content
stringlengths
0
129k
করিমুল জলপাইগুড়ির
তাঁর 'অস্ত্র' বাইক
আর বীরেন হলেন উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির
আর সে নিজের 'কাজ' চালিয়ে যাচ্ছেন টোটো নিয়ে
হ্যাঁ, পেট চালানোর জন্যে তো বটেই, কিন্তু নিজের টোটোকে তিনি পরিণত করেছেন রীতিমতো অ্যাম্বুল্যান্সে
টোটোর পেছনেই তিনি লিখে রেখেছেন, 'বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী ও অসুস্থদের জন্যে এই টোটো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
' সেই একই কথা লেখা রয়েছে ইংরেজিতেও
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুধু অসুস্থ মানুষ নয়, অসুস্থ পশুপাখির জন্যেও বীরেন কোনও পয়সা নেন না
আরও পড়ুন: ভরসা জোগানো 'অ্যাম্বুল্যান্স দাদা'র ঘোর বিপদ, 'পদ্মশ্রী' করিমুল অর্থাভাবে অন্ধ হওয়ার পথে!
তিনজন মানুষের আদর্শে নিজেকে গড়েছেন বীরেন
স্বামী বিবেকানন্দ, মাদার টেরেসা ও প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের আদর্শে নিজের ভাবনাচিন্তা প্রসারিত করেছেন তিনি
নিজের টোটোতে লাগিয়েছেন তাঁদের ছবিও
এলাকায় একডাকে পরিচিত বীরেন এখন নৈহাটির বাইরেও চেনা নাম
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁর কথা এখন দিকেদিকে ছড়িয়ে পড়ছে
আরও পড়ুন: মানুষের দেওয়া অর্থই ভরসা 'পদ্মশ্রী' করিমুলের, চোখ বাঁচাতে লড়ছেন 'অ্যাম্বুল্যান্স দাদা'!
তবু, মাটিতেই পা রেখে চলেছেন বীরেন
স্মার্টফোন-হীন সাধারণ ছাপোষা জীবন, টোটোর হ্যান্ডেলে হাত রেখে বীরেন খুশি
তাতেই তাঁর মুখে অকৃত্রিম হাসি
যে হাসির ছ্বটায় কত মানুষ যে সুফল পাচ্ছেন, হাসছেন, তার হিসেব কে রাখে! সেই হিসেব করতে চান না বীরেনই, চান শুধু কাজটুকু করে যেতে
. . [ ]
:
নতুন চাঁদ [সংস্করণ-৩] | [. 3]
বইয়ের লেখক
- কাজী নজরুল ইসলাম
বইয়ের আকার
মোট পৃষ্ঠা
ইবুক ডাউনলোড করুন
অনলাইনে পড়ে দেখুন
/ ,
লেখকের অন্যান্য বই
রিক্তের বেদন [সংস্করণ-১]
কুহেলিকা [সংস্করণ-২]
নজরুল গীতিকা
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
( )
চিয়-জনমের প্রিয়] তুমি চ'লে গেলে, বুকে রয়ে গেল তব অঙ্গের ছাপ, শূন্য বক্ষে শূন্যে ঘুরি গো, টাদ নই অভিশাপ ! * * প্রাণহীন দেহ আকাশে ফেলিয়া ধরণীতে আসি ফিরে, তোমারে খুজিয়া বেড়াই গোমতী পদ্মা যমুনা তীরে ! চিনি যবে হায় গোধূলি বেলায় শুভ ক্ষণে, বাঁশী না বাজিতে লগ্ন ফুরায়, আধার ঘনায় বনে! তুমি চ'লে যাও ভবনের বধূ, আমি যাই বন-পথে, মোর জীবনের মরা ফুল তুলে দিই মরণের রথে | সা সা % আবণ-নিশীথে ঝড়ের কাদন শুনেছ কি কোনদিন 9 কার অশান্ত অসহ রোদন আজিও আস্তিহীন দিগ দিগন্তে মত হানা দিয়ে ফেরে যায়! ভবনে ভবনে কার বুক থেকে কাহারে ছিনিতে চায় ?- এমনি সেদিন উঠেছিল ঝড় মহাপ্রলয়ের বেশে যেদিন আমারে পথে ফেলে গেলে চলিয়া নিরুদ্দেশে ! প্রবল হস্তে নাড়া দিয়। আমি অসীম শূন্য নভে কৃষ্ণ মেঘের ঢেউ তুলেছিল ; গজ্জিয়া ভীম রবে বিশ্বের ঘুম ভেঙে দিয়েছিনু ! যেখানে যে ছিল সুখে যেখানে প্রিয় ও প্রিয়া ছিল-_সেথা বজ্র হেনেছি বুকে | ঝড়ের বাতাসে আমার নিশ্বাসে নড়িলনা মহাকাল, মোর ধুমায়িত অশ্রু-বাষ্প রচিল জলদ-জাল | অঝোর ধারায় ধরায় খু জিলাম বনভূমি ফুরাইল আয়ু, থির হল বায়ু, সাড়া দিলেনাক তুমি ! আমার সেই প্রেম আজো বিজলি-প্রদীপ ছেলে অন্ধ আকাশ হাতড়িয়া ফেরে পাখা মেলে |
সম্পাদক-বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির, প্রধান সম্পাদক-জাহিদ হাসান টুকুন, প্রকাশক-ফয়সাল ফারুকী অমি, নির্বাহী সম্পাদক-সাকিরুল কবীর রিটন, বার্তা সম্পাদক-ডি এইচ দিলসান
নিউজ রুম ই-মেইল-24@.
: ২৭/সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন,রেল রোড, যশোর
মোবাইল- ০১৭২৫৮৭৬৯৬৪,০১৭১২৬৯২২২০.
© © 24. সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬ - ২০১৭
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
'); _ = _[].(/\\(\'(?!\:)/, _() { ' (\'' + _ + '/' + .(/\(\'/, '').(/^\+|\+$/,''); }); _ += ""; } __ = ('#--'); (__.) { __.(_); } } }); } })();
পপকর্ন চিবুতে চিবুতে হালকা মেজাজে দেখতে থাকা বিনোদন নয়, বিষাদমাখা অসাধারণ বেদনার একটা ছবি এই রেহানা মরিয়ম নূর
মুভির প্রধান চরিত্র রেহানা মরিয়ম নূর, তার জীবন, তার বেদনা, তার সংগ্রামকে নিয়েই এই মুভি
আমার বিবেচনায় তাই রেহানার জগত রেহানার চোখেই দেখাতে চেয়েছেন পরিচালক
বেদনার নীল রঙ যেন এই ব্লু ফিল্টার
বৃষ্টি, গুমোট আবহাওয়া, ঠাণ্ডা, অনুজ্জ্বল আলো যেন রেহানার জীবনেরই প্রতিচ্ছবি
অনবরত হালকা নড়ে যাচ্ছে ক্যামেরা
যেন রেহানার জীবন যতটুকু পীড়াদায়ক, তা উপলব্ধি করাতেই এই চোখের পীড়ন
রেহানা মরিয়ম নূর এর গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র ডা. আরেফিন
শিক্ষক হিসেবে আরেফিন ছাত্রদের কাছে বেশ পছন্দের
প্রশ্ন কেমন হয়েছে বলে খোঁজ নেয় ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্রটির
সকল শিক্ষার্থী তার কাছে নানান কাজে যায়, যেহেতু সে স্টুডেন্ট এফেয়ার্স এর ইনচার্জ
শিক্ষক হিসেবে সহজ, পরীক্ষক হিসেবে তেমন কঠোর নন
পরীক্ষায় টুকটাক নকল করা তার কাছে তেমন কোন বড় ব্যাপার না
তিনি এগুলোকে ছোটখাটো ভুল হিসেবে ছাড় দিয়ে দিতে পছন্দ করেন
একজন স্বামী, হবু পিতা, ভালো শিক্ষক হবার পরও আরেফিন চরিত্রটি আদর্শ একজন নিপীড়ক
তার চোখের দৃষ্টিতে নারী সহকর্মীর অস্বস্তি হয়, তিনি অকারণেই ঘনিষ্টতা দেখাতে চান তুমি ডেকে, সকলের সামনেই নারী সহকর্মীর গায়ে হালকা চাপড় দেন, যেটাতে তার নারী সহকর্মী ভ্রু কুঁচকে ফেলেন
আরেফিনের মতো এরকম, অস্বস্তি তৈরি করে এমন চাহনি দেয়া, কথা বলতে বলতে হাতে গায়ে, মাথায় খুব সহজভাবেই হাত দিয়ে অস্বস্তিকর স্পর্শ করে, কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব ধরা , যৌন নিপীড়ক পুরুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর আছে
রেহানাকে বোঝানোর জন্য, "বাচ্চাদের মতো কথা বলো না", "তুমি হ্যান্ডেল করতে পারবা না", "তুমি কিছুই জানো না", "তুমি কিছুই দেখোনি", "তুমি কিন্তু আমার কথা শুনতেছ না", "তুমি আমাকে এটা করতে বাধ্য করেছো" এরকম গ্যাস লাইটিং করে গেছে ক্রমাগত
এক জায়গায় রেহানা যখন বলে যে, কী করবেন আমাকে, রেইপ করবেন? তখন আরেফিন বলে 'তোমার মতো মেয়েরাই রেইপড হয়'
অর্থাৎ আরেফিন মনে করে, নারীর রেইপড হওয়ার পিছনে আসলে নারী নিজেই দায়ী
আরেফিনের এই মানসিকতা থেকেই অনুমান করা যায় যে, ছাত্রী এনির ফেসবুকে করা কমেন্ট, বিভিন্ন সময়ে তার রুমে আসা, এবং পরবর্তীতে বান্ধবীর পরীক্ষায় এক্সপেল হওয়া নিয়ে অনৈতিক সুপারিশ করতে আসা, তাকে লাইসেন্স দিয়ে দেয় এনির বুকে হাত দেয়ার
আরেফিন ভাবে, নিজে থেকে কল দিয়ে দেখা করতে চেয়েছে মানে এই মেয়েটি এভেইলেবল এবং তার সাথে এমন সেক্সুয়াল আচরণ করলে কোন সমস্যা নেই
তাই আরেফিনের কাছে এইটা একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং, কোন অপরাধ নয়
সেজন্য বারবার সে এনিকে আলাদা করে কথা বলে বিষয়টার সমাধান করতে চায়
তার কাছে, পরীক্ষায় নকল করাটা যেমন হালকা বিষয়, ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়াও হালকা বিষয়
মুভি দেখতে দেখতে অসংখ্য নারী নিজের সাথে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাকেই মিলিয়ে নিতে পারবেন
যেমন এরকম অস্বস্তিকরভাবে গায়ে হাত দিয়েছিলো আমার ইউনিভার্সিটির এক বড় ভাই, রাস্তা ক্রস করার সময়
আমি আমার এক বান্ধবীকে সেটা বললে সে আমাকে বলে যে, তুই হোস্টেলে থাকিস তো, তাই তোর সাথে এরকম করছে, আমি হইলে জীবনেও সাহস পাইতো না
এবং এক পর্যায়ে আমার মনে হয় যে, আমার কথাটা বান্ধবী বিশ্বাস করেনি
এই যে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনাটা অন্যকে বিশ্বাস করাতে না পারার যন্ত্রণা, এটা ভয়াবহ
ভয়াবহ যন্ত্রণা হয় যখন উল্টো কাছের সহকর্মী, সহপাঠী, পরিবারের মানুষই ভুল বুঝে
এবার কথা বলি রেহানা চরিত্রটি নিয়ে
রেহানা নামটুকু লিখেই বসে আছি দশ মিনিট
কী লিখবো, কীভাবে লিখবো ভাবছি
রেহানা মরিয়ম নূর নিয়ে করা নেগেটিভ সব মন্তব্যগুলো মাথায় নিয়ে রেহানাকে কি ডিফেন্ড করবো? না নিজের মতো করে লিখে যাবো যে আমি কী ভাবছি?
রেহানা মরিয়ম নূর যিনি একজন ডাক্তার, একজন শিক্ষক, একজন মা, একজন কন্যা, একজন বোন এবং একজন নারী
তার ভেতরে একট ভয়াবহ রকমের অস্থিরতা
তার ভেতরে স্বাভাবিক থাকার, এবং স্বাভাবিক থেকে সব কাজ করে যাওয়ার, সব দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা