content
stringlengths
0
129k
জাতির উদ্দেশ্যে তিনি প্রথম যে ঘোষণাটি পাঠ করেন তা হল- ", , , ' ". তার কিছুক্ষণ পরে সন্ধ্যা 7:45 মিনিটে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি দ্বিতীয় ভাষণে বলেন- ", , ". পরে অবশ্য স্বাধীনতার এই ঘোষণাটি বেতার মারফত জিয়াউর রহমান বহু বার সম্প্রচারিত করেছিলেন
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটি পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর বোমায় ধ্বংস হয়ে যায়
পরবর্তীকালে 25 শে মে কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে এই বেতার কেন্দ্রটি চালু হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরও বেশ কিছুকাল এখান থেকেই সম্প্রচারণ করা হত
দুই বাংলার গুণী মানুষরা এখান থেকেই সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতায় উজ্জীবিত করত!
বালুচিস্তানের কসাই টিক্কা খানকে অপারেশন সার্চলাইট কার্যকর করার প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হয়
এই টিক্কা খান নৃশংসতার সীমা পরিসীমা ছাড়িয়ে যায়
তার নির্দেশে 25 শে মার্চ কালরাত্রিতে পাক বাহিনী স্বাধীনতার সংগ্রামের অতুড় ঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ করে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়
পাক বাহিনীকে প্রথম প্রতিরোধের চেষ্টা করেন- রাজার বাগ পুলিশ লাইন
বলাই বাহুল্য মান্ধাতার আমলের বন্দুকের সাহায্যে আধুনিক রাইফেল যুক্ত পাক বাহিনীকে রোখা সম্ভব ছিল না
তাই এই বীর পুলিশ বাহিনী নিজেদের জীবন আহুতি দিয়ে প্রথম মুক্তি সংগ্রামের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন
তবে অনেকের মতে বা বা পরে এর জাওয়ানরা প্রথম এই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল
যাইহোক এই ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস খুব শীঘ্রই বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগদান করে
ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিংক এর মত কিছু সাহসী মানুষের তোলা ছবি না থাকলে বিশ্ববাসীকে বোঝানো সম্ভব হতো না পাকিস্তান কি পরিমাণ গণহত্যা চালিয়ে ছিল
1971 সালের 3 রা এপ্রিল 'মুক্তিফৌজ' গঠন করা হয় যা পরবর্তীতে 'মুক্তিবাহিনী' নামে পরিবর্তিত হয়
1971, 10 ই এপ্রিল কলকাতায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়
1971 সালের 17 ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার এসে পৌঁছায়
সেখানে পাক বিমান বাহিনীর হানার ভয়ে এক আম বাগানের সংক্ষিত অনুষ্ঠান হয়
আম বাগান কেন? কারণ পলাশীর প্রান্তরে এক আমবাগানে বাংলার মুক্তিসূর্য চিরতরে অস্তমিত হয় তাই স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিসূর্য উদয়ের প্রচেষ্টা এই আম বাগান থেকেই পরিলক্ষিত হয়
ওই দিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলি
এই ঘোষণাটি পরে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধানে যুক্ত করা হয়
এই সরকারকে 'মুজিবনগর সরকার' বলা হত এবং এই দিনকে 'মুজিবনগর দিবস' বলা হয়
আর একটি উল্লেখযোগ্য দিন ছিল 1971, 18 ই এপ্রিল কারণ ওইদিন কলকাতায় বিদেশি মিশনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়
মুজিবনগর সরকার
এই মুজিবনগর সরকার পরিচালিত হত কলকাতার 8 নং থিয়েটার রোড থেকে
বাংলাদেশের এই অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি হন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদিও তিনি তখন পাকিস্তানের জেলে বন্দি
প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন- তাজউদ্দিন আহমেদ
বলাই বাহুল্য মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব দেন
এক যুদ্ধ বিধ্বস্ত জাতিকে অনুপ্রেরণা বলে এক নতুন রাষ্ট্র অর্জনের উপযোগী লড়াইয়ে বলীয়ান করে তোলেন
শেষ অবধি তার অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এই কারণে তাজউদ্দিন আহমেদকে 'স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি' বলা হয়
এই সরকারের উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন- সৈয়দ নুরুল ইসলাম তিনি রাষ্ট্রপতির অবর্তমানে কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যান
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন- এ এইচ এম কামরুজ্জামান
অর্থমন্ত্রী ছিলেন- এম মনসুর আলী
পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন- খন্দকার মোশতাক আহমেদ
এবং সেনাবাহিনীর প্রধান হন- জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানি
সমস্ত বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল ওসমানী
তিনি 3 টি ব্রিগেডকে নিয়ন্ত্রণ করতেন
যুদ্ধের সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে 11 টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়
চট্টগ্রাম ছিল 1 নম্বর সেক্টরের অধীনে সেখানের কম্যান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান পরে পরিবর্তিত হয়ে কম্যান্ডর হন মেজর রফিক
2 নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল ঢাকা মহানগরী, এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশারফ পরবর্তীতে এটি পরিবর্তিত হয়ে কম্যান্ডর হন এটি এম হায়দার
এরমধ্যে 10 নম্বর সেক্টরে কোন কম্যান্ডার ছিল না কারণ এটি নৌবাহিনীর অন্তর্গত ছিল
বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহসীকতার সঙ্গে যুদ্ধ জাহাজের নীচে মাইন সংযুক্ত করেন এরফলে বহু পাকিস্তানের যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়ে যায়
এরফলে পাকবাহিনী বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয় এই ঘটনাটি ইতিহাসের পাতায় 'অপারেশন জ্যাকপট' নামে পরিচিত
গেরিলা বাহিনীর আক্রমণে বিপর্যস্ত পাক বাহিনী হঠাৎ এক নতুন বিপদের সম্মুখীন হয়
একরাত্রে হঠাৎ ইস্টার্ন রিফাইনারি বিমান হামলায় জ্বলে ওঠে
পাক বাহিনী বুঝতেই পারেনি এই আক্রমণ কারা সংগঠিত করেছিল? 1971, 28 শে সেপ্টেম্বর নাগাল্যান্ডের এক পরিত্যক্ত রানওয়েতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্ম হয়েছিল এই আক্রমণটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সংগঠিত করেছিল
এ কে খন্দকার এই বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন
যুদ্ধশুধু দেশেই হচ্ছিল না বরং বিশ্বজুড়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছিল
1971 সালের 1 লা আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ' ' নামে এক সংগীত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়
উদ্দেশ্যে ছিল এতে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশে যুদ্ধ বিধ্বস্ত মানুষদের কাছে পাঠানোর হবে
বিটলস গ্রুপ এতে অংশগ্রহণ করে ' ' এরা এতে অংশগ্রহণ করেন
বব ডিলান ছিলেন উল্লেখযোগ্য শিল্পী
তবে ভারতীয় সেতার বাদক পন্ডিত রবি শংকর ছিলেন এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোগতা তার কাছেই বাংলাদেশের জনগণের এই দুরবস্থা শুনে বিটলস গ্রুপ এই সংগীতানুষ্ঠানটি করেন
পন্ডিত রবি শংকর ও এতে অংশগ্রহণ করেন
শেষ পর্যন্ত পাক বাহিনী 1971 সালের 3 রা ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণ করে
এরপর ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে ভারত সরাসরি যুদ্ধে যোগদান করে
বলাই বাহুল্য পাকিস্তানের কফিনের শেষ পেরেক এই ঘটনাতেই পোঁতা হয়
ভারত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ফলে পাক বাহিনীর থরহরিকম্প লেগে যায়
6 ই ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশ মিত্রবাহিনী যশোর পাক সেনার দখল মুক্ত করে
সেইসঙ্গে 6 ই ডিসেম্বর পার্লামেন্টে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে
এতদিন নিশ্চুপ থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পরাজয় দেখে 1971 সালের 7 ই ডিসেম্বর জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়
বলাই বাহুল্য এই প্রস্তাব কার্যকর হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হত না
কিন্তু ভারতের সহযোগি হিসাবে সোভিয়েত রাশিয়া এই প্রস্তাবের উপর ভেটো প্রদান করে
তাই এই প্রস্তাব কার্যকরি হয়নি
আমেরিকা এই যুদ্ধে নিজের যুদ্ধ জাহাজ পাকিস্তানের সমর্থনে পাঠিয়েছিল
পাক-চীন-মার্কিন জোট যেকোনো সময় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারত অন্যদিকে ভারত ও রাশিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশ স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর হয়
স্বাধীনতার প্রাক মুহূর্তে 1971 সালের 14 ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীর সঙ্গে আল বদর ও আল শামস এর ঘাতক বাহিনী দেশের হাজার হাজার বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে
এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে
এদের মধ্যে কয়েকজন বুদ্ধিজীবী হলেন- শহীদুল্লাহ কাইসার, গোবিন্দ চন্দ্র, মুনির চৌধুরি প্রমুখ
এখানে উল্লেখ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর যখন ঢাকায় প্রবেশ করে তখন রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল কিন্তু মানুষ যখন বুঝতে পারে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়েছে মানুষ বাড়ি থেকে বাইরে এসে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে
সকলে জয় বাংলা ধ্বনিতে আকাশ, বাতাস মুখরিত করে তুলেছিল
ভারতীয় সেনাদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে সম্বোধন করা হচ্ছিল
সেই সঙ্গে মানুষ ভারতীয় সেনাদের জড়িয়ে ধরে অনেকে আনন্দে কাঁদছিল! সে এক অপূর্ব অনুভূতি, মুক্তির স্বাদ হয়ত এমনই হয়! 1971 সালের 16 ই ডিসেম্বরে এসে যায় সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে 93,000 হাজার পাক সৈন্য সমেত জেনারেল এ এ কে নিয়াজি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা নিকট আত্মসমর্পণ করেন
বাংলাদেশি বাহিনীর পক্ষ থেকে বিমান বাহিনীর প্রধান এ কে খন্দকার এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় আত্মসমর্পণ পৃথিবীর ইতিহাসে আর দেখা যায় না
সেইসঙ্গে পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয় 'স্বাধীন বাংলাদেশ'!
বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি? বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা! প্রায় তিরিশ লক্ষের অধিক মানুষের রক্ত ও দুই লক্ষের অধিক নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই কাঙ্খিত স্বাধীনতা! যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য 7 জনকে বীর শ্রেষ্ঠ পদক দেওয়া হয়
এরা হলেন- সিপাহী মোস্তাফা কামাল, ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রব, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, ল্যান্স নায়েক নূর মহম্মদ, সিপাহী হামিদুর রহমান, স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
বীর উত্তম পদক প্রদান করা হয় 68 জন বীর যোদ্ধাকে, 2010 সালে কর্নেল জামিলকে বীর উত্তম পদক দেওয়া হয়
তাই বর্তমানে বীর উত্তম পদক প্রাপ্ত যোদ্ধার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে 69 জনকে, বীর বিক্রম পদক দেওয়া হয় 175 জনকে, বীর প্রতীক পদক দেওয়া হয় 426 জন সেনানীকে
মোট 677 টি সন্মাননা পদক প্রদান করা হয়
নারী বীর প্রতীক হিসেবে তারামন বিবি ও সেতারা বেগম এই দুই নারীকে সন্মাননা প্রদান করা হয়
বিদেশি বীর প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় ডব্লিউ এস ওডারল্যান্ডকে
ওডারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন কিন্তু ডাচ বা নেদারল্যান্ডসের বংশোদ্ভূত ছিলেন
তিনি বাটা সু কোম্পানিতে চাকরি করতেন
তিনি পাক বাহিনীর নৃশংস বর্বরতা দেখে অস্ত্র হাতে তুলে নেন, তিনি ছিলেন একমাত্র বিদেশি যোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধ কতটা মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছিল তা আমরা বুঝতে পারি শহীদুল ইসলাম নামে এক 12 বছরের শিশু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে!
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতে ইন্দিরা গান্ধীর অসামান্য অবদানের জন্য ইন্দিরা গান্ধীকে 'বাংলাদেশ স্বাধীনতা সন্মাননা' প্রদান করা হয়
স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বাংলাদেশ পঁচিশ বছরের বন্ধুত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
বাংলাদেশেকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভারত, 1971 সালের 6 ই ডিসেম্বর
প্রথম আফ্রিকার দেশ হিসাবে সেনেগাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, এটি প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে
স্বাধীনতা অর্জনের কিছুদিনের মধ্যেই ইজরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে
তবে মুসলিম উম্মার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ হেতু বিদেশমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই স্বীকৃতি বহুদিন স্বীকার করেন নি
প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসাবে পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 1972 সালের 4 ঠা এপ্রিল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে
পাকিস্তান 1974 সালের 22 শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, সর্বশেষ রাষ্ট্র হিসেবে চীন 1975 সালের 31 শে আগস্ট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে
তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এমনি এমনি অর্জিত হয় নি বরং বহু ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে এই স্বাধীনতা
আজ অনেকেই দেখি ভারত বিদ্বেষী কথা বলে, এগুলি দেখলে সত্যিই খারাপ লাগে
অনেকে যেমন বলেন- আমরা মুক্তিযুদ্ধ লড়াই করলাম কিন্তু পাক বাহিনী কেন ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করল? আবার অনেকে বলেন মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করল অথচ নাম হয় ভারতের? আসলে এই সমস্ত পাকি প্রেমিক ভারত বিরোধী মানুষদের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ সঠিক ভাবে ইতিহাসের পাঠ নিন
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা রেখেই বলছি ভারত যদি এই যুদ্ধে না অংশগ্রহণ করত তাহলে কি বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হত? এত শক্তিশালী পাক সেনাবাহিনীকে কি শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের দ্বারাই প্রতিহত করা সম্ভব ছিল? আসল কথা হল এটা আদপেই সম্ভব ছিল না ঠিক যেমনটি বেলুচিস্তানের ক্ষেত্রে ঘটছে বেলুচিস্তানে এত অত্যাচার হলেও তারা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি