content
stringlengths 0
129k
|
---|
ভারতের দিকে চোখ তুললেই তালেবানের ওপর বিমান হামলা: যোগী আদিত্যনাথ
|
নিউজিল্যান্ডের সামনেও উড়ে গেল কোহলিরা
|
১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু
|
< ="://.//446180′′ ="_">< ="://..////240400_1." =". - "></>
|
তথ্যপ্রযুক্তি
|
তথ্যপ্রযুক্তি
|
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গণ
|
সাক্ষাতকার
|
আমাদের পরিবার
|
ভিডিও গ্যালারী
|
ফটো গ্যালারী
|
: ( ). : . : . : .
|
:- -99 ( ) -1212. :() 01792 55 55 52. : 24@.,.24@.
|
১৮ মাস পর সশরীরে ক্লাসে ফিরে উচ্ছ্বসিত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) শিক্ষার্থীরা বান্দরবানে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহন, ১০কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার মৌসুমী হামিদকে সন্দেহ করার মাশুল দিলো নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন হচ্ছে : আইনমন্ত্রী বিদ্রোহী প্রার্থীর চাপে কোনঠাসা নৌকা প্রার্থীরা ভারতে বেড়েছে করোনা, নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা লুফে নিতে বিদেশী বিনিয়োগকারিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান বিশ্বে একদিনে বিশ্বব্যাপী ৫ হাজারের বেশি মৃত্যু পিছিয়ে গেল আবরার হত্যার রায় তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আজ
|
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি © © 2011 24
|
স্বাধীন পাকিস্তানের স্বপ্ন যখন মানুষের মধ্যে দানা বেঁধেছিল তখন মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল স্বাধীন পাকিস্তান গঠিত হলেই আমাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব, আমরা প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারব! এই বিশ্বাস হেতু 1940 সালের 23 শে মার্চ মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে শেরে বাঙ্গাল এ কে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রস্তাব উত্থাপন করেন
|
সেইসঙ্গে এটা নিশ্চিত হয় ভারত আর এক দেশ থাকবে না বরং তা দ্বি-খন্ডিত হওয়ায় ভবিতব্য! 1943 সালে শুরু হয় 'পঞ্চাশের মন্বন্তর'(১৩৫০ বঙ্গাব্দ) এই মন্বন্তরে প্রায় তিরিশ লক্ষের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়
|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার ফলে ব্রিটিশরা খাদ্য সামগ্রী যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেরণ করে এর ফলে দেশে তীব্র দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় কিন্তু তাতে কারোর বিশেষ ভ্রুক্ষেপ ছিল না
|
সকলে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ব্যস্ত থাকে
|
1946 সালের 16 ই আগস্ট মুসলিম লীগের 'লাড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান' এই ধ্বনিতে কলকাতায় গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং শুরু হয়
|
এই সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন (তৎকালীন প্রান্তের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী বলা হত, সেই অর্থে আজকের মুখ্যমন্ত্রীর সমতুল্য)
|
তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই দাঙ্গাটি হিন্দুদের বিরুদ্ধে পরিচালিত করেন
|
এই অভিযোগ অনেকাংশেই সত্য প্রমাণিত হয়
|
18 ই আগস্ট পর্যন্ত চলা এই নারকীয় হত্যাকান্ডে প্রায় পাঁচ থেকে দশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়
|
সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল ভবিষ্যৎ কিন্তু এই নেতা আবার মহাত্মা গান্ধীর সহযোগিতায় হিন্দু মুসলমান ঐক্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন
|
চাঞ্চল্যকর তথ্য হল পাকিস্তান গঠিত হলেও তিনি পাকিস্তানে যান নি বরং কলকাতায় থেকে যান
|
1949 সালে তৎকালীন ভারত সরকার তার উপর ক্রমবর্ধমান করের বোঝা চাপালে তিনি ভারত ত্যাগ করে পাকিস্তান চলে যেতে বাধ্য হন
|
মুসলিম লীগের অন্যতম ছাত্র নেতা ও সোহরাওয়ার্দীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকেই এই দাঙ্গায় সোহরাওয়ার্দীর সহযোগি হিসাবে মনে করেন
|
যদিও এর বিরুদ্ধ মত ও আছে তাদের মতে ছাত্রনেতা মুজিবুর রহমান তখন এতটা গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না
|
তবে যাইহোক এই দাঙ্গায় মুজিবের কতটা অংশগ্রহণ ছিল তা তর্কসাপেক্ষ বিষয় তবুও সোহরাওয়ার্দির অনুগামী হিসাবে কাজ করার জন্য তার ভাবমূর্তি অনেকাংশে কালিমালিপ্ত হয়েছে এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই! তবে এটা ঐতিহাসিক সত্য এই পর্বে মুজিবুর রহমান পাকিস্তান প্রস্তাবের কট্টর সমর্থক ছিলেন এবং জীবন পন করে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করেছিলেন
|
এরপরে দাঙ্গা নোয়াখালী, বিহার, বোম্বাই সমেত পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং জাতীয় কংগ্রেস দেশভাগের প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হয়
|
শেষের দিকে সোহরাওয়ার্দী ও শরৎ বসু জিন্নার অঙ্গুলিহেলনে 1947 সালের 27 শে এপ্রিল অখণ্ড স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা পেশ করেন
|
বলাই বাহুল্য এই প্রস্তাব কংগ্রেস গ্রহণ না করার ফলে অখণ্ড বাংলার স্বপ্ন অধরা থেকে যায়
|
শেষে 1947 সালের 15 আগস্ট ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়
|
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস 14 ই আগস্ট উৎযাপন করা হয়, অন্যদিকে ভারতে 15 ই স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়
|
একরাশ স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানের জন্ম হয়
|
নবগঠিত পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন কায়ইদে আজম মহম্মদ আলি জিন্না, পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন লিয়াকত আলি খান এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি হন ইস্কান্দর মির্জা
|
পাকিস্তান পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই ভাগে বিভক্ত ছিল
|
পূর্ববঙ্গের বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষদের স্বাধীনতার স্বপ্ন খুব দ্রুতই কঠোর বাস্তবের সম্মুখীন হতে থাকে
|
পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষরা পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণকে হীন দৃষ্টিতে দেখত তাদের ধর্ম, বর্ণ ভাষাকে নিম্ন শ্রেণীর মনে করত
|
নতুন দেশে উর্দুর প্রভাব দেখা যায়
|
তাই বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব বঙ্গের মানুষরা নিজেদের বঞ্চিত মনে করতে শুরু করে
|
এর বিরুদ্ধে প্রথম তীব্র প্রতিবাদ করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
|
1948 সালের 23 শে ফেব্রুয়ারি তিনি পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানের পক্ষে প্রস্তাব পেশ করেন
|
এই প্রস্তাবের সোচ্চার সমর্থন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা দেশের তামাম বুদ্ধিজীবী মহল
|
ভাষার ভিত্তিতে চাপিয়ে দেওয়ার নীতি ক্রমশ প্ররলক্ষিত হচ্ছিল
|
এটি রোধ করার উদ্দেশ্যে 1948 সালের 15 ই মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম লীগের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে 'রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের' একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় এতে উল্লেখ করা হয় রাষ্ট্রভাষা বাংলা হবে
|
নোয়াখালী দাঙ্গা
|
ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান ভাগ আসলে যথার্থ ছিল না এবং বাংলা যে আসলে একটি উপনিবেশে পরিণত হচ্ছে তা স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রস্ফুটিত হয়
|
1948, 21 শে মার্চ মহম্মদ আলি জিন্না ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দম্ভভারে ঘোষণা করেন উর্দুই একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে
|
1948, 24 শে মার্চ জিন্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে পুনরায় ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা
|
স্বভাবতই এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গর্জে উঠেছিল
|
অনেকে মনে করেন বুদ্ধিজীবীরা কেন হঠাৎ এত ক্ষুব্ধ হয়েছিল? আসলে বিষয়টি তা নয় বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র সমাজ একদিনে ক্ষুব্ধ হয়নি বারংবার প্রতারণার ফলে ছাত্র সমাজ ক্ষুব্ধ হয়েছিল
|
15 ই মার্চ খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে চুক্তিতে এটা স্থির হয় বাংলা রাষ্ট্রভাষা হবে অথচ এরপর জিন্নার ঘোষণা করে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা অর্থাৎ এই চুক্তিকে জিন্না কার্যত অস্বীকার করেন, স্বভাবতই ছাত্র সমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে!
|
বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হল 1949 সালের 23 শে জুন ওইদিন 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়
|
বলাই বাহুল্য বাংলাদেশের গঠনে এই দলের অবদান অনস্বীকার্য
|
দল গঠনের সময় শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন
|
পরবর্তীতে 1955 খ্রিস্টাব্দে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামটি পরিবর্তিত হয়ে বর্তমানের 'আওয়ামী লীগ' নামকরণটি করা হয়
|
23 শে জুন দিনটি এই কারণেই ঐতিহাসিক 1757 সালের 23 শে জুন এই দিনেই পলাশীর প্রান্তরে বাংলার মুক্তসূর্য চিরতরে অস্তমিত হয়ে যায়! পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অবস্থা দিনে দিনে ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল 1950 সালে পাকিস্তানে জমিদারি প্রথা রদ হয়
|
অর্থিক ও জনসংখ্যার দিক থেকে পূর্ব পাকিস্তান এগিয়ে থাকলেও তারা বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা পাইনি
|
সমস্ত অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা, সরকারি চাকুরি ও সেনাবাহিনী ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের হস্তগত
|
বলাই বাহুল্য পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুঠ করে পশ্চিম পাকিস্তান সমৃদ্ধ হচ্ছিল অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান দিন দিন আরও নিঃস্ব হচ্ছিল! তাই এটাই বলা যথার্থ পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে নিজের উপনিবেশের অধিক কিছু মনে করত না!
|
পাকিস্তানের প্রতারণার এখানেই শেষ নয় 1952 সালের 26 শে জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা
|
বলাই বাহুল্য এই প্রস্তাবে দেশের তামাম ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী সমাজ তীব্র প্রতিবাদ শুরু করে
|
অথচ 1948 সালের 15 ই মার্চ এক চুক্তিতে এই নাজিমুদ্দিনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাংলা রাষ্ট্রভাষা হবে
|
নাজিমুদ্দিনের এই ঘোষণাই মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচনা করে
|
এই ঘোষণার বিরুদ্ধে 1952 সালের 30 শে জানুয়ারি 'সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠন করা হয়
|
এর উদ্দেশ্য ছিল দলমত নির্বিশেষে সকলে উর্দুর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করা
|
আসলে বাংলাকে অস্বীকার করা মানে পুরো বাঙালি জাতিকে অস্বীকার করা
|
এরপরই আসে সেই ঐতিহাসিক দিন 1952 সালের 21 শে ফেব্রুয়ারি, এই দিন বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজ তীব্র আন্দোলন শুরু করে
|
পুলিশের গুলিতে বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার প্রমুখ ছাত্রের মৃত্যু হয় শুরু হয় মহান ভাষা আন্দোলন
|
এই মৃত্যুকে মনে করে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটি আমাদের চিরদিন উদ্বুদ্ধ করে
|
এই মহান ভাষা আন্দোলনই বাংলাদেশ গড়ে ওঠার মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে
|
পরবর্তীকালে এই দিনটিকে মনে রেখে জাতিসংঘ 1999 সালের 17 ই নভেম্বর, ইউনেস্কো,21 শে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে!
|
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বছর হল 1953 সাল
|
ওই বছর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আওয়ামী মুসলিম লীগ, শেরে বাংলা ফজলুর হকের কৃষক প্রজা পার্টি, আওয়ামী লীগের নেতা সোহরাওয়ার্দী মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন
|
যদিও যুক্তফ্রন্টে নিজাম ই ইসলাম, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খিলাখত দল প্রভৃতি বেশ কিছু ছোট দল যুক্ত ছিল
|
1954 সালের মার্চে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট জয়যুক্ত হয়
|
30 শে মে কেন্দ্রীয় সরকার কতৃক এই নির্বাচন বাতিল করা হয় সেই সঙ্গে গণ পরিষদ ও বাতিল করা হয়
|
বলাই বাহুল্য এটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ব পাকিস্তানিদের প্রতি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ
|
আসলে বাঙালিরা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করবে এটা পশ্চিমের লোকেরা কোন মতেই চাইনি
|
পরবর্তীতে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে আবু হোসেন সরকার 1955 সালের 9 জুন থেকে 1956 সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন
|
তাঁর সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দান ও সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপন এবং বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা
|
হঠাৎ খাদ্য দ্রব্যের অভাব ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে মিছিল বের হয়
|
তাই আবু হোসেন 1956, 30 শে আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন
|
1956 সালের মার্চ মাসে বহু টালবাহানের শেষে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়
|
সংবিধানে 'পাকিস্তানকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র' আখ্যায়িত করা হয়, আওয়ামী লীগ এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে
|
উল্লেখ্য এই সংবিধানে মহান ভাষা আন্দোলনের ফলস্বরূপ বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়
|
1956, 12 ই সেপ্টেম্বর আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকার গঠন করে
|
1958 সালের 7 ই অক্টোবর ইস্কান্দর মির্জা এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করে
|
তবে তাঁর এই সুসময় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি মাত্র কুড়ি দিন পর 1958, 27 শে অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করে
|
আইয়ুব খান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধা দেন তিনি সামরিক শাসন চালিয়ে যেতে সচেষ্ট হন
|
সেই উদ্দেশ্যে আবু হোসেন ও অন্যান্য নেতৃত্বের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্যতা সম্পর্কিত আদেশ 'এবডো' ( ) ঘোষণা করেন
|
এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকল্পে 1962 সালে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) গঠন করা হয়
|
বলাই বাহুল্য আইযুব খান এই প্রচেষ্টাকে ভালো ভাবে নেই নি
|
1962 সালে সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়
|
1965 সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এই নির্বাচনে ন্যাশনাল আওয়ামী লীগের নেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল বা 'কপ' গঠিত হয়, এখানে উল্লেখ্য সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মতপার্থক্য হেতু ভাসানী 1957 সালে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে 'ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ বা ন্যাপ' প্রতিষ্ঠা করেন
|
এরা মহম্মদ আলি জিন্নার বোন ফতেমা জিন্নাহকে প্রধানমুখ করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে
|
কিন্তু ফতেমা জিন্নাকে পরাজিত করে আইযুব খান রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.