content
stringlengths
0
129k
এরপর বুড়িগঙ্গায় অ-নে-ক পানি গড়ায়, পাল্লা দিয়ে ঢাকাও এর জৌলুশ হারায়
এই সময় শুধু শহরের লোকসংখ্যাই ৯ লক্ষ থেকে ৫২ হাজারে কমে যায়, আয়তন ১৫০ বর্গমাইল থেকে ৪ বর্গমাইলে পরিনত হয়
বৃটিশ বেনিয়াদের ভারত সাম্রাজ্যের সূর্য্য যখন পড়ন্ত বিকেলে নুয়ে পড়তে শুরু করে অর্থাৎ বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ঢাকা প্রাদেশিক রাজধানীর মর্যাদা পেলে পর ঢাকার বহিঃবাণিজ্য, উৎপাদিত পণ্য, আঞ্চলিক ও স্থানীয় ব্যবসাপাতি ইত্যাদির কল্যাণে প্রশাসনের আমলা, বাঙলার অন্যান্য জেলায় ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি, ঢাকা জেলার গ্রামীণ জনপথ থেকে আসা শ্রমিক, কারিগর, দেশী-বিদেশী বেনিয়া, পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দু বুদ্ধিজীবী ও ব্যাংকাররা ঢাকার নবাব পরিবারের নেতৃত্বে নতুন করে ঢাকাকে গড়ে তোলার প্রয়াস পায়
ফলে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা এর হারানো মর্যাদা কিছুটা ফিরে পেতে থাকলে, ক্রমেই এই নগরে আবারও ভীড় বাড়তে থাকে
এরই ধারাবাহিকতায় সামন্ত-জমিদাররাও সামাজিক আভিজাত্য বজায় রাখতে ছুটে আসে রাজধানীতে
ফলে অচিরেই তৈরী হয় তাদের এক অর্থনৈতিক ও সামাজিক বলয়
এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বৃটিশরা
আর সেই বৃটিশ কালচক্রের অন্ধকার ধাঁধায় নিজের গাটির পয়সা ব্যয় করে, কখন কখন নিজের নামের মহিমা কীর্তনের জন্য তারা একে একে নামকরণ করেন/গড়ে তোলেন রাস্তা-ঘাট, অবসর কেন্দ্র, বাগানবাড়ি, মহল্লা আরও কত কি! মন্দেরও ভাল থাকে - এর ফলে ঢাকাবাসী পেল রাস্তায় বাতি, প্রশস্ত রাস্তা-ঘাট, সুউচ্চ দালানকোঠা আর বলধা গার্ডেনের মত আন্তর্জাতিক মানের একটি উদ্ভিদ উদ্যান
ঢাকা রাজধানীর গুরুত্ব হারালে স্বাভাবিক কারণেই এর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বও সমানতালে হ্রাস পায়
এমনকি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাসমূহ যেমনঃ উত্তর-পূর্বে নারিন্দা, ফরিদাবাদ, আলমগঞ্জ; উত্তরে ফুলবাড়িয়া, দেওয়ান বাজার, মনোহর খান বাজার এবং উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমে ঢাকেশ্বরী, আজিমপুর ও এনায়েতগঞ্জ এলাকা সম্পূর্ন জনবিরল হয়ে পড়ে
উত্তর-পূর্বের ওয়ারীও উপরে উল্লিখিত এলাকার মত জনশূণ্য হয়ে পড়ে
এই ধারা ১৮৪০ খ্রীঃ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে
অবস্থার উন্নতিকল্পে ১৮৩৯ খ্রীঃ ওয়ারী মৌজার ২৭ একর 'খাস মহল' জমি সরকারি ব্যবস্থাপনায় 'জঙ্গলবাড়ি মহল' হিসাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়
তাতেও অবস্থার বিশেষ উন্নতি না হলে ১৮৭৬ খ্রীঃ ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি জমিটি কিনে উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয়
জমির মূল্যমান আশানুরূপ বিবেচিত না হওয়ায় ১৮৮৫ খ্রীঃ সরকার নিজেই উন্নয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করে
এখানে একটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়
ঢাকার কালেক্টর মি. ফ্রেডারিক ওয়্যার এই উদ্যোগে আগ্রহ ও অগ্রণী ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসেন
পরবর্তীতে তার সম্মানে ও নামানুসারে আবাসিক এলাকাটির নাম উয়ারী/ওয়ারী হয়
বিঘা প্রতি বার্ষিক ৬ টাকা হারে রাজস্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে ও আগামী ৩ বছরের মধ্যে একটি উন্নত ধরনের পাকা বাড়ি বানানোর শর্তে ডাক্তার, উকিল, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের মত পেশাজীবীদের কাছে নির্ধারিত প্লট বরাদ্ধ দেওয়া হয়
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, প্রশস্ত রাস্তাঘাট, পরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন পদ্ধত্তি, বৈদ্যুতিক বাতির সুবিধাসহ খোলা আঙ্গিনার একতলা-দোতলা কাঠামোর নান্দনিক বাড়িঘরের ছবির মত সাজানো এলাকাটি অচিরেই ঢাকার একটি অভিজাত এলাকা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়
ওয়ারী স্থানীয়দের কাছে পুরোনো ঢাকার রাজধানী বনে যায়
সত্যিকার অর্থেই ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্যকর স্থান/স্বাস্থ্যনিবাস হিসেবে অতি অল্প সময়ে ওয়ারী সকলের মনে স্থান করে নেয়
এই ওয়ারীর দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ১৯০৯ খ্রীঃ বাড়িসহ একটি উদ্যান তৈরী করেন
বলধা জমিদার বংশের প্রধান পুরুষ রাজ কিশোর রায় চৌধুরী
গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের বলধা গ্রাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় তার জমিদারী ছিল
তিনি নিঃসন্তান থাকায় তার দত্তক পুত্র হরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী জমিদারীর উত্তরাধিকারী হন
তিনিও ছিলেন নিঃসন্তান
ঠিক এই সময় ১৮৮০ খ্রীঃ এক শুভক্ষণে একই জেলার বাছা গ্রামে মহিমচন্দ্র ঘোষের বাড়ি আলো করে জম্ম গ্রহণ করেন নরেন্দ্র নারায়ণ
জমিদারি দেখভাল ও সন্তানের অভাব পূরণ করার জন্য হরেন্দ্র নারায়ণ নরেন্দ্র নারায়ণকে দত্তক পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন
বালক নরেন্দ্র তার ১৪ বছর বয়সকালে জমিদারবাড়িতে পদার্পণ করেন
ছোটবেলায় হরেন্দ্র নারায়ণ তাকে পুত্র স্নেহে গড়ে তোলার পাশাপশি উপযুক্ত শিক্ষাও দেন
ফলে নরেন্দ্র ইংরেজীর পাশাপাশি আরবী, ফার্সী ও সংস্কৃত অধ্যায়ন করেন
যৌবনকালে তিনি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া নিবাসী শ্রী গুহঠাকুরতার মেয়ে মৃণালিনী দেবীকে শাস্ত্র মোতাবেক বিয়ে করে ঘরে তুলে আনেন
তাদের ঘর আলো করে দু'সন্তানের জম্ম হয়
হরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ঋণগ্রস্থ অবস্থায় বলধার জমিদারীর দায়িত্ব নরেন্দ্র নারায়ণের ঘাড়ে চাপিয়ে পরলোকগত হন
নিজ মেধা, পরিশ্রম ও সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী থুবড়ে পড়া বলধা জমিদারী পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন
এই সময় তিনি প্রচুর অর্থ-বিত্তেরও অধিকারী হন
মেধাবী এই জমিদার কালে তার নানা গুনের পরিচয় রেখে যান
তিনি যেমন ছিলেন সংস্কৃতিমনা, তেমনি ছিলেন একজন সুসাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ ও নাট্যকার
তার লেখা 'ধুমকেতু' নাটক তার অমর কীর্তি
তিনি ঐতিহ্য সংরক্ষণের একজন অগ্রপথিক
বইয়ের প্রতি তার যে অকৃত্রিম ভালবাসা ছিল তা তার সংগ্রহে থাকা ১৩৮টি বই দেখে সহজেই বোঝা যায়
জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধূরীর ঢাকার কাফরুল, তেজকুনিপাড়া ও ওয়ারী এলাকাতে বেশ কিছু ভূ-সম্পত্তি ছিল
অন্যান্য জমিদারদের সাথে তাল মিলিয়ে অভিজাত এলাকা ওয়ারীতে তিনি একটি বাগানবাড়ি তৈরী করেন
বাড়ির নাম দেন 'কালচার'
এই বাগানবাড়ির সুপরিসর চত্বরে নিজ উদ্যোগে ১৯০৯ খ্রীঃ একটি বাগান প্রতিষ্ঠা করেন
বাংলাদেশের উদ্ভিদ উদ্যানের মধ্যে যা আজ অন্যতম প্রাচীন উদ্যান হিসাবে সকলের কাছে সুপরিচিত
সংস্কৃতিমনা জমিদার বাগানের নাম দেন 'সাইকি'
গ্রীক পুরাণের প্রেমের দেবতা কিউপিডের সুন্দরী স্ত্রী সাইকি
সাইকি অর্থ আত্মা, আমরা বাঙলায় বলি মানস
আগেই বলেছি জমিদারবাড়িকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছিল বাগানটি
উঁচু পাঁচিলে ঘেরা দোতলা এই বাড়িতে নরেন্দ্র নারায়ণ কেবল অবসরই কাটাতেন না বরং তিনি এখানে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাও করতেন
ফলে অচিরেই বাগানবাড়িটি রাজধানীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে সূধীমহলে পরিচিতি লাভ করে
এখানে নিয়মিত গান-বাজনার আসর বসতে থাকে আর সংগত কারণেই অনেক গুনী মানুষের পদচারণায় সর্বদা মুখরিত থাকত এর প্রাঙ্গন
দীর্ঘ সময় নিয়ে নরেন্দ্র নারায়ণ সাইকিকে পরম যত্নে গড়ে তোলেন
প্রাচীর ঘেরা জমিদারবাড়িসহ বাগানটির দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার ও প্রস্থ ৪৫ মিটার
প্রধান ফটক অতিক্রম করে ভিতরে ঢুকতেই হাতের দু'পাশে শাপলা ও পদ্মপুকর
পদ্মপুকুর ১২ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ দিয়ে সাজানো
এখানে যেটি সবচেয়ে বেশী চোখে পড়ে তা হল নীল, লাল, হলুদ, সাদা ও থাই-বেগুনী শাপলাসহ হরেক জাতের শাপলা
একটু সামনে এগোলেই হাতের ডানপাশে কণকসুধা, রোজ ক্যকটাস ও প্যাপিরাস গাছ
আর বায়ে ঘৃতকুমারীসহ নানাজাতের ঔষধি গাছ, পদ্ম, আমাজান পদ্ম, অর্কিড ঘর, হংসলতা ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যাবে
এর পাশেই জমিদারবাড়ি ও জাদুঘর
আগেই উল্লেখ করেছি, জমিদারবাড়িটির নাম 'কালচার' আর এখানে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিগত/পারিবারিক জাদুঘরটি 'বলধা জাদুঘর' হিসাবে নামকরণ করা হয়
জমিদারবাড়ির নীচ তলার ৪টি কক্ষে জাদুঘরটি ১৯২৫ খ্রীঃ থেকে যাত্রা শুরু করে
নরেন্দ্র নারায়ণ জাদুঘরের জন্য সূচি-শিল্পকর্ম, পুঁতি, ধাতব মূর্তি, বিশাল ২টি কড়াই, গৃহস্থলী সামগ্রী, বই, হাতির দাঁতের ও রূপার ঝালরের কারুকর্ম, প্রবাল ও সামুদ্রিক দ্রব্যাদি, গ্রাম ও শহুরে জীবনের নমুনা, মধ্যযুগের যুদ্ধাস্ত্র ও পোষাকসহ নানান প্রাচীন নিদর্শনাদি সংগ্রহ করেছিলেন
একটি সূত্র থেকে জানলাম, তার সংগৃহীত নিদর্শনাদির সংখ্যা নাকি প্রায় ৪,০০০ মত ছিল
তবে উল্লেথ করা প্রয়োজন যে, এসব নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম ছিল নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার 'ফিরাঙ্গী' নামের ও মহীশূরের বাঘ টিপু সুলতানের ব্যবহৃত 'তলোয়ার' নামের তরবারি দু'টি
সিরাজের তরবারিটি তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন
এ বাদে, এই বাড়ির কয়েকটি ঘর রঙমহল হিসাবে ব্যবহৃত হতো
জাদুঘরের একটু ডানের দিকে গেলে জ্যাকুইনিয়া, শারদমল্লিকা, কন্টকলতা, গুস্তফা, হিং, শ্বেতচন্দন, সাইকাস, স্বর্ণ অশোক, সাদা ও গোলাপী ক্যামেলিয়া, রাজ অশোক, কুর্চি, ভূর্জপত্র, পাম ইত্যাদি গাছ দেখতে পাওয়া যায়
এর ডান পাশেই রয়েছে ক্যাকটাস ঘর
তাছাড়া অপরাজিতা, অ্যারোপয়জন, আফ্রিকান বকুল, উদয়পদ্ম, ওলিওপ্রেগর‌্যান্স, ক্যানেঙ্গা, জিঙ্গোবাইলোবা, জবা, নাইট কুইন, নাগলিঙ্গম, নবমল্লিকা, রাজ অশোক, র‌্যাভেনিয়া, লতাচালতা গাছও রয়েছে
১৯২৬ খ্রীঃ ১০ ফেব্রুয়ারী তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন ঢাকা সফর করেন তখন ক্লান্ত শরীর জুড়াতে বলধার জমিদারবাড়িতে পদধূলি দেন
তিনি এখানকার ক্যামেলিয়া ফুল দেখে ভীষণ মুগ্ধ হন আর সৃষ্টি করেন এক অমর কবিতা 'ক্যামেলিয়া'
কেউ কেউ বলেন, কবিতাটি তিনি এখানে বসেই লিখেছিলেন আবার কারোর ধারনা এখান থেকে ফিরে কলকাতায় বসে তা রচনা করেন
পরবর্তীকালে তিনি 'পুনশ্চ' কাব্যগ্রন্থে কবিতাখানি অন্তর্ভূক্ত করে পাঠকদের দ্বারে পৌঁছে দেন
আরও পরে এই কবিতাকে উপজীব্য করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়
রবি ঠাকুর নাকি এখানে অনেক বিদেশী ফুলের বাংলা নামকরণও করেছিলেন
যাহোক, ক্যামেলিয়া গাছ নরেন্দ্র নারায়ণ জাপান থেকে সংগ্রহ করেছিলেন
আজও এই বাগানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ক্যামেলিয়া হাউজ
এখানে নানা জাতের ক্যামেলিয়া ফুলের গাছ রয়েছে
সাধারনত ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে ক্যামেলিয়া গাছে ফুল আসে
সে সময় এই বাগান দেখতে বেশ লাগে
পাঠকদের সুবিধার্থে ক্যামেলিয়া কবিতার চুম্বক অংশ উদ্ধৃত করলামঃ
''যেদিন নেমে আসব তার দু দিন আগে তনুকা বললে,
'একটি জিনিস দেব আপনাকে, যাতে মনে থাকবে আমাদের কথা -
একটি ফুলের গাছ
এ এক উৎপাত
চুপ করে রইলেম
তনুকা বললে, 'দামি দুর্লভ গাছ,
এ দেশের মাটিতে অনেক যত্নে বাঁচে
জিগেস করলেম, 'নামটা কী?'
সে বললে 'ক্যামেলিয়া'
বাগানে থাকা উদ্ভিদ রাশির মধ্যে সেঞ্চুরী প্লান্ট এখানকার সংগ্রহের এক অনবদ্য স্মারক
আমরা সবাই জানি এই গাছে এক শতাব্দীতে একবার ফুল ফোঁটে, সর্বশেষ ২০০০ খ্রীঃ ফুল ফুটেছিল
বাওবাব নামের আফ্রিকান একটি গাছ নরেন্দ্র নারায়ণ আফ্রিকা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন
জানা যায়, আদি মিশরীয়রা মৃতদেহ সংরক্ষণ/মমি'র জন্য এই গাছ ব্যবহার করত
আরেকটি উল্লেখ করার মত গাছ হল ভূর্জপত্র - আমাদের দেশের এটি একটি দূষ্প্রাপ্য গাছ
কাগজ আবিষ্কারের পূর্বে এই গাছের বাকলের উপর লেখালেখি করা হত
এখানে ১৬ প্রজাতির পাম গাছ আছে