content
stringlengths
0
129k
আইয়ুবের সময় 1965 এর ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ সংগঠিত হয়
বলা হয় এই সময় দেশে প্রভৃত উন্নয়ন সাধিত হয় কিন্তু কতটা উন্নয়ন হয় তা নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক আছে
শেখ মুজিবুর রহমান 1966 সালের 25 শে জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতি হন (1966, 25 শে জানুয়ারি- 1974, 18 জানুয়ারি)
সেইসঙ্গে আধুনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই বেগবান হয়
1966 সালের 5 ও 6 ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান 'ছয় দফা দাবি' পেশ করেন এর উদ্দেশ্য ছিল স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের (পাকিস্তান প্রস্তাব) সঙ্গে মিল রেখে এটি 1966, 23 শে মার্চ উত্থাপন করা হয়
আশা করা হয়েছিল এই প্রস্তাব পাশ হলে পূর্ব পাকিস্তান স্বায়ত্তশাসন লাভ করবে
1966 সালের এই ছয় দফা দাবি সমূহ গুলি হল:-
প্রস্তাব - 1 : শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি:-
দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনি হতে হবে যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব
সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের
আইন পরিষদের () ক্ষমতা হবে সার্বভৌম
এবং এই পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারনের সরাসরি ভোটে
প্রস্তাব - 2 : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা:-
কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দু'টি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে- যথা, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি
অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ
প্রস্তাব - 3 : মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতা:-
মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দু'টির যে কোন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারেঃ-
(ক) সমগ্র দেশের জন্যে দু'টি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে
(খ)বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে
তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়
এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে
প্রস্তাব - 4 : রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা:-
ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে
কেন্দ্রীয় সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না
তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে
অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে
প্রস্তাব - 5 : বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা:-
(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে
(খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে
(গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোন হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে
(ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোন রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না
(ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বানিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বানিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে
প্রস্তাব - 6 : আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা:-
আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে
প্রাসঙ্গিক ভবে বলা যায় এই 'ছয় দফা দাবি' বাঙলি জাতির স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে বেগবান করে
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই আন্দোলন এত গুরুত্বপূর্ণ যে একে 'ম্যাগনা কার্টা বা বাঙালির মুক্তি সনদ' বলা হয়
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে আর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মমলা হল 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা'
পাকিস্তান সরকার 1968 সালের প্রথম দিকে শেখ মুজিব সমেত আরও 35 জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন তাঁরা ভারতের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে
এই মামলাটির নাম ছিল 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান গং মামলা'
যদিও এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে বেশি পরিচিত
এখানে উল্লেখ্য 2011 সালে এই মামলার অন্যতম মূল আসামী ক্যাপ্টেন এ শওকত আলী এই ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেন
এই মামলাটির পরিপ্রেক্ষিতে মুজিব সহ তার সমস্ত সঙ্গিদের পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করে
এই গ্রেফতারের বিরাট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়
1969 সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটে
এই অভ্যুত্থানে ছাত্র, যুব, নারী, পুরুষ, শিক্ষক, ডাক্তার, উকিল, কৃষক, শ্রমিক নির্বিশেষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে
1969, 5 ই জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়
20 ই জানুয়ারি আইযুবের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করা হয় তিনি 'শহীদ আসাদ' নামে অধিক পরিচিত হন
1969 সালের 15 ই ফেব্রুয়ারি ছাত্র নেতা সিরাজুল আলম খান ও কাজী আরিফ আহমেদ 'বাহিনী' নামে এক সংগঠন গড়ে তোলেন এরা 'স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস গোষ্ঠীর' সদস্য ছিলেন
1969, 15 ই ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক বন্দি অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে গুলিতে নিহত হন
তাঁর মৃত্যু সংবাদে পরিস্থিতি এমন উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠে যে, বিকেলে মওলানা ভাসানী লক্ষাধিক লোকের জনসভায় বলেন দু মাসের মধ্যে ১১ দফার বাস্তবায়ন এবং সকল রাজবন্দির মুক্তি দেওয়া না হলে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন
তিনি আরও বলেন যে, প্রয়োজন হলে ফরাসি বিপ্লবের মতো জেলখানা ভেঙ্গে শেখ মুজিবকে ছিনিয়ে আনা হবে
সভাশেষে জনতা মন্ত্রীদের গৃহে অগ্নিসংযোগ শুরু করে
১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হলে ক্রুদ্ধ ও ভাবাবেগে আপ্লুত হাজার হাজার ছাত্র জনতা সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে
এই ঘটনা গুলির ফলশ্রুতি হিসেবে 1969 সালের 22 শে ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয় এবং মুজিব সহ সমস্ত বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়
আইয়ুব শাহির স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে উদ্দেশ্যে পূর্ব পাকিস্তানে মুজিবুর রহমান আন্দোলন সংগঠিত করেন অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর আন্দোলন সংগঠিত করেন
এই তীব্র প্রতিবাদের ফলে শেষ পর্যন্ত আইয়ুব খান 1969, 25 শে মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন
ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসেই সমস্ত সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন
তিনি 1970 সালে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা করেন
1970 সালের 12 ই নভেম্বর বাংলাদেশে এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব পাকিস্তানের লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায়
এই জাতীয় বিপদ থেকে রক্ষাকল্পে পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার সেভাবে অগ্রসর হয় নি যায় ফলে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে
1970 সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের সংগঠিত প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বিস্ময়কর ফল সামনে আসে
পূর্ব পাকিস্তানের 162 টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ 160 টি তে জয়যুক্ত হয়
অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের 138 টি আসনের মধ্যে 81 টি আসনে ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি জয়লাভ করে
পাকিস্তানের সংসদের মোট 300 টি আসনের মধ্যে 160 টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ
তাই স্বাভাবতই আওয়ামী লীগের শাসন ক্ষমতা লাভ ন্যায়সঙ্গত ছিল কিন্তু ভুট্টো তা মেনে নিতে অস্বীকার করে
তাই ভুট্টোর পরামর্শে ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে
তবে এই পর্বে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ্য
1971 সালের 1 মার্চ রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ও মুজিবের আলোচনা ব্যার্থ হয় এবং ইয়াহিয়া খান পার্লামেন্ট বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়
বলাই বাহুল্য এটি বাঙালি জাতির প্রতি তীব্র ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ, স্বভাবতই এর বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সংগঠিত হয়
জনসাধারণ বুঝতে পারে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকলে তাদের মর্যাদা রক্ষিত হবে না
1971, 2 মার্চ আ স ম আব্দুল রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বরে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন
উল্লেখ্য বাংলাদেশ তখনও পাকিস্তানের অধীনে ছিল তাই এটি দেশদ্রোহীতার নামান্তর
এথেকে বোঝা যায় জনসাধারণ স্বাধীনতার জন্য কতটা উদগ্রীব ছিল এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি ছিল
ওই দিন বাংলাদেশের এই প্রথম পতাকার নকশা তৈরী করেন 'শিব নারায়ণ দাস' নামে এক ছাত্র
এই পতাকায় বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কন করা হয়েছিল পরবর্তীকালে নিজেদের সুবিধার্থে কামাল হাসানের নকশাকৃত নতুন পতাকা জাতীয় পতাকা হিসাবে গ্রহণ করা হয়, এটিই বর্তমানের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা রূপে ব্যবহৃত হয়
ছাত্রদের এই গোষ্ঠীগুলি মূলত বাম মনোভাবাপন্ন ছাত্র সংগঠন ছিল
তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাম ছাত্র সংগঠনের অসীম ভূমিকা ছিল
এই ছাত্র গোষ্ঠীকে 'স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস গোষ্ঠী' বলা হত
1971 সালের 3 রা মার্চ ঢাকার পল্টন ময়দানে প্রথম স্বাধীনতার ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়
এই ইস্তাহারটি প্রথম পাঠ করেন ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ
ওই দিন মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক ঘোষণা করা হয়
মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন- তোফায়েল আহমেদ
ছাত্রদের নিউক্লিয়াস গ্রুপ চাইছিল মুজিব ওইদিনই স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা করুক কিন্তু মুজিব এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন
তিনি বলেন আগামী 7 ই মার্চ আমি আমার কর্মসূচি ঘোষণা করব
আসলে মুজিব তখনও মনে করছিলেন আলোচনার মাধ্যমে কোন সমাধান সূত্র বের হয় কি না? তিনি দ্বিধান্বিত ছিলেন অনেকেই মুজিবকে এই অর্থে সমালোচনা করে বলেন মুজিব যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারত তাহলে হয়ত পাকিস্তান ভাগ হত না
কারণ এটা সত্য মুজিব মনে প্রাণে পাকিস্তান চেয়েছিল এবং সেই আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন
শুধু মুজিবই বলি কেন বরং বলা ভাল পূর্ব পাকিস্তানের বেশিরভাগ জনগণই মনেপ্রাণে পাকিস্তান চেয়েছিল যাইহোক এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠে 1971 সালের 7 মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক বক্তব্য দেন- "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম! জয় বাংলা!"
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের জনসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেন
1971 সালের 16-23 মার্চ ইয়াহিয়া- মুজিব আলোচনা ব্যার্থ হয়
1971, 23 শে মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস কিন্তু ওই দিন পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ সর্বত্র পাকিস্তানের বদলে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়
বলাই বাহুল্য এটা পশ্চিমের প্রতি স্পষ্ট বার্তা ছিল আর আমরা তোমাদের অধীনে থাকতে চাই না, আমরা মুক্তি চাই, আমরা স্বাধীনতা চাই
1971 সালের 25 শে মার্চ শেখ মুজিবকে পাকিস্তানি সেনা গ্রেফতার করে
গ্রেফতারের আগে তিনি তার স্বাক্ষর করা এক ঘোষণা টেলিগ্রাম মারফত চট্টগ্রামের কয়েকজন ছাত্রের কাছে প্রেরণ করেন
এই ঘোষণাটির বাংলা অনুবাদ করেন ডঃ মঞ্জুলা আনোয়ার
কি ছিল এই ঘোষণাপত্রে? এই ঘোষণাপত্রটি ছিল সেই বহু কাঙ্খিত 'স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র'
25 শে মার্চ ওই রাতেই পাক বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে
এই দিন রাত্রে অর্থাৎ 26 শে মার্চ এই ঘোষণা পত্রটি প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে পাঠ করেন আওয়ামী লীগের ছাত্র নেতা এম এ হান্নান
পরবর্তীতে 27 শে মার্চ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি চট্টগ্রামের বাংলাদেশ রেডিওর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বার বার পাঠ করে শোনান
তবে জিয়া প্রথম থেকেই ক্ষমতা লোভী ছিল তার প্রমাণ ওই দিনই পাওয়া যায়