content
stringlengths
0
129k
অবশ্য নরেন্দ্র নারায়ণ বাগান ও জাদুঘরের জন্য নিজ এস্টেটের আয় থেকে সকল ব্যয় বহন করার জন্য উইল করে গিয়েছিলেন
তবুও অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ১৯৬২ খ্রীঃ নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীর নাতি পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট বাগানটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন
'বলধা জাদুঘর'টি বেশ সম্মৃদ্ধ ছিল বলেই মনে হয়
তবে নরেন্দ্র নারায়ণের মৃত্যূর পর সম্ভবতঃ বেশ কিছু নিদর্শন বেহাত হয়ে যায়
তারপরও যা কিছু বাকী ছিল সে সবের প্রায় ২,০০০ নিদর্শন তার পরিবারের পক্ষ থেকে পরবর্তীকালে নিমতলী দেউড়িতে অবস্থিত ঢাকা জাদুঘর (বর্তমানে শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর) এ হস্তান্তর করা হয়
পাঠাগারের বই, জর্ণাল, পত্র-পত্রিকাগুলো জাতীয় জাদুঘরের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাগার ও কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থগারে হস্তান্তর করা হয়
বলধা গার্ডেনের সাথে রোজ গার্ডেনকে নিয়ে একটি জনশ্রুতি প্রচলিত আছে
আমরা আমাদের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম যে, সেকালে নরেন্দ্র নারায়ণের বাগানবাড়িতে নানা সাংস্কৃতিক আসর বসত
আয়োজন থাকত নানা অনুষ্ঠানের, জলসারও ব্যবস্থা ছিল
আশে পাশে জমিদার ও গণ্যমান্যরা সেখানে প্রায়শঃ যোগ দিতেন
এমনই এক সন্ধ্যায় জমিদার ও ঢাকার ধনী ব্যবসায়ী ঋষিকেশ দাস আমন্ত্রণ ছাড়াই আসরে যোগ দিতে চলে আসেন এখানে
কিন্তু তিনি নিম্ন বর্ণের/ছোট জাতের এই ধুয়া তুলে তাকে বাড়ির ভিতর ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়
রাগে-অভিমানে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন আর এই অপমানের শোধ তুলতেই টিকাটুলীতে নির্মাণ করেন 'রোজ গার্ডেন'
বোধ করি ঋষিকেশ মহাশয় জমিদারবাড়ির ছাদের গায়ে উৎকীর্ণ ' ' লেখার মর্ম সচেতনভাবেই উপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন
বর্তমান হালচাল
গার্ডেনটি এখন বন বিভাগের মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের স্যাটেলাইট ইউনিট হিসাবে সংরক্ষিত
বন বিভাগের উদ্যেগে গোলাপসহ নতুন কিছু গাছ এখানে লাগানো হয়েছে
আর এখান থেকে বেশ কিছু গাছের কলম বা চারা মিরপুর বোটানিকেল গার্ডেনে স্থানান্তর করা হয়েছে/হচ্ছে
গাছ-গাছালি ছাড়াও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এখানে থাকা জীব-কীট/বাদুর আর পাখ-পাখালির কলকাকলিতে মুখর থাকা উদ্যানটি জনমনে যে প্রশান্তি এনে দিত তা আজ আর আগের মত নেই
নানা ধরনের অসুবিধা, সমস্যা আর সঙ্কটে পড়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই উদ্যানটি
এখানে তার কিছু নমুনা উপস্থাপন করা হলঃ
বর্তমানে বাগানে মারাত্মক পানির সঙ্কট চলছে
ফলে বাগানের উদ্ভিদরাজি ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছে
এতে একদিকে যেমন গাছে পর্যাপ্ত পানি দেওয়া যাচ্ছে না তেমনি শঙ্খনদের পানি পরিবর্তন না করায় পানির রঙ বিবর্ণ ও দূর্গন্ধ বের হচ্ছে
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ইতিমধ্যে আনুমানিক ১৫০ টি গাছ পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে
সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে, পানির গভীর নলকূপ বসানোর জন্য বলধা গার্ডেন কতৃপক্ষ ঢাকা ওয়াসাকে ১২০০ বর্গফুট জায়গা দেয়
নলকূপ সাইকি অংশে বসানোও হয়েছে
তবুও সমস্যার কোন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি
বাগানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সঞ্চালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে
এতে গাছগুলোর সালোক-সংশ্লেষে নাভিশ্বাস উঠছে
এমনকি সূর্য্য ঘড়িটি আলোর অভাবে সময় নির্দেশ করতে পারছে না
চারিদিকে সুউচ্চ ভবনের দাম্ভিক উপস্থিতি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ব্যাস্ত নগরের ভারী বাতাস, সংলগ্ন উড়াল সেতু ইত্যাদি এসবের মূল কারণ
তাছাড়া রাস্তা উঁচু করার ফলে বৃষ্টির পানি বাগানে প্রবেশ করা, পানি নিষ্কাশনের অপব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্নতা, অপর্যাপ্ত পরিচর্যা, দূর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, অদূরদর্শীতা, অযত্ন আর অবহেলা - এসবই এই উদ্যানের অপার্থিব নির্জনতাকে স্থবির করে দিয়েছে
শুধু তাই নয়, পয়ঃ-নিষ্কাশনের পানি নাকি বাগানে প্রবেশ করে অনেক গাছের মৃত্যূর কারণ হয়েছে
অথচ আমরা জানি, ১৯১৯ খ্রীঃ ওয়ারীতে ঢাকার প্রথম পয়ঃ-নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল
উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের ছাত্রদের জন্য এই বাগান একটি জীবন্ত গবেষণাগার
কারো কারো মতে এটি উদ্ভিদের জীবন্ত অভিধানও বটে
এক সময় সনাতন ধর্মীয়রা এখানে আসতেন পূজা দিতে ও ফুল সংগ্রহ করতে
কেউ বা আসতেন প্রাতঃ ভ্রমণের জন্য, শরীর চর্চার জন্য
জানা যায়, বলধা গার্ডেনের সব সংগ্রহের উৎস, পরিচয়, পরিচর্যার পদ্ধতি, গুণাগুণ ইত্যাদি খুটিনাটি সব লিপিবদ্ধ ছিল - কোথায় সেসব?
বলধা গার্ডেন শুধু আমাদের ঐতিহ্যই নয় বরং এর সাথে জড়িয়ে আছে ঢাকা শহরের পরিবেশগত ভারসাম্য
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যে কোন দেশের ভূখন্ডের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকা উচিৎ
দেখা যাচ্ছে, জাতিসংঘের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী দেশের মোট বনভূমির পরিমান শতকরা ১৩ ভাগ আর বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুযায়ী ১৭ শতাংশ
মানব বসবাসযোগ্য পৃথিবী রক্ষায় প্রকৃতি ও পরিবেশ কি ভূমিকা রাখে তা এখানকার আলোচনার বিষয় নয়
তবে এটা আমাদের সকলকে মানতেই হবে যে, বনভূমি ধ্বংস নয় বরং সর্বান্তকরণে রক্ষা করাই হবে প্রধান বিবেচ্য
দেশের বিভিন্ন উদ্ভিদ উদ্যানও মোট বনভূমি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে
যা আছে তা ত নষ্ট করা যাবেই না বরং কিভাবে পরিমান বাড়ানো যায় সে দিকে নজর দিতে হবে - এই যখন অবস্থা তখন বলধা গার্ডেনের মত সম্মৃদ্ধ একটি বাগান রক্ষায় আর কোন উদ্দেশ্যর প্রয়োজন আছে কি?
ওয়ারী বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন
নারিন্দা রোড - লালমোহন সাহা স্ট্রীট দিয়ে ঢুকলেই হাতের বায়ে নারিন্দা খ্রীষ্টান গোরস্থান আর ডানে বলধা গার্ডেন
নবাব স্ট্রীট বলধা গার্ডেনকে দু'ভাগে বিচ্ছিন্ন করে লারমিনি স্ট্রীটের দিকে চলে গেছে
অভিজাত এলাকা হিসাবে উথান হলেও কালের পরিক্রমায় ওয়ারী আর বলধা গার্ডেন সমার্থক হয়ে গেছে
ঐতিহাসিক উদ্যানটি আজ আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে
যে ব্যক্তিগত আগ্রহ আর পরিশ্রমে বাগানটি তৈরী হয়েছিল, সময়ের সে দায় মিটেছে শতবর্ষ আগে
এখন তা রক্ষার দায় আমাদের সকলের
এই উদ্যানের প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে অনেক বিখ্যাত মানুষের অস্তিত্ব
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনকেও এখানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়
১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৮ খ্রীঃ অমর্ত্য সেন নিজ হাতে 'রাজ অশোক' নামের একটি গাছের চারা এখানে রোপন করেন
বলধা গার্ডেন নিয়ে সুশীল সমাজ আজ সত্যিকার অর্থেই ভীষণ উদ্বিগ্ন
ফেব্রুয়ারীর বইমেলাতেও বিদগ্ধ আলোচকেরা এর ঐতিহাসিক পটভূমি, গুরুত্ব, মূল্যায়ন, সংরক্ষণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে সকলের দৃষ্টি আকর্ষনের চেস্টা করে চলেছেন
দৈনিক পত্রিকাসহ সকল গণ-মাধ্যমও তাদের সাধ্যমত প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন
সরকারও চুপচাপ বসে নেই, সীমিত সম্পদ দিয়ে যথাসাধ্য তত্বাবধানে ত্রূটি নেই
তবুও দিন দিন নির্জীব, ক্ষয়, ধ্বংসের দিকে কেনো অমূল্য বাগানটি ধাবিত হচ্ছে? তার কারণ, আমাদের সাধারন জনগনের অসচেতনতা, নৈতিক মূল্যবোধের ঘাটতি, উদাসীনতা
আমরা প্রত্যেকেই যদি একটু আন্তরিক হই তাহলে শুধু বলধা গার্ডেন নয়, তাবৎ দেশটার চেহারাই বদলে যাবে
বলধা গার্ডেনকে আন্তরিকভাবে যত্ন করে পরিপাটিভাবে রক্ষা করলে একদিকে যেমন ঐতিহাসিক একটি বাগান আগামী দিনের স্মারক হয়ে থাকবে, তেমনি পর্যটকদের জন্যও হবে একটি আকর্ষনীয় স্থান
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য হবে জীবন্ত এক উদ্ভিদ গবেষণাগার
সকল স্তরের উদ্ভিদবিদ্যা ছাত্রদের জন্য এটি হবে প্রাকৃতিক পাঠাগার
প্রতিটি গাছের খুটিনাটি থেকে শুরু করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা যেতে পারে
সেই সাথে গাছের পরিচিতি নির্দেশকগুলো আধুনিক ও তথ্যসম্মৃদ্ধ করা যেতে পারে
সকল ঋতুতে দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দে বাগানে বেড়াতে পারে (বৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকা, কাদা-মাটি) সেদিকে খেয়াল রেখে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে
গাজীপুরের বাড়িয়া ইউনিয়নের বলধা গ্রামে বলধা জমিদারবাড়ি ধ্বংস হয়েছে অনেককাল আগেই
এখন এই বাগানটিও ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে
নরেন্দ্র নারায়ণের কলকাতা ও দার্জিলিং এ ২টি করে, লখনৌ ও পুরীতে ১টি করে ও ঢাকার তেজগাঁওয়ের 'নিফম হাউজ' নামের আরেকটি বাগানবাড়ি ছিল
কে জানে সে সবের আজ কি দশা!!! হারিয়ে গেছে অনেক কিছুই, হারাতে বসেছি আরও কিছু
তবুও চোখের সামনে এমন ক্ষয় মেনে নেই কি করে? বলধা গার্ডেন পরিচালনা করার জন্য নিজের এস্টেটের আয় উইল করে দেবার পরও শেষ রক্ষা কি হবে?
নরেন্দ্র নারায়ণের সমাধির এপিটাফে লেখা আছে "দাঁড়াও পথিকবর, আমাকে একটি ফুল দিয়ে যাও, বিদায়" ... ভীরু মন - তাই সংশয় জাগে, আসছে দিনে, নিবেদন করার মত একটি ফুলও কি আর ফুটবে তার বাগানে!!!
২৫ আগষ্ট ২০২০/ঢাকা-১২৩০
.380@.
তথ্যসূত্রঃ
১. ৬৪ জেলা ভ্রমণ, লিয়াকত হোসেন খোকন, অনিন্দ্য প্রকাশ, ফেব্রূয়ারী ২০০৭ খ্রীঃ, পৃঃ ৪৯/৫৭/
২. ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরীঃ বিবর্তন ও সম্ভাবনা, সম্পাদনাঃ ইফতিখার-উল-আউয়াল, ডিসেম্বর ২০০৩ খ্রীঃ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, পৃ ৪৪৫/৪৪৮/৫৪২/৫৪৩/৫৪৫/
৩. গ্রাফোসম্যানের ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা, সম্পাদনা ড. ছন্দশ্রী পাল, প্রথম সংস্করণ একুশে বইমেলা, ফেব্রূয়ারী ২০০৬ খ্রীঃ, গ্রাফোসম্যানের, পৃঃ ৩৫/
৪. ঢাকা অভিধান, খন্দকার মাহমুদুল হাসান, ফেব্রূয়ারী ২০১৪ খ্রীঃ, ঐতিহ্য, পৃ ১০২/২৭৩/৩৩০/
৫. ঢাকা ইতিহাস ও ঐতিহ্য, এ কে এম শাহনাওয়াজ, প্রথম প্রকাশ ফেব্রূয়ারী ২০১৮ খ্রীঃ, নভেল পাবলিশিং হাউজ, পৃঃ ৪২/
৬. ঢাকা ইতিহাস ও নগর জীবন ১৮৪০-১৯২১, শরীফ উদ্দিন আহমেদ, ফেব্রূয়ারী ২০০১ খ্রীঃ, একাডেমিক প্রেস এন্ড পাবলিশার্স লিমিটেড ঢাকা, পৃ ১৪৮/১৫৬-১৫৭/৩০৮/
৭. ঢাকা পুরান, মীজানুর রহমান, জানুয়ারী ২০১১ খ্রীঃ, প্রথমা, পৃ ৩৫/
৮. ঢাকাঃস্মৃতি বিস্মৃতির নগরী, মুনতাসীর মামুন, ১৯৯৩ খ্রীঃ, অনন্যা, পৃঃ ২৩৩/
৯. ঢাকার প্রথম, মুনতাসীর মামুন, ফেব্রূয়ারী ২০১৭ খ্রীঃ, সুবর্ণ, পৃঃ ৭৭/
১০. ঢাকার প্রাচীন নিদর্শন, স্যর চার্লস ড'য়েলী ভাষান্তরঃ শাহ মুহাম্মদ নাজমুল আলম, দ্বিতীয় মুদ্রণঃ জুন ২০০৪ খ্রীঃ, একাডেমিক প্রেস এন্ড পাবলিশার্স লিমিটেড ঢাকা, পৃঃ ৩১/৩৩/
১১. পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, সৈয়দ আবুল মকসুদ, ফেব্রূয়ারী ২০০৭ খ্রীঃ, মাওলা ব্রাদার্স, পৃঃ ৬৫/
১২. পর্যটন নগরী ঢাকা, কাজী জিলহাজ, ফেব্রূয়ারী ২০১৪ খ্রীঃ, ন্যাশনাল পাবলিকেশন, পৃঃ ১০৪/
১৩. , , , 2009 , , পৃঃ ১০১/১৭৯/২০৮-২১০/২১১/
১৪. , , 2009 , , পৃঃ ৬৫/৬৮/
পত্র-পত্রিকা
১. বলধা গার্ডেনে এক চক্কর, দৈনিক প্রথম আলো, ১৩ আগষ্ট ২০০২ খ্রীঃ
২. ঐতিহ্যের পুরান ঢাকা, দৈনিক প্রথম আলো, ০৮ এপ্রিল ২০০৩ খ্রীঃ
৩. ছুটির দিনের ডাকা কোথায় কেখন কি দেখবন, প্রণয় পলিকার্প রোজারিও, দৈনিক প্রথম আলো, ২৪ অক্টোবর ২০০৪ খ্রীঃ
৪. ঢাকার ৯৩টি স্থাপনা ও সাত এলাকা সংরক্ষিত ঘোষণা, কয়েকটি নষ্ট করা হয়েছে, কিছু বেদখল, অরূপ দত্ত ও ওয়াসেক বিল্লাহ, দৈনিক প্রথম আলো, ২৩ মার্চ ২০০৯ খ্রীঃ
৫. বলধা গার্ডেন হারাচ্ছে আপন বৈশিষ্ট্য, দৈনিক ইত্তেফাক, ২৮ জুন ২০১২ খ্রীঃ
৬. দেশজুড়ে যা দেখার আছে, দৈনিক যুগান্তর, ১০ আগষ্ট ২০১২ খ্রীঃ
৭. বাংলাদেশের সর্বাধিক দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকাঃ আপনার প্রিয়তে নিতেই হবে, বিডিনিউজ২৪.কম, ১১ আগষ্ট ২০১২ খ্রীঃ