলা এই সামগ্রিক মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে এনাকন্ডা সিক্সটিন। সামনে আসছে নেটো সম্মেলনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে এই মহড়া শুরু হলো। পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলোতে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা মোতায়েন করার ব্যাপারে এই সম্মেলন থেকে নেটো নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়ার দিক থেকে সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে উদ্বেগের পটভূমিতে চলছে এমন মহড়া। পোল্যান্ড থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, দু’বছর আগে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া নিয়ে রাশিয়া যে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছিলো তার পটভূমিতে সেখানে শক্তির জানান দিয়ে সদস্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে এই মহড়াকে। এমন শক্তির প্রদর্শনীতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার সীমান্তের এত কাছে নেটো সেনারা অবস্থান নিলে সেটি তার দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখা দেবে। মি.ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি নেটো যে সামরিক উপস্থিতি নিয়ে আসছে, অন্য দেশগুলোকেও যে ধরনের সেনা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসছে এই বিষয়টিকে রাশিয়া মোটেই ভালোভাবে দেখছে না এবং সে মনোভাব জানাতে রাশিয়ার কোন রাখঢাকও নেই। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়ার সার্বভৌম অধিকার ও শক্তি রয়েছে বলে মি:ল্যাভরভও জোরালোভাবে জানান দিয়েছেন। এনাকন্ডা সিক্সটিন নামের এই সামরিক মহড়া শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে এবং প্রতি দুই বছর অন্তর এটি হয়ে থাকে। তবে এবারের নতুন বিষয় হলো, প্রচলিত যে সব হুমকি আছে, সেগুলোর পাশাপাশি সাইবার হামলার মতন নতুন ধরনের হুমকি মোকাবেলায় নেটো কতটা সমর্থ সেটি যাচাই করে নেয়া। প্রায় ১২ হাজার পোলিশ, ১৪ হাজার মার্কিন এবং ১ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক এবারের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
নেটোর ইতিহাসে সবচাইতে বড় এই যৌথ সামরিক মহড়ায় ৩১ হাজারেরও বেশি সেনা অংশ নিচ্ছে।
নিচের অনুচ্ছেদের মূল সারসংক্ষেপ প্রদান করুন।
কিন্তু তারপরও হাসপাতালে থাকা অণুজীবের মধ্যে এখন বিশ্বের সবচেয়ে আতঙ্কজনক নামগুলোর মধ্যে একটি ক্যানডিডা অরিস। বিশ্বজুড়ে এই ফাঙ্গাসের আক্রমণে মহামারি দেখা দেয়ার উপক্রম হয়েছে। গবেষণা বলছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সংক্রমণের হার। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি বলছে, এর ঝুঁকি কমাতে হলে, এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণের শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা রয়েছে তা জানতে হবে। নতুন এই সুপার বাগ সম্পর্কে আপনাকে যা যা জানতে হবে তা হল- ক্যানডিডা অরিস কী? ক্যানডিডা অরিস বা সি. অরিস হচ্ছে এক ধরণের ইস্ট বা ফাঙ্গাস বা ছত্রাক যা মানব দেহে সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। সাধারণ ছত্রাক যেমন ক্যানডিডা অ্যালবিকান্সের মতো মুখ ও গলায় ক্ষত তৈরির মতো সংক্রমণ তৈরি করে এটি। ২০০৯ সালে জাপানে টোকিও মেট্রোপলিটন গেরিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর কানের ভেতর প্রথম পাওয়া যায় এই ছত্রাক। আরো পড়তে পারেন: আইসিইউ-তে মৃত ৮০ শতাংশ রোগীর শরীরে সুপারবাগ যেসব খাবারের মাধ্যমে দেহে ঢুকছে অ্যান্টিবায়োটিক গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আসে কীভাবে বেশিরভাগ সময়ই ক্যানডিডা ছত্রাক আমাদের ত্বকে কোন ধরণের ক্ষতি না করেই বসবাস করে। তবে আমরা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি কিংবা সংবেদনশীল কোন স্থান যেমন রক্তস্রোত কিংবা ফুসফুসে চলে গেলে এটি সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। ওষুধ প্রতিরোধী অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে অনেক দেশে গবেষণা চলছে কী ধরণের অসুস্থতা তৈরি করে এটি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সি. অরিস মানব দেহে রক্তপ্রবাহে সংক্রমণ তৈরি করে। এছাড়া নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ এবং ত্বকেও সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। এর সংক্রমণ বেশ মারাত্মক। সারা বিশ্বে,যারা সি. অরিসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন তাদের ৬০ ভাগই মৃত্যুবরণ করেন। এই ছত্রাক সাধারণত ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় এর সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও, অনেক সময়ই সি. অরিসের সংক্রমণকে অন্য কোন অসুস্থতা বলে ভুল করা হয়। যার কারণে দেয়া হয় ভুল চিকিৎসা। তার মানে হচ্ছে, এর ফলে রোগীকে হয় বেশিদিন ধরে চিকিৎসা নিতে হবে অথবা তার অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে পড়বে। "যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু হাসপাতালে এই ছত্রাকের সংক্রমণ মহামারি আকারে দেখা দেয়ায় পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের কাছে সহায়তা চাওয়া হচ্ছে," বলেন রোগ নিয়ন্ত্রণ প্র্যাকটিশনার ও ইউসিএল ক্লিনিক্যাল লেকচারার ডা. এলাইন ক্লাউটম্যান-গ্রিন। তিনি আরো বলেন: "হাসপাতালের পরিবেশে বেঁচে থাকে সি. অরিস। তাই একে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যেহেতু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন তাই এর সংক্রমণ সনাক্ত হলে তা রোগী এবং হাসপাতাল উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।" ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় সংক্রমণ পরিসেবা বিভাগের মেডিক্যাল অণুজীববিজ্ঞানী ডা. কলিন ব্রাউন দাবি করেন, "জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসেবা বিভাগের আওতায় যেসব হাসপাতালে সি. অরিসের সংক্রমণ অতিমাত্রায় দেখা দিয়েছে, সেসব হাসপাতালগুলোতে আসলে এই ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।" তিনি বলেন, "সি. অরিসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষজ্ঞ মতামত ও সংক্রমণ প্রতিরোধী নানা ব্যবস্থার বিষয়ে সহায়তা দিতে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে জনস্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে।" সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা নিয়ে কি চিন্তিত হওয়া উচিত? সাধারণত সি. অরিসের সংক্রমণ সচরাচর খুব একটা হয়না। তবে আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতাল কিংবা নার্সিং হোমে থাকেন, এবং চিকিৎসার কারণে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয় তাহলে সি. অরিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক সি. অরিসের সংক্রমণরোধী ভাল ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। যেসব রোগীদের দীর্ঘদিন ধরে থাকেত হয় তাদের ক্যানডিডা অরিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৬০ জন রোগী সি. অরিসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর জানিয়েছে, ধীরে ধীরে বিশ্বের অনেক দেশেই সি. অরিসের সংক্রমণের খবর মিলছে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই এই ছত্রাকের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিলে গ্রিসে এই সংক্রমণের খবর মেলে। সি. অরিস সাধারণ ওষুধ প্রতিরোধী কেন? যেসব রোগীরা সি. অরিসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই ফ্লুকোনজলের মতো সাধারণ ছত্রাক রোধী ওষুধ আর তেমন কাজ করছে না বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, এসব ওষুধ সি. অরিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে না। এ কারণে সি. অরিসের সংক্রমণের চিকিৎসায় অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত ছত্রাক রোধী ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে সি. অরিস। ডিএনএ পরীক্ষায় পাওয়া যায় যে, সি. অরিসের ছত্রাক রোধী ওষুধ প্রতিরোধক জিনের সাথে সি. আলবেনিয়ান্সের জিনের বেশ মিল রয়েছে। তার মানে হচ্ছে, ওষুধ প্রতিরোধী জিনগুলো এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের হাসপাতালের আইসিইউতে পাওয়া গেছে সুপার বাগের অস্তিত্ব সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধিকে জলবায়ু পরিবর্তন কিভাবে প্রভাবিত করেছে? এক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সি. অরিস ছত্রাক বেশি তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে বাধ্য হওয়ায় এর সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। বেশিরভাগ ছত্রাকই কম তাপমাত্রায় মাটিতে বসবাস করতে পছন্দ করে। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায়, উচ্চ তাপমাত্রার সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে সি. অরিস। আর এর কারণে, মানুষের দেহে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় তাদের জন্য মানব দেহে বেঁচে থাকা সহজ। সংক্রমণের সংখ্যা কমাতে কী করা যেতে পারে? সংক্রমণের সংখ্যা কমাতে হলে প্রথমেই সনাক্ত করতে হবে যে, এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে কারা রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা দানকারী কর্মীদের জানতে হবে যে, যারা চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে কাটান, তারাই এ ধরণের সুপার বাগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি থাকেন। সব হাসপাতালে সি. অরিস একইভাবে সনাক্ত করা হয় না। অনেক সময় এর সংক্রমণকে মুখ ও গলায় ক্ষতের মতো সাধারণ ছত্রাকের সংক্রমণ বলে মনে করা হয় এবং ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হলে প্রাথমিক পর্যায়েই সি. অরিসের সংক্রমণ সনাক্ত করা সম্ভব। আর এর ফলে সঠিক চিকিৎসা দেয়ার মাধ্যমে অন্য রোগীদের মধ্যে এর সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। সি. অরিস বেশ শক্তিশালী এবং এটি খোলা পরিবেশে অনেক দিন ধরে বেঁচে থাকতে পারে। সাধারণ ডিটারজেন্ট এবং সংক্রমণরোধী রাসায়নিক দিয়ে একে মেরে ফেলা যায় না। যেসব হাসপাতালে এই সুপার বাগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে সেখানে উপযুক্ত পরিষ্কারক রাসায়নিক ব্যবহার করে এর সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ডেঙ্গু জ্বর: ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ কতটা আছে ডিসি-র খাস কামরার সেক্স টেপ নিয়ে তদন্ত হবে ইলিশ গাইড: নদীর ইলিশ যেভাবে চিনবেন রোহিঙ্গারা আসার পর যেভাবে বদলে গেলো বিস্তীর্ণ ভূ-দৃশ্য
ওষুধ প্রতিরোধী ফাঙ্গাস বা ছত্রাক, নাম ক্যানডিডা অরিস, আবিষ্কৃত হয়েছিলো মাত্র ১০ বছর আগে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ফাইনালে খেলছে ক্রোয়েশিয়া, কিন্তু দেশটি সম্পর্কে হয়তো মানুষের খুব বেশি কিছু জানা নেই। স্বাগতিক রাশিয়াকে ছাড়াও তারা হারিয়েছে আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে। আগামী রবিবার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্সের। ইউরোপের ছোট্ট এই দেশটি সম্পর্কে আপনি যদি খুব বেশি কিছু জেনে না থাকেন, সেকারণে নিচে খুব সংক্ষেপে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। জন্ম ১৯৯১ সালে দেশটির জনসংখ্যা ৪০ লাখের সামান্য উপরে। রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই কোন না কোন ফর্মে এই ক্রোয়েশিয়ার অস্তিত্ব ছিল। তবে বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া নামের যে রাষ্ট্র, ১৯৯১ সালের আগে তার কোন অস্তিত্ব ছিল না। সেবছরের জুন মাসে আধুনিক এই রাষ্ট্রটি ইয়ুগোস্লাভিয়া থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্য ক্রোয়েশিয়া এবং দেশটির লোকসংখ্যা ৪০ লাখের সামান্য বেশি। সারা বিশ্বের সবকটি দেশের জনসংখ্যা হিসেবে করলে ক্রোয়েশিয়ার অবস্থান ওই তালিকার ১৩০ নম্বরে। এক তৃতীয়াংশ ঢাকা বনে জঙ্গলে প্লিৎভিচ লেক- ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা। ক্রোয়েশিয়ায় খুবই চমৎকার কিছু জাতীয় পার্ক আছে, আছে অপূর্ব কিছু লেক, যেখানে আপনি সাঁতার কাটতে পারেন। বনে জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বহু অসাধারণ ঝর্ণা। এমন সব বনাঞ্চল আছে ক্রোয়েশিয়ায়, যাতে কখনো আঁচড় পড়েনি। বিশ্বব্যাঙ্কের হিসেবে অনুসারে দেশটির তিন ভাগের একভাগ এলাকা জুড়ে আছে অরণ্য। ক্রোয়েশিয়ায় মোট আটটি জাতীয় পার্ক আছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি প্লিৎভিচ লেক। এটি ক্রোয়েশিয়ার বৃহত্তম লেক এবং জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্বের যেসব এলাকাকে ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে এই লেক তার একটি। ডালমাশিয়ান কুকুর ক্রোয়েশিয়া থেকে ডালমাশিয়ান কুকুর উৎস ক্রোয়েশিয়ার ডালমাশিয়া এলাকা। আরো পড়তে পারেন: লন্ডনে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ রাশিয়া বিশ্বকাপ: হুইলচেয়ারে ক্রোয়েশিয়া থেকে রাশিয়া পাকিস্তানে নির্বাচন: কেমন করবেন বেনজির পুত্র বিলাওয়াল বিরল ডালমাশিয়ান জাতের কুকুরের জন্ম ক্রোয়েশিয়ায়। বলা হয়, ডালমাশিয়া অঞ্চলে এর উৎপত্তি। সাদা চামড়ার শরীরে কালো কালো স্পটের জন্যে বিখ্যাত এই প্রজাতির কুকুর। ষোড়শ শতাব্দীতে আঁকা পেইন্টিংসে এবং গির্জার ক্রনিকেলেও এই কুকুরটিকে দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের আর কোথাও এই কুকুরটির মতো অন্য কোন কুকুর দেখতে পাওয়া যায় না। এবং ডালমাশিয়াতে এর উৎপত্তি বলেই এর নামকরণ করা হয়েছে ডালমাশিয়ান। গেম অফ থ্রোন্সের শহর ক্রোয়েশিয়ায় ডুব্রোভনিক শহরে পর্যটকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে গেম অফ থ্রোন্সের কারণে। গেম অফ থ্রোন্স এমন এক কল্পরাজ্য যাতে আছে বহু ড্রাগন এবং হোয়াইট ওয়াকার। কিন্তু এটা একেবারেই স্বপ্নের কোন জগত নয়। 'ওয়েস্টেরস' নামের কাল্পনিক ওই দেশের রাজধানী 'কিংস ল্যান্ডিং' এর অস্তিত্ব যেন আছে ক্রোয়েশিয়ারই একটি শহরে, আর সেই শহরটির নাম ডুব্রোভনিক। এই শহরেই গেম অফ থ্রোন্স সিনেমার প্রায় পুরোটা অংশ চিত্রায়ন করা হয়েছে। প্রাচীণকালের ঐতিহ্যবাহী গথিক ও রেনেসাঁ গির্জার জন্যে বিখ্যাত এই শহর। আছে অপূর্ব নৈসর্গিক সব দৃশ্য। গেম অফ থ্রোন্সের জনপ্রিয়তার কারণে এই শহরে পর্যটকেরও সংখ্যাও অনেকে বেড়ে গেছে। ক্রাভাত টাই-এর জন্মও ক্রোয়েশিয়ায় রাজধানী জাগরেবে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রাভাত দিবস। একটি বিশেষ ধরনের টাই - ক্রাভাত। পরা হয় গলার চারপাশে। এটি অনেকটা আধুনিক কালের 'নেকটাই' কিম্বা 'বো টাই' এর মতো। বহু ভাষাতেই হয়তো এই টাই-এর আদি শব্দ হিসেবে ক্রোয়াতা শব্দটিকে পাওয়া যাবে। সপ্তদশ শতাব্দীতে যে 'থার্টি ইয়ার্স ওয়ার হয়েছিল' সেসময় ফরাসী সেনাবাহিনীতে ক্রোয়েশিয়ানরা তাদের গলায় এই কাপড়টি পেঁচিয়ে রাখতো। সেখান থেকেই এই ক্রাভাত টাই এর জন্ম। দেশটিতে প্রতিবছর ১৮ই অক্টোবর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক ক্রাভাত দিবস হিসেবে। নিজেদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি তুলে ধরতে ক্রোয়েশিয়ার নাগরিকরা বিশেষ এই দিনটিতে গলায় নেকটাই পরে থাকেন।
অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন নি যে ক্রোয়েশিয়ার মতো একটি দল রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে যাবে...কিন্তু তারা গেছে।
প্রদত্ত দীর্ঘ নিবন্ধ পড়ার পর, এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ দিন।
পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে মাইক পম্পেওর এই সফরকে গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ফলে এ বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের পুনরুদ্ধারের চেষ্টাই চলছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু এখনো দুই দেশের মধ্যে মতাদর্শের কিছু পার্থক্য রয়ে গেছে, বিশেষ করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে। তাছাড়া, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের জন্য বিলিয়ন ডলার সাহায্য বাতিল করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালেবানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান, যা দেশটি বরাবর প্রত্যাখ্যান করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মাইক পম্পেও। এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কতটা গলাতে পারবে? পাকিস্তানের ডেইলি নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ''দুই দেশের কর্মকর্তারাই বিশ্বাস করছেন যে, সে সম্পর্ক প্রায় ভেঙ্গে গেছে, সেটি নতুন ভাবে শুরু করার জন্য উভয় দেশই রাজি আছে। আসলে আগে পাকিস্তানের কর্ণধারদের সঙ্গে আমেরিকার কর্মকর্তাদের কথা হতো, তখন আমেরিকান কর্ণধাররা মনে করতেন, তারা যেটি চাইবেন, সেটিই পাকিস্তান মেনে নেবে। তবে এখন পরিষ্কার হয়েছে যে, পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে জনগণের একটি সম্পর্ক রয়েছে এবং পাকিস্তানের ওপর জোর করে কিছু করা যাবে না।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'আমাকে জোর করে আনা হয়েছে, আর আসবো না' বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বৈঠকে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে? পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটে আইএমএফের একটি বেল আউটের বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। মনির আহমেদ বলছেন, ''আগে ওয়াশিংটন আভাস দিয়েছিল যে, তাতে তারা বাধা দিতে পারে। তবে পাকিস্তানে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যে এরকম বেল আউটে তারা কোন বাধা দেবে না। তবে পাকিস্তান শেষপর্যন্ত এই বেল আউটে যাবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।'' ''সম্প্রতি যে তিনশো মিলিয়ন ডলার কোয়ালিশন সহায়তা তহবিল বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, সেটিও এই বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে। তবে এখানে এসে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একেবারে বলছেন না যে, ওই তহবিল একেবারে বন্ধ হয়েছে। তারা বলছেন, এটা আবার যেকোনো সময় খুলে দেয়া হবে পারে। তারা চাইছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যে স্বার্থ, সেটি পাকিস্তান বুঝবে। বিশেষ করে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার, সেগুলো তারা দেবে।'' পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর পাকিস্তানের নতুন সরকার কতটা ছাড় দেবে? ইমরান খান এবং মাইক পম্পেও'র বৈঠকে অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং আফগানিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে,আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালেবানের ওপর প্রভাব কাজে লাগাবে পাকিস্তান। সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ''পাকিস্তান একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে, আমেরিকা যা চাইছে, তাতে তাদের আপত্তি নেই। তবে ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম দেশ, সুতরাং পাকিস্তানের যেসব স্বার্থ রয়েছে, সেটাও যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রকে মেনে নিতে হবে। আমেরিকা চাইছে, তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'আমাকে জোর করে আনা হয়েছে, আর আসবো না' বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
ইরানের হয়ে অলিম্পিকস পদক জেতা প্রথম নারী খেলোয়াড় কিমিয়া আলীজাদেহ একুশ বছর বয়সী মিস আলীজাদেহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, তিনি ইরান ত্যাগ করেছেন কারণ তিনি "ভণ্ডামি, মিথ্যা, অবিচার এবং চাটুকারিতার অংশ হতে চান না"। তিনি নিজেকে "ইরানের লাখ লাখ নিপীড়িত নারীদের একজন" বলে বর্ণনা করেন। যদিও খবরে বলা হয়েছে তিনি নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, কিন্তু আলীজাদেহ তার বর্তমান অবস্থান প্রকাশ করেননি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকসে তায়কোয়ান্দোতে ইরানের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়েন আলীজাদেহ। কিন্তু ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখছেন ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি তার সেই সাফল্যকে প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য ব্যবহার করেছে। এমন সময় তিনি এই পক্ষত্যাগের ঘোষণা দিলেন যখন ভুল করে যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার ইস্যুতে ইরানে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কর্মকর্তারা 'আমাকে অপদস্থ করেছে' তিনি লেখেন, "আমি সেইসব লাখ লাখ নিপীড়িত নারীর একজন, ইরান যাদের নিয়ে বছরের পর বছর ধরে খেলেছে"। "তারা আমাকে যা লিখতে বলেছে তাই লিখেছি। তাদের নির্দেশমতোই বলেছি। তাদের নির্দেশিত প্রত্যেকটি লাইন আমাকে বলতে হয়েছে। তাদের কাছে আমাদের কোন গুরুত্ব নেই। আমরা স্রেফ উপকরণ"। তিনি আরো লেখেন, যদিও সরকার তার সাফল্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে, কিন্তু কর্মকর্তারা তাকে নানাভাবে কথার প্যাচে ফেলে অপদস্থ করতো। যেমন তারা বলতো, 'ধার্মিক নারীদের পা ছড়ানো উচিত না'। ইউরোপে নিমন্ত্রণ পাওয়া কিংবা কোন লোভনীয় প্রস্তাব পাওয়ার অস্বীকার করেছেন আলীজাদেহ। তিনি কোন দেশে গেছেন সেটাও নিশ্চিত করেননি। গত সপ্তাহে যখন আলীজাদেহর পালিয়ে যাবার খবর প্রথম চাউর হয় তখন ইরানীরা চমকে ওঠে। ইরানী রাজনীতিবিদ আবদোলকরিম হোসেইনজাদেহ ইরানের 'মানবসম্পদ পালিয়ে যাবার' জন্য দেশটির 'অযোগ্য কর্মকর্তাদের' দায়ী করেন। বৃহস্পতিবার আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনা খবর দেয়, "ইরানের তায়কোয়ান্দোতে আঘাত। কিমিয়া আলীজাদেহ নেদারল্যান্ডসে অভিবাসী হয়েছেন"। সংস্থাটি আরো খবর দিচ্ছে, আলীজাদেহ ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকসে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে সেটি ইরানের হয়ে নয়। ইরান ত্যাগের ইচ্ছের ঘোষণা দেয়া এই নারী ক্রীড়াবিদ অবশ্য তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাননি। তবে বলেছেন, তিনি যেখানেই থাকেন না কেন সবসময় 'ইরানের সন্তান'ই থাকবেন। আরো খবর: ফিলিপিন্সের আগ্নেয়গিরিতে 'বিপজ্জনক অগ্নুৎপাতের' আশঙ্কা একুশ বছর ধরে বাসে ঘুমিয়েছেন 'নাইট রাইডার' দাবানলের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ
ইরানের একমাত্র নারী অলিম্পিক পদকজয়ী কিমিয়া আলীজাদেহ বলেছেন তিনি পক্ষত্যাগ করেছেন।
এই লেখাটির সারাংশ প্রদান কর।
মঙ্গল গ্রহ থেকে রোভারের পাঠানো প্রথম ছবি - সামনের দিকের ছবি। রোভারের রোবট হাতের ছায়া পড়েছে ক্যামেরার লেন্সে গ্রহের বিষুব অঞ্চল, যার নাম জেযেরো, তার কাছে গভীর এক গহ্বরে এই রোবটকে নামানো হয়েছে। নভোযানটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তে উল্লাসে ফেটে পড়েন ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার মিশন কন্ট্রোলের প্রকৌশলীরা। ছয় চাকার এই রোবটযান আগামী দু'বছর মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে। প্রাচীন হ্রদ এলাকার মাটিপাথরের মধ্যে খনন চালিয়ে এটি অতীত অণুজীবের অস্তিত্ব সন্ধানের কাজ করবে। ধারণা করা হ,য় জেযেরোয় কয়েকশো' কোটি বছর আগে বিশাল একটি হ্রদ ছিল। সেই হ্রদে ছিল প্রচুর পানি, এবং খুব সম্ভবত সেখানে প্রাণের অস্তিত্বও ছিল। পারসিভেয়ারেন্সের রোবটযানটি প্রথম যে দুটি ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, সে দুটি তোলা হয়েছে দুর্বল শক্তির প্রকৌশলী ক্যামেরা দিয়ে। ক্যামেরার লেন্সে ধুলার আস্তরণের মধ্যে দিয়ে পারসিভেয়ারেন্সর রোভার অর্থাৎ ওই রোবটযানের সামনে ও পেছনে সমতল ক্ষেত্র দেখা যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রোবটযানটি জেযেরোর ব-দ্বীপের মত চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। এই এলাকাতেই পারসিভেয়ারেন্স তার সন্ধান কাজ চালাবে। জেযেরো গহ্বর যেখানে নেমেছে পারসিভেয়ারেন্সের রোবট চালিত রোভার জেযেরো গহ্বর নিয়ে বিজ্ঞানীরা কেন এত উৎসাহিত? পয়তাল্লিশ কিলোমিটার চওড়া জেযোরো-র নামকরণ করা হয় বসনিয়া-হের্যেগোভিনা শহরের নামে। স্লাভিক অঞ্চলের কোন কোন দেশের ভাষায় "জেযেরো" শব্দের অর্থ হলো "হ্রদ"। হয়ত সে কারণেই এই নামকরণ। জেযেরোতে বিভিন্ন ধরনের পাথর রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মাটিপাথর এবং কার্বোনেটস। বিজ্ঞানীদের উৎসাহের কারণ হলো, এ ধরনের পাথরের যেকোন রকম অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে সূদুর অতীতে এই গ্রহে যদি প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকে, তাহলে এই পাথরের মধ্যে তার ইঙ্গিত মেলার আশা করছেন তারা। প্রাচীন হ্রদের যেটা তীর ছিল, সেখানে পলির মত যে সেডিমেন্ট রয়েছে - যাকে বলা হচ্ছে "বাথটাব রিং"। বিজ্ঞানীরা সেটা বিশ্লেষণ করতে বিশেষভাবে আগ্রহী। পৃথিবীতে যেটাকে স্ট্রোমাটোলাইট বলা হয়, এখানে তার সন্ধান চালাবে পারসিভেয়ারেন্স। স্ট্রোমাটোলাইট হল ব্যাকটেরিয়ার নিঃসরণ থেকে তৈরি জমাট বাধা পদার্থ। পৃথিবীতে প্রাণের প্রথম অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল স্ট্রোমাটোলাইটের জীবাশ্ম থেকেই। "কোন কোন হ্রদে দেখা যায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণুর আস্তরণ, এবং কার্বোনেটের মধ্যে রাসায়নিক যোগাযোগের ফলে এধরনের বিশাল শিলাখণ্ডের স্তর তৈরি হয়," ব্যাখ্যা করেছেন ইন্ডিয়ানার পারডিউ ইউনিভার্সিটির ড. ব্রিওনি হর্গান। "জেযেরোতে যদি একই ধরনের কাঠামোর সন্ধান পাওয়া যায়, সেটা এই গবেষণায় আমাদের জন্য নতুন পথ খুলে দেবে। সেটা হবে মঙ্গলের জৈব-জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার," বিবিসিকে বলছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: অতি আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে রোভার আগামী দুবছর কাজ করবে মঙ্গলের বুকে মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান চালানো হবে কীভাবে? বর্তমানে মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া বেঁচে থাকার অনুকূল নয়। সেখানে আবহাওয়া এতই ঠাণ্ডা যে পানি সেখানে তরল অবস্থায় থাকতে পারে না। বায়ুমণ্ডলও এতই পাতলা যে চড়া আলোকরশ্মির বিকিরণ মাটির উপরিভাগের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলে। কিন্তু সবসময় মঙ্গলের পরিবেশ এমনটা ছিল না। সাড়ে তিনশ কোটি বছর কিংবা তারও আগে সেখানে পানি প্রবাহ ছিল। বিভিন্ন যেসব খাঁড়ি দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো, তার ছাপ এখনও গহ্বরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। ক্ষতিকর বিকিরণ ঠেকানোর জন্য আবহাওয়া মণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘন আস্তরণও ছিল। প্রাণের অস্তিত্বের জন্য যেহেতু পানি গুরুত্বপূর্ণ, তাই মনে করা হয় মঙ্গল গ্রহে একসময় জীবন ছিল। মঙ্গলের মাটিতে এখনও কোন প্রাণের লক্ষণ আছে কিনা, তা দেখতে ১৯৭০য়ের দশকে ওই গ্রহে ভাইকিং নামে একটি মহাকাশ মিশন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের ফলাফল কিছু প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। অতীত মিশন নাসা 'মার্স এক্সপ্লোরেশন রোভারস' নামে একটি মহাকাশযান ২০০০এর প্রথম দিকে মঙ্গল গ্রহে পাঠিয়েছিল "পানির সূত্র" ধরে অনুসন্ধানের কাজে। অপারচুনিটি এবং স্পিরিট নামে দুটি মিশন তরল পানির উপস্থিতি সম্পর্কে ব্যাপক ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছিল। কিউরিওসিটি রোভার ২০১২ সালে মঙ্গলে অবতরণ করেছিল এবং গহ্বরের যে অংশে সেটি নেমেছিল, সেটি একসময় পানিতে ভরা ছিল এবং দেখেছিল যে সেখানে জীবনের অস্তিত্ব থাকার উপকরণ রয়েছে। ওই রোভার এমন জৈব অণুর সন্ধান পেয়েছিল যাতে জীবনধারণের উপযোগী কার্বন রয়েছে। এখন পারসিভেয়ান্স তার অতি উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রসরঞ্জাম দিয়ে একই ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চালাবে আগামী দুই বছর। ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার গবেষণাগারে এই পারসিভেয়ারেন্স মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট বিজ্ঞানী কেন উইলিফোর্ড বলেছেন, "ভাইকিং মিশনের পর এটাই এই গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানের কাজ চালাচ্ছে"। "ভাইকিং-এর কাজ ছিল মঙ্গল গ্রহে এই মুহূর্তে প্রাণের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা তা দেখা। আর নাসার এই বর্তমান মিশনে লক্ষ্য হচ্ছে মঙ্গলের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। কারণ যেসব তথ্য উপাত্ত আমাদের হাতে রয়েছে, তা থেকে এটা পরিষ্কার যে প্রথম কয়েকশো' কোটি বছরে মঙ্গল গ্রহ জীবন ধারণের জন্য সবচেয়ে উপযোগী গ্রহ ছিল।" আগামীর পরিকল্পনা পারসিভেয়ারেন্স সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পাথরের নমুনা এখন সংগ্রহ করবে এবং ছোট ছোট টিউব বা সিলিন্ডারে ভরে সেগুলো মঙ্গলের পৃষ্ঠে রেখে আসবে। এই দশকের শেষে সেই সিলিন্ডারগুলো পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য কয়েকশো' কোটি ডলারের একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা (ইএসএ)। সেটি হবে জটিল একটি মিশন। এর জন্য পাঠানো হবে দ্বিতীয় একটি রোভার - মঙ্গলে পাঠানো হবে একটি রকেট এবং একটি বিশাল উপগ্রহ, যেগুলোর মাধ্যমে জেযেরো থেকে সংগৃহীত সব নমুনা পৃথিবীতে আনা হবে বিশ্লেষণ ও গবেষণার জন্য। পারসিভেয়ারেন্স অণুজীবের অস্তিত্বের কোন নমুনা যদি সংগ্রহও করতে পারে, যা মঙ্গল গ্রহে জীবনের অস্তিত্বের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে, তা নিয়ে নিঃসন্দেহে অনেক কাটাছেঁড়া হবে - এসব তথ্যপ্রমাণের বিশ্বাসযাগ্যতা নিয়ে তৈরি হবে নানা বিতর্ক, ঠিক যেভাবে পৃথিবীতে প্রাণের প্রথম অস্তিত্ব নিয়ে অনেক বিতর্ক এখনও আছে। তাই এই গ্রহে অতীত জীবনের অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের নানা গবেষণা ও তথ্যপ্রমাণের চুলচেরা বিশ্লেষণ মানুষের জন্য আগামী বহু বছর ধরে আগ্রহের বিষয় হয়ে থাকবে। তবে নাসার গবেষণাগার জেট প্রোপালসান ল্যাবের পরিচালক মাইক ওয়াটকিন্স বলেছেন, "এই মিশনের প্রথম কয়েকদিন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হবে। কারণ এই প্রথম মঙ্গল গ্রহের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশে পৃথিবীর প্রথম প্রতিনিধি গিয়ে পৌঁছেছে, যেখানে আগে কেউ যায়নি।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: যেভাবে কাজ করবে ঢাকায় চীনা হুয়াওয়ের আইসিটি অ্যাকাডেমি আল জাজিরার প্রতিবেদন সরিয়ে নিতে কি গুগল ও ফেসবুক বাধ্য? আল জাজিরার প্রতিবেদন: যেসব আলোচনা হচ্ছে আওয়ামী লীগের মধ্যে
রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর নাসার মহাকাশযান পারসিভেয়ারেন্স-এর রোবট সফলভাবে মঙ্গল গ্রহের বুকে নামার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাতে শুরু করেছে।
এই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
আসামের বিভিন্ন জেলায় লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় বেরনো মানুষকে পুলিশের জেরা ও শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে সশরীরে নয়, আজ ফিরছে তার মরদেহ, কারণ পয়লা জুলাই জেলবন্দী অবস্থাতেই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বকুল মিয়া। আরও ২৫ জনের সঙ্গে ধুবড়ি জেলায় বকুল মিয়া ধরা পড়েছিলেন মে মাসের গোড়ার দিকে। তারা আসামের জোড়হাট থেকে একটি ছোট ট্রাক ভাড়া করে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধ সীমান্তের দিকে আসছিলেন। সেই সময়ে ভারতে লকডাউন চলছিল। লকডাউনের মধ্যে কোথায় যাচ্ছেন এতজন একসঙ্গে, সেই খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে তারা বাংলাদেশের নাগরিক। দেশে ফেরার সুযোগ দিচ্ছে ভারত সরকার - সেকথা জেনেই তারা সীমান্তের দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয় বকুল মিয়া সহ ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে। তার জামাই জলিল মিয়া যখন শ্বশুরের মৃতদেহ আনতে সীমান্ত চৌকির দিকেই যাচ্ছিলেন সেই সময়েই তার সঙ্গে ফোনে বিবিসি বাংলার কথা হয়। জলিল মিয়া বলছিলেন, "আমি মানছি তারা লকডাউন অমান্য করেছিল। কিন্তু তার জন্য রিমান্ডে নিতে হবে, এটাই কি বিধান? তাদের সবার তো বৈধ ভিসা ছিল!" পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন বকুল মিয়া ওই ঘটনার পরেই ধুবড়ির পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছিল ধৃতদের জেরা করে তারা জানতে পেরেছে যে পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে এসে তারা রোজগার করছিলেন। সেটা ভিসার নিয়ম ভঙ্গ। সেজন্যই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ও বর্ডার ভিক্টিমস লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফোরামের নেতা অ্যাব্রাহাম লিঙ্কন বলছিলেন, তারা কাজ করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু লকডাউনের মতো অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে পরে জীবনধারনের জন্য বাধ্য হয়েছিলেন রোজগার করতে। "আমি যদি ধরেও নিই যে তারা পর্যটক ভিসার শর্ত ভেঙ্গে সেখানে কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য কিন্তু কাজ করে নি। লকডাউনের সময়ে তারা যে পরিবারগুলোতে ছিলেন, সেখানকার মানুষ যেমন কাজ করেছেন, এই বাংলাদেশিরাও সেরকমই কাজে হাত লাগিয়েছেন, উপার্জন করেছেন। লকডাউনের মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য তাকে রোজগার করতে হয়েছে," বলছিলেন মি. লিঙ্কন। তিনি বলেন, "আমি মনে করি ভারত রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের দেশের সুসম্পর্কের কথা মাথায় রেখে ওই ২৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত। দুই দেশের জন্য একটা ভাল উদাহরণ হবে সেটা।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারতে লকডাউনে আটকে পড়েছেন বহু বাংলাদেশি, ফিরতে মরিয়া কভারতে আটকে-পড়া বাংলাদেশিদের সেখানেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছে দূতাবাস বিভিন্ন কারণে ভারতে গিয়ে লকডাউনের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন অনেক বাংলাদেশি, যেমন চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভেলোরে আটকে পড়েন রাজু আহমেদ এবং তার চাচা এদের দেশে ফেরানোর দাবি যেমন বাংলাদেশে উঠেছে, তেমনই বিষয়টা পৌঁছিয়েছে ভারতের মানবাধিকার কমিশনেও। মানবাধিকার সংগঠন মাসুম সেই অভিযোগে কী জানিয়েছে, সেটাই বলছিলেন সংগঠনটির প্রধান কিরীটি রায়। "বকুল মিয়ার মৃত্যুকে হত্যাই বলব আমি। সেখানে পুলিশ প্রশাসন একটা গর্হিত কাজ করেছে। হেপাজতে কারও মৃত্যু হলে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করাতে হয়। কিন্তু সেটা না করে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্ত হয়েছে, যিনি প্রশাসনের অঙ্গ। ''বকুল মিয়ার বিষয়টা আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের অভিযোগটা গ্রহণ করে আসামের মুখ্য সচিব, ধুবড়ির জেলা শাসক আর পুলিশ সুপারিন্টেডেন্টের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে," বলছিলেন কিরীটি রায়। গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাস দেখা করেছে বন্দীদের সঙ্গে। জেলার লিগ্যাল এইড সেল থেকে এদের হয়ে লড়ার জন্য আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। আবার মানবাধিকার সংগঠনগুলোও আলাদা আইনজীবী দিয়েছে। আগামী সোমবার মামলার শুনানির দিন। বকুল মিয়ার জামাই জলিল মিয়ার আশা, তার শ্বশুর তো জীবিত অবস্থায় ফিরতে পারলেন না, বাকিরা যেন দ্রুত ফিরে আসেন।
আসামের ধুবড়ি জেলায় কারাগারে প্রায় দুমাস আটক থাকার পরে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বকুল মিয়ার আজ শনিবার দেশে ফেরার কথা।
প্রদত্ত অনুচ্ছেদের সারসংক্ষেপ কি?
সৌদিগামী যাত্রীদের অনেকেই বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন। কয়েকটি এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা সকালেই সৌদি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল এয়ারলাইন্সের জন্য জারি করা নির্দেশনাটি পেয়েছেন। এরপর থেকে তারা ফোন করে যাত্রীদের জানানো শুরু করেছেন। পরবর্তী নোটিশ না আসা পর্যন্ত ওমরাহ ও ভিজিট ভিসাপ্রাপ্ত যাত্রীদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। ঢাকার বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, কিছু এয়ারলাইন্স যাত্রীদের বিমানে উঠিয়েও পরে তাদের নামিয়ে নিয়েছে। আর অনেক এয়ারলাইন্স চেক ইন করছে না বা বোর্ডিং কার্ড দিচ্ছে না। হজ এজেন্সি এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি সাহাদাৎ হোসেন তসলিম জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আজ সকাল থেকে ওমরাহ করার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে যারা গেছেন তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বাংলাদেশের তিনটি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান যাতায়াত করে। সৌদি আরবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরা প্রতিরোধ করতে সতর্কতা হিসেবে বিদেশিদের জন্য ওমরাহ করার সুবিধা স্থগিত করার পর সমস্যা শুরু হয়েছে। তিনি বলছেন, বাংলাদেশের যে তিনটি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান যাতায়াত করে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সবগুলো বিমানবন্দরে প্রায় এক হাজারের মতো সৌদিগামী যাত্রী আটকে পড়েছেন। ঢাকাতেই এই সংখ্যা ৫০০ মতো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সাহাদাৎ হোসেন তসলিম বলছেন, "এই মুহূর্তে ১০ হাজার লোকের ওমরাহ ভিসা করা আছে আর তাদের অর্ধেকেরই টিকেট করা হয়ে গেছে। এখন তাদের যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।" তিনি বলছেন, "ওমরাহ ভিসা সাধারণত ১৫ দিনের জন্য দেয়া হয়ে থাকে। ভিসা করার সময়ই হোটেল বুকিং দেখাতে হয়। এখন সৌদি সরকার কবে এই স্থগিতাদেশ তুলে নেবে তা নিশ্চিত নয় বলে ওই দশ হাজার ব্যক্তি যেতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।" এবারের হজের উপর কোন প্রভাব পড়বে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। ঢাকার বাসিন্দা সুমাইয়া খান আশা পরিবারের আটজনসহ ওমরাহ করতে যাওয়ার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করে ফেলেছিলেন। তিনি বলছেন, "আমাদের টিকেট ও হোটেল কনফার্ম ছিল। অর্ধেকের মতো টাকা দেয়া হয়ে গেছে। মার্চের ১১ তারিখ যাওয়ার কথা ছিল। এখন বাসা থেকে এয়ারলাইন্স অফিসে গেছে খবর নিতে। আজ সকালটা শুরুই হয়েছে এই খবর দিয়ে। ওমরাহ করতে যাবো বলে ছুটিও নেয়া হয়েছে। এখন সবচেয়ে বেশি হতাশ আমার মা।" সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে আজই বিদেশিদের জন্য ওমরাহ করার সুযোগ স্থগিত করেছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশংকায় এটি করা হয়েছে যেহেতু সৌদি আরবের প্রতিবেশী অন্তত চারটি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। একই সাথে ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস ধরা পরেছে এমন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেশগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি মদিনায়ও প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য খবর: দিল্লির দাঙ্গা উপদ্রুত জাফরাবাদে যা দেখছেন বিবিসির সংবাদদাতা বিবিসির জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ২০তম স্থানে সোহরাওয়ার্দী বাংলা ভাষা সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন?
ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার কোন ফ্লাইট ওমরাহ ও সৌদি ভিজিট ভিসাপ্রাপ্ত যাত্রীদের নেয়নি।